Blog

  • Mohammed Shami: দশেরায় শুভেচ্ছা জানিয়ে মৌলবাদীদের আক্রমণের মুখে মহম্মদ শামি

    Mohammed Shami: দশেরায় শুভেচ্ছা জানিয়ে মৌলবাদীদের আক্রমণের মুখে মহম্মদ শামি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশেরার শুভেচ্ছা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের তারকা পেসার মহম্মদ শামি (Mohammed Shami)। আর তাতেই চরমপন্থী মুসলিমদের কুনজরে পড়লেন তিনি। পোস্টটির ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে, রাম হাতে তীর-ধনুক নিয়ে রাবণের দিকে তীর নিক্ষেপ করার নিশানা করছেন। তিনি পোস্টটিতে লেখেন, “দশেরার দিন প্রার্থনা করব আপনাদের জীবন যেন আনন্দ সম্মৃদ্ধি এবং সাফল্য ভরে ওঠে। এই কামনা করি।” মহম্মদ শামির এই পোস্টের পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র কটাক্ষের শিকার হতে হয় তাঁকে।   

     

    শামি পোস্ট করা মাত্র তাঁর পোস্টটি ভাইরাল হয় এবং মৌলবাদীরা তাঁকে কাঠগড়ায় তোলা শুরু করে। তাদের দাবি, একজন মুসলমান হয়ে কেন তিনি হিন্দুদের উৎসবের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন? শারীরিক  কারণে ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে ফেরার সুযোগ হারিয়েছিলেন এই তারকা পেসার। তিনি বিশ্বকাপের দলে জায়গা পাবেন কিনা তা নিয়েও এখনো বড় প্রশ্ন চিহ্ন রয়েছে। বিশ্বকাপের (T-20 World Cup) দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য বিধর্মীদের মতো আচরণ করছেন শামি। এমন অভিযোগও তোলা হয়েছে শামির বিরুদ্ধে। অনেকে শামির বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করার দাবিও জানিয়েছেন।  

    অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, শামি কি সত্যিই মুসলিম? প্রকৃত মুসলিম হয়ে এই কাজ কীভাবে করলেন তিনি? কেউ কেউ বলেছেন, পথ ভুলে গিয়েছেন শামি, আল্লা তাঁকে রক্ষা করুন। অধিকাংশের মতে, অত্যন্ত লজ্জাজনক কাজ করেছেন শামি। তাঁর ট্যুইটের কমেন্ট সেকশন ভরে গিয়েছে “শেম অন শামি” বার্তায়। 

    আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকেও ছিটকে গেলেন শামি, কেন জানেন?
      
    কিছুদিন আগে ঠিক এমনটাই ঘটেছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটার লিটন দাসের সঙ্গে। তিনি মহালয়া উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানান। আর তারপরেই তাঁকে মৌলবাদীদের আক্রমণের মুখে পড়তে হয়।

    তবে সেই সময়ে লিটনের মতোই এবার শামিও নিজের পাশে পেয়েছেন। শামির পাশে দাঁড়িয়ে তাকে পাল্টা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বহু ভক্ত। অনেকেই লিখেছেন, এটাই ভারতবর্ষ যেখানে সব ধর্ম একসঙ্গে অবস্থান করতে পারে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
  • Mars Orbiter Mission: ৮ বছর পর থামল ইসরোর মঙ্গলযান, কতটা প্রাপ্তি হল ভারতের মহাকাশ গবেষণায়?

    Mars Orbiter Mission: ৮ বছর পর থামল ইসরোর মঙ্গলযান, কতটা প্রাপ্তি হল ভারতের মহাকাশ গবেষণায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় আট বছর পর সফর শেষ হল ইসরোর মঙ্গলযানের (Mars Orbiter Mission)। যদিও এই মঙ্গলযানটিকে মাত্র ছয়মাসের জন্য বানানো হয়েছিল। অর্থাৎ এর আয়ু ছিল মাত্র ছয় মাস। কিন্তু সেখানে এটি প্রায় আট বছর অতিক্রম করে দিয়েছে। মহাকাশে। জানা গিয়েছে, এর পাশাপাশি, মঙ্গলযানে থাকা জ্বালানি ও ব্যাটারি ইতিমধ্যেই নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে। আর এর ফলেই মঙ্গলযান অর্থাৎ মার্স অরবিটার মিশন (Mars Orbiter Mission-MOM)-এর আট বছর আট দিনের যাত্রা শেষ হল।

    উল্লেখ্য যে, এই মিশনটি ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর শুরু হয়েছিল (Mars Orbiter Mission)। পাশাপাশি, এটি ২০১৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বরে মঙ্গলের কক্ষপথে পৌঁছে যায়। মূলত, এই মিশনের মাধ্যমে, ভারত প্রথম পদক্ষেপেই সরাসরি মঙ্গল গ্রহ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। বিশ্বের আর অন্য কোনও দেশের কাছে এই নজির নেই। মঙ্গলযান বানাতে খরচ হয়েছিল প্রায় ৭৫ মিলিয়ন ডলার। ইসরো থেকে জানানো হয়েছে, যে এই যানটিকে তৈরি করা হয়েছিল মাত্র ছয়মাস মঙ্গলের কক্ষপথে চলার প্রদক্ষিণ করার জন্য। কিন্তু বিজ্ঞানীদের যে আশা ছিল, তাকেও ছাপিয়ে ছয়মাসের পরিবর্তে টানা আট বছর কাজ করেছে গিয়েছে ভারতের এই মঙ্গলযান।

    আরও পড়ুন: পৃথিবীর কেন্দ্রে মিলল বিশাল মহাসাগর

    ইসরো (ISRO) থেকে জানানো হয়েছে, ভারতীয় মঙ্গলযানটিতে আর কোনও জ্বালানি অবশিষ্ট নেই। স্যাটেলাইটের ব্যাটারিও শেষ হয়ে গিয়েছে। যার ফলে মঙ্গলযানের ব্যাটারিকে ফের জাগিয়ে তোলা যাচ্ছে না। এমনকি ইসরোর সঙ্গে মহাকাশযানটির সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তবে, মহাকাশযানটি মঙ্গলগ্রহের কক্ষপথের মাত্র ছয় মাস ধরে চলার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। সেই জায়গায় এটি আট বছরেরও বেশি সময় ধরে তার কাজ করে গিয়েছে। তাই এটি ভারতের মহাকাশবিজ্ঞানে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে বলেই মনে করা হয়। ২০১৩ সালে মঙ্গলযানটিকে একটি পিএসএলভি-সি২৫ রকেটের মাধ্যমে মঙ্গলের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল। এটিই ছিল ভারতের প্রথম আন্তঃগ্রহের মহাকাশ অভিযান (Mars Orbiter Mission)।

    এটিকে পাঠানোর মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারতও যে অন্য গ্রহে পাড়ি দিতে পারে, তা বিশ্বের কাছে তুলে ধরার জন্যই এই মঙ্গলযান তৈরি করা হয়েছিল (Mars Orbiter Mission)। এটির সাহায্য লাল গ্রহের পৃষ্ঠদেশের বৈশিষ্ট্য, বায়ুমণ্ডল এবং এক্সোস্ফিয়ার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছে বিজ্ঞানীরা। এছাড়াও গ্রহের ধূলিকণা সম্পর্কে ধারণা করতে, মঙ্গল গ্রহে ভূমিধস অধ্যয়ন করতে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করেছে। ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা থেকে জানানো হয়েছে, মহাকাশযানটিকে আর কোনওভাবেই পুনরুদ্ধার করা যাবে না। তবে এই মার্স অরবিটার মিশনটি পুরো বিশ্বে এক ইতিহাস সৃষ্টি করেছে (Mars Orbiter Mission)। তবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই আরেকটি অভিযানের পরিকল্পনা রয়েছে ভারত। সূত্রের খবর অনুযায়ী, খুব শীঘ্রই মঙ্গলযান-২ (Mangalyaan 2) পাঠাতে চলেছে ইসরো।

     

  • Adipurush Controversy: ‘আদিপুরুষ’- এ হিন্দু সংস্কৃতি নিয়ে উপহাস করা হয়েছে, দাবি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    Adipurush Controversy: ‘আদিপুরুষ’- এ হিন্দু সংস্কৃতি নিয়ে উপহাস করা হয়েছে, দাবি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে বহু প্রতিক্ষিত বিগ বেজেট ছবি ‘আদিপুরুষ’- (Adipurush Controversy) এর প্রথম টিজার। টিজার মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই যেন বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না এই ছবির। প্রথমে ছবির ভিএফএক্স ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। এবার ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগ উঠল ‘আদিপুরুষ’- এর নির্মাতাদের বিরুদ্ধে।  

    ইতিমধ্যেই সিনেমাটি নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছে ধর্মীয় হিন্দু সংগঠনগুলি। এবার এই সিনেমার বিরুদ্ধে হিন্দু সমাজ, হিন্দু সংস্কৃতি, হিন্দু ধর্মকে উপহাস করার অভিযোগ তুলল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Viswa Hindu Parishad)। ভিএইচপি- র দাবি, ‘আদিপুরুষ’-এর টিজারে রাম, হনুমান এবং রাবণের চিত্র ঠিকভাবে উপস্থাপিত করা হয়নি। সিনেমাটি বয়কটের ডাকও দিয়েছে এই সংগঠন। এই সিনেমা কোনওভাবেই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। 

    ভিএইচপি- র সম্বল ইউনিটের প্রচার প্রধান অজয় ​​শর্মা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “ভগবান রাম, রাবণ এবং লক্ষ্মণকে যেভাবে ‘আদিপুরুষ’-এ চিত্রিত করা হয়েছে, তা হিন্দুধর্মের উপহাস। হিন্দু সমাজের মূল্যবোধকে উপহাস করা হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া হবে না। রাবণকে যেভাবে চিত্রিত করা হয়েছে এখানে, রামায়ণ এবং অন্যান্য ধর্মীয় শাস্ত্রের সঙ্গে তার কোনও মিল নেই।”

    অযোধ্যার রাম মন্দিরের তরফ থেকেও এই ছবিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি তোলা হয়েছে। মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সত্যেন্দ্র দাস বলেন, “টিজারে যেভাবে রাম ও রাবণের চরিত্রকে দেখানো হয়েছে তার সঙ্গে পৌরাণিক চরিত্রের কোনও মিল নেই। এই চরিত্রায়ন সম্পূর্ণ ভুল এবং নিন্দনীয়। এই ছবিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছি আমরা।”

    উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য এবং ব্রজেশ পাঠকও এ ছবিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পক্ষেই সওয়াল করেছেন। বিজেপি মুখপাত্র মালবিকা অবিনাশ বলেছেন, “ছবিতে যে রাবণকে আকাশে উড়তে দেখা যাচ্ছে, সে আদৌ ভারতীয়? চোখে নীল মেকআপ, চামড়ার জ্যাকেট পরা ও কী মূর্তি! কেবলমাত্র সৃষ্টির অধিকার আছে বলেই যা খুশি করা যায় না বোধহয়! ছবি বানানো কোনও অপরাধ নয়। কিন্তু যা ইচ্ছে তাই করা উচিৎ নয়।” 

    আরও পড়ুন: মুক্তি পেয়েছে ‘আদিপুরুষ’- এর টিজার, মুগ্ধ দর্শক

    সোশ্যাল মিডিয়াতেও ব্যাপকভাবে ট্রোলড হয়েছে ছবির টিজার। রাবণের বেশে সইফকে দেখে হতভম্ব অনেকেই। অনেকের মতেই, লম্বা ঘন দাড়ি, ছোট ছোট চুল আর চোখে সুরমা পরা সইফকে রাবণ তো মনে হচ্ছেই না, বরং আলাউদ্দিন খিলজি বা বাবর বেশি মনে হচ্ছে। একজন লিখেছেন, সইফকে দেখে ঔরঙ্গজেবের মতো লাগছে না? রাবণের মতো একেবারেই দেখাচ্ছে না। রাবণ উত্তর ভারতের হিন্দু ব্রাহ্মণ ছিলেন। কিন্তু সইফকে দেখে মনে হচ্ছে যেন কোনো ইসলামিক অনুপ্রবেশকারী। এই দাবিও করেছেন অনেকে। আবার কেউ লিখেছেন, রাবণের বদলে রিজওয়ান বানিয়ে দেওয়া হয়েছে সইফকে। 

    গত ২ অক্টোবর মুক্তি পেয়েছে আদিপুরুষের প্রথম টিজার। পৌরাণিক এই গল্পে রামচন্দ্রের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন দক্ষিণী সুপারস্টার প্রভাস। সীতার ভূমিকায় কৃতি স্যানন এবং রাবণের ভূমিকায় সইফ আলি খান। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা ২০২৩ সালের শুরুর দিকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
  • Enforcement Directorate: ইডি-র বড় পদক্ষেপ! কয়লা-গরু-এসএসসি তদন্তে যুক্ত আট ইডি আধিকারিকের মেয়াদ বৃদ্ধি

    Enforcement Directorate: ইডি-র বড় পদক্ষেপ! কয়লা-গরু-এসএসসি তদন্তে যুক্ত আট ইডি আধিকারিকের মেয়াদ বৃদ্ধি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় কয়েক মাস ধরেই ইডি-র (ED) কিছু আধিকারিকরা রাজ্যের অনেক দুর্নীতি কাণ্ডে তৎপরতা দেখিয়েছেন। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) আটজন উচ্চপদস্থ আধিকারিকের কার্যকালের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে (ED Extension)। বিগত কয়েক মাসে রাজ্যে ইডির দাপট ব্যাপকভাবে দেখা গিয়েছে। এই আধিকারিকরা বিশেষ করে কয়লা, গরু পাচার, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তদন্তের সঙ্গে যুক্ত আছেন। এবং তাঁদের দৌরাত্মেই দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে গতি এসেছে। ফলে ইডির এই সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল।

    ইডি-র যে সমস্ত উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কার্যকালের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হচ্ছে, মঙ্গলবার তাঁদের নামের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। তাতে মোট আটজন আধিকারিকের নাম ছিল, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর সোনিয়া নারাঙ্গ, যোগেশ শর্মা, জয়েন্ট ডিরেক্টর সুদেশ কুমার শেওরান। এই আটজনের মধ্যে অধিকাংশই কয়লা (Coal Scam), গরুপাচার (Cattle Sumggling Case) এবং এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডের (SSC recruitment Scam) তদন্তে যুক্ত বলে জানা গিয়েছে। এই আট আধিকারিকের কারও দু’বছর, কারও তিন বছর কার্যকালের মেয়াদ বাড়িয়েছে ইডি। আগামী দিনে ওই মামলাগুলির তদন্ত যে আরও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পৌঁছবে, তা এই মেয়াদ বৃদ্ধি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। এছাড়াও তদন্তে আরও বেশি গতি বাড়াতেই এই মেয়াদ বৃদ্ধি বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: জামিনের আবেদনই করলেন না পার্থ! লক্ষ্মীপুজোও কাটবে জেলে

    তাছাড়াও এই অফিসারদের অভিযানের ফলেই দুনীর্তি কাণ্ডে বিপুল পরিমাণ টাকা, সম্পত্তি উদ্ধার করা হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতাকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এছাড়াও কয়লা পাচার মামলায় অভিষেক এবং রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। ফলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁদের এই পদক্ষেপ ভবিষ্যতেও প্রয়োজন, তার ফলেও ইডির এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হয়েছে।

    এছাড়াও ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সমস্ত আধিকারিকরা তদন্তের সঙ্গে সুপারভাইজিং অফিসার হিসেবে যুক্ত। এই মুহূর্তে মামলাগুলির তদন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। ফলে প্রথম থেকে যাঁরা তদন্তের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের হাতেই বিষয়টি রেখে দেওয়াই ভালো হবে। তাই মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ওই আটজনের কার্যকাল আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

  • Partha Chatterjee: জামিনের আবেদনই করলেন না পার্থ! লক্ষ্মীপুজোও কাটবে জেলে

    Partha Chatterjee: জামিনের আবেদনই করলেন না পার্থ! লক্ষ্মীপুজোও কাটবে জেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার দশমীর দিন বিশেষ আদালতে এসএসসি মামলার (SSC Scam) শুনানি ছিল। শুনানিতে পার্থ চট্টোয়াপধ্যায় (Partha Chatterjee), শান্তিপ্রসাদ সিংহ, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় এবং অশোক কুমার সাহাকে আগামী ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এছাড়াও জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয় দুই মিডলম্যান প্রসন্নকুমার রায় ও প্রদীপ সিং-কে। প্রত্যেককেই আরও ১৪  দিন কাটাতে হবে জেলে। বাকি তিন জনই এদিন জামিনের আবেদন করলেও, জামিনের আবেদন করেননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বরং তিনি চুপ করে রইলেন। সব শুনলেন, বুঝলেন। কিন্তু জামিনের আবেদন করলেন না। যা দেখে হতবাক অনেকেই। এদিন পার্থর সঙ্গে এসএসসি মামলায় অভিযুক্ত শান্তিপ্রসাদ সিংহ, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য এবং অশোক কুমার সাহাকে ভার্চুয়ালি আদালতে তোলা হয়।

    আরও পড়ুন: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে মাস্টারমাইন্ড পার্থই, কী বলছে সিবিআই চার্জশিট?

    গত ২৩ জুলাই গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এরপর থেকে প্রতিবার শুনানিতেই নানা কারণ দেখিয়ে জামিন চেয়েছেন তিনি। চোখের জলও ফেলেছেন আদালতে। শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়েও আদালতের সহানুভূতি চেয়েছেন তিনি। আদালত বার বার জানিয়েছে তাঁর মতো ক্ষমতাশালী ব্যক্তি জেলের বাইরে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করতে পারেন। তিনি বার বার বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে, বাইরে বেরোলেও এই মামলায় তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করার ক্ষমতা তাঁর নেই। কিন্তু এদিন তা করলেন না। আদালতে উপস্থিত থাকলেও এদিন জামিনের আবেদন করলেন না।

    আরও পড়ুন: ‘‘যাঁরা বেআইনি চাকরি পেয়েছেন, পদত্যাগ করুন নইলে…’’, নির্দেশ হাইকোর্টের

    অন্য দিকে, শান্তিপ্রসাদ, কল্যাণময়, অশোকরা জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। এমনকি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশকে ডিভিশন ওয়ান বন্দি হিসাবে দেখার আর্জি করা হলে সেই মৌখিক আবেদনও খারিজ করে দেয় আদালত। সিবিআই (CBI)- এর আইনজীবী সওয়াল করে বলেন, “৩৮১ জন অযোগ্য প্রার্থীকে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। চক্রান্তে জড়িত আরও কতগুলি নাম সামনে আসা বাকি। সিবিআই প্রত্যেক অপরাধীকেই জেলবন্দি করতে চান। কারণ যাঁরা বাইরে আছেন, তাঁরা তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করতে পারেন। জামিন দিলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে।” এরপরই অভিযুক্তদের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mohan Bhagwat: হিন্দু শব্দের ওপর জোর দেব! জানেন দশেরার অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে কী বললেন মোহন ভাগবত?

    Mohan Bhagwat: হিন্দু শব্দের ওপর জোর দেব! জানেন দশেরার অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে কী বললেন মোহন ভাগবত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশেরার অনুষ্ঠানে নাগপুরে আরও একবার ‘অখণ্ড ভারত’ ও ‘হিন্দুরাষ্ট্রের’ কথা শোনা গেল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের  (Rashtriya Swayamsevak Sangh) প্রধান মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat)।   গলায়। বুধবারের অনুষ্ঠানে সংঘ প্রধান বলেন, “হিন্দু রাষ্ট্রের কথা সর্বত্র আলোচনা করা হয়। অনেকে এর সঙ্গে সহমত। অনেকে আবার এর বিরোধিতা করেন। হিন্দু শব্দটি নিয়েও অনেকের আপত্তি রয়েছে। কেউ যদি হিন্দু শব্দের পরিবর্তে সমার্থক অন্য শব্দ ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। তবে ধারণার স্বচ্ছতার জন্য আমরা আগেও যেমন হিন্দু শব্দের ওপর জোর দিয়েছি, এখনও হিন্দু শব্দের ওপর জোর দেব।”

    আরও পড়ুন: মোহন ভাগবতকে ‘রাষ্ট্রপিতা’ আখ্যা ভারতীয় ইমাম সংগঠনের

    সাম্প্রদায়িক হিংসা নিয়েও এদিন সরব হন মোহন ভাগবত। তিনি বলেন, “সাম্প্রদায়িক হিংসা ও বিদ্বেষ ছড়ানোর কাজ স্বাধীন ভারতেও পুরোদমে চলছে। এই সমস্ত মানুষরা নিজেদের স্বার্থের জন্য আমাদের কাছে আসে। এদের বিষয়ে আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে। সংঘ কোনওদিন অন্য ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ ছড়াতে বলে না।” এদিন সংঘ প্রধান সমাজে ঐক্যের কথাও তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, ভাষা ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে সবাইকে জেগে উঠতে হবে। তিনি দাবি করেন, শিশুদের শুধু চাকরি পাওয়ার জন্য নয়, বরং ভালো সংষ্কার এবং উন্নত মানুষ হওয়ার জন্য শিক্ষা গ্রহন করতে হবে। তিনি বলেন,”সাধারণ মানুষের ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে, ভালো কেরিয়ারের জন্য ইংরেজি জানা প্রয়োজন। তবে এটা একটা মিথের বাইরে কিছু নয়।”

    আরও পড়ুন: ‘‘রোজগার মানে কেবলমাত্র চাকরি নয়…’’, নাগপুরে মোহন ভাগবত

    এদিন বিশ্ব রাজনীতিতে ভারতের অবস্থান নিয়েও কথা বলেন ভাগবত। শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সঙ্কট, ইউক্রেন ও রাশিয়ার দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ টেনে আনেন সংঘ প্রধান। তিনি বলেন,”বিশ্বে আমাদের মর্যাদা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বেড়েছে। আমরা শ্রীলঙ্কাকে ব্যাপকভাবে সাহায্য করেছি। ইউক্রেন ও রাশিয়ার সংঘাতে ভারতের মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে শোনা হচ্ছে।” মোহন ভাগবত বলেছেন, করোনায় বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের সঙ্গে ভারতের অর্থনীতির ওপর প্রভাব পড়েছে। কিন্তু ভারত সেই প্রভাব বর্তমানে কাটিয়ে উঠেছে। বিশ্বের বিভিন্ন অর্থনীতিবিদরা ভবিষ্যদ্বানী করেছেন, ভারতের অর্থনীতির আরও উন্নতি হবে। ভারত বর্তমানে ব্রিটেনকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। খেলাধুলার ক্ষেত্রে ভারতের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। খেলোয়াড়রা দেশকে গর্বিত করেছে।

  • Durga Puja: নবরাত্রির পরেই যুদ্ধে যেতেন রাজারা, কেন জানেন?

    Durga Puja: নবরাত্রির পরেই যুদ্ধে যেতেন রাজারা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার একটা গোটা বছরের অপেক্ষা। সকাল সকাল তাই একটা ক্ষণও বৃথা যেতে দিইনা আমরা। স্নান সেরে এক্কেবারে মন্ডপে, বাড়ির পুজো হলে তো আবেগ আর একটু বেশী থাকে। সিঁদুর খেলা, মন্ত্রপাঠ , ঘট বিসর্জনের সাথেই আর একটি রীতি নিশ্চয়ই আমাদের দৃষ্টি এড়ায় না। ছোট্ট অনুষ্ঠানটি হলো অপরাজিতা গাছের পুজো। পুজো শেষে অপরাজিতা লতা হাতে জড়িয়ে নিই আমরা। জানেন কি বিজয়া দশমীতে এই অপরাজিতা গাছের পুজো কেন হয়? কেনই বা অপরাজিতা লতা আমরা ধাগা হিসেবে বাঁধি নিজেদের হাতে।  বিজয়লাভের সঙ্কল্প বা প্রতিজ্ঞা নিয়ে হয় অপরাজিতা পুজো। জনশ্রুতি হলো ,আগেকার দিনে নবরাত্রির পরই রাজারা যুদ্ধযাত্রা করতেন। দিনটা হত বিজয়া দশমী। যুদ্ধের জন্য এই সময়টাকেই বেছে নিতেন রাজারা। তার অবশ্য কিছু কারণ ছিল। আচার্য চাণক্য বা কৌটিল্য  তাঁর ‘অর্থশাস্ত্র’তে লিখেছেন এই সময়টাই যুদ্ধযাত্রার শ্রেষ্ঠ সময়। পণ্ডিত রঘুনন্দন তাঁর ‘তিথিতত্ত্ব’ গ্রন্থেও একই কথা বলেছে। সেখানে বলা হয়েছে, রাজা যদি দশমী তিথির  পর যুদ্ধ যাত্রার  সূচনা করেন, তাহলে তার পরাজয় কখনো হয় না। তাই যুদ্ধে অপরাজেয় থাকতে এদিন যাত্রা করতেন রাজারা।  বিজয়কে বরণ বা আলিঙ্গনের প্রত্যাশা নিয়েই করা হত অপরাজিতা পুজো। যে ধারা আজও প্রবহমান।

    সাদা অপরাজিতা গাছকে বিজয়া দশমীর পুণ্য তিথিতে পুজো করা হয়। গাছটিকে দেবীরূপে কল্পনা হয় , ঠিক যেমনটা মহাসপ্তমীতে নবপত্রিকাকে স্নান করানোর সময় কল্পনা করা হয়ে থাকে। নবপত্রিকা যেমন নব দুর্গার প্রতীক, মা দুর্গার বৃক্ষরূপ ভেবে পুজো করা হয় একই ভাবে অপরাজিতা গাছ কে দেবীর বিজয়ের প্রতীক মেনে পুজো করা হয়। অশুভ শক্তির উপর শুভ শক্তির জয়ের প্রতীক, আসুরিক সমস্ত শক্তিকে বিনাশের প্রতীক।  ফুল, বেলপাতা দিয়ে পুজো হয় অপরাজিতা গাছের। অনেকে আবার ঘটস্থাপন করেও পুজো করেন। পুজোর ফল লাভের জন্য হাতে অপরাজিতা লতা বাঁধার রীতির কথা তো আগেই বলা হয়েছে। পুজোর সময় দেবীর উদ্দেশ্যে প্রার্থনা জানানো হয়, ‘‘হে অপরাজিতা দেবী, তুমি সর্বদা আমার বিজয় যাত্রা কে অক্ষুণ্ন রাখো। শত্রু পক্ষকে  বিনাশ করার মতো পর্যাপ্ত শক্তি ও ক্ষমতা আমাকে প্রদান করো। অশুভ সমস্ত শক্তি যেন পরাভূত হয় আমার কাছে। আমাকে তুমি অপ্রতিরোধ্য করে তোলো। আমার সমস্ত আত্মীয়, পরিবার, পরিজন , মিত্রদের  মঙ্গল করো । শত্রু পক্ষকে ধ্বংস করে বিজয় লাভের জন্য আমি তোমাকে দক্ষিণ হাতে  ধারণ করছি। তুমি শত্রু নাশ করে নানা সমৃদ্ধির সাথে আমাকে বিজয় দান কর। আমার জীবন যেন সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য, সমৃদ্ধি তে পরিপূর্ণ হয়। রামচন্দ্র যেমন অত্যাচারী  রাবণের উপর বিজয় লাভ করেছিলেন, আমিও যেন সেইরূপ জয় লাভ করতে পারি”। এমনিতেই দশমী তিথির মাহাত্ম্য অনেক বেশী। এই তিথিতেই রাবণ বধ, আবার এই তিথিতেই মহিষাসুর বধ, মহাভারতে এই তিথিতেই পান্ডবরা অজ্ঞাত বাস শেষে শমী বৃক্ষের কোটর থেকে তাঁদের লুকিয়ে রেখে যাওয়া অস্ত্র বের করেন। দশমীতে অস্ত্রপূজনও হয় তাই। আবার এই তিথিতেই কুবের অযোধ্যায় স্বর্ণবৃষ্টি করেছিলেন বলেই পৌরাণিক মত রয়েছে। বিজয়, সমৃদ্ধির এই পুণ্য তিথিতে মাতৃ আরাধনা করেই যুদ্ধ যাত্রার রীতি ছিল প্রাচীন ভারতীয় রাজাদের মধ্যে।

  • Durga Puja: দশমীতে কৈলাসে গিয়ে উমা আসার বার্তা দেয় কে? জানুন নীলকন্ঠ পাখির গল্প

    Durga Puja: দশমীতে কৈলাসে গিয়ে উমা আসার বার্তা দেয় কে? জানুন নীলকন্ঠ পাখির গল্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যখন মোবাইল ফোন ছিল না, হোয়াটসঅ্যাপ ছিল না, ডাকঘরের পিওন ছিল না তখন বার্তা পাঠানোর উপায় কি ছিল জানেন? রূপকথার গল্পে রাজকুমারী তার প্রেমিককে চিঠি লিখলে পৌঁছে দিত কে? বার্তাবাহক পাখির ভূমিকায় সবথেকে জনপ্রিয় পাখির নাম পায়রা। প্রাচীন যুগের পটভূমিকায় রচিত চলচ্চিত্রগুলিতে আমরা দেখেছি পায়রার গলায় বার্তা বেঁধে তাকে উড়িয়ে দেওয়া হতো এবং নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে সেই বার্তা পায়রা পৌঁছে দিত। কোথাও হ্যাক হতো না সেই বার্তা। এরকমই একটি পাখির কাহিনী প্রচলিত আছে জানেন কি? যে পাখিকে পৌরাণিক মতে স্বয়ং মহাদেবের সঙ্গী মনে করা হয়। মহাদেবের বার্তাবাহক রূপে কাজ করে এই পাখি। আজকের দিনে বলতে পারেন নীলকন্ঠ পাখি হলো দেবাদিদেব মহাদেবের মোবাইল ফোন। এই পাখিই কৈলাসে গিয়ে শিবকে খবর দেয় বাপের বাড়ি থেকে উমা আসছে। বিজ্ঞানের ভাষায় এর নাম ইন্ডিয়ান রোলার।

    আরও পড়ুন: জানেন বিজয়া দশমী কেন বলা হয়?

    বিজয়া দশমীর দিন নীলকন্ঠ পাখির দেখা পাওয়াকে শুভ এবং সৌভাগ্যদায়ী  বলে মনে করা হয়। কথিত আছে এই পাখিটি দেখা গেলে সম্পদ বৃদ্ধি পায় , জীবনের সমস্ত অশুভ প্রভাব বিনষ্ট হয়। ফলস্বরূপ, বাড়িতে নিত্য শুভ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হতে থাকে। নীল কন্ঠ পাখি দেখার বিষয়ে বিভিন্ন ধারণা রয়েছে। নীল কন্ঠ পাখি উড়ে যাও, সেই কৈলাসে যাও, খবর দাও, উমা আসছে তখন নীলকন্ঠ পাখি আগমনের বার্তা নিয়ে মহাদেবের কাছে এসেছিল। আরেকটি জনপ্রিয় বিশ্বাস হলো, মনে করা হয়, রাবণবধের ঠিক আগে এই পাখিটির দেখা পান রামচন্দ্র। আবার অন্য একটি পৌরাণিক মতে  রাবণবধের আগেও, সেতুবন্ধনের সময় হাজির হয়েছিল নীলকণ্ঠ পাখি। পথ দেখিয়ে রাম-সেনাকে লঙ্কায় নিয়ে গিয়েছিল সে। এরকম পৌরাণিক কাহিনি থেকেই এই পাখির মাহাত্ম্য ছড়িয়ে পড়ে সমস্ত জায়গায়। তখন থেকেই মনে করা হয়, এই পাখির দর্শন অত্যন্ত শুভ।

    আরও একটি মত রয়েছে এবিষয়ে। লঙ্কা বিজয়ে রাম ব্রাহ্মণ হত্যার পাপ করেছিলেন। কারণ দশানন রাবণ ছিলেন ব্রাহ্মণ। তখন লক্ষ্মণ সহ রামচন্দ্র শিবের পুজো করেছিলেন এবং ব্রাহ্মণকে বধ করার পাপ থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। সেই সময় শিব নীলকন্ঠ পাখির রূপে পৃথিবীতে এসেছিলেন বলে অনেকের বিশ্বাস রয়েছে। নীলকণ্ঠ অর্থ, যার গলা নীল। দেবাদিদেব মহাদেব সমুদ্র মন্থন করার সময় বিষ পান করেছিলেন। কণ্ঠে সেই বিষকে ধারণ করার ফলে মহাদেবের কণ্ঠ নীল হয়ে যায়। তাই শিবের আর একটি নাম হলো নীলকণ্ঠ। নীলকণ্ঠ পাখিকে মর্ত্যলোকে শিবের প্রতিনিধি মানা হয় এবং দেবাদিদেব মহাদেবের রূপ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। জনশ্রুতি অনুসারে, শিব পৃথিবীতে নীলকণ্ঠ পাখি রূপেই ঘোরাফেরা করেন। এই পাখিটিকে কৃষকদের মিত্রও বলা হয়। কারণ নীলকণ্ঠ পাখি জমিতে ফসলের সাথে জড়িত পোকামাকড় খেয়ে কৃষকদের উপকার করে থাকে। এ প্রসঙ্গে বলা দরকার, একসময় দুর্গাপুজোর পর এই পাখিকে উড়িয়ে দেওয়া বনেদী ও জমিদার পরিবারগুলির ঐতিহ্য ছিল। যেমন কলকাতার শোভাবাজার রাজবাড়িতে আগে নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানো হতো বিজয়া দশমীর দিনে। এখন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের দ্বারা এটা সম্ভব হয় না। তবে কাঠের বা মাটির নীলকন্ঠ পাখি তৈরী করে সেটি প্রতিমা নিরঞ্জনের আগে জলে দেওয়া হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Durga Puja: মন্ডপ হোক বা বাড়ি দশমীতে সিঁদুর খেলাই রীতি! জানেন এদিন কেন সিঁদুর খেলা হয়? 

    Durga Puja: মন্ডপ হোক বা বাড়ি দশমীতে সিঁদুর খেলাই রীতি! জানেন এদিন কেন সিঁদুর খেলা হয়? 

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: দশমীতে সিঁদুর খেলার রীতি রয়েছে। বারোয়ারী মন্ডপ হোক অথবা বাড়ির পুজো, শাড়ি পড়ে মাতৃ জাতিকে সিঁদুর খেলতে দেখা যায়। শুধুমাত্র বিবাহিত বা প্রচলিত ভাষায় সধবা মহিলারা নন, এখন অবিবাহিত মহিলারা , প্রচলিত ভাষায় যাদের কুমারী মেয়ে বলা হয় তাঁদেরকেও দেখি সিঁদুর খেলায় মেতে উঠতে। গালে সিঁদুর মেখে ,হাতে প্রসাদের রেকাবি নিয়ে সেলফি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করাটাও এখন রীতি হয়ে গেছে। পুজো মানে তো প্রেমের মরসুম। মন্ডপের পুষ্পাঞ্জলিতে শাড়ি পাঞ্জাবিতে প্রেমিক প্রেমিকাদের উপস্থিতিও চোখে পড়ে। দশমীর দিন তাই প্রেমিকের হাতে সিঁদুরের ছোঁয়া না পেলে প্রেমটাও ঠিক জমে না।

    সিঁদুর খেলার প্রচলন ঠিক কবে থেকে তার সঠিক কোনও তথ্য-প্রমাণ নেই। ইতিহাসবিদ ও শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিতদের কেউ কেউ বলেন দুশো বছর আগে সিঁদুর খেলার প্রচলন হয়েছিল। তখন বর্ধিষ্ণু জমিদার পরিবারগুলিতে দশমীর দিন প্রতিমা বিসর্জনের আগে বাড়ির মহিলারা একে অপরকে সিঁদুরে রাঙিয়ে স্বামী ও পরিবার পরিজনদের মঙ্গল কামনা করতেন।  আবার অন্য  একটি মত অনুযায়ী, সিঁদুর খেলার ঐতিহ্য চারশো বছরের পুরনো। অন্য কোনও কারণ নয় শুধুমাত্র খেলার ছলেই এই প্রথার চল হয়। মায়ের বিসর্জনের দিন সকলের মনই ভারাক্রান্ত থাকে। তাই ওইদিন একটু আনন্দ-উল্লাসের জন্যই সিঁদুর খেলার প্রবর্তন হয়। সেই ঐতিহ্যই সমান ভাবে চলছে আজও।

    পুরাণ মতে  সিঁদুর ব্রহ্মের প্রতীক। বিবাহিত রমণীরা সেই ব্রহ্মস্বরূপ সিঁদুর সিঁথিতে ধারণ করে থাকেন স্বামী ও পরিবারের মঙ্গলকামনায়। শ্রীমদ্ভগবত অনুসারে, গোপিনীরা কাত্যায়নী ব্রত পালন করতেন। যমুনা নদীর তীরে মাতার মাটির মূর্তি স্থাপন করে, ধূপ ধুনো জ্বালিয়ে এই ব্রত পালিত হতো।  এরপর গোপীনিরা নাকি সিঁদুর খেলায় মেতে উঠতেন। একে অপরকে সিঁদুর পরিয়ে তাঁরা আসলে শ্রীকৃষ্ণের মঙ্গল কামনা করতেন বলেই কথিত রয়েছে।

    আরও পড়ুন: জানেন বিজয়া দশমী কেন বলা হয়?

    এই দিনে বিবাহিত মহিলারা প্রথমে মা দুর্গার উদ্দেশে সিঁদুর অর্পণ করেন। মহিলারা পান, মিষ্টি, সিঁদুর নিয়ে দেবীকে নিবেদন করেন। রীতি অনুযায়ী, মা দুর্গা যখন তার মাতৃগৃহ ছেড়ে শ্বশুর বাড়িতে যান, তখন তাকে সিঁদুর দিয়ে সাজাতে হয়। এরপর বিবাহিতারা একে অপরের গায়ে মুখে সিঁদুর লাগান এবং একে অপরকে দুর্গাপুজোর শুভেচ্ছা জানান। কথিত আছে যে এই সিঁদুর লাগালে বিবাহিতরা সৌভাগ্যবতী হওয়ার বর পান। বাঙালি মহিলাদের মধ্যে সিঁদুর খেলার সাথে ধুনুচি নাচও দেখা যায়। মনে করা হয় মা দুর্গা ধুনুচি নাচে খুশি হন। প্রাচীনকালে লাল সিঁদুরকে ভারতীয় নারীরা বেছে নিয়েছিলেন তাঁদের অন্যতম প্রসাধনী হিসেবে। আর বিবাহিতা মহিলাদের কপালে সিঁদুর থাকার অর্থ হল তাঁরা সন্তান ধারণের উপযুক্ত। এই বিশ্বাস থেকেই লাল রঙের সিঁদুর পরার রীতি চলে আসছে মনে করা হয়‌।

    পৌরাণিক মত অনুযায়ী, মানব শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে বিভিন্ন দেবতা বাস করেন। যেমন আমাদের কপালে থাকেন স্বয়ং ব্রহ্মা, তিনি আবার সৃষ্টির দেবতা। তাই ব্রহ্মাকে তুষ্ট করতেই কপালে লাল সিঁদুর পড়েন সকলে। শক্তির সাধক তান্ত্রিকরাও কপালে রক্তবর্ণ সিঁদুর ধারণ করে থাকেন। আসলে ব্রহ্মাকে তুষ্ট রাখার জন্যই এই ব্যবস্থা। এমনটাও হতে পারে স্বয়ং সৃষ্টি কর্তার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণের জন্য হয়তো সিঁদুর খেলার সূচনা হয়েছিল প্রাচীন ভারতে‌। যে সময়ই সিঁদুর খেলার প্রচলন হয়ে থাকুক, যে উদ্দেশ্যেই হয়ে থাকুক, দশমীতে একে অপরকে সিঁদুর মাখানোটা  এখন ছোটখাটো উৎসব বা অনুষ্ঠান হয়ে দাঁড়িয়েছে, অত্যন্ত আনন্দের সাথে, বছরের পর বছর ধর্মের এই রীতি, এই ঐতিহ্য পালন করে চলে চলেছেন মাতৃজাতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Modi-Zelenskyy: “আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ শেষ করতে হবে…”, জেলেনস্কিকে বললেন মোদি

    Modi-Zelenskyy: “আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ শেষ করতে হবে…”, জেলেনস্কিকে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে ফের কথা বললেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy)। আজ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টেলিফোনে কথা বলেন তাঁরা (Modi-Zelenskyy)। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) পরিস্থিতির মধ্যে যেভাবে পারমাণবিক শক্তির তত্ত্ব উঠে আসছে, সেই নিয়ে মূলত দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে কথা হয়েছে। এর আগেও মোদি পুতিনকে (Vladimir Putin) রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার কথা বলেছিলেন, এবং আজও জেলেনস্কিকে যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধে ইতি টানার পরামর্শ দিয়েছেন মোদি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান নিয়ে প্রশংসা করেছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা। ফলে আজ আবার তাঁদের মধ্যের আলোচনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল।

    আরও পড়ুন: ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে রাশিয়ায় যুক্ত করতে চলেছেন পুতিন?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, নরেন্দ্র মোদি ফোনে কথা বলার সময় বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে পরমাণুকেন্দ্রগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হলে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের সুদূর প্রসারী ক্ষতি হতে পারে। নেমে আসতে পারে বিপর্যয়। তিনি এদিন আরও জানান, শান্তি বজায় রাখার জন্য যে কোনও ধরণের প্রচেষ্টায় অবদান রাখতে ভারত পুরোপুরি প্রস্তুত।

    প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, যুদ্ধ থেকে কোনও সমাধান আসে না। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ শেষ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদি আবারও রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সংকট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আলোচনা এবং কূটনীতির পথ অনুসরণ করার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। এছাড়াও আজ প্রধানমন্ত্রী মোদি রাষ্ট্রসংঘের সনদ, আন্তর্জাতিক আইন এবং সমস্ত দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মানের কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।  

    আরও পড়ুন: ‘রাশিয়া – ইউক্রেন যুদ্ধে ভারত শান্তির পক্ষে রয়েছে…’, রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ঘোষণা করলেন বিদেশমন্ত্রী

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

LinkedIn
Share