Blog

  • Pradhan Mantri Awas Yojana: শহরে নিখরচায় বাড়ি গরিবদের! প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ পর্যন্ত বাড়াল কেন্দ্র

    Pradhan Mantri Awas Yojana: শহরে নিখরচায় বাড়ি গরিবদের! প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ পর্যন্ত বাড়াল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতায় এসেই সাধারণ মানুষের বাড়ি তৈরি করার লক্ষ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে জোড় দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)।  ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি থেকে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এই প্রকল্পের আওতায় গোটা দেশে ১ কোটি ২২ লক্ষ বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্র সরকারের এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গরিব মানুষদের বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়ে থাকে। দরিদ্রদের পাকা বাড়ি তৈরিতে আর্থিক সাহায্য দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এবার শহরাঞ্চলে এই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রক সূত্রে খবর, প্রকল্পের সময়সীমা ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। ২০২২ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে ১২২ লাখ ৬৯ হাজার বাড়ির অনুমতি দেওয়া হয়েছে এই প্রকল্পে। ২০০৪-১৪ সালের মধ্যে এই প্রকল্পে শহরাঞ্চলে আট লাখ চার হাজার বাড়ি তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়, ২০১৭ সালে এই প্রোজেক্টে প্রায় ১০০ লাখ বাড়ির কথা বলা হয়েছিল। কেন্দ্রের পক্ষে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এরমধ্যে ৬২ লাখ বাড়ি তৈরি হয়েছে। প্রকল্পের শেষ দু’বছরে নতুন ৪০ লাখ বাড়ির প্রস্তাব দেওয়া হয়। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির অনুরোধের ভিত্তিতে এই সময়সীমা ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়। 

    ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫ বছরে শহরাঞ্চলে সব মানুষকে পাকা বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করার কথা ভেবেছিল কেন্দ্র। সেই প্রকল্পের মেয়াদই এবার আরও দু’বছর বাড়়ানো হল।সরকারি প্রকল্পে শহরাঞ্চলে কত পাকা বাড়ি তৈরি হয়েছে গত ২২ জুলাই তা নিয়ে সংসদে বিবৃতি দেন কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী। সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি জানান, প্রস্তাবিত মোট এক কোটি ২২ লাখ পাকা বাড়ির মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৬১ লাখ বাড়ির নির্মাণ শেষ হয়েছে। তাই এই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।

     

  • WhatsApp: গোপনে কেউ হোয়াটসঅ্য়াপ চ্যাটের স্ক্রিনশট নিচ্ছে? চিন্তা নেই, আসতে চলেছে নতুন ফিচার

    WhatsApp: গোপনে কেউ হোয়াটসঅ্য়াপ চ্যাটের স্ক্রিনশট নিচ্ছে? চিন্তা নেই, আসতে চলেছে নতুন ফিচার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন তথ্যের সুরক্ষার জন্য প্রায়শই নতুন ফিচার নিয়ে আসে হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। এবারে আবার নতুন ফিচার নিয়ে হাজির মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম। এবারে একাধিক সুরক্ষা ফিচারের (Security Features) ঘোষণা করলেন হোয়াটসঅ্যাপ তথা মেটা সিইও মার্ক জাকারবার্গ (Mark Zuckerberg)। যেসব ফিচারের কথা ঘোষণা করেছেন সেগুলো হোয়াটসঅ্যাপে আসার পর ইউজারদের অনেক সুবিধা হবে এবং এতে তাদের কোনও গোপনীয় তথ্যও অন্যের হাতে সহজে যাবে না।

    হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা এবার থেকে ‘সি ওয়ান্স’ মেসেজের স্ক্রিনশট নিতে পারবেন না। ‘ভিউ ওয়ান্স’ বা ‘সি ওয়ান্স’ ফিচারের ক্ষেত্রে এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। কারণ, এই ‘সি ওয়ান্স’-এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা এমন কিছু ছবি, ভিডিয়ো পাঠাতে পারেন,  যেটি দ্বিতীয়বারের জন্য দেখা যায় না। একবার দেখার পরেই তা ভ্যানিশ হয়ে যায়। তাই, অনেকেই ‘ভিউ ওয়ান্স’ মেসেজের স্ক্রিনশট নিয়ে রাখতে পারেন, যেটা এই ফিচার আসার পর আর সম্ভব হবে না। এই ফিচারটি সাধারণত আমরা ইনস্টাগ্রামে দেখতে পেয়েছি। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপেও এই সুবিধা খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে।

    আরও পড়ুন: হ্যাকিং রুখতে এই নতুন সিকিউরিটি ফিচার আনতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ, সুবিধা কী কী?

    এছাড়াও আরও একটি মজাদার ফিচার আসতে চলেছে। অনেক সময় আপনারা অফলাইন হওয়ার নাম করেও অন থাকেন, আর অপরদিকে অন্য ব্যক্তি দেখতে পাচ্ছে যে আপনি অলাইন আছেন। ফলে এমন অবস্থায় আর চিন্তা করার দরকার নেই। এরপর থেকে আপনি বেছে নিতে পারবেন যে, অনলাইন ‘স্টেটাস’ কাকে দেখাবেন। অর্থাৎ, আপনি বন্ধুবান্ধব থেকে লুকিয়েও হোয়াটসঅ্যাপ করে যেতে পারবেন। কিন্তু তাঁরা আপনাকে অফলাইনই দেখবেন। এই অপশনটি অন করলেই আপনি নিজেকে অফলাইন রেখে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে যেতে পারবেন।

    আবার কোনও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে সহজেই বেরিয়ে যেতে পারবেন, এক্ষেত্রে গ্রুপের অন্য কোনও সদস্যের কাছে তার নোটিফিকেশন যাবে না। এই ফিচারও খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। কারণ, অনেক সময়ই আমাদের মনে হয়, কাউকে বিরক্ত না করে গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যেতে। যাতে পরে কোনও প্রশ্নের সম্মুখীন হতে না হয়। তবে এক্ষেত্রে গ্রুপ অ্যাডমিন জানতে পারবেন।

    সুতরাং এইসব নতুন ফিচার খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপে। যদিও হোয়াটসঅ্যাপ থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি যে কবে এই ফিচারগুলো স্মার্টফোনে আসতে চলেছে। এগুলো এখনও ডেভেলপমেন্টের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।

     

  • Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল! নিয়ে যাওয়া হতে পারে সিবিআই ক্যাম্প অফিসে

    Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল! নিয়ে যাওয়া হতে পারে সিবিআই ক্যাম্প অফিসে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জল্পনার অবসান। বহু নাটকের পর অবশেষে গরুপাচার (Cow Smuggling Case) মামলায় সিবিআই (CBI) আটক করল অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। গরু পাচার মামলায় একাধিকবার তাঁকে নোটিশ পাঠায় সিবিআই। বারবার নানা অজুহাতে তিনি সিবিআইকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এমনকি অসুস্থতার অভিযোগে পিজি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন অনুব্রত। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁর সাস্থ্য পরীক্ষা করে জানিয়ে দিয়েছিলেন ভর্তির কোনো প্রয়োজন নেই। তখন তিনি কলকাতা থেকে বীরভূম ফিরে যান। ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে বীরভূম মহকুমা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক অনিয়ে জোর করে অসুস্থতার সার্টিফিকেট লিখিয়েছিলেন অনুব্রত, অভিযোগ এমনটাই। কিন্তু তাতেও রেহাই পেলেন না।

    শেষপর্যন্ত তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে আটক করে সিবিআই। বৃহস্পতিবার বোলপুরে অনুব্রতর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে আটক করেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। বুধবার সিবিআইয়ের দশম তলব এড়িয়ে যান অনুব্রত। তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে বলেই কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালেই বোলপুরে পৌঁছে যান গোয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়েই অনুব্রতর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই।  

    আরও পড়ুন: পার্থ-অনুব্রত কাণ্ডের জের! “সবাই চোর নয়”, সাফাই আতঙ্কিত তৃণমূলের

    এদিন সকালে অনুব্রতর বাড়িতে ঢুকেই ভিতর থেকে তাঁর বাড়ির সমস্ত গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন আধিকারিকরা। বাইরে রাখা থাকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যদের। বাড়ির প্রত্যেকের এবং অনুব্রতর দেহরক্ষীদের ফোন কেড়ে নিয়ে বাইরে বের করে দেওয়া হয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) পর তৃণমূলের (TMC) আরও এক হেভিওয়েট নেতা কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে। আজ সকালে আদালতের নির্দেশনামা ও মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে বোলপুরের নীচুপট্টিতে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়িতে পৌঁছে যান সিবিআই অফিসাররা। ঘণ্টাখানেক পর অনুব্রতকে বাড়ি থেকে বার করা হয়। বসানো হয় সিবিআইয়ের গাড়িতে।জানা যাচ্ছে, সিবিআইয়ের ক্যাম্প অফিসে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে দফায় দফায় তাঁকে জেরা করবেন সিবিআই আধিকারিকরা। গরুপাচার মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। 

     

  • Mumbai Attack: ফিরে আসবে ২৬/১১- র স্মৃতি? জঙ্গি হামলার হুমকি মুম্বইয়ে, জারি হাই অ্যালার্ট 

    Mumbai Attack: ফিরে আসবে ২৬/১১- র স্মৃতি? জঙ্গি হামলার হুমকি মুম্বইয়ে, জারি হাই অ্যালার্ট 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ২৬/১১-এর সাক্ষী হবে মুম্বই (Mumbai)। বাণিজ্য নগরীতে চালানো হবে জঙ্গি হামলা (Terrorist Attack)। সম্প্রতি এমনই হুমকি (Threat) পেল মুম্বই পুলিশ (Mumbai Police)।  পাকিস্তানের একটি ফোন নম্বর থেকে মেসেজ আসে যেখানে ৬ জন জঙ্গি হামলা চালাতে পারে ভারতে। 

    আরও পড়ুন: মুম্বই বিমানবন্দর সংলগ্ন ৪৮টি বিল্ডিং ভেঙে ফেলার নির্দেশ বোম্বে হাই কোর্টের, জেনে নিন কী কারণ

    সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, হুমকি বার্তায় বলা হয়েছে, “মুম্বইয়ে একটা হামলা চালানো হবে। এই হামলা ফিরিয়ে আনবে ২৬/১১- এর স্মৃতি। আমার ফোন নম্বর যদি খতিয়ে দেখা হয়, তা হলে লোকেশন হিসাবে ভারতই দেখাবে। বিস্ফোরণ ঘটাবে ছ জন। মুম্বই শহরে বিস্ফোরণ হবে। ওসামা বিন লাদেন, আজমল কাসব ও আয়মান আল-জওয়াহিরিকে হত্যা করা হয়েছে, এমন আরও অনেক কিছু ভবিষ্যতে ঘটবে।” কবে চালানো হবে এই হামলা সেই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। 

    আরও পড়ুন: ফোন ট্যাপিং কাণ্ডে গ্রেফতার মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার

    সম্প্রতি মুম্বই পুলিশের ট্রাফিক কন্ট্রোলের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে এমনই হুমকি বার্তা দেওয়া হয়েছে। ওই হুমকি মেসেজে বলা হয় , “২৬/১১- হামলা, উদয়পুরে দরজি খুন বা পাঞ্জাবে সিধু মুসেওয়ালা খুনের মতোই ভয়ঙ্কর কিছু করা হবে। ছয় জঙ্গি ভারতে হামলা চালাবে। আর সেই হামলা হবে মুম্বইতেই।” প্রসঙ্গত, এই ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসেছে মুম্বই পুলিশ। এই মেসেজ হালকাভাবে নিতে নারাজ প্রশাসন। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করার দাবি তুলেছেন মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলনেতা অজিত পওয়ার।  

    যে এই বার্তা পাঠিয়েছে, সে এই হামলার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ৭ ভারতীয়র নাম এবং ফোন নম্বরও পাঠিয়েছে। এদের মধ্যে একটি ফোন নম্বর উত্তরপ্রদেশের আতঙ্কবাদ দমন শাখার এক আধিকারিকের। ওই আধিকারিকের নম্বর কেন উল্লেখ করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 

    শনিবার এই নিয়ে সাবংবাদিক বৈঠক করেন মুম্বই পুলিশ কমিশনার বিবেক ফানশালকার। শহরবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, সমস্তভাবে প্রস্তুত আতঙ্কবাদ দমন শাখা। 

    ইতিমধ্যেই হাই অ্যালার্ট জারি হয়েছে শহরজুড়ে। শুরু হয়েছে নাকা চেকিং। মহম্মদ আসিফ বলে এক সন্দেহভাজনকে জেরাও করছে পুলিশ। এই ব্যক্তি সম্প্রতি কাজের সন্ধানে উত্তরপ্রদেশ থেকে মুম্বইয়ে এসেছেন। ওই তালিকায় এই ব্যক্তির ফোন নম্বরও রয়েছে। যদিও তিনি জানান, কী করে তাঁর নম্বর এল তা জানেন না তিনি। 

     

  • NFHS Survey: বেশিরভাগ রাজ্যে পুরুষদের থেকে মহিলাদেরই যৌনসঙ্গী বেশি! দাবি জাতীয় সমীক্ষায়

    NFHS Survey: বেশিরভাগ রাজ্যে পুরুষদের থেকে মহিলাদেরই যৌনসঙ্গী বেশি! দাবি জাতীয় সমীক্ষায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরুষদের থেকে মহিলাদেরই যৌনসঙ্গী বেশি। এমনই তথ্য উঠে এল এক গবেষণায়। ২০১৯- ২০২১ সালের জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষা (NFHS survey) থেকে এমন তথ্য পাওয়া গিয়েছে। দেশের বেশিরভাগ রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেই যৌনসঙ্গীর নিরিখে পুরুষদের থেকে এগিয়ে রয়েছেন মহিলারাই। এই সমীক্ষাটি ৭০৭টি জেলায় ১.১ লক্ষ মহিলা এবং ১ লক্ষ পুরুষের ওপর করা হয়েছিল।

    ১১টি রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পুরুষদের থেকে বেশি সঙ্গী রয়েছে মহিলাদের। রাজ্যগুলি হল, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, অসম, কেরল, লাক্ষাদ্বীপ, পুদুচেরি, তামিলনাড়ু। এর মধ্যে রাজস্থানেই সব থেকে বেশি। এই রাজ্যে প্রতি মহিলার গড়ে ৩.১ জন যৌনসঙ্গী রয়েছে। সেখানে পুরুষদের ১.৮ জন।

    আরও পড়ুন: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করলে তা ধর্ষণ নয়, ঐতিহাসিক রায় কেরল হাইকোর্টের

    এমনকি শহরের তুলনায় গ্রামের এবং অবিবাহিত বা বিধবা অথবা ডিভোর্সিদের তুলনায় বিবাহিত মহিলারাই দুই বা তার বেশি পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন। সমীক্ষা অনুযায়ী, জনসংখ্যার নিরিখে মহিলাদের (০.৫%) তুলনায় বেশি সংখ্যক পুরুষ (৩.৬%) এমন কারও সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন যারা তাদের স্ত্রী বা লিভ-ইন পার্টনার নয়।  

    আরও পড়ুন: আতঙ্ক বাড়াচ্ছে মাঙ্কি পক্স, বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫০০০-এর বেশি, মৃত্যু ১২ জনের

    সমীক্ষাটি মূলত উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ যৌন মিলন এবং যৌনমিলনের সময় কন্ডোম কতজন ব্যবহার করছেন সেই বিষয়গুলি জানতেই করা হয়েছে। কারণ কন্ডোম ব্যবহারের ফলে এইচআইভি এবং অন্যান্য যৌন রোগের ঝুঁকি কমে। 

    যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে যেসব রোগ ছড়ায় – যেমন গণোরিয়া বা ক্ল্যামাইডিয়া – তা নিয়ে করা এক জরিপে দেখা গেছে, প্রতি চার মিনিটে একজন তরুণ সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন। 

    আরও পড়ুন: যৌনকর্মীদের সমমর্যাদা, সমান আইনি অধিকার প্রাপ্য, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    সরকারি তথ্যে বলা হচ্ছে, এর মধ্যে ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সীরা আছেন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে। এসব রোগ বিস্তার ঠেকাতে পারে কন্ডোম। 

  • SSC Scam: এবার পার্থর পকেটেও কাট ছাঁট! জানেন কত হল প্রাক্তন মন্ত্রীর এখনকার বেতন?

    SSC Scam: এবার পার্থর পকেটেও কাট ছাঁট! জানেন কত হল প্রাক্তন মন্ত্রীর এখনকার বেতন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলবন্দি বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছে শাসকদল৷ মন্ত্রিসভা থেকে ছেঁটে ফেলার পর দলের সমস্ত পদ থেকেও বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁকে৷ এমনকী তৃণমূল থেকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে প্রাক্তন মহাসচিবকে৷ এবার বেতনে কোপ পড়ল পার্থের৷ বিধানসভা সচিবালয় সূত্রে খবর, অন্যান্য বিধায়কদের তুলনায় ৬০ হাজার টাকা কম বেতন পাবেন তিনি৷ 

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Bengal Recruitment Scam) এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় । এক সময় তিনি রাজ্য মন্ত্রিসভার দু’নম্বর ব্যক্তি হলেও এখন তিনি আর মন্ত্রী নন। সম্প্রতি বিধানসভার তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দুর্নীতির অভিযোগ মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে বিধানসভার কোনও কমিটিতে রাখা হবে না। এর প্রভাব পড়েছে তাঁর বেতনেও।  বিধানসভায় মোট ৪১টি কমিটি রয়েছে। প্রত্যেক বিধায়ককে ন্যূনতম দুটি কমিটিতে রাখা হয়, যাতে তাঁরা মাসে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা বৈঠক-ভাতা নিশ্চিত করতে পারেন৷ 

    আরও পড়ুন: সিবিআই হেফাজতে আসতে পারেন পার্থ! ১৩১টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান

    বিধায়করা মাসিক ২১ হাজার ৮৭০ টাকা মূল বেতন পেয়ে থাকেন, কোনওরকম ভাতা ছাড়া। এরপর যদি কোনও বিধায়ক পরিষদীয় কমিটির মিটিংগুলিতে যোগদান করেন, তবে ভাতা হিসেবে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে তাঁর মোট বেতন গিয়ে দাঁড়ায় ৮২ হাজার টাকা। তৃণমূল পরিষদীয় দলের এক সদস্যের কথায়, “পার্থ এখন জেলে রয়েছেন৷ উনি কবে আবার বিধানসভায় এসে কাজে যোগ দিতে পারবেন, তার কোনও ঠিক নেই। তাই তাঁকে কমিটিতে রাখারও কোনও মানে হয় না৷ এর চেয়ে যে সকল বিধায়ক নিয়মিত বৈঠকে যোগ দিতে পারবেন,  তাঁদেরকেই সুযোগ দেওয়া উচিত।”

    এমনিতেই সময় ভালো যাচ্ছে না রাজ্যের প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রীর। ইডি (ED)-র জেরার মুখে পড়েছেন ৷ তাঁর একের পর এক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সিল করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে মন্ত্রিত্ব হারিয়ে বিগত দিন যে পরিমাণ বেতন পেতেন, তাও কমেছে পার্থর। সবমিলিয়ে এখন পার্থের শিরে-সংক্রান্তি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Co-operative Bank Recruitment Scam: এবার রাজ্যের সমবায় ব্যাংক নিয়োগেও দুর্নীতি! জড়াল মন্ত্রী অরূপ রায়ের নাম

    Co-operative Bank Recruitment Scam: এবার রাজ্যের সমবায় ব্যাংক নিয়োগেও দুর্নীতি! জড়াল মন্ত্রী অরূপ রায়ের নাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দমকলের পর এবার রাজ্যের সমবায় ব্যাংক নিয়োগেও লাগল দুর্নীতির ছায়া। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি (Teachers Recruitment scam) নিয়ে একের পর এক অভিযোগ সামনে এসেছে রাজ্যে। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক বা প্রাথমিক থেকে শিক্ষাকর্মী সর্বত্রই নিয়োগ দুর্নীতিতে জেরবার তৃণমূল সরকার। এবার ব্যাংকে নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠল।  তমলুক – ঘাটাল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকে (Co Operative Bank) মন্ত্রী ও চেয়ারম্যান ঘনিষ্ঠদের বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার একটি জনস্বার্থ মামলায় অতিরিক্ত হলফনামা পেশ করেছেন মামলাকারীরা। সেই হলফনামায় নাম রয়েছে খোদ মন্ত্রী অরূপ রায়ের (Arup Roy)। 

    কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জমা পড়া অতিরিক্ত হলফনামায় নিয়ম ভেঙে মন্ত্রী ঘনিষ্ঠদের চাকরি পাওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), পরেশ অধিকারী, অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) সঙ্গে একই সারিতে পড়লেন মন্ত্রী অরূপ রায়ও। মন্ত্রী বা ব্যাংকের চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ অনেককে নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এদিন হলফনামা পেশ করা হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে মন্ত্রী জানিয়েছেন, এমন কোনও দুর্নীতিই হয়নি। এই অভিযোগ অসত্য ভিত্তিহীন। তিনি জানান, প্রকৃত তদন্ত হোক। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁরা শাস্তি পাবে।

    হাইকোর্টে দাখিল হলফনামায় অভিযোগ, সমবায়মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সত্য সামন্তের বোন সমবায় ব্যাংকে চাকরি পেয়েছেন। ৫২টি শূন্যপদ থাকলেও নিয়োগ হয়েছে ১৩৪ জনের। একাধিক ব্যক্তির ঘনিষ্ঠদের চাকরি হয়েছে তমলুক-ঘাটাল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকে। এই ব্যাংকে তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে আদালতে। 

    আরও পড়ুন: পেগাসাস বিতর্কে স্বস্তি কেন্দ্রের! মাত্র ৫টি ফোনে ম্যালওয়ারের অস্তিত্ব মত শীর্ষ আদালতের

    অতিরিক্ত হলফনামায় বলা হয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি প্রয়াত দেবব্রত দাসের ভাইপোও অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছেন। চাকরি পেয়েছেন সেই ব্যাংকের চেয়ারম্যান গোপাল চন্দ্র মাইতির ভাইপো। এখানেই শেষ নয়। অতিরিক্ত হলফনামায় দাবি, কেন্দ্রীয় এই সমবায় ব্যাঙ্কের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সিইও প্রণয় কুমার চক্রবর্তীর ভাইপোও চাকরি পেয়েছেন। এছাড়াও ব্যাংক সচিব কৌশিক কুলভির ভাইপো, ব্যাংক কর্তা নিমাই অধিকারীর মেয়ে এবং ব্যাংকের কর্তা তপন কুমার কুলিয়ার ছেলেও চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ।

    মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, নিয়ম বহির্ভূত ভাবে নিয়োগের জন্য দুই দফায় অনুমতি দিয়েছিলেন মন্ত্রী অরূপ রায়। অভিযোগ, কো-অপারেটিভ, সার্ভিস কমিশন ছাড়া নিয়োগ করতে পারবে ব্যাংক, এই মর্মে দুবার অনুমোদন দিয়েছিলেন মন্ত্রী। মামলাকারীদের দাবি, কো-অপারেটিভ সার্ভিস কমিশন ছাড়া নিয়োগ করা আইনবিরুদ্ধ। মোট ২০৩৫ জন আবেদন করেছিলেন এবং ব্যাংকের নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরে ফি জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু ফি জমা দেওয়ার এই তালিকায় ১০০ টির বেশি নাম ফাঁকা রয়েছে বলে অভিযোগ। আবেদন না করেও অনেকে চাকরি পেয়েছেন এমনই দাবি মামলাকারীদের। অভিযোগ, মেধাতালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও অনেকে চাকরি পেয়েছেন। ২০১৯ সালের বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে এই নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয়। এই নিয়োগ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় ২০২১ সালে। সেই মামলাতেই অতিরিক্ত হলফনামা দাখিল করে নতুন এই অভিযোগ জানানো হয়েছে।

  • Europe’s Great Drought: ৫০০ বছরে এমন দিন দেখেনি ইউরোপ! খরার কবলে ফ্রান্স, জার্মান থেকে স্পেন, নেদারল্যান্ডস

    Europe’s Great Drought: ৫০০ বছরে এমন দিন দেখেনি ইউরোপ! খরার কবলে ফ্রান্স, জার্মান থেকে স্পেন, নেদারল্যান্ডস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে ইউরোপের (Europe) বিস্তীর্ণ অংশ। সম্প্রতি আবহাওয়া নিয়ে প্রকাশিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (EU) এক রিপোর্ট বলছে, গত পাঁচশো বছরে এরকম ভয়াবহ খরা দেখেনি গোটা ইউরোপ। মহাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বৃষ্টির দেখা নেই। কোথাও নদী শুকিয়ে মাঠ হয়ে গিয়েছে, কোথাও দাবানলে পুড়ছে বনাঞ্চল আর তার সংলগ্ন বসতি।

    পরিবেশবিজ্ঞানীদের আশঙ্কা আগামী কয়েক বছরে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের জয়েন্ট রিসার্চ সেন্টার-এর তরফে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে,মহাদেশের অন্তত ৪৭ শতাংশ এলাকা এখন সতর্কতার আওতায় রয়েছে। মাটিতে আদ্রতার পরিমাণ  কমছে। ১৭ শতাংশ এলাকার অবস্থা খুব খারাপ। 

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে শিখ মহিলাকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও ধর্মান্তকরণ, জয়শঙ্করের হস্তক্ষেপ দাবি

    ইউরোপীয় ইনোভেশন কমিশনার মারিয়া গ্যাব্রিয়েল (Mariya Gabriel) জানান, ‘প্রবল খরা পরিস্থিতি ও তাপপ্রবাহের সম্মিলিত কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলির নদীতে জলস্তর ভয়ানক ভাবে নেমে গিয়েছে। এখন আমরা ঘনঘন দাবানল দেখতে পাচ্ছি। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে ফসল উৎপাদনে’।  অতিরিক্ত শুষ্ক আবহাওয়া চাষাবাদের উপরে প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলেছে। সয়াবিন, সূর্যমুখী ও ভুট্টার উৎপাদন ইতিমধ্যেই যথাক্রমে ১৫, ১২ ও ১৬ শতাংশ কমেছে।

    আরও পড়ুন: জাগুয়ার ও কুমিরের ভয়ঙ্কর লড়াই! জিতল কে?

    খরার ফলে দাবানলের প্রকোপ বাড়ছে। কম বৃষ্টিপাতের জন্য ব্যাহত হচ্ছে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন। দাবদাহের ফলে মানুষের মৃত্যুও হচ্ছে। মূলত ফ্রান্স (France), বেলজিয়াম (Belgium), জার্মানি (Germany), হাঙ্গেরি (Hungery), ইটালি (Italy), লুক্সেমবুর্গ (Luxemburg), মলডোভা, নেদারল্যান্ডস (Netherlands), সার্বিয়া (Serbia), পর্তুগাল (Portugal), ব্রিটেন(Britain) , স্পেন (Spain), রোমানিয়া (Romania), ইউক্রেনে (Ukraine) খরা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

    আবহবিদদের কথায়, চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত পশ্চিম ইউরোপ ও ভূমধ্যসাগরীয় এলাকায় খরা ও তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য বিশ্ব উষ্ণায়নকেই দায়ী করছেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে রাতের দিকেও তেমন ঠান্ডা হচ্ছে না, বলে জানান পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • IPS Rajib kumar : পুলিশে ফের সক্রিয় রাজীব কুমার, তিনিই কি পরবর্তী ডিজি?

    IPS Rajib kumar : পুলিশে ফের সক্রিয় রাজীব কুমার, তিনিই কি পরবর্তী ডিজি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের কার্যকলাপে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছেন বিতর্কিত আইপিএস অফিসার রাজীব কুমার। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, ইদানীং নাকি তাঁর পরামর্শেই চলছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। নবান্নের (Nabanna) খবর, গত দুই তিন বারের আইপিএস বদলিও হয়েছে রাজীব কুমারের অঙ্গুলিহেলনে। এমনকী সিআইডি প্রধানের পদ থেকে ছাঁটা পড়েছেন জ্ঞানবন্ত সিংহের মতো চোদ্দতলার এক প্রকার তল্পিবাহক অফিসারও। হঠাৎই রাজীব কুমারের সক্রিয় হয়ে ওঠার নেপথ্যে ফের চর্চা শুরু হয়েছে তা হলে পঞ্চায়েত ভোটের পর তিনিই কি হচ্ছেন রাজ্যের পরবর্তী ডিজি?

    শোনা যাচ্ছে, মহারাষ্ট্রের সরকার পতনের পর নবান্ন রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগ, সিআইডি, এসটিএফকে ফের বিরোধী দলের ব্লকস্তর পর্যন্ত নেতাদের ফোনে নজরদারি চালাতে নির্দেশ দিয়েছে। বাদ যাচ্ছে না শাসক দলের বেশ কিছু নেতার ফোনও। বিশেষ করে পুরনো তৃণমূল এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একদা ঘনিষ্ঠ সমস্ত মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়কদের উপর রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগই কড়া নজরদারি চালাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: কেন অনুব্রতর বাড়িতে ডাক্তার? হাসপাতাল সুপারকে ধমক স্বাস্থ্য কর্তার, দায় নেবে না নবান্ন

    রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান রাজীব মিশ্র নজরদারির দায়িত্বে থাকা অফিসারদের দেদার ফোন ট্যাপিংয়ের সঙ্গে এমন নির্দেশও দিয়েছেন যাতে নজরদারির কোনও নথি দফতরের সংগ্রহে না রাখা হয়। অর্থাৎ ফোন শোনার পর পরই কিছুদিনের মধ্যেই সেগুলি নষ্ট করে দিচ্ছে গোয়েন্দা বিভাগ। একইভাবে সক্রিয় হয়েছে সিআইডি এবং এসটিএফ। আইপিএস মহলের অনেকেই সেই কারণে মনে করছেন, রাজ্য পুলিশের পরবর্তী ডিজি হতে চলেছেন রাজীব কুমার। তাই এক বছর আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছেন। পুরনো নকশা মতোই কাজ শুরু করেছে রাজ্য পুলিশ।

    নবান্নের খবর, বর্তমান ডিজি মনোজ মালব্য ২০২৩ এর ৩১ মে অবসর নেবেন। ডিজি হওয়ার প্রশ্নে সিনিয়রিটির  নিরিখে রাজ্যে কর্মরত অফিসারদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন বিবেক সহায়, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, রাজীব কুমার, রণবীর কুমার, রাজেশ কুমার, দেবাশিস রায় এবং জয়ন্ত বসু। আইপিএস কর্তাদের একাংশের ধারণা, রাজীব কুমার, রণবীর কুমার এবং রাজেশ কুমারের ২০২৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত চাকরি রয়েছে। ফলে তাঁদের মধ্য থেকেই কেউ একজন পরবর্তী ডিজি হতে পারেন। বাঙালি কোনও অফিসারকে বসাতে হলে সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের নামও ভাবতে পারে নবান্ন। কিন্তু পরবর্তী ডিজিই লোকসভা ভোট পরিচালনা করবেন, সে দিক থেকে মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বস্ত লোককেই চাইবেন বলে ধরে নিচ্ছেন আইপিএসদের একাংশ।

    আরও পড়ুন: ফের তলব এড়ালেন অনুব্রত, এবার কোন পথে হাঁটবে সিবিআই?

    সারদা মামলায় এখন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জামিনে রয়েছেন রাজীব কুমার। সিবিআই সর্বোচ্চ আদালতে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করার জন্য তৎপর হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে। কারণ, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যে ভাবে এগচ্ছে তাতে এসএসসি মামলার জাল কিছু গুটিয়ে আনার পর চিট ফান্ড, কয়লা, গরু পাচারের মামলাগুলিতেও সক্রিয় হবে বলে ধরে নেওয়া যায়। এখন রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগ, সিআইডিসহ নবান্নর বিশ্বাসভাজন হিসাবে কাজ করছেন যে গুটিকয় আইপিএস তাঁদের কয়লা, গরু, চিটফাণ্ড কাণ্ডে যোগসূত্র রয়েছে বলেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের হাতে নথি রয়েছে। ফলে পিঠ বাঁচাতেই বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে পাল্টা মামলা তৈরিতে মরিয়া তাঁরা। অনেকেই জানাচ্ছেন, রাজীব কুমারের পুলিশি কর্মকাণ্ডে ফের সক্রিয় হয়ে ওঠার পিছনে সে সবও কারণ থাকতে পারে। কারণ, তথ্য প্রযুক্তি সচিব হিসাবে নিযুক্ত থাকলেও তাঁর কাছে প্রতিদিনই বেশ কয়েকজন আইপিএস অফিসার দেখা করতে আসছেন। এমন দেখা করতে আসা কয়েকজন সম্প্রতি গুরুত্বপূর্ণ পোস্টিংও পেয়েছেন। ডিজি নবান্ন বা ভবানী ভবনে বসলেও ওয়েবেল ভবনই এখন পুলিশ মহলের নতুন ক্ষমতাকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

    কিছুদিন আগে পর্যন্ত রাজীব কুমার ঘনিষ্ঠ মহলে স্বেচ্ছাবসর নিয়ে বিদেশে পড়াশোনা করতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করতেন। তাঁর কৃতকর্মের জন্য আপেক্ষ করতেন। এখন সে সবের বালাই নেই বলেই শোনা যাচ্ছে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার থাকাকালীন তাঁরই সতীর্থরা রাজীব কুমারকে ডেপুটি সিএম বলে মজা করতেন। পুলিশি সক্রিয়তা, রাজ্য পুলিশের বিরোধীদের উপর নজরদারি বেড়ে যাওয়ায় এখন আবার অনেকেই রাজীব কুমার পুরনো ভূমিকায় ফিরতে চাইছেন বলে মনে করছেন।

  • Professor Bikini Controversy: ইনস্টাগ্রামে পুরনো বিকিনি-পোস্টের জেরে চাকরি গেল সেন্ট জেভিয়ার্সের অধ্যাপিকার

    Professor Bikini Controversy: ইনস্টাগ্রামে পুরনো বিকিনি-পোস্টের জেরে চাকরি গেল সেন্ট জেভিয়ার্সের অধ্যাপিকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপরাধ বিকিনি (Bikini) পরে ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করা। আর এই কারণেই চাকরি গেল এক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকার। যে সে বিশ্ববিদ্যালয় নয়। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার এক অত্যন্ত কুলীন বিশ্ববিদ্যালয়ে। নাম সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় (St. Xavier’s University)। শিক্ষিকার বিকিনি পরা ছবি এক ছাত্র দেখে ফেলায়, তাঁকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এমনই অভিযোগ করেছেন ওই অধ্যাপিকা (Professor)।

    আরও পড়ুন: কেন অনুব্রতর বাড়িতে ডাক্তার? হাসপাতাল সুপারকে ধমক স্বাস্থ্য কর্তার, দায় নেবে না নবান্ন  
     
    সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই প্রাক্তন অ্যাস্টিস্ট্যান্ট প্রফেসর বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেন, “প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের বাবা তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান, এরপরই তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।” সেন্ট জেভিয়ার্স যদিও এই সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়েছে,স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়েছিলেন ওই অধ্যাপিকা। 

    ভাইরাল হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ছাত্রের বাবার লেখা সেই চিঠি। চিঠিতে বি কে মুখোপাধ্যায় নামে ওই ব্যক্তি লিখেছেন, “আমার ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপিকার বিকিনি পরা ছবি দেখতে পেয়েছে। ছবিগুলি অত্যন্ত কুরুচিকর, অশ্লীল,প্রায় নগ্ন বললেই চলে। ছবিগুলিতে শিক্ষিকা যৌন উত্তেজনামূলক পোশাক পরে রয়েছেন। শিক্ষিকার অন্তর্বাস পরা ছবি ছেলে দেখছে, বাবা হিসেবে আমার কাছে ভীষণ লজ্জার এই দৃশ্য। একজন ১৮ বছরের ছেলে তার অধ্যাপিকার স্বল্পাবাসের ছবি দেখছে, তাও আবার প্রকাশ্যে পাবলিক প্ল্যাটফর্মে, এটি অত্যন্ত নিকৃষ্টমানের ও লজ্জাজনক ঘটনা।” 

    আরও পড়ুন: ‘দিদি’ ফোন ধরছেন না, সিবিআই ডাকে বিচলিত কেষ্টর চোখে ঘুম নেই  

     

    প্রাক্তন অধ্যাপিকার অভিযোগ, এর পরই তাঁকে ডেকে পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৈঠক চলাকালীন তাঁকে অভিভাবকের চিঠিটিও দেখানো হয়। তাঁকে চাকরিতে ইস্তফা দেওয়ার কথা বলা হয়। গত ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর ওই অধ্যাপিকা পুলিশে অভিযোগ জানান, তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে থাকতে পারে। কারণ তাঁর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল প্রাইভেট মোডে রয়েছে, কোনও ছবিই বাইরের কারও পক্ষে দেখা সম্ভব নয়। তা সত্ত্বও কী করে ওই ছাত্র ছবি দেখতে পেল তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। 

    অধ্যাপিকার অভিযোগ একরকম জোড় করেই ইস্তফা দেওয়ানো হয় তাঁকে। যদিও সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ওই অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়েছেন বলেই দাবি তাঁদের।  

LinkedIn
Share