Blog

  • Somnath Shivling: মামুদের ভাঙা সোমনাথ মন্দিরের শিবলিঙ্গের ভাঙা অংশ সংরক্ষণ করবেন ধর্মগুরু রবিশংকর

    Somnath Shivling: মামুদের ভাঙা সোমনাথ মন্দিরের শিবলিঙ্গের ভাঙা অংশ সংরক্ষণ করবেন ধর্মগুরু রবিশংকর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাচীন ভারতে হিন্দুদের পীঠস্থান সোমনাথ মন্দিরের (Somnath Shivling) শিবলিঙ্গকে ভেঙে চুরমার করেছিলেন গজনির সুলতান মামুদ। সেই ভাঙা জ্যোতির্লিঙ্গগুলি দীর্ঘদিন ধরেই সংরক্ষিত হয়েছিল। বর্তমানে সেই জ্যোতির্লিঙ্গের ভাঙা অংশগুলি নিজের কাছে রাখতে চলেছেন ভারতবর্ষের অন্যতম আধ্যাত্মিক গুরু শ্রী শ্রী রবি শংকর। জানা গিয়েছে, গজনির সুলতান মামুদ ওই জ্যোতির্লিঙ্গকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করার পরে সেই ভাঙা অংশগুলি ছিল অগ্নিহোত্রী ব্রাহ্মণদের কাছে। বিগত ২১ বছর ধরে এই জ্যোতির্লিঙ্গের ভাঙা অংশগুলি ছিল সীতারাম শাস্ত্রী নামের এক অগ্নিহোত্রী পুরোহিতের কাছে এবং তিনি দেখাশোনা করেছিলেন এগুলি। সীতারাম শাস্ত্রী এগুলিকে হস্তান্তর করে দেন শ্রী শ্রী রবিশঙ্করের (Sri Sri Ravishankar) হাতে।

    কী বললেন সীতারাম শাস্ত্রী?

    সীতারাম শাস্ত্রী জানিয়েছেন (Somnath Shivling), তাঁরা দুই প্রজন্ম ধরে এই জ্যোতির্লিঙ্গের ভাঙা অংশগুলিকে সংরক্ষণ করে আসছেন। শাস্ত্রীর কাকা জ্যোতির্লিঙ্গের ভাঙা অংশগুলিকে সীতারাম শাস্ত্রীর হাতে হস্তান্তর করেছিলেন বলে জানা যায়। সীতারাম শাস্ত্রী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমি একুশ বছর আগেই মূর্তিগুলিকে পেয়েছিলাম। এর আগে আমার কাকা এগুলোকে নিজের কাছে রেখেছিলেন। তিনি আমাকে এই মূর্তিগুলিকে দিয়েছিলেন এবং তিনি আমাকে বলেছিলেন এর মধ্যে অন্তত দুটি মূর্তি যেন গুজরাতের সোমনাথ মন্দিরে তুমি স্থাপন করবে। সোমনাথ শাস্ত্রী জানিয়েছেন এই জ্যোতির্লিঙ্গের ভাঙা অংশগুলির বয়স হাজার বছর হয়ে গেছে। প্রায় আমার কাকা তাঁর গুরু প্রবীন্দ্র সরস্বতীর কাছ থেকে এগুলি পেয়েছিলেন। পরবর্তীকালে আমার কাকার কাছ থেকে এগুলি আমি পাই।’’

    কী বললেন শ্রী শ্রী রবিশংকর (Somnath Shivling)

    অন্যদিকে শ্রী শ্রী রবিশংকর এই বিষয়গুলির ওপরে বলেন, ‘‘সীতারাম শাস্ত্রীর কাকা তাঁর গুরু পরবেন্দ্র সরস্বতীর কাছ থেকে শিবলিঙ্গের অংশগুলি পেয়েছেন। ১০০ বছর আগে এই শিবলিঙ্গের অংশগুলি পেয়েছিলেন তিনি। তখন কাঞ্চির শংকরাচার্যের কাছে তিনি এগুলি নিয়ে যান। শংকরাচার্য তাঁকে বলেছিলেন যে সোমনাথ মন্দিরের শিবলিঙ্গ পবিত্র হতে ১০০ বছর সময় লাগবে। তাই তিনি সেই সময় পর্যন্ত অংশগুলিকে সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।’’ জানা যায়, এক হাজার বছর আগেই শিবলিঙ্গটিকে ধ্বংস করেন গজনির সুলতান মামুদ এবং সোমনাথ মন্দিরের (Somnath Shivling) প্রবেশের সময় মামুদ পঞ্চাশ হাজার মানুষকে হত্যা করেছিলেন বলে জানা যায়। মন্দিরে সমস্ত জিনিসপত্র গজনির সুলতান লুট করেছিলেন এবং শিবলিঙ্গকে ধ্বংস করেছিলেন।

  • New Income Tax Bill: রয়েছে সাড়ে পাঁচশোরও কম ধারা, লোকসভায় নতুন আয়কর বিল পেশ নির্মলার

    New Income Tax Bill: রয়েছে সাড়ে পাঁচশোরও কম ধারা, লোকসভায় নতুন আয়কর বিল পেশ নির্মলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতীক্ষার অবসান, বৃহস্পতিবার, লোকসভায় নতুন আয়কর বিল পেশ (New Income Tax Bill) করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। ১৯৬১ সালের আয়কর আইনের সংশোধন নয়, বরং পুরনো আইনকে ভুলে নতুন আয়করের বিধানে দেশকে চালাতে চান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। নতুন বিলে ‘করবর্ষ’ চালু করার কথা বলেছে সরকার। আর্থিক বছরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই করবর্ষ আনা হচ্ছে বলে খবর সূত্রের।

    নয়া বিলে কী পরিবর্তন

    সংসদে বিলটি পেশ করার সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman) জানান, ‘আয়কর আইনের ধারা কমিয়ে ৮১৯ থেকে নামানো হয়েছে ৫৩৬এ’। যার মাধ্যমে সাধারণের কাছে আগের তুলনায় আয়কর বিধিগুলি বুঝতে অনেকটা সহজ বলে মত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের। তবে আয়করের ধারা কমানো ছাড়াও আরও এক গুচ্ছ পরিবর্তন আনা হয়েছে এই নতুন আইনে। সূত্রের খবর, বিল আইনে পরিণত হলে ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল আরও সহজ হবে। এই নয়া আইনের হাত ধরে আয়কর স্ল্যাব সম্বন্ধে সাধারণের ধারণা আরও স্পষ্ট হবে। অনেক সময়ই দেখা গিয়েছে, না বুঝে আয়কর নিয়ে আইনি সংঘাতে পড়ে যান বহু করদাতা। সেই সমস্যার সুরাহা করতেই নয়া বিলে আনা হয়েছে পরিবর্তন। আইনি সংঘাত কমাতে নেওয়া হয়েছে বড় পদক্ষেপ।

    কেন পরিবর্তন

    চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে ২০২৫-’২৬ আর্থিক বছরের পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা (Nirmala Sitharaman)। বাজেট বক্তৃতাতেই নতুন আয়কর বিল আনার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। এর পর গত সপ্তাহে প্রথামাফিক বিলে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রিসভা। দেশের কর ব্যবস্থাকে সরল ও আধুনিক করতে নতুন বিলটি আনা হয়েছে বলে দাবি করেছে সরকার। প্রসঙ্গত, নয়া বিল আনা হলেও নতুন করে কোনও আয়কর আরোপ করা হবে না বলে আগেই স্পষ্ট করেছিল কেন্দ্র। এ প্রসঙ্গে অর্থসচিব বলেন, ‘‘বিলটি আইনে পরিণত হলে আয়করের ক্ষেত্রে হ্রাস পাবে আইনি জটিলতা। করদাতারা সহজ সম্মতিতে অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।’’ কেন্দ্রের দাবি, বর্তমানে চালু থাকা আইনের তুলনায় ৫০ শতাংশ ধারা কমিয়ে নতুন বিলটি তৈরি করা হয়েছে। এর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হল মামলা-মোকদ্দমার সংখ্যা কমানো।

  • Donald Trump: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে নয়া উদ্যোগ, পুতিন ও জেলেনস্কিকে ফোন ট্রাম্পের

    Donald Trump: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে নয়া উদ্যোগ, পুতিন ও জেলেনস্কিকে ফোন ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনয়া রাজি দুই রাষ্ট্রপ্রধান। সমাজমাধ্যমে একথা জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। গত তিন বছর ধরে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে চলা যুদ্ধ বন্ধ করতে উদ্যোগী ট্রাম্প। বুধবার তিনি এই বিষয়ে কথা বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে। তারপরই ট্রাম্প জানান, প্রথমে তিনি কথা বলেন পুতিনের সঙ্গে। এরপর আলোচনার বিষয়বস্তু জানিয়ে ট্রাম্প ফোন করেন জেলেনস্কিকে।

    ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপ

    মস্কোর তরফে ট্রাম্প-পুতিন ফোন কথোপকথনের বিষয়টি স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় দেড় ঘণ্টা ট্রাম্প এবং পুতিনের মধ্যে কথা হয়। পুতিন ট্রাম্পকে রাশিয়ায় (Russia Ukraine War) যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান। ট্রাম্পও পুতিনকে আমেরিকায় যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান। পুতিনের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের বিষয়ে ট্রাম্প (Donald Trump) বলেন, “প্রেসিডেন্ট পুতিনের চিন্তাভাবনা কী তা মানুষ সত্যিই জানত না। তবে আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, তিনি এই যুদ্ধের শেষ দেখতে চান ৷ তাই এটি ভালো দিক এবং আমরা এই যুদ্ধ শেষ করার বিষয়ে যত দ্রুত সম্ভব কাজ করতে চলেছি ।” ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার নির্যাস জানিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তিনি জানান, শান্তিরক্ষার বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর অর্থবহ আলোচনা হয়েছে।

    শান্তির পক্ষে সওয়াল

    প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের পূর্বসূরি জো বাইডেন পুতিনের সঙ্গে প্রায় তিন বছর কোনও আলাপ-আলোচনা করেননি। বরং রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য অর্থ, অস্ত্র এবং রসদ জুগিয়েছিলেন ইউক্রেনকে। ট্রাম্প অবশ্য অতীতেও পুতিনের প্রশংসা করেছেন। দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War) বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। বুধবার ট্রাম্প যুদ্ধ বন্ধ করার বিষয়ে আলোচনা শুরুর জন্য আমেরিকার বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজকে নির্দেশ দিয়েছেন। যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়া ইউক্রেন দুই তরফে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে, এমনটাই দাবি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৷ তবে বৈঠক কবে এবং কোথায় হবে, তা এখনও নিশ্চিত হয়নি৷ ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, “আমি মনে করি প্রেসিডেন্ট পুতিন শান্তি চান এবং প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিও শান্তি চান এবং আমিও শান্তি চাই। আমি চাই, মানুষ হত্যা বন্ধ হোক।”

  • Kejriwal: মানকে সরিয়ে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন কেজরিওয়াল? আপের বৈঠক ঘিরে শুরু জল্পনা

    Kejriwal: মানকে সরিয়ে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন কেজরিওয়াল? আপের বৈঠক ঘিরে শুরু জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে ব্যাপক ভরাডুবি হয়েছে আপের। খোদ পরাস্ত হয়েছেন দলের সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Kejriwal)। এই অবস্থায় জল্পনা শুরু হয়েছে পাঞ্জাবে আপের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে এবং কেজরিওয়াল হতে পারেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপির দাবি, কেজরিওয়াল মানকে (Bhagwant Mann) মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। গেরুয়া শিবিরের এই দাবির পরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনীতিতে।

    মঙ্গলবার বৈঠক হয় আপের (Kejriwal)

    জল্পনা আরও বাড়ে গত মঙ্গলবার। ওই দিন রাজধানীতে কাপুরথালা হাউসে আপের একটি বিশেষ বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেজরিওয়াল, দলের প্রবীণ নেতা মণীশ সিসোদিয়া, মুখ্যমন্ত্রী মান এবং পঞ্জাবের সমস্ত বিধায়ক ও গুরুত্বপূর্ণ দলীয় নেতারা। এরপরেই বিজেপির প্রবীণ নেতা তথা রাজৌরি গার্ডেনের নবনির্বাচিত বিধায়ক মনজিন্দর সিং সিরসা একটি ভিডিওতে দাবি করেছেন, ‘আপের জাতীয় আহ্বায়ক মানকে ‘অযোগ্য’ বলে চিহ্নিত করে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

    বিজেপির দাবি

    দিল্লির নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পরেই এই বৈঠক নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। শোনা যায়, অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Kejriwal) দিল্লিতে মানকে অযোগ্য বলে চিহ্নিত করে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। মহিলাদের জন্য ১,০০০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়া, মাদকের অপব্যবহার- এই সব কারণের জন্যই নাকি কেজরিওয়াল সরিয়ে দিতে চান মানকে। বৈঠকের পরেই বিজেপি দাবি করে, দিল্লির নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Kejriwal) দিল্লিতে পাঞ্জাবের বিধায়কদের একটি সভা ডেকেছেন। শোনা যাচ্ছে, তিনি মানকে অযোগ্য বলে চিহ্নিত করে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি পাঞ্জাবের আপ বিধায়কদের বলতে বাধ্য করছেন যে কেজরিওয়াল একজন ভালো মানুষ এবং মানের পরিবর্তে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা উচিত।প্রসঙ্গত, ১১৭ সদস্যের পাঞ্জাব বিধানসভায় আপের ৯৩ জন এবং কংগ্রেসের ১৬ জন বিধায়ক রয়েছে।

  • Modi Trump Meeting: আজই বৈঠকে মোদি-ট্রাম্প, আলোচনায় উঠতে পারে কোন কোন প্রসঙ্গ?

    Modi Trump Meeting: আজই বৈঠকে মোদি-ট্রাম্প, আলোচনায় উঠতে পারে কোন কোন প্রসঙ্গ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্রান্স সফর শেষ করে আমেরিকা পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বৃহস্পতিবারই তিনি বৈঠকে বসবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। বিমানবন্দরে মোদিকে স্বাগত জানান মার্কিন আধিকারিক ও আমেরিকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিনয়মোহন কোয়াত্রা। দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করার পর এই প্রথম ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন মোদি (Modi Trump Meeting)। অনাবাসী ভারতীয়দের ফেরত পাঠানো এবং শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারির মাঝে ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির এই সাক্ষাৎ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

    প্রধানমন্ত্রী মোদিকে স্বাগত

    দু’‌দিনের আমেরিকা সফরে ওয়াশিংটনের ব্লেয়ার হাউসে থাকবেন মোদি। এদিকে, মোদি ব্লেয়ার হাউসে যাচ্ছেন শুনে বহু অনাবাসী ভারতীয় সেখানে জড়ো হন। তাঁদের হাতে ধরা ছিল আমেরিকা এবং ভারতের পতাকা। মোদি তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন। এদিকে, ওয়াশিংটনে পৌঁছেই আমেরিকার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ডিরেক্টর তুলসী গাবার্ডের সঙ্গে দেখা করেন মোদি।

    ট্রাম্প-মোদি বৈঠকে গুরুত্ব

    এদিন ট্রাম্প ও মোদির বৈঠকে (Modi Trump Meeting) বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, সুরক্ষা, প্রযুক্তিগত উন্নতি ও অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা হতে পারে। উঠে আসতে পারে বাংলাদেশ ইস্যুও। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে ফেরার পরে নরেন্দ্র মোদির প্রথম ওয়াশিংটন সফরে আমেরিকা থেকে সি-১৩০ হারকিউলিস সামরিক পরিবহণ বিমান, পি-এআইটআই সামুদ্রিক নজরদারি বিমান কেনার চুক্তি করতে পারে দিল্লি। পরমাণু ক্ষেত্রে বিনিয়োগ নিয়েও আলোচনা হবে। জিই এবং ওয়েস্টিংহাউসসংস্থা থেকে পরমাণু চুল্লি কেনার বিষয়েও কথা হতে পারে। কূটনীতিকরা মনে করছেন, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরে মোদির প্রথম সফরে প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে নতুন ঘোষণা হতে পারে।

    সদর্থক বার্তা নিয়েই ওয়াশিংটনে মোদি

    দু’দেশের বৈঠকে এ বার মূলত শুল্ক, বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রই প্রধান বিষয় হয়ে উঠবে বলে কূটনীতিকরা মনে করছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের আগে গত ১ ফেব্রুয়ারির বাজেটে মোদি (PM Modi) সরকার ২০টি আমেরিকা থেকে আমদানি করা পণ্যে শুল্ক কমিয়েছে। আমেরিকার সংস্থাগুলি যাতে ভারতের পরমাণু বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে লগ্নি করতে পারে, তার জন্য পরমাণু দুর্ঘটনা দায়বদ্ধতা আইন সংশোধন করার ঘোষণা করা হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসার পরে এই দুই সদর্থক বার্তা নিয়েই ওয়াশিংটন পৌঁছচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।

  • PM Modi: মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান ‘বন্ধু’ তুলসী গাবার্ডের সঙ্গে সাক্ষাৎ মোদির

    PM Modi: মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান ‘বন্ধু’ তুলসী গাবার্ডের সঙ্গে সাক্ষাৎ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার জাতীয় গোয়েন্দা প্রধান হয়েছেন তুলসী গাবার্ড (Tulsi Gabbard)। প্রসঙ্গত, আমেরিকার আইনসভায় মার্কিন কংগ্রেসের প্রথম হিন্দু সদস্যও ছিলেন তুলসি। সেসময় তিনি ভগবত গীতায় হাত রেখে শপথগ্রহণ করেছিলেন বলে জানা যায়। তুলসী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) বন্ধু বলেই পরিচিত। ক্ষমতায় ফিরে গোয়েন্দা প্রধান হিসেবে তুলসীকে মনোনীত করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকা সফরে গিয়ে সেই তুলসীর সঙ্গে দেখা করে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি দুজনের বৈঠকেই ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক আরও মজবুত করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে তুলসীর পরিচয় বহুদিনের। আমেরিকায় অনুষ্ঠিত হাউডি মোদি অনুষ্ঠানের সময়ই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল তুলসীর। তুলসী এরপর থেকেই ‘হিন্দু জাতীয়তাবাদী’ হিসেবে বিশেষ পরিচিতি পান আমেরিকায়। এবার আমেরিকার গোয়েন্দা প্রধান হয়েই ‘বন্ধু’ মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন তুলসি।

    সাক্ষাৎ নিয়ে কী লিখলেন মোদি (PM Modi)?

    তুলসীর সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) লেখেন, ‘‘আমেরিকার গোয়েন্দা বিভাগের ডিরেক্টর তুলসী গাবার্ডের সঙ্গে দেখা হল। এই গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য তাঁকে অভিনন্দন। ওয়াশিংটন ডিসিতে আমরা আলোচনায় বসেছিলাম। ভারত-আমেরিকার মজবুত বন্ধুত্ব নিয়ে কথা হয়েছে আমাদের মধ্যে। আগামী দিনে যাতে এই বন্ধন আরও মজবুত হয় সেনিয়ে আমরা একমত হয়েছি। তুলসী সব সময়ই দুদেশের বন্ধুত্বের পক্ষেই কথা বলেছেন।’’

    এক সময়ে ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতেই ছিলেন তুলসী

    জানা যায়, এক সময়ে ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতেই ছিলেন তুলসী। ২০২০ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদের দৌড়ে সামিলও হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যান। তার পর বাইডেন সরকার ও দলীয় সহকর্মীদের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ সামনে আনেন তিনি। বাইডেনের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ ছিল, বর্তমান সরকার প্রতিটি ইস্যুতে বর্ণ বিচার করে কাজ করে। শ্বেতাঙ্গ-বিরোধী প্রতিবাদ, বিক্ষোভকে ইন্ধন জোগায়। ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে ‘যুদ্ধবাজ ও বর্ণবিদ্বেষী’ বলেও তোপ দেগেছিলেন।

  • Sheikh Mujibur Rahman: মুজিবুর রহমানের বাড়ির পর এবার নজর সমাধি! জানেন বাংলাদেশে জামাতের লক্ষ্য কী?

    Sheikh Mujibur Rahman: মুজিবুর রহমানের বাড়ির পর এবার নজর সমাধি! জানেন বাংলাদেশে জামাতের লক্ষ্য কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঢাকার ৩২ নম্বর ধানমন্ডিতে শেখ মুজিবুর রহমানের (Sheikh Mujibur Rahman) ঐতিহাসিক বাড়িটিতে আগুন লাগিয়ে তার ছাদে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর এবং ইসলামিক স্টেটস-এর পতাকা ওড়ানো হয়েছিল। তখনই স্লোগান উঠেছিল ‘এ বার চলো টুঙ্গিপাড়া’। এখানেই রয়েছে মুজিবুর রহমানের সমাধিভবন। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) ‘মুক্তিযুদ্ধপন্থী’-দের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার লক্ষ্যেই ওই সমাধিভবনও গুঁড়িয়ে দিতে চায় জামাত। এই ভবন ভেঙে দেওয়া হলে আওয়ামী লীগের মনোবল এবং আবার রাজনীতিতে ফেরার চেষ্টাও ধরাশায়ী হবে।

    কী পরিকল্পনা

    গোয়েন্দারা খবর পেয়েছেন, টুঙ্গিপাড়ায় হামলা চালাতে রীতিমতো বাহিনী তৈরি করছে মৌলবাদীরা। ভারতের বসিরহাট সীমান্তবর্তী সাতক্ষীরায় জামায়াতের প্রশিক্ষিত ক্যাডারদের একটি দলকে এ জন্য গোপালগঞ্জের অদূরে নিয়ে গিয়ে রাখা হয়েছে। একই ভাবে ফরিদপুরের একটি বাহিনীকেও তৈরি রাখা হয়েছে। সেই বাহিনীটি সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি শিবিরে প্রাক্তন সেনাদের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছে। বিস্ফোরক তৈরি এবং বসানোর পাশাপাশি পিস্তলের মতো ছোট অস্ত্রের ব্যবহার শেখানো হয়েছে তাদের। সঙ্গে জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় রাখা হয়েছে। যোগাযোগ রাখা হচ্ছে হেফাজতে ইসলামীর সঙ্গে, যাতে খুব কম সময়ে তারা ট্রাকে চড়িয়ে কয়েকশো মারমুখি লোককে টুঙ্গিপাড়ায় নিয়ে আসতে পারে।

    আওয়ামী লীগের ঘাঁটি

    ১৯৭৫-এর ১৫ অগস্ট শেখ মুজিবকে (Sheikh Mujibur Rahman) হত্যার পরে বিদ্রোহী সেনারা হেলিকপ্টারে করে দেহ এনে তাঁদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেছিলেন। পরে শেখ হাসিনা সরকার এই কবরকে ঘিরে মনোরম একটি সমাধিভবন ও কমপ্লেক্স তৈরি করেছে, বাংলাদেশ সফরে আসা রাষ্ট্রপ্রধানেরা যেখানে এসে মুজিবকে শ্রদ্ধা জানিয়ে যান। পাশেই শেখ পরিবারের বাসভবন। কিন্তু গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মুজিবের এই সমাধিস্থলে আক্রমণ করাটা যে সহজসাধ্য নয়, তা ভালোই জানে জামাত ও কট্টর ইসলামপন্থীরা। আওয়ামী লীগের এই দুর্দিনেও গোপালগঞ্জ ও টুঙ্গিপাড়ায় এখনও খুবই শক্তিশালী এই দলের সংগঠন। তাই ভেবে চিন্তে পরিকল্পনা মাফিক এগোতে চাইছে জামাত।

  • Uttarakhand: ইউসিসি রেজিস্ট্রেশনে ব্যাপক সাড়া উত্তরাখণ্ডে, সরকারি ওয়েবসাইটগুলিতে বেড়েই চলেছে ভিড়

    Uttarakhand: ইউসিসি রেজিস্ট্রেশনে ব্যাপক সাড়া উত্তরাখণ্ডে, সরকারি ওয়েবসাইটগুলিতে বেড়েই চলেছে ভিড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২৭ জানুয়ারি উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) কার্যকর হয় অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (UCC Registration)। তারপর থেকে এনিয়ে সারা রাজ্যের মানুষের মধ্যে বিপুল আগ্রহ তৈরি হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধির নিয়মে কী কী পরিবর্তন এসেছে, সে সংক্রান্ত সবকিছু জানতে বিপুলসংখ্যক মানুষ বিভিন্ন সরকারি দফতরের ওয়েবসাইটগুলিতে প্রবেশ করছেন বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, অভিন্ন অভিন্ন অনুযায়ী একত্রবাসের ক্ষেত্রেও একাধিক নিয়মে বদল আনা হয়েছে এবং রেজিস্ট্রি করার পরে পরে লিভ-ইন করা যাবে উত্তরাখণ্ডে।

    সরকারি ওয়েবসাইটগুলিতে ব্যাপক ভিড়

    এই সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য জানতে সে রাজ্যের মানুষ ব্যাপকভাবে প্রবেশ করছেন সরকারি ওয়েবসাইটগুলিতে। উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) আধিকারিকরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি পোর্টালে যাঁরা প্রবেশ করছেন এই সংখ্যা ব্যাপক। ২৭ জানুয়ারি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১,০০৬ জন এই পোর্টালে প্রবেশ করেছেন এবং তাঁরা নিজেদের বিবাহকে রেজিস্ট্রি করেছেন।

    কী বললেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী?

    ইউনিফর্ম সিভিল কোড নিয়ে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যে সমস্ত মানুষ অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিরোধিতা করছিলেন, তাঁরাও বর্তমানে বুঝতে পারছেন যে এই নিয়ম বিধির আমাদের রাজ্যের জন্য ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এই আইন কারও বিরুদ্ধে আনিনি, কাউকে হয়রানি করতেও আনিনি। এই আইন আনা হয়েছে উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) জনগণের সুবিধার জন্য।

    প্রতিদিন ওয়েবসাইটে শত শত মানুষ বিবাহ রেজিস্ট্রি করছেন

    প্রসঙ্গত, উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি হলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি ইউসিসি পোর্টালে গিয়ে নিজের বিবাহকে নিবন্ধন করিয়েছেন। তারপর থেকেই প্রতিদিন কয়েকশো মানুষ তাঁদের বিবাহ নিবন্ধন করিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত ওই পোর্টালে কোনওরকমের বিবাহ বিচ্ছেদের বিষয় কেউ নিবন্ধন করেনি বলে জানিয়েছে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন। উত্তরাখণ্ডের অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে দেখার পরেই গুজরাতে বিজেপির সরকার কমিটি তৈরি করেছে। মনে করা হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি গুজরাতেও চালু হবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি।

  • State Budget 2025: ‘নারী সুরক্ষা, লক্ষ্মী ভাণ্ডার, মহিলাদের জন্য কিছুই নেই’ রাজ্য বাজেটকে নিশানা শুভেন্দুর

    State Budget 2025: ‘নারী সুরক্ষা, লক্ষ্মী ভাণ্ডার, মহিলাদের জন্য কিছুই নেই’ রাজ্য বাজেটকে নিশানা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য বাজেটকে (State Budget 2025) বেকার বিরোধী বলে মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বুধবার শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। রাজ্য সরকারি কর্মীদের চার শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির পাশাপাশি পঞ্চায়েতে ও গ্রামোন্নয়নে এবার বরাদ্দ করা হলো ৪৪ হাজার কোটি টাকা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মতে, ‘এটি বেকার-বিরোধী বাজেট।’ ২০২৬ সালের পূর্ণাঙ্গ বাজেট বিজেপি সরকারই তৈরি করবে বলে দাবি করেছেন তিনি।

    মহিলাদের জন্য ভাবনা কোথায়

    এদিন, বিধানসভায় বাজেট (State Budget 2025) পেশ করেন রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর বাজেট বক্তৃতা শেষ হতে না হতেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘এই বাজেট বেকার-বিরোধী। মহিলাদের জন্য একটি শব্দও খরচ করা হয়নি। ডিএ বেড়েছে মাত্র চার শতাংশ। কেন্দ্রের সঙ্গে এখনও ফারাক অনেকটাই। সর্বোপরি যুব সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। বেকার শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের এই দুর্মূল্যের বাজারে ঠকিয়েছে রাজ্য সরকার।’

    রাজ্য বাজেটে যা নেই

    ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান পশ্চিম মেদিনীপুরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবছর বৃষ্টিতে জলের তলায় যায় ঘাটাল-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। এই এলাকায় বন্যার সমস্যা দূর করার জন্য মাস্টার প্ল্যান প্রয়োজন। মাস্টার প্ল্যান নিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘ঘাটালে তো জমি অধিগ্রহণই হয়নি, সেখানে আবার বরাদ্দ কীসের?’ বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষ জল পান না। পাহাড়ের জনজাতির জন্য কোনও পরিকল্পনা নেই। অভিযোগ তাঁর। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘মতুয়াদের জন্য একটা বাক্য নেই। সুন্দরবনের কথা নেই। নতুন পে কমিশনেরও প্রস্তাব নেই।’

    নারী সুরক্ষার কথা নেই

    বুধবার রাজ্যের পেশ করা বাজেটে (State Budget 2025)  নারী সুরক্ষার বিষয়ে কিছুই উল্লেখ নেই বলে জানান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। পাশাপাশি এও মনে করিয়ে দেন, মহিলাদের জন্য সামাজিক প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্যও বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়নি বাজেটে। তুলনায় টানতে ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার মতো বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলির কথা তুলে আনেন তিনি। এমনকি দিল্লিতেও বিজেপি মহিলাদের জন্য মাসে ২৫০০ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা-ও স্মরণ করিয়ে দেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর সংযোজন, রাজ্যে বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকার হলে ‘প্রত্যেক বাড়িতে একটি করে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেবে বিজেপি। ২০২৬ সালের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট তৈরি করবে বিজেপি সরকারই।’

  • RSS: দিল্লিতে নির্মিত আরএসএস-র সদর দফতর, সবমিলিয়ে ৩০০ কক্ষ, রয়েছে হাসপাতালও

    RSS: দিল্লিতে নির্মিত আরএসএস-র সদর দফতর, সবমিলিয়ে ৩০০ কক্ষ, রয়েছে হাসপাতালও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS) সদর দফতর নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হল। রাজধানীর ঝন্ডেবালানে ‘কেশব কুঞ্জ’ (Keshav Kunj) নামের আরএসএস-র নয়া সদর দফতরটির নির্মাণ হয়েছে। মোট তিনটি টাওয়ার রয়েছে আরএসএস-র নয়া সদর দফতরে। প্রতিটি টাওয়ার ১২ তলা করে। তিনটি টাওয়ারের নাম হল, ‘সাধনা’, ‘প্রেরণা’ এবং ‘অর্চনা’। জানা গিয়েছে, ৩.৭৫ একর জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে আরএসএস-র সদর দফতরটি। সবমিলিয়ে এই কার্যালয়ে ৩০০ কক্ষ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আরএসএস-র তরফে জানানো হয়েছে মোট ১৫০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে সদর দফতর নির্মাণে। দেশজুড়ে ৭৫ হাজারের বেশি মানুষের আর্থিক অনুদানেই তৈরি হয়েছে এই দফতর। যেকোনও রকমের বড় অনুষ্ঠান এবার থেকে এই সদর দফতরেই হবে বলে জানিয়েছেন সংঘ নেতারা।

    রয়েছে ৫ শয্যার হাসপাতাল (RSS)

    গোটা ভবনে প্রাচীন এবং আধুনিক স্থাপত্যের নিদর্শনও চোখে পড়ছে। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সাল থেকেই শুরু হয় নির্মাণকাজ। মূল অডিটোরিয়ামটি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা অশোক সিংঘলের স্মৃতিতে তৈরি হয়েছে। অযোধ্যায় রামমন্দির আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন অশোক সিংঘল। দফতরে ঢোকার মুখেই রয়েছে আরএসএস প্রতিষ্ঠিত কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারের একটি মূর্তি। ১৩৫টি গাড়ি দাঁড় করানোর পার্কিং-ও রয়েছে আরএসএস-র দফতরে। নয়া সদর দফতরে রয়েছে সৌরবিদ্যুতের জোগানও। এরসঙ্গে রয়েছে একটি বড় গ্রন্থাগার (RSS), সেখানে রয়েছে ৮৫০০ বই। গবেষণার জন্য বিনামূল্যে সেখানে প্রবেশ করা যাবে বলে জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে নয়া দফতরে রয়েছে পাশাপাশি, একটি ক্লিনিক এবং পাঁচ শয্যার একটি হাসপাতাল।

    ‘পাঞ্চজন্য’ ও ‘অর্গানাইজার’-এর দফতরও থাকছে এখানে

    জানা গিয়েছে, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি নয়া দফতরে উপস্থিত হবেন সরসংঘচালক মোহন ভাগবত এবং সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে। সেখানেই হবে একটি সম্মেলন হবে। সংঘের তরফে জানানো হয়েছে, দিল্লির ওই সদর দফতর থেকেই আরএসএস-র (RSS) যাবতীয় কাজকর্ম সম্পাদিত হবে। জানা গিয়েছে, গুজরাতের বাসিন্দা অনুপ দাভে এই নয়া সদর দফতরের নকশা তৈরি করেছেন। সংঘের মুখপত্র ‘পাঞ্চজন্য’ ও ‘অর্গানাইজার’-এর দফতরও থাকছে এখানে। এর পাশাপাশি, ‘সুরুচি প্রকাশনে’র দফতরও থাকছে নয়া সদর দফতরে।

LinkedIn
Share