Blog

  • Apple-1 computer: এবারে নিলামে বিক্রি হল অ্যাপেলের প্রথম কম্পিউটার ‘অ্যাপেল -১’, এর দাম জানেন?

    Apple-1 computer: এবারে নিলামে বিক্রি হল অ্যাপেলের প্রথম কম্পিউটার ‘অ্যাপেল -১’, এর দাম জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এর আগেই নিলামে লাখ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে আইফোনের (Apple IPhone) ফার্স্ট জেনারেশন ২০০৭-এর। এরপর বিক্রি করা হল ১৯৭০ সালের অ্যাপেল ১ কম্পিউটার। এই কম্পিউটাররের প্রোটোটাইপ অ্যাপেলের সিইও স্টিভ জোবস (Steve Jobs) নিজে ব্যবহার করতেন। তবে জানেন কী, এর এটি কত টাকায় নিলাম করা হল। এটি বিক্রি করা হয়েছে ৭ লাখ ডলারে অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৫ কোটি ৫৯ লক্ষ ২৭ হাজার ৯৭০ টাকায়। জানা গিয়েছে, এক কালেক্টর এই নিলামে অ্যাপেলের প্রথম কম্পিউটারটি কিনেছেন।

    আরআর অকশন (RR Auction) একটি বিবৃতি জারি করে জানায়, এই কম্পিউটারটি ১৯৭৬ সালে স্টিভ জোবস পল টেরেল নামক ব্যক্তিকে দেখিয়েছিলেন। বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার স্টোরগুলির মালিকের মধ্যে অন্যতম ছিলেন পল টেরেল (Paul Terrell)। পল টেরেলের ক্যালিফোর্নিয়াতে The Byte Shop নামে কম্পিউটার স্টোর ছিল। অকশনের সময় কম্পিউটারের প্রোটোটাইপটি আসল কিনা তা যাচাই করার জন্য ১৯৭৬ সালে পল টেরেলের পোলারয়েডে তোলা ছবির সঙ্গে মিলিয়েও দেখা হয়। এরপর অ্যাপেল-১ বিশেষজ্ঞ কোরে কোহেন (Corey Cohen) এই ছবি থেকে যাচাই করেছে এবং এই কম্পিউটারের ওপর ভিত্তি করে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেন।

    আরও পড়ুন: নিলাম হল ২০০৭ সালের প্রথম প্রজন্মের আইফোন! দাম শুনলে অবাক হবেন…

    এই কম্পিউটারে MOS 6502-এর সিপিইউ আছে। এতে ৮কেবি (8KB) র‌্যাম, ক্যাসেট সিস্টেমের মত বৈশিষ্ট্য আছে। এছাড়াও এতে পড়া ও লেখাও যেত। এই অ্যাপেল-১ কম্পিউটারটি ১৯৭৬ সালের এপ্রিল মাসে প্রথম লঞ্চ করা হয়েছিল। এটির আসল মূল্য ছিল ৬৬৬ ডলার যা বর্তমানে ৩ হাজার ৪৬০ ডলারের সমান। আরও জানা গিয়েছে, এই অ্যাপেল-১ কম্পিউটারের ২০০টি ইউনিট তৈরি করা হয়েছিল। অনুমান করা হয়েছে, এর মধ্যে ৬২ ইউনিট এখনও রয়েছে।

    প্রসঙ্গত, আরআর অকশন হাউসের নিলামে শুধুমাত্র অ্যাপেলের প্রথম কম্পিউটারই বিক্রি করা হয়নি। অ্যাপেল আইফোনের (Apple IPhone) ফার্স্ট জেনারেশন ২০০৭-এর একটি সিলড প্যাকও ৩৫ হাজার ডলারে বিক্রি করা হয়েছে। যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২৮ লাখ। এর পাশাপাশি এই নিলামে একটি অ্যাপেল ওয়ান সার্কিট বোর্ডও ৬৭৭,১৯৬ ডলারে বিক্রি হয়েছে। একটি অব্যবহৃত প্রথম জেনারেশনের ৫ জিবির অ্যাপল আইপডও  ২৫ হাজার ডলারে বিক্রি হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Kerala Judge: ‘উত্তেজক পোশাক!’ যৌন হয়রানি মামলায় বিতর্কিত মন্তব্য করায় বদলি কেরলের বিচারক

    Kerala Judge: ‘উত্তেজক পোশাক!’ যৌন হয়রানি মামলায় বিতর্কিত মন্তব্য করায় বদলি কেরলের বিচারক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিযোগকারীর পোশাকের দিকে আঙুল তুলে দুটি যৌন হেনস্থার অভিযোগ থেকে এক ব্যক্তিকে নিষ্কৃতি দেন কেরলের বিচারক এস কৃষ্ণ কুমার (S Krishnakumar)। ঘটনার এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই ওই বিচারকের বদলির (Transfer) নির্দেশ জারি হল। কেরল (Kerala) হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল পি কৃষ্ণ কুমার কোঝিকোড়ের জেলা ও দায়রা আদালতের ওই বিচারকের বদলির নোটিস জারি করেছেন। 

    আরও পড়ুন: এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রাত্য কেরলের মহিলা ফুটবল দল! প্রধানমন্ত্রীকে আবেদন

    সম্প্রতি কোঝিকোড়ের জেলা ও দায়রা আদালতের ওই বিচারক (District Judge in north Kerala’s Kozhikode)‘যৌন উত্তেজক পোশাক’ পরাকে যৌন হয়রানির (Sexual Harassment) অপরাধ বলে এক মামলার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন। আর তাতেই বদলি করা হল ওই বিচারককে বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। ওই বিচারক ছাড়াও বদলির নোটিস পেয়েছেন জেলা স্তরের তিন বিচার বিভাগীয় আধিকারিকও।

    কিছুদিন আগেই দুটি পৃথক যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে লেখক তথা সমাজকর্মী চন্দ্রনের বিরুদ্ধে। দুটি মামলাতেই ওই লেখকের আগাম জামিন মঞ্জুর করে কোঝিকোড়ের জেলা ও দায়রা আদালত। এই ঘটনাতে ক্ষোভ সৃষ্টি হয় সাধারণ মানুষের মধ্যে। 

    ওই লেখকের বিরুদ্ধে ২০২২ সালে প্রথম অভিযোগ করেন এক দলিত মহিলা লেখক। চন্দ্রনের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। গত ১৭ জুলাই সেই মামলার আগাম জামিন পেয়েছেন ওই লেখক। মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারক এস কৃষ্ণ কুমার তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন,  “অভিযুক্ত আগে থেকেই জানতেন, ওই মহিলা তফসিলি জাতিভুক্ত। সেই কথা জানার পরেও তিনি মহিলাকে স্পর্শ করবেন, এটা মোটেও বিশ্বাসযোগ্য নয়।”

    আরও পড়ুন: ‘আজাদ কাশ্মীর’ মন্তব্যে বিতর্কে সিপিএম বিধায়ক, পদত্যাগের দাবি বিজেপির      

    পৃথক একটি মামলায় ওই মালায়ালি লেখকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ জানিয়েছেন এক ৩০ বছর বয়সী লেখিকা। তাঁর অভিযোগ, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কোঝিকোড়ের সমুদ্র সৈকতে চন্দ্রন একটি লেখক-শিল্প শিবির আয়োজন করেছিলেন। সেখানেই যৌন নিপীড়েনের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় চন্দ্রনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে গত জুলাই মাসে মামলা দায়ের করেন ওই লেখিকা।

    গত ১২ অগস্ট সেই মামলার রায় দিতে গিয়ে কোঝিকোড়ের জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক এস কৃষ্ণ কুমার বলেন, “যে কোনও মহিলা যৌন উত্তেজক পোশাক পরে থাকলে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারা অনুযায়ী যৌন হয়রানির অভিযোগে দায়ের করা মামলা গৃহীত হবে না।” বিচারক আরও বলেন, “অভিযুক্ত জামিনের আবেদনে যে ছবি পেশ করেছে, তাতে অন্য ছবি ধরা পড়েছে। অভিযোগকারী নিজেই এমন পোশাক পরেছে, তা যৌন উত্তেজক।” এরপরেই অভিযোগ নস্যাৎ করে ওই মালয়ালি লেখককে আগাম জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক এস কৃষ্ণ কুমার। জেলা ও দায়রা আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কেরল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে সরকার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • HC on Shaheen Bagh: শাহিনবাগের নেপথ্যে ছিল পিএফআই-এসডিপিআই! আদালতকে জানাল দিল্লি পুলিশ 

    HC on Shaheen Bagh: শাহিনবাগের নেপথ্যে ছিল পিএফআই-এসডিপিআই! আদালতকে জানাল দিল্লি পুলিশ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত নাগরিত্ব আইনের (CAA) প্রতিবাদে শাহিনবাগে (Shaheen Bagh) যে আন্দোলন হয়েছিল তা কোনও স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন ছিল না। ছিল সংগঠিত। নিরপেক্ষ আন্দোলনও ছিল না। তার নেপথ্যে ছিল বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টকে (Delhi High Court) পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI) ও সোশ্যাল ডেমক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া (SDPI)। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টকে একথাই জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। পুলিশ এও জানিয়েছে, শাহিনবাগ এবং স্থানীয় লোকজনও ওই আন্দোলন সমর্থন করেননি। পুলিশ এও জানিয়েছে, প্রতিবাদ আন্দোলন সংগঠিত করতে বিভিন্ন এলাকায় লোকজনও পাঠানো হয়েছিল।

    নাগরিকত্ব আইন লাগু হবে এই আশঙ্কায় প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠে দিল্লির শাহিনবাগ এলাকা। ওই মামলায় নাম জড়ায় দিল্লির জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উমর খলিদের। ওই মামলায় আপাতত বন্দি রয়েছেন উমর। তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা হয়েছে। উমরের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করতে গিয়ে পুলিশ আদালতে বেশ কিছু নথিপত্র জমা দিয়েছে। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন এদিন হাইকোর্টকে একথা জানায় দিল্লি পুলিশ।

    আরও পড়ুন : সিএএ কবে থেকে লাগু হবে জানেন? কী বললেন অমিত শাহ?

    বিচারপতি সিদ্ধার্থ মৃদুল ও রজনীশ ভাটনগরের বেঞ্চে চলছে ওই মামলার শুনানি। এদিন সেখানেই স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অমিত প্রসাদ বলেন, শাহিনবাগে যা হয়েছিল, তাকে সংগঠিত প্রতিবাদী আন্দোলন হিসেবে দেখানো হয়েছিল। তবে এটা তা ছিল না। এটা এমন পরিস্থিতি ছিল না, যখন আচমকাই লোকজন শাহিনবাগে চলে আসে…এই প্রতিবাদী ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছিল। পুলিশ এও জানিয়েছে, শাহিনবাগের অন্যতম প্রতিবাদী দাদিও ছিলেন না এর পিছনে। শাহিনবাগের নেপথ্যে ছিলে বিভিন্ন মানুষ এবং সংগঠনের অ্যালায়েন্স। শাহিনবাগের আন্দোলন কোনও নিরপেক্ষ আন্দোলন ছিল না।

    স্পেশাল প্রসিকিউটর এদিন আদালতে চ্যাট মেসেজ দেখান। আন্দোলন চলাকালীন ওই মেসেজ চালাচালি হয়েছিল। এর মধ্যে অভিযুক্তরাও রয়েছে। তারাই খেপিয়েছিল জনতাকে। জড়ো করেছিল লোকজনকে। তাদের সমর্থন জানিয়েছিল। তিনি জানান, শাহিনবাগের আন্দোলনের পিছনে ছিল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া এবং সোশ্যাল ডেমক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া। আমি প্রথম দিনই বলেছিলাম, এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। মূল চক্রীরা দৃশ্যমান এবং অদৃশ্যমান দুই ছিল। একটি দৃশ্যমান উপকরণ হল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৫ অগাস্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Rajnath Singh: আত্মনির্ভর ভারত! বিদেশ থেকে আমদানি নয়, আরও ৭৮০টি যুদ্ধসামগ্রী তৈরি হবে দেশেই

    Rajnath Singh: আত্মনির্ভর ভারত! বিদেশ থেকে আমদানি নয়, আরও ৭৮০টি যুদ্ধসামগ্রী তৈরি হবে দেশেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের দিনই শোনা গিয়েছিল অত্যাধুনিক দেশীয় কামানের গর্জন। এবার আত্মনির্ভর ভারত তৈরিতে আর একটি পদক্ষেপ করল ভারতীয় সেনা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Defence Minstry) রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) দেশে আরও নতুন যুদ্ধ সামগ্রী তৈরির তালিকা প্রকাশ করলেন। এই নিয়ে তৃতীয়বার তালিকা প্রকাশ করা হল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই তালিকায় বলা হয়েছে, বিদেশ থেকে রফতানি নয় আরও ৭৮০টি যুদ্ধসামগ্রী দেশেই তৈরি হবে। কিছুদিন আগেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি একাধিক অত্যাধুনিক অস্ত্র। 

    গত ১৫ অগাস্ট প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশেই নয়া যুদ্ধ সমাগ্রী তৈরির উদাহরণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। তাঁর স্বপ্নের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া (Make in India)’প্রকল্প প্রসারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কথা উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘সশস্ত্র সেনাবাহিনীর সমস্ত অস্ত্রের স্বদেশীকরণের জন্য দীর্ঘ দিন ধরেই কাজ করে আসছে ভারত সরকার। নেওয়া হয়েছে একাধিক নীতিও।’

    আরও পড়ুন: কালীপুজোর সময়েই আসতে চলেছে জিও ৫জি! আগামী বছরেই সারা দেশে, জানুন কী বললেন মুকেশ আম্বানি

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত প্রকাশিত তিনটি তালিকায় মোট ২,৫০০ যুদ্ধ সামগ্রী দেশে তৈরি হওয়ার কথা। শীঘ্রই দেশের পদাতিক সেনায় যান্ত্রিক সরঞ্জামের সংযুক্তিকরণ ঘটবে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। সেনাকে ভবিষ্যতমুখী বানাতেই এই পদক্ষেপ করা হবে। যানবাহন, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং রাত্রিকালীন যুদ্ধের গিয়ার থেকে শুরু করে অ্যান্টি-ড্রোন ব্যবস্থায় এই নয়া সংযুক্তিকরণ ঘটবে। দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করেই সেনাকে আধুনিকতার পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। গোয়েন্দাগিরি থেকে নজরদারির ক্ষেত্রে এই আধুনিকীকরণ খুব কার্যকরী হবে বলে আশা সেনার। দ্রুত গতিতেই এই নয়া যান্ত্রিক ব্যবস্থায় সাজিয়ে ফেলা হবে সেনাকে।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে,স্বদেশী পদ্ধতিতে তৈরি একাধিক অস্ত্র আসছে সেনা বাহিনীতে। এর মধ্যে ল্যান্ড মাইন্স, পার্সোনাল ওয়েপেন্স এবং ইনফেন্ট্রী কমব্যাট যানও রয়েছে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরে জুন মাসে প্রতিরক্ষামন্ত্রক ৭৬৩৯০ কোটি টাকার দেশীয় সেনা উপকরণ কেনার জন্য সম্মতি দেয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Recruitment Scam: সামান্য রং-মিস্ত্রি থেকে দুবাইয়ে হোটেল-মালিক! পার্থ-ঘনিষ্ঠর উল্কাবেগে উত্থানে তাজ্জব সিবিআই

    SSC Recruitment Scam: সামান্য রং-মিস্ত্রি থেকে দুবাইয়ে হোটেল-মালিক! পার্থ-ঘনিষ্ঠর উল্কাবেগে উত্থানে তাজ্জব সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে (SSC Recruitment Scam) যত তদন্ত এগোচ্ছে, ততই এক-এক করে রহস্য ফাঁস হচ্ছে। ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়ছে এক এক করে বেড়াল। কয়েকদিন আগেই, এই মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ এক মিডলম্যান প্রদীপ সিংকে (Pradip Singh) গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI)। এবার সেই প্রদীপকে জেরা করে মেলা তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার আরেক মিডলম্যান প্রসন্ন কুমার রায়কে (Prasanna Roy) শুক্রবার সন্ধেয় সল্টলেক থেকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 

    কে এই প্রসন্ন রায়? সিবিআই সূত্রে খবর, প্রদীপের মতো ধৃত প্রসন্নও পার্থর ‘ঘনিষ্ঠ’। শুধু তাই নয়, শোনা যাচ্ছে, সম্পর্কে তিনি নাকি পার্থর ভাগ্নি-জামাইও। কেন সিবিআইয়ের নজরে এলেন প্রসন্ন? সল্টলেকে প্রসন্নর একটি গাড়ি ভাড়ার অফিস রয়েছে। সূত্রের খবর, এই অফিস থেকেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের একাধিক তথ্য এবং নথি উদ্ধার করেছে। সিবিআই গোয়েন্দাদের দাবি, এই অফিসেই বসেই নাকি হত এসএসসি কাণ্ডের টাকার লেনদেন। 

    আরও পড়ুন: সিবিআই হেফাজতে আসতে পারেন পার্থ! ১৩১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান

    সূত্রের দাবি, মূলত উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা থেকে যে সব নিয়োগ হয়েছে, সেই সব চাকরি প্রার্থীদের থেকে টাকা নেওয়ার কাজ চলত সেখান থেকেই। তদন্ত করে সিবিআই জানতে পেরেছে, প্রায়ই রাতে একাধিক গাড়ি করে আসত টাকা। সেই টাকা কোথা থেকে আসত, কে পাঠাত, কোথায় যেত, কার কাছে যেত— এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে প্রসন্নকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছে সিবিআই। 

    ইতিমধ্যেই, প্রসন্নর উল্কার বেগে উত্থানের কাহিনী শুনে রীতিমতো চমকে উঠেছেন তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রের খবর, প্রসন্নর এই উত্থান যে কোনও কল্পনাকেও হার মানাবে। কী জানতে পেরেছে সিবিআই? তদন্তে জানা গিয়েছে, কয়েক বছরের মধ্যেই বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়ে উঠেছেন এই প্রসন্ন। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ এতটাই যে শুনলে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়! কয়েক বছর আগে পর্যন্ত সামান্য রং-মিস্ত্রির কাজ করতেন প্রসন্ন। সেখান থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘হাতযশেই’ ফুলেফেঁপে ওঠেন তিনি। সিবিআই জানতে পেরেছে, এখন তিনি দুবাইয়ে হোটেলের মালিক! পরে রঙের ঠিকাদারির ব্যবসা শুরু করেন। তারপর নাকি আচমকা এমন উত্থান! বর্তমানে গাড়ি ভাড়া দেওয়ার অফিস রয়েছে তাঁর। 

    কী আছে সেই সম্পত্তির তালিকায়? সিবিআই জানতে পেরেছে, সল্টলেক ও নিউটাউন এলাকায় একাধিক সম্পত্তি রয়েছে এই প্রসন্নর। নিউটাউনের বলাকা আবাসনে দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর। নিউটাউনে অন্তত পাঁচটি বাগান বাড়ি রয়েছে তাঁর। কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায় একটি অভিজাত ভিলা রয়েছে প্রসন্নর— বিশাল ভিলা, সামনে বাগান একেবারে চোখ ধাঁধানো। 

    আরও পড়ুন: এবার পার্থর পকেটেও কাট ছাঁট! জানেন কত হল প্রাক্তন মন্ত্রীর এখনকার বেতন?

    এছাড়া, রাজারহাটের ধারসাইতে তাঁর তিন তলা বাগান বাড়ির হদিশ মিলেছে বলেও সূত্রের খবর। এ ছাড়া একাধিক জমির খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেই বাগান বাড়িতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় একাধিক বার গিয়েছেন বলেও সিবিআই সূত্রে দাবি৷ সিবিআই সূত্রে খবর, রাজ্যের চারদিকে যেমন— দিঘা, সুন্দরবন, জঙ্গলমহল, উত্তরবঙ্গে রিসর্ট রয়েছে প্রসন্নর। বেশ কয়েকটি চা বাগানেরও মালিক তিনি। উত্তরবঙ্গে তাঁর নামে কয়েক বিঘা জমিরও তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। হোটেল ব্যবসা রয়েছে পুরী, উত্তরাখণ্ডেও। এমনকী দুবাইতেও তাঁর হোটেল রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। 

    প্রশ্ন হচ্ছে, একজন রঙের ঠিকাদারের এত বিপুল সম্পত্তি, এত বৈভব কী ভাবে হল? তাহলে কি নিয়োগ দুর্নীতির টাকার সঙ্গে এই বিপুল সম্পত্তির যোগ রয়েছে? এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা। কীভাবে একের পর এক হোটেলের মালিক হলেন প্রসন্ন? তাঁর আয়ের উৎস কী? এই সব প্রশ্নের উত্তরই জানতে চাইছে সিবিআই। তদন্তকারীদের অনুমান, প্রসন্ন ও প্রদীপ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। বিশেষ করে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা কীভাবে ঘুরপথে সাদা করা যায়, সেই কাজই চালাত এই দুই ধৃত মিডলম্যান। অযোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এসএসসি-র নিয়োগ কর্তাদের সঙ্গে যোগযোগা করতেন প্রদীপ।

    সিবিআই জানতে পেরেছে, শান্তিপ্রদসাদের ফোনে প্রদীপ সিং-র নাম ছোটু বলে সেভ করা ছিল। প্রদীপের ডাক নাম ছোটু। দুজনের কখোপকথনও হোয়াটসআপে পাওয়া গিয়েছে। প্রদীপ সিংকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এবার প্রসন্নকেও হেফাজতে চাইবে সিবিআই। সূত্রের কবর, হেফাজতে নেওয়ার পর প্রদীপ ও প্রসন্ন দু’জনকেই মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে এসএসসি দুর্নীতির অনেক প্রশ্নের উত্তরই মিলবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • INS Vikrant: বিক্রান্তের ডেকে নামবে কে? চলছে তীব্র প্রতিযোগিতা, দৌড়ে এগিয়ে…

    INS Vikrant: বিক্রান্তের ডেকে নামবে কে? চলছে তীব্র প্রতিযোগিতা, দৌড়ে এগিয়ে…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্তর্ভুক্তির অপেক্ষায় ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত (INS Vikrant)। বিক্রান্তের জন্য ২৬টি ফাইটার জেট কেনার কথা ভাবছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। আগামী ২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) কোচিতে দেশের বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজ বিক্রান্তকে আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবাহিনীতে (Indian Navy) অন্তর্ভুক্ত করবেন।

    মার্কিন সংস্থা বোয়িং (Boeing) নির্মিত সুপার হর্নেট (F/A-18 E/F Super Hornet) আর ফরাসি সংস্থা দাসো নির্মিত রাফাল-এম (Rafale-M) গত জুন মাসে গোয়ার সমুদ্র সৈকতের কাছে গড়ে ওঠা ভারতীয় নৌসেনার পরীক্ষাকেন্দ্র আইএনএস হানসা-য় তাদের কর্মদক্ষতা দেখিয়েছে। নৌসেনার তরফে দাবি করা হয়েছে, এরা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশকে সেরাটা দিতে প্রস্তুত। তাই বোয়িংয়ের ফাইটার জেট কেনার ক্ষেত্রে ইতিবাচক সাড়া মিলবে বলে অনুমান।

    আরও পড়ুন: নৌসেনার হাতে এল দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত, অন্তর্ভুক্তি কবে?

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, বোয়িংয়ের তরফে নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ভারত যদি তাদের যুদ্ধবিমান নেয়, তাহলে আগামী ১০ বছরে ভারতে ৩৬০ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনৈতিক ফায়দা হবে। সংস্থার দাবি, তাদের ফাইটার জেটকে যদি নির্বাচিত করা হয়, তাহলে ভারতে উৎপাদন থেকে শুরু করে কারিগরি ও প্রযুক্তি হস্তান্তর, পরিকাঠামো এবং প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ করবে আমেরিকা।

    বম্বার্স অ্যান্ড ফাইটার্স বোয়িং ডিফেন্স স্পেস অ্য়ান্ড সিকিউরিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট স্টিভ পার্কার জানিয়েছেন,  ভারতকে “এফ/এ-১৮ ই/এফ সুপার হর্নেট ব্লক ৩” (F/A-18 E/F Super Hornet Block 3) দিতে প্রস্তুত তারা।  আধুনিক মানের এই যুদ্ধবিমান যে কোনও শত্রুর মোকাবিলা করতে সক্ষম। সুপার হর্নেট ভারতীয় সেনাকে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে দেবে। বোয়িংয়ের তৈরি সুপার হর্নেট মার্কিন নৌবাহিনীর কাছে ভরসার যুদ্ধবিমান। বিমানবাহী রণতরীর জন্য নির্মিত বহুমুখী ফাইটার জেটটি ১৯৯১ উপসাগরীয় যুদ্ধের (1991 Gulf War) সময় থেকে স্ট্রাইক অপারেশন করে এসেছে।

    আরও পড়ুন: চতুর্থ সি-ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন ‘আইএনএস বিক্রান্ত’-এর, ছবি প্রকাশ নৌসেনার

    ভারতে বোয়িংয়ের কর্ণধার সলিল গুপ্ত জানিয়েছেন, সুপার হর্নেটকে নির্বাচন করা হলে তা ভারতীয় প্রতিরক্ষা শিল্পের ক্ষেত্রকে আরও উজ্জীবিত করবে। আত্মনির্ভর ভারতের ক্ষেত্রেও এটা একটা বড় দিক। উল্লেখ্য, ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি রণতরী বিক্রান্তে ব্যবহার করা হয়েছে ৪৫ হাজার টন স্টিল, যা দিয়ে তৈরি করা যাবে চারটি আইফেল টাওয়ার। ২৬২ মিটার দৈর্ঘের এ রণতরী দেড় হাজার সেনা সদস্য ও ৩০টির বেশি যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম। পাড়ি দিতে পারবে টানা ২ হাজার ৪০০ কিলোমিটার পথ।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Supreme Court on PMLA: পিএমএলএ আইন নিয়ে আগের রায় পর্যালোচনায় সুপ্রিম কোর্ট, বিবেচনায় দুটি ধারা 

    Supreme Court on PMLA: পিএমএলএ আইন নিয়ে আগের রায় পর্যালোচনায় সুপ্রিম কোর্ট, বিবেচনায় দুটি ধারা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত মাসেই আর্থিক দুর্নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) ক্ষমতাকে (PMLA) ছাড়পত্র দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেই রায়ের বিরোধীতা করেছিল দেশের বিরোধী দলগুলি। সুপ্রিম কোর্টের ইডিকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়ার এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে বিষয়টিকে পুনর্বিবেচনা করার আবেদন জানিয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদম্বরম। এবার আর্থিক দুর্নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের ক্ষমতা বহাল রাখার রায় পুনর্বিবেচনা (Review) করতে সম্মত হল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, আর্থিক দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন অনুসারে রায়ের দুটি বিষয় রয়েছে। একদিকে যেমন ইডির গ্রেফতারির সময় প্রতিক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ইসিআইআরের অনুলিপি দেখানো বাধ্যতামূক নয়। তেমনি অন্যদিকে, অভিযুক্তকে নির্দোষ প্রমাণের সুযোগ। এই দুইটি বিষয় সামনে রেখে আগের রায় পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন রয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ২৯ অগাস্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে ২৫টি সাংবিধানিক বেঞ্চের মামলার শুনানি শুরু 

    ইডির ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কিছুদিন আগেই বিরোধী দলগুলি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। ইডির বিরুদ্ধে সেই মামলায় সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয়েছিল। অনেক ক্ষেত্রেই ইডি গ্রেফতারের সময় ইসিআইআরের অনুলিপি অভিযুক্ত বা অভিযুক্তের আইনজীবীকে দেখাচ্ছেন না বলে অভিযোগকারীরা আদালতে জানিয়েছিলেন। এবার এই ইসিয়াইআর কী? ইসিআইআরের অনুলিপি হল এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফোর্সমেন্ট রিপোর্ট। ইডির ইসিআইআর অনেকটাই পুলিশের এফআইআরের মতো। এছাড়া ইডির বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগও করা হয়েছিল। পাশাপাশি বিরোধীরা এও অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক হিংসা চরিতার্থ করতে ক্ষমতা অপব্যবহার করছে ইডি। 

    ইডির ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টে ২৪০টির বেশি পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী অনিল দেশমুখ, কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদাম্বরম ইডির বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। এই তালিকায় রয়েছেন দেশের আরও অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্ট জনেরা। ২৭ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি এএম খানইউলকরের বেঞ্চ ইডির ক্ষমতার পক্ষে রায় দিয়েছিল।

    আরও পড়ুন: অসাংবিধানিক! ১৯৮৮ সালের বেনামি লেনদেন আইনের একটি ধারা বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট 

    সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছিল, কোনও ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার আগে তাঁকে ইডির তরফে কেস ইনফরমেশন কপি (ECIR) দেওয়ার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। আরও বলা হয়েছিল অভিযুক্তকে দোষী প্রমাণ করার কোনও দায় নেই তদন্তকারী সংস্থার। বরং অপরাধীকে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে হবে। এই দুটি নির্দেশই পুনরায় বিবেচনা করে দেখা হবে এদিন পুনর্বিবেচনা করা হবে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়েছে, “এই দুটি প্রাথমিক বিষয়ের পুনর্বিবেচনা করার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Coal Smuggling Case: এবার কয়লাপাচার মামলায় ইডি দফতরে হাজিরা আইপিএস সেলভা মুরুগানের

    Coal Smuggling Case: এবার কয়লাপাচার মামলায় ইডি দফতরে হাজিরা আইপিএস সেলভা মুরুগানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচনের কিছুদিন আগেই কয়লাপাচার কেলেঙ্কারি (Coal Smuggling Scam) নিয়ে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। তদন্ত করতে ময়দানে নামে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। এই মামলায় গ্রেফতারও করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। ৮ আইপিএস কর্তাকে (IPS Officers) তলব করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ইতিমধ্যেই ইডির দিল্লির হেড কোয়ার্টারে হাজিরা দিয়েছেন আইপিএস শ্যাম সিং ও কোটেশ্বর রাও। এবার হাজিরা দিলেন আইপিএস সেলভা মুরুগান (Selva Murugan)।

    আরও পড়ুন: কয়লাপাচার মামলায় কোটেশ্বর রাও- এর পর এবার শ্যাম সিং- কে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির

    বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় ইডি দফতরে পৌঁছেছেন সেলভা মুরুগান। বর্তমানে তিনি পুরুলিয়ার এসপি। এই নিয়ে পরপর দু দফায় ওই জেলার পুলিশ সুপার পদে রয়েছেন তিনি। বিধানসভা নির্বাচনের আগেও ওই একই পদে ছিলেন সেলভা মুরুগান। ভোটের সময় তাঁকে অন্য দায়িত্ব দেওয়া হলেও, ফের একই পদে নিযুক্ত হন ২০১০ সালের ব্যাচের ওই আইপিএস। 

    ইডি গোয়েন্দাদের দাবি, কয়লাপাচারের মূল হোতা লালার অফিস থেকে পাওয়া ডায়েরীতে এই পুলিশ কর্তার নামের উল্লেখ ছিল। এই বিষয়ে তিনি কিছু জানতেন কিনা, বা জানলেও এই অপরাধের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিয়েছেন কিনা, আইপিএসকে মূলত এই প্রশ্নই করবেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা বলে ইডি সূত্রের খবর। 

    আরও পড়ুন: জ্ঞানবন্ত না গেলেও দিল্লির ইডি দফতরে আজ যাচ্ছেন আর এক আইপিএস কোটেশ্বর রাও

    রাজ্যের পশ্চিমের জেলা গুলির সঙ্গে কয়লাপাচারের যোগ পেয়েছে ইডি। লালার লোকজন কী ভাবে পুলিশ ও প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে কয়লাপাচার করত মূলত সেই রহস্যই উন্মোচন করতে চায় ইডি। তাই ওই সব জেলার গুরুত্বপূর্ণ পদে যাঁরা ছিলেন বা আছেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন গোয়েন্দারা।   

    ইডি সূত্রে খবর, সরাসরি পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে অনেক পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধেই। লরি করে কয়লা পাচার হত পুলিশের চোখের সামনেই এমন অভিযোগও রয়েছে। কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। পুলিশ চাইলেই পাচার আটকাতে পারতেন বলে মনে করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইডির দাবি, ওই পুলিশ আধিকারিকদের কাছে টোকেন নম্বর দেওয়া থাকত, আর তা দেখে ছেড়ে দেওয়া হত কয়লার গাড়ি। অভিযোগগুলিতে কতটা সত্যতা আছে এখন তাই খতিয়ে দেখতে চায় ইডি। 

    মুরুগান ছাড়াও আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিং, রাজীব মিশ্র, সুকেশকুমার জৈন, শ্যাম সিং, কোটেশ্বর রাও, তথাগত বসু ও ভাস্কর মুখোপাধ্যায়কে তলব করা হয়েছে। জ্ঞানবন্ত সিং হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন। হাজিরার জন্যে ইডির কাছে সময় চেয়ে নিয়েছেন তিনি। শ্যাম সিং ও কোটেশ্বর রাও ইতিমধ্যে হাজিরা দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Heart Disease: এখন যেকোনও বয়সেই রয়েছে হৃদরোগের ঝুঁকি, কোন লক্ষণগুলি দেখে বুঝবেন? 

    Heart Disease: এখন যেকোনও বয়সেই রয়েছে হৃদরোগের ঝুঁকি, কোন লক্ষণগুলি দেখে বুঝবেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখন হৃদরোগের (Heart Disease) জন্যে আর কোনও বয়স লাগে না। ৩৫-৪৫ বছর বয়সীরাও এই রোগে ব্যাপকহারে প্রাণ হারাচ্ছেন। চিকিৎসকদের মতে এর জন্য মূলত দায়ী আমাদের জীবনযাত্রা, খাওয়াদাওয়া! সময় মতো অনেকেই চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন না। তাতেও ঝুঁকি বেড়ে যায়। কাজের চাপ বা ডাক্তার দেখানোয় অনীহাও এর অন্যতম কারণ বলেই মনে করা হচ্ছে। আবার অনেকে সমস্যা আছে সেটাও বুঝতে পারেন না। তখন দেরি হয়ে যায়। চিকিৎসকদের হাতেও তখন আর কিছু থাকে না। তাই সময় থাকতেই সাবধান হোন। কয়েকটি বিষয়ে (Early Signs) লক্ষ্য রাখলেই বুঝতে পারবেন, আপনার হার্টে সমস্যা আছে কী না। 

    আরও পড়ুন: বর্ষায় মশার জ্বালায় অতিষ্ঠ? উপদ্রব কমাতে জানুন কিছু ঘরোয়া উপায়

    শ্বাসকষ্ট ও দম ফুরিয়ে যাওয়া: যদি আপনার শ্বাসকষ্ট বা অন্য কোনও সমস্যা না থাকে এবং হঠাৎ করে শ্বাস নেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়, তবে সেটা খারাপ লক্ষণ। মূলত হৃদরোগ থেকে ফুসফুসে জল জমা-সহ বিভিন্ন জটিলতার কারণে ঠান্ডা ছাড়াও শ্বাস কষ্ট এর সমস্যা দেখা দিতে পারে। অল্পতেই দম ফুরিয়ে যাওয়া, মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নেওয়াও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। 

    অতিরিক্ত ঘাম হওয়া: অতিরিক্ত ঘাম হওয়া হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ। বিশেষ করে ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা হওয়া ছাড়াও অতিরিক্ত ঘাম, হঠাৎ শরীর খারাপ লাগতে শুরু করলে অব্যশই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

    আরও পড়ুন: পুজোর আগে ওজন কমাতে চান? খাবারের সঙ্গে রাখুন এই ড্রিঙ্কসগুলো

    অজ্ঞান হয়ে যাওয়া: যদি কাজ করার মধ্যেই আপনি প্রায়ই হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে যান, তা হলে বুঝবেন হার্টের সমস্যা রয়েছে।

    গোড়ালি ফুলে যাওয়া: হার্ট ঠিক মতো পাম্প না করলে গোড়ালিতে ফ্লুইড জমা হয়। এটা হার্টের সমস্যার বড় লক্ষণ। 

    তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়া: আপনি কি অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন? কিছু ক্ষণ কাজ করলে বুক ধড়ফড় করে? তবে আপনি এখনই কোনও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বিশেষ করে মহিলাদের হার্টের সমস্যার প্রধান লক্ষণ এটি।

    হজমে সমস্যা: পাক যন্ত্রে রক্ত কম পৌঁছলে হজমের সমস্যা হয়। সেই ক্ষেত্রে হার্টের সমস্যা হলে ঘন ঘন বদহজম হতে পারে। 

    হার্ট রেট বেড়ে যাওয়া: বুক ধড়ফড় করতে পারে। হার্টের রেট বেড়ে যেতে পারে। এরকম কইছু হলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Modi on 6G: উৎসবের মরশুমে ৫জি, চলতি দশকের শেষে ৬জি! জানুন দেশে প্রযুক্তি বিপ্লব নিয়ে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Modi on 6G: উৎসবের মরশুমে ৫জি, চলতি দশকের শেষে ৬জি! জানুন দেশে প্রযুক্তি বিপ্লব নিয়ে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের লক্ষ্য চলতি দশক শেষ হওয়ার আগে ৬জি (6G) প্রযুক্তির টেলিকম পরিষেবা চালু করে দেওয়া।  বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে এই কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। পুজোর সময়েই কলকাতা-সহ দেশের ১৩টি শহরে চালু হতে চলেছে ৫জি পরিষেবা৷ তার আগেই ৬জি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা। মোদি বলেন, “যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির উপরেই এই শতকের অগ্রগতি নির্ভর করছে। তাই চলতি দশকের মধ্যে ৬জি আনতে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স।”

    এদিন দেশের টেলিকম ক্ষেত্রের ভূয়সী প্রশংসাও করতে দেখা যায় মোদিকে। তাঁর মতে, আত্মনির্ভরতা ও স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতার এক সেরা নিদর্শন এই ক্ষেত্রের উত্তরণ। এরপরই তিনি জানান, ২০৩০ সালের মধ্যেই যাতে ৬জি পরিষেবা শুরু করা যায়, সেবিষয়ে পদক্ষেপ ইতিমধ্য়েই করেছে কেন্দ্র। মোদি বলেন, “আজ দেশের প্রতিটি গ্রামকে যুক্ত করা যাচ্ছে অপটিক্যাল ফাইবারের সাহায্যে। ২০১৪ সালের আগে ১০০টি গ্রাম পঞ্চায়েতেও অপটিক্যাল ফাইবার ছিল না। অথচ আজ ১ কোটি ৭৫ লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েতে ব্রন্ডব্যান্ড সংযোগ রয়েছে। আর এর ফলে গ্রামে গ্রামে সরকারি পরিষেবা পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে। এই ভাবে প্রযুক্তি আজ আর কেবল একটি ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নেই। তা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়েছে।”

    আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তার শিখরে মোদি! ইউটিউবে ট্রেন্ডিং লালকেল্লার ভাষণ

    সব কিছু ঠিক থাকলে ১২ অক্টোবর থেকেই হাই স্পিড ইন্টারনেট পরিষেবা পাবে কলকাতা-সহ ১৩টি শহর৷ সেপ্টেম্বরের শেষে ‘ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেসে’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই হয়তো ৫জি’র যাত্রাপথের শুভ সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী ৷ কলকাতা ছাড়াও প্রথম পর্যায়ে ৫জি পরিষেবা চালু করা হবে দিল্লি, আহমেদাবাদ, বেঙ্গালুরু, চণ্ডীগড়, চেন্নাই, গান্ধীনগর, গুরুগ্রাম, লখনউ, হায়দরাবাদ, জামনগর, মুম্বই ও পুণেতে। ইতিমধ্যেই সার্ভিস প্রোভাইডারদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব৷ ৫জি স্পেকট্রামের নিলামে জয়ী হয়েছে ভারতী এয়ারটেল, রিলায়েন্স জিও, ভোডাফোন আইডিয়া ও আদানি ডেটা নেটওয়ার্কস৷ এই সংস্থাগুলির কাছে ইতিমধ্যেই সরকারি চিঠি পৌঁছে গিয়েছে। যাতে তারা  প্রস্তুতি সম্পন্ন করে পরিষেবা শুরু করার জন্য তৈরি থাকতে পারে৷ প্রধানমন্ত্রী জানান, “৫জির ফলে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিকাঠামো ও লজিস্টিক্সের মতো বহু ক্ষেত্রেরই উন্নতি হবে। এর ফলে অনেক নতুন কর্মসংস্থানও তৈরি হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share