Blog

  • Immunity Booster: আগের রাতে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খান এই ৬ ‘সুপারফুড’

    Immunity Booster: আগের রাতে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খান এই ৬ ‘সুপারফুড’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন সকালের সময়টাতে আমাদের প্রত্যেককে নিজেদের স্বাস্থ্যের প্রতি বেশি যত্নবান হওয়া দরকার। তাঁদের মতে এই সময়েই শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি দেওয়া দরকার। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাঁরা ছোটখাটো পুষ্টির অভাবে ভুগি, তবে মনে রাখা দরকার এর কারণে বড় বড় রোগও বাসা বাঁধতে পারে শরীরে। ভেঙে পড়তে পারে স্বাস্থ্য। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে আয়রনের অভাব, ভিটামিন বি ১২-এর অভাব। আবার যেমন ধরুন ভিটামিন এ-র অভাবে অ্যানিমিয়া হয়। ভিটামিন ডি-এর অভাবে রক্তে ক্যালসিয়ামের পরিমাণও কমে যায়, যার ফলে রিকেট রোগ হতে পারে এবং হাড় নরম হয়ে যেতে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষদের।

    আগের রাতে ভেজানো কাজুবাদাম, আখরোট, চিনা বাদাম এগুলি হল ভরপুর ভিটামিন বি এবং ভিটামিন ই-এর ভাল উৎস। এই ছোটখাটো সুপার ফুডগুলো (Immunity Booster) যদি নিয়মিত ভাবে খাওয়া হয় তাহলে সুস্থ থাকা যেতে পারে এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের মতে এই সমস্ত সুপারফুড ভিজিয়ে রাখলে সেই পুষ্টি শরীরে আরো ভালোভাবে শোষিত হয়, কারণ সারারাত ধরে ভিজিয়ে রাখলে এই সুপারফুডগুলির (Immunity Booster)  মধ্যে থাকা কিছু অ্যাসিড দূর হয়ে যায় ফলে বদহজম হয়না।  অনেকে বলেন বাদাম ভিজিয়ে রাখলে এর হজম ক্ষমতা বেড়ে যায় ফলে শরীরের পক্ষে খুবই উপযোগী হয়।

    আজকে আমরা এমনই কিছু সুপারফুড (Immunity Booster) নিয়ে আলোচনা করব যেগুলি রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে ডায়েট হিসেবে গ্রহণ যায়

    ১) ভেজানো আমন্ড ব্রণ উপশমে সহায়ক

    ব্রণ একটি বড় সমস্যা, বয়ঃসন্ধিকালে সকলেরই মুখে ফুটে ওঠে ব্রণ।

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এবং একটি উজ্জ্বল ঝরঝরে ত্বক পেতে পাঁচ থেকে সাতটি আমন্ড সারারাত ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে নিয়মিতভাবে খান।

    ২) ভিজিয়ে রাখা কিশমিস ও কেশর মহিলাদের পিরিয়ড সমস্যার সমাধান করে

    মহিলাদের পিরিয়ডের ব্যথা এবং অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা থাকলে, বিশেষজ্ঞরা ছয় থেকে আটটি কিশমিস ও দুটি কেশর সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে খেতে বলছেন।

    ৩) ভেজানো কালো কিশমিস খেলে চুল পড়া বন্ধ হয়

    বিশেষজ্ঞদের মতে চুল পড়া এবং আরও বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পেতে কালো কিশমিস সারারাত ভিজিয়ে রাখুন এবং পরের দিন সকালে খান।

    ৪) স্মৃতিশক্তি এবং মস্তিষ্কের শক্তি বাড়াতে ভেজানো আখরোট খান

     দুটি আখরোট সারারাত ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে সেটি খান,

    এতে  স্মৃতিশক্তিও একাগ্রতা বৃদ্ধি পাবে এমনটাই মত রয়েছে স্বাস্থ্যবিদদের।

    ৫) মহিলাদের এবং বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভিজিয়ে রাখা মুগ ডাল খুব উপযোগী

    দু চামচ মুগ ডাল সারারাত ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে খালি পেটে এটি খান।

    এটি ভালো ত্বক তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় বলেই বিশেষজ্ঞদের ধারণা রয়েছে।

    ৬) কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ভেজানো ডুমুরের জুড়ি নেই

    বিশেষজ্ঞদের মতে দুটি ভেজানো ডুমুর আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো ফলদায়ক হতে পারে এবং এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার উপশম ঘটাতে সক্ষম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mithun Chakraborty: ‘‘নাম তুফান, যখন আসি তখন প্রলয় ঘটে’’, নিজস্ব স্টাইলে বাসন্তী মাতালেন মিঠুন

    Mithun Chakraborty: ‘‘নাম তুফান, যখন আসি তখন প্রলয় ঘটে’’, নিজস্ব স্টাইলে বাসন্তী মাতালেন মিঠুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি লিডার নন, সাধারণের মতই ক্যাডার। এমনটাই বলতে শোনা গেল ‘মহাগুরু’কে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে ব্যস্ত বঙ্গ বিজেপি। বিজেপির এই ভোট প্রচারের অন্যতম প্রধান সৈনিক হিসেবে দেখা যাচ্ছে মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীকে (Mithun Chakraborty)। জেলায় জেলায় জনসংযোগে মেতেছেন তিনি। ফলে গতকাল, বুধবার বাসন্তীতে দেখা গেল অভিনেতাকে। আর সেখানে গিয়ে বক্তৃতা নয়, ডায়লগেই জনগণের মন জয় করলেন মহাগুরু। তিনি বলেন, “আমি লিডার নই, আপনাদের মতোই ক্যাডার। আমাকে বক্তৃতা দিতে বললে পারব না। আমি বক্তৃতা দিই না।” এর পাশাপাশি তিনি আজ এক বিস্ফোরক দাবি করলেন। তিনি জানালেন, তাঁর সঙ্গে ২১ জনের বেশি তৃণমূল নেতা ক্রমাগত যোগাযোগ রাখছেন। আর এর পরেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা।

    ভোট প্রচারে ডায়লগেই বাজিমাত ‘মহাগুরু’-র

    রাজ্যে সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তবে এখনও এর নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলি এর প্রস্তুতি জোরকদমে শুরু করেছে। আবার লোকসভা নির্বাচনেরও দেরী আছে, তার আগেই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ভোট প্রচারে ব্যস্ত বিজেপি (BJP)। ফলে কাল তিনি পৌঁছে যায় বাসন্তীতে। প্রথমে রোড শো করেন ও পরে সভাতেও অংশ নেন। বাসন্তীর সোনাখালির সভায় হাজির ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালও।

    তার পর এক দলীয় কর্মীর বাড়িতেই মধ্যাহ্নভোজ সারেন। এর পর তিনি সমাবেশে বলতে উঠে প্রথমেই জানিয়ে দেন, “আমি লিডার নই, আপনাদের মতোই ক্যাডার। আমাকে বক্তৃতা দিতে বললে পারব না। আমি বক্তৃতা দিই না।” কিন্তু সেখানে উপস্থিত মানুষজন মিঠুনের ডায়লগ শুনতে চান। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন “আমি একটি ডায়লগই বলব।” বক্তৃতার শেষে তিনি একথা বলেই বলেন, “নাম তুফান। বছরে এক আধবার আসি। যখন আসি তখন প্রলয় ঘটে। আর যখন যাই তখন সবাই তার অস্তিত্ব খুঁজে বেরায়।” এর পর জনতার হাততালিতে মুখরিত হয় জনসভা।

    আরও পড়ুন: মিড-ডে মিলের টাকায় জেলা সফর মুখ্যমন্ত্রীর! কীভাবে? নথি প্রকাশ শুভেন্দুর

    আবার তিনি সিএএ-এর প্রসঙ্গ এনেও বলেন, “আপনার কাছে আসল আধারকার্ড, আসল ভোটার পরিচয়পত্র থাকলে নাকে তেল দিয়ে ঘুমোন। কেউ আপানাকে এ দেশ থেকে বের করতে পারবে না।” মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের কাছেও ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান অভিনেতা। তিনি বলেন, “গুজরাট নির্বাচনে মুসলমান ভাইবোনরা ভোট না দিলে এত ভোটে জিতে আসত পারত। উত্তরপ্রদেশেও মুসলমানরা ভোট না দিলে এত আসন পাওয়া যেত।”

    মিঠুনের বিস্ফোরক দাবি

    তৃণমূলের ২১ জন বিধায়কই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এই দাবি আজকে নয়, বহুদিন আগে থেকেই এই দাবি করে আসছেন মিঠুন চক্রবর্তী। এদিন আবারও একসুর শোনা গেল মিঠুনের গলায়। সুকান্ত মজুমদার আবার একবার দাবি করেছিলেন, “মিঠুনদার সঙ্গে ২১ জন যোগাযোগ রাখলে আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে ৪১ জন যোগাযোগ রাখছেন।” মিঠুন চক্রবর্তী আরও বলেন, “তৃণমূলে অনেকে রয়েছেন, যাঁরা সবাই সমান নন, দমবন্ধ অবস্থা রয়েছেন। আমাদের সঙ্গে অনেকেই যোগাযোগ রাখছেন। তার মধ্যে ২১ জন আমরা সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছেন। আমি প্রোটোকল ছাড়া কাজ করি না। যা বলার বলে দিয়েছি। যে কোনও সময়ে, যা কিছু হতে পারে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • WhatsApp New Feature: স্টেটাসেও দেওয়া যাবে ‘ভয়েস নোট’! নতুন ফিচার আনছে হোয়াটসঅ্যাপ

    WhatsApp New Feature: স্টেটাসেও দেওয়া যাবে ‘ভয়েস নোট’! নতুন ফিচার আনছে হোয়াটসঅ্যাপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্ক জুকেরবার্গের মেটা সংস্থার হোয়াটসঅ্যাপ একের পর এক নতুন ফিচার (WhatsApp New Feature) এনেই চলেছে। এতে ব্যবহারকারীদের ব্যাপক সুবিধা হচ্ছে এবং হোয়াটসঅ্যাপও সরল ভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে। নতুন বছরেও অনেক কিছু ফিচার হোয়াটসঅ্যাপ আনতে চলেছে বলে শোনা যাচ্ছে। যার মধ্যে অন্যতম হল, এবার থেকে স্ট্যাটাস আপডেটে ভয়েস নোট যুক্ত করা যাবে। এর আগের যে ফিচার (WhatsApp New Feature) হোয়াটসঅ্যাপ এনেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে যে স্ট্যাটাসেও এবার থেকে রিপোর্ট করা যাবে অর্থাৎ কোন ব্যবহারকারীর স্ট্যাটাসকে যদি মনে হয় এটি হোয়াটসঅ্যাপের গাইডলাইন মানছে না, তাহলে সেটিকে তৎক্ষণাৎ রিপোর্ট করার অপশন থাকছে।

    এই ফিচারের (WhatsApp New Feature) পর এবার হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসে এবার থেকে ভয়েস নোটও দেওয়া যাবে। প্রসঙ্গত এতদিন অবধি হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসে শুধুমাত্র ভিডিও এবং ছবি দেওয়া যেত।

    হোয়াটসঅ্যাপের টিম কী বলছে

    হোয়াটসঅ্যাপ সূত্রে জানা যাচ্ছে যে এই ফিচার (WhatsApp New Feature) স্ট্যাটাসের টেক্সট স্ট্যাটাস অপশনে আসবে।

    টেক্সট স্ট্যাটাসে ক্লিক করলে এই ফিচার দেখা যাবে এবং সেটিতে সুইচ করলেই ভয়েস নোট এখানে দেওয়া যাবে। স্ট্যাটাসে ভিডিও যেমন ৩০ সেকেন্ডের বেশি দেওয়া যায় না। সেরকমই ভয়েস নোটও ৩০ সেকেন্ডের বেশি দেওয়া যাবে না। তবে এজন্য হোয়াটসঅ্যাপের লেটেস্ট ভার্সনটাকে আপডেট করতে হবে। ছবি এবং ভিডিওর মতোই স্ট্যাটাসও ২৪ ঘন্টায থাকবে। তারপর এটি অটোমেটিক ডিলিট হয়ে যাবে। হোয়াটসঅ্যাপ সূত্রে জানা গেছে এই ভয়েস নোটে স্ট্যাটাস খুব তাড়াতাড়ি চালু হয়ে যাবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • TB Vaccine: ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বকে যক্ষ্মামুক্ত করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে ভারত, জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    TB Vaccine: ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বকে যক্ষ্মামুক্ত করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে ভারত, জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ২০২৫- এর মধ্যে গোটা বিশ্বকে যক্ষ্মামুক্ত (TB Vaccine) করার পরিকল্পনা করেছে। মঙ্গলবার এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। তিনি আরও বলেন, ভারত গবেষণার জন্যে সম্পূর্নভাবে প্রস্তুত। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সভা ২০২৩-এ ‘এন্ডিং যক্ষ্মা’ বিষয়ক একটি অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, “যেমন টিকাগুলি কোভিডের বিরুদ্ধে যুদ্ধে একটি গেম-চেঞ্জার হয়ে দাঁড়িয়েছিল, ২০২৫ সালের মধ্যে একটি নতুন টিবি টিকা অনুমোদন করার আন্তর্জাতিক পরিকল্পনা রয়েছে। যক্ষ্মা আক্রান্ত দেশগুলিতে এই টিকা প্রাপ্তবয়স্ক এবং কিশোর-কিশোরীদের জন্য উপলব্ধ হবে।” তিনি আরও বলেন, “ভারত এই টিকা প্রস্তুত করার জন্যে সম্পূর্নভাবে তৈরি। আরও উন্নত টিকা তৈরি করা হবে।”

    কী বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী? 

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে বিশ্বজুড়ে ১৬ লক্ষ মানুষ যক্ষ্মায় (TB Vaccine)  প্রাণ হারান। করোনার আগেই এই রোগেই সবথেকে বেশি মৃত্যু হয়। মাণ্ডব্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত বিশ্বব্যাপী যক্ষ্মা রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অগ্রভাগে রয়েছে।

    কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বলেন, “‘স্টপ টিবি (TB Vaccine) পার্টনারশিপ বোর্ড’-এর চেয়ারম্যান হিসেবে বিশ্বব্যাপী টিবি ব্যবস্থাপনার চেষ্টায় আমার অতিরিক্ত দায়িত্ব রয়েছে।”

    তিনি আরও বলেন, টিবি (TB Vaccine) লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনের ক্ষতি করেছে এবং এর বিরুদ্ধে লড়াই তার হৃদয়ের কাছাকাছি। 

    তিনি আরও বলেন, “আমরা কেস ফাইন্ডিংকে আরও জোরদার করতে, প্রতিটি যক্ষ্মা (TB Vaccine) রোগীকে টেলি পরামর্শ পরিষেবা-সহ ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছি।” 

    মন্ত্রী বলেন যে, ভারত সম্প্রতি একটি নতুন এবং অনন্য প্রচারাভিযান চালু করেছে, ‘প্রধানমন্ত্রী টিবি (TB Vaccine) মুক্ত ভারত অভিযান’। এই অভিযানের লক্ষ্য টিবি রোগীদের সম্প্রদায়ের মাধ্যমে সরবরাহকৃত পুষ্টির ডায়াগনস্টিক এবং বৃত্তিমূলক সহায়তা প্রদান করা। 

    আরও পড়ুন: সাগরদিঘিতে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা কমিশনের, কবে?

    মন্ত্রী আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী টিবি (TB Vaccine) মুক্ত ভারত অভিযান ইতিমধ্যেই ৫০,০০০ টিরও বেশি নি-ক্ষয় মিত্রদের ১৩ লক্ষেরও বেশি টিবি রোগীর দায়িত্ব নিতে দেখেছে।” মাণ্ডব্য বলেন, “আমরা গোটা বিশ্বকেই টিবি মুক্ত করতে সহযোগিতা করব। নজরদারিতে উদ্ভাবন – প্রযুক্তি সরঞ্জাম, অভিনব ডায়াগনস্টিকস এবং ওষুধ – টিবি-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রতিটি বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।” 

    তিনি আরও বলেন, “স্টপ টিবি (TB Vaccine) পার্টনারশিপ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আগামী 8 বছরে ২৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। এই প্রকল্প প্রতি ডলার বিনিয়োগের জন্য ৪০ মার্কিন ডলারের অর্থনৈতিক রিটার্ন প্রদান করবে।” 

    মন্ত্রী আরও বলেন, “বিশ্বব্যাপী এই উদ্যোগের জন্য পর্যাপ্ত তহবিল সংগ্রহ করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। আমরা যদি এখনই যক্ষ্মার (TB Vaccine) বিনাশ করতে বিনিয়োগ না করি, তাহলে পরবর্তীতে আমাদের অনেক বেশি মূল্য দিতে হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
      

  • Recruitment Scam: নথি জাল করে বাবার স্কুলে চাকরি! ভূগোল শিক্ষকের কাণ্ডে সিআইডি ডাকল হাইকোর্ট

    Recruitment Scam: নথি জাল করে বাবার স্কুলে চাকরি! ভূগোল শিক্ষকের কাণ্ডে সিআইডি ডাকল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবা একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। পাশ করা এক শিক্ষকের সুপারিশপত্র জাল (Recruitment Scam) করে সেই স্কুলেই চাকরি করছিলেন ছেলে। এক আধ বছর নয়, টানা তিন বছর। শেষমেশ ফাঁস হল কেলেঙ্কারির পর্দা। বুধবার অনিমেষ তিওয়ারি নামের ওই শিক্ষকের স্কুলে ঢোকা ও বেতন বন্ধের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চে শুনানি ছিল মামলাটির। এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে সিআইডির ডিআইজিকে উপস্থিত থাকার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

    কেলেঙ্কারি…

    বছর তিনেক আগে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সুতির এক নম্বর ব্লকের গোথা এয়ার স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পান ওই স্কুলেরই প্রধান শিক্ষকের ছেলে অনিমেষ। এতে সন্দেহ হয়ে অনেকেরই। দায়ের হয় মামলা। তথ্য জানার অধিকার আইনেও অনিমেষের নিয়োগ নিয়ে তথ্য জানতে চান অনেকে। তার পরেই জানা যায়, অনিমেষ ওই স্কুলে দীর্ঘ দিন ধরে চাকরি করলেও, জেলার স্কুল পরিদর্শকের কাছে তাঁর নামে কোনও নিয়োগপত্রই নেই। ভূগোলের শিক্ষক অনিমেষ ভূগোল বিষয়ে পরীক্ষাই দেননি (Recruitment Scam) বলে অভিযোগ। এদিন আদালতে মধ্য শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, মেধা তালিকায় নাম ছিল না অনিমেষের, কোনও সুপারিশও হয়নি তাঁর নামে। আসলে আতাউর রহমানের নামে সুপারিশ করা হয়েছিল বলে দাবি পর্ষদের। শুধু তাই নয়, অরবিন্দ মাইতি নামে অন্য এক চাকরি প্রার্থীর নিয়োগপত্র জাল করে অনিমেষ চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন, বেকায়দায় পড়া তৃণমূলকে জব্দ করতে আসরে মিঠুন

    জানা গিয়েছে, প্রত্যেক নিয়োগপত্রের একটি মেমো নম্বর থাকে। অনিমেষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সেই মেমো নম্বর এক রেখে নিজের নাম বদলে দেন নিয়োগপত্রে (Recruitment Scam)। সেই নকল মেমো নম্বরের নিয়োগপত্রেই ভূগোল শিক্ষক হিসেবে চাকরি পান গোথা এলাকায় স্কুলে। আরটিআইয়ের মাধ্যমে স্কুলের কাছে অনিমেষের ব্যাপারে তথ্য চাওয়া হলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়ে দেন, অনিমেষ কর্মশিক্ষার শিক্ষক। অভিযোগ শুনে বিচারপতি বসু বলেন, দেখে অবাক হচ্ছি। এমন আর কত হয়েছে? হেড মাস্টার জানেন না, যাঁকে নিয়োগ করা হয়েছে, তিনি তথ্য বিকৃত করছেন কি না? তাহলে ছাত্রদের ভবিষ্যৎ কী?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Pathaan: দৃশ্যে বদল! ‘পাঠান’ নিয়ে বড় নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের

    Pathaan: দৃশ্যে বদল! ‘পাঠান’ নিয়ে বড় নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সংকটে শাহরুখের কামব্যাক ছবি ‘পাঠান’ (Pathaan)! সেন্সর বোর্ডের পরে এবার দিল্লি হাইকোর্টের স্ক্যানারে এই ছবি। গত সপ্তাহেই মুক্তি পেয়েছে ছবিটির ট্রেলার। কিছুদিন আগেই সেন্সর বোর্ড বেশ খানিকটা ছুড়ি কাঁচি চালিয়েছে ছবিটির ওপর। এমনকি ছবির ট্রেলারেরও বেশ কিছু অংশ বাদ পড়েছে। তারপরেও যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছে শাহরুখ, দীপিকা, জনের এই ছবির ট্রেলার।

    কী নির্দেশ আদালতের?

    দিল্লি হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, ছবিতে সাব টাইটেল, ক্লোজ ক্যাপশনিং এবং যাঁরা দৃষ্টি এবং শ্রবণে প্রতিবন্ধী তাঁদের জন্য হিন্দিতে বিশেষ বিবরণ যোগ করতে হবে প্রযোজনা সংস্থা যশরাজ ফিল্মসকে। একই সঙ্গে এপ্রিল মাসে ওটিটিতে ছবি-মুক্তির (Pathaan) নির্দেশও দিয়েছে আদালত।

    আদালতের বার এবং বেঞ্চ অনুসারে, দিল্লি হাইকোর্ট (Pathaan) প্রযোজকদের ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিশদ জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এবং সিবিএফসিকে ১০ মার্চের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পাবে ছবিটি। আদালত আরও নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছে, ছবিটি এপ্রিল মাস থেকে প্রাইম ভিডিওতে দেখাতে হবে। বিচারকের মতে, তার আগে যাবতীয় যা পরিবর্তন তা সেরে নেওয়ার সময় পাবে প্রযোজনা সংস্থা।  

    কিছুদিন আগেই সেন্সর বোর্ড (Pathaan) ছবিতে বেশ কিছু পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছিল। ছবির বেশ কিছু ডায়ালগ এবং দৃশ্যে কাঁচি চালানো হয়েছে। এছাড়াও দীপিকা পাড়ুকোনের কয়েকটি দৃশ্য বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সেন্সর বোর্ড। তারপরেই সেন্সর বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশনের তরফ থেকে ক্লিন চিট দেওয়া হয়েছিল পাঠানকে। কিন্তু ছবি মুক্তির মাত্র কয়েকদিন আগে ফের পরিবর্তনের নির্দেশ পেয়ে বেজায় মুশকিলে নির্মাতারা।

    আরও পড়ুন: কবে বিধানসভা নির্বাচন ত্রিপুরা-মেঘালয়-নাগাল্যান্ডে? আজই ঘোষণা করবে কমিশন

    সম্প্রতি বুর্জ খলিফায় ছবির ট্রেলার দেখিয়ে অভিনব প্রচার সেরেছেন (Pathaan) শাহরুখ। ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ছবিটির ট্রেলার! ছবিটির নির্দেশক সিদ্ধার্থ আনন্দ। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শাহরুখ খান, দীপিকা পাড়ুকোন, জন আব্রাহাম। এছাড়াও, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে ডিম্পল কাপাডিয়া এবং আশুতোষ রানাকে। হিন্দি, তামিল এবং তেলুগু ভাষায় দেশে এবং সারা বিশ্বে মুক্তি পাচ্ছে এই ছবি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • POK: ‘ভারতীয় ভূখণ্ডে যোগ দিতে প্রস্তুত’, বললেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নেতা

    POK: ‘ভারতীয় ভূখণ্ডে যোগ দিতে প্রস্তুত’, বললেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) বাসিন্দারা ভারতীয় (India) ভূখণ্ডে যোগ দিতে প্রস্তুত। এই  উক্তি যিনি করেছেন, তিনি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নেতা আমজাদ আয়ুব মির্জা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। সেই প্রসঙ্গেই মঙ্গলবার একথা বলেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নেতা আমজাদ। বিদেশি ঋণের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। দশা হয়েছে শ্রীলঙ্কার মতো। পাকিস্তানে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার তলানিতে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। এমতাবস্থায় পাকিস্তান পুড়ছে বাসিন্দাদের ক্ষোভের আগুনে। সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। শাহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন গিলগিট বাল্টিস্তানের বাসিন্দারা।

    মির্জা বলেন…

    মির্জা বলেন, দেশে খাদ্য সংকট তীব্র। খাবার সংগ্রহ করতে পথে নেমেছেন বাসিন্দারা। বাজারে অমিল আটা-গম-ময়দা। তিনি বলেন, পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে এক দিনে গমের মূল্য বেড়েছে ১২০০ টাকা। দেশবাসী ক্ষোভে ফুঁসছেন। সরকার ময়দার ডিপোগুলো তালা দিয়ে রেখেছে। সেখানে ময়দাও নেই। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রায় প্রতিটি শহরে লোকজন সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। সেই বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন ছাত্র, আইনজ্ঞ, নাগরিক সমাজ মায় মহিলারাও।

    জানা গিয়েছে, গত বেশ কয়েক দিন ধরে পাক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন বাল্টিস্তানবাসী (POK)। গম সহ নানা খাদ্যশস্যের ওপর ভর্তুকির দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। লোডশেডিং ও অবৈধভাবে জমি দখলের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন তাঁরা। পাকিস্তান সেনা অবৈধভাবে ওই এলাকার বিভিন্ন জায়গা দখল করছে বলেও অভিযোগ তাঁদের। পাক সেনা ও সরকারের বিরুদ্ধেই সরব হয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

    মির্জা বলেন, পাকিস্তানের যুব সমাজ আওয়াজ তুলেছে ভাঙা সম্পর্ক (ভারতের সঙ্গে) জোড়া লাগাও। তাঁরা চাইছেন, ঋণের ফাঁদে পড়ে থাকা দেশ থেকে বেরিয়ে লাদাখ এবং জম্মু-কাশ্মীরের সঙ্গে যোগ দিতে। গিলগিট বাল্টিস্তানে বসানো হয়েছে খালসা সরকার ট্যাক্স। তার জেরেও আন্দোলন হয়েছে আরও তীব্র।

    আরও পড়ুুন: ভারতের আকাশে ফের পাক ড্রোন, গুলি করে নামাল বিএসএফ, উদ্ধার চিনের তৈরি অস্ত্র

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • BSF: ভারতের আকাশে ফের পাক ড্রোন, গুলি করে নামাল বিএসএফ, উদ্ধার চিনের তৈরি অস্ত্র

    BSF: ভারতের আকাশে ফের পাক ড্রোন, গুলি করে নামাল বিএসএফ, উদ্ধার চিনের তৈরি অস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার পাকিস্তানি ড্রোনের সাহায্যে অস্ত্র, মাদক দ্রব্য পাচার করা হচ্ছিল ভারতে। তবে ব্যর্থ প্রচেষ্টা। বুধবার মধ্যরাতে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে পাকিস্তানি ড্রোনের সাহায্যে পাচার করা হচ্ছিল একাধিক চিনের তৈরি অস্ত্র। কিন্তু সেই অস্ত্র পাচারের আগেই দুষ্কৃতীদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করল বিএসএফ (Border Security Force)। জওয়ানদের তৎপরতায় উদ্ধার হল একাধিক মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র। বিএসএফ (BSF) সূত্রের খবর, চিনের তৈরি পিস্তল, একাধিক ম্যাগাজিন সহ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৪৭ টি লাইভ রাউন্ড। ঘটনাটি ঘটেছে পাঞ্জাবের গুরদাসপুরের উনচা টাকালা গ্রামে।

    পাকিস্তানি দুষ্কৃতিদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ

    বিএসএফ সূত্রে খবর, গতকাল পাঞ্জাবের গুরদাসপুরের উনচা টাকালা গ্রামের সীমান্তবর্তী এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছিল একটি বিএসএফ দল। অন্ধকার কুয়াশাচ্ছন্ন রাতে পাকিস্তানের দিক থেকে আসা একটি ড্রোনের শব্দ শুনতে পান জওয়ানরা। তারপর তাঁরা সেই ড্রোনের দিকে গুলি চালায়। গুলি চালানোর সময়, কিছু পড়ে যাওয়ারও শব্দ পেয়েছিলেন তাঁরা।

    বিএসএফ এক বিবৃতিতে বলেছে, এলাকাটির প্রাথমিক তদন্তের সময়, টাকালা গ্রামের এক চাষজমিতে কাঠের ফ্রেম দিয়ে প্যাকেজ করা একটি সন্দেহজনক প্যাকেট উদ্ধার করেছে তাঁরা। সেই প্যাকেট থেকেই উদ্ধার করা হয় ৪টি চিনের তৈরি পিস্তল, ৮টি ম্যাগাজিন এবং ৪৭ রাউন্ড গুলি।

    বিএসএফ-এর বড় সাফল্য

    সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে বলা হয়েছে, পাঞ্জাবের ভারত-পাকিস্তানের সীমান্তের ৩,৩২৩ কিলোমিটার জুড়ে এখনও তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক মাস থেকে ভারত-পাক সীমান্তে পাকিস্তানি ড্রোনের উৎপাত বেড়েই চলেছে। এর আগেও গত বছরের অক্টোবরে, বিএসএফ পাঞ্জাবের গুরদাসপুর সেক্টরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর পাকিস্তানের দিক থেকে ভারতে প্রবেশকারী একটি ড্রোনকে দেখে গুলি চালিয়েছিল। তার আগে সেপ্টেম্বরেও, গুরদাসপুরের সীমান্তের কাছে পাকিস্তান থেকে আসা একটি ড্রোনের অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছিল। ফলে বারবার পাকিস্তানি ড্রোন এ দেশে পাঠানোর চেষ্টা করা হলেও প্রত্যেকবারই বিএসএফ-এর জওয়ানরা দুষ্কৃতিদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করতে সক্ষম হয়েছে। এবারও তাই ঘটল। ফলে এটি এক বড় সাফল্য বিএসএফ-এর।

     
  • Jammu & Kashmir: কাশ্মীরের বুদগামে গুলির লড়াই, এনকাউন্টারে খতম দুই লস্কর জঙ্গি

    Jammu & Kashmir: কাশ্মীরের বুদগামে গুলির লড়াই, এনকাউন্টারে খতম দুই লস্কর জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সাফল্য। নতুন বছরে বড়সড় নাশকতার ছক বানচাল। নিরাপত্তারক্ষীর গুলিতে মৃত্যু হল ২ জঙ্গির। মঙ্গলবার ভোরে জম্মু ও কাশ্মীরের বুদগাম জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে ২ জঙ্গির। তাদের লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করেছে কাশ্মীর পুলিশ। মৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি একে সিরিজের রাইফেল এবং একটি পিস্তল। জানা গিয়েছে, এর আগে একটি এনকাউন্টার চলাকালীন তারা পালিয়ে গিয়েছিল।

    কাশ্মীরে খতম দুই লস্কর জঙ্গি

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকালে বুদগাম জেলার আদালতের সামনে যৌথ টহল দিচ্ছিল সেনা জওয়ান ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের বিশেষ দল। তখন সেখানে একটি সন্দেহজনক গাড়ি দেখে এগিয়ে যান নিরাপত্তাকর্মীরা। এরপরই তারা নিরাপত্তা বাহিনীর উপরে গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা গুলি চালায় সেনা বাহিনীও। সেই গুলিতেই প্রাণ হারায় দুই সন্ত্রাসবাদী। কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, দুই জঙ্গিই লস্করের সদস্য। তাদের শনাক্তও করা হয়েছে। একজনের নাম আরবাজ মীর। অন্যজন শহিদ শেখ। দু’জনই পুলওয়ামার বাসিন্দা। দুজনেই কাশ্মীরি পোশাক ‘ফেরান’ পরেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর আগে একটি এনকাউন্টার থেকে তারা পালাতে সমর্থ হলেও এবার খতম হল ওই দুই জঙ্গি। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

    কাশ্মীর জোনের পুলিশ ট্যুইট করে জানিয়েছে, “নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে সেনা ও পুলিশের যৌথবাহিনী একটি সন্দেহভাজন গাড়িকে থামায়। গাড়ির ভিতর থেকে জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা জবাব দেয় সেনা ও পুলিশের যৌথ দল। তাতে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়। উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্রশস্ত্র ও কার্তুজ।”

    কাশ্মীরের এডিজিপি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে তল্লাশি অভিযান চলাকালীন দুই জঙ্গিই অল্পের জন্য বাহিনীর হাত এড়িয়ে পালাতে সক্ষম হয়। কিন্তু মঙ্গলবার শেষরক্ষা হল না। পুলিশ মৃতদের কাছ থেকে একটি একে সিরিজের রাইফেল এবং একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে। পাওয়া গিয়েছে বেশ কিছু তাজা কার্তুজও।

     

  • China Population: ছয় দশকে প্রথমবার কমল চিনের জনসংখ্যা, ভারতই হতে চলেছে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ?

    China Population: ছয় দশকে প্রথমবার কমল চিনের জনসংখ্যা, ভারতই হতে চলেছে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছয় দশকে এই প্রথমবার! ১৯৬১ সালের পর প্রথম রেকর্ডহারে চিনের জনসংখ্যা কমল। ফলে চলতি বছরেই ভারতই বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিগত কয়েক বছর ধরেই চিন ও ভারত জনসংখ্যার নিরিখে একে অপরকে টেক্কা দিয়ে চলছিল। তবে এবারে খুব শীঘ্রই চিনকে ছাপিয়ে ভারতই হতে চলেছে বিশ্বের জনবহুল দেশ। আজ, মঙ্গলবার ন্যাশনাল ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিকস প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ চিনের জনসংখ্যা কমছে। দীর্ঘ ৬০ বছর পর রেকর্ড পতন হয়েছে জন্মের হারে। পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, আগের বছর ১৪১ কোটির মধ্যে চিনের জনসংখ্যা ৮ লক্ষ ৫০ হাজার কমেছে।

    চিনের জনসংখ্যার গ্রাফ নিম্নমুখী

    এদিন পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, চিনের জনসংখ্যা ২০২২ সালে ৮৫০,০০০ জন কমে ১.৪১১৭৫ বিলিয়ন হয়েছে। ইউএন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ২০৫০ সালের মধ্যে এই জনসংখ্যা প্রায় ১০৯ মিলিয়ন কমে যাবে। আরও জানা গিয়েছে, গত বছর ওই দেশে জন্মহার প্রতি ১০০০ মানুষের মধ্যে ছিল ৬.৭৭ শতাংশ। তার আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে সেটা ছিল ৭.৫২ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছর চিনের জন্মহার ছিল সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, ১৯৭৬ সালের পর চিনে মৃত্যুহারও সর্বাধিক হয়েছে। প্রতি হাজার জনে ৭.৩৭ শতাংশ। যা আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে ছিল ৭.১৮ শতাংশ। ফলে গত ৬০ বছরে এই প্রথম বার এমন হারে কমেছে জনসংখ্যা। আবার চিনে গত বছর জন্ম হয়েছে ৯৫ লক্ষ শিশুর। তবে, ২০২২ সালে চিনে মৃত্যু হয়েছে বেশি।

    আরও পড়ুন: ‘দোষী’ আইনজীবীদের চিহ্নিত করে মামলা, বিচারপতি মান্থা বিক্ষোভকাণ্ডে বলল হাইকোর্ট

    জনসংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ কী?

    জানা গিয়েছে, চিনের জনসংখ্যা এমন হারে হ্রাস পাওয়ার উল্লেখযোগ্য কারণ হল ‘ওয়ান চাইল্ড পলিসি’। জনসংখ্যার বিস্ফোরণ ঠেকাতে ১৯৭৯ সালে এক সন্তান নীতি চালু করেছিল চিন। এটি ১৯৮০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আরোপ করা হয়েছিল। এর পর ২০১৬ সালেই ‘এক সন্তান নীতি’ প্রত্যাহার করে দুই সন্তানের অনুমোদন দিয়েছিল চিন। কিন্তু তার পরেও জন্মহারের পতন অব্যাহত। এছাড়া শিক্ষা সংক্রান্ত খরচ আকাশছোঁয়া হওয়ায় অভিভাবকরা সন্তানের জন্মে রাশ টেনেছেন। এক সন্তানের বেশি কেউ-ই চাইছেন না। বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, এর পর করোনার ফলে চিনে জিরো কোভিড পলিসি চালু করা হলে এটিও জনসংখ্যা হ্রাসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

    জনসংখ্যা কমায় কী প্রভাব পড়তে পারে?

    চিনের এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে কয়েক জন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন যে, চিনের জনসংখ্যা যদি ধীরে ধীরে কমতে থাকে, তা হলে তার উল্টো প্রভাব পড়বে। চিনের অর্থনীতির পাশাপাশি সারা বিশ্বের অর্থনীতিও ধাক্কা খাবে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী চিনে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সংখ্যা অনেকটা বেশি হয়ে পড়েছে। ফলে এমন একটি দিন খুব শীঘ্রই আসবে যখন চিনের গতি বাড়াতে কর্মক্ষম বয়সের পর্যাপ্ত লোক থাকবে না। অর্থাৎ জন্মহার কমে আসার ফলে দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য লোকবলের অভাব দেখা দিতে পারে বলে তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।

    প্রসঙ্গত, এর আগে ১৯৬০ সালে চিনে শেষবারের মত জনসংখ্যা কমেছিল। সেইবার চিন সম্মুখীন হয়েছিল আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ দুর্ভিক্ষের। এর পর দীর্ঘ ছয় দশক পর ফের জনসংখ্যা কমল চিনে।

LinkedIn
Share