Blog

  • Covid 19: ভয় ধরাচ্ছে করোনা, দেশে একদিনে আক্রান্ত ১৬,০৪৭ জন, মৃত্যু ৫৪ জনের 

    Covid 19: ভয় ধরাচ্ছে করোনা, দেশে একদিনে আক্রান্ত ১৬,০৪৭ জন, মৃত্যু ৫৪ জনের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ (Covid 19)। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬,০৪৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই নিয়ে এযাবৎ দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৪১,৯০,৬৯৭। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের। এই অবধি এ দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫,২৬,৮২৬ জনের। 

    এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১,২৮,২৬১। এই মুহূর্তে সুস্থতার হার ৯৮.৫%। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৯,৫৩৯ জন। এই অবধি গোটা দেশে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪,৩৫,৩৫,৬১০ জন।

    আরও পড়ুন: কোভিডের এই ১৩টি উপসর্গকে কখনই অবহেলা করবেন না, অবিলম্বে পরীক্ষা করান

    মুম্বইয়ে (Mumbai) বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। একদিনে সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৭৯ শতাংশ। স্বপ্ননগরী মুম্বইয়ে করোনার এই বাড়বাড়ন্ত রীতিমতো উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মুম্বইয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫২ জন। এই সময়ে সেখানে করোনায় মৃত্যু হয়েছে সাত জনের। ১ জুলাইয়ের পর থেকে এটাই মুম্বইয়ে সর্বোচ্চ সংক্রমণ। ১ জুলাই মুম্বইয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭৮ জন এবং সেখানে করোনায় মৃত্যু হয়েছিল দুই জনের। 

    দিল্লিতেও (Delhi) বাড়ছে সংক্রমণ। একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ২,১৪৬ জন। ১৮০ দিনের মধ্যেই এটাই সর্বোচ্চ সংক্রমণ। পজিটিভিটি রেট ১৭.৮৩%। মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। এর আগে ১৩ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: ফের নয়া ভাইরাস-আতঙ্ক চিনে! করোনার থেকেও বেশি প্রাণঘাতী ‘ল্যাংয়া হেনিপাভাইরাস’? 

    পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) করোনা সংক্রমণ সামান্য কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫১৯ জন। মঙ্গলবার এই পরিসংখ্যানটা ছিল ৫২৫। রাজ্য়ে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা প্রাণ কেড়েছে ৫ জনের। বর্তমানে রাজ্যে কোভিড পজিটিভিটির হার ৯৮.৬৬ শতাংশ। করোনা মহামারী শুরুর দিন থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২১ লাখ ৪৭৭। তাঁদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২০ লাখ ৭২ হাজার ৪২১ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ৪১০ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৯ হাজার ২১৪ জনের।

  • Virat – Anushka: বৃষ্টির দিনে মুম্বইয়ের রাস্তায় স্কুটি চালিয়ে ঘুরছেন বিরুষ্কা, কিন্তু চললেন কোথায়?

    Virat – Anushka: বৃষ্টির দিনে মুম্বইয়ের রাস্তায় স্কুটি চালিয়ে ঘুরছেন বিরুষ্কা, কিন্তু চললেন কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বইয়ের রাস্তায় স্কুটি চেপে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারকা দম্পতি। বৃষ্টির দিনে এমনভাবেই উপভোগ করতে দেখা গেল বিরুষ্কা-কে। তবে এভাবে হঠাৎ স্কুটি নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন আর কোথায় যাচ্ছেন সেই নিয়েই তাঁদের অনুরাগীদের মধ্যে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে। স্কুটিতে যাওয়ার সময় দুজনেই পরেছিলেন কালো রংয়ের হেলমেট। তবুও তাদের চিনে নিতে অসুবিধা হয়নি কারোরই। কেউ কেউ আবার তাঁদের চিনতে পেরে ভিডিয়ো তুলে নেন এবং সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতেই মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।

    [insta]https://www.instagram.com/reel/ChezQzZK_cg/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta]

    বিরাট পরেছিলেন সবুজ রংয়ের টি-শার্ট ও কালো প্যান্ড। অন্যদিকে বলি অভিনেত্রী অনুষ্কার পরনে ছিল কালো টি-শার্ট ও কালো প্যান্ড। স্কুটিতে বিরাটকে জড়িয়ে ধরতে দেখা যায় তাঁকে। তাঁরা কোথায় যাচ্ছিলেন পরে সেই ঘটনা জানা যায়। জানা যায়, বিরাট এবং অনুষ্কা একটি বিজ্ঞাপন ফটোশুটের জন্য বেরিয়েছিলেন। সেই সময়ে তাঁরা মুম্বইয়ের বর্ষাকালকে উপভোগ করতে স্কুটিতে করে স্টুডিওতে পৌঁছে গিয়েছিলেন। আবার সঙ্গে নিয়েছিলেন ছাতাও। প্রিয় মানুষের সঙ্গে কেই না ‘কোয়ালিটি টাইম’ স্পেন্ড করতে চায় না, ফলে এভাবেই বিরাট অনুষ্কা একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য মুম্বইয়ের বৃষ্টি উপভোগ করতে স্কুটিতেই বেরিয়ে পড়লেন।

    আরও পড়ুন: ‘দোবারা’ মুক্তির দিনে কালীঘাটে পুজো, ছবির প্রচারে কলকাতায় তাপসী-পাভেল-একতা

    বলিউড ও ক্রিকেট জগতের অন্যতম জনপ্রিয় দম্পতি হল বিরাট অনুষ্কা। প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁরা তাঁদের ছবি শেয়ার করেন। কিছুদিন আগেই একই রকমের জামা পরে ইন্সটাগ্রামে ছবি শেয়ার করেছিলেন তাঁরা। আবার তাঁদের গতকাল এই ভাইরাল ভিডিওতে একসঙ্গে দেখা গেল।

    [insta]https://www.instagram.com/p/Cg1JEDzMsAr/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta]

    প্রসঙ্গত, আগামী ২৭ অগাস্ট থেকে শুরু হতে চলেছে এশিয়া কাপ। আর আগামী ২৮ অগাস্ট পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নিজেদের অভিযান শুরু করতে চলেছেন বিরাটরা। অন্যদিকে অনুষ্কাও তাঁর আসন্ন ছবি ‘চাকদা  এক্সপ্রেস’ (Chakda Xpress) ছবির জন্য ব্যস্ত আছেন। এই ছবি আগামী বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে মুক্তি পেতে চলেছে। 

     

  • Anubrata Mondal: সকালে গ্রেফতার, সন্ধ্যায় হেফাজত,  রাতেই  নিজাম প্যালেস! বৃহস্পতিবার অনুব্রতর সারা দিন

    Anubrata Mondal: সকালে গ্রেফতার, সন্ধ্যায় হেফাজত, রাতেই নিজাম প্যালেস! বৃহস্পতিবার অনুব্রতর সারা দিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  সকালে গ্রেফতার। সন্ধ্যায় সিবিআই হেফাজত। আপাতত দশ দিন সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ অনুব্রত মণ্ডলকে। রাত পৌনে তিনটে নাগাদ অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই নিয়ে এল কলকাতায় নিজাম প্যালেসে। এই নিজাম প্যালেসেই বারবার তলব করা হয়েছিল বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে। কিন্তু ৯ বার এই ডাক এড়িয়ে যান তিনি। তাই বৃহষ্পতিবার সকালেই অনুব্রতর বাড়ি ঘিরে ফেলে সিবিআই। গেট বন্ধ থাকায় প্রায় আধ ঘণ্টার ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে হয় গোয়েন্দাদের। তারপর গেট খুলিয়ে ঢুকতে হয়। গ্রেফতার করা হয় অনুব্রতকে। বিকেল পাঁচটায় হাজির করানো হয় আসানসোলের বিশেষ আদালতে। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ শেষ হয় শুনানি। তারপর বিচারক জানান, ২০ আগস্ট পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে থাকবেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই সঙ্গেই আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, হেফাজতে থাকাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়লে অন্য কোথাও নয়, অনুব্রতকে কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। 

    হাসপাতাল নয়, গেস্ট হাউসেই অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতারের পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সোজা আসানসোলে (Asansol)। আসানসোলের কুলটিতে ECL-এর গেস্ট হাউসে থামে সিবিআইয়ের গাড়ি। সেখানেই তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। শীতলপুর গেস্ট হাউসে অনুব্রতের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করেন স্থানীয় কোলিয়ারির সাঁকতরিয়া হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। তাঁর রক্তচাপ মাপা হয় এবং বিভিন্ন ধরনের ওষুধ দেওয়া হয় বলেও সূত্রের খবর। গেস্ট হাউসের বাইরে অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে থাকে। অক্সিজেন সিলিন্ডারও মোতায়েন রাখা হয়। বীরভূমের এই দাপুটে নেতার (Anubrata Mondal) শারীরিক যে কোনও সমস্যার মোকাবিলা করতে যে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা প্রস্তুত তা এই আগাম প্রস্তুতি থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায়।

    ওই গেস্ট হাউসে অনুব্রতর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর পরই তাঁকে আসানসোল আদালতে তোলা হয়। অনুব্রতর বিরুদ্ধে ৪১ পাতার চার্জশিট তৈরি করা হয়। তবে, হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে ECL-এর গেস্ট হাউসে কেন অনুব্রতর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের সঙ্গে ওই গেস্ট হাউসে মোতায়েন ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। কেন্দ্রীয় জওয়ানরা পুরো গেস্ট হাউস বাইরে থেকে ঘিরে রাখেন। গ্রেফতারি মেমোতে কেষ্টকে সই করিয়ে বৃহস্পতিবারই সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা বীরভূমের তৃণমূল নেতাকে আদালতে তোলেন।

    আরও পড়ুন: গ্রেফতার হতে না হতেই কেষ্টকে ঝেড়ে ফেলল তৃণমূল!

    অনুব্রতকে আটক করা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। তবে অনুব্রতের আইনজীবী সঞ্জীব দাঁ বলেন, ‘‘অনুব্রতবাবুকে ৪১-এ ধারায় নোটিস দেওয়া হয়েছে। এই নোটিসে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়। গ্রেফতার নয়। ওঁকে আটক করা হয়েছে। আমার মক্কেল তদন্তে সহযোগিতা করবেন। তাতে সিবিআই সন্তুষ্ট হবে আশা রাখি।’’

  • Anubrata Mondal: ১০ দিনের সিবিআই হেফাজত অনুব্রতের! জানেন কী বলল আদালত

    Anubrata Mondal: ১০ দিনের সিবিআই হেফাজত অনুব্রতের! জানেন কী বলল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) গ্রেফতার বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালত। বৃহস্পতিবার বিকেলে এই রায় শোনান বিচারক। এদিন আদালতে অনুব্রতর জামিনের আবেদনই করেননি তাঁরা আইনজীবী। সিবিআই তাঁকে ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে চায়। সূত্রের খবর, আজ রাতেই অনুব্রতকে কলকাতায় নিয়ে আসতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকেরা।

    বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতারির পর বীরভূমের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাকে বিকেল ৫টা নাগাদ আসানসোলে সিবিআই-এর বিশেষ আদালতে তোলা হয়। বিচারপতি রাজেশ চক্রবর্তী ধৃত জেলা তৃণমূল সভাপতিকে ২০ অগাস্ট পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে পাঠান। তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন বিচারপতি। আদালতের নির্দেশ, কোনও কারণে স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রয়োজন পড়লে, অনুব্রতকে কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে দেখাতে হবে। ওই সময় তাঁর দু’জন আইনজীবীকে সঙ্গে রাখতে হবে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি ধারা এবং আর্থিক দুর্নীতি দমন আইনের ৭,১০,১১ এবং ১২ নম্বর ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়। 

    আরও পড়ুন: অনুব্রতর মতো দুষ্কৃতীদের পৃষ্ঠপোষকতা করেন মমতা, তোপ অমিত মালব্যর

    অনুব্রতকে আদালতে নিয়ে পৌঁছতেই উত্তেজনা ছড়ায়। আদালত চত্বরে ‘চোর’, ‘গরুচোর’ বলে চিৎকার করে ওঠে উপস্থিত জনতা। অনেকে চটি হাতে তেড়ে যায়। বিক্ষোভ হয় আদালত ভবনের ভিতরেও। এর পর কোনওক্রমে অনুব্রতকে কোর্ট লকআপে ঢোকায় সিবিআই। অনুব্রতর আইনজীবী জানান, অনুব্রত অসুস্থ। তা সত্বেও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তখন অনুব্রতর কাছে তাঁর অসুস্থতার ব্যাপারে জানতে চান বিচারক। বিচারককে অনুব্রত বলেন, তাঁর শ্বাসকষ্ট রয়েছে। বুকে ব্লকেজ, ব্যথা রয়েছে। উচ্চ রক্তচাপ, ফিসচুলা, কিডনিক সমস্যা এবং পা ফুলে যাওয়ার কথাও উল্লেখ করেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি।

    পালটা সওয়ালে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে তাঁদের কাছে একাধিক প্রমাণ রয়েছে। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে জানা গিয়েছে তাতে মোটা টাকার লেনদেন হয়েছে। অনুব্রতকে জেরা করলে অনেক নতুন তথ্য পাওয়া যেতে পারে। তাই তাঁকে ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে চায় সিবিআই। দুপক্ষের বক্তব্য শুনে অনুব্রত মণ্ডলকে ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আগামী ২০ অগাস্ট ফের তাঁকে আদালতে পেশ করতে হবে।

  • Bihar Politics: পাটনায় পালাবদলের পট তৈরি করেন সনিয়া! কবে জানেন

    Bihar Politics: পাটনায় পালাবদলের পট তৈরি করেন সনিয়া! কবে জানেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাটনায় পালাবদলের প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন বহুদিন আগে থেকেই। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী যখন করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তখনই তাঁকে ফোন করেন জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার। সনিয়াকে ফোন করে নীতীশ দাবি করেন, বিজেপি তাঁর দল ভাঙার চেষ্টা করছে। তাঁকে যদি কংগ্রেস সাহায্যের আশ্বাস দেয় তাহলে তিনি বিকল্প ভাবতে পারেন বলে জানিয়েছিলেন নীতীশ। সূত্রের খবর, তখনই তাঁকে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন সনিয়া। সেই মতোই তেজস্বী যাদবের সাহায্য নিয়ে রাহুলের সঙ্গে কথা বলেন নীতীশ। তৈরি হয় পালাবদলের পট।

    বিজেপির সঙ্গে বিরোধ-দূরত্বের মাঝেই কয়েকদিন আগেও কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীকে ফোন করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। জেডিইউ নেতার হঠাৎ এই ফোনেই বিহারে নতুন জোট ও সরকার গঠনের জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরসিপি সিং আনুষ্ঠানিকভাবে জেডিইউ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই বিজেপি-জেডিইউ জোটের অন্দরে বিরোধ আরও বাড়ে। বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন নীতীশ। বুধবার কংগ্রেস, আরজেডির সঙ্গে মিলে নতুন সরকার গঠন করে জেডিইউ।

    আরও পড়ুন: ‘পল্টুরাম’ হলেন ‘কাল্টুরাম’, নীতীশকে বেনজির আক্রমণ গিরিরাজের

    ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের সময় থেকেই নীতীশ কুমার যে বিজেপির উপরে অসন্তুষ্ট ছিলেন, তা ঘনিষ্ট সূত্রেই জানা গিয়েছিল। সম্প্রতি নানা অনুষ্ঠানে তেজস্বী যাদব ও নীতীশ কুমরকে এক মঞ্চে দেখা যাওয়ায় এবং ইফতারের নিমন্ত্রণ রক্ষায় দুই নেতাই একে অপরের বাড়ি যাওয়ায় ফের একবার আরজেডি-জেডিইউয়ের কাছাকাছি আসার জল্পনা শুরু হয়েছিল। এরমধ্যে সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে কথোপকথন অগ্নিতে ঘৃতহুতির কাজ করে। ২০২০ সালের ভোটের ফল অনুযায়ী বিহারের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল লালু প্রসাদ যাদবের আরজেডি। যদি জেডিইউ ফের একবার আরজেডির সঙ্গে হাত মেলায় এবং কংগ্রেসও সেই জোটে যোগ দেয়, তবে এনডিএ সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিহারের মতো বিপুল জনসংখ্যা ও রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে সরকার বদল হলে তা মোদি সরকারের কাছে বড় ধাক্কা হবে।

     

  • Weather Forecast: বন্যা, ভূমিধসে ভয়াবহ পরিস্থিতি! ওড়িশা, হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে তিনদিনে মৃত্যু প্রায় ৫০ জনের

    Weather Forecast: বন্যা, ভূমিধসে ভয়াবহ পরিস্থিতি! ওড়িশা, হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে তিনদিনে মৃত্যু প্রায় ৫০ জনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর এবং পূর্ব ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য প্রবল বৃষ্টিপাত, বন্যা, ভূমিধসে বিপর্যস্ত। গত তিনদিনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাত (heavy rain) আর তার জেরে বন্যা (flood) ও ভূমিধসে বহু মানুষের মৃত্যু (death) হয়েছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত তিন দিনে উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand), হিমাচল প্রদেশ (Himachal pradesh) এবং ওড়িশায় (Odisha) ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও আরও অনেকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    হিমাচল প্রদেশ

    চার রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে হিমাচল প্রদেশ। বন্যার কারণে বেশ কিছু রাস্তা, রেলসেতু ভেঙে পড়েছে। বহু গ্রাম জলমগ্ন। প্রায় ৩৩০ টি রাস্তা বন্ধ হয়ে আছে। মাটির বাড়িগুলি ভেঙে পড়েছে। রাজ্যের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা হল মান্ডি। প্রবল বৃষ্টিতে ইতিমধ্যেই সেখানে ৩৬ জন মারা গিয়েছেন। ১২ জন গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন। বন্যায় ভেসে গিয়ে এখনও পাঁচ জন মানুষ নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে।

    উত্তরাখন্ড

    এই রাজ্যে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে কমপক্ষে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও ১০ জনের বেশি নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে। নদীর দুই কূল ভেসে যাওয়ায় বহু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত। সেতু ভেঙে গিয়েছে। এরই মধ্যে একটি রেসোর্টে আটকে পড়া ২৪ জন পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে। উত্তরাখন্ডের দেরাদুন, তেহরি, পাউরি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

    আরও পড়ুন: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভূমিধস ও বন্যা, দেশজুড়ে মৃত প্রায় ৩৩

    ওড়িশা

    ওড়িশার পরিস্থিতিও খুব খারাপ। মুষলধারায় বৃষ্টিতে কমপক্ষে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। ওড়িশায় বন্যায় প্রভাবিত হয়েছেন প্রায় ৮ লক্ষ মানুষ। বহু মানুষ বন্যার জেরে ঘড় ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। বৃষ্টি ও বন্যার কারণে জল ও বিদ্যুত সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত প্রায় লক্ষাধিক মানুষকে সরানো হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে।

    ঝাড়খন্ড

    এই রাজ্যেও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন বদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ২৫০০ জনকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের রামগড়ে নলকারী নদীর জলে ভেসে গিয়েছেন কমপক্ষে পাঁচ জন। তবে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত চারজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

    মধ্যপ্রদেশ

    মধ্যপ্রদেশের ভোপাল, জব্বলপুর, উজ্জয়িনী, মান্ডসুর সহ ৩৯ টি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে জবলপুরের হনুমান তাল মন্দিরের অনেকাংশ জলের তলায়। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা জলমগ্ন হয়ে রয়েছে ও নদীর জলস্তরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

  • Anubrata Mandal: বোলপুরে ফের সিবিআই হানা, এবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ পুরকর্মীর বাড়িতে তদন্তকারীরা

    Anubrata Mandal: বোলপুরে ফের সিবিআই হানা, এবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ পুরকর্মীর বাড়িতে তদন্তকারীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোলপুরে (Bolpur) ফের সিবিআই (CBI) হানা। এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দুই আধিকারিক হানা দিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) ঘনিষ্ঠ জনৈক বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়িতে। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে তল্লাশি। তার পরেই বোলপুর পুরসভার এই সাফাই কর্মীর বাড়ি থেকে চলে যান সিবিআই আধিকারিকরা।

    গরু পাচার মামলায় তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তার পরেই পর্দা ফাঁস হচ্ছে একের পর এক রহস্যের। অনুব্রতর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির নাগাল পাওয়ার পর এবার তাঁর ছায়াসঙ্গী হিসেবে পরিচিত বিদ্যুৎবরণের বাড়িতে হানা দেন সিবিআইয়ের দুই আধিকারিক। রবিবার ভরদুপুরে বিদ্যুৎবরণের কালিকাপুরের দোতলা বাড়িতে তল্লাশি চালান তাঁরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জেনেছেন, একাধিক কোম্পানিতে লগ্নি রয়েছে অনুব্রতর। সেই কোম্পানিগুলিতে অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের সঙ্গে যুগ্ম ডিরেক্টর রয়েছেন এই বিদ্যুৎবরণ। স্থানীয়দের অভিযোগ, অনুব্রতর ছায়াসঙ্গী হওয়ার পর থেকেই ডালপালা মেলে বিদ্যুৎবরণের সম্পত্তি। পুরসভার এক সাফাইকর্মীর এত সম্পত্তির উৎস কী, মূলত তা জানতেই এদিন বিদ্যুৎবরণের বাড়িতে সিবিআই হানা দেয় বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। যদিও সিবিআই হানা দেওয়ার সময় বাড়িতে ছিলেন না বোলপুর পুরসভার ওই সাফাই কর্মী।

    আরও পড়ুন : ‘‘অনুব্রত ওয়েব সিরিজের সবে প্রথম ও দ্বিতীয় এপিসোড বেরিয়েছে…’’, খোঁচা সুকান্তর

    দিন কয়েক আগে বোলপুরেরই বোম ভোলে চালকলে হানা দেয় সিবিআই। সেই চালকলের ভিতরে থাকা গ্যারেজগুলিতে হদিশ মেলে পাঁচটি দামি গাড়ির। সেই গাড়িগুলিতে সাঁটানো ছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার লেখা স্টিকার। উদ্ধার হয় একটি পাইলট কারও। গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর গ্রেফতারির আগে থেকেই নানা সময়ে তাঁর ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে হানা দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। নানুরের বাসাপাড়ার তৃণমূল নেতা করিম খানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। তল্লাশি চালানো হয়েছে সিউড়ির পাথর ব্যবসায়ী জনৈক টুলু মণ্ডলের বাড়িতেও। পরে তল্লাশি চালানো হয় খোদ অনুব্রতর বাড়িতে। রবিবার হল অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণের বাড়িতে। এর পর কার পালা, আপাতত সেই প্রশ্নেই বুঁদ বীরভূম।

    এদিকে, অনুব্রতর শারীরিক অসুস্থতার যুক্তি খারিজ করে দিয়েছে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত ফের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তার পরেই আসানসোল থেকে তাঁকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন : অনুব্রত একজন মাফিয়া, মমতার প্রশ্রয়ে ওর বাড়বাড়ন্ত, বললেন শুভেন্দু

  • Manish Sisodia: সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি, সিবিআইয়ের জেরা ৩ অভিযুক্তকে

    Manish Sisodia: সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি, সিবিআইয়ের জেরা ৩ অভিযুক্তকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  আবগারি নীতি মামলায় আরও বিপাকে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)। শুক্রবার তাঁর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই (CBI)। তার পর রবিবার জারি করা হল লুকআউট নোটিশ (Look Out Notice)। তদন্ত চলাকালীন সিসোদিয়া যাতে বিদেশে যেতে না পারেন, সেই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। কেন্দ্রকে নিশানা করে দিল্লির (Delhi) উপমুখ্যমন্ত্রীর তোপ, সিবিআইয়ের রাজনীতিকরণ হয়েছে। লুকআউট নোটিশ জারির ঘটনাটিকে তিনি নাটক বলেও অভিহিত করেন।

    সিবিআইয়ের তরফে যে এফআইআর দায়ের হয়েছে, তাতে সবার ওপরের নামটি সিসোদিয়ার। তিনি ছাড়াও ওই তালিকায় নাম রয়েছে আরও ১৪ জনের। অভিযোগ, বেশ কিছু ব্যবসায়ীকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্যই নয়া আবগারি নীতি আনা হয়েছিল। এই নীতি তৈরিতে সরকারের অংশ নন, এমন ব্যক্তিদেরও মতামত ও পরামর্শ নেওয়া হয়েছিল। বেআইনিভাবে অনেককে টাকার বিনিময়ে লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। এফআইআর অনুযায়ী, সিসোদিয়া কমপক্ষে দু বার কোটি টাকারও বেশি অর্থ পেয়েছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সঙ্গীদের হাত থেকে। বেআইনিভাবে লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার জন্যই দেওয়া হয়েছিল ওই টাকা।

    আরও পড়ুন : দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই হানা! স্বাগত ট্যুইট মণীশ, কেজরির

    ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি শাসিত সরকারের অঙ্গুলি হেলনেই চলছে সিবিআই। তিনি বলেন, গেরুয়া পার্টি আবগারি কেলেঙ্কারি নিয়ে চিন্তিত নয়, তারা শঙ্কিত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে নিয়ে। কারণ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিনিই চ্যালেঞ্জ জানাবেন প্রধানমন্ত্রীকে। সরকারকে আক্রমণ করে সিসোদিয়ার ট্যুইট বার্তা, মোদিজি এটা কি গিমিক। আমি দিল্লিতে মুক্তভাবে ঘোরাফেরা করছি। বলুন, আমার কোথায় আসা উচিত। এদিন অন্য একটি ট্যুইট বার্তায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানান, সোমবার থেকেই সিসোদিয়াকে নিয়ে গুজরাটে নির্বাচনী প্রচারে যাবেন তিনি। 

    এদিকে, ওই মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেছে সিবিআই। রেকর্ড করা হচ্ছে তাঁদের বয়ানও। তল্লাশিতে উদ্ধার হওয়া নথিপত্র এবং বৈদ্যুতিন পণ্যগুলিও পরীক্ষা করছেন তদন্তকারীরা। এই পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষ হলেই বাকি অভিযুক্তদেরও তলব করা হবে বলেও সিবিআই সূত্রে খবর। এদিকে, শনিবার একটি মানহানি মামলায় মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উপমুখ্যমন্ত্রী সিসোদিয়া এবং পূর্বতন আপ প্রধান যোগেন্দ্র যাদবকে রেহাই দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। মামলাটি করেছিলেন সুরেন্দর শর্মা নামে এক আইনজীবী।

     

  • Shehbaz Sharif: বিলম্বিত বোধোদয় পাকিস্তানের! কাশ্মীর নিয়ে কী বললেন শাহবাজ শরিফ জানেন?  

    Shehbaz Sharif: বিলম্বিত বোধোদয় পাকিস্তানের! কাশ্মীর নিয়ে কী বললেন শাহবাজ শরিফ জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিলম্বিত বোধোদয় পাকিস্তানের (Pakistan)! একমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই হতে পারে কাশ্মীর (Kashmir) সমস্যার সমাধান, যুদ্ধের মাধ্যমে নয়। ভারতের (India) সঙ্গে স্থায়ী শান্তির সম্পর্ক চায় ইসলামাবাদ (Islamabad)। একটি সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, অন্তত এমনটাই জানিয়েছেন পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কথা বলার সময় শাহবাজ ওই মন্তব্য করেন।  

    কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাক লড়াই সর্বজনবিদিত। ভারতকে অপদস্থ করতে নানা সময়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাশ্মীরকে ইস্যু করতে পিছপা হয়নি পাকিস্তান। তবে প্রতিবারই মুখ পুড়েছে চিন-ঘনিষ্ঠ এই দেশের। জম্মু-কাশ্মীর যে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, তা বারংবার জানিয়ে দিয়েছে ভারত। ভূস্বর্গ নিয়ে ভারত-পাক বিবাদ দীর্ঘদিনের পুরনো হলেও, নতুন করে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে ২০১৯ সালে। ওই বছর ৫ অগাস্ট উপত্যকা থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় ৩৭০ ধারা। নয়াদিল্লির এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সমস্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় তৎকালীন ইমরান খানের সরকার। পাল্টা জবাব দেয় ভারতও। ইমরান খান সরকারের পতনের পর ক্ষমতায় আসেন শেহবাজ। আর তারপরই তিনি জোর দেন ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিতে। পাক অর্থনীতি সংকটের মধ্যে থাকায় জোর দিতে চান দু দেশের বাণিজ্যে, অর্থনীতির উন্নয়নে।

    আরও পড়ুন : পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই! জানুন কী বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

    কূটনৈতিক মহলের মতে, চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে ঘোর আর্থিক সংকটে শাহবাজের দেশ। মুদ্রাস্ফীতির জেরে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম লাগাম ছাড়া। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো দেশজুড়ে তৈরি হয়েছে তীব্র জ্বালানি সংকট। পরিস্থিতি এতটাই করুণ, যে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারও ঋণ দিতে অস্বীকার করেছে পাকিস্তানকে। এমতাবস্থায় ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক  গড়ে তুলতে না পারলে, ঘোর বিপদ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই একশো আশি ডিগ্রি ভোলবদল ইসলামাবাদের!

    আরও পড়ুন : একদা কাশ্মীর ছিল শারদা দেশ! জানেন কি এই শক্তি পীঠের মাহাত্ম্য?

  • Lok Sabha Polls: লোকসভায় ৩৫টি আসন! জানুন কী ঠিক হল বিহার বিজেপির কোর কমিটির বৈঠকে

    Lok Sabha Polls: লোকসভায় ৩৫টি আসন! জানুন কী ঠিক হল বিহার বিজেপির কোর কমিটির বৈঠকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেডিইউ-এর (JDU) সঙ্গে জোট ভেঙেছে। পতন হয়েছে সরকারের। যদিও তা নিয়ে খুব একটা বিচলিত নয় বিহার বিজেপি (Bihar BJP)। পাখির চোখ ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন (2024 Lok Sabha Polls)। গতবার জে ডি ইউর সঙ্গে জোট বেঁধে ৩৩টি সিট জিতেছিল এন ডি এ। এবার একক ভাবে লড়াই করে ৩৫টি লোকসভা সিট জেতার টার্গেট ঠিক করলেন বিহার বিজেপির নেতারা।

    মঙ্গলবার রাজধানীতে বিজেপির সদর দফতরে বিহার বিজেপির কোর কমিটির বৈঠক হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। ছিলেন, বিহার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সঞ্জয় জয়সওয়াল, বি এল সন্তোষ, রবিশঙ্কর প্রসাদ, শাহনাওয়াজ হোসেন, মঙ্গল পান্ডে, জনক রাম, নন্দ কিশোর যাদব ও অনেকে। বৈঠক শেষে জয়সওয়াল বলেন, “জনমতের বিপক্ষে গিয়ে বিহারে মহা গঠবন্ধন হয়েছে। আমরা বিধানসভার পাশাপাশি রাস্তায় নেমে এই অসাধু জোটের বিরুদ্ধে লড়াই করবো। একই সঙ্গে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি চলবে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ৩৫টি আসন জেতার টার্গেট দিয়েছে। আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লক্ষ্য পূরণের জন্য ঝাঁপাবো।”

    আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ! সেনার উপর গ্রেনেড হামলা

    বৈঠকে বিহারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বিহার বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “আমরা জোট করে বিধানসভায় লড়াই করেছিলাম। বেশি সিট জেতার পরেও মুখ্যমন্ত্রী পদে নীতিশ কুমারকে সমর্থন করেছিলাম। কিন্তু জেডিইউ গাদ্দারি করলো। এর জবাব বিহারের মানুষ দেবে। কারণ কেউ চায় না রাজ্যে ফের লালু রাজ ফিরে আসুক।” বিহারের ৪০টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে বিজেপির দখলে ১৭, জেডিইউ পেয়েছে ১৬, লোক জনশক্তি পার্টি ৬টি ও কংগ্রেস জিতেছিল একটি আসনে। তবে আরজেডি এবং জেডিইউ যদি একসঙ্গে লোকসভায় লড়ে, তাহলে চিত্রটা অন্য রকম হতে পারে। তাই আগে থেকেই কোমর বেঁধে ভোট ময়দানে নেমে পড়লেন বিহার বিজেপির কর্তারা।

LinkedIn
Share