Blog

  • Rajouri: রাজৌরি থেকে মাহভিশ মালিক রাজ্য সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ বাবার

    Rajouri: রাজৌরি থেকে মাহভিশ মালিক রাজ্য সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ বাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি (Rajouri) অঞ্চলের বাসিন্দা মাহভিশ মালিক সমস্ত বাধা অতিক্রম করে সে রাজ্যের প্রশাসনিক পরিষেবা পরীক্ষা (জেকেএএস) পাস করেছেন। রাজৌরির দারহাল ব্লকের পীর পাঞ্জাল পর্বতমালার একটি প্রত্যন্ত, বরফে ঢাকা ছোট শহরে, বড় স্বপ্ন নিয়ে বড় হচ্ছিল মেয়েটি। আজ স্বপ্নপূরণ হয়েছে। ছোট শহরের মেয়েটি উঁচু পদে সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষাগুলির মধ্যে একটি পাস করেছে। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁর খুড়তুতো বোন, শাজিয়া বলেন, “আমরা ফলাফল নিয়ে অত্যন্ত খুশি। আমরা সবসময় ওর পড়াশোনার প্রতি কঠোর পরিশ্রম এবং দৃঢ়সংকল্প দেখেছি। দুর্গম অঞ্চল এবং কঠিন রাস্তা কখনোই ওর স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। দুবার ড্রেনে ভেসে গিয়েও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: অভিষেক থেকে ব্রাত্য অনেকের সঙ্গেই ছবি! বিএড কলেজ, ইংরেজি মাধ্যম স্কুল, কে এই কুন্তল? 

    কী বললেন মাহভিশ?   

    বাবা-মা, শিক্ষক এবং বন্ধুদের সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দিয়ে, মাহভিশ মালিক (Rajouri) বলেন, “ঈশ্বরের কৃপায় এবং বাবা-মার সমর্থনে, আমি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পেরেছি। আমি আমার নিজের শহরে আমার প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেছি এবং বাবা গুলাম শাহ বাদশা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং মাস্টার্স করেছি। আমি আমার মাস্টার্স শেষ করে ২০২১ সালে সরকারি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছিলাম।”

    আরও পড়ুন: কলকাতার বুকে একটুকরো চিন! চায়না টাউনে পালন চিনা নববর্ষ    

    মালিকের বাবা শাকিল আহমেদ তার মেয়ের (Rajouri) সাফল্যে অত্যন্ত আনন্দিত। মেয়ের এই সাফল্যের কৃতিত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। মোদির ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ স্লোগানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। বলেন, “আমি আমার মেয়ের ফলে খুব খুশি। আজকাল মেয়েরা সত্যিই ছেলেদের চেয়ে ভাল করছে জীবনে। আমি ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ স্লোগানটি প্রচার করার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ জানাই।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Kuntal Ghosh: অভিষেক থেকে ব্রাত্য অনেকের সঙ্গেই ছবি! বিএড কলেজ, ইংরেজি মাধ্যম স্কুল, কে এই কুন্তল?

    Kuntal Ghosh: অভিষেক থেকে ব্রাত্য অনেকের সঙ্গেই ছবি! বিএড কলেজ, ইংরেজি মাধ্যম স্কুল, কে এই কুন্তল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালিয়ে তাঁর ফ্ল্যাট থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসাররা। তদন্তে অসহযোগিতার জেরেই হুগলির এই যুব তৃণমল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর। কিন্তু আসলে কে এই কুন্তল। তাঁর সঙ্গে আর কার যোগাযোগ রয়েছে? যে কোটি কোটি টাকা কুন্তল নিয়েছেন বলে অভিযোগ তা কী সবটাই কুন্তলের পকেটে? না এর পিছনে রয়েছে আরও কেউ? প্রশ্নগুলো ঘুরছে রাজ্য রাজনীতিতে।

    কে কুন্তল

    হুগলির বলাগড়ের শ্রীপুর পঞ্চায়েত এলাকায় বাড়ি কুন্তলের। বাবা স্বপন ঘোষ ছিলেন সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রধান। যদিও কুন্তল নিজে যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক। গ্রামে ভাল ছেলে বলেই পরিচিত। সমাজসেবা থেকে দান-ধ্যান করতে বারবার এগিয়ে এসেছিলেন কুন্তল। তাঁদের একটা সারের দোকান ছিল, অ্যালুমিনিয়ামের কারখানাও ছিল। স্বচ্ছল পরিবার। তবে এসব কিছুর পিছনেই কী ছিল দুর্নীতির হাতছানি? এখন আর খুব বেশি বলাগড়ে থাকতেন না কুন্তল। এখন তিনি শহরের ছেলে। চিনার পার্কে দুটো ফ্ল্যাট! শিক্ষা ব্যবসায় নিজের নাম লিখিয়েছেন কুন্তল।

    নেতানেত্রীদের বৃত্তে

    ২০১১ সালে ধনেখালিতে একটি বিএড কলেজে পার্টনারসিপে ব্যবসা শুরু করেন কুন্তল। অনেকের মতে, ওটাই ছিল তাঁর শিক্ষা ব্যবসায় হাতেখড়ি। তারপর ধাপে ধাপে এগোতে থাকেন আরও বড় হওয়ার লক্ষ্যে। জানা যাচ্ছে, দক্ষিণ বঙ্গের আরও কয়েকটি জেলার বিএড কলেজে তাঁর শেয়ার রয়েছে। তাছাড়া বলাগড়ে একটি ছোটদের ইংরাজি মাধ্যম স্কুলও চালু করেছিলেন তিনি। ২০১৬ সাল থেকে রাজনীতিতে উত্থান কুন্তলের। জেলার রাজনীতিতে তেমন পরিচিত নন তিনি। বেশিরভাগ সময় থাকতেন কলকাতা কেন্দ্রিক কর্মসূচিতে, নেতানেত্রীদের বৃত্তের মধ্যে। এই কুন্তলের সঙ্গেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের বিভিন্ন সময়ে নানা ছবি প্রকাশ্যে এনেছেন বিজেপি রাজ্য সহ সভাপতি রথীন্দ্র বোস। কখনও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িযে হাসিমুখে দেখা যাচ্ছে কুন্তলকে। কখনও আবার কোনও অনুষ্ঠান মঞ্চে তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যাচ্ছে যুব নেতাকে। একটি ছবিতে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দেখা যাচ্ছে কুন্তলকে। আবার কুন্তলের সঙ্গে একই ফ্রেমে দেখা যাচ্ছে পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকেও।

    আরও পড়ুন: ইডির জালে কুন্তল! কী মিলল চিনার পার্কের ফ্ল্যাট থেকে?

    কুন্তলের ফেসবুক পেজও ছিল চোখে পড়ার মতো। জ্যোতি বসুর জন্ম দিন থেকে জয়ললিতার মৃত্যু দিন, আরডি বর্মন, শৈলেন মান্না, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়—বিশেষ বিশেষ দিনে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফেসবুক পোস্টার পোস্ট ছিল কুন্তলের রুটিন। আর সেসব পোস্টারে বিশিষ্টজনের সঙ্গে থাকত একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষের ছবি অন্য দিকে হাতজোড় করা কুন্তলের ছবি। তাহলে এসবের পিছনেই কী ছিল দুর্নীতির চক্র? আর  কুন্তলের হাত ধরে টাকা পৌঁছে যেত অন্য কোথাও?কুন্তলের খুঁটি কী বাঁধা থাকত শহরের অন্য কোথাও? জল্পনা চলছে হুগলি থেকে কলকাতা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Air India: এয়ার ইন্ডিয়ার ডোমেস্টিক ফ্লাইটে বিপুল ছাড়, ভাবমূর্তি ফেরানোর চেষ্টা?

    Air India: এয়ার ইন্ডিয়ার ডোমেস্টিক ফ্লাইটে বিপুল ছাড়, ভাবমূর্তি ফেরানোর চেষ্টা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিপুল ছাড়ের ঘোষণা করল ভারতের শীর্ষস্থানীয় বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া (Air India)। দেশের ৭৪তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনের জন্য এয়ারলাইনের ডোমেস্টিক নেটওয়ার্ক জুড়ে ফ্লাইট টিকিটের উপর ডিসকাউন্ট অফার দেওয়া হচ্ছে৷ আজ থেকে শুরু হয়েছে এই অফার। চলবে ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ অবধি। এয়ারলাইনের অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্ট সহ সমস্ত এয়ার ইন্ডিয়া বুকিং প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যাবে এই অফার৷ এই ছাড়ে দেশের মধ্যে ৪৯টি ডেস্টিনেশনে ইকোনমি ক্লাসের টিকিট পাওয়া যাবে মাত্র ১৭০৫ টাকায়। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে একমুখী ভ্রমণের জন্যে প্রযোজ্য এই অফার। পরিবারের সঙ্গে স্বপ্নের ছুটি কাটাতে চাইলে এখনই লুফে নিন এই অফার।

    কোথা থেকে বুক করবেন? 

    আরও বিস্তারিত জানতে এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) ওয়েবসাইটে লগ ইন করুন www.airindia.in অথবা বিমান সংস্থাটির কল সেন্টারে ১৮৬০ ২৩৩ ১৪০৭ – এই নম্বরে যোগাযোগ করুন। টাটা গ্রুপের সংস্থা, এয়ার ইন্ডিয়া ভারতের বিমান সংস্থাগুলির মধ্যে অগ্রগামী। ১৯৩২ সালের ১৫ অক্টোবরে প্রথম ফ্লাইটের পর থেকে, এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিস্তৃত ডোমেস্টিক নেটওয়ার্ক  তৈরি হয়েছে। এছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ, সুদূর-পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং উপসাগরজুড়ে বিস্তীর্ণ নেটওয়ার্কসহ অন্যতম আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। এয়ার ইন্ডিয়া স্টার অ্যালায়েন্সের সদস্য, বৃহত্তম বৈশ্বিক এয়ারলাইন কনসোর্টিয়াম। সরকারী মালিকানাধীন এন্টারপ্রাইজ হিসাবে থাকার পর ৬৯ বছর পর ফের এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা আসে টাটা গোষ্ঠীর হাতে।

    আরও পড়ুন: সংবাদসংস্থাগুলির কারণেই লাভ হচ্ছে বড় বড় কোম্পানিগুলির, আয়ের ভাগ দিতে হবে প্রকাশকদের, জানাল কেন্দ্র   
     
    সম্প্রতি বার বার বিতর্কে জড়িয়েছে টাটা গোষ্ঠীর এই বিমান সংস্থা (Air India)। প্রস্রাবকাণ্ডের পর খাবারে পাথর থাকার অভিযোগও উঠেছে এই এয়ারলাইনের বিরুদ্ধে। প্রস্রাবকাণ্ডের জেরে জরিমানাও করা হয়েছে এই সংস্থাকে। পাইলটকে সাসপেন্ডও করেছে ডিজিসিএ। এমতাবস্থায় এয়ার ইন্ডিয়ার ব্যবসায় ভাটা পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাহলে কী ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে টাটা গ্রুপ? আর তারই প্রথম পদক্ষেপ এই বিপুল ছাড়? এমনটা অনেকেই মনে করলেও টিকিট বিক্রি কিন্তু থামছে না। এমনকি টিকিট বিক্রির হার ছাপিয়ে যেতে পারে সমস্ত রেকর্ড, এমন আশাও রাখছে বিমান সংস্থাটি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Chandan Mondal: হঠাতই উদয় ‘চন্দন’ এর! নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই জেরার জন্য নিজাম প্যালেসে বাগদার রঞ্জন

    Chandan Mondal: হঠাতই উদয় ‘চন্দন’ এর! নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই জেরার জন্য নিজাম প্যালেসে বাগদার রঞ্জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Primary Teacher Recruitment Scam) সিবিআই জেরার সামনে চন্দন মণ্ডল (Chandan Mondal) ওরফে বাগদার রঞ্জন। শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ আইনজীবীদের নিয়ে নিজাম প্যালেসে পৌঁছন তিনি। নিজাম প্যালেসে ঢোকার মুখে এদিন সরাসরি সিবিআইয়ের প্রাক্তন কর্তা উপেন বিশ্বাসের (Upen Biswas) নাম করে তিনি বলেন, ‘কাউকে চাকরি দিইনি। ভোটে উপেন বিশ্বাসকে সাহায্য না করায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’

    কী বললেন চন্দন

    ২০২১ সালের ২১ এপ্রিল প্রাক্তন সিবিআই কর্তা তথা বাগদার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক উপেন বিশ্বাসের মুখে উঠে আসে চন্দন মণ্ডলের নাম। চন্দনকে ‘বাগদার রঞ্জন’ বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মোটা টাকার বিনিময়ে বহু মানুষকে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন চন্দন। এমনকী তাঁর সততার প্রশংসা করে তিনি বলেন, চাকরি না দিতে পারলে টাকা ফেরত দিয়েছেন তিনি। এর পরই আদালতে ওঠে বিষয়টি। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চন্দনের বিরুদ্ধে FIR করে সিবিআই। এর পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিকবার তলব করা হয়। কিন্তু এতদিন চন্দনকে সামনে আসতে দেখা যায়নি। শনিবার সেই চন্দনই এলেন নিজাম প্যালেসে। বললেন, ‘আমি সহায়তা করতে এসেছি। আমাকে উনি (পড়ুন উপেন বিশ্বাস) ফাঁসানোর চেষ্টা করেছেন। যেহেতু উনি ওখানকার বিধায়ক ছিলেন। নির্বাচনের সময় ওনাকে সাহায্য করিনি তাই।’

    আরও পড়ুুন: ভাঙড়ে শাসক-আইএসএফ সংঘর্ষ, ইটের ঘায়ে মাথা ফাটল তৃণমূল কর্মীর

    টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার কথা অস্বীকার করলেও এই মামলায় মিডলম্যান প্রসন্ন রায়ের সঙ্গে যে তাঁর পরিচয় রয়েছে সে কথা স্বীকার করেন চন্দন। কীভাবে চিনলেন প্রসন্নকে? সেই প্রশ্নের উত্তরে চন্দন বলেন, ‘উনি আমার সঙ্গে ব্যবসা করতেন তাই চিনি।’ তবে কী ধরনের ব্যবসা করতেন তাঁরা, সেবিষয়ে খোলসা করেননি ‘রঞ্জন’। এর আগে একবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে হাজির হন চন্দন। সেদিন তিনি দাবি করেছিলেন, কোনও টাকা তিনি নেননি। কোনও চাকরিও দেননি। তিনি জানান, একজন ভারতীয় নাগরিক হিসাবে তদন্তে সহযোগিতা করতে এসেছেন। তবে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে কারা যুক্ত সেব্যাপারে কোনও ধারণা নেই তাঁর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • ISF: আইএসএফের তাণ্ডবের জেরে রণক্ষেত্র ধর্মতলা, বাঁশ নিয়ে তাড়া পুলিশকে  

    ISF: আইএসএফের তাণ্ডবের জেরে রণক্ষেত্র ধর্মতলা, বাঁশ নিয়ে তাড়া পুলিশকে  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএসএফের (ISF) তাণ্ডবের জেরে রণক্ষেত্র ধর্মতলা। তৃণমূল (TMC) নেতা আরাবুল ইসলামের গ্রেফতারির দাবিতে ধর্মতলায় অবরোধ। অবরোধ তুলতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ (Police)। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল এবং বোতল ছোড়েন আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা। এর পরেই বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল পাঠায় পুলিশ। অশান্তি থামে শনিবার সন্ধের দিকে।

    আইএসএফ…

    ২১ জানুয়ারি, শনিবার আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার রাতে ভাঙড়ের হাতিশালা এলাকায় পতাকা টাঙাচ্ছিলেন আইএসএফ কর্মীরা। এনিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় আইএসএফের। দু পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়। তার জেরে জখম হন দু পক্ষের কয়েকজন। ইটের ঘায়ে এক তৃণমূল কর্মীর মাথা ফেটেছে বলে অভিযোগ। সংঘর্ষ চলাকালীন আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূলের পার্টি অফিসে। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় গেলে শান্ত হয় পরিস্থিতি।

    শনিবার দুপুরে কলকাতার রানি রাসমণি অ্যাভেনিউতে সভা করে আইএসএফ (ISF)। বক্তৃতা দেন ভাঙড়ের বিধায়ক নৌসাদ সিদ্দিকি। সভায় আসার আগে তাঁর গাড়িতে তৃণমূলের লোকজন ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। কোনওক্রমে সেখান থেকে বেরিয়ে সভায় আসেন নৌসাদ। সভা শেষে আরাবুলের গ্রেফতারির দাবিতে পথ চৌরঙ্গী মোড়ে অবরোধ করেন আইএসএফের কর্মী-সমর্থকরা। অবরোধ তুলে নিতে অনুরোধ করে পুলিশ। তার পরেও কাজ না হওয়ায় অবরোধকারীদের হঠাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পরে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল এবং বোতল বৃষ্টি করতে থাকে বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে আইএসএফ বিধায়ককে প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে। বিক্ষোভকারীরা কার্যত তাণ্ডব চালাতে শুরু করেন। লাঠি, বাঁশ নিয়ে পুলিশকে তাড়া করেন তাঁরা। পুলিশের গার্ড রেল ভাঙচুর করা হয়।

    আরও পড়ুুন: ভাঙড়ে শাসক-আইএসএফ সংঘর্ষ, ইটের ঘায়ে মাথা ফাটল তৃণমূল কর্মীর

    পরিস্থিতি সামাল দিতে পদস্থ কর্তাদের নেতৃত্বে আসে পুলিশের বিশাল বাহিনী। তার পরেই ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল। পিছু হটেন বিক্ষোভকারীরা (ISF)। তাঁরা চলে যান জওহরলাল নেহরু রোডের দিকে। ঘটনায় জখম হন কয়েকজন। ঘণ্টা দেড়েক ধরে অবরুদ্ধ থাকে ধর্মতলা। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। পরিস্থিতি শান্ত হলে ফের শুরু হয় যান চলাচল। যদিও ধর্মতলার চারমাথার মোড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে জুতো, জলের বোতল, ইটপাটকেল, লাঠি, বাঁশ। তাণ্ডবের চিহ্ন হিসেবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত। তা যদি না হত, তাহলে সভা করতে এসে ইটপাটকেল, কাচের বোতল, লাঠি, বাঁশই বা বিক্ষোভকারীরা (ISF) পেলেন কোথা থেকে? পুলিশই বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দিতে আগাম প্রস্তুতি নেয়নি কেন? সে প্রশ্নও উঠেছে।

       

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     
     
     

     

  • Balochistan: বালুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ করছে চিন! বিক্ষোভ বালুচদের

    Balochistan: বালুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ করছে চিন! বিক্ষোভ বালুচদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিদিন বালুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ করছে চিন। বিশ্ব অর্থনীতিতে বালুচের সম্পদ বিক্রি করে মুনাফা লুঠছে শি জিনপিং সরকার। আর বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে বালুচ জনজাতি। সম্পদের প্রকৃত অধিকারীরা বঞ্চিত হচ্ছে।  সম্প্রতি এমনই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে বিভিন্ন সমীক্ষায়।

    চায়না-পাকিস্তান ইকনমিক করিডোর

    সম্প্রতি বালুচিস্তানের ওপর দিয়ে তৈরি হচ্ছে চায়না-পাকিস্তান ইকনমিক করিডোর। বালুচদের এক বড় অংশের ধারণা, এর ফলে তাদের দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ করতে চিনের সুবিধা হবে। এই ধারণা থেকে বেড়েছে তিক্ততা। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় বালুচিস্তান স্থির করে, তারা পাকিস্তানে যোগ দেবে। কিন্তু বালুচদের এক বড় অংশ ছিলেন ওই সিদ্ধান্তের বিরোধী। ২০১৩ সালে চায়না পাকিস্তান ইকনমিক করিডোর তৈরি শুরু হয়। চিনের শিনজিয়াং প্রদেশ থেকে ওই পথ যাবে পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখাওয়া, গিলগিট-বালটিস্তান, পাঞ্জাব, বালুচিস্তান, সিন্ধু ও অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে। ওই পথ দিয়ে চিনের পণ্য খুব দ্রুত পৌঁছে যাবে পাকিস্তানে গাওয়াদার বন্দরে। সেই পণ্য নিয়ে বড় বড় জাহাজ পাড়ি দেবে আফ্রিকা আর পশ্চিম এশিয়ার উদ্দেশে। এই প্রকল্প একেবারেই বালুচদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। যে অঞ্চলের ওপর দিয়ে ওই রাস্তা নির্মিত হবে, সেখানকার লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। ওই প্রকল্পে স্থানীয় বালুচরা কাজও পাননি। বালুচরা মনে করে, ওই প্রকল্পে মূলত পাঞ্জাব লাভবান হবে। বালুচিস্তান বরাবরের মতোই বঞ্চিত হবে।

    আরও পড়ুন: গত ৬ মাসে রাজ্যের দিকে দিকে উদ্ধার বিপুল নগদ, দেখুন কবে, কোথায়

    সোনার খনি-মাছ ধরার ব্যবসা

    কোভিডের সময় সাময়িক ক্ষতি হলেও, বালুচিস্তানের সোনা, রুপো ও তামার খনি থেকে চিনের বিভিন্ন সংস্থা ২০২১-২২ সালে ৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার লাভ করে। যদিও এই লাভের সিংহভাগই চলে যায় চিনে। স্থানীয়রা কিছুই পায় না। সম্প্রতি মাছ ধরা নিয়ে বালুচদের সঙ্গে চিনাদের শুরু হয়েছে বিরোধ। আগে গাওয়াদার বন্দরের আশপাশে আরব সাগরে মাছ ধরতেন বালুচ মৎস্যজীবীরা। তাঁরা গরিব মানুষ। নৌকা চড়ে, অনেক ঝুঁকি নিয়ে মাছ ধরতেন। কিন্তু পাকিস্তান সরকার এখন চিনা ট্রলারগুলোকে গাওয়াদার বন্দরের আশপাশে মাছ ধরার অনুমতি দিয়েছে। ট্রলার খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিপুল পরিমাণ মাছ ধরতে পারে। তার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অনেক পিছিয়ে পড়েছে বালুচদের জেলে নৌকা। চিনা ট্রলারগুলিকে মাছ ধরার অধিকার বাতিলের দাবিতে ধরনায়ও বসেছিলেন বালুচ মৎস্যজীবীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bengal BJP: পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন, দুর্গাপুরে বিশেষ বৈঠকে বিজেপি

    Bengal BJP: পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন, দুর্গাপুরে বিশেষ বৈঠকে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাখির চোখ ২০২৪এর লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Poll 2024)। বাংলা থেকে পেতে হবে অন্তত ২৫টি আসন। সেজন্য প্রয়োজন সঠিক রণকৌশল। সেই কৌশল ঠিক করতেই দুর্গাপুরে বৈঠকে বসেছে বঙ্গ বিজেপি (Bengal BJP)। শুক্র ও শনিবার দু দিন ধরে চলছে ওই বৈঠক। দুর্গাপুরের একটি হোটেলে হচ্ছে ওই বৈঠক। বৃহস্পতিবারই রাজ্যে সভা করে গিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তার পর হচ্ছে এই বিশেষ বৈঠক। বুথে বুথে কীভাবে সংগঠন তৈরি করা হবে, মূলত তা নিয়েই আলোচনা হওয়ার কথা এই বৈঠকে। বিধায়ক এবং সাংসদদের পাশাপাশি কেন্দ্রের পাঁচ পর্যবেক্ষক এবং রাজ্যের অন্য নেতারাও উপস্থিত রয়েছেন এই বৈঠকে। শুক্রবার হয়েছে দলের পদাধিকারীদের নিয়ে বৈঠক। আজ, শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে মূল বৈঠক। এদিনের বৈঠকে প্রতিনিধি রয়েছেন দেড়শোরও বেশি।

    বিজেপি…

    এদিনের বৈঠকে যাওয়ার আগে এক সঙ্গে হাঁটতে দেখা গিয়েছে বিজেপির (Bengal BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ এবং লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এ রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। ওই দলের দেওয়া রিপোর্ট নিয়েও হয়েছে আলোচনা। সিএএ নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর জনসভায় এই আশ্বাস দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ওই মঞ্চে দাঁড়িয়েই একই আশ্বাস দিয়েছিলেন বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তীও। এদিন তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুুন: ভাটপাড়া থেকে উদ্ধার অসংখ্য বোমা, ম্যাটাডোরে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ

    উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি বিজেপির (Bengal BJP) নজর রাঢ়বঙ্গের দিকেও। দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং বীরভূম এই পাঁচ জেলার সংগঠনকে নিয়ে আগেও বৈঠক করেছে বিজেপি। এই বর্ধমানের মধ্যেই পড়ে দুর্গাপুর। রাঢ়বঙ্গে ক্রমেই শক্তি বাড়ছে বিজেপির। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই দিন দিন গুরুত্ব বাড়ছে রাঢ়বঙ্গের। বিজেপি সূত্রে খবর, বিশেষ বৈঠকের জন্য দুর্গাপুরকে বেছে নেওয়ার কারণ এর ভৌগোলিক অবস্থান। এই শহরে যাতায়াতের সুবিধার পাশাপাশি রয়েছে অন্ডাল বিমানবন্দর। কেন্দ্রীয় নেতাদের যাতায়াতের সুবিধা বিস্তর। এদিন সুনীল বনসল দিল্লি থেকে বিমানে অন্ডালে এসে যোগ দেন বৈঠকে। তাছাড়া শহরে বিজেপির ভাল ভোটব্যাঙ্ক তৈরি হয়েছে। বিজেপির এক নেতা বলেন, দুর্গাপুরে রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠকের আয়োজনের পিছনে পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনের আগে এই অঞ্চলে শক্তি বৃদ্ধির বিষয়টিও মাথায় রাখা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     

  • Mohan Bhagwat: কলকাতায় নেতাজির জন্মদিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: কলকাতায় নেতাজির জন্মদিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৩ জানুয়ারি কলকাতায় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের ১২৬তম জন্ম দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। ওই দিন শহীদ মিনারের পাদদেশে সভা করবেন তিনি। নেতাজির জন্ম দিবসের অনুষ্ঠান সেখানেই পালন করবে আরএসএস। এদিনের সভায় নেতাজির আদর্শ, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করবেন ডঃ ভাগবত। গোটা রাজ্যের হাজার হাজার স্বেচ্ছা সেবক ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে আরএসএস সূত্রে জানা গিয়েছে।  

    গত বুধবার কলকাতা এসে পৌঁছেছেন আরএসএস প্রধান (Mohan Bhagwat)। আগামী ২৩ জানুয়ারি অবধি এই শহরেই থাকবেন তিনি। হাতে রয়েছে একগুচ্ছ কর্মসূচি। বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। এই ছয় দিনের সফরে একদিকে যেমন বেশ কয়েকবার সাংগঠনিক বৈঠক করবেন, তেমনই শহিদ মিনারে জনসভাও করবেন মোহন ভাগবত। আগামী ২৩ জানুয়ারি শহিদ মিনারে জনসভা করবেন সঙ্ঘ প্রধান। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে শ্রদ্ধা জানিয়েই তাঁর জন্মদিনে জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। সেই জনসভায় রাজ্য বিজেপি নেতারাও উপস্থিত থাকবেন বলে সূত্রের খবর। শহিদ মিনারে জনসভা করার আগে সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গেও মোহন ভাগবতের দেখা করার কথা রয়েছে। এছাড়া ২০, ২১ ও ২২ জানুয়ারি সংগঠনের কর্মীবৃন্দের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠক করছেন আরএসএস প্রধান। সূত্রের খবর, মূলত কলকাতা এবং হাওড়ার কর্মীরাই এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।

    আরও পড়ুন: ভাটপাড়া থেকে উদ্ধার অসংখ্য বোমা, ম্যাটাডোরে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ

    বঙ্গ সফরে নাড্ডাও 

    এদিকে কিছুদিনের মধ্যেই বঙ্গ সফরে রাজ্যে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি এবারে মায়াপুর ইসকন মন্দিরেও যাবেন বিজেপি সভাপতি। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই রাজ্যে আসছেন নাড্ডা। চলতি বছরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর সেই ভোটকেই পাখির চোখ করে রাজ্যে পা রাখছেন নাড্ডা- মোহন ভাগবতরা (Mohan Bhagwat)। ইসকন মন্দিরে পুজো দেওয়া থেকে একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে বিজেপি সভাপতির। সোম ও মঙ্গল দু’দিন দিল্লিতে বিজের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকের শেষদিনেই দ্বিতীয়বারের জন্য দলের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জেপি নাড্ডা। সেজন্য তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • Kuntal Ghosh: অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ কুন্তল-তাপসের! কী বলছে ইডি?

    Kuntal Ghosh: অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ কুন্তল-তাপসের! কী বলছে ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় ইডি-র হাতে গ্রেফতার হুগলির যুব তৃণমূল নেতা (TMC Leader) কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। তাঁর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন, পর্ষদের অপসারিত সভাপতি ও জেলবন্দি তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল (Tapas Mondal)! তাঁর দাবি, টেট (TET) পাস থেকে শুরু করে চাকরি দেওয়ার নামে ১৯ কোটির বেশি টাকা নিয়েছেন কুন্তল। পাল্টা তাপস মণ্ডলকে টাকা না দেওয়ায় ষড়যন্ত্র করে তিনি তাঁকে গ্রেফতার করিয়েছেন বলে অভিযোগ করলেন কুন্তল।

    কুন্তলের দাবি

    শনিবার ইডি আধিকারিকদের হাতে গ্রেফতারের পর নিউটাউনের আবাসন থেকে বেরনোর সময় কুন্তল বলেন, ‘‘আমি কোনও টাকা নিইনি। সব তাপস মণ্ডলের ষড়যন্ত্র। তাপস আমার কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছিল। সেই ঘুষ দিইনি, সেই জন্যই আমার এই হাল।’’ ইডি সূত্রে খবর, কুন্তলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হবে। শনিবারই কুন্তলকে আদালতে তুলতে চাইছে ইডি। এর আগে তিন দফায় যুব তৃণমূল নেতা কুন্তলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। গতকাল, তাঁর নিউটাউনের (Newtown) ফ্ল্য়াটে হানা দেয় ইডি (ED)। 

    তাপসকে ২০১৫-১৬ সাল থেকে চিনতেন বলে জানিয়েছেন কুন্তল। কুন্তলকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় উপস্থিত ছিলেন তাঁর আইনজীবী পিন্টু কাঁড়ার। গতকাল, তাঁর নিউটাউনের (Newtown) ফ্ল্য়াটে হানা দেয় ইডি (ED)। ডিএলএড কলেজগুলির সংগঠনের সভাপতি তাপস মণ্ডলের (Tapas Mondal) মুখ থেকেই প্রথম কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) নাম শোনেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ হিসেবে নিয়োগ দুর্নীতির চার্জশিটে নাম থাকায় তাপসকে বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এবার তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তল ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথমেই পাল্টা তোপ দাগলেন তাপসের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন: ইডির জালে কুন্তল! কী মিলল চিনার পার্কের ফ্ল্যাট থেকে?

    তাপস যা বললেন

    তাপস মণ্ডল অভিযোগ করেছিলেন, চাকরি দেওয়ার নামে প্রায় ১৯ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ। যাঁদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন, তাঁদের যাতে কুন্তল টাকা ফেরত দেন, সেই অনুরোধও নাকি করেছিলেন তাপস। কিন্তু তা অস্বীকার করেন কুন্তল। এ প্রসঙ্গে তাপস বলছেন, চার্জশিটে নাম আছে বলে তাঁকে ফাঁসাচ্ছেন কুন্তল। তাঁর দাবি, ‘‘কুন্তল সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলছে। আমি কেন ঘুষ নিতে যাব! যে টাকা নিয়েছে, সে টাকা ফেরত চাইব না? চাকরির জন্য যে টাকা কুন্তল আমার ছাত্র এবং পরিচিত লোকেদের কাছ থেকে নিয়েছে, সেই প্রমাণ আমি সিবিআই ও ইডির কাছে দিয়েছি। সেই টাকা ফেরতের জন্য ক্রমাগত চাপ দিয়েছি। বার বার টাকা ফেরত দিতে বলেছি। ওর বাড়িতে যাঁরা ধর্না দিতেন, তাঁরা এসে আমার কাছে বলতেন। দীর্ঘ দিন ধরে টাকা ফেরতের জন্য চাপ তৈরি করেছি। এটা কি অন্যায়?’’ তাপস মণ্ডল বলেন,  “আমি চাই তদন্ত হোক। কুন্তলের ব্যাপারে তথ্য প্রমাণ পেয়েছি বলেই অভিযোগ তুলে ধরেছি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • China Economy: মজুরি বন্ধ, কর্মী ছাঁটাই, করোনা পরিস্থিতিতে চাপে চিনা অর্থনীতি

    China Economy: মজুরি বন্ধ, কর্মী ছাঁটাই, করোনা পরিস্থিতিতে চাপে চিনা অর্থনীতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত নভেম্বর থেকে মজুরি দেওয়া হয়নি। ছাঁটাই করা হয়েছে বহু কর্মীকে। এসবই করা হয়েছে করোনা (Covid 19) অতিমারি পরিস্থিতিতে। যার জেরে সমস্যার মুখে পড়তে পারে চিনা অর্থনীতি (China Economy)। ঋণের জালে জড়িয়ে একের পর এক দেশের অর্থনীতিকে সমস্যার মুখে ঠেলে দিয়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ। এশিয়া মহাদেশের এই তালিকায় রয়েছে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। চিনা অর্থনীতির ফাঁসে আটকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছে এই দ্বীপরাষ্ট্র। চিনা ঋণের জালে জড়িয়ে গিয়েছে ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানও। এহেন চিনের অর্থনীতিই ভয়ঙ্কর কোভিড পরিস্থিতিতে পড়তে চলেছে সমস্যার মুখে।

    মারণ ভাইরাস…

    চিনের উহান প্রদেশেই প্রথম খোঁজ মেলে মারণ ভাইরাস  করোনার। পরে সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। করোনার থাবায় মৃত্যু হয় লক্ষ লক্ষ মানুষের। তার পরে জরুরি ভিত্তিতে টিকা আবিষ্কার করে রোগ প্রতিরোধে টিকাকরণে জোর দেয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। তার জেরে রোগ নিয়ন্ত্রণে আসে পৃথিবীর অনেক দেশেই। যদিও চিনে রোগের প্রকোপ কমেনি। সম্প্রতি চিনে ফের দাপট বাড়তে থেকে করোনার। প্রতিদিনই দীর্ঘ হতে থাকে মৃতের তালিকা। হাসপাতালে হাসপাতালে করোনা রোগীর দীর্ঘ লাইন। শেষকৃত্যস্থলে লাশের পাহাড়। যদিও সরকারিভাবে করোনায় মৃত্যুর খবর স্বীকার করা হয়নি বললেই চলে।

    আরও পড়ুুন: ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় পিএফআই! কী বলছে এনআইএ-এর চার্জশিট?

    করোনা রুখতে জিরো কোভিড টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছিল সে দেশের সরকার। তার কার্যত গৃহবন্দি দশা কাটাতে বাধ্য হন চিনা নাগরিকরা। গত নভেম্বর মাস থেকে বন্ধ হয়ে যায় মজুরি (China Economy)। বেসরকারি কোম্পানিগুলি নির্বিচারে ছাঁটাই করে। সম্প্রতি জনতার চাপে পড়ে লকডাউন শিথিল করে চিনা সরকার। এর পরেই বকেয়া মাইনে এবং চাকরি ফেরত পাওয়ার দাবিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে বিক্ষিপ্ত অশান্তি। যাঁদের ছাঁটাই করা হয়েছে, তাঁদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়নি। তার জেরে ক্রমেই বাড়ছে জনরোষ। যা বিস্ফোরণ ঘটলে চাপ পড়তে পারে অর্থনীতিতে।

    চিনের চংকুইংয়ের সাউথ ওয়েস্টার্ন শহরে চাকরি খোয়ানো শতাধিক মানুষ বকেয়া মজুরি ও কাজের দাবিতে (China Economy) বিক্ষোভ দেখান। ভাঙচুর করেন মেশিনপত্র। তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষও হয়। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন সংবাদপত্রে। দিন দিন এমন ঘটনা বেড়েই চলেছে। জানা গিয়েছে দীর্ঘ লকডাউনের জেরে ২০২২ সালে চিনা অর্থনীতির বৃদ্ধির হার মাত্র ৩ শতাংশ। অর্ধ শতাব্দীতে যা এদেশে প্রথম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share