Blog

  • Heart Attack: অতিরিক্ত ওয়ার্ক আউট কী হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বাড়াচ্ছে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Heart Attack: অতিরিক্ত ওয়ার্ক আউট কী হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বাড়াচ্ছে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ১০ অগাস্ট জিমে ওয়ার্ক আউট করার সময় হৃদরোগে (Heart Attack) আক্রান্ত হন কমেডিয়ান রাজু শ্রীবাস্তব (Raju Srivastava)। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর তিনি ট্রেডমিলে দৌড়নোর সময় অসহ্য ব্যথা অনুভব করেন। তারপরেই পড়ে যান। এরপরেই তাঁকে এইমস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে ৫৮ বছর বয়সী কমেডিয়ানের অবস্থা এখন খানিকটা স্থিতিশীল।  

    শুধু এটাই নয়। কলকাতার ১৯ বছর বয়সী এক তরুণীও ওয়ার্ক আউট (Workout)করার সময় হঠাতই পড়ে যান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর হৃদরোগ সংক্রান্ত কোনও সমস্যার ইতিহাস ছিল না।

    আরও পড়ুন: ভাইরাল হেপাটাইটিস থেকে দূরে থাকতে চান? বদল আনুন জীবনশৈলীতে

    একের পর এক এইরকম অনভিপ্রেত ঘটনায় বেশ চিন্তিত স্বাস্থ্য মহল। তাহলে কী গোড়াতেই গলদ? আমরা বুঝতেই পারছি না আমাদের শরীরের চাহিদা কী?

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, টেকনোলজির অত্যাধিক ব্যবহারে দৈনন্দিন জীবন ভয়ঙ্করভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। সবার শরীর ভিন্ন। এক একজনের শরীরের এক একরকমের ব্যায়ামের প্রয়োজন। 

    আজকাল আমরা ফিট থাকার জন্যে স্মার্ট ওয়াচ এবং স্মার্ট ফোনের ওপর খুব নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। আমরা যদি আগে থেকে ঠিক করে দেওয়া মাপ ১০ কিলোমিটার হাঁটতে না পারি, তাহলে শরীরের ওপর চাপ দিতে শুরু করি। এমনকি সেটা আমাদের শরীর না চাইলেও। আমাদের সবার শরীরের গঠন আলাদা। তাই আমাদের ক্ষেত্রে ব্যায়ামও আলাদাই হবে। 

    আরও পড়ুন: ফের মাথা চাড়া দিচ্ছে এইচআইভি, কী করে এই রোগ থেকে দূরে থাকবেন?

    চিকিৎসকদের মতে, এখন ১৮-২০ বছর বয়সীরাও হৃদরোগের শিকার হচ্ছেন। কার্ডিওলজি সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এদেশে ৩৫-৫০ বয়সীদের মধ্যে প্রতি মিনিটে ৪ জনের মৃত্যু হয়। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে যাদের মৃত্যু হচ্ছে তাঁদের মধ্যে ২৫% – এর বয়সই ৩৫ বছরের নীচে। 

    আগে মনে করা হত এই রোগ শুধু বয়স্কদেরই হয়। যারা একদমই ওয়ার্ক আউট করেন না, তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে। কিন্তু যারা অতিরিক্ত ওয়ার্ক আউট করেন, তাঁদেরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা প্রবল। স্টেরয়েডের ব্যবহারও অত্যন্ত ক্ষতিকারক। অ্যাসোসিয়েটেড এশিয়া রিসার্চ ফাউন্ডেশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতে যারা জিমে যান, তাঁদের মধ্যে ৩০ লক্ষ মানুষই স্টেরয়েড নেন। এদের মধ্যে ৭৩% – এর বয়স ১৬-৩৫ – এর মধ্যে। এরা পরিশ্রম করে নয়, কম সময়ে ইনজেকশন নিয়ে সুঠাম শরীর তৈরি করতে চান। 

     

     

     

  • Monkey Pox: নাম পরিবর্তন করা হবে মাঙ্কি পক্স-এর! কী বলছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা

    Monkey Pox: নাম পরিবর্তন করা হবে মাঙ্কি পক্স-এর! কী বলছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিড (Covid-19) মহামারি এখনও শেষ হয়নি। পাশাপাশি বিশ্বে নতুন করে থাবা বসাচ্ছে মাঙ্কি পক্স। মাঙ্কি পক্সে (Monkey Pox) আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে মাঙ্কি পক্সের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। শুধু তাই নয়, এই ভাইরাাসের নাম পরিবর্তন করে কী রাখা যেতে পারে তার জন্য বিশ্বের নাগরিকদের আহ্বান জানিয়েছে হু। ভাইরাসজনিত কারণেই যে এটি রোগ সৃষ্টি করে, তা বোঝাতেই নতুন নামকরণ করতে চান বিজ্ঞানীরা। কিছুদিন আগেই ৩০ জন বিজ্ঞানী লিখিত আবেদন জানান। এরপরই নাম পরিবর্তনের এই উদ্যোগ নেয় হু (WHO)।

    আরও পড়ুন: আতঙ্ক বাড়াচ্ছে মাঙ্কি পক্স, বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫০০০-এর বেশি, মৃত্যু ১২ জনের

    একটি বানরের শরীরে প্রথম এই ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যায় বলেই এর ভাইরাসটির নাম মাঙ্কি পক্স হয়ে যায়। এছাড়াও এই মাঙ্কি পক্স ভাইরাসের সঙ্গে মহাদেশের নামও উল্লেখ করা হয়। ভাইরাসটিকে আফ্রিকান বলে উল্লেখ করা হয়, যা একদমই ঠিক নয়। ফলে হু-এর মুখপাত্র ফাডেলা চাইব (Fadela Chaib) সংবাদমাধ্যমে জানান, ‘মাঙ্কিপক্সের জন্য একটি নতুন নাম খুঁজে পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি একটি গোষ্ঠী, একটি অঞ্চল, একটি দেশ, একটি প্রাণী ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে রাখা উচিৎ নয়।’

    এক সময়ে এই ভাইরাস শুধু আফ্রিকাতেই ছড়াত। ফলে অকারণ শুধু আফ্রিকাকে এর জন্য দোষী মনে করে অনেকে। কিন্তু বর্তমানে অন্য দেশেও মাঙ্কি পক্সের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। আবার এই ভাইরাস প্রথমে বানরের শরীরে দেখা গিয়েছিল, কিন্তু পরবর্তীতে অন্যান্য পশুদের মধ্যেও এই ভাইরাস দেখা গিয়েছে। সুতরাং এর জন্যই মাঙ্কি পক্সের নাম পরিবর্তেনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে হু। আর এর জন্য নাগরিকদেরই সাহায্য করতে বলা হয়েছে হু-এর তরফে।

    আরও পড়ুন: ফের নয়া ভাইরাস-আতঙ্ক চিনে! করোনার থেকেও বেশি প্রাণঘাতী ‘ল্যাংয়া হেনিপাভাইরাস’?

    প্রসঙ্গত, ৯২টি দেশে মাঙ্কি পক্স ছড়িয়ে পড়েছে। সারা বিশ্বে ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত মাঙ্কি পক্সে ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মাঙ্কি পক্সকে ইতিমধ্যেই অতিমারী ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মাঙ্কিপক্সকে ‘গ্লোবাল হেলথ এমার্জেন্সি’ (Global Health Emergency) বলেও ঘোষণা করেছে।

     

  • Wargames: ভারত, চিন, রাশিয়া সামরিক মহড়া! কী ভাবছে আন্তর্জাতিক মহল

    Wargames: ভারত, চিন, রাশিয়া সামরিক মহড়া! কী ভাবছে আন্তর্জাতিক মহল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-চিন (China) সীমান্তে সংঘাত লেগেই রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে  চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে একসঙ্গে যৌথ মহড়ায় (Military Exercise) অংশ নিতে চলেছে ভারত (India) এবং চিনের সেনাবাহিনী। রাশিয়ার মাটিতে আরও তিনটি দেশের সঙ্গে এই মহড়া চালানো হবে বলে জানিয়েছে চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে রাশিয়ায় এই সামরিক মহড়ার আয়োজনও আন্তর্জাতিক মহলে গুরুত্ব বাড়িয়েছে।

    চিনা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই মহড়ার সঙ্গে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কোনও সম্পর্ক নেই। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি করতেই এহেন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভারত এবং চিন ছাড়াও রাশিয়া (Russia), বেলারুশ এবং তাজিকিস্তান এই মহড়ায় অংশ নেবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “অংশগ্রহণকারী দেশগুলির সেনাবাহিনীর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই এই মহড়ার আয়োজন করা হচ্ছে। কৌশলগত ক্ষেত্রেও অংশগ্রহণকারী দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে সাহায্য করবে এই মহড়া। তাছাড়াও জাতীয় নিরাপত্তাজনিত সমস্যা সমাধানে দক্ষতা বাড়াবে এই মহড়া।” 

    আরও পড়ুন: শীঘ্রই আসছে রাশিয়ার প্রতিনিধি দল! সুখোই নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় জোড়

    রাশিয়ার তরফে জুলাই মাসে একটি বিবৃতিতে সামরিক মহড়ার কথা ঘোষণা করেছিল। সেখানে ১৩টি দেশ অংশ নেবে বলে জানানো হয়েছিল। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তবে জানা গিয়েছে, পূর্ব রাশিয়ার সাইবেরিয়ার বেশ কিছু অঞ্চলকে এই সামরিক মহড়ার জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই অঞ্চলটি চিনের সীমান্ত থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। জানা গিয়েছে, এই ড্রিলে বায়ু সেনা, দূরপাল্লার সামরিক যুদ্ধ সামগ্রীর অনুশীলন হবে। এর সঙ্গে সাম্প্রতিক পরুস্থিতির কোনও সম্পর্ক নেই।

    ভারত এই সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু ঘোষণা করেনি। তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আগেও চিন ও ভারত নিজেদের দেশের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে একাধিক সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণ করেছে। ২০২০ সালের মে মাসে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পরেই ভারত-চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তারপর থেকেই দুই দেশের যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধ রাখা হয়েছে। 

  • WhatsApp Tricks: লুকিয়ে অন্যের হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাস দেখতে চান? এর পদ্ধতি জেনে নিন

    WhatsApp Tricks: লুকিয়ে অন্যের হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাস দেখতে চান? এর পদ্ধতি জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলির মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় হল হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি আজকাল অনেক অফিসিয়াল কাজও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেই হয়ে থাকে। এছাড়াও মেটা মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ প্রতিনিয়তই ইউজারদের জন্য নতুন নতুন মজাদার ফিচার নিয়ে আসে। হোয়াটসঅ্যাপের ফিচারের মধ্যে একটি অন্যতম জনপ্রিয় ফিচার হল ‘স্টেটাস’। ছবি এবং ভিডিও অনেকেই দেয় স্টেটাসে। তবে ২৪ ঘণ্টা পর তা অদৃশ্যও হয়ে যায়।

    কিন্তু অনেকেই আছেন যে যারা হোয়াটসঅ্যাপে লুকিয়ে কারও স্টেটাস দেখতে চান, অর্থাৎ আপনি তার স্টেটাস দেখলেও সেই ব্যক্তি জানতে পারবে না। এবার থেকে বন্ধুদের না জানিয়ে গোপনে তাঁদের স্টোটাসও দেখতে পারবেন। কিন্তু কীভাবে, আসুন জেনে নেওয়া যাক-

    আরও পড়ুন: টেলিগ্রামেও রয়েছে ‘সিডিউল মেসেজ’ ফিচার! জানুন কীভাবে মেসেজ সিডিউল করবেন …

    গোপনে কীভাবে অন্যের স্টেটাস দেখবেন?

    অ্যাপে রিড রিসিপ্ট (Read Recipet) অপশনটি বন্ধ করলেই লুকিয়ে দেখতে পারবেন স্টেটাস। এছাড়াও অফলাইন হয়ে বা Incognito Mode-এও হোয়াটসঅ্যাপের স্টেটাস দেখতে পারেন। আবার স্টেটাস হোয়াটসঅ্যাপ থেকে ডিরেক্টলি না দেখে hidden WhatsApp Status folder থেকেও দেখতে পারেন। সুতরাং অনেক পদ্ধতিই আছে, যার ফলে আপনি স্টেটাস দেখলেও অন্য কেউ জানতে পারবে না।

    হোয়াটসঅ্যাপে রিড রিসিপ্ট কীভাবে বন্ধ করবেন?

    এর মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা অনেকেই ডাবল ব্লু টিকও বন্ধ করে রাখেন।

    • প্রথমে Android বা iOS ডিভাইসে WhatsApp খুলুন।
    • উপরের ডানদিকে কোণায় ডট-এ ট্যাপ করে সেটিংসে ক্লিক করুন এবং অ্যাকাউন্টে ক্লিক করুন।
    • এরপর প্রাইভেসি অপশনটি ক্লিক করুন এবং রিড রিসিপ্ট ডিসএবল করুন।
    •  

    কীভাবে অফলাইন হবেন বা Incognito Mode চালু করবেন?

    ইউজাররা স্টেটাস দেখার আগে ডেটা বন্ধ করতে পারেন বা ব্রাউজারের মাধ্যমে মোবাইলে Incognito Mode-এ WhatsApp ব্যবহার করতে পারেন। এইভাবে ব্যবহারকারীরা অফলাইনে থাকবেন এবং অন্য ব্যক্তিকে না জানিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাস দেখতে পাবেন। উল্লেখ্য, তবে ইউজাররা অনলাইনে ফিরে এলে অপর ব্যক্তি ওই ভিউটি দেখতে পাবেন। সুতরাং, এটি এড়াতে স্টেটাসের সময় শেষ হওয়ার ঠিক আগে এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করুন।

    ফোনের ফাইল ম্যানেজার থেকে কীভাবে হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাস দেখবেন?

    Android ইউজাররা ফোনের ফাইল ম্যানেজারের (File Manager) হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাস ফোল্ডার (WhatsApp Status folder) থেকে দেখতে পারেন স্টেটাস। কারণ যখন আপনারা হোয়াটসঅ্যাপের স্টেটাস ট্যাবটি ওপেন করেন তখন অ্যাপটি সমস্ত স্টেটাস ডাউনলোড করে নেয়। এরফলে ডাউনলোড করা স্টেটাসগুলো আপনি দেখতে পারবেন এবং অন্যদিকে আপনার বন্ধুবান্ধব জানতেও পারবে না।

  • Bratya on Sukanya Job: বিনা টেটে সুকন্যার মাস্টারি কাঠগড়ায় তুলল ব্রাত্যকে!

    Bratya on Sukanya Job: বিনা টেটে সুকন্যার মাস্টারি কাঠগড়ায় তুলল ব্রাত্যকে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেট (Primary TET) পাশ না করেই অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) কন্যা সুকন্যা (Sukanya Mondal) যে প্রাথমিক শিক্ষিকার চাকরি (Primary Teachers Job) পেয়েছিলেন, এমন অভিযোগ কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta Highcourt) তোলা হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে বিচারপতির নির্দেশে আজ, বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে টেট শংসাপত্র সহ সশরীরে হাজির হতে হবে কেষ্ট-কন্যাকে। আদালতে দায়ের হওয়া অভিযোগ অনুযায়ী, অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরেই কালিকাপুর প্রাইমারি বিদ্যালয়। সেখানেই শিক্ষকতার চাকরি করতেন অনুব্রত কন্যা। যদিও যোগদানের পর থেকে আর বিদ্যালয়ে যাননি তিনি। বাড়িতেই পাঠিয়ে দেওয়া হত রেজিস্টার। তার প্রেক্ষিতেই অনুব্রত-কন্যাকে হাইকোর্টে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    তবে, চমকের এটাই শেষ নয়। জানা গিয়েছে যে, ২০১২ সালে টেটের ভিত্তিতেই চাকরিতে যোগদান করেছিলেন সুকন্যা। অর্থাৎ, ২০১২ সালের টেট পরীক্ষা হয়। সুকন্যার নিয়োগ হয় ২০১৩ সালে। সময়টা গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে যে, সেই সময় শিক্ষামন্ত্রীর গদিতে ছিলেন ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। রাজ্যে পালাবদলের পর, ২০১১ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সময় মমতা মন্ত্রিসভার প্রথম শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন ব্রাত্য। ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত। অর্থাৎ কিনা, সুকন্যার নিয়োগ প্রক্রিয়া যে সময় ঘটেছে, তখন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য তাঁর মধ্যগগনে। 

    আরও পড়ুন: টেট পাশ না করেই স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি? এবার কাঠগড়ায় কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা

    এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে যখন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়িয়ে গেল, তখন নিয়োগের দায় অস্বীকার করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সাফাই দিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ওটা যাদের সময়ে হয়েছে, তাদেরকেই দায় নিতে হবে। তারাই উত্তর দিতে পারবে। কিন্তু, সুকন্যার নিয়োগের বিষয়ে কী বলবেন ব্রাত্য? তথ্য তো বলছে, কেষ্ট-কন্যার নিয়োগ প্রক্রিয়া তাঁর আমলে হয়েছে। যদিও, এখন সুকন্যার মাস্টারি নিয়ে প্রশ্ন শুনে আকাশ থেকে পড়ছেন ব্রাত্য। বুধবার তাঁকে এই মর্মে প্রশ্ন করা হলে ব্রাত্য জানান, তিনি নাকি জানেনই না, কেষ্ট-কন্যা রাজ্য সরকারি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেন! বলেন, ‘‘উনি কবে চাকরি পেয়েছেন? উনি যে স্কুলে পড়ান তাই জানতাম না। আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।’’ 

    এখানে বলে রাখা দরকার যে, কয়েকদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও ঘিরে ব্রাত্যর দিকেও শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ওই ভিডিওতে বলতে শোনা গিয়েছিল ব্রাত্য বসু ঘনিষ্ঠ দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজু সেন শর্মাকে। ভিডিওতে রাজুকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘দাদা প্রাইমারিতে আমাদের ছেলেদের চাকরি দিয়েছে এবং আমরা যা বলেছিলাম তার কয়েক গুণ বেশি দিয়েছে।’’ আবার অন্য একটি ভিডিয়োতে ব্রাত্য বসুর গলায় শোনা যাচ্ছে, ‘‘চাকরি তো তৃণমূলের ছেলেরাই পাবে, কখন পাবে কীভাবে সেটা বলব না।’’ যদিও ওই ভিডিওগুলোর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    আরও পড়ুন: স্কুলে চাকরি করেই কয়েক’শ কোটির সম্পত্তি সুকন্যার! কী করে? উত্তরের খোঁজে সিবিআই

    পার্থর ঘটনার প্রেক্ষিতে ঘটা করে সাংবাদিক সম্মেলন করে পার্থ-ববিরা বলেছিলেন, ‘‘পার্থ যা করেছেন, তাতে আমরা লজ্জিত। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে, তৃণমূলের সবাই চোর।’’ এখন সুকন্যা-ইস্যুতে কি বলবেন ব্রাত্য? তাঁর কি লজ্জা হচ্ছে? সময়ই দেবে এর উত্তর।

  • MHA on Rohingya Issue: রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন দিতে কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি, সাফ জানাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

    MHA on Rohingya Issue: রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন দিতে কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি, সাফ জানাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির (Delhi) উপকণ্ঠে রোহিঙ্গা (Rohingya) শরণার্থীদের ফ্ল্যাট দেওয়া হবে বলে সম্প্রতি জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় হাউজিং অ্যান্ড আরবান অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)। তবে বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের (MHA) তরফে সাফ জানানো হয়েছে, দিল্লিতে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন দিতে ফ্ল্যাট দেওয়ার কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি। শুধু তাই নয়, মন্ত্রকের তরফে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও (Arvind Kejriwal) বলা হয়েছে রোহিঙ্গারা যেখানে ছিলেন, সেখানেই থাকুন। মন্ত্রকের জারি করা ওই নির্দেশিকায় এও বলা হয়েছে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের শরণার্থী শিবিরেই আপাতত থাকতে হবে যতদিন না পর্যন্ত তাঁদের আইন মেনে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে।

    ট্যুইটবার্তায় পুরী লিখেছিলেন, ভারত বরাবরই এ দেশে আশ্রয়প্রার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে। একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দিল্লির বক্করওয়ালা এলাকার অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য তৈরি করা ফ্ল্যাটে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তাদের সাধারণ সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে এবং দিল্লি পুলিশ ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তার জন্য থাকবে। বিরোধীদের কটাক্ষ করে তিনি লিখেছিলেন, যাঁরা ভারতের শরণার্থী নীতিকে সিএএ-র সঙ্গে জুড়ে বিরোধিতা করে নিজেদের কেরিয়ার তৈরি করতে অভ্যস্ত, তাঁদের জন্য দুঃসংবাদ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এহেন ঘোষণায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে সরকারকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়। বুধবার মন্ত্রকের এক মুখপাত্র জানান, মিডিয়ার একাংশ যেভাবে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের কেন্দ্রের তরফে সুবিধা দেওয়ার কথা প্রচার করছে, তা ঠিক নয়। মন্ত্রকের তরফে এমন কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। স্বরাষ্ট্র দফতরের হিসেব বলছে, দিল্লি সহ গোটা দেশে হাজার চল্লিশেক রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছেন।

    আরও পড়ুন : রোহিঙ্গাদের ভারত থেকে বের করে দেওয়া উচিত, মত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, স্বরাষ্ট্র দফতর দিল্লি সরকারকে জানিয়ে দিয়েছে, রোহিঙ্গারা যেসব শরণার্থী শিবিরে ছিলেন, সেসব শিবিরেই থাকবেন। আইন মেনে তাদের দেশ থেকে বের করে না দেওয়া পর্যন্ত তাঁরা ওখানেই থাকবেন। মন্ত্রকের ওই মুখপাত্র বলেন, এখন রোহিঙ্গারা যেখানে আশ্রয় নিয়েছেন দিল্লি সরকার তাকে এখনও শরণার্থী শিবির ঘোষণা করেনি। তাদের এখনই তা ঘোষণা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

     

  • Monkey Pox: আতঙ্ক বাড়াচ্ছে মাঙ্কি পক্স, বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫০০০-এর বেশি, মৃত্যু ১২ জনের

    Monkey Pox: আতঙ্ক বাড়াচ্ছে মাঙ্কি পক্স, বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫০০০-এর বেশি, মৃত্যু ১২ জনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার মাঙ্কি পক্স (Monkey Pox) নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। করোনা (Covid-19) থেকে এখনও সেরে ওঠেনি বিশ্ব। অনেক রাজ্যেই করোনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এরই মধ্যে মাঙ্কি পক্সে আক্রান্তের সংখ্যাও বিশ্বজুড়ে বেড়েই চলছে। করোনার মতো মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণের গ্রাফও ঊর্ধ্বমুখী। নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে এই ভাইরাস।

    ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (World Health Organisation) তরফে গত বুধবার জানানো হয়েছে যে, পুরো বিশ্বের ৯২ টি দেশ থেকে ৩৫০০০ আক্রান্তের সংখ্যা রিপোর্ট করা হয়েছে। আর মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। হু-এর ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস রিসোর্সেস গেব্রেইসাস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) জানিয়েছেন, গত সপ্তাহের থেকে এই সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। কারণ আগের সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭৫০০, আর এই সপ্তাহে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫০০০-এর বেশি।

    তিনি আরও জানিয়েছেন, মাঙ্কি পক্সের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে এবং এর জন্য অনেক দেশেই মাঙ্কি পক্সের জন্য টিকার উচ্চ চাহিদা রয়েছে। সূত্রে খবর অনুযায়ী, কিছু দেশ মাঙ্কি পক্সের প্রতিষেধক হিসেবে গুটি বসন্তের টিকা মজুত করে রেখেছে।

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন: মাঙ্কি পক্সের নতুন উপসর্গ শনাক্ত করলেন বিজ্ঞানীরা, কী সেই উপসর্গ?

    দ্য ল্যানসেট (The Lancet) নামক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হয়েছে, গুটি বসন্তের (Small Pox) টিকা মাঙ্কি পক্সের গুরুতর সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম। তবে এটি  পরবর্তীতে মাঙ্কি পক্সের ক্ষেত্রে কাজ করতে নাও পারে।

    হু (WHO) থেকে আরও জানানো হয়েছে যে, মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত ব্যক্তিকে বাড়ির পোষ্যর থেকে দূরে থাকা উচিত। কারণ সম্প্রতি ফ্রান্সে একটি কুকুরের মাঙ্কি পক্স হওয়ার খবর সামনে এসেছে এবং কুকুরটি মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির থেকেই সংক্রমিত হয়েছে। কুকুর মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত, এমন ঘটনা এর আগে সামনে আসেনি। তাই হু-এর মতে এটি একটি নতুন তথ্য। ফলে সকলকেই সতর্ক থাকা উচিত। মাঙ্কি পক্সকে ইতিমধ্যেই অতিমারী ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মাঙ্কিপক্সকে ‘গ্লোবাল হেলথ এমার্জেন্সি’ (Global Health Emergency) বলেও ঘোষণা করেছে। ফলে সবাইকে এখন থেকেই সাবধান হতে বলা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, মাঙ্কিপক্স হল একটি ভাইরাল জুনোটিক রোগ-এই ভাইরাস পশু থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয় এবং এর উপসর্গগুলো গুটি বসন্তের মতোই। মাঙ্কি পক্সের সাধারণ লক্ষণ হল জ্বর,  দেহে বড় বড় ফুসকুড়ি এবং লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া। এই উপসর্গগুলো মানুষের দেহে সাধারণত দুই থেকে চার সপ্তাহ দেখা যায়।

  • IT Refund: কর ছাড়ের প্রমাণপত্র জোগাড় করে রেখেছেন তো? সাবধান ২০০% জরিমানা হতে পারে

    IT Refund: কর ছাড়ের প্রমাণপত্র জোগাড় করে রেখেছেন তো? সাবধান ২০০% জরিমানা হতে পারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন জমা (IT Return) দেওয়ার আগে খুব ভালো করে সব তথ্য দেখে নিয়ে তবেই জমা দিন। তা না হলে আয়কর দফতর তথ্য সংশোধনের জন্য নোটিস পাঠাতে পারে। শুধু তাই নয়, রিফান্ডের ক্ষেত্রে ভুল দাবি করলে তার জন্য সংশ্লিষ্ট করদাতার উপরে অতিরিক্ত সুদ এবং ২০০% পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে। আয়কর দফতর সূত্রের খবর, ভুল রিফান্ডের (IT Refund) সংখ্যা কমাতে এবং তা সঠিক করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সে কারণে এই বছরে আয়কর দফতর একটি বিশেষ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স সফটওয়্যার ব্যবহার করছে। যার মাধ্যমে করদাতাদের কর ছাড় বিশেষ করে টিডিএস ছাড়ের জন্য নোটিস পাঠানো হচ্ছে যাতে তাঁরা আয় থেকে টাকা বাদ দেওয়ার তথ্যের শংসাপত্রের প্রমাণ রাখেন নিজেদের কাছে। 

    আরও পড়ুন: কোন পথে বাঁচাবেন আয়কর? জানুন 
     
    একাধিক রিফান্ড দাবি করলে তখন করদাতার কাছে এমন নোটিস যেতে পারে। এই সমস্ত ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, বিনিয়োগের কোনও সার্টিফিকেট না থাকলে বা করছাড়ের জন্য করদাতার আবেদন ভুল হলে নোটিস পাঠাতে পারে আয়কর দফতর। এমন ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট করদাতাকে সমস্ত তথ্য পুনরায় খতিয়ে দেখার কথা বলা হচ্ছে। এর একটাই উদ্দেশ্য, ভুল রিফান্ডের সংখ্যা কমানো বা সেই সংখ্যা সঠিক করা।  

    Form 16-এ উল্লিখিত তথ্যের সঙ্গে যদি আয় থেকে টাকা বাদ দেওয়ার তথ্যে কোনও অসঙ্গতি থাকে, সেক্ষেত্রে এই নোটিস পাঠানো হচ্ছে। এমন ক্ষেত্রে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যাতে Form 16-র তথ্যের সঙ্গে রিটার্নে উল্লিখিত তথ্যের যেন সঙ্গতি থাকে। যেমন একজন ব্যবসায়ীকে পাঠানো নোটিসের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে,—”আপনার মোট আয় কম করে দেখানো হয়েছে। সেটা যাচাই করে দেখুন। এই নোটিস আপনাকে সতর্ক করতে পাঠানো হচ্ছে যাতে আপ‌নি AIS-এ উল্লিখিত তথ্য যাচাই করে নেন এবং রিফান্ডের ভুল দাবি না করেন।”

    আরও পড়ুন: আয়কর রিটার্ন দাখিল করেননি? জেনে নিন দিতে হবে কত লেট-ফি

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের নোটিস পেলে আগেই বিনিয়োগের সমস্ত শংসাপত্র জোগাড় করে রাখা প্রয়োজন। নোটিস আসার পরে করদাতারা উত্তর দেওয়ার জন্য ১৫ দিন সময় পাবেন। যদি বিনিয়োগের সংশাপত্র করদাতার কাছে না-ও থাকে, তা হলেও রিফান্ডের তথ্য একাধিকবার যাচাই করে দেখা উচিৎ। তা না হলে অতিরিক্ত সুদ এবং ২০০% জরিমানা ধার্য হতে পারে। রিটার্ন রিভাইসের মাধ্যমে জরিমানা এড়ানো সম্ভব।  

  • Anubrata Mondal: স্কুলে চাকরি করেই কয়েক’শ কোটির সম্পত্তি সুকন্যার! কী করে? উত্তরের খোঁজে সিবিআই

    Anubrata Mondal: স্কুলে চাকরি করেই কয়েক’শ কোটির সম্পত্তি সুকন্যার! কী করে? উত্তরের খোঁজে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেশায় স্কুল-শিক্ষিকা। তাতেই কেষ্ট-কন্যার অর্জিত সম্পত্তির পরিমাণ কয়েক’শ কোটি টাকারও বেশি! কী করে? গরুপাচার মামলার (Cattle smuggling case) তদন্তে এই প্রশ্নের উত্তরই এখন হন্যে হয়ে খুঁজে চলেছে সিবিআই (CBI)। যে কারণে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের পাখির চোখ ফের একবার বোলপুরের (Bolpur) নিচুপট্টিতে অনুব্রতর বাড়ি। এবার অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) স্কুল শিক্ষিকা মেয়ে সুকন্যাকে (Sukanya Mondal) জেরা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সিবিআই।

    এদিন সকালে, নিচুপট্টির বাড়িতে সুকন্যাকে জেরা করতে পৌঁছ গিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু, আইনজীবী মারফৎ সুকন্যার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, মা বেঁচে নেই, বাবা হেফাজতে। তিনি বাড়িতে একা রয়েছেন। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন। তাই এমতাবস্থায় তিনি কথা বলতে চান না। তবে, সিবিআই যে এত সহজে ছেড়ে দেবে, তা হয় না।

    গরুপাচার মামলার তদন্তে সিবিআই যে আঁটঘাঁট বেঁধেই নেমেছে, তা বলাই বাহুল্য। সুকন্যার পাশাপাশি, বুধবার পূর্ব পল্লিতে সিবিআই-এর শিবিরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অনুব্রতর অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণীশ কোঠারিকে। প্রায় দেড় ঘণ্টা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানে সিবিআই-এর হাতে বেশ কিছু তথ্য উঠে আসে বলে খবর।

    আরও পড়ুন: কয়লা-গরু পাচারে সন্ধান ‘সেটিং গুরু’ দয়িতাপতির, খোঁজ নিচ্ছে ইডি-সিবিআই

    সূত্রের খবর, অনুব্রতর বাড়ি থেকে বেরিয়ে সিবিআই দুটি দলে বিভক্ত হয়ে যায়। একটি দল যায় আদালতে। সেখানে সার্চ ওয়ারেন্ট বের করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। অন্য একটি দল সেই সময় পৌঁছয় স্থানীয় ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া শাখায়। সেখানে মণীশ কোঠারিকে জেরা করে পাওয়া তথ্য খতিয়ে দেখেন গোয়েন্দারা। ডিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ব্যাংকের আধিকারিকদেরও।

    কেন সিবিআইয়ের নজরে সুকন্যা?

    সিবিআই সূত্রে দাবি, কয়েক বছর আগে স্কুল শিক্ষিকার চাকরি পাওয়া সুকন্যার আয়ের সঙ্গে তাঁর নামে থাকা সম্পত্তি সঙ্গতিহীন।  তদন্তকারী সংস্থার দাবি, সুকন্যার নামে বোলপুরে কেনা হয়েছে জমি, চালকল-সহ একাধিক সম্পত্তি। সূত্রে খবর, অনুব্রত-কন্যার  নামে এখনও পর্যন্ত বোলপুরেই দশটি সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। এর প্রায় প্রতিটিই ২০১৪ থেকে ২০১৬-র মধ্যে কেনা হয়েছে। 

    এ ছাড়াও, সুকন্যার নামে দ্বিতীয় কোম্পানির হদিশ মিলেছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি। নীড় ডেভেলপার প্রাইভেট লিমিটেড নামে ওই রিয়েল এস্টেট কোম্পানি তৈরি হয়েছিল ২০০৬ সালে, যার শেয়ার ক্যাপিটাল ছিল দেড় কোটি টাকা। এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেডের ঠিকানাতেই তৈরি হয় এই রিয়েল এস্টেট কোম্পানি।

    আরও পড়ুন: যৌথ ব্যবসার সত্যতা স্বীকার অর্পিতার! জেলে গিয়ে পার্থকে দেড় ঘণ্টা জেরা ইডি-র

    আবার বোলপুরের কালিকাপুরের হারাধন মণ্ডল রোডে এই একই ঠিকানায় কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে ভোলে ব্যোম রাইস মিলেরও। অর্থাৎ একই ঠিকানায় রয়েছে তিন-তিনটি কোম্পানি। সিবিআই সূত্রের দাবি, বেনামেও সুকন্যার মালিকানায় কোম্পানিও খোলা হয়েছে, যার শেয়ার ভ্যালু কোটি টাকা। পেশায় স্কুলশিক্ষিকা অনুব্রত-কন্যার নামে এত সম্পত্তি কীভাবে হল, সেটাই জানতে চান সিবিআই আধিকারিকরা। 

  • Talaq-e-Hasan: তালাক-এ-হাসান আর তিন তালাক এক নয়, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের! জানেন এর পার্থক্য

    Talaq-e-Hasan: তালাক-এ-হাসান আর তিন তালাক এক নয়, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের! জানেন এর পার্থক্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন তালাকের (Tin Talaq) মতো নয় তালাক-এ-হাসান (Talaq-e-Hasan) । এর অনুশীলন অতটাও ‘অনুচিত’ বা ‘বেঠিক’ নয়। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে এমনই মত সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, এই বিষয়টিকে মহিলাদের অ্যাজেন্ডা করা উচিত নয়। কারণ, মহিলাদেরও জন্যও বিকল্প খোলা আছে।

     
     
    এই তালাক-এ-হাসান প্রথারই অনুশীলন বন্ধের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সাংবাদিক বেনজির হিনা। তাঁর বক্তব‌্য ছিল– এই প্রথা ইসলাম এবং ভারতীয় সংবিধান, উভয়েরই বিরোধী। এই প্রথা মানবাধিকার লঙ্ঘন করার পাশাপাশি লিঙ্গ বৈষম্যকেও প্রশ্রয় দেয়। অ্যাডভোকেট অশ্বিনী কুমার দুবের মাধ্যমে সাংবাদিক বেনজির হিনার দায়ের করা পিটিশনে দাবি করা হয় যে, এই প্রথা অসাংবিধানিক। কারণ এটি অযৌক্তিক, স্বেচ্ছাচারী এবং সংবিধানের ১৪, ৫১, ২১ এবং ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। এটি একতরফা বিচার বহির্ভূত তালাক।
     
    সেই আবেদনেরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কৌলে এবং এমএম সুন্দ্রেশের একটি বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ– ‘‘প্রাথমিকভাবে খতিয়ে দেখতে হলে তালাক-এ-হাসান অতটাও বেঠিক প্রথা নয়। আমরা চাই না, অকারণে এটা নিয়েও অ‌্যাজেন্ডা তৈরি করা হোক।’’ আবেদনকারী  সাংবাদিক হিনা এই মত মানতে নারাজ। তাঁর বক্তব্য, তিনি নিজেই তালাক-এ-হাসান পদ্ধতির বিচ্ছেদের শিকার হয়েছেন। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৯ আগস্ট।
     
     
LinkedIn
Share