Blog

  • Terrorism: ফের কাশ্মীরি পন্ডিতের রক্তে ভিজল উপত্যকা

    Terrorism: ফের কাশ্মীরি পন্ডিতের রক্তে ভিজল উপত্যকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংখ্যালঘুর রক্তে ফের রক্তাক্ত উপত্যকা (Terrorism)। সন্ত্রাসবাদীদের হাতে আবার খুন হলেন কাশ্মীরি (Jammu and Kashmir) পন্ডিত (Kashmiri Pandit)। মৃত ব্যক্তির নাম পুরণ কৃষাণ ভাট। এই ঘটনার পরই সন্ত্রাসবাদীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। ঘটনায় উত্তাল জম্মু কাশ্মীর। বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। শনিবার সকালে বাড়ির সামনে তাঁকে গুলি করে পালায় জঙ্গিরা। কাশ্মীর পুলিশ ট্যুইটারে জানিয়েছে, “সোপিয়ানের চৌদারি গুণ্ড এলাকায় বাগিচায় যাচ্ছিলেন পুরাণকৃষাণ। তখন ওই সংখ্যালঘুকে নিশানা করে গুলি করে পালায় জঙ্গিরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু চলছে।”  

     


          
    দক্ষিণ কাশ্মীর জেলার চৌধরি গুন্ড এলাকায় পুরন ভাটের বাড়ির সামনেই তাঁর উপর হামলা চালানো হয়েছে। গুলি লাগার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে সোপিয়ান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। দুটি সন্তান রয়েছে ভাটের। একজন সপ্তম শ্রেণি ও অন্যজন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। মৃত ব্যক্তির পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, বাড়ি থেকে বাইরে যেত না পুরণ। ঘরেই থাকত। সন্ত্রস্ত পরিবারের সবাই। 

    পন্ডিত খুনের দায় স্বীকার করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘কাশ্মীর ফ্রিডাম ফাইটার’। ডিআইজি সুজিত কুমার বলেন, ” কাশ্মীর ফ্রিডাম ফাইটার ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। আমরা সম্পূর্ণ নিশ্চিত না হয়ে মন্তব্য করতে চাই না। সেই মুহূর্তে সেখানে এক নিরাপত্তারক্ষী উপস্থিত ছিলেন। নিরাপত্তারক্ষী ওই এলাকায় একজনকেই দেখেছেন। অন্য কেউ লুকিয়ে থাকলে তাঁকে দেখা যায়নি। স্কুটারে করে এসেছিল খুনিরা। দুজন ছিল। নিরাপত্তারক্ষীর সামনে ঘটনাটি ঘটলে নিরাপত্তারক্ষীসহ ওই এলাকার কর্মরত সব আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” 
     
    প্রসঙ্গত, এ বছর এর আগে একাধিক কাশ্মীরি পণ্ডিতকে হত্যা করা হয়েছে। মে মাসেই বুদগামে তেহসিলদারের অফিসে ঢুকে ৩৬ বছর বয়সী রাহুল ভাটকে খুন করে সন্ত্রাসবাদীরা। তারপরই শয়ে শয়ে কাশ্মীরি পণ্ডিত প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখায়। গত বছর অক্টোবর থেকেই কাশ্মীরে এইরকম একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়ে আসছে। ফের সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে প্রাণ গেল আরেক কাশ্মীরি পণ্ডিতের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Global Recession: বিশ্ব মন্দার ধাক্কা ভারতে তেমন পড়বে না, জানালেন স্টেট ব্যাংকের চেয়ারম্যান  

    Global Recession: বিশ্ব মন্দার ধাক্কা ভারতে তেমন পড়বে না, জানালেন স্টেট ব্যাংকের চেয়ারম্যান  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসছে বিশ্বব্যাপী মন্দা (Global Recession)। এ খবর আমরা আগেই জেনেছি। তবে সে মন্দার ধাক্কা তামাম বিশ্বের অন্যান্য দেশে যে প্রভাব ফেলবে, ভারতে সেরকম কিছু ঘটবে না। শুক্রবার একথা জানালেন স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার (SBI) চেয়ারম্যান দীনেশ খাড়া। তিনি জানান, বিশ্বের অন্যান্য দেশে মন্দার বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়লেও, ভারতে তার ধাক্কা হবে মৃদু। অর্থনীতির ক্ষেত্রে ভারতের (India) অবস্থান ক্রমেই যে ভালর দিকে যাচ্ছে, তা আগেও  জানিয়েছিলেন তিনি। এদিনও জানান, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ভাল করছে ভারত। বৃদ্ধির হার ৬.৮ শতাংশ।

    আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার (IMF) ও বিশ্বব্যাংকের বাৎসরিক বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছেন দীনেশ। ওই বৈঠকের  ফাঁকেই তিনি কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। দীনেশ বলেন, ভারতে বৃদ্ধির হার ৬.৮। মুদ্রাস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যুক্তিপূর্ণভাবেই ভাল করছে ভারত। তিনি বলেন, চাহিদার নিরিখে ভারতের অর্থনীতি অন্তর্মুখী। কারণ এখানকার জিডিপি দেশীয় অর্থনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই গোটা বিশ্বে মন্দা থাবা বসালেও, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তার প্রভাব পড়লেও, আমার মনে হয়, ভারতে তেমন প্রভাব পড়বে না।

    তিনি বলেন, আমরা যদি বেটা ফ্যাক্টরের দিকে তাকাই, তাহলে আমরা দেখব বিশ্বের বৃহত্তর অর্থনীতির যেসব দেশ রয়েছে, যারা প্রচুর পরিমাণে রফতানি করে, তাদের বেটা ফ্যাক্টরের তুলনায় ভারতের বেটা ফ্যাক্টর খুবই কম। স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান বলেন, মুদ্রাস্ফীতির প্রাথমিক কারণ চাহিদা ভিত্তিক নয়, এটি অবশ্যই জোগান ভিত্তিক। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে দীনেশ বলেন, আমরা যদি জোগানের দৃষ্টিতে মুদ্রাস্ফীতিকে দেখি, তাহলে দেখব আমাদের ইউটিলাইজেশন ক্যাপাসিটি প্রায় ৭১ শতাংশ। যার অর্থ হল, আমাদের এই ক্যাপাসিটি বাড়ানোর সামান্যতম হলেও জায়গা রয়েছে। তাই জোগান চেইনে কোনও বিঘ্ন ঘটলে, যেটা ইদানিং বিশ্বের নানা ঘটনার জেরে ঘটছে, যার প্রভাব পড়েছে অপরিশোধিত তেলের ক্ষেত্রেও, তাহলে তার প্রভাব অর্থনীতিতে পড়বেই।

     

     

  • Sai Baba: সাইবাবার জীবন জুড়ে রয়েছে নানান অলৌকিক কাহিনী! তাঁর তিরোধান দিবসে জানুন সেই গল্প

    Sai Baba: সাইবাবার জীবন জুড়ে রয়েছে নানান অলৌকিক কাহিনী! তাঁর তিরোধান দিবসে জানুন সেই গল্প

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: পুণের নামকরা ব্যক্তিত্ব, সম্ভ্রান্ত মানুষ ভীমাজী পেটেল টাঙা থেকে আশ্রমের গেটে নামলেন। দুরারোগ্য যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত তিনি। উপাসনা করে থাকেন তিনি , এমন সব ঠাকুরের কাছে মানত করেও কোনও ফল হয়নি। শীর্ণকায় শরীরে আশ্রমের দরজা  থেকে সন্ন্যাসীর  কাছ পর্যন্ত যাওয়ার ক্ষমতাও তাঁর নেই। কঙ্কালসার দেহটিকে টানতে টানতে, ধুঁকতে থাকা ভীমা, হাউ হাউ করে কাঁদতে কাঁদতে সন্ন্যাসীর পায়ে গিয়ে পড়লেন। বললেন, ‘আমাকে তুমি কৃপা করো, রোগ থেকে মুক্ত করো’। একগাল হেসে সন্ন্যাসী হেসে বললেন, ‘তাঁর কৃপা হলে তুমি আবার দাঁড়িয়ে উঠবে, আবার আগের মতোই বাঁচবে’। এই কথা বলে ওই বাবাজী ধুনির পাশে জমে থাকা ভস্ম থেকে একমুঠো ভস্ম নিয়ে ভীমার মাথায় মাখিয়ে দিলেন। সামনে বসে থাকা ভক্তরা বিস্মিত হয়ে দেখলো, কঙ্কালসার হয়ে যাওয়া ভীমাজীর মৃতপ্রায় দেহটা ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়ালো। আগের থেকে তাঁর চোখমুখ অনেক উজ্জ্বল। হাজার হাজার মানুষের চোখের সামনে ঘটে যাওয়া এই অলৌকিক ঘটনার কোনও ব্যাখ্যা খুঁজে না পাওয়া গেলেও, ভীমাজী কিন্তু সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। ভক্তরা স্তম্ভিত হয়ে জয়ধ্বনি দিয়ে উঠল বাবাজীর নামে। এমন প্রচলিত বহু গল্প রয়েছে এই বাবাজী সম্পর্কে।

    গল্প যাই থাকুক উনবিংশ শতকে তিনি ছিলেন এই দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ধর্মগুরু। শিরডির সাইবাবা। আজ তাঁর তিরোধান দিবস। ১৯১৮ সালের ১৫ই অক্টোবর তাঁর প্রয়াণ হয়। প্রচলিত বিশ্বাস মতে, ব্রাহ্মণ ঘরে ১৮৩৫ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। অনেক ভক্তের মতে, তিনি ছিলেন সদ্গুরু, সুফি পির বা কুতুব। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে তার পরিচিতি ছড়িয়ে পড়লেও, ভারতেই তিনি সর্বাধিক শ্রদ্ধা অর্জন করেছিলেন। সাই বাবার প্রকৃত নাম জানা যায় না শিরডিতে আগমনের পর তাকে “সাই” নাম দেওয়া হয়। তার জন্ম বা জন্মস্থান সংক্রান্ত কোনও প্রামাণিক তথ্য আজও জানা যায় না। সাই বাবা তাঁর পূর্বাশ্রমের কথা জানিয়ে যাননি। সাই শব্দটি সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে। এই শব্দের অর্থ “সাক্ষাৎ ঈশ্বর” বা “দিব্য”। ভারতীয় ভাষাগুলিতে সাম্মানিক “বাবা” কথাটির অর্থ “পিতা”, অর্থাৎ, সাই বাবা নামের অর্থ “দিব্য পিতা” বা “পিতৃরূপী সন্ত”। তাঁর পিতামাতা, জন্মের বৃত্তান্ত এবং ষোলো বছর বয়সের পূর্বের কথা জানা যায় না।

    আরও পড়ুন : ভোল বদলে ঢোকার চেষ্টা করছে শহুরে নকশালরা, গুজরাটবাসীকে সতর্ক করলেন মোদি

    সাই বাবা পার্থিব বস্তুর প্রতি আগ্রহী ছিলেন না।  আত্ম-উপলব্ধি ছিল তাঁর প্রিয় বিষয়। তিনি সন্ত হিসেবে খুবই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। বিশ্বের নানা অংশের মানুষ তার পূজো করেন। ভালবাসা, ক্ষমা, পরস্পরকে সহায়তা, দান, সন্তুষ্টি, আন্তরিক শান্তি ও ঈশ্বর ও গুরুর প্রতি ভক্তির শিক্ষা দিতেন। আমেদাবাদের শিরডিতে পৌঁছে লোকমধ্য তাঁর বাণী দিয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেন তিনি। যে মসজিদে তিনি বাস করতেন, তার একটি হিন্দু নামও দিয়েছিলেন। এই নামটি হল “দ্বারকাময়ী”।  শিরডির একটি হিন্দু মন্দিরে তাকে সমাহিত করা হয়। তাঁকে ঘিরে বাংলাতেও পাঁচালী পাওয়া যায় ,  
    ভিক্ষা করি চাল আনি অন্ন রন্ধন করি।
    পশুপক্ষীকে দিয়ে তবে খেতেন পেট ভরি।।
    কখনো আশ্রিতদের কিছু অন্ন দিয়ে।
    অর্ধ পেট ভোজনেও থাকতেন তৃপ্ত হয়ে।।
    ভারতেই নয়, বিদেশেও হিন্দু, মুসলিম, শিখ ইত্যাদি বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা তাঁর পুজো করে থাকেন।

  • Mohammed Shami: অভিজ্ঞতায় ভরসা! বুমরাহর পরিবর্তে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে শামি

    Mohammed Shami: অভিজ্ঞতায় ভরসা! বুমরাহর পরিবর্তে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে শামি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশ্ন ছিল তারুণ্য না অভিজ্ঞতা? উত্তর মিলল। শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞতাকেই প্রাধান্য দিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI)। টি-২০ বিশ্বকাপে জশপ্রীত বুমরাহর পরিবর্তে মহম্মদ শামিকে (Mohammed Shami)মূল স্কোয়াডে নিল বিসিসিআই । ১৬ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে টি-২০ বিশ্বকাপ (T20 World Cup 2022)। ভারত অভিযান শুরু করবে ২৩ অক্টোবর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য অস্ট্রেলিয়া রওনা দেওয়া ঠিক আগে চোট পান ভারতীয় দলের মুখ্য পেসার জশপ্রীত বুমরাহ। বিশ্বকাপ দলে পরিবর্তনের শেষ তারিখ ১৫ অক্টোবর। তার আগে শুক্রবার বুমরাহর পরিবর্তে শামির নাম ঘোষণা করা হয়েছে বোর্ডের তরফে।  সেইসঙ্গে জানান হয়েছে, ব্যাকআপ পেসার হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছেন মহম্মদ সিরাজ এবং শার্দুল ঠাকুর।

    শুক্রবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) তরফে বলা হয়েছে, ‘পুরুষদের আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল দলে জশপ্রীত বুমরাহের পরিবর্ত হিসেবে মহম্মদ শামির নাম ঘোষণা করেছে নির্বাচক কমিটি। ইতিমধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে গিয়েছেন শামি এবং ওয়ার্ম-আপ ম্যাচের আগে ব্রিসবেনে ভারতীয় দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।’ উল্লেখ্য, আগামী ১৭ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ার্ম-আপ ম্যাচ খেলবে ভারত। দু’দিন পর (১৯ অক্টোবর) নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ার্ম-আপ ম্যাচ আছে রোহিত শর্মাদের।

    আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন ভারতের মেয়েরা

    চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়া বুমরাহর জায়গায় বিশ্বকাপের দলে এসেছেন মহম্মদ শামি। বাংলার বোলারকে নিয়ে দলনায়ক রোহিত বলেছেন, “মহম্মদ শামিকে ইদানীং খেলতে দেখিনি। তবে শুনেছি ও ভাল ছন্দে রয়েছে। রবিবার ব্রিসবেনে আমাদের অনুশীলন রয়েছে। সেখানে শামিকে দেখার জন্যে মুখিয়ে রয়েছি।” দীর্ঘদিন পর টি-২০ ফরম্যাটে ভারতীয় দলের হয়ে মাঠে নামবেন মহম্মদ শামি। শেষবার ভারতের হয়ে খেলেছিলেন ২০২১ টি-২০ বিশ্বকাপে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Pakistan Threat: লোন না দিলে উড়িয়ে দেওয়া হবে এসবিআই, হুমকি পাকিস্তানির!

    Pakistan Threat: লোন না দিলে উড়িয়ে দেওয়া হবে এসবিআই, হুমকি পাকিস্তানির!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (SBI) উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি! স্টেট ব্যাংকের মুম্বইয়ের নরিম্যান পয়েন্ট শাখায় ওই হুমকি দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার এ খবর জানিয়েছে মুম্বই পুলিশ। জানা গিয়েছে, যে ফোনে হুমকি দিয়েছে, সে তার পরিচয় দিয়েছে মহঃ জিয়াউল আলিম বলে। তার দাবি, সে পাকিস্তান (Pakistan) থেকে ফোনে কথা বলছে। সে ব্যাংকের ওই শাখা থেকে লোন চেয়েছিল। লোন দেওয়া না হলে ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে অপহরণ করার হুমকি দিয়েছিল। দিয়েছিল খুনের হুমকিও। ওই ব্যক্তির হুমকি, লোন দেওয়া না হলে উড়িয়ে দেওয়া হবে ব্যাংকও।

    মুম্বই পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি স্টেট ব্যাংকের নরিম্যান পয়েন্ট শাখার ল্যান্ড লাইনে ফোন করে। ১৩ অক্টোবর বেলা এগারোটা নাগাদ ফোনটি আসে। ওই ফোনেই সে হুমকি (Pakistan Threat) দেয়। নিজেকে সে মহঃ জিয়াউল আলিম বলে পরিচয় দেয়। সে বলে, সে পাকিস্তান থেকে কথা বলছে। তাকে লোন দেওয়া না হলে ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে অপহরণ করা হবে। করা হবে খুনও। এসবিআইয়ের ওই শাখা উড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয় সে। অজ্ঞাত পরিচয় ওই ব্যক্তির হুমকি ফোন (Pakistan Threat) পাওয়ার পরেই মেরিন ড্রাইভ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তির নামে দায়ের হয়েছে অভিযোগ। অভিযোগ দায়ের করেছেন স্টেট ব্যাংকের সহকারী নিরাপত্তা ম্যানেজার অজয়কুমার শ্রীবাস্তব। ৫০৬/২ ধারায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ। অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিটি আদপে কে, সে কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ভারতে বন্ধ পাকিস্তান সরকারের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট

    তদন্তে নেমে পুলিশ ফোন নম্বরের কল ডিটেল রেকর্ড খতিয়ে দেখে জানতে পারে, ফোনটি এসেছিল পশ্চিমবঙ্গ থেকে। অভিযুক্তের খোঁজে ইতিমধ্যেই বাংলার দিকে রওনা দিয়েছে মুম্বই পুলিশ। পশ্চিমবঙ্গে নানা সময় জঙ্গি ধরা পড়েছে। ধরা পড়েছে জঙ্গি গোষ্ঠীর এজেন্টও। এই ব্যক্তি নিতান্তই সাধারণ মানুষ নাকি কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রতিনিধি, তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Anubrata Mondal: কেষ্টহীন কালী পুজো কেমন হবে বোলপুরে? নজর সিবিআইয়ের

    Anubrata Mondal: কেষ্টহীন কালী পুজো কেমন হবে বোলপুরে? নজর সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মা কালীর অন্যতম বিশেষত্ব তাঁর রাশি রাশি সোনার গয়না। কালী পুজোর (Kali Pujo) আগের দিন সেই সব গয়না একত্রিত করা হয়। এরপর অনুব্রত মণ্ডলের উপস্থিতিতে সেই গয়না মা কালীর অঙ্গে এক এক করে পরানো হয়। কিন্তু এবার তিনি জেলে। তাহলে কী হবে?  তা নিয়েই এখন আলোচনা চলছে বীরভূম জেলা তৃণমূলের অফিসে (Birbhum TMC)। তবে এই পুজোর দিকে নজর রাখছে সিবিআইও (CBI)।

    আরও পড়ুন: ৮ বছরে আয় বেড়েছে প্রায় ১৭৫ গুণ! অনুব্রত কন্যা সুকন্যার আয়কর রিটার্ন চমকে দেবে আপনাকেও

    গরু-পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর কালী প্রতিমার গয়নাও রয়েছে সিবিআইয়ের স্ক্যানারে। গত বছর পর্যন্ত যে পরিমাণ গয়নার হিসাব পাওয়া গিয়েছে তার বর্তমান বাজার মূল্য কয়েক কোটি টাকা। এত গয়না কোথা থেকে এল, তা জানতে গয়নার ব্যবসায়ীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। প্রতিবছর বোলপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ঘটা করে শ্যামাপুজো করতেন অনুব্রত মণ্ডল।  ১৯৮৮ সাল থেকে শুরু হওয়া পুজোয় এত জাঁকজমক আগে ছিল না। তবে, রাজ্যে পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে পুজোর জৌলুস বাড়তে থাকে। পাশাপাশি বাড়তে শুরু করে অনুব্রতের কালী প্রতিমার সোনার অলংকারও।

    আরও পড়ুন: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ প্রমোটার রানা সরকারকে সিবিআইয়ের জেরা! কী জানতে চাইলেন অফিসারেরা

    বিশেষ সূত্রে খবর, ২০১৮ সালে কালী প্রতিমার সোনার গয়নার পরিমাণ ছিল ১৮০ ভরি। ২০১৯ সালে তা বেড়ে হয় ২৬০ ভরি। ২০২০ সালে এই  সোনার গয়নার পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৬০ ভরি। ঠিক তার পরের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে সোনার মুকুট, বাউটি, বাজুবন্ধন, চুর, কানের দুল, গলার হার মিলিয়ে প্রায় ৫৭০ ভরি সোনার গয়নায় কালীমূর্তিকে সাজিয়েছেন অনুব্রত নিজে। এবছর কালীপুজো ২৪ অক্টোবর। অনুব্রতকে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজির করানোর কথা ২৯ তারিখ। অতএব দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোও হয়ত জেলেই কাটবে কেষ্টর। যদিও পুজো বন্ধ হবে না, বলে জানিয়ে দিয়েছেন অনুব্রতের ঘনিষ্ঠ, বোলপুরের বিধায়ক ও মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিং। তাঁর কথায়, ‘‘পুজো যেমন হয় তেমনই হবে। দলের কর্মীরাই দায়িত্ব নিয়ে সেই পুজোর আয়োজন করবেন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bhubaneswar: সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানাবে ওড়িশার লেডি ব্ল্যাকমেলারের কাহিনী! জানেন অর্চনার গল্প?

    Bhubaneswar: সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানাবে ওড়িশার লেডি ব্ল্যাকমেলারের কাহিনী! জানেন অর্চনার গল্প?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার লেডি ব্ল্যাকমেলারের কাহিনী হার মানাবে সিনেমার চিত্রনাট্যকেও। ওড়িশার কালাহান্ডির গরীব ঘরের মেয়ে অর্চনা নাগ। এখন প্রাসাদের মতো বাড়ি। বাড়ির সাজসজ্জা চোখ ধাঁধাবে। বিদেশি আসবাবপত্র, বিলাসবহুল গাড়ি, চারটি দামি কুকুর এবং একটি সাদা ঘোড়া কী নেই অর্চনার অন্দরে। তবে এখন তার স্থান গারদের পিছনে। তোলাবাজি,মধুচক্র চালানোর অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  তার জালে ধরা দিয়েছিল প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী থেকে সিনেমার প্রযোজক। অর্চনার বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিয়ো ও ছবি প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তোলাবাজি চালাত অর্চনা। তোলাবাজির মাধ্যমে তুলত কোটি কোটি টাকা। ২৫ বছরের অর্চনার উত্থান-পতন নিয়ে ওড়িশার এক চলচ্চিত্র পরিচালক একটি সিনেমা তৈরির কথাও ভাবছেন।

    আরও পড়ুন : মুদ্রাস্ফীতির দিকে চোখ রেখে তৈরি হবে আগামী বাজেট, জানালেন সীতারমন

    পুলিশ সূত্রে খবর, কালাহান্ডির লাঞ্জিগড়ে জন্ম অর্চনার। ওই জেলারই কেসিঙ্গা নামে ছোট্ট এক শহরে বড় হয়েছে সে। ২০১৫ সালে অর্চনা ভুবনেশ্বরে চলে আসে। প্রথমে একটি বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থায় কাজ করে। পরে একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতে থাকে। সেখানে বালেশ্বরের জগবন্ধু চাঁদের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। জগবন্ধুর একটি পুরনো গাড়ির শোরুম ছিল। সেই সূত্রে তার সঙ্গে রাজ্যের বহু বিত্তশালী লোকেদের পরিচয় ছিল। অর্চনা ও জগবন্ধু বিয়ে করে ২০১৮ সালে। তারপরই শুরু হয় মধুচক্র চালানোর কাজ। অর্চনা প্রভাবশালী ও ধনী লোকেদের সঙ্গে ভাব জমাত এবং তাঁদের নিয়মিত নারীসঙ্গের ব্যবস্থা করে দিত। পুলিশের দাবি, সেই সময় তাঁদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি তুলত জগবন্ধু। এরপরই শুরু হত ব্ল্যাকমেলের পালা। এইভাবে কোটি কোটি টাকা তুলেছে তারা। 

    আরও পড়ুন: ফের আইনি গেরোয় প্রাথমিকে নিয়োগ, বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা 

    সম্প্রতি, নয়াপল্লি থানায় ওড়িয়া সিনেমার প্রজোযক অক্ষর পারিজা অভিযোগ করেন, অশ্লীল ছবি ভাইরাল করে দিয়ে তাঁর থেকে তিন কোটি টাকা দাবি করেছিল অর্চনারা। সূত্রের খবর, শুধু পারিজা নয়, অর্চনাদের নিশানায় ছিল রাজ্যের শাসক দল বিজেডির একাধিক নেতা, ব্যবসায়ীরাও। এরপর একটি মেয়ে অর্চনার বিরুদ্ধে মধুচক্রে কাজ করানোর অভিযোগ জানানোর পরই গ্রেফতার করা হয় তাকে।  ভুবনেশ্বরের ডেপুটি কমিশনার প্রতীক সিং জানিয়েছেন, যে মহিলা অর্চনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন, তিনি নিজের পরিচয় গোপন রাখতে চেয়েছেন। ওই পুলিশ কর্তা বলেছেন, ‘সংবাদমাধ্যমের কাছে যাতে কোনও তথ্য ফাঁস না হয়ে যায়, সেজন্য উনি আমাদের কাছে আর্জি জানিয়েছেন। তাঁর আশঙ্কা যে পরিচয় ফাঁস হয়ে গেলে তাঁর জীবন বিপন্ন হয়ে পড়বে। তাই এই বিষয়টি নিয়ে আমরা আপাতত বেশি কিছু বলতে পারব না।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • China: বেজিংয়ের রাজপথ ছয়লাপ ‘বিশ্বাসঘাতক একনায়ক’ লেখা ব্যানারে, নিশানায় কে?   

    China: বেজিংয়ের রাজপথ ছয়লাপ ‘বিশ্বাসঘাতক একনায়ক’ লেখা ব্যানারে, নিশানায় কে?   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেজিংয়ের রাজপথ ছয়লাপ ‘বিশ্বাসঘাতক একনায়ক’ লেখা ব্যানারে। ঘটনায় এটা স্পষ্ট যে ২০তম কংগ্রেসে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে পুননির্মাণের আগে চিনের (China) প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping) যথেষ্ঠ চাপে রয়েছেন। দিন কয়েক আগে শি জিনপিংকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল বলে খবর ছড়িয়েছিল। পরে অবশ্য তাঁকে প্রকাশ্যে দেখা যায়। চিনের সর্বাধিনায়কের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতক একনায়ক লেখা ব্যানার পড়ায় অস্বস্তিতে পার্টি। যদিও ব্যানারের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তড়িঘড়ি সরিয়ে নেওয়া সেগুলি।

    চিনের রাজধানী বেজিংয়ের এক সাংবাদিকের করা ট্যুইট থেকে জানা গিয়েছে, কোনও কোনও ব্যানারে চিনের জিরো কোভিড পলিসির বিরোধিতা করা হয়েছে। লেখা হয়েছে, আমরা কোভিড পরীক্ষা চাই না, খাবার চাই। লকডাউন চাই না, স্বাধীনতা চাই। আবার কোনও কোনও ব্যানারে লেখা হয়েছে, বিশ্বাসঘাতক একনায়ক (Dictatorial Traitor)। জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ব্যানারের ছবি ছড়িয়ে পড়তেই দ্রুত খুলে নেওয়া হয় সেগুলি। হেইডিয়ান জেলায় ব্যানারের নীচে রাস্তার ওপর থেকে ধোঁয়া উঠতেও দেখা গিয়েছে। সেখানে জনতা স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে এই বলে যে স্কুলে ধর্মঘট করা যাক, ধর্মঘট করা যাক কাজেও, বিশ্বাসঘাতক একনায়ক শি জিনপিংকে সরানো যাক।

    আরও পড়ুন: ‘আড়াই বছর অত্যন্ত কঠিন ছিল…’ ভারত-চিন সম্পর্কের হাল হকিকত জানালেন জয়শঙ্কর

    প্রসঙ্গত, বেজিংয়ের জিরো কোভিড পলিসির কারণে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, কোয়ারেন্টাইন এবং পরপর লকডাউনের ওপর ব্যাংক করে সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে জিন পিং সরকার। যদিও চিনা সরকারের দাবি, কোভিড প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে এটি দারুণ কার্যকর হয়েছে। প্রসঙ্গত, চিনা নাগরিকরা আশা করেছিলেন যে ২০ তম কংগ্রেসের পরে জিরো কোভিড নীতি শেষ হবে। প্রসঙ্গত, চিনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার একটি সম্পাদকীয়তে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে একটি লেখা প্রকাশিত হতেই  তাঁদের নিরাশ হতে হয়। চিনের কড়া কোভিড নীতির কারণে থমকে গিয়েছে অর্থনৈতিক উন্নতি। জিনপিংয়ের আমলে মার খেয়েছে রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা। এই ব্যানার-আন্দোলনের পর জিন পিংয়ের পদ থাকে কিনা, এখন সেটাই দেখার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডের সঙ্গে গরুপাচারের যোগ? এবার প্রসন্নর স্ত্রী-ভাইকে তলব সিবিআইয়ের

    SSC Scam: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডের সঙ্গে গরুপাচারের যোগ? এবার প্রসন্নর স্ত্রী-ভাইকে তলব সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এর মাঝে সামনে এল আরও এক বিস্ফোরক তথ্য। এসএসসি দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় গ্রেফতার হওয়া প্রসন্ন রায়ের (Prasanna Roy) ভাই ও স্ত্রীকে গরুপাচার (Cattle Smuggling Case) মামলায় তলব করল সিবিআই। আগামী সপ্তাহে প্রসন্নর ভাই ও স্ত্রীকে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি। আর এতেই দুয়ে দুয়ে চার করে ফেলেছেন অনেকেই। অনেকেই মনে করছেন, এসএসি দুর্নীতি ও গরু পাচারের নিবিড় যোগ রয়েছে। 

    সিবিআই জানিয়েছে, প্রসন্নকে গ্রেফতার করার পর বেশ কিছু শেল কোম্পানির হদিশ মিলেছে। যেগুলির অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এসএসসির টাকা এদিক-ওদিক হয়েছে। আবার গরু পাচার মামলাতেও এমন বেশ কিছু শেল কোম্পানি সিবিআই- এর নজরে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, একাধিক শেল কোম্পানির ডিরেক্টর পদে রয়েছেন প্রসন্নর স্ত্রী ও ভাই। সিবিআই গোয়েন্দাদের অনুমান, প্রসন্নর কাজটাই ছিল প্রভাবশালীদের টাকা শেল কোম্পানির মাধ্যমে ঘুরিয়ে এদিক ওদিক করা। গরুপাচার, এসএসসি দুর্নীতি সব টাকাই প্রসন্নগর পরিবারের ঘাতে কোনও না কোনও সময় এসেছে।   

    আরও পড়ুন : শিক্ষক বদলিতে রয়েছে মানিকের হাত, সম্পত্তি নিয়েও ভুল তথ্য পেশ, বিস্ফোরক দাবি ইডির 

    প্রসন্নকে ২ মাস আগে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে চাকরি বিক্রির দালাল প্রসন্ন রায় ও তার সহযোগী প্রদীপ সিং- কে। একদা রঙের ছোট ঠিকাদার প্রসন্ন যে ভাবে গত সাত-আট বছরে ধন কুবের হয়ে উঠেছে তাতে অবাক হয়েছেন অনেকেই। নিউটাউন সল্টলেকে একাধিক সম্পত্তি, লাটাগুড়িতে রিসর্ট। প্রসন্ন হঠাতই রাজা হয়ে উঠেছিলেন। এসএসসি দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া প্রসন্নর ভাই ও স্ত্রীকে এবার গরু পাচার মামলায় ডাকল সিবিআই।   

    গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, বিধাননগরে একটি ছোট্ট অফিস থেকে গাড়ি ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা করতেন প্রসন্ন। সেই অফিসেই চাকরিও বিক্রি করা হত। উত্তর ২৪ পরগনার প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ ও টাকা আদায়ের দায়িত্ব ছিল প্রসন্নর ওপর। নিজের অফিসে বসেই ভুয়ো প্রার্থীদের তালিকা বানাত সে। তার পর তা প্রদীপ সিংয়ের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিত শান্তিপ্রসাদ সিনহার কাছে। মূলত প্রদীপকে সামনে রেখেই নথিপত্র এবং টাকার লেনদেন করত প্রসন্ন। এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডের যাবতীয় মেল প্রসন্নর সল্টলেকের কার রেন্টাল অফিসের কম্পিউটার থেকে করা হত। এমনটাই জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Naihati: নৈহাটি স্টেশনে উদ্ধার ৬০ লক্ষ টাকা, যুবক গ্রেফতার, সঙ্গে ছেঁড়া নোট কেন?

    Naihati: নৈহাটি স্টেশনে উদ্ধার ৬০ লক্ষ টাকা, যুবক গ্রেফতার, সঙ্গে ছেঁড়া নোট কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ফের মিলল বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা (Cash Recovery)। উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি (Naihati) রেল স্টেশনে এক যুবকের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ৬০ লক্ষ টাকা। তার সঙ্গে মিলেছে একটি ছেঁড়া ১০ টাকার নোট। ওই বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে যুবকটি কোথায় যাচ্ছিল, তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি সে।টাকার উৎস সন্ধানে ওই যুবককে জেরা করছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই যুবককে।

    সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুরে নৈহাটি (Naihati) রেল স্টেশনে রুটিন তল্লাশি চালাচ্ছিল জিআরপি থানার পুলিশ। ওই সময় আপ কল্যাণী লোকাল থেকে ব্যাগ হাতে নামে দেখা যায় এক যুবককে। ব্যাগে তল্লাশি চালাতেই সন্ধান মেলে রাশি রাশি টাকার। রেল পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। নিয়ে আসা হয় টাকা গোণার মেশিন। দেখা যায়, ওই যুবকের ব্যাগে রয়েছে ৬০ লক্ষ টাকা। ১০ টাকার একটি ছেঁড়া নোটও ছিল ওই যুবকের সঙ্গে। ওই যুবকের নাম অভিষেক সোনকর।বছর চব্বিশের অভিষেকের দাবি, তার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড়ে। তবে বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে সে কোথায় যাচ্ছিল, তার কোনও যথাযথ উত্তর সে দিতে পারেনি। পুলিশের অনুমান, লেনদেনের সংকেতের জন্য ওই ছেঁড়া দশ টাকার নোট ব্যবহার করা হচ্ছিল। সম্ভবত, যাকে টাকা দেওয়ার কথা ছিল তার কাছে ওই ১০ টাকার নোটের বাকি অংশটি রয়েছে। এদিন রাতে জেরা করা হলেও ওই যুবক মুখ খোলেনি। সে সত্যিই টিটাগড়ের বাসিন্দা কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন : পার্থ-অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! এসএসসি মামলায় চার্জশিট পেশ ইডি-র

    দিন কয়েক আগেও একবার বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছিল। হাওড়া (Howrah) স্টেশনের ওল্ড কমপ্লেক্সের চার ও পাঁচ নম্বর গেটের কাছে দুই যুবককে কালো ব্যাগ নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হয় কর্তব্যরত আরপিএফ জওয়ানদের। ব্যাগ পরীক্ষা করতেই বেরিয়ে আসে নগদ ৩৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এরই কিছু দিন আগে হাওড়া স্টেশনেই রাজকুমার সোনি নামে এক ব্যক্তির ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৩৫ লক্ষ টাকা। তার আগে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। উদ্ধার হয়েছিল কোটি কোটি টাকা। তার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দিয়েও কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

LinkedIn
Share