Blog

  • CBI on SSC Scam: এসএসসিকাণ্ডে এবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ডেরায় সিবিআই

    CBI on SSC Scam: এসএসসিকাণ্ডে এবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ডেরায় সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় (SSC Recruitment Case) নয়া মোড়!

    এবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের (North Bengal University) উপাচার্য (Vice Chancellor) সুবীরেশ ভট্টাচার্যের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই (CBI)। বুধবার প্রায় ১২ জন তদন্তকারীর একটি দল উপাচার্যের কোয়ার্টার ও দফতরে তল্লাশি চালায়। সূত্রের খবর, সুবীরেশের দক্ষিণ কলকাতার বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাটেও হানা দেন সিবিআইয়ের কয়েকজন আধিকারিক।

    জানা গিয়েছে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান পদে সুবীরেশ ছিলেন ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে বিচারপতি রঞ্জিত বাগ কমিটির রিপোর্টে নাম রয়েছে তাঁর। বাগ কমিটির ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৩৮১টি ভুয়ো নিয়োগ হয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষাই দেননি ২২২ জন। এনিয়ে চলছিল বিচারবিভাগীয় তদন্ত। সেই প্রেক্ষিতেই এদিন সুবীরেশের দুই ডেরায় হানা দেয় সিবিআই। এদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে রওনা দেন সুবীরেশ। তার পরে পরেই উত্তরবঙ্গে তাঁর কোয়ার্টার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দফতরে হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, বেশ কিছু নথি খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। সুবীরেশকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। এদিকে এদিনই সিল করে দেওয়া হয়েছে তাঁর বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাট।

    আরও পড়ুন : এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গোপন জবানবন্দি দিচ্ছেন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা?

    এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি। প্রচুর সোনাও বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। পার্থর দাবি, ওই টাকার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। অর্পিতারও দাবি, টাকার বিষয়টি তাঁর জানা নেই। পার্থর লোকজনই ফ্ল্যাটে গিয়ে টাকা রেখে আসতেন। পার্থ গ্রেফতার হতেই উঠে আসে সুবীরেশের নামও। সিবিআই সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য সুবীরেশকে জেরা করলেই হাতে আসবে অনেক অজানা তথ্য। তাই তাঁকে জেরা করা প্রয়োজন। সেই কারণেই এবার সুবীরেশের ডেরায় হানা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Delhi HC on Muslim Minor Girl Marriage: বয়ঃসন্ধি প্রাপ্ত মুসলিম নাবালিকা করতে পারে বিয়ে! জানুন কী বলল দিল্লি হাইকোর্ট

    Delhi HC on Muslim Minor Girl Marriage: বয়ঃসন্ধি প্রাপ্ত মুসলিম নাবালিকা করতে পারে বিয়ে! জানুন কী বলল দিল্লি হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুসলিম আইন (Sharia Law) অনুযায়ী বয়ঃসন্ধি প্রাপ্ত নাবালিকার বাবা-মায়ের সম্মতি ছাড়াই স্বামীর সঙ্গে বসবাস করার অধিকার রয়েছে। এমনকি যদি ওই নাবালিকার বয়স ১৮ বছরের কম হয়, তাও একই নিয়ম প্রযোজ্য থাকবে। এমনই অভিমত, দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi Highcourt)। পরিবারের কাছ থেকে সুরক্ষা চেয়ে সম্প্রতি এক কিশোরী আদালতে আবেদন দাখিল করে। ওই পিটিশনে সে জানায়, মুসলিম আইন অনুসারে সে বিয়ে করেছিল। সেই বিয়েতে বাবা-মায়ের সম্মতি ছিল না। তাদের বাবা-মা এখন তাদের একসঙ্গে থাকতে দিতে চাইছেন না। ওই দম্পতি আদালতের কাছে আবেদন করেছে, তাদের যেন কেউ আলাদা না করে। 

    বিষয়টি বিবেচনা করে বিচারপতি জসমিত সিংয়ের বেঞ্চ কিশোরীর আবেদন স্বীকার করে নেয়। ওই দম্পতি ২০২২ এর মার্চ মাসে মুসলিম রীতি অনুযায়ী বিয়ে করেছিল। তারা আদালতে আবেদন করেছিল, কেউ যাতে তাদের সম্পর্কের বিচ্ছেদ না ঘটায়। মেয়েটির অভিযোগ অনুযায়ী, তার বাবা-মা তাদের বিয়ের বিরোধিতা করেন। এমনকি তার স্বামীর বিরুদ্ধে আইপিসির ৩৬৩ ধারার অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। তার স্বামীর ওপর ধর্ষণের দোষ এবং পকসো ধারা যুক্ত করা হয়। 

    আরও পড়ুন: নিয়ম-রীতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিহারের মন্দিরে অহিন্দু মন্ত্রী! ক্ষুব্ধ বিজেপি, কী বলছে মন্দির কর্তৃপক্ষ

    ওই কিশোরীর অভিযোগ, তার বাবা-মা তাকে নিয়মিত মারধর করতেন। যার কারণে সে নিজের ইচ্ছায় পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিল। মেয়েটির বয়স এখন ১৫ বছর। সব দিক বিবেচনা করে আদালত জানায়, যদি আবেদনকারী নিজের ইচ্ছেতে বিয়ে করে এবং খুশি হয় তাহলে রাষ্ট্র তার ব্যক্তিগত জায়গায় প্রবেশ করে দম্পতিকে আলাদা করার কেউ নয়। আদালতে রায় অনুযায়ী, মেয়েটির পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে তার স্বামীর সঙ্গে বসবাস করার। বাবা-মায়ের অভিযোগের যুক্তিকে প্রত্যাখ্যান করে আদালত জানিয়ে দেয় যে, যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের রক্ষা করার জন্য পকসো আইন প্রয়োগ করা হয়। এই আইনের উদ্দেশ্য হল, শিশুদের শোষণের বিরুদ্ধে সুরক্ষিত করা। কিন্তু এক্ষেত্রে তা কার্যকর হয় না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mandal: সিবিআই হেফাজত শেষ, জেলেই গেলেন অনুব্রত

    Anubrata Mandal: সিবিআই হেফাজত শেষ, জেলেই গেলেন অনুব্রত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই (CBI) হেফাজতের মেয়াদ শেষ হল অনুব্রতর। তবে এখনই জামিন পাচ্ছেন না গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে ধৃত তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। বুধবার আসানসোলে (Asansole) সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। অনুব্রত অসুস্থ হতে পারেন ভেবে আগেভাগেই আদালত কক্ষে মজুত করে রাখা হয়েছিল ছোট অক্সিজেন সিলিন্ডার ও নেবুলাইজার। যদিও তা কাজে লাগেনি।

    গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case ) সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। বার দশেক তলব করা হলেও, মাত্র একবারই সিবিআইয়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন বীরভূমের এই তৃণমূল নেতা। পরে বাড়ি ঘিরে ধরে ঠাকুরঘর থেকে তাঁকে তুলে আনে সিবিআই। তার পর থেকে এ পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতেই ছিলেন অনুব্রত। বুধবার তাকে ফের তোলা হয় আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে। সেখানেই হয় শুনানি। এদিন অনুব্রতের জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। বলেন, দরকার হলে বীরভূমে থাকব না। নিজাম প্যালেসের পাশে বাড়ি করে থাকব। বীরভূমের ১০০ মিটারের মধ্যে ঢুকব না। তিনি বলেন, আমার মক্কেলের স্লিপ অ্যাপনিয়া রয়েছে। এই রোগে কারও প্রাণ পর্যন্ত যেতে পারে। তাই তাঁকে জামিন দেওয়া হোক।

    আরও পড়ুন : রাজীবের চালকল থেকে অনুব্রতর স্ত্রীকে ২১ লক্ষ টাকা অগ্রিম, লেনদেনে বিদ্যুৎও, তদন্তে সিবিআই

    অনুব্রতর জামিনের আবেদন প্রসঙ্গে সরকারি আইনজীবী বলেন, এখন তদন্ত খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছে। এখন অভিযুক্তকে জামিন দেওয়া হলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। তাঁর মতে, এটি একটি বৃহত্তর পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। অভিযুক্ত অর্থের উৎস দেখাতে পারেননি। বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠ ও বাড়ির লোকেদের নামে। কিন্তু উনি কিছুই বলতে পারছেন না। অভিযুক্ত প্রভাবশালী। এবং শুরু থেকেই তদন্তে অসহযোগিতা করছেন। উনি তদন্তে অংশগ্রহণই করেননি।সরকারি আইনজীবী বলেন, একজন সাধারণ মানুষ পদমর্যাদা আর ক্ষমতা ছাড়া কিছুই করতে পারেন না। উনি সেই এলাকার জেলা সভাপতি যেখানে গরু পাচার চক্র চলছে। নিজের পদ ব্যবহার করে তিনি পাচারের পৃষ্ঠপোষক হয়ে উঠেছিলেন। একে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলা হচ্ছে। সরকারি আইনজীবী বলেন, পশুর হাট থেকে গরু পাচার হত। তার প্রমাণও আছে। বিএসএফও এর সঙ্গে জড়িত। দুপক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পরে বিচারক অনুব্রতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। জানা গিয়েছে, অনুব্রতকে রাখা হচ্ছে আসানসোল জেলে। এই জেলেই রয়েছেন ওই মামলায় ধৃত অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনও। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • BrahMos Missile Misfire: ভুল করেই পাক ভূখণ্ডে ব্রহ্মোস! বরখাস্ত বায়ুসেনার তিন অফিসার

    BrahMos Missile Misfire: ভুল করেই পাক ভূখণ্ডে ব্রহ্মোস! বরখাস্ত বায়ুসেনার তিন অফিসার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  চলতি বছরের গোড়ায় পাকিস্তানে (pakistan) ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র (missile) আছড়ে পড়ার ঘটনায় বায়ুসেনার (IAF) তিন অফিসারকে (Officers) বরখাস্ত (termination) করল ভারত (india)। ভুল করেই ওই মিসাইল পাক-ভূখণ্ডে আছড়ে পড়ে।  ওই ‘দুর্ঘটনার’ জন্য এক জন গ্রুপ ক্যাপ্টেন ও দুজন উইং কম্যান্ডারকে সাসপেন্ড করা হল। বায়ুসেনার ওই তিন আধিকারিককে বরখাস্ত করল প্রতিরক্ষামন্ত্রক। 

    বায়ুসেনার তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘২০২২-র ৯ মার্চ, ভুল করে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে তিন জন অফিসারের গাফিলতি নজরে এসেছে। কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিন জন অফিসারকেই এই সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশ ২৩ অগাস্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ সংবাদসংস্থা  সূত্রে খবর, কোর্ট অফ এনকোয়্যারি-তে ধরা পড়ে, ওই তিন জন অফিসার স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর বা SOP ঠিকঠাক মানেননি। সেখান থেকে কিছুটা সরে এসেছিলেন। আর সেই কারণেই ভুল করে ব্রহ্মোস পাকিস্তানের মাটিতে গিয়ে পড়ে। খানেওয়াল জেলার মিয়াঁ চান্নু-তে আছড়ে পড়ে ওই ক্ষেপণাস্ত্র।

    আরও পড়ুন: এসসিও-র বৈঠকে যোগ দিতে তাসখন্দে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং

    পাকিস্তান দাবি করেছিল, প্রায় ৪০ হাজার ফুট উচ্চতা দিয়ে তাদের আকাশসীমার প্রায় ১০০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে আসে ওই ক্ষেপণাস্ত্র। আছড়ে পড়ার আগে তার গতিবেগ ছিল শব্দের থেকেও তিনগুণ বেশি। তবে ব্রহ্মোসের মুখে কোনও ওয়ারহেড না থাকায় সেটি ফাটেনি। পাকিস্তান অভিযোগ করে,  ভারতের আকাশসীমা থেকে আসা ওই ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ায় বহু মানুষের ঘরবাড়ি তছনছ হয়ে গিয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তানে ভারতের প্রতিনিধিকে ডেকে পাঠায় ইসলামাবাদ। স্রেফ উদ্বেগ প্রকাশ করা নয়, ঘটনার তদন্তও শুরু করে দেয় পাকিস্তান।

    এরপরই দিল্লির তরফে শুরু হয়  কোর্ট অফ এনকোয়্যারি। সেই এনকোয়্যারির পরই তিন বায়ুসেনা অফিসারকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত ভারতের। এদিকে শীঘ্রই এবার ব্রহ্মোস মিসাইল রফতানি করবে ভারত, এমনটাই জানানো হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে। ফিলিপিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে চুক্তিও স্বাক্ষর করে ফেলেছেন ব্রহ্মোস অ্যারোস্পেস প্রাইভেট লিমিটেড। তবে কতগুলি মিসাইল রফতানি করা হবে, তা জানা যায়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal Aide: রাজীবের চালকল থেকে অনুব্রতর স্ত্রীকে ২১ লক্ষ টাকা অগ্রিম, লেনদেনে বিদ্যুৎও, তদন্তে সিবিআই

    Anubrata Mondal Aide: রাজীবের চালকল থেকে অনুব্রতর স্ত্রীকে ২১ লক্ষ টাকা অগ্রিম, লেনদেনে বিদ্যুৎও, তদন্তে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেষ্ট ঘনিষ্ঠ রাজীব ভট্টাচার্যের (Rajib Bhattacharya) পেশ করা নথি যত পরীক্ষা হচ্ছে, ততই যেন নতুন নতুন চমকপ্রদ তথ্য উঠে আসছে সিবিআইয়ের (CBI) হাতে। গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling) অনুব্রতর (Anubrata Mondal) এই সহযোগীকে দীর্ঘ জেরা করেছে তদন্তকারী সংস্থা। জমা দিতে হয়েছে আয়-ব্যয় সংক্রান্ত সমস্ত হিসেবনিকেশও। আর তা পরীক্ষা করতে গিয়েই বেরিয়ে আসছে একের পর এক ‘গুপ্তধন’। 

    সিবিআইয়ের হাতে এসেছে রাজীবের চালকল সংস্থার ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের ব্যালান্স শিট। তাতে দেখা গিয়েছে, সেই সময় অনুব্রতর স্ত্রী ছবি মণ্ডলকে অগ্রিম বাবদ ২১ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে , ওই একই সময়ে, আরেক অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনের থেকে ৫ লক্ষ টাকা ধার নেওয়া হয়েছিল। প্রশ্ন উঠছে কী কারণে? এই দুই ব্যক্তির সঙ্গে কেন ব্যবসায়িক লেনদেন করা হয়েছিল? ঠিক কী উদ্দেশ্যে এই বিপুল পরিমাণ টাকা নেওয়া ও দেওয়া হয়েছিল, তা জানার চেষ্টা করছে সিবিআই। 

    আরও পড়ুন: রাজীব ভট্টাচার্য কি কেষ্টর ‘বেনামি’, কার চিকিৎসার জন্য ৬৬ লাখ দিয়েছিলেন? তদন্তে ইডি-সিবিআই

    অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগে, রাজীবের পেশ করা তাঁর সংস্থার ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের ব্যালান্স শিট দেখে সিবিআই জানতে পারে যে, টাটা মেডিক্যাল সেন্টার ট্রাস্টকে দেওয়া হয়েছিল ৬৬ লক্ষ টাকা। কী কারণে সেই টাকা হাসপাতালকে দেওয়া হয়েছিল, তা উল্লেখ ছিল না নথিতে। এমনকী, সূত্রের খবর, রাজীবকে প্রশ্ন করেও এই নিয়ে সদুত্তর মেলেনি। তবে, জানা গিয়েছে, ওই একই সময়ে ওই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন ছবি মণ্ডল। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ছবির চিকিৎসার খরচই মিটিয়েছিলেন রাজীব। তেমনটা হয়ে থাকল, কেন?

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি, কেষ্টর সবকটি রাইস মিলের ‘অপারেটর’ হচ্ছেন এই রাজীব। জানা গিয়েছে, একসময়ে বীরভূমের ছোট চাল ব্যবসায়ী ছিলেন রাজীব ভট্টাচার্য। অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হওয়ার পর থেকেই আচমকা উল্কার বেগে তাঁর উত্থানের শুরু। অল্প সময়ের মধ্যে বিপুল সম্পত্তি মালিক হন তিনি। বর্তমানে রাজীবের আওতায় ৭টি রাইস মিল রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: এবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন স্বয়ং অনুব্রত মণ্ডল, কেন জানেন?

    আবার ঘটনাচক্রে, অনুব্রতর ছত্রছায়ায় রাজীবের মতোই উল্কার উত্থান হয়েছে বিদ্যুৎ গায়েনেরও। ছিলেন সামান্য এক পুরসভার গ্রুপ ডি কর্মী। সেখান থেকে কয়েক বছরের মধ্যেই বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়ে যান। অনুব্রতর লগ্নি করা একাধিক কোম্পানিতে সুকন্যা মণ্ডলের সঙ্গে যুগ্ম ডিরেক্টর পদে রয়েছেন। নাম যুক্ত রয়েছে ভোলে ব্যোম রাইস মিলের সঙ্গেও।

    তাহলে কি অনুব্রতর বেনামি সম্পত্তি তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের নামে রেখেছেন অনুব্রত? কেষ্টর ‘গুপ্তধন’-এর সন্ধানে জোরকদমে চারদিকে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। 

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • PIL: বাম-বিজেপি নেতাদের সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে নয়া মোড়! কী হল আদালতে?

    PIL: বাম-বিজেপি নেতাদের সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে নয়া মোড়! কী হল আদালতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস-সহ রাজ্যের সমস্ত বিরোধী দলের প্রথম সারির ১৭ জন নেতার নামে সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলায় সবরকম সহোযোগিতার আশ্বাস দিলেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমের আইনজীবী। মঙ্গলবার মামলার শুনানির সময় সিপিএমের দুই নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য এবং মহম্মদ সেলিমের আইনজীবীরা জানান, তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন তাঁদের মক্কেলরা। কিন্তু তদন্ত করাতে হবে যে কোনও নিরপেক্ষ এবং স্বাধীন সংস্থাকে দিয়ে। আইনজীবীরা এদিন স্পষ্টই জানান, মামলায় সবরকম সহযোগিতা করবেন তাঁরা। তবে মামলার নথি আদান প্রদানের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়ায় শুনানিপর্ব পিছিয়ে দেওয়া হয়। আগামী মঙ্গলবার ৩০ অগাস্ট ফের এই মামলার শুনানি হবে।

    এর আগে শাসকদলের ১৯ জন নেতামন্ত্রীর নামে সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি মামলা হয়েছিল। যে মামলায় ইডিকে পার্টি করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। তারই পাল্টা বিরোধীদের ১৭ নেতার বিরুদ্ধে অস্বাভাবিক সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। গত সপ্তাহেই কলকাতা হাইকোর্টে জনৈক সুজিত গুপ্ত এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। আদালতে মামলাকারী জানান, ১৭ জন বিজেপি বিধায়ক-সাংসদ এবং অন্যান্য দলের নেতার আয় ও সম্পত্তি বৃদ্ধি নজরে রাখা উচিত। কারও কারও সম্পত্তি দ্বিগুণ বেড়েছে বলেও উল্লেখ করেন মামলাকারী।

    আরও পড়ুন: ভিনরাজ্য থেকে আসা ইমাম ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক! অসমে কেন এই নয়া নিয়ম

    এই মামলায় নাম রয়েছে তৃণমূলের কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী ও তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীও। এছাড়া রয়েছে, বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের নামও। নাম রয়েছে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজকুমার ওরাওঁ, কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী, আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল, বিজেপি নেতা শীলভদ্র দত্ত, বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য, বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা, বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি, বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ সিনহার (রাহুল সিনহা)। নাম রয়েছে কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা আব্দুল মান্নান, সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম ও সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যের।

  • Arpita Mukherjee: এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গোপন জবানবন্দি দিচ্ছেন পার্থ  ঘনিষ্ঠ অর্পিতা?

    Arpita Mukherjee: এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গোপন জবানবন্দি দিচ্ছেন পার্থ  ঘনিষ্ঠ অর্পিতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় (SSC Scam Case) গোপন জবানবন্দি দিচ্ছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। ইডির (ED) একটি সূত্রেই এমন খবর মিলেছে। আর যদি সত্যি সত্যিই অর্পিতা গোপন জবানবন্দি দেন, তাহলে আরও বিপাকে পড়তে পারেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।

    এসএসসি কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। দুর্নীতির শেকড়ের গভীরে পৌঁছতে দিন কয়েক আগে ইডি হানা দেয় অর্পিতার ফ্ল্যাটে। উদ্ধার হয় ৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি। পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের সোনাও বাজেয়াপ্ত হয়েছে। হদিশ মিলেছে নামে বেনামে প্রচুর জমি, ফ্ল্যাট, বাগানবাড়ি এবং কোম্পানির। বর্তমানে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের মহিলা সেলে রয়েছেন অর্পিতা। ইতিমধ্যেই সেখানে গিয়ে তাঁকে একাধিকবার জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। তখনই উঠে এসেছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। ইডির একটি সূত্রে খবর, তদন্তকারীরা অর্পিতার কাছে জানতে চান, তিনি এই সব বয়ান বিচারকের কাছে বলবেন কিনা। ততক্ষণাৎ অর্পিতা জানিয়ে দেন গোপন জবানবন্দি দিতে তিনি প্রস্তুত।

    আরও পড়ুন : হাজারিবাগের হোটেলে পার্থ-ঘনিষ্ঠের খোঁজে তল্লাশি আয়কর দফতরের, কী মিলল জানেন?

    ইডির তদন্তকারীদের নানা সময়ে অর্পিতা জানিয়েছেন, ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া নগদ টাকা এবং সোনা তাঁর নয়। এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানতেনও না। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের লোকজনই ফ্ল্যাটে গিয়ে টাকা রেখে তালা লাগিয়ে দিত। তবে ঘনিষ্ঠতা সূত্রে পার্থর কাছ থেকে অর্থ লেনদেনের কিছু কথা তাঁরও কানে গিয়েছে বলে দাবি অর্পিতার। কোন জেলা থেকে কত টাকা আসত, কে সেই টাকা পাঠাত, তার তালিকা তৈরি করতে চাইছে ইডি। সেক্ষেত্রে অর্পিতার গোপন জবানবন্দি তদন্তের ক্ষেত্রে হয়ে উঠবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইডি সূত্রে খবর, পার্থর কাছ থেকে টাকার একটা অংশ প্রভাবশালীদের কাছেও যেত। জেরার মুখে অর্পিতা কয়েকজনের নামও বলেছেন। অর্পিতা জবানবন্দি দিলে, ইডির পক্ষে অভিযোগ প্রমাণ করা হবে স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। তাই ইডি চাইছে, গোপন জবানবন্দি দিন অর্পিতা। প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন অর্পিতাও।

    আরও পড়ুন : জামিনের আর্জি খারিজ! এসএসসি দুর্নীতি-কাণ্ডে শান্তিপ্রসাদ ও অশোকের আরও ৬দিন সিবিআই হেফাজত

    এমতাবস্থায় অর্পিতার গোপন জবানবন্দি নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। এ ব্যাপারে আইনি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছেন ইডি কর্তারা। জানা গিয়েছে, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় গোপন জবানবন্দি দিতে পারেন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা। সেক্ষেত্রে কেলেঙ্কারির আরও গভীর ফাঁসে জড়িয়ে যেতে পারেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।

     

  • IPS Koteswar Rao: জ্ঞানবন্ত না গেলেও দিল্লির ইডি দফতরে আজ যাচ্ছেন আর এক আইপিএস কোটেশ্বর রাও

    IPS Koteswar Rao: জ্ঞানবন্ত না গেলেও দিল্লির ইডি দফতরে আজ যাচ্ছেন আর এক আইপিএস কোটেশ্বর রাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  জ্ঞানবন্ত সিংহ (IPS Gyanwant Singh) হাজির হননি, কিন্তু মঙ্গলবার দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে গেলেন আইপিএস অফিসার কোটেশ্বর রাও (IPS Koteswar Rao)। কয়লা পাচার কাণ্ডে (Coal smuggling case) আয়কর তল্লাশিতে (Income Tax raid) মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি (Anoop Majhi) ওরফে লালার বাড়ি থেকে এমন কিছু নথিপত্র পাওয়া গিয়েছে, যেখানে কোটেশ্বরের যোগসূত্র মিলেছে। লালার ডায়েরিতেও কোটেশ্বরের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের তথ্য মিলেছে বলে ইডি দাবি করেছে। সেই প্রেক্ষিতেই আগেও একদফা ডেকে পাঠানো হয়েছিল পশ্চিমাঞ্চলে কাজ করা আট জন আইপিএসকে (ED summons 8 IPS) । এবারও সেই সূত্রেই ফের ডাক দিয়েছে ইডি (ED)।

     জ্ঞানবন্ত না গেলেও এদিন অবশ্য কোটেশ্বর হাজির হচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। বাকি অফিসাররা এখনও লিখিতভাবে কিছু জানাননি। ফলে তাঁরাও হাজির হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। জ্ঞানবন্ত ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে গত সোমবার ইডির হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন। তাঁকে ফের ডাকা হতে পারে বলে তদন্তকারী সংস্থাসূ্ত্রের দাবি। 

    আরও পড়ুন: বালি-পাথরের ‘নবগ্রহ’ ইডি-সিবিআইয়ের নজরে, কেষ্টর পর কে কে? 

    এছাড়াও তালিকায় রয়েছেন, রাজীব মিশ্র , সুকেশ জৈন, শ্যাম সিং, এস সেলভামুরগান, তথাগত বসু, ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। জ্ঞানবন্ত সিংকে ডাকা হয়েছিল ২২ অগাস্ট, কোটেশ্বর রাওকে ডাকা হয়েছে ২৩ অগাস্ট, শ্যাম সিংকে ডাকা হয়েছে ২৪ অগাস্ট। এছাড়াও এস সেলভামুরুগান, রাজীব মিশ্র, সুকেশ জৈন, তথাগত বসু এবং ভাস্কর মুখোপাধ্যায়কে যথাক্রমে ২৫, ২৬, ২৯, ৩০, ৩১ অগাস্ট তলব করেছে ইডি। দিল্লির ইডি দফতরে তলব করা হয়েছে তাঁদের ৷ কয়লাপাচার কাণ্ডে ইতিমধ্যেই আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিংকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ইডি আধিকারিকরা ৷ দিল্লিতে দুবার ও কলকাতায় একবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে ৷ রেকর্ড করা হয়েছে তাঁর বয়ানও৷ এস সিলভা মুরুগানকেও এর আগে একবার তলব করেছে কেন্দ্রীয় এই গোয়েন্দা সংস্থা।

    আরও পড়ুন: জুলাই মাসে রাশিয়া ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম কয়লা সরবরাহকারী, বলছে রিপোর্ট 

    ইডি আধিকারিকদের দাবি, কয়লাপাচার কাণ্ডে অন্যান্যদের জেরা করে এই ৮ আইপিএস অফিসারদের নাম উঠে এসেছে ৷ আসানসোল-রানিগঞ্জ, পুরুলিয়া, বাঁকুড়াসহ একাধিক জায়গায় কর্মরত থাকা কালীন এই পুলিশ আধিকারিকদের কাছে কয়লাপাচার সংক্রান্ত কোনও তথ্য ছিল কিনা তা জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চাইবেন ইডি আধিকারিকরা। যদি জানা থাকে তাহলে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল ? কোনও প্রভাবশালীর নাম তাঁরা জানতেন কি না? ইডির আরও প্রশ্ন থাকবে, জানা থাকলে এবিষয়ে তাঁরা কোনও ব্যবস্থা নিয়েছিলেন কি না? এবিষয়ে কোনও ব্যক্তিকে আজ অবধি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি না সে বিষয়েও এই আট আধিকারিকের কাছে জানতে চাইবে ইডি। 

    আগেও এই পুলিশ কর্তাদের তলব করা হয়েছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে যে শুধু নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ রয়েছে তাই নয়, সরাসরি পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগও উঠেছে। অভিযোগ, পুলিশের চোখের সামনে দিয়ে লরি করে কয়লা পাচার করা হত। তারপরও পুলিশের মুখ বন্ধ ছিল। মূলত আসানসোল, পুরুলিয়া এলাকাতেই চলত পাচার। 

    এঁদের মধ্যে কেউ তখন ছিলেন জেলার পুলিশ সুপার, কেউ ছিলেন আইসি। তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি, এই পুলিশ কর্তারা ইচ্ছে করেই আটকাননি পাচার। ইডি সূত্রের খবর, ওই পুলিশ আধিকারিকদের কাছে থাকত বিশেষ টোকেন নম্বর, যা দেখে কয়লার গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হত। কার্যত পাচারে সুবিধা করে দেওয়া হত। এমনকি আর্থিক দিক থেকে লাভবানও হতেন এই পুলিশকর্তারা বলে অভিযোগ করেছে ইডি। আগেও একাধিক অফিসারকে এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

    উল্লেখ্য, কয়লাপাচার কাণ্ডে এর আগে দিল্লিতে তলব করা হয় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। 

    এসএসসি দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। পার্থ ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে ৫০ কোটিরও বেশি টাকা উদ্ধার হয়েছে। ওই টাকা এল কোথা থেকে তার তদন্তে নেমেছে ইডি। দশ বার নোটিস এড়ানোর পর আজ গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে তার বোলপুরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এবার ইডির নজরে রাজ্যের ৮ আইপিএস অফিসার। ফলে রাজ্য সরকার যে যথেষ্ট বিপাকে রয়েছে তা বলাই বাহুল্য। 
        

  • Praggnanandhaa Rameshbabu: বার বার তিনবার! বিশ্বের এক নম্বর দাবাড়ু কার্লসেনকে ফের হারালেন প্রজ্ঞানন্দ

    Praggnanandhaa Rameshbabu: বার বার তিনবার! বিশ্বের এক নম্বর দাবাড়ু কার্লসেনকে ফের হারালেন প্রজ্ঞানন্দ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথমবার ৫ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ও বিশ্বের এক নম্বর দাবাড়ু ম্যাগনাস কার্লসেনকে (Magnus Carlsen) হারিয়ে দেশ তথা গোটা বিশ্বকে অবাক করেছিলেন ভারতের ক্ষুদে গ্র্যান্ডমাস্টার রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ (Praggnanandhaa)। গত ছয় মাসে এই নিয়ে তৃতীয়বার। ফের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ম্যাগনাস কার্লসেনকে হারালেন ভারতের তরুণ দাবাড়ু প্রজ্ঞানন্দ। ১৭ বছরের ভারতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার প্রজ্ঞানন্দ এবার মায়ামিতে ক্রিপটো কাপে শেষ রাউন্ডে কার্লসেনকে হারালেন। যদিও ভারতীয় গ্র্যান্ডমাস্টারের কাছে হারলেও প্রতিযগিতার চ্যাম্পিয়ন হলেন কার্লসেন। নির্ধারিত সময়ে স্কোর ২-২ ছিল। শেষ অবধি ব্লিৎজ টাইব্রেকারে জেতেন প্রজ্ঞানন্দ। নিজের হারে হতবাক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন (World Champion) কার্লসেন। 

    মাত্র ১০ বছরেই ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার হয়ে নজির গড়েছিলেন প্রজ্ঞানন্দ। এ বছর মে মাসে এয়ারথিংস মাস্টার্স ব়্যাপিড চেস প্রতিযোগিতায় কার্লসেনকে হারিয়েছিলেন প্রজ্ঞানন্দ। এবারের প্রতিযোগিতায় অনবদ্য শুরু করেছিলেন প্রজ্ঞানন্দ। টানা চারটি ম্যাচে জিতেছিলেন। এর মধ্যে বিশ্বের ৬ নম্বর লেভন অ্যারোনিয়ানের বিরুদ্ধে ৩-১’র জয়ও রয়েছে। শুরুতে আলিরেজা ফিরোউজা, আরেক ভারতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার অনিশ গিরি এবং হান্স নিয়েমানকে হারান প্রজ্ঞানন্দ। তাঁর জয়ের ধারা ধাক্কা পায় চিনের কোয়াং লিয়েম লি’র বিরুদ্ধে। পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচে হারেন প্রজ্ঞানন্দ। ষষ্ঠ রাউন্ডে পোল্যান্ডের জান-কিজিস্টফ ডুডার কাছে টাইব্রেকারে হারেন। এই সময়ই পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েন প্রজ্ঞানন্দ।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের আবেদন মেনে ফিফার নিয়মকে মান্যতা শীর্ষ আদালতের! সিওএ বাতিলের নির্দেশ

    শেষের দিকে ভালো খেললেও পয়েন্টের বিচারে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি ভারতীয় দাবাড়ু। তাও মাত্র এক পয়েন্টের ব্যবধান। শেষ দিকে পর পর তিনটি গেম জিতলেও পয়েন্টের বিচারে দ্বিতীয় হন প্রজ্ঞা। প্রজ্ঞার পয়েন্ট ১৫। অন্য দিকে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে প্রতিযোগিতা জিতেছেন কার্লসেন। প্রজ্ঞার কাছে হারলেও প্রতিযোগিতা জিততে পেরে খুশি কার্লসেন। তিনি বলেছেন,’সারা দিন ধরে খুব খারাপ খেলেছি। তার পরেও জিতেছি। হারতে ভাল লাগে না। কিন্তু সব দিন সমান থাকে না।’ অন্য দিকে দ্বিতীয় হয়ে খুশি নন প্রজ্ঞা। আরও ভাল ফলের আশা করেছিলেন তিনি। ভারতের ১৭ বছরের দাবাড়ু বলেছেন,’আরও ভাল ফল হতে পারত। কয়েকটা ম্যাচ খারাপ খেলেছি। তবে সব মিলিয়ে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করা খারাপ ফল নয়।’

  • Bihar: জাতীয় পতাকাকে ‘ঢাল’ করেও মেলেনি রেহাই, বিহারে এডিএমের মার হবু শিক্ষককে

    Bihar: জাতীয় পতাকাকে ‘ঢাল’ করেও মেলেনি রেহাই, বিহারে এডিএমের মার হবু শিক্ষককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় পতাকাকে (National Flag) ‘ঢাল’ করে প্রশাসনের লাঠির ঘা থেকে বাঁচার মরিয়া চেষ্টা করছেন বিক্ষোভকারী এক হবু শিক্ষক (Teacher)। তবে তাতেও রেহাই মেলেনি। কালো শার্ট ও সাদা প্যান্ট পরা ওই প্রতিবাদীর মাথায় এসে পড়ছে একের পর এক লাঠির ঘা। বিহারের (Bihar) রাস্তায় চাকরির দাবিতে জড়ো হওয়া বিক্ষোভরত এক হবু শিক্ষকের এহেন করুণ পরিণতিতে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। অভিযোগের তির পাটনার (Patna) যে অতিরিক্ত জেলাশাসক (ADM), সেই কেকে সিংহের (KK singh) বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে তদন্ত।

    সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে পাটনার ডাকবাংলো মোড়ে জড়ো হয়েছেন শয়ে শয়ে সিটেট (CTET) এবং বিটেট (BTET) পাশ চাকরি প্রার্থীরা। সপ্তম পর্যায়ের শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে পথে নেমেছেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন জন অধিকার পার্টির সদস্যরাও। ডাকবাংলো মোড় থেকে রাজভবন পর্যন্ত পদযাত্রা শুরু করতেই মাঠে নেমে পড়ে প্রশাসন। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চালায় পুলিশ। সেই সময় কেকে সিংহকে দেখা যায় রণংদেহি মূর্তিতে। তাঁর লাঠির ঘা থেকে বাঁচতে জাতীয় পতাকাকে ঢাল করেছিলেন এক প্রতিবাদী। তার পরেও প্রহৃত হয়েছেন ওই হবু শিক্ষক। তাঁকে মাটিতে ফেলে হিড় হিড় করে টেনেও নিয়ে যান ওই এডিএম।

    আরও পড়ুন : নীতীশ ‘পরজীবী’, তোপ বিহার বিজেপির

    ভিডিও ভাইরাল হতেই নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)-তেজস্বী যাদব সরকারের তীব্র নিন্দা করেছে বিহার বিজেপি। দলের পক্ষ থেকে ট্যুইট করে বলা হয়েছে, এই সরকার কি অন্ধ যে তেরঙ্গার ওপর লাঠি চালাচ্ছে? এই সরকার কি বধির যে যারা কার্তুজ চালায়, তাদের হাতে কলম দিচ্ছে? কারওর কারওর জন্য এটা শখের বিষয় হতে পারে, মজার বিষয় হতে পারে, কিন্তু জন সাধারণের জন্য এটা অসহায়তা।

    ঘটনার প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন পাটনার জেলাশাসক চন্দ্রশেখর সিংহ। ঘটনা সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী আরজেডি (RJD) নেতা তেজস্বী যাদবও (Tejaswi Yadav)। সম্প্রতি ১০ লক্ষ বেকারের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী। কোটার পরিমাণ বাড়িয়ে ২০ লক্ষ করার আশ্বাস দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীও। তার পরে পরেই চাকরি প্রার্থীদের ওপর এই নির্মম প্রহারের ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই স্তম্ভিত শিক্ষামহল।

    আরও পড়ুন : বিজেপি-সঙ্গ ত্যাগ নিছক উপলক্ষ, নীতীশের লক্ষ্য কি প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি?

LinkedIn
Share