Blog

  • Virat Kohli: সামনে এবার শুধুই ক্রিকেটের ঈশ্বর! সচিনকে টপকে শীর্ষস্থান দখল করতে পারবেন বিরাট?

    Virat Kohli: সামনে এবার শুধুই ক্রিকেটের ঈশ্বর! সচিনকে টপকে শীর্ষস্থান দখল করতে পারবেন বিরাট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত মিলেছিল এশিয়া কাপের (Asia Cup) মঞ্চে। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সমালোচকদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছিলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম দু’টি টি-২০ ম্যাচে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স মেলে ধরতে না পারায় ফের তিনি সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছিলেন। কিন্তু চাপের মুখে জ্বলে ওঠাই নেশা কোহলির। হায়দরাবাদে তৃতীয় টি-২০ ম্যাচে ভারতের জয়ের অন্যতম কাণ্ডারি বিরাট। ৪৮ বলে করলেন অনবদ্য ৬৩। সূর্যকুমার যাদরে সঙ্গে জুটিতে যোগ করেন ১০৪ রান। যার সুবাদে ১৮৬ রান করতে নেমে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের কড়ি জোগাড় করে নেয় ভারত। 

    আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ জিততে না পারার আক্ষেপ নিয়ে ক্রিকেটকে বিদায় ঝুলনের

    বিরাট শুধু হাফ-সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তাই নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে (International Cricket) সবচেয়ে বেশি রান করার তালিকায় ভারতীয় হিসেবে তিনি উঠে এলেন দ্বিতীয় স্থানে। পিছনে ফেললেন ভারতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে (Rahul Dravid)। কোহলির সামনে এখন শুধু মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar)। এখন দ্রাবিড়ের থেকে ১৪ রান বেশি বিরাট কোহলির। ৪৭১টি ম্যাচে ২৪০৭৮ রান করে ফেলেছেন কোহলি। গড় ৫৩.৬২। হাঁকিয়েছেন ৭১টি শতরানও। অন্যদিকে ৫০৪টি ম্যাচ খেলে রাহুল দ্রাবিড়ের ঝুলিতে ২৪০৬৪ রান। তাঁর ব্যাটিং গড় ৪৫.৫৭। আন্তর্জাতিক ক্রকেটে ৪৮টি শতরান রয়েছে দ্রাবিড়ের। তালিকায় সচিন তেন্ডুলকর অনেকটাই এগিয়ে। ৬৬৪টি ম্যাচে মাস্টার ব্লাস্টার করেছেন ৩৪৩৫৭ রান। ১০০টি শতরানের মালিক তিনি। ব্যাটিং গড় ৪৮.৫২। তালিকায় চতুর্থ স্থানে বিসিসিআই সভাপতি তথা প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। ৪২১টি ম্যাচে ৪১.৪২ গড়ে ১৮৪৩৩ রান করেছেন। ৩৮টি শতরানও রয়েছেন সৌরভের। ভারতের সর্বকালের অন্যতম সফল অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি (Dhoni) রয়েছেন পঞ্চম স্থানে। ৫৩৫টি ম্যাচ খেলে মাহির সংগ্রহ ১৭০৯২ রান। ব্যাটিং গড় ৪৪.৭৪। ১৫টি শতরানও তাঁর নামের পাশে লেখা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারি-মার্চেই দেশের মাটিতে মহিলাদের আইপিএল! ইঙ্গিত বিসিসিআই সভাপতির

    এখন প্রশ্ন হল, বিরাট কোহলি কি পারবেন সচিন তেন্ডুলকরকে টপকে শীর্ষ স্থান দখল করতে? কথায় বলে, রেকর্ড তৈরি হয় ভাঙার জন্যই। তবে এটা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট যে, সচিনকে টপকাতে হলে কোহলিকে আগামী কয়েক বছর জীবনের সেরা ফর্মে ব্যাট করতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Maharashtra: গরবা নাচতে গিয়ে মৃত্যু যুবকের, ছেলের শোকে প্রাণ হারালেন বাবাও

    Maharashtra: গরবা নাচতে গিয়ে মৃত্যু যুবকের, ছেলের শোকে প্রাণ হারালেন বাবাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মাঝেই মর্মান্তিক ঘটনা। মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার ভিরার শহরে একটি গরবা অনুষ্ঠানে নাচতে গিয়ে ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ভিরার পুলিশের একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, শনিবার ও রবিবার মধ্যরাতে ভিরারের গ্লোবাল সিটি কমপ্লেক্সে একটি গরবা অনুষ্ঠানে নাচতে গিয়ে মণীশ নারাপজি সোনিগ্রা হঠাৎ পড়ে যান। ওই ব্যক্তিতে তাঁর ৬৬ বর্ষীয় বাবা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মৃত্যুর খবর পেয়ে ওই ব্যক্তির বাবাও ঘটনাস্থলেই মারা যান। তাঁর নাম নরপত সোনিগ্রা। 

    আরও পড়ুন: বায়ুসেনার হাতে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হেলিকপ্টার ‘প্রচণ্ড’

    শনিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে। নরপত সোনিগ্রার ছেলে রাহুল এবং ভাই নাগরাজ হরকচাঁদ সোনিগ্রা বলেন, শোকাহত পরিবারটি রাজস্থানের মারুধর থেকে এসেছে এবং তারা গডওয়াদ ওসওয়াল জৈন সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত রবিবার সন্ধ্যায় ভিরার শহরে মৃত পিতা-পুত্রের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। পুলিশ এই বিষয়ে একটি দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Durga Puja 2022: দশমীর দিন মা দুর্গাকে কেন বিসর্জন দেওয়া হয় জানেন?

    Durga Puja 2022: দশমীর দিন মা দুর্গাকে কেন বিসর্জন দেওয়া হয় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্ম বিশ্বাস অনুসারে মানুষের দেহ আকাশ, বায়ু, অগ্নি, জল ও মাটি এই পাঁচ উপাদান দিয়ে তৈরি। একই ভাবে পাঁচ উপাদান দিয়েই তৈরি হন প্রতিমাও। মাটির মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করার পর তাকে প্রতিমা বলে। পুজো শেষে বিদায় বেলায় আমার সেই মূর্তি আবার প্রাণহীন হয়ে পড়ে। আর সেই মূর্তিকে আবার পঞ্চতত্ত্বে বিলীন করতেই, বিসর্জনের রেওয়াজ রয়েছে। প্রতিমা পুজোর শেষ ধাপ হল বিসর্জন (Durga Visarjan)। পুজো শেষে প্রতিমাকে জলে বিসর্জন দিয়ে আবার প্রকৃতিতে পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সনাতন ধর্মে শুরু থেকেই গঙ্গা জলে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার রীতি প্রচলিত আছে। হিন্দু শাস্ত্রবিদদের মতে, আমাদের হৃদয়ে যে নিরাকার ঈশ্বর রয়েছেন, উপাসনার জন্য মাটির প্রতিমা তৈরি করে তাকে সাকার রূপ দেওয়া হয়। পুজোর শেষে পুনরায় সেই সাকার রূপকে বিসর্জন দিয়ে নিরাকার ঈশ্বরকে হৃদয়ে ফিরিয়ে আনা হয়। সেই কারণেই দুর্গা পূজার সময় যখন প্রতিমা বিসর্জন দিয়ে পরের বছর আবার আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়।          

    ‘দশমী’ কথাটির মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে বিদায় বেলার যন্ত্রণার। আরও এক বছরের অপেক্ষা। দুর্গা পুজোর আনন্দে তাল কাটে এই দশমীতেই। বাঙালিদের কাছে মা দুর্গা ঘরের মেয়ে। আর ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরলে যেমন আনন্দ উপচে পড়ে, ঠিক সেভাবেই ফেরার সময় মন খারাপের সুর বাজে সানাইয়ে। বিজয়া দশমী সেই ভেজা চোখে বাঙালি বিদায় জানায় তার ঘরের মেয়ে উমাকে। ওই দিনই শশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন উমা। এই দিন বনেদি বাড়ির পুজোর পাশাপাশি বারোয়ারি পুজোতেও বাড়ির মহিলারা একে একে বরণ করেন প্রতিমাকে। তার পর চলে মহিলাদের সিঁদুর খেলা। কিছু বনেদী বাড়িতে প্রথা মেনে দেওয়া হয় কনকাঞ্জলি। এর পর প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হয় গঙ্গার ঘাটে সেখানে নৌকোতে চেপে বিসর্জন দেওয়া হয়। করোনা কালে ঠাকুর দেখানোর রীতিতে কাঁটছাট করা হয়েছে।           

    দশমীকে ‘বিজয়া’ বলার পিছনে পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে। পুরাণের মহিষাসুর বধ কাহিনীতে বলা হয়েছে, মহিষাসুরের সঙ্গে ৯ দিন ৯ রাত্রি যুদ্ধ করার পর দশম দিনে তাঁর বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করেছিলেন দেবী দুর্গা। তাই তাকে ‘বিজয়া’ বলা হয়। এছাড়াও শ্রীশ্রীচণ্ডী কাহিনী অনুসারে, দেবীর আবির্ভাব হয় আশ্বিন মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশীতে। পরে শুক্লা দশমীতে মহিষাসুর বধ করেছিলেন তিনি। তাই বিজয়াকে দশমী বলা হয়। 

    উত্তর ও মধ্য ভারতে এই দিনে দশেরা উদযাপিত হয়। তবে তার তাৎপর্য সম্পূর্ণ আলাদা। ‘দশেরা’ শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত শব্দ ‘দশহর’ থেকে। যার অর্থ দশানন রাবণের মৃত্যু। বাল্মীকি রামায়নে বলা হয়েছে, আশ্বিন মাসের ৩০ তম দিনে অযোধ্যা প্রত্যাবর্তন করেন রাম, সীতা, ও লক্ষণ। রাবণ বধ ও রামচন্দ্রের এই প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যেই যথাক্রমে দশেরা ও দীপাবলি পালন করা হয়ে থাকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mohan Bhagwat: মোহন ভাগবতের সঙ্গে মুসলিম সম্প্রদায়ের আলোচনা কতটা তাৎপর্যের?

    Mohan Bhagwat: মোহন ভাগবতের সঙ্গে মুসলিম সম্প্রদায়ের আলোচনা কতটা তাৎপর্যের?

    শাহাবুদ্দিন ইয়াকুব কুরেশি: যেই না মুসলিম সম্প্রদায়ের পাঁচজন সদস্য আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat) সঙ্গে ২২ অগাস্ট সাক্ষাৎ করেছেন, তার পর থেকে নানা ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। যে পাঁচজন ভাগবতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন তাঁরা হলেন দিল্লির প্রাক্তন লেফটেনেন্ট গভর্নর নাজীব জং, সাংবাদিক শাহিদ সিদ্দিকি, হোটেলিয়ার সঈদ শেরভানি, লেফটেনেন্ট জেনারেল জামিরউদ্দিন শাহ এবং এই লেখক। 

    আমাদের এই পাঁচজনের এহেন উদ্যোগের ব্যাখ্যা আমি দেব। আমরা এই পাঁচজন— আমাদের মধ্যে একটা উদ্বেগ রয়েছে। আর সেই উদ্বেগের কারণ মুসলিম সম্প্রদায়ের নিরাপত্তাহীনতা। একইসঙ্গে এই বিশ্বাস যে আলোচনার মাধ্যমেই একমাত্র সমস্যার সমাধান সম্ভব। যেই না ভাগবতের সঙ্গে বৈঠকের খবরটি ছড়িয়ে পড়েছে, আমরা অসংখ্য মেসেজ পেয়েছি। এঁদের মধ্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ যেমন রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন অ-মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষও। 

    আমরা অনেক সমালোচনা মূলক মন্তব্যও পেয়েছি। যেমন, প্রশ্ন তোলা হয়েছে যে, মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকার কে আমাদের দিয়েছে। কেউ কেউ আবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্য একটি সাম্প্রদায়িক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাচ্ছি ভেবে। এতে আমাদের ভাবমূর্তি কলঙ্কিত হতে পারে। কেউ কেউ আবার ফাঁদে পড়ে যাচ্ছি ভেবে সতর্ক করে দিয়েছেন। তবে, কথপোকথনই যে একমাত্র পথ, তা নিয়ে কেউ সন্দেহ প্রকাশ করেননি। এঁদের প্রত্যেকের কণ্ঠেই শোনা গিয়েছে একই সুর। তা হল, কথপোকথনই একমাত্র এগিয়ে চলার পথ।

    আমাদের একাধিকবার প্রশ্ন করা হয়েছে, যে এই কথোপকথন চালিয়ে কী হাসিল করলাম। এই বৈঠক করতে কে উৎসাহ জুগিয়েছিল? ইদানিং যেসব চলছে, তা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ, বিশেষত মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন যে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন নানা ঘটনার জেরে বিশেষত উন্মত্ত হিন্দুত্ববাদীদের হাতে নিরীহদের গণধোলাইয়ের শিকার হওয়া, এবং সমাজের প্রতিক্ষেত্রে এই সম্প্রদায়ের মানুষজনে প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হওয়া। 

    বৈঠকটি কেমন সম্পন্ন হয়েছিল? প্রথমত, আরএসএস প্রধানের সারল্য ও বিনয়ীভাব দেখে আমরা বিস্মিত হয়েছিলাম। তারপর তাঁর সময়ানুবর্তিতা। তিনি ঘড়ি ধরে ১০টার সময় বৈঠকে এসেছিলেন। তাঁর ধৈর্যও ছিল। গভীর মনযোগ দিয়ে ঘণ্টাখানেক ধরে তিনি আমাদের সমস্ত কথা শুনেছেন। এই সময় তিনি আমাদের একবারের জন্যও থামাননি। ভাগবতের সঙ্গে ছিলেন তাঁর সহযোগী কৃষ্ণণ গোপাল। অবশ্যই আমরা উপলব্ধি করতে পারি যে ভাগবত একটি কর্তৃত্বের জায়গা থেকে কথা বলছিলেন। 

    ভাগবতের আচার আচরণ খারাপ লাগেনি। তাঁর আচরণে এমন কিছু ছিল না, যা অস্বস্তিকর বলে মনে হয়। তাঁর মন্তব্যে তিনি তিনটি জিনিসের ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। হিন্দুত্ব একটি পূর্ণতার ধারণা, যাতে সব সম্প্রদায়ের জন্য সমান জায়গা রয়েছে। তিনি আরও বলেছিলেন, দেশ এগোতে পারে কেবলমাত্র তখন, যখন বিভিন্ন সম্প্রদায় ঐক্যবদ্ধ হয়। একটি তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্যে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ভারতীয় সংবিধান পবিত্র এবং গোটা দেশকে তা মেনে চলতে হবে। আরএসএস সংবিধান পরিত্যাগ করতে চাইছে এবং মুসলমানদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করতে চাইছে, এই ভয় দূর করতে চেয়েছিলেন তিনি। 

    তারপর ভাগবত বলেছিলেন, হিন্দুরা দুটি বিষয়ে খুবই সংবেদনশীল। প্রথমটি হল, গরু। আমরা বলেছিলাম মুসলিমরা এটা ভাল মতোই বোঝেন। ভারতের অধিকাংশ জায়গায় গোহত্যা বন্ধ হয়েছে। আইনভঙ্গকারীদের ইতিমধ্যেই আইন মেনে শাস্তিও দেওয়া হয়েছে। যে সব রাজ্যে গোহত্যা নিষিদ্ধ হয়নি, সেখানে মুসলমানদের স্বেচ্ছায় গোমাংস পরিত্যাগ করা উচিত। এটা যদি সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, তবে এটা করা উচিত। 

    আর একটি সংবেদনশীল বিষয়ের উল্লেখ করেন তিনি। সেটা হল হিন্দুদের (Hindu) ‘কাফের’ বলা হয়। আমরা বলেছিলাম আরবি শব্দ কাফের-এর আক্ষরিক অর্থ হল অ-বিশ্বাসী। যদি এটা অপমানজনক হয়, তবে মুসলমানদের এটা পুরোপুরি এড়িয়ে যাওয়া উচিত। খুব সহজ। খুব সম্ভব। কোরানে বলা হয়েছে, আল্লাহ হলেন রাব্বুল আলামিন, রাব্বুল মুসলিমীন নন। বিশ্বজগতের ঈশ্বর, কেবল মুসলমানদের নন। কোরান বলে, তোমার কাছে তোমার ধর্ম, আমার কাছে আমার।

    আমরা তাঁকে বলেছিলাম, একই ভাবে প্রতিটি মুসলমানের কাছে জেহাদি এবং পাকিস্তানি শব্দদুটিও অপমানজনক। এগুলি এখনই বন্ধ হওয়া উচিত বলে তিনি সম্মত হয়েছিলেন। আমরা তাঁকে আরও আলাপ-আলোচনার প্রয়োজন বলে জানিয়েছিলাম। তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তাঁর কোনও সহযোগীর নাম বলুন যাঁর সঙ্গে আমরা আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যেতে পারি। তিনি চারজনের নাম বলেছিলেন। প্রয়োজনে তাঁকেও জানাতে বলেছিলেন। আমি আমার সহকর্মীদের সম্মতিতে ভাগবতকে আমার বই ‘দ্য পপুলেশন মিথ: ইসলাম, ফ্যামিলি প্ল্যানিং অ্যান্ড পলিটিক্স অফ ইন্ডিয়া’ উপহার দিই। 

    বৈঠকে আমি চারটি বিষয়ের উল্লেখ করেছি। এক, মুসলিমদের মধ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সব চেয়ে বেশি বলে যা বলা হচ্ছে, তা অতিরঞ্জিত। তিরিশ বছর আগে হিন্দু এবং মুসলমানের জন্মহারের অনুপাত ছিল ১:১। এখন তা নেমে হয়েছে ০.৩, যেহেতু মুসলমানরা এখন হিন্দুদের চেয়েও দ্রুত ফ্যামিলি প্ল্যানিং করছে। দুই, সাধারণ ধারণার বিপরীতে গিয়ে বলি, মুসলিমদের মধ্যে বহু বিবাহের ঘটনা খুবই কম অন্তত ভারত সরকারের রিপোর্ট এবং সেনসাস অনুযায়ী। তিন, বহুল প্রচলিত বহুবিবাহ ভারতে সম্ভবও নয়। নারী-পুরুষের অনুপাতের কারণেই তা সম্ভব নয়। প্রতি হাজার পুরুষে মহিলার সংখ্যা ৯৪০ জন। যার অর্থ ৬০ জন পুরুষ বউই পাবেন না। এটা শুনে ভাগবত প্রাণখোলা হাসি হেসেছেন। চার, অঙ্কের মডেলেই দেখা যাচ্ছে গত হাজার বছরে মুসলিমরা হিন্দুদের ছাড়িয়ে যেতে পারেননি। আমার অনুরোধে এই মডেল তৈরি করেছিলেন অঙ্কের অধ্যাপক দীনেশ সিং এবং অজয় কুমার। 

    এই বৈঠক নিয়ে মিডিয়া অক্সিজেন পেয়েছে। তাই খবর করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। প্রতিক্রিয়া? দারুণভাবে পজিটিভ। সংরক্ষণ? আরএসএস বদলাবে না। হতে পারে, নাও হতে পারে। সমালোচনা: আমরা তাদের বৈধতা দিচ্ছি। যদিও, বৈধতাদানের প্রয়োজন ওদের নেই। তারা ইতিমধ্যেই পৃথিবীতে বৃহত্তম ও সবচেয়ে শক্তিশালী সংগঠন হয়ে উঠেছে। আর আমরা? এক ঝাঁক অবসরপ্রাপ্ত লোক যাঁরা কর্মজীবনে সফল ছিলাম এবং এখন সমাজ এবং দেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন। 

    আমরা কি গোটা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করছি? আমাদের কেউই নির্বাচিত কিংবা মনোনীত নন। কিন্তু আমরাও এই সম্প্রাদায়ের অংশ। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং পর্যবেক্ষণের জায়গা রয়েছে। এটা আমাদের ব্যক্তিগত উদ্যোগ। আমরা কি এলিটিস্ট? সম্ভবত। কিন্তু আমাদের অভিযোগকারী যাঁরা, তাঁরা রাজপ্রাসাদে বসবাস করেন, যাঁদের বাড়িঘর আমাদের বাড়িঘরের চেয়ে ১০-১৫ গুণ বড়। 
    আমরা অশিক্ষিত নই। আমরা বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন: গণধোলাই, গণহত্যা, ধর্ষণ, অর্থনৈতিক বয়কট, ভোটাধিকার নিয়ে প্রশ্ন, বাড়িঘর এবং চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্য। আমাদের দ্বন্দ্ব: আমরা মিডিয়ার কাছে কতটা এক্সপোজ করব? আমরা প্রথমে তাদের কাছে যেতে চাইনি। কিন্তু যখন তারা অ্যাপ্রোচ করেছিল, তখন আর আমরা তাদের কাছ থেকে নিজেদের লুকিয়ে রাখিনি। 

    সর্বোপরি, আমরা এক মাস ধরে মিডিয়ার কাছে বিষয়টি লুকিয়ে রেখেছিলাম। যখন আমরা ডজন ডজন বন্ধুদের কাছে মুক্তভাবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলাম। এটা সেই নিন্দুকদের জবাব দেবে, যারা বলেছিল আমরা প্রচার পাওয়ার জন্য এটা করেছি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, এই কথোপকথন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। আমাদের হারানোর কিছু নেই। কিন্তু লাভ করার জন্য সব কিছু আছে। আমরা আমাদের ফিলিংসের কথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেও বলেছি। আমরা আশা করি, তিনি আমাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলবেন।

    লেখক দেশের প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। প্রবন্ধটি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস থেকে অনুবাদ করা হয়েছে।

  • Mumbai Murder: মুম্বাইয়ে বোর্খা পরতে অস্বীকার করায় হিন্দু স্ত্রীকে খুন মুসলিম স্বামীর

    Mumbai Murder: মুম্বাইয়ে বোর্খা পরতে অস্বীকার করায় হিন্দু স্ত্রীকে খুন মুসলিম স্বামীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোর্খা (Burkha) পরতে চাননি। অপরাধ শুধু এইটুকুই। আর এই ‘অপরাধ’- এই নিজের স্ত্রীকে খুন (Murder) করলেন ট্যাক্সিচালক স্বামী। অভিযোগ, ইসলামিক রীতিনীতি পালন নিয়ে বিয়ের পর থেকেই ঝামেলা চলত হিন্দু স্ত্রী এবং মুসলিম স্বামীর মধ্যে। দু’জনে আলাদাও থাকছিল। তারইমধ্যে ওই ব্যক্তি স্ত্রী’কে খুন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি মুম্বইয়ের (Mumbai)।     

    এক পুলিশ আধিকারিক এ বিষয়ে জানান, বছরতিনেক আগে বিয়ে হয়েছিল ইকবাল শেখ (৩৬) এবং রুপালি চন্দদানশিবের (২০)। পরে রুপালি নিজের নাম পরিবর্তন করেছিলেন। নতুন নাম হয়েছিল জারা। তবে বিয়ের পর থেকেই ইসলামিক রীতিনীতি পালন নিয়ে স্বামী ও স্ত্রী’র মধ্যে অশান্তি শুরু হয়েছিল। দম্পতির দুই বছরের ছেলেও আছে। মাসছয়েক আগে থেকে ইকবাল এবং জারা আলাদাও থাকতে শুরু করেছিলেন।           

    আরও পড়ুন: হায়দ্রাবাদে নবরাত্রি প্যান্ডেলে দুই বোর্খা পরিহিতার তাণ্ডব, ভাঙা হল মূর্তি 

    সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, সোমবার রাতে ওই দম্পতির মধ্যে ঝগড়া হয়। কার কাছে ছেলে থাকবে, তা নিয়েও অশান্তি হয়। তারপর রাত ২ টো ৩০ মিনিট নাগাদ ইকবাল জারার গলার নলি কেটে দেন বলে অভিযোগ। ঘটনার পর গা ঢাকা দেন ইকবাল। পরে তাকে গ্রেফতার করে মুম্বাই পুলিশ। ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে জারার। ইকবালের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায় খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে সেক্স ট্র্যাপ, ভিডিও কলের ফাঁদে ৫.২৮ লক্ষ টাকা খোয়ালেন এক মুম্বইবাসী  

    জারার পরিবারের জানায়, প্রেম করে বিয়ে করেন ওই যুগল। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তরুণীকে বোরখা পরা এবং ইসলামিক রীতিনীতি পালনের জন্য জোর করা হত। কিন্তু তাতে রাজি হননি রুপালি। তা নিয়ে হামেশাই ইকবাল এবং রুপালির মধ্যে ঝামেলা হত। আলাদাও থাকছিলেন গত কয়েক মাস। তবে দু’জনের ফোনে কথা হত। সোমবার রাতে ইকবালকে ডিভোর্সের কথা বলেন তরুণী। কিন্তু বিবাহ-বিচ্ছেদে রাজি ছিলেন না ওই ব্যক্তি। তারপর ছেলেকে নিজের কাছে রাখার দাবি করেন। তা নিয়ে রুপালির সঙ্গে ঝগড়া শুরু হয়। তারপরই ইকবাল রুপালির গলার নলি কেটে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।         

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • GDP Growth: চলতি অর্থবর্ষের শেষে ভারতে জিডিপি বেড়ে হবে ৭.৩ শতাংশ!

    GDP Growth: চলতি অর্থবর্ষের শেষে ভারতে জিডিপি বেড়ে হবে ৭.৩ শতাংশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি অর্থবর্ষের (Fiscal Year) শেষে ভারতে (India) জিডিপি (GDP) বেড়ে হতে পারে ৭.৩ শতাংশ। এস অ্যান্ড পি (S & P) গ্লোবাল রেটিংসের এক প্রজেক্টেই এ খবর উঠে এসেছে। তেলের চড়া দাম, দেশের রফতানি কমে যাওয়া এবং গত কয়েক বছরের মুদ্রাস্ফীতির কারণে অর্থনীতির এই হাল। এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল রেটিংসের ভবিষ্যদ্বাণী, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের খুচরো বাজারে মুদ্রাস্ফীতি দাঁড়াবে ৬.৮ শতাংশে। স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত সহ আরও বেশ কয়েকটি পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়টি।

    কোনও একটি দেশের অভ্যন্তরে এক বছরে চূড়ান্তভাবে উৎপাদিত দ্রব্য ও সেবার বাজারে সামগ্রিক মূল্যই হচ্ছে গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট বা জিডিপি। আগের বছরের তুলনায় পরের বছরে এই উৎপাদন যে হারে বাড়ে সেটি হল জিডিপির প্রবৃদ্ধি। এই জিডিপি একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান সূচক। ইকনোমিক আউটলুক এশিয়া-প্যাসিফিক কিউ-৩ রিপোর্টে এস অ্যান্ড পি বলেছে, আমরা আশা করি, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি বেড়ে দাঁড়াবে ৭.৩ শতাংশে। তিন মাস আগেও এর পরিমাণ ছিল ৭.৮ শতাংশ। গত অগাস্টের মধ্যে ভারত পণ্য রফতানি করেছিল ৩৩শো কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের। ২০২১ সালের অগাস্ট মাসে এর পরিমাণ ছিল প্রায় কাছাকাছি। তবে চলতি বছর অগাস্টের মধ্যে বেড়েছে পণ্য আমদানির পরিমাণ। শতাংশের হিসেবে যা দাঁড়িয়েছে ৩৬.৭৮। মার্কিন ডলারের মূল্যে এর পরিমাণ প্রায় ৬২শো কোটির মতো।

    ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে অগাস্ট এই পাঁচ মাসে পণ্য রফতানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৩০ কোটি মার্কিন ডলার। রফতানির চেয়ে বেড়েছে আমদানি পরিমাণ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে খুচরো বাজারে মুদ্রাস্ফীতি সব চেয়ে বেশি। জ্বালানি ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের উচ্চ মূল্যের কারণে দেখা দিয়েছে মুদ্রাস্ফীতি। কনট্রাক্টের চাকরির কারণেও বেড়ছে মু্দ্রাস্ফীতি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, আমরা আশা করি, চলতি অর্থবর্ষে কনজিউমার মুদ্রাস্ফীতি হবে ৬.৮ শতাংশ। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চে এর পরিমাণ হবে ৫.৮ শতাংশ।

     

     

  • Health Tips: এই ৫ খাবার খেলে আপনার শরীরে পুষ্টির অভাব হবে না, জানেন কি?

    Health Tips: এই ৫ খাবার খেলে আপনার শরীরে পুষ্টির অভাব হবে না, জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুষ্টিকর খাবার কতটা জরুরি তা সকলেই জানেন। স্বাস্থ্যের (Health) উন্নতির জন্য পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা উচিত। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পালং শাক থেকে শুরু করে মাশরুম, ডিম থেকে শুরু করে দুধের মতো প্রোটিন যুক্ত খাবার খাদ্যতালিকায় রাখা হয়। একজন পুষ্টিবিদ (Nutritionist) জানিয়েছেন, কিছু কিছু খাবার একসঙ্গে সংমিশ্রণ করলে ভালো পুষ্টি পাওয়া যায়।

    আরও পড়ুন:ফের নয়া বিপদ, করোনা ভাইরাসের মতো লক্ষণ পাওয়া গেল রাশিয়ান বাদুড়ে!

    কলা ও দই: কলা ও দইয়ের (Curd) সংমিশ্রণ পটাশিয়াম সমৃদ্ধ। কলা এবং দই একসঙ্গে খেলে শরীরে পেশীর দ্রুত বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে। কলাতে (Banana) উপস্থিত ইনুলিন ও দইয়ে উপস্থিত ক্যালসিয়াম শারীরিক সক্ষমতা বাড়ায়। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ও হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপযোগী।


    মাশরুম ও তিলের বীজ: ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ মাশরুম (Mushroom) ও ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ মাশরুম ও তিলের বীজ (Til seed) একসঙ্গে খেলে হাড় শক্ত হয়। ভিটামিন-ডি ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য শরীরের জারণ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।

    আরও পড়ুন: অফিসে কাজের চাপে স্ট্রেস অনুভব করছেন? মানসিক ক্লান্তি কাটাতে যা করণীয়

    পালংশাক ও জলপাই তেল: অলিভ অয়েল (Olive Oil) দিয়ে পালং শাক (Spinach) রান্না করলে অলিভ অয়েলে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর প্রোটিন ও পালং শাকের মতো ভিটামিন-এ (Vitamin A) সমৃদ্ধ রেসিপিটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

    শাকসবজি ও লেবুর রস: শাকসবজির সবজির (Leafy vegetables) সঙ্গে লেবুর রস (Lemon Juice) মিশিয়ে খেলে লেবুতে (Lemon) উপস্থিত ভিটামিন-সি ও শাকসবজিতে উপস্থিত আয়রন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।


    কাঠবাদাম এবং কমলালেবু: কাঠবাদাম (Chestnut) ও কমলালেবু (Orange) এক সঙ্গে দৈনন্দিন খেলে ভিটামিন-সি (Vitamin C) এবং ভিটামিন-ই (Vitamin E) সমৃদ্ধ খাদ্য সংমিশ্রণটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। এটি শরীরের লোহিত রক্তকণিকা গঠনে সহায়তা করে ও ক্ষত নিরাময় তাড়াতাড়ি করতে সাহায্য করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Congress President Poll: দল নয় রাজ্য, মুখ্যমন্ত্রীত্বই পছন্দ গেহলটের! ক্ষুব্ধ হাইকমান্ড, কংগ্রেস সভাপতি পদে কে?

    Congress President Poll: দল নয় রাজ্য, মুখ্যমন্ত্রীত্বই পছন্দ গেহলটের! ক্ষুব্ধ হাইকমান্ড, কংগ্রেস সভাপতি পদে কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  সভাপতি নির্বাচন থেকে সরতে চলেছেন অশোক গেহলট (Ashok Gehlot)। রাজস্থানের (Rajasthan) মুখ্যমন্ত্রীর উপর ক্ষুব্ধ কংগ্রেস হাইকমান্ড (congress highcomand)। দলের সভাপতি হয়ে ঐক্যবদ্ধ কংগ্রেস গঠন করাই ছিল গেলটের প্রাথমিক দায়িত্ব। কিন্তু দ্বায়িত্ব পালন তো দূর উল্টে তাঁরই নেতৃত্বে মরুরাজ্যে বিদ্রোহ দানা বেঁধেছে কংগ্রেসের (Congress crisis)মধ্যে। স্বভাবতই খুশি নন সনিয়ারাহুলরা। রাজস্থানের অবস্থা নিয়ে দলীয় পর্যবেক্ষক মল্লিকার্জুন খাড়্গে ও অজয় মাকেনের কাছে লিখিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। সনিয়ার সঙ্গে দেখা করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটও। 

    আরও পড়ুন: ক্ষমতা হস্তান্তর বারবার ভুগিয়েছে কংগ্রেসকে, অন্যদিকে লক্ষ্যে অবিচল বিজেপি

    কংগ্রেস নেতৃত্বের আশা ছিল, অশোক গেহলটকে দলের সভাপতি করে এক ঢিলে দুই পাখি মারার৷ কারণ গেহলট সভাপতি হলে সচিন পাইলটকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে দীর্ঘদিনের টানাপড়েনে ইতি টানা যেত। কিন্তু গেহলট সেই ভাবনায় জল ঢেলে দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই গেহলটের অনুগামী বিধায়করা জানিয়ে দিয়েছেন, অশোক কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচিত হলেও কোনওভাবেই তাঁরা সচিন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী পদে মানবেন না। এমনকী কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতেও অস্বীকার করেন তাঁরা। রাজস্থানের পরিস্থিতির জন্য গেহলট ‘ক্ষমা’চাইলেও ক্ষুব্ধ নেতৃত্ব। কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে,গেহলটের যুক্তি কোনওভাবে মানতে রাজি নন হাইকমান্ড। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়া কোনওভাবেই এমনটা হতে পারে না, বলে অনুমান শীর্ষ নেতাদের।

    আরও পড়ুন: কংগ্রেস নির্বাচন প্রহসন! তোপ অমিত মালব্যর, কী বললেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান?

    গান্ধী পরিবারের অনুগামীদের কথায়, এই ঘটনাই প্রমাণ করে দিয়েছে দলের শীর্ষ পদে গান্ধী পরিবারের কেউ না বসলে দলের পরিণতি কী হবে৷ এই পরিস্থিতিতে ফের রাহুল গান্ধীর নাম সভাপতির পদে ভেসে উঠেছে৷ কারণ রাহুলকে নিয়ে দলের মধ্যে বিরোধিতার কোনও সম্ভাবনা নেই৷ উঠছে প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর নামও। অন্যদিকে সভাপতি নির্বাচনের অন্য আরেক সম্ভাব্য প্রার্থী কমলনাথ সোমবারই দিল্লি পৌঁছে সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁর মনোনয়ন জমা দেওয়ার কথাও হাওয়ায় ভাসছে। তবে সভাপতি নির্বাচনে লড়াইয়ের কথা অস্বীকার করে কমলনাথ জানিয়েছেন,“কংগ্রেস সভাপতি পদে লড়াইয়ের জন্য আমার কোনও আগ্রহ নেই। নবরাত্রির শুভেচ্ছা জানাতেই আমি এখানে এসেছি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Durga Puja 2022: দুর্গাপুজোর নবমীতে হয় দক্ষিণান্ত, কেন জানেন?

    Durga Puja 2022: দুর্গাপুজোর নবমীতে হয় দক্ষিণান্ত, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহানবমী (Mahanabami)। মন খারাপের দিন। কারণ এই দিনটি চলে গেলেই মা দুর্গা ফিরে যাবেন কৈলাসে (Kailash)। তাই তো সেই কবেই কবি বলেছিলেন, যেও না নবমী (Nabami) নিশি…। তবে প্রকৃতির নিয়ম মেনেই আসে নবমী তিথি। মহাপুজোর মহানবমী। দিনটির গুরুত্ব কম নয়।

    মহানবমীর আগে হয় সন্ধিপুজো। অষ্টমীর শেষ ২৪ মিনিট ও নবমীর প্রথম ২৪ মিনিট মিলিয়ে মোট ৪৮ মিনিট। এই সময়টা কেবলই মহামায়ার এক রূপ দেবী চামুণ্ডার পুজো হয়। অষ্টমীতে যেহেতু অসুর, সিংহ, বিভিন্ন দেবদেবীর বাহন এবং অস্ত্রশস্ত্রের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়, সেহেতু নবমীর দিন তাঁদের প্রত্যেকের পুজো করতে হয়। এদিনই যেহেতু মহাপুজো সমাপনের দিন, সেহেতু এই দিনেই সম্পন্ন করতে হয় হোম। শাস্ত্র মতে, হোমের আগুন হল দেবদেবীর জিহ্বা স্বরূপ। তাই হোমাগ্নি প্রজ্জ্বলিত করে দিতে হয় আহুতি। এই আহুতি দেওয়া হয় প্রতিটি দেবদেবীর বীজমন্ত্র সহযোগে। যেহেতু দুর্গাই প্রধান দেবী, তাই এদিন তাঁর উদ্দেশ্যে দিতে হয় একশো আটটি বেলপাতার আহুতি। বাকি দেবদেবীদের উদ্দেশে ৮টি করে বেলপাতা। যজ্ঞ শেষে দেওয়া হয় পূর্ণাহুতি। এতে দেওয়া হয় একটি গোটা নারকেল, সোনার টুকরো এবং ফুলের মালা। যেসব পরিবারে সপ্তমীতে হোম শুরু হয়, তাঁরা হোমাগ্নি জ্বালিয়ে রাখেন নবমী পর্যন্ত। এই নবমীতে তাঁরাও দেন পূর্ণাহুতি। তার পরে হয় দক্ষিণান্ত। দেবীকে দিতে হয় কৈলাসে ফেরার পাথেয়।

    নবমীতে আরও একটি প্রথা পালিত হয় কোনও কোনও পরিবারে। সেটি হল শত্রু বলি। মানকচুর পাতায় চালের পিটুলি দিয়ে তৈরি করা হয় শত্রু। তার গায়ে মাখানো হয় রক্তচন্দন। পরে হাঁড়িকাঠে নিয়ে গিয়ে বলি করা হয় ওই কৃত্রিম শত্রু। অনেক পরিবারে আবার সন্দেশের শত্রু বানিয়ে বলি দেওয়া হয়। যাঁদের পরিবারে পশু বলি দেওয়ার চল রয়েছে, তাঁরা বলি দেন এদিন। অনেক পরিবারে আবার শত্রু নয়, কেবল কুমড়ো, আখ, কলা বলি দেওয়া হয়। নবমীতে দক্ষিণান্ত হয়ে গেলেই পুজো শেষ বলা যায়। কারণ দশমীতে দেবীর পুজো হয় নমো নমো করে। তাই সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীর আগে মহা শব্দটি যোগ করা হলেও, দশমীতে তা হয় না।  

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Amit Malviya: কংগ্রেস নির্বাচন প্রহসন! তোপ অমিত মালব্যর, কী বললেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান?

    Amit Malviya: কংগ্রেস নির্বাচন প্রহসন! তোপ অমিত মালব্যর, কী বললেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ককংগ্রেস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন (Congress President Polls) আসলে একটা প্রহসন। অভিমত বিজেপি (BJP) নেতা অমিত মালব্যর (Amit Malviya)। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত এ নিয়ে কড়া ভাষায় কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন। ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, ‘রাজস্থানের পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, মনোনয়ন দেওয়ার আগেই কংগ্রেস সভাপতি হয়ে গিয়েছেন অশোক গেহলট। না হলে তাড়াহুড়ো করে রাজস্থানের নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করার কী প্রয়োজন? আসলে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন মূলত লোক দেখানো। অশোক গেহলটকেই যে কংগ্রেস সভাপতি করা হবে, সেটা আগে থেকেই ঠিক হয়ে গিয়েছে। তাই এই নির্বাচনের কোনও মূল্য নেই। কেউ হয়তো শশী থারুরের কথা। কিন্তু পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাচ্ছে কংগ্রেসের নতুন ‘রাজা’ গেহলেট, থারুরকে অহেতুক বলির পাঁঠা বানানো হল।’

    প্রসঙ্গত, ১৭ অক্টোবর হতে চলেছে কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) ও শশী থারুরের (Shashi Tharoor) সঙ্গে। এই দু জনের মধ্যে যিনিই জয়ী হোন না কেন, দীর্ঘ দিন পরে তা হবে ইতিহাস। কারণ গান্ধী পরিবার বাইরের কারও হাতে যেতে চলেছে কংগ্রেস সভাপতির রাশ।

    আরও পড়ুন: রাজস্থানে ৮২ জন কংগ্রেস বিধায়কের ইস্তফা! আজ কি সনিয়ার সঙ্গে বৈঠক অশোক, সচিনের?

    ইতিমধ্যেই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুর। তাঁর লড়াইটা হতে চলেছে মূলত রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। যিনি গান্ধী পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ নেতা হিসেবেই পরিচিত। যদিও গেহলট এখনও মনোনয়ন জমা দেননি। তার আগেই রাজস্থান রাজনীতিতে কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ প্রকাশ্যে চলে এল। অনেকে ধরে নিচ্ছেন, অশোক গেহলটই হবেন কংগ্রেসের নতুন সভাপতি। আর সেই কারণেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দেবেন। রাজস্থানের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নিয়ে গেহলট বনাম পাইলট শিবিরের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। এই প্রসঙ্গ টেনেই বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য কড়া ভাষায় কংগ্রেসকে তোপ দেগেছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share