Blog

  • Manik Bhattacharya: শিক্ষক বদলিতে রয়েছে মানিকের হাত, সম্পত্তি নিয়েও ভুল তথ্য পেশ, বিস্ফোরক দাবি ইডির

    Manik Bhattacharya: শিক্ষক বদলিতে রয়েছে মানিকের হাত, সম্পত্তি নিয়েও ভুল তথ্য পেশ, বিস্ফোরক দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে ফের চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসল। ইডির দাবি, শিক্ষক বদলিতেও রয়েছে মানিকের হাত। টাকার বিনিময়ে পছন্দের স্কুলে শিক্ষক বদলি হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের হাত ধরেই। এর পাশাপাশি আরও জানা গিয়েছে যে, নিজের সম্পত্তি নিয়েও ভুল তথ্য দিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য, এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছে ইডি।

    নিজের সম্পত্তি নিয়ে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য এবার পেশ করল ইডি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের সময় তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে যে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন তা সম্পূর্ণ ভুল। অর্থাৎ নদিয়ার পলাশিপাড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে যখন তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন তখন তিনি কমিশনকে যে সম্পত্তি সংক্রান্ত যে তথ্য দিয়েছিলেন তা ভুল বলে মনে করে ইডি। এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সামনে এই তথ্য এসেছে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মানিক ভট্টাচার্য তাঁর স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি- সব মিলিয়ে সম্পত্তির পরিমাণ ২ কোটি টাকার কিছু বেশি ছিল বলে জানিয়েছিলেন হলফনামায়। কিন্তু একটি সংবাদ সংস্থাকে ইডির এক আধিকারিক বলেন, “তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই পরিস্কার হচ্ছে যে মানিক ভট্টাচার্য তাঁর হলফনামায় সম্পত্তির পরিমাণ কমিয়ে দেখিয়েছেন। তাঁর সম্পত্তি অনেক বেশি।”

    অন্যদিকে আরও জানা গিয়েছে, মানিকের (Manik Bhattacharya)বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির নথি থেকেই মিলেছে শিক্ষক বদলির সুপারিশ, যা মানিক ভট্টাচার্যের নামে এসেছে বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার। আর এই শিক্ষক বদলিতে মাথাপিছু আর্থিক লেনদেন হয়েছে পাঁচ থেকে সাত লক্ষ টাকা। কিন্তু সেই সেই টাকা এখন কোথায়? তারই তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে মমতার নাম ইডির নথিতে, সব জানতেন মুখ্যমন্ত্রী

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে টাকার বদলে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya)। এছাড়াও কয়েকদিন আগেই তাঁর ছেলের সংস্থার সঙ্গেও মানিকের যোগসূত্র রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছিল, মানিক পুত্র শৌভিকের কনসালটেন্সি কোম্পানি হলেও এটি পশ্চিমবঙ্গের ৫৩০টি বেসরকারি বিএড এবং ডি.এল.ইডি (D. El. Ed) কলেজ থেকে পরামর্শ দেওয়ার নামে ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছে এই সংস্থা। ফলে ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস তথা ৭ মাসের মধ্যে ওই সংস্থা এইভাবে মোট তুলেছে ২ কোটি ৬৪ হাজার টাকা। এই টাকার কথাও তিনি তাঁর সম্পত্তির পরিমাণে উল্লেখ করেননি। এছাড়াও তদন্ত করতে গিয়ে দুর্নীতি সংক্রান্ত তথ্য সামনে এসেছে হোয়াটসঅ্যাপ ও টেক্সট মেসেজে। এবং এই অভিযোগগুলির পাশাপাশি এবার যুক্ত হল টাকার বিনিময়ে শিক্ষক বদলির অভিযোগও।

    ইডি সূত্রে খবর, যে সমস্ত নথি সামনে এসেছে তাতে বদলি সংক্রান্ত সুপারিশ মিলেছে। এগুলোতে কয়েকজন শিক্ষকের নাম পাওয়া গিয়েছে, যারা পছন্দের স্কুলে বা বাড়ির কাছে স্কুলে বদলির জন্য আবেদন করেছে ও তাদের জন্য সুপারিশ এসেছে মানিকের (Manik Bhattacharya) কাছে। এই শিক্ষকদের পছন্দ মত স্কুলে ট্রান্সফার করানোর জন্য মাথাপিছু নিত ৬-৭ লক্ষ টাকাও। তবে কে এই সুপারিশ করত, কে নির্দেশ দিত, তা নিয়েই তদন্ত চালাচ্ছে ইডি।

  • Indian Army Dog: লড়েছিল বীরের মত, অবশেষে মৃত্যু হল ভারতীয় সেনবাহিনীর কুকুর ‘জুম’-এর

    Indian Army Dog: লড়েছিল বীরের মত, অবশেষে মৃত্যু হল ভারতীয় সেনবাহিনীর কুকুর ‘জুম’-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ রক্ষা আর হল না। দুদিনের লড়াই শেষ। লড়েছিল বীর সৈনিকের মত। গুলিবিদ্ধ হয়েও নিজের প্রাণের তোয়াক্কা না করে যে জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াই করে চলছিল, আজ তারই মৃত্যু হল। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরে (Kashmir) জঙ্গি (terrorist) দমনে অংশ নিয়ে গুলিতে (bullet) গুরুতর জখম হয়েছিল সেনাবাহিনীর কুকুর ‘জুম’ ( Army Dog Zoom)। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। অবশেষে আজ বৃহস্পতিবার মৃত্যু হল জুমের (Indian Army Dog)।

    সেনা আধিকারিকদের মতে, জুম প্রায় বেলা ১১.৪৫ মিনিট অবধি চিকিৎসায় ভাল সাড়া দিচ্ছিল। কিন্তু আচমকা হাঁপাতে শুরু করে সে। তখনই প্রাণ হারায় সে। বেলা ১২টা নাগাদ তার মৃত্যু হয়৷ শ্রীনগরের আর্মি ভেটেরিনারি হাসপাতালে একটি মেডিকেল টিমের কড়া পর্যবেক্ষণে ছিল জুম (Indian Army Dog)।

    আরও পড়ুন: কাশ্মীরে জঙ্গিদমন অভিযানে আহত হয়েও যোদ্ধার মত লড়াই করল ভারতীয় সেনাবাহিনীর কুকুর ‘জুম’

    প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) অনন্তনাগে সোমবার ভোরে সেনার সঙ্গে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে যায় ‘জুম’ (Indian Army Dog)। তারই সহায়তায় এনকাউন্টারে লস্কর -ই – তৈবার দুই সন্ত্রাসবাদীকে খতম করতে সক্ষম হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। কিন্তু সংঘর্ষে জঙ্গিদের ছোঁড়া দু’টি গুলি এসে লাগে তার গায়ে। তারপরেও জঙ্গিদের কামড়ে ধরে লড়াই চালিয়ে যায় সে। এরপর পশু হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তার চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। হাসপাতালেই মৃত্যু হল ‘জুম’-এর।

    আজ ভারতীয় সেনাবাহিনীর চিনার কর্পসের তরফে ট্যুইট করে তাঁর (Indian Army Dog) মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়েছে।

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে এদিন জুম-এর মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করা হয়েছে।

  • LPG Price: দীপাবলির আগে কল্পতরু কেন্দ্র সরকার, রেল কর্মীদের বোনাস সহ ২২ হাজার কোটি বরাদ্দ কেন্দ্রীয় তেল সংস্থাগুলিকে

    LPG Price: দীপাবলির আগে কল্পতরু কেন্দ্র সরকার, রেল কর্মীদের বোনাস সহ ২২ হাজার কোটি বরাদ্দ কেন্দ্রীয় তেল সংস্থাগুলিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলি আসন্ন। তার দিন দশেক আগেই খুশির খবর দিল কেন্দ্র। আগেই সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, ৭৮ দিনের বেতন অতিরিক্ত পেতে চলেছেন রেলকর্মীরা। এদিন সেই জল্পনাকেই সিলমোহর দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। পিএলবি (Production Linked Bonus) হিসেবে ১৮৩২ কোটি টাকা মঞ্জুর করল ক্যাবিনেট। এরফলে রেলের ১১ লক্ষ ২৭ হাজার কর্মীর সুবিধা লাভ করবেন বলে জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর তরফে জানানো হয়েছে, কোনও সুবিধাভোগী ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১৭ হাজার নয়শো একান্ন টাকা পেতে পারেন। বুধবারেই ক্যাবিনেটের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    দেশজুড়ে থাকা রেলের নন-গেজেটেড কর্মীরা এই বোনাস (Railway Bonus) পান। তবে আরপিএফ  (RPF/RPSF) আধিকারিকরা এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। তাঁরা এই বোনাস (Bonus) পান না। চলতি বছরের হিসেবে এই নিয়ে টানা 12 বছর কালী পুজোর মুখে এই বোনাস পাচ্ছেন রেলকর্মীরা। এদিনের মন্ত্রিসভার ঘোষণায় খুশির হাসি রেলকর্মীদের মুখে।

    গত বছরে এই বোনাসের জন্য রেলের তরফে মোট ১৯৮৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছিল। আগে অনুমান করা হয়েছিল চলতি বছরে সেই পরিমাণ বেড়ে ২ হাজার কোটি টাকা হতে পারে। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সেই রাস্তায় হাঁটল না। এবারে পিএলবি (Production Linked Bonus) দিতে কেন্দ্রের খরচ হচ্ছে ১৮৩২ কোটি টাকা। যা কিনা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১৫০ কোটি টাকা কম।

    [tw]


    [/tw]

    কেন্দ্রের তরফে রেলকর্মীদের সম্পর্কে বলা হয়েছে, গত তিন বছরে রেল মালবহনের বাজার পুনরুদ্ধার করতে এবং উপযুক্ত উদ্যোগের মাধ্যমে যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধির জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যার জেরে করোনা মহামারীর সময়ে ধাক্কা খেলেও ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে রেল আর্থিক দিক থেকে গতি ফিরে পেয়েছে।

    এছাড়াও এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিতরণকারী সংস্থাগুলিকে ২২ হাজার কোটি টাকার অনুদান দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)।অনুরাগ বুধবার জানান, গৃহস্থালীতে ব্যবহারের রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি (LPG Price Subsidy) দিতে গিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির উপর বিপুল পরিমাণে আর্থিক বোঝা চেপেছে। তাই এই এককালীন অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘এই পদক্ষেপ আত্মনির্ভর ভারত কর্মসূচির প্রতি দায়বদ্ধ থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলিকে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে গৃহস্থালীর গ্যাস সরবরাহের সুযোগ করে দেবে।’’

    [tw]


    [/tw]

    প্রসঙ্গত, অতিমারি পরিস্থিতিতে আমজনতার আর্থিক সঙ্কট বাড়লেও উৎপাদন শুল্ক, সেস-সহ তেলের হরেক করের উপর নির্ভর করে মোদী সরকার রাজকোষ সামাল দিয়েছে। সংসদের বাদল অধিবেশনে পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতির গ্যাস প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তেলির এবং অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরির বিবৃতি ও পেশ করা পরিসংখ্যানে তা জানানো হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Primary TET: ফের আইনি গেরোয় প্রাথমিকে নিয়োগ, বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা

    Primary TET: ফের আইনি গেরোয় প্রাথমিকে নিয়োগ, বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিকে (Primary TET Notification) চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ চাকরিপ্রার্থীরা। মামলাকারীদের দাবি, বিএড উত্তীর্ণদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া যাবে না। সোমবার হবে মামলার শুনানি।

    গত ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে, ডিএলএড, বিএড ডিগ্রিধারীরা আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করতে পারবেন ডিএলএডের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়ারাও। ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরাও আবেদন করতে পারবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। আবেদনের শেষ তারিখ ২১ অক্টোবর।

    আরও পড়ুন: ‘কিংপিন’ মানিকের আমলেই ৫৮ হাজার বেআইনি চাকরি, চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির 

    মামলাকারীদের দাবি, বিএড ডিগ্রি থাকলে প্রাথমিক টেটে আবেদন করা যাবে পর্ষদের বিজ্ঞপ্তির এই অংশ বাতিল করতে হবে। মামলাটি উঠেছে বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। তিনি মামলা দেখে বলেন, “এতো মহা মুশকিল। পর্ষদের বিরুদ্ধে শুধু মামলা হচ্ছে।” 

    নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে শূন্যপদের সংখ্যা উল্লেখ করা না হলেও তিনদিন আগেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ১১ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের কথা জানায়। আগামী ১১ ডিসেম্বর টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। 

    মামলাকারীরা তাঁদের সপক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বলেছেন, রাজস্থান হাইকোর্টেও প্রাথমিক নিয়োগে একই ইস্যুতে একটি মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় রাজ্য সরকারের ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিকে স্থগিত করে দেয় রাজস্থান হাইকোর্ট। যদিও সেই মামলার এখনও কোনও সুরাহা হয়নি।

    অন্যদিকে নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদে গান্ধী মূর্তির নীচে চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না-অবস্থানের মেয়াদ বাড়াতে নারাজ হাইকোর্ট। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০১৪-র প্রাথমিকের প্রায় ৫০ জন চাকরিপ্রার্থী ২ মাসের জন্য ধর্না চালিয়ে যাওয়ার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্য। গত ৬ সেপ্টেম্বর অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি চেয়ে নতুন করে পুলিশের কাছে আবেদন করার জন্য চাকরিপ্রার্থীদের নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। ৮ সেপ্টেম্বর আবেদন জানান চাকরিপ্রার্থীরা। ১৩ সেপ্টেম্বর অনুমতি দেয় পুলিশ। ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে পাঁচদিনের জন্য অবস্থান বিক্ষোভে বসেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০১৪-র প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীরা। কিন্তু বিক্ষোভের সময়সীমা বাড়ানোর আনেদন মঞ্জুর করল না আদালত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

       

  • Gambia: গাম্বিয়ায় শিশুমৃত্যু, হু-এর সতর্কবার্তা জারির পরেই তদন্ত করতে বিশেষ প্যানেল গঠন কেন্দ্রের

    Gambia: গাম্বিয়ায় শিশুমৃত্যু, হু-এর সতর্কবার্তা জারির পরেই তদন্ত করতে বিশেষ প্যানেল গঠন কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাম্বিয়ায় (Gambia) ৬৬ জন শিশুমৃত্যুর কারণ হতে পারে ভারতীয় কাফ সিরাপ, এমনটা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তরফে সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়। এরপরেই কেন্দ্র সরকার থেকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পুরো তদন্তের নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। এবারে বুধবার অর্থাৎ গতকালই কেন্দ্রীয় সরকার চার বিশেষজ্ঞের একটি প্যানেল গঠন করেছে। ভারতে তৈরি চারটি কাফসিরাপের বিরুদ্ধে যে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতার ভিত্তিতে পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ করবে এই বিশেষ প্যানেলটি। তারপরে সেই রিপোর্ট ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেলের কাছে পাঠানো হবে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।

    এই কমিটিতে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা হলেন, প্রজ্ঞা যাদব, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি, পুনের বায়োসেফটি লেভেল ল্যাবের প্রধান, ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের এপিডেমিওলজি বিভাগের আরতি বাহল এবং সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) এর জয়েন্ট ড্রাগ কন্ট্রোলার এ কে প্রধান। এই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন স্ট্যান্ডিং ন্যাশনাল কমিটির মেডিসিনস-এর ভাইস-চেয়ারপার্সন ওয়াইকে গুপ্ত।

    আরও পড়ুন: গাম্বিয়ায় শিশুমৃত্যু, ৪টে কাশির সিরাপের উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ হরিয়ানা সরকারের

    ইতিমধ্যেই হরিয়ানা সরকার মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের সোনিপাত ইউনিটে ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। হুয়ের তরফে মনে করা হচ্ছে গাম্বিয়ার ৬৬ জন শিশুর মৃত্যুর কারণ ভারতে তৈরি চারটি কাশির ওষুধ। তাই অবিলম্বে কেন্দ্র থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ও গতকাল আবার কেন্দ্র সরকার প্যানেল গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়।

    প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য, এর আগেই হু-এর তরফে পাঠানো সতর্কতায় জানানো হয়েছিল, চারটি সিরাপ পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, সেখানে অস্বাভাবিক বেশি মাত্রায় ইথিলিন গ্রাইকল এবং এথিলিন গ্লাইকল রয়েছে। হুয়ের তরফে বার্তা পাওয়ার পরেই সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন হরিয়ানার রেগুলেটরি অথরিটির সঙ্গে যোগাযোগ করে। ও তারপরেই তদন্ত শুরু হয় বলে জানা গিয়েছে।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, গত ১১ অক্টোবর হু সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনকে পণ্যের নুমনার পরীক্ষার ফলাফল বিস্তারিতভাবে পাঠিয়েছে। পাশাপাশি হুয়ের তরফে জানানো হয়েছে, শিশু মৃত্যুর সঙ্গে চারটি সিরাপের সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা নিয়ে তদন্ত এখনও চলছে। অন্যদিকে হরিয়ানা সরকার ইতিমধ্যেই সংস্থাকে উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।

  • IMF: ‘সত্যি বিস্ময়’, মোদি সরকারের সরাসরি ব্যাংকে নগদ হস্তান্তর প্রকল্পের প্রশংসা আইএমএফের

    IMF: ‘সত্যি বিস্ময়’, মোদি সরকারের সরাসরি ব্যাংকে নগদ হস্তান্তর প্রকল্পের প্রশংসা আইএমএফের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত সরকার পরিচালিত ডিরেক্ট ক্যাশ ট্রান্সফার বা সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নগদ হস্তান্তর প্রকল্পকে একটা ‘বিস্ময়’ বলে উল্লেখ করল আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার বা সংক্ষেপে আইএমএফ। তাদের মতে, ভারতে চালু হওয়া একাধিক সমাজ কল্যাণমূলক প্রকল্প থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। ডিরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার (Direct Benefit Transfer) প্রকল্পের ভূয়সী প্রশংসা করল আইএমএফ(IMF)। এই প্রকল্পকে “লজিস্টিক বিস্ময়” হিসাবেও বর্ণনা করেছে তারা।   

    একটি সাংবাদিক বৈঠকে ভাষণ দেওয়ার সময়, আইএমএফের ফিসকাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর পাওলো মাওরো (Paolo Mauro) বলেছেন, “ভারতের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। আমাদের কাছে প্রায় প্রতিটি মহাদেশ এবং আয়ের প্রতিটি স্তরের উদাহরণ রয়েছে। ভারতের পারফর্ম্যান্স সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।”  

    আরও পড়ুন: অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ভাল, স্বীকার করল আইএমএফ  

    তিনি বলেন, “দেশের বিশাল আকার চিন্তা করলে এটা আসলে এক আশচর্য। কয়েক কোটি নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে পৌঁছয় এই প্রকল্পগুলি। ভারত সরকার তা সফলভাবে বাস্তবায়িত করছে।”  তিনি আরও বলেন, “ভারতের এমন কিছু প্রকল্প রয়েছে যা বিশেষ করে মহিলাদের জন্যে। বয়স্ক এবং কৃষকদের জন্যেও প্রকল্প রয়েছে। সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হল, ভারতের প্রচুর প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন রয়েছে।”   

    মাওরোর মতে, বর্তমানে ভারতে প্রচুর প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন সম্পর্কিত সাফল্য রয়েছে। নগদ স্থানান্তর প্রকল্পকে সফল করতে অন্যান্য সনাক্তকরণ ব্যবস্থার পাশাপাশি আধার কার্ড ব্যবহারেরও প্রশংসা করেছেন তিনি। মাওরো বলেন, “অন্যান্য দেশেও, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এমন মানুষের কাছে টাকা পাঠানোর প্রযুক্তি চালু আছে। অনেকের কাছে প্রচুর টাকা নেই, কিন্তু তাদের কাছে একটি মোবাইল ফোন আছে।”    

    তিনি আরও বলেন, “মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ডিরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার বিষয়টি অনবদ্য। দেশগুলি একে অপরের থেকে এসব শিখতে পারে। আমরা এমন একটি প্রতিষ্ঠান হওয়ার চেষ্টা করি যেখানে দেশগুলি এই ধরণের অভিজ্ঞতার ভাগ করে নিতে পারে।”

    আইএমএফের ফিসকাল অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর ভিটর গাসপার ( Vitor Gaspar) বলেন, “প্রযুক্তির মাধ্যমে কী করে সহজেই মানুষের সমস্যার সমাধান করা যায় তার অনুপ্ররণাদায়ক উদাহরণ সৃষ্টি করেছে ভারত।”   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Karnataka hijab row: ‘সুপ্রিম’ দুয়ারেও সমাধান অধরা! হিজাব পরা নিয়ে ভিন্নমত দুই বিচারপতির, মামলা গেল উচ্চতর বেঞ্চে

    Karnataka hijab row: ‘সুপ্রিম’ দুয়ারেও সমাধান অধরা! হিজাব পরা নিয়ে ভিন্নমত দুই বিচারপতির, মামলা গেল উচ্চতর বেঞ্চে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজো তথা দশেরার (Dusshera) ছুটির আগেই কর্নাটকের হিজাব বিতর্ক (Hijab Row) নিয়ে মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। তবে সেই মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আজ, বৃহস্পতিবার সেই মামলার রায় দিল শীর্ষ আদালত। এই মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ ‘স্প্লিট’ রায় দিয়েছেন। অর্থাৎ, এখনও হিজাব মামলার প্রকৃত ফলাফল স্পষ্ট নয়। রায়দান করে বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত (Justice Hemant Gupta) বলেছেন যে ‘মতের ভিন্নতা’ ছিল। তাই মামলাটি উচ্চতর বেঞ্চের কাছে পাঠানোর দায়িত্বভার প্রধান বিচারপতিকে দিল বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত এবং বিচারপতি শুধাংশু ধুলিয়ার (Sudhanshu Dhulia) বেঞ্চ। 

    আরও পড়ুন: ১০ দিন ধরে শুনানি হচ্ছে, এটা চলতে পারে না, হিজাব বিতর্কে সুপ্রিম কোর্ট

    গত ১৫ মার্চ কর্নাটক হাই কোর্টের রায়ে বলা হয়েছিল, হিজাব পরাকে ধর্মাচরণের প্রয়োজনীয় অঙ্গ হিসেবে দেখা ঠিক নয়। এই মামলার রায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করেছিল কর্ণাটক হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পড়ুয়াদের একাংশ। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সেই রায় বহাল রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত। তিনি মুসলিম ছাত্রীদের আবেদন খারিজ করে দিলেও  বিচারপতি শুধাংশু ধুলিয়া বলেন, হিজাব পরা নিজের পছন্দের বিষয়। সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারার উল্লেখ করে বিচারপতি ধুলিয়া মুসলিম ছাত্রীদের আবেদনের যৌক্তিকতা মেনে নিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত এবং বিচারপতি শুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ ‘খণ্ডিত রায়’ দিয়েছে। রায় দিতে গিয়ে দুই বিচারপতি ভিন্নমত হওয়ায় এই মামলায় এবার সিদ্ধান্ত নেবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে থাকা উচ্চতর বেঞ্চই এই মামলার রায় দেবেন।

    আরও পড়ুন: হিজাব না পরায় গ্রেফতার, পরে মৃত্যু তরুণীর, প্রতিবাদে উত্তাল ইরান

    কর্নাটক সরকারের হয়ে আদালতে সওয়াল-জবাব করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা, কর্নাটক সরকারের অ্যাডভোকেট জেনারেল প্রভুলিং কে নাভাগলি এবং অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল কেএম নটরাজ। অন্যদিকে মামলাকারীদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেছেন সিনিয়র আইনজীবী দুষ্মন্ত দাবে এবং সলমন খুরশিদ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: ৮ বছরে  আয় বেড়েছে প্রায় ১৭৫ গুণ! অনুব্রত কন্যা সুকন্যার আয়কর রিটার্ন চমকে দেবে আপনাকেও

    Anubrata Mondal: ৮ বছরে  আয় বেড়েছে প্রায় ১৭৫ গুণ! অনুব্রত কন্যা সুকন্যার আয়কর রিটার্ন চমকে দেবে আপনাকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের (Sukanya Mondal) ৮ বছরে  আয় বেড়েছে প্রায় ১৭৫ গুণ! সিবিআই (CBI) সূত্রে খবর, সুকন্যার আয়কর রিটার্নে মিলেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। ২০১৩-১৪ থেকে ২০২১-২২-এর মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষিকা কেষ্ট-কন্যার সম্পত্তি বেড়েছে রকেট গতিতে। করোনার সময় যখন প্রতিদিন চাকরি হারিয়েছেন শয়ে শয়ে মানুষ। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের পেটে ভাত জুটছে না। বেসরকারি কর্মীদের পকেট শূন্য। ব্যবসায়ীরা জমানো টাকা ভাঙিয়ে খেতে ব্যস্ত। সেই বছর অর্থাৎ, ২০১৯-২০-তে আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে সুকন্যার। তাঁর আয়কর রিটার্ন থেকেই এই তথ্য পেয়েছে সিবিআই। সামান্য প্রাথমিক শিক্ষিকার এই বিপুল আয়বৃদ্ধি কীভাবে? চার্জশিটে সেই প্রশ্ন তুলেছে সিবিআই। 

    আরও পড়ুন: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ প্রমোটার রানা সরকারকে সিবিআইয়ের জেরা! কী জানতে চাইলেন অফিসারেরা

    গরু পাচার মামলায় সিবিআই যে চার্জশিট দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে গত ১০ বছরে  শুধু সুকন্যা নয়,বিপুল হারে সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে অনুব্রত মণ্ডলেরও (Anubrata Mondal)। ৮ বছরে অনুব্রতর আয় বেড়েছে প্রায় ১৯ গুণ। সুকন্যা ও অনুব্রতের বার্ষিক আয়ের পরিমান দেখে আলোড়ন ছড়িয়েছে তৃণমূলের অন্দরেও। গরু পাচার মামলায় আসানসোল সিবিআই কোর্টে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ৩৫ পাতার চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। তাতে দেখা যাচ্ছে ২০১২-১৩ আর্থিক বছরে সুকন্যা মণ্ডলের আয় ছিল ৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকার মতো। পরের বছর তা বেড়ে হয় সাড়ে ৮ লাখ। ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরে সেটা এক লাফে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা। ২০১৮-১৯ সালে সুকন্যা আয়কর রিটার্নে ১ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা আয় দেখিয়েছেন। ১৯-২০ সালে সেটাও বেড়ে হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। আর গত আর্থিক বছরে তাঁর আয় হয়েছে ৯২ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা। এই আয় শুধুমাত্র সুকন্যা মণ্ডলের ব্যক্তিগত আয়।

    আরও পড়ুন: আরও বিপাকে অনুব্রত! ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ সিবিআই, কী রায় দেবে আদালত?

    অনুব্রত কন্যা সুকন্যা তো প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা কিন্তু, তাঁর মা তথা অনুব্রতর স্ত্রী ছবি মণ্ডলের কোন পেশা না থাকলেও তাঁর ২০১২-১৩ সালে বার্ষিক আয় ছিল প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা। ২০১৪-১৫ সালে তাঁর আয় বেড়ে দাঁড়ায় ৬২ লক্ষ টাকা। ২০১৭-২০১৮ সালে তাঁর আয় বেড়ে দাঁড়ায় ৭৩ লক্ষ টাকা। এই আয়ের উৎস কী? কোথা থেকে আসত এত টাকা? এখন সেই সত্যই খুঁজতে ব্যস্ত সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর নামে চিঠি! তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক দাবি বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর

    Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর নামে চিঠি! তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক দাবি বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে চিঠি পাওয়া গিয়েছে, তাই  নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করুক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তমলুকে একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে এই কথা বলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “সাত হাজার টাকার প্লেটে বিজয়া করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর চাকরি না পাওয়া যোগ্য ছেলেরা গাছের তলায় বসে পুজো কাটাচ্ছে। আমি বলব মমতার নামে চিঠি যখন পাওয়া গিয়েছে, তখন তাঁকে অবিলম্বে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করুক অফিসারেরা।” শুভেন্দুর প্রশ্ন “কেন মমতাকে ডেকে বা নবান্নে গিয়ে ইন্টারোগেশন করা হচ্ছে না?”

    আরও পড়ুন: হাত রয়েছে আল কায়দা ও আইসিসের! মোমিনপুরের ঘটনায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    জমি অধিগ্রহণ না করে তাজপুরে কোনওদিন বন্দর হবে না বলেও জানান  শুভেন্দু। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। উনি নিজেই জানেন না ৷ একটা বন্দর করতে হলে পাঁচ হাজার একর জমি দিতে হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন তাজপুর থেকে মাত্র  চার কিলোমিটার দূরে এক হাজার একর জমি আাদনিদের অফার করা হয়েছে । কিন্তু ওই চার কিলোমিটার রাস্তা যেতে হলে, ফোরলেন করতে হবে। ওই রাস্তা তৈরি করতে গেলেই জমি অধিকগ্রহণ করতে হবে। ” মুখ্যমন্ত্রীকে হলদিয়া বন্দর তৈরির ইতিহাস ঘাঁটতে বলেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়,   “সতীশ সামন্ত, বিরাজ মোহন দাস, কুমার চন্দ্র জানা, সুশীল ধারা হলদিয়া বন্দর করার সময় পুরো পাঁচটা গ্রামের জমি নিয়েছিলেন । বোনবিষ্ণুপুর, রাজাচক, রায়রায়চক, বিষ্ণুর রামচক, দত্তের চকের ইতিহাসটা দেখবেন । তাহলেই বুঝবেন একটা বন্দর করতে গেলে কী কী করতে হয় ।”  শুভেন্দুর দাবি, বন্দরের জন্য রেল করিডোর লাগে । ওয়ারহাউস লাগে । সেগুলো কোথায় হবে? মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা কথা বলে,বাজার গরম করছেন, অভিমত বিরোধী নেতার।

    আরও পড়ুন: বাকি উপাচার্যরাও পদত্যাগ করুন! সোনালি চক্রবর্তীর অপসারণের ‘সুপ্রিম’ সিদ্ধান্তের পর বিস্ফোরক শুভেন্দু

    দলের কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো প্রসঙ্গে তমলুকের আইসি ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এসপিকে কোর্টে নিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু। আগামী নির্বাচনে তমলুক লোকসভায় যে দাঁড়াবে তাঁকে নন্দীগ্রাম থেকে ৫০ হাজার ভোটে লিড দেওয়ার কথাও বলেন তিনি। শিল্প ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষের সুরে শুভেন্দু বলেন,”মুখ্যমন্ত্রী কয়েক মিনিটে আড়াইশো পুজোর উদ্বোধন করতে পারেন,কিন্তু সাড়ে ১১ বছর ক্ষমতায় থেকেও উনি একটা শিল্পের উদ্বোধন করতে পারেননি।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Jagdeep Dhankhar: বাংলায় শাসকের আইন চলে! মমতা-সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়

    Jagdeep Dhankhar: বাংলায় শাসকের আইন চলে! মমতা-সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপরাষ্ট্রপতি হয়েও বাংলার মানুষের দুর্দশার কথা ভুলতে পারছেন না জগদীপ ধনখড়। যখন শাসকের শাসন আইনের শাসনকে ছাপিয়ে যায়, তখন কী পরিস্থিতি হয় তা প্রতিনিয়ত দেখছে বঙ্গবাসী। এমনই দাবি করলেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল। বুধবার রাজধানী দিল্লিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই মত ব্যক্ত করেন তিনি। মানবাধিকার কমিশনের অনুষ্ঠানে উপরাষ্ট্রপতি অভিযোগ করেন,পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক দাঙ্গা ক্রমশ বাড়ছে। মোমিনপুর কাণ্ডের পর বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে উপরাষ্ট্রপতির এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ।

    আরও পড়ুন: ধনখড়ের প্রশ্নের মুখে মমতার ১৯ বিল, নতুন রাজ্যপাল কি আদৌ সই করবেন?

    ২০১৯ সালের জুলাই মাসে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন জগদীপ ধনখড়। তারপর থেকেই রাজ্যের প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর বিরোধ শুরু। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে বারংবার আওয়াজ তুলেছিলেন ধনখড়।  রাজ্য সরকারের বিভিন্ন নীতি নিয়েও সরব ছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে তাঁর সংঘাত এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে, সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলেছিলেন তিনি  ট্যুইটারে রাজ্যপাল ধনখড়কে ব্লক করে দিয়েছেন। এখনও তাঁর রেশ বর্তমান।

    আরও পড়ুন: কৃষক-পুত্র জগদীপ ধনখড়কে শুভেচ্ছা নরেন্দ্র মোদি সহ অন্যান্য নেতা-নেত্রীদের

    এদিন অনুষ্ঠানে উপরাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি তিনবছর বাংলার রাজ্যপাল ছিলাম। আমি যখন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ছিলাম তখন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন একটি রিপোর্ট পেশ করেছিল রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে। রিপোর্টের প্রথম বাক্যটা আমি কোনওদিনও ভুলব না। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, বাংলায় আইনের শাসন চলে না। শাসকের আইন চলে।’ এদিন পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন ধনখড়। তিনি বলেন, “মানবধিকার লঙ্ঘন যাঁরা সহ্য করেন, তাঁরাও সমান অপরাধী। যেখানে শাসকের আইন নয়, আইনের শাসন চলে সেখানেই মানবধিকার রক্ষিত হয়।” তাঁর মতে, “স্বাধীনতার সবচেয়ে ভাল সংজ্ঞা হল, সর্বত্র মানবধিকার রক্ষা এবং সংবিধানের সারমর্ম এবং সমস্ত ধর্মের মূলসত্ত্বাই হল, সবার ঊর্দ্ধে মানবধিকার রক্ষা করা।” তিনি আরও জানান, “রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা, বংশপরিচয়, জাতি বা ধর্মের নিরিখে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে রক্ষা করা যায় না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share