Blog

  • Whatsapp: ইউজাররা সাবধান! হ্যাক করা হতে পারে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ

    Whatsapp: ইউজাররা সাবধান! হ্যাক করা হতে পারে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খবরের শিরোনামে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp)। তবে এবার শিরোনামে এসেছে ভিন্ন কারণে। সম্প্রতি মেটা (Meta) কোম্পানি তার ওয়েবসাইটে হোয়াটসঅ্যাপের পুরানো ভার্সানে গুরুতর নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেছে। পূর্বে ইনস্টল করা অ্যাপটিকে কোম্পানি আপডেট করার কথা বলেছে।

    আরও পড়ুন: এবার হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো ভুল মেসেজ ‘এডিট’ করা যাবে! শীঘ্রই আসছে নয়া ফিচার

    হোয়াটসঅ্যাপ তার সিক্যুইরিটি অ্যাডভাইসারি (Advisory) পেজে সর্বপ্রথম এই দুর্বলতার কথা জানায় সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিকে। হোয়াটসঅ্যাপের তরফে আরও জানানো হয়েছিল, অ্যান্ড্রয়েডের (Android) জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ভার্সন v2.22.16.12, অ্যন্ড্রয়েড ফর বিজনেস হোয়াটসঅ্যাপ ভার্সন v2.22.16.12″, আইওএস-এর জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ভার্সন v2.22.16.12 এবং বিজনেস ফর আইওএস ভার্সন v2.22.16.12-এ রিমোট কোড এক্সিকিউশনে হ্যাকাররা দূর থেকে কারও কম্পিউটিং ডিভাইসে কমান্ড চালাতে পারে। এবং শেষে ডিভাইসের দায়িত্বও নিতে পারে। ব্যবহারকারীদের সমস্ত ব্যক্তিগত ডেটাও অ্যাক্সেস করতে পারে।

    আরও পড়ুন: ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করেন? আপনার জন্য আসছে বিশেষ সুবিধা 

    মেটা আরও জানিয়েছে, তারা তাদের লেটেস্ট অ্যাপে এই সমস্যাগুলির সমাধান করেছে। তাই ব্যবহারকারীদের অ্যাপটি আপডেট করতে বলা হয়েছে। যদি আপনার হ্যান্ডসেটটিতে অ্যাপটি নিজে থেকে আপডেট না হয়, তাহলে অ্যাপেল ব্যবহারকারীরা অ্যাপেল স্টোর থেকে আপডেট করতে পারেন। আর অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা গুগুল প্লে (Google Play store) স্টোরে গিয়ে আপডেট করতে পারবেন।

    আরও পড়ুন:সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও! এই পরিস্থিতিতে কী করা উচিত? 

    নতুন ভার্সনে নয়া বৈশিষ্ট্যটি হল কল লিঙ্ক। সর্বশেষ কল লিঙ্ক বৈশিষ্ট্যটি চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবহারকারীদের কেবল কল ট্যাবের মধ্যে উপলব্ধ ‘কল লিঙ্কস’(Call links) অপশন ট্যাপ করতে হবে। পরে অডিও বা ভিডিয়ো কলের (Video call) জন্য একটি লিঙ্ক তৈরি করতে হবে। এ ভাবে পরিবার ও  বন্ধুদের সঙ্গে সহজেই ভাগ করে নেওয়া যাবে ভিডিও দেখার মজা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • US Visa: জয়শঙ্কর এফেক্ট! ভারতীয়দের জন্য ১ লক্ষ ভিসা স্লট খুলছে আমেরিকা, কমবে অপেক্ষাও

    US Visa: জয়শঙ্কর এফেক্ট! ভারতীয়দের জন্য ১ লক্ষ ভিসা স্লট খুলছে আমেরিকা, কমবে অপেক্ষাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে ছাত্র ভিসার ইন্টারভিউ শুরু করতে চলেছে মার্কিন প্রশাসন। মার্কিন দূতাবাস বিষয়ক মন্ত্রী ডন হেফালিন। এছাড়াও সামনের কিছু সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ১০০০০০ ভিসা স্লটও খুলবে। মূলত যারা প্রথমবার ভিসার আবেদন করবেন এই ভিসাগুলি তাদের জন্য। একটি ট্যুইটে হেফলিন জানান, যারা কোভিডের সময় থেকে এই দেশে পড়ে রয়েছেন নিজের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখেই এই সিদ্ধান্ত। একটি ট্যুইটে হেফলিন জানান, যারা কবিদের সময় থেকে এই দেশে পড়ে রয়েছেন নিজের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখাতেই এই সিদ্ধান্ত।   

    আরও পড়ুন: ভারতীয়দের মার্কিন ভিসা পেতে এত দেরি হচ্ছে কেন? ব্লিঙ্কেনকে প্রশ্ন জয়শঙ্করের   

     

    মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে এও জানানো হয়েছে যে ভিসার জন্য অপেক্ষার সময় কাল কম করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মূলত যারা ব্যবসা এবং টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করেছেন তারা খুব তাড়াতাড়ি অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাবেন। এই মুহূর্তে ভিসাগুলির জন্য অপেক্ষার সময়কাল ৮০০ দিনেরও বেশি। ভিসার জন্য নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে ইন্টারভিউ শুরু করবে দূতাবাস। চলবে ডিসেম্বর পর্যন্ত। এফ এবং এমজে ভিসার আবেদনকারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।     

    সম্প্রতি মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের (Antony Blinken) সঙ্গে এক বৈঠকে ভিসা প্রসঙ্গ তোলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।  যেখানে পাকিস্তান বা চিন ১-২ দিনেই মার্কিন ভিসা (US Visa) পেয়ে যাচ্ছে, সেখানে ভারতীয়দের ৮০০- রও বেশি দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে কেন? এই প্রশ্ন করেন জয়শঙ্কর। এর উত্তরে মার্কিন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করকে আশ্বস্ত করে বলেন এই সমস্যার দ্রুত সমাধান পরিকল্পনা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর তারপরেই মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত সামনে এল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Partha Chatterjee: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে মাস্টারমাইন্ড পার্থই, কী বলছে সিবিআই চার্জশিট?

    Partha Chatterjee: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে মাস্টারমাইন্ড পার্থই, কী বলছে সিবিআই চার্জশিট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) তদন্ত এগোচ্ছে দ্রুত গতিতে। ৫১ দিনের মধ্যেই আদালতে চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। চার্জশিটে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) সহ ১৬ জনের নাম রয়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা, সমরজিৎ আচার্য, প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার, অশোক কুমার সাহা, অ্যাডহক কমিটির সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়দের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
    এই মামলায় আগেই আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছিল ইডি। যেখানে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেই শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ দুর্নীতির মূল পাণ্ডা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সিবিআইয়ের চার্জশিটেও স্পষ্ট, এই কেলেঙ্কারির মূল হোতা পার্থই।

    আরও পড়ুন : পার্থ-অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! এসএসসি মামলায় চার্জশিট পেশ ইডি-র

    তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে এমনই সব তথ্য, যা রোমহর্ষক গল্পকেও হার মানাবে। সুচারুভাবে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ দুর্নীতির জাল বিছানো হয়েছিল। সেই ফাঁদে পা দিয়ে অনেক ছাত্র-ছাত্রী সর্বসান্ত হয়েছেন। যাঁরা অর্থের বিনিময়ে বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন, তাঁরা আরও বিপাকে। সিবিআইয়ের দাবি, কোন কাজ কে কীভাবে করবে, কীভাবে একজন বৈধ চাকরিপ্রার্থীর জায়গায় বেআইনিভাবে অন্যজনকে অর্থের বিনিময়ে মেরিট লিস্টে জায়গা করে দেওয়া হবে, কীভাবে বদলে ফেলা হবে প্রাপ্ত নম্বর, কীভাবে এজেন্টের মাধ্যমে টাকা তোলা হবে, সব কিছুই নাকি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মস্তষ্কপ্রসূত। আর এই দুর্নীতির সঙ্গে ওতপ্রতোভাবে জড়িয়ে পড়েছিল এসএসসির উপদেষ্টা কমিটিও।

    আরও পড়ুন: বোনকে চাকরি, স্ত্রীর নামের শেয়ারও অর্পিতাকে দেন পার্থ! চার্জশিটে দাবি ইডির

    উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ২৩ জুলাই নাকতলার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে ইডি (ED)। শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তারপর একে একে গ্রেফতার হন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়রা। আপাতত প্রত্যেকেই জেলে রয়েছেন। বেশ কয়েকবার জামিনের আবেদন করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। কিন্তু আদালত সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পার্থ-অর্পিতাদের জেল হেফাজতেই থাকতে হবে। ইতিমধ্যেই ইডি জানিয়েছে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অঙ্ক ১৫০ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • S Jaishankar: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদে ভারতকে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না, সাফ জানালেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদে ভারতকে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না, সাফ জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) স্থায়ী সদস্য হওয়া খুব সহজ নয়। তবে ভারতের (India) মতো শক্তিকে চিরকাল উপেক্ষা করাও যাবে না। বুধবার সাফ জানালেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার সব রকম যোগ্যতাও ভারতের রয়েছে বলেও জানিয়ে দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। নিরাপত্তা পরিষদের পুনর্গঠনের জন্য ভারত যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন জয়শঙ্কর।

    পনের সদস্য দেশ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বিশ্বের পাঁচ শক্তিশালী দেশ চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা এবং ব্রিটেন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন, নতুন দেশের অন্তর্ভুক্তি বা মহাসচিব প্রার্থীর নিয়োগে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই স্থায়ী সদস্যদের। নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান অস্থায়ী সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, আলবানিয়া, ঘানা, কলম্বো, আয়ারল্যান্ড, কেনিয়া, মেক্সিকো এবং নরওয়ে। ভারতও নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম অস্থায়ী সদস্য। ভারতের স্থায়ী সদস্য হওয়ার পক্ষে একাধিকবার সওয়াল করেছে আমেরিকাও। ভারতের হয়ে সম্প্রতি সওয়াল করেছে রাশিয়াও। তবে প্রতিবারই চিনের ভেটো প্রয়োগের জেরে ভারতকে থেকে যেতে হয়েছে অস্থায়ী সদস্য হয়েই।এই অস্থায়ী সদস্যরা নির্বাচিত হন দু বছরের জন্য।

    আরও পড়ুন : ভারতকে নিশানা করে মিথ্যা অভিযোগ! নিরাপত্তা পরিষদে ফাঁস হল পাকিস্তানের দ্বিচারিতা

    এদিন জয়শঙ্কর বলেন, আমরা কখনওই ভাবি না যে রাষ্ট্রসংঘের স্থায়ী সদস্য হওয়া সহজ। তবে আমরা এটাও বিশ্বাস করি, এর সংস্কার প্রয়োজন। আমাদের চিরকাল ঠেকিয়ে রাখা যাবে না। তিনি বলেন, রাষ্ট্রসংঘের সংস্কার প্রয়োজন বলে সম্প্রতি জানিয়েছিল আমেরিকাও। কেবল রাষ্ট্রসংঘ নয়, তার নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার সাধনও প্রয়োজন। ভারতীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, এটা কোনও একটি দেশের দায়িত্ব নয়, সে দেশ যতই শক্তিশালী হোক না কেন। আমি মনে করি, এটি একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা যা সফল করতে হবে রাষ্ট্রসংঘের স্থায়ী সদস্যদের। সংস্কার সাধনের চেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। কোথা থেকে বাধা আসছে, তা আপনারা জানেন।

    বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশের তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত। কয়েক বছরের মধ্যেই ভারতের স্থান হবে ওই তালিকার তিন নম্বরে। সেই কারণেই ভারতকে উপেক্ষা করা সম্ভব নয় বলেই মনে করেন জয়শঙ্কর।

     

     

  • RBI: ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাংক, কত হল জানেন? 

    RBI: ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাংক, কত হল জানেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিলে গেল বাজার বিশেষজ্ঞদের ভবিষ্যদ্বাণী! গত সপ্তাহেই তারা জানিয়েছিল, চলতি সপ্তাহে রেপো রেট (REPO Rate) বাড়াতে পারে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। রেপো রেট বাড়ানো হতে পারে ৫০ বেসিস পয়েন্ট। দেশের শীর্ষ ব্যাংকের পলিসি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত স্থগিত ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার পর্যন্ত। বাজার বিশেষজ্ঞদের অনুমাণ সত্যি প্রমাণ হল এদিন। শুক্রবারই রিজার্ভ ব্যাংক রেপো রেট বাড়াল ৫০ বেসিস পয়েন্ট। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, অস্থির বাজারের কথা মাথায় রেখেই এটা করা হয়েছে বলে অর্থনীতিবিদদের একাংশের অভিমত।

    রেপো রেট হল যে হারে কোনও দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, ভারতের ক্ষেত্রে রিজার্ভ ব্যাংক তহবিলের কোনও ঘাটতি হলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলিকে অর্থ ঋণ দেয়। এদিন দেশের শীর্ষ ব্যাংকের মানিটারি পলিসি কমিটির বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই সদস্যদের মধ্যে পাঁচজন রেপো রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর পক্ষে ভোট দেন। কেবল রেপো রেট নয়, ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফেসিলিটিও। ৫.৬৫ শতাংশ থেকে মার্জিনাল স্ট্যান্ডিং ফেসিলিটি বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬.১৫ শতাংশ।

    আরও পড়ুন :ফের রেপো রেট বাড়াতে চলেছে রিজার্ভ ব্যাংক?

    চলতি বছরে মে মাস থেকে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কী পলিসি রেট (Key Policy Rate) বাড়িয়েছে ১৪০ বেসিস পয়েন্ট। এদিন মানিটারি পলিসি কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মোট ছ জন। এর মধ্যে রিজার্ভ ব্যাংকের তিনজন সদস্য  এবং বাইরের তিন সদস্য। তার মধ্যে পাঁচজনই ভোট দেন রেপো রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর পক্ষে।

    প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে গোটা বিশ্বেই জাঁকিয়ে বসেছে মুদ্রাস্ফীতি। এই যুদ্ধের প্রভাব যে বিশ্ব অর্থনীতিতে পড়বে, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভাষণ দিতে গিয়ে কিছুদিন আগেই তা জানিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেটা যে নিছকই কথার কথা ছিল না, তা বোঝা গিয়েছিল মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সুদ বৃদ্ধিতে। কেবল আমেরিকার শীর্ষ ব্যাংকই নয়, বেলাগাম মুদ্রাস্ফীতির রাশ টানতে উদ্যোগী হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ ব্যাংকগুলোও। তখনই বাজার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, চলতি সপ্তাহে রেপো রেট বাড়াতে পারে ভারতের শীর্ষ ব্যাংক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • S Jaishankar: ভারতীয়দের মার্কিন ভিসা পেতে এত দেরি হচ্ছে কেন? ব্লিঙ্কেনকে প্রশ্ন জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ভারতীয়দের মার্কিন ভিসা পেতে এত দেরি হচ্ছে কেন? ব্লিঙ্কেনকে প্রশ্ন জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যেখানে পাকিস্তান বা চিন ১-২ দিনেই মার্কিন ভিসা (US Visa) পেয়ে যাচ্ছে, সেখানে ভারতীয়দের ৮০০- রও বেশি দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে কেন? মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের (Antony Blinken) সঙ্গে এক বৈঠকে এই প্রশ্ন করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এর উত্তরে মার্কিন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করকে আশ্বস্ত করে বলেন এই সমস্যার দ্রুত সমাধান পরিকল্পনা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইট  অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে ভারতীয়দের ভিসা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয় ৮৪৮ দিন, বিশেষ ক্ষেত্রে সেই সময়কাল ৪০০ দিন। সেখানে পাকিস্তানকে ভিসা দেওয়া হয় ৪৫০ দিনে এবং চিনকে ২ দিনে। ভারতীয়দের স্টুডেন্ট ভিসার জন্যে অপেক্ষা করতে হয় ৪৩০ দিন। পাকিস্তানিরা স্টুডেন্ট ভিসা এক দিনেই পেয়ে যায় এবং চিন পায় ২ দিনে। 

    আরও পড়ুন: স্পষ্ট বচন! জয়শঙ্করের এই ‘পঞ্চবাণে’ বিদ্ধ আমেরিকা
     
    মঙ্গলবার মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে জয়শঙ্করের এক আলোচনায় ভিসার সমস্যার বিষয়টি উঠে আসে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, “দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভিসা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।” ভিসা সংক্রান্ত সমস্যা মোকাবিলায় সব রকমের সাহায্যে আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।    

    এ বিষয়ে ব্লিঙ্কেন বলেন, “এটি অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি বিষয়। দ্রুত এর সমাধান হওয়া প্রয়োজন। ভিসা সংক্রান্ত সমস্যা মূলত অতিমারির কারণে হয়েছে।” ২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনার সময় বিশ্বজুড়ে ভিসা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল এটি মূলত তারই ফল। ব্লিঙ্কেন এদিন আরও বলেন, “আমি ভিসা ইস্যুতে খুবই সংবেদনশীল। এই সমস্যা সমাধানের পরিকল্পনা রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: একপেশে সংবাদ পরিবেশন! মার্কিন মিডিয়াকে একহাত নিলেন জয়শঙ্কর

    বিদেশের দক্ষ প্রযুক্তি কর্মীদের H-1B ভিসা দেয় যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন। এর মধ্যে ৭০%- ই পায় ভারতীয়রা। জয়শঙ্কর এদিন বলেন, “কিছু সমস্যা ছিল তা নিয়ে আমি মার্কিন বিদেশমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমি নিশ্চিত যে তাঁরা এই সমস্যাগুলির গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Partha Chatterjee: গতবছর ছিলেন মঞ্চ আলোকিত করে, এবার গোটা পুজোয় গারদের অন্ধকারেই ‘অ-পা’

    Partha Chatterjee: গতবছর ছিলেন মঞ্চ আলোকিত করে, এবার গোটা পুজোয় গারদের অন্ধকারেই ‘অ-পা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আনন্দ মাটি হয়ে গেল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল (TMC) নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)! একই হাল তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়েরও (Arpita Mukherjee)। কারণ দুজনেরই বেড়েছে জেল হেফাজতের (Jail Custody) মেয়াদ। একদিন, দুদিন নয়, সেই ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পার্থ-অর্পিতাকে থাকতে হবে গারদে। বুধবার বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালতের বিচারক এই নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে পার্থ এবং অর্পিতাকে জেলে গিয়ে জেরা করার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে।

    এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে গিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়! বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছে পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে। এর পরেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির হাতে গ্রেফতার হন পার্থ-অর্পিতা। জুলাই মাসের ২৩ তারিখে গ্রেফতার হন পার্থ। তার পর থেকে এখনও মেলেনি জামিন। যে কোনও শর্তের বিনিময়ে জামিন পাওয়ার আবেদন করেছিলেন তিনি। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সেই আবেদনে কর্ণপাত করেননি বিচারক। তাই মেলেনি জামিন।

    বুধবার ভার্চুয়ালি আদালতে পেশ করা হয় পার্থ-অর্পিতাকে। আদালতে পার্থ জানান, তাঁকে অপ্রয়োজনে আটকে রাখা হয়েছে। তাঁর কেরিয়ারের কথাও বিচারককে জানান। অর্পিতার তরফে অবশ্য জামিনের আবেদন করা হয়নি। পার্থ এবং অর্পিতার জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়ে করা হয় ৩১ অক্টোবর। যার অর্থ দু্র্গাপুজো তো বটেই, কালীপুজো, ভাইফোঁটা মায় বাঙালির চলতি মাসের সব উৎসবই জেলের অন্ধকার কুঠুরিতে কাটাতে হবে পার্থ অর্পিতাকে। জামিনের আবেদন না করলেও, এদিন মায়ের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি চান অর্পিতা। বিচারক তাঁর সেই আবেদন মঞ্জুর করেন। তিনি যাতে তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা বলতে পারেন, সেজন্য আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেয় আদালত।

    আরও পড়ুন : বিজেপির নবান্ন অভিযানে ‘অশান্তি’, সিবিআই তদন্তের দাবি অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্টে

    এদিকে, এদিন ইডির আইনজীবী আদালতে জানান, দুর্নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত সম্পত্তির পরিমাণ ইতিমধ্যেই দেড়শো কোটি পেরিয়ে গিয়েছে। তাঁর দাবি, প্রতিদিন প্রায় ৪০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মিলছে। গরু পাচারকাণ্ডে জেলে রয়েছেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। পার্থর মতোই পুজোটা তাঁরও কাটবে গারদে। তবে যে দলের নেতা তাঁরা, সেই তৃণমূল কংগ্রেসের পদাধিকারীরা বেড়াচ্ছেন পুজো উদ্বোধন করে।

    বিধি বাম হলে কি এমনই হয়!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • PFI: হিন্দু নেতাদের হত্যা থেকে হাওয়ালা কারবার! কী কী করত পিএফআই, জানেন?

    PFI: হিন্দু নেতাদের হত্যা থেকে হাওয়ালা কারবার! কী কী করত পিএফআই, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরেই অবৈধ কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিল সদ্য নিষিদ্ধ পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (Popular Front of India) ও তার অনুমোদিত বিভিন্ন সংস্থা। সম্প্রতি দেশজুড়ে পিএফআইয়ের (PFI) বিভিন্ন ডেরায় হানা দিয়েছে এনআইএ (NIA)। গ্রেফতার করা হয়েছে প্রচুর পিএফআই সদস্যকে। তার পরেই প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

    আগামী পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে পিএফআইকে। তদন্তকারী সংস্থাগুলি জানতে পেরেছে, পিএফআই একটি হিংসাত্মক সংগঠনে পরিণত হয়েছিল। এই সংগঠন জঙ্গি কার্যকলাপে মদত দিত, হাওয়ালায় টাকা ঢালত, দেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘৃণার পরিবেশও সৃষ্টি করত এই নিষিদ্ধ সংগঠন। তদন্তকারীরা এও জেনেছেন, পিএফআই বেশ কয়েকজন হিন্দু নেতাকেও হত্যা করেছ।

    বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মন্ত্রক বিশ্বাস করে পিএফআই এমন একটি সংগঠন যার সদস্যরা দেশে বিভিন্ন হিংসামূলক এবং অবৈধ কাজকর্মে লিপ্ত। সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মেও যুক্ত এই সংগঠনের সদস্যরা। দেশের ১৭টি রাজ্যে পিএফআই ও তাদের অনুমোদিত সংগঠনের উপস্থিতির কথাও প্রকাশ্যে এসেছে। ডশিয়ারে বলা হয়েছে, পিএফআই তার ক্যাডারদের শান্তি এবং দেশের ঐক্য বিনষ্ট করে এমন কাজকর্ম করতে উৎসাহ জোগাত। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে এমন কাজ করতেও উৎসাহ জোগাত। দেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র নষ্ট করার চেষ্টাও করত এই সংগঠন। সেই কারণেই ইউএপিএতে ব্যান করা হয়েছে এই সংগঠনকে।

    আরও পড়ুন : লক্ষ্য ছিল দাঙ্গা! আর একটা ‘শাহিনবাগ’-এর ছক কষেছিল পিএফআই?

    জানা গিয়েছে, দেশজুড়ে পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৩০০টি। এর মধ্যে এর ক্যাডার এবং সহযোগী সংগঠনগুলিও রয়েছে। বিভিন্ন রাজ্য পুলিশ এবং এনআইএ এই মামলা করেছে। এই মামলাগুলির মধ্যে কিছু মামলা করা হয়েছে ইউএপিএর অধীনে। বিস্ফোরক পদার্থ আইন, অস্ত্র আইন এবং আরও কয়েকটি ধারায়ও মামলা দায়ের হয়েছে। সদ্য নিষিদ্ধ এই সংগঠনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের যোগসূত্রের খোঁজও পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ডশিয়ারে বলা হয়েছে, পিএফআইয়ের কিছু কাজ বিশেষত কেরালায়, আইএসআইএসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে করা হয়েছে। সিরিয়া, ইরাক এবং আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদ কাজকর্মেও তারা যুক্ত ছিল। যুদ্ধে ভারতীয় আইএসআইএস জঙ্গি নিহতও হয়েছে। এনআইএ আইএসআইএসের সঙ্গে পিএফআই সদস্যদের কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে বিভিন্ন রাজ্যে। বাংলাদেশের জামাত-উল-মুজাহিদান সঙ্গেও পিএফআইয়ের যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Indian Army: আতঙ্কিত চিন! সীমান্তে আধুনিক ও উন্নত যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন ভারতের

    Indian Army: আতঙ্কিত চিন! সীমান্তে আধুনিক ও উন্নত যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোগরা -হটস্প্রিং থেকে দুদেশ সেনা সরালেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর মাঝেমাঝেই চক্কর কেটে চলেছে চিনা ফাইটার জেট (Chinese Fighter Jets)। সম্প্রতি একাধিকবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (Line of Actual Control) কাছে প্ররোচনা দিয়ে চলেছে চিনা ফৌজ। ভারতীয় প্রতিরক্ষা (Indian defence) ব্যবস্থাকে মাপার জন্য বরাবর সক্রিয় চিন (China)। এবার তারই পাল্টা দিল ভারত (India)। পাল্টা প্রতিরোধ-ব্যবস্থা হিসেবে চিন সীমান্তে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ সেনার ব্যাটেলিয়ন মজুত রাখা হচ্ছে।

    সক্রিয় রয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনাও (Indian Air Force)। একেবারে সীমান্ত বরাবর যুদ্ধ বিমান ওড়াচ্ছে ভারত। তাতেই আতঙ্কিত চিন! ভারতীয় সেনার লাদাখ সেক্টরের মানোন্নয়ন নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA)। তাই বুধবারই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক অনেকটা ঠিক হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন চিনের রাষ্ট্রদূত সান ওয়েডং। পিপলস রিপাবলিক অফ চায়নার ৭৫ বার্ষিকী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, সবমিলিয়ে স্থিতাবস্থা রয়েছে সীমান্তে। আপৎকালীন পরিস্থিতি থেকে দুই দেশই বেরিয়ে এসেছে। দিল্লি অবশ্য এ বিষয়ে কোনও মত দেয়নি।

    আরও পড়ুন: নারীশক্তির জয়! চিন সীমান্তে সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান ওড়াচ্ছেন এই বীর কন্যা… 

    ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, সীমান্ত বরাবর আধুনিক মানের উন্নত যুদ্ধাস্ত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। এই মর্মে সেনার আর্টিলারি  ডিভিসনকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। পুরনো ও ভারী প্রকৃতির ফিল্ড গানের জায়গায় বসানো হচ্ছে আধুনিকতম, হাল্কা ফিল্ড বা আর্টিলারি গান। সেই তালিকায় রয়েছে ১৫৫মিমি/৫২ ক্যালিবার ট্র্যাকড্ সেল্ফ প্রোপেল্ড কে-৯ বজ্র-টি (K9 Vajra-T) গান, অতিরিক্ত ১৫৫মিমি/৪৫ ক্যালিবার ধনুষ (Dhanush) আর্টি গান, ১৫৫মিমি/৫২ ক্যালিবার অ্যাডভান্সড টাওড আর্টিলারি গান সিস্টেম (ATAGS) এবং আধুনিকীকরণ করা ফিল্ড গান সরঙ্গ (Sharang)।

    এর পাশাপাশি, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় মোতায়েন করা হয়েছে অধিক পাল্লার পিনাকা রকেট সিস্টেমের সর্বাধুনিক সংস্করণ। রয়েছে অ্যারিয়াল ভেহিকলস, আধুনিক ড্রোন-সহ নানান সমরাস্ত্র। শুধু তাই নয়, ভারতীয় সীমান্তের মধ্যে কিন্তু LAC-এর খুব কাছে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। আর তাতেই ঘুম উড়েছে চিনের। 

    আরও পড়ুন: ভারতে রকেট লঞ্চার তৈরি করবে স্যাব! কী বলছে সুইডেনের সংস্থা?

    আগেই দিল্লির তরফে জানানো হয়েছিল, ভারত প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চায় কিন্তু কোনওভাবেই আর শান্তি ভিক্ষা করা হবে না। আর কয়েকমাসের মধ্যেই শীত এসে যাবে। এই অবস্থায় ভারত এবং চিন দুই দেশই সীমান্তে পরিকাঠামো ঢেলে সাজাতে উদ্যোগ নিয়েছে। এক আধিকারিক জানিয়েছে, ভারত সীমান্তের কাছে রাস্তা এবং অন্য পরিকাঠামো নির্মাণ করছে। শীঘ্রই ধনুষ রেজিমেন্ট ইতিমধ্যেই তৈরি, বলে সেনা সূত্রে খবর। যদিও আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র সজ্জিত নয়া সেনাদল হয়ত বা শীতের পরই কসরত দেখাবে। উত্তর সীমান্তে চিনের গতিবিধির দিকে সবসময়ই নজর রয়েছে ভারতের। চিন যদি ভারতকে উপেক্ষা করে নিজেদের শক্ত করতে চায়, তাহলে সীমান্তে নিজেদের অধিকার বজায় রাখতে এতটুকু খামতি দেখাবে না দিল্লি, এমনই অভিমত কূটনীতিকদের।

  • Credit & Debit Cards: ১ অক্টোবর থেকে পাল্টাচ্ছে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম, জানেন তো?

    Credit & Debit Cards: ১ অক্টোবর থেকে পাল্টাচ্ছে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম, জানেন তো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখন ক্রেডিট কার্ড ও ডেবিট কার্ডেরই যুগ। এমন কোনও মানুষ নেই যাদের কাছে এক ক্রেডিট কার্ড অথবা ডেবিট কার্ড নেই। ক্রেডিট কার্ড না থাকলেও আমাদের সকলের কাছে এটিএম বা ডেবিট কার্ড রয়েছে। দেশের প্রায় ৫০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক লোক এই কার্ড ব্যবহার করে থাকেন। অনেকেই এখন নগদ ক্যাশের  ঝামেলা এড়াতে ব্যবহার করে থাকেন এই কার্ড। তবে এই কার্ডের অনলাইন পেমেন্টের ক্ষেত্রে পয়লা অক্টোবর থেকে কিছু পরিবর্তন আনতে চলেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। রিজার্ভ ব্যাংক জানিয়েছে যে আগামী মাসের প্রথম দিন থেকে কার্ড-অন-ফাইল টোকেনাইজেশন (CoF Card Tokenisation) নিয়ম আনা হচ্ছে। আর এতে ক্রেডিট কার্ড ও ডেবিট কার্ডের সাহায্যে লেনদেন আরও নিরাপদ হবে বলে জানা গিয়েছে।

    নতুন নিয়ম

    নতুন এই নিয়মে একাধিক পরিবর্তন আসার ফলে নতুন টোকেন সিস্টেমের আওতায় কার্ডের সমস্ত ডেটা বদলে যাবে টোকেনে। কোনও শপিং ওয়েবসাইট আর আপনার কার্ডের কোনও তথ্য পাবে না। সমস্ত তথ্য থাকবে টোকেন আকারে। ফলে আপনার কার্ড হয়ে যাবে আরো বেশি সুরক্ষিত। আগে যেমন অনলাইন শপিং-এ কার্ড ব্যবহার করলে অনলাইন সাইটগুলো আপনার কার্ডের ডিটেলস নিয়ে রাখত, পরে সিভিভি নম্বর আপনাকে দিত হত। এখন থেকে তা আর হবে না। এখন থেকে এই তথ্য আর সংরক্ষিত থাকবে না, গ্রাহককে কেনাকাটা করতে হলে কার্ডের নম্বর পুনরায় দিতে হবে।

    আরও পড়ুন: তবে কি ক্রেডিট কার্ডের নয়া নিয়ম কার্যকর হবে অক্টোবর মাসে?

    কী এই টোকেনাইজেশন?

    টোকেনাইজেশন (Tokenisation) হল এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে কার্ডের তথ্য একটি অন্য কোড বা টোকেনে রূপান্তরিত হবে। এর ফলে কার্ডের গুরুত্বপূর্ণ নথি প্রকাশ না করেই অনলাইনে কেনাকাটা করা যাবে। আপনার ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের নম্বর একটি টোকেন-এ পরিবর্তিত হলে, আপনার কার্ডের তথ্য কোনও ভাবে চুরি বা পুনর্ব্যবহার করা সম্ভব নয়। একটি টোকেন যুক্ত কার্ড লেনদেন অনেক সুরক্ষিত বলেও মনে করা হয়৷

    কীভাবে টোকেনাইজেশন করা যেতে পারে?

    নয়া নিয়ম শুরু হওয়ার পর অনলাইন কেনাকাটার সময় আপনার কার্ডের সমস্ত তথ্য দিতে হবে৷ আর এই তথ্য টোকেনে রূপান্তরিত হবে। একবার যখন গ্রাহকরা কোনও জিনিসের কেনাকাটা শুরু করে সে ক্ষেত্রে সংস্থার তরফে টোকেনাইজেশন শুরু করা হবে এবং টোকেন করার জন্য অনুমতি চাইবে৷ একবার অনুমতি দেওয়ার পর মার্চেন্ট কার্ড নেটওয়ার্ককে অনুরোধ পাঠিয়ে দেবে৷ এর জেরে প্রত্যেক কার্ডের জন্য একটি টোকেন নম্বর জেনারেট করা হবে যা ভবিষ্যতে কেনাকাটা করার জন্য অনলাইন বা মার্চেন্ট প্ল্যাটফর্মে সেভ করা যেতে পারে৷

LinkedIn
Share