Blog

  • Anant Chaturdashi: অনন্ত চতুর্দশী কবে জানেন? কেন পালন করা হয় এই বিশেষ দিন? কী এর মাহাত্ম্য?

    Anant Chaturdashi: অনন্ত চতুর্দশী কবে জানেন? কেন পালন করা হয় এই বিশেষ দিন? কী এর মাহাত্ম্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, ভাদ্রমাসের শুক্লপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে অনন্ত চতুর্দশী পালন করা হয়। এবছর ৯ সেপ্টেম্বর অনন্ত চতুর্দশী পালিত হবে। অনন্ত চতুর্দশীর দিনে বিষ্ণুর অন্তত রূপের পুজো করা হয়। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী এদিন উপবাস করলে সমস্ত বাধা ও সঙ্কট দূর হয়। 

    পুরাণে বলা আছে, পাশা খেলায় সর্বস্ব হারিয়ে পাণ্ডবরা যখন অসহায় হয়ে পড়েছিলেন, তখন কৃষ্ণ তাঁদের অনন্ত চতুর্দশীর দিনে বিষ্ণুর অনন্ত রূপের পুজো ও উপোসের পরামর্শ দেন। এর পরই তাঁদের সংকট এক এক করে দূর হতে শুরু করে। অবশেষে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে জয়লাভ করেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে গণেশ চতুর্থী, জানুন এই বিশেষ দিনের মাহাত্ম্য, তাৎপর্য 

    কীভাবে বিষ্ণু অনন্ত নামে প্রসিদ্ধ হন?  

    কথিত আছে, একদা বিষ্ণুর কাছে তাঁর বিরাট রূপ দেখতে চান দেবর্ষি নারদ। দেব ঋষির এই ইচ্ছা পূরণ করে, তাঁকে বিরাট রূপে দর্শন দেন শ্রীহরি। এর পর শ্রী সচ্চিদানন্দ সত্যনারায়ণের অনন্ত স্বরূপের জ্ঞান লাভ করেন নারদ। এই দিনটি ছিল ভাদ্রপদ মাসের শুক্ল চতুর্দশী। তার পর থেকে এই দিনটি অনন্ত চতুর্দশী হিসেবে পূজিত হতে শুরু করে।    

    কথিত আছে, সৃষ্টির সূচনায় ১৪ সৃষ্টি করেন বিষ্ণু। তাঁরা হলেন, তল, অতল, বিতল, সুতল, তলাতল, রসাতল, পাতাল, ভূ, ভুবঃ, স্বঃ, জন, তপ, সত্য, মহ। এই সমস্ত লোকের রচনার পর এদের সংরক্ষণ ও পালনের জন্য ১৪টি রূপে প্রকট হন নারায়ণ। এ সময় অনন্ত প্রতীত হন তিনি। অনন্তকে এই ১৪ লোকের প্রতীক মনে করা হয়। এদিন বিষ্ণুর অনন্ত, ঋষিকেশ, পদ্মনাভ, মাধব, বৈকুণ্ঠ, শ্রীধর, ত্রিবিক্রম, মধুসূদন, বামন, কেশব, নারায়ণ, দামোদর ও গোবিন্দ স্বরূপের পুজো করা হয়।

    আরও পড়ুন: কৌশিকী অমাবস্যা তিথি পড়ছে কখন? এই দিনের মাহাত্ম্য, তাৎপর্যই বা কী?   

    অনন্ত চতুর্দশীর পুজোর পর পুরুষরা ডান এবং মহিলারা বাঁ দিকের হাতে অনন্ত সুতো বাঁধেন। এর প্রভাবে অনন্তের আশীর্বাদ লাভ করা যায় এবং ব্যক্তির জীবনের সমস্ত সংকট দূর হয়। পাশাপাশি ব্যক্তি পাপ মুক্ত হয়। একদা কৌণ্ডিন্য মুনি নিজের স্ত্রীর বাঁ হাতে বাঁধা অনন্ত সূত্রকে বশীকরণের সুতো ভেবে ছিঁড়ে দেন। এখানেই না-থেমে সেই সুতোয় আগুন লাগিয়ে দেন তিনি। এতে বিষ্ণু রুষ্ট হন এবং কৌণ্ডিন্য মুনির সমস্ত সম্পত্তি নষ্ট করে দেন। সব জানার পর নিজের অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। অনন্ত ভগবানের কাছ থেকে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য জঙ্গলে যান ঋষি। পথে সবার কাছেই অনন্ত ভগবানের ঠিকানা জানতে চান তিনি। কিন্তু কারও কাছেই তা জানতে পারেননি।

    এতে হতাশ হয়ে প্রাণ ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন কৌণ্ডিন্য ঋষি। তখন এক ব্রাহ্মণ এসে তাঁকে আত্মহত্যা করা থেকে আটকান। এর পর ঋষি কৌণ্ডিন্যকে একটি গুহায় নিয়ে গিয়ে চতুর্ভূজ অনন্ত দেবের দর্শন করান। ব্রাহ্মণ ওই মুনিকে জানান যে, অনন্ত সূত্রের তিরস্কারের কারণে তাঁর এই দশা হয়েছে। এই পাপের প্রায়শ্চিত্তের জন্য ১৪ বছরের নিরন্তর অনন্ত উপবাস পালনের নিদান দেন ওই ব্রাহ্মণ। কৌণ্ডিন্য মুনি ১৪ বছর পর্যন্ত নিয়ম মেনে অনন্ত ব্রত পালন করেন। এর পর তার জীবনে আনন্দের আগমন ঘটে।      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Female Vampire: এ কি অদ্ভুত কাণ্ড! পোল্যান্ডের গ্রাম থেকে উদ্ধার মহিলা ‘ভ্যাম্পায়ার’-এর কঙ্কাল!

    Female Vampire: এ কি অদ্ভুত কাণ্ড! পোল্যান্ডের গ্রাম থেকে উদ্ধার মহিলা ‘ভ্যাম্পায়ার’-এর কঙ্কাল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রক্ত চোষা ভ্যাম্পায়ার (Vampire) সম্পর্কে আপনারা নিশ্চয়ই অনেক গল্প শুনেছেন, পড়েছেন বা সিনেমায় দেখেছেন। অনেকে আবার বিশ্বাস করেন যে, ভ্যাম্পায়ার বলে আদতে কিছুই নেই। কিন্ত এই ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করল কিছু গবেষক। কারণ এবারে একটি মহিলা ভ্যাম্পায়ারের কঙ্কাল পাওয়া গেল পোল্যান্ডের একটি গ্রামে। নিকোলাস কোপার্নিকাস ইউনিভার্সিটির একটি স্টাডি টিম এই কঙ্কাল খুঁজে পায়।

    জানা গিয়েছে, পোল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্বে পিয়েন নামে একটি গ্রামে ১৭ শতকের কবরস্থানে গবেষণার সূত্রে খোঁড়াখুড়ির কাজ চালাচ্ছিল একটি টিম। তখনই তাঁরা এই রহস্যময় কঙ্কাল উদ্ধার করে ও এই দৃশ্য দেখে তাদের চোখ কপালে ওঠে। এই কঙ্কাল দেখেই তারা বুঝতে পেরেছিল যে, এটি কোন সাধারণ মানুষের কঙ্কাল নয়। কারণ দেখা গেছে, কঙ্কালটির ঠিক গলার উপর গাঁথা ছিল একটি কাস্তে। পায়ে পড়ানো ছিল হাতকড়া। এছাড়াও তার মাথায় একটি সিল্কের টুপির অবশিষ্টাংশ লক্ষ্য করা হয়েছে। যা দেখে অনুমান করা হয়েছে, পোলান্ডের কোনও উচ্চ বংশের ওই মহিলা। তবে এই মহিলাটির দাঁতগুলো বেশ বড় ছিল ও অক্ষত অবস্থায় ছিল। অনেকে এই দাঁতগুলোর সঙ্গে ভ্যাম্পায়ারের দাঁতের মিল খুঁজে পেয়েছে।

    আরও পড়ুন: মৎস্যজীবীর জালে বিরল নীল গলদা চিংড়ি, মুহূর্তে ভাইরাল ছবি

    তবে তাকে এইভাবে মাটিতে পুঁতে ফেলার পেছনে কী কারণ ও রহস্য রয়েছে, তা জানতে অনেকে অনুমান করেছেন, এই মৃত মহিলা যাতে আবারও বেঁচে না ওঠেন তার জন্যই এতসব প্রস্তুতি। এছাড়াও ওই মৃত মহিলা মাটি ছেড়ে উঠে আসতে চাইলেই ধারালো অস্ত্রে তার গলা কাটা পড়ে যাবে, এমনটা ভেবেই এইভাবে কবর দেওয়া হয়েছিল।

    দ্য ফার্স্ট নিউজ অনুসারে, ১৭ শতকের জনসাধারণ এই মহিলাটিকে একটি বিশিষ্ট ধরণের দাঁতের কারণে মহিলাটিকে রক্ত ​​খাওয়া ভ্যাম্পায়ার ভেবে ভুল করে থাকতে পারে। এবং এই অবশিষ্টাংশগুলি ১৭ শতকের কবরস্থানে একটি সমাধির নীচে পাওয়া গিয়েছিল, কিন্তু এই জায়গাটিকে গবেষণা দলটি ভ্যাম্পায়ার বিরোধী সমাধি হিসাবে চিহ্নিত করেছে।

    এই খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই নেটিজেনদের চক্ষু ছানাবড়া। তাদের এক একজনের এক এক রকমের মতামত। তবে তাঁরা সবাই বিস্ময়ে রয়েছেন। অন্যদিকে এই অদ্ভুত আবিষ্কার রীতিমতো আলোড়ন ফেলে দিয়েছে গবেষকমহলেও।

  • FSSAI: খাদ্য ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ১৫টি সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করল কেন্দ্র, কেন জানেন?

    FSSAI: খাদ্য ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ১৫টি সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করল কেন্দ্র, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৫টি খাবার ব্যবসায়ী সংস্থার লাইসেন্স সাময়িক বাতিল (Suspend) করল ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (FSSAI)। তারা যে খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করে, তাতে খাবারে পুষ্টিগুণ প্রদর্শনের দিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। সেই কারণেই আপাতত বাতিল করা হয়েছে লাইসেন্স (licence)।

    পরিবেশিত খাদ্যের গুণগত মান বজায় রয়েছে কিনা, খদ্দেরকে তা জানাতে ব্যবসায়িক সংস্থাগুলিকে লেবেলিং করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চলতি বছরের ১ জুলাই। এই নিয়ন্ত্রণ অনুযায়ী, খাবার ব্যবসায়ী যাঁদের সেন্ট্রাল লাইসেন্স রয়েছে অথবা ১০ কিংবা তারও বেশি জায়গায় আউটলেট রয়েছে, তারা মেনুকার্ডে ক্যালোরিফিক মূল্য উল্লেখ করতে বাধ্য। খাবারের পুষ্টিমূল্য, অ্যালার্জেন, উপাদান এবং অন্যন্য কী কী বস্তু রয়েছে, তাও জানাতে বাধ্য। সূত্রের খবর, এই নিয়মগুলি মেনে না চলায় ১৬টি খাবার ব্যবসায়ী সংস্থার লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করে দিয়েছে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। প্রায় ৭০টি খাদ্য ব্যবসায়ী সংস্থা ওই অথরিটির কাছে এ ব্যাপারে সময় চেয়েছে। ওই অথরিটির তরফে এক আধাকারিক বলেন, আমরা স্বসম্মতির জন্য তাদের একাধিকবার বলেছি। ফলশ্রুতি হিসেবে তাদের অধিকাংশই সময় চেয়েছে। যারা ওই নিয়ম মানার কোনও উদ্যোগ দেখায়নি কিংবা দায়িত্ব নেয়নি, তাদের লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : কার্ড দেখালেই বেসরকারি হাসপাতালে ‘বেড ফাঁকা নেই’, স্বাস্থ্য সাথী কি কেবল ‘বিজ্ঞাপন’?

    জানা গিয়েছে, ই-কমার্স খাবার ব্যবসায়ী সংস্থাগুলিরও পুষ্টিসংক্রান্ত তথ্য লেবেলিং করা প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট সংস্থার ওয়েবসাইটে। কোনও খাবারের ব্যবসা করতে গেলে মেনু লেবেলিং করতে হবে অন্তত যাদের সেন্ট্রাল লাইসেন্স রয়েছে। ১০টির বেশি আউটলেট যাদের রয়েছে, তাদেরও এটা করতে হবে। করতে হবে ই-কমার্স খাবার ব্যবসায়ীদেরও। ক্যাটারার এবং ফুড সার্ভিস সংস্থা যারা বছরে ৬০ দিনের কম খাবার পরিবেশন করে, এই নিয়ন্ত্রণ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে তাদের। অনলাইন ফুড প্লাটফর্ম সুইগি এবং জোমাটোকেও ১ জুলাই থেকে এই বিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Indian Economy: আগামী সাত বছরেই বিশ্ব অর্থনীতিতে ৩ নম্বরে ভারত?

    Indian Economy: আগামী সাত বছরেই বিশ্ব অর্থনীতিতে ৩ নম্বরে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনকে (UK) হারিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় পাঁচ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে মোদির (PM Modi) ভারত (India)। তবে আর কয়েক বছরের মধ্যেই দেশের ঠাঁই হবে আরও ওপরের দিকে। স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার (SBI) এক রিপোর্টেই এই তথ্য উঠে এসেছে। ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, চলতি দশকেরই শেষের দিকে ভারত হারাবে বিশ্বের আরও দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দুই দেশকে। স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার ইকনোমিক রিসার্চ ডিপার্টমেন্ট আগাম জানিয়েছিল ২০২৭ এর মধ্যে ভারত বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জার্মানিকে (Germany) এবং ২০২৯ সালের মধ্যে জাপানকে (Japan) টপকে তিন নম্বরে চলে আসতে পারে।

    ২০১৪ সালে ওই তালিকায় দেশের ঠাঁই হয়েছিল ১০ নম্বরে। রিপোর্ট বলছে, সাতটি দেশকে টপকে অচিরেই মোদির ভারত চলে আসবে তিন নম্বরে। স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার গ্রুপ চিফ ইকনোমিক অ্যাডভাইজার সৌম্যকান্তি ঘোষ বলেন, যে কোনও মানদণ্ডেই মাপা হোক না কেন, এই তথ্য একটা একটা মনে রাখার মতো প্রাপ্তি। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ব্লুমবার্গ। সেই রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, শেষ তিন মাসে ব্রিটেনকে পিছনে ফেলে সামনে চলে এসেছে ভারত। যে হিসেবের সাপেক্ষে প্রকাশ্যে এসেছে এই ফল, সেটির মানদণ্ড হল মার্কিন ডলার। রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন ডলারের নিরিখে ভারতীয় রুপির তুলনায় দাম কমেছে ব্রিটিশ মুদ্রা পাউন্ডের। ভারতীয় মুদ্রার তুলানায় ৮ শতাংশ কমেছে পাউন্ডের দর।

    আরও পড়ুন : ব্রিটেনকে পিছনে ফেলে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে উঠে এল ভারত

    প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ভারতের আগে রয়েছে মাত্র চারটি দেশ। এগুলি হল, আমেরিকা, চিন, জাপান এবং জার্মানি। এদের মধ্যে আমেরিকা প্রথম, চিন দ্বিতীয়, জাপান তৃতীয় এবং চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হল জার্মানি। স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার প্রকাশিত ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ’২৩ অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি রেট ৬.৭ শতাংশ থেকে ৭.৭ শতাংশ হবে, এটা অবাস্তব। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এটা ঘোরাফেরা করবে ৬ শতাংশ থেকে ৬.৫ শতাংশের মধ্যে। বৃদ্ধির এই হার নিউ নর্মাল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদে পুজোর অনুমতি! আজ কী রায় দেবে আদালত?

    Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদে পুজোর অনুমতি! আজ কী রায় দেবে আদালত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে মামলার রায় বেরোবে আজই। বারাণসী জেলা আদালত সোমবার শ্রিংগার গৌরী জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলার ওপর কী রায় দেয়, আপাতত গোটা দেশের নজর তার দিকে। জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতর হিন্দু দেবদেবীদের পূজা করার অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন হিন্দু মহিলারা। সেই মামলাতেই আজকের এই রায় দান।  এই রায়কে ঘিরে যাতে কোনও অশান্তি ছাড়াতে না পারে তার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কেন্দ্র বারাণসীতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। বারাণসী কমিশনারেটে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শান্তি বজায় রাখতে পুলিশ আধিকারিকদের স্থানীয় ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: নিম্ন আদালতের অবস্থান জেনেই রায় ঘোষণা, জ্ঞানবাপী মামলায় সুপ্রিম কোর্ট

    বিখ্যাত কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পাশে অবস্থিত শহরের জ্ঞানবাপি মসজিদের ভিতরে উপাসনার অধিকার চেয়ে করা মামলাটি “মেন্টেনেবল” কিনা সেই বিষয়ে এদিন সিদ্ধান্ত জানাবে বলে মনে করা হচ্ছে বারাণসী আদালত। এই মামলার ফলে জ্ঞানবাপি মসজিদের অভ্যন্তরে একটি সমীক্ষার করা হয়। মসজিদের চত্বরে একটি শিবলিঙ্গের মতো কাঠামো আবিষ্কৃত হওয়ার পরে এই আবেদনটি দায়ের করা হয়েছিল। যদিও মসজিদ কমিটি দাবি করেছে যে কাঠামোটি একটি ঝর্ণার। এখনও পর্যন্ত, মসজিদ কমিটি জানিয়েছে যে সম্পত্তিটি ওয়াকফ বোর্ডের এবং বিষয়টি আদালতে শুনানি করা যাবে না। তারা যুক্তি দিয়েছিলেন যে মসজিদ সম্পর্কিত যে কোনও বিষয়ে শুনানির অধিকার কেবল ওয়াকফ বোর্ডের রয়েছে।

    আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী মামলায় বাদী-বিবাদী দুপক্ষের হাতিয়ার ৮০ বছরের পুরনো মামলার রায়!

    সোমবার জেলা জজ সিদ্ধান্ত নেবেন পূজার অনুমতি সংক্রান্ত এই মামলায় আবেদনকারীদের যুক্তি আদৌও সঠিক কীনা। জেলা জজ অজয় কৃষ্ণ বিশ্বেশ গতমাসেই ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন। কেননা বিষয়টি সাম্প্রদায়িকভাবে সংবেদনশীল। তাই সবদিক ভালভাবে খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাবেন বিচারক।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • India surpasses UK: ব্রিটেনকে পিছনে ফেলে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে উঠে এল ভারত

    India surpasses UK: ব্রিটেনকে পিছনে ফেলে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে উঠে এল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির (Largest Economy) দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেল ভারত (India)। এর আগে ওই জায়গায় ছিল ব্রিটেন (UK)। এবার ব্রিটেনকে ছাপিয়ে পঞ্চম স্থান দখল করল মোদির ভারত। রানির দেশ ছিটকে গিয়ে দাঁড়াল ছয়ে। এই উন্নয়ন এল এমন একটা সময়ে যখন গত চল্লিশ বছরের মধ্যে এই প্রথম ভয়ঙ্কর মুদ্রাস্ফীতির (Inflation) সম্মুখীন ব্রিটেন। সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে ব্লুমবার্গ। সেই রিপোর্টেই দেখা গিয়েছে, শেষ তিন মাসে ব্রিটেনকে পিছনে ফেলে সামনে চলে এসেছে ভারত। যে হিসেবের সাপেক্ষে প্রকাশ্যে এসেছে এই ফল, সেটির মানদণ্ড হল মার্কিন ডলার। রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন ডলারের নিরিখে ভারতীয় রুপির তুলনায় দাম কমেছে ব্রিটিশ মুদ্রা পাউন্ডের। ভারতীয় মুদ্রার তুলানায় ৮ শতাংশ কমেছে পাউন্ডের দর।

    প্রায় দুশো বছর ধরে ভারত শাসন করেছে ব্রিটিশ। ১৯৪৭ সালে ভারত অর্জন করে কাঙ্খিত স্বাধীনতা। তার পর এই প্রথম অর্থনীতিতে ভারত হারাল ব্রিটেনকে। প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ভারতের আগে রয়েছে মাত্র চারটি দেশ। এগুলি হল, আমেরিকা, চিন, জাপান এবং জার্মানি। এদের মধ্যে আমেরিকা প্রথম, চিন দ্বিতীয়, জাপান তৃতীয় এবং চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হল জার্মানি। দেশের অর্থনীতির এই ছবি বড়সড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দেবে ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রীর কাছে। ৫ সেপ্টেম্বর কনজার্ভেটিভ পার্টি জানাবেন প্রধানমন্ত্রী পদে বসবেন তাঁদের দলের কে। তবে যিনিই হোন না কেন, তাঁকে সামলাতে হবে বিরাট এক চ্যালেঞ্জ। ব্রিটেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের উত্তরসূরির মূল দৌড়ে রয়েছেন প্রাক্তন সচিব লিজ ট্রাস এবং এক্সচেকারের প্রাক্তন চান্সেলর ঋষি সুনক। রিপোর্ট অনুযায়ী, আশা করা যায় সুনককে ধরাশায়ী করে প্রধানমন্ত্রী পদে বসবেন ট্রাস।

    আরও পড়ুন : বাড়ল ভারতের জিডিপি, প্রথম ত্রৈমাসিকে কত জানেন?

    সদ্যই করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠেছে ভারত। বেড়েছে জিডিপিও। জারি রয়েছে মুদ্রস্ফীতির সঙ্গে লড়াইও। এহেন পরিস্থিতিতে ভূতপূর্ব শাসকের দেশ ব্রিটেনকে হারিয়ে হাসছে মোদির ভারত। এবং এই সাফল্য এল এমন একটা সময়ে, যখন দেশজুড়ে চলছে অমৃত মহোৎসব।  

     

  • Weight Loss: কম ঘুমোলেই বাড়তে পারে ওজন! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Weight Loss: কম ঘুমোলেই বাড়তে পারে ওজন! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুন্দর ছিপছিপে শরীর পেতে কে না চায়! মোটা হয়ে যাওয়ার থেকে বাঁচতে অনেকেই কত কিছুই না করে থাকে। কারণ প্রায় সবাই জানে, মোটা হওয়া মানেই শরীরে রোগের বাসা বাঁধা। যত বেশী মোটা তত বেশি রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই সুস্থ থাকতে হলে রোগা হওয়া খুবই জরুরি। সেই মতো নিয়ম মেনে ডায়েট অনুযায়ী খাবার খাওয়া, ব্যায়াম সবই করছেন, কিন্তু তবুও রোগা হতে পারছেন না? তবে এই ভুলটা কি আপনিও করছেন?

    অনেকেরই ধারণা বেশি ঘুমোলেই মোটা হয়ে যায় ও ওবেসিটি দেখা যায়। তবে এখানেই আপনি ভুল ভাবছেন। কারণ বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট অনুযায়ী, পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলেই বাড়তে পারে ওজন। এমনকি ওবেসিটির মূল কারণের মধ্যে একটি হতে পারে অপর্যাপ্ত ঘুম।

    ওবেসিটিকে বাংলায় বলে অতিস্থূলতা। শরীরে অতিরিক্ত মেদ বা চর্বিজাতীয় পদার্থ জমা হলে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়। এর ফলে শরীরে ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে। নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। বর্তমানে ভারতে প্রায় ২৫ শতাংশের বেশি মানুষ এই অবস্থার শিকার। বিশ্বে স্থূলতা-ই মৃত্যুর অন্যতম কারণ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। মাঝবয়সীদের মধ্যেও এর প্রভাব বেড়ে গিয়েছে ও ফলে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েই চলেছে। বর্তমানে শিশুদের ক্ষেত্রেও এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে, যা অত্যন্ত চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে।

    আরও পড়ুন: ওজন কমাতে চান? ভুল করেও এই ৫টি কাজ কখনই করবেন না

    গবেষণা করে দেখা গিয়েছে যারা আট ঘন্টার কম ঘুমোন তাঁদের ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা যেমন উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি, গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি অ্যাবডোমিনাল ওবেসিটি ইত্যাদি দেখা যায়।

    গবেষণা করা হয় ১২ ও ১৪ বছরের ছেলেমেয়েদের মধ্যে। দেখা গিয়েছে যারা পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমিয়েছেন তাদের কোনও ওজন বৃদ্ধি হয়নি। আর যারা অপর্যাপ্ত ঘুমিয়েছন তাদের প্রায় ১৯ থেকে ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

    ফলে জীবনধারার পরিবর্তন, ডায়েটে পুষ্টিকর খাবার রাখার পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুমও শরীরের পক্ষে জরুরী। সাধারণত বলা হয় দিনে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Primary TET Scam: মানিকের অপসারণ বহাল, এখনই চাকরি পাবেন না ২৬৯ জন, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Primary TET Scam: মানিকের অপসারণ বহাল, এখনই চাকরি পাবেন না ২৬৯ জন, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্ষেপে টেট কেলেঙ্কারির (TET Scam) তদন্ত করবে সিবিআই (CBI)। আগেই এই রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) সিঙ্গল বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায় বহাল রাখল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও। শুধু তাই নয়, যে ২৬৯ জনের চাকরি খোয়া গিয়েছিল, তাঁদেরও এখনই পুনর্বহাল করা যাবে না বলেও রায় দিয়েছে ওই বেঞ্চ। শুক্রবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench) এই মামলায় বহাল রাখল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের (Single Bench) রায়ই। পর্ষদ সভাপতির পদ থেকে মানিক ভট্টাচার্যকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশও সমর্থন করেছে ডিভিশন বেঞ্চ।
    প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেতে গেলে বসতে হয় টেট পরীক্ষায়। ২০১৪ সালে জারি হয়েছিল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি। পরের বছর ১১ অক্টোবর ওই পরীক্ষা হয়। ফল প্রকাশ হয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। প্রকাশিত হয় মেধাতালিকা। পরের বছর ডিসেম্বরে ফের বের হয় মেধাতালিকা। পরীক্ষায় বসেছিলেন ২৩ লক্ষ কর্মপ্রার্থী। নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন ৪২ হাজার। এই দ্বিতীয় তালিকা বেআইনি বলে আদালতে জানিয়েছিলেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং সুদীপ্ত দাশগুপ্ত। পরে ২৬৯ জনের চাকরি বাতিল করে হাইকোর্ট। 
    ওই নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছিল বলে সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েছিল। যে ২৭৩ জনকে অতিরিক্ত এক নম্বর দেওয়া হয়েছিল, তার কারণ কী জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি। সেই সংক্রান্ত নথিও চেয়ে পাঠানো হয়। যদিও কর্তৃপক্ষ তা দিতে ব্যর্থ হয়। ওই ২৭৩ জনকে কেন অতিরিক্ত এক নম্বর দেওয়া হয়েছিল, তার কারণও দর্শাতে পারেনি বোর্ড। আদালতে হাজির করতে পারেনি ওএমআর শিটও। তার পরেই মানিককে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। এদিন ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সিঙ্গল বেঞ্চের রায় যথাযথ। বেআইনি নিয়োগের তদন্তের ভার যে সিবিআইকে দেওয়া হয়েছিল, এদিন তাও বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতে মানিক জানিয়েছিলেন অযথা তাঁর নাম নেওয়া হচ্ছে, কলঙ্ক লেপন করা হচ্ছে যা সংবিধানের ২১ নম্বর ধারার পরিপন্থী।

    আরও পড়ুন : টেট মামলায় আদালতে হাজিরা কেষ্ট কন্যার, উঠল ‘গরু চোর’ স্লোগান

    ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, পুরো পরিস্থিতি বিচার করেই রায় দিয়েছে সিঙ্গল বেঞ্চ। বিচার করলেই হবে না, রায়টাকে কার্যকরও করতে হবে। এদিনও ২৭৩ জন চাকরি প্রার্থীকে কেন অতিরিক্ত এক নম্বর দেওয়া হয়েছে, তারও ব্যাখ্যা দিতে পারেনি বোর্ড। আদালত জানায়, এ রকম একজন ব্যক্তি (মানিক ভট্টাচার্য) অতিরিক্ত কোনও সুবিধা দাবি করতে পারেন না। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই ২৭৩ জনকে চাকরিতে পুনর্বহালও করা যাবে না। আদালতের নির্দেশ, কেলেঙ্কারির তদন্ত করবে সিবিআই। এই সংস্থাই তদন্ত করবে আর্থিক কেলেঙ্কারিরও। আদালতের নজরদারিতেই হবে তদন্ত। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে হস্তক্ষেপ করা হবে না। যে ২৭৩ জনকে অতিরিক্ত এক নম্বর দেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যে ২৬৯ জনের কোনও দাবিই মান্যতা পাবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • AIFF and BCCI: বাজিমাত বাংলার! ভারতীয় ফুটবল ও ক্রিকেটের মসনদে দুই বাঙালির দাপট

    AIFF and BCCI: বাজিমাত বাংলার! ভারতীয় ফুটবল ও ক্রিকেটের মসনদে দুই বাঙালির দাপট

    ঈষিকা বন্দ্যোপাধ্যায়: ‘হোয়াট বেঙ্গল থিংক্স টুডে, ইন্ডিয়া উইল থিংক টুমরো’। গোপাল কৃষ্ণ গোকলের সেই বহু চর্চিত উক্তি আজ ভারতীয় ক্রীড়াক্ষেত্রে ভীষণভাবে প্রযোজ্য। বহু বছর পর দেশের দুই জনপ্রিয় ক্রীড়া সংগঠনের শীর্ষপদে দুই বঙ্গসন্তান। ২০১৯ সালে বিসিসিআই (BCCI) সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। কয়েকদিন আগেই সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (AIFF) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কল্যাণ চৌবে (Kalyan Chaubey) । তাঁর কাছে পরাজিত হওয়ার পর ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়া ফেডারেশনের নির্বাচনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেছেন। যদিও তার কোনও সারবত্তা নেই বলে দাবি বিভিন্ন রাজ্য ফুটবল সংস্থার কর্তাদের। তাঁদের যুক্তি, যদি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হয়, তাহলে সহ-সভাপতি অন্য কেউ হতেন। আসলে কল্যাণ চৌবেকেই দিল্লির ফুটবল হাউসের মসনদে চেয়েছেন অধিকাংশ রাজ্য। তাই সভাপতি পদে তিনি ৩৩-১ ব্যবধানে বাইচুংকে হারিয়েছেন কল্যাণ।

    অতীতেও বিসিসিআই কিংবা এআইএফএফের সভাপতি পদে একই সময়ে পাওয়া গিয়েছে বাংলার দুই প্রতিনিধিকে। ১৯৮৯ সালে বিশ্বনাথ দত্ত হয়েছিলেন বোর্ড সভাপতি। সেই সময় ফেডারেশনের শীর্ষপদ অলঙ্কৃত করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সী। তিনি ১৯৮৮-২০০৮, একটানা দায়িত্ব সামলেছিলেন। সেই সময় কালেই সিএবি থেকে বিসিসিআই সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন জগমোহন ডালমিয়াও। একটানা না হলেও, ডালমিয়া কিন্তু ধাপে ধাপে বেশ কয়েকবার বোর্ড সভাপতি এবং আইসিসি প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভারতীয় ক্রিকেটে আর্থিক জোয়ার আনার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ছিল ‘জগু’দার। একাধিক বিশ্বমানের টুর্নামেন্ট আয়োজনের পাশাপাশি ক্রিকেটকে বানিজ্যিকরণের ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির আমলেও ভারতীয় ফুটবল নানাভাবে উপকৃত হয়েছিল।

    ২০০৯ সালে প্রফুল্ল প্যাটেল দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই অর্থে ভারতীয় ফুটবল আর এগোয়নি। বরং কিছু সাগরেদদের নিয়ে ভারতীয় ফুটবলের মসনদ দখলে রেখেছিলেন তিনি। আর তার বিরুদ্ধই বার বার সোচ্চার হয়েছিলেন প্রাক্তন ফুটবলাররা। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায় মামলা। এক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করতে হয় দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও (Narendra Modi)। ভারতীয় ফুটবলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ফিফা (FIFA)। প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্র সরকারের হস্তক্ষেপে বিষয়টির মীমাংসা হয়। এক্ষেত্রে কল্যাণ চৌবের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা ঠিক খেলা ছাড়ার পর তিনি প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে এসেছেন। বিজেপির টিকিটে নির্বাচনে লড়েছেন। কিন্তু কখনওই তিনি রাজনীতি ও ফুটবলকে এক করে ফেলার চেষ্টা করেননি।

    কল্যাণ ঘনিষ্ঠ এক প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবলারের কথায়, ‘ও চাইলে বিজেপির শীর্ষ নেতাদের বলে ফেডারেশনের সভাপতি পদ থেকে আগেই প্রফুল্ল প্যাটেলকে সরিয়ে দিতে পারত। কিন্তু সেটা করেনি। আইনি পথে লড়েছে। জয়ও পেয়েছে। বরং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট মন্ত্রী অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানানো উচিত আমাদের। তাঁরা চাইলে, প্রফুল্ল প্যাটেলের মতো কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে ফেডারেশনের সভাপতি করতে পারতেন। কিন্তু সেটা করেননি। বরং ফুটবলের প্রশাসনে কল্যাণের মতো প্রাক্তন ফুটবলারকেই তারা সমর্থন করেছেন। না হলে তো আমরা কোনও বঙ্গসন্তানকে এই পদে দেখতে পেতাম না।’

    অনেকে বলে বিজেপি বাংলা বিরোধী, কিন্তু সে কথাও মানতে নারাজ ক্রীড়ামহল। অধিকাংশের মতে, বিসিসিআই সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে জয় শাহ তো সচিব না হয়ে বোর্ড সভাপতি হতেই পারতেন, কিন্তু হননি। বাংলা তথা দেশের আইকন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেই সেদিন সমর্থন করেছিলেন অনুরাগ ঠাকুর, অমিত শাহরা। অনেকেই দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে গৈরীকরণের অভিযোগ করছেন। ভুল কিছুই নয়। কেন্দ্রে যে দল ক্ষমতায় থাকে, তারা সব সময়ই ক্ষমতার বলে সব ক্ষেত্রেই নিজেদের লোককে বসানোর চেষ্টা করে। তবে, মোদি-শাহ জমানায় বিসিসিআই কিংবা ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচনে কিন্তু কংগ্রসের পথে হাঁটেনি বেজিপি। দল নয় বরং খেলাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। ফুটবল ও ক্রিকেট দুই ক্ষেত্রেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন ফুটবলার বা ক্রিকেটারের হাতে। 

  • Indian Spy Kuldeep Yadav: দেশ কোনও সাহায্য করেনি, ৩২ বছর পর পাকিস্তান জেল থেকে ফিরে জানালেন ভারতীয় গুপ্তচর

    Indian Spy Kuldeep Yadav: দেশ কোনও সাহায্য করেনি, ৩২ বছর পর পাকিস্তান জেল থেকে ফিরে জানালেন ভারতীয় গুপ্তচর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩২ বছর পরে নিজের বাড়ি চাঁদখেড়ায় প্রিয়জনদের কাছে ফিরলেন ভারতীয় গুপ্তচর (Indian Spy) কুলদীপ যাদব (Kuldeep Yadav)। মাঝে কেটে গিয়েছে বহু সময়। পুরো সময়টাই কেটেছে পাকিস্তানি জেলে (Pakistan Jail)। ২৭ বছরের ঝকঝকে যে তরুণ বাড়ি থেকে একদিন বেরিয়েছিল সে আজ ফিরে এল ৫৯ বছরের প্রৌঢ় হয়ে। পাঞ্জাবীর নীচের জীর্ণ শরীরই বলে দেয় এই কয়েক বছরের গল্প। হৃদরোগ, টিবি, যক্ষ্মার মতো মারণ রোগ শরীরে বাসা বেঁধেছে। যে দেশের জন্যে এত কিছু সেই দেশই খোঁজ নেয়নি এত বছরে। দেশের কোনও প্রতিনিধি একটি বারের জন্যে দেখাও করতে যায়নি। এমনটাই দাবি কুলদীপ যাদবের।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে এফএটিএফের প্রতিনিধি দল, ধূসর তালিকা থেকে বের হবে কি শরিফের দেশ?

    তিনি বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে কেউ কখনও দেখা করতে আসেনি। আমি যখন গুপ্তচর হিসেবে পাকিস্তানে গিয়েছিলাম তখন আমার বয়স ছিল মাত্র ২৭ বছর। যে দেশের জন্যে সারাটা জীবন উৎসর্গ করে দিলাম, সেই দেশ আমাকে আমার যোগ্য সম্মান ফিরিয়ে দিল না। কিছুই পাইনি আমি।” 

    ১৯৯১ সালের ১৫ মার্চ কুলদীপকে পাকিস্তানে চর হিসেবে পাঠায় ভারত সরকার। ১৯৯৪ সালের ২২ জুন ওকারা জেলা থেকে গ্রেফতার হন তিনি। সাজা শেষে ২২ অগাস্ট বাড়ি ফিরেছেন তিনি। নিজের লোকেদের কাছে। আপাতত একটাই দাবি, অর্থনৈতিক সুরক্ষা। কুলদীপ বলেন, “আমি এখন আমার ভাই দিলিপ এবং বোন রেখার ওপর নির্ভরশীল। আমার সম্বর্ধনা, অবসরকালীন ভাতা প্রাপ্য। ঠিক যেমনটা সেনা কর্মীরা পেয়ে থাকেন।”

    আরও পড়ুন: বদলার ম্যাচ পাকিস্তানের! জিতে ফাইনালে যাওয়াই লক্ষ্য টিম ইন্ডিয়ার

    তিনি আরও বলেন, “সম্মানের সঙ্গে বাঁচার জন্যে এই মুহূর্তে আমার একটি বাড়ি এবং কিছুটা আর্থিক সাহায্য প্রয়োজন।”

    কুলদীপের ভাই-বোন স্মৃতিচারণ করে বলেন, “কুলদীপ ১৯৯১ সালে একদিন হঠাৎ হারিয়ে যান। বাবা অনেক খোঁজার চেষ্টা করেন। তাঁর সন্ধানে অল্লাশি অভিযান করার আবেদন নিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করারও চেষ্টা করেন। কোনও লাভ হয়নি।”

    কুলদীপ বলেন, “তিন বছরের কোর্ট মার্শালের পরে আমাকে যখন জেলে স্থান্তরিত করা হয়, তখন বাড়িতে চিঠি লিখেছিলাম। সেই প্রথম বাড়ির লোক জানতে পেরেছিল, আমি বেঁচে আছি।”

    দিলিপ বলেন, “আমরা একই সঙ্গে খুশিও ছিলাম, আবার দুঃখিতও ছিলাম। আমরা জানতে পারি কুলদীপ বেঁচে আছে, তবে পাকিস্তানের জেলে।”

    কুলদীপ আরও বলেন, “আমি কখনও আমার মিশনের বিষয়ে আমার পরিবারকে বলিনি। দেশ সেবার উন্মাদনা ছিল আমার মধ্যে। এই জন্যে সরকারি চাকরির পরীক্ষাও দিতাম আমি। এমন সময় দেশের হয়ে কাজ করার সুযোগ পাই আমি। লুফে নিই সেই প্রস্তাব। কিন্তু শেষটা ভালো হল না। 

    পাকিস্তান সম্পর্কে বলতে গিয়ে কুলদীপ বলেন, “পাকিস্তানিরা অনেকেই ভারতীয়দের মতো। আমার অনেকের সঙ্গেই জেলে ভালো সম্পর্ক হয়ে গিয়েছিল।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

LinkedIn
Share