Blog

  • Nepal on Agnipath: অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে গোর্খা নিয়োগ স্থগিতের আর্জি নেপালের 

    Nepal on Agnipath: অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে গোর্খা নিয়োগ স্থগিতের আর্জি নেপালের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনায় ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পে (Agnipath scheme) গোর্খাদের নিয়োগ (Gorkha Recruitment) স্থগিতের আর্জি করল নেপাল। কিছুদিন পরেই নেপাল (Nepal) সফরে যাবেন ভারতীয় সেনাপ্রধান। নেপাল সেনাবাহিনীর ‘সাম্মানিক জেনারেল’ পদে ভূষিত করা হবে ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডেকে (Manoj Pande)।  

    সেনাবাহিনীতে ভারত ও নেপালি গোর্খাদের নিয়ে গোর্খা রেজিমেন্ট ৪৩টি গোর্খা ব্যাটালিয়ন রয়েছে। নেপালের অর্থনীতিতেও বড়সড় ভূমিকা রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর। তবে অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে গোর্খা সেনা নিয়োগ স্থগিত করতে ভারতকে অনুরোধ করেছে নেপাল। নেপাল বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য, বিষয়টি যেহেতু নতুন, তাই নেপালের সব রাজনৈতিক দল এই বিষয়ে আলোচনায় বসতে চায়। সেই অবধি সময় দিক ভারতীয় সেনা (Indian Army)। সেনায় অস্থায়ী এই চাকরি ব্যবস্থা নেপাল-ভারত-ব্রিটেনের আগের চুক্তির পরিপন্থী বলেও দাবি করেছে নেপাল সরকার। 

    আরও পড়ুন: অগ্নিবীর পরীক্ষার ফল প্রকাশ করল বায়ুসেনা, দেখবেন কী করে?

    ভারতীয় সেনায় করোনা ঢেউ আসার আগে অবধিও প্রতি বছর ১২০০-১৫০০ নেপালি গোর্খা চাকরি পেয়েছেন। ভারতীয় সেনায় চাকরি করে হাজার-হাজার নেপালি গোর্খা। পেনশনও পান অনেকে। 

    সম্প্রতি নেপালের বিদেশমন্ত্রী নারায়ণ খড়কে (Narayan Khadke) সেদেশে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত নবীন শ্রীবাস্তবকে অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে আপত্তির কথা জানিয়েছেন। বর্তমানে অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমেই ভারতীয় সেনায় নিয়োগ চলছে। নেপালের বিদেশমন্ত্রীর মতে, “এখন গোর্খাদের ভারতীয় সেনায় যেভাবে নিয়োগের কথা বলা হচ্ছে তা ১৯৪৭-এর ৯ নভেম্বর নেপাল-ভারত-ব্রিটেনের মধ্যে স্বাক্ষরিত ত্রিপাক্ষিক চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কাঠমাণ্ডু রাজনৈতিক দল এবং এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল মহলের প্রত্যেকের সঙ্গে বিস্তারিতভাবে আলোচনার পরেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।”      

    নেপালের বিদেশ মন্ত্রী আরও বলেন, “১৯৪৭-এর যে চুক্তির ভিত্তিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে গোর্খাদের নিয়োগ করা হয়, অগ্নিপথ প্রকল্পের অধীনে ভারতীয় সেনায় নতুন নিয়োগ নীতি তার থেকে আলাদা। তাই নেপালকেও নতুন এই নীতি সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে হবে।”

    আরও পড়ুন: নেপালি এবং গোর্খাদেরও সেনায় নিয়োগ করা হবে অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে 

    ১৯৪৭-র ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে বলা হয়, ভারতীয় সেনাদের মতোই বেতন, অবসরভাতা এবং অন্যান্য সুযোগ- সুবিধা দিতে হবে গোর্খাদের। নেপালের আশঙ্কা, অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়োগ হলে সেই চুক্তি বিঘ্নিত হতে পারে। সেনায় চাকরি করার সুবাদে বহু গোর্খা ভারতেই থেকে যান। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়োগের ৪ বছরের মাথায় যাঁদের বসিয়ে দেওয়া হবে, তাঁদের ভবিষ্যৎ কী হবে? সেই প্রশ্ন তুলেছে নেপাল সরকার। আলোচনায় বসতে চায় প্রতিবেশী দেশ। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে নেপাল গোর্খাদের নিয়োগ করতে চলেছে ভারতীয় সেনা। তারপর নেপালের তরফ থেকে এই দাবি ওঠে। কিন্তু ভারতের তরফে পরিষ্কার করা হয়েছে, এখন প্রক্রিয়া স্থগিত করা সম্ভব নয়।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
      

     

  • CJI UU Lalit: প্রধান বিচারপতি পদে শপথ ললিতের, লক্ষ্য, দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করা

    CJI UU Lalit: প্রধান বিচারপতি পদে শপথ ললিতের, লক্ষ্য, দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ৪৯তম প্রধান বিচারপতি (CJI) পদে শপথ নিলেন উদয় উমেশ ললিত (UU Lalit)। শনিবার তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। এদিন সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে ললিতকে শপথবাক্য পাঠ করান দেশের পঞ্চদশতম রাষ্ট্রপতি। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি পদে অবসর নিয়েছেন এনভি রামানা (NV Ramana)। তাঁরই স্থলাভিষিক্ত হলেন প্রধান বিচারপতি ললিত। প্রথা অনুযায়ী, অবসর গ্রহণের আগে আগে পরবর্তী প্রধান বিচারপতির নাম প্রস্তাব করেন প্রধান বিচারপতি। সেই মতো ললিতের নাম প্রস্তাব করেন রামানাই। পরে তাতে সিলমোহর দেন রাষ্ট্রপতি। প্রসঙ্গত, মাত্র ৭৪ দিনের জন্য প্রধান বিচারপতি পদ অলঙ্কৃত করবেন ললিত। কারণ সুপ্রিম কোর্টে অবসর গ্রহণের বয়স ৬৫ বছর।  

    এদিনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ললিত পরিবারের তিন প্রজন্ম। এবং তিনজনেই রয়েছেন আইনি পেশায়। ললিতের বাবা উমেশ রঙ্গনাথ ললিতের বয়স ৯০। প্রবীণ এই আইনবিদ হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। তাঁর বাবা রঙ্গনাথ ললিত স্বাধীনতার আগে সোলাপুরের আইনজীবী ছিলেন। এদিনের অনুষ্ঠানে দুই ছেলেকে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন ললিতের স্ত্রী অমিতা। নয়ডায় তিনি একটি স্কুল চালান। তাঁর দুই ছেলে হর্ষদ ও শ্রীয়েশ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তেন। পরে শ্রীয়েশ আইনের পাঠ নেন। তাঁর স্ত্রী রবীনাও রয়েছেন আইনি পেশায়।

    মহারাষ্ট্রে বাস ললিত পরিবারের। ১৯৮০ সালে দিল্লি আসেন দেশের বর্তমান প্রধান বিচারপতি। তার আগে তিনি প্র্যাকটিস করতেন বম্বে হাইকোর্টে। পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাকটিস করতে শুরু করেন ললিত। দ্রুত নাম করেন ফৌজদারি মামলায়। যেসব হাই-প্রোফাইল মামলা তিনি লড়েছেন, তার মধ্যে উল্লেযোগ্য হল ২জি স্পেকট্রাম অ্যালোকেশন মামলা। ওই মামলায় ললিত নিযুক্ত হয়েছিলেন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে। ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন ললিত। আইনি দক্ষতার জেরে ল’ ইয়ার থেকে সরসরি ওই পদে বসেন তিনি। তার পর প্রধান বিচারপতি পদে। ললিত বলেন, আমি বিশ্বাস করি যে দেশের শীর্ষ আদালতের ভূমিকা হল আইনের ব্যাখ্যা দেওয়া। বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠিয়ে যত দ্রুত সম্ভব মামলার নিষ্পত্তি করা।

    আরও পড়ুন : খয়রাতি ও জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের মধ্যে বিভাজন রেখা প্রয়োজন, মত সুপ্রিম কোর্টের

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Sonali Phogat Death: সোনালিকে জোর করে খাওয়ানো হয়েছিল মাদক, চাঞ্চল্যকর দাবি গোয়া পুলিশের 

    Sonali Phogat Death: সোনালিকে জোর করে খাওয়ানো হয়েছিল মাদক, চাঞ্চল্যকর দাবি গোয়া পুলিশের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত বিজেপি নেত্রী এবং টিকটক স্টার সোনালি ফোগাটের (Sonali Phogat) মৃত্যুর তদন্তে নেমে পুলিশ পরতে পরতে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছে। এবার এক চাঞ্চল্যকর দাবি করল গোয়া পুলিশ। পুলিশের দাবি, সোনালিকে একটি বোতলের মধ্যে ১.৫ গ্রাম এমডিএমএ নামক মাদক (Drug) দেওয়া হয়েছিল। তাঁর আপ্তসহায়ক অভিযুক্ত সুধীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একথা জানতে পেরেছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: সোনালি ফোগাটের পোস্টমর্টেম রিপোর্টে ঘনীভূত রহস্য, গ্রেফতার দুই সহকারী

    তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ (Goa Police) জানতে পেরেছে, সোনালিকে জোর করে  এই মাদক খাওয়ানো হয়েছিল। ইতিমধ্যেই সোনালির সহকারী সুধীর ও সুখবিন্দরকে গ্রেফতার করেছে গোয়া পুলিশ। পরিবারের সদস্যরা সুধীরের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেছেন। পুলিশের তদন্তেও উঠে এসেছে সেরকমই কিছু তথ্য। একটি নতুন সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের হাতে এসেছে। তাতে দেখা গিয়েছে, সোনালিকে বোতল থেকে কিছু একটা দিচ্ছেন সুধীর। সোনালি বার বার বাঁধা দিচ্ছিলেন তাঁকে। খেতে চাইছিলেন না তিনি। পুলিশের অনুমান, সেটাই ছিল সেই মাদক। নিশ্চিত করতে রাসায়নিক পরীক্ষা করা হচ্ছে।   

    পুলিশের মাদকতত্ত্ব মেনে নিয়েছেন অভিযুক্তও। স্বীকার করেছেন, সোনালিকে মাদক দেওয়া হয়েছিল। তবে মাদকের কারণে সোনালির মৃত্যু হয়েছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, সোনালির শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁকে ভোঁতা কোনও অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ খুনের ধারায় এফআইআর করেছে।  

    আরও পড়ুন: ধর্ষণ করে খুন বিজেপি নেত্রীকে! বিস্ফোরক অভিযোগ সোনালি ফোগাটের পরিবারের

    এদিকে শনিবার সকালে পুলিশ সোনালি যে রেস্তোরাঁর শেষবার খেয়েছিলেন তার মালিককে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, কার্লিস রেস্তোরাঁর (Goa Curlis Restaurant) মালিক এডউই নানসকে প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁর বক্তব্য একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ায় এবং রেস্তোরাঁর শৌচালয় থেকে মাদক উদ্ধার হওয়ার পরই গ্রেফতার করা হয় মালিককে। মাদক পাচারকারী সন্দেহে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান, এই ধৃত ব্যক্তিই ওইদিন সোনালি ফোগাটকে খাওয়ানোর জন্য মাদক সরবরাহ করেছিলেন রেস্তরাঁয়। 

    পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। গ্রেফতার হওয়া দুই আপ্তসহায়কের একজনের নথিতে সোনালি ফোগাটকে তাঁর স্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যত দিন যাচ্ছে, তত ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। উল্লেখ্য, এই দুই আপ্ত সহায়ককে আরও ১০ দিনের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Rice Mills and Cattle Smuggling: বীরভূমে ১৭টি চালকলে ঢুকেছে গরু পাচারের টাকা?  কেষ্টর যোগসূত্রে তদন্তে ইডি-সিবিআই

    Rice Mills and Cattle Smuggling: বীরভূমে ১৭টি চালকলে ঢুকেছে গরু পাচারের টাকা? কেষ্টর যোগসূত্রে তদন্তে ইডি-সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচারের (Cattle Smuggling) তদন্তে নেমে বীরভূমেই অন্তত ১৭টি চালকলের সন্ধান পেল ইডিসিবিআই (ED-CBI)। জেলার ৮২টি চালকলের মধ্যে এই ১৪টি চালকলে তৃণমূল বোমমারা নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যোগসূত্র রয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তবে তদন্ত এখানেই থেমে থাকছে না জেলার এক মন্ত্রী এবং এক বিধায়কের বকলমে নেওয়া কয়েকটি চালকলের সন্ধানও তদন্তকারীরা পেয়েছেন। অনুব্রত পর্ব মেটার পরই ওই চালকলগুলি নিয়ে তদন্ত শুরু করবে ইডি। কারণ, জানা গিয়েছে, গত পাঁচ বছরে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা মিশনের অধীনে যে চাল মিলগুলি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল তাতেও প্রভাব খাটানো হয়েছে। বীরভূমের অন্য চালকলগুলিকে বঞ্চিত করে বিপুল পরিমাণে চাল রাজ্য খাদ্য দফতরকে সরবরাহ করেছে অনুব্রত ও তার বেনামে থাকা চালকলগুলি। অন্য চালকল মালিকেরা সে বিষয়ে ইতিমধ্যেই বিশদ তথ্য তদন্তকারীদের হাতে তুলে দিয়েছে।

    আরও পড়ুন: সিবিআই থেকে জেল হেফাজত হতেই কেষ্ট-‘কলঙ্ক’ ঝেড়ে ফেলতে চাইছে তৃণমূল?

    তদন্তকারী সূত্রের খবর, ২০১১ সালে সরকারে আসার পর থেকেই বীরভূমের একের পর এক চালকল হাতে নিতে থাকেন অনুব্রত ও তাঁর বেনামিরা। গত ১১ বছরে এমনই ১৭টি মিল দখল করেছে তাঁরা। এখন ইডির তদন্তের সামনে তাঁদের দেখাতে হবে, কীভাবে লগ্নি এনে এই চালকলগুলি তাঁরা দখল করেছিলেন বা কিনে নিয়েছিলেন। তদন্ত সংস্থা সূত্রের দাবি, শ্রী অম্বিকা, শান্তিময়ী, সাংড়া, সর্বোত্তম, জয় মা দুর্গা, জয় মা ভগবতী, জয় মা মহায়ামা, শ্রী কৃষ্ণ, শিবশম্ভু, মোহনানন্দ, জয় ভারত, সিউড়ি কেন্দ্রীয় সমবায় কৃষি বিপণনের নামে থাকা মিল, ইলামবাজারের জোনাল কোঅপারেটিভের অধীনে থাকা চালকল, ভোলে ব্যোম, বাবা জম্পেশ্বর, জয় বাবা জম্পেশ্বর, জম্পেশ্বর অ্যাগ্রো নামে চালকলগুলিতে অনুব্রত মণ্ডলের বিনিয়োগ লুকিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এছাড়া বর্ধমান এবং পুরুলিয়ার কয়েকটি মিলেও নজর রয়েছে তদন্তকারীদের।

    ইডি-সিবিআইয়ের দাবি, অনুব্রতের কন্যা, বিদ্যুৎ গায়েন, রাজীব ভট্টাচার্য, চন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, সঞ্জীব মজুমদার, রাজা ঘোষ, সিদ্ধার্থ মণ্ডলের নামে থাকা মিলগুলি নিয়ে তদন্ত চালানো হচ্ছে। চালকল মালিকদের নথিপত্র, ব্যাংকের কাগজপত্র দেখিয়ে প্রমাণ করতে হবে তাঁরা অনুব্রত মণ্ডলের টাকা এই চালকলগুলিতে খাটাচ্ছেন না। তাঁদের নিজস্ব বিনিয়োগের তথ্যও দিতে হবে। 

    আরও পড়ুন: সিবিআই হেফাজত শেষ, জেলেই গেলেন অনুব্রত

    তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ২০১৪ সালের পর থেকে পর পর চালকলে যে বিপুল বিনিয়োগ হয়েছে তাতে গরু, কয়লা, বালি, পাথরের বেআইনি টাকা ঢুকে থাকতে পারে। সেই কারণেই তদন্তের মুখে এই ১৭টি মিল। তদন্তকারীদের বক্তব্য, ওই মিলগুলির মালিকরা তাঁদের স্বাধীন লগ্নির তথ্য না দিতে পারলে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মামলা আলাদাভাবে রুজু হবে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Asia Cup 2022: ‘বিরাট’ ব্যাটে ভরসা! শততম ম্যাচে শতরানের আশায় নয়া হাতিয়ার কোহলির

    Asia Cup 2022: ‘বিরাট’ ব্যাটে ভরসা! শততম ম্যাচে শতরানের আশায় নয়া হাতিয়ার কোহলির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভাগ্য বদলানোর আশায় ব্যাটটাই পাল্টে ফেললেন বিরাট। এশিয়া কাপে রানমেশিনের নয়া হাতিয়ার গোল্ড উইজার্ড ব্যাট।আগামী রবিবার দুবাইয়ে চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের (India vs Pakistan) মুখোমুখি ভারত। এই ম্যাচ দিয়েই এশিয়া কাপে (2022 Asia Cup) অভিযান শুরু করতে চলেছে টিম ইন্ডিয়া (Team India)। বিরাটের কেরিয়ারে এটি শততম আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ। শততম ম্যাচে শতরানের আশাতেই ব্যাট বদল বিরাটের (Virat Kohli)।

    বিশেষভাবে তৈরি এই ব্যাটের দাম কমপক্ষে ২২ হাজার টাকা। বিরাট যে ব্যাট বর্তমানে ব্যবহার করেন তার থেকে সামান্য ভারী নতুন ব্যাটটি। ওজন ১.১৫ কিলোগ্রাম। এখনকার ব্যাটের ওজন ১.১ কিলোগ্রাম। শেষ মুহূর্তে শটের গতিপথ পরিবর্তনে সাহায্য করে হালকা ওজনের ব্যাট। কবজি ঘুরিয়ে শট খেলা প্রতিভাধর ক্রিকেটারদের মধ্যে একজন কোহলি। ব্যাটের ওজনের সামান্য তারতম্য বিপক্ষের বোলারদের ডেলিভারি দূরে আছড়ে ফেলতে সাহায্য করতে পারে বিরাটকে।

     

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by Saurav Yaduvanshi (@sports.launchpad)

     

    সচিন তেন্ডুলকর এবং বীরেন্দ্র সেহওয়াগ, দু’জনেই প্রায় ১.৩৫ কেজি ওজনের ভারী ব্যাট ব্যবহার করতেন।  ভারী ব্যাট ব্যবহারের জন্য জিমে গিয়ে পেশি শক্তি বাড়ানোর দিকে জোর দিয়েছেন বিরাট। কোহলি এখন এমআরএফের ব্যাট ব্যবহার করেন। তবে এবার তাঁর ব্যাটে লেখা থাকবে এমআরএফ গোল্ড উইজার্ড। এতদিন অবধি বিরাট খেলছিলেন এমআরএফ জিনিয়াস ব্যাট নিয়ে।

    আরও পড়ুন: এশিয়া কাপে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রহকারী পাঁচ ব্যাটসম্যান

    ইতিমধ্যেই বিরাট কোহলি ভারতীয় ক্রিকেট দলের (Indian Cricket Team)  সঙ্গে দুবাইয়ে (Dubai) অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন। ভারতীয় ক্রিকেট দলের এই প্রাক্তন অধিনায়ককে নেটে দুর্দান্ত ফর্মে দেখতে পাওয়া গিয়েছে। নেটে রবীন্দ্র জাদেজা, যুজবেন্দ্র চাহাল এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে তিনি নির্বিচারে ব্যাট হাতে ঠেঙিয়ে যাচ্ছেন।

    এশিয়া কাপেই ভারতীয় ক্রিকেট দলে প্রত্যাবর্তন করেছেন কোহলি। গত জুলাই মাসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জাতীয় ক্রিকেট দলের জার্সিতে তাঁকে শেষবার দেখতে পাওয়া গিয়েছিল।  বিগত কয়েকবছর ধরেই বিরাটের ব্যাটে রানের খরা অব্যাহত। ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসের পর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর কোনও শতরান করতে পারেননি কিং কোহলি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India Votes against Russia: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রথম রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিল ভারত!

    India Votes against Russia: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রথম রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিল ভারত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই প্রথম রাশিয়ার (Russia) বিরুদ্ধে ভোট দিল ভারত (India)। এই মুহূর্তে চলছে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War)। এহেন আবহে ভারতের এই অবস্থান তাৎপর্যপূর্ণ বই কি!

    ২৪ অগাস্ট রাষ্টসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বৈঠকে অংশ নিতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে ভোটাভুটি হয়। সেই ভোটাভুটিতেই রাশিয়ার বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ভারত। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেনের ওপর ভোটাভুটিতে এতদিন অংশ নেয়নি নয়াদিল্লি। এবার নিল। এবং ভোট দিল রাশিয়ার বিপক্ষেই। আমেরিকা সহ পশ্চিমি দেশগুলি রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক ও অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে তাঁদের অভিযোগ, ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে পুতিনের দেশ।

    আরও পড়ুন : রাশিয়া থেকে আমদানি কমিয়েছে ভারত, বেড়েছে সৌদি আরব থেকে তেল কেনা

    ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে পশ্চিমি দেশগুলি। তবে নয়াদিল্লি এর থেকে ছিল যোজন দূরে। ভারত রাশিয়া এবং ইউক্রেন দুই দেশের সঙ্গেই ‘বন্ধুত্বে’র সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে এতদিন। নয়াদিল্লি এও জানিয়েছিল, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধাবসানে যা করণীয়, তাই করবে সাউথব্লক। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য সংখ্যা পাঁচ। এই পাঁচটি দেশ হল, আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন, চিন এবং ফ্রান্স। অস্থায়ী সদস্য দেশের সংখ্য ১০। এই সদস্য দেশগুলি নির্বাচিত হয় দু বছরের জন্য। এই মুহূর্তে ভারত নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য। চলতি বছরের ডিসেম্বরেই শেষ হবে যার মেয়াদ।

    ইউক্রেনের ৩১তম স্বাধীনতার আবহে রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ২৪ অগাস্ট বৈঠক বসে নিরাপত্তা পরিষদে। সেখানেই রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ান অ্যাম্বাসাডর ভ্যাসিলা এ নেবেনজিয়া (Vassily A. Nebenzia) ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভিডিও টেলিকনফারেন্সে এই বৈঠকে অংশ নেবেন কিনা, তা নিয়ে ভোটাভুটি করতে অনুরোধ করেন। এই ভোটেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেয় ভারত। ভোটের ফল বের হলে দেখা যায়, ইউক্রেনের পক্ষে ভোট পড়েছে ১৩টি। বিপক্ষে একটি। অর্থাৎ রাশিয়া ভোট দিয়েছে বিপক্ষে। ভোটদানে বিরত ছিল চিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Raju Srivastava: সুস্থতার পথে রাজু শ্রীবাস্তব! ১৫ দিনের লড়াই শেষে অবশেষে জ্ঞান ফিরল কমেডিয়ানের

    Raju Srivastava: সুস্থতার পথে রাজু শ্রীবাস্তব! ১৫ দিনের লড়াই শেষে অবশেষে জ্ঞান ফিরল কমেডিয়ানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে জ্ঞান ফিরল জনপ্রিয় অভিনেতা তথা কমেডিয়ান রাজু শ্রীবাস্তবের (Raju Srivastava)। গত ১০ অগাস্ট থেকে দিল্লির এইমস-এ ভর্তি ছিলেন তিনি। ১৫ দিন পর আজ তাঁর জ্ঞান ফিরল। সেখানকার চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন শিল্পী। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, রাজুর শরীর ধীরে ধীরে ভাল হচ্ছে, সুস্থতার দিকে এগোচ্ছেন তিনি। স্বস্তিতে তাঁর অনুরাগীরা।

    আজ রাজু শ্রীবাস্তবের সহকারী গর্বিত নারাঙ (Garvit Narang) জানিয়েছেন, পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে রাজুর। আজ তাঁর ১৫ দিন পর জ্ঞান ফিরেছে। তিনি বর্তমানে এইমসের ডাক্তারদের নজরে আছেন। আবার, কিছুদিন আগেই ৩ মিনিটের ভিডিও পোস্ট করেছিলেন রাজু শ্রীবাস্তবের ভাই দীপু শ্রীবাস্তব। সেখানে তিনি রাজুর শারীরিক অবস্থার খবর দিয়েছিলেন। সেইসঙ্গে গুজব ছড়ানোর বিষয়েও বলেন তিনি। তিনি জানিয়েছিলেন, যাঁরা ছড়িয়েছিলেন তাদেরকেও কটাক্ষ করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: ‘রাজু এখন স্থিতিশীল’, ব্রেন ডেথের গুজব ওড়ালেন রাজু শ্রীবাস্তবের স্ত্রী

    প্রসঙ্গত, গত ১০ অগাস্ট জিম করতে গিয়েই হার্ট অ্যাটাক হয় অভিনেতার। শরীরচর্চা করতে করতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ট্রেডমিলের উপরেই পড়ে যান তিনি। তারপরই তড়িঘড়ি করে দিল্লির এইমস হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। মাঝখানে তাঁর ব্রেন ডেথের মত গুজবও শোনা গিয়েছিল। তাঁর স্বামীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে নানা ধরনের গুজব রটায় ভীষণ বিরক্ত ছিলেন তিনি। পরে তিনি ব্রেন ডেথের ঘটনাকেও গুজব বলেছিলেন।

    তাঁর স্বামীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলেও তিনি দৃঢ়বিশ্বাসী ছিলেন ও বলেছিলেন যে রাজু অবশ্যই ফিরে আসবেন ও সবাইকে হাসাবেন। তিনি আরও বলেছিলেন “আমার স্বামী একজন যোদ্ধা, আমি নিশ্চিত, উনি এই যুদ্ধ শেষে ফিরে আসবেই।“ এবং তাঁর বিশ্বাসই রাজুকে যেন আবার ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

     

  • India-China-US: চিন সীমান্তের কাছে ভারত-মার্কিন সেনা মহড়া! বেজিংয়ের আপত্তি উড়িয়ে দিল দিল্লি

    India-China-US: চিন সীমান্তের কাছে ভারত-মার্কিন সেনা মহড়া! বেজিংয়ের আপত্তি উড়িয়ে দিল দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের (China) সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই হিমালয় পর্বতে যৌথ সামরিক মহড়া চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা (US) ও ভারত (India)। এতে আপত্তি জানিয়েছিল বেজিং। কিন্তু তাকে আমল দিতে নারাজ দিল্লি। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে চিনের সমালোচনা করে বলা হয়,   ভারত স্বাভাবিক ভাবে অবৈধ, অনুচিত কোনও কাজ করে না। সেনা প্রশিক্ষণের স্বার্থে এই মহড়া জরুরি।  

    আগামী ১৪ থেকে ৩১ অক্টোবর ভারত-চিন সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে মহড়া চালাবে আমেরিকা ও ভারতের সেনা। উত্তরাখণ্ডের আউলিতে অনুষ্ঠিত এই মহড়া নিয়ে আপত্তি তুলেছিল চিন।  হিমালয় পর্বতের দক্ষিণ ঢালে অবস্থিত এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় আউলিতে মহড়া চালাবে দিল্লি ও ওয়াশিংটন। তাতেই বাধা দিয়েছিল বেজিং। চিনের দাবি, সীমান্তে কোনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ চায় না তারা। যদিও ভারতের তরফে বৃহস্পতিবার জানিয়ে দেওয়া হয়, মহড়া চলবে। এটা সীমান্ত সমস্যা মোকাবিলা নয় একটা আনুষ্ঠানিক মহড়া, বলে জানান ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী (arindam bagchi)। তিনি বলেন, “এই মহড়াকে অন্য রং দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এটা কোনও চুক্তিকেই আঘাত করবে না। ভারত শান্তি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। দিল্লি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয় না।”

    আরও পড়ুন: চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরে তৃতীয় দেশের অন্তর্ভুক্তি! কড়া সমালোচনা ভারতের

    আউলি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে প্রায় ৯৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি ভারত ও চিনকে বিভক্ত করেছে। ১৯৬২ সালে চিন-ভারত যুদ্ধের পর থেকে দুই দেশ এই এলাকার মালিকানা দাবি করে আসছে।  

    চিন-তাইওয়ান দ্বন্দ্ব নিয়েও মুখ খোলেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী। তিনি দুপক্ষকেই সংযত হতে বললেন। পাশাপাশি আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা যাতে বজায় থাকে তার জন্য নজর রাখার কথা বললেন দুই দেশকেই। প্রসঙ্গত জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবারও তাইওয়ান প্রণালীতে চিনা নৌবাহিনীর ৬ টি জাহাজ ঢুকে পড়েছে। এমনকি ২১ টি চিনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ান প্রণালীর ওপর ঘুরে বেড়াচ্ছে। চিন তাইওয়ান যুদ্ধ আবহে ইতিমধ্যেই ব্যাপক উদ্বেগ বেড়ে গিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Anubrata Mondal: কৌশিকী অমাবস্যায় জেলেই মা তারার ছবিতে পুজো কেষ্টর, বিতরণ করলেন নকুলদানাও!

    Anubrata Mondal: কৌশিকী অমাবস্যায় জেলেই মা তারার ছবিতে পুজো কেষ্টর, বিতরণ করলেন নকুলদানাও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ কৌশিকী অমাবস্যা (Kaushiki Amavasya 2022)। ধুমধামের সঙ্গে এই বিশেষ দিন পালিত হচ্ছে। এর জন্য সেজে উঠেছে বীরভূমের (Birbhum) তারাপীঠ মন্দির (Tarapith Temple)। অতীতে, প্রতিবছর এই কৌশিকী অমাবস্যা ঘটা করে পালন করে এসেছেন মা কালীর (Goddess Kali) ভক্ত অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। আর কালীপুজোর আয়োজনে কোনও খামতি থাকত না। জাঁকজমক করে এই উৎসব পালন হত তাঁর বাড়িতে। শোনা যায়, কালীপুজোয় প্রতিমাকে প্রায় ২৫০-৩০০ ভরি সোনার গয়নায় সাজিয়ে পুজো করতেন অনুব্রত। আবার কখনও, সোজা তারাপীঠ মন্দিরে হাজির হয়ে যেতেন বীরভূমের একসময়ের ‘বেতাজ বাদশা’।

    কিন্তু, এবছর যেন সব ওলট-পালট হয়ে গিয়েছে। গরুপাচার মামলায় এখন শ্রীঘরে রয়েছেন কেষ্ট। বর্তমানে, কেষ্টর ঠিকানা আসানসোল জেল (Asansol Jail)। সেখানেই ১৪ দিনের হাজতবাস কাটাচ্ছেন তিনি। এমতাবস্থায়, কার্যত বাধ্য হয়ে জেলের মধ্যেই পুজো সারলেন কেষ্ট। সূত্রের খবর, এদিন, জেলেই পুজো দিলেন অনুব্রত। সংশোধনাগারে মায়ের কোনও বিগ্রহ নেই। তবে মা কালীর একটা ছবি আছে। সকাল সকাল স্নান সেরে আসানসোল সংশোধনাগারের হনুমান মন্দিরে মা তারার ছবিতে লাল জবা, ধুপ ও নকুলদানা দিয়ে পুজো দিলেন অনুব্রত। তাঁর প্রসাদও অন্যান্য বন্দিদের মধ্যে বিতরণ করেন অনুব্রত।

    আরও পড়ুন: বীরভূমে ১৭টি চালকলে ঢুকেছে গরু পাচারের টাকা? কেষ্টর যোগসূত্রে তদন্তে ইডি-সিবিআই

    এদিকে, সূত্রের আরও খবর, আসানসোল সংশোধনাগারে যে হাসপাতাল রয়েছে, সেই  দু’টি ঘরের মধ্যে একটিতে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। ওই ঘর লাগোয়া পৃথক কমোডযুক্ত শৌচাগারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে তাঁর জন্য। তবে সংশোধনাগারে কেষ্টকে কোনও  বিশেষ আতিথেয়তা দেওয়া হচ্ছে না বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি। সিবিআই-এর বিশেষ আদালতের নির্দেশে প্রতি ৪৮ ঘণ্টা অন্তর হচ্ছে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা৷ গত স্বাস্থ পরীক্ষায় জানা গিয়েছে তাঁর ওজন কমেছে৷ জানা গিয়েছে, গত ১৫ দিনে অনুব্রত মণ্ডলের ৩ কেজি ওজন কমে গিয়েছে৷ ১১২ কেজি থেকে কমে এখন তাঁর ওজন দাঁড়িয়েছে ১০৯ কেজি৷ অনুব্রতর শারীরিক অসুস্থতার কথা চিন্তা করে আপাতত জেলের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে তাঁকে৷

    আরও পড়ুন: সিবিআই থেকে জেল হেফাজত হতেই কেষ্ট-‘কলঙ্ক’ ঝেড়ে ফেলতে চাইছে তৃণমূল?

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Calcutta High Court: বকেয়া ডিএ না মিটিয়ে পুজোয় অনুদান! দুর্নীতিকে আড়াল নাকি নজরে পঞ্চায়েত?

    Calcutta High Court: বকেয়া ডিএ না মিটিয়ে পুজোয় অনুদান! দুর্নীতিকে আড়াল নাকি নজরে পঞ্চায়েত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া রয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘভাতা বা ডিএ (Dearness Allowance)। ২০ মে সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ তিন মাসের মধ্যে রাজ্যকে মেটানোর নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেই সময়সীমার আড়াই মাসের মাথায় নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার (West Bengal Govt.)।

    ডিএ (DA) নিয়ে টালবাহানার এই আবহে দুর্গোৎসবের (Durga Puja 2022) দেড়মাস আগে রাজ্যের ৪৩ হাজার পুজো কমিটিকে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। এহেন সরকারি সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে তিনটি মামলা। শুক্রবার ওই মামলার শুনানি হতে পারে বলে একটি সূত্রের খবর। 

    গত বছর পুজো কমিটিগুলিকে দেওয়া হয়েছিল ৫০ হাজার করে টাকা। এবার অনুদানের পরিমাণ বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬০ হাজার। সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ বিলেও ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কেবল অনুদান বাবদ যে টাকা দেওয়া হবে পুজো কমিটিগুলিকে, তার পরিমাণ ২৪০ কোটি ৫৫ লাখ ২০ হাজার টাকা।

    সরকারের এহেন ‘অনুদান’-এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। মামলাকারীদের প্রশ্ন, আদালতের নির্দেশ মেনে সরকারি কর্মীদের ডিএ না দিয়ে পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন? কেন বিদ্যুৎ বিলে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত? যেখানে বহু মানুষ এখনও খাবার, বিশুদ্ধ জল, বিদ্যুৎ, ওষুধ পাচ্ছেন না, সেখানে কেন এই খয়রাতি? কোন বৃহত্তর স্বার্থে লাগবে এই অনুদান?

    আরও পড়ুন : কল্যাণী এইমস মামলায় বিপাকে সিআইডি, তদন্ত চালাতে লাগবে কেন্দ্রের অনুমতি, জানাল হাইকোর্ট

    প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ-র ফারাক ৩১ শতাংশ। পুজো কমিটিগুলিকে সরকারি অনুদানের সিদ্ধান্তে সোচ্চার হয়েছেন বিরোধীরা। বিরোধীরা বলছেন, এই গরু চুরির টাকায় পুজোর অনুদান দেওয়া হচ্ছে। এই চুরির টাকায় কতজন মানুষ পুজো করবে বা দেখতে আসবেন, তা ঈশ্বরই জানেন।

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, আগামী বছর রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (West Bengal Panchayat Elections)। সেই কারণে দরাজ হস্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata)। অন্য একটি কারণও রয়েছে। সেটি হল, এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি, গরু এবং কয়লা পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছে দলের হেভিওয়েট দুই নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তার জেরে মুখ পুড়েছে তৃণমূল সরকারের (TMC Government)। সেদিক থেকে রাজ্যবাসীর অভিমুখ ঘোরাতেই অনুদানের সিদ্ধান্ত বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share