Blog

  • ‘Langya’ Henipavirus: ফের নয়া ভাইরাস-আতঙ্ক চিনে! করোনার থেকেও বেশি প্রাণঘাতী ‘ল্যাংয়া হেনিপাভাইরাস’?

    ‘Langya’ Henipavirus: ফের নয়া ভাইরাস-আতঙ্ক চিনে! করোনার থেকেও বেশি প্রাণঘাতী ‘ল্যাংয়া হেনিপাভাইরাস’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাইরাসের সংক্রমণ এখনও আমাদের পিছু ছাড়ছে না। কোভিড-১৯ (Covid-19) এখনও পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি। অনেক রাজ্যেই করোনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। মাঙ্কি পক্সে (Monkey Pox) আক্রান্তের সংখ্যাও সারা বিশ্বে বেড়েই চলছে। এরই মধ্যে ফের নয়া প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে চিনে। এই ভাইরাসের নাম হল ল্যাংয়া হেনিপাভাইরাস (Langya henipavirus), যাকে LayV ও বলা হচ্ছে। চিনের হেনান ও শানডং প্রদেশে ৩৫ জনের শরীরে এই ল্যাংয়া হেনিপাভাইরাসের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। চিনের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা সোমবার এই ঘটনা সম্পর্কে জানিয়েছেন।

    জানা গিয়েছে, জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এই ভাইরাস দেখা গিয়েছে। মূলত মানবদেহের গলায় এই ভাইরাস আক্রমণ করে বলে জানা গিয়েছে। গুরুতর সংক্রমণের ক্ষেত্রে তিন-চতুর্থাংশ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিতে পারে এই ভাইরাসটি। তবে এখনও পর্যন্ত ল্যাংয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঘটেনি কারও। বেশিরভাগ রোগীরই উপসর্গ মৃদু। রোগীদের মধ্যে ফ্লু-এর মতো উপসর্গ দেখা দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হল যে, এখনও এই ভাইরাসকে প্রতিহত করার জন্য কোনও টিকা বের হয়নি। এমনকি এই ভাইরাসের চিকিৎসার কোনও পদ্ধতিও নেই।

    আরও পড়ুন:মাঙ্কি পক্স নিয়ে এবার সতর্কতা জারি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের

    কী এই ল্যাংয়া হেনিপাভাইরাস?

    ল্যাংয়া ভাইরাস বা LayV হল নিপা ভাইরাসেরই (Nipah Virus) আরও একটি অংশ। এই ভাইরাসও খানিকটা নিপা ভাইরাসের মতোই। হেনিপাভাইরাস বেশিরভাগই প্রাণী থেকে প্রাণীতে স্থানান্তরিত হয়। তবে সম্প্রতি এটি মানুষের মধ্যে শনাক্ত করা গিয়েছে। এই ভাইরাস সংক্রামক কি না, অর্থাৎ, এটি একজনের থেকে অন্য জনের দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন চিনা গবেষকরা। যদিও এখনও অবধি কোনও সংক্রমণই গুরুতর হয়নি।

    ল্যাংয়া ভাইরাসের লক্ষণ

    এই ভাইরাস সাধারণত জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যেই দেখা গিয়েছে। বেজিং ইনস্টিটিউট অফ মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড এপিডেমিওলজির গবেষকরা বলছেন, এই ভাইরাসের ক্ষেত্রে মূল উপসর্গ জ্বর। তাছাড়া কাশি, ক্লান্তি, পেশীতে ব্যথা, বমির মতো উপসর্গও লক্ষ্য করা গিয়েছে আক্রান্তদের মধ্যে।

    আরও পড়ুন: মাঙ্কি পক্সের পর এবারে চোখ রাঙাচ্ছে টোম্যাটো ফ্লু! কী এর উপসর্গ, জানুন…

    এর আগে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ল্যাংয়া ভাইরাসটি ২০১৯ সালে মানুষের মধ্যে প্রথম দেখা গিয়েছিল। তবে এই ভাইরাসে সর্বাধিক আক্রান্তের সংখ্যা এই বছর লক্ষ্য করা গিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, নিপা ভাইরাস করোনার থেকেও বেশি মারাত্মক। কারণ আক্রান্তদের তিন-চতুর্থাংশ প্রাণ হারান। তাই এই ল্যাংয়া ভাইরাসও নিপাহ ভাইরাসের পরিবারের সদস্য হওয়ায় এটিও প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। চিনা গবেষকরা জানান, এখনও পর্যন্ত প্রায় ২% ছাগল এবং ৫% কুকুর এবং অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর দেহেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ মিলেছে।

  • Anubrata Mondal: ফের তলব এড়ালেন অনুব্রত, এবার কোন পথে হাঁটবে সিবিআই? 

    Anubrata Mondal: ফের তলব এড়ালেন অনুব্রত, এবার কোন পথে হাঁটবে সিবিআই? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সিবিআই তলব (CBI Summon) এড়ালেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। এখনও পর্যন্ত গরুপাচার মামলায় ১০ বার কেষ্টকে তলব করেছে সিবিআই। এর মধ্যে মাত্র একবার তিনি নিজাম প্যালেসে গিয়ে হাজিরা দিয়েছেন। এবার নিজের আইনজীবীকে দিয়ে চিঠি পাঠিয়ে সিবিআইকে নিজাম প্যালেজে উপস্থিত না হওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি। ফের ঢাল করলেন শারীরিক অসুস্থতাকেই। চিঠির সঙ্গে চিকিৎসা সম্পর্কিত নথিও জমা দিয়েছেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: বুধবার ফের সিবিআইয়ের তলব, এবার কী করবেন কেষ্ট?

    সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, অনুব্রত চিঠিতে জানিয়েছেন তিনি অসুস্থ এবং বেড রেস্টে রয়েছেন। প্রমাণস্বরূপ তিনি, বোলপুরের চিকিৎসকের এবং এসএসকেএমের প্রেসক্রিপশন পেশ করেছেন। এখানেই প্রশ্ন উঠছে যে, সিবিআই হাজিরা এড়াতে নিজের প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে জোর করেই কি এই ‘বেড রেস্ট’- লিখিয়ে নিয়েছেন কেষ্ট? প্রশ্ন যে অমূলক নয়, তা কেষ্টর বাড়িতে যাওয়া চিকিৎসকের দাবি থেকেই প্রকট। 

    গতকাল অনুব্রত সম্পর্কে বিস্ফোরক দাবি করেছেন, বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী। একটি সংবাদমাধ্যমে ওই চিকিৎসক দাবি করেন, বেড রেস্ট লিখে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন খোদ কেষ্ট মণ্ডলই। তৃণমূলের এই নেতার কথাতেই তিনি ১৪ দিনের বেড রেস্টের কথা লিখে দেন। চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারীর জানান, বাড়িতে গেলে ১৪ দিনের বেড রেস্ট লিখে দিতে বলেন অনুব্রত মণ্ডল।

    এপ্রসঙ্গে, অনুব্রতকে প্রভাবশালী উল্লেখ করে চন্দ্রনাথ জানান, তাঁকে ওই জেলায় থাকতে হবে। এর থেকেই স্পষ্ট, বীরভূমে কতটা প্রভাব রয়েছে এই তৃণমূল নেতার। জানান, তৃণমূল জেলা সভাপতি বলেছিলেন, তাই ফেলতে পারেননি, সাদা কাগজে অ্যাডভাইস লিখে দিয়েছেন।

    ওই চিকিৎসকের আরও দাবি, সাদা কাগজে লিখে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার। আর এখানেই দানা বেঁধেছে আরেক বিতর্ক। জানা গিয়েছে, যখন সুপার এই নির্দেশ দিয়েছিলেন, তখন তিনি ছুটিতে ছিলেন। প্রশ্ন উঠছে ছুটিতে থাকাকালীন কী কোনও সুপার কী এই রকম নির্দেশ দিতে পারেন! যেখানে এই মুহূর্তে হাসপাতালে অ্যাক্টিং সুপার রয়েছেন।

    এদিকে, কেষ্ট বারবার শারীরিক অসুস্থতার অজুহাতে হাজিরা এড়ানোয় তাহলে কি ফের তলব করা হবে অনুব্রতকে? নাকি আদালতের দ্বারস্থ হবে সিবিআই? নাকি বাড়ি গিয়ে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন গোয়েন্দারা? সিবিআইয়ের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকেই এখন নজর সকলের।

     

     

     

  • Mamata-Modi Delhi Meet: দিল্লি গিয়ে সেটিং কি হল, দিদিকে কী বললেন মোদি?

    Mamata-Modi Delhi Meet: দিল্লি গিয়ে সেটিং কি হল, দিদিকে কী বললেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ তিনদিনের দিল্লি সফর সেরে ফিরে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata)। দিল্লি যাওয়ার পর থেকেই কলকাতায় সিপিএম-কংগ্রেস বলতে শুরু করে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেটিং করতে গিয়েছেন মমতা। ইডি-সিবিআইয়ের (ED-CBI) তৎপরতায় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC scam) এখন উচ্চগ্রামে চলছে। ৫১ কোটি নগদ উদ্ধার হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বান্ধবীর ঘর থেকে। গত ১১ বছরে তোলাবাজি, সিন্ডিকেটবাজি করে যে সমস্ত তৃণমূল (TMC) নেতারা কোটি কোটি টাকা রোজগার করেছেন, তাঁরাও চাইছিলেন দিদি যেন মোদির (Modi) সঙ্গে সেটিং করে ফিরে আসেন। তা হলে অন্তত ইডি-সিবিআইয়ের হাত থেকে তাঁরা বাঁচবেন। কিন্তু সেটিং কি হল?  প্রধানমন্ত্রী কি বলেছেন মমতাকে?

    দিল্লির খবরওয়ালাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, সেটিং তো দূরের কথা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবার মমতাকে বিশেষ পাত্তা দেননি। প্রধানমন্ত্রীর হাবভাবও তেমন ভাল লাগেনি মুখ্যমন্ত্রীর। তাই বৈঠক শেষে দিদির মন ফুরফুরে ছিল না। বরং দিল্লি থেকে চিন্তা নিয়েই কলকাতা ফিরে এসেছেন তিনি।

    সূত্রের খবর, দিল্লি পৌঁছেই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে একান্ত বৈঠকে বসেছিলেন মমতা। মিনিট কুড়ির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে রিসেপশন পর্যন্ত সঙ্গী ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রেসিডেন্ট কমিশনার এবং এক সাংবাদিক। অতীতে মোদির সঙ্গে বৈঠক থেকে বেরিয়ে মমতাকে যেমন উৎফুল্ল দেখায়, এ বার তেমন ছিল না। অনেকেই মনে করছেন, বৈঠকে রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে সরকারিভাবে বলা হলেও আসলে ইডি-সিবিআই যেন ব্যানার্জী পরিবারে হাত না দেয়, সেই আর্জিই জানাতে গিয়েছিলেন মমতা। তাঁর যুক্তি ছিল, কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে তিনি কংগ্রেসকে কোণঠাসা করে দিচ্ছেন। বিজেপির সুবিধা হয় এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তাঁকে শুধু পশ্চিমবঙ্গটুকু ছেড়ে দেওয়া হোক। প্রধানমন্ত্রী মমতার কথা শুনে গিয়েছেন শুধু। কোনও আশ্বাস তো দূরের কথা সরকারের দুর্নীতি বিরোধী অবস্থানে যে কোনও শিথিলতা দেখাবে না, তাও ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন।

    নীতি আয়োগের বৈঠকে হাজির মমতা, কিছু না বলেই ধরলেন কলকাতার উড়ান

    পরের দিন বিকালে ছিল ‘আজাদি কি অমৃত মহোৎসব’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বাধীন কমিটির বৈঠক। সেই বৈঠকে মমতা থাকলেও মোদি দৃশ্যত পাত্তা দেননি মমতাকে। স্বাধীনতা ৭৫ উদযাপনের অনুষ্ঠান নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) রিপোর্ট পেশ করেন অস্থায়ী রাজ্যপাল লা গণেশন (La Ganeshan)। মমতাকে একটি শব্দ বলারও সুযোগ দেওয়া হয়নি। অনেকে জানাচ্ছেন, শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, বৈঠকে উপস্থিত অন্য বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরাও মমতার সঙ্গে খেজুরে আলাপ করেননি। বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী স্মৃতি ইরানির (Smriti Irani) সঙ্গে কিছুটা কথা বলে চলে আসেন। প্রধানমন্ত্রীর চায়ের আসরে যোগ দেননি।

    কেন্দ্রের টাকা নয়ছয়, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর

    এর পর শেষ বৈঠকটি ছিল নীতি আয়োগের (Niti Aayog) বৈঠক। সেখানেও প্রধানমন্ত্রী এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন মাত্র। অন্য মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে দু-এক কথা বললেও মমতার সঙ্গে বাক্যালাপ করেননি। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে নীতি আয়োগের বৈঠকের মাঝপথেই কলকাতার বিমান ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। সংসদের অধিবেশনের শেষ দিনে চা চক্রে তৃণমূল সাংসদ নীতি আয়োগের বৈঠকের প্রসঙ্গ পাড়তেই প্রধানমন্ত্রী তাঁকে সবার সামনেই বলেন, দিদি খুশি হয়েছেন?

    বিজেপির অন্দরের লোকেরা জানেন এটি আসলে মোদিজির মোক্ষম খোঁচা। সেটিং করতে গিয়ে যে জোর ধাক্কা খেয়েছেন তাঁর প্রমাণ কলকাতা ফিরতে না ফিরতেই অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) আগামীকাল সকাল ১১টায় তলব করেছে সিবিআই। দিল্লি থেকে অতিরিক্ত নির্দেশক অজয় ভাটনাগর এসেছেন চলতি মামলার তদন্ত করতে। আগামী কয়েক দিনেই বোঝা যাবে দিল্লির সফরে লাড্ডু মিলেছে কি না?

  • US naval ship: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র সাফল্য! এই প্রথমবার মেরামতির জন্য ভারতে মার্কিন রণতরী

    US naval ship: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র সাফল্য! এই প্রথমবার মেরামতির জন্য ভারতে মার্কিন রণতরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই প্রথমবার। মেরামতির জন্য মার্কিন রণতরী (US naval ship) ভারতের উপকূলে! অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) মেক ইন ইন্ডিয়া (Make in India) প্রকল্পের সাফল্য প্রত্যক্ষ করছে দেশ। ভারতীয় প্রযুক্তির উপর ভরসা রাখছে বিশ্ব। এই ছবিই দেখতে চেয়েছিল আপামর ভারতবাসী।

    কূটনৈতিক মহলের অভিমত, চিনের সঙ্গে সম্পর্ক যত তিক্ত হচ্ছে, ততই ভারত-মার্কিন বোঝাপড়া দৃঢ় হচ্ছে। আর তারই অঙ্গ হিসেবে এই প্রথমবার মার্কিন রণতরী ভারতের বন্দরে এসে ভিড়ল। তাও আবার মেরামত সম্পর্কিত কাজে। ইউএসএনএস চার্লস ড্রিউ (Charles Drew) নামে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি মালবাহী জাহাজ চেন্নাইয়ের কাট্টুপল্লি বন্দরে  (Kattupalli in Chennai ) এসেছে। ওখানে মেরামতির জন্য আপাতত ১১ দিন ওই জাহাজটির থাকার কথা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসের আগে দিল্লিতে গ্রেফতার আইএস জঙ্গি! আতঙ্ক রাজধানীতে

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক কর্তা জানিয়েছেন, এই প্রথম মার্কিন নৌবাহিনীর কোনও জাহাজ ভারতের বন্দরে এসে ভিড়ল। এল অ্যান্ড টি  (Larsen & Toubro’s) জাহাজ মেরামতি কারখানার সঙ্গে ওদের একটি চুক্তি হয়েছে। যার অঙ্গ হিসেবে ভারতের ওই কোম্পানি মার্কিন জাহাজের মেরামতি ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করবে বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে তিনি জানান, এই ঘটনায় ভারত-মার্কিন সম্পর্কের এক নতুন দিগন্ত খুলে গেল। বোঝাই যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের জাহাজ মেরামতের প্রযুক্তির উপর ভরসা করে বড় বড় দেশগুলিও। একমাত্র এদেশেই সুলভ মূল্যে অত্যাধুনিক নৌ প্রযুক্তিতে মেরামতির কাজ হয়। এখানে বিভিন্ন প্রকারের জাহাজ মেরামতির জন্য আধুনিক সরঞ্জাম ও দক্ষ কারিগরও রয়েছে।

    আরও পড়ুন: পিছিয়ে গেল চিনা জাহাজের শ্রীলঙ্কায় প্রবেশ, ভারতের অনুরোধে পাশে দাঁড়াল শ্রীলঙ্কা সরকার

    মার্কিন নৌ বাহিনীর জাহাজকে চেন্নাই বন্দরে স্বাগত জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রতিরক্ষা সচিব অজয় কুমার এবং ভাইস চিফ অ্যাডমিরাল এস এন ঘোরমাড়ে। চেন্নাইয়ের মার্কিন কনসাল জেনারেল জুডিথ রাভিন এবং সেদেশের প্রতিরক্ষা দূত রিয়ার অ্যাডমিরাল মাইকেল বেকারও উপস্থিত ছিলেন বন্দরে।

  • India-Srilanka: পিছিয়ে গেল চিনা জাহাজের শ্রীলঙ্কায় প্রবেশ, ভারতের অনুরোধে পাশে দাঁড়াল শ্রীলঙ্কা সরকার

    India-Srilanka: পিছিয়ে গেল চিনা জাহাজের শ্রীলঙ্কায় প্রবেশ, ভারতের অনুরোধে পাশে দাঁড়াল শ্রীলঙ্কা সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবেশ দেশ শ্রীলঙ্কার (Srilanka) বিপদের পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত (India)। কিন্তু এবারে শ্রীলঙ্কার জন্য ভারতকে বিপদের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কারণ চিনের একটি সামরিক জাহাজ সম্প্রতি রওনা দিয়েছে শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরের উদ্দেশ্যে। আর এই জাহাজকে নিয়েই শুরু হয়েছিল জল্পনা। ফলে এই জাহাজ প্রবেশের সময় পিছিয়ে দিল শ্রীলঙ্কার নতুন সরকার রনিল বিক্রমসিংহে। আগামী সপ্তাহেই হাম্বানটোটা বন্দরে প্রবেশের কথা ছিল এই চিনা ‘গুপ্তচর জাহাজ’ ‘ইউয়ান ওয়াং-৫’-এর। অনুমান করা হয়েছে, ভারতের ওপর নজর রাখার জন্যই এই জাহাজটিকে শ্রীলঙ্কার বন্দরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছিল। তবে শ্রীলঙ্কার নতুন সরকার ভারতের কথা ভেবেই এই জাহাজ প্রবেশে কিছুসময়ের জন্য নিষেধ করেছেন।

    জানা গিয়েছে, শ্রীলঙ্কার বিদেশ মন্ত্রক কলম্বোর চিনা দূতাবাসকে জানিয়েছে যে পরবর্তী আলোচনা না হওয়া পর্যন্ত এই জাহাজ শ্রীলঙ্কার বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে না। প্রসঙ্গত, ১২ জুলাই শ্রীলঙ্কার বিদেশ মন্ত্রক এই চিনা জাহাজ প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিল। অর্থাৎ গোটাবায়া দেশ ছাড়ার আগেই তিনি এই অনুমতি দিয়ে গিয়েছিলেন। এর ফলে যে ভারতের নিরাপত্তা, সুরক্ষায় প্রশ্ন উঠবে তা জেনেও শ্রীলঙ্কা এতে রাজি হয়েছিল। এতে ভারতের নৌবাহিনীর ওপরেও বিপদ আসতে পারে জেনেও তারা এই চিনের কথা মেনে নিয়েছিল। এর ফলেই পরে ভারত শ্রীলঙ্কার এই পদক্ষেপের বিরোধিা করে ও পরে কলম্বো চিনকে জাহাজের প্রবেশের তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

    আরও পড়ুন: ভারতের আর্থিক অবস্থা শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানের মতো হবে না, দৃঢ়বিশ্বাসী রঘুরাম রাজন

    শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া মুখপাত্র কর্নেল নলিন হেরাথ (Colonel Nalin Herath) জানিয়েছেন, চীন শ্রীলঙ্কাকে জানিয়েছে যে তারা ভারত মহাসাগরে নজরদারি ও নৌচলাচলের জন্য জাহাজটি পাঠাচ্ছে। এর ফলেই শ্রীলঙ্কার বন্দরে চিনের যুদ্ধজাহাজ আসা নিয়ে ভারত উদ্বেগে রয়েছে। আর ভারত মহাসাগরে ঢুকে শ্রীলঙ্কার কাছাকাছি এলেই চিনা জাহাজ ভারতীয় নৌসেনাদের ওপর নজরদারি চালাতে পারবে বলেই ভারত এই অবস্থায় চিন্তায় রয়েছেন।

    এর আগেও ২০১৪ সালে দু’টি চিনা ডুবোজাহাজের হাম্বানটোটা বন্দরে প্রবেশ করায় আপত্তি করা হয়েছিল নয়াদিল্লির তরফে। সেই সময়ও ভারতীয় নৌ-সেনা সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। কিন্তু এবারে আবারও জাহাজ প্রবেশের কথা উঠলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলম্বো। আর ভারত যেখানে শ্রীলঙ্কার বিপদে পাশে ছিল তেমনি এবার ভারতের অনুরোধে সাড়া দিয়েই শ্রীলঙ্কার এমন পদক্ষেপ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ।

    আরও পড়ুন: রনিল বিক্রমাসিংহেকে ‘চিঠি’ দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন নরেন্দ্র মোদি

     

  • Maharashtra Cabinet: সম্প্রসারিত হল শিন্ডে মন্ত্রিসভা, কে কে হলেন মন্ত্রী? 

    Maharashtra Cabinet: সম্প্রসারিত হল শিন্ডে মন্ত্রিসভা, কে কে হলেন মন্ত্রী? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন চল্লিশ দিন আগে। মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রী এই দুজনই চালাচ্ছিলেন সরকার। শেষমেশ মঙ্গলবার সম্প্রসারিত হল একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) মন্ত্রিসভার। এদিন ১৮ জন মন্ত্রীকে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে শিন্ডের মন্ত্রিসভায়। সব মিলিয়ে মন্ত্রীর সংখ্যা দাঁড়াল ২০। এদিন রাজভবনে তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল বিএস কোশিয়ারি (BS Koshyari )।

    মহাবিকাশ আঘাড়ি জোট থেকে বেরিয়ে বিজেপি সঙ্গ ধরতে চেয়েছিলেন শিবসেনা বিধায়ক একনাথ শিন্ডে। তা নিয়ে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে শিন্ডের। তার পরেই শুরু হয় একপ্রস্ত নাটক। অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে প্রথমে গুজরাট ও পরে আসামে উড়ে যান শিন্ডে। চেষ্টা করেও সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবেন না বুঝে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন উদ্ধব। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন শিন্ডে। ‘কিং মেকার’ বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ হন উপমুখ্যমন্ত্রী। তার পর থেকে গত চল্লিশ দিন ধরে সরকার চালাচ্ছিলেন তাঁরাই। এদিন রাজভবনে শপথ নেন নয়া মন্ত্রীরা। এদিন যাঁরা শিন্ডে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছেন, তাঁরা হলেন বিজেপির চন্দ্রকান্ত পাতিল, গিরিশ মহাজন, সুরেশ খাড়ে, রাধাকৃষ্ণ ভিখে পাটিল, অতুল সাভে, মঙ্গলপ্রভাত লোধা, রবীন্দ্র চৌহান, সুধীর মুঙ্গানতিওয়ার ও বিজয় কুমার গাভিট।

    আরও পড়ুন :শিবসেনা কার? উদ্ধব, শিন্ডেকে তথ্যপ্রমাণ জমা দেওয়ার নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

    এঁদের মধ্যে দেবেন্দ্র ফড়নবিশের মন্ত্রিসভায় ছিলেন একমাত্র চন্দ্রকান্ত পাতিল। আর শিবসেনার তরফে যাঁরা শপথ নিয়েছেন, তাঁরা হলেন, দাদা ভুসে, শম্ভুরাজে দেশাই, সন্দীপন ভুমরে, উদয় সামন্ত, তানাজি সাওয়ন্ত, দীপক কেসারকর, আবদুল সাত্তার, গুলবো পাতিল এবং সঞ্জয় রাঠৌর। এঁদের মধ্যে উদয় সামন্ত, গুলবো পাতিল, দাদা ভুসে, সন্দীপন ভুমরে, শম্ভুরাজে দেশাই উদ্ধব ঠাকরে মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। এদিন নতুন মন্ত্রীদের শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইটবার্তায় তিনি লেখেন, মহারাষ্ট্র সরকারের মন্ত্রিসভায় যাঁরা শপথ নিয়েছেন, তাঁদের সাফল্য কামনা করি। এই টিমের প্রশাসনিক দক্ষতা রয়েছে, রয়েছে সুশাসন দেওয়ার ইচ্ছাও। রাজ্যবাসীর সেবা করার জন্য তাঁদের শুভেচ্ছা জানাই।

  • SSC  Scam: হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্যের! এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ার নথি খতিয়ে দেখার অনুমতি মামলাকারীকে

    SSC Scam: হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্যের! এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ার নথি খতিয়ে দেখার অনুমতি মামলাকারীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  এসএসসি শিক্ষক নিয়োগে (SSC recruitment) নয়া ‘দুর্নীতির’ অভিযোগ নিয়ে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। ২০১৪ সাল থেকে এসএসসি-র মাধ্যমে যে ৪২ হাজার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছিল রাজ্য সরকার তার একটি মেধাতালিকা (merit list) প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর করা মামলা গ্রহণ করেছে আদালত। এই মর্মে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের তরফে একটি অর্ডার প্রকাশ করা হয়। যেখানে আবেদনকারীর আর্জি মেনে নিয়ে আদালত জানিয়েছে, যে ৪২ হাজার ৮০০ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল তাঁদের কীসের ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়েছে সেই নথি প্রকাশ করুক রাজ্য সরকার। প্রকাশিত সেই নথি পরীক্ষা করতে পারবে মামলাকারী। এমনই নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।

    মামলার ভারে ইতিমধ্যেই বিপর্যস্ত এসএসসি। আলাদা বোর্ড হলেও একেবারে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ (Primary Teachers Recruitment) থেকে দুর্নীতির অভিযোগের শুরু। এরপর উচ্চপ্রাথমিক, নবম-দশম ছাড়াও গ্রুপ সি এবং গ্রু ডি নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে কারচুপি। মেধাতালিকায় প্রথমের দিকে নাম থাকলেও তাঁকে নিয়োগ না করে সুযোগ পেয়েছেন অনেক পিছনে থাকা চাকরি প্রার্থী। এই সংক্রান্ত একের পর এক অভিযোগ দায়ের হয় হাইকোর্টে। হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। নিয়োগে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তদন্তে নামে ইডি।

    আরও পড়ুন: এসএসসিকাণ্ডে এবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ডেরায় সিবিআই

    সিবিআই (CBI) তদন্ত এবং নিয়োগ দুর্নীতি সামনে আসার পর থেকে হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikary) কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর। এছাড়াও সিদ্দিক গাজি নামে এক অঙ্ক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছে হাইকোর্ট। অন্যদিকে ২০১৪ সালের প্রাথমিকের টেট (Primary TET) পরীক্ষায় অনিয়ম করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এবার মেধাতালিকা প্রকাশের নথি সামনে এলে তার থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার দুর্নীতি আরও স্পষ্ট হবে বলে মনে করেন আবেদনকারী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। এর ফলে রাজ্য সরকারের মুখোশ খুলে যাবে বলে মনে করেন এই বিজেপি নেতা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India export: গম, আটার পর এবার ময়দা, সুজি রফতানিতেও জারি নিষেধাজ্ঞা  

    India export: গম, আটার পর এবার ময়দা, সুজি রফতানিতেও জারি নিষেধাজ্ঞা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গম (Wheat) ও আটা (atta) রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল আগেই। এবার নিষেধাজ্ঞা জারি হল ময়দা, সুজি এবং ভূষিযুক্ত আটার রফতানিতেও। সোমবার এই মর্মে জারি হয়েছে নির্দেশিকা। আদেশ কার্যকর হবে ১৪ অগাস্ট থেকে। কেন্দ্র জানিয়েছে, বিজ্ঞপ্তি জারির আগে থেকে যদি কোনও জাহাজে পণ্য তোলা শুরু হয় কিংবা কোনও চালান শুল্কবিভাগের কাছে ইতিমধ্যেই জমা দেওয়া হয়ে গিয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে অবশ্য নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা পণ্যগুলিকে রফতানি করতে দেওয়া হবে।

    মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক বাজারে গম ও আটা রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারত (India)। গম রফতানির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য গঠন করা হয়েছে একটি আন্তঃমন্ত্রক কমিটি। এখন ভারত থেকে যে গম ও আটা রফতানি করা হয়, তা করা হয় এই কমিটির সুপারিশেই। ১৪ অগাস্ট থেকে দীর্ঘায়িত হবে এই তালিকায়ই। গম ও আটার পাশাপাশি এতে জুড়বে সুজি, ময়দা ও ভূষিযুক্ত আটাও। সরকারের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র আন্তঃমন্ত্রক কমিটি অনুমোদন দিলেই হবে না, তাদের অনুমোদনের পর আবার দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই এবং কলকাতা থেকে রফতানি পরিদর্শন পরিষদের দেওয়া গুণমানের শংসাপত্রও লাগবে।

    আরও পড়ুন : এদেশ থেকে কেনা গম বেচতে পারবে না আমদানিকারী দেশ, শর্ত ভারতের

    তীব্র তাপপ্রবাহের জেরে এবার শস্যের উৎপাদন হয়েছে কম। তাই দেশের বাজারে গম ও আটার দাম পৌঁছেছিল রেকর্ড উচ্চতায়। তার জেরে চলতি বছরের মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারত। মাস দুয়েক পরে ওই একই কারণে আটার রফতানিতেও পরানো হয় লাগাম। গম ও আটা এই দুই পণ্যই রফতানির আগে ব্যবসায়ীদের অনুমতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিদেশি রফতানি নীতির আওতায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তখনই ব্যবসায়ীরা জানান, কেবল আটা নয়, গমজাত সব পণ্যের রফতানিই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কারণ নয়া নিয়ম কেবল আটা নাকি গমজাত সকল পণ্যের ওপরই প্রয়োজ্য, সে ব্যাপারে স্পষ্ট কোনও নির্দেশিকা ছিল না। নয়া নির্দেশিকায় সেটাই স্পষ্ট হয়ে গেল। প্রসঙ্গত, গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারির জেরে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ মুখর হয় ভারতের সমালোচনায়। সেই সময় অবশ্য ভারতের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছিল চিন (China)।

    আরও পড়ুন : গম, চিনির পর এবার চাল রফতানিও নিয়ন্ত্রিত করবে কেন্দ্র?

     

  • Untraceable Monuments: আচমকাই উধাও দেশের ২৪ টি স্মৃতিসৌধ! এমনটাই বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি

    Untraceable Monuments: আচমকাই উধাও দেশের ২৪ টি স্মৃতিসৌধ! এমনটাই বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবিশ্বাস্য! দেশের ২৪ টি স্মৃতিসৌধ আচমকাই উধাও! বর্তমানে এই সৌধগুলির কোনও খোঁজ নেই বলে জানাচ্ছে খোদ কেন্দ্র সরকার। সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে এই তথ্য জানান কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি (Union Culture Minister G Kishan Reddy)। ওই সৌধগুলির কাঠামো ও সৌধ সংলগ্ন এলাকা- কোনও কিছুরই খোঁজ নেই বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। দেশে সংরক্ষিত স্মৃতিসৌধের বিভিন্ন তথ্য দিতে গিয়ে এমনটাই বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: মন্দির থেকে নিলামঘরে! ৫০ বছর আগে চুরি যাওয়া দেবীমূর্তির খোঁজ মিলল নিউইয়র্কে

    তিনি এদিন জানিয়েছেন, স্বাধীনতার পর থেকে ১৯টি রাজ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে সুরক্ষিত সৌধগুলির সংলগ্ন জায়গা থেকে মোট ২১০ টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৯১ টি চুরি হওয়া বস্তুও উদ্ধার করা হয়েছে। আরও একজনের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, বিগত আট বছরে ৮৪৭৮টি গ্রামে ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ সার্ভে করে ২৯১৪টি গ্রাম থেকে প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করেছে। এছাড়াও এএসআই নিয়মিত ভাবে গ্রামে গ্রামে গিয়ে সার্ভে করে বিভিন্ন ধ্বংসাবশেষের সন্ধান চালায়। ASI দ্বারা সুরক্ষিত ভারতে মোট ৩৬৯৩টি ঐতিহ্যবাহী স্থান রয়েছে, যার মধ্যে ৭৪৩টি উত্তর প্রদেশেই রয়েছে। এইসবের তথ্য দিতে গিয়েই এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, দেশে নিখোঁজ স্মৃতিস্তম্ভের সংখ্যা ২৪টি।

    আরও পড়ুন: তাজমহলের বন্ধ ঘরে আছে বহু হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি? আদালতে তালা খোলার আবেদন

    তিনি আরও জানান, ৮৪৭৮টি গ্রামের মধ্যে পাজ্ঞাবে ও কর্ণাটকে সবচেয়ে বেশি সন্ধান চালানো হয়েছে এবং যথাক্রমে ১৩০ ও ৮৬০টি প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে। আবার উত্তরপ্রদেশ থেকেও ১৪৪টি মন্দির সহ ৭৪৩টি স্মৃতিসৌধের সংরক্ষণের কাজ করছে এএসআই। দেশে মোট টিকিটযুক্ত এবং টিকিটবিহীন স্মৃতিসৌধের সংখ্যা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১৯৫৮-এর অধীনে প্রাচীন স্মৃতিসৌধ এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান ও ধ্বংসাবশেষ (এএমএএসআর) আইন অনুসারে,  মোট ৩৬৯৩ টি স্মৃতিসৌধ রয়েছে, যেগুলোকে জাতীয় গুরুত্ব হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে মাত্র ১৪৩টি জায়গায় প্রবেশের জন্য টাকা নেওয়া হয়। সুতরাং স্মৃতিসৌধগুলোকে সংরক্ষণ করার জন্য কেন্দ্র থেকে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ও নেওয়া হবে তা নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন জি কিষাণ রেড্ডি। হারিয়ে যাওয়া প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ সন্ধানের প্রক্রিয়া ভবিষ্যতেও বহাল থাকবে তা জানিয়েছেনে তিনি।

     

  • Anubrata Mondal: সিবিআই অনুব্রতকে নিয়ে যেতেই একে একে মুখ খুলছেন স্থানীয়রা, কী বলছেন তাঁরা?

    Anubrata Mondal: সিবিআই অনুব্রতকে নিয়ে যেতেই একে একে মুখ খুলছেন স্থানীয়রা, কী বলছেন তাঁরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। বোলপুরে (Bolpur) অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বাড়ি ছিল বীরভূমের (Birbhum) রাজনীতির ‘নিউক্লিয়াস’। নিচুপট্টির এই বাড়ি থেকেই পরিচালিত হত জেলার যাবতীয় কর্মকাণ্ড, তা সে রাজনৈতিক হোক বা প্রশাসনিক। কিন্তু, গত ৩৬-ঘণ্টায় বিস্তর পট-পরিবর্তন ঘটে গেছে। বৃহস্পতিবার, গরুপাচার মামলায় (Cattle smuggling) অনুব্রতকে ১০ দিন সিবিআই (CBI) হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    স্থানীয়দের মতে, বীরভূমের ‘বেতাজ বাদশা’ ছিলেন কেষ্ট। তাঁর প্রভাব ও প্রতাপ এতটাই ছিল যে, স্থানীয় প্রশাসন তাঁর নির্দেশেই চলত। এমনকী, দলের শীর্ষ নেতৃত্বকেও কার্যত বুড়ো আঙুল দেখাতেন। এতটাই ছিল তাঁর দাপট। স্থানীয়রা জানালেন, তিনি (অনুব্রত) ছিলেন বীরভূমের অঘোষিত রাজা। গোটা জেলা ছিল তাঁর সাম্রাজ্য। আর সেই সাম্রাজ্য চালাতেন নিচুপট্টির এই বাড়ি থেকেই।

    আরও পড়ুন: অন্যদের গুড়-বাতাসা খাওয়াতেন! সিবিআই হেফাজতে কী খেলেন কেষ্ট?

    অনুব্রত মণ্ডল বাড়িতে থাকলে রাস্তায় গাড়ি, মোটরবাইকের ভিড় লেগে থাকত। বিভিন্ন জায়গা থেকে সাক্ষাত্‍প্রার্থীরাও আসতেন। গমগম করত গাড়ি আর মানুষের ভিড়ে। আজ বাড়ির মালিক সিবিআই হেফাজতে। রয়েছেন নিজাম প্যালেসে। ফলে, শুনশান বোলপুরের নিচুপট্টিতে কেষ্টর বাড়ির চত্বর পুরোপুরি ফাঁকা। এক প্রতিবেশী জানালেন, আজ বাড়িতে কেউ নেই। শুধু কয়েকজন পুলিশ কর্মী রয়েছেন পাহারায়।

    স্থানীয়দের দাবি, পুলিশ ও প্রশাসনের যে সকল উচ্চপদস্থ আধিকারিক বীরভূমে দীর্ঘদিন ধরে পোস্টেড ছিলেন, তাঁদের সকলের সঙ্গেই কেষ্টর সুসম্পর্ক ছিল। বা বলা ভাল, সকলেই কেষ্ট-দার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই চলতেন। তাঁদের কথায়, কে-ই বা জলে কুমীর এবং ডাঙায় বাঘের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক রাখতে চায়? ফলে, অনুব্রত যা চাইতেন, জেলায় তাই হতো। রাজনৈতিক হোক বা প্রশাসনিক— সব সিদ্ধান্ত নিতেন অনুব্রতই। 

    আরও পড়ুন: দুর্দিনে পাশে নেই দল, তাই কি কেষ্টর চোখে জল?

    স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে বীরভূমে কেষ্ট এমন একটা ‘সিস্টেম’ চালু করেছিলেন, যাতে করে ওই জেলার যাবতীয় প্রধান সিদ্ধান্তগুলি তিনিই নিতেন। মাঝে কেষ্টর একটা বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী তৈরি হয়েছিল বটে। তাঁদের দাবি, একটা গোষ্ঠী সেই সময় মুকুল রায়ের দিকে ঝুঁকেছিল। কিন্তু, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব উধাও হয়ে যায়। আর অনুব্রত হয়ে ওঠেন বীরভূম জেলার ‘শেষ কথা’।

    স্থানীয়দের মতে, দীর্ঘদিন ধরেই গরু, কয়লা ও বালি পাচারের ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে বীরভূম। তাঁরা জানান, বীরভূমের বাতাসে টাকা নাকি ভেসে বেড়ায়। আর সবকিছুর হিস্-সা আসত কেষ্টর কাছে। সিবিআইয়ের চার্জশিটে নাম থাকা আব্দুল লতিফ হল গরু হাটের মালিক। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, আব্দুল লতিফের সঙ্গে অনুব্রতর দেহরক্ষক বর্তমানে জেল হেফাজতে থাকা সায়গল হোসেনের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল।

LinkedIn
Share