Blog

  • Dhanbad: ভয়াবহ আগুন বেসরকারি হাসপাতালে, চিকিৎসক দম্পতি সহ মৃত ৬, আশঙ্কাজনক ২

    Dhanbad: ভয়াবহ আগুন বেসরকারি হাসপাতালে, চিকিৎসক দম্পতি সহ মৃত ৬, আশঙ্কাজনক ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ আগুন বেসরকারি হাসপাতালে (Hospital)। অগ্নিকাণ্ডের জেরে শ্বাসকষ্ট হয়ে মৃত্যু বাঙালি চিকিৎসক দম্পতির (Doctor Couple)। ওই ঘটনায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের (Dhanbad) কাছে পুরনো বাজার এলাকার একটি হাসপাতালে। 

    আগুন…

    স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত একটা নাগাদ হাজরা ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতালের রেসিডেন্সিয়াল কমপ্লেক্সে আগুন লাগে। গলগল করে বের হতে থাকে ধোঁয়া। ঘটনাটি নজরে পড়ে স্থানীয় কয়েকজনের। ততক্ষণে গোটা হাসপাতাল চত্বর ঢেকে গিয়েছে কালো ধোঁয়ায়। তার মধ্যেই রোগীদের হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন স্থানীয়রা। অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় চিকিৎসক দম্পতি সহ ছজনকে। পাটলিপুত্র হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে চলে আসে দমকলের আটটি ইঞ্জিন। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল। শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন বলে অনুমান দমকল কর্মীদের। জানা গিয়েছে, মৃত চিকিৎসক দম্পতির নাম বিকাশ হাজরা ও প্রেমা হাজরা। ওই পরিবারের এক পরিচারিকা সহ মৃত্যু হয়েছে আরও চারজনের।

    আরও পড়ুুন: আরএসএস, বিজেপি নেতাদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে ফলওয়ালাকে রিপোর্টার নিয়োগ করেছিল পিএফআই!

    গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে ধানবাদ (Dhanbad)  পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ঠিকঠাক ছিল কিনা। কী থেকে আগুন লেগেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এসি মেশিন থেকে শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লাগতে পারে বলে অনুমান দমকল কর্মীদের। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে প্রথমে আগুন লাগে হাসপাতালের (Dhanbad) দোতলায় থাকা ওষুধের দোকানে। সেখান থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে অন্যত্র। হাসপাতালের রেসিডেন্সিয়াল কমপ্লেক্সে সপরিবারে থাকতেন ওই চিকিৎসক দম্পতি। হাসপাতালের সঙ্গে ওই রেসিডেন্সিয়াল কমপ্লেক্সে যাওয়ার জন্য ছিল করিডর। করিডরের দরজা বন্ধ থাকায় আগুন টের পেলেও, তীব্র ধোঁয়ায় দরজা খুলে বের হতে পারেননি ওই দম্পতি। প্রবল ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট হয় মৃত্যু হয় তাঁদের। ছ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন অগ্নদগ্ধ আরও চারজন। এঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • TET Examination: ২০১৬ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ইন্টারভিউ নিয়েছেন কারা? তথ্য তলব পর্ষদের

    TET Examination: ২০১৬ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ইন্টারভিউ নিয়েছেন কারা? তথ্য তলব পর্ষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায়ও (TET Examination) দুর্নীতির গন্ধ! সেই কারণে ২০১৬-র প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের সময় বিভিন্ন জেলায় ইন্টারভিউয়ের সময় কারা কারা ছিলেন বিশেষজ্ঞ হিসেবে, তাঁদের সম্পর্কে বিশদ তথ্য চাইল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ওই বিশেষজ্ঞদের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর সহ বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে। পর্ষদের উপসচিব পার্থ কর্মকার জানান, ৩০ জানুয়ারির মধ্যে ওই ব্যক্তিদের টেলিফোন নম্বর সহ সবিস্তার তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট এ ব্যাপারে সম্প্রতি একটি নির্দেশ দিয়েছে। তার ভিত্তিতেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে পর্ষদ।

    দুর্নীতির গন্ধ…

    জানা গিয়েছে, অ্যাকাডেমিকসে নম্বর কম অথচ ইন্টারভিউতে (TET Examination) নম্বর পেয়েছেন ভূরি ভূরি। সাম্প্রতিক অতীতে প্রাথমিকে ইন্টারভিউ হয়েছে দুবার, একবার ২০১৬, তারপর ২০২১। এই ২০১৬য় বিস্তর গোলযোগ হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই বছরের নিয়োগ নিয়ে আগেও নানা প্রশ্ন উঠেছে। অ্যাপটিটিউট টেস্ট ছাড়াই নিয়োগ হয়েছে, এমন অভিযোগও সামনে এসেছে। ইতিমধ্যেই সে ব্যাপারে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই মামলার শুনানিতে বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীকে কাঠগড়ায় তুলে সাক্ষ্য গ্রহণও করেছেন বিচারপতি। অনেকেই বলেছেন, বেশিরভাগ জেলায় অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়াই হয়নি। শ্রেণিকক্ষের বদলে বারান্দায় ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে, এমন অভিযোগও করেছেন চাকরি প্রার্থীরা। অ্যাপটিটিউড টেস্ট না নেওয়া হয়ে থাকলে সে ক্ষেত্রে নম্বর কীভাবে দেওয়া হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মামলাকারীর আইনজীবীরা।

    আরও পড়ুুন: একশো দিনের প্রকল্পে ৫ কোটি টাকা আত্মসাত! অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান এবং অঞ্চল সভাপতি

    প্রাথমিক শিক্ষকপদের এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, প্রথম দফার ইন্টারভিউয়ে (TET Examination) শ্রেণিকক্ষে পড়ানোর কোনও পরীক্ষাই হয়নি। অথচ অনেকেই তাতে পুরো নম্বর পেয়েছিলেন। এই গোলমাল নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। ২০১৬ সালের পর ২০২১ সালে ফের ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে ১৬ হাজার ৫০০ জন প্রাথমিক শিক্ষককে নিয়োগ করা হয়। তবে দু দফার ইন্টারভিউয়ের মধ্যে পার্থক্য ছিল। প্রথম দফায় ইন্টারভিউ হয়েছিল জেলা ভিত্তিক। তার আয়োজন করা হয়েছিল জেলা সংসদের অফিসে। ২০২১ সালে ইন্টারভিউ হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে।

    এদিকে, প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অপসারিত পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে ফের ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। নির্ধারিত টাকা দিয়ে পর্ষদে ওএমআর শিট চেয়েও পাননি সহিলা পারভিন নামে এক টেট পরীক্ষার্থী। ওই সময় পর্ষদ সভাপতি ছিলেন মানিক। সেই কারণেই তাঁকে জরিমানা করা হয়েছে বলে খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • 100 Days Work: একশো দিনের প্রকল্পে ৫ কোটি টাকা আত্মসাত! অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান এবং অঞ্চল সভাপতি

    100 Days Work: একশো দিনের প্রকল্পে ৫ কোটি টাকা আত্মসাত! অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান এবং অঞ্চল সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একশো দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ মালদার গাজোলে। একশো দিনের প্রকল্পে গরমিলের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় গিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। সেই সময়েই প্রকল্পের ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল শাসকদলের এক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এবং অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। 

    কী কী অভিযোগ

    মালদার গাজোলে তৃণমূল পরিচালিত দেওতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুললেন গ্রামবাসীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ১০০ দিনের কাজে ৩৫৬টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে ছিল ড্রাগন ফলের চাষ, কলাগাছ চাষ, পোল্ট্রি শেড নির্মাণ। স্থানীয়দের দাবি, কোনও কাজ না করে পুরো টাকা আত্মসাৎ করেছেন রিজিয়া এবং ফারাদ। প্রায় ৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান, অঞ্চল সভাপতি ও পঞ্চায়েত কর্মীদের একাংশ। মালদার জেলা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। এ প্রসঙ্গে জেলাশাসক নিতিন সিংহানিয়া তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। তাতে আপাতত শান্ত হয়েছেন গ্রামবাসীরা।

    আরও পড়ুন: বীরভূমে ফের বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’! অস্বস্তি এড়াতে পাশ কাটিয়ে গেলেন বিধায়ক 

    পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের অভিযুক্ত অঞ্চল সভাপতি ফারাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘‘নিয়ম মেনেই যাবতীয় কাজ হয়েছে।’’ পঞ্চায়েত প্রধান রিজিয়া সুলতানার এখনও  পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘কোথাও রিগিং করে, কোথাও আবার সদস্যদের কিনে পঞ্চায়েত দখল করেছে তৃণমূল। আমরা কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীকে জানাব। এই সব ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’’ এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, ‘দল কাউকে দুর্নীতি করার অনুমতি দেয়নি। প্রশাসন তদন্ত করবে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।’  ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Pakistan: ঘোর আঁধারে পাকিস্তান, গাড্ডায় অর্থনীতির চাকা, ওয়াশিংটনের দ্বারস্থ ইসলামাবাদ

    Pakistan: ঘোর আঁধারে পাকিস্তান, গাড্ডায় অর্থনীতির চাকা, ওয়াশিংটনের দ্বারস্থ ইসলামাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আক্ষরিক অর্থেই ঘোর আঁধারে পাকিস্তান (Pakistan)! হাঁড়ির হাল দেশের অর্থনীতির। এমতাবস্থায় সাহায্যের আশায় ফের আমেরিকার (US) দ্বারস্থ হয়েছে শাহবাজ শরিফের সরকার। জানা গিয়েছে, সোমবার আচমকাই বসে যায় সে দেশের গ্রিড। তার জেরে দেশের জেনারেটরগুলিকে প্রয়োজনের তুলনায় দ্বিগুণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হয়েছে। অন্ধকারে ডুবে যান ২২০ মিলিয়ন পাক নাগরিক। পুরো একটি গ্রিড বসে যাওয়ার ঘটনা বিরল। তবে সেটাই হয়েছে পাকিস্তানে। গোটা একটা দিন কার্যত অন্ধকারেই কাটাতে হয়েছে পাকস্তানবাসীকে। কেন এই বিপর্যয়, সে ব্যাপারে মুখ খোলেননি পাকিস্তানের শক্তিমন্ত্রী।

    পাক অর্থনীতি…

    এদিকে, আক্ষরিক অর্থেই হাঁড়ির হাল পাক অর্থনীতির। দেশের ঋণ গিয়ে পৌঁছেছে ৬০ লক্ষ কোটি পাকিস্তানি রুপিতে। বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার তলানিতে। জানা গিয়েছে, বুধবার পাকিস্তানে (Pakistan) এক ডলারের মূল্য ছিল ২৩০ পাকিস্তানি রুপি। ২৪ ঘণ্টা পরে তার দাম দাঁড়ায় ২৫৫ টাকায়। এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার শর্ত দিয়েছে, রুপির দামের ওপর কোনও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না পাকিস্তান। তা ছেড়ে দিতে হবে বাজারের হাতে। ফলে দ্রুত গতিতে কমতে শুরু করেছে পাকিস্তানি রুপির দাম। সম্প্রতি পাকিস্তানের স্টেট ব্যাঙ্ক দেশের ঋণ সংক্রান্ত তথ্য সামনে এনেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, গত অর্থবর্ষে পাকিস্তানের সরকারি ঋণ ছিল ৯ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি পাকিস্তানি রুপি। ২০২২ সালের জুনের শেষে ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৯ লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকা। পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডারের দেখভাল করে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তান। বর্তমানে এই ব্যাঙ্কের কাছে রয়েছে মাত্র ৪.৩৪৩ মার্কিন ডলার। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অর্থে পাকিস্তানের চলবে মাত্র তিন সপ্তাহ।

    আরও পড়ুুন: সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে পাকিস্তানকে নোটিশ দিল ভারত, কেন জানেন?

    এমতাবস্থায় আমেরিকার সাহায্য চেয়েছে পাক সরকার। তারা চাইছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার ১.১ বিলিয়ন ডলার ঋণ বরাদ্দ করুক, যাতে ডুবতে বসা অর্থনীতিকে টেনে তোলা যায়। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে পাকিস্তানকে (Pakistan) ৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার। জানা গিয়েছে, এই আর্থিক সঙ্কটের জন্য মূলত দায়ী ব্যাঙ্কের বাণিজ্যিক ঋণ পরিশোধ। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দুটি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার পরে প্রায় ১০০ কোটি ডলার শোধ করতে হয় পাকিস্তানকে। এছাড়া, গত বছর জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের রেমিট্যান্স অনেক কমে গিয়েছে। সব মিলিয়ে গাড্ডায় ইসলামাবাদ। পাকিস্তান এই পরিস্থিতি কীভাবে সামলায়, এখন তাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Didir Doot: বীরভূমে ফের বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’! অস্বস্তি এড়াতে পাশ কাটিয়ে গেলেন বিধায়ক

    Didir Doot: বীরভূমে ফের বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’! অস্বস্তি এড়াতে পাশ কাটিয়ে গেলেন বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’ (Didir Doot)! এবারও ঘটনাস্থল সেই অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) খাসতালুক বীরভূম। শুক্রবার দিদির দূত হয়ে এলাকায় গিয়েছিলেন সিউড়ির বিধায়ক তৃণমূলের (TMC) বিকাশ রায় চৌধুরী। আবাস দুর্নীতি ইস্যুতে স্থানীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলেরই কর্মী-সমর্থকরা। বিকাশের সামনে তাঁরই বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন তৃণমূলের লোকজন। অস্বস্তি এড়াতে দ্রুত পাশ কাটিয়ে চলে যান বিকাশ। ঘটনার জেরে অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব।

    দিদির দূত…

    স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে সিউড়ির আলুন্দা পঞ্চায়েতের জুনিদপুর গ্রামে দিদির দূত (Didir Doot) হয়ে গিয়েছিলেন বিকাশ। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির জন্য কাটমানি নিয়েছেন প্রধান। আবাস যোজনায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁদের। এলাকার নিকাশি ব্যবস্থাও বেহাল বলে অভিযোগ তাঁদের। ঘটনার জেরে অস্বস্তিতে পড়ে যান বিধায়ক। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পাশ কাটিয়ে চলে যান তিনি। পরিস্থিতি সামাল দিতে সাফাই গাইতে থাকেন প্রধান। তিনি বলেন, সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। প্রধান বলেন, কে কী করছে, সেটা আমি বলতে পারব না। এখন জব কার্ড হচ্ছে না। জব কার্ড দেওয়ার ক্ষমতা এখন কারও নেই। অপপ্রচার চলছে।

    আরও পড়ুুন: মোষের গাড়িতে কয়লা পাচার! পুলিশ দেখেই অন্ধকারে মিলিয়ে গেল চালকরা

    প্রধানের দাবি, যাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তাঁরা বিরোধী দলের সদস্য। স্থানীয় সূত্রে খবর, কিছুক্ষণ পরে অবশ্য স্থানীয় একটি ক্লাবে বসে গ্রামবাসীদের অভাব অভিযোগের কথা শোনেন বিধায়ক। প্রধানের পাশে দাঁড়িয়েই এদিন তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও নেতা যদি মানুষকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার, দল তা নেবে।

    বিধায়কের পাশাপাশি এদিন জন-বিক্ষোভের মুখে পড়েন সাংসদ তৃণমূলের শতাব্দী রায়। দিদির দূত (Didir Doot) হয়ে গিয়ে এর আগেও একবার বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন তিনি। এদিন পড়লেন ফের। স্থানীয় সূত্রে খবর, সিউড়ির কৈখি গ্রামে তাঁর গাড়ি আটকে রাস্তা ও পানীয় জল নিয়ে অভিযোগ করেন এক বৃদ্ধা। পরে গ্রামে গেলে সেখানেও সাংসদকে ঘিরে রাস্তা এবং নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়রা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জন-মন যাচাই করতে দিদির দূত কর্মসূচি হাতে নেয় তৃণমূল। তা যে এমন বুমেরাং হয়ে ফিরবে, তা বোধহয় ভাবতেও পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের নেতারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Coal Smuggling: মোষের গাড়িতে কয়লা পাচার! পুলিশ দেখেই অন্ধকারে মিলিয়ে গেল চালকরা

    Coal Smuggling: মোষের গাড়িতে কয়লা পাচার! পুলিশ দেখেই অন্ধকারে মিলিয়ে গেল চালকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুলকি চালে চলছে মোষের গাড়ি। মোষের পিঠে লাঠির ঘা দিতে দিতে চালক বলছেন, হ্যাট, হ্যাট। মার খেয়ে জোরে গাড়ি টানার চেষ্টা করছে মোষ। বাঁশ আর চটে ঘেরা মোষের গাড়িতে  পাচার হচ্ছিল কয়লা (Coal Smuggling)। বস্তায় ভরা। ওপরে ছড়ানো ছিল খড়। এক ঝলক দেখলে মনে হয়, গবাদি পশুর খাবার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে মোষের গাড়ি টানার ধরন দেখে সন্দেহ হয় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের। গাড়ি থামান তাঁরা। পুলিশ দেখে আঁধার রাতে গা ঢাকা দিয়েছেন মোষের গাড়ির চালকরা। খড় সরিয়ে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের। দেখে, বস্তায় ভর্তি কয়লা। পরপর ছটি গাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় প্রায় ১২ টন কয়লা। শুক্রবার গভীর রাতে ওই কয়লা বাজেয়াপ্ত হয়েছে বীরভূমের (Birbhum) সদাইপুর থানার রেঙ্গুনি গ্রামের রাস্তা থেকে। ছটি গাড়ি ভর্তি কয়লা কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    কয়লা পাচার…

    পুলিশ জানিয়েছে, দুবরাজপুরের সালুঞ্চি গ্রাম থেকে সদাইপুর এলাকা হয়ে সিউড়ির দিকে যাচ্ছিল ৬টি মোষের গাড়ি। সূত্র মারফত খবর পেয়ে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, মোষের গাড়িগুলিতে কয়লা বোঝাই রয়েছে। সেই মতো রেঙ্গুনি গ্রামের রাস্তায় ওত পেতেছিল পুলিশ। গাড়িগুলি ওই এলাকায় আসতেই সেগুলিকে আটক করা হয়। বাজেয়াপ্ত হয় কয়লা।

    এদিকে, কয়লা পাচার করতে গিয়ে মহম্মদবাজার থানার পুলিশের হাতে ধৃত এক ট্রাক চালক। ভুয়ো চালান কেটে ইসিএলের খনি থেকে কলয়া পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, ট্রাক চালক যে চালান দেখান, তাতে মুর্শিদাবাদের এক ব্যক্তির নাম ছিল। যদিও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, এই কয়লা তাঁর নয় বলে পুলিশকে জানিয়ে দেন ওই ব্যক্তি। পরে অবশ্য ওই কয়লা ঝাড়খণ্ডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে স্বীকার করেন ট্রাক চালক। এর পরেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুুন: বেনামি অ্যাকাউন্টে নথি কার? গরুপাচার কাণ্ডে আরও ঘনীভূত রহস্য

    এর আগেও বীরভূমের বিভিন্ন এালাকায় কয়লা পাচারের অভিযোগ উঠেছে। লরি, পিকআপ ভ্যানের পাশাপাশি মোষের গাড়ি মায় বাইকে করেও কয়লা পাচারের অভিযোগ উঠেছে। কয়লা পাচারকে কেন্দ্র করে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করছে ইডি, সিবিআই। গ্রেফতার করা হয়েছে অনেককে। তার পরেও রাশ টানা যায়নি কালো হীরে পাচারে। বীরভূম রয়েছে বীরভূমেই!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

     

  • Egyptian President: মিশরের এসইজেড-এ ডেডিকেটেড ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া পেতে পারে ভারত!

    Egyptian President: মিশরের এসইজেড-এ ডেডিকেটেড ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া পেতে পারে ভারত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়াদিল্লির (New Delhi) সভাপতিত্বে সাফল্য লাভ করবে আসন্ন জি-২০ (G20) বৈঠক। একথা জানিয়েছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট (Egyptian President) আবদেল ফতে এল সিসি। বিবৃতি জারি করে এ কথা জানিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। এবারের ৭৪তম প্রজাতন্ত্র দিবসে নয়াদিল্লিতে উপস্থিত ছিলেন মিশরের প্রেসিডেন্ট। তিনিই ছিলেন প্রধান অতিথি। বুধবার তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে বৈঠকও করেন। জানা গিয়েছে, সুয়েজ ক্যানাল ইকনোমিক জোনে ভারতীয় কারখানাগুলিকে জায়গা দেওয়া যায় কিনা, মিশরের তরফে তা বিবেচনা করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ভারতকে এজন্য মাস্টারপ্ল্যান করতেও বলা হয়েছে। মিশরের তরফে ভারত থেকে আরও বেশি লগ্নি আহ্বান করা হয়েছে। লগ্নিকারীদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে মিশরের তরফে।  

    জি ২০…

    জি ২০তে ভারতের সভাপতিত্ব চলাকালীন দুই দেশ এক সঙ্গে কাজ করবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট। জি ২০তে গ্লোবাল সাউথের ওপর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবেও বলেও জানান তিনি। মিশরের প্রেসিডেন্টের আগমন ও বৈঠক নিয়ে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি ট্যুইট-বার্তায় বলেন, মিশরের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব গভীর। এশিয়ার সঙ্গে আফ্রিকাকে সংযুক্তকারী প্রাকৃতিক সেতু হল মিশর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রেসিডেন্ট আল সিসি ভারত ও মিশরের মধ্যে সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার লক্ষ্যে আলোচনা করেছেন। দুই দেশ সভ্যতা, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ। প্রসঙ্গত, এর আগেও দুবার ভারতে এসেছেন আল সিসি। একবার ২০১৫ সালে এবং পরের বার ২০১৬ সালে।

    প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডের পর সিসিকে (Egyptian President) ঘরোয়া অনুষ্ঠানে স্বাগত জানানো হয় রাষ্ট্রপতি ভবনে। তাঁকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু স্বয়ং। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিশিষ্টরা।

    এদিন দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরিত হয়েছে। যুব সমাজের উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন, প্রযুক্তি ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা, জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের সম্প্রচারে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং সাইবার সুরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তিও হয়েছে দুই দেশের।

    আরও পড়ুুন: মার্কিন অভিযানে সোমালিয়ায় খতম ইসলামিক স্টেটের অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার বিলাল

    দুই দেশের তরফে জারি করা হয়েছে যৌথ বিবৃতিও। তাতে বলা হয়েছে, ভারত ও মিশর (Egyptian President) দুই দেশই বহুপাক্ষিকতা, রাষ্ট্রসংঘের চার্টারের নীতি, আন্তর্জাতিক আইন, জোট নিরপেক্ষতা এবং সমস্ত রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি বজায় রাখতে আগ্রহী। দুই দেশের প্রেসিডেন্টই শান্তি এবং সহবত বজায় রাখার পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন বলেও যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Kuntal on Partha: ১৫ কোটি টাকা নিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়! ইডির জেরায় বিস্ফোরক কুন্তল ঘোষ

    Kuntal on Partha: ১৫ কোটি টাকা নিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়! ইডির জেরায় বিস্ফোরক কুন্তল ঘোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডির জেরায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বয়ান দিলেন কুন্তল ঘোষ (Kuntal on Partha)। পার্থর বিরুদ্ধে ১৫ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন,  প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সব টাকার হিসেব বুঝে নিতেন আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার কুন্তল ঘনিষ্ঠ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ৮ ঘণ্টা জেরা করেছে ইডি।

    কী জানা গেল? 

    ইডিসূত্রে জানা গিয়েছে, জেরার মুখে কুন্তল ঘোষ (Kuntal on Partha) জানিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী নিয়োগের জন্য টাকা নিতেন। অর্থাৎ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগের সত্যতা আরও একবার প্রমাণিত হল। অভিষেক ঘনিষ্ঠ এই তৃণমূল যুব কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে ৩০ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এদিকে কুন্তল ঘোষ দাবি করেছেন, তাঁর কাছ থেকে ৩০ কোটি টাকা আধিকারীকরা হিসেব করে নিয়ে  যেতেন। ইডি জেরার মুখে তৃণমূলের এই যুবনেতা দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার আর্থিক লেনদেন ছিল। শুধু তাই নয়, পার্থর সেক্রেটারির হাত দিয়ে তিনি ১৫ পাঠিয়েছিলেন বলেও দাবি করেন।

    উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিধাননগর হাসপাতালে কুন্তল ঘোষকে (Kuntal on Partha) নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। সেই সময় সাংবাদিকদের কুন্তল বলেন, বড় মাথা ধরা পড়বে। তিনি আরও দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আকাশ ছোঁয়া ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কিন্তু কে সেই ষড়যন্ত্র করেছেন তা নিয়ে কোনও মন্তব্য তিনি করেননি। গতকাল কুন্তল ঘোষের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাড়ে ৮ ঘণ্টা জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। কুন্তলের বাড়িতে তল্লাশি দিনেই শান্তুন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ইডি।

    ইডির জেরায় একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করে গিয়েছেন একদা মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল। তিনিই প্রথম কুন্তল ঘোষের (Kuntal on Partha) নাম উল্লেখ করেন। তাপসের দাবি, চাকরি দেওয়ার নাম  করে ৩০ কোটি টাকা নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা কুন্তল ঘোষ। তাঁর আরও দাবি, নীলাদ্রি নামে এক জনের কাছে সেই টাকা রাখতে দেওয়া হয়েছিল। কুন্তল ঘোষের ঘর থেকে উদ্ধার কালো ডায়রিতেও টাকার হিসেব লেখা রয়েছে। সাঙ্কেতিয় ভাষায় লেখা রয়েছে কার কাছে কত টাকা তিনি নিয়েছেন। সেই  সাঙ্কেতিক নাম গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: ‘বাংলাকে পথ দেখাচ্ছে শুভেন্দু’, ছেলেকে সার্টিফিকেট বাবা শিশিরের

    এরপরেই গ্রেফতার হন কুন্তল ঘোষ (Kuntal on Partha)। কুন্তলের পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় আর এক যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকেও। তাপস মণ্ডলই প্রথম কুন্তলের নাম সামনে এনেছিলেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, তিনি শুনেছেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি নেতাদের ধরে বাঁচার চেষ্টা করছেন। সেটা সম্ভব নয় বলে সাফ বার্তা দিয়েছেন সুকান্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • C V Ananda Bose: আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক! দিল্লি গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস

    C V Ananda Bose: আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক! দিল্লি গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শুক্রবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে আলোচনার কথা রয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা অধুনা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) সঙ্গেও সাক্ষাত হতে পারে নয়া রাজ্যপালের। বৃহস্পতিবার বিকেলে হাতেখড়ি অনুষ্ঠান হয় রাজভবনে (rajbhawan)। এরপর রাতে দিল্লি যান রাজ্যপাল (Governor) সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। বিশ্বস্ত সূত্রে খবর,পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুয়ায়ীই রাজ্যপাল দিল্লি গিয়েছেন। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষবর্ধনের এক পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। 

    শুভেন্দুর সমালোচনা

    বৃহস্পতিবার, রাজভবনের প্রতীকী হাতেখড়ি অনুষ্ঠানের সমালোচনা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আমন্ত্রণ থাকা সত্ত্বেও এই অনুষ্ঠানে যাননি তিনি। তাঁর কথায়, “সরকার ভালো করলে রাজ্যপাল অবশ্যই সাথ দেবেন। কিন্তু, রাজ্যের নাটুকে মুখ্যমন্ত্রী (CM) রাজ্যপালকে বিপথে পরিচালিত করছেন। এই জায়গা থেকে রাজ্যপালের সরে আসা উচিত। আমি তাঁকে অনুরোধ করতে পারি। নির্দেশ তো দিতে পারি না। শুনলাম উনি দিল্লি যাচ্ছেন। নিশ্চয় অনেকের সঙ্গে কথা হবে। তাঁরাও হয়তো রাজ্যপালকে বলবেন । শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, রাজ্যপালের সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী জয়বাংলা স্লোগান লিখে দিয়েছেন। তিনি বলেন, রাজ্যপাল অত্যন্ত ভালো মানুষ। তাঁর সরলতার সুযোগ নিচ্ছেন এই মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপালের কাছে অনুরোধ, অবিলম্বে সচিবালয় পরিষ্কার করুন।”

    বাংলায় হাতেখড়ি রাজ্যপালের

    বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ছিলেন রাজ্যপাল। সকালে রেড রোডে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। এরপরই বিকেলে রাজভবনে ছিল বিশেষ অনুষ্ঠান। প্রজাতন্ত্র দিবসের বিকেলে চা-চক্র থাকে রাজভবনে। এবারও তার অন্যথা হয়নি। তবে এই চা-চক্রকে অন্য মাত্রা দেয় রাজ্যপালের বাংলা ভাষার হাতেখড়ি অনুষ্ঠান। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও শাসকদলের প্রতিনিধিরা ছিলেন। ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, বিজেপির তথাগত রায়, রাজ্যের একাধিক ক্ষেত্রে সফল ব্যক্তিত্বরা। ছিলেন আর্মির আধিকারিকরা। তিন শিশুর হাত ধরে বাংলায় হাতেখড়ি হয় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। এদিনের অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে বাংলায় কথাও বলেন রাজ্যপাল বোস।

    আরও পড়ুুন: জীবন কাটছে জেলখানায় বন্দিদের মতো! চিনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের কী অবস্থা জানেন?

    রাজভবনের অনুষ্ঠানে এদিন আমন্ত্রিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তাঁকেও রাজভবনে দেখা যায়নি। তিনি জানিয়েছেন, বালুরঘাটে সরস্বতী পুজোয় মেয়ের হাতেখড়িতে ছিলেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও এই অনুষ্ঠানের কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘হাতেখড়ি তো বাচ্চাদের হয়। ঠাকুরের সামনে পুরোহিত হাতেখড়ি দেন। এখন হঠাৎ কার, কেন, কার সামনে হাতেখড়ি হচ্ছে, আমি বলতে পারব না। আর প্রথমেই ভুল মাস্টার ধরলে ভুলই শিখতে থাকবেন!’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Padma Shri: গরিবের ‘ক্যাপ্টেন ডাক্তার’! পদ্মশ্রী পেলেন জব্বলপুরের ২০ টাকার চিকিৎসক

    Padma Shri: গরিবের ‘ক্যাপ্টেন ডাক্তার’! পদ্মশ্রী পেলেন জব্বলপুরের ২০ টাকার চিকিৎসক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে প্রায়ই শুনতে পাওয়া যায় চিকিৎসকদের দায়িত্ব জ্ঞানহীনতা, অর্থ লোভের কাহিনী। এরই মধ্যে ব্যতিক্রমও রয়েছেন কেউ কেউ। এক চিকিৎসক রয়েছেন, তাঁকে এককথায় ঈশ্বরই বলা চলে। যেখানে কিছু চিকিৎসক এমন রয়েছেন, টাকা ছাড়া চিকিৎসাই করেন না, সেখানে এমন একজনও রয়েছেন, যিনি দিনের পর দিন মাত্র ২০ টাকাতেই চিকিৎসা করে চলেছেন। কেউ কেউ আবার সামান্য ২০ টাকা দিতেও পারেন না। কিন্তু তাতেও কোনও আপত্তি নেই এই ডাক্তারবাবুর। তাঁদেরকে বিনামূল্যেই চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তাঁকেই আজ পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত করল কেন্দ্রীয় সরকার। তিনি হলেন ডা. এম সি দাওয়ার।

    গরিবের ডাক্তারবাবু এবার পেলেন পদ্মশ্রী

    এখন বয়স ৭৭। রোগী দেখা শুরু করেছিলেন মাত্র দুই টাকা দিয়ে। পরিস্থিতির চাপে তা সামান্য বাড়াতে হয়েছিল। তাও সেটা সামান্য। দুই টাকার পরিবর্তে সেটা বাড়িয়ে করেন ২০ টাকা। চেম্বার খোলার আগেই রোগীগের লম্বা লাইন পড়ে যায়। এবারের পদ্ম সম্মান প্রাপকদের তালিকায় তাঁরও নাম রয়েছে। আসন্ন স্বাধীনতা দিবসে বাকিদের সঙ্গে তিনিও গ্রহণ করবেন পদ্ম সম্মান।

    আরও পড়ুন: জীবন কাটছে জেলখানায় বন্দিদের মতো! চিনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের কী অবস্থা জানেন?

    ডাক্তার আদতে পাক পাঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন। অবিভক্ত স্বাধীন ভারতে ১৯৪৬-য়ের ১৬ জানুয়ারি তাঁর জন্ম। দেশ ভাগের পরে পরিবার নিয়ে চলে আসেন। বর্তমানে মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে বাড়ি ডা. এম সি দাওয়ারের। তাঁকে চেনেন না এমন কোনও লোক নেই সেই জেলায়। পাড়ার লোকজন বলেন, ‘ক্যাপ্টেন ডাক্তার’। কারণ একসময় ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে ভারত-পাক যুদ্ধে ভারতীয় বাহিনীর হয়ে লড়াই করেছিলেন। সেনা ক্যাম্পের ডাক্তারও ছিলেন। ১৯৭২ সাল থেকে নিজের চেম্বার খোলেন সাধারণ মানুষের জন্য। সেই সময় তাঁর ফি ছিল ২ টাকা। এখন হয়েছে ২০ টাকা। দিতে না পারলেও আপত্তি নেই। ডাক্তারবাবুর সাফ কথা, “মানুষটা তো আগে বাঁচুক।”

    পদ্মশ্রীতে ভূষিত হওয়ার পরে, ডা. দাওয়ার সংবাদমাধ্যমে বলেন, “কঠোর পরিশ্রম ফল দেয়, এমনকি দেরি হলেও। এটি তারই ফল এবং এটি মানুষের আশীর্বাদ যে আমি এই পুরস্কার পেয়েছি।” নিজের জীবনের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “এত কম পারিশ্রমিক নেওয়ার বিষয়ে অবশ্যই বাড়িতে আলোচনা হয়েছিল, তবে এটি নিয়ে কোনও বিতর্ক ছিল না। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল জনগণের সেবা করা, তাই ফি বাড়ানো হয়নি। সাফল্যের মূল মন্ত্র হল আপনি যদি ধৈর্য ধরে কাজ করেন তবে আপনি অবশ্যই সাফল্য পাবেন এবং সাফল্যও সম্মানিত হবে।”

LinkedIn
Share