Blog

  • Bihar: জাতীয় পতাকাকে ‘ঢাল’ করেও মেলেনি রেহাই, বিহারে এডিএমের মার হবু শিক্ষককে

    Bihar: জাতীয় পতাকাকে ‘ঢাল’ করেও মেলেনি রেহাই, বিহারে এডিএমের মার হবু শিক্ষককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় পতাকাকে (National Flag) ‘ঢাল’ করে প্রশাসনের লাঠির ঘা থেকে বাঁচার মরিয়া চেষ্টা করছেন বিক্ষোভকারী এক হবু শিক্ষক (Teacher)। তবে তাতেও রেহাই মেলেনি। কালো শার্ট ও সাদা প্যান্ট পরা ওই প্রতিবাদীর মাথায় এসে পড়ছে একের পর এক লাঠির ঘা। বিহারের (Bihar) রাস্তায় চাকরির দাবিতে জড়ো হওয়া বিক্ষোভরত এক হবু শিক্ষকের এহেন করুণ পরিণতিতে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। অভিযোগের তির পাটনার (Patna) যে অতিরিক্ত জেলাশাসক (ADM), সেই কেকে সিংহের (KK singh) বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে তদন্ত।

    সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে পাটনার ডাকবাংলো মোড়ে জড়ো হয়েছেন শয়ে শয়ে সিটেট (CTET) এবং বিটেট (BTET) পাশ চাকরি প্রার্থীরা। সপ্তম পর্যায়ের শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে পথে নেমেছেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন জন অধিকার পার্টির সদস্যরাও। ডাকবাংলো মোড় থেকে রাজভবন পর্যন্ত পদযাত্রা শুরু করতেই মাঠে নেমে পড়ে প্রশাসন। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চালায় পুলিশ। সেই সময় কেকে সিংহকে দেখা যায় রণংদেহি মূর্তিতে। তাঁর লাঠির ঘা থেকে বাঁচতে জাতীয় পতাকাকে ঢাল করেছিলেন এক প্রতিবাদী। তার পরেও প্রহৃত হয়েছেন ওই হবু শিক্ষক। তাঁকে মাটিতে ফেলে হিড় হিড় করে টেনেও নিয়ে যান ওই এডিএম।

    আরও পড়ুন : নীতীশ ‘পরজীবী’, তোপ বিহার বিজেপির

    ভিডিও ভাইরাল হতেই নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)-তেজস্বী যাদব সরকারের তীব্র নিন্দা করেছে বিহার বিজেপি। দলের পক্ষ থেকে ট্যুইট করে বলা হয়েছে, এই সরকার কি অন্ধ যে তেরঙ্গার ওপর লাঠি চালাচ্ছে? এই সরকার কি বধির যে যারা কার্তুজ চালায়, তাদের হাতে কলম দিচ্ছে? কারওর কারওর জন্য এটা শখের বিষয় হতে পারে, মজার বিষয় হতে পারে, কিন্তু জন সাধারণের জন্য এটা অসহায়তা।

    ঘটনার প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন পাটনার জেলাশাসক চন্দ্রশেখর সিংহ। ঘটনা সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী আরজেডি (RJD) নেতা তেজস্বী যাদবও (Tejaswi Yadav)। সম্প্রতি ১০ লক্ষ বেকারের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী। কোটার পরিমাণ বাড়িয়ে ২০ লক্ষ করার আশ্বাস দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীও। তার পরে পরেই চাকরি প্রার্থীদের ওপর এই নির্মম প্রহারের ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই স্তম্ভিত শিক্ষামহল।

    আরও পড়ুন : বিজেপি-সঙ্গ ত্যাগ নিছক উপলক্ষ, নীতীশের লক্ষ্য কি প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি?

  • Delhi High Court: উমর খলিদের জামিনের আবেদনের বিরোধিতায় উঠল সার্জিল ইমাম প্রসঙ্গ

    Delhi High Court: উমর খলিদের জামিনের আবেদনের বিরোধিতায় উঠল সার্জিল ইমাম প্রসঙ্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উমর খলিদের (Umar Khalid) জামিনের (Bail) আবেদনের বিরোধিতা করতে গিয়ে সার্জিল ইমামের (Sharjeel Imam) বক্তৃতার প্রসঙ্গ টানল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। সার্জিল আসানসোল (Asansole), আলিগড় ও গয়ায় সিএএ (CAA) এবং এনআরসির (NRC) বিরুদ্ধে বক্তৃতা দিয়েছিলেন।

    উমর খলিদের জামিনের আবেদনের শুনানি হচ্ছিল দিল্লি হাইকোর্টে। ২০২০ সালে উত্তর-পূর্ব দিল্লি হিংসা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত উমর। বুধবার নিম্ন আদালত তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। বিচারক সিদ্ধার্থ মৃদুল ও রাজনীশ ভাটনগরের ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হচ্ছিল। এদিন সওয়াল জবাবে অংশ নিয়েছিলেন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অমিত প্রসাদ। আগামী মঙ্গলবার ফের শুনানি হবে এই মামলার।

    আরও পড়ুন : খয়রাতি নয়, মর্যাদার সঙ্গে রোজগার করাই বেশি পছন্দ ভোটারদের, মত সুপ্রিম কোর্টের

    এদিন সওয়াল করতে গিয়ে সার্জিল ইমামের প্রসঙ্গ টানেন অমিত প্রসাদ। বলেন, সার্জিল ইমাম মুসলিমরা বিপদের মধ্যে রয়েছেন, বাবরি মসজিদ, তিন তালাক, মুসলিম দমন, সিএএ-এনআরসি এবং কাশ্মীর নিয়ে ভাষণ দিয়েছেন বিভিন্ন জায়গায়। আসানসোল, আসাম, উত্তর প্রদেশের আলিগড় এবং গয়ায় ওই ভাষণ দিয়েছেন তিনি। আদালতের বিচারে তাঁর ভাষণ “প্রকৃতিগতভাবে জ্বালাময়ী”। তিনি মুসলিমদের উসকানি দিয়েছিলেন। ইমামের একটি বক্তব্যে বলা হয়েছিল, ১৯৪৭ সালের পর থেকে এখনও মুসলমানেরা স্বাধীনতা পায়নি। তিনি রাস্তা অবরোধ ও চাক্কা জ্যাম করতে মুসলিমদের উসকানিও দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এই মামলার আগের শুনানি হয়েছে ১ অগাস্ট। সেদিন সরকার পক্ষের আইনজীবী বলেছিলেন, উত্তর-পূর্ব দিল্লির হিংসা একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ফল। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল মুসলিমদের মনে ভয়ের আবহ সৃষ্টি করা। এভাবে গোটা শহর অচল করে দেওয়ার পরিকল্পনাও ছিল। বাবরি মসজিদ, তিন তালাক, মুসলিম দমন, সিএএ-এনআরসি এবং কাশ্মীর ইস্যুতে জড়ো করা হয়েছিল বিক্ষোভকারীদের। এদিকে, উমর খলিদের আইনজীবী এদিন আদালতে জানান, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে অতিরঞ্জিত অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রকৃত অভিযুক্তদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হয়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Coal Smuggling Scam: কয়লাপাচার মামলায়  কোটেশ্বর রাও- এর পর এবার শ্যাম সিং- কে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির

    Coal Smuggling Scam: কয়লাপাচার মামলায়  কোটেশ্বর রাও- এর পর এবার শ্যাম সিং- কে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটেশ্বর রাও- এর পর এবার শ্যাম সিং (Shyam Singh)। কয়লাপাচারকাণ্ডে (coal smuggling case) এবার ইডি (ED) দফতরে হাজিরা দিলেন আরেক আইপিএস (IPS) আধিকারিক। বুধবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে হাজিরা দেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এই আধিকারিককে তলব করেন ইডি গোয়েন্দারা। মঙ্গলবার এই একই মামলায় ইডি দফতরে হাজিরা দেন পুরুলিয়ার প্রাক্তন এসপি কোটেশ্বর রাও। তাঁর হাজিরা দেওয়ার পরদিনই  বাংলার আরেক পুলিশ কর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি।

    আরও পড়ুন: জ্ঞানবন্ত না গেলেও দিল্লির ইডি দফতরে আজ যাচ্ছেন আর এক আইপিএস কোটেশ্বর রাও 

    সম্প্রতি কয়লাপাচার মামলায় আট আইপিএস আধিকারিককে তলব করে কেন্দ্রীয় এই গোয়েন্দা সংস্থা। তালিকাতে ছিল শ্যাম সিং- এর নামও। সেইমতো নির্ধারিত দিনে ইডি দফতরে হাজিরা দেন তিনি। ২০১৮ থেকে ২০২১-র মধ্যে দু দফায় বীরভূমের এসপি ছিলেন এই আইপিএস। গোয়েন্দাদের দাবি, কয়লাপাচারকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার কর্মকাণ্ড বীরভূমসহ রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের একাধিক জেলায় চলত। সেই অঞ্চলে এসপি থাকাকালীন এই বিষয়ে কিছু জানতেন কি না, পুলিশ কর্তাকে সেই প্রশ্ন করেন ইডি আধিকারিকরা। ইডির দাবি, লালার ডায়েরিতে থেকে বেশ কিছু পুলিশ অফিসারের নাম ও টাকার উল্লেখ রয়েছে। এই বিষয়ে শ্যাম সিং কিছু জানতেন কি না তাও জিজ্ঞেস করেন গোয়েন্দারা। 

    আরও পড়ুন: এবার কয়লা কাণ্ডেও সক্রিয় ইডি, তলব ৮ আইপিএস অফিসারকে
     
    এর আগে গত সোমবার কয়লা পাচারকাণ্ডে এডিজি জ্ঞানবন্ত সিংকে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু ইডির হাজিরা এড়িয়ে যান ওই আইপিএস আধিকারিক। হাজিরা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে সময় চেয়ে নিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি, যে সময় রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলিতে রমরমিয়ে কয়লাপাচার হত, সেই সময় রাজ্যের এডিজি আইন-শৃঙ্খলা পদের দায়িত্বে ছিলেন জ্ঞানবন্ত। লালার জেরায় এই আইপিএস আধিকারিকের নাম উঠে এসেছে বলেও দাবি করেছেন ইডি আধিকারিকরা। আর সেই কারণেই এই তলব। 

    এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের আরও ৩ আইপিএস এবং রাজীব মিশ্র, ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, সেলভা মুরুগান, সুকেশ জৈন ও তথাগত বসুকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডির সঙ্গেই কয়লাপাচার মামলায় তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই (CBI)। গত মাসেই ইস্টার্ন কোলফিল্ডস লিমিটেডের (ECL) বর্তমান ও প্রাক্তন মিলিয়ে ৫ আধিকারিকসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করে তারা। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি ইডি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     

     

  • Kaushiki Amavasya: কৌশিকী অমাবস্যা তিথি পড়ছে কখন? এই দিনের মাহাত্ম্য, তাৎপর্যই বা কী?

    Kaushiki Amavasya: কৌশিকী অমাবস্যা তিথি পড়ছে কখন? এই দিনের মাহাত্ম্য, তাৎপর্যই বা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মে (Hinduism) বিভিন্ন তিথিতে মা কালীর (Goddess Kali) বিভিন্ন রূপের পুজো করা হয়। দেবীর আরাধনা সর্বজনবিদিত। ভাদ্র মাসের শুরুতেই যে অমাবস্যা, সেটাই কৌশিকী অমাবস্যা (Kaushiki Amavasya) নামে পরিচিত। 

    এবছর কৌশিকী অমাবস্যা পড়েছে ২৬ অগাস্ট। শেষ হবে ২৭ অগাস্ট। গুপ্ত প্রেস পঞ্জিকা মতে, কৌশিকি অমাবস্যা শুরু হচ্ছে ২৬ অগাস্ট শুক্রবার দুপুর ১২ টা ১ মিনিট ৩২ সেকেন্ড থেকে। পরের দিন শনিবার দুপুর ১টা ২৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড নাগাদ ছেড়ে যাচ্ছে অমাবস্যা। 

    এই পুজোর সঙ্গে জড়িত আছে নানা পৌরাণিক কাহিনি। মার্কণ্ডেয় পুরাণ সূত্র থেকে জানা যায়, মহাপরাক্রমী দৈত্য ভ্রাতৃদ্বয় শুম্ভ ও নিশুম্ভ ব্রহ্মাদেবের পরম ভক্ত ছিলেন। সাধনায় তুষ্ট ভগবান ব্রহ্মা (Lord Brahma) ওদের বর দিয়ে বলেন, তোমরা ত্রিভুবনে অবধ্য হবে। তবে কখনও যদি কোনও অযোনিসম্ভবা নারীর সঙ্গে তোমাদের সংঘাত ঘটে তবে ওই নারীর দ্বারাই তোমরা নিহত হবে। 

    আরও পড়ুন: কেন গ্রাম বাংলায় পালিত হয় মনসা পুজো, এর তাৎপর্য জানেন কি?

    এই কথাগুলি স্মরণে রেখো। ব্রহ্মার বরে বলীয়ান শুম্ভ নিশুম্ভ ভাবল ত্রিভুবনে এমন কোনও নারীই জন্মাতে পারে না যে মাতৃগর্ভজাত নয়। অতএব তারা অমর, এই বিষয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই। এরপর দানব ভ্রাতৃদ্বয় প্রথমেই স্বর্গরাজ্য আক্রমণ করল। ভীত দেবকুল তখন শুম্ভ নিশুম্ভর হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য দেবাদিদেব মহাদেবের শরণাপন্ন হয়।

    মহাদেব (Lord Shiva) ঠাট্টার ছলে ঘোর কৃষ্ণবর্ণা পার্বতীকে (Goddess Parvati) ডেকে বলেন, ‘হে কালিকে, তুমি এই বিপদ থেকে দেবতাদের রক্ষা করো।’ জনসমক্ষে পতিমুখে কালিকে সম্বোধন শুনে দেবী পার্বতী অত্যন্ত মর্মাহত হন। তৎক্ষণাৎ মানস সরোবরে গিয়ে নিজেকে অভিষিক্ত করে নিজ গাত্রের সকল কৃষ্ণবর্ণ কোষগুলিকে পরিত্যাগ করে এক অসামান্যা সুবর্ণ রূপ ধারণ করে পুনঃপ্রকটিতা হন। 

    অন্যদিকে, পার্বতীর ফেলা শরীরকোষ থেকে আর এক দেবী আবির্ভুত হন। সেই দেবী কৌশিকী নামে পরিচিত। দেবী কৌশিকীর আবির্ভাবের পর দেবী ভগবতী কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করেন এবং দেবী কালিকা বা কালী নামে পরিচয় লাভ করেন। দেবী কৌশিকী অযোনিসম্ভবা ছিলেন, সেই কারণে কৌশিকী দেবীই শুম্ভ ও নিশুম্ভকে বধ করেন। যুদ্ধকালীন সময়ে দেবী কৌশিকীর শরীর থেকে হাজারও যোদ্ধা সৃষ্ট হয় এবং তারাই সমগ্র অসুরকুলকে বিনাশ করে দেয়। এই ঘটনাটি ভাদ্র অমাবস্যায় ঘটায়, পরবর্তীকালে এটি কৌশিকী অমাবস্যা নামে ধরাধামে খ্যাত হয়। 

    ভাদ্র মাসের এই কৌশিকী অমাবস্যা তিথি যে সকল মানুষ ধর্ম, তন্ত্র, মন্ত্র, সাধনা এবং ঈশ্বর বিশ্বাসী তাদের কাছে বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ। কৌশিকী অমাবস্যার সাথে তারাপীঠের অঙ্গাঅঙ্গি সম্পর্ক। বিশ্বাস, তন্ত্রমতে ও শাস্ত্র মতে ভাদ্রমাসের এই বিশেষ তিথিতে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে দেবীর পুজো করলে মেলে সুফল। তন্ত্রশাস্ত্র মতে গুপ্ত সাধনা ও কঠিন সাধনার বলে অনেকেই এই বিশেষ দিনে কাঙ্খিত ফল পান। কৌশিকী অমাবস্যার পবিত্র লগ্নে তারাপীঠ মন্দিরে, বিশেষ উপাচারে পুজো করা হয় তারা মায়ের৷ তন্ত্র মতে, এই রাতকে ‘তারা রাত্রি’ও বলা হয়। বিশ্বাস, এক বিশেষ মুহূর্তে স্বর্গ ও নরক দুইয়ের দরজা মুহূর্তের জন্য খোলে ও সাধক নিজের ইচ্ছা মতো ধনাত্মক অথবা ঋণাত্মক শক্তি সাধনার মধ্যে আত্মস্থ করেন ও সিদ্ধিলাভ করেন।

    আরও পড়ুন: পুজোয় মঙ্গল ঘট কেন স্থাপন করা হয়, জানেন?

    আবার কৌশিকী অমাবস্যার এই তিথিতে তন্ত্র সাধনার এক বিশেষ রাতে। কথিত আছে, ওই অমাবস্যা তিথিতেই সাধক বামাক্ষ্যাপাকে দেবী কৌশিকী ‘তারা’ নামে তারাপীঠ (Tarapith) মহাশ্মশানে দর্শন দিয়েছিলেন। অমাবস্যার এই বিশেষ তিথিতে সাধক বামাক্ষ্যাপা (Sadhak Byamakhyapa) তারাপীঠের মহাশ্মশানের শিমূল গাছের তলায় মা তারার (Tara Maa) আরাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। লোকমুখে প্রচলিত কাহিনি সূত্রে শোনা যায়, দেবী কৌশিকী ‘তারা’ নামে ওই বিশেষ অমাবস্যায় তারাপীঠ মহাশ্মশানে বিরাজিতা থাকেন। সেই কারণে তারাপীঠ মহাশ্মশানে ওই দিন লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাবেশ ঘটে। ভক্তগণের বিশ্বাস, ওই দিন মাকে পূজা করলে মা ভক্তগণের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করে দেন।

    দেবী কৌশিকী এবং তারা মা অভিন্ন বলে বিশ্বাস ভক্তদের। অনেকেই বিশ্বাস করেন, এই দিন মা তারার পুজো দিলে এবং দ্বারকা নদীতে স্নান করলে পুণ্যলাভ হয় এবং কুম্ভস্নান করা হয়। বিশেষ এই তিথিতে তারাপীঠে তারা মায়ের পুজো করলে সকল মনের ইচ্ছে পূরণ হয়। এই বিশ্বাসে আজও ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ ওই দিনটিতে তারাপীঠে ছুটে আসেন।

    কৌশিকী অমাবস্যার দিন বাড়ি রাখুন পরিচ্ছন্ন। পুরনো ছেঁড়া কোনও জামাকাপড় থাকলে তা ফেলে দিন। সন্ধ্যের পর বাড়ির তুলসী মঞ্চে তিলের প্রদীপ জ্বালালে তা সংসারে কোনও নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করতে দেয় না। এই তিথি কেবলমাত্র হিন্দুশাস্ত্রে নয়, বৌদ্ধ শাস্ত্রেও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

     

     

  • Nitin Gadkari: বহরে বড় জাতীয় সড়ক! নয়া প্রকল্পের ঘোষণা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ির

    Nitin Gadkari: বহরে বড় জাতীয় সড়ক! নয়া প্রকল্পের ঘোষণা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহরে বাড়বে জাতীয় সড়ক। ২০২৪ সালের মধ্যে দেশে মোট জাতীয় সড়কের দৈর্ঘ্য হতে চলেছে ২লক্ষ কিলোমিটার। মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে এই বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী নিতিন গড়কড়ির। তিনি জানান, ২০২১ সালে দেশে জাতীয় সড়কের (national highway network length)মোট দৈর্ঘ্য ছিল ১ লক্ষ ৪০ হাজার ৯৩৭ কিলোমিটার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, সরকারের নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রতিদিন অন্তত ৫০ কিলোমিটার করে নতুন রাস্তা তৈরি করা হবে। এখন প্রতিদিন ৩৫ কিলোমিটার করে নতুন রাস্তা তৈরি হয়। এর ফলে ২লক্ষ কিলোমিটার রাস্তা শেষ হতে ২০২৪ সাল লেগে যাবে।  

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে বিজেপি নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার! খুন নাকি আত্মহত্যা, বাড়ছে রহস্য

    এদিন টোলপ্লাজাগুলিতে দীর্ঘ যানযট দূর করতে স্বয়ংক্রিয়  লিঙ্কযুক্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টোল কেটে নেওয়ার পরিকল্পনা সারা দেশ জুড়ে বাস্তবায়নের কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী। এই ব্যবস্থা সারা দেশে চালু করতে পারলে টোল প্লাজা গুলি দীর্ঘ যানযটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে। গড়কড়ি বলেন,  “২০১৯ সালে, সরকার একটি নিয়ম চালু করে যে গাড়িগুলি কোম্পানির লাগানো নম্বর প্লেটের সঙ্গে আসবে। তাই গত চার বছরে যেসব গাড়ি বাজারে এসেছে সেগুলোর নম্বর প্লেট আলাদা। এখন, টোল প্লাজা সরিয়ে ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যা এই নম্বর প্লেটগুলিকে চিহ্নিত করবে এবং টোল সরাসরি অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হবে।”

    আরও পড়ুন: ভুল করেই পাক ভূখণ্ডে ব্রহ্মোস! বরখাস্ত বায়ুসেনার তিন অফিসার

    নিতিন গড়কড়ির মতে, টোলপ্লাজা দেশের অনেক সমস্যার কারণ। লম্বা লাইনে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। যানজট তৈরি হয়। তাই বিকল্প উপায় খোঁজা হচ্ছে। সরকার দুটি বিকল্প পথ খুঁজছে। উপগ্রহভিত্তিক জিপিএস ব্যবস্থার কথা ভাবছে সরকার।  কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “আমরা স্যাটেলাইট ব্যবহার করে জিপিএস ব্যবহার করতে চাই ফাস্ট্যাগের বদলে। নয়া পদ্ধতি চালু করার প্রক্রিয়ায় আছি আমরা এবং এর ভিত্তিতে আমরা টোল নিতে চাই। নম্বর প্লেটেও প্রযুক্তি পাওয়া যায় এবং ভারতেও অন্যান্য আরও ভালো প্রযুক্তি পাওয়া যায়। আমরা নির্দিষ্ট প্রযুক্তি বেছে নেব। যদিও আমরা আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নিইনি। ছয় মাসের মধ্যে এই ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Artemis 1 Mission: চাঁদের বুকে কোথায় নামবেন মহাকাশচারীরা? ১৩টি জায়গা বেছে নিল নাসা

    Artemis 1 Mission: চাঁদের বুকে কোথায় নামবেন মহাকাশচারীরা? ১৩টি জায়গা বেছে নিল নাসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন পরেই শুরু হতে চলেছে নাসা-র (NASA) আর্টেমিস ১ প্রোগ্রাম (Artemis 1 Program)। খুব শীঘ্রই নাসা লঞ্চ করতে চলেছে আর্টেমিস ১ মিশনের স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (Space Launch System) (SLS)  রকেট। আর বছর দুয়েক পর ফের চাঁদের মাটিতে পা রাখতে চলেছে মানুষ। আমেরিকান মহাকাশ সংস্থা  নাসা (NASA) চাঁদে সম্ভাব্য কোথায় অবতরণ করবে তাও ঘোষণা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: মানুষ তো খেলনা নয়! জানেন কি আর্টেমিস-১ রকেটে করে মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে ‘খেলনা-মানুষ’?

    ২৯ অগাস্টেই মহাকাশের পথে যাত্রা করবে আর্টেমিস ওয়ানের ওরিয়ন স্পেসক্রাফট (Orion Spacecraft)। নাসা-র স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেটটিকে ২৯ অগাস্ট লঞ্চ করা হবে। নাসা শুক্রবার একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, আর্টেমিস থ্রি মিশনে মহাকাশচারীরা চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছাকাছি অঞ্চলে অবতরণ করতে চলেছে। দক্ষিণ মেরুর কাছাকাছি ১৩ টি জায়গা নাসা বেছে নিয়েছে অবতরণ করার জন্য। আর্টেমিস থ্রি মিশনটি ২০২৫ সালে মহাকাশচারীদের নিয়ে শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। অ্যাপালো মিশন বন্ধ হওয়ার পর পাঁচ দশকের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে।

    আরও পড়ুন: আর্টেমিস-১ মুন মিশনে ভারতীয় যোগ, প্রকল্পে যুক্ত হলেন বিজ্ঞানী অমিত পাণ্ডে

    যেই ১৩ টি জায়গা বেছে নেওয়া হয়েছে, সেগুলো হল ফাউস্টিনি রিম এ, পিক নিয়ার শ্যাকলটন, কানেক্টিং রিজ, কানেক্টিং রিজ এক্সটেনশন, ডি গারলাচে রিম 1, ডি গারলাচে রিম 2, ডি গারলাচে-কোচার ম্যাসিফ, হাওর্থ, মালাপের্ট ম্যাসিফ, লিবনিটজ বিটা মালভূমি, নোবিল রিম 1, নোবিল রিমসেন 2। এই জায়গাগুলো চাঁদের দক্ষিণ মেরুর অক্ষাংশের ৬ ডিগ্রির মধ্যে অবস্থিত। নাসা আরও জানায়, যেই জায়গাগুলো বেছে নেওয়া হয়েছে, সেগুলোকে নিয়ে বিজ্ঞানী ও ইঞ্জিনিয়ারদের একটি দল গবেষণা করছে। মূলত, ভূখণ্ড, যোগাযোগ ব্যবস্থা, আলোর ব্যবস্থা, মহাকাশচারীদের অনুকূল পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দিয়ে অবতরণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। আর্টেমিস মিশনের মাধ্যমে নাসা প্রথম চাঁদে মহিলা পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। নাসা থেকে জানানো হয়েছে, যদিও চাঁদের প্রতিটি অঞ্চলেই অবতরণের পরিবেশ রয়েছে। কিন্তু তার মধ্যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুকেই বেছে নেওয়া হচ্ছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Supreme Court: অসাংবিধানিক! ১৯৮৮ সালের বেনামি লেনদেন আইনের একটি ধারা বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: অসাংবিধানিক! ১৯৮৮ সালের বেনামি লেনদেন আইনের একটি ধারা বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৬ সালের আগে বেনামি সম্পত্তির লেনদেন (Benami Transaction) করলে, আর কোনও শাস্তি পাবেন না অপরাধী। এমনকি কোনও জরিমানাও করা যাবে না তাঁকে। মঙ্গলবার এমনই নিদান দিল দেশের শীর্ষ আদালত। বেনামি লেনদেনের সাজা দেওয়ার জন্য ভারতীয় আইনের যে ধারা লাগু করা হত, তাকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে ঘোষণা করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ভারতীয় সংবিধানে বেনামি লেনদেন সংক্রান্ত আইন তৈরি হয়েছিল ১৯৮৮ সালে। ১৯৮৮ সালের বেনামি লেনদেন (প্রতিরোধ) আইনের ৩(২) ধারায় এই ধরনের অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া হত। এদিন সম্পূর্ণ ধারাটিকেই ‘অসাংবিধানিক’ বলে মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। 

    আরও পড়ুন: শিন্ডে বনাম উদ্ধবের লড়াই পৌঁছল সাংবিধানিক বেঞ্চে

    ১৯৮৮ সালের আইনের (Benami Law) ৩(২) ধারা অনুযায়ী, বেনামি লেনদেনকারীকে সর্বোচ্চ ৩ বছর পর্যন্ত জেল বা জরিমানা অথবা জেল ও জরিমানা উভয় শাস্তি দেওয়ার বিধান ছিল। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এমভি রামানার নেতৃত্বাধীন ৩ বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, আইনটি ভারতীয় সংবিধানের ২০(১) অনুচ্ছেদের বিরোধী এবং অযৌক্তিক। ২০১৬ সংশোধন করা হয় এই আইন। কিন্তু ২০১৬ সালের আগের কোনও মামলায় সংশোধনী আইনকে ব্যবহার করা যাবে না বলে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের আবেদন মেনে ফিফার নিয়মকে মান্যতা শীর্ষ আদালতের! সিওএ বাতিলের নির্দেশ

    কলকাতা হাইকোর্টের একটি রায়ের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের দায়ের করা আবেদনের ভিত্তিতে এই মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্টের ৩ বিচারপতির বেঞ্চ। একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট ২০১৬ সালের বেনামি লেনদেন প্রতিরোধ সংশোধনী আইনটিকে প্রয়োগ না করার নির্দেশ দেয়। কারণ মামলাটি ২০১১ সালে কেনা সম্পত্তির ওপর ভিত্তি করে ছিল। হাইকোর্টের বক্তব্য ছিল, ২০১১ সালের কেনা সম্পত্তির মামলার ক্ষেত্রে ২০১৬ সালের সংশোধনী আইন প্রয়োগ করা যাবে না।  হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্র। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রমনা, বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারি এবং বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চে। শীর্ষ আদালতের তিন বিচারপতির বেঞ্চ কলকাতা হাই কোর্টের পক্ষেই রায় দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Sonali Phogat: সোনালির মৃত্যুতে রহস্য! কেন সিবিআই তদন্তের দাবি বিজেপি নেত্রীর পরিবারের জানেন?

    Sonali Phogat: সোনালির মৃত্যুতে রহস্য! কেন সিবিআই তদন্তের দাবি বিজেপি নেত্রীর পরিবারের জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হরিয়ানার বিজেপি (BJP) নেত্রী সোনালি ফোগাটের (Sonali Phogat) মৃত্যুতে দানা বাঁধছে রহস্য। মৃতের পরিবারের দাবি, হৃদরোগে আক্রান্ত (Heart Attack) হয়ে মৃত্যু হতে পারে না সোনালির। সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবিও জানিয়েছে তারা। সোনালির বোন রামণ বলেন, আমার দিদির হার্ট অ্যাটাক হতে পারে না। তিনি খুবই ফিট ছিলেন। আমরা সিবিআই তদন্ত চাই। দিদি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন, এটা আমাদের পরিবার মানতে রাজি নয়। তাঁর কোনও শারীরিক সমস্যা ছিল না।

    কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে সোনালি গিয়েছিলেন গোয়ায়, বেড়াতে। সোমবার রাতে সেখানে আচমকাই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। অনুভব করেন শারীরিক কষ্টও। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন তাঁকে। জানা গিয়েছে, মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও-ও পোস্ট করেছিলেন সোনালি। সেদিনই বদলেছিলেন প্রোফাইল পিকচারও। প্রাথমিকভাবে সোনালির মৃত্যুর কারণ হার্ট অ্যাটাক বলে মনে করা হলেও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন : প্রয়াত প্রাক্তন বিগবস প্রতিযোগী বিজেপি নেত্রী সোনালি ফোগাট

    সোনালির আর এক বোন রূপেশ বলেন, মৃত্যুর আগের সন্ধেয় আমি ফোনে দিদির সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলেছিলেন, হোয়াটস অ্যাপে কথা বলতে চান। রহস্য চলছে…পরে ফোন কেটে দেন। তারপর আর ফোন তোলেননি। এদিকে, সোনালির মৃত্যুর ময়না তদন্তের সময় যাতে চিকিৎসকদের প্যানেল বসানো হয়, সে ব্যাপারে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগকে চিঠি দিল গোয়া পুলিশ। যদিও অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট জিভা দলভি (Jivba Dalvi) বলেন, আঞ্জুনা পুলিশ গোয়া মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগকে ময়না তদন্তের সময়ে চিকিৎসকদের প্যানেল বসানোর জন্য চিঠি দিয়েছে।

    প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে অভিনয় জগতে পা রাখেন সোনালি। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে আদমপুর কেন্দ্র থেকে পদ্ম প্রার্থী হিসেবে লড়েছিলেন সোনালি। যদিও কংগ্রেস প্রার্থী কুলদীপ বিষ্ণোইয়ের কাছে হেরে যান। পরে অবশ্য কুলদীপ যোগ দেন বিজেপিতে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • ISIS Suicide Bomber: রাশিয়ায় গ্রেফতার হওয়া আইএস জঙ্গিকে হেফাজতে নিতে চায় ভারত

    ISIS Suicide Bomber: রাশিয়ায় গ্রেফতার হওয়া আইএস জঙ্গিকে হেফাজতে নিতে চায় ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ায় (Russia) গ্রেফতার হওয়া ইসলামিক স্টেট (আইসিস) জঙ্গিকে (ISIS Terrorist) নিজের হেফাজতে নিতে চায় ভারত। এর জন্যে রাশিয়ার তদন্তকারী সংস্থা ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের (FCS) কাছে আবেদনও জানাবে ভারতীয় এজেন্সি। এর আগে ঠিক ছিল ওই জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে রাশিয়া যাবেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA) এবং ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (IB)-এর আধিকারিকরা। কিন্তু এখন তাকে দেশে এনেই জেরা করতে চাইছেন গোয়েন্দারা। 

    আরও পড়ুন: পয়গম্বরকে অপমানের বদলা নিতে ভারতে হামলার ছক, রাশিয়ায় গ্রেফতার আইএস জঙ্গি

    উজবেকিস্তানের ওই জঙ্গিকে (Suicide Bomber) দেশে এনে জেরা করার জন্যে রাশিয়া, উজবেকিস্তান দুই দেশের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছে ভারত। 

    রাশিয়ায় ধৃত ওই আইএস জঙ্গিকে বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মাকে (Nupur Sharma) হত্যা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল৷ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের শীর্ষ সূত্রে এমনই খবর মিলেছে৷ আজামভ নামে ওই আইএস জঙ্গির জন্ম হয় ১৯৯২ সালে৷ তুরস্কে তাকে দলে নেয় আইএস৷ সেখানেই প্রশিক্ষণ চলে তার৷

    আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে আমদানি কমিয়েছে ভারত, বেড়েছে সৌদি আরব থেকে তেল কেনা

    নুপূর শর্মাকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েই রাশিয়ায় পৌঁছয় সে৷ লক্ষ্য ছিল রাশিয়া থেকে ভিসা নিয়ে দিল্লি পৌঁছনো৷ সূত্রের খবর, দিল্লিতে পৌঁছলে স্থানীয় ভাবে তাকে সহযোগিতা করা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল৷ জেরায় আজামভ স্বীকার করেছে, অনলাইন প্রশিক্ষণেই তাকে চরমপন্থার প্রতি আকর্ষিত করা হয়েছিল৷ কোনও আইএস নেতার সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়নি তার৷ অপারেশনের দ্বিতীয় পর্যায়ে রাশিয়ায় পৌঁছয় বলে দাবি করেছে আজামভ৷ 

    গত ২৭ জুলাই একটি বিদেশী সন্ত্রাস দমন এজেন্সির মাধ্যমে রাশিয়ায় একজন জঙ্গির গ্রেফতার হওয়ার খবর পায় ভারত৷ ওই এজেন্সি জানিয়েছিল, কিরঘিজস্তান এবং উজবেকিস্তানের দুই আত্মঘাতী জঙ্গি ভারতে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল৷ তাদের মধ্যে একজন তুরস্ক থেকে এসেছে৷

    ভারতের কাছে খবর ছিল, ওই দুই জঙ্গি রাশিয়ার মস্কো অথবা অন্য কোনও দূতাবাসের মাধ্যমে ভারতে আসার জন্য ভিসার আবেদন জানাবে৷ এই তথ্য হাতে পেয়েই রাশিয়াকে জানায় ভারত৷ সেই সূত্র ধরেই আজামভকে আটক করে সেদেশের ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস৷ 

    এর আগেই পয়গম্বর বিতর্ক নিয়ে হামলার ছক হতে পারে বলে ভারতকে সতর্ক করেছিল গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। সেইমতো ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়ায় কড়াকড়ি করেছে ভারত। তুর্কি, কাতার, কুয়েত, মধ্য এশিয়ার দেশগুলিকে ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া আঁটসাঁট করা হয়েছিল। আর সেই কারণেই রাশিয়া  হয়ে ভারতে ঢোকার ছক কষেছিল ওই জঙ্গি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • CBI Raids in Bihar: রেল নিয়োগে দুর্নীতি, তেজস্বীর দলের নেতাদের বাড়িতে তল্লাশি সিবিআই-এর  

    CBI Raids in Bihar: রেল নিয়োগে দুর্নীতি, তেজস্বীর দলের নেতাদের বাড়িতে তল্লাশি সিবিআই-এর  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলা তো ছিলই। এবার সিবিআই (CBI)- এর নজরে বিহার (Bihar)। চাকরির বদলে জমি নেওয়া দুর্নীতির অভিযোগে বুধবার সকাল থেকে তেজস্বী যাদবের (Tejashwi Yadav) দল আরজেডি নেতাদের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। লালুপ্রসাদ যাদবের ঘনিষ্ঠ নেতা সুনীল সিং, সুবোধ রায়, আশফাক করিম এবং ফৈয়াজ আহমেদের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি (Raid) চলছে। এদিকে আজই শুরু হচ্ছে বিহারের বিধানসভা অধিবেশন। আজই হতে পারে আস্থা ভোট। 

    আরও পড়ুন: জাতীয় পতাকাকে ‘ঢাল’ করেও মেলেনি রেহাই, বিহারে এডিএমের মার হবু শিক্ষককে 

     

    সুনীল সিং এই বিষয়ে বলেন, “ইচ্ছাকৃতভাবে এটা করছে। এর কোনও অর্থ নেই। ওরা ভাবছে, আমরা ভয় পেয়ে ওদের পক্ষে চলে যাব।” 

    আরজেডির রাজ্যসভা সদস্য মনোজ ঝা বলেন, “ইডি হোক কিংবা আইটি অথবা সিবিআই, এসবই আসলে বিজেপির হানাদারি। ওরা এখন বিজেপির অধীনে, ওদের নির্দেশে কাজ করে যাচ্ছে। ওদের অফিস চলে বিজেপির অঙ্গুলি হেলনে। আজ বিধানসভায় শক্তি পরীক্ষা হতে চলেছে। তার আগে এসব কী হচ্ছে, তা বোঝাই যায়।” 

    আরও পড়ুন: দলকে কলঙ্ক মুক্ত রাখতে নয়া ফরমান তেজস্বী যাদবের, জানেন কী কী?

    প্রসঙ্গত, জমির বিনিময়ে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত এই মামলায় জুলাই মাসে লালুঘনিষ্ঠ ভোলা যাদবকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। অভিযোগ, লালু প্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav) ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন (২০০৪-০৯) বিহারের বহু যুবককে জমির বিনিময়ে রেলের ‘গ্রুপ-ডি’ (Railway Recruitment Corruption) পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। লালুর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং তাঁদের দুই কন্যা মিসা এবং হেমার বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার তদন্তে গত ২০ মে সিবিআই পাটনা, দিল্লিসহ দেশের মোট ১৫টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     

     

LinkedIn
Share