Blog

  • Congress Poll: দ্বিগ্বিজয়, কমল নাথ না গেহলট! কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে শশী থারুরের প্রতিদ্বন্দ্বী কে?

    Congress Poll: দ্বিগ্বিজয়, কমল নাথ না গেহলট! কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে শশী থারুরের প্রতিদ্বন্দ্বী কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটা সময় মনে হয়েছিল কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে (Congress elections) লড়াইটা হবে মূলত শশী থারুর (Shashi Tharoor) ও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের মধ্যে। কিন্তু কয়েকদিনে দ্রুত বদলে গিয়েছে ছবিটা। রাজস্থানের নতুন মুথ্যমন্ত্রী নির্বাচন ঘিরে বাবাদ সামনে আসার আসার পর গেহলটের উপর বেজায় ক্ষুব্ধ গান্ধী পরিবার। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, সভাপতি পদে এবার মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দ্বিগ্বিজয় সিংকে (Digvijaya Singh) ময়দানে নামানোর জোর প্রক্রিয়া চলছে। শোনা যাচ্ছে, সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) আস্থাভাজন হিসেবেই কংগ্রেস সভাপতি পদের নির্বাচনে দ্বিগ্বিজয় সিং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সেক্ষেত্রে লড়াইটা হতে পারে শশী থারুর বনাম দ্বিগ্বিজয় সিংয়ের মধ্যে। তবে ভোটে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত তিনি এখনও নেননি বলে দাবি করেছেন দ্বিগ্বিজয় সিং। যা দেখে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, গান্ধী পরিবারের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: দেশের নয়া সিডিএস হচ্ছেন অনিল চৌহান, জানেন তিনি কে?

    মোদ্দা কথা হল, গান্ধী পরিবারের বাইরে কাউকে কংগ্রেস সভাপতি পদে বসিয়ে রিমোট নিজের হাতেই রাখার চেষ্টা করছেন সোনিয়া গান্ধী। এক্ষেত্রে শশী থারুর তাঁর যে না পসন্দ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ, কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ জি ২৩ নেতাদের সঙ্গে তাঁর এখনও ভালো যোগাযোগ হয়েছে। সেই কারণেই আজ্ঞাবহ নেতাকে দলের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য রণকৌশল ঠিক করতে ব্যস্ত গান্ধী পরিবার। এক্ষেত্রে অশোক গেহলট প্রথম পছন্দ। কিন্তু রাজস্থানের নতুন মুখ্যমন্ত্রী চয়ন ঘিরে যেভাবে গেহলট পন্থিরী বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তাতে খুশি নন সোনিয়া। তাই গেহলটের উপর চাপ বাড়াতে দ্বিগ্বিজয় সিংয়ের নাম ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের এই বর্ষীয়ান নেতা গেহলটের মতো গান্ধী পরিবারের ভীষণই আস্থাভাজন বলে পরিচিত। শুধু তাই নয়, মধ্যপ্রদেশের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথও কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে লড়াই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু তাঁকে আবার পছন্দ নয় গান্ধী পরিবারের। আর মধ্যপ্রদেশের রাজনীতিতে দ্বিগ্বিজয় সিং বরাবরই কমল নাথ বিরোধী। তাই তাঁকে ময়দানে নামি সোনিয়া গান্ধী কি এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করছেন?

    আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে সুখবর, আরও তিনমাস বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

    যাই হোক, ৩০ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। ইতিমধ্যেই শশী থারুর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা আগেই ঘোষণা করেছেন। মনোনয়ন তুলেছেন পবন বনসলও। এখন ১৭ অক্টোবরের নির্বাচনে কে কার মুখোমুখি হয়, সেটাই দেখার!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Literature Nobel Prize: সাহিত্যে নোবেল পেলেন ফরাসি লেখিকা অ্যানি এরনো

    Literature Nobel Prize: সাহিত্যে নোবেল পেলেন ফরাসি লেখিকা অ্যানি এরনো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার (Literature Nobel Prize) পেলেন ফরাসি লেখিকা অ্যানি এরনো (Annie Ernaux)৷ স্টকহোমে বৃহস্পতিবার এই পুরস্কারের ঘোষণা করে সুইডিশ অ্যাকাডেমি৷ নোবেলজয়ী সাহিত্যিকের নাম প্রকাশ করে নোবেল পুরস্কার কমিটি জানিয়েছে “যে সাহস এবং বিশ্লেষণধর্মী তীক্ষ্ণ চিন্তাধারা দিয়ে তিনি শিকড়ের উৎস, অতীতের তিক্ততা, নিয়ন্ত্রিত ব্যক্তিগত আবেগকে প্রকাশ করেছেন, তারই স্বীকৃতি এই পুরস্কার৷” ৮২ বছর বয়সে নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন অ্যানি। মেডেলের পাশাপাশি অর্থও পাবেন তিনি, ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৭.৫ কোটি টাকা।  

    এরনোর লেখায় বার বার উঠে এসেছে লিঙ্গ, ভাষা ও শ্রেণীগত বৈষম্য৷ দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে নিজের লেখাকে একাত্ম করতে পেরেছেন এই লেখক৷ এক সুইডিশ সংবাদমাধ্যমে এরনো জানিয়েছেন, এই পুরস্কার তাঁর কাছে বড় সম্মান এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব৷ ২০ টিরও বেশি বই লিখেছেন তিনি৷ সেগুলির মধ্যে অনেকগুলিই কয়েক দশক ধরে ফ্রান্সের বিভিন্ন স্কুলে পড়ানো হয়৷ আধুনিক ফ্রান্সের সামাজিক জীবন সূক্ষ্ম ও নিখুঁত করে সাহিত্যের মাধ্যমে তুলে ধরাই তাঁর লক্ষ্য। 

     

    এর আগেও, বেশ কয়েকবার বার নোবেল সাহিত্য পুরস্কারের জন্য অ্যানির নাম সুপারিশ করা হয়েছিল। এবছর পুরষ্কার পেলেন তিনি। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৭ জন মহিলা সাহিত্য়ে নোবেল পুরস্কার পেলেন। ১৯০১ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ১১৯ জন নোবেল সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন।   

    আরও পড়ুন: রসায়নে নোবেল জয় বিজ্ঞানী ত্রয়ীর

    অ্যানির উপন্যাসগুলি মূলত আত্মজীবনীকেন্দ্রীক। যৌনতা, গর্ভপাত, অসুস্থতা, বাবা-মায়ের মৃত্যু, জীবনের সব পর্যায় বইয়ের পাতায় তুলে ধরেছেন তিনি। তাঁর লেখার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, ‘লা প্লেস’ (আ ম্যান’স প্লেস)। এই উপন্যাসে বাবার সঙ্গে নিজের সম্পর্ক তুলে ধরেছেন তিনি। ‘লে আনিস’ (দ্য ইয়ার্স) বইয়ে আবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সঙ্গে বর্তমান সময়ের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। নিজের জীবনকেই তুলে ধরেছেন।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Tet Examination: টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পর্ষদ, কী যোগ্যতা প্রয়োজন?

    Tet Examination: টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পর্ষদ, কী যোগ্যতা প্রয়োজন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিমধ্যেই প্রাথমিক টেটের (Tet Examination 2022) বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পুজোর পরই শুরু হবে আবেদন প্রক্রিয়া। ১১ অক্টোবর থেকে পোর্টাল চালু করবে পর্ষদ। সেই পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদনপত্র তোলা ও জমা দেওয়া যাবে। ইতিমধ্যেই তার বিস্তারিত তথ্য আপলোড করেছে পর্ষদ। পুরোনো নিয়মেই এবারও টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছে পর্ষদ। চলতি সপ্তাহেই ফের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আধিকারিকরা টেটের প্রস্তুতি বিষয়ক বৈঠকে বসবেন।    

    আরও পড়ুন: রসায়নে নোবেল জয় বিজ্ঞানী ত্রয়ীর

    তার আগে জেনে নিন টেট (Tet Examination 2022) পরীক্ষায় বসতে কী যোগ্যতা লাগবে? 

    আরও পড়ুন: জাতীয় পতাকায় ‘টক্কর’ পাকিস্তানকে, আটারিতে উড়বে ভারতের উচ্চতম তেরঙা 

    • পরীক্ষার্থীদের উচ্চ মাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষায় ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর ও এলিমেন্টারি এডুকেশনে দু’বছরের ডিপ্লোমা বা ব্যাচেলর্স ডিগ্রি থাকতে হবে।
    • পরীক্ষার্থীদের স্নাতক স্তরে ৫০ শতাংশ নম্বরসহ বিএড/ ডিএলএড ডিগ্রি থাকতে হবে। ব্যতিক্রম— এসসি, এসটি, ওবিসি, অব্যাহতিপ্রাপ্ত, প্রাক্তন সেনা, বিশেষ ভাবে সক্ষম, কর্মরত অবস্থায় মৃত প্রভৃতি শ্রেণিভুক্ত পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষায় নম্বরের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়।
    • যারা এনসিটিই স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে দু বছরের ডিএলএড/ ডিএড/ বিএড কোর্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা দিয়েছেন এবং রেজাল্টের প্রতীক্ষায় রয়েছেন, তাঁরাও এই পরীক্ষায় বসতে পারবেন। 
    • যারা ডিএলএড বা ডিএড (স্পেশাল এডুকেশন) বা বিএড-এর প্রশিক্ষণ (২০২০-২০২২ সেশনে) নিচ্ছেন অথবা ডিএলএড বা ডিএড (স্পেশাল এডুকেশন) বা বিএড- পার্ট ১ পরীক্ষাটি দেওয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন, তাঁরাও এই পরীক্ষায় বসতে পারবেন।
    • পরীক্ষার প্রথম ভাষা হিসেবে পরীক্ষার্থীদের বাংলা, হিন্দি, উর্দু, নেপালি, সাঁওতালি, ওড়িয়া এবং তেলুগু ভাষার মধ্যে যে কোনও একটি থাকতে হবে। এ ছাড়া,সকল পরীক্ষার্থীর দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ইংরেজি থাকতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Chemistry Nobel prize 2022: রসায়নে নোবেল জয় বিজ্ঞানী ত্রয়ীর

    Chemistry Nobel prize 2022: রসায়নে নোবেল জয় বিজ্ঞানী ত্রয়ীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্লিক রসায়ন এবং জৈব-অর্থোগোনাল প্রতিক্রিয়ার জন্য এবছর রসায়নে নোবেল (Chemistry Nobel prize 2022) পেলেন তিন বিজ্ঞানী। তাঁরা হলেন, ক্যারোলিন আর বার্টোজি (Carolyn R. Bertozzi), মর্টেন মেলডাল (Morten Meldal) এবং কে ব্যারি শার্পলেস (K. Barry Sharpless)। নোবেল অ্যাকাডেমির তরফে জানানো হয়েছে, ক্লিক রসায়ন এবং বায়োর্থোগোনাল প্রতিক্রিয়া রসায়নের কার্যকারিতা আরও অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।          

    আরও পড়ুন: পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন ফ্রান্স, আমেরিকা, অস্ট্রিয়ার তিন বিজ্ঞানী

    নোবেল কমিটির তরফে এক বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, জটিল বিষয়কে অনেক সহজ সরল পদ্ধতিতে তুলে ধরেছেন এই তিন বিজ্ঞানী (Chemistry Nobel prize 2022)। নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান জোহান অ্যাকভিস্ট বলেন, রসায়নে এই বছর পুরস্কারটি অত্যন্ত জটিল বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার জন্য নয়, বরং জটিল পদ্ধতি সহজ সরল উপায়ে তুলে ধরার জন্য দেওয়া হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন, কার্যকরী অনুগুলোকে নিয়ে কতটা সরলভাবে কাজ করা যায়। নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফার্মাসিউটিক্যালসে ক্লিক কেমেস্ট্রি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। ডিএনএ ম্যাপ করার জন্য এই উপাদান উপযুক্ত বলে জানা গিয়েছে। বিজ্ঞানীরা গবেষণায় জানিয়েছেন, বায়োর্থোগোনাল প্রতিক্রিয়া ক্যানসার গবেষণার ক্ষেত্রে অনেকটা কার্যকর হবে। 

    আরও পড়ুন: চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন সুইডেনের বিজ্ঞানী সভান্তে পাবো

    কে ব্যারি শার্পলেস পঞ্চম ব্যক্তি যিনি দুবার নোবেল পুরস্কার জিতেছেন। জন বারডিন, মারি স্কলোডভস্কা কুরি, লিনাস পলিং এবং ফ্রেডেরিক স্যাঙ্গার নোবেল বিজয়ী যারা দুবার নোবেল পুরস্কার জিতেছেন। শার্পলেস ২০০১ সালে তিনি প্রথমবারের জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। গত বছর, বেঞ্জামিন লিস্ট এবং ডেভিড ডব্লিউসি ম্যাকমিলানকে অ্যাসিমেট্রিক অর্গানোক্যাটালাইসিস উন্নয়নের জন্য যৌথভাবে পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।            

    রসায়নবিদরা দীর্ঘদিন ধরে ক্রমবর্ধমান জটিল অণু তৈরির চেষ্টা করছিলেন। ফার্মাসিউটিক্যালস গবেষণায়, প্রায়শই কৃত্রিমভাবে ঔষধি গুণাবলীসহ প্রাকৃতিক অণুগুলোকে পুনরুৎপাদন করা হয়। এই কাজটি প্রশংসনীয় হলেও সাধারণত সময়সাপেক্ষ এবং খুবই ব্যয়বহুল। এই তিন বিজ্ঞানী (Chemistry Nobel prize 2022) সেই কাজ সহজ করেছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Mohammed Shami: দশেরায় শুভেচ্ছা জানিয়ে মৌলবাদীদের আক্রমণের মুখে মহম্মদ শামি

    Mohammed Shami: দশেরায় শুভেচ্ছা জানিয়ে মৌলবাদীদের আক্রমণের মুখে মহম্মদ শামি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশেরার শুভেচ্ছা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের তারকা পেসার মহম্মদ শামি (Mohammed Shami)। আর তাতেই চরমপন্থী মুসলিমদের কুনজরে পড়লেন তিনি। পোস্টটির ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে, রাম হাতে তীর-ধনুক নিয়ে রাবণের দিকে তীর নিক্ষেপ করার নিশানা করছেন। তিনি পোস্টটিতে লেখেন, “দশেরার দিন প্রার্থনা করব আপনাদের জীবন যেন আনন্দ সম্মৃদ্ধি এবং সাফল্য ভরে ওঠে। এই কামনা করি।” মহম্মদ শামির এই পোস্টের পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র কটাক্ষের শিকার হতে হয় তাঁকে।   

     

    শামি পোস্ট করা মাত্র তাঁর পোস্টটি ভাইরাল হয় এবং মৌলবাদীরা তাঁকে কাঠগড়ায় তোলা শুরু করে। তাদের দাবি, একজন মুসলমান হয়ে কেন তিনি হিন্দুদের উৎসবের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন? শারীরিক  কারণে ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে ফেরার সুযোগ হারিয়েছিলেন এই তারকা পেসার। তিনি বিশ্বকাপের দলে জায়গা পাবেন কিনা তা নিয়েও এখনো বড় প্রশ্ন চিহ্ন রয়েছে। বিশ্বকাপের (T-20 World Cup) দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য বিধর্মীদের মতো আচরণ করছেন শামি। এমন অভিযোগও তোলা হয়েছে শামির বিরুদ্ধে। অনেকে শামির বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করার দাবিও জানিয়েছেন।  

    অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, শামি কি সত্যিই মুসলিম? প্রকৃত মুসলিম হয়ে এই কাজ কীভাবে করলেন তিনি? কেউ কেউ বলেছেন, পথ ভুলে গিয়েছেন শামি, আল্লা তাঁকে রক্ষা করুন। অধিকাংশের মতে, অত্যন্ত লজ্জাজনক কাজ করেছেন শামি। তাঁর ট্যুইটের কমেন্ট সেকশন ভরে গিয়েছে “শেম অন শামি” বার্তায়। 

    আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকেও ছিটকে গেলেন শামি, কেন জানেন?
      
    কিছুদিন আগে ঠিক এমনটাই ঘটেছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটার লিটন দাসের সঙ্গে। তিনি মহালয়া উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানান। আর তারপরেই তাঁকে মৌলবাদীদের আক্রমণের মুখে পড়তে হয়।

    তবে সেই সময়ে লিটনের মতোই এবার শামিও নিজের পাশে পেয়েছেন। শামির পাশে দাঁড়িয়ে তাকে পাল্টা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বহু ভক্ত। অনেকেই লিখেছেন, এটাই ভারতবর্ষ যেখানে সব ধর্ম একসঙ্গে অবস্থান করতে পারে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
  • Mars Orbiter Mission: ৮ বছর পর থামল ইসরোর মঙ্গলযান, কতটা প্রাপ্তি হল ভারতের মহাকাশ গবেষণায়?

    Mars Orbiter Mission: ৮ বছর পর থামল ইসরোর মঙ্গলযান, কতটা প্রাপ্তি হল ভারতের মহাকাশ গবেষণায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় আট বছর পর সফর শেষ হল ইসরোর মঙ্গলযানের (Mars Orbiter Mission)। যদিও এই মঙ্গলযানটিকে মাত্র ছয়মাসের জন্য বানানো হয়েছিল। অর্থাৎ এর আয়ু ছিল মাত্র ছয় মাস। কিন্তু সেখানে এটি প্রায় আট বছর অতিক্রম করে দিয়েছে। মহাকাশে। জানা গিয়েছে, এর পাশাপাশি, মঙ্গলযানে থাকা জ্বালানি ও ব্যাটারি ইতিমধ্যেই নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে। আর এর ফলেই মঙ্গলযান অর্থাৎ মার্স অরবিটার মিশন (Mars Orbiter Mission-MOM)-এর আট বছর আট দিনের যাত্রা শেষ হল।

    উল্লেখ্য যে, এই মিশনটি ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর শুরু হয়েছিল (Mars Orbiter Mission)। পাশাপাশি, এটি ২০১৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বরে মঙ্গলের কক্ষপথে পৌঁছে যায়। মূলত, এই মিশনের মাধ্যমে, ভারত প্রথম পদক্ষেপেই সরাসরি মঙ্গল গ্রহ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। বিশ্বের আর অন্য কোনও দেশের কাছে এই নজির নেই। মঙ্গলযান বানাতে খরচ হয়েছিল প্রায় ৭৫ মিলিয়ন ডলার। ইসরো থেকে জানানো হয়েছে, যে এই যানটিকে তৈরি করা হয়েছিল মাত্র ছয়মাস মঙ্গলের কক্ষপথে চলার প্রদক্ষিণ করার জন্য। কিন্তু বিজ্ঞানীদের যে আশা ছিল, তাকেও ছাপিয়ে ছয়মাসের পরিবর্তে টানা আট বছর কাজ করেছে গিয়েছে ভারতের এই মঙ্গলযান।

    আরও পড়ুন: পৃথিবীর কেন্দ্রে মিলল বিশাল মহাসাগর

    ইসরো (ISRO) থেকে জানানো হয়েছে, ভারতীয় মঙ্গলযানটিতে আর কোনও জ্বালানি অবশিষ্ট নেই। স্যাটেলাইটের ব্যাটারিও শেষ হয়ে গিয়েছে। যার ফলে মঙ্গলযানের ব্যাটারিকে ফের জাগিয়ে তোলা যাচ্ছে না। এমনকি ইসরোর সঙ্গে মহাকাশযানটির সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তবে, মহাকাশযানটি মঙ্গলগ্রহের কক্ষপথের মাত্র ছয় মাস ধরে চলার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। সেই জায়গায় এটি আট বছরেরও বেশি সময় ধরে তার কাজ করে গিয়েছে। তাই এটি ভারতের মহাকাশবিজ্ঞানে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে বলেই মনে করা হয়। ২০১৩ সালে মঙ্গলযানটিকে একটি পিএসএলভি-সি২৫ রকেটের মাধ্যমে মঙ্গলের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল। এটিই ছিল ভারতের প্রথম আন্তঃগ্রহের মহাকাশ অভিযান (Mars Orbiter Mission)।

    এটিকে পাঠানোর মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারতও যে অন্য গ্রহে পাড়ি দিতে পারে, তা বিশ্বের কাছে তুলে ধরার জন্যই এই মঙ্গলযান তৈরি করা হয়েছিল (Mars Orbiter Mission)। এটির সাহায্য লাল গ্রহের পৃষ্ঠদেশের বৈশিষ্ট্য, বায়ুমণ্ডল এবং এক্সোস্ফিয়ার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছে বিজ্ঞানীরা। এছাড়াও গ্রহের ধূলিকণা সম্পর্কে ধারণা করতে, মঙ্গল গ্রহে ভূমিধস অধ্যয়ন করতে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করেছে। ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা থেকে জানানো হয়েছে, মহাকাশযানটিকে আর কোনওভাবেই পুনরুদ্ধার করা যাবে না। তবে এই মার্স অরবিটার মিশনটি পুরো বিশ্বে এক ইতিহাস সৃষ্টি করেছে (Mars Orbiter Mission)। তবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই আরেকটি অভিযানের পরিকল্পনা রয়েছে ভারত। সূত্রের খবর অনুযায়ী, খুব শীঘ্রই মঙ্গলযান-২ (Mangalyaan 2) পাঠাতে চলেছে ইসরো।

     

  • Adipurush Controversy: ‘আদিপুরুষ’- এ হিন্দু সংস্কৃতি নিয়ে উপহাস করা হয়েছে, দাবি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    Adipurush Controversy: ‘আদিপুরুষ’- এ হিন্দু সংস্কৃতি নিয়ে উপহাস করা হয়েছে, দাবি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে বহু প্রতিক্ষিত বিগ বেজেট ছবি ‘আদিপুরুষ’- (Adipurush Controversy) এর প্রথম টিজার। টিজার মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই যেন বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না এই ছবির। প্রথমে ছবির ভিএফএক্স ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। এবার ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগ উঠল ‘আদিপুরুষ’- এর নির্মাতাদের বিরুদ্ধে।  

    ইতিমধ্যেই সিনেমাটি নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছে ধর্মীয় হিন্দু সংগঠনগুলি। এবার এই সিনেমার বিরুদ্ধে হিন্দু সমাজ, হিন্দু সংস্কৃতি, হিন্দু ধর্মকে উপহাস করার অভিযোগ তুলল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Viswa Hindu Parishad)। ভিএইচপি- র দাবি, ‘আদিপুরুষ’-এর টিজারে রাম, হনুমান এবং রাবণের চিত্র ঠিকভাবে উপস্থাপিত করা হয়নি। সিনেমাটি বয়কটের ডাকও দিয়েছে এই সংগঠন। এই সিনেমা কোনওভাবেই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। 

    ভিএইচপি- র সম্বল ইউনিটের প্রচার প্রধান অজয় ​​শর্মা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “ভগবান রাম, রাবণ এবং লক্ষ্মণকে যেভাবে ‘আদিপুরুষ’-এ চিত্রিত করা হয়েছে, তা হিন্দুধর্মের উপহাস। হিন্দু সমাজের মূল্যবোধকে উপহাস করা হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া হবে না। রাবণকে যেভাবে চিত্রিত করা হয়েছে এখানে, রামায়ণ এবং অন্যান্য ধর্মীয় শাস্ত্রের সঙ্গে তার কোনও মিল নেই।”

    অযোধ্যার রাম মন্দিরের তরফ থেকেও এই ছবিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি তোলা হয়েছে। মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সত্যেন্দ্র দাস বলেন, “টিজারে যেভাবে রাম ও রাবণের চরিত্রকে দেখানো হয়েছে তার সঙ্গে পৌরাণিক চরিত্রের কোনও মিল নেই। এই চরিত্রায়ন সম্পূর্ণ ভুল এবং নিন্দনীয়। এই ছবিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছি আমরা।”

    উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য এবং ব্রজেশ পাঠকও এ ছবিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পক্ষেই সওয়াল করেছেন। বিজেপি মুখপাত্র মালবিকা অবিনাশ বলেছেন, “ছবিতে যে রাবণকে আকাশে উড়তে দেখা যাচ্ছে, সে আদৌ ভারতীয়? চোখে নীল মেকআপ, চামড়ার জ্যাকেট পরা ও কী মূর্তি! কেবলমাত্র সৃষ্টির অধিকার আছে বলেই যা খুশি করা যায় না বোধহয়! ছবি বানানো কোনও অপরাধ নয়। কিন্তু যা ইচ্ছে তাই করা উচিৎ নয়।” 

    আরও পড়ুন: মুক্তি পেয়েছে ‘আদিপুরুষ’- এর টিজার, মুগ্ধ দর্শক

    সোশ্যাল মিডিয়াতেও ব্যাপকভাবে ট্রোলড হয়েছে ছবির টিজার। রাবণের বেশে সইফকে দেখে হতভম্ব অনেকেই। অনেকের মতেই, লম্বা ঘন দাড়ি, ছোট ছোট চুল আর চোখে সুরমা পরা সইফকে রাবণ তো মনে হচ্ছেই না, বরং আলাউদ্দিন খিলজি বা বাবর বেশি মনে হচ্ছে। একজন লিখেছেন, সইফকে দেখে ঔরঙ্গজেবের মতো লাগছে না? রাবণের মতো একেবারেই দেখাচ্ছে না। রাবণ উত্তর ভারতের হিন্দু ব্রাহ্মণ ছিলেন। কিন্তু সইফকে দেখে মনে হচ্ছে যেন কোনো ইসলামিক অনুপ্রবেশকারী। এই দাবিও করেছেন অনেকে। আবার কেউ লিখেছেন, রাবণের বদলে রিজওয়ান বানিয়ে দেওয়া হয়েছে সইফকে। 

    গত ২ অক্টোবর মুক্তি পেয়েছে আদিপুরুষের প্রথম টিজার। পৌরাণিক এই গল্পে রামচন্দ্রের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন দক্ষিণী সুপারস্টার প্রভাস। সীতার ভূমিকায় কৃতি স্যানন এবং রাবণের ভূমিকায় সইফ আলি খান। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা ২০২৩ সালের শুরুর দিকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
  • Enforcement Directorate: ইডি-র বড় পদক্ষেপ! কয়লা-গরু-এসএসসি তদন্তে যুক্ত আট ইডি আধিকারিকের মেয়াদ বৃদ্ধি

    Enforcement Directorate: ইডি-র বড় পদক্ষেপ! কয়লা-গরু-এসএসসি তদন্তে যুক্ত আট ইডি আধিকারিকের মেয়াদ বৃদ্ধি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় কয়েক মাস ধরেই ইডি-র (ED) কিছু আধিকারিকরা রাজ্যের অনেক দুর্নীতি কাণ্ডে তৎপরতা দেখিয়েছেন। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) আটজন উচ্চপদস্থ আধিকারিকের কার্যকালের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে (ED Extension)। বিগত কয়েক মাসে রাজ্যে ইডির দাপট ব্যাপকভাবে দেখা গিয়েছে। এই আধিকারিকরা বিশেষ করে কয়লা, গরু পাচার, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তদন্তের সঙ্গে যুক্ত আছেন। এবং তাঁদের দৌরাত্মেই দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে গতি এসেছে। ফলে ইডির এই সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল।

    ইডি-র যে সমস্ত উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কার্যকালের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হচ্ছে, মঙ্গলবার তাঁদের নামের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। তাতে মোট আটজন আধিকারিকের নাম ছিল, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর সোনিয়া নারাঙ্গ, যোগেশ শর্মা, জয়েন্ট ডিরেক্টর সুদেশ কুমার শেওরান। এই আটজনের মধ্যে অধিকাংশই কয়লা (Coal Scam), গরুপাচার (Cattle Sumggling Case) এবং এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডের (SSC recruitment Scam) তদন্তে যুক্ত বলে জানা গিয়েছে। এই আট আধিকারিকের কারও দু’বছর, কারও তিন বছর কার্যকালের মেয়াদ বাড়িয়েছে ইডি। আগামী দিনে ওই মামলাগুলির তদন্ত যে আরও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পৌঁছবে, তা এই মেয়াদ বৃদ্ধি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। এছাড়াও তদন্তে আরও বেশি গতি বাড়াতেই এই মেয়াদ বৃদ্ধি বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: জামিনের আবেদনই করলেন না পার্থ! লক্ষ্মীপুজোও কাটবে জেলে

    তাছাড়াও এই অফিসারদের অভিযানের ফলেই দুনীর্তি কাণ্ডে বিপুল পরিমাণ টাকা, সম্পত্তি উদ্ধার করা হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতাকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এছাড়াও কয়লা পাচার মামলায় অভিষেক এবং রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। ফলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁদের এই পদক্ষেপ ভবিষ্যতেও প্রয়োজন, তার ফলেও ইডির এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হয়েছে।

    এছাড়াও ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সমস্ত আধিকারিকরা তদন্তের সঙ্গে সুপারভাইজিং অফিসার হিসেবে যুক্ত। এই মুহূর্তে মামলাগুলির তদন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। ফলে প্রথম থেকে যাঁরা তদন্তের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের হাতেই বিষয়টি রেখে দেওয়াই ভালো হবে। তাই মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ওই আটজনের কার্যকাল আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

  • Partha Chatterjee: জামিনের আবেদনই করলেন না পার্থ! লক্ষ্মীপুজোও কাটবে জেলে

    Partha Chatterjee: জামিনের আবেদনই করলেন না পার্থ! লক্ষ্মীপুজোও কাটবে জেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার দশমীর দিন বিশেষ আদালতে এসএসসি মামলার (SSC Scam) শুনানি ছিল। শুনানিতে পার্থ চট্টোয়াপধ্যায় (Partha Chatterjee), শান্তিপ্রসাদ সিংহ, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় এবং অশোক কুমার সাহাকে আগামী ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এছাড়াও জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয় দুই মিডলম্যান প্রসন্নকুমার রায় ও প্রদীপ সিং-কে। প্রত্যেককেই আরও ১৪  দিন কাটাতে হবে জেলে। বাকি তিন জনই এদিন জামিনের আবেদন করলেও, জামিনের আবেদন করেননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বরং তিনি চুপ করে রইলেন। সব শুনলেন, বুঝলেন। কিন্তু জামিনের আবেদন করলেন না। যা দেখে হতবাক অনেকেই। এদিন পার্থর সঙ্গে এসএসসি মামলায় অভিযুক্ত শান্তিপ্রসাদ সিংহ, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য এবং অশোক কুমার সাহাকে ভার্চুয়ালি আদালতে তোলা হয়।

    আরও পড়ুন: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে মাস্টারমাইন্ড পার্থই, কী বলছে সিবিআই চার্জশিট?

    গত ২৩ জুলাই গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এরপর থেকে প্রতিবার শুনানিতেই নানা কারণ দেখিয়ে জামিন চেয়েছেন তিনি। চোখের জলও ফেলেছেন আদালতে। শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়েও আদালতের সহানুভূতি চেয়েছেন তিনি। আদালত বার বার জানিয়েছে তাঁর মতো ক্ষমতাশালী ব্যক্তি জেলের বাইরে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করতে পারেন। তিনি বার বার বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে, বাইরে বেরোলেও এই মামলায় তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করার ক্ষমতা তাঁর নেই। কিন্তু এদিন তা করলেন না। আদালতে উপস্থিত থাকলেও এদিন জামিনের আবেদন করলেন না।

    আরও পড়ুন: ‘‘যাঁরা বেআইনি চাকরি পেয়েছেন, পদত্যাগ করুন নইলে…’’, নির্দেশ হাইকোর্টের

    অন্য দিকে, শান্তিপ্রসাদ, কল্যাণময়, অশোকরা জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। এমনকি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশকে ডিভিশন ওয়ান বন্দি হিসাবে দেখার আর্জি করা হলে সেই মৌখিক আবেদনও খারিজ করে দেয় আদালত। সিবিআই (CBI)- এর আইনজীবী সওয়াল করে বলেন, “৩৮১ জন অযোগ্য প্রার্থীকে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। চক্রান্তে জড়িত আরও কতগুলি নাম সামনে আসা বাকি। সিবিআই প্রত্যেক অপরাধীকেই জেলবন্দি করতে চান। কারণ যাঁরা বাইরে আছেন, তাঁরা তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করতে পারেন। জামিন দিলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে।” এরপরই অভিযুক্তদের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mohan Bhagwat: হিন্দু শব্দের ওপর জোর দেব! জানেন দশেরার অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে কী বললেন মোহন ভাগবত?

    Mohan Bhagwat: হিন্দু শব্দের ওপর জোর দেব! জানেন দশেরার অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে কী বললেন মোহন ভাগবত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশেরার অনুষ্ঠানে নাগপুরে আরও একবার ‘অখণ্ড ভারত’ ও ‘হিন্দুরাষ্ট্রের’ কথা শোনা গেল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের  (Rashtriya Swayamsevak Sangh) প্রধান মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat)।   গলায়। বুধবারের অনুষ্ঠানে সংঘ প্রধান বলেন, “হিন্দু রাষ্ট্রের কথা সর্বত্র আলোচনা করা হয়। অনেকে এর সঙ্গে সহমত। অনেকে আবার এর বিরোধিতা করেন। হিন্দু শব্দটি নিয়েও অনেকের আপত্তি রয়েছে। কেউ যদি হিন্দু শব্দের পরিবর্তে সমার্থক অন্য শব্দ ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। তবে ধারণার স্বচ্ছতার জন্য আমরা আগেও যেমন হিন্দু শব্দের ওপর জোর দিয়েছি, এখনও হিন্দু শব্দের ওপর জোর দেব।”

    আরও পড়ুন: মোহন ভাগবতকে ‘রাষ্ট্রপিতা’ আখ্যা ভারতীয় ইমাম সংগঠনের

    সাম্প্রদায়িক হিংসা নিয়েও এদিন সরব হন মোহন ভাগবত। তিনি বলেন, “সাম্প্রদায়িক হিংসা ও বিদ্বেষ ছড়ানোর কাজ স্বাধীন ভারতেও পুরোদমে চলছে। এই সমস্ত মানুষরা নিজেদের স্বার্থের জন্য আমাদের কাছে আসে। এদের বিষয়ে আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে। সংঘ কোনওদিন অন্য ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ ছড়াতে বলে না।” এদিন সংঘ প্রধান সমাজে ঐক্যের কথাও তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, ভাষা ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে সবাইকে জেগে উঠতে হবে। তিনি দাবি করেন, শিশুদের শুধু চাকরি পাওয়ার জন্য নয়, বরং ভালো সংষ্কার এবং উন্নত মানুষ হওয়ার জন্য শিক্ষা গ্রহন করতে হবে। তিনি বলেন,”সাধারণ মানুষের ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে, ভালো কেরিয়ারের জন্য ইংরেজি জানা প্রয়োজন। তবে এটা একটা মিথের বাইরে কিছু নয়।”

    আরও পড়ুন: ‘‘রোজগার মানে কেবলমাত্র চাকরি নয়…’’, নাগপুরে মোহন ভাগবত

    এদিন বিশ্ব রাজনীতিতে ভারতের অবস্থান নিয়েও কথা বলেন ভাগবত। শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সঙ্কট, ইউক্রেন ও রাশিয়ার দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ টেনে আনেন সংঘ প্রধান। তিনি বলেন,”বিশ্বে আমাদের মর্যাদা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বেড়েছে। আমরা শ্রীলঙ্কাকে ব্যাপকভাবে সাহায্য করেছি। ইউক্রেন ও রাশিয়ার সংঘাতে ভারতের মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে শোনা হচ্ছে।” মোহন ভাগবত বলেছেন, করোনায় বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের সঙ্গে ভারতের অর্থনীতির ওপর প্রভাব পড়েছে। কিন্তু ভারত সেই প্রভাব বর্তমানে কাটিয়ে উঠেছে। বিশ্বের বিভিন্ন অর্থনীতিবিদরা ভবিষ্যদ্বানী করেছেন, ভারতের অর্থনীতির আরও উন্নতি হবে। ভারত বর্তমানে ব্রিটেনকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। খেলাধুলার ক্ষেত্রে ভারতের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। খেলোয়াড়রা দেশকে গর্বিত করেছে।

LinkedIn
Share