Blog

  • Amit Shah: আজানের সুর! ভাষণ থামালেন অমিত শাহ, মুগ্ধ উপত্যকাবাসী

    Amit Shah: আজানের সুর! ভাষণ থামালেন অমিত শাহ, মুগ্ধ উপত্যকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরের বারামুলায় এক জনসভায় বক্তব্য রাখছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সেই সময় পাশের এক মসজিদ থেকে আজানের সুর কানে আসতেই বক্তব্য থামিয়ে দেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সৌজন্যতা উপতক্যার মানুষের মন জয় করে নিয়েছে। সভায় থেকে তাঁর নামে ওঠে জয়োধ্বনি। অতীতে একই ঘটনার সাক্ষী থেকেছে দেশের মানুষ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (Narendra Modi) বেশ কয়েকবার আজানের সময় বক্তব্য থামিয়ে দিয়েছিলেন।

    বিশাল জনসভায় অমিত শাহ বলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরের শান্তি প্রতিষ্ঠায় কেন্দ্রীয় সরকার বদ্ধপরিকর। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে উপত্যকার মানুষের সুরক্ষা আরও শক্তপোক্ত করা হবে।’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীর থেকে জঙ্গি কার্যকলাপ একেবারে নির্মুল করাই আমাদের লক্ষ্য। কিন্তু বিরোধীরা সেটা চায় না। তাই তারা বার বার পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার কথা বলছে। ৭০ বছর যারা দেশ শাসন করল, তারা জম্মু ও কাশ্মীরের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কী ব্যবস্থা নিয়েছে? তারাই কিনা বলছে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা করতে। কেন আমরা পাকিস্তানের সঙ্গ কথা বলব? তার কোনও সম্ভাবনা নেই। আমরা বারামুলাবাসীদের সঙ্গে কথা বলব, কথা বলব জম্মু ও কাশ্মীরের জনতার সঙ্গে।’

    অমিত শাহর তিন দিনের জম্মু ও কাশ্মীর সফর বুধবারই শেষ হয়েছে। শ্রীনগরের নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে তিনি দফায় দফায় বৈঠক করেন। উপতক্যার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন।

  • Uttarkashi Avalanche: উত্তরকাশী তুষারধস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, এখনও নিখোঁজ ১৩

    Uttarkashi Avalanche: উত্তরকাশী তুষারধস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, এখনও নিখোঁজ ১৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরকাশীতে তুষারধসে (Uttarkashi Avalanche) সব মিলিয়ে এই অবধি ১৬ জনের মৃতদেহ (Death Toll) পাওয়া গিয়েছে। খারাপ আবহাওয়া থাকায় বৃহস্পতিবার বন্ধ করে দেওয়া হয় নিখোঁজদের সন্ধানকাজ। শুক্রবার ফের সকাল থেকে উদ্ধারকাজ শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। ৪ অক্টোবর ৪টি দেহ উদ্ধার হয়েছিল এবং ৬ অক্টোবর ১২টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। এরমধ্যে ২জন শিক্ষক ও ১৪ জন প্রশিক্ষণরত পর্বতারোহী ছিলেন।  নিখোঁজ এখনও ১৩ জন। 
     
    উত্তরকাশীতে “দ্রৌপদী কি  ডান্ডা -২”- তে পর্বতারোহন প্রশিক্ষণের জন্য নেহেরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং এর ৪১ জনের একটি দল যায়। এই দলে ছিলেন ৯ জন শিক্ষক ও বাকিরা প্রশিক্ষণরত পর্বতারোহী। জানা গিয়েছে এই দলে  দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গানা, গুজরাত, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, আসাম ও হরিয়ানার বাসিন্দা ছিলেন। হঠাৎ তুষারধসে (Uttarkashi Avalanche) আটকে পড়েন তাঁরা। ঘটনার আকস্মিকতা সামলাতে না পেরে মৃত্যু হয় ১৬ জনের। রেসকিউ বুলেটিন প্রকাশ করে উদ্ধারকাজ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে নেহেরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং।     
      
    দ্রৌপদী কি  ডান্ডা -২ শৃঙ্গটি ৫৬৭০ মিটার উঁচু। অঞ্চলটি আগে থেকেই দুর্ঘটনাপ্রবণ (Uttarkashi Avalanche) বলে পরিচিত। আর এই অঞ্চলের পাহাড়ি ঢালগুলি খাড়া হাওয়ায় ঢালের গা বেয়ে তুষারের স্তুপ ভেঙে পড়ে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধারকাজ জারি রাখছে উত্তরাখণ্ডের  উদ্ধারকারী দল। স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (SDRF), ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (NDRF), ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশ  (ITBP) এবং ভারতীয় বিমান বাহিনী (IAF) হেলিকপ্টার নিয়ে খোঁজ চালাচ্ছে।     

    এই দলে স্থানীয় কিছু মালবাহকও ছিলেন বলে উত্তরাখণ্ড সরকার সূত্রে খবর। যাদের দেহ উদ্ধার হয়েছে তাঁদের মধ্যে ছিলেন এভারেস্টজয়ী তথা নিমের প্রধান সবিতা কাঁসওয়াল। সবিতা কাঁসওয়াল  উত্তরকাশীর  লংথ্রু গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

    আরও পড়ুন: যদি আমরা ১০ সেকেন্ড সময়ও পেতাম, আমরা আরও জীবন বাঁচাতে পারতাম…     
     
    উত্তরকাশীতে  কিছুদিন আগেও তুষারধসে (Uttarkashi Avalanche) মৃত্যু হয়েছিল  ১০ জনের।  তার দুদিন পর আবার এমন দুর্ঘটনায় নড়েচড়ে বসছে উত্তরাখণ্ড সরকার। ট্রেকিং এর অনুমোদন দেওয়ার আগে কড়া নিরাপত্তা বলয় তৈরির কথা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে। 

    রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ এবং ভারতীয় বিমান বাহিনী নিখোঁজ পর্বতারোহীদের (Uttarkashi Avalanche) সনাক্ত করতে গতকাল একটি যৌথ অভিযান চালায়। খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিকেল চারটের দিকে অভিযান বন্ধ করে দেয় সেই দল। ইতিমধ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনী দক্ষ পর্বতারোহীদের দল পাঠিয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনা অভিযানের জন্য সারসাওয়া থেকে দুটি এবং বেরেলি থেকে একটি হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • UTTARAKHAND AVALANCHE: দ্রৌপদী কা ডান্ডা পর্বতে তুষারপাতের বিভীষিকা

    UTTARAKHAND AVALANCHE: দ্রৌপদী কা ডান্ডা পর্বতে তুষারপাতের বিভীষিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রুদ্ররূপ ধারণ করেছে উত্তরাখণ্ড। ফের তুষারধসের শিকার এই পাহাড়ি রাজ্য। দ্রৌপদী কা ডান্ডা-২ (Draupadi ka Danda 2) পাহাড়ে ধস নামে। সেই সময় সেখানে বহু পর্বতারোহী প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। সেসময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। তুষারধসে (UTTARAKHAND AVALANCHE) একাধিক পর্বতারোহী আটকে পড়েন। ইতিমধ্যেই অনেকের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। এখনও অনেকে তুষার ধসের নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধসে চাপা পড়ে থাকা পর্বতারোহীদের উদ্ধার করে দেরাদুনের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ন’জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উত্তরকাশীর পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণকেন্দ্র ‘নেহরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং’ (NIM)-এর তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত তাদের পর্বতারোহী দলের ২২ জন নিখোঁজ।   

    আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ডে তুষারধসে মৃত অন্তত ১০, আটকে তিন বাঙালি পর্বতারোহী

    তুষার চাপা পড়ার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন মৃত্যুমুখ থেকে বেঁচে ফেরা পর্বতারোহী রোহিত ভাট। 

    কী হয়েছিল সেদিন? কীভাবে মুহুর্তে চলে গেল এতগুলো প্রাণ? নিজের মুখেই শোনালেন মৃত্যুকে এত কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা। রোহিত বলেন, “আমাদের খাওয়ার কিছু ছিল না। কারণ আমরা যে জিনিসপত্র নিয়ে গিয়েছিলাম তা ভেসে গেছে। আমাদের যদি কয়েক সেকেন্ড চিন্তা করার জন্য থাকত, তাহলে আমরা বাঁচাতে পারতাম আরও অনেককে। আবহাওয়া পরিষ্কার ছিল সবটা হঠাৎ করেই হয়েছিল।” 
     
    রোহিত আরও বলেন “যদি আমরা ১০ সেকেন্ড সময়ও পেতাম, আমরা আরও জীবন বাঁচাতে পারতাম।”
     
    উত্তরাখন্ডের বাসিন্দা রোহিত নেহেরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং-এ অ্যাডভান্স মাউন্টেনিয়ারিং কোর্সের পাঠরত প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে একজন। তিনি বলেন “মঙ্গলবার ভোর তিনটে থেকে সাড়ে তিনটের মধ্যে আমরা আমাদের যাত্রা শুরু করি। আমরা ৩৪ জন প্রশিক্ষণার্থী এবং সাতজন প্রশিক্ষক ছিলাম। আমরা যখন ৫৫০০ মিটারে পৌঁছেছিলাম তখন তুষারধসের কবলে পড়ি। যা আমাদের গন্তব্য থেকে মাত্র  ১০০-১৫০ মিটার দূরে ছিল। ঘড়িতে তখন সকাল সাড়ে আটটা। তুষারপাত এতটাই প্রবল ছিল যে আমরা কিছু ভাবার সময়ও পাইনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই তুষারপাতের কারণে সবকিছু সাদা হয়ে যায়। আমাদের অনেক সহশিক্ষার্থী এবং প্রশিক্ষক ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়েন।”

    আরও পড়ুন: ভয়াবহ তুষারধস! অল্পের জন্য রক্ষা পেল কেদারনাথ মন্দির 

    রোহিতের জানান, দুজন প্রশিক্ষণার্থী এবং কিছু প্রশিক্ষক একটি সামান্য উঁচু জায়গায় ছিলেন, অন্যান্য পর্বতারোহী এবং অন্যান্য প্রশিক্ষকরা তাঁদের অনুসরণ করেছিলেন। তুষারপাত পর্বতারোহীদের ধাক্কা দিয়ে নীচে ফেলে দেয়। তারা ৬০ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায়। তাতে পড়ে যান রোহিতও। তবে বরফ কাটার যন্ত্র তাঁর প্রাণ বাঁচিয়েছিল।     

    রোহিত বলেন, “সেই দিন অনিল স্যার, নেগি স্যার, এসআই স্যার এবং আমি এভারেস্টার সাবিতা কানসওয়াল, নওমি রাওয়াত এবং দুই প্রশিক্ষণার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছিলাম। আমরা তিনজন প্রশিক্ষণার্থী পর্বতারোহী এবং স্কিইং বিভাগের একজনকে তুষারধসের স্থান থেকে উদ্ধার করি।”

    তিনি জানান আহত পর্বতারোহীদের উদ্ধারে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা করে এনআইএম। তিনি বলেন, “পরের দিন সকালে, আইটিবিপি কর্মীরা আমাদের তাদের বেস ক্যাম্পে এয়ারলিফট করে এবং তারপরে আমাদের উত্তরকাশী জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন।”   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
  • Poll Panel: শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, জানাতে হবে অর্থ কোথা থেকে আসবে! জানেন কী বললেন নির্বাচন কমিশন

    Poll Panel: শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, জানাতে হবে অর্থ কোথা থেকে আসবে! জানেন কী বললেন নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন এলেই প্রতিশ্রুতির প্যান্ডোরা বাক্স খুলে জনসভা মাতিয়ে তোলেন রাজনৈতিক দলের নেতারা। কিন্তু ভোট ফুরোলেই ভোকাট্টা। পরে অনেক কিছুই আর বাস্তবায়িত হয় না। এবার তাই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি বন্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চায় নির্বাচন কমিশন (ELECTION COMMISSION)। রাজনৈতিক দলগুলিকে নির্বাচন কমিশন লিখেছে, ভোটারদের শুধু প্রতিশ্রুতি দিলে হবে না, জানাতে হবে তা পূরণের জন্য অর্থ সংস্থান কীভাবে হবে। দলগুলিকে স্পষ্ট করতে হবে, তারা কত টাকা ভর্তুকি কোন খাতে দেবে। যদি কৃষি ঋণ মকুবের ব্যাপার হয়, তবে কি এতে সমস্ত কৃষকরা উপকৃত হবেন, নাকি শুধুমাত্র ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের সুবিধা দেওয়া হবে সেগুলো স্পষ্ট করে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে উল্লেখ করতে হবে। দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য অর্থ কোথা থেকে আসবে, সেটাও জানাতে হবে। যদি এটা রাজ্য এবং কেন্দ্রের যৌথ বিষয় হয়, তবে প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য গোটা খরচটা কি যৌথভাবেই বহন করা হবে,  নাকি রাজ্য বা কেন্দ্র পৃথকভাবে বহন করবে, সেসবও বিস্তারিত জানাতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে। কারণ, অনেক রাজ্যই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলিকে ঘুরিয়ে নিজেদের বলে চালানোর চেষ্টা করে। গত কয়েক বছরে এই ট্রেন্ড চলছে। নির্বাচন কমিশন যদি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও ভর্তুকি মামলায় কড়া আইন আনে, তাহলে সেগুলি বন্ধ হবে। জনগণ পুরো বিষয়টি জানতে পারবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

    আরও পড়ুন: আজানের সুর! ভাষণ থামালেন অমিত শাহ, মুগ্ধ উপত্যকাবাসী

    এক বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচনী ইস্তোহর কিংবা প্রতিশ্রুতি কিংবা ভর্তুকি প্রদানের ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছ্বতা প্রয়োজন। কারণ, ভোটারদের জানার অধিকার রয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলি যে সব প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে তার সারবত্তা কতটা। ভর্তুকি প্রদানের ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্যের ভূমিকা কতখানি। স্পষ্ট ছবি সামনে এলে ভোটাররা সহজেই বিচার করতে পারবে, কোন রাজনৈতিক দলের প্রতিশ্রুতি ভালো, কোনটা খারাপ। তা প্রভাব ফেলবে নির্বাচনেও।

    আপাতত বিষয়টি প্রস্তাব আকারেই রাজনৈতিক দলগুলির কাছে পাঠাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তবে পরবর্তীকালে রাজনৈতিক দলগুলির এই ধরনের বক্তব্য যাতে আদর্শ আচরণবিধির আওতায় আসে, সেই ব্যবস্থা করতে চায় নির্বাচন কমিশন। তবে তার আগে রাজনৈতিক দলগুলির মতামত জানা হবে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।

  • Telangana: দলের নাম পরিবর্তন চন্দ্রশেখর রাওয়ের! জাতীয় রাজনীতিই কি লক্ষ্য?

    Telangana: দলের নাম পরিবর্তন চন্দ্রশেখর রাওয়ের! জাতীয় রাজনীতিই কি লক্ষ্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্য ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন (Parliament Election 2024)। রাজ্যের গণ্ডি টপকে জাতীয় রাজনীতিতে নতুন আঙ্গিকে পথ চলা শুরু করল তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি (Telangana Rashtra Samithi)। বদলে ফেলা হল দলের নাম। তেলেঙ্গানা মুছে এখন শুধুই ‘ভারতীয় রাষ্ট্রীয় সমিতি’ (BRS)। দশেরার দিনে দলের নতুন নাম ঘোষণা করলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও (K Chandrashekar Rao)। আত্মপ্রকাশ করল ‘ভারতীয় রাষ্ট্রীয় সমিতি’(BRS)।

    বিজেপি (BJP) বিরোধী লড়াইয়ে দীর্ঘদিন ধরে সুর চড়িয়েছিলেন কে চন্দ্রশেখর রাও। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে অ-বিজেপি ও অ-কংগ্রেসী দলগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার পরিকল্পনাও নিয়েছেন তিনি। সাক্ষাৎ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে নীতীশ কুমার, এমকে স্ট্যালিনের মতো বিরোধী শিবিরের তাবড় তাবড় নেতাদের সঙ্গে। কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে তৃতীয় ফ্রন্ট গঠন নিয়ে বৈঠক করেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ও ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গেও। বিজেপি (BJP) বিরোধী লড়াইয়ে তিনি যে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগতে চাইছেন, অ-কংগ্রেসী ও অ-BJP নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে কেসিআর তা স্পষ্ট করেছেন। তাঁর এই মিশনে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদনও জানান তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী। মিশন ২০২৪-এর অঙ্গ হিসেবে এরপরেই জাতীয় স্তরে নিজের দলকে প্রতিষ্ঠিত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেন রাও। প্রথমে ঠিক ছিল টিআরএস ব্যানারেই জাতীয় স্তরে লড়বে তাঁর দল। কিন্তু তা খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না বলে আশঙ্কা করেন কে চন্দ্রশেখর রাও। তাই তিনি জাতীয় স্তরে নতুন একটি দল গঠন করার পরিকল্পনা নেন।

    আরও পড়ুন: হিন্দু শব্দের ওপর জোর দেব! জানেন দশেরার অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে কী বললেন মোহন ভাগবত?

    তবে প্রশ্ন উঠছে, আঞ্চলিক দলের তকমা ঝেড়ে ফেলে সর্বভারতীয় মর্যাদা পাওয়ার এই ভাবনা কতটা ফলপ্রুসু হবে টিআরএসের?  এমনকী দলের অন্দরে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে বলেও খবর। মুখ্যমন্ত্রীর এটা খামখেয়ালি ভাবনা বলে মনে করছেন অনেকে। এতে দল বিপদে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, টিআরএসের এই সিদ্ধান্ত বুমেরাং হতে পারে। মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে তেলেঙ্গানার জনগণ।

  • Mohan Bhagwat: কর্মক্ষেত্রে নারীদের আরও স্বাধীনতা ও সমানাধিকারের পক্ষে সওয়াল মোহন ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: কর্মক্ষেত্রে নারীদের আরও স্বাধীনতা ও সমানাধিকারের পক্ষে সওয়াল মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশেরার অনুষ্ঠানে নারী স্বাধীনতার পক্ষে জোরাল সওয়াল করলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। বুধবার মহারাষ্ট্রের নাগপুরে সংগঠনের বার্ষিক দশেরা তথা বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘কর্মক্ষেত্রে নারীদের আরও স্বাধীনতা প্রয়োজন। প্রাপ্য সমানাধিকারও। পুরুষদের থেকে নারীরা কোনও অংশে কম নয়।’ আরএসএস শুরু থেকেই মহিলাদের অধিকার স্থাপন নিয়ে সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে এসেছে। অতীতের উদাহরণ টেনে মোহন ভাগবত বলেন, ‘ডক্টর সাবের (ডাঃ কে বি হেডগেওয়ার) সময়কালে সমাজে কৃতিত্বপূর্ণ, বদ্ধিজীবী বলে পরিচিত মহিলাদের আরএসএস নিজেদের সংগঠনের কার্যাবলীতে অনুপ্রেরণার উৎস বলে স্বীকৃতি জানিয়েছে। অতীতে আমাদের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন আনুসিয়াবাই কালে, ভারতীয় মহিলা সম্মেলনের প্রধান রাজকুমারী অমৃত কৌরও। ১৯৩৪ সালের ডিসেম্বরে সংগঠনের বার্ষিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন একজন মহিলা। আমি তখন সেখানকার প্রচারক ছিলাম। ঔরঙ্গবাদের কুমুদতাই রাংনেকার সেবার বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।’

    আরও পড়ুন: হিন্দু শব্দের ওপর জোর দেব! জানেন দশেরার অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে কী বললেন মোহন ভাগবত?

    সমাজে নারী ও পুরুষ—দু’জনেরই গুরুত্ব সমান বলে মনে করেন মোহন ভাগবত। তিনি বলেছেন, ‘আমরা জানি একে অপরকে ছাড়া একটা সুন্দর সমাজ কখনও গড়ে উঠবে না। তাই কে শক্তিশালী, সেটা বিচার্য নয়। বরং পুরুষদের মতো নারীদেরও সব ক্ষেত্রে সমানাধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। সর্বক্ষেত্রে দিতে হবে স্বাধীনতাও। কারণ, একজন পুরুষের থেকে একজন নারী কোনও অংশে কম নয়। দেশকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বড় ভূমিকা রয়েছে।’

    আরও পড়ুন: ‘‘রোজগার মানে কেবলমাত্র চাকরি নয়…’’, নাগপুরে মোহন ভাগবত

    সংঘ প্রধানের কথায়, ‘নারীদের ‘জগৎ জননী’ বলা হয়। অথচ ঘরে তাদের ‘দাসী’ হিসাবে গণ্য করা হয়।’ তিনি মনে করেন, এই ভাবনা চিন্তা পরিবর্তনের সময় এসেছে। নারীর ক্ষমতায়ন ঘর থেকে শুরু হওয়া উচিত। ভারতের ‘বিশ্ব গুরু’ দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নে নারীর ভূমিকার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন ভাগবত। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি ‘বিশ্বগুরু’ (বিশ্বে নেতৃত্ব দেওয়া) ভারত গড়তে চাই তাহলে মহিলাদের সমান অংশগ্রহণও প্রয়োজন। এর জন্য অবশ্যই মহিলাদের ক্ষমতায়নের দিকে জোর দিতে হবে। নারী ছাড়া সমাজ এগিয়ে যেতে পারে না।’

  • Mohan Bhagwat: ‘‘রোজগার মানে কেবলমাত্র চাকরি নয়…’’, নাগপুরে মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: ‘‘রোজগার মানে কেবলমাত্র চাকরি নয়…’’, নাগপুরে মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনও কাজই ছোট বা হালকা নয়। সবই সমান গুরুত্বপূর্ণ। নাগপুরে দশেরার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই জানালেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের  (Rashtriya Swayamsevak Sangh) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। একইসঙ্গে এ-ও মনে করিয়ে দিলেন, রোজগার মানেই যে শুধু চাকরি, সেই ধারণা থেকেও নিজেদের বেরিয়ে আসতে হবে।

    সরসংঘচালক বলেন, ‘‘ভারতের মতো বিশাল জনসংখ্যার দেশে অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন নীতি কর্মসংস্থানমুখী হবে এমনটা আশা করা স্বাভাবিক। তবে রোজগার মানে কেবল মাত্র চাকরি নয়– এই বোধও সমাজে বাড়াতে হবে। কোনও কাজই প্রতিপত্তির দিক থেকে ছোট বা হালকা নয়। কায়িক শ্রম, পুঁজি ও মেধাগত শ্রম– সবই সমান গুরুত্বপূর্ণ এই বিশ্বাস ও অনুরূপ আচরণ আমাদের সবাইকে করতে হবে।’’

    মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত উদ্যোগ স্থাপনের প্রবণতাকে উৎসাহিত করতে হবে। প্রতিটি জেলায় কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণের একটি বিকেন্দ্রীকৃত প্রকল্প তৈরি করতে হবে এবং তাদের জেলাতেই কর্মসংস্থান পাওয়া যেতে পারে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবহন ইত্যাদি সুবিধা গ্রামে উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে সহজলভ্য করতে হবে। কিন্তু করোনার বিপত্তির সময়ে কর্মরত কার্যকর্তারাও বুঝতে পেরেছেন যে সমাজের সংগঠিত শক্তিও অনেক কিছু করতে পারে।’’

    আরও পড়ুন: মোহন ভাগবতকে ‘রাষ্ট্রপিতা’ আখ্যা ভারতীয় ইমাম সংগঠনের

    অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কর্মরত সংস্থা, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, কিছু সজ্জন ব্যক্তি, দক্ষতা বিশেষজ্ঞ, প্রশিক্ষক এবং স্থানীয় স্বয়ংসেবকরা প্রায় ২৭৫টি জেলায় স্বদেশী জাগরণ মঞ্চের সঙ্গে যৌথভাবে এই পরীক্ষাটি শুরু করেছে। এই প্রাথমিক পর্যায়ে তারা কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সফল হয়েছে, এমন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

    একইসঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন, মহিলাদের কর্মস্বাধীনতা এবং সর্বক্ষেত্রে সমান অধিকার দেওয়া বর্তমানে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। সংঘ প্রধান বলেন, ‘‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জ্ঞানের ভাণ্ডার বাড়তে থাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিছু বিষয় বদলায়, কিছু হারিয়ে যায়। কিছু নতুন বিষয় এবং পরিস্থিতির জন্ম হয়। তাই নতুন রচনা নির্মাণ করতে গিয়ে ঐতিহ্য ও সমকালের সমন্বয় করতে হবে।’’

    তিনি যোগ করেন, ‘‘সেকেলে ভাবনা পরিত্যাগ করে নতুন যুগোপযোগী ও দেশানুকূল ঐতিহ্য তৈরি করতে হবে। একই সঙ্গে, যে চিরন্তন মূল্যবোধগুলি আমাদের পরিচয়, সংস্কৃতি, জীবন সম্পর্কে আমাদের যে মহান উল্লেখনীয় চিরন্তন সেই শাশ্বত মূল্যবোধ ইত্যাদিকে ত্যাগ করা উচিত নয়, বরং সেগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা এবং তার আচরণ করা, যাতে তা পূর্ববৎ থাকে, তার জন্য সাবধানতা বজায় রাখতে হবে। নতুন যুগ-বান্ধব ও দেশবান্ধব ঐতিহ্য তৈরি করতে হবে।’’

    আরও পড়ুন: মোহন ভাগবতকে ‘রাষ্ট্র পিতা’ বলায় ইমাম প্রধানকে খুনের হুমকি! চাঞ্চল্য

  • Durga Puja: আজ দশেরায় মেতেছে দেশবাসী! জানেন দশমী তিথিতে কেন পালিত হয় দশেরা উৎসব?

    Durga Puja: আজ দশেরায় মেতেছে দেশবাসী! জানেন দশমী তিথিতে কেন পালিত হয় দশেরা উৎসব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশমীতে বাংলার ঘরের মেয়ে উমা বাপের বাড়ি থেকে স্বামী গৃহে রওনা দেন, মন আমাদের ভারাক্রান্ত হয়, ঠিক তখনই দেশের অন্যান্য প্রান্তে ধুমধাম করে পালিত হয় দশেরা উৎসব। দশটি মাথার বড় প্রতীকী অসুরকে অগ্নিসংযোগের দ্বারা জ্বালানোর নামই দশেরা। পোশাকি একটা নাম অবশ্য রয়েছে রামলীলা। দিল্লির রামলীলা ময়দান তো আমাদের অতি পরিচিত। দেশের প্রধানমন্ত্রীকেও রামলীলা ময়দানে দশেরা উৎসব পালন করতে দেখা যায়। তিনিই তীর নিক্ষেপ করে দশ মাথার প্রতীকী অসুরকে অগ্নিসংযোগ দ্বারা দহন করেন। দশমাথার অসুর বললে নিশ্চিত ভাবে আমাদের আর বুঝতে অসুবিধা হয় না যে সেটি দশানন রাবণ। রাবণকে বধ করতেই আশ্বিন মাসে মা দুর্গার অকাল বোধন করেছিলেন রামচন্দ্র। বিল্ববৃক্ষ তলায় মা দুর্গার পুজো করেছিলেন, তারপরেই রাবণ বধ করেছিলেন দশমী তিথিতে। অন্য একটি বিশ্বাস মতে, ন’দিন ন’ রাত্রি ব্যাপী যুদ্ধের পর মহিষাসুরকে দশমী তিথিতে বধ করেন দেবী দুর্গা। মহিষাসুর এবং রাবণ দুই অসুর-ই অত্যাচার, অধর্ম,পাপ, অশুভ শক্তির প্রতীক। দশমী তিথি তাই পবিত্র, পুণ্য এক তিথি যেদিন আসুরিক শক্তির বিনাশ হয়েছিল। অশুভ শক্তি পরাস্ত হয়েছিল শুভ শক্তির কাছে। দেবতারা সেদিন পুষ্প বৃষ্টি করেছিল মহিষাসুর বধের জন্য দেবী দুর্গার উপর এবং রাবণ বধের জন্য ভগবান রামচন্দ্রের উপর।

    আরও পড়ুন: মন্ডপ হোক বা বাড়ি দশমীতে সিঁদুর খেলাই রীতি! জানেন এদিন কেন সিঁদুর খেলা হয়?

    অন্য একটি পৌরাণিক মত অনুযায়ী দশেরার সাথে পান্ডবরাও সম্পর্কিত। দশেরার দিন দেশের নানা প্রান্তে অস্ত্র পূজন দেখতে পাই আমরা। দশমী তিথির এই অস্ত্র পূজন পান্ডবদের সাথেই সম্পর্কিত বলে অনেকে মনে করেন। পৌরাণিক আখ্যানটি জেনে নেওয়া যাক। পাশাখেলায় পরাজিত হয়ে পাণ্ডবরা ১২ বছর বনবাস ও এক বছরের অজ্ঞাতবাসে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। বনবাসের পর অজ্ঞাতবাস শুরু করার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে তাঁরা বিরাট রাজ্যে প্রবেশ করার আগে একটি শমীবৃক্ষের কোটরে তাঁদের সঙ্গে থাকা সমস্ত অস্ত্র লুকিয়ে রেখে যান। আবার ঠিক একবছর পরে এই বিজয়া দশমীর দিনটিতে ওই কোটর থেকে অস্ত্র বের করে নিজেদের আসল পরিচয় দিয়েছিলেন তাঁরা। তাই তারপর থেকে দেশের সমস্ত  প্রান্তে দশমীর  দিনটিতে অস্ত্রের পুজো প্রচলিত আছে। এদিন অনেক জায়গায় পরস্পরকে শমীবৃক্ষের পাতা দিয়ে দুষ্টের উপর বিজয়ের কথা মনে করিয়ে দেওয়ার চলও রয়েছে।

    আবার অন্য একটি পৌরাণিক মত অনুযায়ী, রামের জন্মের বহু আগে থেকেই নাকি রঘু বংশে পালিত হয় দশেরা। রামের পূর্বপুরুষ রাজা রঘুর আমলের একটি ঘটনা এক্ষেত্রে প্রচলিত রয়েছে। রঘুর রাজ্যে ছিলেন দেবদত্ত নামে এক ঋষি, যাঁর পুত্র কৌৎস শিক্ষালাভ গিয়েছিলেন ঋষি বরতনুর কাছে। শিক্ষা শেষে ১৪টি বিষয়ে সুশিক্ষিত কৌৎস যখন গুরুকে জিজ্ঞেস করেন যে, গুরুদক্ষিণা হিসেবে কী চান তিনি, বরতনু তখন উত্তর দেন, তাঁর কিছুই চাই না, ছাত্রের সুশিক্ষাই তাঁর কাছে গুরুদক্ষিণার সমান! কিন্তু কৌৎস গুরুদক্ষিণা না দিয়ে যাবে না। বাধ্য হয়ে একটি অসম্ভব ইচ্ছে প্রকাশ করেন বরতনু। তিনি বলেন, ১৪টি বিষয়ে শিক্ষার দক্ষিণা হিসেবে তিনি ১৪০ লক্ষ স্বর্ণমুদ্রা চান। গুরুর ইচ্ছে পূর্ণ করতে কৌৎস যান অযোধ্যার রাজা রঘুর কাছে। কিন্তু সেদিনই ব্রাহ্মণদের দানে সব সোনা দিয়ে দেওয়ার কারণে রঘু কৌৎসর কাছে তিন দিন সময় চান। কৌৎস সেই কথা শুনে বিদায় নেওয়ার পর রঘু চলে যান দেবরাজ ইন্দ্রের কাছে। ইন্দ্র সব শুনে ডেকে পাঠান ধনের দেবতা কুবেরকে। ইন্দ্রের কথামতো কুবের অযোধ্যা রাজ্যে সেদিন ধনবৃষ্টি শুরু করেন। শোনু এবং আপতি গাছের পাতাগুলি থেকে ঝরতে থাকে সোনার মোহর! সেই মোহর একত্রিত করে কৌৎসকে দেন রাজা রঘু। ছাত্রের কাছ থেকে শুধু ১৪০ লক্ষ স্বর্ণমুদ্রা চেয়েছিলেন বরতনু, বাকিটা তিনি ফিরিয়ে দেন কৌৎসকে। কৌৎস তা আবার ফিরিয়ে দেন রঘুকে। দানবীর রঘু তা বিলিয়ে দেন তাঁর প্রজাদের মধ্যে। সেই দিনটি ছিল বিজয়া দশমীর দিন। অর্থাৎ দেবী মাহাত্ম্য, রামায়ণ, মহাভারত সহ সমস্ত পৌরাণিক আখ্যানে পাওয়া যায় দশেরার মাহাত্ম্য, বাংলায় দশমীর মাহাত্ম্য।

  • World Animal Day 2022: কেন ৪ অক্টোবর বিশ্ব প্রাণী দিবস পালিত হয় জানেন ?

    World Animal Day 2022: কেন ৪ অক্টোবর বিশ্ব প্রাণী দিবস পালিত হয় জানেন ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, ৪ অক্টোবর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় World Animal Day। প্রাণীদের জন্য এই দিনটি পালন করা হয়। জানা যায়, সর্বপ্রথম হেনরিক জিম্মারমেন নামের এক জার্মান লেখক ও প্রকাশক মেন্স উন্ড হুন্দ নামের একটি ম্যাগাজিনে বিশ্ব প্রাণী দিবস প্রকাশ করেছিলেন। তিনি প্রথম ১৯২৫ সালের ২৪ মার্চ জার্মানির বার্লিন স্পোর্ট প্যালেসে এই দিবস উদযাপন করেন। এরপর ১৯২৯ সালে প্রথমবার এই দিবসটি ৪ অক্টোবর পালন করা হয়েছিল। এরপর ১৯৩১ সালে ইতালির ফ্লোরেন্সে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রাণী সুরক্ষা কংগ্রেসে ৪ অক্টোবরকে বিশ্ব প্রাণী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

    এ দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো, পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে প্রাণীদের কল্যাণের মাধ্যমে এদের অবস্থার উন্নতি করা। প্রাণী কল্যাণ প্রসঙ্গে সকলকে সতর্ক করা। সাধারণত এই দিনে সকলকে পশু কল্যান প্রসঙ্গে সতর্ক করা হয়। পশু দিবস হল বিশ্বের সকল প্রাণীর অধিকার ও কল্যাণের জন্য পালিত হওয়া একটি আন্তর্জাতিক দিবস।  

    তবে এই প্রাণী দিবসের গুরুত্ব কী?

    প্রাণীদের সম্পর্কে সচেতন করার জন্যই এই দিনটি পালন করা হয়। এই জাতি, ধর্ম, বিশ্বাস বা রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে দিবসটি বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাবে প্রতিটি দেশে পালন করা হয়। তবে, সর্বত্র এই দিন পালনের উদ্দেশ্য একটাই। তা হল, প্রাণী কল্যাণ প্রসঙ্গে সকলকে সতর্ক করা।

    এই দিনটি তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে প্রাণীরা কীভাবে আমাদের জীবনকে উন্নত করে তোলে। পশুদের প্রতি নৃশংস, নিষ্ঠুর আচরণের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সম্প্রদায় ও গোষ্ঠীকে উদ্বুদ্ধ করাও হল এই দিনটির আরেকটি লক্ষ্য।

    প্রতি বছর এই বিশেষ দিনে একটি করে থিম গ্রহণ করা হয়। এবছরের থিম হল Shared Planet। এর ফলে বোঝা যায়, পৃথিবী শুধুমাত্র মানুষের নয়, প্রতিটি প্রাণীরও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Durga Puja: কুমারী পুজো কেন হয় জানেন? 

    Durga Puja: কুমারী পুজো কেন হয় জানেন? 

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: দেখতে দেখতে পুজো নবমীতে চলে এলো। মাইকেল মধুসূদন দত্ত লিখছেন- “যেয়ো না রজনী আজি লয়ে, তারাদলে ” এ যেন প্রতিটি হিন্দু বাঙালির অন্তরের শব্দ ধ্বনি। নবমী নিশি গত হলেই যে বিসর্জন! মহানবমীর গুরুত্ব তাই অনেক খানি‌। উৎসবমুখর বাঙালির আনন্দের দিক থেকে তো বটেই আবার এই বিশেষ তিথিতে সম্পূর্ণ ভাবে মা দুর্গার পুজো সম্পন্ন হয়। পৌরাণিক মতে , অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণে চন্ড ও মুন্ডকে বধ করেছিলেন মাতা চামুণ্ডা আবার অন্য একটি মতে, মহিষাসুরের বধ হয়েছিল সন্ধিক্ষণে। তাই সমস্ত দেবতারা মহর্ষি কাত্যায়ন এর আশ্রমে সমবেত হয়ে নবমী তিথিতে মাতৃ আরাধনা বা বন্দনা শুরু করেছিলেন।  এই দিন সকাল থেকেই তোড়জোড় শুরু হয়ে যায় অঞ্জলি দেওয়ার জন্য। এই দিনেই সম্পন্ন হয় হোম এবং কুমারী পুজো। এই পুজো নিয়ে বহু মানুষের মনের নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খায়।

    কুমারী পুজোকে ঘিরে আগ্রহের শেষ নেই। কেন করা হয় কুমারী পুজো? জানেন কি? সেই ১৯০১ সাল থেকে প্রতিবছর বেলুড় মঠে মহা ধুমধাম করে এই পুজোর নিয়ম রয়েছে, শুরু করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। এছাড়াও বহু বাড়ির পুজোয়, মন্দির কিংবা বারোয়ারী ক্লাবগুলিতে কুমারী পুজোর আয়োজন করা হয়। কুমারী পুজোর জন্য বেছে নেওয়া হয় ১ থেকে ১৬ বছর বয়সী কন্যাদের। বয়স অনুযায়ী প্রত্যেক কুমারীর নাম আলাদা হয়। শাস্ত্র অনুযায়ী কুমারী পূজায় কোন জাতি, ধর্ম বা বর্ণভেদ নেই। দেবীজ্ঞানে যে-কোন কুমারীই পূজনীয় ।

     এক্ষেত্রে এক থেকে ষোলো বছর বয়সী যে কোনো কুমারী মেয়ের পূজা করা যায়। বয়স অনুসারে কুমারীদের নাম গুলি হলো –
    এক বছরের কন্যা: সন্ধ্যা
    দুই বছরের কন্যা: সরস্বতী
    তিন বছরের কন্যা : ত্রিধামূর্তি
    চার বছরের কন্যা : কালীকা
    পাঁচ বছরের কন্যা : সুভগা
    ছয় বছরের কন্যা :উমা
    সাত বছরের কন্যা : মালিনী
    আট বছরের কন্যা : কুব্জিকা
    নয় বছরের কন্যা:কালসন্দর্ভা
    দশ বছরের কন্যা: অপরাজিতা
    এগারো বছরের কন্যা:রূদ্রাণী
    বারো বছরের কন্যা:ভৈরবী
    তেরো বছরের কন্যা:মহালক্ষ্মী
    চৌদ্দ বছরের কন্যা:পীঠনায়িকা
    পনেরো বছরের কন্যা:ক্ষেত্রজ্ঞা
    ষোলো বছরের কন্যা:অন্নদা বা অম্বিকা

     হিন্দু ধর্মে নারীদের প্রকৃতির সমান মানা হয়। কুমারী পুজোর মধ্য দিয়ে প্রকৃতিকে আরাধনা বা পুজো করা হয়। ভারতীয় সভ্যতায় প্রকৃতি পূজার রীতি প্রথম থেকেই রয়েছে। এদেশে মনে করা হয়  দেবতাদের বাস রয়েছে মানবের মধ্যেই এবং দেবত্বের বিকাশের দ্বারাই মানুষ দেবতা হয়।  তাই কুমারীদের দেবী রূপে আরাধনা করা হয়। ফুলের মালা, মুকুট, পায়ে আলতা, নতুন বস্ত্র, তিলক দিয়ে সাজানো হয় কুমারীদের।

    বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কুমারী পুজোর জন্য নির্বাচিত করা হয় ৫ থেকে ৭ বছর বয়সী কুমারীদের। বিভিন্ন পুরাণে এই পুজোর উল্লেখ রয়েছে। শাস্ত্র অনুযায়ী ১ থেকে ১৬ বছর বয়সী যে বালিকারা ঋতুমতী হবে না, তাদের কুমারী রূপে পুজো করা যাবে।  শুধুমাত্র দুর্গাপুজো নয়, অন্নপূর্ণা পুজো, কালীপুজো এমনকি জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষেও বহু জায়গায় কুমারী পুজো আমরা দেখতে পাই।

    কুমারী পুজোর নেপথ্যে যে পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে সেটি জেনে নেওয়া যাক। একসময় কোলাসুর নামের এক অসুর রাজা স্বর্গ এবং মর্ত্য দখল করে নিয়েছিল। অত্যাচারী এই অসুরের কারনে মুনি ঋষিরা তপস্যা করতে পারতো না, দেবতারা স্বর্গরাজ্য থেকে বিতাড়িত ছিল। যার কারণে দেবতাগণ অসহায় হয়ে শরণাপন্ন হন মা কালীর। দেবতাদের উদ্ধারে দেবী কুমারী রূপে কোলাসুরকে বধ করেছিলেন। তারপর থেকেই মর্ত্যে কুমারী পুজোর প্রচলন শুরু হয়। অন্য একটি পৌরাণিক কথা অনুযায়ী, বাণাসুর কে মাতা কালি, কুমারী রূপে বধ করেছিলেন । সেই থেকেই কুমারী পুজোর রীতি বলে শোনা যায়।  শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব নিজের স্ত্রীকে কুমারী জ্ঞানে পুজো করেছিলেন বলেও জানা যায়।

LinkedIn
Share