Blog

  • Covid 19 Guideline: কোভিড রুখতে ছয় দেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্যে নয়া নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের

    Covid 19 Guideline: কোভিড রুখতে ছয় দেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্যে নয়া নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে নয়া নির্দেশিকা জারি (Covid 19 Guideline) করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর আগে রবিবার, ১ জানুয়ারি থেকে চিন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান থেকে আসা যাত্রীদের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে কেন্দ্র। এবার এই নির্দেশিকায় কিছু পরিবর্তন আনা হল। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শুধু কোভিড-১৯ আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করলেই হবে না। এই ছয় দেশ থেকে আগত যাত্রীদের, ভারতে আসার আগে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সেই পরীক্ষা করাতে হবে। যাত্রার আগেই পরীক্ষার রিপোর্ট এয়ার সুবিধা অ্যাপে আপলোড করতে হবে। অন্যান্য দেশ থেকেও যারা এই ছয়টি দেশ ছুঁয়ে ভারতে আসবেন, তাঁদেরকেও এই বিধি মানতে হবে।

    কেন্দ্রের কী নির্দেশ?  

    এদিন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব লব আগরওয়াল, অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের সচিব রাজীব বনসলকে একটি চিঠি দিয়ে নয়া নির্দেশাবলী জানিয়েছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, “হাই রিস্ক কান্ট্রি হিসেবে চিহ্নিত হওয়া দেশগুলিতে করোনার সংক্রমণ আরও বেড়েছে। সেই কারণে, ভারতে আসা আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য কোভিড-১৯ নিয়মে (Covid 19 Guideline) বদলের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ভারতে আসার আগে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করে, নেগেটিভ রিপোর্ট এয়ার সুবিধা অ্যাপে আপলোড করতে হবে। এছাড়া বাকি দেশ থেকে আসা আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্যে যে নির্দেশ ইতিমধ্যেই চালু আছে, তাই থাকবে।” 

    প্রতিবেশী দেশ চিনে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের নতুন ঢেউ উদ্বেগ বাড়িয়েছে কেন্দ্রের। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অনুমান করেছেন, জানুয়ারিতে ভারতে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই বাড়তে পারে। সেই কারণেই করোনা মোকাবিলায় (Covid 19 Guideline) আগে থেকেই প্রস্তুত রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

    আরও পড়ুন: কোভিডের বুস্টার ডোজ অ্যান্টিবডির স্থায়ীত্ব বাড়ায়, জানাচ্ছে গবেষণা

    এত দিন নিয়ম ছিল, শুধু ৬টি দেশ থেকে আসা যাত্রীদেরই বিমানে ওঠার ৭২ ঘণ্টা আগে নেগেটিভ আরটি-পিসিআর রিপোর্ট দিতে হবে। চিনে ক্রমেই বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ (Covid 19 Guideline)। গত মাসে একটি রিপোর্ট জানিয়েছিল, ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চিনের ১৮ শতাংশ নাগরিক কোভিড ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন। হাসপাতালেও জায়গা নেই। শেষকৃত্যের জন্য দীর্ঘ লাইন। সূত্রের খবর, সে কারণেই বিদেশফেরত যাত্রীদের জন্য বিধি আরও কড়া করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Bagtui Massacre: বগটুইকাণ্ডে জড়িত অনুব্রত? চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট পেশ সিবিআই- এর

    Bagtui Massacre: বগটুইকাণ্ডে জড়িত অনুব্রত? চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট পেশ সিবিআই- এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও বিপদ বাড়ল বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। গরুপাচারের পর এবার বগটুই কাণ্ডেও (Bagtui Massacre) নাম জড়াল কেষ্ট মণ্ডলের। লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে আদালতে রিপোর্ট পেশ করেছে সিবিআই। আর সেই রিপোর্টেই এল এই বিস্ফোরক তথ্য। বর্তমানে গরুপাচার মামলায় হাজতে দিন কাটছে দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই তৃণমূল নেতার। এই মামলায় এমনিতেই অস্বস্তিতে রয়েছেন তিনি। তার ওপর আরও এক মামলায় নাম জড়ানোয় স্বাভাবিকভাবেই চাপ বাড়ল।

    সিবিআই রিপোর্টে জানিয়েছে, বগটুই কাণ্ডের (Bagtui Massacre) মূল অভিযুক্ত আনারুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল কেষ্ট মণ্ডলের। গত বছরের ২১ মার্চ রাত ৮টা ৫০ মিনিট এবং ২২ মার্চ সকালে দুবার আনারুলের সঙ্গে কথা বলেন অনুব্রত। সেই রেকর্ড রয়েছে সিবিআই- এর হাতে। দুজনের মধ্যে কী কথা হয়েছিল, তা এখন খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। বিষয়টিতে আরও তদন্ত করতে চাইছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। 

    কী ঘটে?  

    গত ২১ মার্চ রাতে বীরভূমের রামপুরহাটের পূর্বপাড়ার কাছে দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া বোমায় মৃত্যু হয় বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখের। তারপরই রাতে বগটুই গ্রামে (Bagtui Massacre) আগুন লাগানো হয় একাধিক বাড়িতে। সেই দুর্ঘটনায় পুড়ে মৃত্যু হয় ১০ জন গ্রামবাসীর। এই মামলায় ১১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভাদু শেখের খুনের বদলা নিতে নিরীহ গ্রামবাসীদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেয় দুষ্কৃতিরা। এই ঘটনায় উত্তাল হয় রাজ্যরাজনীতি। ঘটনার জেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাসপেন্ড করতে হয় স্থানীয় ব্লক তৃণমূল সভাপতি আনারুল শেখকে।  

    এরপর এই মামলা হাইকোর্টে (Bagtui Massacre) ওঠে। সিবিআই তদন্তের দাবি ওঠে। যদিও সিবিআই তদন্তের তীব্র বিরোধীতা করে রাজ্য সরকার। তবে শেষ পর্যন্ত হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের পক্ষে রায় দেয়। কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরোনোর ভয় পাচ্ছিল তৃণমূল সরকার? যদিও অনেকটা সে দিকেই এগোচ্ছে সিবিআই- এর তদন্ত। এই ঘটনায় অনুব্রত মণ্ডলের নাম জড়ানোয় যে মোটেই স্বস্তিতে নেই তৃণমূল সুপ্রিমো তা বলাই বাহুল্য।

    আরও পড়ুন: ক্ষমা চান রাহুল গান্ধী! নোটবন্দি নিয়ে সুপ্রিম রায়ের পর কংগ্রেসকে কটাক্ষ রবি শঙ্কর প্রসাদের

    অনুব্রতর বিরুদ্ধে ফোনে কথা বলার অভিযোগ ওঠা নিয়ে রাজ্য বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “মানুষ জানে বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশ ছাড়া গাছের পাতাও নড়ে না। অনুব্রত মণ্ডল যা করেন তা তার সর্বোচ্চ নেতৃত্বের নির্দেশে। বগটুই কাণ্ডের (Bagtui Massacre) পর ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম ও অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু যারা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছিলেন তাদের সঙ্গে দেখা করতে তারা গেলেন না। বরং মন্ত্রীমশায় একটা চক্রান্তের তত্ব ভাসিয়ে দিয়ে চলে এলেন। যারা যারা ওই মামলায় অভিযুক্ত তাদের সবার সঙ্গেই অনুব্রতর যোগাযোগ রয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Demonitisation: ক্ষমা চান রাহুল গান্ধী! নোটবন্দি নিয়ে সুপ্রিম রায়ের পর কংগ্রেসকে কটাক্ষ রবি শঙ্কর প্রসাদের

    Demonitisation: ক্ষমা চান রাহুল গান্ধী! নোটবন্দি নিয়ে সুপ্রিম রায়ের পর কংগ্রেসকে কটাক্ষ রবি শঙ্কর প্রসাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নোট বন্দির সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল বলে রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সোমবার জানিয়েছে, কী ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে শুধু তার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের রায় বদলে দেওয়া যায় না। নোট বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা অবশ্যই রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে ছয় মাস ধরে আলোচনার পরেই নোট বাতিলের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তাই এটা শুধু কেন্দ্রের এক তরফা সিদ্ধান্ত তা বলা যায় না। তাই নোট বাতিলের প্রক্রিয়াও অবৈধ নয়। সুপ্রিম এই রায়ের পর বিরোধীদের একহাত নিয়েছে বিজেপি। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, ” নোট বন্দি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর কি রাহুল গান্ধী সরি বলবেন? গত ছয় বছর ধরে মিথ্যে প্রচার চালিয়েছে কংগ্রেস। দেশের মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নোট বন্দির সিন্ধান্ত যে সঠিক ছিল সেটা আজ সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ে স্পষ্ট। কারণ ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল হওয়ার ফলে জঙ্গিদের রসদে টান পড়েছে। কমেছে জঙ্গি কার্যকলাপ। সেটা সহ্য হচ্ছিলো না কংগ্রেসের। রাহুল গান্ধী ভুল বলছিলেন। শুধু দেশে নয় দেশের বাইরেও। আজকের পরে নিশ্চয়ই ভুল স্বীকার করা উচিত রাহুল গান্ধীর “

    চিদাম্বরকেও কটাক্ষ

    নোট বন্দি মামলায় পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ ভোটাভুটির মাধ্যমে রায় দিয়েছে। যেখানে চারজন বিচারপতি স্বপক্ষে রায় দিয়েছেন। একজন বিচারপতি নোট বন্দির সিদ্ধান্ত ভুল ছিল বলে জানিয়েছেন। শুধু রাহুল গান্ধী নয়, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরমকেও এ প্রসঙ্গে তুলোধোনা করেছেন রবি শঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেছেন, ” সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়কে উপেক্ষা করে বদনাম করার মতো বিবৃতি দিয়েছেন চিদাম্বরম। যা মেনে নেওয়া যায় না।” 

    আরও পড়ুন: ‘‘কোনও ভুল করেননি নরেন্দ্র মোদি’’, নোটবন্দির সিদ্ধান্তকে সিলমোহর সুপ্রিম কোর্টের

    এদিন সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি ভারতের ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ হয়ে ওঠার বিষয়টিও স্পষ্ট করেন প্রাক্তন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, “নোটবন্দির পর ডিজিটার পেমেন্টের ক্ষেত্রে ভারত সারা বিশ্বের নেতা হতে চলেছে।” পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি জানান, কেবল গত বছরের অক্টোবরে ভারত ১২ লক্ষ কোটি টাকার বেশি ৭৩০ কোটির বেশি ডিজিটাল পেমেন্ট হয়েছে, যা কোনও দেশে হয়নি। নোটবন্দির উদ্দেশ্য যে মহৎ ছিল,  সেটা বিচারের ক্ষেত্রেও এই বিষয়টি দেখা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Demonetisation: ‘‘কোনও ভুল করেননি নরেন্দ্র মোদি’’, নোটবন্দির সিদ্ধান্তকে সিলমোহর সুপ্রিম কোর্টের

    Demonetisation: ‘‘কোনও ভুল করেননি নরেন্দ্র মোদি’’, নোটবন্দির সিদ্ধান্তকে সিলমোহর সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও ভুল করেনি কেন্দ্র সরকার। সঠিক পথে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার নোটবন্দি সংক্রান্ত যাবতীয় মামলা খারিজ করে দিয়ে এই অভিমত প্রকাশ করল শীর্ষ আদালত (supreme Court)। ২০১৬ সালে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের নোটবন্দির (Demonetisation) সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দিল সুপ্রিম কোর্টের ৫ জন বিচারপতির বেঞ্চ। 

    আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত

    পুরনো ১০০০ টাকা এবং ৫০০ টাকার নোট বাতিল করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে যে মামলাগুলি হয়েছিল, সোমবার তার রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, বৈধ পথেই নোটবন্দির (Demonetisation) সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে ছ’মাস ধরে আলোচনা করেই কেন্দ্র নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। বিচারপতি আবদুল নজিব, বিচারপতি বিআর গবাই, বিচারপতি এএস বোপান্না, বিচারপতি বি রামসুব্রাহ্মণ্যম এবং বিচারপতি বিবি নাগরত্নার সাংবিধানিক বেঞ্চ জানায়, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে কোনও ভুল ছিল না। আদালত সূত্রে খবর, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের পক্ষে মত দেন চার বিচারপতি, বিরুদ্ধে মত দেন এক জন।

    আরও পড়ুন: বছরের প্রথমেই রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ! জোড়া সভা বীরভূম ও আরামবাগে

    ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর আচমকাই ডিমনিটাইজেশন (Demonetisation) তথা নোটবন্দির কথা ঘোষণা করেছিল মোদি সরকার। কালো টাকা উদ্ধার করতে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট রাতারাতি বাতিল করার এই সিদ্ধান্তকে সরকারের বৈপ্লবিক পদক্ষেপ বলে দাবি করেছিল বিজেপি। কিন্তু নোটবন্দির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে ৫৮টি পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। আবেদনকারীদের যুক্তি, সরকার সঠিক পরিকল্পনা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়নি এবং অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করা উচিত। সরকারের পাল্টা যুক্তি ছিল, বাস্তবে এই সিদ্ধান্তকে বাতিল করা সম্ভব নয়। নোটবন্দির সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হলে ‘সময়ের পিছনে গিয়ে’ বাতিল করতে হবে বলেও দাবি করেন কেন্দ্রের আইনজীবী।

    এই মামলায় মামলাকারীদের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। তিনি বলেন, সরকারের চাপের কাছে আদালতের চুপ করে যাওয়া ঠিক হবে না। আদালত এখন নোটবন্দির (Demonetisation) সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিতে পারবে না ঠিকই। কিন্তু ঠিক হয়েছিল না ভুল হয়েছিল সে ব্যাপারে স্পষ্ট মত দেওয়া আদালতের কর্তব্য। এই প্রেক্ষিতেই সোমবার সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিল সরকারের এই সিদ্ধান্তে কোনও ত্রুটি ছিল না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Team India: লক্ষ্য বিশ্বকাপ ২০২৩! একনজরে এ বছরের ভারতীয় ক্রিকেটের সূচি

    Team India: লক্ষ্য বিশ্বকাপ ২০২৩! একনজরে এ বছরের ভারতীয় ক্রিকেটের সূচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৩ সালেও একাধিক ক্রীড়াসূচি রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দলের (Team India)। নতুন বছর মানেই নতুন আশা, নতুন স্বপ্ন। আর সেই আশা, স্বপ্নকে নিয়েই নতুন করে পথ চলতে শুরু করেছে টিম ইন্ডিয়া। এ বছরেই হতে চলেছে বিশ্বকাপ। ২০১১ সালে শেষবার বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। তারপর দীর্ঘ ১২ বছর কেটে গিয়েছে। ফের একবার এই বছরের অক্টোম্বর-নভেম্বর মাসে দেশের মাটিতেই বসতে চলেছে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের আসর। ফলে নতুন উদ্যম নিয়ে আগের সব হতাশা ভুলে মাঠে নামতে চলেছে টিম ইন্ডিয়া। যদিও বিশ্বকাপে দেরি রয়েছে, তবে তার আগেই একাধিক ম্যাচ রয়েছে। এক নজরে দেখে নিন টিম ইন্ডিয়ার কোন মাসে কোন কোন দেশের বিরুদ্ধে খেলবে (Team India)?

    টিম ইন্ডিয়ার সূচি

    নতুন বছরের শুরুতেই দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-২০, ওডিআই সিরিজ। এরপর জানুয়ারিতেই দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওডিআই, টি-২০ সিরিজ খেলবে ভারতীয় দল (Team India)।

    জানুয়ারি,২০২৩ (ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা)

    ১) প্রথম টি-২০: ৩ জানুয়ারি (মুম্বই)

    ২) দ্বিতীয় টি-২০: ৫ জানুয়ারি (পুণে)

    ৩) তৃতীয় টি-২০: ৭ জানুয়ারি (রাজকোট)

    ৪) প্রথম ওয়ান ডে: ১০ জানুয়ারি (গুয়াহাটি)

    ৫) দ্বিতীয় ওয়ান ডে: ১২ জানুয়ারি (কলকাতা)

    ৬) তৃতীয় ওয়ান ডে: ১৫ জানুয়ারি (তিরুবনন্তপুরম)

    জানুয়ারি/ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ (ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড)

    ১) প্রথম ওয়ান ডে: ১৮ জানুয়ারি (হায়দ্রাবাদ)

    ২) দ্বিতীয় ওয়ান ডে: ২১ জানুয়ারি (রায়পুর)

    ৩) তৃতীয় ওয়ান ডে: ২৪ জানুয়ারি (ইন্দোর)

    ৪) প্রথম টি-২০: ২৭ জানুয়ারি (রাঁচি)

    ৫) দ্বিতীয় টি-২০: ২৯ জানুয়ারি (লখনউ)

    ৬) তৃতীয় টি-২০: ১ ফেব্রুয়ারি (আমদাবাদ)

    ফেব্রুয়ারি/মার্চ (ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া)

    ১) প্রথম টেস্ট: ৯-১৩ ফেব্রুয়ারি (নাগপুর)

    ২) দ্বিতীয় টেস্ট: ১৭-২১ ফেব্রুয়ারি (ধরমশালা)

    ৩) তৃতীয় টেস্ট: ১-৫ মার্চ (ধর্মশালা)

    ৪) চতুর্থ টেস্ট:  ৯-১৩ মার্চ (আহমেদাবাদ)

    ৫) ১ম ওডিআই: ১৭ মার্চ (মুম্বই)

    ৬) ২য় ওডিআই: ১৯ মার্চ (বিশাখাপত্তনম)

    ৭) ৩য় ওডিআই: ২২ মার্চ (চেন্নাই)

    মার্চের শেষ থেকে মে মাস পর্যন্ত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগ অনুষ্ঠিত হবে। বিস্তারিত সূচি এখনও ঘোষণা করেনি বিসিসিআই।

    জুন ২০২৩: বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল

    ভারত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠলে জুলাইয়ে খেতাবি লড়াইয়ে সম্ভবত অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে তারা।

    জুলাই/অগাস্ট ২০২৩: ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম ভারত

    জুলাই-অগাস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ২টি টেস্ট, ৩টি ওয়ান ডে ও ৩টি টি-২০ ম্যাচ খেলবে ভারত। সূচি এখনও ঘোষিত হয়নি।

    সেপ্টেম্বর ২০২৩: এশিয়া কাপ ২০২৩

    সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা পাকিস্তানে। যদিও ভারতের চাপে শেষমেশ এশিয়া কাপের কেন্দ্র বদল হতে পারে। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) চেয়ারম্যান জয় শাহ বলেছেন যে সরকার অনুমতি না দিলে ভারত প্রতিবেশী দেশে তাঁরা যাবেন না।

    অক্টোবর ২০২৩: ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া (হোম)

    অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ খেলবে ভারত।

    অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৩: ICC পুরুষদের ক্রিকেট বিশ্বকাপ

    ভারত এই বছর প্রথমবারের মত মেগা আইসিসি ইভেন্টের আয়োজক হবে। অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতেই বসবে বিশ্বকাপের আসর। ১৯৮৩ এবং ২০১১ সালের জয়ের পর,  ভারত আর জেতেনি বিশ্বকাপ।

    নভেম্বর/ডিসেম্বর ২০২৩: অস্ট্রেলিয়া বনাম ভারত

    নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভারতের বিরুদ্ধে ৫টি টি-২০ ম্যাচ খেলবে অস্ট্রেলিয়া।

    ডিসেম্বর ২০২৩: ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা

    ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে বছর শেষ করবে টিম ইন্ডিয়া। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে সিরিজই এই বছরে সম্ভবত ভারতের শেষ সিরিজ।

  • Amit Shah: বছরের প্রথমেই রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ! জোড়া সভা বীরভূম ও আরামবাগে

    Amit Shah: বছরের প্রথমেই রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ! জোড়া সভা বীরভূম ও আরামবাগে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের প্রথম মাসেই বঙ্গ সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এবার সাংগঠিনক কাজেই বাংলায় আসছেন অমিত। বিজেপি (BJP) সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৭ জানুয়ারি হুগলির আরামবাগ এবং বীরভূম, এই দুই জায়গায় একই দিনে জোড়া সভা করবেন শাহ। এর আগে, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারেও বাংলায় একাধিক সভা করেছেন শাহ। ২০২৪-এর আগে বাংলাতে তাঁকে দিয়েই প্রচার শুরু করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। 

    পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন 

    ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আরও বেশি সাংসদ নিয়ে যেতে ইতিমধ্যে পরিকল্পনা ছকে ফেলেছে বিজেপি। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রথম ধাপ হিসাবে চলতি মাসেই ফের রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আাগমী, ১৭ জানুয়ারি শাহের সফরে যে ২ জায়গায় সভা করার কথা রয়েছে তার মধ্যে বীরভূম বিজেপির জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ। গোটা জেলায় সেখানে তৃণমূলেরই একাধিপত্য। তবে আরামবাগের হিসাবটা আলাদা। সেখানে গত লোকসভা নির্বাচনে এক চুলের জন্য জিতে যান তৃণমূল প্রার্থী আফরিন আলি। হুগলি জেলার একাংশে বিজেপির প্রভাব চোখে পড়ার মতো। এই জেলারই হুগলি আসনের সাংসদ বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। ফলে সেখানে শাহের সভা বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: ‘বাবার মৃত্যুর সময়ও কর্তব্যে অবিচল ছিলেন মোদি’, স্মৃতির সাগরে ডুব ভিএইচপি নেতার

    রাজ্যে আসবেন মোদি-নাড্ডাও

    তবে শুধু শাহ নন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)-কেও বাংলায় প্রচারে দেখা যাবে। বিজেপি সূত্রে খবর, চলতি বছর এই তিন জনকে দিয়ে বাংলায় মোট ৩০টি সভা করানোর পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপি-র। এর মধ্যে শাহ এবং নাড্ডা, দু’জনে ১২টি করে সভা করবেন। মোদি বাংলায় সভা করবেন ৫টি। তাঁদের ছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপি-র শীর্ষ নেতাদেরও বাংলায় দেখা যেতে পারে আগামী দিনে। লোকসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাংলাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এর আগে ২০১৯ সালে ১৮টি আসন দখল করে ২২টি আসন পাওয়া তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলেছিল বিজেপি। এ বার বিজেপি আরও বড় লক্ষ্য নিয়ে নামতে চলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বাংলায় তৃণমূলের থেকে বেশি আসন পাওয়াই আশু লক্ষ্য গেরুয়া শিবিরের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • West Bengal Weather: অব্যাহত পারদের ওঠানামা! কনকনে শীতে ফের কবে কাঁপবে বাংলা?

    West Bengal Weather: অব্যাহত পারদের ওঠানামা! কনকনে শীতে ফের কবে কাঁপবে বাংলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাঁকিয়ে শীত না পড়লেও পারদ নিম্নমুখী শহরে। এ বার ডিসেম্বর পেরিয়ে জানুয়ারি মাস পড়লেও তেমন কোনও ঠান্ডা অনুভব করা যাচ্ছে না (West Bengal Weather)। শীতকালে পারদের এমন ওঠানামা লেগেই রয়েছে। রবিবার নতুন বছরের প্রথম দিনে তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ ডিগ্রি বেশি। দ্বিতীয় দিনে তার চেয়ে কিছুটা কমল তাপমাত্রা। তবে সোমবার পারদ নিম্নমুখী হলেও তা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। আজ কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ডিগ্রি বেশি ।

    কলকাতার আবহাওয়া

    আবহাওয়ার (West Bengal Weather) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, কলকাতা ও তার আশেপাশের এলাকার আকাশ মোটামুটি পরিস্কার থাকবে। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে সকালের দিকে কুয়াশায় ঢেকে যাবে গোটা বাংলা। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ২৭ ও ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। রবিবার, বছরের প্রথম দিনে যা ছিল ১৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯১ শতাংশ। 

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী রবিবার ১৩ ডিগ্রির নিচে নামতে পারে কলকাতার তাপমাত্রা। এই সপ্তাহের বৃহস্পতিবার থেকেই পরিবর্তন হবে তাপমাত্রার। জেলার তাপমাত্রা আরও তিন-চার ডিগ্রি নিচে থাকবে। শীতল উত্তুরে বাতাসের প্রভাবে আগামী দু-তিন দিনে অন্তত ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা নামতে পারে।

    আরও পড়ুন: বছরের শেষ দিনেও শীত উধাও! কলকাতায় ঠান্ডা কবে থেকে?

    উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সোমবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং, কালিম্পং-এ হাল্কা বৃষ্টির সঙ্গে হাল্কা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে। অপরদিকে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার শুকনো থাকলেও কোনও কোনও জায়গায় হাল্কা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে। বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। আগামী পাঁচ দিন হিমালয় সংলগ্ন বাংলার রাতের তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলেই জানা যাচ্ছে (West Bengal Weather)।

    দক্ষিণবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের কোনও কোনও জায়গায় হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই দুই জেলায় বৃষ্টি হয়েছে গতকাল রাতেও। বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ ২ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালের মধ্যে সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। তবে আগামী পাঁচ দিন রাতের তাপমাত্রার তেমন বড় কোনও পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (West Bengal Weather)।

  • Nasik Fire: নাসিকের কারখানায় আগুন, মৃত ২, আহত কমপক্ষে ১৭

    Nasik Fire: নাসিকের কারখানায় আগুন, মৃত ২, আহত কমপক্ষে ১৭

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের প্রথম দিনই এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হল মহারাষ্ট্র। রবিবার সকালে নাসিকের (Nasik Fire) ইগতপুরী জেলার মুন্ডেগ্রামের জিন্দাল গোষ্ঠীর একটি কারখানায় আগুন লেগে যায়৷ এদিন হঠাতই কারখানা থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন কারখানার কয়েকজন কর্মী৷ তারপর তাঁরাই দমকলে খবর দেন৷ খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকল কর্মীরা৷ আগুনের উৎস সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি৷ শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ২ জন শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে একজন মহিলা শ্রমিক। ৭০ শতাংশ পুড়ে যান তিনি। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন কমপক্ষে ১৭ জন শ্রমিক। এদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা সঙ্কটজনক।

    কী ঘটেছে?  

    স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকাল ১১:৩০ মিনিট নাগাদ হঠাতই কারখানার ভিতর থেকে আগুন বেরোতে দেখা যায়৷ আকাশ কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়৷ সেই সময়ে কারখানার ভিতরে প্রায় ২৫০ জন কর্মী উপস্থিত ছিলেন৷ তাঁদের অধিকাংশই নিরাপদে কারখানার বাইরে বেরোতে সক্ষম হন৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওযার আগেই দমকল কর্মীরা দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করে৷ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন স্থানীয় কালেক্টর গঙ্গাথরণ ডি ও এস পি (রুরাল) সচিন পাতিল ৷ ইগতপুরী এবং নাসিক (Nasik Fire) থেকে দমকলের ১২টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে৷

    আরও পড়ুন: ২০২৩- এর বিশ্বকাপ দলের ২০ জনের নাম ঘোষণা বিসিসিআই- এর, আইপিএল নিয়েও বড় সিদ্ধান্ত

    উদ্ধারকারী দলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কারখানায় বিপুল পরিমাণে দাহ্য পদার্থ রয়েছে। এছাড়া কারখানা চত্বরে বড় শুকনো ঘাস থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সমস্যা হচ্ছে।

    মহারাষ্ট্রের (Nasik Fire) মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এক বিবৃতিতে বলেন, “১১ জন গুরুতর আহতকে নাসিকের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কারখানাটিতে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রে কাজ হত। ফলে ভেতরে লোক কম ছিল সেই সময়। উদ্ধারকাজে গতি আনার জন্য সরকারের তরফে যাবতীয় সহযোগিতা করা হচ্ছে।” মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “আমাদের কর্মকর্তা, জেলা কালেক্টর, পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে রয়েছেন। যাবতীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।” হাসপাতালে আহতদের দেখতেও যান মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে ৫ লক্ষ টাকা করে সরকারি সাহায্য দেওয়া হয়েছে মৃত শ্রমিকের পরিবারকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • BCCI: ২০২৩- এর বিশ্বকাপ দলের ২০ জনের নাম ঘোষণা বিসিসিআই- এর, আইপিএল নিয়েও বড় সিদ্ধান্ত

    BCCI: ২০২৩- এর বিশ্বকাপ দলের ২০ জনের নাম ঘোষণা বিসিসিআই- এর, আইপিএল নিয়েও বড় সিদ্ধান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখন থেকেই ২০২৩- এর বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ভারত। ২০১১ সালের পর ২০২৩ সালে ওডিআই বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ ভারত। তাই এবারের ওডিআই বিশ্বকাপকে পাখির চোখ করে এগোতে চায় বিসিসিআই (BCCI)। ২০১১- এর পর কাপও আসেনি দেশে। তারও এক চাপ রয়েছে। এবার ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ তোলার পালা। আর সেই সুযোগকে হাতছাড়া করতে চায় না বিসিসিআই। আর তাই বছরের প্রথম দিনের বৈঠকেই বিশ্বকাপের জন্য ২০ সদস্যকে বেছে নিল তারা। বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ২০ জনের মধ্যে থেকে বিশ্বকাপের আগে চূড়ান্ত ১৫ জনকে বেছে নেবেন নির্বাচকরা। এর অর্থ ২০ জনের উপর বিশ্বকাপ পর্যন্ত কড়া নজর থাকবে বোর্ডের।  

    প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বকাপের আগে পর্যন্ত সিরিজগুলোতে এই ২০ জন প্লেয়ারকে দিয়েই খেলানো হবে। যাতে বিশ্বকাপে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে পারেন তাঁরা এবং ওয়ার্কলোডও দেখা হবে। বৈঠকের পরে নাম না প্রকাশের শর্তে এক বোর্ড কর্তা বলেন, “খুব গঠনমূলক বৈঠক হল। যেখানে আমরা অতীতের পারফরমেন্স নিয়ে বিশ্লেষণ করেছি এবং আগামী লিগগুলোর জন্য একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই লিগের মধ্যে রয়েছে বিশ্বকাপ ও বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। আমরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রাধান্য দিচ্ছি এবং আইপিএল যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটাও দেখতে হবে।” 

    এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে এশিয়া কাপ ও টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের পারফরমেন্স নিয়েও। বিসিসিআই-এর (BCCI) পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এবার থেকে এনসিএ প্লেয়ারদের ফিটনেস নিয়ে আইপিএল-এর ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে কাজ করবে। এরসঙ্গে প্লেয়ারদের ইয়ো ইয়ো পরীক্ষা দিয়ে জাতীয় দলে প্রবেশের মত বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    ইতিমধ্যেই শ্রীলঙ্কা সিরিজ়ের দল বেছে ফেলেছেন নির্বাচকরা। এক দিনের সিরিজ়ে খেলবেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা। হার্দিক পাণ্ডিয়া সেই সিরিজ়ে সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে। দলে রাখা হয়েছে মহম্মদ শামিকেও। রবীন্দ্র জাডেজা এবং যশপ্রীত বুমরা এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন। তাঁদের বাদ দিয়েই দল গঠন করা হয়েছে। সুযোগ দেওয়া হয়েছে উমরান মালিককে। মোট ১৬ জনের দল ঘোষণা করেছে ভারত।

    বোর্ডের বৈঠকে ছিলেন বিসিসিআই (BCCI) সভাপতি রজার বিন্নী, সচিব জয় শাহ, প্রাক্তন নির্বাচক কমিটির প্রধান চেতন শর্মা, ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও কোচ রাহুল দ্রাবিড়। 

    আইপিএল নিয়েও নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ইচ্ছা করলেই যে কোনও ক্রিকেটারকে খেলানো যাবে না আইপিএলে। তার জন্য মানতে হবে নিয়ম। ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে এমন অনেক ক্রিকেটার রয়েছেন যাঁরা চোটপ্রবণ। প্রতি বার আইপিএল খেলতে গিয়ে চোট পান তাঁরা। ফলে দেশের হয়ে তাঁদের পা ওয়া যায় না। সেটা যাতে না হয় তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘বাবার মৃত্যুর সময়ও কর্তব্যে অবিচল ছিলেন মোদি’, স্মৃতির সাগরে ডুব ভিএইচপি নেতার 

    বিসিসিআই (BCCI) জানিয়েছে, যে সব ভারতীয় ক্রিকেটার বেশি চোটপ্রবণ তাঁদের দিকে নজর রাখতে হবে সংশ্লিষ্ট ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি ও জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিকে। তারাই ঠিক করবে, কোন ক্রিকেটারকে কটি ম্যাচে বিশ্রাম পাবেন। দেশের হয়ে যাতে তাঁদের পাওয়া যায়, সেই কথা মাথায় রেখে আইপিএলে বিশ্রাম দিতে হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Xi Jinping: “সামনে আশার আলো…”, নতুন বছরের শুরুতেই বললেন শি জিনপিং

    Xi Jinping: “সামনে আশার আলো…”, নতুন বছরের শুরুতেই বললেন শি জিনপিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুতে দেশের উদ্দেশে ভাষণ দিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। গত সোমবারেই চিনের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন শি জিংপিং। গতকালও তিনি চিনের জনসাধারণের প্রতি বক্তব্য রাখলেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে, চিনে কোভিড ঢেউ একটি নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে এবং এটির বিরুদ্ধে লড়াই করা একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেছেন ‘অসাধারণ প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা অভূতপূর্ব অসুবিধা এবং চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে উঠেছি। এটি কারও জন্য সহজ যাত্রা ছিল না।’

    জাতির উদ্দেশে ভাষণ শি জিনপিং-এর

    গত কয়েকদিনে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার জিনপিং (Xi Jinping) দেশের বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, চিনে করোনার বাড়বাড়ন্তে জিরো কোভিড পলিসি শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু পরে তা দেশবাসীর জন্য ধীরে ধীরে শিথিল করা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, সামনে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেছেন, “করোনা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে আমরা নতুন পর্বে প্রবেশ করেছি। সবাই দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করছে। আশার আলো সামনেই।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের এখনও লড়াই করতে হবে। সবাই অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করছে। চলুন, সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কঠোর পরিশ্রম করি।”

    আরও পড়ুন: ‘বাবার মৃত্যুর সময়ও কর্তব্যে অবিচল ছিলেন মোদি’, স্মৃতির সাগরে ডুব ভিএইচপি নেতার

    চিনের করোনা পরিস্থিতি

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, চিনে গতকালই নতুন করে ৭০০০ জনের করোনা আক্রান্তের কথা জানা গিয়েছে ও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে চিনাদের বিদেশে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে ও চিনে প্রবেশকারী ব্যক্তিদের বাধ্যতামূলক কোয়ারান্টাইনের নিয়ম সরিয়ে ফেলা হবে। অন্যদিকে এই পরিস্থিতিতে ফ্রান্স এবং ইতালি সহ বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ, পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপান ঘোষণা করেছে যে, চিন থেকে আগত যাত্রীদের করোনার নেগেটিভ টেস্টের রিপোর্ট লাগবে। আবার মরক্কো চিন থেকে আসা সমস্ত যাত্রীদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

    হু-এর সঙ্গে চিনের বৈঠক

    করোনা কেস, ভ্যাকসিন, চিকিৎসার মত বিষয় নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ এবং চিনা কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। সাম্প্রতিক এক বৈঠকে বলা হয়েছে, চিনের উচিত যে কোনও তথ্য গোপন না করে বিশ্বের সঙ্গে শেয়ার করা। তথ্য গোপন করলে সমস্যা আরও বাড়বে। এ কারণে সেখানে করোনার প্রকৃত অবস্থা খুঁজে বের করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share