Blog

  • Amit Shah: নবরাত্রির নবম দিনে বৈষ্ণোদেবী দর্শনে অমিত শাহ! জম্মু-কাশ্মীরে একাধিক কর্মসূচী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    Amit Shah: নবরাত্রির নবম দিনে বৈষ্ণোদেবী দর্শনে অমিত শাহ! জম্মু-কাশ্মীরে একাধিক কর্মসূচী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবরাত্রির নবম দিনে বৈষ্ণোদেবীর মন্দিরে পুজো দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার সকালে কাটরার বৈষ্ণোদেবী দর্শনে যান তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম মাতা বৈষ্ণোদেবীর দর্শনে গেলেন তিনি। এদিন মন্দিরে প্রার্থনা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। করেন মাতার আরতিও। তাঁর সফর ঘিরে কাটরা ও রাজৌরিি বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিন সফরে তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং, জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা।

    তিন দিনের জন্য জম্মু ও কাশ্মীর সফরে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah in Jammu and Kashmir) ৷ সোমবার রাতে তিনি শ্রীনগরে পৌঁছান ৷ এখানে তাঁর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে ৷ অমিত শাহের সফরের জন্যই নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে ৷ সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিমান বন্দরে স্বাগত জানান বিজেপির জম্মু ও কাশ্মীরের সভাপতি রবিন্দর রানা, বিজেপি নেতা কবিন্দর গুপ্ত ও অন্য সিনিয়র নেতারা ৷ বিমান বন্দর থেকে সোজা রাজভবনে চলে যান তিনি ৷ সেখানে জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ বৈঠক করেন বলে খবর।

    আরও পড়ুন: লক্ষ্য সন্ত্রাসমুক্ত উপত্যকা, কাশ্মীরের নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করার নির্দেশ অমিত শাহের

    আজও তাঁর রাজভবনে বৈঠক রয়েছে। উপত্যকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন তিনি। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গর্ভনর মনোজ সিনহা, সেনা বাহিনী, আধাসামরিক বাহিনী, রাজ্য পুলিশ, বেসামরিক প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা। এই দিনই শ্রীনগরের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার কথা রয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। তবে তার আগে বারামুল্লায় একটি জনসভায় ভাষণ দেবেন  অমিত শাহ। রাজৌরির কাছেও তাঁর একটি সভা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • JK DG Prisons Murder: জম্মু-কাশ্মীরে রহস্যজনক মৃত্যু পুলিশ আধিকারিকের! হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত

    JK DG Prisons Murder: জম্মু-কাশ্মীরে রহস্যজনক মৃত্যু পুলিশ আধিকারিকের! হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মরশুমে ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ। উদ্ধার করা হয় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল অফ প্রিজন (JK DG Prisons  Murder) হেমন্ত কুমার লোহিয়ার (Hemant Kumar Lohia) গলার নলি কাটা মৃতদেহ। আর এই ঘটনার কিছু ঘণ্টার মধ্যেই মূল অভিযু্ক্ত, নিহতের পরিচারক ইয়াসির-কে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার গভীর রাতে জম্মু শহরের কাছে উদাইওয়ালায় বাড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই আধিকারিককে খুন করা হয়েছে বলেই অনুমান করেছিল কাশ্মীর পুলিশ। তাই এই রহস্যজনক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে উপত্যকা পুলিশ। অন্যদিকে, পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার (Lashkar-e-Taiba) শাখা সংগঠন পিপলস অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট ফোর্স (PAFF) এই খুনের দায় স্বীকার করেছে।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই খুনের পর থেকেই খোঁজ মিলছিল না নিহতের পরিচারক ইয়াসির-এর। পলাতক ওই ব্যক্তিই এই খুনে মূল অভিযুক্ত বলে ধারণা করেছিল পুলিশ। আর এই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, রাতভর তল্লাশির পর ইয়াসিরকে জম্মুর কানহাচক এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। খুনের পর ওই এলাকাতেই গা ঢাকা দিয়েছিল রামবান জেলার বাসিন্দা ওই যুবক। অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা। পুলিশের দাবি, ডায়েরির লেখা দেখা মনে হচ্ছে অবসাদে ভুগছিলেন ডিজি -এর ওই পরিচারক। সেই কারণেই খুন করেছে অথবা এর পেছনে কোনও জঙ্গি যোগ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন: চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন সুইডেনের বিজ্ঞানী সভান্তে পাবো

    ডিজিপি দিলবাগ সিং জানিয়েছিলেন, অভিযুক্ত হেমন্তর লোহিয়ার দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কারণ মৃতের গায়ে পোড়ার চিহ্ন দেখা গিয়েছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে লোহিয়ার শরীরে তেলও পাওয়া গিয়েছে। প্রথমে লোহিয়াকে খুন করা হয়। তাঁর গলা কাটার জন্য একটি কাচের বোতল ব্যবহার করা হয়েছিল। পরে মৃতদেহে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।

    এরই মধ্যে এই হত্যার দায় স্বীকার করে, লস্করের শাখা সংগঠন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের স্পেশাল স্কোয়াড হামলা চালিয়েছে লোহিয়ার উপরে। তিনি যে ওই জঙ্গী গোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের ‘টার্গেট’ ছিলেন, সেকথাও জানিয়েছে তারা। সেই সঙ্গে মনে করিয়ে দিয়েছে, ‘সফরে আসার আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এটা একটা ছোট্ট উপহার’।

    প্রসঙ্গত, হেমন্ত লোহিয়ার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। ১৯৫২ ব্যাচের আইপিএস অফিসার তিনি। চলতি বছরের অগাস্ট মাসেই উপত্যকার ডিরেক্টর জেনারেল অফ প্রিজন পদে নিযুক্ত হন। সোমবার জম্মুর উদয়ওয়ালায় একটি বাড়ি থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

  • Indonesia Football Match Stampede: ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল ম্যাচ ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড! পদপিষ্ট হয়ে মৃত কমপক্ষে ১৭৪

    Indonesia Football Match Stampede: ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল ম্যাচ ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড! পদপিষ্ট হয়ে মৃত কমপক্ষে ১৭৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফুটবল ম্যাচ (Football Match) নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড! এই ম্যাচকে ঘিরেই ঘটে গেল এক ভয়াবহ ঘটনা। ঘটনাটি ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia)। জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে জাভা প্রদেশের মালাং শহরের কাঞ্জুরুহান স্টেডিয়ামে ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ লিগ বিআরআই লিগা ওয়ানের (BRI Liga 1) একটি ফুটবল ম্যাচ চলাকালীন রীতিমতো দাঙ্গা বেঁধে যায়। শুধু তাই নয়, এই দাঙ্গার ফলে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারালেন কমপক্ষে ১৭৪ জন, আহত হয়েছে ১৮০-এর বেশি। প্রথমে মৃতের সংখ্যা ছিল প্রায় ১২৭, কিন্তু তা বেড়ে হয়েছে ১৭৪। এই সংখ্যা আরও বাড়তে বলে জানা গিয়েছে। নিহতদের মধ্যে পুলিশ ও শিশু রয়েছে।

    কিন্তু কী এমন ঘটেছিল, যার জন্য এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে গেল? সূত্রের খবর অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটে ইন্দোনেশিয়ার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব আরেমা ও পার্সিবায়া সুরাবায়ার (Arema FC and Persebaya Surabaya) ফুটবল ম্যাচে। এই ম্যাচে হেরে যায় আরেমা। আর হারের পরই ক্ষিপ্ত সমর্থকরা মাঠে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তখনই ঝামেলা শুরু হয়। পার্সিবায়ার ফুটবলাররা বিপদ বুঝে মাঠ ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যায়। কিন্তু আরেমার বেশ কয়েক জন ফুটবলার মাঠ ছাড়তে পারেননি। ফলে তাঁদের উপরেও হামলা হয়। এরপরেই পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ার পরেই আরও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।

    অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়া পুলিশ জানিয়েছে, আরেমা ম্যাচে হারার পরই গ্যালারি থেকে সমর্থকরা ঝামেলা শুরু করে দেয়। মুহূর্তে তুমুল বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় এই ম্যাচ ঘিরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে টিয়ার গ্যাস ছুঁড়তে হয়। এতে বহু দর্শক আতঙ্কে স্টেডিয়াম ছাড়ার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু করে দেয়। আর এর ফলেই পদপিষ্ট হয়ে এবং শ্বাসরুদ্ধ হয়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয় ও এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যায়। ইতিমধ্যেই এই হিংসার কারণ খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে ইন্দোনেশিয়া সরকার। আপাতত আগামী এক সপ্তাহ ইন্দোনেশিয়া ফুটবল লিগ বন্ধ থাকবে বলেই খবর।

  • Durga Puja 2022: জানুন মা দুর্গা ও তাঁর সন্তানদের বাহনগুলির পৌরাণিক কাহিনী

    Durga Puja 2022: জানুন মা দুর্গা ও তাঁর সন্তানদের বাহনগুলির পৌরাণিক কাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরৎকালে প্রতিবছর মা দুর্গা বাপের বাড়িতে আসেন  সন্তানদের সাথে নিয়ে।  মা দুর্গা এবং তাঁর সন্তানদের সাথে আসে তাঁদের বাহনগুলিও। গণেশের সঙ্গে ইঁদুর আসে, মা সরস্বতীর সঙ্গে আসে হাঁস, মা  লক্ষ্মীর সঙ্গে প্যাঁচা আসে, কার্তিকের সঙ্গে ময়ূর আসে এবং স্বয়ং মা দুর্গার সঙ্গে আসে সিংহ। বাহন গুলির পৌরাণিক কাহিনী তে যাওয়ার আগে বলা দরকার ভারতীয় উপমহাদেশে প্রকৃতি পুজোর রীতি বৈদিক আমল থেকেই। মাটি, অগ্নি, বায়ু নদী,গাছ সবকিছুই পূজিত হয় এই সভ্যতায়। নদী পুজোর এই মন্ত্রটি কমবেশি সকলেই শুনেছি।  

    গঙ্গে চ যমুনে চৈব
    গোদাবরী সরস্বতী।
    নর্মদে সিন্ধু কাবেরী জলস্মিনসন্নিদ্ধিম কুরু।।

    ভারতীয় সভ্যতায় গাছপালা, নদনদীর সঙ্গে সঙ্গে জীবজন্তুও মানুষের দৈনন্দিন কাজে উপকারী বলেই গণ্য করা হয়। এই ধারণা থেকেই হয়তো বাহন হিসেবে তারাও পূজিত হয়। এবার আসা যাক পৌরাণিক কাহিনী গুলিতে ।

    মা দুর্গার বাহন কেন সিংহ?

    পুরাণ অনুযায়ী-  দেবী পার্বতী হাজার বছর ধরে তপস্যা করেছিলেন শিবকে তাঁর স্বামী হিসাবে পাওয়ার জন্য। তপস্যার কারণে দেবী অন্ধকারে মিশে যান। বিয়ের পর পার্বতীকে মহাদেব কালী বলে সম্বোধন করলে দেবী তৎক্ষণাৎ কৈলাস ত্যাগ করে ফের তপস্যায় মগ্ন হয়ে যান। তপস্যা রত দেবীকে শিকার করার ইচ্ছায় এক ক্ষুধার্ত সিংহ তার দিকে আসতে শুরু করে। কিন্তু দেবীকে দেখে সেখানেই চুপ করে বসে পড়ে।

    সেই সময় বসে বসে সিংহ চিন্তা করতে থাকে, দেবী তপস্যা থেকে যখন উঠবেন, তখন তিনি তাঁদের জন্য খাবার বানাবেন। এরমধ্যে বহু বছর কেটে যায়,কিন্তু সিংহ তার নিজের জায়গা থেকে নড়ে না। এদিকে দেবী পার্বতীর তপস্যা সম্পন্ন হওয়ার পর মহাদেব আবির্ভূত হলে পার্বতীকে গৌরবর্ণ বলে বর্ণনা করেন। যে সিংহটি দেবীকে শিকার করতে এসেছিল , তাকেই বাহন হিসেবে গ্রহণ করেন দেবী। কারণ দেবীর জন্য অনেক বছর অপেক্ষা করেছিল সে। সিংহের এই কর্মকাণ্ডের জন্য দেবী পার্বতীর বাহনকে সিংহ বলে মনে করা হয়। আবার কালিকাপুরাণ অনুযায়ী শ্রীহরি দেবীকে বহন করছেন। এই হরি শব্দের এক অর্থ সিংহ। আবার শ্রীশ্রীচণ্ডীতে উল্লেখ আছে গিরিরাজ হিমালয় দেবীকে সিংহ দান করেন। শিবপুরাণ বলে, ব্রহ্মা দুর্গাকে বাহনরূপে সিংহ দান করেছেন। সিংহ হলো শৌর্য , পরাক্রম, শক্তির প্রতীক। অসুর দের ধ্বংসকারী মাতার বাহন তাই সিংহ । এটাই পন্ডিত মহলের মতামত।

    গণেশের বাহন ইঁদুর কেন? 

    স্বর্গে দেবলোকের সভায় গান গেয়ে সকলের মনোরঞ্জন করতেন ক্রঞ্চ নামে এক গন্ধর্ব। এক দিন বামদেব নামে এক ঋষি এসে উপস্থিত হন সেই সভায়। তিনি গান করতে থাকেন। সেই গান শুনে নিজের হাসি চাপতে পারেননি গন্ধর্ব ক্রঞ্চ। সেই হাসি দেখে ফেলেন বামদেব। সঙ্গে সঙ্গে ক্রোধান্বিত হয়ে পড়েন বামদেব। তিনি  ক্রঞ্চকে অভিশাপ দেন। অভিশাপের ফলে ক্রঞ্চ ইঁদুর হয়ে যান। ঋষির অভিশাপ দেন কোনো দিন আর গান গাইতে পারবেন না ক্রঞ্চ।  ক্রঞ্চ নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান। কিন্তু তাতে বিশেষ কোনো ফল হয় না। তিনি ইঁদুর হয়ে যান এবং মর্ত্যে নেমে আসেন। তবে মুনি বলেছিলেন কোনো দিন যদি গণেশ তাঁকে বাহন করেন তা হলে মুক্তি মিলবে। মর্ত্যলোকে তিনি যেখানে নেমেছিলেন , কাছেই ছিল পরাশর মুনির কুটির। ইঁদুর ক্রঞ্চ সেখানেই নিজের খাদ্যের সন্ধানে যেতে  শুরু করেন। এ দিকে ইঁদুরের উৎপাতে অতিষ্ট হয়ে ওঠে কুটিরবাসীরা।
     এক দিন গণেশ সেই মুনির কুটিরে পৌঁছোন। জানতে পারেন ইঁদুরের কুকীর্তির কথা।  তখন তাকে ধরতে উদ্যত হন গণেশ। অবশেষে ধরেও ফেলেন। কিন্তু ক্রঞ্চ নিজের পরিচয় দিয়ে সব কথা  বলেন গণেশকে। বলেন, বামদেব বলেছিলেন যে স্বয়ং গণপতি যদি তাকে তাঁর বাহন করেন, তবেই ঘুচবে তাঁর দুঃখ। এ কথা শুনে ইঁদুরকেই তিনি নিজের বাহন করে নেন। 

    মা লক্ষ্মীর বাহন পেঁচা কেন?

    পৌরাণিক গল্প অনুযায়ী যখন দেব-দেবীরা প্রাণীজগতের সৃষ্টি করেন, তখন তাঁরা পৃথিবী ভ্রমণে আসেন। সেই সময় পশু ও পাখিরা  দেবতাদের ধন্যবাদ জানায় তাদের প্রাণী হিসেবে তৈরি করার জন্য। পশু ও পাখিরা বলতে থাকে, আপনারা যেহেতু আমাদের তৈরি করেছেন তাই আপনাদের বাহন হয়ে আমরা পৃথিবীতে থাকব। সেই সময় দেবতারা নিজেদের বাহন পছন্দ করে নেন। যখন দেবী লক্ষ্মীর নিজের বাহন বেছে নেওয়ার সময় আসে, তখন তিনি বলেন আমি যেহেতু রাতে পৃথিবীতে আসি তাই রাতে যে প্রাণী দেখতে পায় সেই হবে আমার বাহন। এখান থেকে পেঁচা হয়ে ওঠে দেবী লক্ষ্মীর বাহন। লক্ষ্মী মাতা ধানের দেবী, ইঁদুর ধান খেয়ে ফেলে। তাই এই ধারণা থেকেও লক্ষ্মীর বাহন পেঁচা হতে পারে।

    কার্তিকের বাহন ময়ূর কেন?

    তারকাসুর কে বধ করেছিলেন দেবসেনাপতি কার্তিক। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী মৃত্যুর আগে তারকাসুর কার্তিকের বাহন হিসেবে থাকতে চেয়েছিল। ময়ূরের ছদ্মবেশে কার্তিককে আক্রমণও করেছিল যুদ্ধ ক্ষেত্রে তারকাসুর। কথিত আছে ঐ ময়ূরটিই হলো কার্তিকের বাহন।

    সরস্বতীর বাহন হাঁস কেন?

    হাঁস নাকি জল, স্থল , অন্তরীক্ষে থাকতে পারে। জ্ঞান ও বিদ্যার দেবীকেও এই তিনটি জায়গায় থাকতে হয় জ্ঞান ও বিদ্যা দানের জন্য। তাই বাহন হিসেবে হাঁসকেই বেছে নিয়েছেন মা সরস্বতী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Durga Puja 2022: “কলা বৌ” আসলে কার বৌ জানেন কি ?

    Durga Puja 2022: “কলা বৌ” আসলে কার বৌ জানেন কি ?

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: মা দুর্গার বড় ছেলের পাশেই তিনি দাঁড়িয়ে থাকেন। লাল পাড়ের শাড়ি পরিয়ে নারী মূর্তির আদল দেওয়া হয় তাঁকে। আসলে তিনি যে বৃক্ষ। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন “কলা বৌ” (Kola Bou)। ঢাক ঢোল বাজিয়ে,  ধূপ-ধুনো জ্বালিয়ে “কলা বৌ” স্নান করানো হয়, তারপর তা’  স্থাপন করা হয় ঠিক গণেশের পাশে। বধূ বেশে, ঘোমটা টেনে গণেশের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা “কলা বৌ” কি তবে গণেশের বৌ ? এ প্রশ্ন অনেকেরই মনে বাসা বাঁধে। আবার কেউ কেউ এই ধারণাটাই সঠিক মনে করেন। 

    পুরাণ অনুযায়ী, গণেশের দুটো বৌ। একজন ঋদ্ধি ও অপরজন সিদ্ধি। তাঁরা দুজনেই ব্রহ্মার মানস কন্যা। শিক্ষার উদ্দেশ্যে এই দুজন গণেশের কাছে যান এবং কোনো কারণবশতঃ গণেশ রূষ্ট হয়ে তাঁদের দুজন কে অভিশাপ দিতে উদ্যত হলে ব্রহ্মা আবির্ভূত হন এবং গণেশের সাথেই দুজনের বিবাহ দেন।

    “কলা বৌ” তো তাহলে গণেশের বৌ নয়।  তবে “কলা বৌ” আসলে কার বৌ ? এককথায় উত্তর হবে – শিব জায়া অর্থাৎ শিবের বৌ। “কলা বৌ” আসলে মা দুর্গার বৃক্ষ রূপ। এ প্রসঙ্গে জানা দরকার যে – “কলা বৌ” প্রচলিত নাম হলেও এটি ন’টি উদ্ভিদের সমষ্টি বা সমাহার। তাই “কলা বৌ” এর আসল নাম “নবপত্রিকা”। এই ন’টি উদ্ভিদের বর্ণনা রয়েছে এই শ্লোকটিতে –   

    রম্ভা কচ্চী হরিদ্রাচ জয়ন্তী বিল্ব দাড়িমৌ।
    অশোক মানকশ্চৈব ধান্যঞ্চ নবপত্রিকা।

    রম্ভা (কলা ), কচ্চী (কচু ), হরিদ্রা (হলুদ), জয়ন্তী, বিল্ব (বেল), দাড়িম্ব( ডালিম), অশোক, মানকচু ও ধান গাছ‌। নবপত্রিকায়, একটি পাতা যুক্ত কলাগাছের সাথে অপর আটটি উদ্ভিদ কে শ্বেত অপরাজিতা লতা দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়। কলা গাছটিকে কে নারী দেহের গঠন দেওয়ার জন্য বেল দুটিকে স্তনযুগলের মতো রাখা হয়।

    অতিপ্রাচীন কাল থেকেই প্রকৃতি পূজা ভারতীয় উপমহাদেশের রীতি। অগ্নি,জল, বায়ু, মাটি, পাহাড়, গাছ, নদী সবকিছু তেই ঈশ্বর বিরাজমান – এ ধারণা থেকেই “নবপত্রিকা” বা “কলা বৌ” এর পুজো‌। উদ্ভিদ প্রকৃতির সজীব অংশ। খাদ্য শস্য, নিঃশ্বাসের বাতাস, জীবনদায়ী ঔষধ এসব কিছু তেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে উদ্ভিদ। ভক্তদের কল্যাণকারী মা দুর্গা তাই  অধিষ্ঠাত্রী দেবী নবপত্রিকার এই উদ্ভিদ গুলোতে। তিনি সর্বত্র বিরাজমান।নবপত্রিকা মা দুর্গার বৃক্ষ রূপ হিসেবে পরিচিত।

    মহাসপ্তমীর সকালে  “নবপত্রিকা” এর পুজোতে মন্ত্র পাঠ করা হয় – 
    “নবপত্রিকাবাসিন্যৈ নবদুর্গায়ৈ নমঃ”  যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায় – নবপত্রিকা বাসিনী নবদুর্গা ।
    এবার একনজরে দেখে নেওয়া যাক নবপত্রিকার ন’টি গাছ দেবী দুর্গার কোন কোন রূপের প্রতীক।

    ১. রম্ভা (কলা গাছ): কলা গাছ এর অধিষ্টাত্রী দেবী ব্রহ্মাণী;
    ২.কচু : কচু গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী কালিকা;
    ৩.হরিদ্রা (হলুদ গাছ): হরিদ্রা গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী উমা;
    ৪.জয়ন্তী: জয়ন্তী গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী কার্তিকী;
    ৫.বিল্ব (বেল গাছ): বিল্ব গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী শিবা;
    ৬.দাড়িম্ব (ডালিম/বেদানা গাছ): দাড়িম্ব গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী রক্তদন্তিকা;
    ৭.অশোক: অশোক গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী শোকরহিতা;
    ৮.মানকচু: মানকচু গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী চামুণ্ডা;
    ৯.ধান: ধান গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী লক্ষ্মী।

    হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন ধর্মীয় রীতি নীতি বিষয়ে বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন ১৯৬১ সালের ” আকাডেমিক পুরস্কার ” প্রাপক গবেষক ডঃ শশিভূষণ দাশগুপ্ত। নবপত্রিকা পুজো বিষয়ে তিনি তাঁর ” ভারতের শক্তি সাধনা ও শাক্ত সাহিত্য গ্রন্থের ” ২৫-২৬ পাতায় লিখছেন – ” বলাবাহুল্য এসবই হলো পৌরাণিক দুর্গা দেবীর সাথে এই শস্য দেবীকে ( পড়ুন “নবপত্রিকা”) সর্বাংশে মিলিয়ে নেওয়ার এক সচেতন চেষ্টা। এই শস্য দেবী, মাতা পৃথিবীরই রূপভেদ। সুতরাং আমাদের জ্ঞাতে অজ্ঞাতে দুর্গা পুজোর ভিতরে এখনো সেই আদিমাতা পৃথিবীর পুজো , অনেক খানি মিশিয়া আছে “।

    নবপত্রিকার সাথে দুর্গা পুজোর সম্পর্ক নিয়ে পন্ডিত মহলে নানা মত রয়েছে। মার্কন্ডেয় পুরাণে নবপত্রিকার কোনো বিধান নেই, আবার কালিকা পুরাণে সপ্তমীতে “পত্রিকা” পুজোর উল্লেখ পাওয়া যায়। কৃত্তিবাসী রামায়ণে , রামচন্দ্র কর্তৃক নবপত্রিকা পুজোর কথা আছে। “বাঁধিল পত্রিকা নববৃক্ষের বিলাস”। পন্ডিত দের মত অনুযায়ী, সম্ভবত শবর সম্প্রদায় কোনও একসময়ে ন’টি উদ্ভিদের মাধ্যমে মা দুর্গার পুজো করতেন। সেই থেকেই হয়তো “নবপত্রিকা” বা “কলা বৌ” পুজো হয়ে আসছে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kanpur Road Accidents: ভয়াবহ জোড়া গাড়ি দুর্ঘটনা উত্তরপ্রদেশে, নিহত কমপক্ষে ৩১, শোকপ্রকাশ মোদি – যোগীর

    Kanpur Road Accidents: ভয়াবহ জোড়া গাড়ি দুর্ঘটনা উত্তরপ্রদেশে, নিহত কমপক্ষে ৩১, শোকপ্রকাশ মোদি – যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুব কম সময়ের ব্যবধানে উত্তর প্রদেশে (Uttarpradesh) ঘটে গেল একের পর এক পথ দুর্ঘটনা। দুটি ঘটনাই শনিবার মধ্যরাতে কানপুরে ঘটেছে। জোড়া দুর্ঘটনায় কানপুরে নিহত কমপক্ষে ৩১ (Kanpur Accidents)। গুরুতর আহত ২৭ জন। প্রথমের দুর্ঘটনায় পুণ্যার্থী বোঝাই একটি গাড়ি পুকুরে উল্টে যায়। আর সেই দুর্ঘটনাস্থল থেকে ভয়াবহ ছবি সামনে এসেছে। আর দ্বিতীয় দুর্ঘটনায় দুরন্ত গতিতে ছুটে আসা একটি লরি সজোরে একটি টেম্পোয় ধাক্কা মারে। প্রথমের ভয়ঙ্কর গাড়ি দুর্ঘটনায় কমপক্ষে মৃত ২৬ জন পুণ্যার্থী। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই মহিলা এবং শিশু রয়েছে বলে খবর। আর দ্বিতীয় ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫ জন।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ট্রাক্টর-ট্রলিতে মোট ৫০ জন পুণ্যার্থী ছিলেন। তাঁরা উন্নাও-এর চন্দ্রিকা দেবী মন্দির থেকে ফিরছিলেন। সেই সময় কানপুরের ঘটামপুর এলাকায় ঘটে যায় দুর্ঘটনাটি। রাস্তায় পিছলে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারায় গাড়িটি এবং পড়ে যায় পাশের পুকুরে। শনিবার সন্ধ্যায় এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনাটি ঘটে। এরপরেই প্রায় ১১ জন শিশু-সহ ২৪ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়। রবিবার সেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ২৬। গুরুতর আহত হয়েছেন ২০ জন। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা এবং শিশু বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও বহু গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রাই তড়িঘড়ি উদ্ধারকার্যে নামেন। তার পর খবর দেওয়া হয় পুলিশে। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে অনেক দেরিতে এসে পৌঁছয় বলে অভিযোগ। ফলে স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

    এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রদধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তিনি ঘোষণা করেছেন যে, মৃতদের পরিবারকে মাথাপিছু ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও আহতদের মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।

    আবার অন্য দিকে, দ্বিতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটে এর কয়েক ঘণ্টা পরেই। আহিরওয়ান উড়ালপুলের কাছে দুরন্ত গতিতে ছুটে আসা একটি লরি সজোরে একটি টেম্পোকে ধাক্কা মারে। এতে ৫ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন ১০ জন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    একের পর এক দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। মৃতদের পরিবার-পরিজনকে সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। নিজের সরকারের সিনিয়র মন্ত্রী রাকেশ সাচান এবং অজিত পালকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন ও পরিস্থিতি পরিদর্শন করে সবকরকম সাহায্যের নির্দেশ দিয়েছেন। এর পাশাপাশি যাতায়াতের জন্য ট্র্যাক্টর ট্রলির ব্যবহার বন্ধ করতেও সকলকে অনুরোধ করেছেন যোগী। তিনি জানিয়েছেন, শুধুমাত্র কৃষিকাজেই ট্র্যাক্টর ট্রলির ব্যবহার করা উচিত।

  • National emblem: নয়া সংসদ ভবনের উপরে স্থাপিত জাতীয় প্রতীক কোনও আইন লঙ্ঘন করেনি! জানুন কী বলল আদালত?

    National emblem: নয়া সংসদ ভবনের উপরে স্থাপিত জাতীয় প্রতীক কোনও আইন লঙ্ঘন করেনি! জানুন কী বলল আদালত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেন্ট্রাল ভিস্তার জাতীয় প্রতীক সংশোধন করার আর্জি খারিজ করল শীর্ষ আদালত।  সেন্ট্রাল ভিস্তা ভবনের উপরে স্থাপিত জাতীয় প্রতীকের নয়া স্থাপত্যে যে সিংহগুলি রয়েছে, সেগুলি “হিংস্র এবং আগ্রাসী” বলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইনজীবী আলদানিশ রাইন এবং রমেশ কুমার মিশ্র। কিন্তু শুক্রবার এ প্রসঙ্গে অ্যাপেক্স কোর্টে বিচারপতি এমআর শাহ এবং কৃষ্ণ মূর্তির এক বেঞ্চ বলেছে, “ব্যক্তিবিশেষের মনের উপর নির্ভর করছে প্রতীকটি তাঁর মনে কী ছাপ ফেলবে। প্রতীকটি আইন লঙ্ঘন করেছে, তা বলা যাবে না।” 

    আরও পড়ুন: মানবিক মোদি! রাত ১০টায় সভায় এসে চাইলেন ক্ষমা, অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য ছাড়লেন রাস্তা

    গত ১২ জুলাই নতুন অশোক স্তম্ভের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ব্রোঞ্জের তৈরি এই অশোক স্তম্ভ বসানো ঘিরেই শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক তরজা । উদ্বোধনের পর থেকেই প্রধানমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুলছেন বিরোধীরা ৷ বলা হয়েছিল, দেশের জাতীয় প্রতীক অশোক স্তম্ভের সিংহগুলি অনেক শান্ত। তবে নতুন সংসদ ভবনের উপর থাকা অশোক স্তম্ভের সিংহগুলি হিংস্র। এই আবহে মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। এদিন সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এই অভিমত ব্যক্ত করে আদালত।

    আরও পড়ুন: দেশজুড়ে ফাইভ জি পরিষেবার উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর, জেনে নিন এই বিষয়ে কিছু তথ্য

    প্রসঙ্গত, নতুন এই জাতীয় প্রতীক সম্পর্কে সব অভিযোগ আগেই উড়িয়ে দিয়েছিল কেন্দ্র। বলা হয়েছিল, জাতীয় প্রতীক নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেই এই নয়া স্থাপত্যটি তৈরি করা হয়েছে। আয়তনে নয়া স্থাপত্যটি অনেক বড় বলেই, সিংহগুলিকে আগ্রাসী বলে মনে হচ্ছে বলে জানিয়েছিল সরকার। সংসদ ভবনের মাথার উপর বসতে চলা নয়া অশোক স্তম্ভটি গড়েছেন সুনীল দেওয়া ও রোমিল মোসেস। তাঁদের দাবি, মূল স্তম্ভ থেকে কোথাও আলাদা নয় নয়া স্তম্ভের আকৃতি। এদিন সেই দাবিকেই মান্যতা দিল আদালত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Durga Puja: এই রাজাই বাংলাতে প্রথম দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন! জানেন তিনি কে?

    Durga Puja: এই রাজাই বাংলাতে প্রথম দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন! জানেন তিনি কে?

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: প্রতিবছর ধুমধাম করে সাড়ম্বরে পালিত হয় দুর্গাপুজো (Durga Puja)। শরৎ কালের শিউলি ফুলের গন্ধ বাতাসে বার্তা ভাসিয়ে দেয় মা আসছে। পুজো মানে নতুন পোশাক, পুজো মানে নাড়কেলের তৈরী নাড়ু, প্রতিমা দর্শন, অষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি, খাওয়াদাওয়া, বন্ধুদের সাথে আড্ডা। বছরের বাকি ৩৬১টা দিন বাঙালিরা অপেক্ষা করে থাকে পুজোর চারটে দিনের জন্য। দেশ বিদেশের আপামর বাঙালির এই প্রধান উৎসব আজ স্থান পেয়েছে ইউনেস্কোর হেরিটেজ লিস্টে (Unesco)। তবে জানেন কি বাংলাতে এই দুর্গাপুজো কে শুরু করেছিলেন ?

    পুরাণ মতে, বলিপুরের  রাজা সুরথ বাংলাতে প্রথম দুর্গাপুজোর শুরু করেন। বলিপুর মানে বর্তমানে বীরভূম জেলার বোলপুর শহরের কথাই বলা হয়েছে , পুরাণে। এই বলিপুর বা বোলপুর ছিল রাজা সুরথের রাজধানী‌‌। মার্কন্ডেয় পুরাণ অনুযায়ী, মর্ত্যলোকের এই  রাজা মর্ত্যবাসীদের মধ্যে দেবী মাহাত্ম্য তথা দেবীর লীলা  প্রচার করেছিলেন। তিনিই ছিলেন বাংলার সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর প্রথম উদ্যোক্তা এবং প্রথম সংগঠক। এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক, কোন পরিস্থিতিতে, কেন রাজা সুরথ দুর্গা পুজো শুরু করেন? এবং কোথায় শুরু করেন ? 

    দেবী মাহাত্ম্যে এবং মার্কন্ডেয় পুরাণে রাজা সুরথ কে চিত্রগুপ্ত বংশীয় রাজা অর্থাৎ চিত্রগুপ্তের বংশধর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি তাঁর রাজত্ব, সম্পত্তি সবকিছুই হারিয়েছিলেন। দাস দাসী, আত্মীয় স্বজন, তাঁর পোষ্য জন্তু জানোয়ারদের কাছেও তিনি মর্যাদা হারিয়েছিলেন বলে জানা যায়। এরা কেউ তাঁর কথা শুনতো না। অসহায় রাজা মনের দুঃখে রাজ্য ছাড়েন। যদুবংশীয় এই রাজা বৈরাগী হয়েছিলেন। রাজ্য ছাড়ার পর তাঁর সাথে সাক্ষাৎ হয় এক বণিকের । ওই বণিকও ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন, একেবারে দেউলিয়া ছিলেন তিনি। বণিকের নাম ছিল সমাধি বৈশ্য। তাঁর নিজের পরিবার, আত্মীয় স্বজনের প্রতারণার জন্যই তিনি দেউলিয়া হয়েছিলেন বলে পুরাণে জানা যায়। একদিকে এক ভাগ্যহীন রাজা অন্যদিকে এক ভাগ্যহীন বণিক। দুজনের সাক্ষাৎ যেন দৈব নির্ধারিত ছিল। তাঁদের সাথে যোগাযোগ হয় মেধস মুনির। এই মেধস মুনির আশ্রম অবশ্য প্রকৃত পক্ষে কোথায়, সেটা নিয়ে বিভিন্ন পন্ডিতের বিভিন্ন মত রয়েছে।

    আরও পড়ুন: মহা ষষ্ঠীতে পূজিতা হন দেবী কাত্যায়নী! জানেন ঋষি কাত্যায়ন কন্যার ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ হয়ে ওঠার কাহিনী?

    একটি মত অনুযায়ী, মেধস মুনির আশ্রম বর্তমান বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার করলডাঙা পাহাড়ে অবস্থিত। বাংলাদেশের হিন্দুদের পবিত্র তীর্থস্থান হলো এই পাহাড়ের উপর অবস্থিত মেধস মুনির আশ্রম । প্রতিবছর দুর্গাপুজো তে ভক্তদের ভিড়ে ঠাসা থাকে এই আশ্রম। শিব মন্দির, চন্ডী মন্দির সমেত অনেক গুলি মন্দির রয়েছে এখানে। প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সৈন্যরা এই আশ্রম কে ভেঙে দেয়। পরবর্তীকালে এই আশ্রম পুনঃ প্রতিষ্ঠা করা হয়। বাংলাদেশে হিন্দুদের অন্যতম বড়ো এই তীর্থস্থান থেকেই বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজো শুরু হয়েছিল বলে স্থানীয়দের বিশ্বাস। অপর একটি মত অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুর শহরের কাছে গড় জঙ্গল নামক স্থানে ছিল মেধস মুনির আশ্রম‌। আশ্রমের অবস্থান নিয়ে পন্ডিতদের মধ্যে দ্বিমত আছে তবে এই মেধস মুনির আশ্রমেই যে দুর্গা পুজো প্রথম শুরু হয়েছিল এতে পন্ডিত থেকে ঐতিহাসিক সকলেই একমত।

    আরও পড়ুন: মহা পঞ্চমীর মাহাত্ম্য: জানুন তারকাসুর বধ ও স্কন্দমাতার আখ্যান

    রাজা সুরথ এবং বণিক সমাধি বৈশ্য দুজনে মেধস মুনির শরণাপন্ন হয়ে নিজেদের ভাগ্য বিপর্যয়ের কথা মুনিকে শোনাতে থাকেন। মেধস মুনি তাঁদের দেবী মাহাত্ম্য শোনান। মহিষাসুরমর্দিনীর স্তব করে শোনান। মুনি পরামর্শ দেন, একমাত্র দুর্গতিনাশিনী মা দুর্গার আরাধনা এবং পুজো করলেই তাঁদের ভাগ্য ফিরবে। মুনির পরামর্শ মতো রাজা সুরথ ও বণিক সমাধি বৈশ্য মাটির প্রতিমা নির্মাণ করে ওই আশ্রমেই দুর্গাপুজো করেন। কথিত আছে মাতৃ আরাধনার পর রাজা সুরথ তাঁর রাজত্ব পুনরায় ফেরত পেয়েছিলেন, পরিবার পরিজনের কাছে তাঁর মর্যাদা পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অপরদিকে বণিক সমাধি বৈশ্যও একই ভাবে সৌভাগ্যের অধিকারী হয়ে, হারানো সমস্ত কিছু ফেরত পেয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে বলা দরকার মেধস মুনির আশ্রমে এই পুজো বসন্ত কালে সংঘটিত হয়েছিল। শরৎকালের দুর্গাপুজো শ্রী রামচন্দ্রের অকাল বোধনের কারণে হয়।

  • Durga Puja 2022: ঘট ছাড়া কোনও পুজো হয়না, জানেন কী পুজোতে ‘ঘট ‘ অপরিহার্য কেন ?

    Durga Puja 2022: ঘট ছাড়া কোনও পুজো হয়না, জানেন কী পুজোতে ‘ঘট ‘ অপরিহার্য কেন ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যেকোনও পুজোতে ঘট অপরিহার্য। ঘট ছাড়া কোনো পুজো হয় না। ঘট বিসর্জন হলেই দেবতার বিসর্জন হয়ে গিয়েছে বলে মনে করা হয়। ঘট এতো গুরুত্বপূর্ণ কেন? সমস্ত ধরনের পুজো, যে দেবতার উদ্দেশ্যে পুজো, সবটাই ধারণ করে থাকে ঘট। বলা হয় ঘটই হলো আমাদের দেহের প্রতিরূপ। দেহকে তাই দেহ ঘট বলা হয়ে থাকে। ঘটের বিভিন্ন অংশের খুঁটিনাটি বিশ্লেষণের আগে , জেনে নেওয়া যাক ঘট এর প্রথম ব্যবহার সম্পর্কে প্রচলিত এক পৌরাণিক গল্প। সমুদ্র মন্থনের কথা কমবেশি সকলেই জানি আমরা। ক্ষীরসাগরে সমুদ্রমন্থনের প্রক্রিয়াটি বেশ দীর্ঘ সময় ধরে চলেছিল৷ এক্ষেত্রে মন্দর পর্বত মন্থনদণ্ড হিসাবে এবং  নাগরাজ বাসুকী মন্থনের দড়ি হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল৷ মণি, মাণিক্য, রত্ন সবকিছুর সাথে উঠেছিল তীব্র বিষ। যাকে হলাহল বলা হয়ে থাকে। এই বিষ কে রাখার জন্য একটি বড় ঘটের আকৃতির পাত্র তৈরী করেছিলেন বিশ্বকর্মা । সেই থেকেই নাকি ঘটের প্রচলন শুরু। এবার ঘটের বিশ্লেষণ করা যাক।

    পঞ্চগুড়ির দ্বারা ঘটের পিঠ তৈরি করা হয়। এই পঞ্চগুড়ির অর্থ হল ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ ও ব্যোম-এর প্রতীক । এককথায় পঞ্চ মহাভূত। মৃত্তিকা পিঠের উপরে দেওয়া হয় পঞ্চশষ্য । এগুলি হলো, মানুষের পাঁচটা বৃত্তি- কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ ও মৎসর্য্য এর প্রতীক। ঘটের ভেতরে দেওয়া হয় পঞ্চরত্ন। এগুলি চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, ত্বক ও জিহ্বা এই পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের প্রতীক। এর উপরে ঘটটি স্থাপন করা হয়।

    প্রথমেই বলা হয়েছে, ঘট কে দেহের প্রতিরূপ মানা হয়, তাই দেহ গঠনে যা যা উপাদানের প্রয়োজন হয় সবটাই ঘট’ এ রাখতে হয় প্রতীক হিসেবে। ঘটকে জল পূর্ণ করে রাখতে হয়। জল হলো এখানে  দেহরস বা রক্তের  প্রতিরূপ।
    আমাদের নজর নিশ্চয়ই এড়িয়ে যায়না যখন ঘটের উপর আমরা পঞ্চপত্র বা পাঁচটি পাতা দেখতে পাই। এই পাতা হলো মানবদেহের গ্রীবার প্রতীক।

    ঘটের শীর্ষে থাকে নারকেল। অনেকে লক্ষ্য করে থাকবেন মানবদেহের মুখের আকৃতির মতো হয় নারকেল। নারকেলেও চোখ নাকের আকৃতি থাকে। ঘটের শীর্ষে নারকেল দেওয়া হয় ” মুখমন্ডল ” এর প্রতীক হিসেবে। হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসীরা মনে করেন ঘটে স্বয়ং দেব দেবীরা অবস্থান করেন। প্রতিমার প্রতীক হিসেবে ঘট পুজো করা হয়। সাকার রূপে থাকে দেবদেবীর প্রতিমা এবং নিরাকার রূপে থাকে ঘট। অনেক বাড়িতেই প্রতিমা ছাড়া দুর্গাপুজো বা যেকোনও পুজো হয় শুধুমাত্র ঘট স্থাপনের দ্বারা।

    এবার জেনে নেওয়া যাক ঘট স্থাপনের রীতি বা আচারগুলো –

    ঘট স্থাপনে দরকার হয় মাটি, গঙ্গা মাটি হলে ভালো হয় বলে মনে করেন হিন্দু পন্ডিতরা। গঙ্গা মাটি না পেলে, পবিত্র কোন পুকুরের মাটি লাগে।

    ঘটের মধ্যে দেওয়ার জন্য দরকার পঞ্চপাতা। পাতা গুলি যেন একত্রে পাঁচটি বা সাতটি থাকে। 

    পন্ডিতদের মতে তেল ঘি এবং সিঁদুরের গুঁড়ো একত্রে মিশিয়ে দেওয়ার পরে সেই মিশ্রণের ফোঁটা লাগিয়ে দিতে হয় প্রত্যেক পাতায়। ডাবের উপর স্বস্তিক চিহ্ন আঁকতে হয়। ডাবের উপরে রাখতে হয় একটি নতুন গামছা।

    চারদিকে চারটি তীর কাঠি পুঁতে কাঠি গুলিতে বাঁধতে হয় লাল ধাগা।

  • 5G Services: দেশজুড়ে ফাইভ জি পরিষেবার উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর, জেনে নিন এই বিষয়ে কিছু তথ্য

    5G Services: দেশজুড়ে ফাইভ জি পরিষেবার উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর, জেনে নিন এই বিষয়ে কিছু তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবার সকালে দেশে ফাইভ জি (5G services) পরিষেবা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। সেই সঙ্গে দেশে চালু হয়ে গেল অত্যাধুনিক মোবাইল প্রযুক্তি পরিষেবা। মোবাইল ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে চলেছে ফাইভ জি। দিল্লিতে ‘ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস ২০২২’-এ ফাইভ জি পরিষেবার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন মোদি৷ দীপাবলির আগে কলকাতা সহ দেশের বেশ কিছু শহরে ফাইভ জি পরিষেবা মিলবে। 

    আরও পড়ুন: পুজোর আগেই খুশির খবর! ১ অক্টোবর থেকে দেশজুড়ে ৫জি পরিষেবার সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী

    Modi Launches 5G Service: ২০৪০ সালের মধ্যে ফাইভ জি প্রযুক্তি বাবদ ভারতের অর্থনীতিতে অতিরিক্ত ৫০ কোটি মার্কিন ডলার আসতে চলেছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। ফোর জি নেটওয়ার্কের থেকে এই ফাইভ জি অন্তত ১০ গুণ বেশি গতিশীল হবে বলে দাবি। সম্প্রতি ফাইভ জি স্পেকট্রাম নিলাম হয় ৷ সেই নিলামে টেলিকম সংস্থাগুলিকে ৫১ হাজার ২৩৬ মেগাহার্টজ ফাইভ জি স্পেকট্রাম বরাদ্দ করা হয়। চলতি বছর লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ দেওয়ার সময়ই প্রধানমন্ত্রী দেশে ফাইভ জি পরিষেবা চালু করার ঘোষণা করেছিলেন৷ ইতিমধ্যেই এয়ারটেল,রিলায়েন্স জিও ফাইভ জি মোবাইল প্ল্যান আনার কথা ঘোষণা করেছে ৷ জিএসএমএ রিপোর্টে, ২০৩০-এর মধ্যে এক তৃতীয়াংশেরও বেশি ৫জি সংযোগ দেশে চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কম হয়ে যাবে ২জি এবং ৩জি পরিষেবা।

    Modi Launches 5G Service: ১ অক্টোবর সকাল ১০টায় দিল্লির প্রগতি ময়দানে ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেসে এসে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১০:৪৫ মিনিটে ফাইভ জি- র উদ্বোধন করেন তিনি। তারপরেই সেখানে ৪ দিনের ষষ্ঠ মোবাইল কংগ্রেসের অনুষ্ঠান শুরু হয়। এবছরের মোবাইল কংগ্রেসের থিম হল নিউ ডিজিটাল ইউনিভার্স। দেশে ডিজিটাল প্রযুক্তির দ্রুত প্রসার এবং সেক্ষেত্রে সুযোগ নিয়ে প্রদর্শনী এবং আলোচনায় অংশ নেবেন উদ্যোগপতি, উদ্ভাবক এবং সরকারি আধিকারিকরা। ফাইভ জি প্রযুক্তির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন রিলায়েন্সের মুকেশ আম্বানি, এয়ারটেলের সুনীল মিত্তাল, ভোডাফোন-আইডিয়ার রবিন্দর টক্করের মতা দেশের তাবড় শিল্পপতিরা। 

    Modi Launches 5G Service: কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ জায়গায় তাঁরা এই ৫জি পরিষেবাকে ছড়িয়ে দিতে চান খুব কম সময়ের মধ্যেই। তার কথা ভেবেই এই লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে বলেও খবর। পরিসংখ্যান দিয়ে তাঁর আরও দাবি, অন্যান্য দেশ যেখানে ৪০-৫০ শতাংশ জায়গায় পরিষেবা দিতে বহু বছর লাগিয়েছে। সেখানে ভারত অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের ৮০ শতাংশ জায়গায় পরিষেবা দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছে।

    মুকেশ আম্বানি জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে অর্থাৎ পরবর্তী ১৮ মাসের কম সময়ে ভারতের প্রতিটি শহর এবং তালুকে ৫ জি পরিষেবা পৌঁছে দেবে জিও।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।         

LinkedIn
Share