Blog

  • Virat Kohli to Suryakumar Yadav: সূর্যের তেজকে কুর্নিশ কোহলির! দুবাইয়ের বাইশগজে ছক্কার বন্যা

    Virat Kohli to Suryakumar Yadav: সূর্যের তেজকে কুর্নিশ কোহলির! দুবাইয়ের বাইশগজে ছক্কার বন্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরুটাই করেছিলেন ঝড়ের গতিতে। আর শেষটাও একই ভঙ্গিতে। সূর্যকুমার যাদবের (Suryakumar Yadav) ব্যাটিং তাণ্ডবে হংকংয়ের (Hong Kong) বোলাররা রীতিমতো হতোদ্যম হয়ে পড়েন। বুঝেই উঠতে পারছিলেন না, কীভাবে সূর্যর এই প্রখর তেজ থেকে তাঁরা রক্ষা পাবেন। তাঁরা রেহাই পাননি। বরং ক্রমশ ঝাঁঝ বেড়েছে ভারতীয় ব্যাটসম্যানটির। ইনিংসের অন্তিম ওভারে সূর্যকুমার চারটি বিশাল ছক্কা হাঁকান। ভারতীয় ইনিংসে যোগ হয় মূল্যবান ২৬ রান। সূর্যর ঝোড়ো ব্যাটিং দেখে দুবাইয়ের (Dubai) গ্যালারি উদ্বেলিত হয়ে ওঠে বার বার। তাঁরা তো এরকম বাটিং দেখার টানেই মাঠে ছুটে এসেছেন।

    সূর্যর মারমুখী ইনিংস মন ছুঁয়ে গিয়েছে বিরাট কোহলির। উইকেটের অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে চাক্ষুস করেছেন এক অনবদ্য ২৬ বলে অপরাজিত ৬৮ রানের ইনিংস। শেষ ওভারে হংকংয়ের বোলার হারুন অফ স্টাম্পের বাইরে বল করেন, কিন্তু সেই ডেলিভারি সজোরে সীমানার বাইরে পাঠিয়ে দেন সূর্য অনায়াসে। তারপর অভিনব ভঙ্গিতে সূর্যকে কুর্নিশ জানাতে ভোলেননি বিরাট। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় উল্কার গতিতে ভাইরাল হয়েছে।

    বিশ্ব ক্রিকেটে সূর্যকুমারকে বলা হয় মিঃ ৩৬০ ডিগ্রি। উইকেটের সব প্রান্তে তিনি শট খেলার ক্ষমতা রাখেন। বল যতই ভালো হোক, সহজেই তিনি তা বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে দিতে সক্ষম। এই কারণেই টি-২০ ফরম্যাটে সূর্য এখন ভারতীয় দলের অন্যতম সেরা সম্পদ।

    আরও পড়ুন: বিরাট-ব্যাটে রান এল! এশিয়া কাপের সুপার ফোরে টিম ইন্ডিয়া

    সূর্যকুমার যখন ব্যাট করতে নামেন তখন ভারতীয় দলের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৯৪। তৃতীয় উইকেটে বিরাটের সঙ্গে জুটি বেঁধে মাত্র ৪২ বলে অপরাজিত ৯৮ রান যোগ করেন তিনি। সেটাই মূলত ভারতীয় ইনিংসকে দু’শোর দোরাগোড়ায় পৌঁছে দেয়। তারকাদের ছাপিয়ে ম্যাচের সেরা হয়েছেন সূর্যই। তাঁর পারফরম্যান্স দেখার পর ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘আগামী দিনে ওপেনার হিসেবেই কাজে লাগানো উচিত সূর্যকে।’ পর পর দু’টি ম্যাচ জিতে ভারত সুপার ফোরে পৌঁছে গিয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী রবিবার মরুশহর দুবাইয়ে ফের ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan) মহারণের সম্ভাবনা প্রবল। সেক্ষেত্র হংকংকে হারাতেই হবে বাবরদের। আর সেটা কোনও বিরাট ব্যাপার নয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • China: মুখ থুবড়ে পড়েছে চিনের ‘জিরো কোভিড নীতি’, ফের লকডাউনে জিনপিং- এর দেশ

    China: মুখ থুবড়ে পড়েছে চিনের ‘জিরো কোভিড নীতি’, ফের লকডাউনে জিনপিং- এর দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিড ১৯ ভাইরাসের বিস্তার রোধে চিন সরকারের কঠোর প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, ব্যাপক সংক্রমণের প্রাদুর্ভাবে শি জিনপিংয়ের (Xi Jinping) ‘জিরো কোভিড নীতি’-র (Zero Covid Policy) ব্যর্থতার ছবি স্পষ্ট। ফের বিপর্যস্ত চিনা (China) জনজীবন।  

    চিনের কিছু অঞ্চলে ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে করোনা সংক্রমণ। ফের করোনা বিধি নিষেধের আওতায় চিন।  

    আরও পড়ুন: চিন সীমান্তে নিখোঁজ ভারতীয় পর্বতারোহী! নিছকই কি দুর্ঘটনা?

    সোমবার শেনজেন শহরের বিশ্বের বৃহত্তম ইলেকট্রনিক্স মার্কেট বন্ধ করে দিয়েছে চিন সরকার। আশেপাশের অঞ্চলে বন্ধ করা হয়েছে যানবাহনের চলাচল। পঞ্চম ঢেউয়ের আশঙ্কা থেকেই এই সিদ্ধন্ত। 

    হুয়াকিয়াংবেই-এ, কম্পিউটার, মোবাইল ফোনের যন্ত্রাংশ এবং মাইক্রোচিপ বিক্রির হাজার হাজার দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফুতিয়ান জেলায় তিনটি এলাকায় চারদিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: চিন সীমান্তের কাছে ভারত-মার্কিন সেনা মহড়া! বেজিংয়ের আপত্তি উড়িয়ে দিল দিল্লি 

    বাসিন্দাদের কোভিড পরীক্ষা ব্যতীত তাদের ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে এই পরিস্থিতি। 

    অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজন ছাড়া অর্থাৎ সুপারমার্কেট, ওষুধের দোকান এবং হাসপাতাল ব্যতীত ওইসব এলাকায় সমস্ত ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রেস্তোরাঁয় খাওয়া দাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শুধুমাত্র টেকওয়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।     

    লুওহু এবং লংগ্যাং জেলাগুলিতেও সমস্ত বিনোদনের জায়গা এবং পাবলিক পার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে, শেনজেনের এক আধিকারিক বলেন, মূলত করোনার নতুন সাবভেরিয়েন্ট Omicron BF.15 দ্বারাই নতুন করে ছড়াচ্ছে এই রোগ। এটি আরও বেশি সংক্রামক। তিনি আরও বলেন, “আসন্ন সময়ে এই মহামারী প্রতিরোধ করা আরও কঠিন হবে।” 

    ফের চিনে নতুন করে ছড়াচ্ছে করোনা। অনেকেই মনে করছে পঞ্চম ঢেউ এসে গিয়েছে। 

    রবিবার সারা দেশে ১৯ টি প্রদেশ এবং পৌরসভায় মোট ৩০১ জন আক্রান্তের খবর মিলেছে। এছাড়াও, সোমবার চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুসারে, দেশব্যাপী ১২৫৫ টি উপসর্গবিহীন সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। 

    রবিবার সারা দেশে রিপোর্ট হওয়া ৩০১ টি স্থানীয় মামলার মধ্যে, ১৬১ টি সিচুয়ান প্রদেশের। যা এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ। 

    হংকং- এ স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দেশের সরকার। সেখানেও করোনা সংক্রণের হার ১০,০০০ ছাড়িয়েছে। 

    চিন সেই দেশগুলির মধ্যে অন্যতম, যারা কঠোরভাবে ‘জিরো কোভিড নীতি’ অনুসরণ করছে। 

    ভাইরাস মোকাবিলায় ফের আক্রমনাত্মক ভূমিকায় চিন। এর মধ্যে রয়েছে ‘ফ্ল্যাশ লকডাউন’, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা, গণ হারে পরীক্ষা, সামাজিক দূরত্ব এবং প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • Shubman Gill: তেন্ডুলকর হোক বা খান, সারাতেই মজে শুভমন

    Shubman Gill: তেন্ডুলকর হোক বা খান, সারাতেই মজে শুভমন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রিকেট এবং বলিউড, এই সম্পর্ক যেন চিরকালীন। আরও এক নতুন বলিউড-ক্রিকেট জুটি পেতে চলেছে বিনোদন জগৎ। এই নতুন জুটি সারা আলি খান (Sara Ali Khan) ও শুভমন গিল (Shubman Gill)। সম্প্রতি সারা আলি খান এবং ক্রিকেটার শুভমন গিলের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তারপর থেকেই জল্পনা তুঙ্গে।  

    আরও পড়ুন: ‘বেবি বাম্প’-এর নতুন ভিডিও শেয়ার করলেন বিপাশা, তাঁর এই কাজে মুগ্ধ নেটিজেনরা

    এক ভক্ত যুগলকে একসঙ্গে রেস্তোরাঁয় এক সঙ্গে নৈশভোজ সারতে দেখেই তাঁদের ভিডিও টিকটকে শেয়ার করেছেন। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসা মাত্রই মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওতে সারাকে গোলাপি পোশাকে এবং শুভমনকে সাদা-সবুজ শার্টে দেখা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: অনুষ্ঠিত হল ২০২২ সালের ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড, দেখে নিন কারা পেলেন পুরস্কার…  

    এই ভিডিও দেখার পর থেকেই তাদের সম্পর্কের গুঞ্জন শুরু হয়। অনেকেই এই নতুন যুগলকে দেখে খুশি হয়েছেন। অনেকেই আবার শুভমানকে আরেক সারার কথা মনে করিয়েছেন। কিছুদিন আগেই মাস্টার ব্লাস্টার শচীন তেন্ডুলকরের মেয়ে সারা তেন্ডুলকরের (Sara Tendulkar) সঙ্গে শুভমনের সম্পর্কের কথা শোনা গিয়েছিল। তবে সইফ কন্যার সঙ্গে তাঁকে দেখে অনেকেই মনে করছেন দুজনের সম্প্রতি ব্রেক আপ হয়ে গিয়েছে। সারা এবং শুভমন একে অপরকে ইনস্টাগ্রামে আনফলো করেছেন। এই সমস্ত আলোচনার মধ্যে, সারা আলি খানের সঙ্গে শুভমনের উপস্থিতি শোবিজ ইন্ডাস্ট্রিতে একটি আলোচিত বিষয়। যদিও ডেট করার খবরে সারা ও শুভমনের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।   

    এই ত্রয়ীকে নিয়ে মজায় মেতেছেন নেট নাগরিকরা। 

     

     

     

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     

  • Dumka Murder: জীবন্ত পুড়িয়ে মারার আগেও অঙ্কিতার বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল শাহরুখ?

    Dumka Murder: জীবন্ত পুড়িয়ে মারার আগেও অঙ্কিতার বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল শাহরুখ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুমকার (Dumka) কিশোরী ছাত্রী অঙ্কিতা সিংকে (Ankita Singh) জীবন্ত পুড়িয়ে মারার দিন কয়েক আগে তার বাড়ির জানালা ভেঙেছিল অভিযুক্ত উত্যক্তকারী (Stalker) শাহরুখ (Shahrukh)। সেই সময় তার ভাই সলমান অঙ্কিতার পরিবারের কাছে এসে ক্ষমাও চেয়েছিল। পুলিশে অভিযোগ দায়ের না করতে অনুরোধও করেছিল।    

    ২২ অগাস্ট রাতে দুমকার জারুয়াডি কসবার ঘরে ঘুমোচ্ছিল বছর ষোলোর অঙ্কিতা সিং। অভিযোগ, বছর ২৩ শাহরুখ হুসেন গভীর রাতে জানালা দিয়ে পেট্রোল ছুড়ে দেয় ওই কিশোরীর গায়ে। পরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রাঁচির রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ২৮ অগাস্ট মৃত্যু হয় ওই কিশোরীর। শাহরুখের প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করাতেই ওই কিশোরীর এহেন পরিণতি বলে দাবি অঙ্কিতার পরিবারের।

    জানা গিয়েছে, অঙ্কিতার চরম পরিণতির দিন পাঁচেক আগে তার বাড়িতে এসেছিলেন শাহরুখ। এনিয়ে তার সঙ্গে অঙ্কিতার পরিবারের সদস্যদের ঝগড়াও হয়। তখনই রাগের বশে সে জানালার কাচ ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ। তার পরেই সলমান তাঁর মামাকে নিয়ে অঙ্কিতার বাড়িতে আসে। দাদার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমাও চায়। থানায় অভিযোগ দায়ের না করতে অনুরোধ করে। অঙ্কিতার কাকার আক্ষেপ, আমরা যদি তখনই ব্যবস্থা নিতাম, তাহলে অঙ্কিতার এই পরিণতি হত না। ঘটনাটিকে লাভ জিহাদ আখ্যা দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। অভিযুক্তের ফাঁসির দাবিও জানানো হয়েছে। মৃতের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত বিচারের।

    আরও পড়ুন :‘‘ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করো, নইলে…!’’ হুমকি দিয়েছিল উত্যক্তকারী, দাবি নিহত কিশোরীর বাবার

    এদিকে, শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্কা কানুনগো জানান, বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে এই সপ্তাহেই তিনি যাবেন দুমকা। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে ঝাড়খণ্ড পুলিশকে চিঠি লিখেছে জাতীয় মহিলা কমশন। দুমকার শিশু কল্যাণ কমিটির দাবি, মাধ্যমিক পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী অঙ্কিতার বয়স ১৬, যদিও পুলিশ দাবি করছে, সে প্রাপ্ত বয়স্ক। অন্যদিকে, স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে পুলিশকে আদালতে রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট (Jharkhand High Court)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Nadimarg massacre: নাদিমার্গ গণহত্যা মামলা পুনরায় চালুর নির্দেশ জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টের

    Nadimarg massacre: নাদিমার্গ গণহত্যা মামলা পুনরায় চালুর নির্দেশ জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাদিমার্গ গণহত্যা মামলা পুনরায় চালু করার নির্দেশ দিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) এবং লাদাখ (Ladakh) হাইকোর্ট (High Court) । ২০০৩ সালের ২৩ মার্চ পুলওয়ামার নাদিমার্গে (Nadimarg) দুই শিশুসহ মোট ২৪ জনকে হত্যার অভিযোগ ওঠে। তাঁরা সকলেই কাশ্মীরি পণ্ডিত ছিলেন। 

    এই গণহত্যার সঙ্গে জড়িত বহু জঙ্গি মারা যাওয়ায় মামলাটি প্রায় এক দশক আগে, ২০১৪ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয়। মামলাটি সোপিয়ান আদালতে চলছিল। কিন্তু সেখানে সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে মামলাটি খারিজ করে দেওয়া হয়। বহু সাক্ষী ভয়ে উপত্যকা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। অনেকে  প্রাণভয়ে জবানবন্দি দিতে অস্বীকার করেন এমনটাই দাবি।  তাই জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ হাইকোর্ট সেই পুরনো মামলার সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর পুনরায় ওই মামলা চলুর নির্দেশ দিয়েছে।  

    ২০০৩ সালের ২৩ মার্চ নাদিমার্গে পণ্ডিতদের বাড়িতে সেনার পোশাকে গিয়েছিল জঙ্গিরা। ১১ জন পুরুষ ও মহিলাকে বাড়ির ভিতর থেকে বাইরে নিয়ে আসে তারা। বাদ পড়েনি দু’জন শিশুও। সবাইকে বাড়ির সামনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে জঙ্গিরা। এক সঙ্গে মৃত্যু হয় ২৪ জনেরই। এই হত্যাকাণ্ডের ভয়বহতায় সেদিন শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। ঘটনার পিছনে মূল মাস্টার মাইন্ড হিসেবে নাম উঠে আসে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাওয়ালকোটের বাসিন্দা মুস্তাফার। তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় সে জানিয়েছিল, লস্কর নেতাদের নির্দেশে সে পণ্ডিতদের হত্যা করেছে। পরে, পুঞ্চের জঙ্গলে জঙ্গিদের সঙ্গে বাহিনীর সংঘর্ষে মারা পড়ে নাদিমার্গ গণহত্যার মাস্টার মাইন্ড জিয়া মুস্তাফা।

    আরও পড়ুন: ফের ধস জম্মু-কাশ্মীর কংগ্রেসে, আড়ে বহরে বাড়ছে আজাদ শিবির!

    সম্প্রতি উপত্যকায় কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ওপর জঙ্গিদের হামলা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। চলতি বছর মে মাসেও জম্মু-কাশ্মীরের বদগামে অফিসে ঢুকে রাহুল ভাট নামে এক সরকারি কর্মীকে খুন করেছিল জঙ্গিরা। সেই ঘটনায় তোলপাড় পড়ে যায় উপত্যকায়। তার রেশ কাটার আগেই কুলগামে খুন করা হয় আরেক হিন্দু স্কুল শিক্ষিকাকে। এ বছর জম্মু-কাশ্মীরে টার্গেট কিলিংয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৫ জন।

    নাদিগ্রাম হত্যাকাণ্ড মামলা পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন জম্মু-কাশ্মীরের ডেপুটি সিএম কাবিন্দর গুপ্ত।  তিনি বলেন, যারা ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় ছিলেন তারা এবার তা পাবেন। 

  • Blood Sugar: চিনির বিকল্প চিনির থেকেও হতে পারে বেশি ক্ষতিকারক! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Blood Sugar: চিনির বিকল্প চিনির থেকেও হতে পারে বেশি ক্ষতিকারক! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণত ডায়াবেটিসের রোগীরা রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়েট থেকে চিনি বাদ দিয়ে থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের প্রধান শর্তই হলো খাবার তালিকা থেকে চিনিকে বাদ দেয়া। তাই চিনির বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম মিষ্টিকারক উপাদান বাজারে পাওয়া যায় এবং এগুলো দিন দিন জনপ্রিয়ও হচ্ছে। কিন্তু এখন ভেবে দেখার সময় চিনির এই বিকল্পগুলো কি আদৌ নিরাপদ না কি চিনির মতোই ক্ষতিকর?  

    আরও পড়ুন: ব্লাড সুগার থাকবে নিয়ন্ত্রণে, খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখুন এই চারটি খাবার

    চিনির জায়গায় বিকল্প হিসেবে যেসব আর্টিফিসিয়াল সুইটনার ব্যবহার করা হয় যাতে স্যাকারিন ও সুক্রোলোজ দেওয়া থাকে। আর এগুলোকে নিয়ে পরীক্ষা করা দেখা গিয়েছে, এই স্যাকারিন ও সুক্রোলোজই পরে ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে চিনির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হলেও এগুলো বেশি ক্ষতিকারক বলে জানা গিয়েছে।

    সম্প্রতি একটি ট্রায়াল করে দেখা গিয়েছে, কিছু মানুষকে নিয়ে দুভাগে ভাগ করা হয় ও এক গ্রুপকে চিনির বিকল্প হিসেবে অন্য জিনিস দেওয়া হয় যাতে স্যাকারিন ও সুক্রোলোজ থাকে, আর অন্য এক গ্রুপকে গ্লুকোজ পাউডার দেওয়া হলে দেখা যায়, প্রথম গ্রুপের ব্যক্তিদের শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা  বেশি পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে। ফলে এই ক্ষেত্রে বোঝা যায়, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার পেছনে গ্লুকোজ নয়, স্যাকারিন ও সুক্রোলোজের অবদান বেশি। এর ফলেই রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়। আর চিনির বিকল্প হিসেবে এই স্যাকারিনের ব্যবহারই হয়ে আসছে বহু বছর থেকেই। তবে স্যাকারিন খাওয়া মোটেও নিরাপদ নয়। পুষ্টিবিদরা দেখেছেন যে চিনির পরিবর্তে যারা স্যাকারিন খান তাদের ক্ষেত্রে ব্লাড ক্যান্সারের ঝুঁকি ৬০ গুণ বেশি বেড়ে যায়।

    আরও পড়ুন: এখন যেকোনও বয়সেই রয়েছে হৃদরোগের ঝুঁকি, কোন লক্ষণগুলি দেখে বুঝবেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

     

  • Avijit Sen: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ সেন

    Avijit Sen: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ সেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ সেন (Avijit Sen)। মৃত্যুকালে ৭২ বছর বয়স হয়েছিল তাঁর। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। সোমবার রাত ১১ টা নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অর্থনীতিবিদের ভাই প্রণব সেন বলেন, “রাত ১১টা নাগাদ দাদার হার্ট অ্যাটাক হয় ৷ আমরা তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যাই ৷ কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর আগেই সব শেষ হয়ে গিয়েছে ৷”  

    আরও পড়ুন: ‘‘ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করো, নইলে…!’’ হুমকি দিয়েছিল উত্যক্তকারী, দাবি নিহত কিশোরীর বাবার
     
    অর্থনীতিবিদ হিসেবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভূমিকায় দায়িত্ব পালন করেছেন অভিজিৎ সেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে ছিলেন প্ল্যানিং কমিশনের সদস্য, জাতীয় পরিসংখ্যান কমিশনের চেয়ারম্যান এবং ভারতের প্রধান পরিসংখ্যানবিদ। ‘কমিশন অফ এগ্রিকালচারাল কস্ট অ্যান্ড প্রাইসেস’ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্বে ছিলেন। মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়, ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্ল্যানিং কমিশনের সদস্য ছিলেন।  

    ১৯৫০ সালের ১৮ নভেম্বর জামশেদপুরে জন্মগ্রহণ করেন অভিজিৎ সেন। দিল্লির সর্দার প্যাটেল বিদ্যালয়ে স্কুল জীবন এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট স্টিফেন কলেজে ফিজিক্স অনার্স পড়েন। ১৯৮১ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে পিএইচডি করেন। তাঁর গবেষণাপত্রের বিষয় ছিল, “ভারতের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কৃষি প্রতিবন্ধকতা”। তিনি ১৯৮৫ সালে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও পরিকল্পনা বিভাগে যোগ দেন। 

    আরও পড়ুন: স্বস্তিতে সরকার! রাফাল চুক্তি নিয়ে নতুন মামলার আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট  

    এক রিপোর্টে তিনি সুপারিশ করেছিলেন, কৃষি খরচ ও মূল্য কমিশনকে (CACP) ক্ষমতাপ্রাপ্ত সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে গড়ে  তোলা হবে। যে সংস্থা কৃষি পণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণ করবে। প্রসঙ্গত সেই সময় এই নীতি, সরকার মেনে নিতে বাধ্যও হয়। উৎপাদনের ক্ষেত্রে যাকে বলা হয় C2 খরচ, সেই মূল্য নির্ধারণ করার কথাই এই কমিটির মাধ্যমে সুপারিশ করা হয়েছিল।  

    পরে এম এস স্বামীনাথনের নেতৃত্বাধীন কৃষকদের জাতীয় কমিশন, ২০০৬ সালের এপ্রিলে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সুপারিশ করে যে, ফসলের এমএসপিগুলি ‘C2’ খরচের চেয়ে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ বেশি হবে। অভিজিৎ সেন কমিটি অবশ্য প্রস্তাব করেছিল বিশেষ কিছু অঞ্চলেই ব্যাপক ‘C2’ খরচ বিবেচনা করা হবে।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Hardik Pandya: কামব্যাকটাই বড় কথা! কেরিয়ারের খারাপ সময় নিয়ে আবেগপ্রবণ হার্দিক

    Hardik Pandya: কামব্যাকটাই বড় কথা! কেরিয়ারের খারাপ সময় নিয়ে আবেগপ্রবণ হার্দিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার বছর আগের দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের মাঠ। এশিয়া কাপে সেবারও মুখোমুখি ভারতপাকিস্তান। তখন পাকিস্তানের ব্যাটিং চলছে। বল হাতে হার্দিক পান্ডিয়া। হঠাতই মাঠের মধ্যেই শুয়ে পড়লেন হার্দিক। প্রবল যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন ভারতীয় অলরাউন্ডার। ছুটে এলেন দুই দলের খেলোয়াড়রা। হেঁটে মাঠের বাইরে পর্যন্ত যেতে পারলেন না হার্দিক। মাঠ ছাড়তে হল স্ট্রেচারে শুয়ে। 

    ২০১৮ সালে পিঠে ভয়ানক চোটের পর অস্ত্রোপচার করতে হয় তাঁকে। শেষ হয়ে যেতে পারত কেরিয়্যার। হাল ছাড়তে রাজি ছিলেন না কঠোর হার্দিক। নীরবে চলে প্রস্তুতি। ২০২২ আইপিএল মোর ঘোরায় তাঁর ক্রিকেটীয় জীবনে। গুজরাট টাইটান্সের নেতৃত্ব যখন পেয়েছিলেন অনেকেই ভ্রু কুঁচকেছিল। সব হিসেবের বাইরে গিয়ে আবির্ভাবেই গুজরাটের হাতে তুলে দেন আইপিএল ট্রফি।

     

     

    এককালে প্লে বয় ইমেজের হার্দিককে সেদিনও খুব শান্ত মনে হয়েছিল। এদিনও ছিলেন শান্ত। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের মাঠেই পাকিস্তানকে একা হাতে শুইয়ে দেন হার্দিক পান্ডিয়া। তিন উইকেট অপরাজিত ৩৩ রান পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে ভারতের জয়ের রাস্তা মসৃণ করে। জয়সূচক রানও এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকেই। এই ম্যাচের পরই ট্যুইটে চার বছর আগের ও রবিবারের মাঠের ছবি দিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন আপাত শান্ত হার্দিক। লেখেন ফিরে আসাটা সবচেয়ে বড় ছিল। 

    আরও পড়ুন: ‘তুমিই আমার তারকা…!’ হার্দিককে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কী লিখলেন স্ত্রী নাতাশা?

    ম্যাচের পর এক সাক্ষাৎকারে হার্দিক বলেন, ‘‌শেষ ওভারে ৭ রান বাকি থাকা অবস্থায় রবীন্দ্র জাদেজা প্রথম বলেই আউট হয়ে গেলেও আমি চাপ অনুভব করিনি। শেষ ওভারে ওদের বাঁহাতি স্পিনার বল করছিল। আর বৃত্তের মধ্যে ৫ জন ফিল্ডার ছিল। এটা আমার লক্ষ্যচূত করতে পারেনি। ১০ জন থাকলেও আমি ভাবতাম না। আমি শুধু চেয়েছিলাম ফিল্ডারদের মাথার ওপর দিয়ে শট খেলতে।’ দলকে জেতানোর পর আবেগ দেখাননি হার্দিক। মাত্র একবারই আবেগ দেখিয়েছিলেন, যখন ২০তম ওভারের প্রথম বলেই জাদেজা আউট হয়েছিলেন। হার্দিক বলেন, ‘‌জাদেজা আউট হতে খারাপ লাগল। আমি ওকে বলি, আমি চাপে নেই। বোলারই বেশি চাপে।’ লক্ষ্যে স্থির হার্দিক বলেন,’আমি শুধু বোলারের ভুল করার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। সে যেভাবে ফিল্ড প্লেসিং করেছিল, জানতাম বোলার ব্যাক লেংথে বল করবে। তার জন্য আমি তৈরি ছিলাম।’‌

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Kerala NEET innerwear row: অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করা হয়েছিল, সেই ছাত্রীদের ফের নীট পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিল এনটিএ 

    Kerala NEET innerwear row: অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করা হয়েছিল, সেই ছাত্রীদের ফের নীট পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিল এনটিএ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছর নীট পরীক্ষার (NEET 2022) সময় বিতর্কে উত্তাল হয় কেরল (Kerala)। পরীক্ষার্থীদের অন্তর্বাস (Innerwear) খুলতে বাধ্য করার অভিযোগ ওঠে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই দেশ জুড়ে বিতর্ক দেখা দেয়। রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকে অভিযোগও জানানো হয়েছিল। এবার সেই ঘটনায় নতুন করে পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাচ্ছেন সেই ছাত্রীরা।  আগামী ৪ সেপ্টেম্বর অভিযোগকারী পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (NTA) তরফে। ইতিমধ্যে ওই পরীক্ষার্থীদের মেলও পাঠানো হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ১১ সেপ্টেম্বর জেইই অ্যাডভান্সডের ফল প্রকাশ করবে আইআইটি বম্বে, জানুন বিস্তারিত আরও পড়ুন: ১১ সেপ্টেম্বর জেইই অ্যাডভান্সডের ফল প্রকাশ করবে আইআইটি বম্বে, জানুন বিস্তারিত

    চলতি বছর জুলাই মাসে কেরলের কোত্তারাকারা থানায় এক ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে ওই ব্যক্তি জানান, ন্যাশনাল এলিজিবিটি এন্ট্রান্স টেস্টের জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার আগে তাঁর মেয়ে সহ বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করা হয়। ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি এই পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্বে ছিল। তাদের তরফে প্রথমে বলা হয়, ইমেল মারফৎ পরীক্ষায় বসার জন্য পোশাকবিধির কথা স্পষ্ট করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও ওই ছাত্রী পোশাক বিধি মেনে চলেনি। মেটাল ডিরেক্টরে ধাতব অস্তিত্ব ধরা পড়ে। যদিও পরে জানা যায় অন্তর্বাসের হুক মেটাল ডিরেক্টরে চিহ্নিত হয়েছিল। পরীক্ষা পরিচালনকারী সংস্থা নিরাপত্তার আশঙ্কা করে ওই ছাত্রীদের অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করে। শুধু তাই নয়, পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর বেরনোর সময় তাঁদের অন্তর্বাস পরার সুযোগও দেওয়া হয়নি, হাতে নিয়েই বেরিয়ে যেতে হয়। কেরলের কোল্লাম জেলায় ছিল এই পরীক্ষা কেন্দ্রটি। ওই পরীক্ষার্থীদের দাবি ছিল, অন্তর্বাস খুলে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করায় অস্বস্থিতে পড়তে হয়েছিল তাঁদের। মন দিয়ে পরীক্ষা দিতে পারেননি তাঁরা। 

    আরও পড়ুন: পড়ুয়ারা পড়বে দেশের সেনা জওয়ানদের বীরত্বের কাহিনী, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান

    ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারা অনুসারে মহিলাদের শালীনতা ক্ষুন্ন করার উদ্দেশে আক্রমণ বা বলপ্রয়োগ, ৫০৯ ধারা অনুসারে মহিলাদের অপশব্দপ্রয়োগ বা অঙ্গভঙ্গি -এর অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনায় সাত জনকে গ্রেফতার করে কেরল পুলিশ। তার মধ্যে পরীক্ষাকেন্দ্র কলেজের দুই কর্মী ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থার তিন কর্মী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পরে প্রত্যেকেই জামিন পেয়ে যান। তবে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে প্রবল বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে এনটিএ।  

    ঘটনায় তৎপর হয় জাতীয় মহিলা কমিশন ও শিশু সুরক্ষা কমিশনও। কমিশনের তরফে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পরে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির তরফে কমিটি গঠন করে পুরো ঘটনার তদন্ত করা হয়। তদন্ত শেষে এবার পরীক্ষার ব্যবস্থা করল এনটিএ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলায় এবার সিবিআই- এর হাতে গ্রেফতার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর

    Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলায় এবার সিবিআই- এর হাতে গ্রেফতার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় আরও এক কেষ্ট-ঘনিষ্ঠকে গ্রেফতার করল সিবিআই। এদিন সকালে বোলপুরের তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে প্রায় দু ঘণ্টা তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। এই বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে মনু অনুব্রতর ছায়াসঙ্গী হিসেবে পরিচিত। আয়-ব্যয় সংক্রান্ত নথি যাচাই করে, দু ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর আটক করা হয় তাঁকে। আয়-ব্যয় সংক্রান্ত নথি যাচাইয়ের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় কনসালট্যান্টের অফিসে।

    বোলপুরে একসঙ্গে ৪ জায়গায় হানা দিয়েছে সিবিআই। তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়ি ছাড়াও তৃণমূল কর্মী সুদীপ রায় ও অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ সুজিত দে- র বাড়িতেও চলছে সিবিআই তল্লাশি। সিবিআই সূত্রে দাবি, গরুপাচার মামলার তদন্তে উঠে এসেছে অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ এই তিনজনের নাম। সেই কারণেই এই অভিযান। একইসঙ্গে তল্লাশি চলছে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির বোলপুরের বাড়িতে।

    আরও পড়ুন: পারলে আমাকে জেলে ভরো…মমতার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কী বললেন নাড্ডা?

    সিবিআই গোয়েন্দাদের দাবি, অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিপুল সম্পত্তির নথি গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। অনুব্রতর একার নামেই ২৪টি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। এছাড়া অনুব্রত-কন্যা সুকন্যার নামে ২৬টি সম্পত্তির নথি পেয়েছেন গোয়েন্দারা। অনুব্রতর স্ত্রী ছবি মণ্ডলের নামেও ১২টি সম্পত্তি রয়েছে। অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের নামে ৪৭টি সম্পত্তি রয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনের নামে রয়েছে ৩২টি সম্পত্তি! বিদ্যুতের স্ত্রী মহুয়া গায়েনের নামে ২টি জায়গায় সম্পত্তি রয়েছে। অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ কমলকান্তি ঘোষ ও তাঁর পরিবারের নামে ১৮টি সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন সিবিআই গোয়েন্দারা।   

    আরও পড়ুন: অনুব্রত মামলায় বিচারককে হুমকি চিঠি-কাণ্ডে ধৃত আইনজীবী! আটক তাঁর সহকারীও 

    মঙ্গলবার আসানসোলে অনুব্রতকে জেরা করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। অনুব্রত-ঘনিষ্ঠদের এত বিপুল সম্পত্তির উৎস কী, তার সন্ধানে রয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও সংশোধানাগারে জেরা করেন সিবিআই গোয়েন্দারা। তার পর দিনই কেষ্ট-ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই।       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share