Blog

  • Subiresh Bhattcharya: সুবীরেশের গ্রেফতারির পরই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পোড়ানো হচ্ছে ‘নথি’! ভিডিও প্রকাশ সুকান্তর

    Subiresh Bhattcharya: সুবীরেশের গ্রেফতারির পরই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পোড়ানো হচ্ছে ‘নথি’! ভিডিও প্রকাশ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattcharya)। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে সোমবারই গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সরকারকে আবারও কাঠগড়ায় তুলেছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি নিজের ট্যুইটার ও ফেসবুক হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করে সরকারকে নিশানা করছেন।

    ওই ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, রাতের বেলা কয়েকজন ব্যক্তি আগুনে কিছু কাগজ জাতীয় জিনিস পোড়াচ্ছেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, ওই ভিডিয়োটি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের। কেন রাতের অন্ধকারে নথি জ্বালানো হচ্ছে? তা নিয়ে সোশ্য়াল মিডিয়ায় প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এদিন সুকান্ত ট্যুইটারে বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতের অন্ধকারে নথি জ্বালাতে দেখা যাচ্ছে কিছু ব্যক্তিকে। এই নথি জ্বালানোর উদ্দেশ্য কী কীসের তথ্য গোপন করতে কী কী নথি জ্বালিয়ে ফেলা হল উপস্থিত ব্যাক্তিদের মধ্যে গ্রেফতার হওয়া উপাচার্যও নেই তো? প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যায়। ঘটনার তদন্ত দাবি করছি।’

    আরও পড়ুন: এবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য

    সুকান্ত মজুমদার ওই ভিডিয়োটি শেয়ার করতেই তা নেট মাধ্যমে হু হু করে ছড়িয়ে পড়ে। শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। যদিও এই ভিডিয়োর বিষয়ে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, শুধুমাত্র কিছু পুরানো, অকেজো সামগ্রী পোড়ানো হয়েছে। ট্যুইট বার্তায় সুকান্ত আরও দাবি করেন, ‘তৃণমূল সরকারের হাতে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে। এত লজ্জা বাঙালি রাখবে কোথায় ?’ 

    উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামালায় অনেকদিন ধরেই সিবিআই-এর নজরে ছিলেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এসএসসি-র চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। সোমবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলার তদন্তে সুবীরেশের বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই। তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি সুবীরেশকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। প্রশ্নের উত্তরে অসন্তুষ্টি হওয়ায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • India in Sri Lanka: দেনার দায়ে ডুবতে বসা শ্রীলঙ্কায় দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি ভারতের

    India in Sri Lanka: দেনার দায়ে ডুবতে বসা শ্রীলঙ্কায় দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিপন্ন প্রতিবেশীর পাশে দাঁড়াল ভারত (India)। দেনার দায়ে আকণ্ঠ নিমজ্জিত শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। প্রতিবেশী দেশটিকে কীভাবে ঋণের ফাঁস থেকে উদ্ধার করা যায়, সে ব্যাপারে মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার সঙ্গে কথা বলেছে মোদির (Modi) ভারত। কেবল তাই নয়, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের মাধ্যমে দেনার দায়ে ডুবতে বসা শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নয়াদিল্লি।

    চড়া সুদে শি জিনপিংয়ের দেশ থেকে ঋণ নিয়েছিল দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। ফি মাসে কেবল সুদ বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা মেটাতে গিয়ে আক্ষরিক অর্থেই সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা প্রশাসন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের দিকে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ার তলানিতে ঠেকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় আমদানি। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। জনরোষের আগাম আঁচ পেয়ে রাতের অন্ধকারে স্ত্রীকে নিয়ে দেশ ছেড়ে পালান তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষ। প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে প্রেসিডেন্ট ভবন, প্রধানমন্ত্রীর দফতর সহ নানা সরকারি ভবনের দখল নেয় জনতা। তার পরেই বিদেশ থেকে মেইল করে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন গোতাবায়া। জরুরি ভিত্তিতে সাংসদের ভোটে নয়া প্রেসিডেন্ট হন দেশের ছ বারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে।

    তার পর থেকে এ পর্যন্ত আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়নি শ্রীলঙ্কার।এমতাবস্থায় দ্বীপবাসীদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিল ভারত। কলম্বোয় ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, সেপ্টেম্বরের ১৬ তারিখে শ্রীলঙ্কার আধিকারিকদের সঙ্গে ঋণ শোধ নিয়ে প্রথম দফার বৈঠক হয়েছে। হাইকমিশন জানিয়েছে, আলোচনা হয়েছে আন্তরিক পরিবেশে। শ্রীলঙ্কা যাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার থেকে সাহায্য পেতে পারে, তার ব্যবস্থাও করার চেষ্টা চলছে।

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের পর এবার ইরাকের ওপর নজর চিনের?

    ভারতীয় হাইকমিশনের তরফে এও জানানো হয়েছে, শুক্রবার আন্তর্জাতিক ঋণদানকারী সংস্থার কাছে শ্রীলঙ্কা একটি প্রেজেন্টেশন করবে। তুলে ধরবে তার ঋণ সমস্যার কথা। সেই ঋণ কীভাবে শোধ করা হবে, তা নিয়েও করা হবে পরিকল্পনা। হাইকমিশন এও জানিয়েছে, নয়াদিল্লি কলম্বোকে সমর্থন জুগিয়েই যাবে। গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কয়েকটি ক্ষেত্রে ভারত দীর্ঘমেয়াদি ইনভেস্টমেন্টও করবে। এভাবেই ভারত রূপায়ণ করবে তার ‘নেবারহুড ফার্স্ট’ নীতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Remove Private Video: সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও! এই পরিস্থিতিতে কী করা উচিত?

    Remove Private Video: সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও! এই পরিস্থিতিতে কী করা উচিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০ জন ছাত্রীর স্নানের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে পাঞ্জাব সহ পুরো দেশে। ওই ভিডিওগুলি নেটমাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। এমনকি, এর জেরে আট ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে দাবি করা হয়। এর ফলে গত শনিবার রাত থেকে পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। যদিও পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয় যে, একটি ভিডিওই ফাঁস হয়েছে এবং কোনও ছাত্রীই আত্মহত্যার চেষ্টা করেননি।

    ফলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত বা নগ্ন ছবি বা ভিডিও ভাইরাল হওয়ার মত অনেক ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। তবে কারোর ব্যক্তিগত ভিডিও ভাইরাল করা বিশ্বাসঘাতকতাই নয়, এটি একটি অপরাধও। তাই এমন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটলে আপনার কী করা উচিত, জানেন?

    এমন পরিস্থিতিতে, সবার আগে ইন্টারনেট থেকে কীভাবে ভিডিও বা ছবি সরিয়ে ফেলা যায়, তার উপায় বের করতে হবে। এমন অনেক উপায় আছে যার মাধ্যমে আপনি যেকোনো সাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আপলোড করা এমএমএস (MMS) বা ফটোগ্রাফ ডিলিট করতে পারেন।

    আরও পড়ুন: চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয় এমএমএস কাণ্ডে গ্রেফতার আরও দুই, ৬ দিনের জন্য বন্ধ ক্যাম্পাস

    পুলিশের সাথে যোগাযোগ করুন

    প্রথমে নিকটবর্তী থানায় গিয়ে এবং সাইবার সেলের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করা উচিত। আপনার অভিযোগের পর, পুলিশ ওয়েবসাইটের মালিক বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করবে৷ আপনার অভিযোগ সঠিক প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    য়েবসাইটের মালিকের কাছে অভিযোগ করুন

    ভিডিও বা ছবি সরানোর আরেকটি উপায় হল সরাসরি ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা। মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে যদি আপনার সমস্যা হয়, তবে www.whois.com নামক ওয়েবসাইটের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। এর মাধ্যমে, আপনি সাইটের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন এবং ভিডিওটি সরানোর জন্য অনুরোধ করতে পারবেন।

    গুগল সার্চ রেজাল্ট থেকে সরান

    যদি সেই আপত্তিকর ছবি বা এমএমএস গুগল সার্চ রেজাল্টে থাকে, তাহলে আপনি এটিকে সরানোর জন্য টেক জায়ান্টের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। এর জন্য, আপনাকে গুগল-এর সাপোর্ট পেজে যেতে হবে (support.google.com) এবং সেখানে তালিকাভুক্ত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে হবে।

  • Loki Season 2: হটস্টারে ফিরছে রহস্যময় ‘লোকি’, অপেক্ষা আর মাত্র কয়েক দিনের

    Loki Season 2: হটস্টারে ফিরছে রহস্যময় ‘লোকি’, অপেক্ষা আর মাত্র কয়েক দিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নর্স পুরাণের পথভ্রষ্ট এক চরিত্র লোকি। তিনি দেবতাদের পক্ষেও ছিলেন না, আবার বিপক্ষেও না। তাঁর একমাত্র লক্ষ্য ছিল রাজা হওয়া! এই চরিত্রের সঙ্গে রুপোলী পর্দায় আমাদের প্রথম আলাপ হয়, থর সিনেমার হাত ধরে। তারপর অ্যাভেঞ্জার সিরিজে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় এই চরিত্রটি। ভক্তদের আবদারে মার্ভেল স্টুডিও (Marvel Studio) লোকিকে নিয়ে একটি স্বতন্ত্র নিয়ে আসে গত বছর। ব্যাপক প্রশংসিত হয় সেই সিরিজ। আবার ফিরছে লোকি ডিজনি+হটস্টারে। আর মাত্র কিছুদিনের অপেক্ষা। ২০২৩- এই মুক্তি পাবে বহু প্রতীক্ষিত ‘লোকি সিজন ২’ (Loki season 2)।     

    আরও পড়ুন: নাচ ও অ্যাকশন করা নিষেধ ছিল হৃত্বিকের! ‘বিক্রম বেদা’ ছবির গান মুক্তিতে শোনালেন তাঁর জীবনের এক অজানা কথা

    লোকির ভূমিকায় ফের দেখা যাবে টম হিডলস্টোনকে (Tom Hiddleston)। এই সিজনে ফিরবেন ওয়েন উইলসন (Owen Wilson), সোফিয়া ডি মার্টিনোও (Sophia Di Martino)। সিলভির ভূমিকায় ফিরছেন সোফিয়া ডি মার্টিনো। কিন্তু তাঁর চরিত্র এই সিরিজে কতটা গুরুত্ব পাবে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। ইতিমধ্যেই এওটি সাক্ষাৎকারে টম হিডলস্টোন জানিয়েছেন লোকি- র সব চরিত্ররাই ফিরবে এই সিজনে। সোফিয়া ডি মার্টিনো গত বছর জানিয়েছিলেন, তিনি সিরিজের বিষয়ও তখনও কিছু জানতেন না। তবে সিলিভি চরিত্রেই ফেরার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন তিনি।   

    আরও পড়ুন: আজই ২০০ কোটির গন্ডি পার ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-এর! ভেঙে গেল ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর রেকর্ডও

    সিজন ২- র গল্প কী হবে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে এ বিষয়ে দর্শকদের কিছুটা আভাস দিয়েছে টম হিডলস্টোন এবং ওয়েন উইলসন। তাঁরা জানান, আগের সিজনের গল্প যেখানে শেষ হয়েছিল, সেখান থেকেই শুরু হবে এই সিজনের গল্প। 

    মুন নাইটের আরন মুরহেড এবং জাস্টিন বেনসন এবার লোকি সিজন ২- এর কয়েকটি এপিসোডে নির্দেশনা দেবেন। গল্প লিখেছেন এরিক মার্টিন। এর আগের এপিসোডগুলিও তিনিই লিখেছিলেন। 

    এখনও লোকি সিজন ২ তৈরির কাজ জারি রয়েছে। ট্রেলরের জন্যে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছু দিন। তার আগেই মার্ভেল ভক্তদের জন্যে চলে আসবে টিজার। কিছুদিনের মধ্যেই একটি নতুন মার্ভেল সিরিজ আসতে চলেছে। সেই সিরিজের শেষ লগ্নেই মুক্তি পেতে পারে লোকি সিজন ২- এর টিজার। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: কেষ্টর পুজো কাটবে গারদেই! ফের খারিজ অনুব্রত মণ্ডলের জামিন

    Anubrata Mondal: কেষ্টর পুজো কাটবে গারদেই! ফের খারিজ অনুব্রত মণ্ডলের জামিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় পুজো (Durga Pujo)। তবে এবার পুজোটা তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ওরফে কেষ্টকে কাটাতে হবে জেলের ঘুপচি প্রায়ান্ধকার ঘরে। কারণ বুধবার আসানসোলের (Asansole) বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালতে পেশ করা হয় কেষ্টকে। শরীর খারাপ, বাড়িতে দুর্গাপুজো রয়েছে এই জোড়া যুক্তি প্রদর্শন করেন তাঁর আইনজীবী। তার পরেও মেলেনি জামিন। এদিন বিচারক তাঁকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। যার অর্থ, এবার পুজোর দিনগুলি এই তৃণমূল নেতাকে কাটাতে হবে কারাগারেই।

    গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) সিবিআই গ্রেফতার করেছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। তার পর থেকে দফায় দফায় জেলেই রয়েছেন তিনি। এদিন ফের তাঁকে তোলা হয় আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে। আবারও জামিনের আবেদন করেন তিনি। কেষ্টর আইনজীবী আদালতে বলেন, অনুব্রত মণ্ডলের শরীর ভাল নয়। কলকাতায় থেকে প্রতিদিন সিবিআই অফিসে গিয়ে হাজিরাও দিতে রাজি তিনি। প্রয়োজনে জেলায় ঢুকবেন না বলেও বিচারককে জানান তাঁর আইনজীবী। তিনি এও বলেন, অনুব্রতের বাড়িতে দুর্গাপুজো হয়। বাড়িতে তাঁর মেয়ে একা রয়েছেন। তাঁর একার পক্ষে পুজোর আয়োজন করা সম্ভব নয়। এত করেও জামিন মেলেনি কেষ্টর।

    আরও পড়ুন :কয়েক হাজার টাকা মাসমাইনেতে কীভাবে রাইস মিলের মালিক? অনুব্রত-কন্যা সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের

    কারণ প্রভাবশালী তত্ত্বে এদিনও জামিন মেলেনি বীরভূমের এই তৃণমূল নেতার। সিবিআইয়ের আইনজীবী আশঙ্কা প্রকাশ করেন, অনুব্রত জামিন পেলে সাক্ষীদের ভয় দেখাতে পারেন। বিচারককে তিনি এও জানান, এখনও তদন্ত চলছে। অনেক তথ্য মিলেছে। গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত অনেক সন্দেহভাজনের খোঁজও মিলছে। তাদের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের যোগও পাওয়া গিয়েছে। তাই অনুব্রতকে এখনই জামিন দেওয়া যাবে না।

    এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী আদালতে জানান, দুটি এনজিওর সঙ্গে অনুব্রতর যোগ থাকার কথা সামনে এসেছে। খোঁজ মিলেছে প্রায় ১৯টি নতুন সম্পত্তির। প্রচুর নগদ টাকাও পাওয়া গিয়েছে। অনুব্রতকে ফের আদালতে পেশ করা হবে ৫ অক্টোবর। সেদিন অবশ্য ঢাকের বোলে বাজবে বিজয়া দশমীর বাজনা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Central Bureau of Narcotics: হিমাচল প্রদেশে ১,০৩২ হেক্টর জমির গাঁজা ধ্বংস করল সিবিএন

    Central Bureau of Narcotics: হিমাচল প্রদেশে ১,০৩২ হেক্টর জমির গাঁজা ধ্বংস করল সিবিএন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) কুল্লুতে দু সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলা একটি অভিযানে, সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ নারকোটিক্স (CBN) এর আধিকারিকরা ১,০৩২ হেক্টর (১২,৯০০ বিঘা) গাঁজার (Cannabis) ক্ষেত ধ্বংস করেছেন।    

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর পাওয়ার পর, সিবিএন-এর আধিকারিকদের দল গঠন করে ওই এলাকায় পাঠানো হয়। ওই আধিকারিকরা গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্য যাচাই করেন এবং অবৈধ চাষাবাদ হচ্ছে যে এলাকায় সেই এলাকাকে সনাক্ত করেন। পরবর্তীকালে, জেলা প্রশাসন, বন বিভাগ এবং পুলিশের সহায়তায় অভিযান চালানো হয়। এমনটাই জানিয়েছেন, সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ নারকোটিক্স- এর কমিশনার রাজেশ এফ ধবরে। 

    আরও পড়ুন: ঔপনিবেশক অতীত ঝেড়ে ফেলার পথে ভারতীয় সেনা? 

    সিবিএন অফিসাররা গ্রামবাসীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্যে একটি দ্বিমুখী পন্থা গ্রহণ করেছে। শরীর ও মনে মাদকের বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে গ্রামবাসীদের সচেতন করতে কমিউনিটি মোবিলাইজেশন পন্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। এনডিপিএস আইন এবং এর শাস্তিমূলক বিধানগুলির বিষয়েও গ্রামবাসীদের বোঝানো হয়েছে। গ্রামবাসীরা অবৈধ চাষাবাদ ধ্বংস করতে সিবিএন আধিকারিকদের সহায়তা করেন বলেও জানিয়েছেন কমিশনার ধবরে। 
     
    তিনি আরও জানান, সংবেদনশীল স্থানগুলিকে চিহ্নিত করার জন্য জিপিএস কোঅর্ডিনেট ব্যবহার করা হয়েছিল এবং অবৈধ গাঁজা চাষের এলাকা সনাক্তকরণ এবং নজরদারির জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল। আর এতেই এসেছে এত বড় সাফল্য। তিনি আরও বলেন, “মিশন ক্র্যাকডাউন এভাবেই দেশের অন্যান্য অংশে জোরালোভাবে চলতে থাকবে এবং সিবিএন মাদকের বিরুদ্ধে লড়তে সম্পূর্ণরূপে  প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”    

    আরও পড়ুন: হিজাব-বিতর্ক বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অঙ্গ! সুপ্রিম কোর্টে কী বলল কর্নাটক সরকার?

    হিমাচল প্রদেশে গাঁজা চাষের ঘটনা এই প্রথম নয়। ক্যানাবিস হচ্ছে ঐ অঞ্চলের প্রাচীনতম ফসলের একটি। এ থেকেই গাঁজা তৈরী হয়। এর আগেও এই এলাকায় গাঁজার ক্ষেত ধ্বংস করেছে পুলিশ। এলাকাবাসীর বক্তব্য, এই বন্ধ্যা মাটিতে অন্য কোনও চাষ হয় না। তাই বাধ্য হয়েই এই অবৈধ কাজে নামতে হয় তাদের।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anushka – Virat: “ভীষণ মিস করছি…”, বিরাটের উদ্দেশে ভালোবাসায় ভরা পোস্ট অনুষ্কার

    Anushka – Virat: “ভীষণ মিস করছি…”, বিরাটের উদ্দেশে ভালোবাসায় ভরা পোস্ট অনুষ্কার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এর আগেও বিরাট – অনুষ্কাকে (Anushka – Virat) একে অপরকে প্রকাশ্যে প্রেম নিবেদন করতে একাধিকবার দেখা গিয়েছে। এবারও অনুষ্কাকে তাঁর স্বামীর জন্য একটি আদুরে ছবি ও ক্যাপশন শেয়ার করতে দেখা গেল। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গেই ভাইরাল হতে শুরু হয়েছে ও এটি তাঁদের অনুরাগীদের মন ছুঁয়ে গিয়েছে।  

    ২০২২ সালের এশিয়া কাপ বিরাট কোহলির জন্য ভালোই ছিল। ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি নম্বর তোলা দ্বিতীয় ব্যাটার তিনি। তবে এশিয়া কাপে (Asia Cup 2022)সুপার ফোর থেকে ছিটকে বেরিয়ে যেতে হয় তাঁদের। দুটো অর্ধশতরান ও একটি শতরান দিয়ে তিনি আবার তাঁর ফর্মে ফিরে এসেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। বহু প্রতীক্ষিত ৭১ তম শতরানের পর বিরাটের উপর তাঁর ভক্তদের আরও আশা বেড়ে গিয়েছে। তাই ভারতীয় ক্রিকেট দলের এখন একমাত্র লক্ষ্য টি২০ বিশ্বকাপ।

    আরও পড়ুন: বৃষ্টির দিনে মুম্বইয়ের রাস্তায় স্কুটি চালিয়ে ঘুরছেন বিরুষ্কা, কিন্তু চললেন কোথায়?

    তবে এশিয়া কাপে তাঁর সাফল্যের পেছেনে একজনেরই অবদান রয়েছে এমনটা জানিয়েছিলেন বিরাট, তিনি আর কেউ নন, তিনি তাঁর স্ত্রী অনুষ্কা শর্মা। কঠিন পরিস্থিতিতে অনুষ্কা তাঁর পাশে থাকার জন্যই তিনি সাফল্য পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এশিয়া কাপ চলাকালীন অনুষ্কা বিরাটের পাশে থাকতে পারেননি। তিনি বর্তমানে তাঁর আসন্ন ছবি ‘চাকদা এক্সপ্রেস’-এর শ্যুটিং-এর জন্য লন্ডনে আছেন। তাই এশিয়া কাপের পর অনুষ্কার শর্মার সঙ্গে দেখা করতে বিরাট গিয়েছিলেন লন্ডন। তবে সেখানে গিয়ে বেশি দিন থাকা হয়নি তাঁদের। কারণ সামনেই বিরাট অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজ খেলবেন। ফলে বর্তমানে তিনি মোহালিতে জাতীয় দলের সঙ্গে রয়েছেন।

    কিন্তু দেশে ফিরতে না ফিরতেই মিস করতে শুরু করেছেন তাঁর ‘বেটারহাফ’। তাই এবার বিরাটের উদ্দেশে লন্ডন থেকে বিশেষ বার্তা দিলেন অনুষ্কা। দুজনে দুই দেশে থাকায় একে অপরকে মিস করছেন, আর তা নিয়েই অনুষ্কা ইন্সটাগ্রামে তাঁদের একটি ছবি পোস্ট করে তিনি ক্যাপশনে লেখেন, “গোটা দুনিয়াটাই উজ্জ্বল হয়ে ওঠে, অনেক মজাদার হয়ে ওঠে, সবমিলিয়ে অনেক অনেক সুন্দর হয় এই মানুষটার সঙ্গে থাকলে, তা সে বায়ো বাবেলে হোটেলের ঘরেই থাকা হোক না কেন।“ এরপর তিনি #MissingHubby লেখেন। তাঁর এই পোস্টটি ভাইরাল হতে বেশি সময় লাগেনি।

    [insta]https://www.instagram.com/p/CinhRc1skDW/?igshid=MTA0ZTI1NzA=[/insta]

    প্রকাশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুষ্কার নিজের বরের প্রতি ভালোবাসা জানানো, এই ব্যাপারটা মন কেড়ে নিয়েছে তাঁর অনুরাগীদের। বিরাট তাঁর উত্তরে কমেন্টে লাভ ইমোজি দিয়েছেন। এছাড়াও এই ছবিটিতে বলিউডের অনেক তারকা যেমন রণবীর সিং, জোয়া আখতার  রেড হার্ট ইমোজি দিয়েছেন এবং বিরুষ্কার অনুরাগীরাও কমেন্টে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Johnson & Johnsons: পরীক্ষায় ফেল! মহারাষ্ট্রে বাতিল জনসন বেবি পাউডারের লাইসেন্স

    Johnson & Johnsons: পরীক্ষায় ফেল! মহারাষ্ট্রে বাতিল জনসন বেবি পাউডারের লাইসেন্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে বাতিল করা হল বাচ্চাদের পাউডার (Powder) প্রস্তুতকারী সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনজন্সের (Johnson & Johnsons) লাইসেন্স। শুক্রবার মহারাষ্ট্রের (Maharasthra) ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FDA) ওই লাইসেন্স বাতিল করে। সদ্যজাত শিশুদের (New-born Babies) ত্বকের ক্ষতি করতে পারে এই পাউডার। তার জেরে ওই পাউডার প্রস্তুতকারী সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে বলে রাজ্য সরকারের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

    দেশজুড়ে সদ্যজাত শিশুদের পাউডারের বাজারে একচেটিয়া রাজ করে জনসন অ্যান্ড জনসন্সের পাউডার। টিভি রেডিওয় ঘন ঘন বিজ্ঞাপণের দেওয়ার দরুণ লোকমুখে দ্রুত প্রচারিত হয়ে যায় এই পাউডারের সুখ্যাতি। তার পর থেকে ঘরে ঘরে দেখা যেতে থাকে এই পাউডার। এবার সেই পাউডারই পাশ করেনি মহারাষ্ট্র সরকারের পরীক্ষায়! মহারাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, পরীক্ষাগারে পরীক্ষার সময় ওই কোম্পানির পাউডারে যে পরিমাণ পিএইচ ভ্যালু থাকার কথা, তা ছিল না। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কারণ কলকাতা ভিত্তিক সেন্ট্রাল ড্রাগস ল্যাবরেটরির রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, সেখানে পাঠানো পাউডারের নমুনা পিএইচ ভ্যালুর নিরিখে আইএস ৫৩৩৯:২০০৪ মানদণ্ড বজায় রাখতে পারেনি। এটা জানার পরেই বাতিল করা হয়েছে ওই পাউডার প্রস্তুতকারী সংস্থার লাইসেন্স।

    আরও পড়ুন : ইয়াকুব মেমনের কবর সৌন্দর্যায়ন, তদন্তের নির্দেশ মহারাষ্ট্র সরকারের

    মহারাষ্ট্র সরকারের ওই বিবৃতি থেকে জানা গিয়েছে, ওই পাউডার প্রস্তুতকারী সংস্থার পাউডারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল নাসিক ও পুণে থেকে। নমুনা সংগ্রহ করেছিল মহারাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। সেই নমুনা পরীক্ষা করেই দেখা যায়, যে মাপকাঠি সরকারের তরফে রাখা হয়েছিল, তা পূরণ করতে পারেনি ওই পাউডার। তাই এই পাউডার ব্যবহার করলে শিশুদের ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। সেই কারণেই লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে বলে খবর। ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তরফে ওই কোম্পানিকে শো-কজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বাজারে ওই কোম্পানির যত পাউডার রয়েছে, তা তুলে নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। যদিও ওই পাউডার প্রস্তুতকারী সংস্থার তরফে এই রিপোর্টকে মান্যতা দেওয়া হয়নি। কোম্পানির কর্তারা আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন বলেও সূত্রের খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Gogra Hot Spring: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে নির্মাণ সরিয়েছে চিন, এমনই ছবি ধরা পড়ল উপগ্রহ চিত্রে

    Gogra Hot Spring: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে নির্মাণ সরিয়েছে চিন, এমনই ছবি ধরা পড়ল উপগ্রহ চিত্রে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া স্যাটেলাইট ছবিতে ধরা পড়েছে পূর্ব লাদাখের গোগরা-হট স্প্রিংসে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে তিন কিলোমিটার দূরে সেনা সরিয়ে নিয়েছে চিন (China)। কিছুদিন আগের ছবিতে চিনের এক বড় নির্মাণের ছবি ধরা পড়েছিল ওই এলাকায়। ১৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হওয়া ছবিতে দেখা গিয়েছে ওই নির্মান আর নেই। বরং ওই এলাকার মাটিতে গর্তও ধরা পড়েছে। নির্মান ভেঙে ফেলেছে চিন। 

    সরকারের দেওয়া খবর অনুযায়ী, একেবারে পরিকল্পনামাফিকই পূর্ব লাদাখের গোগরা হট স্প্রিং থেকে ১৫ নম্বর প্যাট্রলিং পয়েন্ট থেকে সেনা সরিয়েছে ভারত ও চিন। নিয়ম মেনে দুপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখে নিশ্চিত করেছে। 

    আরও পড়ুন: এসসিও সম্মেলনে মোদি-শরিফ উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়, জানুন কে কি বললেন

    গালওয়ান উপত্যকা এবং প্যাংগং লেকের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তের যে বিন্দুগুলি নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছিল, তার সবকটির সমাধান পাওয়া গিয়েছে। বাকি ছিল এটিই। সূত্রের খবর, পিপি-১৫ তো বটেই, গোটা পূর্ব লাদাখ সেক্টর থেকেই সেনা সরানোর বিষয়ে প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছিল বেজিং-ই। ভারত যদিও খুব বেশি তাড়াহুড়ো দেখায়নি।       

    ২০২০ সালের ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সরাসরি সংঘর্ষে জড়ায় ভারত-চিন। তারপর সময় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুই প্রতিবেশি দেশের সম্পর্কও তলানিতে পৌঁছায়। শান্তি ফেরাতে তার পর থেকে দফায় বৈঠক হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। তার উপর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে চিনা সেনার নানা ধরনের নির্মাণের খবরে জল্পনা দানা বাঁধে। লাদাখে যে সমস্ত এলাকায় অস্থায়ী কাঠামো তৈরি করা হয়েছিল, সেনা পর্যায়ের বৈঠকে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে এর আগেই জানিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী। অস্থায়ী সেই কাঠামো ভেঙে ফেলা ব্যাপারে দুই দেশের সেনা সম্মত হয়েছে বলে জানান তিনি। কথা রেখেছে দুই দেশই। ৮-১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সেনা সরিয়ে নিয়েছে দুই দেশই। ১৬ তম বৈঠকে দুই দেশেরে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

    আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদ থেকে জলবায়ু, আজ এসসিও বৈঠকে আলোচ্য সূচি কোন কোন বিষয়?

    গোগরা হট স্প্রিং এলাকায় দু-তরফই যে অস্থায়ী নির্মাণ করেছে, তা ভেঙে ফেলা হয়েছে। স্ট্যান্ড-অফের আগে ওই এলাকার যা গঠন ছিল, তাতেই ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ঠিক এমনটাই দেখা গিয়েছে উপগ্রহ চিত্রেও।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mamata: নবান্নে CMO তে অভিযোগের পাহাড়! কাজই করছে না বহু দফতর?

    Mamata: নবান্নে CMO তে অভিযোগের পাহাড়! কাজই করছে না বহু দফতর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  অভিযোগ জানিয়েও কাজ হচ্ছে না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) । নবান্নে মুখ্য়মন্ত্রীর দফতরে (cmo) জমছে অভিযোগের পাহাড়। বেশিরভাগ দফতর কাজই করছে না। কথাই শুনছে না মুখ্যমন্ত্রীর। জেলায়  জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করলেও তার নিটফল যে শূন্য, তা বুঝতে পারছেন মুখ্য় সচিব  (chief secretary)। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হলেই তাঁকে জবাবদিহি করতে হচ্ছে। বারবার বলা সত্বেও অভিযোগের নিষ্পত্তিতে কেন দেরি হচ্ছে, বিভিন্ন দফতরের কাছে তার জবাব চাইছে নবান্ন (nabanna)।  চাপে পড়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (H.K.Dwivedi) চিঠি দিয়েছেন বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের। বকেয়া অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ জারি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো অভিযোগ গুলি যাতে সাতদিনের মধ্যে জবাব দেওয়া যায়, তার জন্য জানানো হয়েছে প্রতিটি দফতরকে। 

    এমাসের সাত তারিখেই এনিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সব দফতরের শীর্ষ আধিকারিক বা HOD-কে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, কাজ ফেলে রাখবেন না। সব অভিযোগের জবাব দিতে হবে সাতদিনের মধ্যে। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না। বহু দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা বেশি সময় নিচ্ছেন। ৭ সেপ্টেম্বর রাজ্য প্রশাসনের পর্যালোচনা বৈঠকের সিদ্ধান্তের কথা তাই সকলকে মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্য সচিব। সাতদিনের মধ্যে যদি অ্যাকশন টেকন রিপোর্ট জমা দেওয়া না যায়, তাহলে কি উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, তাও যেন উল্লেখ করা হয়, বলে জানানো হয়েছে চিঠিতে। 

    কী আছে চিঠিতে? 
    রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, সরকারের খাদ্য প্রক্রিয়া করণ দফতর ও হর্টিকালচার ডিপার্টমেন্ট গত ৬ মাসে গড়ে ৫৮ দিন রিপোর্ট দিতে দেরি করেছে। আদিবাসী উন্নয়ন দফতর দেরি করেছে ৫৭ দিন। আর ৩৯ দিন সময় নিয়েছে কারিগরি শিক্ষা থেকে স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য দফতর। অভিযোগের পাহাড় জমা হয়েছে পরিবহণ দফতরে। আর তারা সময় নিয়েছে ৩৫ দিন। এই দফতরগুলির বেশিরভাগই খোদ মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। 

    জেলাগুলির মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স কালিম্পং, ঝাড়গ্রাম ও উত্তর ২৪ পরগনার। কালিম্পং জেলাশাসক দেরি করেছেন ৪১ দিন, ঝাড়গ্রাম ৩৭ দিন। আর উত্তর ২৪ পরগনা ২৬দিন। জেলাশাসক বদল করেও অসুখ সারছে না। পুলিশ সুপারদের পারফরম্যান্স খারাপ মালদা, বারাসত, হুগলি, মুর্শিদাবাদে। ৭ দিনের বদলে অভিযোগের উত্তর দিতে বহু সময় লেগে যাচ্ছে।

     অনেক ক্ষেত্রেই  অ্যাকশন টেকন রিপোর্ট অসম্পূর্ণ। ফের তার ব্যাখ্যা চেয়ে ফেরত পাঠায় মুখ্যমন্ত্রীর দফতর। এর ফলে কাজে আরও দেরি হয়ে যায়। বারবার এমন ঘটনা একেবারেই কাম্য নয় বলে বার্তা দেওয়া হয়েছে। বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে সচিব বা জেলা আধিকারিকরা তাঁদের অধীনস্থ অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না। মানুষের অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন না। দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করছেন। এর ফলে সমস্যা আরও বাড়ছে।

    অভিযোগ খতিয়ে দেখে কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তারও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে। আর এখান থেকেই স্পষ্ট হচ্ছে সরকারের বিভিন্ন দফতরের গাফিলতির কথা। প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলার পরও ‘ডিজপোজড’, ‘রিজল্ভড’, ‘অ্যাকশন টেকন’লিখে দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যসচিবের নির্দেশ, এভাবে লিখে ছেড়ে দিলেই হবে না। ঠিক কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে,তাও উল্লেখ করতে হবে। বোঝাই যাচ্ছে, কাজ না করে সরকারের বেশিরভাগ দফতর গা এলিয়ে দিয়েছে। ফলে চিন্তার ভাঁজ মুখ্যমন্ত্রীর কপালে। তাই তড়িঘড়ি এই সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজছেন তিনি। 

    আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে সরকারের কাজকর্ম নিয়ে। এই চিঠি মাধ্যমের হাতে আসায় বোঝা যাচ্ছে কীভাবে কাজ না করে দায়সারা হয়ে পড়েছে মমতা প্রশাসন। অভিযোগের পাহাড় জমা পড়ছে নবান্নে। মুখ্য়মন্ত্রী দেখছেন, বুঝছেন, বলছেনও। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। দলীয় স্তরে তৃণমূল নেত্রী ধীরে ধীরে যেমন নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন, তেমনি প্রশাসনিক স্তরেও কি রাশ আলগা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর ? ১৪ তলা থেকে নির্দেশ গেলেও তা পালনে অনীহা প্রকাশ করছে জেলা প্রশাসন? নবান্নের প্রতি তলায় সেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।  

     

     

     

LinkedIn
Share