Blog

  • ISRO Chairman: গগনযান মিশন নিয়ে কী বললেন ইসরো চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন?

    ISRO Chairman: গগনযান মিশন নিয়ে কী বললেন ইসরো চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO Chairman) আগামী এক দশকের জন্য অনেক বড় বড় পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এই অভিযানগুলি মহাকাশ গবেষণায় পৃথিবীর মানচিত্রে ভারতের অবস্থান আরও উল্লেখযোগ্য করে তুলবে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। এর মধ্যে রয়েছে নতুন একটি প্রোপালসন সিস্টেম, শুক্রগ্রহে অভিযান, মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথে উপগ্রহ পাঠানো, চন্দ্রযান-৪, চন্দ্রযান-৫ ও গগনযান কর্মসূচি। ইসরো চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন (V Narayanan) এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছেন।

    কী বললেন ইসরোর চেয়ারম্যান (ISRO Chairman)?

    ওই সাক্ষাৎকারে ইসরো চেয়ারম্যান (ISRO Chairman) গগনজান মিশন সম্পর্কে বিস্তৃত আলোচনা করেছেন এবং এই অভিযানে চ্যালেঞ্জ নিয়েও কথা বলেন। প্রসঙ্গত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতেই জানিয়েছিলেন যে গগনযান অভিযান ২০২৬ সালে চালু হওয়ার কথা রয়েছে। প্রথমে মানববিহীন যান পাঠানো হবে মহাকাশে। ইসরো চেয়ারম্যান সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন প্রথমে মোট তিনটি মানববিহীন পরীক্ষামূলক যান পাঠানো হবে। ২০২৫ সালে শ্রী হরিকোটা থেকে প্রথম মানববিহীন যানটি পাঠানোর কথা রয়েছে। ইসরোর চেয়ারম্যান জানিয়েছেন যে প্রথমে ওই যানটি মহাকাশচারীদের ১৭০ কিলোমিটার ওপরে এবং তারপরে ৪০০ কিলোমিটার কক্ষপথের রেখে নিরাপদে ফের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনবে।

    নিসার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ (ISRO Chairman)

    জানা গিয়েছে, ভারত-আমেরিকার যৌথ উদ্যোগে নিসার (NISAR) স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করার কথা রয়েছে চলতি বছরের মার্চ মাসে। এটি প্রতি ১২ দিনে প্রায় সমস্ত ভূমি ও বরফ স্ক্যান করবে। পাঠাবে হাই রেজোলিউশনের ছবি। এলভিএম৩-এম৫ মিশন রূপায়ণ হবে প্রথম ত্রৈমাসিকে। এই মিশনটি একটি আন্তর্জাতিক গ্রাহকের জন্য স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করবে। এটি মহাকাশ অর্থনীতিতে ভারতের ক্রমবর্ধমান সক্ষমতা প্রদর্শন করবে। এর পর রয়েছে গগনযান মানব মিশন। তবে এই অভিযানের নির্দিষ্ট কোনও তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে ব্যোমমিত্র মিশনের সাফল্য প্রশস্ত করবে ভারতের প্রথম মানব মহাকাশযাত্রার পথ।

  • Jayalalithaa: জয়ললিতার সব সম্পত্তি তুলে দেওয়া হল তামিলনাড়ু সরকারের হাতে, কী কী ছিল জানেন?

    Jayalalithaa: জয়ললিতার সব সম্পত্তি তুলে দেওয়া হল তামিলনাড়ু সরকারের হাতে, কী কী ছিল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার (Jayalalithaa) স্থাবর-অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তি তুলে দেওয়া হল সরকারের হাতে। এর মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েক কেজি সোনা ও রুপোর গয়নাও।

    আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যবিহীন সম্পত্তি (Jayalalithaa)

    ২০১৪ সালে তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা এআইএডিএমকে সুপ্রিমো জয়ললিতাকে আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যবিহীন সম্পত্তি থাকার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে বিশেষ আদালত। সেই সময়ই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল তাঁর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি। গ্রেফতারও করা হয়েছিল তাঁকে। ২০১৫ সালে বন্দিদশা ঘোঁচে তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ছিল কর্নাটক সরকারের কোষাগারে। ২০১৬ সালে মৃত্যু হয় তাঁর। এর পরেই তাঁর আত্মীয়রা সম্পত্তি দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালত সেই দাবি খারিজ করে দেয়। শনিবার আদালতের নির্দেশে সেই সম্পত্তি বিশেষ আদালতের তরফে তুলে দেওয়া হয় তামিলনাড়ু সরকারের হাতে।

    জয়ললিতার সম্পত্তির পরিমাণ

    সিনে দুনিয়ার দাপুটে অভিনেত্রী তথা রাজনীতিবিদ জয়ললিতার (Jayalalithaa) সম্পত্তির পরিমাণ শুনলে চোখ কপালে উঠবে। তাঁর বিভিন্ন ধরনের সোনার গয়নার পরিমাণ ২৭ কেজি। এর মধ্যে রয়েছে সোনার মুকুট, তরোয়াল, হাতঘড়ি, পেন এবং এক হাজার ৬০৬টি মূল্যবান গয়না। বিশেষ সরকারি আইনজীবী বলেন, “আদালতের নির্দেশ মেনে ২৭ কেজি ওজনের সোনার নানারকম গয়না-সামগ্রী তামিলনাড়ু সরকারের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে। সামগ্রীগুলি পরীক্ষা করে দেখেছেন তামিলনাড়ুর ভিজিল্যান্স আধিকারিকরা। এর সঙ্গে ১ হাজার ৫২৬ একর জমির আইনি কাগজপত্রও তুলে দেওয়া হয়েছে তামিলনাড়ু সরকারের হাতে।” তিনি বলেন, “পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের উপস্থিতিতে ছটি ট্রাঙ্ক বোঝাই সম্পত্তি কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে তামিলনাড়ু পৌঁছচ্ছে।” প্রসঙ্গত, এর আগে জয়ললিতার বাজেয়াপ্ত হওয়া শাড়িগুলি ফেরত দেওয়া হয়েছে।

    এদিন জয়ললিতার যে সম্পত্তি তামিলনাড়ু সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ৪৬৮ রকমের সোনা ও হিরেখচিত গয়না। এর ওজন ৭ হাজার ৪০ গ্রাম। রুপোর গয়না রয়েছে ৭০০ কেজির ৭৪০টি দামি চটি, ১১ হাজার ৩৪৪টি সিল্কের শাড়ি, ২৫০টি শাল, ১২টি ফ্রিজ, ১০টি টিভি সেট, ৪টি ভিসিআর, একটি ভিডিও ক্যামেরা, ৪টি সিডি প্লেয়ার, দুটি অডিও ডেক, ২৪টি টু-ইন-ওয়ান টেপ রেকর্ডার (Tamil Nadu), ১ হাজার ৪০টি ভিডিও ক্যাসেট, ৩টি আয়রন লকার, নগদ ১ লাখ ৯৩ হাজার ২০২ টাকা এবং আরও অন্যান্য সামগ্রী (Jayalalithaa)।

  • Kumbh Devotees: কুম্ভমেলার ভক্তদের ভিড়, নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মৃত ১৮

    Kumbh Devotees: কুম্ভমেলার ভক্তদের ভিড়, নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মৃত ১৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে (New Delhi Railway Station) মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। কুম্ভযাত্রীদের ভিড় এবং ধাক্কাধাক্কির কবলে পড়ে তিন শিশু, ১৪ মহিলা-সহ অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর পাশপাশি অজস্র মানুষ আহত হয়েছেন (Kumbh Devotees) বলে জানা যাচ্ছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, প্রথমে ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। এর পরে দিল্লি পুলিশ ১৮ জনের প্রাণ হারানোর খবর নিশ্চিত করেছে। ইতিমধ্যে মৃতদের পরিবার পিছু ক্ষতিপূরণের কথাও ঘোষণাও করেছে রেল। মৃতদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। এর পাশপাশি, এই ঘটনায় যাঁরা গুরুতর জখম হয়েছেন, তাঁদের দেওয়া হবে আড়াই লক্ষ টাকা। যাঁরা সামান্য আঘাত পেয়েছেন তাঁদের এক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে।

    হঠাৎ রটে গুজব?

    সূত্রের খবর, শনিবার রাতে নয়াদিল্লি স্টেশনের ১৩ এবং ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে কুম্ভমেলার ভক্তদের (Kumbh Devotees) ব্যাপক ভিড় ছিল। ওই দুই প্ল্যাটফর্মেই ট্রেন আসতেও দেরি করছিল। এমন সময় গুজব রটে যায় দু’টি ট্রেন বাতিল হয়ে গিয়েছে। এর ফলে ভিড়ের মধ্যে ব্যাপক দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। অনেকেই দাবি করতে থাকেন, একেবারে পদপিষ্টের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায় ওই দুই প্ল্যাটফর্মে । রেল জানিয়েছে, এই সবই গুজব ছিল।

    শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    এই ঘটনার পরেই শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি এক্স মাধ্যমে লেখেন, “পদপিষ্টের ঘটনায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছে প্রশাসন।” একইসঙ্গে শোক বার্তা এসেছে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের কাছ থেকেও।

    শোক প্রকাশ করেছেন (Kumbh Devotees) প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “স্টেশনে পদপিষ্টের ফলে অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।” পাশাপাশি, তিনি মৃত পরিবারদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।

    নিজের এক্স মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লেখেন, “অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আহতদের সবরকমের সাহায্য করা হবে। তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।”

    দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের শোক প্রকাশ (Kumbh Devotees)

    দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, “দিল্লি স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনায় মৃত ও আহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। মুখ্যসচিব ও পুলিশ কমিশনারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” রেল পুলিশের ডিসি বলেন, “প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেস ১৪ নম্বর স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল। স্টেশনে প্রচুর মানুষের ভিড় ছিল সেই সময়ে। স্বতন্ত্র সেনানি এক্সপ্রেস এবং ভুবনেশ্বর রাজধানী এক্সপ্রেস দেরিতে ছিল। তাই ওই দুই ট্রেনের যাত্রীরাও ১২, ১৩ এবং ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করছিলেন। ১৫০০ জেনারেল টিকিট বিক্রি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সেই কারণেই ভিড় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল।”

  • Daily Horoscope 16 February 2025: সখ মেটাতে বাড়তি খরচ হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 16 February 2025: সখ মেটাতে বাড়তি খরচ হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বাড়তি খরচের জন্য চিন্তা বাড়বে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হতে পারে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    বৃষ

    ১) শেয়ার বাজারে লগ্নি নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) পেটের কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    মিথুন

    ১) সকাল থেকে শরীরে জড়তা বাড়তে পারে।

    ২) মাথার যন্ত্রণা বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কর্কট

    ১) প্রেমের ব্যাপারে মনঃকষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) বাড়তি আয় করতে গেলে বিপদ ঘটতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    সিংহ

    ১) রাজনীতির লোকেদের একটু চিন্তার কারণ দেখা দিতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশযাত্রার সুযোগ পেতে পারেন।

    ৩) ধৈর্য্য ধরুন।

    কন্যা

    ১) প্রেমের অশান্তি মিটে যেতে পারে।

    ২) ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) সমাজের কাজে সাফল্য।

    তুলা

    ১) কাউকে কোনও ব্যাপারে কথা দেবেন না।

    ২) আধ্যাত্মিক বিষয়ে বিশেষ মনোযোগী হয়ে উঠবেন।

    ৩) প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) গবেষণার কাজে সাফল্য লাভ।

    ২) খুব নিকট কোনও মানুষের জন্য দাম্পত্য কলহের সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) চোখ কান খোলা রেখে বিশ্বাস করুন।

    ধনু

    ১) সখ মেটাতে বাড়তি খরচ হতে পারে।

    ২) কোনও বন্ধুর জন্য বিপদ থেকে উদ্ধার লাভ।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    মকর

    ১) মহিলাদের জন্য নতুন কিছু শুরু করার ভালো সময়।

    ২) কল্যাণকর কাজে কিছু অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় সমস্যা ও খরচ বৃদ্ধি পাবে।

    ২) চক্ষুরোগ দেখা দিতে পারে

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    মীন

    ১) সম্পত্তির অধিকার নিয়ে বিবাদ হতে পারে। কপালে অপমান জুটতে পারে।

    ২) প্রেমে মাত্রাছাড়া আবেগ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 271: “‘নারকেলের বেল্লো আপনা-আপনি খসে গেছে, জ্ঞান হলে উপাধি আপনি খসে পড়ে”

    Ramakrishna 271: “‘নারকেলের বেল্লো আপনা-আপনি খসে গেছে, জ্ঞান হলে উপাধি আপনি খসে পড়ে”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    দ্বাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৯শে সেপ্টেম্বর

    “ও-দেশে যখন হৃদের বাড়িতে (কামারপুকুরের নিকট, সিওড়ে) ছিলাম। তখন শ্যামবাজারে নিয়ে গেল। বুঝলাম (Kathamrita) গৌরাঙ্গভক্ত। গাঁয়ে ঢোকবার আগে দেখিয়ে দিলে। দেখলাম গৌরাঙ্গ! এমনি আকর্ষণ—সাতদিন সাতরাত লোকের ভিড়! কেবল কীর্তন আর নৃত্য। পাঁচিলে লোক! গাছে লোক!

    “নটবর (Ramakrishna) গোস্বামির বাড়িতে ছিলাম। সেখানে রাতদিন ভিড়। আমি আবার পালিয়ে গিয়ে এক তাঁতীর ঘরে সকালে গিয়ে বসতাম। সেখানে আবার দেখি, খানিক পরে সব গিয়েছে। সব খোল-করতাল নিয়ে গেছে!—আবার ‘তাকুটী! তাকুটী!’ করছে। খাওয়া দাওয়া বেলা তিনটার সময় হতো!

    “রব উঠে গেল—সাতবার মরে, সাতবার বাঁচে, এমন এক লোক এসেছে! পাছে আমার সর্দিগর্মি হয়, হৃদে মাঠে টেনে নিয়ে যেতো;—সেখানে আবার পিঁপড়ের সার! আবার খোল-করতাল।—তাকুটী! তাকুটী! হৃদে বকলে, আর বললে, ‘আমরা কি কখনও কীর্তন শুনি নাই?’

    “সেখানকার গোঁসাইরা ঝগড়া করতে এসেছিল। মনে করেছিল, আমরা বুঝি তাদের পাওনাগণ্ডা নিতে এসেছি। দেখলে, আমি একখানা কাপড় কি একগাছা সুতাও লই নাই। কে বলেছিল ‘ব্রহ্মজ্ঞানী’। তাই গোঁসাইরা বিড়তে এসেছিল। একজন জিজ্ঞাসা (Kathamrita) করলে, ‘এঁর মালা তিলক, নাই কেন?’ তারাই একজন বললে, ‘নারকেলের বেল্লো আপনা-আপনি খসে গেছে’। ‘নারকেলের বেল্লো’ ও কথাটি ওইখানেই শিখেছি। জ্ঞান হলে উপাধি আপনি খসে পড়ে যায়।

    “দূর গাঁ থেকে লোক এসে জমা হতো (Kathamrita)। তারা রাত্রে থাকত। যে বাড়িতে ছিলাম, তার উঠানে রাত্রে মাগীরা অনেক সব শুয়ে আছে। হৃদে প্রস্রাব করতে রাতে বাহিরে যাচ্ছিল, তা বলে, ‘এইখানেই (উঠানে) করো।’

    “আকর্ষণ কাকে বলে, ওইখানেই (শ্যামবাজারে) বুঝলাম। হরিলীলায় (Ramakrishna)  যোগমায়ার সাহায্যে আকর্ষণ হয়, যেন ভেলকি লেগে যায়!”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Pratul Mukhopadhyay: বাংলাই তাঁর তৃপ্ত শেষ চুমুক! চলে গেলেন সঙ্গীত শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়

    Pratul Mukhopadhyay: বাংলাই তাঁর তৃপ্ত শেষ চুমুক! চলে গেলেন সঙ্গীত শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলে গেলেন সঙ্গীত শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়। জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহেই প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই সময় তাঁর নাক দিয়ে আচমকাই রক্তক্ষরণ হয়েছিল। অতিরিক্ত সংক্রমণে প্রভাব পড়ে কিডনি, ফুসফুসে। সম্প্রতি অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। শনিবার সকাল ১০টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আর বাংলার পথ ধরে হাঁটবেন না প্রতুল।

    প্রতুলের বেড়ে ওঠা

    জন্ম অবিভক্ত বাংলার বরিশালে। ১৯৪২ সালে। বাবা প্রভাতচন্দ্র ছিলেন স্কুলশিক্ষক, মা বীণাপাণি মুখোপাধ্যায় গৃহবধূ। দেশভাগের পর পরিবারের সঙ্গে চলে আসেন পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার চুঁচুড়ায়। স্কুলে পড়াকালীনই তাঁর এক আশ্চর্য ক্ষমতার পরিচয় পান নিকটজনেরা। মাত্র ১২ বছর বয়সে কবি মঙ্গলাচরণ চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমি ধান কাটার গান গাই’ কবিতাটিতে সুরারোপ করে বন্ধুদের চমকে দিয়েছিলেন প্রতুল। পাশাপাশি নিজেও লিখতে থাকেন ছড়া, গানের লিরিক। মানুষ আর মানবতাকে তাঁর গানে সবার আগে রাখতেন। কখনও নিজের গাল, কখনও বা বুক বাজিয়ে, তুড়ি দিয়ে, হাততালি দিয়ে মঞ্চে নিজের বাঁধা গান গাইতেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়।

    গানের জগতে প্রতুল

    প্রতুলের প্রথম অ্যালবাম ‘যেতে হবে’ (১৯৯৪) প্রকাশের পর একেবারে অন্য রকম এক শ্রুতির সামনে গিয়ে পড়েন শ্রোতারা। মঞ্চে প্রতুল যন্ত্রানুষঙ্গ বর্জন করলেও এই অ্যালবামে করেননি। তাঁর গানের পিছনে বহু দূরের দিগন্তরেখার মতো থেকেছে যন্ত্র। গানই সেখানে মুখ্য। ইন্টারল্যুডে প্রতুলের নিজেরই কণ্ঠ বেজেছে। তাঁর কণ্ঠ, স্বরক্ষেপণ এবং উচ্চারণ বাঙালির কাছে এক অন্য অভিজ্ঞতা। ‘ডিঙ্গা ভাসাও সাগরে’-র তরঙ্গপ্রতিম স্বরক্ষেপণ আর ‘ঙ্গ’-এ জোর দেওয়া উচ্চারণ বুঝিয়ে দিল, তিনি একেবারে আলাদা এক গানওয়ালা। ‘বাংলা আমার দৃপ্ত স্লোগান, তৃপ্ত শেষ চুমুক’— এমন শব্দচয়ন যে বাংলা গানে উঠে আসতে পারে, তা নব্বই দশকের ফুটতে থাকা কবিকুলও ভাবতে পারেননি। তাঁর ‘আমি বাংলায় গান গাই’ নব্বইয়ের দশকে কলেজ ক্যান্টিনে, ফেস্টে, ফেস্টুনে একাকার হয়েছে। এখনও যেন সেই সুরের মূর্ছনায় ‘বাংলার মুখ’ দেখে সাত সাগরের পাড়ের বাঙালিরাও।

     

  • Chhattisgarh Urban Bodies Election: ছত্তিশগড়ে পুরনির্বাচনে বিজেপির জয়জয়কার, রায়গড়ে মেয়র হলেন চাওয়ালা জীবর্ধন

    Chhattisgarh Urban Bodies Election: ছত্তিশগড়ে পুরনির্বাচনে বিজেপির জয়জয়কার, রায়গড়ে মেয়র হলেন চাওয়ালা জীবর্ধন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের রং এখন গেরুয়া। ছত্তিশগড়ে স্থানীয় নির্বাচনেও (Chhattisgarh Urban Bodies Election) বিরাট জয় পেল বিজেপি। শনিবার সমস্ত মেয়র পদেই জয় পেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও রাই ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এটা ছত্তিশগড় বিজেপির জন্য একটা ঐতিহাসিক দিন। ছত্তিশগড় পুরসভার নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীরা ১০টা আসনেই জয় পেয়েছে। বিপুল মার্জিনে জয় পেয়েছেন তারা। কংগ্রেস একটা আসনেও জিততে পারেনি। বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপর ভরসা রাখার জন্য সমস্ত ভোটারদের ধন্য়বাদ জানান তিনি।

    নাড্ডার শুভেচ্ছা

    ভোটের ফল ঘোষণার পরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ছত্তিশগড়ে বিজেপির সভাপতি ও ছত্তিশগড়ে মুখ্য়মন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এই বিপুল বিজয়ের জন্য। জেপি নাড্ডা এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, এই ঐতিহাসিক জয় হল মানুষের আস্থা জনকল্যাণমুখী স্কিম ও আদিবাসী কল্যাণে নিয়োজিত স্কিমগুলির উপর। ডাবল ইঞ্জিন সরকার এই স্কিমগুলি প্রয়োগ করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গাইডেন্সে এই কর্মকাণ্ড চলছে। কার্যত ছত্তিশগড় থেকে ধুয়ে মুছে যাচ্ছে কংগ্রেস। একের পর এক ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। এবার পুরসভাগুলির ভোটেও বিজেপিরই জয় জয়কার।

    চা-ওয়ালা থেকে মেয়র

    একজন চাওয়ালার দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে বসার নজির আগেই দেখেছে দেশ। এবার এক চা বিক্রেতাকে মেয়রও হতে দেখল ছত্তিশগড়। নির্বাচনী লড়াইয়ে কংগ্রেসকে ‘নাকের জলে, চোখের জলে’ করে রায়গড় শহরের মেয়র হলেন বিজেপি নেতা জীবর্ধন চৌহান। তাঁর এই সাফল্য এখন মুখে মুখে ফিরছে। শূন্য থেকে শুরু করে শীর্ষে উঠে চৌহান হয়ে উঠেছেন নয়া অনুপ্রেরণা। এই ঘটনার পর স্থানীয় বিধায়ক ওপি চৌধুরী বলেন, ‘এই জয় ঐতিহাসিক জয়।’ জয়ের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে চৌহান বলেন, “যেদিন আমি খবর পেয়েছিলাম একজন চাওয়ালাকে মেয়র পদের জন্য মনোনীত করা হয়েছে, সেদিন বিশ্বাস করতে পারিনি। দীর্ঘ বছর ধরে আমি সংঘের সঙ্গে যুক্ত। অবশেষে এই সাফল্যে আমার অত্যন্ত আনন্দিত। আমি সংঘ, বিজেপি ও বিধায়ক ওপি সিংকে ধন্যবাদ জানাই, যারা আমার মতো একজন গরিব মানুষকে এই পদের যোগ্য বলে মনে করেছেন ও আমায় লড়াইয়ের সুযোগ দিয়েছেন।”

  • Suvendu Adhikari: স্যালাইনকাণ্ডের পরে আরও এক ওষুধ দুর্নীতি! সমাজমাধ্যমে পোস্ট শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: স্যালাইনকাণ্ডের পরে আরও এক ওষুধ দুর্নীতি! সমাজমাধ্যমে পোস্ট শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের স্যালাইন কাণ্ড নিয়ে রাজ্য তোলপাড় হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি প্রসূতিদের বিষাক্ত স্যালাইন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় একজনের মৃত্যুও হয়। সেই রেশ এখনও পুরোপুরি কাটেনি। তারই মধ্যে আবারও বিরাট অভিযোগ সামনে আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, বাংলায় আরও এক ওষুধ দুর্নীতি চলছে।

    সমাজ মাধ্যমে লম্বা পোস্ট শুভেন্দুর

    এনিয়েই সমাজ মাধ্যমের পাতায় একটি লম্বা পোস্ট করেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি উল্লেখ করেন, ‘‘সরকারের অধীনে থাকা সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর্স সম্প্রতি রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালগুলি সহ জেলার চিফ মেডিক্যাল অফিসারদের নোটিস দিয়ে বলেছে ফার্মা ইমপেক্স ল্যাবরেটরিসের সাপ্লাই করা কোনও ওষুধ বা সামগ্রী ব্যবহার না করতে, তা বর্জন করতে। হাসপাতালে যদি স্টক থাকে তাহলে তা যেন অব্যবহৃত রাখা হয়। এর কারণ, গত ২৯ জানুয়ারি স্টেট ড্রাগ কন্ট্রোলের তরফে ফার্মা ইমপেক্সকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত উৎপাদন বন্ধ রাখতে।’’

    এটা একটা ওষুধ দুর্নীতি চলছে, দাবি শুভেন্দুর

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কথায়, ‘‘এটা একটা ওষুধ দুর্নীতি চলছে। কারণ বিষয়টি সম্পর্কে খোলাখুলি কিছুই বলা হয়নি, একটা গোপনীয়তা বজায় রাখা হচ্ছে। একই সঙ্গে, কোন কোন ওষুধ নিষিদ্ধ হল বা ব্যবহার করা যাবে না, সে ব্যাপারেও কোনও স্পষ্ট তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। মনে হচ্ছে, এটাও একটা বড় ষড়যন্ত্র।’’ এই ইস্যুতে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের থেকে জবাব চেয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বিরোধী দলনেতার প্রশ্ন, এমন কী হল যার জন্য ওই সংস্থাকে ওষুধ উৎপাদন করতে বারণ করে দেওয়া হল এবং আর কোন কোন ওষুধ উৎপাদন হবে না। প্রসঙ্গত, গত মাসেই স্যালাইন-কাণ্ডে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছিল মেদিনীপুরে। সেই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলাও। ঘটনা গত মাসের ৮ ও ৯ তারিখ। তার মধ্যেই আবার নয়া এক ওষুধ দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন শুভেন্দু অধিকারী।

  • Sadhguru: ‘‘হতে হবে স্মার্ট ফোনের চেয়েও স্মার্ট’’, পরীক্ষা পে চর্চা অনুষ্ঠানে বললেন সদগুরু

    Sadhguru: ‘‘হতে হবে স্মার্ট ফোনের চেয়েও স্মার্ট’’, পরীক্ষা পে চর্চা অনুষ্ঠানে বললেন সদগুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরীক্ষাকে কখনও কঠিন ভাবলে চলবে না। শিক্ষার পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যাওয়ার জন্য পড়ুয়ারা ঠিক কতটা উপযুক্ত, সেটা যাচাই করার একটি মাধ্যম‌ হল পরীক্ষা, একথাই শোনা গেল সদগুরুর মুখে (Sadhguru)। পরীক্ষা পে চর্চা (Pariksha Pe Charcha) অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের এমন পাঠই পড়ালেন আধ্যাত্মিক নেতা এবং ইশা ফাউন্ডেশনের প্রধান জাগ্গি বাসুদেব। পড়ুয়াদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘তোমাদের স্মার্ট ফোনের চেয়েও স্মার্ট হতে হবে।‌’’

    সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তি নিয়ে কী বললেন সদগুরু (Sadhguru)?

    তিনি বলেন, ‘‘যদি একইসঙ্গে ঘাস আর মোটরসাইকেলের দিকে তাকান, তাহলে আপনার ভাবা উচিত এর পদার্থবিদ্যা, গণিত এবং রসায়ন কী। সঠিক শিক্ষাই বিষয়গুলি বুঝতে সাহায্য করে এবং জীবনের দিকে এগিয়ে দেয়। এর জন্য বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন।’’ তবে সোশ্যাল মিডিয়া এবং ফোনের প্রতি আসক্তি সম্পর্কে এক ছাত্রের প্রশ্নের উত্তরে সদগুরু বলেন, ‘‘একজন ব্যক্তির উচিত স্মার্ট ফোন কীভাবে ব্যবহার করবেন তা ঠিক করা। তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা বলে কিছু নেই, কারণ মূল্যবান কিছু করার জন্য অন্যরকম চিন্তা করতে হবে।’’

    মনসংযোগ বাড়াতে ধ্যান

    অন্যদিকে মনোসংযোগ বাড়াতে পড়ুয়াদের ধ্যানের কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি (Sadhguru) বলেন, ‘‘শরীর ভালোভাবে অনুশীলন করলে আরও ভালোভাবে কাজ করা যায়। তাহলে মানসিক ক্ষমতা বাড়াতে কেন সেটা আমরা করতে পারি না?’’ সদগুরু (Sadhguru) মানুষের বুদ্ধিমত্তা নিয়ে তুলনা করতে নিষেধ করেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি কি এই ব্যক্তির মতো বুদ্ধিমান নাকি ওই ব্যক্তির মতো? এমন ভাবার কিছু নেই। এটা একটা প্রহসন যা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে। সবাই সবকিছু করতে পারেন। প্রত্যেকে মানুষের মধ্যে সেই ক্ষ্মতা রয়েছে। কে কখন কী করে দেবেন বলা মুশকিল।’’

    গত সোমবার থেকেই চলছে ‘পরীক্ষা পে চর্চা’

    প্রসঙ্গত, গত সোমবার থেকেই চলছে ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ (Pariksha Pe Charcha 2025) অনুষ্ঠান। আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে দিল্লির একটি নার্সারিতে পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। কীভাবে নিজেদের পরীক্ষার চাপ থেকে একেবারে মুক্ত রাখা যায়, ভালো নম্বর পাওয়া যায় সে সংক্রান্ত কিছু টিপস দিতে শোনা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। এদিন নির্ধারিত সময় মেনে সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ নিয়ে আলোচনা শুরু করেন সদগুরু।

  • President Draupadi Murmu: ‘‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নতিতে ভবিষ্যৎ হবে নাটকীয়’’, মন্তব্য রাষ্ট্রপতির

    President Draupadi Murmu: ‘‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নতিতে ভবিষ্যৎ হবে নাটকীয়’’, মন্তব্য রাষ্ট্রপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের ভবিষ্যৎ আরও নাটকীয় হতে চলেছে, এমনটাই জানালেন রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু (President Draupadi Murmu)। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি মুর্মু বর্তমানে রয়েছে ঝাড়খণ্ড সফরে। সেখানেই তাঁকে এমন মন্তব্য করতে শোনা যায়। নিজের বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘‘সময় যত গড়াচ্ছে, ততই পাল্লা দিয়ে উন্নত হচ্ছে প্রযুক্তি। আর সেই প্রযুক্তিতেই ভর করে উন্নত হচ্ছে আমাদের সমাজ।’’ এদিন এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় তিনি আরও জানান, কেন্দ্রের মোদি সরকার উচ্চশিক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে অন্তর্ভুক্ত করার পদক্ষেপ করছে।

    বিড়লা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান ছিল

    শনিবারই রাঁচির মেসরায় অবস্থিত বিড়লা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে রাষ্ট্রপতি (President Draupadi Murmu) বলেন, ‘‘কেন্দ্র উচ্চশিক্ষার কথা মাথায় রেখে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। এমনকি ২০২৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে কোর্সও চালু হয়েছে।’’ নিজের ভাষণে রাষ্ট্রপতি (President Draupadi Murmu) আরও জানান, প্রযুক্তি হাতেকলমে শেখার কারণে বহু সুযোগ তৈরি হচ্ছে আজকের দিনে। সমাজে যে সমস্ত মানুষজন পিছিয়ে রয়েছেন, তাঁদেরও বিষয়টি বোঝানো উচিত বলেই মনে করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি আরও জানান, প্রযুক্তি সবার ভালো কাজে ব্যবহার হোক।

    কখনও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাকে উপেক্ষা করা উচিত নয়

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Draupadi Murmu) এদিন নিজের ভাষণে বলেন, ‘‘কখনও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাকে উপেক্ষা করা উচিত নয়।’’ এদিন ঝাড়খণ্ডের ওই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি বিজ্ঞান, প্রযুক্তির উপর আয়োজিত একটি প্রদর্শনীর উদ্বোধনও করেন। এই প্রদর্শনীতেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্বলিত নানা জিনিস ছিল। প্রদর্শনীতে ছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-সক্ষম রোবট এবং স্ব-চালিত গাড়ি-সহ একাধিক জিনিস ছিল। শুক্রবারই রাষ্ট্রপতি পা রাখেন ঝাড়খণ্ডে। তাঁর সফরকে সামনে রেখে ঝাড়খণ্ডের রাজধানীতে নিরাপত্তা ব্যাপক জোরদার করা হয়েছে।

LinkedIn
Share