Blog

  • CBI summoned Anubrata:  ‘দিদি’ ফোন ধরছেন না, সিবিআই ডাকে বিচলিত কেষ্টর চোখে ঘুম নেই   

    CBI summoned Anubrata: ‘দিদি’ ফোন ধরছেন না, সিবিআই ডাকে বিচলিত কেষ্টর চোখে ঘুম নেই  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ টান টান কেষ্ট! দিদি তাঁর ফোন ধরছেন না। সিবিআইয়ের (CBI) ডাক এসেছে। যে দিদি তাঁকে দেখলেই বুঝে যেতেন মাথায় অক্সিজেন(Oxygen) পর্যাপ্ত নাকি কম, সেই দিদিই(DIDI) কেষ্টর বাঁশির আওয়াজ শুনতে পাচ্ছেন না। ফলে নিদ্রাহীন নিশিযাপন করছেন বীরভূমের ‘ঢাকবাদক’ অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)।

    তৃণমূল সূত্রের খবর, আগামীকাল সোমবার গরু পাচার মামলায় ফের কেষ্টকে তলব করেছে সিবিআই। নিজাম প্যালেসে(NIZAM palace) হাজির হয়ে তাঁকে জবাব দিতে হবে তদন্তকারী সংস্থার নানা প্রশ্নের। অনুব্রতের দেহরক্ষী এখন আসানসোল জেলে। তাঁর ১০০ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তি মিলেছে। গরু, কয়লা, বালি, পাথর পাচারের বেআইনি কারবারের নানা তথ্য সিবিআই, ইডির সংগ্রহে এসেছে। তাতেই বীরভূমের তোলাবাজির মূলপাণ্ডা হিসাবে নাম উঠে এসেছে কেষ্ট মণ্ডলের। তদন্তকারীদের হাতে এসেছে অকাট্য প্রমাণ। ফলে ডাক এসেছে সিবিআইয়ের।

    সূত্রের খবর, গত ৫ অগষ্ট সাঁইথিয়াতে এক জনসভায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu) ঘোষণা করে দিয়েছেন, মোটা পার্থর সঙ্গে এবার জেলে যাবেন মোটা কেষ্ট। বিরোধী দলনেতার এই ঘোষণার পরেই তৃণমূল শিবিরে হইহই পড়ে গিয়েছে। সাঁইথিয়ার সভার দিনেই সিবিআইয়ের এক আধিকারিক বোলপুরে নীচুপট্টির বাড়ি গিয়ে ফের হাজিরার নোটিস ধরিয়েছেন।

    ফের গরুপাচার মামলায় অনুব্রতকে তলব সিবিআইয়ের, হাজির হবেন কেষ্ট?

    তৃণমূল সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের নোটিস (CBI Notice) পেয়ে সে দিনই পেট খারাপ হয় ঢাকবাদকের। বার বার ফোনে ধরার চেষ্টা করেন তাঁর দিদিকে। কিন্তু দিদি কেষ্টর ফোন ধরেননি। ঘনিষ্ঠ মহলে এ নিয়ে আক্ষেপও করেছেন কেষ্ট। জানিয়েছেন, এত দিনের লড়াইয়ের সঙ্গী আমি। বিপদে পড়েছি যখন, তখন দিদি আর ফোন ধরছেন না। তবে সিবিআইয়ের সামনে আর যেতে চান না অনুব্রত। তিনি সোমবারই এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ফের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে চান। তৃণমূলের এক নেতা মুচকি হেসে জানান, কেষ্টটার অবস্থা সঙ্গীন। তিনি সিবিআই দফতরে যাওয়ার চাইতে তাঁর যে কোষে পুঁজ জমেছিল, সেখানে আবার পুঁজ জমার প্রার্থনা করছেন। এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে আবার ভর্তি হতে চলেছেন তিনি।

    গরু পাচার মামলায় বিপুল সম্পত্তির হদিশ অনুব্রতর? আদালতে তথ্য দিল সিবিআই

    তৃণমূলের অনেকেই মনে করছেন, কেষ্টর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, টুলু মণ্ডল, কেরিম খানের কাছ থেকে তল্লাশি চালিয়ে যে সব নথিপত্র উদ্ধার হয়েছে তাতে বীরভূমের কেষ্ট, তাঁর মৃত স্ত্রী এবং কন্যার নামে কয়েকশো কোটি টাকার সম্পত্তি কোথা থেকে হয়েছে, তা জানাতে হবে। সেই পরিস্থিতি এড়িয়ে চলতে চাইছেন তিনি। নিজের অ্যারেস্ট মেমোয় পরমাত্মীয় বলে মুখ্যমন্ত্রীর নাম-টেলিফোন নম্বর লিখে দিয়েছিলেন সদ্য প্রাক্তন শিল্প মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই পার্থবাবুকে ঝেড়ে ফেলতে খুব বেশি সময় নেয়নি তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রীও নিজের দায় এড়িয়ে গিয়েছেন। এ বার কেষ্টর পালা? তাই কি কেষ্টর ফোন আর ধরছেন না তাঁর দিদি।  

     

  • Madhya Pradesh Stoneman: গ্রেফতার মধ্যপ্রদেশের তরুণ স্টোনম্যান, গ্যাংস্টার হতে চাওয়ায় বিপত্তি?  

    Madhya Pradesh Stoneman: গ্রেফতার মধ্যপ্রদেশের তরুণ স্টোনম্যান, গ্যাংস্টার হতে চাওয়ায় বিপত্তি?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়ের দশকে কলকাতায় ধারাবাহিক খুন করে চলেছিল স্টোনম্যান (Stone Man)। তাকে অবশ্য ধরা যায়নি। একই কায়দায় মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) বিভিন্ন জায়গায় ‘অপারেশন’ শুরু করেছিল একজন। শেষমেশ অবশ্য শনাক্ত করা গিয়েছে খুনিকে। করা হয়েছে গ্রেফতারও। বছর আঠারোর ওই সদ্য তরুণের নাম শিবপ্রসাদ ধুরভে (Shivprasad Dhurve)। এদিন স্কুলছুট ওই তরুণকে তোলা হয় স্থানীয় আদালতে। তাকে একদিনের পুলিশি রিমান্ড পাঠিয়েছে আদালত।

    জানা গিয়েছে, এই তরুণই পরপর চারটি খুন করেছে। এর মধ্যে তিনটি খুনই করেছে সাগর (Sagar) জেলায়, একটি ভোপালে (Bhopal)। যে চারজন খুন হয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই নিরাপত্তা রক্ষী, ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করা হয়েছে তাঁদের। এও জানা গিয়েছে, এদিন যখন শিবপ্রসাদকে কোর্টে তোলা হয়, তখন তাকে বিষণ্ন দেখায়নি। উল্টে পুলিশ রিমান্ডে পাঠানোর সময় সে ভিকট্রি চিহ্ন দেখিয়েছে। সাগরের এসপি তরুণ নায়েক সংবাদ মাধ্যমকে জানান, শিবপ্রসাদ যে চারজনকে খুন করেছে, তা স্বীকার করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারা প্রভাবিত হয়েই সে একাজ করেছে। বিখ্যাত হওয়ার জন্য সে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। তাই সে একাজ করেছে বলে জানিয়েছে।

    সাগর রেঞ্জের আইজি অনুরাগ বলেন, শিবপ্রসাদ প্রেরণা পাওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা রকম হিংসাত্মক ভিডিও দেখত। তাকে দেখে মানসিক রোগগ্রস্ত বলে মনে হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত তরুণ এও স্বীকার করেছে যে সে যখন পুণেতে থাকত, তখন সেখানেও সে একজনকে খুনের চেষ্টা করেছিল। তার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। জামিনে ছাড়া পেয়েছে বলেও পুলিশকে জানিয়েছে এই সদ্য তরুণ। শিকারকে খুন করে সে মোবাইল, টাকাপয়সা নিয়ে পালাত বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, শিবপ্রসাদ ধনী হতে চেয়েছিল, চেয়েছিল নাম করা গ্যাংস্টার হতেও।

    আরও পড়ুন :ভোপালে সিরিয়াল কিলার আতঙ্ক, নেহাতই ‘বিখ্যাত’ হতে খুন, জানাল অভিযুক্ত

    কী বলছেন অভিযুক্ত তরুণের পরিবার? শিবপ্রসাদের ভাই বলছেন, দাদার মধ্যে কিছু বদল দেখে গত চার বছর ওর সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। অভিযুক্ত তরুণের বাবা জানান, পড়াশোনা ছেড়ে শিবপ্রসাদ ছোট থেকেই বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করত। তবে যখনই বাড়ি আসত মায়ের কাছে টাকা চাইত। দিতে অস্বীকার করলে মাকে আত্মহত্যা করে মরতে বলত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Dog Funeral: অতুলনীয় ভালোবাসা! চোখের জলে ‘রাজকীয়’ বিদায় প্রিয় পোষ্য কুকুর অঞ্জলির, ভিডিও ভাইরাল

    Dog Funeral: অতুলনীয় ভালোবাসা! চোখের জলে ‘রাজকীয়’ বিদায় প্রিয় পোষ্য কুকুর অঞ্জলির, ভিডিও ভাইরাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক : পোষ্যের প্রতি এক অপার ভালোবাসার সাক্ষী থাকল গোটা দেশবাসী। পোষ্যদের মধ্যে কুকুরকেই সবচেয়ে বেশি বিশ্বাসী বলে মনে করা হয়। কুকুরের সঙ্গে মানুষের নানান ভিডিও ভাইরাল হতে থাকে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে এবারের ভাইরাল ভিডিওটিতে মানুষের সঙ্গে কুকুরের স্বার্থহীন ভালোবাসাকে দেখা গিয়েছে। যা নেটিজেনদের মন ছুঁয়ে গিয়েছে। তবে কী এমন আছে এই ভিডিওতে? দেখা গিয়েছে, এক পরিবারের পোষ্য কুকুরের হঠাৎ মৃত্যুতে শোকে ভেঙে পড়েছে সেই পরিবার। তাই সেই মৃত কুকুরের অন্তিম যাত্রায় কোনও খামতি না রেখে ধুমধাম করে ফুল দিয়ে সাজিয়ে, ড্রাম, বাজনা বাজিয়ে, আতসবাজি ফাটিয়ে তার শেষকৃত্য পালন করেছে। আর এই ভিডিও সামনে আসতেই ঝড়ের বেগে ভাইরাল হতে শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

    [tw]


    [/tw]

    ঘটনাটি ওড়িশার (Odisha) পারলেখমুন্ডি(Paralakhemundi)। পোষ্য কুকুরটির নাম অঞ্জলি। প্রায় ১৭ বছর ধরে পরিবারের সঙ্গে থেকে অঞ্জলি হয়ে উঠেছিল বাড়িরই সদস্য। এমন অবস্থায় কুকুরটির হঠাৎ মৃত্যু হলে টুন্নু গৌদা নামের ব্যক্তির পরিবারে শোকের ছায়া নেমে পড়ে। অনেক চেষ্টা করেও তাকে বাঁচানো যায়নি। অঞ্জলিকে শুধুমাত্র পরিবারের সদস্যই মনে করত না, তাকে Lucky-Charm বলে মনে করত। কারণ তার মালিক টুন্নু গৌদা বলেছেন “সে গত ১৬ বছর ধরে আমার সাথে ছিল। অঞ্জলি আমার বাড়িতে আসার আগে আমি বেশ কিছু সমস্যায় ভুগছিলাম। তাকে আনার পরে, সবকিছু বদলে গেছে, এবং আমি কখনই কোনও আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হইনি।“

    পোষ্যের মৃত্যু সকলের কাছেই হৃদয়বিদারক ঘটনা। তাই তো টুন্নু গৌদা মানুষের মতই অঞ্জলির মৃতদেহকেও ফুল দিয়ে সাজিয়ে গাড়িতে করে নিয়ে যায় ও আতসবাজি ফাটিয়ে, বাজনা বাজিয়ে শোভাযাত্রার আয়োজন করেন। শুধু তাই নয়, সনাতন হিন্দু রীতি অনুযায়ী তার শেষকৃত্যও সম্পন্ন করেছে এই পরিবার। গৌদা পরিবারের এদিন সকলকেই কান্না ভেজা চোখে বিদায় জানাতে দেখা গিয়েছে। অন্য পশুপ্রেমীদেরও এদিন এই শেষযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে দেখা গিয়েছে। মানুষ ও পোষ্যের এমন নিঃস্বার্থ ভালোবাসা দেখে সকলে আবেগে ভেসেছে।

  • IIT Madras: সর্বাধিক প্লেসমেন্ট অফার পেয়ে রেকর্ড মাদ্রাজ আইআইটির, সর্বোচ্চ বেতন জানেন কত?

    IIT Madras: সর্বাধিক প্লেসমেন্ট অফার পেয়ে রেকর্ড মাদ্রাজ আইআইটির, সর্বোচ্চ বেতন জানেন কত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পড়ুয়াদের চাকরি পাওয়ার বিষয়ে এক নতুন রেকর্ড গড়ে তুলল মাদ্রাজের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (​IIT Madras)। অর্থাৎ এবারের প্লেসমেন্টে সর্বাধিক সংখ্যায় চাকরি পেয়েছেন এই প্রতিষ্ঠানের  পড়ুয়ারা। অন্যদিকে বেতনের ক্ষেত্রেও রেকর্ড গড়ে তুলেছে আইআইটি মাদ্রাজ । বার্ষিক বেতনের সংখ্যা শুনলে আপনি চমকে যেতে বাধ্য হবেন।

    ২০২১-২২ ক্যাম্পাস প্লেসমেন্টের বিচারে এই প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ৩৮০টি সংস্থা নিজেদের জন্য কর্মী সিলেক্ট করেছে। প্লেসমেন্টের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপ মিলিয়ে মোট ১১৯৯ জন চাকরি পেয়েছেন। এছাড়াও, গ্রীষ্মকালীন ইন্টার্নশিপ থেকে ২৩১টি প্রি-প্লেসমেন্ট অফার (পিপিও) দেওয়া হয়েছে, যার ফলে মোট চাকরি  প্রাপ্ত পড়ুয়ার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪৩০-এ। ২০১৮-২০১৯ সালেও ১১৫১ জন চাকরি পেয়ে রেকর্ড গড়ে তুলেছিল। কিন্তু এবারে আগের সংখ্যাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে এই সংস্থার পড়ুয়ারা।

    আরও পড়ুন: স্কুলে যাতায়াতের মাধ্যম কী হওয়া উচিৎ? সমীক্ষা চালাল আইআইটি খড়গপুর

    আরও জানা গিয়েছে ১৪ টি সংস্থা থেকে ৪৫ টি আন্তর্জাতিক চাকরির অফার দেওয়া হয়েছে, আর এই ক্ষেত্রেও এই সংখ্যা সর্বোচ্চ। আবার ১৯৯ টি চাকরি দেওয়ার কথা বলেছে ১৩১ টি স্টার্ট আপ সংস্থা। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের মোট ৬১ জন এমবিএ পড়ুয়াও চাকরি পেয়েছেন এই বছরেই। এই প্রতিষ্ঠানের যারা চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন তাদের মধ্যে ৮০ শতাংশ পড়ুয়াই চাকরি পেয়েছেন এবছর।

    এই প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা চাকরি তো পেয়েছেন তবে এর পাশাপাশি তাদের বেতন শুনলেও আপনাদের চমকে যেতে হবে। প্রতিষ্ঠানের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে গড়ে প্রতি পড়ুয়ার বেতন ২১ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা। এর মধ্যে এক পড়ুয়ার সর্বোচ্চ বেতনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে, রেকর্ড ২ লক্ষ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার,  যা ভারতীয় মূল্যে বার্ষিক ১ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা।

    আরও পড়ুন: উইকিপিডিয়ায় অনেক তথ্যই ভুল, নিজের স্কুলের নাম জানালেন সুন্দর পিচাই

    পড়ুয়াদের সাফল্য দেখে আইআইটি মাদ্রাজের প্লেসমেন্টের বিদায়ী পরামর্শক সিএস শঙ্কর রাম (Prof CS Shankar Ram) বলেছেন, ‘‘এই প্লেসমেন্ট দেখে এই প্রমাণিত হচ্ছে যে আমাদের প্রতিষ্ঠান কতটা ও কীভাবে পড়ুয়াদের তৈরি করে। আমরা আনন্দিত যে আমাদের ছাত্ররা ২০২১-২২-এর শিক্ষাবর্ষে অত্যন্ত ভাল ফল করেছে ও প্রতিষ্ঠানে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে চাকরির অফার এসেছে।’’ তিনি পরে প্রতিষ্ঠানের প্লেসমেন্ট টিমকে তাদের চেষ্টার জন্যে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে Glean, Micron Technologies, Honda R&D, Cohesity, Da Vinci Derivatives, Accenture Japan, Hilabs Inc., Quantbox Research, MediaTek, Money Forward, Rubrik, Termgrid এবং Uber এইসব সংস্থা থেকে আন্তর্জাতিক অফার এসেছে।

  • Rajnath Singh: ছোট থেকেই সেনায় যোগ দিতে চাইতাম! আবেগপ্রবণ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং

    Rajnath Singh: ছোট থেকেই সেনায় যোগ দিতে চাইতাম! আবেগপ্রবণ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছোটবেলা থেকেই ভারতীয় সেনায় যোগ দেওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। পরীক্ষাও দিয়েছিলেন। কিন্তু পারিবারিক অসুবিধার কারণে শেষ পর্যন্ত আর সেনায় যোগ দেওয়া হয়ে ওঠেনি। শুক্রবার মণিপুরের লেইমাখোংয়ে সেনার ৫৭ নম্বর মাউন্টেন ডিভিশন এবং অসম রাইফেলসের একটি যৌথ কর্মসূচিতে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

    এদিন নিজের জীবনের এক অজানা অধ্যায় তুলে ধরেন রাজনাথ। তিনি বলেন, বরাবরই সেনাবাহিনীর উর্দি তাঁকে আকর্ষণ করে। এক বার সেনার শর্ট সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলাম। লিখিত পরীক্ষাও দিয়েছিলাম। কিন্তু, পারিবারিক কিছু পরিস্থিতি এবং আমার বাবার মৃত্যুর কারণে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারিনি।” প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথায়, “আপনারা দেখবেন, কোনও শিশুকে সেনাবাহিনীর উর্দি দিলেই তার ব্যক্তিত্ব বদলে যায়। এই উর্দির একটা ক্যারিশমা আছে।”

    প্রসঙ্গত, ছাত্রাবস্থা থেকে সক্রিয় রাজনীতি করা রাজনাথ পেশাগত ভাবে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের একটি কলেজের পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক। সেনাদের কাজ যে কোনও পেশা ও পরিষেবার থেকে আলাদা বলেও দাবি করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, “ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টরা নিজেদের মতো করে দেশের জন্য অবদান রাখেন। তবে, আমি মনে করি আপনাদের পেশা যে কোনও পেশার এবং পরিষেবার থেকেও বেশি কিছু।” 

    আরও পড়ুন: সরকার গঠন সহজ কিন্তু দেশ গঠন…! জানুন কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    দুদিনের সফরে মণিপুরে এসেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এদিন তিনি অসম রাইফেলসের (দক্ষিণ) ইন্সপেক্টর জেনারেলের সদর দফতর পরিদর্শনে আসেন। তাঁর সফরসঙ্গী হয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ পান্ডে। অসম রাইফেলসের প্রশংসা করে তিনি বলেন, বহু মানুষকে মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে প্রধান ভূমিকা নিয়েছে অসম রাইফেলস। তাই যথার্থই এই বাহিনী উত্তর-পূর্ব ভারতের ‘সেন্টিনেল’।

  • BJP on Rohingya Issue: অনুপ্রবেশ ইস্যুতে কোনও আপস করবে না মোদি সরকার, জানাল বিজেপিও

    BJP on Rohingya Issue: অনুপ্রবেশ ইস্যুতে কোনও আপস করবে না মোদি সরকার, জানাল বিজেপিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুপ্রবেশ জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক এবং এই ইস্যুতে কোনও রকম আপস করবে না মোদি সরকার (Modi Govt.)। বুধবার সাফ জানিয়ে দিলেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। শরণার্থী রোহিঙ্গাদের (Rohingya) দিল্লিতে (Delhi) ফ্ল্যাট দেওয়ার সিধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার – এমন একটি খবরকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তার পরেই এ ব্যাপারে অবস্থান স্পষ্ট করে দেয় পদ্ম শিবির।

    সম্প্রতি এক ট্যুইটবার্তায় কেন্দ্রীয় হাউজিং অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী (Hardeep Singh Puri) লিখেছিলেন, ভারত বরাবরই এ দেশে আশ্রয়প্রার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে। একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দিল্লির বক্করওয়ালা এলাকার অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য তৈরি করা ফ্ল্যাটে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তাদের সাধারণ সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে এবং দিল্লি পুলিশ ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তার জন্য থাকবে। বিরোধীদের কটাক্ষ করে তিনি লিখেছিলেন, যাঁরা ভারতের শরণার্থী নীতিকে সিএএ-র সঙ্গে জুড়ে বিরোধিতা করে নিজেদের কেরিয়ার তৈরি করতে অভ্যস্ত, তাঁদের জন্য দুঃসংবাদ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এহেন ঘোষণায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে সরকারকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়। তারপর বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক মুখপাত্র জানান, মিডিয়ার একাংশ যেভাবে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের কেন্দ্রের তরফে সুবিধা দেওয়ার কথা প্রচার করছে, তা ঠিক নয়। মন্ত্রকের তরফে এমন কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি বলেও জানান তিনি।

    আরও পড়ুন : রোহিঙ্গাদের ভারত থেকে বের করে দেওয়া উচিত, মত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    এদিন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়াও বলেন, রোহিঙ্গারা দেশের সুরক্ষার পক্ষে বিপজ্জনক। তাঁর অভিযোগ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জাতীয় সুরক্ষাকে দূরে ঠেলে, এনিয়ে রাজনীতি করছেন। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কিছু খবর বেরিয়েছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। জনতাকে ভুল পথে চালিত করতেই এসব করা হয়েছে। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিষয়টি পরিষ্কার করে দিয়েছে। তিনি বলেন, অনুপ্রবেশ নিয়ে কোনওরকম আপস করতে রাজি নয় মোদি সরকার। এদিকে, প্রবল চাপের মুখে পড়ে পিছু হঠেছেন মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী স্বয়ং। বুধবার ফের এক ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন : রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন দিতে কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি, সাফ জানাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

     

     

  • Nitish Kumar: বিজেপি ছেড়ে আরজেডি! মুখ্যমন্ত্রী নীতীশই, জানুন কী বলছে বিহারের নয়া সমীকরণ

    Nitish Kumar: বিজেপি ছেড়ে আরজেডি! মুখ্যমন্ত্রী নীতীশই, জানুন কী বলছে বিহারের নয়া সমীকরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। মঙ্গলবার দলীয় সাংসদ এবং বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে বেরিয়ে আসবে জেডিইউ। এরপরেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তাঁর ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে দেন নীতীশ। মঙ্গলবার বিকেলে তিনি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তাঁর সদ্ধান্তের কথা জানান। এর আগে নীতীশ রাবড়ি দেবীর বাড়িও যান বলে খবর। সেখানে রাবড়ি ও লালু পুত্র তেজস্বীর সঙ্গে কথা হয় নীতীশের। রাজ্যপালের কাছে ইস্তফা দিয়ে আসার পর নীতীশ জানান, এটা তাঁর একার নয় দলগত সিদ্ধান্ত।

    সূত্রের খবর, মহাজোটের সব বিধায়কের জন্য মঙ্গলবার রাবড়ি দেবীর বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাবড়ি দেবীর বাসভবন ১০ সার্কুলার রোডে অবস্থিত। অন্যদিকে, সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার কংগ্রেস কোটা থেকে একজন উপমুখ্যমন্ত্রী করার প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু তার প্রস্তাবে আরজেডি আপত্তি জানিয়েছে। আরজেডি সূত্রে জানা গিয়েছে, নীতীশ কুমারকে সমর্থন জানাবে আরজেডি। মন্ত্রীসভা গঠনে কোনও বিভেদ থাকবে না। তেজস্বী যাদব জানিয়েছেন যে, তাঁদের ১৬০ জনের সমর্থন রয়েছে।

    আরও পড়ুন: নতুন সঙ্গী আরজেডি! বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ নীতীশের, ফের ‘মহাজোট’-এর পথে বিহার?

    জেডিইউ-র সংসদীয় বোর্ডের সভাপতি উপেন্দ্র কুশওয়াহা নীতীশ কুমারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি এদিন ট্যুইটে লিখেছেন, ‘নতুনভাবে নতুন নেতৃত্বের জন্য নীতীশ কুমারকে অভিনন্দন। ‘বর্তমানে বিহার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব উপ-মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন। তাঁর হাতে স্বরাষ্ট্র দফতর থাকবে। আরজেডি সূত্রে খবর, ২০১৫ সালের মতোই ১৫ জন মন্ত্রী পেতে পারে আরজেডি। স্পিকার পদে বসতে পারেন আরজেডি নেতা। 

    সূত্রের খবর, বিহার মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেবেন ১৬ জন  বিজেপি (BJP) মন্ত্রী। ২৪৩টি আসনের বিহার বিধানসভায় এই মুহূর্তে নীতীশ কুমারের জেডিইউয়ের বিধায়ক সংখ্যা ৪৫। অন্য দিকে, বিহারে একক বৃহত্তম দল তেজস্বীর আরজেডি। তাঁর দলের ৭৯ জন বিধায়ক। দ্বিতীয় বৃহত্তম দল বিজেপি, তাদের কাছে ৭৭ জন বিধায়ক। বিহারে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ১২২ জনের সমর্থন।

    আরও পড়ুন: ধনখড়ের প্রশ্নের মুখে মমতার ১৯ বিল, নতুন রাজ্যপাল কি আদৌ সই করবেন?

    এ ছাড়া কংগ্রেসের আছে ১৯ জন বিধায়ক। সিপিআইএমএল লিবারেশনের রয়েছেন ১২ জন বিধায়ক। জিতনরাম মাঝির হামের রয়েছে চার জন বিধায়ক। সিপিএম এবং সিপিআইয়ের রয়েছে মোট চার বিধায়ক। এক জন করে নির্দল ও এআইএমআইএম বিধায়ক। এই হিসেব অনুযায়ী পূর্বতন মহাগটবন্ধনের অঙ্ক কষলে দেখা যাচ্ছে, আরজেডি, কংগ্রেস ও জেডিইউ মিলিয়ে ১৪৩ জন বিধায়ক। যা সংখ্যাগরিষ্ঠতার চেয়ে অনেকটাই বেশি। পাশাপাশি সিপিআইএমএল লিবারেশন, সিপিএম ও সিপিআই-ও আগের মহাগটবন্ধন সরকারে ছিল। জিতনরাম মাঝির হামের চার বিধায়ক তেজস্বী, নীতীশের পাশেই থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে। অতএব পদ্ম ছেড়ে লণ্ঠন হাতে নিয়েও অ্যানে মার্গের বাসভবনে ফেরায় কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয় নীতীশের। তিনিই মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, থাকবেনও!

  • Bihar Political Crisis: নতুন সঙ্গী আরজেডি! বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ নীতীশের, ফের ‘মহাজোট’-এর পথে বিহার?

    Bihar Political Crisis: নতুন সঙ্গী আরজেডি! বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ নীতীশের, ফের ‘মহাজোট’-এর পথে বিহার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুপুর গড়ানোর আগেই জল্পনায় যবনিকা পড়ে গেল (Bihar Political Crisis)। বিহারে বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। রাজভবনে যাওয়ার আগেই  রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন জনতা দল ইউনাইটেডের (JDU) প্রধান।

    গত শুক্রবার থেকেই পাটনার রাজনীতিতে দোলাচল চলছিল। রবিবার দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠকে নীতীশের অনুপস্থিতি সেই জল্পনাকে আরও উস্কে দেয়। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন চলছিল বিহারে বিজেপি-নীতীশের জোট সরকারের পতন হতে পারে। সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। 

    এদিন নিজ বাসভবনে সকাল ১১টায় দলীয় বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন জেডিইউ প্রধান। সেখানেই নীতীশ জানিয়ে দেন, তাঁর সিদ্ধান্তের কথা। এই নিয়ে গত এক দশকে দু-দুবার বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করলেন নীতীশ। ২০১৩ সালে নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করায় তিনি এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন। 

    এরপর, ২০১৭ সালে লালুপ্রসাদ যাদবের দল রাষ্ট্রীয় জনতা দল ও কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তিনি বিহারে মহাজোট গঠন করে ক্ষমতায় এসেছিলেন। এরপর আরজেডির বর্তমান প্রধান তথা লালু-পুত্র তেজস্বী যাদব, যিনি সেই সময় নীতীশ মন্ত্রিসভার উপ-মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তিনি মহাজোট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। পতন হয় শরিক সরকারের। এরপর নীতীশ বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠন করেন। এবার ফের একবার পদ্ম ছেড়ে হাতে লণ্ঠন নিচ্ছেন নীতীশ?

    এদিকে, পাঁচ বছর পর ফের ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে আরজেডি। তেজস্বী আগেই জানিয়েছিলেন, নীতীশ যদি বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে, তাহলে জেডিইউ-কে সমর্থন করবে তারা। এমনকী, নীতীশই যে মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন, তাও একপ্রকার জানিয়ে দেন তেজস্বী। বিজেপি-জেডিইউ জোট শেষ হওয়ার ইঙ্গিত মিলতেই, উৎসব শুরু হয়ে যায় রাবড়ি দেবীর বাসভবনে। 

    জানা গিয়েছে, এদিন বিকেল চারটের সময়ে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে ইস্তফা দেবেন নীতীশ কুমার। সঙ্গে থাকবেন তেজস্বীও। একইসঙ্গে, তাঁরা নতুন সরকার গঠনেরও আবেদন জানাতে পারেন। সূত্রের খবর, নতুন সরকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও স্পিকারের পদ পেতে পারে আরজেডি। হতে পারে, এবারও তেজস্বী উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদে আসীন হবেন।

  • Pak naval ship Taimur: পাক রণতরীকে নোঙর করতে দিতে অস্বীকার বাংলাদেশের, কেন জানেন?

    Pak naval ship Taimur: পাক রণতরীকে নোঙর করতে দিতে অস্বীকার বাংলাদেশের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ অনুমতি না দিলেও পাকিস্তানের রণতরীকে বন্দরে ঠাঁই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল শ্রীলঙ্কা। চিনের প্রযুক্তিগত সহায়তায় নির্মিত পাকিস্তানের যুদ্ধজাহাজ পিএনএস তৈমুর সাংহাই বন্দর থেকে পাকিস্তান অভিমুখে যাত্রা শুরু করেছে। চলতি মাসেই জাহাজটিকে পাকিস্তানি নৌবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত করার কথা রয়েছে। জাহাজটির পোতাশ্রয় হিসাবে প্রথমে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরকে বেছে নেওয়া হলেও এই বিষয়ে বাংলাদেশ প্রশাসনের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি মেলেনি। পাকিস্তানি এই রণতরীকে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কলম্বো। আগামী ১২ থেকে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত চিনা মিাসাইলবাহী যুদ্ধজাহাজটি কলম্বো বন্দরে থাকবে বলে সূত্রের খবর। এর আগে চিনা গুপ্তচর জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং-৫’-এর শ্রীলঙ্কা সফরে রাশ টেনেছিল রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের সরকার।

    আরও পড়ুন: এবার আস্তিন গুটিয়ে চিনের পাল্টা মহড়ায় নামল তাইওয়ানও

    তৈমুর গভীর সমুদ্রে লড়াই করতে পারা এক বিশেষ ধরনের যুদ্ধজাহাজ। মালয়েশিয়ার লুমুট বন্দর থেকে বেরোনোর পর সাত থেকে ১০ অগস্টের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরকে পোতাশ্রয় হিসাবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল তৈমুর। কিন্তু গোটা অগস্ট মাসকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের মৃত্যুমাস হিসাবে স্মরণ করে থাকে বাংলাদেশ। অগস্ট মাসকে বাংলাদেশ সরকার ‘শোকের মাস’ বলেও অভিহিত করে থাকে। এই কারণ দেখিয়েই পাকিস্তানি রণতরীকে আশ্রয় দিতে চায়নি বাংলাদেশের হাসিনা প্রশাসন।

    আরও পড়ুন: তাইওয়ানের চারপাশে ১১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল চিন, কেন জানেন?

    চিনা যুদ্ধজাহাজ প্রবেশে হাসিনা সরকারের অনুমতি না দেওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে নয়াদিল্লি সঙ্গে ঢাকার সম্পর্কেই তুলে ধরা হচ্ছে। কারণ বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বেশ ভালো। চিনা যুদ্ধজাহাজকে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবেশের অনুমতি দিলে, সেক্ষেত্রে দু‘দেশের সম্পর্কে ফাটল ধরতে পারে আশঙ্কা তৈরি হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর হত্যার পিছনে পাক মদতের রয়েছে অভিযোগ। ২০০৪ সালে আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনাকেও হত্যার ছক কষেছিল কট্টরপন্থী ইসলামিক শক্তিগুলো। সেই কারণেই, পাক নৌবাহিনীতে যোগ দিতে চলা চিনা যু্দ্ধজাহাজকে বাংলাদেশ বন্দরে ঢোকার অনুমতি দেয়নি বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ।

  • Raksha Bandhan 2022: এবছর রাখি পূর্ণিমা ঠিক কবে ও কখন? রাখি বাঁধার সময় মাথায় রাখবেন এই নিয়মগুলো

    Raksha Bandhan 2022: এবছর রাখি পূর্ণিমা ঠিক কবে ও কখন? রাখি বাঁধার সময় মাথায় রাখবেন এই নিয়মগুলো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  প্রতি বছর শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমায় পালিত হয় রাখি বন্ধন। হিন্দু ধর্মে ভাই-বোনের পবিত্র সম্পর্ক ও ভালবাসার প্রতীক হল রাখি বন্ধন উৎসব। যদিও শুধুমাত্র ভাই-বোন নয়, ভারতবর্ষে প্রতিটি মানুষের মধ্যে সমস্ত রকম ভেদাভেদ ভুলে একে অপরের হাতে রাখি পরিয়ে সূচনা হয় এক শক্তপোক্ত সম্পর্কের বুনিয়াদ। প্রতিবছর রাখি বন্ধনের সময় বহু মানুষ একে অপরের অপরের হাতে রাখি পরিয়ে দিয়ে ভ্রাতৃত্ববন্ধনে আবদ্ধ হন। অপরদিকে বোনেরা অপেক্ষা করেন তাদের ভাই কিংবা দাদাদের হাতে রাখি পরিয়ে দেবেন।

    রাখি নিয়ে প্রচলিত পৌরাণিক কাহিনী

    মহাভারত অনুসারে, শ্রীকৃষ্ণের নিজের বোন ছিলেন সুভদ্রা। কিন্তু তিনি দ্রৌপদীকেও নিজের বোনের মতো স্নেহ করতেন। একবার শ্রীকৃষ্ণের হাত কেটে যায় এবং সেখান থেকে রক্তপাত শুরু হয়। তখন সেখানে সুভদ্রা এবং দ্রৌপদী দুজনেই উপস্থিত ছিলেন। সুভদ্রা তখন সেই রক্ত বন্ধ করবার জন্য কাপড় খুঁজছিলেন। কিন্তু দ্রৌপদী একটুও দেরী না করে নিজের পরিহিত মূল্যবান রেশমী শাড়ি ছিঁড়ে শ্রীকৃষ্ণের সেই কেটে যাওয়া স্থানটি বেঁধে দেন তাড়াতাড়ি রক্তপাত বন্ধ করার জন্য। এবং শ্রীকৃষ্ণ তখন দ্রৌপদীকে বলেন, তার বেঁধে দেওয়া কাপড়ের প্রতিটি সুতোর প্রতিদান দেবেন তিনি। এরপর শ্রীকৃষ্ণ দ্রৌপদীকে রাজসভায় বস্ত্রহরণের চরম কলঙ্কের হাত থেকে রক্ষা করেন। এই রাখি বন্ধন উৎসবের ৫ দিন আগে ঝুলনযাত্রা এবং ৭ দিন পরে জন্মাষ্টমী পালিত হয়।

    আরও পড়ুন: পুজোয় মঙ্গল ঘট কেন স্থাপন করা হয়, জানেন?

    রাখিবন্ধনের ঐতিহাসিক ঘটনা

    বর্তমান যুগে রাখি বন্ধন উৎসবের সূচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে গোটা বাংলায় জ্বলছে আগুন। ব্রিটিশদের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদের জন্য হিন্দু-মুসলিমদের ঐক্য বা একতার প্রতীক হিসেবে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাখিবন্ধন উৎসব পালন করেন। তিনি ঢাকা ও সিলেট থেকে মুসলিম ভাই-বোনদের কলকাতায় আহ্বান করেন এবং রাখি বন্ধন উৎসব পালন করেন। ভারতের ইতিহাসে চরম ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার সময় এই রাখি বন্ধন হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে একতা ও ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে যা আজও স্মরণীয় হয়ে আছে।

    রাখি বন্ধনের তাৎপর্য ও মাহাত্ম্য

    এই রাখি মূলত কোন সুতো বা কাগজের জিনিস নয়, এটি এক ধরনের রক্ষাকবচ যা ভাইদের সমস্ত রকমের বিপদের হাত থেকে রক্ষা করে। অপরদিকে এই দিন দাদারা প্রতিজ্ঞা করেন জীবনের সব কঠিন পরিস্থিতিতে বোনের পাশে দাঁড়ানোর। প্রত্যেক বোনের কাছে এই রাখি বন্ধন অত্যন্ত বিশেষ একটি দিন, যাকে ঘিরে বহু প্রচলিত নিয়ম রয়েছে। যেগুলি অনেকেই মনে-প্রাণে মেনে চলেন।

    আরও পড়ুন: প্রদীপের মুখ কোনদিকে থাকা উচিত? নিয়মগুলি না জানলে হতে পারে অমঙ্গল!

    এবছর রাখি পূর্ণিমা কবে ও কখন?

    হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, এবছর শ্রাবণী পূর্ণিমা তিথি ১১ অগাস্ট সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে শুরু হচ্ছে এবং ১২ অগাস্ট সকাল ৭টা ০৫ মিনিটে শেষ হবে। ফলত, আগামী ১১ অগাস্ট পালিত হবে রাখি বন্ধন উৎসব। বোনেরা ওইদিন ভাইয়ের হাতে রাখি বাঁধতে পারেন। তবে, ১১ তারিখ সকাল ১০.৩৮ থেকে রাত ৮.২৪ পর্যন্ত ভদ্রা তিথি থাকবে। শাস্ত্র অনুযায়ী, ভদ্রা তিথিতে কোনও শুভ কাজ করা যায় না। আবার সূর্যাস্তের পরও রাখি বাঁধার নিয়ম নেই। তাই ভদ্রা তিথি পড়ার আগেই রাখি বন্ধনের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। নয়তো, ১২ তারিখ ভোরে পূর্ণিমা তিথি থাকাকালীন করতে হবে।

    রাখি বন্ধনে কী করবেন ও কী করবেন না—

    •রাখির উপহারের তালিকায় তোয়ালে কিংবা রুমাল রাখবেন না।

    •ভাইয়ের হাতে রাখি পরিয়ে দেওয়ার সময় কালো রঙের পোশাককে অনেকে এড়িয়ে যাওয়া শুভ বলে মনে করেন।

    •বোনকে উপহার দেওয়ার সময় ভাইদের খেয়াল রাখতে হবে সেই তালিকায় যেন কোনও ধারালো জিনিস না থাকে।

    •বহু জায়গা প্রচলিত রয়েছে, যতক্ষণ না ভাইদের হাতে রাখি পরানো হয় ততক্ষণ বোনেরা নুন জাতীয় কোনও খাবার খান না।

    •রাখির মঙ্গল থালায় জ্বলন্ত প্রদীপ, কুমকুম এবং চন্দন রেখে তারপরেই রাখি পরাবেন।

    •রাখি বন্ধন শেষে কোনওভাবেই ভাইদের কালো রঙের কোনও উপহার দেবেন না।

    •রাখি পরানোর সময় নোনতা খাবারের পরিবর্তে যতটা সম্ভব মিষ্টি জাতীয় খাবার দেবেন।

    •ভাইদের উদ্দেশ্যে আনা রাখি, হাতে বাঁধার আগে অবশ্যই কিছুক্ষণ বাড়ির ইষ্ট দেবতার চরণে রেখে দেবেন।

    •আসনে ভাইদের পূর্ব বা উত্তর দিকে মুখ করে বসাবেন। তারপর হাতে রাখি বেঁধে দেবেন। দক্ষিণ দিকে বসিয়ে রাখি বাঁধাকে অশুভ বলে মনে করা হয়।

LinkedIn
Share