Blog

  • Ashok Gehlot: কংগ্রেস সভাপতির নির্বাচন লড়বেন না অশোক গেহলট, সোনিয়ার কাছে চাইলেন ক্ষমা

    Ashok Gehlot: কংগ্রেস সভাপতির নির্বাচন লড়বেন না অশোক গেহলট, সোনিয়ার কাছে চাইলেন ক্ষমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের সভাপতি পদের নির্বাচন ( Polls for Congress President) লড়বেন না প্রবীণ নেতা অশোক গেহলট (Ashok Gehlot)। সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) জানিয়ে দিলেন সে কথা। সোনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের পরই সিদ্ধান্তে এই বদল। এর আগে তাঁর সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেওয়ার পর রাজস্থান কংগ্রেসে তীব্র অন্তর্দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছিল। অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল কংগ্রেস হাইকমান্ডও। তারপরই বৃহস্পতিবার বিকেলে দলের নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন গেহলট। রাজস্থান কংগ্রেসের অন্তর্কলহের কারণে নেত্রীর কাছে ক্ষমাও চান বলে জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের নিষিদ্ধ ঘোষণার পরেই, পিএফআইকে ‘বেআইনি সংগঠন’ আখ্যা তিন রাজ্যের  

    সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর অশোক গেহলট বলেন, “আমি কোচিতে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচনে লড়তে অনুরোধ করেছি। তিনি রাজি না হওয়ায়, আমি বলেছিলাম আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। কিন্তু, এখন রাজস্থান রাজনৈতিক সংকটের প্রেক্ষিতে আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” 

    আরও পড়ুন: রাজস্থান বিদ্রোহকাণ্ডে ছাড় গেহলটকে!  

    রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পদে থাকবেন কি না সেই সিদ্ধান্তও দলনেত্রীর ওপরই ছেড়েছেন তিনি। এ বিষয়ে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রিত্বের বিষয়ে হাইকমান্ড সিদ্ধান্ত নেবে। আমি মুখ্যমন্ত্রী থাকব কি না তা ম্যাডামই জানাবেন। ইন্দিরাজির সময় থেকে আমি কংগ্রেসের অনুগত সৈনিক। জয়পুরে যা ঘটেছে, তাতে আমি দুঃখ প্রকাশ করেছি। দু দিন আগে যা ঘটেছিল, তাতে আমরা হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। মনে হয়েছে, আমার মুখ্যমন্ত্রী হতে চাওয়াতেই এটা ঘটেছে। আমি সোনিয়াজির কাছে ক্ষমা চেয়েছি।”    

    কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হলে, গেহলটকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। এরপরই তাঁর অনুপস্থিতিতে শচীন পাইলট মুখ্যমন্ত্রী হবেন এই আশঙ্কায় বিদ্রোহের পথে হাঁটেন গেহলট অনুগামীরা। এই ঘটনার পরেই গেহলট অনুগত তিন নেতাকে হাই কম্যান্ডের পক্ষ থেকে শো কজের নোটিসও ধরানো হয়। তারপরও দলের অভ্যন্তরীণ এই রাজনীতি থামানো যায়নি।   
     
    গেহলটের উত্তরসূরি বেছে নিতে কংগ্রেস জয়পুরে দলীয় বিধায়কদের একটি বৈঠক ডেকেছিল। কংগ্রেস নেতা অজয় ​​মাকেন এবং মল্লিকার্জুন খড়্গেকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। কিন্তু তাঁদের অবজ্ঞা করে গেহলট অনুগতরা ‘সমান্তরাল বৈঠক’ করেন। এই বিষয়ে মাকেন এবং  খড়্গে, সোনিয়া গান্ধীকে একটি লিখিত রিপোর্ট দেওয়ার পরই তাঁর সঙ্গে এদিন সাক্ষাৎ করেন অশোক গেহলট।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Yoga in Space: মহাকাশে যোগব্যায়াম নভশ্চরের! কীভাবে করলেন অসাধ্য সাধন?

    Yoga in Space: মহাকাশে যোগব্যায়াম নভশ্চরের! কীভাবে করলেন অসাধ্য সাধন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশে যোগব্যায়াম করছেন এমন ঘটনা কেউ কখনও শুনেছেন? ইউরোপের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার নভশ্চর সামান্থা ক্রিস্টোফোরেটি (Samantha Cristoforetti) মহাকাশে যোগব্যায়াম করেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) উদ্যোগে ২০১৫ সালে ২১ জুন দিনটিকে  রাষ্ট্রসংঘ আন্তজার্তিক যোগ দিবস (International Yoga Day) ঘোষণা করে। তার পর থেকেই সারা বিশ্বে যোগব্যায়ামের এক ভিন্ন উন্মাদনা দেখা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ভারতীয়দের মার্কিন ভিসা পেতে এত দেরি হচ্ছে কেন? ব্লিঙ্কেনকে প্রশ্ন জয়শঙ্করের

    আজ বিশ্বের নামী দামী ব্যক্তিরা যোগাভ্যাসের ছবি তাঁদের ব্যক্তিগত সোস্যাল সাইটে শেয়ার করছেন। কিন্তু এবার এক মহাকাশচারীকে পৃথিবী থেকে কয়েক হাজার মাইল দূরে মহাকাশের শূন্য মাধ্যাকর্ষণে যোগাভ্যাস করতে দেখা গিয়েছে। টুইটারে (Twitter) কসমিক কিডস নামক একটি পেজ থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে।

    ডিরেক্ট হিট! মুহূর্তেই ছিটকে গেল গ্রহাণু! নাসার ঐতিহাসিক পরীক্ষা সফল

    পোস্টটিতে মহাকাশচারী ক্রিস্টোফোরেটিকে একজন যোগব্যায়ামের প্রশিক্ষককে অনুসরণ করে বিভিন্ন যোগব্যায়ামের পোজ দিতে দেখা যাচ্ছে। নেটপাড়ায় এই ভিডিয়োটি খুব ভাইরাল হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, মাধ্যাকর্ষণের শূন্যতায় যোগব্যায়াম? এটা কিন্তু কঠিন। তবে সৃজনশীলতার স্বাধীনতা থাকলে আপনি এটি অনায়াসেই করতে পারেন।

    নেটিজেনরা এই ভিডিওকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। একজন সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন দারুন! এখন প্রতিটি স্থানেই যোগাসন করা সম্ভব। আর এক জন মন্তব্য করেছেন, পারফেক্টের থেকেও বেশি কিছু।

    প্রসঙ্গত, সামান্থা ক্রিস্টোফোরেটি নভঃচর ভারতের স্বাধীনতার অমৃতকালে ভারতবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • PFI: আইইডি তৈরির পাঠ চলছিল চুপিসাড়ে! জানুন কী কী করত নিষিদ্ধ সংগঠন পিএফআই?

    PFI: আইইডি তৈরির পাঠ চলছিল চুপিসাড়ে! জানুন কী কী করত নিষিদ্ধ সংগঠন পিএফআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ জুড়ে দফায় দফায় অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। উদ্ধার হয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি। যা থেকে স্পষ্ট বেআইনি কার্যকলাপ ও অপরাধমূলক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া (PFI)। সেই কারণে সংস্থাটিকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার (Central govt)। পিএফআইয়ের সঙ্গে জড়িত অন্য সংগঠনগুলিকেও ইউএপিএ (UAPA) আইনে কালো তালিকাভুক্ত করার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Home Ministry)। যার অর্থ এখন থেকে এই সংগঠনগুলি সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত বলে বিবেচিত হবে। ফলে আগামী পাঁচ বছর কোনও সভা, সমাবেশ, সম্মেলনের পাশাপাশি অনুদান সংগ্রহ করতে পারবে না সংগঠনগুলি। শুধু পাতে মারা নয়, পিএফআইয়ের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে কোনও অ্যাকশন নেবে না মমতা প্রশাসন

    কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি অনেকদিন ধরেই নজরদারি চালাচ্ছিল পিএফআই ও তাঁর সঙ্গে যুক্ত অন্য সংগঠনগুলির উপর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সবুজ সংকেত মেলার পরেই দেশের ১৫টি রাজ্যের ৯৩টি জায়গায় একযোগে অভিযান চালায় এনআইএ এবং ইডি। বেআইনি কার্যকলাপ, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে প্রায় তিনশো জনের বেশি পিএফআই নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ নথি ও জিনিসপত্র। যা দেখে চোখ কপালে ওঠার সামিল গোয়েন্দাদের। বিস্ফোরক তৈরির মডিউল, নজরদারি চালানোর যন্ত্রপাতি মিলেছে অভিযানে। যাতে পিএফআই-এর সঙ্গে সন্ত্রাসবাদী যোগ স্পষ্ট।

    আরও পড়ুন: নিশানা ছিল আরএসএস হেডকোয়ার্টার! আত্মঘাতী জঙ্গি নিয়োগ করেছিল পিএফআই?

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অভিযান শেষে উদ্ধার হওয়া সমস্ত নথি প্রকাশ্যে এনেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, কীভাবে আইইডি বানাতে হবে তার বিস্তারিত ম্যানুয়েল রয়েছে। উত্তর প্রদেশের দুই পিএফআই নেতা মহম্মদ নাদিম ও আহমেদেপ বেগের কাছ থেকে বিস্ফোরক তৈরির যে নথি এনআইএ এবং ইডি আধিকারিকরা উদ্ধার করেছেন, তা দেখে মনে হচ্ছ আইইডি তৈরির পাঠ চলছিল চুপিসাড়ে। বড় কোনও পরিকল্পনা ছিল তাদের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, উত্তর প্রদেশের খাদরার পিএফআই নেতা আহমেদ বেগ নাদবির থেকে একটি নথি পাওয়া গিয়েছে। যেখানে রয়েছে, হাতের সামনে থাকা জিনিস দিয়ে কীভাবে দ্রুত আইইডি বানানো যাবে। এছাড় মিশন ২০৪৭ সংক্রান্ত নথি, একাধিক সিডি, পেনড্রাইভও হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। যা তদন্তে আরও গতি আনবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • PFI: সন্ত্রাসের নাগরিক মুখ PFI, ভারতে জেহাদি গৃহযুদ্ধের আন্তর্জাতিক চক্রান্ত?

    PFI: সন্ত্রাসের নাগরিক মুখ PFI, ভারতে জেহাদি গৃহযুদ্ধের আন্তর্জাতিক চক্রান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবারই পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (PFI) ওপর পাঁচ বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত সরকার (Central Goverment)। বেআইনি কাজকর্মের জন্য পিএফআইয়ের সমস্ত সহযোগী সংস্থা এবং অনুমোদিত সংস্থার উপরও নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। অনলাইনেও পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার গতিবিধি রুখতে পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র। পিএফআই এবং আটটি সহযোগী সংস্থার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট এবং ওয়েবসাইট ব্লক করে দেওয়ার জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: পিএফআইকে সাড়ে ৫ কোটি টাকা জরিমানার নির্দেশ কেরল হাইকোর্টের

    পিএফআই বরাবরই দাবি করে এসেছে যে, তাদের লড়াই দেশের সাধারণ নাগরিকের জন্যে। কিন্তু তথ্য অন্য কথা বলছে। আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনগুলি পিএফআই- এর আড়ালে ভারতে জেহাদি যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এমনই প্রমাণ হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। পিএফআই- এর আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে যোগ রয়েছে, সেই দাবি আগেই করেছিলেন গোয়েন্দারা। ধীরে ধীরে পিএফআই- কে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। 

    ২০১৫ সালে পিএফআই এর নেতারা ইউসুফ আল কারযাভীর মৃত্যুদণ্ডের প্রতিবাদে দিল্লিতে ইজিপ্ট দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখান। কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদকে প্রকাশ্যে সমর্থন করেছিলেন ইউসুফ আল কারযাভী। কর্ণেল গদ্দাফির খুনে বড় ভূমিকা এই আন্তর্জাতিক জঙ্গির। সব জানা সত্ত্বেও এই জঙ্গির সমর্থনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল পিএফআই। 

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের নিষিদ্ধ ঘোষণার পরেই, পিএফআইকে ‘বেআইনি সংগঠন’ আখ্যা তিন রাজ্যের

    কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে ইসলামিক স্টেট ও জেএমবির মতো বিদেশি জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে পিএফআইয়ের যোগাযোগের কথা বলা হয়েছিল। ‘নর্ডিক মনিটর’ নামে সুইডেনের স্টকহলমের একটি গোয়েন্দা প্ল্যাটফর্মের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আল কায়দা-যোগে অভিযুক্ত তুরস্কের একটি সংগঠনের সঙ্গে পিএফআইয়ের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ‘ফাউন্ডেশন ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ফ্রিডমস অ্যান্ড হিউম্যানিটেরিয়ান রিলিফ’ (আইএইচএইচ) নামে তুরস্কের ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অতিথি হয়ে পিএফআইয়ের জাতীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ই এম আব্দুল রহমান এবং পি কোয়া ইস্তানবুলে গিয়েছিলেন। আইএইচএইচের সঙ্গে আল কায়দার যোগ রয়েছে। ২০১৪ সালে সিরিয়ায় জঙ্গিদের অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ উঠেছিল তাদের বিরুদ্ধে। বলা হয়েছে, তুরস্কের সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা এমআইটি-র সঙ্গে সমন্বয় রেখেই কাজ করে আইএইচএইচ। আরও অভিযোগ, ২০১৬ সালে তুরস্কে যখন সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়, তখন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়িপ এর্ডোয়ানের সমর্থনে বিবৃতি দিয়েছিল পিএফআই। আবার ‘পিএফআইয়ের উপরে ভারতীয় পুলিশের নির্যাতন’-এর অভিযোগ তোলা হয়েছিল তুরস্কের সরকারি সংবাদমাধ্যমেই। 

    পিএফআই- এর বিরুদ্ধে কেন্দ্রের অভিযানে, অপারেশন অক্টোপাসের দ্বিতীয় রাউন্ডে, এনআইএ, এটিএস এবং রাজ্য পুলিশ সংগঠনের কার্যালয় থেকে, ‘মিশন  ২০৪৭’ সম্পর্কিত বেশ কিছু প্রমাণ পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ভারতকে গৃহযুদ্ধে ও অশান্তিতে জর্জরিত করা, ২০৪৭ সালের মধ্যে অপারেশন গাজওয়া-ই-হিন্দ সম্পূর্ণ করা এবং ভারতে ইসলামি শাসন জারি করা।   

    গোয়েন্দা সূত্রে বেশ কিছু বড় রহস্য সামনে এসেছে। পিএফআই- এর যে অ্যাকাউন্টগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সেখানে জমা অর্থের একটা বড় অংশ উপসাগরীয় মুসলিম দেশগুলি থেকে এসেছে। কাতার, বাহারিন, কুয়েত এবং তুরস্কে পিএফআই-এর তহবিল ও নেটওয়ার্কেরও হদিশ মিলেছে। কর্ণাটক এবং কেরালা ছিল পিএফআই-এর মানি ব্যাঙ্ক এবং এখান থেকে টাকা সারা ভারতে ছড়িয়ে দেওয়া হত। আর সেই টাকাতেই চলত দেদার বেআইনি কার্যকলাপ।  উপসাগরীয় দেশ থেকে যে অর্থ আসত তা স্থানীয় অনুদান হিসেবে দেখানো হত। রিহ্যাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন নামে পিএফআই -এর একটি দাতব্য সংস্থার অ্যাকাউন্টে সৌদি আরব থেকে আসা প্রচুর  কালো টাকা জমা হত। 

    তদন্তে দেখা গিয়েছে, পিএফআই এবং পিএফআই- এর রাজনৈতিক  সংস্থা এসডিপিআই -এর অনেক সিনিয়র নেতা এনজিও- র কাজের নামে তুরস্কে যেতেন। মূলত তুরস্ক থেকে ভারত বিরোধী অ্যাজেন্ডা স্থির করা হতো। তুরস্কে, পিএফআই-এর সদস্যরা সিরিয়ায় সন্ত্রাসে যে সব সংস্থা থেকে হাওলার মাধ্যমে টাকা আসত তাদের সঙ্গে দেখা করত।   

    শুধু তাই নয়, এন আই এ-এর কাছে পিএফআই এবং এসডিপিআই-এর সঙ্গে যুক্ত এমন কিছু মানুষের তালিকা রয়েছে যারা ইসলামিক স্টেটে যোগ দিতে দেশ ছেড়েছে। সূত্রের খবর, পিএফআই-এর অ্যান্টি-ইন্ডিয়া ব্রিগেড এই অ্যাজেন্ডায় কাজ করছিল, কিন্তু অপারেশন অক্টোপাস প্রতিটি পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Congress Polls: সরলেন দিগ্বিজয়, এলেন খাড়গে, কংগ্রেসের রাশ থাকছে গান্ধী পরিবারের হাতেই?

    Congress Polls: সরলেন দিগ্বিজয়, এলেন খাড়গে, কংগ্রেসের রাশ থাকছে গান্ধী পরিবারের হাতেই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস (Congress) প্রেসিডেন্ট পদে লড়ছেন গান্ধী (Gandhi) পরিবারের আস্থাভাজন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun kharge)। আজ, ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেন বলে কংগ্রেসেরই একটি সূত্রে খবর। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট প্রেসিডেন্ট পদে লড়ছেন না বলে ঘোষণা করে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খাড়গেকে ফোন করেন কংগ্রেসের অন্তবর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। তার পরেই প্রেসিডেন্ট পদে গান্ধী পরিবারের আস্থাভাজন খাড়গের নাম চূড়ান্ত হয়। সূত্রের খবর, এ ব্যাপারে কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধীরও সম্মতি মিলেছে।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কংগ্রেসের এক প্রবীণ নেতা বলেন, খাড়গে প্রথম থেকেই হিসেবের মধ্যেই ছিলেন। তবে বয়স জনিত কারণ এবং রাজ্যসভার বিরোধী নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালনের চাপ এই জোড়া কারণের জেরে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সন্দিহান ছিলেন। কিন্তু যখন মুকুল ওয়াসনিক প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে রাজি হলেন না, তখন খাড়গের নামই চূড়ান্ত হয়। খাড়গে অবশ্য তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, দল যে দায়িত্ব দেবে, তা তিনি পালন করবেন। প্রসঙ্গত, খাড়গে ওই পদে লড়লে তাঁকে নিয়ে এ পর্যন্ত মোট তিনজন থাকবেন লড়াইয়ের ময়দানে। খাড়গে, শশী থারুর এবং দিগ্বিজয় সিং। শেষের দুজন অবশ্য ইতিমধ্যেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। 

    আরও পড়ুন : কংগ্রেস সভাপতির নির্বাচন লড়বেন না অশোক গেহলট, সোনিয়ার কাছে চাইলেন ক্ষমা

    এদিকে, গান্ধী পরিবারের কেউ প্রেসিডেন্ট পদে না লড়লেও, কংগ্রেস যে এখনই গান্ধী পরিবারের প্রভাব মুক্ত হচ্ছে না, তা ফের স্পষ্ট হয়ে গেল দিগ্বিজয় সিংয়ের কথায়। তিনি বলেন, যিনিই পার্টির প্রেসিডেন্ট পদে বসুন না কেন তিনি গান্ধী পরিবারের ছত্রছায়ায় কাজ করবেন। প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা বলেন, আমাদের দেখতে হবে দেশের উন্নতি কতটা হচ্ছে। দেশকে খণ্ডিত হতে দেওয়া যাবে না। দুর্বল করা যাবে না সংবিধানকে। দিগ্বিজয় বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিল করে আমি ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশ নিতে যাব। তিনি বলেন, প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রত্যেকের অধিকার আছে নির্বাচনে লড়ার। তবে শুক্রবার বেলার দিকে অবশ্য লড়াইয়ের ময়দান থেকে সরে দাঁড়ান দিগ্বিজয়। তিনি জানান, তিনি ভোটে লড়ছেন না। তিনি সমর্থন করবেন খাড়গেকে।  

    অন্যদিকে, এদিনই সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করেন রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচিন পাইলট। আলোচনা করেন রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে। তিনি বলেন, কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট আমার কথা মন দিয়ে শুনলেন। আমি তাঁকে আমার কথা বলেছি, ফিডব্যাক দিয়েছি। ২০২৩ সালে রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে আমাদের কঠোর পরিশ্রম করে জিততে হবে। আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Jammu and Kashmir: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের আগেই জোড়া বিস্ফোরণে কাঁপল উপত্যকা

    Jammu and Kashmir: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের আগেই জোড়া বিস্ফোরণে কাঁপল উপত্যকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরপর বিস্ফোরণে (Bomb Blast) কেঁপে উঠল জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) উধমপুর জেলা। বুধবার গভীর রাতে ও বৃহস্পতিবার ভোরের মধ্যে পরপর দুটি দাঁড়িয়ে থাকা বাসে বিস্ফোরণ ঘটে।  তবে দু’টি ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর খবর নেই। বাসের ২ জন  কন্ডাক্টর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে কাশ্মীর পুলিশ। উধমপুরে পৌঁছেছে এনআইএ-এর একটি বিশেষ দল। তারা ঘটনার তদন্ত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী ৩রা অক্টোবরই কাশ্মীর সফরে যাওয়ার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। তাঁর ২ দিনের এই সফর ঘিরে উপত্যকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তার আগে এই জোড়া বিস্ফোরণের জেরে জেলা জুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। চলছে নাকা তল্লাশি।

    প্রথম বিস্ফোরণটি হয় রাত সাড়ে দশটা নাগাদ দোমালি চকের একটি পেট্রল পাম্প দাঁড়িয়ে থাকা বাসে। বিস্ফোরণে বাসটি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশেপাশে দাঁড়িয়ে থাকা অন্য গাড়িগুলিও কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে এ দ্বিতীয় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দুটি বিস্ফোরণের জেরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর আধিকারিকরা পৌঁছেছেন। এই ঘটনার জেরে জেলা জুড়ে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।  নিরাপত্তার স্বার্থে এলাকা ফাঁকা করে বিস্ফোরণস্থল ঘিরে ফেলা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, দুই বিস্ফোরণ স্থলের মধ্যে দূরত্ব ৪ কিলোমিটার। এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠন ঘটনার দায় স্বীকার করেনি।

    আরও পড়ুন: আইইডি তৈরির পাঠ চলছিল চুপিসাড়ে! জানুন কী কী করত নিষিদ্ধ সংগঠন পিএফআই?

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় মোট ৬ টি বাস পার্ক করা ছিল। বিস্ফোরণের জেরে বাকি বাসগুলিরও ব্যপক ক্ষতি হয়েছে।বাসের কন্ডাক্টর সুনীল সিং এবং মিনি বাস কন্ডাক্টর বিজয় কুমার এই ঘটনায় আহত হয়েছেন, তাদের দ্রুত জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিস্ফোরণটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে আশেপাশের বেশ কয়েকটি ভবনও কেঁপে ওঠে। পুলিশ, সেনা ও সিআরপিএফ-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। বিস্ফোরণের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। এই জোড়া বিস্ফোরণের পর প্রতিবাদ জানিয়েছে স্থানীয়েরা।   

  • Attorney General: ভারতের পরবর্তী অ্যাটর্নি জেনারেল হলেন আইনজীবী আর ভেঙ্কটরামানি

    Attorney General: ভারতের পরবর্তী অ্যাটর্নি জেনারেল হলেন আইনজীবী আর ভেঙ্কটরামানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের পরবর্তী নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল (Attorney General of India) হচ্ছেন সিনিয়র আইনজীবী আর ভেঙ্কটরামানি (Senior advocate R Venkataramani)। তিনি তিন বছরের জন্য এই পদে নিযুক্ত থাকবেন। কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার মন্ত্রকের আইন বিষয়ক বিভাগের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu) সিনিয়র অ্যাডভোকেট শ্রী আর ভেঙ্কটরামানিকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ করেছেন।

    চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর, বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে ভেনুগোপালের মেয়াদ শেষ হবে। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে এই পদে নিয়োজিত হয়েছিলেন তিনি। এনার আগে মোদি জমানাতেই ২০১৪-১৭ অ্যাটর্নি জেনারেল পদে ছিলেন রোহতগি। পরে কেন্দ্র সরকার থেকে তাঁকে ফের এই পদের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তখন তিনি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে নেন। আর তারপরেই ২০১৭ সালে স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন কে কে ভেনুগোপাল।

    আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে সুখবর, আরও তিনমাস বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

    ভেঙ্কটরামানির নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করে, কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার মন্ত্রী কিরেন রিজিজুর অফিসের তরফে গতকাল একটি ট্যুইট করা হয়েছে, যেখানে লেখা আছে, “মাননীয় রাষ্ট্রপতি ভারতের সিনিয়র আইনজীবী শ্রী আর ভেঙ্কটরামানিকে পরবর্তী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ করতে পেরে আনন্দিত।”

    ১৯৫০ সালের ১৩ এপ্রিল পন্ডিচেরিতে জন্মগ্রহণ করেন আর ভেঙ্কটরামানি। তিনি ১৯৭৭ সাল থেকে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন ও তামিলনাড়ুর বার কাউন্সিলে আইনজীবী হিসাবে নিযুক্ত হন। এরপর ১৯৭৯ সালে, তিনি সুপ্রিম কোর্টে যান। ১৯৯৭ সালে, সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে সিনিয়র অ্যাডভোকেট হিসাবে মনোনীত করে। এছাড়াও তিনি তাঁর সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টের মেয়াদের আগে কেন্দ্র সরকার, বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাবলিক সেক্টর সংস্থায় আইন পরামর্শদাতার কাজ করেছেন। আবার তিনি ২০১০ এবং ২০১৩ সালে ভারতের আইন কমিশনের সদস্য হিসাবেও কাজ করেছিলেন। সুতরাং আইনজীবী হিসেবে চার দশকেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে আর ভেঙ্কটরামানির। 

  • Navratri 2022: জানুন মাতা কুষ্মান্ডার কাহিনী, আজ মহাচতুর্থীর দিন আরাধিতা হন দেবী

    Navratri 2022: জানুন মাতা কুষ্মান্ডার কাহিনী, আজ মহাচতুর্থীর দিন আরাধিতা হন দেবী

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: পুরাণে কথিত আছে, হাসির দ্বারা তিনি এ জগৎ বা বিশ্বসংসার সৃষ্টি করেছিলেন, প্রকৃতপক্ষে তাঁকেই জগজ্জননী মানেন ভক্তরা। তিনিই সূর্যের তেজ স্বরূপা। তিনিই আসুরিক শক্তির বিনাশক। নবরাত্রির চতুর্থীতে ভক্তদের দ্বারা আরাধিত হন দেবী কুষ্মান্ডা।  

    পুরাণ অনুযায়ী, এ বিশ্ব যখন তৈরি হয়নি, প্রাণের স্পন্দন যখন কোথাও ছিল না, চারিদিকে যখন ঘন অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই ছিল না তখন এক মহাজাগতিক দৈব আলোকরশ্মি ক্রমশ নারী মূর্তির আকার ধারণ করতে থাকে। দৈব ক্ষমতার অধিকারী, জগতের সৃষ্টিকত্রী এই নারী মাতা কুষ্মান্ডা নামে পরিচিত। মহাবিশ্বে প্রাণের উৎস, শক্তির উৎস, চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র, ছায়াপথের সৃষ্টিকর্ত্রী তিনি‌। তিনি সূর্যের কেন্দ্রে অবস্থান করেন। দিন ও রাত্রি তাঁর জন্যই হয়। জীবনের সমস্ত কর্মকাণ্ডের গতি তাঁর দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হয় বলে মনে করেন ভক্তরা।

    সৌরমন্ডলকে পরিচালিত করেন দেবী কুষ্মান্ডা। তাঁর মুখমন্ডল সূর্যের মতোই দীপ্তিমান। তেজোদীপ্ত। পণ্ডিতমহলের মতে— ‘কু’ শব্দের অর্থ কুৎসিত এবং ‘উষ্মা’ শব্দের অর্থ ‘তাপ’; ‘কুষ্মা’ শব্দের অর্থ তাই দুঃখ–দেবী জগতের সমস্ত দুঃখ এবং কষ্ট হরণ করে নিজের উদরে ধারণ করেন বলে তাঁর নাম ‘কুষ্মাণ্ডা’ মনে করা হয়। দেবাদিদেব মহাদেব যেমন সমুদ্র মন্থনের সময় সমস্ত বিষ নিজের শরীরে ধারণ করে দেবতাদের রক্ষা করেছিলেন একই ভাবে মাতা কুষ্মান্ডা এ জগতের সকল অশুভ প্রভাব, দুঃখ, কষ্ট, রোগ, যন্ত্রণা, পীড়াকে হরণ করে তাঁর ভক্তদের রক্ষা করেন। 

    আরও পড়ুন: আজ নবরাত্রির তৃতীয় দিনে পূজিতা হন মাতা চন্দ্রঘন্টা, জানুন তাঁর পৌরাণিক কাহিনী

    ভক্তরা মনে করেন, যখন এ বিশ্বে অসুরদের অত্যাচার বেড়ে গিয়েছিল তখন আবির্ভূত হয়েছিলেন দেবী কুষ্মান্ডা। দেবী সিংহ সওয়ার। তিনি অষ্টভূজা। আটটি হাত সাজানো রয়েছে অস্ত্র তথা অন্যান্য সামগ্রী দ্বারা। চারটি হাতে রয়েছে – চক্র, গদা, তির ও ধনুক। অন্য চারটি হাতে রয়েছে জপমালা, পদ্ম, কলস এবং কমণ্ডলু। দেবীর হাতে অস্ত্র ছাড়াও দুটো পাত্র উল্লেখ করা হয়েছে। একটিতে থাকে অমৃত ও অপরটিতে থাকে রক্ত। অর্থাৎ দেবী কুষ্মান্ডার একহাতে সৃষ্টি ও অপর হাতে ধ্বংস। দেবীর বাহন সিংহকে ধর্মের প্রতীক বলে মনে করা হয়। ধর্মের স্থাপন এবং ধর্মকে বহন করে মাতা কুষ্মান্ডার সিংহ। 

    মাতা কুষ্মান্ডার সামনে কুমড়ো বলির প্রথা চালু আছে। দেবী কুষ্মান্ডার ভক্তরা মায়ের উদ্দেশ্যে শ্রিংগার সামগ্রী নিবেদন বা অর্পণ করে থাকেন। যেমন – সিঁদুর, কাজল, চুড়ি, বিন্দি, পায়ের আংটি, চিরুনি, আয়না, পায়ের পাতা, সুগন্ধি, কানের দুল, নাকের পিন, গলার মালা, লাল চুনরি ইত্যাদি। ভক্তদের বিশ্বাস মাতা কুষ্মান্ডাকে মালপোয়া, দই থেকে তৈরি যে কোনও পদ এবং হালুয়া নৈবেদ্য তে ভক্তি পূর্বক অর্পণ করলে মাতা প্রসন্ন হন। তিনি তাঁর ভক্তদের জীবনকে সুখী, শান্তি, সমৃদ্ধি, যশ, আয়ু দ্বারা পরিপূর্ণ করে তোলেন। ভক্তদের ব্রহ্ম জ্ঞানও তিনিই দান করেন।

    আরও পড়ুন: নবরাত্রি কেন পালন করা হয়? এর তাৎপর্য জানেন?

    “সুরসম্পূর্ণকলশম্ রুধিরালুপ্তমেব চ দধানা হস্তপদ্মভ্যাম কুষ্মাণ্ড শুভদস্তুমে”- এই বৈদিক মন্ত্রের দ্বারাই আরাধনা করা হয় মাতা কুষ্মান্ডাকে ।

    উত্তরপ্রদেশের কাশীতে মাতা কুষ্মান্ডার মন্দির খুব বিখ্যাত। ভক্তদের বিশ্বাস এই মন্দিরে অষ্টভূজা মাতা কুষ্মান্ডা স্বয়ং অবস্থান করেন এবং জগতের কল্যাণে রোগ, ভয়, দুঃখ হরণ করে ভক্তদের সুখ, আয়ু, যশ প্রদান করেন। কাশীর এই অঞ্চলে মাতা কুষ্মান্ডা মা দুর্গা নামেই অধিক পরিচিত। লোককথা অনুযায়ী, তিনি কাশীর দক্ষিণ দিককে রক্ষা করে চলেছেন। কাশীর অসি নদীর সঙ্গম স্থলে রয়েছে মাতা কুষ্মান্ডার অধিষ্ঠান। দেবী কুষ্মান্ডার এই মন্দির বেশ বড়ো এবং বহুচূড়া বিশিষ্ট‌। মূল মন্দিরের গর্ভগৃহে মাতা কুষ্মান্ডা অবস্থান করেন। নবরাত্রির চতুর্থীর দিনে ভক্তদের ব্যাপক ভিড় দেখা যায় এখানে।

  • Supreme Court: বৈবাহিক ধর্ষণ ও গর্ভপাত নিয়ে ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: বৈবাহিক ধর্ষণ ও গর্ভপাত নিয়ে ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈবাহিক ধর্ষণ (Marital rape) ও গর্ভপাত (Abortion) নিয়ে এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। গর্ভপাত নিয়ে এক বড়সড় পদক্ষেপ নিয়েছে শীর্ষ আদালত। এদিন শীর্ষ আদালত থেকে জানানো হয়েছে, বিবাহিত বা অ-বিবাহিত, দেশের সকল মহিলারই নিরাপদ এবং আইনি গর্ভপাতের অধিকার আছে। এছাড়াও এই প্রসঙ্গে বলার আগে বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়েও মন্তব্য করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বিনা সম্মতিতে যৌন সংসর্গও ধর্ষণ। আর এর ফলেই মহিলারা জোর করে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।

    সুপ্রিম কোর্ট এদিন বলেছে, একজন মহিলা বিবাহিত না অ-বিবাহিত এর সঙ্গে গর্ভপাতের অধিকার নিয়ে কোনও আলোচনার বিষয় হতে পারে না। এমনকি অবিবাহিত মহিলাদেরও ২৪ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত করার অধিকার রয়েছে। এখানেই শেষ নয়, শীর্ষ আদালত, এমনও বলেছে যে, কোনও অবিবাহিত মহিলাকে গর্ভপাতের অধিকার না দেওয়া মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের সমান।

    আরও পড়ুন: “স্ত্রী-সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেওয়া স্বামীর কর্তব্য…”, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    এদিন মেডিক্যাল টার্মিনেশন অব প্রেগন্যান্সি আইন সংক্রান্ত মামলায় এ কথা জানিয়েছে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। দেশের শীর্ষ আদালত বলেছে, “এমটিপি আইনে অবিবাহিত মহিলাদের গর্ভপাতের অধিকার রয়েছে। কিন্তু দেশের গর্ভপাত আইনের ব্যাপারে বিবাহিত এবং অবিবাহিতের কোনও প্রভেদ করা উচিত নয়।” আবার এই প্রসঙ্গে বলার পাশাপাশি বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, বিবাহিত মহিলারাও যৌন হেনস্থা বা ধর্ষণের শিকার হতে পারেন। সম্মতি ছাড়া স্বামীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে এক জন মহিলা সন্তান সম্ভবা হয়ে পড়তে পারেন।

    প্রসঙ্গত, বিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রে গর্ভপাতের সর্বোচ্চ সময়সীমা ২৪ সপ্তাহ পর্যন্ত। এছাড়া ধর্ষণের শিকার, বিশেষভাবে সক্ষম বা নাবালিকা, পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে সহবাসের পর কোনও অবিবাহিত মহিলা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে-এইসব বিশেষ ক্ষেত্রে ২০ সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভপাত করা যেত। এরপরেই প্রশ্ন ওঠে যে, গর্ভপাতের ক্ষেত্রে এমন কেন ভেদাভেদ করা হবে? এরপরেই আজ, বৃহস্পতিবারে এই নিয়েই এই দৃষ্টান্তমূলক ও যুগান্তকারী রায়টি দিল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।

  • World Heart Day: প্রতি বছর ১৫ লাখ ভারতীয় হৃদরোগে মারা যাচ্ছেন, কীভাবে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবেন?

    World Heart Day: প্রতি বছর ১৫ লাখ ভারতীয় হৃদরোগে মারা যাচ্ছেন, কীভাবে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রেড মিলে দৌড়নোর সময়ে আচমকা জ্ঞান হারান ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Saurav Ganguly)। হাসপাতালে নিয়ে গেলে জানা যায়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাক্তন খেলোয়াড় স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখেন, তিনি স্থুল নন। তারপরেও তার আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় হতবাক হয়েছেন অনেকেই। যদিও স্টেন বসিয়ে আপাতত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন বাঙালির আইকন।

    তবে, সৌরভের মতো হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসার সুযোগও পাননি অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লা। বিগ বস ১৩ বিজয়ী সিদ্ধার্থ শুক্লার বয়স হয়েছিল পঞ্চাশ বছর। নিয়মিত জিমে যেতেন। স্বাস্থ্য চর্চা করতেন। কিন্তু বাড়িতেই আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বছর পঞ্চাশের অভিনেতা।

    ভারতে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা মারাত্মক ভাবে বাড়ছে। এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সের রিপোর্ট বলছে, ভারতে প্রতি বছর ৩০ লাখ মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ১৫ লাখ মানুষ প্রতি বছর ভারতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। যার মধ্যে ১৫ শতাংশ হাসপাতালে যাওয়ার সুযোগ ও পান না।

    আজ ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে (World Heart Day)। হৃদযন্ত্রের খেয়াল রাখতে তাই আজ বিশেষ পরামর্শ দিচ্ছেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞেরা।

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ব্যস্ত জীবন যাপন, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, ফাস্টফুডে অভ্যস্থ হয়ে যাওয়াই বিপদ বাড়াচ্ছে। তার উপরে বাড়ছে হাইপারটেনশন, অবসাদের মতো মানসিক রোগ, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই তিরিশের কোঠায় পৌঁছলেই বাড়তি সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, হৃদরোগের বংশানুক্রমিক ইতিহাস থাকলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেমন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিবারে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস রয়েছে। তাই যাদের পরিবারে আগেও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, তারা বাড়তি সতর্ক হন।

    আরও পড়ুন: রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান? খান এই চার ধরণের খাবার

    খাদ্যাভাসে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তারা জানাচ্ছেন, দৈনন্দিন ব্যস্ততার জেরে অনেকেই নির্দিষ্ট সময় খাবার খান না। দীর্ঘদিন খাওয়ার অনিয়ম হৃদরোগ ডেকে আনে। সকালের জলখাবার কখনওই বাদ দেওয়া যাবে না। তাদের পরামর্শ, সকালে ভারি জলখাবার জরুরি। দুপুরে হালকা খাবার। সন্ধ্যায় একটু ভারি খাবার। রাতের মেনু অবশ্যই হালকা হতে হবে। অনেক রাতে অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার খেলে হজমে অসুবিধা হয়। দিনের পর দিন অসময়ে খেলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

    সময় মতো খাবার খাওয়ার পাশপাশি কী খাওয়া হচ্ছে, সে দিকে নজর দেওয়াও অত্যন্ত জরুরি। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত খাবার একেবারেই তালিকায় রাখা উচিত নয়। তাছাড়া চর্বি জাতীয় খাবার ও কম খাওয়া দরকার। তেলমশলা যুক্ত চর্বি জাতীয় খাবার দেহের ওজন বাড়িয়ে দেয়। আর স্থুলতা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। পাশপাশি, বিরিয়ানি, চপ-কাটলেট, বার্গার, পিৎজার মতো খাবারগুলোকে নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের তালিকা থেকে বাদ রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, এগুলোর পুষ্টিগুণ বিশেষ নেই। বরং এগুলো ওবেসিটি ডেকে আনে।

    তবে, খাবারের পাশপাশি নিয়মিত শারীরিক কসরত জরুরি। তবে, শারীরিক কসরত বলতে শুধুই জিমে যাওয়া বোঝাচ্ছেন না বিশেষজ্ঞ মহল। তারা জানাচ্ছেন, নিয়মিত হাঁটা সবচেয়ে ভালো অভ্যাস। শরীর ওজন বাড়তে দেয় না। হজমে সাহায্য করে। তাই নিয়ম করে ফি-দিন অন্তত তিরিশ মিনিট হাঁটার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

    তবে, শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, মানসিক চাপ থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ভারতে অবসাদ ও হাইপারটেনশন মহামারির আকার ধারণ করছে। অধিকাংশ মানুষ মানসিক চাপের শিকার। তাই নিয়মিত সৃজনশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা জরুরি।

    চিকিৎসকেরা পরামর্শ, সতর্ক থাকার পাশপাশি দরকার নিয়মিত চেক আপ। নির্দিষ্ট সময় অন্তর চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে বড় বিপদ এড়ানো যায়। যদি উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা থাকে, তাহলে অবশ্যই নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। নিয়ম মাফিক ওষুধ ও খেতে হবে। তবেই হৃদরোগের বড় বিপদ এড়ানো যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share