Blog

  • Amarnath Yatra: শেষ লগ্নে অমরনাথ যাত্রা, চন্দনওয়াড়ির পথে পবিত্র ছড়ি

    Amarnath Yatra: শেষ লগ্নে অমরনাথ যাত্রা, চন্দনওয়াড়ির পথে পবিত্র ছড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ লগ্নে অমরনাথ যাত্রা (Amarnath Yatra 2022)। গত চারদিন কোনও তীর্থযাত্রী অমরনাথ দর্শনে যাননি। এই নিয়ে পর পর চারদিন তীর্থযাত্রী শূন্য অমরনাথ। ৪৩ দিনের অমরনাথ যাত্রা এবার দুদিন আগে ৪১ দিনের মাথাতেই শেষ হয়েছে। ফলে, শুরু হয়েছে প্রথামাফিক ছড়ি যাত্রা। এবার মহন্ত দীপেন্দ্র গিরি মহারাজ তাঁর আরও কয়েকজন সাধু-সন্তদের নিয়ে ছড়ি যাত্রা শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই বেস ক্যাম্প থেকে রওনা দিয়েছেন তাঁরা। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়ে বুধবার পহেলগাঁও থেকে চন্দনওয়ারি অবধি যাত্রা করেছেন তাঁরা। 

    আরও পড়ুন: স্থানীয়স্তরে ব্যাপক বৃষ্টি মাপার প্রযুক্তি দেশে নেই জানাল আইএমডি

    চন্দনওয়াড়িতে এক রাত কাটিয়ে বৃহস্পতিবার খুব ভোরে শেষনাগের পথে যাত্রা করবেন তাঁরা। শেষনাগে এক রাত কাটিয়ে যাবেন পঞ্চতরণীতে। সেটাই এই যাত্রার শেষ ক্যাম্প। এরপর সেখান থেকেই ১১ অগাস্ট প্রাকৃতিক উপায়ে সৃষ্ট তুষার লিঙ্গের দর্শন করবেন তাঁরা। কাশ্মীরের অনন্তনাগে ৩৮৮০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই লিঙ্গ। সেখানে সারা দিন পুজা অর্চনার পর এই সাধুর দল ফিরে আসবেন পঞ্চতরণীতে।  

    ৩০ জুন থেকে শুরু হয়েছে অমরনাথ যাত্রা । অমরনাথ গুহা একটি হিন্দু তীর্থক্ষেত্র যেটি হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অন্যতম পবিত্র শৈব তীর্থ  (Lord Shiva) হিসেবে পরিচিত। ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগর ১৪১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই তীর্থে যেতে পহেলগাও শহর অতিক্রম করতে হয়। সাধারণত জুন-জুলাই মাস থেকে শুরু হয় অমরনাথ যাত্রা। শেষ হয় জুলাই- অগাস্ট মাসে শ্রাবণী  পূর্ণিমার সময় ছড়ি যাত্রায়। পৌরাণিক মতে, পার্বতীকে গোপনে সৃষ্টি রহস্য বোঝাতে নির্জনে পাহাড়ে গুহা নির্মাণ করেন মহাদেব। করোনা অতিমারির (COVID 19 Pandemic) জেরে গত ২ বছর বন্ধ রাখা হয়েছিল এই পবিত্র যাত্রা। গ্রীষ্মকাল হলেও অমরনাথের তাপমাত্রা কিন্তু বেশ শীতল। এমনিতেই গ্রীষ্মকালে খুব কম সময়ের জন্য খোলা হয়। তারপর বরফের আচ্ছাদনেই মোড়া থাকে এই শিবলিঙ্গ। ঠান্ডা আবহাওয়া ও উচ্চতার কারণে তীর্থযাত্রাটি সকলের কাছেই চ্যালেঞ্জিং হয়ে যায়। 

    আরও পড়ুন: আতঙ্কের অবসান, ফের অমরনাথের পথে তীর্থযাত্রীরা

    সাধুদের দল ৭ অগাস্ট পহেলগাঁও পৌছেছে। এই সাধুদের সম্বর্ধনা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। পহেলগাঁও- এর শিব মন্দিরে দুই রাত কাটান এই সাধুরা। সেখানে মহন্ত জীর দর্শন করেন সাধারণ মানুষ। মহন্ত দীপেন্দ্র জী বলেন, “অমরনাথ যাত্রা শুধু হিন্দুদের জন্যে নয়। এটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতীক।” তিনি এও জানান এই যাত্রা তিনি ৩০ বছর ধরে করে আসছেন। 

    অমরনাথে হড়পা বানে মৃতদের জন্যে শোকপ্রকাশও করেন তিনি। বলেন, এমন ঘটনা অনভিপ্রেত। তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেন, “অমরনাথ যাত্রার ক্ষেত্রে নতুন অফিসারদের দায়িত্বে না রেখে পুরোনো অফিসারদেরই দায়িত্ব দেওয়া উচিত। তাঁদের অভিজ্ঞতা এক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারে।”

  • Priyanka-Rahul: ফের কোভিডে আক্রান্ত প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, আলওয়ার সফরও বাতিল অসুস্থ রাহুলের

    Priyanka-Rahul: ফের কোভিডে আক্রান্ত প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, আলওয়ার সফরও বাতিল অসুস্থ রাহুলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কোভিডে (Covid-19) আক্রান্ত হলেন কংগ্রেস (Congress) নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাদ্রা (Priyanka Gandhi Vadra)। বুধবার প্রিয়াঙ্কা গান্ধী নিজে ট্যুইট করে তাঁর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তিনি কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হন। এর আগে গত ৩ জুন সোনিয়া গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী দু’‌জনেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি নিজেকে আইসোলেশনে রেখেছেন বলে জানা গিয়েছে। এই নিয়ে তিনমাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের জন্য মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন তিনি। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ট্যুইট করে লিখেছেন, “আজ আরও একবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছি। আমি বাড়িতে আইসোলেশনে আছি এবং কোভিড নিয়ম পুরোপুরিভাবে মেনে চলছি।“

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন: হাসপাতালে করোনা সংক্রমিত সোনিয়া, অবস্থা স্থিতিশীল, জানাল কংগ্রেস

    শুধুমাত্র প্রিয়াঙ্কা গান্ধী নন, রাহুল গান্ধীরও শরীর খারাপ বলে জানানো হয়েছে। এই কারণে তিনি তাঁর রাজস্থানের আলওয়ার সফরও বাতিল করেছেন বলে জানা গিয়েছে। বুধবার আলওয়ারে কংগ্রেস নেতৃত্বের সংকল্প শিবিরে অংশগ্রহণ করার কথা ছিল রাহুল গান্ধীর।

    এছাড়াও আর কংগ্রেস নেতারা যেমন- যোগাযোগ বিভাগের প্রধান পবন খেরা এবং সাংসদ অভিষেক মানু সিংভি সম্প্রতি কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। দলের প্রধান সোনিয়া গান্ধীও এই বছরের জুনের শুরুতে কোভিড আক্রান্ত হন। আবার রাজ্যসভার বিরোধীদলীয় নেতা তথা কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা মল্লিকার্জুন খারগেও কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি ট্যুইট করে জানান যে, “আমি কোভিডে আক্রান্ত হয়েছি। যারা সম্প্রতি আমার সংস্পর্শে এসেছেন তাদের যত্ন নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।“

    আরও পড়ুন: জবাব সন্তোষজনক নয়, সোনিয়া-রাহুলকে ফের জেরা করতে পারে ইডি

    [tw]


    [/tw]  

  • Synthetic Embryos: অবিশ্বাস্য! শুক্রাণু ছাড়াই কৃত্রিম উপায়ে ভ্রূণ বানিয়ে ফেললেন বিজ্ঞানীরা, জানুন কীভাবে

    Synthetic Embryos: অবিশ্বাস্য! শুক্রাণু ছাড়াই কৃত্রিম উপায়ে ভ্রূণ বানিয়ে ফেললেন বিজ্ঞানীরা, জানুন কীভাবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রাণু, ডিম্বানু ছাড়াই গবেষণাগারে তৈরি হল ভ্রূণ! এটি বিশ্বের প্রথম সিন্থেটিক ভ্রূণ। অবাক হচ্ছেন যে কীভাবে শুক্রাণু ছাড়াই ভ্রূণ তৈরি করা গেল? কিন্তু এমনই তথ্য উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমে। এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন ইজরায়েলের বিজ্ঞানীরা। জানা গিয়েছে ইজরায়েলের (Israel) ওয়েইজম্যান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের (Weizmann Institute Of Science) বিজ্ঞানীরা এই সিন্থেটিক ভ্রূণ তৈরি করে এক অসাধ্যকে সাধন করেছেন।

    আরও পড়ুন: শুক্রাণু কম, জেনে নিন কেন কমে, বাড়াবেনই বা কীভাবে?

    তবে অনেকের মনেই একটা প্রশ্ন যে কী এই সিন্থেটিক ভ্রূণ? বিজ্ঞানীদের মতে, এই ভ্রূণের ক্ষেত্রে ডিম্বাণুর কোনওরকম নিষিক্তকরণ করানো হয়না। অর্থাৎ ফার্টিলাইজেশন ছাড়াই ভ্রূণ তৈরি করা হলে তাকে সিন্থেটিক ভ্রূণ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। তবে কীভাবে এই ভ্রূণ তৈরি করলেন বিজ্ঞানীরা? বিজ্ঞানীদের থেকে জানা গিয়েছে যে, ইঁদুর থেকে স্টেম সেল ব্যবহার করে ভ্রূণের মতো কোষ গঠন তৈরি করেছিলেন বিজ্ঞানীরা, যার একটি অন্ত্র, একটি মস্তিষ্কের মতো গঠন এবং একটি স্পন্দিত হৃদয় ছিল। বিজ্ঞানীদের দলটি প্রাকৃতিক ভ্রূণের মত এই কৃত্রিম ভ্রূণেও চারপাশে প্লাসেন্টা বা কুসুম-থলির মতো কোষ দেখতে পেয়েছিলেন। তবে এই ভ্রূণটি সাড়ে ৮ দিন পর্যন্ত বিকশিত হয়েছিল ও এই কয়েকদিনে একটি স্পন্দিত হৃৎপিণ্ড, রক্তের স্টেম সেল সঞ্চালন, একটি মস্তিষ্ক, একটি নিউরাল টিউব এবং একটি অন্ত্রের ট্র্যাক্ট গঠিত হয়ে গিয়েছিল।

    গবেষণায় দেখা গেছে, বেশিরভাগ স্টেম সেল ভ্রূণের মতো কোষ গঠন তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে প্রায় ০.৫ শতাংশ স্টেম সেল মিলিত হয়ে ছোট বলের আকার ধারণ করে। আর ওই বল থেকেই ট্যিসু বা কলা উৎপন্ন এবং অঙ্গের বিকাশ ঘটে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। অভ্যন্তরীণ গঠন এবং কোষের জেনেটিক প্রোফাইলের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাকৃতিক ইঁদুরের ভ্রুণের সঙ্গে তুলনা করলে কৃত্রিম এই ভ্রূণের ৯৫ শতাংশ মিল পাওয়া গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ৯৮ মিলিয়ন বছর পুরনো ডাইনোসরের জীবাশ্মের সন্ধান পাওয়া গেল সাহারায়

    বিজ্ঞানীর জানিয়েছেন, এর পরবর্তীতে তাঁরা আরও এই বিষয়ে গভীরভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। কীভাবে এই স্টেম সেলগুলি কাজ করে, বা কীভাবে একটা স্টেম সেল বুঝতে পারে যে তাকে কী করতে হবে। এগুলোকে নিয়ে পরবর্তীতে কোন কোন কাজে লাগানো যেতে পারে, তা নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করবেন তাঁরা।

     

  • Commonwealth Games: বয়স বাধা নয়! টেবিল টেনিসে সোনা শরথের, কমনওয়েলথে পদক তালিকায় ৪-এ ভারত

    Commonwealth Games: বয়স বাধা নয়! টেবিল টেনিসে সোনা শরথের, কমনওয়েলথে পদক তালিকায় ৪-এ ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষবার কমনওয়েলথের আসর থেকে ভারত ৬৬টি পদক এনেছিল। এ বার সেই সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৬১টিতে। যদিও শ্যুটিং বাদ পড়েছে। ২০২২ কমনওয়েলথে ভারত মোট ২২টি সোনা, ১৬টি রুপো এবং ২৩টি ব্রোঞ্জ পেয়েছে। পদক তালিকায় এবার চার নম্বরে শেষ করল ভারত। শেষদিনে ভারতের হয়ে দুরন্ত পারফরম্যান্স দেখান ব্যাডমিন্টন তারকারা। মহিলাদের ব্যাডমিন্টন সিঙ্গলসে সোনা জিতেছেন পিভি সিন্ধু। এরপর পুরুষদের সিঙ্গলসে সোনা পান লক্ষ্য সেন। শেষবেলায় পুরুষদের ব্যাডমিন্টন ডাবলসে সোনা জিতেছেন ভারতের সাত্ত্বিক সাইরাজ রঙ্কিরেড্ডি এবং চিরাগ শেট্টি জুটি। সোমবার ফাইনালে তাঁরা ইংল্যান্ডের সিন ভেন্ডি এবং বেন লেনকে পরাজিত করেন।

    আরও পড়ুন: লক্ষ্যের লক্ষ্যভেদ! কমনওয়েলথে পুরুষদের ব্যাডমিন্টন সিঙ্গলসে সোনা ভারতের

    অন্যদিকে টেবিল টেনিসেও সোনা ফলান ৪০ বছরের ‘তরুণ’ অচিন্ত্য শরথ কমল। বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসে পুরুষদের টেবিল টেনিস সিঙ্গলসে সোনা জিতলেন ভারতের এই কিংবদন্তি তারকা। সোমবার ফাইনালে তিনি লিয়াম পিচফোর্ডকে ১১-১৩, ১১-৭, ১১-২, ১১-৬, ১১-৮ ব্যবধানে পরাজিত করেছেন।  প্রথম থেকেই হোম ফেভারিট পিচফোর্ডকে চাপে রাখেন শরথ কমল। তবে যোগ্য টক্কর দেন ইংরেজ। ১৩-১১ পয়েন্টে জিতেও যান প্রথম গেম। কিন্তু তারপর থেকে খেলার রাশ ধরে নেন ভারতীয় লেজেন্ড। দ্বিতীয় গেম জেতেন ১১-৭ পয়েন্টে। তৃতীয় গেমে কার্যত তিনি ইংরেজ প্লেয়ারকে দাঁড়াতেই দেননি। জেতেন ১১-২ পয়েন্টে। শরথের টপ স্পিন, ব্যাক হ্যান্ড প্রভৃতি অস্ত্রের কোনও উত্তর ছিল না পিচফোর্ডের কাছে। চতুর্থ গেমেও একই চিত্রনাট্য। তবে কিছুটা হলেও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পেরেছিলেন পিচফোর্ড। ১১-৬ পয়েন্টে সেই গেমটি জেতেন ভারতীয় তারকা। ১৬ বছর আগে মেলবোর্নে সিঙ্গলসে শেষ সোনা জিতেছিলেন শরথ কমল। এ বার ফের জিতলেন। শুধু সিঙ্গলস নয় সব মিলিয়ে বার্মিংহামে তিনটি সোনা পেলেন ভারতীয় টিটি-র কিংবদন্তি তারকা। মেনস টিম ইভেন্ট, মিক্সড ডাবলস ও সিঙ্গলসে সোনা পেলেন শরথ।

    আরও পড়ুন: স্বপ্নপূরণ! কমনওয়েলথে ব্যাডমিন্টন সিঙ্গলসে সোনা জয় সিন্ধুর

    তবে শেষদিনে লজ্জার সামনে ভারতীয় হকি দল। এদিন ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল ভারত (Ind vs Aus)। কিন্তু অজিদের সামনে কেমন যেন হারিয়ে যায় ভারতের ছেলেরা। হকিতে স্বপ্নভঙ্গ হয় ভারতের। ৭-০ গোলে ভারতকে হারিয়ে সোনা জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। রুপোতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ভারতকে। গতবারের সোনাজয়ী অস্ট্রেলিয়ার মুহূর্মুহূ আক্রমণের সামনে খড়কুটোর মতো উড়ে যায় ভারতের রক্ষণ। ১৯৯৮ সালে কমনওয়েলথ গেমসে (CWG 2022) হকি অন্তর্ভুক্ত হয়। তারপর থেকে প্রত্যেকবারই সোনা জিতেছেন অজিরা।

  • RSS: আরএসএসের অনুষ্ঠানে সিপিএমের মেয়র! কী বললেন পার্টি নেতৃত্ব?  

    RSS: আরএসএসের অনুষ্ঠানে সিপিএমের মেয়র! কী বললেন পার্টি নেতৃত্ব?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরএসএসের (RSS) অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সিপিএমের (CPM) মেয়র। যার জেরে খেপে লাল পার্টি নেতৃত্ব। এর পরেই কেরলের (kerala) বাম নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে কোঝিকোড়ের (Kozhikode) মেয়র (Mayor) বীণা ফিলিপের (Beena Philip) বিরুদ্ধে। আরএ সএস অনুমোদিত বালগোকুলম (Balagokulam) আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বীণা। তার পরেই রাজ্য নেতৃত্ব বীণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে জেলা নেতৃত্বকে। যদিও জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর দাবি, ওই অনুষ্ঠানে মেয়র গিয়েছিলেন ভুল করে। তবে এটা পার্টি লাইনের বিরুদ্ধে।

    সম্প্রতি বালগোকুলমের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন বীণা। দলকে না জানিয়েই ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি। যদিও সিপিএম নেতৃত্বের কড়া নির্দেশ, আরএসএসের যে কোনও অনুষ্ঠান থেকে দূরে থাকতে হবে পার্টি কর্মীদের। বীণা ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দল কংগ্রেসের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছেন বলেও মনে করেন বাম নেতৃত্ব।

    আরও পড়ুন : কৃষিকে পেশা হিসেবে নিক পরবর্তী প্রজন্ম, মত আরএসএস সরকার্যবাহের

    ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বীণা কেরলে কীভাবে শিশুরা বেড়ে উঠছে, তা নিয়ে সমালোচনায় মুখর হন। তিনি মায়েদের অনুরোধ করেন, তাঁরা যেন বালগোপালের ভক্ত হন। তাহলে তাঁরা আর শিশুদের তিরস্কার করতে পারবেন না। তিনি বলেন, আপনাদের উচিত সব শিশুকে ছোট্ট কৃষ্ণ হিসেবে দেখা। তাহলেই শিশুরা ভালবাসার পরিমণ্ডলে বেড়ে উঠবে। তিনি বলেন, উত্তর ভারতে শিশুদের যেভাবে যত্ন নেওয়া হয়, কেরলে তা নেওয়া হয় না। বীণা বলেন, শিশুমৃত্যুর হার এটা প্রমাণ করে না যে শিশুদের যত্নআত্তি ঠিকঠাক হচ্ছে। উত্তর ভারতের মায়েদের মতো শিশুদের ভালবাসতে শিখতে হবে আমাদের। তাঁর অনুযোগ, কেরলবাসী শিশুদের ক্ষেত্রে স্বার্থপরের মতো আচরণ করে। উত্তর ভারতের মায়েরা সব শিশুকেই সমান চোখে দেখেন।

    আরও পড়ুন : ভারতকে উন্নতির শিখরে নিয়ে গিয়েছেন মোদি, মত আরএসএস নেতার

    এর পরেই বীণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তৎপর হন কেরলের বাম নেতৃত্ব। যদিও বীণার সাফাই, একজন মা হিসেবেই ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কোঝিকোড়ের জেলা সম্পাদক পি মোহনান বলেন, আরএসএসের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পরে মেয়র যে সাফাই গেয়েছেন, তা সিপিএমের পার্টি লাইনের বিরোধী। ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। দলের নেতা ভিডি সাথীসন বলেন, কেরলের বাম সরকার বাম পরিচয় হারিয়েছে। তাই অখুশী সরকারের জোটসঙ্গীরাও।

     

  • Skylight: স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন কতটা সক্রিয়? খতিয়ে দেখল সেনা

    Skylight: স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন কতটা সক্রিয়? খতিয়ে দেখল সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের উপগ্রহ ব্যবস্থা কতটা সক্রিয় সম্প্রতি তার মহড়া দিয়েছে ভারতীয় সেনা (Indian Army)। আগামী দিনে কখনও কোন সংঘাত হলে দেশের উপগ্রহ সংযোগ (Satelite System) কতটা সহনশীল তা পরখ করে দেখা হয়েছে এই মহড়াতে। আর্মির এই স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন অ্যাসেটকে ২৫ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত কার্যকরী করা হয়েছিল। তার সাংকেতিক নাম দেওয়া হয়েছে স্কাইলাইট। তবে সুরক্ষার জন্য গোটা ব্যবস্থাটিতে গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় মতিলাল ভোরার যোগের স্বপক্ষে প্রমাণ পায়নি ইডি!

    বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, রাশিয়া, ইউক্রেন সংঘাতকে ঘিরে নতুন করে শিক্ষা নিচ্ছে একাধিক দেশের সেনাবাহিনী। চিনের সঙ্গে যে উত্তরের সীমান্ত রয়েছে সেটাও উদ্বেগের একটি বিষয়। সেকারণে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে সেনা বাহিনী। মূলত ভূগঠনগত একটি সমস্যা ওই সীমান্তে থেকেই গিয়েছে। যে কোনও সময়ে চিন বা পাকিস্তানেক সঙ্গে যুদ্ধ লাগতে পারে। তাই তখন যাতে দেশকে কোনও বিপদে পড়তে না হয়, তাই আগে থেকে এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: পূর্ব লাদাখে ভারত-চিন সেনার মধ্যে গোপন বৈঠক! আকাশসীমা লঙ্ঘন নিয়ে আলোচনা

    মূলত সেনার অন্দরে এরোস্পেস টেকনোলজি কতটা রয়েছে সেটাও দেখা হয়। আধিকারিকদের মতে, সেনার হাতে ইসরোর একাধিক উপগ্রহ, যানবাহনের মাথার উপরে থাকা পোর্টেবল টার্মিনাল, মানুষের দ্বারা বহনকারী টার্মিনাল রয়েছে। এই মহড়া চলাকালীন সমস্ত স্যাটেলাইট ব্যবস্থাকে কার্যকর করা হয়েছিল। ইসরোও এই মহড়ায় অংশ নিয়েছিল।

    আরও পড়ুন: ছাড়পত্র মিলেছে ১৫টির, সেনা চায় ৯৫টি! জানুন এই লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টারের বৈশিষ্ট্য

    সেনা সূত্রের খবর, আগামী দিনে যুদ্ধে স্পেস একটি জটিল জায়গা দখল করবে। আধুনিক প্রযুক্তি এমন দিকে এগোচ্ছে যে মহাকাশ থেকেই নিয়ন্ত্রিত হতে পারে যুদ্ধের গতি।আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে সেনা চাইছে নিজের জন্য একটি স্যাটেলাইটের ব্যবস্থা তৈরি করতে। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই ধরনের উপগ্রহের ব্যবস্থা থাকলে শুধু পদাতিক সেনাদের জন্য নয়, সব জায়গায় এটা সহায়তা করবে।

     

  • Shootout at Chinsurah: গ্যাং-ওয়ার! ফিল্মি কায়দায় চুঁচু়ড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে বন্দিকে গুলি করে চম্পট দুষ্কৃতীদের

    Shootout at Chinsurah: গ্যাং-ওয়ার! ফিল্মি কায়দায় চুঁচু়ড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে বন্দিকে গুলি করে চম্পট দুষ্কৃতীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখে মাস্ক চড়িয়ে রোগী সেজে ঘাপটি মেরে বসেছিল হামলাকারীরা। প্রিজন ভ্যান থেকে বন্দি বেরোতেই চারদিক থেকে ধেয়ে এল ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি। একেবারে ফিল্মি কায়দায়! মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে এসে গুলিবিদ্ধ খুনে অভিযুক্ত এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী। শনিবার সকালে এমনই দুষ্কৃতী হামলা ঘটনার সাক্ষী থাকল চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতাল। 

    ঘটনায় প্রকাশ, আদালতে তোলার আগে বেলা ১২টা নাগাদ কুখ্যাত দুষ্কৃতী টোটন বিশ্বাস-সহ কয়েকজন বন্দিকে মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ। প্রিজন ভ্যান থেকে নামানোর সময় গুলি চলে। মুখে মাস্ক পরে আগে থেকেই তারা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেটের বাইরে ঘাপটি মেরে বসেছিল। টোটোনকে নামানোর সময়েই আচমকা চলে পরপর গুলি। 

    আরও পড়ুন: মাঙ্কি পক্স নিয়ে এবার সতর্কতা জারি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের

    গুলিবিদ্ধ হয় টোটন বিশ্বাস নামে ওই দুষ্কৃতী। টোটন বিশ্বাসের পেটে গুলি লাগে। ভয় পেয়ে টোটোন ফের প্রিজন ভ্যানে ছুটে উঠে যায়। পরে, হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার হয়। রবীন্দ্রনগরের বাসিন্দা টোটন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, খুন এবং অপহরণের মতো গুরুতর মামলাও। সম্প্রতি একটি মাদক মামলায় সে বন্দি ছিল হুগলির জেলে। এরই মধ্যে একটি পুরোনো কেসে তাকে রিমান্ডে নেয় চুঁচুড়া থানা। সেই কেসেই আজ আদালতে তোলার কথা ছিল তাকে। 

    এদিকে, ব্যস্ত সময়ে হাসপাতালে পুলিশের সামনেই গুলি চলায় অন্য বন্দি ও রোগীর আত্মীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় জরুরি বিভাগের গেট। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ গোটা হাসপাতাল ঘিরে ফেলে। কিন্তু, ভিড়ের মধ্যে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই গিয়ে পৌঁছেছেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের সুপার অমিত পি জাভালগী। হামলাকারীদের সন্ধান পেতে হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: খরচের ক্ষমতা মাত্র দেড় কোটি, মমতার মন্ত্রীদের প্রাপ্য শুধু পাইলট আর নীলবাতি

  • Baba Ramdev: অ্যালোপ্যাথি নিয়ে মন্তব্য, রামদেবকে তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের

    Baba Ramdev: অ্যালোপ্যাথি নিয়ে মন্তব্য, রামদেবকে তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পতঞ্জলি সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রামদেব বাবা অ্যালোপ্যাথি ও করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে একটি মন্তব্য করে বসেন। আর একে নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ফলে এর জল গড়াল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। এই মন্তব্যের জেরে বাবা রামদেবের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও পতঞ্জলী কর্তৃপক্ষের কাছে একটি নোটিসও পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের মুখ্য বিচারপতি এনভি রমনা এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছেন।

    অ্যালোপ্যাথি ওষুধ, চিকিৎসক এবং কোভিড টিকা নিয়ে নিন্দা করে বিজ্ঞাপনে প্রচার চালানো হচ্ছে এই অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। তার শুনানিতেই যোগগুরুকে ভর্ৎসনা করলেন মুখ্য বিচারপতি। আইএমএ-র আবেদনের ভিত্তিতে কেন্দ্রের কাছে জবাব চেয়ে নোটিসও জারি করেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: অসাংবিধানিক! ১৯৮৮ সালের বেনামি লেনদেন আইনের একটি ধারা বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট

    মুখ্য বিচারপতি এনভি রমনা বলেন, ‘বাবা রামদেব কেন অ্যালোপ্যাথি নিয়ে অভিযোগ করছেন? তিনি যোগাকে জনপ্রিয় করেছেন, কিন্তু তাঁর অন্য সিস্টেমের সমালোচনা করা উচিত না। তিনি যা অনুসরণ করেন তা যে সব কিছু সারিয়ে দেবে তার কী গ্যারান্টি আছে?’ তিনি আরও বলেন ‘কীভাবে তিনি ডাক্তারদের দোষী বলতে পারেন? তিনি কখনওই অন্য ডাক্তার ও অন্য চিকিৎসার পদ্ধতিকে নিন্দা করতে পারেন না। এইসব মন্তব্য করা থেকে তিনি দূরে থাকুন তাই ভালো হবে।‘

    আইএমএ-এর তরফে জানানো হয়েছে, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ-এর সময় তিনি অ্যালোপ্যাথি নিয়ে কিছু মন্তব্য করছিলেন। সেই সময়েই আইএমএ মামলা দায়ের করেছিল সুপ্রিম কোর্টে। তিনি এও বলেছিলেন, ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ নেওয়ার পরেও দেশে অনেক জন মারা গিয়েছেন। আবারও বিজ্ঞাপনের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে আইএমএ।

    প্রসঙ্গত, অন্যদিকে এই মাসের শুরুতে, দিল্লি হাইকোর্ট, বাবা রামদেবের পতঞ্জলি ‘করোনিল’ সম্পর্কিত একটি আবেদনের শুনানি করার সময় অ্যালোপ্যাথির বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক মন্তব্য করার থেকে বিরত থাকতে বলেন। এই মামলার পরের শুনানি হবে সেপ্টেম্বরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Justice Abhijit Ganguly: প্রথম ৫ বছরের মধ্যেই ৩ বার বদলি শিক্ষিকার! সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বিচারপতির

    Justice Abhijit Ganguly: প্রথম ৫ বছরের মধ্যেই ৩ বার বদলি শিক্ষিকার! সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার (Kolkata) পর এবার জলপাইগুড়িতে হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) সার্কিট বেঞ্চে গিয়ে শিক্ষক বদলি মামলায় (Teachers Transfer Case) সিবিআই তদন্তের (CBI probe) নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। শিক্ষিকার ঘন ঘন বদলির ঘটনায় সিবিআই  তদন্তের নির্দেশ দিলেন তিনি। 

    ঠিক কী ঘটনায় এই নির্দেশ?

    শান্তা মণ্ডল নামে ওই শিক্ষিকা ২০১৬ সালে শিলিগুড়ি শ্রীগুরু বিদ্যালয়ের সহ-শিক্ষিকা হিসাবে যোগ দেন। ২০১৯ সালে ৩ বছরের মধ্যে তিনি প্রধান শিক্ষিকা হওয়ার জন্য পরীক্ষা দেন। উত্তীর্ণ হয়ে আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা হিসাবে যোগদান করেন তিনি। স্কুলে যোগ দেওয়ার এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে শান্তা আবার বদলির জন্য রাজ্যের শিক্ষা দফতরে আবেদন করেন। 

    আবেদন মঞ্জুর করে মধ্যশিক্ষা পর্যদ তাঁকে শিলিগুড়ির অমিয় পালচৌধুরী স্মৃতি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে বদলি করে শিক্ষা দফতর। কিন্তু সেখানে যোগদান করতে অস্বীকার করেন তিনি। ফের বিশেষ কারণে বদলির আবেদন করেন শান্তাদেবী। এবারও তাঁর সেই আবেদন মঞ্জুর হয়। এবার তাঁকে তাঁর পুরনো স্কুল শ্রীগুরু বিদ্যামন্দিরে বদলির নির্দেশ দেয় শিক্ষা দফতর।

    আরও পড়ুন: এসএসসি শিক্ষকদের বদলির নিয়ম ‘বদলের’ নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের!
     
    বদলি প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শিলিগুড়ি শ্রীগুরু বিদ্যামন্দির হাইস্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রসুনসুন্দর তরফদার। সেই মামলার শুনানিতে তিন সপ্তাহ আগে শান্তাদেবীকে অস্থায়ীভাবে শ্রীগুরু বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নিতে বলে হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার মামলাটি জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) সার্কিট বেঞ্চে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ওঠে।

    মামলার সওয়াল-জবাব চলাকালীন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই শিক্ষিকাকে ‘বড়ই প্রভাবশালী’ বলে মন্তব্য করেন। শুধু তাই নয়, বিচারপতি তাঁকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তুলনা করেন। অর্পিতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষিকার কোনও যোগাযোগ রয়েছে কিনা তাও জানতে চান বিচারপতি।

    শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘শিক্ষা দফতরের (Education Department) আইন অনুসারে ৫ বছরের আগে বদলির আবেদন করা যায় না। তাহলে কী করে ১ বছরের মধ্যে বীরপাড়া স্কুল থেকে বদলির আবেদন করলেন শান্তা মণ্ডল? আর সেই আবেদন গৃহীতই বা হল কেন?’ এর পিছনে বড়সড় কোনও প্রভাব রয়েছে বলে উল্লেখ করে বিচারপতি এই বদলির রহস্য উন্মোচনের দায়িত্ব সিবিআইকে (CBI) দেন।

    আরও পড়ুন: এসএসসি-দুর্নীতির টাকা পাচার বাংলাদেশে? হাওয়ালা-যোগ খতিয়ে দেখছে ইডি

    একইসঙ্গে, শান্তা মণ্ডলকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। শুক্রবারের মধ্যে যাতে ওই স্কুলে যোগ দিতে কোনও সমস্যা না হয় সেজন্য আদালতের নির্দেশ সংক্রান্ত সমস্ত কাগজ এদিনই ওই শিক্ষিকার হাতে তুলে দিতে বিচারপতি শান্তার আইনজীবীকে নির্দেশ দেন। ওই শিক্ষিকা যদি শুক্রবার বীরপাড়ার স্কুলটিতে কাজে যোগ না দেন তবে তা তাঁর ‘ব্রেক অফ সার্ভিস’ হবে বলে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন।

    রাজ্যে এক ডজন মামলায় ইতিমধ্যেই তদন্ত করছে সিবিআই। এবার শিক্ষক বদলিতে দুর্নীতির (Teacher Transfer Scam) আঁচ পেয়ে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে (Circuit Bench Jalpaiguri) বসে তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। সিবিআই তদন্তের নির্দেশের পর মামলাকারী প্রসূনসুন্দর তরফদারের প্রতিক্রিয়া, ‘সত্যের জয় হল। ন্যায় বিচার পেলাম।’

  • Bengal Cabinet Reshuffle: রাজ্যের নতুন মন্ত্রিসভায় হল কী কী পরিবর্তন? দেখুন এক নজরে

    Bengal Cabinet Reshuffle: রাজ্যের নতুন মন্ত্রিসভায় হল কী কী পরিবর্তন? দেখুন এক নজরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার রদবদল হয়েছে। মমতার মন্ত্রিসভায় এলেন ৮ জন নতুন মুখ। মমতা মন্ত্রিসভায় পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন বাবুল সুপ্রিয়, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, পার্থ ভৌমিক। পূর্ণমন্ত্রী হলেন উদয়ন গুহ, প্রদীপ মজুমদার। স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হলেন বীরবাহা হাঁসদা। স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হলেন বিপ্লব রায়চৗধুরী। শুধু প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে সত্যজিত্‍ বর্মন, তাজমুল হোসেন ।

    এক নজরে দেখে নেওয়া যাক রাজ্যের নতুন মন্ত্রিসভায় কী কী পরিবর্তন হল—

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়— মখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি, তাঁর অধীনে রয়েছে স্বরাষ্ট্র ও পাহাড় বিষয়ক দফতর, কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর, ভূমি ও ভূমি সংস্কার এবং উদ্বাস্তু পুনর্বাসন দফতর, তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর, পরিকল্পনা ও পরিসংখ্যান এবং প্রকল্প নিরীক্ষণ দফতর।

    মানস ভুঁইঞা— পূর্ণমন্ত্রী, জলসম্পদ উন্নয়ন দফতর এবং পরিবেশ দফতর।

    মলয় ঘটক— পূর্ণমন্ত্রী, আইন ও বিচারবিভাগীয় দফতর ও শ্রম দফতর।

    অরূপ বিশ্বাস— পূর্ণমন্ত্রী, বিদ্যুৎ দফতর, ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতর, হাউসিং দফতর।

    উজ্জ্বল বিশ্বাস— পূর্ণমন্ত্রী, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও বায়ো-টেকনোলজি দফতর।

    ফিরহাদ হাকিম— পূর্ণমন্ত্রী, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর।

    আরও পড়ুন: খরচের ক্ষমতা মাত্র দেড় কোটি, মমতার মন্ত্রীদের প্রাপ্য শুধু পাইলট আর নীলবাতি

    শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়— পূর্ণমন্ত্রী, কৃষি দফতর, পরিষদীয় দফতর।

    পুলক রায়— পূর্ণমন্ত্রী, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর, পূর্ত দফতর।

    শশী পাঁজা— পূর্ণমন্ত্রী, নারী, শিশুকল্যাণ ও সমাজ কল্যাণ দফতর, শিল্প ও বাণিজ্য দফতর।

    বিপ্লব মিত্র— পূর্ণমন্ত্রী, ক্রেতা সুরক্ষা বিষয়ক দফতর।

    বাবুল সুপ্রিয়— পূর্ণমন্ত্রী, তথ্যপ্রযুক্তি দফতর ও পর্যটন দফতর।

    স্নেহাশিস চক্রবর্তী— পূর্ণমন্ত্রী, পরিবহন দফতর।

    পার্থ ভৌমিক— পূর্ণমন্ত্রী, সেচ দফতর, জলপথ দফতর।

    আরও পড়ুন: দফতর বণ্টনও সম্পন্ন, পার্থর হাতে থাকা তিন দফতরের দায়িত্বে এবার তিনজন

    উদয়ন গুহ— পূর্ণমন্ত্রী, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর।

    প্রদীপ মজুমদার— পূর্ণমন্ত্রী, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর।

    বেচারাম মান্না— প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) কৃষি বিপণন, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন।

    অখিল গিরি— প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) কারা দফতর।

    ইন্দ্রনীল সেন— প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ। প্রতিমন্ত্রী, তথ্য ও সংস্কৃতি।

    বিপ্লব রায়চৌধুরী— প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) মৎস্য দফতর।

    বীরবাহা হাঁসদা— প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) স্বনির্ভর ও স্ব-রোজগার দফতর। প্রতিমন্ত্রী, বন দফতর।

    শ্রীকান্ত মাহাতো— প্রতিমন্ত্রী, ক্রেতা সুরক্ষা দফতর।

    তাজমুল হোসেন— প্রতিমন্ত্রী, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতর, বস্ত্র দফতর।

    সত্যজিৎ বর্মন— প্রতিমন্ত্রী, স্কুল শিক্ষা।

LinkedIn
Share