Blog

  • Multidimensional Poverty Index: ১৫ বছরে দারিদ্রমুক্তি ৪১ কোটি ভারতবাসীর, ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা রাষ্ট্রসংঘের  

    Multidimensional Poverty Index: ১৫ বছরে দারিদ্রমুক্তি ৪১ কোটি ভারতবাসীর, ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা রাষ্ট্রসংঘের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলির আগেই মিলল খুশির খবর! ভারতে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমেছে উল্লেযোগ্যভাবে। গত ১৫ বছরে ৪১.৫ কোটি মানুষ মুক্তি পেয়েছেন দারিদ্র (Poverty) থেকে। ২০০৫-০৬ অর্থবর্ষ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষ এই পনের বছরে ভারতে (India) কমেছে দরিদ্র (Poor) মানুষের সংখ্যা। নিছক গল্প কথা নয়, গ্লোবাল মাল্টিডাইমেনশনাল পোভার্টি ইনডেস্ক (Multidimensional Poverty Index) ২০২২ এই উঠে এসেছে এই তথ্য।

    তবে এই সুখবরের উল্টো একটি দিকও রয়েছে। সেটা হল ২০২০ সালেও ভারতে বিশ্বের সব চেয়ে বেশি দরিদ্র মানুষ বাস করেন। এঁদের সংখ্যা ২২৮.৯ মিলিয়ন। ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (United Nations Development Programme) ও অক্সফোর্ড পোভার্টি অ্যান্ড হিউম্যান ডেভলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভের (Oxford Poverty and Human development Initiative) প্রকাশিত রিপোর্টেই জানা গিয়েছে এই তথ্য। গত পনের বছরে ভারতে যে বিপুল পরিমাণ মানুষ দারিদ্র থেকে মুক্তি পেয়েছেন, তাকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। তবে রাষ্ট্রসংঘের তরফে এও আশা করা হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র দূরীকরণে বিশ্বের কাছে উদাহরণ হয়ে উঠতে পারে ভারত।

    উন্নয়ন সত্ত্বেও ভারতবাসী কোভিড অতিমারি ও ক্রমবর্ধমান খাদ্যশস্যের মূল্য এবং উচ্চ জ্বালানি মূল্যের সঙ্গে লড়াই করছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে পুষ্টি ও শক্তির ঘাটতি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে কাজ করা সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকা প্রয়োজন। এত মানুষের দারিদ্র মুক্তি ঘটলেও, এখনও এ দেশে দরিদ্র মানুষ রয়েছেন ২৩ কোটি। রাষ্ট্রসংঘের প্রতিবেদনেই একথা বলা হয়েছে। ২০১৯-২১ এই বছরগুলিতে অতিমারি থাবা বসায় গোটা বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গে ভারতেও। এই অতিমারির কারণেই এখনও ২৩ কোটি মানুষ রয়েছেন দারিদ্রের তালিকায়। জানা গিয়েছে, শহরে দারিদ্র সীমার নীচে বাস করেন ৫.৫ শতাংশ মানুষ। গ্রামে এই সংখ্যাটাই ২১.২ শতাংশ। জানা গিয়েছে, ভারতের কিছু অঞ্চলে জাতীয় গড়ের চেয়ে দ্রুত হারে হ্রাস পেয়েছে দারিদ্র। এর মধ্যে রয়েছে বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং উত্তর প্রদেশ। এই রাজ্যগুলিতে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমেছে দ্রুত।

    আরও পড়ুন: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদে ভারতকে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না, সাফ জানালেন জয়শঙ্কর

    প্রসঙ্গত, ২০০৪ থেকে পরের দশ বছর কেন্দ্রে ছিল কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইউপিএ সরকার। ২০১৪ সাল থেকে রয়েছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকার। দেশকে দারিদ্রমুক্ত করতে একের পর এক পদক্ষেপ করেছেন মোদি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এই সময়সীমায়ই দেশে ব্যাপকভাবে ঘটেছে দারিদ্রমুক্তি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Recruitment Scam: কামদুনির মৌসুমীও কাজ করতেন তাপসের সংস্থায়! মহিষবাথানের অফিস নিয়ে কী জানালেন তিনি?

    Recruitment Scam: কামদুনির মৌসুমীও কাজ করতেন তাপসের সংস্থায়! মহিষবাথানের অফিস নিয়ে কী জানালেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কামদুনির প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী কয়ালও কাজ করতেন মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের (Tapas Mondal) মহিষবাথানের (Mahishbathan)অফিসে। নিজেই একথা জানালেন মৌসুমী। তবে আর্থিক দুর্নীতি বা নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কিছুই জানেন না বা দেখেননি তাঁরা এমনই দাবি মৌসুমীর। চার-পাঁচ মাস বেতন না পেয়ে ওই চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। 

    মৌসুমীর কথায়, প্রায় আড়াই বছর আগে তাপসের সংস্থায় কাজ করতেন তিনি। মৌসুমী বলেন, ‘একজনের সূত্রে আলাপ হয়েছিল তাপস মণ্ডলের সঙ্গে। তাপসবাবু কামাখ্যায় তাদের আশ্রমে ঘুরতে যেতে বলেন। অনুরোধ রক্ষা করতে সেখানে যাই। তখন একজন ভাল মানুষ বলেই জানতাম তাঁকে। ফিরে আসার কিছুদিন পর তাপসবাবু বলেন, ওনার প্রোজেক্টের কিছু কাজ চলছে, সেগুলো দেখাশুনো করলে ভালো হয়। সেই সময় আমরা ১৪ – ১৫ জন ওনার মহিষবাথানের অফিসে কাজে যোগ দিই। কিন্তু প্রায় ৫ থেকে ৬ মাস মাইনে না পাওয়ায় চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলাম’।        

    আরও পড়ুন: নানারকমের সোনার অলঙ্কারই অনুব্রতর কালী প্রতিমার বৈশিষ্ট্য! জানেন কী কী রয়েছে সেই তালিকায়?

    মৌসুমী আরও জানিয়েছেন, তিনি যখন মহিষবাথানে তাপস মণ্ডলের মিনার্ভা এডুকেশন অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টে কাজ করতেন তখন ওই সংস্থার উদ্যোগে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। সেখানে মানিকবাবুর সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। মৌসুমী জানিয়েছেন, তিনি যতদিন সেখানে ছিলেন, চাকরি বিক্রি বা কোনও লেনদেন সংক্রান্ত অস্বাভাবিক কিছু দেখেননি। তবে তার পর গত আড়াই বছরে কী হয়েছে তা জানা নেই তাঁর।

    আরও পড়ুন: মানিক-ঘনিষ্ঠের ৩৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখছে ইডি! জানেন কে এই তাপস মণ্ডল?

    অন্যদিকে, তাপস মণ্ডলের মহিষবাথানের অফিসে এত টাকা আসত, যে তা গোনার জন্য রীতিমতো মেশিন বসানো ছিল। সম্প্রতি অমন মন্তব্য করেছেন তাপস মণ্ডলের মিনার্ভা এনজিও-র দীনদয়াল উপাধ্যায় কেন্দ্রীয় কারিগরি শিক্ষা প্রজেক্টের এক কর্মী। সরকার তার পাশে আছে, এই দম্ভেই লোককে ভয় দেখিয়ে কাজ করাতেন তাপস এমনই দাবি তাঁর। তিনি জানান,মিনার্ভার ১৬ জন কর্মচারীর ৫ মাসের বেতনও আত্মসাৎ করেছেন তাপস মণ্ডল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Suvendu Adhikari: তিস্তায় রমরমিয়ে চলছে বালি পাচার, ভিডিও শেয়ার করে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: তিস্তায় রমরমিয়ে চলছে বালি পাচার, ভিডিও শেয়ার করে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি টাকায় এক তৃণমূল বিধায়কের রিসর্ট সংস্কারের কাজ হচ্ছে। এমনই অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রী ওই রিসর্টে যেতে পারেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। এর পর আটচল্লিশ ঘণ্টাও কাটেনি, ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি পাচারের (Sand Smuggling) একটি ভিডিও শেয়ার করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কটাক্ষ, মুখ্যমন্ত্রী যখন পাহাড় সফরে তখন তাঁর উপস্থিতির মধ্যেই ওই জেলায় রমরমিয়ে চলছে বালি পাচার।

    সোমবার উত্তরবঙ্গ (North Bengal) সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজয়া দশমীর দিন মালবাজারে মাল নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আচমকাই জলপাইগুড়ির ওই নদীতে চলে আসে হড়পা বান। বানের জলে ভেসে যান বেশ কয়েকজন। পরে উদ্ধার হয় তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের দেহ। এদিন উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে দশমীর দিনের ওই মর্মান্তিক ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী যখন ওই পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করে কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জন করছেন, ঠিক তখনই উত্তরবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ নদী তিস্তা থেকে অবৈধভাবে বালি তোলার ভিডিও শেয়ার করলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

    ২ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের ভিডিওটি শেয়ার করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, তিস্তা থেকে অবৈধভাবে বালি তোলা চলছে। মুখ্যমন্ত্রী যখন পাহাড় সফর করছেন, তখন তাঁর উপস্থিতির মধ্যেই জেলায় রমরমিয়ে চলছে অবৈধভাবে বালি পাচার। নন্দীগ্রামের বিধায়েকর অভিযোগ, তৃণমূল নেতাদের মদতেই চলছে বালি পাচার। পাচারের কাজ চলছে রাজগঞ্জ বিধানসভার পাহাড়পুর এলাকায়।

    আরও পড়ুন: ওরা হিন্দুদের তাড়াতে চায়! মোমিনপুর-কাণ্ডে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    রবিবারই শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) অভিযোগ করেছিলেন, সরকারি ব্যয়ে উত্তরবঙ্গে একটি বেসরকারি রিসর্ট সংস্কার করা হচ্ছে। রিসর্টটি মহেশতলার বিধায়ক তৃণমূলের দুলাল দাসের। কেবল ওই রিসর্টটি নয়, তার আশপাশের এলাকা এবং রিসর্টে যাওয়ার রাস্তাও সংস্কার করা হচ্ছে সরকারি অর্থ ব্যয়ে। মুখ্যমন্ত্রী ওই রিসর্টে যেতে পারেন বলেও জানিয়েছিলেন শুভেন্দু। মুখ্যমন্ত্রী যখন বিরোধী নেত্রী ছিলেন, তখন একবার ওই রিসর্টে গিয়েছিলেন। সরকারি অর্থ ব্যয়ে কেন চলছে ব্যক্তিগত রিসর্ট সংস্কারের কাজ, সে প্রশ্নও তুলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • TET Scam: ‘চুরি যাওয়া চাকরি ফেরত দাও’! রাতভর রাস্তায় শুয়ে দাবি টেট উত্তীর্ণদের

    TET Scam: ‘চুরি যাওয়া চাকরি ফেরত দাও’! রাতভর রাস্তায় শুয়ে দাবি টেট উত্তীর্ণদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চুরি যাওয়া চাকরি, ফেরত চাই। এই দাবিতে ঘুমহীন রাত কাটল রাস্তায় শুয়ে। দীর্ঘ ২০ ঘণ্টা পার। এখনও সল্টলেকের করুণাময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সামনে অবস্থান চলছে প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের। গতকাল বেলা ১২টা থেকে ২০১৪-র প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। এপিসি ভবনের সামনে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তিতে কয়েকজন বিক্ষোভকারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। উল্টোদিকেই বেসরকারি হাসপাতাল। রাতেই আন্দোলনকারীদের পুলিশ জানায়, অবস্থানস্থলে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।  হাসপাতালে অ্যাম্বুল্যান্স যেতে-আসতে সমস্যা হচ্ছে। আইন হাতে তুলে না নেওয়ার জন্য বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে মাইকে আবেদন জানায় পুলিশ। তবু অবস্থান-বিক্ষোভে অনড় প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরাও যে এক অসুস্থ রাজনীতি ও পরিস্থিতির শিকার। তাঁরাও নিরুপায়।

    আরও পড়ুন: বক্স খাটের ভিতর থেকে মিলল ৬কোটি টাকা! ব্যাঙ্ক জালিয়াতি কাণ্ডে শিবপুরের শৈলেশকে খুঁজছে পুলিশ

    সোমবার চাকরির দাবিতে করুণাময়ীতে SSC ভবনের সামনে অবস্থান করে টেট চাকরিপ্রার্থীরা। ২০১৪ প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা এদিন জমায়েত করেন। করুণাময়ী মেট্রো স্টেশন থেকে মিছিল এগোতেই পথ আটকায় পুলিশ। চাকরিপ্রার্থীরা তাঁদের টপকে সামনের দিকে এগোনোর চেষ্টা করেন। তখনই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অভিযোগ পুলিশি বাধা অগ্রাহ্য করে চাকরিপ্রার্থীরা ছুটতে শুরু করলে ধস্তাধস্তি বাধে। কাতারে কাতারে যুবক–যুবতীদের আটকাতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। ধরপাকড়ের প্রতিবাদে রাস্তায় শুয়ে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা। তার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীকে আটক করে পুলিশ। অবশেষে, পর্ষদ সভাপতির সঙ্গে কথা বলেন বিক্ষোভকারীদের ৪ প্রতিনিধি।

    আরও পড়ুন: নিয়োগের দাবি করায় এভাবে হেনস্থা টেটে সফল প্রার্থীদের?

    প্রসঙ্গত, নিয়োগের দাবিতে গত ১৫ অক্টোবর মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে হাজির ২০১৮ সালের কলেজ সার্ভিস কমিশনের মেধা তালিকাভুক্ত চাকরিপ্রার্থীরা। এদিন এসএসসি ধর্নামঞ্চের পাশেই জড়ো হন তাঁরা। পুলিশ এসে কলেজ সার্ভিস কমিশনের চাকরিপ্রার্থীদের সরিয়ে দেয়। ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির সামনে আন্দোলনে অনড় ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট চাকরিপ্রার্থীরা। আজ ৬৩ দিনে পড়ল তাঁদের ধর্না অবস্থান। প্রাথমিকে ৩ হাজার ৯২৯ শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই শূন্যপদে চাকরির দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলেন ১ হাজার ৪০০ জন চাকরিপ্রার্থী। আজ, মঙ্গলবার সেই মামলারও শুনানি হওয়ার কথা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Car Accident: ভবিষ্যতবাণীই হল সত্যি! বিএমডব্লিউ-তে ৩০০ কিমির গতি তুলতে গিয়ে হল মর্মান্তিক মৃত্যু

    Car Accident: ভবিষ্যতবাণীই হল সত্যি! বিএমডব্লিউ-তে ৩০০ কিমির গতি তুলতে গিয়ে হল মর্মান্তিক মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভবিষ্যতবাণীই হল সত্যি! মৃত্যুর আগেই ফেসবুকে লাইফে বলেছিল “চারজনই মরব”, আর তারপরেই ঘটল মর্মান্তিক ঘটনা (Car Accident)। বিএমডব্লিউ-এর গতি সর্বোচ্চ কত হয়, তা দেখতেই এক ভয়াবহ দুর্ঘটনার সম্মুখীন হল চার ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের সুলতানপুরে পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়েতে। গত শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর গাড়ির দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে চারজনের। দুঃখের বিষয় যে, মৃত্যুর আগেই তাঁদের ফেসবুক লাইফে বলতে শোনা গিয়েছিল যে, “চারো মারেঙ্গে (আমরা চারজনই মারা যাব)”। আর এটিই সত্যি হয়ে যায়।

    সম্প্রতি, সাইরাস মিস্ত্রির ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনা (Car Accident) হওয়ার পরেও যে মানুষ শিক্ষা পায়নি, তা এই ঘটনা দেখলেই বোঝা যায়। জানা যায়, গত শুক্রবার, পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়েতে বিএমডব্লিউ গাড়িটি চলছিল ২৩০কিমি গতিতে। আর গাড়িতে উপস্থিত চার বন্ধু সুলতানপুর থেকে দিল্লি যাচ্ছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন আবার ফেসবুক লাইফ করছিলেন ও ভিডিও-তে তাঁরা বিএমডব্লিউ গাড়িটির সর্বোচ্চ গতি রেকর্ড করতে চেয়েছিলেন। তাঁরা প্রতি ঘণ্টায় ২৩০ কিলোমিটার বেগ তুলেছিলেন। তবে, তাঁদের মধ্যে একজন ৩০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগ তুলতে চেয়েছিলেন। তখনই তাঁকে চারজনের মরার কথাটি বলতে শোনা যায় ভিডিওতে। আর এরপরে সত্যিই এই ঘটনাটি ঘটে। একটি কন্টেইনার ট্রাক ধাক্কা দেয় বিএমডব্লিউ গাড়িটিকে, আর তারপরেই মৃত্যু হয় তাঁদের।

    আরও পড়ুন: বিয়েবাড়ির যাত্রী বোঝাই বাস পড়ল উত্তরাখন্ডের খাদে 

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিহারের রোহতাসের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ৩৫ বছর বয়সী অধ্যাপক ডাঃ আনন্দ প্রকাশ বিএমডব্লিউ গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। ফেসবুক লাইভে তাঁদের একজনকে এও বলতে শোনা গেছে, স্পিডোমিটার পরবর্তীতে এই গানটিতে ৩০০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় ছুঁতে পারে। আপনার সিট বেল্ট বেঁধে রাখুন। (“ইয়ে গান পে ৩০০ পাহুচা দেগা। থোড়া কানেক্ট তোহ কর, সিট বেল্ট লাগা লিজিয়ে”)। আর এর কিছুক্ষণ পরই দ্রুতগামী গাড়িটি বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকে ধাক্কা দেয়। ফলে তাঁরা চারজনই ছিটকে বেরিয়ে যায় গাড়ি থেকে, আর সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁদের। মৃতদের নাম আনন্দ প্রকাশ (৩৫), অখিলেশ সিং (৩৫) এবং দীপক কুমার (৩৭), চতুর্থ মৃতের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে, ডিএম জানিয়েছেন।

    অন্যদিকে, সুলতানপুরের এসপি সোমেন বর্মা জানিয়েছেন, ট্রাকচালক এই ঘটনার পরই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়েছে ও তার নামে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। ফরেন্সিক স্টেট ল্যাবরেটরির সহায়তায় বিএমডব্লিউ এবং কন্টেইনার ট্রাককে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

  • World T20: শেষ ওভারে শামি ম্যাজিক! অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে জয়ী ভারত

    World T20: শেষ ওভারে শামি ম্যাজিক! অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে জয়ী ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। কখনও করোনা তো কখনও অফ ফর্ম বাধা হয়েছিল অনেক কিছুই। শেষ পর্যন্ত চোটের কারণে জশপ্রীত বুমরাহ দল থেকে ছিটকে যাওয়ায় তাঁকেই বেছে নেন নির্বাচকেরা। তাঁরা যে ভুল করেননি, তা সোমবার ভালভাবে বুঝিয়ে দিলেন বাংলার পেসার মহম্মদ শামি। এদিন শেষ ওভারে শামিকে বল করতে ডাকেন অধিনায়ক রোহিত। সেই সময়ে জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল মাত্র ১১ রান। ম্যাচে মাত্র এক ওভার বল পেয়েই কামাল করে দেন বঙ্গ পেসার। তিনটি উইকেট তুলে শেষ করে দেন বিপক্ষের লোয়ার অর্ডারকে। ছয় রানে ম্যাচ জেতে ভারত।  

    এদিন টসে জিতে ভারতীয় দলকে প্রথমে ব্যাটিং করতে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ভারত তোলে ১৮৬ রান। কে এল রাহুল ৩৩ বলে দুর্দান্ত ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন। ৬টি চার এবং ৩টি ছয় মারেন রাহুল। বিগত একাধিক সিরিজে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা সূর্যকুমার যাদব এ দিনের অনুশীশন ম্যাচেও ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন। তিনি করেন ৫০ রান। দীনেশ কার্তিকের ব্যাট থেকে আসে ২০ রান। তবে,অধিনায়ক রোহিত শর্মা, প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং হার্দিক পান্ডিয়ার রান না পাওয়াটা চিন্তায় রাখবে থিঙ্ক ট্যাঙ্ককে।

    আরও পড়ুন: নাম মনে রেখো! কেন টুইট সচিনের?

    ভারতের ১৮৬ রানের জবাবে আগ্রাসী মেজাজে ইনিংসের শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। ভারতের হয়ে প্রথম উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার। মাত্র ১৮ বলে ৩০ রান করে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা মিচেল মার্শকে ফেরত পাঠান তিনি। হাফ সেঞ্চুরি করেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ৭৬ রান করে হর্ষল প্যাটেলের বলে আউট হয়ে যান তিনি। শেষপর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া ২০ ওভারে ১৮০ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ৬ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে উত্তেজক ম্যাচ জেতে ভারত। 

  • Web Series XXX: ওয়েব সিরিজ নিয়ে একতা কাপুরকে তীব্র ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট, কী আছে XXX-এ?

    Web Series XXX: ওয়েব সিরিজ নিয়ে একতা কাপুরকে তীব্র ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট, কী আছে XXX-এ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় বেশ কিছুদিন ধরেই একতা কাপুরের (Ekta Kapoor) ওয়েব সিরিজ (Web Series) ‘এক্স এক্স এক্স’কে (Web Series XXX) ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ওয়েব সিরিজে আপত্তিকর দৃশ্য দেখানোর জন্য নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছিল আগেই। এছাড়াও ভারতীয় সেনাবাহিনীকে অপমানের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। আর এইসব বিতর্কের জল এবার গড়াল আদালত পর্যন্ত। অবশেষে সেই মামলায় নিজের মত জানাল সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলার শুনানিতে ওয়েব সিরিজ ‘এক্স এক্স এক্স’-এর নির্মাতা একতা কাপুরকে চরম ভর্ৎসনা করল শীর্ষ আদালত।

    প্রসঙ্গত, ‘এক্স এক্স এক্স’ -এর (Web Series XXX) কনটেন্ট নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন বেগুসরাইয়ের এক বাসিন্দা। তাঁর নাম শম্ভু কুমার ও তিনি একজন প্রাক্তন সেনাকর্মী ছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, এই ওয়েব সিরিজে ভারতীয় সেনা আধিকারিকদের স্ত্রী-দের নিয়ে অসম্মানজনক দৃশ্য দেখানো হয়েছে। যা সকলের ভাবাবেগে আঘাত করেছে। আর এর ফলেই বিহারের বেগুসারাই আদালত থেকে একতা কাপুর ও তাঁর মা তথা প্রযোজক শোভা কাপুরের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। জানা গিয়েছিল যে, এই সিরিজ নিয়ে অভিযোগ ওঠার পরেই সিরিজ থেকে ওই দৃশ্যগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে মামলা শেষ হয়ে যায়নি। এরপরেই তাদের জন্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

    আর এই গ্রেফতারির পরোয়ানার পালটা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন একতা। আর এই মামলার আবেদন করতে এসেই আর ফেঁসে গেলেন তিনি। গত ১৪ অক্টোবর অর্থাৎ শুক্রবার এই মামলার শুনানি হয়। আর সেখানেই একতা কাপুরকে চরম ভর্ৎসনা করল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম বিচারপতি অজয় রোস্তাগি ও সিটি রবিকুমারের ডিভিশন বেঞ্চ তিরস্কারের সুরে জানায়, ‘কিছু একটা করা দরকার। আপনারা দেশের তরুণ প্রজন্মের মন কলুষিত করছেন। এটা তো সবার কাছেই উপলব্ধ। ওটিটি কনটেন্ট তো সবাই দেখতে পায়। আপনারা ঠিক কোন ধরণের চয়েসের কথা বলছেন? …. অন্যদিকে আপনারা তরুণ প্রজন্মকে নষ্ট করছেন’।

    অন্যদিকে একতার পক্ষ রেখে তাঁর আইনজীবী মুকুল রোহাতগি বলেন, এই দেশে প্রত্যেকের ‘ফ্রিডম অফ চয়েস’ রয়েছে। অর্থাৎ কে কী দেখবেন তার স্বাধীনতা রয়েছে। পাশাপাশি ওই বিতর্কিত ভিডিও যে প্ল্যাটফর্মে দেখা গেছে তা সাবস্ক্রিবশন নির্ভর। ফ্রি-টু এয়ার নয়।

    আবার এর উত্তরে আরও ক্ষোভ উগরে দেয় বিচারপতি, আর জানান, শুধুমাত্র বেশি টাকা দিয়ে আইনজীবী নিয়োগ করার ক্ষমতা রাখলেই আদালত তার হয়ে কথা বলবে না। ভবিষ্যতে এই ধরণের পিটিশন দাখিলের জন্য আদালত একতার বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানা আরোপ করবে বলে সাফ জানিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত।

  • S Jaishankar: কেবল ব্যবসা নয়, মিশরের সঙ্গে কাজও করতে চায় ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: কেবল ব্যবসা নয়, মিশরের সঙ্গে কাজও করতে চায় ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) কেবল ব্যবসা করতে চায় না, মিশরের সঙ্গে কাজও করতে চায়। রবিবার এ কথা বলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি বলেন, আঞ্চলিক ও বিশ্বস্তরের সহযোগিতার মাধ্যমে ভারত-মিশর দুই দেশ কীই না করতে পারে! বর্তমানে মিশর সফরে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। এটি তাঁর এই প্রথম মিশর সফর। ইজিপ্টের বিদেশমন্ত্রী সোমেহ শৌক্রির আমন্ত্রণে মিশরে গিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। সেখানেই তিনি মিশরের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক স্থাপনের কথা বলেন। কায়রোতে ইন্ডিয়া-ইজিপ্ট বিজনেস ফোরামের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। সেখানেই ভাষণ দিতে গিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি।

    এদিনের অনুষ্ঠানে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, আজ আপনাদের প্রতি আমার বার্তা হল, ভারত শুধু ব্যবসার জন্য খোলা নয়, মিশরের সঙ্গে আমরা কাজও করতে চাই। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্তরের সহযোগিতার মাধ্যমে ভারত-মিশর দুই দেশ কীই না করতে পারে। গোটা বিশ্বে কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তার পরেও অবশ্য সব দেশ সমানভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। সে প্রসঙ্গ টেনে জয়শঙ্কর বলেন, স্পেকট্রামের শেষে আমরা আরও বেশি আশাবাদী। কেবল দেশেই নয়, বিদেশেও ব্যবসা করার বিশাল সুযোগ তৈরি হয়েছে। এই ইভেন্টে কেমিক্যালস, ম্যানুফ্যাকচারিং, সার, শিক্ষা, পুনর্নবীকরণ শক্তি, রিটেল, ফার্মা এবং সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিত্ব ছিল।   

    আরও পড়ুন:‘আড়াই বছর অত্যন্ত কঠিন ছিল…’ ভারত-চিন সম্পর্কের হাল হকিকত জানালেন জয়শঙ্কর

    গোটা আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে মিশরই ভারতের সাবেক ব্যবসায়িক পার্টনার। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষের তুলনায় এই বৃদ্ধির হার ৭৫ শতাংশ। মিশরে ভারতীয় দূতাবাস সূত্রেই এ খবর মিলেছে। এদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার আগের দিন জয়শঙ্কর (S Jaishankar) সাক্ষাৎ করেছিলেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাট্টা এই সিসির সঙ্গে। পরে জানিয়েছিলেন, ভারত-মিশর ব্যবসার পরিমাণ ৭.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের উল্লেখ করে মিশরের প্রেসিডেন্ট তাঁকে জানিয়েছিলেন, এটাই যথেষ্ট বলে তিনি মনে করেন না। প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ব্যবসার পরিমাণ কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, তার পথ খুঁজে বের করতে হবে।       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Me too: বলিউডের পর আবার টলিউডেও ‘মি টু’ ঝড়, অভিযুক্ত উঠতি পরিচালক

    Me too: বলিউডের পর আবার টলিউডেও ‘মি টু’ ঝড়, অভিযুক্ত উঠতি পরিচালক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলিউডে ফের নতুন করে মাথা চাড়া দিয়েছে ‘মি টু’ (Me Too)। অভিনেত্রী শার্লিন চোপড়া এবং গায়িকা সোনা মহাপাত্র নির্দেশক সাজিদ খানের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন। এবার সেরকমই কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠল টলিপাড়ার উঠতি পরিচালক বাপ্পার বিরুদ্ধেও। অভিযোগ করেছেন বাংলা সিরিয়ালের চেনা মুখ সুকন্যা দত্ত (Sukanya Dutta)। সুকন্যার অভিযোগ, পরিচালক বাপ্পা (Director Bappa) তাঁকে প্রস্তাব দেন, তাঁর ছবিতে অভিনয় করতে গেলে বোল্ড সিনের ওয়ার্কশপ করতে হবে। ফেসবুকে পোস্ট করে অভিযোগ করেছেন তিনি। 

    অভিনেত্রী ফেসবুকে অভিযোগ করেছেন, বাপ্পা তাঁকে নিজে থেকে ফেসবুকে মেসেজ পাঠিয়ে কাজের প্রস্তাব দেন। এরপর দেখা করার কথা বলেন। সুকন্যার দাবি, বাপ্পা তাঁকে বোল্ড সিনের ওয়ার্কশপ করার কথা বলেন। সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার পরেও নানান ভাবে যৌন ইঙ্গিতবাহী কথা বলতে থাকেন। তিনি ফেসবুকে এও লেখেন, যে তিনি বুঝতে পারছেন না বাপ্পা সিনেমা বানাবেন নাকি পর্ন ফিল্ম! বিষয়টি সামনে আসতেই আরও একবার উত্তাল টলিউড। 

    আরও পড়ুন : এবার কেষ্টকন্যা সুকন্যাকে দিল্লিতে তলব ইডির

    সংবাদমাধ্যমকে সুকন্যা বলেন, “উনি অনেক বারই আমায় বাইরে দেখা করতে বলেছেন। আমারও অভিনয়ের ইচ্ছে ছিল। সেই জন্য আমি এক দিন ওঁর স্টুডিয়োর বাইরে দেখা করি। স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি নিয়ে আলোচনার পর আমায় স্কুটি করে গলির মোড় পর্যন্ত পৌঁছে দেন। শুধু তাই নয়, ঘনিষ্ঠ এবং যৌনদৃশ্যে অভিনয়ের মহড়া দেওয়ার দাবি জানান পরিচালক। হয়তো সেটা উনি অনেকের সঙ্গে আলোচনাও করেছিলেন। কারণ বৃহস্পতিবার সে কথা উল্লেখ করে অনেকে নানা ইঙ্গিতে আমার সঙ্গে রসিকতা শুরু করেন। তখনই আমার মনে হল, আমার সঙ্গে যা ঘটেছে, তা সকলকে জানানো উচিত।”

    বিষয়টিতে সাময়িক মৌনতা বজায় রাখলেও, শনিবার রাতে নিজের সপক্ষে যুক্তি দিয়ে পাল্টা একটি ফেসবুক পোস্ট করেন ‘শহরের উপকথা’- খ্যাত পরিচালক বাপ্পা। ‘অল বেঙ্গল মেল ফোরাম’-এর শ্রীমতী নন্দিনী ভট্টাচার্যই তাঁকে এই পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাপ্পা। সুকন্যার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

    তাঁর বক্তব্য, ইন্ডাস্ট্রিতে তিনিও নতুন কাজ শুরু করেছেন। আর শুরুতেই যদি এমনটা হয়, তা হলে তো বেজায় মুশকিল। শনিবার নিজের বক্তব্য স্পষ্ট করে দিলেন পরিচালক। সঙ্গে পোস্ট করলেন সুকন্যার সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের বেশ কিছু স্ক্রিনশটও। পরিচালক বলেন, “আমি ভেবেছিলাম চুপ থাকব। এই সব বিষয়ে মন্তব্য করার ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু শেষ কয়েক দিন ধরে যা শুরু হয়েছে, তাতে চুপ থাকতে পারলাম না। ‘অল বেঙ্গল মেল ফোরাম’-এ অভিযোগ জানিয়েছি। তাঁরা যথাযথ পদক্ষেপ করবে। এ ছাড়া স্থানীয় থানায়ও অভিযোগ জানাব।” সুকন্যার করা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পরিচালক। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
  • Congress Prez Polls: দ্বৈরথে শশী-মল্লিকার্জুন, কংগ্রেসের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে?

    Congress Prez Polls: দ্বৈরথে শশী-মল্লিকার্জুন, কংগ্রেসের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের (Congress) বয়স ১৩৭ বছর। সোমবার শুরু হয়েছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন (Congress Prez Polls)। এ নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন হচ্ছে ষষ্ঠবার। এবারই প্রথম গান্ধী (Gandhi) পরিবারের কোনও সদস্য উপস্থিত নেই লড়াইয়ের ময়দানে। ২০১৭ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। উনিশের ভোটে দলের ভরাডুবির পর ইস্তফা দেন তিনি। শারীরিক কারণে দলের কাণ্ডারির ভূমিকা পালন করতে রাজি নন সোনিয়া গান্ধীও। তাই হচ্ছে নির্বাচন। দ্বৈরথ হচ্ছে মল্লিকার্জুন খাড়গে ও শশী থারুরের (Shashi Tharoor) মধ্যে।

    এদিন ভোট (Congress Prez Polls) শুরু হয়েছে সকাল ১০টায়। চলবে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। ভোট হচ্ছে কাগজের ব্যালটে। ভোট দেবেন কংগ্রেসের ৯ হাজার ২০০ প্রতিনিধি। দেশজুড়ে বুথ হয়েছে ৬৭টি। ভোটের ফল বেরবে ১৯ অক্টোবর। কয়েকটি রাজ্যের ভোটারদের ভোট দিতে স্টেট হেডকোয়ার্টারে আসতে হবে। তাঁদের কিউআর কোড যুক্ত আইডি কার্ড এবং আধারকার্ড সঙ্গে আনতে হবে। এবার যাঁরা ভোট দেবেন, তাঁদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি বয়সী ভোটার হলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং কর্নাটক বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার কোগুডু থিম্মাপ্পা। সব চেয়ে বেশি ভোটার রয়েছেন উত্তর প্রদেশে। ভোটারের সংখ্যা ১২০০। পশ্চিমবঙ্গের ভোটার সংখ্যা ৯০০। ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশ নিয়েছেন রাহুল গান্ধী। তাই তিনি ভোট দেবেন কর্নাটকের সঙ্গানাকুল্লু থেকে। আর ২৪ নম্বর আকবর রোডে কংগ্রেসের হেড কোয়ার্টারে গিয়ে ভোট দেবেন সোনিয়া গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা, মনমোহন সিং এবং প্রবীণ কিছু কংগ্রেস নেতা।

    আরও পড়ুন: কংগ্রেস নির্বাচন প্রহসন! তোপ অমিত মালব্যর, কী বললেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান?

    ভোট (Congress Prez Polls) শুরুর আগে প্রেসিডেন্ট পদ প্রার্থী থারুর বলেন, দলীয় কর্মীরাই কংগ্রেসের শক্তি। তাঁদের সম্মান করতে হবে। কর্মীদের অনুভব করতে হবে যে দল তাঁদের কথা শুনবে। এখন এই ধারণা রয়েছে,  দলের যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় দিল্লি থেকে। তিনি জানান, বিজেপির সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য দলে সংস্কার আশু প্রয়োজন। আর এক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী খাড়গে বলেন, পার্লামেন্ট থেকে রাস্তা আমাদের সর্বত্র লড়াই করতে হবে। বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি সহ একাধিক ইস্যু রয়েছে আন্দোলনের জন্য। প্রসঙ্গত, বাইশ বছর আগে শেষবার সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে লড়েছিলেন জিতেন্দ্র প্রসাদ। যদিও শেষ হাসি হেসেছিলেন সোনিয়া গান্ধীই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share