Blog

  • Indian Football: ভারতীয় ফুটবলকে নির্বাসনে পাঠাল ফিফা, কী হবে সুনীল ছেত্রীদের ভবিষ্যৎ? 

    Indian Football: ভারতীয় ফুটবলকে নির্বাসনে পাঠাল ফিফা, কী হবে সুনীল ছেত্রীদের ভবিষ্যৎ? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় ফুলবলের নিয়ামক সংস্থা সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে (All India Football Federation) নির্বাসিত করল ফিফা (FIFA)। অনিশ্চিত হয়ে পড়ল অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা ফুটবল বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের অংশগ্রহণ। ‘তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ’ – এর কারণেই এই নির্বাসন বলে জানিয়েছে ফিফা। অনির্দিষ্ট কালের জন্যে ভারতকে নির্বাসিত করেছে তারা। ফিফা একটি বিবৃতি  দিয়ে জানিয়েছে, “এখন এআইএফএফ-এর ক্ষমতায় রয়েছে কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স। এর বদলে যে দিন থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে তৈরি হওয়া কমিটি এআইএফএফ-এর দায়িত্ব নেবে, সে দিন থেকে এই নির্বাসনের শাস্তি উঠে যাবে।” 

    আরও পড়ুন: এগিয়ে এল বিশ্বকাপের দিন! জেনে নিন কবে থেকে শুরু ফুটবলের মহাযুদ্ধ

    আগামী ১১ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ ফুটবল ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তার মধ্যে এই নির্বাসনের সুরাহা না হলে ভারত থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে বিশ্বকাপ। ফিফা বিবৃতিতে আরও বলেছে, “নির্বাসনের অর্থ হল, ভারত অক্টোবরে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন করতে পারবে না। এই প্রতিযোগিতা নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নিয়ে ফিফা চিন্তা-ভাবনা করছে।”

    যদিও এখনই মনোবল হারানোর কোনও কারণ নেই। ভারতের ক্রিড়া মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে ফিফা। এখনও ইতিবাচক সমাধান সম্ভব বলেও নিশ্চিত করেছে তারা। 

    আরও পড়ুন: কাতারে নতুন বিয়ার পলিসি! না কি ফুটবল বিশ্বকাপের আসরে স্টেডিয়ামে মদ্যপান নিষিদ্ধ

    নির্বাসন তোলার ক্ষেত্রে দুটি শর্ত দিয়েছে ফিফা। এক, কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করতে হবে। দুই, সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার (AIFF) হাতে নির্বাচনের মাধ্যমে পুরো দায়িত্ব তুলে দিতে হবে। এই মাসের শেষে নির্বাচন হওয়ার কথা। সেটা হলেই ভারতীয় ফুটবল ফের খেলতে পারবে বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের আয়োজনও করতে পারবে। এবং মোহনবাগান খেলতে পারবে এফসি কাপে। অর্থাৎ ভারতীয় ফুটবলের ভাগ্য ফেরাতে নির্বাচনই একমাত্র পথ। 

    ফিফার দেওয়া এই নির্বাসন না উঠলে ভয়ঙ্কর বিপদের মুখে পড়তে চলেছে ভারতীয় ফুটবল। প্রথমত ভারত কোনও বিশ্বকাপের আয়োজন করতে পারবে না। এছাড়াও ভারতের কোনও দল কোনও আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। কোনও মহাদেশীয় টুর্নামেন্টেও অংশগ্রহণ করতে পারবে না কোনও ভারতীয় ফুটবল ক্লাব। 

    পুরুষদের দলের পরের মাসে সিঙ্গাপুর এবং ভিয়েতনামে খেলার কথা রয়েছে। কিন্তু নির্বাসনের জেরে এখন তাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে সুনীল ছেত্রীদের ভবিষ্যৎ।  

     

  • Pending DA Case: ডিএ মামলায় রাজ্য সরকারের রিভিউ পিটিশন শেষ পর্যন্ত গ্রহণ করল আদালত

    Pending DA Case: ডিএ মামলায় রাজ্য সরকারের রিভিউ পিটিশন শেষ পর্যন্ত গ্রহণ করল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ (Pending DA) মিটিয়ে দিতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেই নির্দেশ পুনবির্বেচনার আর্জি জানিয়ে মামলা করেছিল রাজ্য সরকার (State Govt.)। মঙ্গলবার সেই মামলা গ্রহণ করল হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডরের ডিভিশন বেঞ্চ। চলতি মাসের ২৯ তারিখে হবে শুনানি।

    গত মে মাসে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিয়েছিল, আগামী তিন মাসের মধ্যে সরকারি কর্মীদের বকেয়া সমস্ত মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দিতে হবে। যদিও এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি রাজ্য সরকারকে। অনেকেই ভেবেছিলেন, রায় পুনর্বিবেচনা আর্জি জানাতে পারে রাজ্য সরকার। কর্মীদের একাংশের সেই ভাবনাই সত্যি হল। বৃহস্পতিবার অনলাইনে রিভিউ পিটিশন জমা দেওযার কাজ শেষ করেছে রাজ্য সরকার। যদিও এ ব্যাপারে নোটিশ দেওয়া হয়নি মামলাকারীদের। রিভিউ পিটিশনের আবেদন গ্রহণ হলেই সেই নোটিশ যাবে বলে আদালত সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুন : আদালতে স্বস্তি শুভেন্দুর! বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে আনা জনস্বার্থ মামলা খারিজ করল হাইকোর্ট

    প্রসঙ্গত, পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সরকারি কর্মীরা বকেয়া ৩২ শতাংশ ডিএ মেটানোর দাবি জানিয়ে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে মামলা করে কর্মচারীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্মেন্ট এমপ্লয়িজ। এ নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াই চলে। শেষমেশ স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল কর্মীদের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। যদিও হাইকোর্টে ধাক্কা খায় রাজ্য। স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ বহাল রাখে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। চলতি মাসের ১১ তারিখে সেই রায় পুনর্বিবেচনের আর্জি জানানো হয়। এদিন তা গ্রহণ করে কলকাতা হাইকোর্ট।

    প্রসঙ্গত, বকেয়া মেটানোর জন্য তিন মাসের যে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, তা শেষ হচ্ছে ১৯ অগাস্ট। নবান্ন সূত্রে খবর, ৩৪ শতাংশ হারে ডিএ মেটাতে গেলে রাজ্যের খরচ হবে ২৩ হাজার কোটি টাকা। এই মুহূর্তে এই বিপুল পরিমাণ অর্থের জোগান নেই। তাই এ ব্যাপারে কী করা যায়, তা নিয়ে আইনি পরামর্শ নিচ্ছিল রাজ্য। কিস্তিতে কিংবা পিএফের সঙ্গে ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনাও করা হচ্ছিল। শেষমেশ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য।  

    আরও পড়ুন : হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট, রক্ষাকবচের জন্য ছুটছেন মন্ত্রী পার্থ, কিন্তু পাবেন কি?

  • Bilkis Bano Case: বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় মুক্তি পেল দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১১ জন

    Bilkis Bano Case: বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় মুক্তি পেল দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১১ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০২ সালের বিলকিস বানো গণধর্ষণ কাণ্ডে (Bilkis Bano Gang Rape) এগারো জন দোষীকে জেল থেকে মুক্তি দিল গুজরাট সরকার। স্বাধীনতা দিবসের দিন গোধরা জেলের বাইরে বের হল গত ১৫ বছর ধরে জেলে থাকা বন্দিরা৷ গোধরা পরবর্তী হিংসায় (Gujarat Riots 2002) বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাদের। ২০০৮ সালে তাদের সকলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছিল মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত।। কিন্তু গুজরাট সরকারের শাস্তি মকুবের নিয়ম (remission policy) অনুযায়ী, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার আবেদন করে দোষীদের একজন। এবং তারই ভিত্তিতে ওই ১১ জন দোষীকে গতকাল মুক্তি দেওয়া হল।

    সূত্রের খবর, দোষীদের মধ্যে এক জন সুপ্রিম কোর্টের কাছে মুক্তির আবেদন করে। তার ভিত্তিতে গুজরাট সরকারকে বিষয়টি দেখতে বলে সুপ্রিম কোর্ট। এরপর কোর্টের নির্দেশ মতো গঠন করা হয় একটি কমিটি৷ তারপরেই গুজরাট সরকারের তরফে মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। গুজরাট সরকারের ওই কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন পঞ্চমহলের জেলাশাসক সুজল মায়াত্রা। তিনি জানিয়েছেন, কয়েক মাস আগে কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে দোষীদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তারপরেই গুজরাট সরকারের তরফে রবিবার জানিয়ে দেওয়া হয়, দোষীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের কল্যাণে কাজ করাই জীবনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত, বললেন রাষ্ট্রপতি

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ২৭ ফ্রেবুয়ারি, গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের পর ব্যাপক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয় গোটা গুজরাট জুড়ে। এরপর ৩ মার্চ বারিয়া নামক গ্রামে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। সেসময় গ্রামের বাসিন্দা পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিস বানো-সহ তাঁর মা-বোনকে গণধর্ষণ করা হয়। বিলকিসের চোখের সামনেই তাঁর বাকি সন্তানদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এর পর তাঁর পরিবারের ১৪ জন-সহ ওই গ্রামের মোট ১৭ জনকে খুনও করা হয়। কোনও রকমে প্রাণ বাঁচিয়ে পালান ছয়জন। এই ঘটনার পরেও দীর্ঘদিন এর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এরপর এই ঘটনায় ক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। তারপর ২০০৪ সালে ওই ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। আমদাবাদে শুরু হয় শুনানি। কিন্তু সেখানে তদন্ত হলে, প্রমাণ নষ্ট করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করেন বিলকিস। ফলে মামলাটি আমদাবাদ থেকে মুম্বইয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তারপর সিবিআই আদালত ২০০৮ সালে ওই ১১ জনকে যাবজ্জীবনের কারাদন্ডের দেয়। গর্ভবতী মহিলাকে ধর্ষণ, হত্যা এবং বেআইনি জমায়েত ধারায় তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়। প্রমাণের অভাবে ছেড়ে দেওয়া হয় অন্য সাত জনকে। আর শুনানি চলাকালীনই মৃত্যু হয় এক জনের। এরপর ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে ক্ষতিপূরণবাবদ বিলকিসকে ৫০ লক্ষ টাকা, চাকরি এবং বাড়ি দিতে হবে বলে গুজরাট সরকারকে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। 

  • Partition Horrors Remembrance Day:  বিভাজন বিভীষিকা স্মরণ দিবসে নেহরুকে নিশানা বিজেপির

    Partition Horrors Remembrance Day:  বিভাজন বিভীষিকা স্মরণ দিবসে নেহরুকে নিশানা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিভাজন বিভীষিকা স্মরণ দিবসে (Partition Horrors Remembrance Day) কংগ্রেসকে নিশানা গেরুয়া শিবিরের। এদিন বিজেপির (BJP) তরফে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। তাতে আক্রমণ শানানো হয়েছে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে (Jawaharlal Nehru)।

    সাত মিনিটের একটি ভিডিও তৈরি করে প্রচার করছে পদ্ম শিবির। আর্কাইভের ছবি ব্যবহার করে তৈরি করা ওই ভিডিওয় পাকিস্তান (Pakistan) গঠনের জন্য মহম্মদ আলি জিন্নার নেতৃত্বাধীন মুসলিম লিগের কাছে নেহরু নতি স্বীকার করেছিলেন বলে অভিযোগ বিজেপির। দেশভাগের সময়কার বিভিন্ন ছবি ব্যবহার করে তৈরি করা ওই ভিডিও ট্যুইট করে বিজেপির পক্ষ থেকে লেখা হয়েছে, যাদের ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, সভ্যতা, মূল্যবোধ, তীর্থস্থান সম্পর্কে কোনও জ্ঞানই ছিল না, তারা মাত্র তিন সপ্তাহে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এক সঙ্গে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে দেশভাগের রেখা টেনেছিল। এই বিভাজনকারী শক্তির সঙ্গে লড়াই করার দায়িত্ব যাদের ছিল, সেই সময় কোথায় ছিলেন তাঁরা? বাংলা এবং পাঞ্জাব ভাগের প্রসঙ্গও রয়েছে বিজেপির তৈরি করা এই ভিডিওয়।

    আরও পড়ুন :বিজেপি-সঙ্গ ত্যাগ নিছক উপলক্ষ, নীতীশের লক্ষ্য কি প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি?

    গত বছরই দেশভাগ বিভীষিকা স্মরণ দিবস পালন করার কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বিজেপির দাবি, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের জেরে ভারতীয়দের যে সমস্যা, দুর্দশার মধ্যে পড়তে হয়েছিল, তা মনে করাতেই এই উদ্যোগ। দেশভাগ বিভীষিকা স্মরণ দিবসে নেহরুকেই নিশানা বিজেপির। এদিন সকালে এনিয়ে ট্যুইটও করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  

    পাল্ট জবাব দিয়েছে কংগ্রেসও। কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ ট্যুইট বার্তায় বলেন, এই দিনটি স্মরণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর মূল উদ্দেশ্য হল বর্তমান রাজনৈতিক লড়াইয়ের রসদ সংগ্রহ করা। লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুহারা হয়েছিলেন, প্রাণ হারিয়েছিলেন। তাঁদের সেই ত্যাগের কথা ভুললে চলবে না। তাঁর প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী কি আজকে জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কেও স্মরণ করবেন, যিনি শরৎচন্দ্র বসুর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বঙ্গভঙ্গের পক্ষে ছিলেন? তাঁর কটাক্ষ, আধুনিক কালের সাভারকার এবং জিন্নারা ফের বিভক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাঁর দাবি, গান্ধী, নেহরু, প্যাটেল সহ যাঁরা দেশকে এক করার চেষ্টা করেছিলেন, তাঁদের উত্তরাধিকারকে কংগ্রেস এগিয়ে নিয়ে যাবে। পরাজিত হবে বিদ্বেষের রাজনীতি।

    আরও পড়ুন : ফের উদ্ধার মোটা অঙ্কের টাকা, পুলিশ হেফাজতে ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেস বিধায়ক

     

  • Dharmendra Pradhan: পড়ুয়ারা পড়বে দেশের সেনা জওয়ানদের বীরত্বের কাহিনী, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান

    Dharmendra Pradhan: পড়ুয়ারা পড়বে দেশের সেনা জওয়ানদের বীরত্বের কাহিনী, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে স্কুলের পাঠ্যসূচি সম্পর্কে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। স্কুলের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের বীরত্বের কাহিনী। একথা জানিয়েছেন খোদ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan)। তবে কেন এমন দাবি করলেন তিনি, এই নিয়ে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে পড়ুয়াদের মধ্যে।

    জানা গিয়েছে, খুব কম বয়স থেকেই শিশুরা যাতে দেশের সেনা জওয়ান, তাঁদের বীরত্ব, আত্মত্যাগ সম্পর্কে জানতে পারে তার জন্যই এই পদক্ষেপ। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের “বীর গাথা” (Veer Gatha) প্রজেক্টে বক্তব্য রাখার সময়েই এই বড়সড় সিদ্ধান্তের কথা জানান কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। তিনি সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “দেশের প্রতি সন্তানদের যাতে খুব কম বয়সেই দায়িত্ববোধ এসে যায় সেই দিকে ভেবেই শিক্ষা মন্ত্রক ও প্রতিরক্ষামন্ত্রক এই আলোচনা করছে। শিশুদের পাঠ্যক্রমে ভারতের সেনা জওয়ানদের বীরত্ব ও গত ৭৫ বছরে ভারতের বীর গাথার কাহিনি পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন? জানুন কী করবেন আর কী করবেন না

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বীর গাঁথা প্রজেক্টটি ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ (‘Azadi Ka Amrit Mahotsav’)-এর একটি অংশ হিসাবে চালু করা প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল দেশের সেনা বাহিনীর বীরত্বপূর্ণ কাজ এবং আত্মত্যাগ সম্পর্কে শিশুদের সচেতন করা ও তাদের অনুপ্রাণিত করা। গত বছর অর্থাৎ ২০২১-এর অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত আয়োজন করা হয়েছিল ‘বীর গাথা প্রতিযোগিতা’-র। যেখানে দেশের মোট ৪,৭৮৮ টি স্কুল থেকে প্রায় ৮.০৪ লক্ষ পড়ুয়া উৎসাহিত ছিল তাদের অনুপ্রেরণামূলক গল্প, বিভিন্ন প্রবন্ধ, কবিতা, ছবি আঁকা এবং মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য। এদের মধ্যে ২৫ জন পড়ুয়াকে বেছে নেওয়া হয়েছে ও তাদের “সুপার ২৫” হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। যে সকল পড়ুয়া এই প্রতিযোগিতায় সাফল্য পেয়েছে তাদের “সুপার সেনা”-র তকমা দেওয়া হয়েছে। যদিও পরে শিক্ষামন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছেন যে, দেশের সেনাদের সম্মানে এই প্রতিযোগিতার নাম পরিবর্তন করে ‘সেনা সুপার ২৫’ করা উচিত। এই অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ‘বীরগাথা’ প্রতিযোগিতার ২৫ জনকে বিশেষ পুরষ্কারে ভূষিত করেন।

     

  • Term Deposit Interest Hike: বাড়ল সুদের হার, কোন কোন ব্যাংক দিচ্ছে জানেন?    

    Term Deposit Interest Hike: বাড়ল সুদের হার, কোন কোন ব্যাংক দিচ্ছে জানেন?    

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা তৃতীয়বারের জন্য নিজেদের রেপো রেট (Repo Rate) বাড়িয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। দেশে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতির (Inflation) হার। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। এমতাবস্থায় রেপো রেট বৃদ্ধি করা ছাড়া আর কোনও পথ খোলা ছিল না দেশের শীর্ষ ব্যাংকের সামনে। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই রেপো রেট বাড়িছে রিজার্ভ ব্যাংক। এই রেপো রেট বাড়ায় নয়া সুদের হার ঘোষণা করেছে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক (Bank)।  

    আমরা জানি, ভারতের সিংহভাগ বাসিন্দাই ভরসা করেন ফিক্সড ডিপোজিটের (Fixed Deposit) ওপর। এর প্রধান কারণ হল, এতে বাজারের হাল যাই হোক না কেন, সুদ মেলে ডিপোজিটের সময় ব্যাংক যে প্রতিশ্রুতি দেয়, সেই হারে। তাছাড়া টার্ম ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খোলাও সোজা। গত দু তিন বছরে একাধিকবার সুদের হার কমিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক। এই সময় সীমার মধ্যেই ছিল করোনা অতিমারি পরিস্থিতি। তার পরেও ফিক্সড কিংবা টার্ম ডিপোজিটে অগ্রহ বাড়েনি আমজনতার।

    আরও পড়ুন : দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    আমজনতাকে ব্যাংকমুখী করতে নয়া সুদের হার ঘোষণা করেছে দেশের একাধিক বেসরকারি ব্যাংক। বেসরকারি ব্যাংক কোটাক মাহিন্দ্রা এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী ইয়েস ব্যাংক ১০ অগাস্ট থেকে টার্ম ডিপোজিটে সুদের হার বাড়িয়েছে। কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাংকে ৭ থেকে ১৪ দিনের জন্য ২ কোটি টাকার কম জমা রাখলে সুদ মিলবে ২.৫০ শতাংশ হারে। তিন বছর থেকে ১০ বছরের মধ্যে হলে সুদ মিলবে ৫.৯০ শতাংশ। প্রবীণ নাগরিকেরা পাবেন অতিরিক্ত .৫ শতাংশ।

    এর চেয়েও বেশি সুদ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে ইয়েস ব্যাংক। ৭ থেকে ১৪ দিনের মেয়াদি আমানতে তারা দিচ্ছে ৩.২৫ শতাংশ সুদ। তিন বছরের ঊর্ধ্বে এবং ১০ বছর পর্যন্ত টাকা জমা রাখার ক্ষেত্রে সুদ মিলবে ৬.৭৫ শতাংশ হারে।

    আরও পড়ুন : ৪০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট বাড়ানোর ঘোষণা আরবিআই-এর, শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধস

    টার্ম ডিপোজিটে সুদের হার বাড়িয়েছে আর একটি বেসরকারি ব্যাংক আইসিআইসিআই ব্যাংক। এই সুদ মিলবে দু কোটি কিংবা তার বেশি টাকা জমা রাখা হলে। সেক্ষেত্রে সুদ মিলবে ৩.২৫ শতাংশ থেকে ৫.৭৫ শতাংশ হারে। সুদের হার বাড়িয়েছে অ্যাক্সিস ব্যাংকও। দু কোটি টাকার কম জমা রাখা হলে সুদ মিলবে ২.৫০ শতাংশ থেকে ৫.৭৫ শতাংশ হারে। জমা টাকার পরিমাণ দু কোটি টাকার বেশি হলে সুদ মিলবে ৫.৯০ শতাংশ হারে।

     

  • No flag hoisting but unfurling: এসএসকেএম হাসপাতালে স্বাধীনতা দিবসে পতাকা ‘উত্তোলন’ হবে না, নির্দেশ জারি করল কর্তৃপক্ষ

    No flag hoisting but unfurling: এসএসকেএম হাসপাতালে স্বাধীনতা দিবসে পতাকা ‘উত্তোলন’ হবে না, নির্দেশ জারি করল কর্তৃপক্ষ

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রাজ্যের সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এসএসকেএমে দেশের ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসের পতাকা উত্তোলনের নির্দেশিকা ঘরে বিতর্ক দানা বাধল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এসএসকেএমের অধ্যাপক ও ছাত্র-ছাত্রীদের গ্রুপে যে নির্দেশিকা পোস্ট করে ১৫ অগাস্ট সকাল সাড়ে ৯টায় সমবেত হতে বলেছেন তাতে পতাকা উত্তোলনের(flag hoisting) কথা বলা হয়নি। বরং পতাকা উন্মোচিত(flag unfurled) হবে বলে জানানো হয়েছে।

    ঘটনা হল, স্বাধীনতা দিবসে সর্বদা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পতাকা দণ্ডের নীচে জাতীয় পতাকা বাঁধা থাকে। সর্বত্র তা পতাকা দণ্ডের শীর্ষে উত্তোলন করা হয়। যা আসলে স্বাধীনতা অর্জনের দ্যোতক হিসাবে ধরা হয়।

    অন্যদিকে প্রজাতন্ত্র দিবসে জাতীয় পতাকা উন্মোচিত করা হয়। সেদিন পতাকা দণ্ডের শীর্ষে জাতীয় পতাকা গোটানো থাকে। সেটি উন্মোচন করা হয়।১৯৪৭ এ স্বাধীনতার সময় দেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন না। ফলে ১৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পতাকা উত্তোলন করে থাকেন। ১৯৫০-এ ২৬ জানুয়ারি দেশের রাষ্ট্রপতির শপথ হয়। সেদিন রাষ্ট্রপতি পতাকা উন্মোচন করে থাকেন। এবার পিজিতে উলোটপুরাণ। ২৬ জানুয়ারির প্রথা ১৫ অগাস্ট পালনের নির্দেশ ঘরে বিতর্ক চরমে।

     ফলে স্বাধীনতা দিবস এবং প্রজাতন্ত্র দিবসের জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও উন্মোচনের রীতি সারা দেশে একইভাবে পালিত হলেও এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ কীভাবে স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পরিবর্তে উন্মোচনের সিদ্ধান্ত নিলেন তা নিয়ে প্রবল বিতর্ক শুরু হয়েছে।ছাত্র-শিক্ষকদের গ্রুপে পোস্ট হওয়ার পর থেকেই জাতীয় পতাকার অবমাননার কথা বলে প্রবল সমালোচনা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কর্তৃপক্ষর সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কোনও জবাব আসেনি।স্বাস্থ্যভবন অবশ্য ঘটনাটি অনাবশ্যক এবং অসাবধানতাবশত হয়েছে বলে জানিয়েছে।

    এদিনই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা নন্দীগ্রামে তিরঙ্গা যাত্রায় বেরলে পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, রাজ্য সরকারের কাণ্ডজ্ঞান লোপ পেয়েছে।স্বাধীনতার ৭৫ পূর্ণ হল। দেশভাগের যন্ত্রণা নিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ।আজ সেখানেই জাতীয় পতাকা নিয়ম মেনে উত্তোলনও রাজ্য প্রশাসন করতে পারছে না। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রথা স্বাধীনতা দিবসে পালন করতে বলা জাতীয় পতাকার অবমাননার সামিল। এসএসকেএম কর্তৃপক্ষর অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়া উচিত।

  • Afghanistan: ফের রক্তাক্ত কাবুল! মসজিদে বিস্ফোরণ, ইমাম-সহ নিহত ২০

    Afghanistan: ফের রক্তাক্ত কাবুল! মসজিদে বিস্ফোরণ, ইমাম-সহ নিহত ২০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ বিস্ফোরণে কাঁপল আফগানিস্তান (Afghanistan)। বুধবার রাজধানী কাবুলের (mosque in Kabul) একটি মসজিদে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় জেহাদিরা। ওই হামলায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২০ জনের। আহত অন্তত ৪০। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে এই হামলার নেপথ্যে ইসলামিক স্টেটের (IS) হাত রয়েছে বলে অনুমান।

    কাবুল পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জাদরান জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যায় প্রার্থনা চলাকালীন খইর খানা এলাকার একটি মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটে। সূত্রের খবর, হামলায় সিদ্দিকি মসজিদের ইমাম আমির মহম্মদ কাবুলিরও মৃত্যু হয়েছে।  তিনি একজন বিশিষ্ট তালিবান ধর্মীয় পণ্ডিত। তালিবানের (Taliban) এক গোয়েন্দা আধিকারিক জানিয়েছেন, সিদ্দিকি মসজিদে হওয়া হামলায় হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। ঘটনার তদন্ত করছে তালিবানি গোয়েন্দারা। 

    কাবুলের ইমার্জেন্সি হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিস্ফোরণের পর ৫ শিশুসহ ২৭ জন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের মধ্যে এক শিশুর বয়স মাত্র ৭। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, উত্তর কাবুলের আশেপাশে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে, আশেপাশের ভবনের জানালার কাচ ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। বিস্ফোরণের পর তোলা ছবি ও ভিডিয়োতে বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশের গাড়িকে ঘটনাস্থলে ছুটে যেতে দেখা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘লজ্জাজনক ঘটনা’, কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যার নিন্দায় সরব অনুপম খের

    এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে তালিবান। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, গত সপ্তাহে কাবুলে ইসলামিক স্টেটের (IS) হামলায় মৃত্যু হয় তালিবানপন্থী মুসলিম ধর্মগুরু শেখ রহিমুল্লা হাক্কানির। ফলে আফগানিস্তান দখল করলেও দেশে শান্তি ফেরাতে তালিবান যে অক্ষম তা স্পষ্ট।  গত অগাস্টে তালিবানরা ক্ষমতা পুনর্দখলের পর থেকেই, আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেট খোরাসান বা আইএসকেপি জঙ্গি গোষ্ঠী একাধিক হামলা চালিয়েছে। এর পাশাপাশি ক্রমে শক্তি বাড়াচ্ছে নর্দান রেসিস্ট্যান্স ফোর্সের মতো তালিবান বিরোধী আফগান যোদ্ধা গোষ্ঠীগুলিও।

     

  • SSC Scam: জামিনের আর্জি খারিজ! এসএসসি দুর্নীতি-কাণ্ডে  শান্তিপ্রসাদ ও অশোকের আরও ৬দিন সিবিআই হেফাজত

    SSC Scam: জামিনের আর্জি খারিজ! এসএসসি দুর্নীতি-কাণ্ডে শান্তিপ্রসাদ ও অশোকের আরও ৬দিন সিবিআই হেফাজত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিমধ্যেই তদন্তে মিলেছে বেশ কিছু প্রমাণ। আরও জেরার প্রয়োজন রয়েছে। জানা যাবে অনেক নতুন তথ্য। সিবিআইয়ের এই যুক্তি মেনে নিয়েই এসএসসির দুই প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা (S P Sinha) এবং অশোক সাহার জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। তাঁদের আরও ৬ দিনের সিবিআই (CBI) হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  ফলে ২২ অগস্ট পর্যন্ত শান্তিপ্রসাদ এবং অশোককে সিবিআই হেফাজতেই থাকতে হবে। বুধবার, আলিপুর কোর্টের বিশেষ আদালতে শুনানি হয়। গত ৭ দিনের জেরায় নতুন নতুন তথ্য উঠে এসেছে বলে এদিন আলিপুর আদালতে জানিয়েছে সিবিআইয়ের আইনজীবীরা। তাঁদের আরও দাবি, এই দুর্নীতির সঙ্গে অনেক প্রভাবশালী যুক্ত রয়েছেন। তাঁদের হদিশ পেতে উপদেষ্টা কমিটির দুই সদস্যকে আরও জেরা প্রয়োজন। 

    আজ, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় এসপি সিনহা এবং অশোক সাহাকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। শুনানি চলাকালীন সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, তিনি বলেন, ‘উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদ কোন এক্তিয়ারে চাকরির সুপারিশ করতেন?’ তিনি আরও প্রশ্ন করেন ‘তাঁকে এই ক্ষমতা কে দিয়েছিল?’ সুপারিশের চিঠির হস্তাক্ষর আর শান্তিপ্রসাদ সিনহার হাতের লেখার নমুনা মিলিয়ে দেখা হবে। কার নির্দেশে এই সুপারিশ তারা করত, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: যৌথ ব্যবসার সত্যতা স্বীকার অর্পিতার! জেলে গিয়ে পার্থকে দেড় ঘণ্টা জেরা ইডি-র

    ইতিমধ্যে এসএসসি ভবনের এক কর্মীকে তলব করে সিবিআই। এসপি সিনহার সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে তাঁকে জেরাও করা হয়। সেখান থেকেই শান্তিপ্রসাদের প্রভাবের কথা জানা যায়। ফলে এই দুই উপদেষ্টাকে জেরা করে আরও তথ্য উঠে আসবে বলে মনে করছে সিবিআইয়ের আইনজীবীরা। 

    গত বুধবার সকালেই শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং অশোক সাহার বাড়িতে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সেখানেই জেরা করা হচ্ছিল তাঁদের। অভিযোগ, জেরায় একাধিক তথ্য গোপন করেন এসএসসির প্রাক্তন দুই উপদেষ্টা। এরপরই তাদের গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁদের দু’জনকে নিজাম প্যালেসে রাখা হয়েছে।

  • Manasa Puja 2022: কেন গ্রাম বাংলায় পালিত হয় মনসা পুজো, এর তাৎপর্য জানেন কি? 

    Manasa Puja 2022: কেন গ্রাম বাংলায় পালিত হয় মনসা পুজো, এর তাৎপর্য জানেন কি? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতবর্ষে সর্প পুজো একটি প্রাচীন অনুষ্ঠান। মনসা সাপের দেবী। তিনি মূলত লৌকিক দেবী। পরবর্তীকালে পৌরাণিক দেবী রূপে স্বীকৃত হন। শ্রাবণ মাসের শেষ দিনে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের প্রতিটি ঘরে ঘরে মনসা দেবীর পুজো অনুষ্ঠিত হয়।

    অনেকের মতে, সাপের কামড় থেকে রক্ষা পেতে মাটির সরায় দুধ-কলা দিয়ে দেবী মনসাকে পুজো করা হয়। সারাদিন উপোস করে পুজো শেষে সাবু-দুধ-কলা দিয়ে মনসার পুজো সম্পন্ন করে তবে উপবাস ভাঙেন মহিলারা। সমাজে এই পুজোর প্রচলিত হওয়ার জন্য রয়েছে প্রচলিত পুরাণ কাহিনি।

    মনসা দেবীর মাহাত্ম্য

    পুরাণ অনুসারে, মনসার হলেন শিবের স্বীকৃতকন্যা ও জরৎকারুর পত্নী। জরৎকারু মনসাকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। মনসার মা চণ্ডী (শিবের স্ত্রী পার্বতী) তাঁকে ঘৃণা করতেন কিন্তু পরবর্তীতে মাতা চণ্ডী মনসাকে নিজের মেয়ের স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। কোনও কোনও ধর্মগ্রন্থে বলা আছে যে শিব নয়, ঋষি কাশ্যপ হলেন মনসার পিতা। মনসাকে ভক্তবৎসল বলে বর্ণনা করা হলেও, যিনি তাঁর পুজো করতে অস্বীকার করেন, তাঁর প্রতি তিনি নির্দয় হয়ে থাকেন।

    মনসার উৎপত্তি বিষয়ে নানা কাহিনি শোনা যায়। সর্পদংশনের ভয় থেকে মানুষের পরিত্রাণের জন্য প্রজাপতি ব্রহ্মা কশ্যপমুনিকে একটি মন্ত্র বা বিদ্যাবিশেষ আবিষ্কার করার আদেশ দেন। ব্রহ্মার আদেশ পেয়ে কশ্যপ যখন মনে মনে এই বিষয়ে চিন্তা করছিলেন, তখন তাঁর মননক্রিয়া থেকে আবির্ভূত হন এক স্বর্ণবর্ণা দেবী। যেহেতু তিনি মানসজাতা, মন থেকে তাঁর জন্ম, তাই তিনি ‘মনসা’। এই দেবী ‘কামরূপা’, অর্থাৎ ইচ্ছানুযায়ী রূপধারণ ও রূপপরিবর্তন করতে পারেন।

    মনসা পুজোর প্রতিমাতেও পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। সিজ বৃক্ষের শাখায়, ঘটে বা সর্প-অঙ্কিত ঝাঁপিতে মনসার পুজো হয়। তবে কেউ কেউ মনসা প্রতিমা বানিয়ে পুজো করে থাকে। আবার কেউ কেউ পঞ্চ সর্পের ফণা যুক্ত প্রতিমার পুজো করেন। গোত্র ও অঞ্চল ভেদে প্রথার ওপর ভিত্তি করে মনসা দেবী বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন রূপে তার ভক্তদের দ্বারা পূজিত হয়ে থাকেন। সরস্বতীর মতো দেবী মনসার বাহনও হংস। বাহনকে দেখেই আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি যে মনসাও জ্ঞানযুতা, জ্ঞানলক্ষণা। মনসার ১২টি নাম আছে। এগুলি হল— জরৎকারু, জগদেগৌরি, মনসা, সিদ্ধ যোগিনী, বৈষ্ণবী, নাগ ভগিনী, শৈবী, নাগেশ্বরী, জরৎকারু-প্রিয়া, আস্তিক-মাতা, বিষহরী, মহাজ্ঞানযুতা।

    মনসা পুজোর তাৎপর্য

    বাংলা অঞ্চলেই মনসার পুজো সর্বাধিক জনপ্রিয়। এই অঞ্চলে অনেক মন্দিরেও বিধিপূর্বক মনসার পুজো হয়। বর্ষাকালে যখন সাপের উপদ্রব বৃদ্ধি পায়, তখন মনসার পুজো মহাসমারোহে হয়ে থাকে। নিম্নবর্ণীয় হিন্দুদের কাছে মনসা একজন গুরুত্বপূর্ণ প্রজনন দেবতা। তাঁরা বিবাহের সময় ও সন্তানকামনায় মনসার পুজো করেন। 

    আষাঢ় মাসের পূর্ণিমার পর যে পঞ্চমী তিথি (শ্রাবণ) তাকে নাগপঞ্চমী বলে। নাগপঞ্চমীতে উঠানে সিজ গাছ স্থাপন করে মনসা পুজো করা হয়। ভাদ্রমাসের কৃষ্ণা পঞ্চমী পর্যন্ত পুজো করার বিধান আছে। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে একমাস যাবত্‍ পুজো করা হয়। শুধুমাত্র শেষ দিনে পুরোহিত দ্বারা পুজো করা হয়।

    পশ্চিমবঙ্গের গ্রামে পুরো শ্রাবণ মাস মনসা পুজো হয়। পুজো উপলক্ষে হয় পালাগান ‘সয়লা’। এই পালার বিষয় হল — পদ্মপুরাণ বা মনসামঙ্গল। সারা রাত ধরে গায়ক দোয়ারপি -সহ পালা আকারে ‘সয়লা’ গান গায়। পুরুলিয়ায় মনসা পুজোয় হাঁস বলি দেওয়া হয়। রাঢ়বঙ্গ বাঁকুড়ায় জ্যেষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের দশমী তিথিতে দশহরা ব্রত পালন করে মনসা পুজো করা হয়। তখন এখানে ঘুড়ি ওড়ানো হয়।

    মনসা পুজার অঙ্গ হল অরন্ধন। রাঢ়ে চৈতন্য দেবের সময়ে মনসাকে মা দূর্গার এক রূপ মনে করা হত। তাই কোনও কোনও জায়গায় পুজোয় বলি দেওয়া হত। আজও অনেক পুজোয় পাঁঠা বলি হয়।

    ২০২২ সালের মনসা পুজোর দিন-তারিখ

    মা মনসা পুজো পড়েছে শ্রাবণ মাসের শেষ দিন অর্থাৎ, বুধবার ১৭ অগাস্ট।

    মনসা পুজোর উপকরণ:

    সিঁদুর, ঘট, মনসা গাছ বা তাহার ডাল, পুজোর শাড়ি ১, মধুপর্কের বাটি ১, দুধ, মধু, ঘৃত, দধি, তিল, হরিতকি, পুষ্প, দূর্বা, তুলসী, বিল্বপত্র, ধূপ, দীপ, বড় নৈবেদ্য ১, অষ্টনাগের নৈবেদ্য ৮, কুচা নৈবেদ্য ১, উচ্ছে, ফল।

     

LinkedIn
Share