Blog

  • Milk Price Hike: মধ্যবিত্তের মাথায় হাত, দুধের দাম বাড়াল আমুল এবং মাদার ডেয়ারি 

    Milk Price Hike: মধ্যবিত্তের মাথায় হাত, দুধের দাম বাড়াল আমুল এবং মাদার ডেয়ারি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। রোজ বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম। এর আঁচ পড়েছে মধ্যবিত্তের রান্নাঘরেও। এবার আরও খানিকটা বিপদে পড়ল মধ্যবিত্ত। অস্বস্তি বাড়িয়ে এবার দুধের দাম বাড়াল আমুল ও মাদার ডেয়ারি (Monther Dairy)। লিটার পিছু দুধের দাম বাড়ছে ২ টাকা। আগামিকাল, ১৭ আগস্ট থেকেই এই নতুন দাম লাগু হবে। প্রসঙ্গত, ৬ মাসের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার দুধের দাম বাড়াল দুই সংস্থাই। 

    আরও পড়ুন: রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ দেশ, কী হবে ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার স্টকের?

    গুজরাট কো-অপারেটিভ মিল্ক মার্কেটিং ফেডারেশন, যেটি ‘Amul’ ব্র্যান্ড নামে দুধ এবং দুধের পণ্য বিক্রি করে। 

    মূল্যবৃদ্ধি (Price Hike) প্রসঙ্গে আমুলের তরফে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ, মুম্বই, দিল্লি এনসিআর, গুজরাটের আহমেদাবাদ, সৌরাষ্ট্র এবং আরও যে সমস্ত রাজ্যে আমুলের দুধ বিক্রি হয় সর্বত্রই ১৭ আগস্ট থেকে দুধের দাম লিটার প্রতি ২ টাকা করে বাড়বে।

    আরও পড়ুন: ডিএ মামলায় রাজ্য সরকারের রিভিউ পিটিশন শেষ পর্যন্ত গ্রহণ করল আদালত

    আমুলের ঘোষণার কিছু পরেই মাদার ডেয়ারির তরফেও ঘোষণা করে জানানো হয়, লিটার প্রতি ২ টাকা করে দুধের দাম বাড়াচ্ছে তারাও। আর সেই নতুন দাম ধার্য হবে বুধবার, ১৭ আগস্ট থেকেই। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের সঙ্গে কথা বলার সময় সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, “গত পাঁচ মাস ধরেই আনুষঙ্গিক খরচ বাড়ছিল। তাই বাধ্যত এই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।” বর্ধিত মূল্যের হিসেবে এবার প্রতি লিটার মাদার ডেয়ারির ফুল ক্রিম মিল্কের দাম হল ৬১ টাকা , টোনড দুধের দাম ৫১ টাকা, ডাবল টোন্ড দুধ ৪৫ টাকা।

    একই কথা জানিয়েছে আমুল। সংস্থার তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুধের উৎপাদন ও বিপণনের খরচ লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে গত কয়েক মাসে। আর সেই কারণেই বাড়ানো হচ্ছে দুধের দাম। এর ফলে ৫০০ মিলিলিটার আমুল গোল্ডের দাম হবে ৩১ টাকা, প্রতি লিটার আমুল তাজা ২৫ টাকা, আমুল শক্তি ২৮ টাকা। 

    আমুল বিবৃতিতে বলেছে যে, ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে, আমাদের সদস্য ইউনিয়নগুলি কৃষকদের জন্য দাম বাড়িয়েছে। এর একটি অংশ এখন গ্রাহকদের কাছে বাড়ানো হয়েছে। রাশিয়ান-ইউক্রেন সংকটের কারণে পশু খাদ্য সহ বিশ্বব্যাপী পণ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ কারণে সারা বিশ্বে এর দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। যা দেশে সরবরাহ ও দামের ওপর প্রভাব ফেলেছে এবং দুধ উৎপাদনে নিয়োজিত কৃষকদের খরচ বেড়েছে।

  • Rakesh Jhunjhunwala: রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ দেশ, কী হবে ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার স্টকের?

    Rakesh Jhunjhunwala: রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ দেশ, কী হবে ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার স্টকের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিখ্যাত বিনিয়োগকারী এবং স্টক মার্কেটের বিগ বুল রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার (Rakesh Jhunjhunwala) অকাল মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সারা দেশ। বিশেষত বিনিয়োগকারীরা। ৬২ বছর বয়সে মুম্বইয়ের ব্রীচ ক্যান্ডি হাসপাতালে মারা যান বিগ বুল। রবিবার সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে তাঁকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই ডায়াবেটিস এবং কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ফোর্বস সূত্রে জানা গিয়েছে, রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার মোট সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক ৫৮০ কোটি মার্কিন ডলার। এত পরিমাণ সম্পত্তি পুরোটাই করেছেন শুধুই বিনিয়োগের মাধ্যমে। 

    আরও পড়ুন: প্রয়াত শেয়ার বাজারের ‘বিগ বুল’ রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা 

    বাজারে প্রায় ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারের স্টক রয়েছে রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার নামে। এখন স্টকের ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়ে পর্যালোচনা চলছে।  

    বিশ্বের মধ্যে ৪৩৮তম ধনী ব্যক্তি ছিলেন তিনি। ভারতের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় তাঁর স্থান ছিল ৩৬ নম্বরে। । শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগের পাশাপাশি তিনি বিমান পরিবহণেও ক্ষেত্রেও পথ চলা শুরু করেন তিনি। গত সপ্তাহেই প্রথমবার মুম্বই থেকে আমেদাবাদ উড়ে যায় তাঁর আকাশা এয়ারের প্রথম বিমান। 

    আরও পড়ুন: অপেক্ষার অবসান, উড়ান শুরু আকাসা এয়ারের 

    পাঁচ হাজার টাকা হাতে নিয়ে তিনি শেয়ার বাজারে পথ চলা শুরু করেন। সেই সময় সেনসেক্স ছিল ১৫০ পয়েন্ট। এক বছরের মধ্য়ে মাত্র ৪৩ টাকায় ‘টাটা টি’-র পাঁচ হাজার শেয়ার কিনে নেন। তিন মাসে স্টকের দাম ১৪৩ টাকায় পৌঁছে যায়। তিন বছরের মধ্যে শেয়ার বাজার থেকে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা আয় করেন তিনি।       

    গত মাসে অর্থাৎ জুলাই মাসে, রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার ‘টাইটান’ এবং ‘স্টার হেলথ অ্যান্ড অ্যালাইড ইন্স্যুরেন্স’ সহ তাঁর পোর্টফোলিওতে এতটাই দুর্দান্ত উত্থান হয়েছিল যে তিনি একদিনে এক হাজার কোটিরও বেশি আয় করেছিলেন। এই বছরের ২১ জুন, তিনি টাটা মোটরস এবং টাইটানের স্টক থেকে ৫৯০ কোটি টাকা আয় করেছিলেন। ফেব্রুয়ারিতে, মাত্র দু দিনে, তিনি টাইটানের শেয়ারের মাধ্যমে ৬১৮ কোটি টাকা আয় করেছিলেন। ফেব্রুয়ারিতেই মাত্র দশ মিনিটের মধ্যে, তিনি দুটি কোম্পানির শেয়ারের ভিত্তিতে ১৮৬ কোটি টাকা  আয় করেছিলেন।  

    রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা এমনই ব্যতিক্রমী এক ব্যক্তি ছিলেন, যাকে শেয়ার বাজারে কখনই লোকশনের মুখ দেখতে হয়নি। যখন সবাইকে বাজারে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে, তখনও লাভের মুখ দেখেছেন রাকেশ। আর এ কারণেই তাঁকে ‘শেয়ার বাজারের জাদুকর’ বলা হত। শেয়ার বাজারের উত্থান-পতন সম্পর্কে সম্যক ধারণা ছিল তাঁর।  

    রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার সব থেকে লাভজনক বিনিয়োগ ছিল টাটা কোং। রাকেশ এবং তাঁর স্ত্রী রেখা ঝুনঝুনওয়ালা দুজনেই এই কোম্পানির অংশীদার ছিলেন। এছাড়াও তাঁর বড় বিনিয়োগগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল, টাটা মোটরস, মেট্রো ফুটওয়্যার, অ্যাপটেক, স্টার হেলথ। এরমধ্যে স্টার হেলথে তাঁর শেয়ার ছিল ১০%। এছাড়া হাঙ্গামা মিডিয়া, অ্যাপটেকের চেয়ারম্যান ছিলেন ঝুনঝুনওয়ালা। ভাইসরয় হোটেল, কনকর্ড বায়োটেক, প্রভোগ ইন্ডিয়া, জিওজিত ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের ডিরেক্টর ছিলেন তিনি। 

    বিগ বুলের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনিও স্বীকার করে নিয়েছেন যে রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার মৃত্যুতে গভীর প্রভাব পড়বে শেয়ার বাজারে। 

     

  • Chinese Spy Ship: ভারত আমেরিকার উদ্বেগ সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কার বন্দরে চিনা ‘গুপ্তচর জাহাজ’

    Chinese Spy Ship: ভারত আমেরিকার উদ্বেগ সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কার বন্দরে চিনা ‘গুপ্তচর জাহাজ’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) ও আমেরিকার (America) উদ্বেগ সত্ত্বেও শেষমেশ মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) হামবানটোটা (Hambantota) বন্দরে এসে ভিড়ল চিনা গুপ্তচর জাহাজ (Chinese Spy Ship)। ইয়ান ওয়াং-৫ নামের ওই জাহাজ না পাঠাতে চিনকে (China) অনুরোধ করেছিল কলম্বোও। সেসব আপত্তি-উদ্বেগ অগ্রাহ্য করেই হামবানটোটা বন্দরে নোঙর করেছে ওই চিনা গুপ্তচর জাহাজ।

    দিন কয়েক আগে চিনের ওই জাহাজটি যাত্রা করে শ্রীলঙ্কা অভিমুখে। তখনই আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। জাহাজটি যাতে হামবানটোটা বন্দরে না নোঙর করে, সেজন্য ড্রাগনের দেশকে আবেদন করেছিল শ্রীলঙ্কাও। সেসব কান না তুলেই শ্রীলঙ্কা অভিমুখে যাত্রা করতে শুরু করে ইউয়ান ওয়াং-৫ নামের ওই জাহাজটি। ১৪ নটিক্যাল গতিতে সেটি ধেয়ে আসতে থাকে হাম্বানটোটা বন্দর অভিমুখে।  জানা গিয়েছে, এই গুপ্তচর জাহাজটি চিনের মহাকাশ ও উপগ্রহ গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়। যেহেতু জাহাজটি শি জিন পিংয়ের দেশের মহাকাশ ও উপগ্রহ গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়, তাই আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। নয়াদিল্লির আশঙ্কা, অত্যাধুনিক এই জাহাজের মাধ্যমে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ওপর নজরদারি চালাতে পারে বেজিং। ভারতের এই আপত্তির পরে পরেই শ্রীলঙ্কার তরফেও চিনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাদের বন্দরে ওই জাহাজ যেন নোঙর না করে। তার পরেও জাহাজ আসে হামবানটোটায়। করে নোঙরও।

    আরও পড়ুন : বন্দরে ভেড়েনি চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ, দাবি শ্রীলঙ্কা বন্দর কর্তৃপক্ষের

    জানা গিয়েছে, চিনা এই গুপ্তচর জাহাজ যে কোনও উপগ্রহের ওপরও নজরদারি চালাতে পারে। আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের হদিশও দিতে পারে এই জাহাজ। ওড়িশা উপকূলের কাছে ভারতের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার যাবতীয় তথ্য এই জাহাজ হস্তগত করে চিনে নিয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা ভারতের। যদিও চিনের দাবি, গবেষণা ও সমীক্ষার কাজেই ব্যবহার করা হয় জাহাজটি। তবে পেন্টাগন জানিয়েছে, চিনের ওই জাহাজটি নিয়ন্ত্রিত হয় চিনা পিপলস আর্মির স্ট্র্যাটেজিক সাপোর্ট ফোর্সের দ্বারা।

    এদিকে, এই গুপ্তচর জাহাজ শ্রীলঙ্কা এসে পৌঁছানোর আগেই মঙ্গলবার ভারতের তরফে কলম্বোকে উপহার হিসেবে পাঠানো হয় একটি ডর্নিয়ার বিমান। মূলত মাদক পাচার ও জলসীমান্তে নজরদারি চালাতেই কলম্বোকে এই উপহার দিয়েছে নয়াদিল্লি। শ্রীলঙ্কার বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হস্তান্তরিত করা হয় বিমান। দ্বীপরাষ্ট্রের নয়া প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহে ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, সামুদ্রিক নজরদারিতে আমাদের বিমানবাহিনী, নৌবাহিনীর সঙ্গে ভারতীয় নৌবাহিনীর পারস্পরিক সহযোগিতার যাত্রা শুরু হল। প্রসঙ্গত, শ্রীলঙ্কা বায়ুসেনার মাত্র ১৫ জন এই বিশেষ নজরদারি বিমানটি চালাতে পারবেন। মাস চারেক ধরে তাঁদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে ভারতে।

    আরও পড়ুন : চিনা ঋণের ফাঁদ থেকে সাবধান! সতর্কবার্তা বাংলাদেশি মন্ত্রীর

  • Crude Oil: রাশিয়া থেকে আমদানি কমিয়েছে ভারত, বেড়েছে সৌদি আরব থেকে তেল কেনা 

    Crude Oil: রাশিয়া থেকে আমদানি কমিয়েছে ভারত, বেড়েছে সৌদি আরব থেকে তেল কেনা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল (Crude Oil) আমদানি (Purchase) কমিয়ে দিয়েছে ভারত। পাঁচ মাসে এই প্রথম বার। রাশিয়া (Russia) থেকে আমদানি কমিয়ে তেল আমদানি বাড়ানো হয়েছে সৌদি আরব (Saudi Arabia) থেকে। 

    চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় রুশ জ্বালানি তেলের মূল্য বেড়ে যায়, সেই ক্ষেত্রে অনেকটাই কম দামে সৌদি আরব তেল রপ্তানি করছে। তাই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। 

    ভারত জুলাই মাসে রাশিয়া থেকে প্রতিদিন ৮ লক্ষ ৭৭ হাজার ৪০০ ব্যারেল জ্বালানি তেল আমদানি করেছে। জুন মাসের থেকে যা ৭.৩ শতাংশ কম। 

    আরও পড়ুন: ১০ সন্তানের জন্ম দিয়ে বাঁচিয়ে রাখলেই ১৩ লক্ষ টাকা, জনসংখ্যা বাড়াতে মরিয়া পুতিন

    ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে রাশিয়া, ইউক্রেন আক্রমণ করার পরে, মস্কোর কাছ থেকে পশ্চিমা দেশগুলি তেল কেনা বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে রাশিয়া থেকে কম দামে প্রচুর তেল কেনা শুরু করে ভারত। 
     
    সামগ্রিকভাবে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারী দেশ। কিন্তু জুন থেকে জুলাই মাসে ভারত জ্বালানি তেল আমদানি ৩.২ শতাংশ কমিয়েছে। কারণ দেশের কিছু জ্বালানি শোধনাগার অগাস্ট থেকে রক্ষণাবেক্ষণের পরিকল্পনা করছে। 

    আরও পড়ুন: শীঘ্রই আসছে রাশিয়ার প্রতিনিধি দল! সুখোই নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় জোর

    এ দিকে সৌদি আরব থেকে ভারতের জ্বালানি তেল আমদানি জুলাই মাসে ২৫.৫ শতাংশ বেড়েছে। এখন ভারত প্রতিদিন সেই দেশ থেকে ৮ লক্ষ ২৪ হাজার ৭০০ ব্যারেল জ্বালানি তেল আমদানি করেছে। ভারতের জ্বালানি সরবরাহকারীদের মধ্যে সৌদি আরবের অবস্থান এখন তৃতীয়। 

    উল্টোদিকে তেলের চাহিদা বাড়ায় ফের দাম বাড়িয়েছে রাশিয়া। কিন্তু এতে তেলে রপ্তানি তলানিতে ঠেকেছে রাশিয়ার। দৈনিক ২০ লক্ষ ব্যারেলেরও কম তেল বিক্রি হচ্ছে। তাই রাশিয়া এখন তেল রপ্তানির জন্যে নতুন বাজারের সন্ধান করছে। শ্রীলঙ্কা এবং মিশরেও যাচ্ছে রুশ ট্যাঙ্কার। 

    তবে এখন সৌদি আরবই একমাত্র কম টাকায় অপরিশোধিত তেল দিচ্ছে এমনটা নয়। কম দামে পাওয়া যাচ্ছে মার্কিন তেলও। মার্কিন তেলের কম দামেও আকৃষ্ট হয়েছে ভারত এবং কোরিয়া। ফলে বিশ্বের তেল উৎপাদনকারী দেশগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা অব্যহত। 

     

  • Vladimir Putin: মিত্র দেশগুলিকে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত রাশিয়া, জানালেন পুতিন

    Vladimir Putin: মিত্র দেশগুলিকে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত রাশিয়া, জানালেন পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিত্র দেশগুলিকে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করবে রাশিয়া। মস্কোয় বার্ষিক অস্ত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে এভাবেই মিত্র দেশগুলিকে বন্ধুত্বের বার্তা দিলেন রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। তাঁর কথায়, রাশিয়া সবসময় সার্বভৌম ও স্বাধীন উন্নয়নের পথ বেছে নিয়েছে। এরপরই তিনি জানান, কামান, যুদ্ধবিমান, ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা সহ সকল অত্যাধুনিক অস্ত্রকে (Advanced Weapons) মিত্র দেশ ও অংশিদারীদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে প্রস্তুত রাশিয়া। পাশাপাশি, প্রেসিডেন্ট পুতিন দাবি করেছেন, রাশিয়া (Russia) বিশ্বব্যাপী আধুনিক অস্ত্র রফতানিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর ক্রমশ এই প্রভাব আরও বাড়ছে। সোমবার পিয়ংইয়ংয়ের মুক্তি দিবস উপলক্ষে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনকে চিঠি লিখে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করার কথাও বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

    আরও পড়ুন: ভারত নিজের অধিকারেই বিশ্বে সম্মানিত, স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বার্তায় পুতিন   

    গত ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন- রাশিয়া যুদ্ধ অব্যহত। এই যুদ্ধে পাশে থাকার জন্যে বন্ধু দেশগুলিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পুতিন। একই সঙ্গে ঘোষণা করেন, মিত্র দেশগুলিকে সব রকম সামরিক সহযোগিতা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রাশিয়া।  

    সোমবার ছিল রাশিয়ার বার্ষিক অস্ত্র প্রদর্শনীর অনুষ্ঠান। রাজধানী মস্কোয় সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় পুতিন জানান, বিশ্বজুড়ে অস্ত্র রফতানি ক্ষেত্রে ক্রমশ রাশিয়ার প্রভাব বাড়ছে। এর পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে নিজের দেশের সামরিক পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন। মিত্র দেশগুলির উদ্দেশ্যে বলেন, “আমাদের সমর্থনের জন্য মিত্র দেশগুলিকে ধন্যবাদ।” যদিও রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের প্রেক্ষিতে পশ্চিমের দেশগুলির ব্যাপক রোষানলের মুখে পড়ে রাশিয়া। কিন্তু তারপরেও যুদ্ধ চালিয়ে যায় তারা।

    আরও পড়ুন: পুতিনের হাতে মাত্র দুবছর! দাবি ইউক্রেনের গোয়েন্দা প্রধানের     

    এ নিয়ে পুতিন বলেন,  “আমাদের অনেক প্রতিবেশী এবং মিত্র দেশ রয়েছে। তারা আমাদের নিয়ে চিন্তাভাবনা করে। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।” তিনি আরও বলেন, “মস্কো একটি সার্বভৌম এবং স্বাধীন উন্নয়নের পথ বেছে নিয়েছে। আন্তর্জাতিক আইন মেনে আঞ্চলিক সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ করে এসেছে।”    

  • ISRO Spy Case: ইসরো গুপ্তচর মামলায় প্রাক্তন আইবি আধিকারিককে কোচি বিমান বন্দরে আটকাল সিবিআই 

    ISRO Spy Case: ইসরো গুপ্তচর মামলায় প্রাক্তন আইবি আধিকারিককে কোচি বিমান বন্দরে আটকাল সিবিআই 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসরো গুপ্তচর মামলায় (ISRO Spy Case) কোচি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে (Kochi international airport) এক প্রাক্তন আইবি আধিকারিককে (Former IB Officer) আটকাল বন্দর কর্তৃপক্ষ। শনিবার, ১৩ অগাস্ট স্ত্রীর সঙ্গে  লন্ডনে যাওয়ার কথা ছিল কেভি থমাসের (KV Thomas)। সেই মতো ব্যাগ চেক-ইন করাও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু লন্ডন যাওয়া আর হল না। কারণ তার আগেই বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায় তাঁর নামে ‘লুক আউট’ নোটিস জারি করেছে সিবিআই (CBI)। প্রায় চার দশক আইবিতে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব সামলেছেন কেভি থমাস। অ্যাসিসট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে অবসর নিয়েছেন। এই ঘটনায় হতচকিত হয়ে যান ওই প্রাক্তন গোয়েন্দা আধিকারিক। বলেন, ওই নোটিস সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। আইনি সহয়তা নেবেন বলেও জানান তিনি। 

    তিনি বলেন, “আমি আদালতের কাছে অনুরোধ করব যাতে আমার ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয় এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টিতেও যাতে নজর দেওয়া হয়। আমরা আমাদের মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলাম। ও এখন লন্ডনে আছে। আমরা প্রতি টিকিটের জন্যে ৩ লক্ষ টাকা করে খরচ করেছি। ভারতের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের আগে এই উপহার পেলাম আমি।”

    ১৯৯৪ সালের ইসরো গুপ্তচর মামলায় তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন কেভি থমাস। এই মামলাতেই বিজ্ঞানী এস নাম্বিনারায়ণন (S Nambinarayanan) গ্রেফতার হন। ভারতের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অর্থের বিনিময়ে অন্য দেশে পাচার করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ১৯৯৫ সালে সিবিআই এই মামলা থেকে মুক্তি দেয় বিজ্ঞানীকে। তারপর থেকে নাম্বিনারায়ণন, যারা তাঁকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে লড়াই করতে থাকেন। গত বছর শীর্ষ আদালত তিন জনের একটি কমিটি গঠন করে। ইসরোর এই প্রাক্তন বিজ্ঞানীকে কারা ফাঁসিয়েছিলেন, কোন সরকারি আধিকারিকরা জড়িত আছেন, সেই বিষয়ে তদন্ত পরিচালনার জন্যে। কমিটিটি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ডিকে জৈনের নেতৃত্বে গঠিত হয়।   

    জাস্টিস ডিকে জৈনের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর শীর্ষ আদালত মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়। ১৮ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে গোয়েন্দা সংস্থাটি। এর মধ্যে রয়েছেন কেরলেন দুজন উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্তা। ষড়যন্ত্র এবং প্রমাণ জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে এই পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে। ১৯৯৪ সালে কেভি থমাস আইবি আধিকারিকের পদে মালাপ্পুরমে কর্মরত ছিলেন। আর এই মামলায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন।  

  • Manish Sisodia: দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই হানা! স্বাগত ট্যুইট মণীশ, কেজরির

    Manish Sisodia: দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই হানা! স্বাগত ট্যুইট মণীশ, কেজরির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে হানা দিল সিবিআই আধিকারিকরা। শুক্রবার সকালে জানা গিয়েছে, দিল্লির আবগারি নীতি নিয়ে যে দুর্নীতি ও বিতর্কের শুরু হয়েছে, সেই সংক্রান্ত তদন্তেই শুক্রবার সকালে দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছয় সিবিআই। 

    এদিন সকাল আটটা নাগাদ সিবিআই আধিকারিকরা মণীশ সিসোদিয়ার  বাড়িতে গেলেই পুলিশি নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয় বাড়ি। সূত্রের খবর, দিল্লির আবগারি নীতিতে বেনিয়মের যে অভিযোগ তুলেছিলেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর, সেই তদন্তেই উপ-মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। মণীশ সিসোদিয়া নিজেই ট্যুইট করে সিবিআই আসার কথা জানিয়েছেন। তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করার আশ্বাসও দেন তিনি।

    উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই হানার নিন্দা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। ট্যুইটবার্তায় তিনি বলেন, “যেদিন আমেরিকার সবথেকে বড় সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমসে দিল্লির শিক্ষা মডেলের প্রশংসা করা হয়েছে এবং মণীশ সিসোদিয়ার ছবি প্রথম পাতায় ছাপানো হয়েছে, সেইদিনই মণীশের বাড়িতে কেন্দ্র থেকে সিবিআই পাঠানো হল। সিবিআইকে স্বাগত। আমরা তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করব। এর আগেও অনেক পরীক্ষা, তল্লাশি চালানো হয়েছে, কিন্তু কিছুই পাওয়া যায়নি। এবারও কিছু পাওয়া যাবে না।”

    বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকেরা আসতেই মণীশ সিসোদিয়া পরপর ট্যুইট করে লেখেন, “সিবিআই এসেছে। আমরা সৎ, লক্ষাধিক শিশুর ভবিষ্যৎ তৈরি করছি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এই দেশে যারাই ভাল কাজ করেন, তাদের এইভাবে হেনস্থা হতে হয়। দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নতির জন্য আমি যে কাজ করছি, তা কোনভাবেই আটকানো যাবে না।”

    আরও পড়ুন: অনুব্রতের চালকলে সিবিআই হানা! মিলল রাজ্য সরকারের স্টিকার লাগানো ৫টি গাড়ি

    সিবিআইকে স্বাগত জানিয়ে মণীশ  বলেন, তিনি চান সত্যিটা দ্রুত সামনে আসুক। তার জন্য সবরকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত তিনি। দুর্নীতি দমনের লক্ষ্যে এদিন সারা দেশের সাতটি রাজ্যের ২০টি জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। 

     

  • NATO: আগ্রহী খোদ আমেরিকা, ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে মোদির দেশ?

    NATO: আগ্রহী খোদ আমেরিকা, ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে মোদির দেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাটোর (NATO) সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়ে গিয়েছে ভারতের (India)। এটাই ছিল প্রথমবার। তবে ন্যাটোর সঙ্গে ভারতের কথাবার্তা চলবে বলেও জানা গিয়েছে। ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর ওই বৈঠক হয়েছিল। শীঘ্রই আবার এ নিয়ে ন্যাটোর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে নয়াদিল্লি।

    ১৯৪৯ সালের ৪ এপ্রিল গড়ে ওঠে নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন, সংক্ষেপে ন্যাটো। এই ন্যাটোর সদস্যভুক্ত দেশগুলি পারস্পরিক সহযোগিতা দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। জানা গিয়েছে, ন্যাটোর সঙ্গে ভারতের প্রথম বৈঠকে নয়াদিল্লির (New Delhi) তরফে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রক ও প্রতিরক্ষামন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরা। ওই বৈঠকই হতে চলেছে খুব শীঘ্রই। ন্যাটোয় ভারতকে যুক্ত করতে আগ্রহী খোদ আমেরিকা (America)। কিছুদিনের মধ্যেই নতুন কয়েকটি দেশের কাছে ন্যাটোর সঙ্গে প্রতিরক্ষামূলক অংশীদারিতে কাজ করার প্রস্তাব দিতে চলেছে সামরিক এই জোট। তার মধ্যে অন্যতম একটি দেশ হল ভারতও।

    আরও পড়ুন : তাইওয়ানে পা রাখলেন ন্যান্সি, সমরসজ্জা শুরু চিন আমেরিকার?

    ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন সাংসদ রো খান্না বলেন, আরও বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা মূলক চুক্তি করতে চান ন্যাটো নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ড, ইজরায়েল এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে চুক্তি করার কথা ভাবা হচ্ছে। আমি চাই সেই তালিকায় যোগ হোক ভারতের নামও। সেটা হলে এই প্রতিরক্ষা চুক্তি বাস্তবায়িত করতে সুবিধা হবে। তিনি জানান, ভারতের সঙ্গে শক্তিশালী বন্ধন গড়ে তুলতে চায় আমেরিকা। খান্না বলেন, দুই গণতান্ত্রিক দেশের মধ্যে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ গড়ে তোলা খুবই প্রয়োজন। বিশেষত, চিন ও রাশিয়া খুবই আগ্রাসী নীতি অবলম্বন করে চলেছে। এহেন পরিস্থিতিতে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে প্রতিরক্ষামূলক সমঝোতা গড়ে তোলা খুবই প্রয়োজন। তিনি বলেন, চিনা আগ্রাসনের মোকাবিলায় ভারতের পাশে দাঁড়ানো উচিত আমেরিকার। ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে কাজ করছি আমি। চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতে ভারত যেন নিজেদের রক্ষা করতে পারে, সে কথা মাথায় রাখা উচিত আমাদের।

    আরও পড়ুন : চিনা হুমকি, তাইওয়ানে মহড়া শুরু যুদ্ধের

    রাজনৈতিক মহলের মতে, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ভারত প্রাসঙ্গিক। কারণ এর ভূরাজনৈতিক অবস্থান। সেই কারণেই ভারতকে ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছে জো বাইডেনের দেশ।

     

  • CJI U U Lalit: দেশের ৪৯তম প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন উদয় উমেশ ললিত, জানেন তিনি কে?

    CJI U U Lalit: দেশের ৪৯তম প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন উদয় উমেশ ললিত, জানেন তিনি কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রধান বিচারপতি (Cheif Justice of India) পদের দায়িত্ব নিতে চলেছেন উদয় উমেশ ললিত (Uday Umesh Lalit)। দেশের ৪৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে তাঁকে নিযুক্ত করতে চলেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। ভারতের দ্বিতীয় বিচার বিভাগীয় প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হচ্ছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: উত্তরসূরির নাম সুপারিশ করলেন এনভি রমানা, কে হবেন প্রধান বিচারপতি?     

    উদয় উমেশ ললিত মুম্বইয়ের ল কলেজে পড়াশোনা করেছেন। ১৯৮৫ সাল অবধি তিনি বোম্বে হাইকোর্টে প্র্যাক্টিশ করতেন। ১৯৮৬ সালে দিল্লিতে পাড়ি দেন তিনি। ১৯৮৬-১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল সোলি জে সোবারজির সঙ্গে কর্মরত ছিলেন। আগামী ২৭ অগস্ট তিনি শপথ গ্রহণ করবেন বলে সূত্রের খবর। ৬৪ বছর বয়সী জাস্টিস ললিতের জীবনে বেশ কিছু ঐতিহাসিক রায় রয়েছে।   
     
    প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা তাঁর নাম সুপারিশ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। আগামী ৮ নভেম্বরই অবসরগ্রহণ করতে পারেন জাস্টিস ললিত। অত্যন্ত কম সময়ের জন্য় তিনি এই পদে বসছেন। জাস্টিস ললিত দ্বিতীয় প্রধান বিচারপতি হতে চলেছেন যিনি সরাসরি বার থেকে শীর্ষ আদালতের শীর্ষ পদে বসতে চলেছেন। এর আগে ভারতের ১৩তম প্রধান বিচারপতি জাস্টিস এসএম সিকরি সরাসরি শীর্ষ আদালতের বেঞ্চে বসেছিলেন। 

    আরও পড়ুন: বিচারালয় শুধুমাত্র সংবিধানের কাছেই দায়বদ্ধ, মন্তব্য দেশের মুখ্যবিচারপতির

    ২০১৪ সালের ১৩ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হন জাস্টিস ললিত। তার সময়কালে একের পর এক দৃষ্টান্তমূলক রায় দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল তিন তালাক প্রত্যাহার এবং তিন তালাককে ‘অকার্যকর’, ‘অবৈধ’ এবং ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করা। ২০১৯ সালে রাজনৈতিভাবে সংবেদনশীল বাবরি মসজিদ মামলার শুনানি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করেছিলেন তিনি। তাঁর আর এক দৃষ্টান্তমূলক রায় হল পক্সো আইনের আওতায় ‘স্কিন টু স্কিন’ থিওরি বাতিল। হাইকোর্ট বলেছিল নিপীড়িতের সঙ্গে অভিযুক্তের সরাসরি ত্বকের যোগাযোগ না হলে অভিযুক্ত  দোষী সাব্যস্থ হবে না। এই রায় বাতিল করে ললিত বলেন যৌন আক্রমণের ক্ষেত্রে ত্বকের সঙ্গে ত্বকের যোগাযোগের থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যৌন অভিপ্রায়। টু জি স্পেকট্রাম মামলায় সিবিআই-এর পক্ষে বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর নিযুক্ত করা হয়েছিল।   

    আইনজীবী হিসেবে একাধিক হাই প্রোফাইল মামলায় যুক্ত ছিলেন বিচারপতি ললিত। দেশের প্রাক্তন সেনা প্রধান ভিকে সিংহ, পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহ, সলমন খানের হয়ে মামলা লড়েছেন তিনি। দেশের বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হয়েও সোহরাবউদ্দিন শেখ এবং তুলসিরাম প্রজাপতি হত্যা মামলায় সওয়াল করেন জাস্টিস ললিত। 

  • Bihar Politics: দলকে কলঙ্ক মুক্ত রাখতে নয়া ফরমান তেজস্বী যাদবের, জানেন কী কী?    

    Bihar Politics: দলকে কলঙ্ক মুক্ত রাখতে নয়া ফরমান তেজস্বী যাদবের, জানেন কী কী?    

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারে (Bihar) আরজেডির (RJD) বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বারংবার। তাই দুর্নীতির কালি যাতে গায়ে না লাগে, সেজন্য প্রথম থেকেই দলের মন্ত্রীদের সতর্ক করে দিলেন আরজেডি নেতা তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব (Tejashwi Yadav)। বেঁধে দিলেন নির্দিষ্ট আচরণ বিধি। কী করবেন আর কী করবেন না সম্বলিত ছ দফা নির্দেশিকাও ধরিয়ে দিলেন মন্ত্রীদের হাতে।

    শপথ নেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই অপরাধমূলক কার্যকলাপের অভিযোগ উঠেছে নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) মহাজোট সরকারের দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এঁরা দুজনেই আরজেডির। এহেন আবহে তেজস্বীর এই নির্দেশিকা জারি দলকে কলঙ্কের হাত থেকে রক্ষা করতেই বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। তেজস্বীর নয়া নির্দেশ অনুযায়ী, আরজেডির কোনও মন্ত্রী নিজ নিজ দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের জন্য নতুন করে গাড়ি কিনতে পারবেন না। সমর্থক, সমাজকর্মী, শুভাকাঙ্খী বয়স যাই হোক না কেন, কাউকে পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে দেওয়া যাবে না। তার বদলে শুভেচ্ছা বিনিময়ের ক্ষেত্রে হাতজোড় করেন নমস্কার কিংবা সেলাম করতে হবে। সকলের সঙ্গে ভদ্র ব্যবহার করার নির্দেশও দিয়েছেন তেজস্বী। জনসংযোগ বাড়াতে জাত-ধর্ম নির্বিশেষে দরিদ্র ও দুঃস্থ মানুষদের সাহায্যে এগিয়ে যেতে হবে। উপহার দেওয়া নেওয়ার প্রথায়ও বদল আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তেজস্বীর নির্দেশ, উপহার বা ফুলের তোড়ার বদলে বই দেওয়া নেওয়ায় জোর দিতে হবে। সকলকে তাতে উৎসাহিতও করতে হবে। দলের কোনও মন্ত্রী যাতে কলঙ্কের ভাগীদার না হন, সেজন্য তেজস্বীর ফরমান, কাজের ক্ষেত্রে সততা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে।

    আরও পড়ুন : নতুন সঙ্গী আরজেডি! বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ নীতীশের, ফের ‘মহাজোট’-এর পথে বিহার?

    মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে সকলকে দ্রুত নীতি রূয়াপণ ও কাজ শেষ করতে হবে। সব মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী ও বিহার সরকার ও তাদের সব দফতর কী কী উন্নয়নমূলক কাজ করছে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। প্রসঙ্গত, নীতীশের নয়া মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা ৩৩। এর মধ্যে তেজস্বী ছাড়া আরজেডির মন্ত্রী রয়েছেন ১৬ জন। তেজস্বী উপমুখ্যমন্ত্রী। স্বদলের এই ১৬ মন্ত্রীর জন্যই নয়া ফরমান ঘোষণা করেছেন তেজস্বী।

    আরও পড়ুন : নীতীশ ‘পরজীবী’, তোপ বিহার বিজেপির

     

LinkedIn
Share