Blog

  • Shantiprasad Sinha: শান্তিপ্রসাদ সিনহার জামিনের আর্জি খারিজ! ৫ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতেই

    Shantiprasad Sinha: শান্তিপ্রসাদ সিনহার জামিনের আর্জি খারিজ! ৫ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোয় আর বাড়ি ফেরা হচ্ছে না শান্তিপ্রসাদ সিনহার (Shantiprasad Sinha)। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় (SSC Case) তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ করল বিশেষ সিবিআই আদালত।  ৫ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকবেন তিনি।  শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে গত ১০ অগাস্ট গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। বৃহস্পতিবার তাঁর হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায়  তাঁকে আদালতে তোলা হয়।

    আরও পড়ুন: প্রাইমারিতে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হয়েছে! চার্জশিটে দাবি ইডির

    পুজোর আগে জামিন পাননি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও (Partha Chatterjee) ৷ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত। পার্থ ছাড়াও কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়,অশোক সাহারও জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ৷ উল্লেখ্য, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে শান্তিপ্রসাদের বিরুদ্ধে। গ্রুপ সি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। নিয়োগ সংক্রান্ত যে উপদেষ্টা কমিটি তৈরি করেছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তার চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছিল শান্তিপ্রসাদকে। অভিযোগ, তাঁর আমলেই মূলত নিয়োগ দুর্নীতি হয়।

    আরও পড়ুন: অর্পিতার ৩১টি পলিসির জন্য দেড় কোটি টাকা প্রিমিয়াম দিতেন পার্থ! চার্জশিটে দাবি ইডির

    শান্তিপ্রসাদের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেওয়ার অভিযোগ করেছে সিবিআই। বৃহস্পতিবার আদালতকে সিবিআই জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া দুই মিডলম্যান প্রসন্ন রায় এবং প্রদীপের কম্পিউটারে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা খুঁজে পেয়েছে তারা। এই দু’জনের সঙ্গে শান্তিপ্রসাদের যোগাযোগের কথা আগেই জানতে পেরেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তাঁদের ধারণা, এই তালিকা থেকেই নাম যেত এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদের কাছে। নগদের বিনিময়ে পাওয়া যেত চাকরিও। তবে লেনদেনের দায়িত্বে থাকতেন দুই মিডলম্যানই। সিবিআইয়ের এই যুক্তি শোনার পর এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা কমিটির সদস্যের জামিনের আবেদন খারিজ করে তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Rajasthan Congress: রাজস্থান বিদ্রোহকাণ্ডে ছাড় গেহলটকে!

    Rajasthan Congress: রাজস্থান বিদ্রোহকাণ্ডে ছাড় গেহলটকে!

    রাজস্থান কংগ্রেস বিদ্রোহ (Rajasthan Congress)

    Rajasthan Congress: রাজস্থান বিদ্রোহকাণ্ডে ছাড় দেওয়া হল রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে। যদিও তাঁর তিন অনুগামীকে নোটিস ধরানো হয়েছে। ঘটনার জেরে কংগ্রেস (Congress) প্রেসিডেন্ট পদের নির্বাচন থেকে ছিটকে যেতে পারেন অশোক গেহলট (Ashok Gehlot)! রাজনৈতিক মহলের ধারণা, সেক্ষেত্রে লড়াইয়ের মাঠে দেখা যেতে পারে গান্ধী (Gandhi) পরিবারের আস্থাভাজন মল্লিকার্জুন খাড়গে ও দিগ্বিজয় সিংকে।

    প্রসঙ্গত, কংগ্রেস হাইকমান্ডের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে পদত্যাগ করেন রাজস্থান কংগ্রেস (Rajasthan Congress) – এর ৮২ জন বিধায়ক। স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমাও দেন তাঁরা। বিষয়টিকে ভালভাবে নেননি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

    তিন রাজস্থান কংগ্রেস বিধায়ককে শোকজ নোটিস (Show Cause Notice to 3 Rajasthan Congress MLA)

    ঘটনার জেরে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের তিন অনুগামীকে বিশৃঙ্খল আচরণের জন্য শোকজ নোটিস ধরায় গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি নেতৃত্ব। ১০ দিনের মধ্যে নোটিসের উত্তর দিতে বলা হয়েছে তাঁদের। তবে অশোকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা এখনও অবধি নেননি কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। রাজস্থান কংগ্রেস (Rajasthan Congress) – এর যে তিন নেতাকে শোকজ নোটিস ধরানো হয়েছে, তাঁরা হলেন, ক্যাবিনেট মন্ত্রী শান্তি ধারিয়াল, মন্ত্রী তথা বিধানসভায় কংগ্রেসের চিফ হুইপ মহেশ জোশি এবং বিধায়ক ধর্মেন্দ্র রাঠোর।

    কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন (Congress Presidential Election)

    কংগ্রেস সভাপতি পদে লড়তে গেলে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে ৩০ সেপ্টম্বরের মধ্যে। বুধবার দুপুর পর্যন্তও মনোনয়নপত্র তোলেননি অশোক। এ ব্যাপারে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী কিংবা কংগ্রেস কোনও তরফেই কিছু জানানো হয়নি। অশোক গেহলট মনোনয়নপত্র না তুললে ওই পদে গান্ধী পরিবারের পছন্দের মাত্র দুজন লড়তে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। এঁরা হলেন, দিগ্বিজয় সিং ও রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জন খাড়গে।

    আরও পড়ুন : মনোনয়ন তুললেন থারুর-বনসল! কংগ্রেস সভাপতির দৌড়ে কারা?

    অন্যদিকে, রাজস্থানের ঘটনায় যারপরনাই বিব্রত কংগ্রেস নেতৃত্ব। হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে এদিন বৈঠক চলছিল ১০ নম্বর জনপথে, সোনিয়া গান্ধীর বাসভবনে। সেখানেই সোনিয়া গান্ধী স্বয়ং রাজস্থানের পরিস্থিতি নিয়ে প্রবীণ কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে অশোক গেহলট কংগ্রেস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রাজস্থানের ব্যাপারে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন। তবে দুজনের মধ্যে কথপোকথন হয়েছে কিনা, তা জানা যায়নি। এদিকে, রাজস্থানের এই ডামাডোল পরিস্থিতিতে রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচিন পাইলট দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে দিল্লি পৌঁছেছেন। এখন দেখার, কোথাকার জল কতদূর গড়ায়!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • India Russia Rupee Trade: ভারত-রাশিয়া বাণিজ্যে লেনদেন হবে টাকায়! প্রক্রিয়া চালু শীঘ্রই

    India Russia Rupee Trade: ভারত-রাশিয়া বাণিজ্যে লেনদেন হবে টাকায়! প্রক্রিয়া চালু শীঘ্রই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিটতে চলেছে দীর্ঘদিনের সমস্যা। শেষমেশ শুরু হতে চলেছে ভারত-রাশিয়া বাণিজ্য (India Russia Trade)। বাণিজ্য হবে ভারতীয় মুদ্রা রুপিতে (Rupee)। বুধবার এ খবর জানিয়েছে ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনের প্রেসিডেন্ট এ শক্তিভেল। তিনি জানান, এ ব্যাপারে রাজিও হয়েছে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (SBI)।

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে। তার পরেই পশ্চিমের বহু দেশ ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়। এই দেশগুলির মধ্যে আমেরিকাও রয়েছে। ঘটনার জেরে রাশিয়ার ওপর অর্থনীতি সহ বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল পশ্চিমের দেশগুলি। তার জেরে সমস্যায় পড়ে পুতিনের দেশ। মার খায় বাণিজ্যও। এপ্রিল থেকে জুলাই এই চার মাসে রাশিয়া থেকে ভারতের রফতানি কমে যায় এক তৃতীয়াংশ। যদিও রাশিয়া থেকে তেল কিনতে থাকে ভারত।

    এ শক্তিভেল বলেন, স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া রাশিয়ার সঙ্গে রুপিতে বাণিজ্য করতে এগিয়ে এসেছে। দেশের আরও কয়েকটি ব্যাংকও এ ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে। তিনি জানান, ভারতের তরফে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া যেমন এগিয়ে এসেছে, তেমনি রাশিয়ার কোন ব্যাংক এ ব্যাপারে এগিয়ে আসবে, তা জানিয়ে দেওয়া হবে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে।

    আরও পড়ুন : পাকিস্তানকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ দেওয়ার মার্কিন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ভারত

    জুলাই মাসে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (SBI) একটি মেকানিজম চালু করে। রুপিতে যাতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চালু রাখা যায় তাই এই ব্যবস্থা। এর মূল উদ্দেশ্য পশ্চিমের দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার জেরে রাশিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক লেনদেন যে বন্ধ হয়ে রয়েছে, তা ফের চালু করা। ইরানের সঙ্গেও ভারতের এরকম পেমেন্ট সিস্টেম চালু রয়েছে। এই ইরানের বিরুদ্ধেও অর্থনৈতিক সহ নানা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল পশ্চিমের দেশগুলি। ভারতের একাধিক সংস্থা রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য সচল রাখতে ডলার এবং ইউরোর ব্যবহার কমাচ্ছে। এফআইইও প্রেসিডেন্ট বলেন, নয়া মেকানিজম ব্যবহার করে রাশিয়ায় রফতানি বাড়াতে চাইছে সরকার। বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ঘরোয়া মুদ্রাকেই ব্যবহার করতে চাইছে তারা। ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণও সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, রিজার্ভ ব্যাংকের এ হেন মেকানিজম চালুর পরে অনেক দেশই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সচল রাখতে এই পন্থা অবলম্বন করতে আগ্রহ দেখিয়েছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Duare Ration Scheme: দুয়ারে রেশন প্রকল্প অবৈধ, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    Duare Ration Scheme: দুয়ারে রেশন প্রকল্প অবৈধ, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার মুখ পুড়ল রাজ্য সরকারের!

    রাজ্য সরকারের সাধের দুয়ারে রেশন প্রকল্পকে (Duare Ration Scheme) অবৈধ ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High Court)। আদালতের মতে, এই প্রকল্প জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন ২০১৩-র পরিপন্থী। বুধবার বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাশ এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, আইনের চোখে এই প্রকল্পের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। 

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ক্ষমতায় এলে দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের কুর্সি দখল করে ডিলারদের আপত্তি উড়িয়ে দিয়ে প্রকল্প চালুও করে দেয় তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার। তার পরেই আদালতের দ্বারস্থ হন ডিলাররা। তাঁদের যুক্তি, রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প খাদ্য সুরক্ষা আইনের বিরোধী। রাজ্যের রেশন ডিলারদের সংগঠন জানায়, রেশন সামগ্রী বিলি করে ডিলাররা পান নাম মাত্র কমিশন। পাড়ায় পাড়ায় রেশন সামগ্রী পৌঁছে দিতে গেলে বাড়তি যে খরচ হবে, তা জোগানোর ক্ষমতা নেই ডিলারদের। সংগঠনের অভিযোগে জল ঢালতে রেশন ডিলারদের গাড়ি কেনার জন্য ১ লক্ষ টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। তাতে অবশ্য চিঁড়ে ভেজেনি। আদালতের দ্বারস্থ হয় ডিলারদের সংগঠন।

    আরও পড়ুন : ডিএ মামলায় ফের ধাক্কা রাজ্যের! রিভিউ পিটিশন খারিজ করল হাইকোর্ট

    ডিলারদের একাংশ প্রথমে বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের এজলাসে আবেদন করেন। মামলাকারীদের দাবি, কেবলমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারেরই প্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন, সরবরাহ এবং বিতরণ করার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ থাকতে পারে। নিষিদ্ধ করার ক্ষমতাও রয়েছে কেন্দ্রের হাতে। তাদের যুক্তি ছিল, কেন্দ্রীয় সরকার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রাজ্যের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করে। তবে এ ক্ষেত্রে কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গকে কোনও ক্ষমতা দেয়নি। তা সত্ত্বেও প্রকল্পটি চালু করেছে রাজ্য। সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েছিল, দুয়ারে রেশন প্রকল্প বেআইনি নয়। বুধবার ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয়, এই প্রকল্প জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন ২০১৩-র পরিপন্থী। আদালতের মতে, আইনের চোখে এই প্রকল্পের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। তাই একে অবৈধ ঘোষণা করা হল। কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ের জেরে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়েই উঠল বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন!  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Samsung Credit Card: ভারতে লঞ্চ করা হল ‘স্যামসাং অ্যাক্সিস ক্রেডিট কার্ড’, কী কী সুবিধা পাবেন ক্রেতারা?

    Samsung Credit Card: ভারতে লঞ্চ করা হল ‘স্যামসাং অ্যাক্সিস ক্রেডিট কার্ড’, কী কী সুবিধা পাবেন ক্রেতারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্যামসাং (Samsung) এবারে তার গ্রাহকদের জন্য এক খুশির খবর নিয়ে এসেছে, যাতে গ্রাহকদের স্যামসাং প্রোডাক্ট কিনতে গেলে মিলবে কিছু বাড়তি সুবিধা। এবারে ভারতের গ্রাহকদের জন্য ক্রেডিট কার্ড (Credit Card) লঞ্চ করেছে স্যামসাং। এতদিন বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট লঞ্চের দিকেই বিশেষ নজর রেখেছিল দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) এই সংস্থা। কিন্তু ক্রেতাদের প্রোডাক্ট কেনার ক্ষেত্রেও বাড়তি সুবিধা দেওয়ার জন্য এই বিশেষ উদ্যোগ। অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক এবং ভিসা’র (Axis Bank & Visa) সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই ক্রেডিট কার্ড লঞ্চ করেছে স্যামসাং কর্তৃপক্ষ।

    এর ফলে কী কী সুবিধা আপনারা পেতে চলেছেন?

    জানা গিয়েছে, সারাবছর ধরে এই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে স্যামসাংয়ের বিভিন্ন প্রোডাক্টের দামে এবং সার্ভিসের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ ক্যাশব্যাক পাবেন ক্রেতারা। ইএমআই এবং নন-ইএমআই ট্রানজাকশনের (EMI & Non-EMI transaction) ক্ষেত্রে বিভিন্ন আকর্ষণীয় অফারের সঙ্গে এই ক্যাশব্যাক পাবেন ক্রেতারা। এর পাশাপাশি স্যামসাংয়ের যেকোনও প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নেওয়ার সময় এই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে ক্রেতারা রিওয়ার্ড পাবেন। সেভাবেই তৈরি করা হয়েছে এই ক্রেডিট কার্ড। স্যামসাং-এর বিভিন্ন গ্যাজেট, প্রোডাক্ট-এর পাশাপাশি স্যামসাংয়ের বিভিন্ন সার্ভিস যেমন- সার্ভিস সেন্টারের পেমেন্ট, স্যামসাং কেয়ার প্লাস মোবাইল প্রোটেকশন প্ল্যান, ওয়ারেন্টির মেয়াদ বাড়ানো- ইত্যাদি ক্ষেত্রেও ১০ শতাংশ ক্যাশব্যাক পাবেন।

    কোথায় কোথায় ব্যবহার করা যাবে এই কার্ড?

    বিভিন্ন অফলাইন সংস্থা যারা স্যামসাংয়ের প্রোডাক্ট বিক্রি করে Pine Labs এবং Benow payment- এর মাধ্যমে, সেখানেও ১০ শতাংশ ক্যাশব্যাক পাওয়ার সুযোগ থাকবে। এর পাশাপাশি Samsung.com, Samsung Shop App এবং জনপ্রিয় ই-কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্ট ও অথরাইজড স্যামসাং সার্ভিস সেন্টারেও স্যামসাংয়ের এই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে ১০ শতাংশ ক্যাশব্যাক পাওয়া সম্ভব।

    স্যামসাং অ্যাক্সিস ক্রেডিট কার্ড

    এই কার্ডের দুটি ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে। ভিসা সিগনেচার এবং ভিসা ইনফিনিট (Visa Signature and Visa Infinite)। সিগনেচার ভ্যারিয়েন্টে, গ্রাহকরা ২৫০০ টাকার মাসিক ক্যাশব্যাক সহ বার্ষিক ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পেতে পারেন। ইনফিনিট ভ্যারিয়েন্ট কার্ডে ২০ হাজার টাকা এবং মাসে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পেতে পারেন ক্রেতারা। এখানে বলা হয়নি যে, একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে ক্রয় করলেই তারপর আপনি এই ক্যাশব্যাক পাবেন। অর্থাৎ যাদের কাছেই এই কার্ড থাকবে তারা স্যামসাংয়ের ছোট কেনাকাটাতেও ১০ শতাংশ ক্যাশব্যাক পেতে পারেন। আবার তারা স্যামসাং ইকোসিস্টেমের বাইরে খরচ করার জন্য এজ রিওয়ার্ড পয়েন্টও (Edge Reward Points) পাবেন।

    কীভাবে এই স্যামসাং অ্যাক্সিস ক্রেডিট কার্ড (Samsung Axis Credit Card) পাবেন?

    গ্রাহকরা স্যামসাং অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক ক্রেডিট কার্ড ওয়েবসাইট www.samsung.com/in/samsung-card-এর মাধ্যমে কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন। খুব শীঘ্রই এই কার্ডের জন্য আবেদনপত্র খোলা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

  • Partha – Arpita: তাইল্যান্ডেও রয়েছে ‘অপা’-র সম্পত্তি! ইডির চার্জশিটে খোঁজ মিলল বিলাসবহুল বাংলোর

    Partha – Arpita: তাইল্যান্ডেও রয়েছে ‘অপা’-র সম্পত্তি! ইডির চার্জশিটে খোঁজ মিলল বিলাসবহুল বাংলোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গেল পার্থঅর্পিতার (Partha – Arpita)। তবে এবার আর নিজের দেশে নয়, বিদেশে তাঁদের রয়েছে বিশাল সম্পত্তি। এমনটাই ইডি-র চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ডায়মন্ডসিটির ফ্ল্যাট, শান্তিনিকেতনের বাংলো ছেড়ে এবারে তাইল্যান্ডে (Thailand) একটি বিলাসবহুল বাংলো কিনেছেন তাঁরা। আর এখানেও অর্ধেক মালিকানা অর্পিতার নামে।

    সম্প্রতি এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ১৭২ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। ওই চার্জশিট থেকে বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। চার্জশিটেই ইডি দাবি করেছে যে,তাইল্যান্ডে একটি বাংলো কিনেছেন পার্থ। তদন্তকারীদের অনুমান, তাইল্যান্ডের সম্পত্তিও অপা ইউটিলিটি সার্ভিসের নামেই কেনা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাইল্যান্ডে তাঁরা অনেকবার ঘুরতে যেতেন, এর প্রমাণও আগে পাওয়া গিয়েছে। এবার এই বাংলোর কথা সামনে এসেছে।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে বাড়ছে নাবালিকা বিয়ে, কন্যাশ্রীর সাফল্য কি শুধুই বিজ্ঞাপনে?

    ইডির চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, পার্থর সেল কোম্পানি সিম্বায়োসিস ট্রেডার্স-এর ডিরেক্টর স্নেহময় দত্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরেই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছে ইডি। স্নেহময় দত্ত তদন্তকারীদের জানিয়েছেন যে ২০১৪-১৫ সালে তাইল্যান্ডের ফুকেট গিয়েছিলেন পার্থ-অর্পিতা। এইচআর অ্যাসোসিয়েশনের নামের এক সংগঠনের তরফে পার্থকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেখানেই গিয়েছিলেন পার্থ। আর তাঁর সঙ্গী ছিলেন অর্পিতা ও তাঁর সমস্ত খরচ বহন করেন এই মন্ত্রী। এমনকি অপার একসঙ্গে গোয়া যাওয়ার দাবিও করা হয়েছে এই চার্জশিটে।

    তবে তাইল্যান্ডের সম্পত্তি নিয়ে পার্থকে জিজ্ঞসাবাদ করা হলে তিনি কিছুই জানাননি। কিন্তু পরে স্নেহময়কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায়, কালো টাকা সাদা করতেই সেল কোম্পানিগুলিকে ব্যবহার করতেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। শুধু তাইল্যান্ড নয়, দুজনে গোয়াও গিয়েছিলেন। আর এই সফরে অপার সঙ্গে ছিলেন স্নেহময়ও। তাঁরও খরচ বহন করেছিলেন পার্থ। তদন্তকারীরা এও জানিয়েছে যে, বিদেশে অপার সম্পত্তি কেনার বিষয়ে স্নেহময়েরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

    ফলে এত পরিমাণ সম্পত্তির পরিমাণ দেখে চক্ষু চড়কগাছ তদন্তকারী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষেরও। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য এসেই চলেছে ও একাধিক সম্পত্তিও উদ্ধার হয়েই চলেছে। একদিকে যখন বহুবার জেরা করার পরও পার্থ অর্পিতাকে চেনেন না বলেই দাবি করে এসেছেন, আবার অন্যদিকে তাঁদের সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ করার একাধিক তথ্য দিয়ে চলেছে ইডি। ফলে এবার এটাই বোঝা গেল যে, দুর্নীতির টাকাতেই তাইল্যান্ডের বাংলো কেনা হয়েছে।

  • Congress Crisis: ক্ষমতা হস্তান্তর বারবার ভুগিয়েছে কংগ্রেসকে, অন্যদিকে লক্ষ্যে অবিচল বিজেপি

    Congress Crisis: ক্ষমতা হস্তান্তর বারবার ভুগিয়েছে কংগ্রেসকে, অন্যদিকে লক্ষ্যে অবিচল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুদুচেরি হোক বা পাঞ্জাব কিংবা রাজস্থান (Rajasthan) বরাবর মুখ্যমন্ত্রী বদল করতে গিয়েই সমস্যায় পড়েছে কংগ্রেস (Congress crisis)। দলের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে কার্যত ব্যর্থ কংগ্রেস হাইকমান্ড (congress highcomand)। সনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) বা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) দিল্লির বাইরে দলের রাশ নিজেদের হাতে রাখতে পারেননি। স্থানীয় নেতৃত্ব বারবার আঘাত হেনেছে দলের আভ্যন্তরীন শৃঙ্খলায়। অন্যদিকে সেই সমস্যায় খুব একটা পড়তে হয়নি বিজেপিকে। যখনই প্রয়োজন পড়েছে দলের স্বার্থে, শৃঙ্খলার প্রশ্নে, ভাবধারা বজায় রাখতে সক্রিয় থেকেছেন অমিত শাহ (Amit Shah), নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi।)। দলের সর্ভারতীয় নেতৃত্বের কথা সর্বদাই বিনা প্রশ্নে মেনে নিয়েছে স্থানীয় নেতৃত্ব। তা সে ত্রিপুরা হোক বা আসাম। গুজরাট হোক বা কর্নাটক।

    আরও পড়ুন: মোদির সফল নেতৃত্বের দৌলতেই আজ বিশ্বে ভারতের গুরুত্ব বৃদ্ধি, বললেন জয়শঙ্কর

    সম্প্রতি রাজস্থানে সরকার সামলানো দায় হয়ে গিয়েছে কংগ্রেসের। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে দেখতে চাইছেন সনিয়া-রাহুলরা। সনিয়া ঘনিষ্ঠ অশোক সেই পদে আসীন হলেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছাড়তে নারাজ। কিন্তু কংগ্রেসের এক ব্যক্তি এক পদ নীতিতে মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছাড়তে হবে গেহলটকে। তাহলে মরুরাজ্যে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে? কংগ্রেস হাইকমান্ডের পছন্দ রাহুল-ঘনিষ্ঠ সচিন পাইলট। কিন্তু রাজস্থানের রাজনীতিতে গেহলট-পাইলট দ্বৈরথ দীর্ঘদিনের। দুজনেই হাত শিবিরের প্রতিনিধি হলেও তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্য বহুদিনের।  ফলে সচিনকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে নারাজ গেহলট শিবির। ইতিমধ্যেই গেহলট শিবিরের ৮৩ জন বিধায়ক,হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি সচিন পাইলট রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হন,তাহলে তাঁরা ইস্তফা দেবেন। যার অবিশ্যম্ভাবী ফলাফল হল রাজস্থানে কংগ্রেসের সরকার পড়ে যাওয়া। 

    আরও পড়ুন: কংগ্রেস নির্বাচন প্রহসন! তোপ অমিত মালব্যর, কী বললেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান?

    একটু পিছন দিকে হাঁটা যাক, ২০০৮ সালে রাজস্থান থেকে বেশ খানিকটা দূরে পুদুচেরিতে একই ছবি দেখা যায়। কংগ্রেসের হাইকমান্ডের মত শুনে এন রঙ্গস্বামীকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানো হয়। তিনি নতুন পার্টি তৈরি করেন। হাইকমান্ডের মতে পুদুচেরির শাসনভার যায় কংগ্রেসের বৈথিলিঙ্গমের কাছে। ২০২০ সালে কংগ্রেসের সরকারও পড়ে যায়,রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয় পুদুচেরিতে। সম্প্রতি পাঞ্জাবেও ধাক্কা খায় কংগ্রেস। এ বছর মার্চে সেখানে বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয় কংগ্রেসের। ভোটের চার মাস আগে সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বদল করেন সনিয়া,রাহুল। ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী করা হয় চরঞ্জিত সিং চান্নিকে। প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোত সিং সিধুর সঙ্গে অমরিন্দরের বিবাদের জেরে মুখ্যমন্ত্রী বদলই একমাত্র বিকল্প ছিল কিনা তা নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয় কংগ্রেসে।

    আরও পড়ুন: রাজস্থানে ৮২ জন কংগ্রেস বিধায়কের ইস্তফা! আজ কি সনিয়ার সঙ্গে বৈঠক অশোক, সচিনের?

    অন্যদিকে দেখতে গেলে বিধানসভা ভোটের আগে বহু রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তন করেছে বিজেপি। পার্টির যাবতীয় ক্ষোভ বিক্ষোভ সামলে তা সফল হয়েছে। ক্ষমতার হস্তান্তর নিয়ে কোথাও সংঘাত প্রকট হয়নি। উত্তরাখণ্ডে সেই ফর্মুলার পর সামনেই ২০২২ গুজরাতে নির্বাচনের আগে গোটা মন্ত্রিসভা বদল করেছে বিজেপি। ত্রিপুরাতেও মুখ্যমন্ত্রী বদল করা হয়েছে। কিন্তু দলের প্রতি আনুগত্যের প্রশ্নে চুপ থেকেছেন সবাই। হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করেছেল পদ্ম শিবির।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Gold Recovery: বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ভোররাতে গাড়ি থেকে  উদ্ধার ১১ কেজি সোনা, কোথায় যাচ্ছিল?

    Gold Recovery: বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ভোররাতে গাড়ি থেকে উদ্ধার ১১ কেজি সোনা, কোথায় যাচ্ছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোররাতে সোনাপ্রাপ্তি। বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে (Belghoria Expressway) থেকে উদ্ধার ১১ কেজি সোনা (11 kg Gold)। সোনার দাম প্রায় ৬ কোটি টাকা। একটি মারুতি অল্টো করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ওই সোনা। শুক্রবার ভোর চারটে নাগাদ ওই গাড়িকে আটকায় পুলিশ। চলে তল্লাশি। আর তাতেই উদ্ধার হয় এই বিপুল পরিমাণ সোনা। ঘটনায় গাড়ির চালক- সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কোথা থেকে আনা হচ্ছিল এই সোনা, কোথায়-ই বা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।  

    আরও পড়ুন: এসএসসিতে ভুয়ো নিয়োগ কত? ১৩ হাজারের নামের তালিকা পর্ষদের!

    জানা গিয়েছে, পুলিশের কাছে আগেই এই সোনাপাচারের খবর ছিল। তাই ওই এলাকার পুলিশ আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল। শুক্রবার রাত থেকেই ওই এলাকায় টহল দিচ্ছিল পুলিশ। ব্যারাকপুরের কাছে রাস্তার উপর একটি গাড়িটিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। গাড়িতে তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার করা হয় ১১ কেজি সোনা। পুলিশ জানিয়েছে মারুতি গাড়ির ভিতর একটি ব্যাগে ওই সোনার বাটগুলি রাখা ছিল। 

    পুলিশের প্রাথমিক অনুমান মেদিনীপুরের দিকে যাচ্ছিল ওই গাড়ি। গাড়িটি এই রাজ্যের বলেই নিশ্চিত করেছে পুলিশ। কারণ গাড়ির নম্বর প্লেটটই পশ্চিমবঙ্গের। পুলিশের আধিকারিক অজয় জানিয়েছেন, বেআইনি ভাবে পাচার করা হচ্ছিল ওই সোনা। গাড়ির ভিতর চালক-সহ যে চারজন ছিল তাঁদের প্রত্যেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম সুরজিত মুখোপাধ্যায়, রাজারাম পাওয়ার, ময়ুর মনোহর পাতিল এবং গনেশ চৌহান। তাঁরা কোথা থেকে ওই সোনা এনেছিলেন, কার নির্দেশে এই কাজ করছিলেন, তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে চার জনকেই। শুক্রবারই এই চারজনকে আদালতে পেশ করা হবে। আদালতে ১৪ দিনের হেফাজতের আবেদন জানাবে পুলিশ। 

    আরও পড়ুন: পুর-ভোটে অর্পিতাকে প্রার্থী করতে মরিয়া ছিলেন পার্থ? প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য 

    পুলিশ সূত্রে খবর, এক্সপ্রেসওয়ের ধারে যেখানে ময়লা ফেলা হয় সেখানে দাঁড়িয়েছিল গাড়িটি। সন্দেহ হওয়ায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত এখন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, তাই কোথায় গাড়িটি যাচ্ছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। যারা গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁরা কাছাকাছি এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Cattle Smuggling: দুটি গাড়ি দিয়েছিলেন নেতাকে,  অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মলয় পিটকে তলব সিবিআই-এর

    Cattle Smuggling: দুটি গাড়ি দিয়েছিলেন নেতাকে, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মলয় পিটকে তলব সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার (Cattle Smuggling Case) মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। সিবিআই (CBI) স্ক্যানারে আসছেন একের পর এক অনুব্রত ঘনিষ্ঠ। নেতার ঘনিষ্ঠ মহলের তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন পেশার মানুষ। ব্যবসায়ী থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার কে নেই অনুব্রতর বন্ধু তালিকায়! গরু পাচার মামলার তদন্ত যত এগোচ্ছে তত ভিন্ন ভিন্ন নাম হাতে আসছে গোয়েন্দাদের। এবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী মলয় পিটকে তলব করল সিবিআই। এর আগে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এক পলিটেকনিক কলেজে হানা দিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। অনেকদিন ধরেই গোয়েন্দাদের নজরে ছিলেন মলয় পিট (Malay Peet)। কলেজে গিয়ে তাঁকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ফের সিবিআই ক্যাম্পে তলব করা হল তাঁকে।  

    আরও পড়ুন: কেষ্টর পুজো কাটবে গারদেই! ফের খারিজ অনুব্রত মণ্ডলের জামিন

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে মলয় পিটের। তৃণমূল সরকারের আমলেই শান্তিনিকেতনে মেডিকেল কলেজও তৈরি করেছেন মলয় পিট। এছাড়াও রয়েছে দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। একটি হল ‘স্বাধীন ট্রাস্ট’ এবং অপরটি ‘সতীর্থ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দুটির অধীনেই রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। 

    এর আগে শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজ তৈরির সময় অনুব্রতকে পাশে থাকার কৃতিত্ব দিয়েছেন খোদ ব্যবসায়ী। সূত্রের খবর, ওই মেডিক্যাল কলেজ তৈরিতে অনুব্রত মণ্ডল আর্থিক সাহায্য করেছেন বলেও জানতে পেরেছে সিবিআই। সেই আর্থিক লেনদেন সম্পর্কেই এ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে মলয় পিটকে বলে জানা গিয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ তৈরির এই বিপুল টাকা কোথা থেকে এল, প্রশ্ন করা হবে সে বিষয়ে। কোন পথে হয়েছিল লেনদেন  পুঙ্খানুপুঙ্খ জানতে চান গোয়েন্দারা। গতকাল তলব করা হয়েছিল বেশ কিছু ব্যাংক কর্মীকে। আজ নিশানায় মলয় পিট।  

    আরও পড়ুন: কয়েক হাজার টাকা মাসমাইনেতে কীভাবে রাইস মিলের মালিক? অনুব্রত-কন্যা সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের
     
    বোলপুরে ভোলে ব্যোম রাইস মিলের গ্যারাজে সতীর্থ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে কেনা একটি গাড়ি ও স্বাধীন ট্রাস্টের নামে থাকা আর একটি গাড়ি দেখতে পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা। সাংবাদিকরা মলয়কে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি স্বীকার করে নেন যে, ওই দুটি গাড়ি তিনিই দিয়েছিলেন অনুব্রতকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Mohan Bhagwat: মোহন ভাগবতকে ‘রাষ্ট্রপিতা’ আখ্যা ভারতীয় ইমাম সংগঠনের

    Mohan Bhagwat: মোহন ভাগবতকে ‘রাষ্ট্রপিতা’ আখ্যা ভারতীয় ইমাম সংগঠনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবতকে (Mohan Bhagwat) ‘রাষ্ট্রপিতা’ (Rashtra Pita) আখ্যা দিল ভারতীয় ইমামদের সংগঠন। তাঁকে ‘রাষ্ট্রঋষি’ (Rashtra Rishi) বলেও সম্বোধন করেছে ইমামদের ওই সংগঠন। মুসলিম ইমামদের সংগঠনের তরফে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ প্রধান মোহন ভাগবতকে এহেন অভিধায় ভূষিত করায় খুশি তামাম ভারত।

    দেশের ঐক্য এবং অখণ্ডতা বজায় রাখার চেষ্টায় প্রাণপাত করছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। দিন দুই আগে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের এই প্রধান বৈঠক করেছিলেন মুসলমান সম্প্রদায়ের বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে। তার পরে পরেই পরিদর্শন করেন দিল্লির একটি মসজিদ। সেখানে ভাগবতের সঙ্গে ইমাম উমের আহমেদ ইলিয়াসির রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছে ঘণ্টাখানেক ধরে। ইলিয়াসির ভাই সুহাইব ইলিয়াসি বলেছিলেন, এটা দেশের পক্ষে একটি ভাল বার্তা দেবে।

    এর পরে পরেই ইমাম ইলিয়াসি বলেন, মোহন ভাগবতের আমাদের এখানে আসা বিরাট ব্যাপার। তিনি বৈঠক করতে ইমাম হাউসে এসেছিলেন। তিনি বলেন, তিনি (ভাগবত) আমাদের রাষ্ট্রপিতা এবং রাষ্ট্রঋষি। ইমাম বলেন, দেশের ঐক্য এবং একতা বজায় রাখা উচিত। আমরা প্রত্যেকেই আলাদা আলাদা পথে সর্বশক্তিমানের আরাধনা করতে পারি। কিন্তু তারও আগে আমরা মানুষ। আমরা ভারতে বাস করি এবং আমরা ভারতীয়। তিনি বলেন, ভারত অচিরেই বিশ্বগুরুতে পরিণত হবে। এবং এজন্য আমাদের প্রত্যেকের লড়াই করা উচিত। উমরের ভাই সুহাইব ইলিয়াসি বলেন, সংঘের সঙ্গে আমাদের বাবার একটা পুরানো সম্পর্ক রয়েছে। জামিল ইলিয়াসির মৃত্যুবার্ষিকীতে মোহন ভাগবত মসজিদে এসেছিলেন। এটা একটা পারিবারিক প্রোগ্রাম।

    আরও পড়ুন : ঐক্যের লক্ষ্যে! মসজিদে গিয়ে ইমামের সঙ্গে বৈঠক সংঘ প্রধান মোহন ভাগবতের

    আরএসএসের তরফে জানানো হয়েছে, ইলিয়াসি একটি মাদ্রাসাও চালান। সেই মাদ্রাসা দেখতে ভাগবতকে আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। মসজিদের পাশাপাশি সেই মাদ্রাসাও পরিদর্শন করেন সরসংঘ চালক। আরএসএসের এক নেতা জানান, মাদ্রাসায় ছাত্রদের কোরান পড়তে দেখে ভাগবত তাদের গীতা পড়ানো হয় না কেন, তা জানতে চান। তিনি বলেন, ভাগবতজি মাদ্রাসার ছাত্রদের কাছে দেশের নাম জানতে চান। বড় হয়ে তারা কী হতে চায়, তাও জানতে চান। পড়ুয়াদের তিনি বলেন, গোটা ভারতটাই এক, অখণ্ড। আসমুদ্র হিমাচল এক। প্রত্যেকের পথকে শ্রদ্ধা করা উচিত। প্রত্যেকের জীবন রক্ষা করা উচিত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share