Blog

  • Covid Update: হু হু করে বাড়ছে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, একদিনে আক্রান্ত ১২ হাজারের বেশি

    Covid Update: হু হু করে বাড়ছে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, একদিনে আক্রান্ত ১২ হাজারের বেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা (Covid-19) সংক্রমণ। করোনা ভাইরাস যেন ছেড়ে যেতেই চাইছে না। একদিকে যেমন বিশ্বজুড়ে মাঙ্কি পক্সে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তেমনি অন্যদিকে দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা। গত দু’দিনে দেশ জুড়ে করোনা সংক্রমণ দশ হাজারের নীচে নেমেছিল। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২ হাজারেরও বেশি। মৃতের সংখ্যাও বেড়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: আতঙ্ক বাড়াচ্ছে মাঙ্কি পক্স, বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫০০০-এর বেশি, মৃত্যু ১২ জনের

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ৬০৮। বুধবার এই সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ০৬২। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪,৪২,৯৮,৮৬৪। তবে এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে হয়েছে ১,০১,৩৪৩। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৭২ জন। স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ০.২৩ শতাংশ হারে কমেছে। আর ভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়ার হারও ৯৮.৫৮ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। দৈনিক পজিটিভিটি রেট ৩.৪৮ শতাংশ ও সপ্তাহে পজিটিভিটি রেট ৪.২ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: কোভিশিল্ড-কোভ্যাক্সিনের পর বুস্টার ডোজ হিসেবে নেওয়া যাবে কর্বেভ্যাক্সও, অনুমোদন কেন্দ্রের

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের। এর মধ্যে কেরালায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা সর্বোচ্চ। কেরালায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। এ ছাড়া দিল্লিতে আট জন, মহারাষ্ট্রে ছয় জন, হরিয়ানায় পাঁচ জন এবং পশ্চিমবঙ্গ ও পাঞ্জাবে চার জন এবং কর্নাটকে তিন জন মারা গিয়েছেন। রাজস্থান, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা ও ছত্তিশগড়ে দু’জন এবং চণ্ডীগড়, উত্তরাখণ্ড ও মধ্যপ্রদেশে এক জন করে ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। বুধবার মৃতের সংখ্যা ছিল ৩৬। দেশে এখনও পর্যন্ত ৫ লক্ষ ২৯ হাজার ৭৬৯ জন ব্যক্তি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন।

     

  • Salman Rushdie: ‘রুশদি বেঁচে আছে শুনে অবাক হয়েছিলাম’, বিস্ফোরক মন্তব্য হামলাকারী হাদি মাতারের

    Salman Rushdie: ‘রুশদি বেঁচে আছে শুনে অবাক হয়েছিলাম’, বিস্ফোরক মন্তব্য হামলাকারী হাদি মাতারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সলমন রুশদির (Salman Rushdie) ভয়াবহ হামলার পরও কীভাবে এখনও বেঁচে আছেন তিনি? এমনটাই প্রশ্ন করতে শোনা গেল তাঁর হামলাকারী হাদি মাতারকে (Hadi Matar)। নিউ ইয়র্ক পোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাদি বলেন,  ‘রুশদি বেঁচে আছে শুনেই আশ্চর্য হয়েছিলাম’।

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার, ১২ অগাস্ট নিউইয়র্কের (New York) শতকা ইনস্টিটিউশনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে মঞ্চে উঠেছিলেন সলমন রুশদি। সেখানে  আচমকাই এক ব্যক্তি ছুরি নিয়ে তাঁর দিকে ধেয়ে আসে। সোজা রুশদির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং এলোপাথাড়ি ১০-১২ বার ছুরি দিয়ে কোপ মারে লেখককে। মঞ্চেই লুটিয়ে পড়েন লেখক। প্রাথমিক চিকিৎসার পরই তাঁকে এয়ারলিফ্ট করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। এরপর হামলাকারীকে পুলিশের হাতে তুলে দেন অনুষ্ঠানের আয়োজকরা। জানা গিয়েছিল, অভিযুক্তের নাম হাদি মাতার (Hadi Matar)। বয়স ২৪ বছর। হাদির বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ভাল আছেন রুশদি, এবার প্রাণে মারার হুমকি হ্যারি পটারের স্রষ্টাকে

    এরপরই জেলবন্দি হাদি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এমন মন্তব্য় করে। শুধু তাই নয়, মাতার যে ভারতীয় বংশোদ্ভূত রুশদিকে পছন্দ করেন না, সে বিষয়েও বলে। মাতার বলে, ‘‘আমি রুশদিকে পছন্দ করি না। আমি মনে করি না যে, তিনি খুব একটা ভাল মানুষ।“ মাতার রুশদির লেখা উপন্যাসের কথা এনে জানিয়েছেন, তিনি এই উপন্যাসের কিছু পাতা পড়েছেন, এরপরই তার ভালো লাগেনি। উনি এর মাধ্যমে ইসলাম ধর্মকে আক্রমণ করেছেন ও ইসলাম ধর্মের বিশ্বাসে আঘাত করেছেন।   

    প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর উপন্যাস ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ (‘The Satanic Verses’)। এর জন্যে বহুদিন ধরেই তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। ইসলাম ধর্মকে অসম্মান করার জন্য তাঁর নামে ফতোয়া জারি করেন ইরানের তৎকালীন নেতা আয়াতোল্লাহ রুহোল্লা খোমেইনি (Ayatollah Ruhollah Khomeini)। মাতার এদিন এও জানিয়েছে যে সে খোমেইনির ফতোয়া দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে এই কাজটি করেনি। তবে সে বলে, “আমি আয়াতোল্লাহকে সম্মান করি। আমার মতে, উনি একজন অসাধারণ মানুষ। এই বিষয়ে আমি এতটাই বলতে পারি।” শুক্রবার হাদি মাতারকে আদালতে হাজির করা করা হতে পারে বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক পোস্ট।

    সলমন রুশদির অবস্থা স্থিতিশীল। তবে একটি চোখ হারাতে পারেন এই বুকারজয়ী সাহিত্যিক। এছাড়া তাঁর স্নায়ু এবং লিভার গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে রুশদিকে ভেন্টিলেটর থেকে বের করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন৷

  • FIFA ban: কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের হস্তক্ষেপে উঠতে পারে ফিফার নির্বাসন! জানুন কী বলল শীর্ষ আদালত

    FIFA ban: কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের হস্তক্ষেপে উঠতে পারে ফিফার নির্বাসন! জানুন কী বলল শীর্ষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোর অনিশ্চয়তায় ভারতীয় ফুটবল (Indian Football)। ফিফার (FIFA) নির্বাসন নিয়ে বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সোমবার পর্যন্ত তা স্থগিত হয়ে যায়। সোমবার রাতে ফিফার পক্ষ থেকে নির্বাচনের নোটিশ পাওয়ার পর শীর্ষ আদালতের দারস্থ হয়েছিল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (AIFF)। এই মামলা দ্রুত শুনানির আবেদন জানায় কেন্দ্র সরকারও।

    বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, এ এস বোপান্না এবং জেবি পাড্রি ওয়ালার বেঞ্চে ফিফার নির্বাচন সংক্রান্ত মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা আদালতকে জানান, “সমস্যা সমাধানের জন্য বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক। আলোচনার ফল কি দাঁড়াচ্ছে তা জানার জন্য আমাদের কয়েকদিন অপেক্ষা করা উচিত। তাই সোমবার পর্যন্ত এই মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া উচিত।” তুষার মেহতার আবেদনে সারা দিয়ে শীর্ষ আদালত ২২ শে অগাস্ট সোমবার পর্যন্ত শুনানি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত জানায়।

    আরও পড়ুন: ভারতীয় ফুটবলকে নির্বাসনে পাঠাল ফিফা, কী হবে সুনীল ছেত্রীদের ভবিষ্যৎ?

    তুষার মেহতা আরও জানান, ফিফা কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত তিন সদস্যের প্রশাসক কমিটি। এখনও পর্যন্ত দুদফা কথাবার্তা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তাই সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকের সদর্থক ভূমিকায় আশা করা যায় সমস্যা দ্রুত মিটবে।

    আরও পড়ুন: এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রাত্য কেরলের মহিলা ফুটবল দল! প্রধানমন্ত্রীকে আবেদন

    সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনে দীর্ঘদিন নির্বাচন হয়নি। সংস্থার সভাপতি পদে বছরের পর বছর ছিলেন প্রফুল্ল প্যাটেল। সম্প্রতি তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়। সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত তিন সদস্যের প্রশাসক কমিটি ফেডারেশনের কাজকর্ম চালাচ্ছিলেন। নতুন সংবিধান মেনে ২৮ অগাস্ট ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের অজুহাত দেখিয়ে ফিফা যেভাবে ভারতকে কালো তালিকা ভুক্ত করেছে তা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয় বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। 

  • Diabetes Symptoms: পায়ের এই লক্ষণগুলো দেখলেই বুঝবেন আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কিনা…

    Diabetes Symptoms: পায়ের এই লক্ষণগুলো দেখলেই বুঝবেন আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কিনা…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে দ্রুত হারে বাড়ছে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা। পরিবর্তিত জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাসের কারণে এই রোগ দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। এই রোগ একবার শরীরে বাসা বাঁধলে সারাজীবন ছাড়ে না। ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায় বা শরীরে পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না বা যতটা ইনসুলিন তৈরি হয় তা ব্যবহার করতে সক্ষম হয় না। টাইপ ১ ও টাইপ ২ এই দুধরণের ডায়াবেটিস বেশি দেখা যায়। ঝাপসা দৃষ্টি, গ্লুকোমা, ক্ষত নিরাময়ে দেরি, ক্লান্তি, ঘন ঘন মাথাব্যথা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস, দ্রুত হৃদস্পন্দন, ঘন ঘন প্রস্রাব ডায়াবেটিসের প্রধান লক্ষণ। তবে আরও অনেক রকমের ডায়াবেটিসের ধরণ দেখা যায়। আর সেই ডায়াবেটিস রোগীদের দেহে নতুন উপসর্গও দেখা দিচ্ছে। ডায়াবেটিস রোগীদের পায়ে বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা দেয় ও পায়ের এই লক্ষণগুলোই ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ হতে পারে। সেগুলো হল-

    আরও পড়ুন: ইসিজি থেকে ডায়াবেটিস নির্ণয়, নয়া এআই অ্যালগরিদম নিয়ে হাজির ভারতীয় বিজ্ঞানীর দল

    পায়ে ব্যথা, অসাড়তা- ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথিতে পা, পায়ের পাতায়, হাতে ব্যথা অনুভূত হয়। এই ডায়াবেটিসে সাধারণত পায়ের নার্ভগুলো নষ্ট হয়ে যায়।

    ফুট আলসার- ডায়াবেটিক আলসার হলে আক্রান্ত স্থানের চামড়া পুরু হয়ে লাল গর্তের মতো সৃষ্টি হয়। গুরুতর ক্ষেত্রে এই গর্ত গভীর হয় ও হাড় পর্যন্ত ক্ষত পৌঁছে যায়। তখন যন্ত্রণার কারণে পা ফুলে যায় ও প্রচণ্ড ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে।

    অ্যাথলেটস ফুট- এই ক্ষেত্রে পায়ে চুলকানি, পা লাল হয়ে যাওয়া, পা ফেটে যাওয়া ইত্যাদি দেখা যায়।

    ফাঙ্গাল ইনফেকশন- ডায়াবেটিস রোগীদের পায়ের নখে ফাঙ্গাল ইনফেকশন প্রায়ই দেখা যায়। এর ফলে নখের রং পরিবর্তন হয়ে যায়, নখ পাতলা হয়ে যায় ও সহজেই ভেঙে যায়।

    গ্যাংগ্রিন- গ্যাংগ্রিন বলতে বোঝায় আক্রান্ত স্থানে রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার কারণে শরীরের কোনো অংশে টিস্যুর মৃত্যু। যেখানেই রক্ত সরবরাহ হতে পারে না সেখানেই গ্যাংগ্রিন হতে পারে।

    আরও পড়ুন: ডায়াবেটিসে আক্রান্ত? এই ভেষজ খেলে নিয়ন্ত্রণে আসবে রক্তে শর্করার মাত্রা 

     

     

  • Sukanya Mondal: টেট মামলায় আদালতে হাজিরা কেষ্ট কন্যার, উঠল ‘গরু চোর’ স্লোগান

    Sukanya Mondal: টেট মামলায় আদালতে হাজিরা কেষ্ট কন্যার, উঠল ‘গরু চোর’ স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরেশ কন্যার পরে এবার কেষ্ট কন্যা। শুধু সম্পত্তি নয়, এবার অনুব্রত কন্যার চাকরি নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। সুকন্যা মণ্ডলের নিয়োগেও দুর্নীতি রয়েছে বলে উঠেছে অভিযোগ। সেই মামলাতেই আজ হাইকোর্টে হাজিরা দেন সুকন্যা।

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে হাজিরা দিতে কলকাতা হাইকোর্টে দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে পৌঁছন সুকন্যা মণ্ডল। জনতার রোষ থেকে বাঁচাতে হাইকোর্টের পিছনের দরজা দিয়ে তাঁকে ভিতরে ঢোকায় পুলিশ। কিন্তু তাতেও এড়ানো যায়নি বিক্ষোভ। অনুব্রতর কন্যাকে দেখেই আদালত চত্বরে ওঠে গরুচোর স্লোগান।

    আরও পড়ুন: বিনা টেটে সুকন্যার মাস্টারি কাঠগড়ায় তুলল ব্রাত্যকে!

    বৃহস্পতিবার সকালে বোলপুরের বাড়ি থেকে রওনা দেন সুকন্যা। বেলা ১২টা নাগাদ চিনার পার্কের ফ্ল্যাটে পৌঁছন তিনি। সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর চলে যান কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানে পুলিশি পাহারায় তাঁকে পিছনের গেট দিয়ে প্রবেশ করানো হয়। তখনই তাঁকে ঘিরে ওঠে গরুচোর স্লোগান।  

    আদালত চত্বরে হাজির মানুষজন ‘গরুচোর’ ও ‘গরুচোরেরে মেয়ে গরুচোর’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। তারই মধ্যে আদালতে প্রবেশ করেন অনুব্রতর কন্যা। এদিন আদালতে প্রবেশের সময় সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দেননি তিনি। 

    আরও পড়ুন: তৃণমূল পার্টিটা আর ছ’মাসও টিকবে না, ডেডলাইন শুভেন্দুর

    সৌমেন নন্দী মামলায় সামনে এসেছে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে (Anubrata Mondal Daughter) সুকন্যা মণ্ডলের (Sukanya Mondal) চাকরি পাওয়া নিয়ে জটিলতা। টেট পাশ না করেও বোলপুরের কালিকাপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পেয়েছেন সুকন্যা বলে অভিযোগ। কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এই অভিযোগ করেছেন মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। এমনকী এও দাবি করা হয়েছে, চাকরি পাওয়ার পর তিনি একদিনও স্কুলে যাননি। স্কুলের রেজিস্ট্রার নিয়ে অন্যেরা অনুব্রতর বাড়িতে এসে সুকন্যাকে দিয়ে সই করিয়ে নিতেন। পৌঁছে যেত বেতন।  

    হাইকোর্টে দাখিল করা তালিকা অনুযায়ী শুধু সুকন্যাই নয়, আরও পাঁচ অনুব্রত ঘনিষ্ঠ টেট পাশ না করে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। সুকন্যা মণ্ডল সহ তালিকায় নাম থাকা বাকি ছয় আত্মীয়কে বৃহস্পতিবার হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সঙ্গে আনতে বলা হয়েছিল টেট পাশের সার্টিফিকেট সহ চাকরি পাওয়ার নথি। হাজিরা না দিলে কড়া পদক্ষেপে নেওয়া হবে বলেও আদালত হুঁশিয়ারি দিয়েছিল আগেই। সেইমতোই হাজিরা দিতে এসেছিলেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠরা। 

  • Salman Rushdie: ভালো নেই সলমন রুশদি, হারাতে পারেন একটি চোখ

    Salman Rushdie: ভালো নেই সলমন রুশদি, হারাতে পারেন একটি চোখ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও আশঙ্কা কাটেনি সলমন রুশদির (Salman Rushdie)। শুক্রবার নিউইয়র্কের একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন মঞ্চেই ছুরিবিদ্ধ হন ৭৫ বছর বয়সী এই বিখ্যাত লেখক। মুহূর্তের মধ্যে তাঁকে এয়ারলিফ্ট করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই অস্ত্রোপচার হয়। বর্তমানে ভেন্টিলেশনে (Ventilation) রয়েছেন লেখক,  এমনটাই জানা গিয়েছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, সুস্থ হয়ে গেলেও একটি চোখ হারাতে পারেন এই বুকারজয়ী সাহিত্যিক। এছাড়া তার হাতের স্নায়ু এবং যকৃৎ গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।হামলাকারীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হামলার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এখন। 

    আরও পড়ুন: এসএসকেএম হাসপাতালে স্বাধীনতা দিবসে পতাকা ‘উত্তোলন’ হবে না, নির্দেশ জারি করল কর্তৃপক্ষ  
     
    শুক্রবার, ১২ অগাস্ট নিউইয়র্কের (New York) শতকা ইনস্টিটিউশনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে মঞ্চে উঠেছিলেন সলমন রুশদি। পরিচয় পর্ব শুরু হতেই, আচমকাই ছুরি নিয়ে তেড়ে আসেন এক ব্যক্তি। সোজা রুশদির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন, এলোপাথাড়ি ১০-১২ বার ছুরির (Stab) কোপ মারেন লেখককে। মঞ্চেই লুটিয়ে পড়েন লেখক। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন অনুষ্ঠানের আয়োজক ও প্যারামেডিকরা। প্রাথমিক চিকিৎসার পরই তাঁকে এয়ারলিফ্ট করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।    

    জানা গিয়েছে, ঘাড়ে ও পেটে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে রুশদির। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কয়েক ঘণ্টা দীর্ঘ অস্ত্রপোচার করা হয়। কথা বলার ক্ষমতা হারিয়েছেন লেখক। সুস্থ হলেও হারাতে পারেন একটি চোখ। তাঁর বইয়ের এজেন্ট অ্যান্ড্রু ওয়াইলি বলেন, “খবর খুব একটা ভাল নয়। সলমন হয়তো একটি চোখ খোয়াতে পারেন। তাঁর হাতের স্নায়ুও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যকৃতেও ছুরির আঘাত লাগায়, তাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।” 

    আরও পড়ুন: এক এক করে আপনাদের হাতও ছাড়বেন মমতা, কার উদ্দেশ্যে বললেন মালব্য? 
     
    অনুষ্ঠানের স্থান থেকেই হামলাকারীকে পুলিশের হাতে তুলে দেন আয়োজকরা। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম হাদি মাতার। বয়স ২৪ বছর। নিউজার্সির ওই বাসিন্দার কাছে রুশদির অনুষ্ঠানের পাসও পাওয়া গিয়েছে। কী কারণে সে হামলা চালাল, তা এখনও জানা যায়নি। 

    ভারতীয় বংশোদ্ভূত সলমন রুশদিকে বহু বছর ধরে কার্যত গা ঢাকা দিয়ে থাকতে হয়েছে। ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর উপন্যাস ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ – এর জন্যে বহুদিন ধরেই মৌলবাদীদের বিষনজরে রয়েছেন তিনি। তাঁর নামে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন ইরানের তৎকালীন নেতা আয়াতোল্লা রুহোল্লা খোমেইনি। ওই বইয়ের কারণেই নব্বইয়ের দশকেও ইতালির মিলানে তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। গত ২০ বছর ধরে নিউ ইয়র্কেই থাকছেন ভারতীয় বংশদ্ভুত এই লেখক। তাঁর ওপর এই হামলার তীব্র নিন্দা হয়েছে বিশ্বজুড়ে।  

  • IB Ministry: ভারত বিরোধী প্রচার, ৮ ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করল কেন্দ্র, একটি পাকিস্তানের 

    IB Ministry: ভারত বিরোধী প্রচার, ৮ ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করল কেন্দ্র, একটি পাকিস্তানের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত বিরোধী কন্টেন্ট প্রচারের জন্যে ৮ টি ইউটিউব চ্যানেল (Youtube Channel) বন্ধ (Block) করল ভারত সরকার (Indian Government) ৷ বৃহস্পতিবার তথ্য় ও সম্প্রচার মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ট্যুইট করে জানানো হয় ৮ টি ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করছে ভারত সরকার ৷ এর মধ্যে ৭টি ভারতের, একটি পাকিস্তানের (Pakistan)৷ কেন্দ্রের দাবি, ওই সমস্ত চ্যানেলের মাধ্যমে ভুয়ো এবং ভারত বিরোধী কনটেন্ট প্রচার করে টাকা রোজগার করেছেন ভিডিও নির্মাতারা ৷ এদের লক্ষ্য ভারতে বিভিন্ন ধর্ম এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘৃণা ছড়ানো ৷ তাই ২০২১-এর তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুযায়ী এই ইউটিউব চ্যানেলগুলিকে ব্লক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক (Ministry of Information and Broadcasting)৷  

    আরও পড়ুন: অনুপ্রবেশ ইস্যুতে কোনও আপস করবে না মোদি সরকার, জানাল বিজেপিও

    মন্ত্রক তাদের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে একটি প্রেস বিবৃতি পোস্ট করেছে ৷ সেখানে লেখা রয়েছে, “ভুয়ো তথ্য তুলে ধরে এই চ্যানেলগুলি ভারতে সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ছড়াচ্ছিল। যেমন, ভারত সরকার কিছু ধর্মীয় নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে, ধর্মীয় উৎসব পালন নিষিদ্ধ করা হয়েছে, ভারতে ধর্ম নিয়ে যুদ্ধ শুরু হয়েছে। ভুয়ো এবং উত্তেজনামূলক থাম্বনেল বানিয়ে, খবরের চ্যানেলের প্রতীকীচিহ্ন এবং সঞ্চালকদের ছবি দিয়ে বিভ্রান্ত করা হয় দর্শকদের।” ব্লক করা ইউটিউব চ্যানেলগুলির সব মিলিয়ে ভিউয়ারের সংখ্যা ১১৪ কোটিরও বেশি এবং মোট সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ৮৫ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে ৷

    নিখরচায় নানা পরিষেবা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও ভোটে হেরে গিয়েছে…   

    এই ইউটিউব চ্যানেলগুলিতে প্রচারিত ভিডিয়োয় বেশ কিছু মিথ্যে দাবি করা হয় ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের মতে এই ধরনের কন্টেন্ট দেশের আইন ও শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে যেকোনও মুহূর্তে ৷ চ্যানেগুলিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়েও নানা ভুয়ো খবর প্রচার করা হত বলে জানা গিয়েছে ৷ দেশের নিরাপত্তার দিক দিয়ে সম্পূর্ণরূপে মিথ্যে এবং স্পর্শকাতর এই খবরগুলি অন্য দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে ৷

    যে আটটি ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করানো হয়েছে, সেগুলিতে মূলত খবর দেখানো হত। এর মধ্যে অন্যতম হল – ‘সব কুছ দেখো’। ওই চ্যানেলের গ্রাহক সংখ্যা ১৯ লক্ষ ৪০ হাজার প্রায়। তাদের ভিডিও দেখেছেন ৩৩ কোটির বেশি মানুষ। তালিকায় রয়েছে ‘লোকতন্ত্র টিভি’ও। তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টও ব্লক করানো হয়েছে। এ ছাড়াও ব্লক করানো হয়েছে ‘ইউ অ্যান্ড ভি টিভি’, ‘এএম রিজভি’, ‘গৌরবশালী পবন মিথিলাঞ্চল’, ‘সি টপ ফিফথ’ এবং ‘সরকারি আপডেট’ চ্যানেল। পাকিস্তানের যে চ্যানেলটিকে ব্লক করা হয়েছে, তার নাম ‘নিউজ কি দুনিয়া’। এই চ্যানেলগুলিতে কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাদের আচরণ কেমন, তা নিয়েও ভিডিও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। 

    এর আগে, এ বছরই এপ্রিল মাসে ১৬টি ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করে কেন্দ্র। সেবার ১০টি ভারতীয় এবং ৬টি পাকিস্তানি চ্য়ানেল ব্লক করানো হয়।  

     

  • Kalyani AIIMS: কল্যাণী এইমস মামলায় বিপাকে সিআইডি, তদন্ত চালাতে লাগবে কেন্দ্রের অনুমতি, জানাল হাইকোর্ট

    Kalyani AIIMS: কল্যাণী এইমস মামলায় বিপাকে সিআইডি, তদন্ত চালাতে লাগবে কেন্দ্রের অনুমতি, জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কল্যাণী এইমসে (Kalyani AIIMS) নিয়োগ-দুর্নীতি মামলা নিয়ে এবার বিপাকে পড়ল রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি (CID)। কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট জানাল, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে তদন্ত (investigation) করতে হলে আগে কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হবে। দুর্নীতি দমন আইনে কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হলে সিআইডির কেন্দ্রের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। কল্যাণী এইমসে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে তদন্ত চালানোর আগে এক কথায় সিআইডিকে সতর্ক করল হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt)। সোমবার এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানি ছিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে।

    আরও পড়ুন: রাজীব ভট্টাচার্য কি কেষ্টর ‘বেনামি’, কার চিকিৎসার জন্য ৬৬ লাখ দিয়েছিলেন? তদন্তে ইডি-সিবিআই

    গত শুনানিতে কেন্দ্রের তরফের আইনজীবী অভিযোগ করেন, কেন্দ্রের অনুমতি না নিয়েই তদন্ত চালাচ্ছে সিআইডি। তাঁর যুক্তি ছিল, এইমসে বেআইনি কর্মী নিয়োগ মামলায় কয়েক জন কর্মীর নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। এ ক্ষেত্রে তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারী। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত করতে হলে কেন্দ্রের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। কার্যত সেই দাবিই মেনে নিল আদালত। সিআইডিকে আদালত জানিয়েছে, দুর্নীতি দমন আইনের ১৭ (এ), ১৯৮৮ মোতাবেক, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনও কর্মী বা আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত, অনুসন্ধান এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে না। এ ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। ফলে কল্যাণী এইমসের কর্মীদের বিরুদ্ধে তদন্তের ক্ষেত্রেও কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হবে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থাকে। আগামী বুধবার, অর্থাৎ ২৪ অগাস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি। 

    আরও পড়ুন: ইডির দফতরে হাজিরা এড়ালেন জ্ঞানবন্ত! কীসের ভয় 

    সূত্রের খবর, এই মামলায় এতদিন সিআইডির তরফে শুনানি করা সিনিয়র স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে কোনও সিনিয়র আইনজীবীকে এখানে নিয়োগ করার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।

    এসএসসির ধাঁচে কল্যাণী এইমসে প্রভাব খাটিয়ে বেআইনি (Illegal) নিয়োগের অভিযোগে বিজেপির দুই সাংসদ, দুই বিধায়ক-সহ ৮ জনের নামে এফআইআর দায়ের হয়। তদন্ত শুরু করে সিআইডি। সিআইডিকে নথি হস্তান্তর করে কল্যাণী থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, কল্যাণী এইমসে নিয়োগ-দুর্নীতির অভিযোগে এফআইআরে নাম রয়েছে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার, রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার, বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা ও চাকদার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ-সহ ৮ জনের। 

    তাঁদের অভিযোগ, বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের সুপারিশে কল্যাণী এইমসে চাকরি পেয়েছেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার মেয়ে।  

    যদিও এনিয়ে বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা বলেন, “এটা কোনও সরকারি চাকরি নয়। এটা কোনও কেন্দ্রীয় সরকারের সরাসরি চাকরি নয়। রাজ্য সরকারের চাকরিও নয়। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হয়েছে। আর এরকম চাকরি যদি আমাদের সৌভাগ্য হয় তৃণমূলের যাঁরা আজ বিক্ষোভ দেখাল তাঁদের ঘরে ঘরে চাকরি দেব আমি। তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী-দাদাদের অঙ্গুলিহেলনে বাঁকুড়া মেডিক্যালে যেমন ঘরে ঘরে চাকরি পাচ্ছেন, সেখানে বিজেপির একটা ছেলেও নেই। বিজেপি করার জন্য তাঁরা কাজ পাচ্ছেন না। আর সেই ঠিকাদারি সংস্থার তৃণমূলের ছেলেরা শয়ে শয়ে চাকরি পাচ্ছেন।”  

  • Ranbir-Alia: গর্ভবতী আলিয়ার ওজন বৃদ্ধি নিয়ে বিরক্তিকর মন্তব্য করলেন রণবীর, ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা

    Ranbir-Alia: গর্ভবতী আলিয়ার ওজন বৃদ্ধি নিয়ে বিরক্তিকর মন্তব্য করলেন রণবীর, ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল থেকেই দেখা যাচ্ছে হঠাৎ নেটিজেনরা বেশ বিরক্ত হয়ে আছেন রণবীর কাপুরের (Ranbir Kapoor) ওপর। যে রণবীরের জন্য লক্ষ লক্ষ অনুরাগী, তাঁর ওপর কেন রেগে আছেন নেটিজেনরা, এই নিয়ে বিশাল শোরগেোল পড়ে গিয়েছে। কেন নেটিজেনরা ক্ষুব্ধ, তা নিয়ে অনেকের মনে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গিয়েছে রণবীর তাঁর সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী আলিয়াকে নিয়ে কিছু বিরক্তিকর কমেন্ট করেছেন তাও আবার অন-এয়ার। তবে অনেকে এই খবর বিশ্বাস করতেই পারছে না।

    আসলে সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে আলিয়া ভাটের (Alia Bhatt) ওজন বৃদ্ধি নিয়ে ‘অবিবেচক’ মন্তব্য করার জন্য রণবীর কাপুরকে নিয়ে সমালোচনা করা হচ্ছে। আলিয়া জুন মাসে রণবীরের সঙ্গে একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টের মাধ্যমে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সুখবর দিয়েছিলেন। তারপর থেকেই তাঁদের অনুরাগীদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। বিয়ের কয়েক মাসের মাথায় গর্ভবতী হওয়াতেও তাঁকে শুনতে হয়েছিল কটুক্তি। আর এবার রণবীরের মন্তব্যকে ঘিরে আবার সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

    আরও পড়ুন: মা হতে চলেছেন আলিয়া! নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দিলেন সুখবর..

    বড়পর্দায় এই প্রথমবারের জন্য তাঁরা একসঙ্গে আসতে চলেছে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবিতে। আর এই সিনেমা প্রচারের সময় রণবীর আলিয়ার গর্ভবতী পেটের দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন এবং তাঁর ওজন বৃদ্ধির বিষয়ে মন্তব্য করেছিলেন। সেই সঙ্গে আলিয়াকে বডি-শেমিং করায় একে ‘অরুচিকর’ বলে উল্লেখ করেন নেটিজেনরা। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, রণবীর-আলিয়া সিনেমার প্রচারের জন্য আলোচনা করছিলেন, তখনই রণবীর জানান, তাঁরা ছবির জন্য ব্যাপক প্রচার করছেন না। কিন্তু আলিয়া এতে বলেন, ছবির ব্যাপক প্রচার করা করবে, এটিই তাঁদের এখন মেন ফোকাস, সিনেমা কে সর্বত্র প্রসারিত করা। আর তখনই রণবীর আলিয়ার পেটের দিকে ইশারা করে বলেন, “আমি দেখতে পাচ্ছি অন্য একজনও প্রসারিত হচ্ছে।“  এরপর এই বক্তব্যে আলিয়া হতবাক হলে রণবীর হেসে বলে এটি ‘জোক’ ছিল।

    [insta]https://www.instagram.com/tv/ChZZficlv3q/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta]

    আর এরই প্রতিক্রিয়া জানিয়ে নেটিজেনরা নানা কথা কমেন্টে লিখেছেন। কেউ বলেছেন “এটি খুবই দুঃখজনক।” অন্য একজন বলেছেন, “এটি মোটেও মজার ছিল না।” একজন অনুরাগী এটিকে ‘জঘন্য রসিকতা’ বলেছেন, অন্য একজন বলেছেন, “আলিয়ার আরও ভালো  কিছু প্রাপ্য ছিল।” একজন ফ্যান আরও লিখেছেন, “একজন গর্ভবতী মহিলাকে এমন বলাটা জঘন্য রসিকতা ছিল।” একজন  বলেছিলেন, “এটি অস্বস্তিকর।”

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আলিয়া এবং রণবীর ১৪ এপ্রিল, ২০২২-এ মুম্বইতে বিয়ে করেছিলেন। তাঁরা সম্প্রতি ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবির গান ‘ডান্স কা ভূত’-এর একটি টিজার প্রকাশ করেছেন। বহু প্রতীক্ষিত ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবিটি ৯ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে৷ এতে অমিতাভ বচ্চন, নাগার্জুন এবং মৌনি রায়, প্রমুখরাও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন।

  • Suvendu Adhikari on TMC: তৃণমূল পার্টিটা আর ছ’মাসও টিকবে না, ডেডলাইন শুভেন্দুর 

    Suvendu Adhikari on TMC: তৃণমূল পার্টিটা আর ছ’মাসও টিকবে না, ডেডলাইন শুভেন্দুর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC) পার্টিটা আর ছ মাসও টিকবে না। এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ‘আগামী ছ মাসের মধ্যে সামনে আসবে নতুন তৃণমূল’ লেখা পোস্টারে ছয়লাপ শহর। সেই প্রেক্ষিতেই একথা বলেন শুভেন্দু। পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় সংবাদ মাধ্যমকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ইডি (ED) এবং সিবিআই (CBI) তাদের কাজ করছে। তৃণমূল পার্টিটা আর ছ মাসও টিকবে না। ডিসেম্বরই তাদের ডেডলাইন।

    কলকাতা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে টাঙানো হয়েছে একাধিক হোর্ডিং। যার কোনওটায় লেখা, ‘আগামী ছ মাসের মধ্যে সামনে আসবে নতুন তৃণমূল’। কোনওটায় আবার লেখা, ‘চলুন লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হোন’। কোনও কোনওটায় আবার লেখা হয়েছে, ‘ঠিক যেমন সাধারণ মানুষ চায়’। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এই হোর্ডিং টাঙানোর কথা অস্বীকার করেছে। তবে হোর্ডিং নিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে বিঁধতে ছাড়েননি শুভেন্দু। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য, কয়লা থেকে গরু কোনও কিছু থেকে তোলাবাজি বাদ রাখেনি তৃণমূল কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে যখন একের পর এক নেতা মন্ত্রী বিভিন্ন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন, তখন তা থেকে দলকে বাঁচাতেই নয়া তৃণমূলের কৌশল নিয়েছে ‘তোলামূল’ পার্টি। এর পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ইডি যেভাবে তদন্তের গতি বড়িয়েছে, তাতে তৃণমূল দলটাই ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বাংলা থেকে মুছে যাবে।

    আরও পড়ুন : “তৃণমূলের ১০০ জনের নাম তুলে দিয়েছি…”, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর শুভেন্দু

    এদিন দিঘায় সৈকত নগরে দিঘা তিরঙ্গা যাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নেন শুভেন্দু। সেখানেই তৃণমূলকে নিশানা করেন তিনি। এর আগে ১২ অগাস্ট নন্দীগ্রামে হর ঘর তিরঙ্গা বাইক কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। পুলিশি বাধায় ওই কর্মসূচি আর পালন করা যায়নি। ওই ঘটনায়ও শুভেন্দু দুষছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেছিলেন, হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি কোনও রাজনৈতিক কিংবা ধর্মীয় সমাবেশ কিংবা জন সমাবেশ নয়। আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই ওই কর্মসূচি পালন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ নির্দেশ দেয় শুভেন্দু অধিকারিকে কোনও প্রচার করতে না দিতে।

    আরও পড়ুন : অনুব্রত একজন মাফিয়া, মমতার প্রশ্রয়ে ওর বাড়বাড়ন্ত, বললেন শুভেন্দু

     

LinkedIn
Share