Blog

  • Free Ration: উৎসবের মরশুমে সুখবর, আরও তিনমাস বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের 

    Free Ration: উৎসবের মরশুমে সুখবর, আরও তিনমাস বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগেই সুখবর দিল মোদি সরকার। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বিনামূল্যে রেশন (Anouncement of Free ration) দেওয়ার সময়সীমা আরও ৩ মাস বাড়াতে চলেছে কেন্দ্র সরকার (Central Government)। এই সিদ্ধান্তে সবুজ সংকেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। ২০২০ সালে করোনা অতিমারীর সময় এই বিনামূল্যে রেশন দেওয়া শুরু করেছিল ভারত সরকার। এই প্রকল্পে প্রান্তিক ও গরিব দেশবাসীকে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়া হয়। এই প্রকল্পের আওতায় প্রত্যেক ব্যক্তি মাস প্রতি ৫ কেজি করে খাদ্য শস্য পান। 

    আরও পড়ুন: দুয়ারে রেশন প্রকল্প অবৈধ, সাফ জানাল হাইকোর্ট 

    আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর বিনামূল্যে রেশন প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দেশজুড়ে আসন্ন উৎসবের কথা মাথায় রেখে এই প্রকল্পের মেয়াদ আরও ৩ মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার (PMGKAY) আওতায় প্রতি মাসে দেশের ৮০ কোটি মানুষ বিনামূল্যে রেশন পান। ২০১৩ সালের জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় ওই ৮০ কোটি উপভোক্তাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। নির্ধারিত কোটার আওতায় তাঁদের প্রাপ্য রেশন তাঁরা পেয়ে থাকেন। তারপরেও বিনামূল্যে অতিরিক্ত পাঁচ কেজি খাদ্যশস্য পান ওই উপভোক্তারা। 

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, আরও ৩ মাস এই বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার ফলে সরকারের ওপর অতিরিক্ত ৪৫ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, খরচ কমাতে অর্থমন্ত্রকের তরফে সরকারকে রেশনে দেওয়া খাদ্যশস্যের পরিমাণ কমানোর সুপারিশ করা হয়েছিল, কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার বর্তমান পদ্ধতিতেই আরও ৩ মাস রেশন প্রকল্প চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক। অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অন্যান্য সামগ্রীর ওপর ইতিমধ্যে অতিরিক্ত ভর্তুকি দিতে হচ্ছে, এর পর রেশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত আর্থিক চাপ  অনেকটাই। অর্থমন্ত্রক আরও জানিয়েছে, বিগত ২ বছরে এই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকারের মোট ২ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে।  

    করোনাভাইরাস অতিমারীর সময় প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার প্রকল্পটি চালু করা হয়। প্রাথমিকভাবে তিন মাসের জন্য (২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের জুন) সেই প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপর থেকে একাধিকবার প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। দ্বিতীয় দফা (২০২০ সালের জুলাই থেকে নভেম্বর), তৃতীয় দফা (২০২১ সালের মে এবং জুন), চতুর্থ দফা (২০২১ সালের জুলাই থেকে নভেম্বর), পঞ্চম দফা (২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের মার্চ) এবং ষষ্ঠ দফায় (২০২২ সালের মে থেকে সেপ্টেম্বর) খাদ্যশস্য দেওয়া হয়েছে। এবার সপ্তম দফায় আরও তিন মাস, ডিসেম্বর অবধি বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়া হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Iran Hijab Protest: হত্যার প্রতিবাদ! দাদার কফিনে নিজের চুল কেটে রেখে দিল বোন

    Iran Hijab Protest: হত্যার প্রতিবাদ! দাদার কফিনে নিজের চুল কেটে রেখে দিল বোন

    মাধ্যমিক নিউজ ডেস্ক: ইরানে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে হিজাব বিরোধী প্রতিরোধ (Iran Anti Hijab Protest)। হিজাব নিয়ে নীতি পুলিশির (Moral Policing) জেরে ১৬ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় উত্তর-পশ্চিম ইরানের বাসিন্দা বছর ২২-র মাসা আমিনির। তাঁর মৃত্যুর পরই ইরান জুড়ে হিজাব নিয়ে শুরু হয়েছে আন্দোলন। বাধ্যতামূলকভাবে হিজাব পরার আইন বাতিলের দাবিতে তেহেরানের রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৪১ জন আন্দোলনকারীর। গণহত্যার প্রতিবাদের বিভিন্ন পন্থা নিয়েছেন মানুষ। এবার দাদার মৃত্যুর প্রতিবাদে দাদার কফিনে চুল কেটে প্রতিবাদ জানালেন বোন (Woman cuts off her hair)। 

    আরও পড়ুন: হিজাব না পরায় গ্রেফতার, পরে মৃত্যু তরুণীর, প্রতিবাদে উত্তাল ইরান

    জাভেদ হায়েদারী নামের ওই ব্যক্তির আন্দোলন করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে। তাঁর শেষ কৃত্যে কফিনে চুল কেটে প্রতিবাদ জানালেন তাঁর বোন। ফুল দিয়ে সাজানো কবরে নিজের কাটা চুল রাখলেন সবার ওপরে। রাষ্ট্রের প্রতি ক্ষোভের বার্তা দিয়েছে তরুণীর এই বিরল প্রতিবাদ।  

     

    হিজাব আন্দোলনে প্রশাসনিক নৃশংসতা বেড়েই চলেছে। আন্দোলনে প্রথম সারিতে থাকা বছর ২০-র এক ইরানি তরুণীকে এবার গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিল এক ‘কুখ্যাত’ নিরাপত্তা রক্ষী। রবিবার রাতে ইরানের কারাজ এলাকায় নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সেই তরুণী। সূত্রের খবর, ওই তরুণীর বুকে, মুখে এবং গলায় গুলি করা হয়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই তরুণীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।এর আগেও হিজাব বিরোধী আন্দোলনে দেখা গিয়েছে তাঁকে। 

    আরও পড়ুন: ‘ফেসিয়াল রিকগনিশন’-এর মাধ্যমে ইরানে চিহ্নিত করা হবে হিজাব উপেক্ষা করা মহিলাদের

    ‘হিজাব নয়, স্বাধীনতা ও সাম্য চাই’ – এখন ইরানের রাস্তায় শোনা যাচ্ছে এই শ্লোগান। এবার আন্দোলনকে সংগঠিত রাখতে গত শতাব্দীর ইটালীয় লোকসংগীতকে অস্ত্র করেছেন প্রতিবাদীরা। ইরানের রাস্তায় শোনা যাচ্ছে ‘বেলা চাও, বেলা চাও’। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ফ্যাসিবাদ বিরোধী লোকসংগীতগুলির মধ্যে ইটালিতে অন্যতম জনপ্রিয় গান ছিল এটি। শব্দবন্ধটির অর্থ ‘বিদায় সুন্দরী’। অন্যান্য প্রতিবাদের সঙ্গে এই গানকেও এখন হাতিয়ার করছেন ইরানের প্রতিবাদীরা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Afghan Sikh Refugees: চোখেমুখে তালিব-সন্ত্রাসের আতঙ্ক, ভারতে এলেন ৫৫ আফগান শিখ শরণার্থী

    Afghan Sikh Refugees: চোখেমুখে তালিব-সন্ত্রাসের আতঙ্ক, ভারতে এলেন ৫৫ আফগান শিখ শরণার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তান (Afghanistan) থেকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হল ৫৫ জন হিন্দু ও শিখ। তাঁদের মধ্যে ৩৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক। এছাড়া রয়েছে ১৪ জন কিশোর-কিশোরী এবং ৩টি শিশু। রবিবার বিকেলে একটি বিশেষ বিমানে করে নয়াদিল্লির (New Delhi) ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছোয় তাঁরা। আফগান সংখ্যালঘুদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য ভারতীয় ওয়ার্ল্ড ফোরাম এবং ভারত সরকারের সমন্বয়ে তৈরি অমৃতসরের শিরোমণি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটি বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করেছিল।

    তালিবান অধ্যুষিত আফগানিস্তানে চরম দুর্দশার মধ্যে সংখ্যালঘু শিখদের দিন কাটছে। ফলে সেই দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে পৌঁছে অনেকেই তাই স্বস্তির শ্বাস ফেলছেন। পাঞ্জাবের সাংসদ বিক্রমজিৎ সিং সাহনি গতকাল বলেন, “কাবুল, জালালাবাদে আটকে পড়া ৫৫টি পরিবার আজ দিল্লিতে নিরাপদে পৌঁছেছে। ই-ভিসা সহজতর করার জন্য আমি ভারত সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ।” তিনি একটি প্রোগাম শুরু করেছেন, যার নাম “আমার পরিবার আমার দায়িত্ব” (“My family My responsibility” ), যার অধীনে ৫৪৩ জন আফগান শিখ এবং হিন্দু পরিবারকে পশ্চিম দিল্লিতে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা দিয়ে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, “আমরা ইতিমধ্যেই ৫৪৩ পরিবারকে মাসিক গৃহস্থলি খরচ, বাড়ি ভাড়া এবং চিকিৎসা সুবিধা দিয়ে পুনর্বাসন করছি এবং এই লোকদের পুনর্বাসন এই কর্মসূচিরই একটি অংশ।”

    আরও পড়ুন: আজ আবার আদালতে সুবীরেশ! ফের তাঁকে হেফাজতে চাইবে সিবিআই?

    অন্যদিকে জরুরী ই-ভিসা প্রদান এবং তাঁদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য ভারত সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) ধন্যবাদ জানিয়েছেন আফগান শরণার্থীরা। এক আফগান শরণার্থী বলজিৎ সিং বলেন, “আফগানিস্তানে অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। আমি চার মাস জেলে ছিলাম। আমি ভারতে এবং আমাদের ধর্মে ফিরে আসতে পেরে কৃতজ্ঞ এবং খুশি। আমি আশা করি যে ১১-১২ জন সেখানেই রয়ে গেছে, তাঁরা শীঘ্রই ফিরে আসবেন”। আর এক আফগান শরণার্থী সুখবীর সিং খালসা বলেছেন, “আমাদের জরুরি ভিসা দেওয়ার জন্য এবং এখানে পৌঁছতে সাহায্য করার জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমাদের অনেকের পরিবার এখনও আফগানিস্তানে। প্রায় ৩০-৩৫ জন সেখানে আটকা পড়ে আছে।”

    প্রসঙ্গত, জুন মাসে কাবুলের গুরুদ্বার কার্তে পারওয়ানে হামলার পর এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬৮ জন আফগান হিন্দু ও শিখ এদেশে এসেছেন। এছাড়াও ৩ অগাস্ট, শিশু সহ কমপক্ষে ৩০ জন আফগান শিখ, কাবুল থেকে দিল্লিতে এসে পৌঁছেছিল। আবার ১৪ জুলাই ২১১ জন আফগান শিখকে কাবুল থেকে এদেশে নিয়ে আসা হয়।

  • Suvendu Adhikari: কেন্দ্রের টাকায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দিচ্ছে রাজ্য, অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: কেন্দ্রের টাকায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দিচ্ছে রাজ্য, অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের টাকায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Laxmir Bhandar) টাকা দিচ্ছে রাজ্য। শনিবার এই ভাষায়ই রাজ্য সরকারকে আক্রমণ শানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ন মাস ধরে চুরি করছে। হিসাব দিতে না পারায় বন্ধ ১০০ দিনের টাকা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানান, কেন্দ্রের জল প্রকল্পের টাকাও পাবে না। রাজ্য সরকারের পাশাপাশি এদিন নাম না করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও নিশানা করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। বলেন, জাতীয় শিক্ষা মিশনের টাকা থেকে ভাইপো, পার্থরা কাটমানি খেয়েছেন। এঁদের টাকা খাওয়ার সব রাস্তা বন্ধ হয়ে আসছে।

    এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে একটি রক্তদান শিবিরে যোগ দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেখানেই রাজ্য সরকার এবং অভিষেক-পার্থকে লক্ষ্য করে তোপ দাগেন তিনি। পরে নিক্ষেপ করেন ট্যুইট-বাণও। শুভেন্দু লেখেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মহিলা ও শিশু উন্নয়ন এবং সমাজকল্যাণ বিভাগ, বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিলের ব্যবহার অন্যত্র করছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পেও সেই টাকা ব্যবহার করা হচ্ছে।

    অন্য একটি ট্যুইটে শুভেন্দু লেখেন, আমি এটা প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট প্রমাণ সংগ্রহ করেছি। পশ্চিমবঙ্গ সরকার আইসিডিএসের মতো কেন্দ্রীয় তহবিলগুলিকে অস্থায়ীভাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে তহবিল দেওয়ার জন্য ব্যবহার করছে। কেন্দ্রীয় তহবিল যেমন মিড-ডে মিলের অর্থেরও ব্যবহার হচ্ছে। এটা একটার কাছ থেকে আর একটা দিতে ধার নেওয়ার মতো। এটা বন্ধ করতে হবে।

    আরও পড়ুন :বোলপুরে শিশুহত্যার ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি শুভেন্দুর, বিধানসভায় ওয়াকআউট বিজেপির

    এর আগে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে দেওয়ার অভিযোগে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। চিঠি লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আসে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। বেশ কয়েকটি প্রকল্পের টাকা আটকে যায় বলেও সূত্রের খবর। এবার শুভেন্দুর অভিযোগ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের তহবিল নিয়ে। তার পরেই উঠছে প্রশ্ন, এবার কি তাহলে বন্ধ হয়ে যাবে তৃণমূল নেত্রীর সাধের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পও?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • WhatsApp New Feature: হোয়াটসঅ্যাপে গুগল মিটের মতো সুবিধা

    WhatsApp New Feature: হোয়াটসঅ্যাপে গুগল মিটের মতো সুবিধা

    নয়া ফিচার হোয়াটসঅ্যাপে (WhatsApp New Feature)

    WhatsApp New Feature -এ এবার গুগলের মতোই একটি বিশেষ সুবিধা নিয়ে এল জুকারবার্গের সংস্থা মেটা । এই নয়া ফিচারের কারণে এবার WhatsApp-এ যুক্ত হল কললিঙ্ক।

    WhatsApp New Feature – কললিঙ্ক

    হোয়াটসঅ্যাপে এই নতুন ফিচারটি ব্যবহারকারীদের জন্য অনেক সুবিধাও এনে দেবে বলে দাবি জুকারবার্গের সংস্থার। গতকাল মেটার (META) মালিকাধীন হোয়াটসঅ্যাপ সংস্থার সিইও মার্ক জুকারবার্গ (Mark Zuckerberg) ঘোষণা করেছেন যে তারা একটি নতুন ফিচার (Whatsapp New Feature) লঞ্চ করতে চলেছে, যার নাম ‘কল লিঙ্ক’ (Call Link)। বন্ধু বা পরিচিতদের সহজে ভিডিও কলে যুক্ত হওয়ার সুযোগ দিতে ‘কল লিঙ্ক’ সুবিধা চালু করছে হোয়াটসঅ্যাপ।

    এভাবেই কাজ করবে WhatsApp New Feature – কললিঙ্ক

    এই নতুন ফিচার (WhatsApp New Feature)-এর ফলে ইউজাররা গ্রুপ অডিও ও ভিডিও কল করতে চাইলে, আগেই একটি লিঙ্ক তৈরি করে নিতে পারবেন। এরপর এই লিঙ্কটি মেসেজের মাধ্যমে আপনার বন্ধু-বান্ধব, পরিচিত মানুষের সঙ্গে শেয়ার করতে পারবেন। ঠিক যেমন আপনারা গুগল মিট-এ (Google Meet) করে থাকেন। তাঁরা ওই লিঙ্কটিতে ক্লিক করলেই মুহূর্তের মধ্যে ওই গ্রুপ কলে যোগ দিতে পারবেন। বলাই বাহুল্য, এই নয়া হোয়াটসঅ্যাপ ফিচার ইউজারদের জন্য সুবিধার হতে চলেছে। কারণ যদি কোনও ব্যক্তি গ্রুপ কলে জয়েন করতে দেরি করে ফেলে, তবে তিনি পরে ওই লিঙ্কের মাধ্যমেই গ্রুপে খুব সহজেই জয়েন করতে পারবেন।

    হোয়াটসঅ্যাপের কল ট্যাবেই এই কল লিঙ্ক অপশনটি দেখা যাবে। আর এই অপশন থেকেই গ্রুপ কল লিঙ্ক তৈরি করতে হবে। অনুমান করা হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপের এই নয়া ফিচার অ্যান্ড্রয়েড (Android) ও আইওএস (iOS) – উভয়তেই আসতে চলেছে। জুকারবার্গ জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকেই এই ফিচারটির রোলআউট করা শুরু হবে।

    সিইও মার্ক জুকারবার্গ (Mark Zuckerberg) আরও জানিয়েছেন, এই নয়া হোয়াটসঅ্যাপ ফিচার (Whatsapp New Feature) ছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপ ৩২ জনের জন্য সুরক্ষিত এবং এনক্রিপ্ট করা গ্রুপ ভিডিও কলের ওপর কাজ করা শুরু করেছে। ফলে এই ফিচারটি আসলে হোয়াটসঅ্যাপের গ্রুপ ভিডিও কলে ৩২ জন পর্যন্ত ইউজার যুক্ত হতে পারবেন।

    বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ কলিং-এ এখন পর্যন্ত আটজন ব্যক্তিদের একে অপরের সঙ্গে ভিডিও কল করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে এই সংখ্যা যাতে বাড়ানো যায়, তাই নিয়েই কাজ চলছে। এই ফিচারটি অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস দুটিতেই খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে। তাই এই নয়া হোয়াটসঅ্যাপ ফিচার (Whatsapp New Feature) ‘কল লিঙ্ক’ (Call Link)-এর সাথে আরও একাধিক নতুন সুবিধা পেতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা।

  • Real Shiv Sena tussle: আসল শিবসেনা কারা, সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Real Shiv Sena tussle: আসল শিবসেনা কারা, সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসল শিবসেনা (Shiv Sena) কারা? সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার নির্বাচন কমিশনকেই দিল দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) এবং একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) এই লড়াইয়ে রেফারির ভূমিকায় থাকবে কমিশন। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, শিবসেনার প্রতীক নিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে পারবে কমিশন। কে প্রকৃত শিবসেনা, তা বাছাইয়ের দায়িত্ব যাতে নির্বাচন কমিশন না পায়, সে জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের গোষ্ঠী।  

    আরও পড়ুন: ইয়াকুবের কবর সৌন্দর্যায়ন, দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস শিন্ডের          
      
    মঙ্গলবার উদ্ধবদের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ। প্রকৃত শিবসেনা হিসেবে স্বীকৃতি এবং শিবসেনার তির-ধনুক প্রতীক প্রদানের যে দাবি জানিয়েছে শিন্ডে শিবির, তা যাতে কমিশন না শোনে, সেই আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছিল উদ্ধব শিবির। মঙ্গলবার সেই পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।   

    শীর্ষ আদালতের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছে, “নির্বাচন কমিশনে সওয়াল-জবাবে কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না বলে নির্দেশ দিচ্ছি আমরা।” যে বেঞ্চে আছেন বিচারপতি এমআর শাহ, বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারী, বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি পিএস নরসীমা। 

    আরও পড়ুন: বিজেপির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন উদ্ধব, তাঁর শিক্ষা পাওয়া প্রয়োজন, জানালেন শাহ

    মঙ্গলবার শুনানির সময় উদ্ধব পক্ষের আইনজীবী কপিল সিব্বল দাবি করেন, বহিষ্কৃত হওয়ার পরে শিবসেনার প্রতীক প্রদানের দাবি জানিয়ে কমিশনের কাছে যেতে পারেন না শিন্ডেরা। শিন্ডে পক্ষের আইনজীবী নীরজ কিষান কৌল পাল্টা দাবি করেন, কমিশনের কাছে শিন্ডে শিবিরের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ১.৫ লক্ষ শিবসেনা সমর্থক। ভোটের আগে দুই শিবিরের সমস্যা হয়েছিল। বিধানসভায় আস্থা ভোটের একদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়েছেন উদ্ধব। এ থেকে ধরেই নেওয়া যায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। তাই উদ্ধবদের পিটিশনের কোনও ভিত্তি নেই।     
     
    একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে শিবসেনা বিধায়কদের একাংশের বিদ্রোহের জেরে মহারাষ্ট্রে তিন মাস আগেই উদ্ধভ ঠাকরের সরকারের পতন হয়েছে। তারপর বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে গত ৩০ জুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শিন্ডে। শপথ নেওয়ার এক সপ্তাহ পরই, সংযুক্তিকরণ, বহিষ্কারের মতো বিষয়গুলিতে একনাথের বিরুদ্ধে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় উদ্ধব শিবির। সেইসময় উদ্ধবের আইনজীবীরা দাবি করেছিলেন, শুধুমাত্র অপর কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিশে গেলে সংবিধান দশম তফসিলের আওতায় শিবসেনা থেকে বহিষ্কারের হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন শিন্ডেরা। যে বিষয়টি নিয়েও মঙ্গলবারও সওয়াল-জবাব হয় আদালতে।      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • New island: অগ্ন্যুৎপাত, প্রশান্ত মহাসাগরে সৃষ্টি নয়া দ্বীপের

    New island: অগ্ন্যুৎপাত, প্রশান্ত মহাসাগরে সৃষ্টি নয়া দ্বীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৪৮ ঘণ্টায় আট বার অগ্ন্যুৎপাত। তার জেরে সৃষ্টি নয়া দ্বীপের। অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় (Pacific Ocean) দেশ টোঙ্গার উত্তরে হোম রিফ আগ্নেয়গিরিতে। টোঙ্গা (Tonga) সরকার সতর্কতা জারি করে স্থানীয় বাসিন্দাদের নয়া দ্বীপ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে। জানা গিয়েছে, গত ১০ দিনে আগ্নেয়গিরিটি (Volcano) অন্তত ৬০ বার অগ্ন্যুৎপাত করেছে। অগ্ন্যুৎপাতের জেরে নির্গত লাভা ও ছাই ছড়িয়ে পড়েছে প্রায় দু মাইল এলাকা জুড়ে। 

    দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশে থাকা আগ্নেয়গিরি শ্রেণিটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো জীবন্ত আগ্নেয়গিরি শ্রেণি। এই আগ্নেয়গিরিশ্রেণির বিস্তৃতি নিউজিল্যান্ড (New Zealand) থেকে টোঙ্গা পর্যন্ত। এই আগ্নেয়গিরিশ্রেণির মধ্যে হোম রিফ ফের জেগে উঠেছে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে। অগ্ন্যুৎপাত হওয়ার এগারো ঘণ্টা পরেই একটি নতুন দ্বীপ দেখা গিয়েছে। ১৪ সেপ্টেম্বর অপারেশনাল ল্যান্ড ইমেজার-2 (OLI-2)পদ্ধতির মাধ্যমে সদ্যজাত এই দ্বীপটির ছবি তোলা হয়েছে। টোঙ্গার ভূতাত্ত্বিক বিভাগ জানিয়েছে, নয়া দ্বীপটির বিস্তৃতি প্রায় ১ একর এলাকা জুড়ে। সমুদ্রতল থেকে প্রায় ১০ মিটার উঁচুতে অবস্থান করছে দ্বীপটি। ২০ সেপ্টেম্বর ফের অগ্ন্যুৎপাত হয়। দ্বীপের বিস্তার বেড়েছে আরও ৬ একর। লেট দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমে, হুঙ্গা টোঙ্গা-হুঙ্গা হাপাই (Hunga Tonga-Hunga Ha’apai) এর উত্তর-পূর্বে এবং মউঙ্গা’ওনের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থান করছে এই দ্বীপটি। আরও স্পষ্টভাবে বললে বলতে হয়, টোঙ্গা-কারমাডকের কেন্দ্রস্থলে অবস্থান করছে এই দ্বীপ। এই জায়গায় থাকা তিনটি প্লেটের পরস্পরের সঙ্গে প্রচণ্ড গতিতে সংঘর্ষ হওয়ায় গভীরতম গর্তের সৃষ্টি হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশে। অতিরিক্ত এই চাপই আগ্নেয়গিরিগুলিকে ফের জাগিয়ে তুলছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

    আরও পড়ুন: পুতিনের সামরিক ঘোষণার পরই রাশিয়া ছাড়ার ধুম, ‘ওয়ান ওয়ে ফ্লাইট’ টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে

    সচরাচর নব গঠিত এই দ্বীপগুলির আয়ু ক্ষণস্থায়ী। তবে কিছু কিছু দ্বীপ বছরের পর বছর টিকে রয়েছে। হোম রিফে এর আগেও চারবার  অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটেছিল। ১৯৮৪ ও ২০০৬ সালে অগ্ন্যুৎপাতের জেরে সৃষ্টি হয়েছিল ক্ষণস্থায়ী দ্বীপের। কিছুদিনের মধ্যেই অবশ্য সমুদ্রে ডুবে যায় সেই দ্বীপগুলি। ২০২০ সালে লেটকি আগ্নেয়গিরির (Late’iki Volcano) টানা ১২ দিনের অগ্ন্যুৎপাতের (Eruption) জেরে সৃষ্টি হওয়া দ্বীপটি তলিয়ে গিয়েছিল দু মাসের মধ্যে। যদিও ১৯৯৫ সালে ওই আগ্নেয়গিরি দ্বারা গঠিত অন্য একটি দ্বীপ প্রায় টিকে ছিল ২৫ বছর ধরে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Ban PFI: জঙ্গি-যোগ! পিএফআই কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার আর্জি দেশজুড়ে, তল্লাশি চালিয়ে কী পেল এনআইএ?

    Ban PFI: জঙ্গি-যোগ! পিএফআই কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার আর্জি দেশজুড়ে, তল্লাশি চালিয়ে কী পেল এনআইএ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে নিষিদ্ধ হতে চলেছে ইসলামিক সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI)। বিভিন্ন অসামাজিক ও দেশবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে ২০০৬ সালে গঠিত, এই সংগঠনটির বিরুদ্ধে। অভিযোগ , সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছে পিএফআই। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে তারা। তাই দেশ জুড়ে পিএফআইকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি জোড়াল হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকার খুব শীঘ্রই পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়াকে (পিএফআই) নিষিদ্ধ করতে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে এই দলটিকে বেআইনি ঘোষণা করার জন্য যথেষ্ট প্রমাণও রয়েছে, বলে খবর। 

    আরও পড়ুন: পিএফআই-এর বিরুদ্ধে বাংলা সহ ১০ রাজ্যে ইডি-এনআইএ যৌথ হানা, গ্রেফতার ১০০

    বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA) ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। কেরল সহ একাধিক রাজ্যে নিষিদ্ধ সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার বিভিন্ন সংগঠনেই হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় দুই তদন্তকারী সংস্থা। এখনও অবধি ১০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে পিএফআইয়ের প্রধান পারভেজ আহমেদকেও। কেরল, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, দিল্লি, অসম, মধ্যপ্রদেশ, গোয়া, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, মণিপুরে প্রায় ৩০০ এনআইএ অফিসার একযোগে তল্লাশি চালায়।  ৫টি মামলায় মোট ১০৬ জন পিএফআই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে ৪৫ জন নেতা। কেরল থেকে সর্বাধিক ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারপরেই রয়েছে তামিলনাাড়ু। সেখান থেকে ১১জনকে গ্রেফতার করা হয়। এছড়া কর্নাটক থেকে ৭ জন, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ৪, রাজস্থান থেকে ২, তেলেঙ্গানা এবং উত্তর প্রদেশ থেকে ১ জন করে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: অবশেষে এনআইএ-এর জালে মাওবাদী নেতা সম্রাট চক্রবর্তী, জানেন কীভাবে?  

    এনআইএ-র দাবি, পিএফআই নেতারা একাধিক জায়গায় জঙ্গি কার্যকলাপ, এবং জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করতেন। তাঁরা অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণও দেন। তল্লাশিতে প্রচুর টাকা, অস্ত্র এবং বিপুল ডিজিটাল ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে। এনআইএ-এর অভিযানের প্রতিবাদে কেরল এবং কর্নাটকের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন পিএফআই সদস্যরা। শুক্রবার কেরলে ১২ ঘণ্টার বনধের ডাকও দিয়েছে সংগঠন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Asha Parekh: দাদাসাহেব ফালকে সম্মানে ভূষিত হচ্ছেন আশা পারেখ

    Asha Parekh: দাদাসাহেব ফালকে সম্মানে ভূষিত হচ্ছেন আশা পারেখ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাদাসাহেব ফালকে (Dadasaheb Phalke) পুরস্কারে ভূষিত হচ্ছেন ‘লাভ ইন টোকিও’-র নায়িকা আশা পারেখ (Asha Parekh)। সিনেমায় তাঁর অবদানের জন্য ভারতীয় চলচ্চিত্রের (Indian Films) সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত করা হচ্ছে তাঁকে। এই জনপ্রিয় অভিনেত্রীকে এর আগে ভারত সরকার পদ্মশ্রী সম্মানেও (Padma Shri) ভূষিত করেছে। কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur) সংবাদমাধ্যমে এই খবর জানিয়েছেন। ৩০ সেপ্টেম্বর সরকারিভাবে অভিনেত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হবে এই পুরস্কার। শেষবার ২০১৯ সালে এই পুরস্কার পেয়েছিলেন সুপারস্টার রজনীকান্ত। গত দু’বছর করোনার জন্য এই অনুষ্ঠান বন্ধ থাকায় এবছর দাদাসাহেব ফালকের পুরস্কার বিতরণী উৎসব ঘিরে এক ভিন্ন উন্মাদনা চলচ্চিত্র জগতে।

    ১৯৫২ সালে ‘আসমান’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে হাতেখড়ি। তখন তিনি বেবি আশা পারেখ নামেই পরিচিত ছিলেন। মাত্র ১০ বছর বয়স থেকেই অভিনয় যাত্রার শুরু তাঁর। মাঝে ব্যক্তিগত জীবনের জন্য কিছুদিন অভিনয় থেকে বিরতি নেন তিনি। পরে নাসির হুসেন পরিচালিত ছবি ‘দিল দেকে দেখো’ ছবির হাত ধরে পুনরায় প্রত্যাবর্তন হয় আশার। এরপর ‘কাটি পতঙ্গ’, ‘তিসরি মঞ্জিল’, ‘দো বদন’, ‘ক্যারাভান’ এর মতো হিট ছবির নায়িকা হিসেবে দেখা মিলেছে তাঁর।

    আরও পড়ুন: হটস্টারে ফিরছে রহস্যময় ‘লোকি’, অপেক্ষা আর মাত্র কয়েক দিনের

    তিনি প্রায় ৯৫টি সিনেমায় কাজ করেছেন। ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ফিল্ম (Film) সার্টিফিকেশন বোর্ডের চেয়ারম্যানও ছিলেন আশা পারেখ। ১৯৯৫ সালে অভিনয় জীবন থেকে অবসরের পর গত কয়েক দশকে সেভাবে দেখা মেলেনি আশা পারেখের। তবে ফিল্ম ও টিভি সিরিয়ালের প্রযোজনা শুরু করেন তিনি।

    জাতীয় পুরস্কারের কমিটিতে রয়েছেন চলচ্চিত্র জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। যেমন বিপুল শাহ যিনি বর্তমানে চেয়ারম্যানের পদে আসীন। এছাড়াও রয়েছেন ধর্ম গুলাটি, শ্রীলেখা মুখোপাধ্যায় (Sreelekha Mukherji) , জিএস ভাস্কর, এস থাঙ্গাদুরাই, সঞ্জীব রত্তন, কার্তিক রাজা, ভিএন আদিত্য, ভিজি থামপি, থাঙ্গাদুরা, নিশিগন্ধা এর মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।

    প্রসঙ্গত ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রথা ভেঙে ১৩৭ জন পুরস্কার প্রাপকদের মধ্যে শুধুমাত্র নির্বাচিত ১১ জনের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছিলেন। এর প্রতিবাদে ২০১৮ সালে প্রায় ৫০ জনের বেশি পুরস্কার প্রাপক ৬৫ তম জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে (National Film Festival) যোগদান করেননি। যদিও ন্যাশানাল ফিল্ম ডেভলপম্যান্ট কর্পোরেশনের (NFDC) কর্ণধার রবিন্দর ভাকর জানিয়েছেন, ঐতিহ্য বজায় রেখে মাননীয়া রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মু (President Draupadi Murmu) এই বছর পুরস্কার প্রাপকদের হাতে জাতীয় পুরস্কার তুলে দেবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

  • Dengue in Kolkata: গত ২৪ ঘণ্টায় ৮০০-এর বেশি মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত! পুজোর মুখে আতঙ্কে শহরবাসী

    Dengue in Kolkata: গত ২৪ ঘণ্টায় ৮০০-এর বেশি মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত! পুজোর মুখে আতঙ্কে শহরবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর ঢাকে কাঠি পড়েছে। তবুও কোথাও যেন তাল কাটছে। ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ প্রত্যেক দিন লাফিয়ে বাড়ছে শহর তথা সংলগ্ন জেলাগুলিতে। ডেঙ্গি পরিস্থিতি (Dengue situation in West Bengal) মোকাবিলায় কার্যত ব্যর্থ রাজ্য সরকার (Mamata Banerjee Government)। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের (West Bengal Health Department) সূত্র অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪০ জন। ডেঙ্গি পরীক্ষা হয়েছে ৭,৬৮২ জনের। শেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হওয়ায় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে ১২৯ জনকে। বর্তমানে সব মিলিয়ে ৫৪১ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ ভাবে চলতে থাকলে রাজ্যে মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা শীঘ্রই ২০ হাজার ছুঁয়ে ফেলবে বলে আশঙ্কা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে ফের বাড়ল করোনা সংক্রমণ, উৎসবের আগে ডেঙ্গির পাশাপাশি ভয় ধরাচ্ছে কোভিড

    স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, যে জেলাগুলিতে ডেঙ্গি হু হু করে বাড়ছে, সেগুলি হল, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিং। ইতিমধ্যে হাওড়া, কলকাতা, হুগলিতে ডেঙ্গিতে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে সম্প্রতি মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সোনারপুরের এক গৃহবধূর (Housewife dies by dengue) ৷ মৃতের নাম মৌমিতা ভট্টাচার্য । সোনারপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি ৷ 

    আরও পড়ুন: আপনি কি দ্বিতীয়বার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হতে পারেন? কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার ডেঙ্গি হয়েছে?

    রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে তৎপর রাজ্য সরকার। ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পুজোর (Durga Puja 2022) সময় স্বাস্থ্য কর্তাদের সমস্ত ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পুজো স্পেশাল ডিউটি রোস্টার তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, রাজ্যের একাধিক জেলায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়ানক। কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation) সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৭টি বরোর মধ্যে আটটি বরোর ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ১, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১ এবং ১২ নম্বর বোরোয় ডেঙ্গি পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share