Blog

  • UP Durga Puja pandal: সপ্তমীর রাতে পূজা প্যান্ডেলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, মৃত অন্তত ৫

    UP Durga Puja pandal: সপ্তমীর রাতে পূজা প্যান্ডেলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, মৃত অন্তত ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল উত্তরপ্রদেশের ভাদোহির একটি দুর্গাপূজার প্যান্ডেলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ঘটনাস্থলেই তিন শিশু সহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও জানা গিয়েছে অন্তত প্রায় ৬৭ জন ব্যাক্তি গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: রাজ্য বিজেপির বিশেষ ‘চমক’! দলের দুর্গাপুজো করবেন এক মহিলা ‘অব্রাহ্মণ’ পুরোহিত 

    পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন সম্ভবত সপ্তমী উপলক্ষে পূজা প্যান্ডেলে আরতি করার সময় রাত ন’টার দিকে প্যান্ডেলে আগুন লেগে গিয়েছিল। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে সেই সময় পূজা প্যান্ডেলের ভিতরে আনুমানিক ৩০০ থেকে ৪০০ জন ছিল।প্যান্ডেলে ভেতরে ডিজিটাল ভাবে পূজা সম্পর্কিত অনুষ্ঠান চলছিল সেটি দেখতেই প্রচুর লোকের সমাগম হয়েছিল।

    ঘটনার প্রেক্ষিতে, ভাদোহির জেলা শাসক গৌরাঙ্গ রাঠি জানান আউরাই পুলিশ স্টেশনের ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে নারথুয়া গ্রামের একটি পূজো প্যান্ডেলে আগুন লেগেছিল।প্রতিটি আহত ব্যাক্তিদের শনাক্তকরণ সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন প্যান্ডেলে ভিতরে বেশীরভাগ বাচ্চা ও মহিলাদেরই সমাগম ছিল।

    আরও পড়ুন: জানেন মহাষ্টমীর দিন “সন্ধিক্ষণের পুজো” কেন হয় ?

    তিনি আরও জানিয়েছেন প্যান্ডেলের ভিতরে হ্যালেজেন লাইট অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়ার ফলে শর্টসার্কিট হয়ে ইলেকট্রিক তারে আগুন  লাগে। সেই আগুন দ্রুত প্যান্ডেলে ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ এই অগ্নিসংযোগ ঘটায়।

    উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে ট্যুইট করে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী আহতদের যথাযথ চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদের নির্দেশ দিয়েছেন।

    [tw]


    [/tw]

    জেলা পুলিশ প্রশাসনকে দ্রুত উদ্ধারকার্য সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

    [tw]


    [/tw]

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • GST: সেপ্টেম্বরে জিএসটি বৃদ্ধি ২৬%, মাসিক সংগ্রহ ১.৪৭ লক্ষ কোটি টাকা

    GST: সেপ্টেম্বরে জিএসটি বৃদ্ধি ২৬%, মাসিক সংগ্রহ ১.৪৭ লক্ষ কোটি টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেপ্টেম্বরে জিএসটি (GST) থেকে সরকারের আয় ১,৪৭,৬৮৬ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের (Ministry of Finance) তরফে এমনটাই জানানো হল। গত বছর সেপ্টেম্বরের তুলনায় এ বছর সংগৃহীত জিএসটি-র পরিমাণ ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, লাগাতার ছয় মাস জিএসটি থেকে মাসিক আয় ১.৪০ লক্ষ কোটি টাকার বেশি আয় হচ্ছে। মন্ত্রকের মতে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মোট সংগৃহীত জিএসটির মধ্যে কেন্দ্রীয় জিএসটি (CGST) ছিল ২৫,২৭১ কোটি টাকা ৷ রাজ্য জিএসটি (SGST) ৩১,৮১৩ কোটি টাকা এবং ইন্টিগ্রেটেড জিএসটি (IGST) ৮০,৪৬৪ কোটি টাকা (এর মধ্যে আমদানি পণ্য থেকে এসেছে ৮৫৬ কোটি টাকা) এবং সেজ ১০,১৩৭ কোটি টাকা (এর মধ্যে আমদানি পণ্য থেকে এসেছে ৪১,২১৫ কোটি টাকা)। অগাস্টে মোট জিএসটি (gst) রাজস্ব সংগ্রহ হয়েছে ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৬১২ কোটি টাকা। জুলাই মাসে জিএসটির কারণে ভারতের রাজকোষে মোট ১.৪৯ লক্ষ কোটি টাকা এসেছে।    

    আরও পড়ুন: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি, বাড়ল প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের পরিমাণ  

    সম্প্রতি, জিএসটি কাউন্সিল নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের ওপরেই জিএসটি ধার্য করেছে। যা আগে করমুক্ত ছিল। এতে যে আখেরে দেশের অর্থনীতিতে সুফলই এসেছে, তার প্রতিফলন দেশের কোষাগারে স্পষ্ট। 

    এখন হোটেল রুমে ১০০০ টাকার কম হলেও এখন থেকে জিএসটি দিতে হয়। এছাড়াও, হাসপাতালের ঘরের ভাড়া ৫০০০ টাকার বেশি হলেও ৫% জিএসটি ধার্য করা হয়। প্যাকেটজাত খাবারের ওপরও ৫ শতাংশ জিএসটি আরোপ করা হয়েছে। অর্গানিক ফুডের ওপরেও ধার্য করা হয়েছে জিএসটি। আগে এই বিষয়গুলি করমুক্ত ছিল।   

    আরও পড়ুন: নয়া নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনও ভাড়াটের জিএসটির রেজিস্ট্রেশন থাকে, তবে তাঁকে ভাড়ার উপর জিএসটি দিতে হবে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

     

  • India on Russia: আলোচনার মাধ্যমেই রাশিয়া-ইউক্রেন সমস্যার সমাধান সম্ভব! জানেন রাষ্ট্রসংঘে কী বলল ভারত?

    India on Russia: আলোচনার মাধ্যমেই রাশিয়া-ইউক্রেন সমস্যার সমাধান সম্ভব! জানেন রাষ্ট্রসংঘে কী বলল ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia-Ukrain war) যুদ্ধে মধ্যপন্থা অবস্থানের কারণে পশ্চিমী দেশগুলির তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল ভারতকে (India)। তাতে অবশ্য খুব একটা কর্ণপাত করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। কারণ, ভারতের বিদেশ নীতির মূল মন্ত্র মেনেই তিনি রাশিয়ার (Russia) সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন। তবে সব বিষয়ে ভারত যে পুতিনকে সমর্থন করবে না, তা কিন্তু হাবেভাবে ফের বুঝিয়ে দিয়েছে দিল্লি। সম্প্রতি গণভোটের নাম করে ইউক্রেনের চারটি এলাকা নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করার কথা ঘোষণা করেছে রাশিয়া। যা একেবারেই না পসন্দ ভারতের। সেই কারণেই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এই সংক্রান্ত বিষয়ে ভোটাভুটিতে বিরত থাকল দিল্লি। রাষ্ট্রসংঘে ভারতের প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ জানিয়েছেন, ‘ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারত ভীষণই বিচলিত। আলোচনার মাধ্যমেই যাবতীয় সমস্যার সমাধান সম্ভব। সেই বার্তা মস্কোকে বার বার দেওয়ার চেষ্টা করেছে ভারত।’

    আরও পড়ুন: নয়া সংসদ ভবনের উপরে স্থাপিত জাতীয় প্রতীক কোনও আইন লঙ্ঘন করেনি! জানুন কী বলল আদালত?

    আমেরিকার পক্ষ থেকে রাশিয়ার আগ্রাসন নীতির বিরুদ্ধ নিন্দাপ্রস্তাব আনা হয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে। সদস্য দেশগুলিকে ইউক্রেনের কোনও পরিবর্তিত পরিস্থিতিকে স্বীকৃতি না দেওয়ার আহ্বান জানান হয়। নিরাপত্ত পরিষদের দশটি সদস্য আমেরিকার আনা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। তবে চিন, গ্যাবন ব্রাজিল এবং ভারত ভোটদান থেকে বিরত থাকে। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার বন্ধু দেশ হিসেবেই পরিচিত ভারত, চিন। কিন্তু অবৈধ গণভোটের মাধ্যমে ইউক্রেনের এলাকা দখলের রুশ প্রয়াসকে ভারত একেবারেই সমর্থন করছে না, তা স্পষ্ট। রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘ভোটদানে বিরত থাকা মানে রাশিয়াকে সমর্থন নয়। একটি দেশও রাশিয়াকে ভোট দেয়নি।’

    আরও পড়ুন: মানবিক মোদি! রাত ১০টায় সভায় এসে চাইলেন ক্ষমা, অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য ছাড়লেন রাস্তা

    রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়ে বলেন, ‘ইউক্রেনের যে অঞ্চলগুলি রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, সেখানে এখনও লড়াই চলছে। সেখানকার মানুষ গণভোটের মাধ্যমে রাশিয়ার অংশ হতে চেয়েছে।’ তবে এই যুক্তি মানতে রাজি নয় ইউক্রেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Tapan Dutta Murder: তপন দত্ত হত্যা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখল হাইকোর্ট

    Tapan Dutta Murder: তপন দত্ত হত্যা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতে বড় ধাক্কা খেল তৃণমূল সরকার। পরিবেশ কর্মী তপন দত্ত হত্যা মামলায় (Tapan Dutta Murder Case) সিবিআই তদন্তের (CBI Probe) নির্দেশ বহাল। সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখল কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলা নিম্ন আদালত, কলকাতা হাই কোর্ট এমনকি, সুপ্রিম কোর্টেও উঠেছে। কিন্তু এখনও সুবিচার পাননি নিহত তপনের স্ত্রী প্রতিমা দত্ত। গত ৯ জুন তপন দত্ত খুনের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য সরকার এবং অন্যতম অভিযুক্ত ষষ্ঠী গায়েন। কিন্তু সেই আবেদন শুক্রবার খারিজ করে দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।  

    আরও পড়ুন: পিএফআইকে সাড়ে ৫ কোটি টাকা জরিমানার নির্দেশ কেরল হাইকোর্টের

    ২০১১ সালের ৬ মে গুলিতে প্রাণ হারান। এই ঘটনায় তৃণমূলের ১৩ জন স্থানীয় তৃণমূল নেতার নাম জড়ায়। তারপর থেকেই অস্বস্তিতে তৃণমূল সরকার। এক দশক কেটে গেলেও এই ঘটনায় কোনও সুবিচার হয়নি। অভিযুক্তরা আজও শাস্তি পায়নি। এতদিন এই তদন্তের ভার ছিল সিআইডির ওপর। রাজ্য সরকারের এই গোয়েন্দা সংস্থা তদন্তের পর জানায়, জলাজমি ভরাটের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন বলেই তপনবাবুকে খুন হতে হয়েছে। ২০১১ সালের ৩০ অগাস্ট সিআইডি মামলার চার্জশিট পেশ করে। চার্জশিটে হাওড়ার একাধিক তৃণমূল নেতার নাম ছিল।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের টাকা নয়ছয়, শুভেন্দুর চিঠি নির্মলাকে, আরটিআই পত্রবোমা রাজ্যকেও

    শুরুতে তপন দত্ত খুনের মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৎকালীন তৃণমূলের জেলা সভাপতি  অরূপ রায় সহ ১৩ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। কিন্তু পরে ওই মামলার চার্জশিট থেকে ৮ জনের নাম বাদ দিয়েছিল সিআইডি। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন তপন দত্তের স্ত্রী প্রতিমা দত্ত।  

    সিঙ্গল বেঞ্চে এই মামলা চলাকালীন বিচারপতি প্রশ্ন তুলেছিলেন, সিআইডি তদন্তে কেন আটজনের নাম বাদ দেওয়া হল? মামলাকারীর সিআইডি তদন্তের প্রতি অনাস্থা অনেকাংশেই যুক্তিসঙ্গত মনে হয়েছিল আদালতের। তাই  সিঙ্গল বেঞ্চের তরফে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।  

    এরপর ওই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ষষ্ঠী গায়েন ও রাজ্য সরকার সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়। তবে তাতেও বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। সিবিআই  তদন্তের নির্দেশই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     

  • Navratri 2022: মহা পঞ্চমীর মাহাত্ম্য: জানুন তারকাসুর বধ ও স্কন্দমাতার আখ্যান

    Navratri 2022: মহা পঞ্চমীর মাহাত্ম্য: জানুন তারকাসুর বধ ও স্কন্দমাতার আখ্যান

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: পুরাণ অনুযায়ী, দেবাদিদেব মহাদেবের পুত্র হলেন দেব সেনাপতি কার্তিক। তাঁর অপর নাম স্কন্দ। স্কন্দমাতা মানে হলো কার্তিকের মাতা। দেবী পার্বতীর এই রূপেরই পূজা করা নবরাত্রির পঞ্চমীর দিন। কার্তিকের জন্মবৃত্তান্ত এবং মাতা পার্বতীর স্কন্দমাতা হয়ে ওঠার কাহিনী জানতে হলে আমাদের অপর একটি পৌরাণিক কাহিনী শুনতে হবে।

    পুরাকালে বজ্রাঙ্গ নামে এক অসুর রাজা ছিলেন। তিনি ছিলেন দিতির পুত্র। দেবতাদের রাজা ইন্দ্রকে বজ্রাঙ্গ সিংহাসনচ্যুত করে, বন্দি করেন। দেবতাদের প্রতি বজ্রাঙ্গের এই রোষ আসলে ছিল তাঁর প্রতিশোধ। কারণ ইতিপূর্বে দিতির অসংখ্য পুত্রকে মানে বজ্রাঙ্গের নিজ ভাইদের দেবতারা হত্যা করেছিল। বজ্রাঙ্গের হাতে বন্দি ইন্দ্রকে মুক্ত করতে আসেন ব্রহ্মা এবং কাশ্যপ মুনি। কাশ্যপ মুনি ছিলেন বজ্রাঙ্গের পিতা, অর্থাৎ দিতির স্বামী। ব্রহ্মা এবং কাশ্যপ মুনির অনুরোধে বজ্রাঙ্গ তখনকার মতো ইন্দ্রকে মুক্ত করেন। 

    দৈত্য হয়েও এমন দয়ার ভাব বজ্রাঙ্গের মধ্যে দেখতে পেয়ে ব্রহ্মা তাঁকে বরদান করতে ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন। বজ্রাঙ্গ তখন তপস্বী হওয়ার বর প্রার্থনা করলেন এবং বাকি জীবন যেন তিনি ধর্ম পথে চলতে পারেন সেই আশীর্বাদ ব্রহ্মার কাছে চাইলেন। ব্রহ্মা তাঁর মানস কন্যা বরাঙ্গীর সঙ্গে বজ্রাঙ্গের বিবাহ দিলেন। বজ্রাঙ্গ এবং বরাঙ্গী বনের মধ্যে কুটির বানিয়ে ধর্ম কর্ম করতে লাগলেন। বজ্রাঙ্গ তপস্যায় রত থাকতেন এবং বরাঙ্গী গৃহস্থের কর্ম সম্পাদন করতেন। ‌

    আরও পড়ুন: জানুন মাতা কুষ্মান্ডার কাহিনী, মহাচতুর্থীর দিন আরাধিতা হন দেবী

    একদিন দেবরাজ ইন্দ্র ওই কুটিরের পাশ দিয়ে যেতে যেতে বরাঙ্গীকে দেখতে পেয়ে পুরনো অপমানের বদলা নিতে চাইলেন। কখনও বানর সেজে, কখনও ভেড়া বা কখনও সাপ হয়ে কুটির লন্ডভন্ড করতে লাগলেন। ক্রন্দনরত অবস্থায় বরাঙ্গী তাঁর স্বামী বজ্রাঙ্গকে এসব বিষয়ে বললে, বজ্রাঙ্গ ব্রহ্মাকে স্মরণ করলেন। ব্রহ্মা প্রকট হয়ে বর দিতে চাইলে বজ্রাঙ্গ বললেন, “আমাকে এমন পুত্র দিন, যে দেবতাদের উপর অত্যাচার করতে সমর্থ হবে।”‌ ব্রহ্মা বজ্রাঙ্গের মনোমত বরদান করলেন। বরাঙ্গীর গর্ভে জন্ম হলো তারক নামের অসুরের‌। 

    পরবর্তীতে তারকাসুরের উপর ব্রহ্মার বরদান ছিল যে- “একমাত্র শিবের বালক পুত্র ছাড়া, কারও হাতে তিনি হত হবেন না।” ব্রহ্মার বরদানে অজেয়, অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন তারকাসুর। কারণ তিনি জানতেন শিব কখনও বিবাহ করবেন না এবং ত্রিভুবনে ব্রহ্মার বরদানে তাঁকে হত্যা করতে পারে এমন ক্ষমতা কোনও দেবতা, মানুষ বা জীবজন্তুর নেই। তারকাসুর দেবলোক নিজের দখলে আনেন। দেবরাজ ইন্দ্র সিংহাসনচ্যুত হলেন। বিতাড়িত দেবতারা বুঝতে পারলেন শিবের বিয়ে দিতে পারলে তবে তাঁর পুত্রই তারকাসুর কে বধ করতে পারবেন। 

    আরও পড়ুন: নবরাত্রির তৃতীয় দিনে পূজিতা হন মাতা চন্দ্রঘন্টা, জানুন তাঁর পৌরাণিক কাহিনী

    আয়োজন শুরু হলো শিব-পার্বতীর বিবাহের। সেখানেও তারকাসুরের আক্রমণ হলো। পার্বতী দেবী, মাতা চন্দ্রঘন্টা রূপধারণ করে অসুরদের বিতাড়িত করলেন। এরপর সুসম্পন্ন হলো শিব-পার্বতীর বিবাহ। জন্ম হলো কার্তিকের। মাতা পার্বতী তখন হলেন স্কন্দমাতা অর্থাৎ কার্তিক জননী। দৈববাণী পেয়ে দেবরাজ ইন্দ্র কার্তিককে সেনাপতি নিযুক্ত করলেন। এক প্রবল যুদ্ধে কার্তিকের হাতে তারকাসুর হত হলেন। দেবতারা তাঁদের হৃত স্বর্গরাজ্য পুনরায় নিজেদের দখলে আনলেন। এমনটাই লেখা রয়েছে “স্কন্দ পুরাণে”।

    স্কন্দমাতার অপর নাম কার্তিকেয়। ত্রিনয়নী মাতার কোলে তাঁর শিশু পুত্রকে দেখতে পাই আমরা। এই শিশু পুত্রই হলেন স্কন্দ বা কার্তিক। স্কন্দমাতা স্নেহ, মায়া, সন্তান বাৎসল্য এর প্রতীক। মাতার ভক্তরা মনে করেন দেবীর পুজো করলে সমস্ত মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়, জীবনের সকল বাধাবিঘ্ন দূর হয়, অশুভ শক্তি বিনষ্ট হয়, সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য, সমৃদ্ধি তে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে জীবন। দেবী পদ্মাসনা। তাঁর বাহন সিংহ। তাঁর দুই হাতে দুটি পদ্ম। একহাতে কার্তিককে ধরে থাকেন। অপর হাত বর-মুদ্রার ভঙ্গিতে থাকে। যার দ্বারা ভক্তদের উদ্দেশে সর্বদাই আশীর্বাদ বর্ষিত হয়। 

    স্কন্দমাতার ধ্যানমন্ত্র হলো –

    “সিংহাসনগতা নিত্যং
    পদ্মাশ্রিত করদ্বয়া।
    শুভাদাস্তু সদা দেবী
    স্কন্দমাতা যশস্বিনী”।।

    স্কন্দমাতার পুজো করলে শত্রু বিনাশ হয়, শক্তি বৃদ্ধি হয় এমনটাই মনে করেন ভক্তরা। স্কন্দমাতার পুজোতে সাদা রঙের পোশাক পরলে মাতা প্রসন্ন হন এমনটাই প্রচলিত ধারণা রয়েছে। দেবীর আশীর্বাদ পেতে ভক্তরা নৈবেদ্যতে কলা বা কদলী ভোগ দেন।

  • CDS Anil Chauhan: দায়িত্বভার তুলে নিলেন সিডিএস অনিল চৌহান, সামনে কোন কোন চ্যালেঞ্জ?

    CDS Anil Chauhan: দায়িত্বভার তুলে নিলেন সিডিএস অনিল চৌহান, সামনে কোন কোন চ্যালেঞ্জ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের নতুন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (Chief of Defence Staff) পদের দায়িত্বভার তুলে নিলেন জেনারেল অনিল চৌহান (Anil Chauhan)। দেশের তিন প্রতিরক্ষা বাহিনীর দায়িত্ব এখন তাঁর কাঁধে। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর দেশের নতুন সিডিএস জেনারেল (CDS General) চৌহান জানান, যেকোনও চ্যালেঞ্জের মোকাবিলার জন্যে দেশের তিন বাহিনীকে প্রস্তুত করবেন তিনি।

    দেশের প্রথম সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াতের (Bipin Rawat) কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর অনিল চৌহান এই দায়িত্ব পেলেন। দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর চৌহান বলেন,  “ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ পদের দায়িত্ব নিতে পেরে আমি গর্বিত। চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ হিসেবে তিন প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাছ থেকে প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা করব। আমরা একসঙ্গে সমস্ত চ্যালেঞ্জ এবং অসুবিধা মোকাবেলা করব।”

    সিডিএসের দায়িত্ব নেওয়ার আগে, সিডিএস চৌহান ইন্ডিয়া গেট স্মৃতিসৌধ কমপ্লেক্সে ভারতের শহিদ সৈন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাইসিনা হিলের সাউথ ব্লকের লনে তাঁকে ত্রি-সেবা গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। সিডিএস হিসেবে জেনারেল চৌহানের প্রাথমিক কাজ প্রতিরক্ষা বাহিনীর তিনটি বিভাগের মধ্যে সমন্বয় আনতে থিয়েটারাইজেশন মডেল বাস্তবায়িত করা। গত বছর তিনি বিপিন রাওয়াতের নেতৃত্বে রোলআউটের জন্য থিয়েটারাইজেশন পরিকল্পনার উপর স্বাধীন গবেষণা চালানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। 

    আরও পড়ুন: দেশের নয়া সিডিএস হচ্ছেন অনিল চৌহান, জানেন তিনি কে?

    সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডকে নেতৃত্ব দেওয়ার পর গত বছরের ৩১ মে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে অবসর নেন অনিল চৌহান। অবসর নেওয়ার পর, তিনি জাতীয় জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ সচিবালয়ের সামরিক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। পূর্ব লাদাখে সম্প্রতি ভারত-চিন মুখোমুখি সংঘর্ষের সময় তাঁকে শীর্ষপদে নিয়োগ করা হয়। অনিল চৌহান সামরিক বিষয় বিভাগের উপদেষ্টা পদের দায়িত্বও সামলেছেন। এবার তিনি দেশের শীর্ষ সামরিক কর্তার দায়িত্বে। দেশের সিডিএস হিসেবে নির্বাচিত করার জন্য, চৌহানকে থ্রি-স্টার থেকে ফোর-স্টার জেনারেল পদে উন্নীত করা হয়। এক কথায়, তিনি বর্তমানে স্থলসেনা, নৌসেনা ও বায়ুসেনা প্রধানদের বস।

    থিয়েটারাইজেশন পরিকল্পনা অনুসারে, প্রতিটি থিয়েটার কমান্ডে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর বিশেষ ইউনিট থাকবে। এই ইউনিটগুলো মূলত অপারেশন কমান্ডারের অধীনে একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের দায়িত্বে থাকবে। যে কোনও ধরনের সমস্যার মোকাবিলা করবে। এক বছর আগেই তিনি বিপিন রাওয়াতকে এই বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই কাজ শেষ করে যেতে পারেননি জেনারেল রাওয়াত। বর্তমানে তিন বাহিনীর মোট ১৭টি কমান্ড রয়েছে। একটি এয়ার ডিফেন্স কমান্ড এবং মেরিটাইম থিয়েটার কমান্ড তৈরির জন্য একটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    জেনারাল চৌহান পূর্ব সেনা কমান্ডার পদের দায়িত্বে থাকাকালীন অরুণাচল প্রদেশ এবং সিকিম সেক্টরে চিনের সঙ্গে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবর ভারতের সামরিক প্রস্তুতি বাড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ২০১৯ সালে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের সময় সেনাবাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Operation Garuda: অপারেশন গরুড়, সিবিআইয়ের জালে ১৭৫ জন, বাজেয়াপ্ত বিপুল মাদক

    Operation Garuda: অপারেশন গরুড়, সিবিআইয়ের জালে ১৭৫ জন, বাজেয়াপ্ত বিপুল মাদক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মাদক বিরোধী অভিযান শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (Central Investigation agency) সিবিআই। ‘অপারেশন গরুড়’ (Operation Garuda) নামে বিশেষ অভিযানটিতে এখনও পর্যন্ত ১৭৫ জনকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। এই অভিযানটি আন্তর্জাতিক অপরাধদমন মূলক পুলিশ সংস্থা (International Criminal Police Organization) এবং এনসিবি (Narcotics Control Bureau)-র সঙ্গে যৌথভাবে চালানো হচ্ছে। মূলত ভারত মহাসাগরের (Indian Ocean) ওপর দিয়েই চলত মাদক পাচার, চোরাচালান। এর বিরুদ্ধেই চলছে অভিযান। 

    আরও পড়ুন: মহা পঞ্চমীর মাহাত্ম্য: জানুন তারকাসুর বধ ও স্কন্দমাতার আখ্যান

    অপারেশন গরুড় চালানো হয়েছে ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। সেই রাজ্যের পুলিশবাহিনীর (State Police) সাহায্যে চালানো হয়েছে অভিযান। এখনও পর্যন্ত সিবিআই এবং এনসিবি ছাড়াও পাঞ্জাব, হিমাচলপ্রদেশ,গুজরাট, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, দিল্লি এবং মণিপুর সহ একাধিক রাজ্যের পুলিশও অপারেশন (Operation) চালিয়েছে।

    আরও পড়ুন: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদে ভারতকে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না, সাফ জানালেন জয়শঙ্কর 

    পাঞ্জাব, দিল্লি, হিমাচলপ্রদেশ, মণিপুর সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে সন্দেহভাজন (Suspects person) প্রায় ৬ হাজার ৬০০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। ১২৭টি নতুন মামলা সহ ১৭৫ জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: কংগ্রেস সভাপতির নির্বাচন লড়বেন না অশোক গেহলট, সোনিয়ার কাছে চাইলেন ক্ষমা 

    ধৃতদের কাছ থেকে ৫ কেজির মতো হেরোইন (Heroin), ৩৪ কেজির মতো গাঁজা, ৩ কেজি ২৯ গ্রামের মতো চরস (Charas), প্রায় ৮৭টি নেশা জাতীয় ট্যাবলেট, ১২২টি মাদক ইঞ্জেকশন, প্রায় ২ কেজি আফিম, ৩০ কেজির মতো পোস্তর খোসা (Poppy Husk), ১ কেজি ৪৩০ গ্রামের মতো নেশা জাতীয় পাউডার (Intoxicant powder) উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও এমন আরও নানা নেশাজাতীয় দ্রব্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, মাঝে মধ্যেই মাদক বিরোধী অভিযান করে সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • PFI: পিএফআইকে সাড়ে ৫ কোটি টাকা জরিমানার নির্দেশ কেরল হাইকোর্টের

    PFI: পিএফআইকে সাড়ে ৫ কোটি টাকা জরিমানার নির্দেশ কেরল হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্য নিষিদ্ধ ইসলামিক সংগঠন (Islamic Organization) পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়াকে (Popular Front of India) ৫ কোটি ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল কেরল হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দেয় আদালত। বনধের দিন হিংসায় রাজ্যে যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ করতেই ওই নির্দেশ দেয় আদালত। প্রসঙ্গত, পিএফআইয়ের (PFI) ডাকে বনধ পালিত হয় কেরলে। ক্ষতি করা হয় সরকারি সম্পত্তির। তার জেরেই ক্ষতিপূরণের নির্দেশ।

    কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে আগামী পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে পিএফআই ও তার সহযোগী সংস্থাকে। তার পরেই শুরু হয় দ্বিতীয় দফার ধরপাকড়। ঘটনার প্রতিবাদে বিভিন্ন রাজ্যে বনধ পালন করে এই নিষিদ্ধ ইসলামিক সংগঠন। কেরল হাইকোর্টের বিচারপতি একে জয়শঙ্করণ নাম্বিয়ার ও সিপি মহম্মদ নিয়াসের ডিভিশন বেঞ্চ ক্ষতিপূরণ না দেওয়া পর্যন্ত নিম্ন আদালতকে অভিযুক্তদের জামিন না দেওয়ার নির্দেশও দেন। ধর্মঘটের দিন হিংসা ও ভাঙচুর সম্পর্কিত দায়ের হওয়া সবকটি মামলায় পিএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক এ আবদুল সাত্তারকে অভিযুক্ত করারও নির্দেশও কেরল সরকারকে দেয় আদালত। আদালত জানায়, নাগরিকদের জীবনকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া যায় না। বার্তা পরিষ্কার। যদি কেউ এটা করে, তাহলে এটা তার ফল। আপনি সংগঠন করতেই পারেন। নির্দেশও দিতে পারেন। সংবিধান এর অনুমতিও দেয়। কিন্তু হরতাল করতে পারেন না।

    আরও পড়ুন : নিশানা ছিল আরএসএস হেডকোয়ার্টার! আত্মঘাতী জঙ্গি নিয়োগ করেছিল পিএফআই?

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে আদালত জানিয়েছিল, হরতাল ডাকতে হলে অন্তত সাতদিন আগে নোটিস দিতে হবে। হঠাৎ করে বনধ অবৈধ এবং অসাংবিধানিক। শুক্রবার পিএফআইয়ের বনধ ডাকা হয় আচামকাই। হয় হিংসাও। তার জেরেই ব্যবস্থা নিল আদালত। ডিভিশন বেঞ্চ এও জানিয়েছে, ক্ষতিপূরণের টাকা না দিলে প্রয়োজনে ওই সংগঠনের সম্পত্তি অ্যাটাচ করতে হবে। কেরল স্টেট রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন আগেই আদালতকে জানিয়েছিল, বনধের দিন হিংসার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাদের ৫৮টি বাস। জখম হয়েছিলেন ২০ জন কর্মী।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Jasprit Bumrah: টি২০ বিশ্বকাপ খেলছেন না বুমরাহ, ‘খলনায়ক’ স্ট্রেস ফ্র্যাকচার 

    Jasprit Bumrah: টি২০ বিশ্বকাপ খেলছেন না বুমরাহ, ‘খলনায়ক’ স্ট্রেস ফ্র্যাকচার 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টি২০ বিশ্বকাপের দল (T20 World Cup 2022) থেকে ছিটকে গেলেন ভারতের তারকা পেসার জসপ্রীত বুমরাহ (Jasprit Bumrah)। এমনটাই খবর বিসিসিআই সূত্রে। যদিও বিসিসিআই-এর (BCCI) তরফে এখনও কোনও অফিসিয়াল বিবৃতি দেওয়া হয়নি।  

    আরও পড়ুন: ১৪ বছর পর ভারত বনাম পাকিস্তান টেস্ট সিরিজ! ইসিবি-র প্রস্তাবে কী জানাল বিসিসিআই?

    মুলত পিঠের চোটের কারণেই দল থেকে সরে দাঁড়াতে হল বুমরাহকে। এশিয়া কাপেও (Asia Cup) পিঠের চোটে ভুগেছেন এই খেলোয়াড়। আবারও পিঠের চোট বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। এর আগে এই চোটের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa) বিরুদ্ধে প্রথম টি২০ ম্যাচে খেলতে পারেননি বুমরাহ। চোট সারিয়ে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজের জন্য দলে ফেরেন বুমরাহ। তবে সেই কামব্যাক বেশিদিন স্থায়ী হল না। ফের ছিটকে গেলেন দলের এক নম্বর বোলার। টি২০ বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে কিছুদিনের মধ্যেই, এর আগে বুমরাহর চোটের জেরে বিপদে টিম ইন্ডিয়া (Team India)।   

     

    অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের ২টি টি-২০ ম্যাচে মাঠে নামেন জসপ্রীত। নাগপুরের ৮ ওভারের ম্যাচে বুমরাহ ২ ওভার বল করেন। ২৩ রানে ১টি উইকেট নেন তিনি। পরে হায়দরাবাদে ৪ ওভার বল করে ৫০ রান দিয়েও কোনও উইকেট নিতে পারেননি তিনি।

    চোট সারিয়ে ফেরার পরেও বুমরাহ পিঠে ব্যাথা অনুভব করায় চিন্তায় ছিল ভারতীয় ক্রিকেটমহল। সত্যি হল সেই আশঙ্কাই। বোর্ডের তরফে এখনও সরকারিভাবে কিছু জানানো না হলেও এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন যে, বুমরাহর পিঠে স্ট্রেস ফ্র্যাকচার রয়েছে। তাই বিশ্বকাপে তাঁর মাঠে নামা সম্ভব নয়। তাঁর কথায়, “এটা নিশ্চিত যে, বুমরাহর পক্ষে টি-২০ বিশ্বকাপ খেলা সম্ভব নয়। ওর পিঠের অবস্থা বেশ গুরুতর। ওর স্ট্রেস ফ্র্যাকচার রয়েছে। ফলে অন্তত ৬ সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হবে জসপ্রীতকে।” 

    দলের অন্যতম সেরা অল রাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজার পর চোটের জন্যে বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়লেন ভারতের আরও এক তারকা ক্রিকেটার।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share