Blog

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন কেন্দ্রীয় টেট পাশরাও, নির্দেশ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Justice Abhijit Gangopadhyay: প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন কেন্দ্রীয় টেট পাশরাও, নির্দেশ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এবার থেকে অংশ নিতে পারবেন কেন্দ্রীয় টেট পাশ করা প্রার্থীরাও। বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশ অনুযায়ী, প্রাথমিকের নিয়োগে কেন্দ্রীয় টেট (সিটেট) উত্তীর্ণরাও আবেদন করার সুযোগ পাবেন। তবে পরবর্তীকালে তাঁদের চাকরির সুপারিশে চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেবে হাই কোর্ট।

    এত দিন রাজ্যে প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র রাজ্যের আয়োজিত টেট পরীক্ষায় পাশ করা প্রার্থীরাই অংশ নিতে পারতেন। কেন্দ্রীয় টেট উত্তীর্ণদের অংশগ্রহণ করার কোনও সুযোগ ছিল না। বৃহস্পতিবারের নির্দেশের পরে তাঁরাও এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। দেশের অধিকাংশ রাজ্যেই আগে থেকে এই নিয়ম চালু আছে। রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াতে কেন্দ্রীয় টেট উত্তীর্ণরা অংশ নিতে পারেন। কিন্তু এ রাজ্যে এতদিন এই নিয়ম ছিল না। এ নিয়ে আদালতে মামলা করেন এক কেন্দ্রীয় টেট উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী। মামলার শুনানিতে বৈষম্যের বিষয়টি উল্লেখ করেন মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতের (Justice Abhijit Gangopadhyay) এই নির্দেশের ফলে রাজ্যের নতুন শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে পারবেন কেন্দ্রীয় টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরাও। শেষ পর্যন্ত রাজ্যে চাকরির নিয়োগপত্র তাঁরা হাতে পাবেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    আরও পড়ুন: “বড়দিনের উৎসবে মাস্ক পরুন, দূরত্ববিধি মেনে চলুন”, সংসদ থেকে বিশেষ বার্তা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

    প্রসঙ্গত, সিবিএসই, আইসিএসই বোর্ডের ছাত্র-ছাত্রীরাই মূলত কেন্দ্রীয় টেট পরীক্ষায় বসেন। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় টেট উত্তীর্ণদের মধ্যে সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্যের চাকরিপ্রার্থী রয়েছেন। অন্যদিকে, রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এতদিন কেবল পশ্চিমবঙ্গ কাউন্সিল বোর্ডের ছাত্র-ছাত্রীরাই অংশগ্রহণ করতে পারতেন। এবার হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় টেট উত্তীর্ণদেরও রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যোগ দেওয়ার অনুমতি (Justice Abhijit Gangopadhyay) দেওয়ার পরে রাজ্যের চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিযোগিতা আরও খানিকটা বাড়ল।

    চাকরিপ্রার্থীদের পাশেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) পর্যবেক্ষণে বলেন, “এই ধরনের কড়া নির্দেশ নতুন কিছু নয়।” এসএসসি হোক বা প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির মামলা, বারবার একাধিক কড়া এবং ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ নিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষেই রায় দিয়েছেন বরাবর। এবারও কেন্দ্রীয় টেট উত্তীর্ণদের রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যোগ দেওয়ার নির্দেশে তেমনটাই দেখা গেল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Coronavirus: “বড়দিনের উৎসবে মাস্ক পরুন, দূরত্ববিধি মেনে চলুন”, সংসদ থেকে বিশেষ বার্তা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

    Coronavirus: “বড়দিনের উৎসবে মাস্ক পরুন, দূরত্ববিধি মেনে চলুন”, সংসদ থেকে বিশেষ বার্তা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরেই চিন-সহ এশিয়ার বেশ কিছু দেশ ফের করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। আতঙ্ক ছড়িয়েছে এ দেশেও। এই আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের উচ্চ পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে। এদিন সংসদে বিবৃতি পেশ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। সংসদে তিনি বলেন, “কোভিড অতিমারি শেষ হয়ে যায়নি। সচেতন থাকুন। তবে দেশের কোভিড (Coronavirus) পরিস্থিতি নিয়ে এখনই কোনও আতঙ্কের কারণ নেই।”

    কী বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী?   

    এদিন সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য আরও বলেন, “গত কয়েকদিন ধরে বিশ্বের বহু দেশে কোভিডের (Coronavirus) কেস বেড়েছে। কিন্তু ভারতে এখনও তেমন প্রভাব পড়েনি। আমরা চিনের ক্রমবর্ধমান কোভিড কেস এবং এর কারণে মৃত্যুর ওপর নজর রাখছি। স্বাস্থ্যমন্ত্রক কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট সক্রিয়। মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে আর্থিক সহায়তা করেছে। এখনও পর্যন্ত ২২০ কোটি কোভিড ভ্যাকসিন শট দেওয়া হয়েছে। আমরা বিশ্বব্যাপী কোভিড পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছি। রাজ্যগুলিকে কোভিডের নতুন রূপ শনাক্ত করতে জিনোম-সিকোয়েন্সিং বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।” 

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “উৎসব এবং নতুন বছরের মরশুমের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যগুলিকে বুস্টার ডোজ (Coronavirus) সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরতে, স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্যে সচেতন করতে হবে। আমরা দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগত যাত্রীদের মধ্যে র‍্যান্ডম আরটিপিসিআর স্যাম্পলিংও শুরু করেছি। আমরা মহামারি মোকাবিলায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমাদের মনে রাখতে হবে কোভিড এখনও শেষ হয়ে যায়নি।”

    আরও পড়ুন: আসানসোলের পদপিষ্ট কাণ্ডে জিতেন্দ্রজায়া চৈতালিকে রক্ষাকবজ দিল হাইকোর্ট

    করোনাভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্টের (Coronavirus) ইতিমধ্যেই খোঁজ মিলেছে ভারতে। ওড়িশা এবং গুজরাটে মোট ৪ জনের দেহে ওমিক্রন বিএফ.৭-এর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। ওমিক্রনের আগের রূপের মতোই এটিও তীব্র সংক্রামক বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পর্যালোচনা বৈঠকে মূলত বুস্টার টিকাকরণে জোর দেওয়া হয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশের ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ দু’টি টিকা নিলেও এখনও পর্যন্ত তৃতীয় টিকা বা বুস্টার নিয়েছেন মাত্র ২৭ শতাংশ।

    ভারতে ওমিক্রন বিএফ.৭ -এর (Coronavirus) প্রথম আক্রান্তের খোঁজ মেলে অক্টোবর মাসে। গুজরাটের বায়োটেকনোলজি রিসার্চ সেন্টারে ধরা পড়ে ওই ভ্যারিয়েন্ট। এর পরে মোদির রাজ্যেই আরও এক আক্রান্তের সন্ধান মেলে। এ ছাড়া, ওড়িশায় ২ জনের দেহে ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। এই ভ্যারিয়েন্টের কারণে কোনও মৃত্যুর খবর মেলেনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Jitendra Tiwari: আসানসোলের পদপিষ্ট কাণ্ডে জিতেন্দ্রজায়া চৈতালিকে রক্ষাকবজ দিল হাইকোর্ট

    Jitendra Tiwari: আসানসোলের পদপিষ্ট কাণ্ডে জিতেন্দ্রজায়া চৈতালিকে রক্ষাকবজ দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোলে পদপিষ্টের ঘটনায় এখনই গ্রেফতার করা যাবে না বিজেপি নেত্রী চৈতালি তিওয়ারিকে। জিতেন্দ্র-জায়াকে (Jitendra Tiwari) রক্ষাকবচ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে তাঁকে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে বলেও পরিষ্কার জানিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এছাড়া সপ্তাহে ২ দিন ২ ঘণ্টা করে তাঁকে তদন্তকারীরা জেরা করতে পারবেন বলেও জানিয়েছে উচ্চ আদালত।

    কী বলেছে আদালত? 

    আদালতের তরফে নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে, পদপিষ্ট হয়ে যেখানে সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে সেখানে তদন্তে সহযোগিতা করতেই হবে। তবে চৈতালি তিওয়ারিকে (Jitendra Tiwari) ৩ সপ্তাহের মধ্যে গ্রেফতার করা যাবে না। এই সময়ের মধ্যে আগাম জামিনের আবেদন করতে পারবেন তিনি। এছাড়া সোমবার ও শনিবার ২ ঘণ্টা করে চৈতালিদেবীকে জেরা করতে পারবেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন: থমকে যাচ্ছে শীত, বিপদ বাড়ছে ডেঙ্গির, প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের তৎপরতা নিয়েও 

    উল্লেখ্য, গত ১৪ ডিসেম্বর নিজের ওয়ার্ডে এক শিবচর্চা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন আসানসোল পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি তিওয়ারি (Jitendra Tiwari)। সেই অনুষ্ঠানে ৫,০০০ কম্বল বিতরণ করার কথা ছিল। ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু মঞ্চ থেকে নামতেই, ওই এলাকায় হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। সেখানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১ নাবালিকাসহ মোট ৩ জনের। সেই ঘটনায় চৈতালি তিওয়ারি সহ ৩ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তার পর বুধবার ও বৃহস্পতিবার চৈতালিদেবীকে জেরা করতে আসানসোলে তাঁর বাড়িতে যায় পুলিশ। কিন্তু বুধবার থেকেই সেই বাড়িতে তালাবন্ধ। ফলে ফিরে আসতে হয় পুলিশকে। 

    ওই মামলায় নাম থাকা আরও কয়েকজনকে নোটিস পাঠিয়েছে পুলিশ। কম্বলকাণ্ডে রক্ষাকবচের ফলে এই মামলায় চৈতালিকে (Jitendra Tiwari) এখনই গ্রেফতার করতে পারবে না পুলিশ। তবে তাঁকে তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকলেই হাজিরা দিতে হবে চৈতালিকে। এমনই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

      

  • Kolkata Dengue: থমকে যাচ্ছে শীত, বিপদ বাড়ছে ডেঙ্গির, প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের তৎপরতা নিয়েও

    Kolkata Dengue: থমকে যাচ্ছে শীত, বিপদ বাড়ছে ডেঙ্গির, প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের তৎপরতা নিয়েও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীত পড়লেই ডেঙ্গি উধাও হয়ে যাবে। তখন আর চিন্তা করতে হবে না। বিধানসভায় দাড়িয়ে মাস খানেক আগে এমনই অভয় দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতি বেশ অন্যরকম। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট জানাচ্ছে, ডেঙ্গির (Kolkata Dengue) চোখ রাঙানি রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে, বিপদ কিন্তু বাড়বে।  

    স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই দেখা গিয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে গড়ে দৈনিক আক্রান্ত ছিলো ১৮৯ জন। দ্বিতীয় সপ্তাহে দৈনিক আক্রান্ত বেড়ে হয় ১৯২ জন। চলতি সপ্তাহেও দৈনিক সংক্রমণ (Kolkata Dengue) শতাধিক হয়েছে বলেই আশঙ্কা স্বাস্থ্য দফতরের।

    বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, শীতে মশার (Kolkata Dengue) দাপট কমে। আবহাওয়ার তারতম্যের জেরেই মশাবাহিত রোগের সংক্রমণ কমে। শীতে মশার প্রজনন শক্তি কমে যায়। আর মশা মূলত বংশবিস্তারের জন্য কামড়ায়। তাই শীতে মশা বিশেষ উৎপাত নেই। কিন্তু এই ডিসেম্বরে কিন্তু মশার দাপট অব্যহত।

    কী বলেছে আবহাওয়া দফতর? 

    আবহাওয়াবিদেরা জানাচ্ছেন, ডিসেম্বর মাসেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রির কম হয়নি। বিশেষত কলকাতা ও তার আশপাশের জায়গায় তাপমাত্রার পারদ বিশেষ নামেনি। তাছাড়া ঘূর্ণাবর্তের জন্য কবে জাঁকিয়ে শীত পড়বে সে নিয়েও নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। ফলে, মশার (Kolkata Dengue) বংশবিস্তারে অনীহা দেখা যাচ্ছে না। তাই মশাবাহিত রোগের থেকেও মুক্তি ঘটছে না।

    বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি মুক্তির জন্য এই সময় আদর্শ হওয়া উচিত। কারণ, এখন বৃষ্টির প্রকোপ কম। তাই আশেপাশে পরিষ্কার করা সহজ। যেসব জায়গায় নোংরা জমা থাকে, সে সব জায়গা শুকনো সময়ে সহজেই পরিষ্কার করা যায়। তাছাড়া নর্দমা পরিষ্কার করা জরুরি যাতে মশা (Kolkata Dengue) জন্মাতে না পারে। এলাকার যে সব জায়গায় জল জমে, সেগুলো ভরাট করার কাজ করা যায়। শীতে মশার দাপট কমাতে পারলে, পরিকাঠামোর উন্নতি করতে পারলে, তবেই ডেঙ্গির নতুন করে বাড়বাড়ন্ত রুখতে পারবে।

    আরও পড়ুন: কলকাতায় আসছেন মোদি, হাওড়ায় করবেন জনসভা, রয়েছে গুচ্ছ কর্মসূচিও

    যদিও বাস্তবে পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা। ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো বা এলাকা পরিষ্কারের (Kolkata Dengue) মতো সাধারণ কাজগুলোও ঠিকমতো হচ্ছে না বলে অধিকাংশ পুরএলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করছেন। অনেকেই মনে করেছেন, স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী যেখানে বলে দিয়েছেন শীতকালে চিন্তা নেই, সেখানে প্রশাসনের সাধারণ কর্মীরা কাজ করতে কীভাবে তৎপর হবে? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, মানুষকেই সতর্ক থাকতে হবে। জ্বর হলেই রক্ত পরীক্ষা জরুরি। কারণ, শীতে অনেকেই ভাবেন ডেঙ্গি হবে না। তাই জ্বর থাকলেও রক্ত পরীক্ষায় অনীহা দেখা যায়। কিন্তু সময় নষ্ট করলেই বিপদ। জ্বর (Kolkata Dengue) হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্ত পরীক্ষা জরুরি। ডেঙ্গি কিনা যাচাই করতে হবে। কারণ, শীতের আমেজ আসলেও ডেঙ্গি থেকে রাজ্যবাসীর রেহাই নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • National Ganga Council: কলকাতায় আসছেন মোদি, হাওড়ায় করবেন জনসভা, রয়েছে গুচ্ছ কর্মসূচিও

    National Ganga Council: কলকাতায় আসছেন মোদি, হাওড়ায় করবেন জনসভা, রয়েছে গুচ্ছ কর্মসূচিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর শেষের আগেই কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় গঙ্গা কাউন্সিলের (National Ganga Council) বৈঠক হবে কলকাতায়। এই বৈঠকে যোগ দিতেই কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনই হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে এক জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর এই প্রথমবার বাংলায় সভা করবেন তিনি। তার আগে সূচনা করতে পারেন হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। এদিন, জোকা মেট্রোর যাত্রার সূচনাও করতে পারেন তিনি।

    নরেন্দ্র মোদি…

    জাতীয় গঙ্গা কাউন্সিলের সভাপতি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর সদস্য পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও গঙ্গা কাউন্সিলের সদস্য রাজ্য হল উত্তর প্রদেশ, বিহার, উত্তরাখণ্ড ও ঝাড়খণ্ড। জাতীয় গঙ্গা কাউন্সিলের বৈঠকের পর বারাণসী এক্সপ্রেসওয়ে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। ৩০ তারিখের বৈঠকে এনিয়ে আলোচনাও হতে পারে। প্রকল্প রূপায়নে কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয়ের বিষয়টিকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে।

    ৩০ তারিখের ওই বৈঠকে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর  আগে চলতি মাসেরই পাঁচ তারিখে জি ২০ সম্মেলনের প্রস্তুতি বৈঠকে এক মঞ্চে হাজির ছিলেন মোদি-মমতা। কলকাতা থেকেও জি ২০র একটি প্রস্তুতি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মমতা। ভার্চুয়ালি সেই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। এদিকে, গত সপ্তাহে পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠকের পর নবান্নের চোদ্দতলায় মুখোমুখি হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর ৩০ তারিখের বৈঠকে ফের একবার প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হতে চলেছেন মমতা। 

    আরও পড়ুন: দেশে ফের কোভিড-হানার আশঙ্কা, রুখতে তৎপর কেন্দ্র, উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে মোদি

    এদিকে, এদিনই হাওড়া নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রার সূচনা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্রেনটি চালু হলে হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছতে সময় লাগবে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা। যেটা এখন লাগে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা। রেলমন্ত্রক সূত্রে খবর, পূর্ব ভারতে অন্তত পাঁচটি রুটে চলবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এগুলি হল, হাওড়া রাঁচি, হাওড়া ঝাড়সুগুদা, হাওড়া ভুবনেশ্বর, হাওড়া পাটনা এবং হাওড়া নিউ জলপাইগুড়ি। মন্ত্রকের এক কর্তার মতে, মূলত পর্যটক ও সময় বাঁচাতে চাওয়া ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখেই চালু হবে এই পরিষেবা। অন্যদিকে, এদিন হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে এক জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ২০২১ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর এটাই হবে বঙ্গে তাঁর প্রথম জনসভা। এদিনই জোকা মেট্রোর উদ্বোধনও করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সফরের দিন পূর্ব রেল ও উত্তর সীমান্ত রেলের একাধিক প্রকল্পের সঙ্গেই যাত্রী পরিবহণের জন্য খুলে দেওয়া হতে পারে ওই মেট্রোপথ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Airport Security: আলাদা করে মোবাইল, চার্জার চেক করাতে হবে না বিমানবন্দরে, আসছে অত্যাধুনিক মেশিন

    Airport Security: আলাদা করে মোবাইল, চার্জার চেক করাতে হবে না বিমানবন্দরে, আসছে অত্যাধুনিক মেশিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিমানবন্দরে ভিড় এড়াতে ও যাত্রীদের সুবিধার্থে একাধিক পদক্ষেপ নিল কর্তৃপক্ষ। বিমান বন্দরে বাড়ানো হল ডিসপ্লে বোর্ডের সংখ্যা, চেকিং মেশিন ও নিরাপত্তা চেকের ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক মেশিন। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবার থেকে যাত্রীদের আলাদা করে মোবাইল ফোন, চার্জার, পাওয়ার ব্যাঙ্ক বের করে চেক করতে হবে না। খুব শীঘ্রই এমন মেশিন আসতে চলেছে যে, যার সাহায্যে ব্যাগের মধ্যে থেকেই ফোন, চার্জার চেক করা যাবে।

    ইলেকট্রনিকস ডিভাইস বের না করেই ব্যাগ চেক করার অত্যাধুনিক মেশিন

    এভিয়েশন সিকিউরিটি ওয়াচডগ, ব্যুরো অফ সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি (বিসিএএস), এক মাসের মধ্যে একটি নির্দেশিকা জারি করতে চলেছে, যেখানে জানানো হবে, ইলেকট্রনিক ডিভাইস বের না করে ব্যাগ স্ক্রিন করার জন্য আধুনিক মেশিন ব্যবহার করা হবে এবং এটি খুব শীঘ্রই সব বিমানবন্দরে চালু করা হবে। এমন ধরণের মেশিন আমেরিকা ও ইউরোপের বিমানবন্দরগুলোতে ব্যবহার করা হয়।

    আরও পড়ুন: ‘ভিড়ে মাস্ক পরুন, বুস্টার ডোজ নিন’, চিনে করোনার বাড়বাড়ন্তর পরই পরামর্শ কেন্দ্রের

    কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের লক্ষ্যই হল যাত্রীদের দ্রুত ও ভালোমত নিরাপত্তা দিয়ে তাঁদের যাত্রা সফল করা। বিমান পরিবহন মন্ত্রকের তরফে আরও জানানো হয়েছে, সমস্ত বড় বিমানবন্দর যেমন দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু এবং হায়দ্রাবাদে আগে এই অত্যাধুনিক মেশিনগুলো ইনস্টল করা হবে এবং এক বছরের মধ্যে অন্যান্য বিমানবন্দরে পৌঁছবে।

    প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর দিল্লি বিমানবন্দরে ব্যাপক ভিড় হয়। ভিড়ের চোটে বহু যাত্রী নির্দিষ্ট সময়ে বিমান ধরতে ব্যর্থ হন। ভিড়ের একটি দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। নেটিজেনদের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করে ভিড় নিয়ে তির্যক মন্তব্যও করেন। এই ঘটনায় নড়েচেড়ে বসে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। ঘটনার পর দিন দিল্লি বিমানবন্দর পরিদর্শনে যান মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। আর সিন্ধিয়ার পরিদর্শনের পরেই তিনি জানিয়েছেন, টার্মিনাল ৩-এ আগামী দিনে আরও এক্স-রে মেশিন ও কর্মী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এর পরেই ভিড় এড়াতে বিমাবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি ও বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মন্ত্রী।

  • Manipur: মণিপুরে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় মৃত ১৫ জন স্কুল পড়ুয়া

    Manipur: মণিপুরে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় মৃত ১৫ জন স্কুল পড়ুয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরের নোনে জেলায় খাদে পড়ে গেল স্কুল বাস (Manipur School Bus Accident)। বুধবার সকালের ওই দুর্ঘটনায় অন্তত ১৫ জন স্কুল পড়ুয়া-সহ বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।বুধবার এক ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল মণিপুরবাসী। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে পাহাড়ি রাস্তায় বাস চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিল তাই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে।  দুটি বাসেই স্কুল পড়ুয়ারা ছিল। এই দুর্ঘটনার ফলে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই সাংবাদমাধ্যমে খবর পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা।

    কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা

    স্থানীয় সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, এদিন থৌবাল জেলার ইয়ারিপকের ‘থাম্বলনু হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের’ পডুয়াদের নিয়ে দু’টি বাস শিক্ষামূলক ভ্রমণে খৌপুমের দিকে যাচ্ছিল। শিক্ষামূলক ভ্রমণের জন্য উৎসাহিত ছিল ছাত্রছাত্রীরা। শীতকাল আকাশ ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন। কুয়াশামাখা ভোরে পাহাড়ি রাস্তায় কোনওভাবে বাসের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে চালক। সে সময়ই বিষ্ণুপুর-খৌপুম সড়কে লোংসাই তুবং এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঢালু খাদে গড়িয়ে বাসটি উল্টে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয়েরা দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারের কাজ শুরু করেন। গ্রামের সাধারণ মানুষরা দ্রুত উদ্ধার কাজে হাত লাগায়।

    আরও পড়ুন: ফের বাড়তে পারে করোনা! পজিটিভ নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করার নির্দেশ কেন্দ্রের

    চলছে উদ্ধারকাজ

    প্রশাসন সূত্রে খবর, দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন বহু পড়ুয়া। তাদের কয়েক জনের অবস্থা গুরুতর। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। দুর্ঘটনার কিছু পরেই ছড়িয়ে পড়ে ঘটনাস্থলের ভিডিও। দেখা যায়, দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে আছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি। অন্যদিকে ঘটনার খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান উদ্ধার কারী দল এবং পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য মণিপুর জুড়ে। ঠিক কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছে তা জানার চেষ্টা করছেন পুলিশ আধিকারিকরা। বাসের ফিটনেস সহ অন্যান্য সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও পুলিশের তরফে জানা যাচ্ছে। সব রকম ভাবে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কোথাও কেউ আটকে আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে উদ্ধারকারী দলের তরফে জানানো হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: জ্বরে আক্রান্ত কেষ্ট! দিল্লি যাত্রা রুখতে হাসপাতালে ভর্তির নয়া কৌশল?

    Anubrata Mondal: জ্বরে আক্রান্ত কেষ্ট! দিল্লি যাত্রা রুখতে হাসপাতালে ভর্তির নয়া কৌশল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ৪ মাস ৯ দিন পর কেষ্টর তৃপ্তির আহার, স্বস্তির ঘুম! কারণ বর্তমানে নিজের জেলায় ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। ফলে তাঁকে রসিয়ে খেতে দেওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। আবার জানা গিয়েছে, জেল থেকে পুলিশ হেফাজতেই এসেই তিনি জ্বরে ভুগছেন। তবে কি দিল্লি যাওয়ার ভয়ে এখন হাসপাতালে যেতে চাইছেন কেষ্ট?

    কেষ্টর আপাতত ঠাঁই হয়েছে দুবরাজপুর থানায়

    গরু পাচার মামলায় তদন্ত করছে ইডি (ED)। সোমবারই ওই মামলায় অনুব্রতকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার অনুমতি পেয়েছে ইডি। এ বিষয়ে শনিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে শুনানি হয়েছিল। ইডি অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার অনুমতি চাইলে আদালত থেকেও বলা হয়েছে, অনুব্রতকে দিল্লিতে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। কিন্তু তার আগেই ঘটে গেল আরেক ঘটনা।

    তৃণমূল কর্মী শিবঠাকুর মণ্ডল কেষ্টর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল পার্টি অফিসে তাঁকে গলা টিপে মারার চেষ্টা করা হয়। তিনি অন্য দলে যোগ দিতে চেয়েছিলেন বলেই এটা করা হয়েছিল। অনুব্রতর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। ফলে পুলিশ ১৪ দিনের জন্য অনুব্রতকে হেফাজতে চাইলেও, সাত দিনের জন্য তাঁকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তাই তাঁকে এখন আসালসোল জেল থেকে বের করে দুবরাজপুরে নিয়ে আসা হয়েছে। ফলে দিল্লি যাওয়া পিছিয়ে গেল।

    আরও পড়ুন: ‘‘ডাকাতকে বাঁচাতে সরকার যা করছে, তাতে বিপদ বাড়ছে’’, অনুব্রত প্রসঙ্গে শুভেন্দু

    দুবরাজপুর থানার লকআপে কেমন কাটছে কেষ্টর?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, নিজের জেলার লকআপে এসে প্রথম রাত ভালোই কেটেছে তাঁর। দুবরাজপুর থানার মধ্যেই তাঁর জন্যে একটি আলাদা রুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানেই পাতা হয়েছে খাট। আরও জানা গিয়েছে, গতকাল থানায় আনার পরই খেয়েছিলেন মুড়ি। মঙ্গলবার দুপুরে ভাত, মুসুরির ডাল, পোস্তর বড়া ও আলু পোস্ত দিয়ে মধ্যাহ্নভোজ সারেন। রাতে তাঁর মেনুতে ছিল, তিনটি রুটি, বেগুন পোড়া ও ছোলার ডাল। যদিও তিনি একটিমাত্র রুটি-ই খেয়েছেন বলে খবর। তারপর রাতে বেশ ভালোই ঘুমিয়েছেন। এদিনও সকালে ঘুম থেকে উঠে চা-বিস্কুট খান অনুব্রত মণ্ডল। টিফিনে পুরি ও সবজিও খেয়েছেন বলে খবর। আবার, লকআপে অনুব্রত মণ্ডলের জন্য একজন অ্যাটেড্যান্টও রাখা হয়েছে বলে খবর। ফলে সব মিলিয়ে এলাহি ব্যাপার।

    জ্বরে আক্রান্ত কেষ্ট

    আজ আবার জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডল জেল হেফাজত থেকে পুলিশি হেফাজতে আসার পরই জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার আদালতের নির্দেশের পর তাঁর মেডিক্যাল চেকআপের জন্য যখন তাঁকে দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তখনই জানা যায় তিনি জ্বরে আক্রান্ত। তাঁর যে জ্বর এসেছে তা তিনি নিজের মুখেই জানিয়েছিলেন। অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালের এক নার্স জানান, প্রেসার আছে ৮০/৯০। তিনি ওষুধ খেয়েছেন। প্রেসারের সমস্যা আছে। এছাড়াও শরীরে টেম্পারেচার থাকলেও তিনি ঠিক আছেন বলেই জানিয়েছেন।

  • Kolkata Medical College: ব্রিটিশ শাসনের পর ফের মেডিক্যালে স্বঘোষিত ছাত্র নির্বাচন! বৈধতা আছে কি?

    Kolkata Medical College: ব্রিটিশ শাসনের পর ফের মেডিক্যালে স্বঘোষিত ছাত্র নির্বাচন! বৈধতা আছে কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীন ভারতে এমন নজির দেখা যায়নি। তৃণমূল সরকারের জামানায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ (Kolkata Medical College), যেন ফিরে গেল ব্রিটিশ ভারতের সময়ে, অন্তত ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে এমনি বলছেন রাজ্যের বিশিষ্ট মানুষেরা। 

    স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশ মত, ২২ ডিসেম্বর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে (Kolkata Medical College) ছাত্র সংসদ নির্বাচনের কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ সেই নির্দেশ বাতিল করে স্বাস্থ্য দফতর। আর এরপরেই গোলমাল শুরু হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচনের দাবিতে অবরোধ, অবস্থান বিক্ষোভ, মিছিল এমনকি ছাত্ররা অনশন শুরু করে। কয়েক সপ্তাহ পরে চিকিৎসক বিনায়ক সেন, বোলান গঙ্গোপাধ্যায়ের মত সমাজকর্মীদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে পড়ুয়ারা অনশন তুলে নেন। কিন্তু তারা স্বঘোষিত ছাত্র নির্বাচনের কথা জানান।

    কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ (Kolkata Medical College) সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্রিটিশ শাসিত ভারতে ছাত্রদের ন্যায্য অধিকারের দাবিতে এরকম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তৎকালীন পড়ুয়ারা। নিজেরাই কর্তৃপক্ষকে নির্বাচনের দিন জানিয়ে ছাত্র ভোট পরিচালিত করেছিলেন। কিন্তু স্বাধীন ভারতে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে ফিরে এল সেই সময়।

    আরও পড়ুন: রাজ্যকে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়ার আর্জি সুকান্ত-শুভেন্দুর! আশ্বাস কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    পড়ুয়াদের একাংশ জানাচ্ছেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচন দীর্ঘদিন বন্ধ। তাই ছাত্র-ছাত্রীদের প্রয়োজনে ও উন্নতিতে যে অর্থ ছাত্র সংসদের কাছে থাকার কথা, তার বরাদ্দও বন্ধ। ব-কলমে সব টাকা থাকছে তৃণমূলের নেতাদের কাছে। হস্টেলের ঘর কে পাবে, সেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে শাসক দল। কলেজের অনুষ্ঠান আয়োজনের নামে যথেচ্ছ অর্থের অপচয় হচ্ছে। কিন্তু তার হিসাব বোঝা যাচ্ছে না। কোনও কিছুতেই স্বচ্ছতা নেই। পড়ুয়াদের প্রতিনিধি না থাকায়, তারা তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কোনও মতামত দিতে পারছেন না। এই রকম পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চাইছেন পড়ুয়াদের একাংশ। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তাদের প্রতিনিধি কলেজের সমস্ত সিদ্ধান্তে অংশগ্রহণ করুক, এটাই মত অধিকাংশ পড়ুয়ার। 

    আগামীকাল ছাত্রদের স্বঘোষিত নির্বাচন হওয়ার কথা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে (Kolkata Medical College)। বুধবার মনোনয়ন জমা দেওয়া ও প্রত্যাহারের শেষ দিন। সব কাজ চললেও কলেজের অধ্যক্ষ এবং সুপার হাসপাতালে যাচ্ছেন না। তারা স্বাস্থ্য ভবনে থেকেই যাবতীয় কাজ করছেন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের একাংশ জানাচ্ছেন, ই-মেল মারফত তারা ছাত্র নির্বাচন প্রসঙ্গে কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। নির্বাচনের দিন, মনোনয়ন জমা, প্রত্যাহার সবটাই ই-মেল করে জানানো হয়েছে। যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি তারা কিছু জানেন না। কোনও ই-মেল পাননি। 

    কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, “স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশ মতই সব কাজ হবে।” স্বাস্থ্য ভবন ২২ ডিসেম্বর নির্বাচন বাতিল করেছে। ছাত্ররা স্বঘোষিত নির্বাচন করছে। সেই ছাত্র সংসদ আদৌও বৈধ হবে কি? কর্তৃপক্ষের থেকে যে অর্থ বরাদ্দ হয় ছাত্র সংসদের জন্য, এই নির্বাচনের মাধ্যমে গড়ে ওঠা সংসদ সেই বরাদ্দ অর্থ পাবে? 

    এই প্রশ্নের অবশ্য কোনও উত্তর দিতেই চান না কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ (Kolkata Medical College) কর্তৃপক্ষ। তবে, ছাত্রদের কথায়, অধিকারের জন্য তারা লড়াই চালিয়ে যাবেন। যদিও চিকিৎসকদের একাংশের আশঙ্কা, যা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, তাতে মেডিক্যাল কলেজে সমস্যা আরও বাড়বে। এই সবকিছুর জন্য শেষ পর্যন্ত পরিষেবায় ব্যাঘাত ঘটবে কিনা, সে নিয়েও সংশয় রয়েছে।

  • Covid 19 in China: চতুর্দিকে লাশের পাহাড়, চিনের দাবি করোনায় মৃত্যু হয়নি কারও!

    Covid 19 in China: চতুর্দিকে লাশের পাহাড়, চিনের দাবি করোনায় মৃত্যু হয়নি কারও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের প্রকাশ্যে চিনের দ্বিচারিতা! মারণ ভাইরাস (Covid 19 in China) করোনার কবলে পড়ে প্রাণ হারাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। শ্মশানঘাটগুলি উপচে পড়ছে লাশের স্তূপে। তার পরেও শি জিনপিংয়ের দেশের দাবি, চিনে নতুন করে কারও মৃত্যু হয়নি করোনা সংক্রমিত হয়ে। চিন সরকার জানিয়েছে, প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনার (Corona) সংক্রমণের কারণে কেবলমাত্র যাঁরা শ্বাসকষ্টে মারা যাচ্ছেন, তাঁদেরই করোনায় মৃত্যু হয়েছে বলে ধরা হবে। নচেৎ নয়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এভাবে চিন (China) শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চাইছে। তাদের মতে, চিন সরকারের ওই বক্তব্যেই স্পষ্ট, করোনার প্রভাবে যাঁদের মৃত্যু হবে, তাঁদের করোনায় মৃত্যু হয়েছে বলে ধরা হবে না। প্রসঙ্গত, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রকাশিত গাইডলাইন অনুযায়ী, যেখানে করোনা ভাইরাসের কারণে মৃত্যু (সেটা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যাই হোক না কেন) হয়েছে, সেখানেই করোনায় মৃত্যু হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।

    চিনের দাবি…

    চিনের দাবি, ২০ ডিসেম্বর সে দেশে করোনার কারণে মৃত্যু হয়নি একজনেরও। মঙ্গলবার দেশে ৩ হাজার ১০১ জনে করোনা সংক্রমিতের খোঁজ মিলেছে। চিন সরকারের এহেন দাবির মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছেন এক দেহ-সৎকার কর্মী। তাঁর দাবি, শ্মশানঘাটগুলিতে দেহ রাখার জায়গা নেই। অনবরত জ্বলছে চুল্লি। দেহ-সৎকার কর্মীদের কয়েকজন সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন শ্মশানঘাটে জমে রয়েছে লাশের পাহাড়। এ ছবিটা হুবহু এক চিনের উত্তর-পূর্ব থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে। চিনের সোশ্যাল মিডিয়ায়ও ছড়িয়েছে, দেহ দাহ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন সৎকার কর্মীরা।

    আরও পড়ুন:ফের বাড়তে পারে করোনা! পজিটিভ নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করার নির্দেশ কেন্দ্রের

    ন্যাশনাল হেল্থ কমিশনের দাবি, দেশে করোনায় (Covid 19 in China) নতুন করে কারও মৃত্যু হয়নি। তবে সোমবার করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। হুয়ের পরামর্শদাতাদের মতে, চিন তড়িঘড়ি করে করোনা পরিস্থিত শেষ বলে ঘোষণা করেছে। এর জেরেই ঘনিয়েছে বিপদ। এরিক ফেইগেল ডিং নামে এক বিজ্ঞানী অবশ্য জানিয়েছেন, আগামী ৯০ দিনের মধ্যে চিনের ৬০ শতাংশ এবং গোটা বিশ্বের ১০ শতাংশ মানুষ করোনা সংক্রমিত হতে পারেন। তার জেরে মৃত্যু হতে পারে কয়েক মিলিয়ন মানুষের। এদিকে, চিনের বিপদে তাদের পাশে দাঁড়াতে রাজি আমেরিকা। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, চিন সহ গোটা বিশ্বকেই করোনার মোকাবিলা করতে সাহায্য করতে আমরা প্রস্তুত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share