Blog

  • Telangana: দলের নাম পরিবর্তন চন্দ্রশেখর রাওয়ের! জাতীয় রাজনীতিই কি লক্ষ্য?

    Telangana: দলের নাম পরিবর্তন চন্দ্রশেখর রাওয়ের! জাতীয় রাজনীতিই কি লক্ষ্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্য ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন (Parliament Election 2024)। রাজ্যের গণ্ডি টপকে জাতীয় রাজনীতিতে নতুন আঙ্গিকে পথ চলা শুরু করল তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি (Telangana Rashtra Samithi)। বদলে ফেলা হল দলের নাম। তেলেঙ্গানা মুছে এখন শুধুই ‘ভারতীয় রাষ্ট্রীয় সমিতি’ (BRS)। দশেরার দিনে দলের নতুন নাম ঘোষণা করলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও (K Chandrashekar Rao)। আত্মপ্রকাশ করল ‘ভারতীয় রাষ্ট্রীয় সমিতি’(BRS)।

    বিজেপি (BJP) বিরোধী লড়াইয়ে দীর্ঘদিন ধরে সুর চড়িয়েছিলেন কে চন্দ্রশেখর রাও। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে অ-বিজেপি ও অ-কংগ্রেসী দলগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার পরিকল্পনাও নিয়েছেন তিনি। সাক্ষাৎ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে নীতীশ কুমার, এমকে স্ট্যালিনের মতো বিরোধী শিবিরের তাবড় তাবড় নেতাদের সঙ্গে। কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে তৃতীয় ফ্রন্ট গঠন নিয়ে বৈঠক করেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ও ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গেও। বিজেপি (BJP) বিরোধী লড়াইয়ে তিনি যে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগতে চাইছেন, অ-কংগ্রেসী ও অ-BJP নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে কেসিআর তা স্পষ্ট করেছেন। তাঁর এই মিশনে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদনও জানান তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী। মিশন ২০২৪-এর অঙ্গ হিসেবে এরপরেই জাতীয় স্তরে নিজের দলকে প্রতিষ্ঠিত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেন রাও। প্রথমে ঠিক ছিল টিআরএস ব্যানারেই জাতীয় স্তরে লড়বে তাঁর দল। কিন্তু তা খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না বলে আশঙ্কা করেন কে চন্দ্রশেখর রাও। তাই তিনি জাতীয় স্তরে নতুন একটি দল গঠন করার পরিকল্পনা নেন।

    আরও পড়ুন: হিন্দু শব্দের ওপর জোর দেব! জানেন দশেরার অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে কী বললেন মোহন ভাগবত?

    তবে প্রশ্ন উঠছে, আঞ্চলিক দলের তকমা ঝেড়ে ফেলে সর্বভারতীয় মর্যাদা পাওয়ার এই ভাবনা কতটা ফলপ্রুসু হবে টিআরএসের?  এমনকী দলের অন্দরে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে বলেও খবর। মুখ্যমন্ত্রীর এটা খামখেয়ালি ভাবনা বলে মনে করছেন অনেকে। এতে দল বিপদে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, টিআরএসের এই সিদ্ধান্ত বুমেরাং হতে পারে। মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে তেলেঙ্গানার জনগণ।

  • Mohan Bhagwat: কর্মক্ষেত্রে নারীদের আরও স্বাধীনতা ও সমানাধিকারের পক্ষে সওয়াল মোহন ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: কর্মক্ষেত্রে নারীদের আরও স্বাধীনতা ও সমানাধিকারের পক্ষে সওয়াল মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশেরার অনুষ্ঠানে নারী স্বাধীনতার পক্ষে জোরাল সওয়াল করলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। বুধবার মহারাষ্ট্রের নাগপুরে সংগঠনের বার্ষিক দশেরা তথা বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘কর্মক্ষেত্রে নারীদের আরও স্বাধীনতা প্রয়োজন। প্রাপ্য সমানাধিকারও। পুরুষদের থেকে নারীরা কোনও অংশে কম নয়।’ আরএসএস শুরু থেকেই মহিলাদের অধিকার স্থাপন নিয়ে সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে এসেছে। অতীতের উদাহরণ টেনে মোহন ভাগবত বলেন, ‘ডক্টর সাবের (ডাঃ কে বি হেডগেওয়ার) সময়কালে সমাজে কৃতিত্বপূর্ণ, বদ্ধিজীবী বলে পরিচিত মহিলাদের আরএসএস নিজেদের সংগঠনের কার্যাবলীতে অনুপ্রেরণার উৎস বলে স্বীকৃতি জানিয়েছে। অতীতে আমাদের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন আনুসিয়াবাই কালে, ভারতীয় মহিলা সম্মেলনের প্রধান রাজকুমারী অমৃত কৌরও। ১৯৩৪ সালের ডিসেম্বরে সংগঠনের বার্ষিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন একজন মহিলা। আমি তখন সেখানকার প্রচারক ছিলাম। ঔরঙ্গবাদের কুমুদতাই রাংনেকার সেবার বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।’

    আরও পড়ুন: হিন্দু শব্দের ওপর জোর দেব! জানেন দশেরার অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে কী বললেন মোহন ভাগবত?

    সমাজে নারী ও পুরুষ—দু’জনেরই গুরুত্ব সমান বলে মনে করেন মোহন ভাগবত। তিনি বলেছেন, ‘আমরা জানি একে অপরকে ছাড়া একটা সুন্দর সমাজ কখনও গড়ে উঠবে না। তাই কে শক্তিশালী, সেটা বিচার্য নয়। বরং পুরুষদের মতো নারীদেরও সব ক্ষেত্রে সমানাধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। সর্বক্ষেত্রে দিতে হবে স্বাধীনতাও। কারণ, একজন পুরুষের থেকে একজন নারী কোনও অংশে কম নয়। দেশকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বড় ভূমিকা রয়েছে।’

    আরও পড়ুন: ‘‘রোজগার মানে কেবলমাত্র চাকরি নয়…’’, নাগপুরে মোহন ভাগবত

    সংঘ প্রধানের কথায়, ‘নারীদের ‘জগৎ জননী’ বলা হয়। অথচ ঘরে তাদের ‘দাসী’ হিসাবে গণ্য করা হয়।’ তিনি মনে করেন, এই ভাবনা চিন্তা পরিবর্তনের সময় এসেছে। নারীর ক্ষমতায়ন ঘর থেকে শুরু হওয়া উচিত। ভারতের ‘বিশ্ব গুরু’ দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নে নারীর ভূমিকার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন ভাগবত। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি ‘বিশ্বগুরু’ (বিশ্বে নেতৃত্ব দেওয়া) ভারত গড়তে চাই তাহলে মহিলাদের সমান অংশগ্রহণও প্রয়োজন। এর জন্য অবশ্যই মহিলাদের ক্ষমতায়নের দিকে জোর দিতে হবে। নারী ছাড়া সমাজ এগিয়ে যেতে পারে না।’

  • Mohan Bhagwat: ‘‘রোজগার মানে কেবলমাত্র চাকরি নয়…’’, নাগপুরে মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: ‘‘রোজগার মানে কেবলমাত্র চাকরি নয়…’’, নাগপুরে মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনও কাজই ছোট বা হালকা নয়। সবই সমান গুরুত্বপূর্ণ। নাগপুরে দশেরার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই জানালেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের  (Rashtriya Swayamsevak Sangh) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। একইসঙ্গে এ-ও মনে করিয়ে দিলেন, রোজগার মানেই যে শুধু চাকরি, সেই ধারণা থেকেও নিজেদের বেরিয়ে আসতে হবে।

    সরসংঘচালক বলেন, ‘‘ভারতের মতো বিশাল জনসংখ্যার দেশে অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন নীতি কর্মসংস্থানমুখী হবে এমনটা আশা করা স্বাভাবিক। তবে রোজগার মানে কেবল মাত্র চাকরি নয়– এই বোধও সমাজে বাড়াতে হবে। কোনও কাজই প্রতিপত্তির দিক থেকে ছোট বা হালকা নয়। কায়িক শ্রম, পুঁজি ও মেধাগত শ্রম– সবই সমান গুরুত্বপূর্ণ এই বিশ্বাস ও অনুরূপ আচরণ আমাদের সবাইকে করতে হবে।’’

    মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত উদ্যোগ স্থাপনের প্রবণতাকে উৎসাহিত করতে হবে। প্রতিটি জেলায় কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণের একটি বিকেন্দ্রীকৃত প্রকল্প তৈরি করতে হবে এবং তাদের জেলাতেই কর্মসংস্থান পাওয়া যেতে পারে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবহন ইত্যাদি সুবিধা গ্রামে উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে সহজলভ্য করতে হবে। কিন্তু করোনার বিপত্তির সময়ে কর্মরত কার্যকর্তারাও বুঝতে পেরেছেন যে সমাজের সংগঠিত শক্তিও অনেক কিছু করতে পারে।’’

    আরও পড়ুন: মোহন ভাগবতকে ‘রাষ্ট্রপিতা’ আখ্যা ভারতীয় ইমাম সংগঠনের

    অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কর্মরত সংস্থা, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, কিছু সজ্জন ব্যক্তি, দক্ষতা বিশেষজ্ঞ, প্রশিক্ষক এবং স্থানীয় স্বয়ংসেবকরা প্রায় ২৭৫টি জেলায় স্বদেশী জাগরণ মঞ্চের সঙ্গে যৌথভাবে এই পরীক্ষাটি শুরু করেছে। এই প্রাথমিক পর্যায়ে তারা কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সফল হয়েছে, এমন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

    একইসঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন, মহিলাদের কর্মস্বাধীনতা এবং সর্বক্ষেত্রে সমান অধিকার দেওয়া বর্তমানে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। সংঘ প্রধান বলেন, ‘‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জ্ঞানের ভাণ্ডার বাড়তে থাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিছু বিষয় বদলায়, কিছু হারিয়ে যায়। কিছু নতুন বিষয় এবং পরিস্থিতির জন্ম হয়। তাই নতুন রচনা নির্মাণ করতে গিয়ে ঐতিহ্য ও সমকালের সমন্বয় করতে হবে।’’

    তিনি যোগ করেন, ‘‘সেকেলে ভাবনা পরিত্যাগ করে নতুন যুগোপযোগী ও দেশানুকূল ঐতিহ্য তৈরি করতে হবে। একই সঙ্গে, যে চিরন্তন মূল্যবোধগুলি আমাদের পরিচয়, সংস্কৃতি, জীবন সম্পর্কে আমাদের যে মহান উল্লেখনীয় চিরন্তন সেই শাশ্বত মূল্যবোধ ইত্যাদিকে ত্যাগ করা উচিত নয়, বরং সেগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা এবং তার আচরণ করা, যাতে তা পূর্ববৎ থাকে, তার জন্য সাবধানতা বজায় রাখতে হবে। নতুন যুগ-বান্ধব ও দেশবান্ধব ঐতিহ্য তৈরি করতে হবে।’’

    আরও পড়ুন: মোহন ভাগবতকে ‘রাষ্ট্র পিতা’ বলায় ইমাম প্রধানকে খুনের হুমকি! চাঞ্চল্য

  • Durga Puja: আজ দশেরায় মেতেছে দেশবাসী! জানেন দশমী তিথিতে কেন পালিত হয় দশেরা উৎসব?

    Durga Puja: আজ দশেরায় মেতেছে দেশবাসী! জানেন দশমী তিথিতে কেন পালিত হয় দশেরা উৎসব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশমীতে বাংলার ঘরের মেয়ে উমা বাপের বাড়ি থেকে স্বামী গৃহে রওনা দেন, মন আমাদের ভারাক্রান্ত হয়, ঠিক তখনই দেশের অন্যান্য প্রান্তে ধুমধাম করে পালিত হয় দশেরা উৎসব। দশটি মাথার বড় প্রতীকী অসুরকে অগ্নিসংযোগের দ্বারা জ্বালানোর নামই দশেরা। পোশাকি একটা নাম অবশ্য রয়েছে রামলীলা। দিল্লির রামলীলা ময়দান তো আমাদের অতি পরিচিত। দেশের প্রধানমন্ত্রীকেও রামলীলা ময়দানে দশেরা উৎসব পালন করতে দেখা যায়। তিনিই তীর নিক্ষেপ করে দশ মাথার প্রতীকী অসুরকে অগ্নিসংযোগ দ্বারা দহন করেন। দশমাথার অসুর বললে নিশ্চিত ভাবে আমাদের আর বুঝতে অসুবিধা হয় না যে সেটি দশানন রাবণ। রাবণকে বধ করতেই আশ্বিন মাসে মা দুর্গার অকাল বোধন করেছিলেন রামচন্দ্র। বিল্ববৃক্ষ তলায় মা দুর্গার পুজো করেছিলেন, তারপরেই রাবণ বধ করেছিলেন দশমী তিথিতে। অন্য একটি বিশ্বাস মতে, ন’দিন ন’ রাত্রি ব্যাপী যুদ্ধের পর মহিষাসুরকে দশমী তিথিতে বধ করেন দেবী দুর্গা। মহিষাসুর এবং রাবণ দুই অসুর-ই অত্যাচার, অধর্ম,পাপ, অশুভ শক্তির প্রতীক। দশমী তিথি তাই পবিত্র, পুণ্য এক তিথি যেদিন আসুরিক শক্তির বিনাশ হয়েছিল। অশুভ শক্তি পরাস্ত হয়েছিল শুভ শক্তির কাছে। দেবতারা সেদিন পুষ্প বৃষ্টি করেছিল মহিষাসুর বধের জন্য দেবী দুর্গার উপর এবং রাবণ বধের জন্য ভগবান রামচন্দ্রের উপর।

    আরও পড়ুন: মন্ডপ হোক বা বাড়ি দশমীতে সিঁদুর খেলাই রীতি! জানেন এদিন কেন সিঁদুর খেলা হয়?

    অন্য একটি পৌরাণিক মত অনুযায়ী দশেরার সাথে পান্ডবরাও সম্পর্কিত। দশেরার দিন দেশের নানা প্রান্তে অস্ত্র পূজন দেখতে পাই আমরা। দশমী তিথির এই অস্ত্র পূজন পান্ডবদের সাথেই সম্পর্কিত বলে অনেকে মনে করেন। পৌরাণিক আখ্যানটি জেনে নেওয়া যাক। পাশাখেলায় পরাজিত হয়ে পাণ্ডবরা ১২ বছর বনবাস ও এক বছরের অজ্ঞাতবাসে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। বনবাসের পর অজ্ঞাতবাস শুরু করার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে তাঁরা বিরাট রাজ্যে প্রবেশ করার আগে একটি শমীবৃক্ষের কোটরে তাঁদের সঙ্গে থাকা সমস্ত অস্ত্র লুকিয়ে রেখে যান। আবার ঠিক একবছর পরে এই বিজয়া দশমীর দিনটিতে ওই কোটর থেকে অস্ত্র বের করে নিজেদের আসল পরিচয় দিয়েছিলেন তাঁরা। তাই তারপর থেকে দেশের সমস্ত  প্রান্তে দশমীর  দিনটিতে অস্ত্রের পুজো প্রচলিত আছে। এদিন অনেক জায়গায় পরস্পরকে শমীবৃক্ষের পাতা দিয়ে দুষ্টের উপর বিজয়ের কথা মনে করিয়ে দেওয়ার চলও রয়েছে।

    আবার অন্য একটি পৌরাণিক মত অনুযায়ী, রামের জন্মের বহু আগে থেকেই নাকি রঘু বংশে পালিত হয় দশেরা। রামের পূর্বপুরুষ রাজা রঘুর আমলের একটি ঘটনা এক্ষেত্রে প্রচলিত রয়েছে। রঘুর রাজ্যে ছিলেন দেবদত্ত নামে এক ঋষি, যাঁর পুত্র কৌৎস শিক্ষালাভ গিয়েছিলেন ঋষি বরতনুর কাছে। শিক্ষা শেষে ১৪টি বিষয়ে সুশিক্ষিত কৌৎস যখন গুরুকে জিজ্ঞেস করেন যে, গুরুদক্ষিণা হিসেবে কী চান তিনি, বরতনু তখন উত্তর দেন, তাঁর কিছুই চাই না, ছাত্রের সুশিক্ষাই তাঁর কাছে গুরুদক্ষিণার সমান! কিন্তু কৌৎস গুরুদক্ষিণা না দিয়ে যাবে না। বাধ্য হয়ে একটি অসম্ভব ইচ্ছে প্রকাশ করেন বরতনু। তিনি বলেন, ১৪টি বিষয়ে শিক্ষার দক্ষিণা হিসেবে তিনি ১৪০ লক্ষ স্বর্ণমুদ্রা চান। গুরুর ইচ্ছে পূর্ণ করতে কৌৎস যান অযোধ্যার রাজা রঘুর কাছে। কিন্তু সেদিনই ব্রাহ্মণদের দানে সব সোনা দিয়ে দেওয়ার কারণে রঘু কৌৎসর কাছে তিন দিন সময় চান। কৌৎস সেই কথা শুনে বিদায় নেওয়ার পর রঘু চলে যান দেবরাজ ইন্দ্রের কাছে। ইন্দ্র সব শুনে ডেকে পাঠান ধনের দেবতা কুবেরকে। ইন্দ্রের কথামতো কুবের অযোধ্যা রাজ্যে সেদিন ধনবৃষ্টি শুরু করেন। শোনু এবং আপতি গাছের পাতাগুলি থেকে ঝরতে থাকে সোনার মোহর! সেই মোহর একত্রিত করে কৌৎসকে দেন রাজা রঘু। ছাত্রের কাছ থেকে শুধু ১৪০ লক্ষ স্বর্ণমুদ্রা চেয়েছিলেন বরতনু, বাকিটা তিনি ফিরিয়ে দেন কৌৎসকে। কৌৎস তা আবার ফিরিয়ে দেন রঘুকে। দানবীর রঘু তা বিলিয়ে দেন তাঁর প্রজাদের মধ্যে। সেই দিনটি ছিল বিজয়া দশমীর দিন। অর্থাৎ দেবী মাহাত্ম্য, রামায়ণ, মহাভারত সহ সমস্ত পৌরাণিক আখ্যানে পাওয়া যায় দশেরার মাহাত্ম্য, বাংলায় দশমীর মাহাত্ম্য।

  • World Animal Day 2022: কেন ৪ অক্টোবর বিশ্ব প্রাণী দিবস পালিত হয় জানেন ?

    World Animal Day 2022: কেন ৪ অক্টোবর বিশ্ব প্রাণী দিবস পালিত হয় জানেন ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, ৪ অক্টোবর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় World Animal Day। প্রাণীদের জন্য এই দিনটি পালন করা হয়। জানা যায়, সর্বপ্রথম হেনরিক জিম্মারমেন নামের এক জার্মান লেখক ও প্রকাশক মেন্স উন্ড হুন্দ নামের একটি ম্যাগাজিনে বিশ্ব প্রাণী দিবস প্রকাশ করেছিলেন। তিনি প্রথম ১৯২৫ সালের ২৪ মার্চ জার্মানির বার্লিন স্পোর্ট প্যালেসে এই দিবস উদযাপন করেন। এরপর ১৯২৯ সালে প্রথমবার এই দিবসটি ৪ অক্টোবর পালন করা হয়েছিল। এরপর ১৯৩১ সালে ইতালির ফ্লোরেন্সে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রাণী সুরক্ষা কংগ্রেসে ৪ অক্টোবরকে বিশ্ব প্রাণী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

    এ দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো, পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে প্রাণীদের কল্যাণের মাধ্যমে এদের অবস্থার উন্নতি করা। প্রাণী কল্যাণ প্রসঙ্গে সকলকে সতর্ক করা। সাধারণত এই দিনে সকলকে পশু কল্যান প্রসঙ্গে সতর্ক করা হয়। পশু দিবস হল বিশ্বের সকল প্রাণীর অধিকার ও কল্যাণের জন্য পালিত হওয়া একটি আন্তর্জাতিক দিবস।  

    তবে এই প্রাণী দিবসের গুরুত্ব কী?

    প্রাণীদের সম্পর্কে সচেতন করার জন্যই এই দিনটি পালন করা হয়। এই জাতি, ধর্ম, বিশ্বাস বা রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে দিবসটি বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাবে প্রতিটি দেশে পালন করা হয়। তবে, সর্বত্র এই দিন পালনের উদ্দেশ্য একটাই। তা হল, প্রাণী কল্যাণ প্রসঙ্গে সকলকে সতর্ক করা।

    এই দিনটি তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে প্রাণীরা কীভাবে আমাদের জীবনকে উন্নত করে তোলে। পশুদের প্রতি নৃশংস, নিষ্ঠুর আচরণের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সম্প্রদায় ও গোষ্ঠীকে উদ্বুদ্ধ করাও হল এই দিনটির আরেকটি লক্ষ্য।

    প্রতি বছর এই বিশেষ দিনে একটি করে থিম গ্রহণ করা হয়। এবছরের থিম হল Shared Planet। এর ফলে বোঝা যায়, পৃথিবী শুধুমাত্র মানুষের নয়, প্রতিটি প্রাণীরও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Durga Puja: কুমারী পুজো কেন হয় জানেন? 

    Durga Puja: কুমারী পুজো কেন হয় জানেন? 

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: দেখতে দেখতে পুজো নবমীতে চলে এলো। মাইকেল মধুসূদন দত্ত লিখছেন- “যেয়ো না রজনী আজি লয়ে, তারাদলে ” এ যেন প্রতিটি হিন্দু বাঙালির অন্তরের শব্দ ধ্বনি। নবমী নিশি গত হলেই যে বিসর্জন! মহানবমীর গুরুত্ব তাই অনেক খানি‌। উৎসবমুখর বাঙালির আনন্দের দিক থেকে তো বটেই আবার এই বিশেষ তিথিতে সম্পূর্ণ ভাবে মা দুর্গার পুজো সম্পন্ন হয়। পৌরাণিক মতে , অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণে চন্ড ও মুন্ডকে বধ করেছিলেন মাতা চামুণ্ডা আবার অন্য একটি মতে, মহিষাসুরের বধ হয়েছিল সন্ধিক্ষণে। তাই সমস্ত দেবতারা মহর্ষি কাত্যায়ন এর আশ্রমে সমবেত হয়ে নবমী তিথিতে মাতৃ আরাধনা বা বন্দনা শুরু করেছিলেন।  এই দিন সকাল থেকেই তোড়জোড় শুরু হয়ে যায় অঞ্জলি দেওয়ার জন্য। এই দিনেই সম্পন্ন হয় হোম এবং কুমারী পুজো। এই পুজো নিয়ে বহু মানুষের মনের নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খায়।

    কুমারী পুজোকে ঘিরে আগ্রহের শেষ নেই। কেন করা হয় কুমারী পুজো? জানেন কি? সেই ১৯০১ সাল থেকে প্রতিবছর বেলুড় মঠে মহা ধুমধাম করে এই পুজোর নিয়ম রয়েছে, শুরু করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। এছাড়াও বহু বাড়ির পুজোয়, মন্দির কিংবা বারোয়ারী ক্লাবগুলিতে কুমারী পুজোর আয়োজন করা হয়। কুমারী পুজোর জন্য বেছে নেওয়া হয় ১ থেকে ১৬ বছর বয়সী কন্যাদের। বয়স অনুযায়ী প্রত্যেক কুমারীর নাম আলাদা হয়। শাস্ত্র অনুযায়ী কুমারী পূজায় কোন জাতি, ধর্ম বা বর্ণভেদ নেই। দেবীজ্ঞানে যে-কোন কুমারীই পূজনীয় ।

     এক্ষেত্রে এক থেকে ষোলো বছর বয়সী যে কোনো কুমারী মেয়ের পূজা করা যায়। বয়স অনুসারে কুমারীদের নাম গুলি হলো –
    এক বছরের কন্যা: সন্ধ্যা
    দুই বছরের কন্যা: সরস্বতী
    তিন বছরের কন্যা : ত্রিধামূর্তি
    চার বছরের কন্যা : কালীকা
    পাঁচ বছরের কন্যা : সুভগা
    ছয় বছরের কন্যা :উমা
    সাত বছরের কন্যা : মালিনী
    আট বছরের কন্যা : কুব্জিকা
    নয় বছরের কন্যা:কালসন্দর্ভা
    দশ বছরের কন্যা: অপরাজিতা
    এগারো বছরের কন্যা:রূদ্রাণী
    বারো বছরের কন্যা:ভৈরবী
    তেরো বছরের কন্যা:মহালক্ষ্মী
    চৌদ্দ বছরের কন্যা:পীঠনায়িকা
    পনেরো বছরের কন্যা:ক্ষেত্রজ্ঞা
    ষোলো বছরের কন্যা:অন্নদা বা অম্বিকা

     হিন্দু ধর্মে নারীদের প্রকৃতির সমান মানা হয়। কুমারী পুজোর মধ্য দিয়ে প্রকৃতিকে আরাধনা বা পুজো করা হয়। ভারতীয় সভ্যতায় প্রকৃতি পূজার রীতি প্রথম থেকেই রয়েছে। এদেশে মনে করা হয়  দেবতাদের বাস রয়েছে মানবের মধ্যেই এবং দেবত্বের বিকাশের দ্বারাই মানুষ দেবতা হয়।  তাই কুমারীদের দেবী রূপে আরাধনা করা হয়। ফুলের মালা, মুকুট, পায়ে আলতা, নতুন বস্ত্র, তিলক দিয়ে সাজানো হয় কুমারীদের।

    বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কুমারী পুজোর জন্য নির্বাচিত করা হয় ৫ থেকে ৭ বছর বয়সী কুমারীদের। বিভিন্ন পুরাণে এই পুজোর উল্লেখ রয়েছে। শাস্ত্র অনুযায়ী ১ থেকে ১৬ বছর বয়সী যে বালিকারা ঋতুমতী হবে না, তাদের কুমারী রূপে পুজো করা যাবে।  শুধুমাত্র দুর্গাপুজো নয়, অন্নপূর্ণা পুজো, কালীপুজো এমনকি জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষেও বহু জায়গায় কুমারী পুজো আমরা দেখতে পাই।

    কুমারী পুজোর নেপথ্যে যে পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে সেটি জেনে নেওয়া যাক। একসময় কোলাসুর নামের এক অসুর রাজা স্বর্গ এবং মর্ত্য দখল করে নিয়েছিল। অত্যাচারী এই অসুরের কারনে মুনি ঋষিরা তপস্যা করতে পারতো না, দেবতারা স্বর্গরাজ্য থেকে বিতাড়িত ছিল। যার কারণে দেবতাগণ অসহায় হয়ে শরণাপন্ন হন মা কালীর। দেবতাদের উদ্ধারে দেবী কুমারী রূপে কোলাসুরকে বধ করেছিলেন। তারপর থেকেই মর্ত্যে কুমারী পুজোর প্রচলন শুরু হয়। অন্য একটি পৌরাণিক কথা অনুযায়ী, বাণাসুর কে মাতা কালি, কুমারী রূপে বধ করেছিলেন । সেই থেকেই কুমারী পুজোর রীতি বলে শোনা যায়।  শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব নিজের স্ত্রীকে কুমারী জ্ঞানে পুজো করেছিলেন বলেও জানা যায়।

  • Mumbai: কমলা বোঝাই ট্রাক থেকে উদ্ধার করা হল ১৪৭৬ কোটি টাকার কোকেন!

    Mumbai: কমলা বোঝাই ট্রাক থেকে উদ্ধার করা হল ১৪৭৬ কোটি টাকার কোকেন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বইয়ে (Mumbai) উদ্ধার করা হল প্রায় ১৪৭৬ কোটি টাকার কোকেন ও মেথামফেটামিন। কমলা বোঝাই করা ট্রাক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এই বিপুল পরিমাণ মূল্যের কোকেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই) মুম্বইয়ের ভাশিতে ট্রাকটিকে আটক করার পর সেখান থেকেই এই মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।

    এই ঘটনা এক বিরাট সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, সাধারণত একসঙ্গে এত বিপুল পরিমাণ মূল্যের কোকেন উদ্ধার করা হয় না। পাচারকারীরা অধিকাংশ সময়েই ছোট ছোট কনসাইনমেন্টে এক দেশ থেকে অন্য দেশে কোকেন পাচার করে। তাতে ধরা পড়ার সম্ভাবনাও কম থাকে। অথবা ধরা পড়লেও আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ তুলনামূলক কম হয়। কিন্তু একসঙ্গে এত টাকার মাদক দ্রব্য বাজেয়াপ্ত করার পর উদ্ধারকারীরাও অবাক হয়েছে।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিন একটি ট্রাকে করে কমলা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আর সেই কমলালেবুর বাক্সেই এই মাদক দ্রব্যগুলো লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। শুধুমাত্র কোকেন নয়, বিপুল পরিমাণ ক্রিস্টাল মেথামফেটামিন উদ্ধার করা হয়েছে। এদিন মোট ৯ কেজি কোকেন ও ১৯৮ কেজি ক্রিস্টাল মেথামফেটামিন উদ্ধার করা হয়।

    আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে জিএসটি বৃদ্ধি ২৬%, মাসিক সংগ্রহ ১.৪৭ লক্ষ কোটি টাকা

    ডিআরআই একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, কমলা বহনকারী কার্টনগুলিতে প্রচুর পরিমাণে মাদক দ্রব্য লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এরপর ট্রাকটির চালককেও আটক করা হয়েছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আরও তদন্ত চলছে।

    প্রসঙ্গত, গতকালও, দেশে “ব্ল্যাক কোকেন” পাচার করার সময়ে এনসিবি পাচারকারীদের আটক করতে সক্ষম হয়েছে। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর মুম্বই শাখা ২৬ সেপ্টেম্বর বিমানবন্দরে এক বিদেশি নাগরিকের কাছ থেকে ১৩ কোটি মূল্যের কোকেন জব্দ করেছে। ভারতে এই প্রথম ব্ল্যাক কোকেন ধরা পড়েছে। এছাড়াও সম্প্রতি মুম্বই বিমানবন্দরে (Mumbai Airport) পাচারকারী এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে কাস্টমস বিভাগ। তাঁর জুতোর সোলের মধ্যে লোকানো ছিল কোকেন (Cocaine)। জানা গিয়েছে যে পরিমাণ কোকেন উদ্ধার হয়েছে ওই মহিলার থেকে, তার দাম ৪ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে ইউরোপের নানা প্রান্তেই মাদক পাচার করা হয়। আর তার জেরেই বর্তমানে কোকেন উদ্ধারের ঘটনা বাড়ছে।  

  • Armenia: আর্মেনিয়ার সঙ্গে ২৪ কোটি ডলারের অস্ত্র চুক্তি ভারতের, রফতানি হবে পিনাকা রকেট লঞ্চারও

    Armenia: আর্মেনিয়ার সঙ্গে ২৪ কোটি ডলারের অস্ত্র চুক্তি ভারতের, রফতানি হবে পিনাকা রকেট লঞ্চারও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলের দখল নিয়ে আবারও সম্মুখ সমরে দুই প্রতিবেশী আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। আজারবাইজানের হামলার মোকাবিলা করতে এবার ভারত থেকে ২৪ কোটি ৪০ লক্ষ ডলারের অস্ত্র কিনছে আর্মেনিয়া। পিনাকা মিসাইল (Pinaka Launchers) থেকে শুরু করে বিপুল গোলাবারুদ আর্মেনিয়ায় (Armenia)  রফতানি করছে ভারত সরকার (India)। ভারতের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ারও বেশ কিছু দেশ আর্মেনিয়ায় অস্ত্র রফতানি করেছে। আজারবাইজানের সঙ্গে বিবাদের জেরেই আর্মেনিয়াকে এইধরনের বিপুল অস্ত্র ভারতের তরফে রফতানি করা হচ্ছ বলে জানা গিয়েছে।  

    আরও পড়ুন: দেশের নয়া সিডিএস হচ্ছেন অনিল চৌহান, জানেন তিনি কে?

    এ ব্যপারে দেশ দুটির মধ্যে চলতি মাসেই একাধিক চুক্তি সাক্ষর হয়েছে। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি পিনাকা ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা কার্গিল যুদ্ধে ভারতের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল বলে দাবি করা হয়। ট্রাকের ওপর বহন করা যায় এই রকেট লঞ্চার। ৯০ কিলোমিটার পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র সম্প্রতি লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (LAC) চিনের হামলা মোকাবিলায় মোতায়েন করেছে ভারতীয় সেনা। এই ‘মাল্টিপল রকেট লঞ্চার’ মাত্র ৪৪ সেকেন্ডে একসঙ্গে ৭২টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে সক্ষম। এই ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র আজারবাইজানের হানা ঠেকাতে আর্মেনিয়া ফৌজের গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হতে পারে বলে মনে করেছেন সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।   

     



    এর আগেও এই দুই দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলেছে। ২০২০ সালে দুই প্রতিবেশী দেশ আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে লাগা যুদ্ধে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। সেই সময় রাশিয়ার মধ্যস্থতায় দুই দেশে শান্তি ফেরে। কিন্তু এই মুহূর্তে পুতিনও মধ্যস্থতা করার অবস্থায় নেই বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 

    মেক ইন ইন্ডিয়া প্রজেক্টের মাধ্যমে দেশে তৈরি অস্ত্র যাতে আরও বেশি করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া যায়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে দিল্লির তরফে। ২০২৫ সালের মধ্যে ভারত যাতে ৩৫ হাজার কোটি টাকার দেশীয় অস্ত্র রফতানি করতে পারে, সে বিষয়ে নেওয়া হয়ছে বিশেষ উদ্যোগ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে দুর্গা বিসর্জনে গিয়ে হড়পা বানে মৃত অন্তত ৮, ঠিক কী ঘটেছিল?

    Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে দুর্গা বিসর্জনে গিয়ে হড়পা বানে মৃত অন্তত ৮, ঠিক কী ঘটেছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মাঝেই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। দুর্গা পুজোর (Durga Puja 2022) নিরঞ্জনের সময় ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) মাল নদীতে (Mal River)। বিসর্জনের সময় আচমকাই ছুটে এল হড়পা বান। ফলে জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে এখনও পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখনও নিখোঁজ বহু। ১০ বছর বয়সী এক বালিকাও ভেসে যায় বলে খবর সংবাদমাধ্যম সূত্রে। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৫ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু।

    প্রতিমা বিসর্জনের সময় কী ঘটেছিল?

    গতকাল রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ বাংলার মানুষ যখন শারদীয়া উৎসবে মেতে আছেন, সেইসময়েই ঘটে গেল এই ভয়াবহ ঘটনা। মালবাজার এলাকায় মাল নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের জন্য নদীর ধারে উপস্থিত হয়েছিলেন বহু মানুষ। প্রতিমা বিসর্জন যখন পুরোদমে চলছে তখনই আচমকা ধেয়ে আসে হড়পা বান। প্রতিমা বিসর্জনে যাঁরা নেমেছিলেন, তাঁদের প্রায় অনেকেই স্রোতের টানে ভেসে যান। তবে মাল নদীর মাঝে একটি চর রয়েছে। আর সেই চরে উঠেই প্রাণ বাঁচান অনেকে। চরে প্রায় ২০-৩০ জন আটকে ছিলেন। তাঁদের কিছুক্ষণের মধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছিল। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রশাসনিক কর্তারা। দমকল এবং পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মালের বিধায়ক বুলু চিকবড়াইকও। পাশাপাশি, নামানো হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। গতকাল রাত পর্যন্ত সাতজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এরপর আজ সকালেই তা বেড়ে হয় ৮। আজও নদীর বিভিন্ন অংশে চালানো হবে তল্লাশি। পুলিশ সূত্রে খবর, ৭০টি প্রতিমা বিসর্জনের জন্য আনা হয়েছিল। তার মধ্যে ২৫ থেকে ৩০টি প্রতিমা বিসর্জনের পরই বিপর্যয় ঘটে। 

    আরও পড়ুন: কর্মক্ষেত্রে নারীদের আরও স্বাধীনতা ও সমানাধিকারের পক্ষে সওয়াল মোহন ভাগবতের

    কেন আচমকা হড়পা বান?

    জানা গিয়েছে, সিকিমের দিকে বৃষ্টির জেরে এমনটা হয়েছে পাহাড়ি নদীতে। যে কারণে, অতর্কিতে হড়পা বান চলে আসে। আবার স্থানীয় সূত্রে দাবি, নদীখাতে আগেই বোল্ডার ফেলা হয়েছিল, যাতে যেদিকে বিসর্জন হবে, সেদিকে বেশি জল যায়। আর এর জেরেও নদীর জল অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল বলে আশঙ্কা করেছেন স্থানীয়রা। মালের তৃণমূল বিধায়ক বুলুচিক বরাইক জানিয়েছেন, বিসর্জনের সময় নদীর কাছাকাছি এলাকায় প্রায় হাজার খানেক লোক উপস্থিত ছিলেন, যে সময় হড়পা বানে অনেকে ভেসে যান।

    প্রধানমন্ত্রীর শোকবার্তা…

    প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে মালবাজারের ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে ট্যুইট করা হয়েছে। বলা হয়েছে, পুজোর মাঝে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মর্মাহত। যাঁরা তাঁদের কাছের মানুষদের হারালেন তাঁদের প্রতি সমবেদনা জানাই।

    শোকজ্ঞাপন শুভেন্দু অধিকারীর…

    ট্যুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি লিখেছেন, “জলপাইগুড়ি থেকে দুঃখজনক খবর এসেছে। দুর্গাপুজোর বিসর্জনের সময় মাল নদীতে হড়পা বানে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। আমি রাজ্যের মুখ্যসচিব ও জলপাইগুড়ির জেলাশাসককে অনুরোধ করছি, উদ্ধারকার্যকে দ্রুত আরও জোরদার করতে এবং দুর্দশাগ্রস্তদের সাহায্য করতে।”

  • Nobel Prize: পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন ফ্রান্স, আমেরিকা, অস্ট্রিয়ার তিন বিজ্ঞানী

    Nobel Prize: পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন ফ্রান্স, আমেরিকা, অস্ট্রিয়ার তিন বিজ্ঞানী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন তিন দেশের তিন বিজ্ঞনী— ফ্রান্সের অ্যালেন অ্যাসপেক্ট,আমেরিকার জন এফ ক্লজার এবং অস্ট্রিয়ার অ্যান্টন জিলিঙ্গার। মঙ্গলবার রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস এই পুরস্কার ঘোষণা করেছে। এই তিন বিজ্ঞানীর পরীক্ষাগুলি কোয়ান্টাম তথ্যের উপর ভিত্তি করে নতুন প্রযুক্তির পথ তৈরি করেছে। কোয়ান্টাম মেকানিক্স’ নিয়ে কাজের জন্য এই তিন বিজ্ঞানীকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। 

    ২০২১ সালেও পদার্থ বিজ্ঞানে  তিনজন বিজ্ঞানী, সিউকুরো মানেবে, ক্লাউস হাসেলম্যান এবং জর্জিও প্যারিসি নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। প্রকৃতির জটিল শক্তি বোঝার জন্য কাজ করছিলেন তাঁরা। গতবারের মতো এবারও এই সম্মান পেলেন তিনজন। এবারের নোবেলজয়ী তিন বিজ্ঞানীর মধ্যে ক্লজার বরিষ্ঠতম। তাঁর বয়স ৮০।  জিলিঙ্গার এবং অ্যাসপেক্টের বয়স যথাক্রমে ৭৭ এবং ৭৫ বছর। এই তিনজনের মধ্যেই পুরস্কারের অর্থমূল্য এক কোটি সুইডিশ ক্রোনর ভাগ করে দেওয়া হবে। এঁদের মধ্যে অ্যাসপেক্ট বর্তমানে ইউনিভার্সিটি প্যারিস-স্যাকলে এবং প্যালেইসুর ইকোলে পলিটেকনিকের অধ্যাপক, জন এফ ক্লাজার তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান আমেরিকার জে এফ ক্লাজার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের গবেষক হিসেবে কর্মরত এবং জিলিঙ্গার ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।

    আরও পড়ুন: চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন সুইডেনের বিজ্ঞানী সভান্তে পাবো

    কোয়ান্টাম ফিজিক্স (Quantam Physics) বিশেষত ফোটন কণার উপর এই তিনজনের যুগান্তকারী আবিষ্কারের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁদের নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে, বলে জানিয়েছে নোবেল কমিটি। পুরস্কারদাতাদের পক্ষে আরও জানানো হয়েছে, কোয়ান্টাম ফিজিক্সের যেটুকু প্রয়োগ ছিল, তিনজনের গবেষণা সেই ক্ষেত্রকে আরও বিস্তার করল। এবার কোয়ান্টাম কম্পিউটার, কোয়ান্টাম নেটওয়ার্ক ও সর্বোপরি কোয়ান্টাম কমিউনিকেশন নিয়েও কাজ করা যাবে।  চলতি সপ্তাহে,  বুধবার রসায়নে নোবেল এবং বৃহস্পতিবার সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হবে। নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা করা হবে শুক্রবার এবং অর্থনীতি পুরস্কার ঘোষণা করা হবে ১০ ইঅক্টোবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

LinkedIn
Share