Blog

  • ITR Filing: আয়কর রিটার্ন দাখিল করেননি? জেনে নিন দিতে হবে কত লেট-ফি

    ITR Filing: আয়কর রিটার্ন দাখিল করেননি? জেনে নিন দিতে হবে কত লেট-ফি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়কর রিটার্ন (Income Tax Return) দাখিলের শেষ দিন ছিল ৩১ জুলাই। ২০২১-২২ অর্থবর্ষের আয়কর দফতরে ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল হয়েছে ৫.৮৩ কোটি। যা আদতে একটি রেকর্ড। শেষ দিনে আয়কর (Income Tax) দাখিল হয়েছে ৭২.৪২ লক্ষ। ৩১ জুলাই পর্যন্ত সব মিলিয়ে দাখিল হয়েছে ৫.৮৩ কোটি।

    পুরো বিষয়টি জানিয়ে ট্যুইট করেছে আয়কর দফতর (Income Tax Department)। ট্যুইট বার্তায় বলা হয়েছে, ২০২২ এর ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৫.৮৩ কোটি আইটি রিটার্ন দাখিল হয়েছে। নয়া রেকর্ডও হয়েছে। শেষ দিনে আয়কর দফতরে রিটার্ন দাখিল হয়েছে ৭২.৪২ লক্ষ। সময় মতো রিটার্ন দাখিল করায় আয়কর দফতর করদাতাদের কৃতজ্ঞতাও জানায়।  

    গত দু’বছর ধরে আয়কর রিটার্ন দাখিলের তারিখ বাড়ানো হচ্ছিল। এবারও সেই আশায়ই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলেন করদাতারা। তবে এবার আর সরকার সেই সময় সীমা বাড়ায়নি। সুতরাং, যাঁরা ইতিমধ্যেই রিটার্ন দাখিল করেছেন, তাঁদের উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। কিন্তু যাঁরা ওই তারিখের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করতে পারেননি, তাঁরা তা করতে পারবেন চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। যদিও এজন্য লেট-ফি দিত হবে তাঁদের।

    আরও পড়ুন : সময়সীমা ৩১ অগাস্ট, জেনে নিন কীভাবে করবেন আয়কর রিটার্নের ই-ভেরিফিকেশন

    যাঁদের বাৎসরিক আয় ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত, লেট-ফি বাবদ তাঁদের দিতে হবে ১০০০ টাকা। আয় ৫ লক্ষ টাকা ছাড়ালেই ফাইন দিতে হবে ৫ হাজার টাকা। যদি কোনও করদাতার আয় করছাড়ের সীমার নীচে থাকে, তবে তাঁদের কোনও লেট ফাইন দিতে হবে না। তবে, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে যাঁরা রিটার্ন দাখিল করতে পারেননি, দেরি করে ট্যাক্স দেওয়ায় তাঁদের গুণতে হবে সুদ। ফলে, তাঁদের ৩১ জুলাই থেকে সুদ সহ ট্যাক্সের পুরো টাকা জমা দিতে হবে।

    প্রসঙ্গত, রিটার্ন দাখিলের ভেরিফিকেশন আগে ছিল ১২০ দিন। এখন তা কমিয়ে করা হয়েছে ৩০ দিন।  ১ অগাস্টের মধ্যে ই-ট্রান্সমিশনের মাধ্যমে এই ভেরিফিকেশনের কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল সিবিডিটি (CBDT)।

    আরও পড়ুন : কোন পথে বাঁচাবেন আয়কর? জানুন

  • Commonwealth Games: কুস্তিতে কিস্তিমাত! তিনটি সোনা একটি  রুপো কমনওয়েলথের আসরে দীপক, সাক্ষী, বজরংদের জয়জয়কার

    Commonwealth Games: কুস্তিতে কিস্তিমাত! তিনটি সোনা একটি রুপো কমনওয়েলথের আসরে দীপক, সাক্ষী, বজরংদের জয়জয়কার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  কমনওয়েলথের আসরে কুস্তিতে কিস্তিমাত করল ভারতীয়েরা। শুক্রবার গেমসের অষ্টম দিন একাধিক ইভেন্টে সাফল্য পেলেন ভারতীয় অ্যাথলিটরা। তবে পদকে ভরিয়ে দিলেন কুস্তিগীররা। কুস্তিতে তিনটি সোনা, একটি রুপো ও দুটি ব্রোঞ্জ পদক আনে ভারত। কানাডার ম্যাকনেইলকে ৯-২-এ হারিয়ে দেশকে চলতি গেমস থেকে সপ্তম সোনাটি এনে দেন বজরং পুনিয়া। দাপটের সঙ্গে ফাইনাল ম্যাচ জিতে সোনা জেতেন বজরং। পুরুষদের ৬৫ কেজি ফ্রিস্টাইল বিভাগে ৯-২ ব্যবধানে কানাডিয়ান প্রতিপক্ষ লাচলান ম্যাকনিল উড়িয়ে দেন বজরং। এই নিয়ে গেমসে তৃতীয়বার পদক জিতলেন ভারতীয় তারকা কুস্তিগীর। তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    গেমস থেকে ভারতের অষ্টম ও নবম সোনা এল কুস্তিগীর সাক্ষী মালিক এবং দীপক পুনিয়ার হাত ধরে। মহিলাদের ৬২ কেজি ফ্রিস্টাইল বিভাগে কানাডার প্রতিপক্ষ অ্যানা গোডিনেজ গঞ্জালেসকে হারিয়ে সোনা জেতেন সাক্ষী। 

    চির প্রতিপক্ষ পাকিস্তানকে হারিয়ে সোনা জেতেন দীপক। পুরষদের ৮৬ কেজির ফ্রিস্টাইলের ফাইনালে দীপক পুনিয়ার প্রতিপক্ষ ছিলেন পাকিস্তানের মহম্মদ ইনাম। ৩-০ ব্যবধানে পাক প্রতিপক্ষকে হারিয়ে দেন তিনি।

    তবে একটুর জন্য সোনা হাতছাড়া হল অংশু মালিকের। প্রথমবার কমনওয়েলথের মঞ্চে নেমেই মহিলাদের ৫৭ কেজি ফ্রিস্টাইল বিভাগে রুপো ঘরে তোলেন তিনি। নাইজেরিয়ার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান তিনি। তবে ফাইনাল বাউট শেষ হয় ৪-৭-এ। আর তাতেই এবারের মতো সোনা জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয় তাঁর। উল্লেখ্য, নাইজেরিয়ার প্রতিপক্ষ দু’বারের কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী।

    আরও পড়ুন: স্কোয়াশে ইতিহাস সৌরভের! কমনওয়েলথে ব্রোঞ্জ পদক বাংলার ছেলের

    মহিলাদের ৬৮ কেজি বিভাগের ব্রোঞ্জ পদকের ম্যাচে ভারতের দিব্যা কাকরান জেতেন। ব্রোঞ্জ পদক ম্যাচে তাঁর প্রতিপক্ষ ছিল টোঙ্গার টাইগার লিলি ককার। মাত্র ২৬ সেকেন্ডে ‘ভিকট্রি বাই ফল’- এ ব্রোঞ্জ ম্যাচ জিতে নেন দিব্যা কাকরান। দিব্যার পাশাপাশি ভারতকে ব্রোঞ্জ এনে দিয়েছেন মোহিত গ্রেওয়াল। পুরুষদের ১২৫ কেজি ফ্রিস্টাইলে জামাইকার অ্যারন জনসনকে হারিয়ে দিয়ে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন ভারতের মোহিত।

  • Delhi liquor scam: আবগারি নীতি দুর্নীতিতে আরাভা গোপিসহ ১১ জন আধিকারিককে সাসপেন্ড স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    Delhi liquor scam: আবগারি নীতি দুর্নীতিতে আরাভা গোপিসহ ১১ জন আধিকারিককে সাসপেন্ড স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির লেফটান্যান্ট গভর্নর বিনয় কুমার (Vinai Kumar Saxena) সাক্সেনা অনুমতি দেওয়ার একদিন পরেই, আবগারি কমিশনার আরাভা গোপি (Arava Gopi) এবং ডেপুটি কমিশনার আনন্দ তিওয়ারিকে (Anand Tiwari) সাসপেন্ড করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Ministry of Home Affairs)। আবগারি নীতি ২০২১-২২ (Delhi Excise Policy 2021-22) প্রণয়ন এবং কার্যকর করার ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ১১ আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই।

    আরও পড়ুন: দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই হানা! স্বাগত ট্যুইট মণীশ, কেজরির   

    আবগারিনীতি দুর্নীতি নিয়ে দিল্লির কেজরিওয়াল সরকার এবং লেফট্যান্যান্ট গভর্নরের মধ্যে ব্যাপক দ্বন্দ্ব বেঁধেছে। সোমবার ১১ জন আধিকারিককে সাসপেন্ড করার অনুমতি দেন লেফট্যান্যান্ট গভর্নর। এই ১১ জনের তালিকাতেই ছিলেন গোপি এবং তিওয়ারি। এছাড়াও যাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁরা হলেন, পঙ্কজ ভাটনাগার, নরিন্দর সিং, নিরজ গুপ্ত, সেকশন অফিসার কুলজিত সিং, সুভাষ রঞ্জন, সত্যব্রত ভার্গভ, সচিন সোলাঙ্কি এবং গৌরব মান।  

    গত শুক্রবার সকালেই আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার (Manish Sisodia) বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয় কুমার সাক্সেনা এর আগেই আবগারি নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী আবগারি নীতি দুর্নীতিতে সরাসরি যুক্ত এবং বিভিন্ন ব্যক্তিকে এই আবগারি নীতির মাধ্যমে সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে টাকা নিয়েছেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি, সিবিআইয়ের জেরা ৩ অভিযুক্তকে

    ১৬ নভেম্বর ২০২১ সালে নয়া আবগারি নীতির প্রবর্তন করেছিল দিল্লি সরকার। নতুন নীতিতে মদ কেনার পদ্ধতির পাশাপাশি মদ বিক্রির পদ্ধতিতেও বিস্তর বদল নিয়ে আসা হয়েছিল। নতুন আবগারি নীতিতে সরকারি মদের দোকানগুলি বন্ধ করে ঢালাও বেসরকারি মদের দোকানগুলিকে মদ বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। দিল্লির সরকারের পরিকল্পনা ছিল, নতুন করে ৮৪৯টি মদের দোকান খোলার। গোটা শহররে ৩২টি অঞ্চল জুড়ে এই মদের দোকানগুলির খোলার পরিকল্পনা ছিল এবং প্রত্যেকটি জোনে ২৭টি করে মদের দোকান থাকার কথা ছিল। এবং একটি জোনের সবকটি দোকানই একজন লাইসেন্সধারীর অধীনে থাকবে। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া আবগারি দফতরের দায়িত্বে ছিলেন।   

    আগের আবগারি নীতিতে দিল্লির মোট ৮৬৪টি মদের দোকানের মধ্যে চারটি সরকারি সংস্থা রাজ্যে ৪৭৫টি মদের দোকান চালাত এবং বাকি ৩৮৯টি দোকান বেসরকারি মালিকদের হাতে ছিল। 

    নতুন আবগারি নীতিতে দিল্লি সরকারের কোষাগারে ব্যাপক লাভের অঙ্ক ঢুকলেও, আবগারি লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে বেনিয়ম এমনকি আর্থিক দুর্নাীতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই কারণে নতুন আবগারি নীতি বাস্তবায়নের ঠিক ৮ মাস পর তা প্রত্যাহার করা হয়। 

    কেন্দ্রীয় সরকারে প্রতিনিধি তথা দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয় কুমার সাক্সেনা দিল্লি সরকারে এই নতুন নীতিতে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়েছিলেন। তারপরেই তদন্তের দায়িত্ব পায় সিবিআই। আর এই মামলাতেই সাসপেন্ড করা হয় আবগারি দফতরের এই আধিকারিকদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     

  • Paris Olympic: অচিন্ত্য না জেরেমি! জানেন অলিম্পিকে ভারতের প্রতিনিধি কে

    Paris Olympic: অচিন্ত্য না জেরেমি! জানেন অলিম্পিকে ভারতের প্রতিনিধি কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কমনওয়েলথের আসর থেকে দুজনেই দেশকে সোনা এনে দিয়েছেন। দুই বন্ধুরই পাখির চোখ প্যারিস অলিম্পিক। কিন্তু নিয়মের ফাঁদে যে কোনও একজনই অলিম্পিক (Paris Olympic) অ্যারিনায় দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন। জেরেমি লালরিনুঙ্গা (Jeremy Lalrinnunga)  ও অচিন্ত্য শিউলি (Achinta Sheuli)। ২০ বছর বয়সি অচিন্ত্য শিউলি পুরুষদের ৭৩ কিলোগ্রাম ভারোত্তলন বিভাগে কমনওয়েলথে (CwG 2022) সোনার পদক জয় করেন। অচিন্ত্য স্ন্যাচ বিভাগে ১৪৩ কেজি ওজন তুলেছেন। পাশাপাশি ক্লিন অ্যান্ড জার্ক বিভাগে তিনি ১৭০ কিলোগ্রাম ওজন তুলে দেশের হয়ে এক নয়া রেকর্ড গড়েন। মোট ৩১৩ কেজি ওজন তুলে ইতিহাস গড়েন বঙ্গসন্তান। অন্যদিকে, ভারতের মাত্র ১৯ বছর বয়সি তরুণ ওয়েট লিফটার জেরেমি লালরিনুঙ্গা কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জয় করেন পুরুষদের ৬৭ কিলোগ্রাম ওজন বিভাগে। তিনি স্ন্যাচ বিভাগে সবথেকে বেশি ১৪০ কিলোগ্রাম ওজন তুলেছেন। ক্লিন অ্যান্ড জার্ক বিভাগে তিনি ১৬০ কিলোগ্রাম ওজন তোলেন।

    যুব অলিম্পিকে সোনার পদক জয় করেছিলেন জেরেমি। এবার তাঁর লক্ষ্য প্যারিস অলিম্পিক। কিন্তু সমস্যা অলিম্পিকে ৬৭ কেজি বিভাগটি নেই। জেরেমিকে লড়তে হবে ৭৩ কেজি বিভাগে। যেখানে যেতে গেলে বিশ্ব ভারোত্তলন চ্যাম্পিয়নশিপে  জেরেমির লড়াই হবে অচিন্ত্যর সঙ্গে। অচিন্ত্য ৭৩ কেজি বিভাগেই খেলেন। চলতি বছরের নভেম্বরে কলম্বিয়ায়  বসবে বিশ্ব ভারোত্তলন চ্যাম্পিয়নশিপের আসর। সেখানকার ফলাফলের উপর ভিত্তি করেই নির্ধারিত হবে কে প্যারিসের বিমানে উঠবেন। 

    আরও পড়ুন: মায়ের ছেঁড়া শাড়িতেই নিরাপদ সোনাজয়ীর পদক! জানেন অচিন্ত্যকে কী বললেন মা

    কমনওয়েলথে জয়ের পরই অচিন্ত্য বলেন, ”আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি, যখন পোডিয়ামে ভারতের তেরঙা সবার উপরে উঠেছে। জাতীয় সঙ্গীত বেজেছে। প্যারিস অলিম্পিক্সে এ রকমই সাফল্য তুলে আনাই এখন আমার পাখির চোখ।” অচিন্ত্য জানান, এই লক্ষ্য পূরণ করার জন্য কোনওভাবেই উৎসবে ডুব দেবেন না তিনি। কিছুদিনের মধ্যেই পুনেতে গিয়ে জাতীয় অ্যাকাডেমিতে যোগ দেবেন। নেমে পড়বেন প্র্যাক্টিসে।”

    জেরেমিও এখন আইজলে নিজের বাড়িতে রয়েছেন। আগামী সপ্তাহেই জাতীয় শিবিরে যোগ দেবেন তিনি। জেরেমি বলেন, “বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অন্য বিভাগে খেলতে নামবেন তিনি। তাই আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। একটুও সময় নষ্ট না করে নিজের সেরাটা দেওয়াই লক্ষ্য তাঁর।”

  • Chief Justice of India: উত্তরসূরির নাম সুপারিশ করলেন এনভি রমানা, কে হবেন প্রধান বিচারপতি?   

    Chief Justice of India: উত্তরসূরির নাম সুপারিশ করলেন এনভি রমানা, কে হবেন প্রধান বিচারপতি?   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে সরকারের কাছে বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের (UU Lalit) নাম সুপারিশ করলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি এনভি রমানা (NV Ramana)। রমানা অবসর নেবেন চলতি মাসের ২৬ তারিখে। তাই তাঁর উত্তরসূরির নামের সুপারিশ চেয়ে চিঠি পাঠানো হয় ভারতের প্রধান বিচারপতিকে (CJI)। সেই চিঠির জবাবেই বিচারপতি ললিতের নাম সুপারিশ করেন রমানা।

    প্রথা অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের সব চেয়ে প্রবীণ বিচারপতিই বসেন প্রধান বিচারপতির চেয়ারে। সেই মতো ললিতই হলেন রমানার পরে সব চেয়ে প্রবীণ বিচারপতি। রমানার প্রস্তাব  আইনমন্ত্রী অনুমোদন করলে দেশের ৫৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেবেন ললিত। তবে এই পদে তিনি থাকবেন মাত্র ৭৪ দিন। ওই পদে তাঁকে বসানো হলে অবসর গ্রহণের দিন হবে ৮ নভেম্বর। তাঁর পরে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ওই পদে বসার কথা।

    আরও পড়ুন : ভোটারদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় অর্থনীতি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    প্রসঙ্গত, বিচারপতি হিসেবে ললিতই হবেন দেশের দ্বিতীয় প্রধান বিচারপতি যিনি বার কাউন্সিল থেকে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে যাবেন। তাঁর আগে এভাবে প্রধান বিচারপতির পদ অলঙ্কৃত করেছিলেন বিচারপতি এসএম সিক্রি। ১৯৭১ সালের জানুয়ারি মাসে দেশের ১৩তম প্রধান বিচারপতি পদে বসেছিলেন।

    আইনজীবী হিসেবে বম্বে হাইকোর্টে প্র্যাকটিস শুরু করেন ললিত। পরে চলে আসেন দেশের শীর্ষ আদালতে। এখানেই একের পর এক সাড়া জাগানো মামলায় অংশ নেন তিনি। সিবিআইয়ের হয়ে টু-জি স্পকট্রাম মামলায় স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর হয়েছিলেন ললিত। ২০১৪ সালের ১৩ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করা হয় ললিতকে। তাঁর বাবা বিচারপতি ইউআর ললিত ছিলেন প্রবীণ অ্যাডভোকেট এবং দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি। তাঁর উল্লেখযোগ্য রায়গুলি মধ্যে রয়েছে তিন তালাককে অসাংবিধানিক ঘোষণা। অযোধ্যার বাবরি মসজিদ মামলা থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। বম্বে হাইকোর্টের বিতর্কিত স্কিন টু স্কিন রায় খারিজ করে দেন ললিতের বেঞ্চ।

    আরও পড়ুন : উপাসনাস্থল আইনের বিরোধিতায় নতুন কোনও আবেদন নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

  • Tricolour Hoisting Rule: জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সঠিক নিয়ম জানেন তো? মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলি

    Tricolour Hoisting Rule: জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সঠিক নিয়ম জানেন তো? মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার (Independence) ৭৫ বছর উপলক্ষ্যে এবার দেশের পতাকা (Flag) নিয়মে (Rule) বিরাট পরিবর্তন করেছে ভারত সরকার। আগে সূর্যোদয়ের পর পতাকা উত্তোলন করা হত আর সূর্যাস্তের আগেই সেই পতাকা নামিয়ে নিতে হতো। এবার ২৪ ঘণ্টাই আকাশে পতাকা ওড়াতে পারবেন আপনি। আগে ভারতের জাতীয় পতাকা শুধুমাত্র খাদির কাপড় দিয়ে তৈরি হত। কিন্তু এবার থেকে সুতি, উল, সিল্ক, হাতে তৈরি বা মেশিনে তৈরি এই সব পতাকা উত্তোলনেরই অনুমতি দিয়েছে ভারত সরকার।  

    আরও পড়ুন: প্রোফাইলে তেরঙ্গা! নিজে ছবি বদল করে সকলকে এই কর্মসূচিতে আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    স্বাধীনতা দিবসের দিন অনেকেই নিজের বাড়িতে পতাকা উত্তোলন করে থাকেন। কিন্তু পতাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে মেনে চলতে হবে বেশ কিছু নিয়ম।

    আরও পড়ুন: হর ঘর তিরঙ্গা আন্দোলনে অংশ নিন, মন কি বাতে অনুরোধ মোদির   

    জেনে নিন সেই নিয়মগুলি কী কী? 

    • জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় সবসময় মনে রাখতে হবে যে, জাতীয় পতাকার কোনওভাবেই যেন অবমাননা না হয়। ছেড়া বা নোংরা পতাকা উত্তোলন করা যাবে না।  
    • জাতীয় পতাকা দিয়ে কোনও ব্যক্তি বা বস্তুকে অভিবাদন জানানো উচিত নয়।
    • তেরঙ্গার সমান উচ্চতায় বা বেশি উচ্চতায় অন্য কোনও পতাকা রাখা যাবে না।
    • ফুল, মালা বা অন্য কোনও বস্তু, যেখান থেকে পতাকাটি ওড়ানো হয়, সেই ফ্ল্যাগমাস্টের উপরে রাখা উচিত নয়। 
    • পতাকা ফেস্টুন, রোসেট, বান্টিং বা অন্য কোনওভাবে সাজসজ্জার জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়।
    • জাতীয় পতাকা মাটিতে বা মেঝেতে বা জলে রাখা যাবে না।
    • অন্য কোনও পতাকার সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যাবে না।
    • জাতীয় পতাকাকে কোমরের নীচে পোশাক বানিয়ে পরা যাবে না। জাতীয় পতাকার ওপর কোনও কারুকার্য করা যাবে না। 
    • জাতীয় পতাকার ওপর কোনও লেখা থাকবে না। জাতীয় পতাকা দিয়ে কোনও গাড়ির ওপর, নীচ বা পেছন দিক আবৃত করা যাবে না।  

     

  • Arpita Chatterjee: “আমার অনুপস্থিতিতে ঘরে…”, এবার মুখ খুললেন অর্পিতা, করলেন বিস্ফোরক অভিযোগ

    Arpita Chatterjee: “আমার অনুপস্থিতিতে ঘরে…”, এবার মুখ খুললেন অর্পিতা, করলেন বিস্ফোরক অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) মুখে বলতে শোনা গিয়েছিল, “টাকা আমার নয়…।” রবিবার জোকা ইএসআই (Joka ESI) হাসপাতালের সামনে এই মন্তব্য করেছিলেন এসএসসি কাণ্ডে (SSC scam) ইডি-র (ED) হাতে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূলের (TMC) সাসপেন্ডেড নেতা। এবার মঙ্গলবার, মুখ খুললেন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। আর প্রথমেই করে বসলেন বিস্ফোরক অভিযোগ। 

    আদালতের নির্দেশে এদিন নিয়মমাফিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পার্থ-অর্পিতাকে নিয়ে আসা হয়েছিল জোকা ইএসআই হাসপাতালে। সেখানেই মুখ খোলেন তিনি। এতদিন মুখ না খুললেও, প্রকাশ্যে কাঁদতে ও হাত-পা ছুড়তে দেখা গিয়েছে অর্পিতাকে। কিন্তু, এদিন তিনি বললেন, ‘আমার অনুপস্থিতিতে টাকা ঢোকানো হয়েছে’। 

    আরও পড়ুন: পার্থ-অর্পিতার পর এবার কাকে জেরা করতে চলেছে ইডি, জানেন?

    এদিন সাংবাদিকরা অর্পিতার উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, টাকা কার? জবাবে তিনি বলেন, “এই টাকা আমার নয়। আমার অনুপস্থিতিতে এবং আমার অজান্তে এই টাকা ঘরে ঢোকানো হয়েছে।” অর্থাৎ তাঁর ডায়মন্ড সিটি ও বেলঘরিয়ার ক্লাব টাউনের ফ্ল্যাট থেকে যে টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়েছে তা তাঁর অজ্ঞাতসারে সেখানে কেউ বা কারা ঢুকিয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ করলেন অর্পিতা।

    এর আগে জেরা চলাকালীনও অর্পিতা একই কথা জানিয়েছিলেন। ইডি সূত্রের খবর, অর্পিতা জানিয়েছিলেন, বন্ধ ঘরে প্রবেশাধিকার ছিল না তাঁর। উল্লেখ্য, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ২১ কোটি টাকা। আর বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে ২৯ কোটি টাকা এবং সোনা পেয়েছে ইডি।

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের হয়ে প্রচার অর্পিতার, প্রকাশ্যে ছবি, এর পরেও অস্বীকার করবে শাসক দল?

    আগের দিন যখন জোকা ইএসআই হাসপাতালে পার্থবাবুকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেই সময়ে টাকার ব্যাপারে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, ‘আমার টাকা নয়।’ এবার একই কথা বললেন অর্পিতাও। অর্থাৎ, দু’জনের দু’দিনের বয়ান অনুযায়ী, অর্পিতার ফ্ল্যাটে উদ্ধার হওয়া টাকা পার্থর নয়, অর্পিতারও নয়। এখন প্রশ্ন হল, তাহলে টাকাটা কার? যদিও, সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের কোনও উত্তর এদিন দেননি অর্পিতা।

  • Commonwealth Games 2022: কমনওয়েলথ গেমসে জোড়া সোনা ভারতীয় পুরুষ টিটি, মহিলা লন বল দলের

    Commonwealth Games 2022: কমনওয়েলথ গেমসে জোড়া সোনা ভারতীয় পুরুষ টিটি, মহিলা লন বল দলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসে (Birmingham Commonwealth Games 2022) ভারতের পদকের ধারা অব্যাহত পঞ্চম দিনেও। মঙ্গলবার টিম ইভেন্টে জোড়া সোনা জয় করল ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা। একদিকে, টেবিল টেনিস টিম ফাইনালে সিঙ্গাপুরকে হারিয়ে সোনা জিতল ভারতীয় পুরুষ টিটি দল। অন্যদিকে, লন বল টিম ইভেন্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে স্বর্ণপদক জয় করল ভারতের মহিলা দল। এর পাশাপাশি, ভারোত্তোলনে ভারতকে আরেকটি পদক এনে দিলেন বিকাশ ঠাকুর (Vikas Thakur)। ২৮ বছর বয়সি ভারতীয় ৯৬ কেজি বিভাগে রুপো জিতলেন। এর আগে, ভারোত্তোলনে ভারতকে ব্রোঞ্জ পদক এনে দেন হারজিন্দর কৌর (Harjinder Kaur)।

    টেবিল টেনিসে শরথ কমলের নেতৃত্বাধীন দল এদিন ফাইনালে সিঙ্গাপুরকে ৩-১ সেটে হারিয়ে জয় করে ভারত। ভারতকে দুর্দান্ত শুরু দেন হরমীত দেসাই এবং জি সাথিয়ান। যদিও এরপর হতাশ করেন শরথ কমল। সিঙ্গলসে ১-৩ ব্যবধানে হেরে যান তিনি। তবে এরপর সাথিয়ান এবং হরমীত তাঁদের সিঙ্গলস ম্যাচ জিতে দলকে ৩-১ ব্যবধানে জয় এনে দেন। এই নিয়ে পরপর ২টি কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জিতলেন ভারতীয় পুরুষ প্যাডলাররা। এর আগে, চার বছর আগে, গোল্ড কোস্ট সংস্করণেও সোনা জিতেছিল ভারতীয় দল। 

    আরও পড়ুন: আশা করি এবার একটা সিনেমা দেখার সময় পাবে! অচিন্ত্যর প্রশংসায় মোদি

    টেবিল টেনিসে ভারতীয় পুরুষ দল যেমন দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে, ঠিক তেমনই সোনা ঘরে তুললেন ভারতের মহিলা লন বল দল। যেই দেশে একটি স্পোর্টস পুরো অচেনা সেই স্পোর্টস থেকেই সোনা ঘরে আনলেন চার মহিলা। মহিলাদের লন ফোরস ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) বিরুদ্ধে ফাইনালে খেলতে নেমেছিল ভারতীয় মহিলা লন বল দল (Womens Lawn Bowl Team)। সেখানেই সোনা জয় ভারতের মেয়েদের। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ফাইনালে ১৭-১০ ব্যবধানে হারিয়ে দেয় লাভলি চৌবে (Lovely Choubey), পিঙ্কি (Pinki), নয়নমণি শইকিয়া (Nayanmoni Saikia) ও রূপা রানি তিরকেরা (Rupa Rani Tirkey) নিয়ে গঠিত ভারতীয় টিম।

    এর আগে, মঙ্গলবার ভোররাতে (ভারতীয় সময়) ভারোত্তোলনের ৭১ কেজি বিভাগে ব্রোঞ্জ পদক জিতলেন হারজিন্দর। হারজিন্দর ‘স্ন্যাচ’-এ ৯৩ কেজি ও ‘ক্লিন অ্যান্ড জার্ক’-এ ১১৯ কেজি, মোট ২১২ ভারোত্তোলন করে ব্রোঞ্জ জিতলেন।  মীরাবাই চানু, জেরেমি লালরিনুনগা, অচিন্ত্য শিউলির স্বর্ণপদকসহ, মোট ছয়টি পদক আগেই এসেছিল ভারোত্তোলন থেকে। এবার হারজিন্দর কৌর (Harjinder Kaur) ভারোত্তোলনে ভারতকে সপ্তম পদক এনে দিলেন।

    এদিন সন্ধ্যায়, ভারোত্তোলনে ভারতকে অষ্টম পদক এনে দিলেন বিকাশ ঠাকুর (Vikas Thakur)। ২৮ বছর বয়সি ভারতীয় ৯৬ কেজি বিভাগে রুপো জিতলেন। ‘স্ন্যাচ’-এ ১৫৫ কেজি ও ‘ক্লিন অ্যান্ড জার্ক’-এ ১৯১ কেজি, মোট ৩৪৬ কেজি ভারোত্তোলন করে দ্বিতীয় হলেন বিকাশ ঠাকুর। ভারতের মোট পদক সংখ্যা পৌঁছল ১২-তে। অবশ্য এই প্রথম নয়, বিকাশ ঠাকুর এর আগের দুই কমনওয়েলথে গেমসেও পদক জিতেছিলেন। ২০১৪ সালে গ্লাসগোয় তিনি রুপো জিতেছিলেন। চার বছর আগে গোল্ড কোস্টে এসেছিল ব্রোঞ্জ। এবার ফের ব্রোঞ্জ জিতলেন ভারতীয় ভারোত্তলক। 

  • Vice President Poll: উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ের পথে এগিয়ে ধনখড়, কেন জানেন?   

    Vice President Poll: উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ের পথে এগিয়ে ধনখড়, কেন জানেন?   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার সকাল ১০টায় শুরু হয়েছে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Vice President Poll)। গত মাসেই হয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (President Poll)। দেশের বিজেপি বিরোধী সতেরটি দলের সম্মিলিত প্রার্থী তৃণমূলের (TMC) প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট যশবন্ত সিনহাকে হারিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন এনডিএ প্রার্থী বিজেপির দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। উপরাষ্ট্রপতি পদে বিরোধীদের বাজি কংগ্রেসের (Congress) মার্গারেট আলভা (Margaret Alva)। আর বিজেপির (BJP) প্রার্থী হয়েছেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। মার্গারেটের চেয়ে জয়ের পথে ধনখড় অনেকটাই এগিয়ে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বস্তুত ধনখড়ই হতে চলেছেন দেশের পরবর্তী উপরাষ্ট্রপতি। নির্বাচনের আগের দিন আলভা ভোটারদের কাছে বিবেক ভোট দেওয়ার আবেদন জানান। তিনি বলেন, উপরাষ্ট্রপতি পদে ভোট হবে গোপন ব্যালটে। বিবেকের ডাকে সাড়া দিয়ে ভোট দেওয়ার আর্জি জানান আলভা।

    রাষ্ট্রপতি পদে যেমন সাংসদদের পাশাপাশি ভোট দেন বিধায়করাও, উপরাষ্ট্রপতি পদে তা হয় না। এখানে ভোট দেন কেবল সাংসদরা। সংসদের দুই কক্ষের ৭৭৮ জন সদস্য ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন দেশের পরবর্তী উপরাষ্ট্রপতি। ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হয়েছে সকাল ১০টায়। শেষ হবে বিকেল ৫টায়। যিনি জয়ী হবেন, তিনি শপথ নেবেন ১১ অগাস্ট।

    আরও পড়ুন : উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও এনডিএ প্রার্থী জগদীপ ধনখড়কে সমর্থন মায়াবতীর

    রাজনৈতিক মহলের মতে, উপরাষ্ট্রপতি পদে ধনখড়ের জয় স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। সংবিধান বিশেষজ্ঞ হিসেবে তাঁর নাম ডাক রয়েছে দেশে। এক সময় সুপ্রিম কোর্টেও প্র্যাকটিস করতেন নিয়মিত। সামলেছেন বাংলার রাজ্যপালের দায়িত্বও। এহেন ধনখড়কে প্রার্থী করে চমক দিয়েছিল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের এমন ‘ওজনদার’ প্রার্থীকে সমর্থন করেছিন এনডিএর বাকি সব দলও। এছাড়াও জনতা দল (ইউনাইটেড), ওয়াইএসআরসিপি, এআইএডিএমকে, অকালি দল এবং শিবসেনার শিন্ডে শিবিরের সমর্থন রয়েছে ধনখড়ের সঙ্গে। মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টি এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপিও ধনখড়কে সমর্থন করছেন। এঁদের সম্মিলিত সাংসদ ৮১ জন। যার জেরে ধনখড় পেতে পারেন ৫২৭টি ভোট। যদিও ভোটে জেতার জন্য প্রয়োজন ৩৭২টি ভোট। মোট ভোটের ৭০ শতাংশ পেতে পারেন তিনি। প্রসঙ্গত, লোকসভার সদস্য সংখ্যা ৫৪৩। রাজ্যসভার সংসদ রয়েছেন ২৪৫ জন। রাজ্যসভায় ৮টি আসন শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে এনডিএর সদস্য সংখ্যা ৪৪১। তার মধ্যে বিজেপিরই রয়েছেন ৩৯৪ জন।  

    আরও পড়ুন :স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তেরঙ্গা শাড়ি পরে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ দ্রৌপদী মুর্মুর

    এই যদি হয় এনডিএ শিবিরের ছবি, তবে বিরোধী প্রার্থী আলভার অবস্থা তুলনায় ম্লান। তাঁর পাশে রয়েছে কেবল কংগ্রেস, আপ, মিম, টিআরএস এবং জেএমকে। শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের ভোটও পাবেন তিনি। আলভা কমবেশি ২০০ আসন পেতে পারেন। শতাংশের হিসেবে যা দাঁড়ায় ২৬। উপরাষ্ট্রপতি পদে ভোট দানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, রাষ্ট্রপতি পদে মুখ পোড়ার পর উপরাষ্ট্রপতি পদে ফের একবার কলঙ্ক গায়ে মাখতে চায়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। লোকসভায় তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা ২৩, রাজ্যসভায় ১৬। তৃণমূলের দুই সাংসদ শিশির অধিকারী ও তাঁর ছেলে দিব্যেন্দুকেও চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে দলীয় সিদ্ধান্ত।

     

  • RBI Hikes Repo Rate: ফের রেপোরেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাংক, কত হল জানেন?    

    RBI Hikes Repo Rate: ফের রেপোরেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাংক, কত হল জানেন?    

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রেপোরেট (Repo Rate) বাড়াল দেশের শীর্ষ ব্যাংক (Reserve Bank)। রেপোরেট বেড়েছে ৫০ বেসিস পয়েন্ট। শুক্রবার এই ঘোষণা করেন রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das)। রেপোরেট বাড়ানোয় মুদ্রাস্ফীতি অনেকটাই বাড়ানো যাবে বলে দাবি তাঁর। রেপোরেট বাড়ানো হলেও দেশের জিডিপি গ্রোথ (GDP Growth) ৭.২ শতাংশই থাকছে।  

    গত জুন মাসে একবার রেপোরেট বাড়িয়েছিল রিজার্ভ ব্যাংক (RBI)। তারপর বাড়ল এবার। এদিন রিজার্ভ ব্যাংকের মানিটারি পলিসি বৈঠক বসেছিল। ছয় সদস্যের কমিটির প্রধান ছিলেন শক্তিকান্ত দাস। তার পরেই জানান, দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেই রেপোরেট বাড়ানো জরুরি। সেই কারণেই রেপোরেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের শীর্ষ ব্যাংক।

    এদিন গভর্নর বলেন, পরপর তিনবার রেপোরেট বাড়ানোর নেপথ্যে রয়েছে মূল্যবৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা। চলতি বছরের মে মাসে প্রথম বাড়ানো হয় রেপোরেট। ফের বাড়ানো হয় জুনে। তখনই তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অগাস্ট মাসে বাড়তে পারে রেপোরেট। সেই মতো শুক্রবার রেপোরেট বাড়ানো হল ৫০ বেসিস পয়েন্ট। রেপোরেট বাড়ানো হলেও, জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭.৪ শতাংশই রেখেছে রিজার্ভ ব্যাংক। ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধি ৬.৭ শতাংশ হতে পারে বলেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে এদিন।

    আরও পড়ুন : দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    রেপোরেট বেড়ে যাওয়ার সুদের বোঝা বাড়বে। তবে দেশের শীর্ষ ব্যাংকের শীর্ষ কর্তার দাবি, রেপোরেট বাড়ানোয় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে মুদ্রাস্ফীতি। ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষের জন্য মুদ্রাস্ফীতির হার ৬.৭ শতাংশ হবে বলেও দাবি রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নরের। তাঁর দাবি, ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে সেটা আরও কমে ৫ শতাংশে চলে আসবে বলেও দাবি শক্তিকান্ত দাসের। রেপোরেট বাড়ায় সেনসেক্স ৮৯ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ৫৮ হাজার ৩৮৭। নিফটি ছুঁল ১৭ হাজার ৩৯৭।  

    প্রসঙ্গত, রিজার্ভ ব্যাংক যে হারে অন্য ব্যাংককে ঋণ দেয়, তাই হল রেপো রেট। রেপোরেটের বেসিস পয়েন্ট বেড়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে ঋণ গ্রহীতাদের ওপর সুদের বোঝা।

    আরও পড়ুন : ৪০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট বাড়ানোর ঘোষণা আরবিআই-এর, শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধস

LinkedIn
Share