Blog

  • CBI Raids Rice Mill: কেষ্ট যোগ! ভোলে ব্যোমের পর শিবশম্ভু রাইস মিলে হানা সিবিআইয়ের, কী মিলল?

    CBI Raids Rice Mill: কেষ্ট যোগ! ভোলে ব্যোমের পর শিবশম্ভু রাইস মিলে হানা সিবিআইয়ের, কী মিলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এর আগেই অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ‘ভোলে ব্যোম’ রাইস মিলে (Rice Mill) হানা (Raid) দিয়েছিল সিবিআই (CBI)। হাতে এসেছিল বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি। সেখান থেকেই মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল এবং প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডলের নামে থাকা একাধিক সম্পত্তির নথি, দামী ৫ গাড়ি এবং একাধিক ডাম্পারের খোঁজ পেয়েছিল সিবিআই। এবার সোমবার সকালে অনুব্রতর ঘনিষ্ঠের রাইসমিল ‘শিব শম্ভুতে’ (Shiv Shambhu) পৌঁছে যান সিবিআই আধিকারিকরা। বোলপুরের শিব শম্ভু রাইসমিল প্রথম থেকেই সিবিআইয়ের স্ক্যানারে ছিল। আজ সেখানে দ্বিতীয়বারের জন্য হানা দিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, সিবিআই-এর দলের সঙ্গে রয়েছেন এফসিআই (FCI)-এর দুই আধিকারিক।  রাইস মিলে ঘুরপথে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের টাকা খাটানো হত কি না, সেটাই খতিয়ে দেখতে চায় সিবিআই। 

    আরও পড়ুন: বোলপুরে ফের সিবিআই হানা, এবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ পুরকর্মীর বাড়িতে তদন্তকারীরা

    জানা গিয়েছে, সিবিআই- এর হাতে তথ্য রয়েছে, এই সব রাইস মিল সরাসরি অনুব্রত মণ্ডলের নামে না থাকলেও অংশিদারিত্ব রয়েছে তাঁর। তার ভিত্তিতেই এই তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। শিব শম্ভু রাইস মিলে গিয়ে এ দিন নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে কথা বলছেন সিবিআই আধিকারিকরা।  

    বোলপুরের এই রাইস মিলটির দরজায় লেখা রয়েছে, ‘কেয়ার অব জে বি পাল অ্যান্ড ডি ডি পাল রাইস মিল’। কিন্তু বীরভূম রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের নথিতে এই মিলের মালিক হিসেবে নাম রয়েছে কমল কান্তি ঘোষের। নথি অনুযায়ী ২০১২ সালে লিজ নেওয়া হয়েছিল এই মিল। এই কমল কান্তি ঘোষ হলেন অনুব্রত মণ্ডলের ভগ্নিপতি অর্থাৎ অনুব্রতর বোন শিবানি ঘোষের স্বামী। এদিকে কিছুদিন আগেই কমল কান্তি নিজে জানিয়েছিলেন, তাঁর কোনও রাইস মিল নেই। তাহলে এই মিলের আসল মালিক কে? তা নিয়ে এখন উঠছে প্রশ্ন।

    আরও পড়ুন: ‘‘অনুব্রত ওয়েব সিরিজের সবে প্রথম ও দ্বিতীয় এপিসোড বেরিয়েছে…’’, খোঁচা সুকান্তর

    এই প্রসঙ্গে কমল কান্তির ছেলে রাজা ঘোষ বলেন, “আমার বাবার নামে ওই রাইস মিল, আমি এই প্রথম শুনলাম। আমার সঙ্গে বাবার দুবছর কোনও সম্পর্ক নেই। আমি কিছু জানিনা। বাবাকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করুন।”     

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিগত বেশ কিছুদিন ধরে বন্ধ রয়েছে এই রাইস মিল। অনেকেই মনে করছেন ইতিমধ্যেই মিলের মালিকানা বদল হয়েছে। 

    প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই ভোলে ব্যোম রাইস মিলে তল্লাশি চালায় সিবিআই। সেই রাইস মিলের গ্যারাজে দেখা যায় একাধিক বহুমূল্য গাড়ি। গাড়িগুলির মালিক কে তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। এ ছাড়া ওই মিলের নামে কোটি টাকার গাড়ির ডিল হয়েছিল বলেও জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।   

    সূত্রের খবর, বীরভূমের আরও ১০টি রাইস মিলের দিকে নজর রয়েছে সিবিআইয়ের। সেই মিল গুলিতেও প্রয়োজনে তল্লাশি চালানো হতে পারে।  

  • Gyanwant Singh: কয়লাপাচার মামলায় ইডির দফতরে হাজিরা এড়ালেন জ্ঞানবন্ত! কীসের ভয়?

    Gyanwant Singh: কয়লাপাচার মামলায় ইডির দফতরে হাজিরা এড়ালেন জ্ঞানবন্ত! কীসের ভয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লাপাচার কাণ্ডে সোমবার দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) সদর দফতরে হাজিরা এড়ালেন রাজ্য পুলিশের এডিজি এসটিএফ জ্ঞানবন্ত সিং (ADG STF Gyanwant Singh) ৷  এ দিন সকাল ১১ টায় দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু হাজিরা দেননি তিনি। 

    এডিজি এসটিএফ জ্ঞানবন্ত সিং-কে এর আগেও দিল্লিতে তলব করা হয়েছিল। ইডির দফতরে হাজিরাও দিয়েছিলেন তিনি। ইডি সূত্রের খবর, বাংলায় যখন রমরমিয়ে কয়লাপাচার চক্র কাজ চালাচ্ছিল, সেই সময় রাজ্যের এডিজি আইনশৃঙ্খলা পদে ছিলেন এই জ্ঞানবন্ত। তাঁর নজর এড়িয়ে কীভাবে কোটি কোটি টাকার কয়লাপাচার হল, তা জানতে চাইছে ইডি ৷ সূত্রের খবর, কয়লাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালাকে জেরা করেই জ্ঞানবন্তের নাম জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তারপরই তাঁকে তলব করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: কয়লা কাণ্ডেও সক্রিয় ইডি, তলব ৮ আইপিএস অফিসারকে

    শুধু জ্ঞানবন্ত নয়, রাজ্যের মোট আটজন আইপিএস অফিসারকে তলব করেছে ইডি। যাঁদের তলব করা হয়েছে, সেই তালিকায় জ্ঞানবন্ত ছাড়াও রয়েছেন আইপিএস শ্যাম সিং, রাজীব মিশ্র, তথাগত বসু, সুকেশ জৈন, ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, এস সেলভামুরুগন ও কোটেশ্বর রাও। তাঁরা প্রত্যেকেই বিভিন্ন ওই সময় কোনও না কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। এদের মধ্যে কেউ সেই সময় ছিলেন ডিআইজি, কেউ আইজি, কেউ পুলিশ সুপার। তাঁরা কি কয়লা পাচারের ব্যাপারে ওয়াকিবহাল ছিলেন? পুলিশ আধিকারিকদের সামনে দিয়ে কী ভাবে পাচার হত? তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।

    জ্ঞানবন্ত পশ্চিমাঞ্চলের আইজিও ছিলেন। পশ্চিমাঞ্চলের বিরাট এলাকা জুড়ে এই কয়লা চুরি রমরমিয়ে চলে বলে জানতে পারেন তদন্তকারী অফিসারেরা। কীভাবে তাঁর নজর এড়িয়ে কয়লাপাচার হল? দায়িত্ববান পুলিশ আধিকারিক হয়েও কেন আইনি পদক্ষেপ নেননি তিনি? কয়লাপাচার হচ্ছে, এই খবর তিনি কি জানতেন না? এমন একাধিক প্রশ্ন রয়েছে ইডির কাছে, বলে খবর। এই মামলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর স্ত্রী রুজিরাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি।

  • Jammu and Kashmir: সীমান্তে অস্ত্র ফেলল পাকিস্তানের ড্রোন! কিসের ইঙ্গিত উপত্যকায়

    Jammu and Kashmir: সীমান্তে অস্ত্র ফেলল পাকিস্তানের ড্রোন! কিসের ইঙ্গিত উপত্যকায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরকে অশান্ত করতে কোমর বেঁধে নেমেছে পাকিস্তান। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে জম্মুর তোফ গ্রামে অস্ত্র ফেলল পাকিস্তানের ড্রোন। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, তোফ থেকে মিলেছে একটি গোলাবারুদ ও অস্ত্র বোঝাই প্যাকেট। উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়ানোর ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করেছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টালিজেন্স বা আইএসআই (Inter-Services Intelligence)। 

    জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় সম্প্রতি তল্লাশি অভিযান চালায় ন্যাশনাল ইনভেসটিগেশন এজেন্সি (NIA)। কাঠুয়া, সাম্বা, দোদাতে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করেছে তারা। গত মাসে ফইজল মুনির নামে একজনকে আটক করে এনআইএ। পাকিস্তানি ড্রোন থেকে অস্ত্র সংগ্রহের ঘটনায় জড়িত মুনিরকে জেরা করে বেশ কয়েকটি গোপন ঘাঁটির কথা জানতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। পুলিশ ও সেনার যৌথ অভিযানে উদ্ধার হয় সীমান্তের ওপার থেকে আসা প্রচুর অস্ত্র। উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় অস্ত্রের খোঁজ চলছে।

    আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ! সেনার উপর গ্রেনেড হামলা

    নয়াদিল্লির রিপোর্ট বলছে কাশ্মীরে অশান্তি বাড়াতে সক্রিয় হয়েছে পাকিস্তানের সেনা বাহিনীও। নিয়ন্ত্রণ রেখা পার করে জঙ্গিদের ভারতে ঢোকাতে চেষ্টা চালাচ্ছে তাঁরা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, কাশ্মীরে জঙ্গি তৎপরতা বাড়াতে বেশ কয়েক দফা পরিকল্পনা করেছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। সূত্রের খবর, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে তিনটি এলাকায় ISI-এর মদতে চলছে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, মূলত লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Taiba), জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammad )-এর পাশাপাশি ISI-এর মদতে চলা আল বদর (Al-Badar) জঙ্গিগোষ্ঠীর নজরদারিতে চলছে জঙ্গি প্রশিক্ষণ। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানসেরা (Manshera), মুজফ্ফরাবাদ (Muzzafarabad) এবং কোটলিতে (Kotli) জঙ্গি প্রশিক্ষণ চলছে। নিয়ন্ত্রণ রেখা বারবার একাধিক জঙ্গি লঞ্চপ্যাডও সক্রিয় হয়েছে বলে খবর পেয়েছেন গোয়েন্দারা। ড্রোনে পাকিস্তান থেকে এই জঙ্গিদের হাতে অস্ত্র পাঠাচ্ছে আইএসআই। গত কয়েক দিনে পরপর জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত হয়েছে কাশ্মীর। সাধারণ মানুষ, কাশ্মীরি পণ্ডিত থেকে শুরু করে পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষী, সেনা সকলকেই নিশানা করছে জঙ্গিরা।

  • Belur Math: জন্মাষ্টমীর ভোরে খুঁটি পুজো ও কাঠামো পুজো বেলুড় মঠে, দুর্গা পুজোর শুভারম্ভ

    Belur Math: জন্মাষ্টমীর ভোরে খুঁটি পুজো ও কাঠামো পুজো বেলুড় মঠে, দুর্গা পুজোর শুভারম্ভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মাষ্টমীর ভোরে বেলুড় মঠের দুর্গা পুজোর শুভ সূচনা হল। নিয়ম মাফিক প্রতি জন্মাষ্টমীর সকালে দেবী দুর্গার কাঠামো পুজো এবং মন্ডপের খুঁটি পূজার শুভারম্ভ হয় এই দিনটিতে। গত দুবছর করোনার কারণে মহা পুজোর সমারোহে খামতি থাকলেও এ বছর সব সুদে মূলে উসুল করে নিচ্ছে বেলুড় মঠ (Belur Math)।  

    ভোরে মূল মন্দিরে মঙ্গলারতির পর মন্দিরের ভিতরে শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেবের মূর্তির পাশেই শুরু হয় কাঠামো পুজো। ফুল ধুপ বৈদিক মন্ত্রাচরণ সন্ন্যাসীদের সমবেত প্রার্থনা দিয়ে দেবীর কাঠামোকে পূজা করা হয়। বস্তুতপক্ষে দেবীর এটি স্থায়ী কাঠামো। প্রতিবার দশমীতে গঙ্গায় বিসর্জিত হওয়ার পর সেটি গঙ্গা থেকে তুলে এনে রাখা হয় এবং সেটিতেই দুর্গার মূর্তি তৈরি করা হয়। এক কথায় আজ থেকেই বেলুড় মঠে দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল।

    আরও পড়ুন: নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়ে রূপ নিচ্ছে সাইক্লোনের, আপনার জেলাতেও কি আছড়ে পড়বে ঝড়?

    বেলুড় মঠের স্বামী ভক্তিপ্রিয়ানন্দজি মহারাজ বলেন, ‘‘সাধারণত জন্মাষ্ঠমী তিথিতে এই কাঠামো পুজোর প্রচলন আছে৷ বেলুড় মঠের কাঠামো পুজো হয় জন্মাষ্ঠমীর এই তিথিতেই৷ এবার শ্রীকৃষ্ণের জন্মোৎসব যেটা, সেটা গতকাল পালন করেছি৷ আজ কাঠামো পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে ৭.১৫ থেকে৷ প্যান্ডেলের খুঁটি পোঁতা এবং পুজোও হবে মাঠে৷ বিগত দু’বছর করোনার জন্য বন্ধ ছিল৷ এবার বাইরে আগের মতো পুজো হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ সেখানেও কাঠামো পুজোর মতোই খুঁটি পুজো হবে৷ আমাদের সব কাজ যাতে সুষ্ঠুভাবে সুসম্পন্ন হয়, সেজন্য মায়ের কাছে প্রার্থনা৷’’ তিনি বলেন, ‘‘এবার সবকিছু আগের মতো হবে৷ ২০১৯ সালে এবং তার আগেও যেভাবে দুর্গা পুজো হয়েছে, এবারও সেভাবেই হবে৷ নবপত্রিকার স্নান থেকে আরম্ভ করে কুমারী পুজো, সন্ধি পুজো, নবমীর হোম বাকি সবকিছু আগের মতোই হবে বলে মনস্থ করা হয়েছে৷’’

    আরও পড়ুন: ফের মুম্বইয়ে জঙ্গি-নাশকতার ছক! মিলল অস্ত্রবোঝাই নৌকা, কী বলছেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী

    করোনা নামক অতিমারির জন্য গত বছর ধরে সেভাবে দুর্গা পুজোর আয়োজন করা হয়নি বেলুড় মঠে (Belur Math)৷ এখন করোনার আগের রূপ অনেকটাই স্থিমিত৷ সরকারের তরফে বিধিনিষেধও তুলে নেওয়া হয়েছে৷ ফলে এবছর শারদোৎসবের সবই আগের মতো হবে বেলুড় মঠে৷ সেইমতোই জন্মাষ্ঠমীর দিন প্রথামাফিক কাঠামো পুজোর পাশাপাশি খুঁটি পুজোও করা হল এখানে৷

  • SSC Scam: ১৪ দিনের জেল হেফাজত পার্থ-অর্পিতার! কেউ ছাড় পাবে না,  প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নিশানায় কারা?

    SSC Scam: ১৪ দিনের জেল হেফাজত পার্থ-অর্পিতার! কেউ ছাড় পাবে না, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নিশানায় কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Teacher Recruitment) আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজত পার্থ-অর্পিতার। এদিন নির্দেশ মতোই আদালত কক্ষে পেশ করা হয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee)। সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী এদিন আদালতে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতির কথা উল্লেখ করে জামিনের আবেদন করেন। সূত্রের খবর, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী নিজেও হাত জোড় করে জামিনের আবেদন জানান। কিন্তু তা খারিজ করে দেন বিচারপতি। তবে এদিন অর্পিতা মুখোপাধ্যায় বা তাঁর আইনজীবী জামিনের কোনও আবেদন জানাননি।

    ৫ অগাস্ট SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ এবং অর্পিতাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের রায় দেয় ব্যাঙ্কশাল আদালত। ১৪ দিন পর এদিন আদালতে পেশ করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। আদালতে পার্থের আইনজীবী জানান, পার্থের হিমোগ্লোবিন কম। তাঁর শরীরে ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ বেড়েছে। একা চলাফেলার ক্ষেত্রেও তাঁর অসুবিধা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পার্থের আইনজীবী। এর প্রেক্ষিতে ইডির আইনজীবী জানান, এই বয়সে এগুলি স্বাভাবিক। তাঁর পাল্টা দাবি, পার্থ তদন্তে সহযোগিতা করেননি। পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে বিপুল অর্থের উৎস সম্পর্কেও মুখ খোলেননি প্রাক্তন মন্ত্রী। ইডি প্রথমে ৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কথা জানালেও পরে আরও ১০টি অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে বৃহস্পতিবার দাবি করেছে ইডি। পার্থের স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের নামে একটি ট্রাস্টের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এই ট্রাস্টের নামে একটি ‘ইন্টারন্যাশনাল স্কুল’ আছে বলে আদালতকে জানিয়েছেন ইডি-র আইনজীবী। এই ট্রাস্টের মাধ্যমে টাকা তছরুপ করা হত বলেও দাবি করেছে ইডি।

     
    এদিন আদালতের প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে পার্থের মন্তব্য ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, “কেউ ছাড়া পাবে না।” যা নিয়ে শুরু হয়েছে প্রবল জল্পনা। কিছুটা বিরতি নিয়ে তাঁর সংযোজন, “সময়ে সব কিছু প্রমাণ হবে।” তবে এই ‘কেউ’ বলতে তিনি কাদের দিকে ইঙ্গিত করলেন, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি পার্থ। শুধুমাত্র সময়ে প্রমাণ হবে বলেই জোরালো ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন। ফলে আদালতে দাঁড়িয়ে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তন মন্ত্রীর এমন মন্তব্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
  • Uttar Pradesh: স্বাধীনতা দিবসে হামলার ছক! উত্তরপ্রদেশে ধৃত আইএস জঙ্গি

    Uttar Pradesh: স্বাধীনতা দিবসে হামলার ছক! উত্তরপ্রদেশে ধৃত আইএস জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) প্রাক্কালে নাশকতার ছক বানচাল করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অ্যান্টি-টেররিজম স্কোয়াড (Uttar Pradesh Anti-Terrorist Squad)। এক সন্দেহভাজন আইএস (IS) জঙ্গিকে আজমগঢ় থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, স্বাধীনতা দিবসের আগে একাধিক জায়গায় হামলার ছক কষেছিল সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গি। ধৃত জঙ্গির নাম সাবাউদ্দিন আজমি (Sabauddin Azmi)। 

    রাজ্যপুলিশের এডিজি প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশের আজমগড় থেকে আইএস জঙ্গি সন্দেহে রাজ্যপুলিশের বিশেষ অপরাধ দমন শাখা ওই জঙ্গিকে গ্রেফতার করে। ধৃতের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত থাকা এবং অস্ত্র আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতের কাছ থেকে বেশ কিছু নথিও উদ্ধার করা হয়েছে। স্বাধীনতা দিবসের আগে বড়সড় নাশকতার পরিকল্পনা ছিল তার। ধৃতের একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখার কাজ চলছে, বলেও জানিয়েছে পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে নতুন  ছেলেদের কাজে লাগানো হত। হাতে কলমে চলত হ্যান্ড গ্রেনেড, বোমা এবং আইইডি তৈরির প্রশিক্ষণ। 

    আরও পড়ুন: আচমকাই উধাও দেশের ২৪ টি স্মৃতিসৌধ! এমনটাই বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি

    অন্যদিকে, নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় জম্মু ও কাশ্মীরে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ছকও বানচাল করা গিয়েছে। পুলওয়ামায় উদ্ধার হয়েছে ৩০ কেজি বিস্ফোরক। কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা (Pulwama) জেলার সার্কুলার রোড সংলগ্ন এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তখনই তাহাব ক্রসিং এলাকায় একটি আইইডি নজরে আসে তাঁদের। বিস্ফোরকটির ওজন ছিল ২৫ থেকে ৩০ কিলোর মধ্যে। 

    কাশ্মীর পুলিশের আইজিপি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, স্বাধীনতা দিবসের আগে জঙ্গিরা নাশকতা ঘটাতে পারে বলে আগেই সতর্ক করেছিলেন গোয়েন্দারা। ফলে পুলিশ ও সেনার যৌথবাহিনী সতর্ক রয়েছে। ইতিমধ্যে আইইডিটিকে নিষ্ক্রিয় করতে বম্ব স্কোয়াড ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে। উল্লেখ্য, স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে উপত্যকায় এহেন বিপুল পরিমাণের বিস্ফোরক উদ্ধার ও জঙ্গিদের তৎপরতায় রীতিমতো উদ্বেগ ছড়িয়েছে নিরাপত্তা মহলে।

  • Suvendu Adhikari: আদালতে স্বস্তি শুভেন্দুর! বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে আনা জনস্বার্থ মামলা খারিজ করল হাইকোর্ট

    Suvendu Adhikari: আদালতে স্বস্তি শুভেন্দুর! বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে আনা জনস্বার্থ মামলা খারিজ করল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষে রায় দিল আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে যে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল, তা বুধবার খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সারদা মামলায় শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়ে ওই জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলা খারিজ করেছে।

    ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেন জেল থেকে লেখা চিঠিতে দাবি করেছিলেন, শুভেন্দু তাঁর কাছ থেকে ‘বেআইনি ভাবে’ টাকা নিয়েছেন। এই চিঠিকে সামনে রেখেই নন্দীগ্রামের বিধায়কের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিল তৃণমূল। শুভেন্দু পাল্টা দাবি করেছিলেন, রাজনৈতিক চাপের মাধ্যমে সারদা-কর্তাকে দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ আনা হচ্ছে। সারদা-তদন্তে শুভেন্দু অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে সম্প্রতি একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি দায়ের করেছিলেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। বুধবার এই মামলা খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।

    আরও পড়ুন: কেন অনুব্রতর বাড়িতে ডাক্তার? হাসপাতাল সুপারকে ধমক স্বাস্থ্য কর্তার, দায় নেবে না নবান্ন

    সম্প্রতি আদালতে তোলার সময়ও সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন দাবি করেন, প্রথম চিঠিতে মুকুল রায়, অধীর চৌধুরীর নাম দিয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় চিঠিতে শুভেন্দু অধিকারীর নাম দেন। শুধু তাই নয়, শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর নামও বলেছিলেন সুদীপ্ত। তিনি দাবি করেন, কন্টাই পুরসভায় একটা বিল্ডিং করেছিল সারদা। আর তাতে সৌমেন্দু অধিকারী পুরোপুরি জড়িত ছিলেন বলে জানান সুদীপ্ত সেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, শুভেন্দু অধিকারী তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন অনেকবারই, তাঁকে ব্ল্যাকমেল করতেন বলেও অভিযোগ।

    বিরোধী দলনেতা বারবারই দাবি করেছেন, তাঁকে মিথ্যা জড়ানো হয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে তাঁকে। শুভেন্দুর আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার এদিন বলেন, ‘‘প্রায় ন’বছর আগে ঘটনাটি ঘটেছে। অথচ বিধানসভা নির্বাচনের আগে ওই চিঠি লিখেছিলেন সুদীপ্ত। ফলে ওই চিঠির পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে কি না, দেখতে হবে।’’ সিবিআইয়ের আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী আদালতকে জানান, তদন্ত চলছে। তদন্তকারী সংস্থার আতশকাচের তলায় অনেকেই রয়েছেন। প্রয়োজনে সকলকে ডাকা হবে। মঙ্গলবার এই মামলাটির রায়দান স্থগিত রেখেছিল হাইকোর্ট। বুধবার এই সংক্রান্ত মামলাটি খারিজ করে দিল উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ।

  • Virat Kohli: ‘১০ বছরে প্রথমবার টানা একমাস আমি…’, নিজের ফর্ম নিয়ে অকপট কোহলি

    Virat Kohli: ‘১০ বছরে প্রথমবার টানা একমাস আমি…’, নিজের ফর্ম নিয়ে অকপট কোহলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথা বলুক বিরাট-ব্যাট। আশা কোটি কোটি কোহলি ভক্তের। ভারতের বহু ক্রিকেট সমর্থক,কর্মকর্তা এমনকি অনেক বিপক্ষ দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরাও চাইছেন তিনি ছন্দে ফিরুন। দীর্ঘ বিরতির পরেই এশিয়া কাপে দলে ফিরেছেন বিরাট কোহলি। এই টুর্নামেন্টে পুরনো ছন্দে ফিরতে মরিয়া তিনি। একটা অলিখিত চাপ রয়েছে তাঁর ওপরেও।

    ভারতীয় ক্রিকেটের পোস্টার বয় তিনি। কোটি কোটি ক্রিকেট অনুরাগীর হার্ট থ্রব। সেই কোহলি এক মাস ব্যাট স্পর্শই করেননি। রান না পাওয়ায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। একটানা ক্রিকেটের ধকল ক্লান্ত করেছিল তাঁকে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে খেলতে নামার আগে নিজেই সে কথা জানালেন কোহলি। 

    আরও পড়ুন: ‘বিরাট’ ব্যাটে ভরসা! শততম ম্যাচে শতরানের আশায় নয়া হাতিয়ার কোহলির

    মাঠে অবিশ্বাস্য গতি এবং আগ্রাসনের জন্য পরিচিত  কোহলি ২০১৯ সালের পর থেকে একটিও সেঞ্চুরি করেননি। চলতি বছর জাতীয় দলের জার্সিতে তিনি শুধুমাত্র একবার ৫০ রানের সীমা অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ২০২২ আইপিএলের পর শুধুমাত্র ইংল্যান্ড সফরেই খেলেছেন বিরাট।  বিসিসিআই শনিবার বিরাট কোহলির সাক্ষাৎকারের একটি টিজার প্রকাশ করেছে, যেখানে ৩৩ বছরের তারকাকে তাঁর খারাপ ফর্ম নিয়ে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। 

    বিরাট বলেন, “১০ বছরে প্রথমবার টানা একমাস আমি ব্যাট ছুঁয়ে দেখিনি ৷ আমি নিজেকে বারবার বোঝাচ্ছিলাম যে মানসিকভাবে আমি কঠোর রয়েছি, কিন্তু শরীর বলছিল থামতে৷ শেষে মনও বিরতি নেওয়ার ব্যাপারে এবং কিছুটা পিছিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে সায় দিল ৷” কোহলির কথায়, “আমায় দেখে মানসিকভাবে ভীষণ শক্তিশালী মনে হয় এবং আমি আদতে তাই ৷ তবে সবকিছুরই একটা সীমাবদ্ধতা আছে ৷ নইলে তা অস্বাস্থ্যকর মনে হয় ৷ এই অধ্যায়টা আমায় অনেক কিছু শিখিয়েছে ৷ যা কখনও আমি আমার পরিমণ্ডলে আসতে দিইনি সেই বিষয়গুলিকে আলিঙ্গন করতে শিখিয়েছে ৷”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Assam Terror: আল কায়দা যোগ, অসমে গ্রেফতার দুই ইমাম! কী মিলল তাদের কাছ থেকে?

    Assam Terror: আল কায়দা যোগ, অসমে গ্রেফতার দুই ইমাম! কী মিলল তাদের কাছ থেকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আল কায়দা যোগ রয়েছে সন্দেহে অসমের দুই ইমামকে গ্রেফতার করল গোয়ালপাড়া জেলার পুলিশ। ওই দুই ইমামের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠন আল কায়দার (AQIS) যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (ABT) সঙ্গেও তাদের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। এ নিয়ে গত চার মাসে AQIS, ABT-র সঙ্গে যোগাযোগ থাকার অভিযোগে অন্তত ২৩জনকে গ্রেফতার করা হল। এই দুই ইমাম গোপনে দেশবিরোধী কাজ করছিলেন। দেশে জঙ্গিদের স্লিপার সেল তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছিল এরা।

    আরও পড়ুন: অসমে জঙ্গিদের নতুন ছক! হাতিয়ার করা হয়েছে মাদ্রাসাগুলোকে, জানুন কীভাবে

    গোয়ালপাড়ার পুলিশ সুপার ভিভি রাকেশ রেড্ডি জানিয়েছেন, দুজন ইমামকে গ্রেফতার করা হয়েছি। ধৃতদের নাম আব্দুস শুভান (৪৩) ও জালালুদ্দিন শেখ (৪৯)। উল্লেখ্য, গত ২৮ জুলাই অসমের একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় ১১ জনকে। তারা সকলেই জিহাদি সংগঠন AQIS এবং ABT-র সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি পুলিশের। তখনই জেহাদি যোগসূত্র থাকার অভিযোগে আব্বাস আলি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাকে জেরা করে এই দুই ইমামের কথা জানা যায়। এরপরই যথাযোগ্য প্রমাণের স্বপক্ষে এদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এবার যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের নাম আব্দুস শুভান (Abdus Subhan) এবং জালালউদ্দিন শেখ (Jalaluddin Sheikh)। শুভান গোয়ালপাড়ার Mornoi থানার তিনকুনিয়া শান্তিপুর মসজিদের ইমাম। আর জালালউদ্দিন মাটিয়া থানার টিলাপাড়া নতুন মসজিদের ইমাম।

    আরও পড়ুন: আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে সন্ত্রাসবাদীরা! দাবি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

    পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দুজনকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হয়। তারপরেই তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আল কায়দার জেহাদি সেলের সঙ্গে এদের যোগাযোগ রয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে জেহাদি বই ও পাওয়া গিয়েছে। আব্দুস শুভানের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছিল পুলিশ। তার বাড়ি থেকে আপত্তিকর কিছু পোস্টার, বই, ফোন, সিম পাওয়া গেছে। জালালউদ্দিনের বাড়ি থেকে আরবি ভাষায় লেখা কিছু বই মিলেছে। বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যায়, ওই দুই ইমাম জেহাদিদের নানাভাবে সহায়তা করত। গোয়ালপাড়া এলাকায় জেহাদি স্লিপার সেলের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলত এদের দ্বারাই। 

  • Gurugram Slap Case: পাঁচ মিনিট লিফটে আটকে পড়ায় নিরাপত্তারক্ষীকে সপাটে চড়! ভাইরাল ভিডিও

    Gurugram Slap Case: পাঁচ মিনিট লিফটে আটকে পড়ায় নিরাপত্তারক্ষীকে সপাটে চড়! ভাইরাল ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে লিফটে আটকে পরেছিলেন এক ব্যক্তি। ইন্টারকমে সেই অসুবিধার কথা জানান নিরাপত্তারক্ষীদের। লিফটের কাজ করার লোক আনতে ৫ মিনিট মতো লেগে যায় সময়। আর এই অপরাধেই লিফট থেকে থেকে বেরিয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের ওপর চড়াও হলেন ওই ব্যক্তি। সপাটে চড় (Slap) মারলেন দুই নিরাপত্তারক্ষীকে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, লিফট (Lift) থেকে নামতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ওই ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে গুরুগ্রামের (Gurugram) ৫০ নম্বর সেক্টরের আবাসিক টাওয়ার ‘নির্ভানা কান্ট্রি’তে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম বরুণ নাথ। তিনি ওই ফ্ল্যাটের ১৪ তলায় থাকেন। সকাল ৮ টার দিকে ১২ তলায় লিফটে আটকে পড়েন তিনি। বেরিয়ে আসার জন্য তিনি  লিফটের ভিতর থেকেই নিরাপত্তারক্ষীর (Security Guard) সঙ্গে ইন্টারকমে যোগাযোগ করেন। যোগাযোগের ৫ মিনিটের মধ্যেই নিরাপত্তারক্ষীরা লিফট থেকে তাঁকে উদ্ধার করলেও বরুণ রেগে বেরিয়ে এসে সেখানে উপস্থিত নিরাপত্তারক্ষীদের চড় মারতে শুরু করেন। ঘটনাস্থলে তিনজন নিরাপত্তারক্ষী উপস্থিত ছিলেন, তাদের মধ্যে দুজনের ওপর হামলা চালান তিনি। ঘটনার পরেই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামেন আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীরা। কাজ বন্ধ করে দেন। শ্লোগান দেওয়া শুরু করেন ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তারপরেই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ভয়াল বন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তান, মৃত হাজারেরও বেশি মানুষ, সমবেদনা জানালেন মোদি  

    অভিযুক্ত বরুণ নাথকে সোমবার থানায় তলব করা হয়।  রাত সাড়ে ৯টার দিকে থানায় পৌঁছলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। পুলিশ জানিয়েছে, বরুণ নাথ একজন ব্যবসায়ী, তিনি উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বাসিন্দা। ২৯ অগাস্ট গুরুগ্রাম পুলিশ অভিযুক্ত বরুণ নাথের বিরুদ্ধে  গুরুগ্রাম সেক্টর ৫০  থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ধারা ৩২৩ (স্বেচ্ছায় আঘাত করা) এবং ৫০৬ (ফৌজদারি ভয় দেখানো) এর অধীনে মামলা করেছে। ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিও দেখে ইতিমধ্যেই নিরাপত্তারক্ষীদের প্রতি অসম্মানজনক এবং অসংবেদনশীল আচরণ করার জন্য ওই ব্যক্তির নিন্দায় সরব হয়েছেন নেট নাগরিকরা। 

    আরও পড়ুন: জামাতের অনুমতি পেলেই গণেশ পুজো! নির্দেশ মাদ্রাজ হাইকোর্টের

    এক নিরাপত্তারক্ষী বলেন, “ওরা দিন- রাত কাজ করেন। কিন্তু আবাসনের কিছু বাসিন্দা ওদের কৃতদাস ভাবেন। ওরা এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত দাবি করেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

LinkedIn
Share