Blog

  • Tarn Taran: পাঞ্জাবের তরন তরন থানায় রকেট লঞ্চার হামলা! ঘটনার পিছনে কি আইএসআই?

    Tarn Taran: পাঞ্জাবের তরন তরন থানায় রকেট লঞ্চার হামলা! ঘটনার পিছনে কি আইএসআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান সীমান্তের কাছে পাঞ্জাবের তরন তরন (Tarn Taran) থানায় গভীর রাতে রকেট লঞ্চার (Rocket launcher) দিয়ে হামলা চালানো হল। এই ঘটনায় কোনও প্রাণহানি না ঘটলেও সীমান্তবর্তী থানায় এই ধরনের হামলায় উচ্চপর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পাঞ্জাব পুলিশের বিশাল বাহিনী।

    বিস্ফোরণের উদ্দেশ্য

    পুলিশ সূত্রে খবর, অমৃতসর-ভাতিন্ডা হাইওয়ে ( Amritsar-Bathinda Highway)-র উপর থানা লক্ষ্য করে রাত প্রায় একটা নাগাদ হামলা চলে। বিস্ফোরণের জেরে থানার কাচের দরজা ভেঙে পড়ে বলে খবর। বিস্ফোরণের জেরে পাশের একটি সার্ভিস স্টেশনের জানলাও ভেঙে পড়ে। এই ঘটনার পিছনে খলিস্থানি জঙ্গিদের হাত থাকতে পারে বলে খবর। এর আগেও বারবার খালিস্তানপন্থীদের স্লিপার সেলকে কাজে লাগিয়ে রকেট লঞ্চার হামলার চেষ্টা চালানো হয়েছে। খালিস্তানপন্থী সন্ত্রাসবাদী হরবিন্দর সিং ওরফে রিন্দা (Harvinder Singh Alias Rinda)-র মৃত্যুর হয়েছে। অনেকেই বলছেন,তার মৃত্যুর বদলা নিতেই এই হামলা।

    আইএসআই-এর হাত

    অনেকে এর পিছনে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের হাত থাকতে পারে বলেও মনে করছে। পাক গুপ্তচর সংস্থা ISI খালিস্তানপন্থীদের স্লিপার সেল ব্যবহার করে এই ধরনের হামলার পরিকল্পনা চালাচ্ছে। চলতি বছর মে মাসে মোহালিতে পাঞ্জাব পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদর দফতরে হামলা হয়। মোহালির এসএএস নগরের সেক্টর ৭৭-এর ওই অফিসেও রকেট লঞ্চারের সাহায্যে গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ জানায় গ্যাংস্টার -খালিস্তানপন্থী জঙ্গিদের ব্যবহার করে এই ধরনের হামলার ষড়যন্ত্র করছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ISI।

    আরও পড়ুন: হিন্দু মহিলাদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্যের জের, অসম মহিলা কমিশনের নোটিশ মুসলিম সাংসদকে

    ঘটনার তদন্ত

    ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন সিনিয়র পুলিশ আধিকারিকরা। বিস্ফোরণস্থল খতিয়ে দেখতে রওনা দিয়েছে ফরেনসিক টিম। পাঞ্জাব পুলিশের ডিজি গৌরব যাদব খোদ ঘটনাস্থলে রয়েছেন। তিনি বলেন, “গতকাল রাত ১১টা বেজে ২২ মিনিটে এই ঘটনা ঘটে। আপাতত গ্রেনেড ছোড়া হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। রকেট বাহিত গ্রেনেড ছোড়া হয়। সরহলি থানার সুবিধা কেন্দ্রে সেটি এসে পড়ে। ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। ফরেনসিক দল এসে পৌঁছেছে। এসে পৌঁছেছে সেনার একটি দলও।”

    প্রযুক্তিগত দিক থেকে এবং ফরেনসিকদের তথ্য অনুযায়ী তদন্ত এগোবে বলেও জানান ডিজি। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা নিয়েও চলছে পর্যালোচনা। রকেট লঞ্চারটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।এই ঘটনায় যদিও পাঞ্জাবে ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টি সরকারকে নিশানা করেছে বিজেপি। দলের নেতা মনজিন্দর সিংহ সিরসা ট্যুইটারে লেখেন, ‘আপ সরকার গুজরাট বিধানসভা এবং দিল্লি পৌরসভা নির্বাচনের ফল উদযাপনে ব্যস্ত। সীমান্ত লাগোয়া পাঞ্জাবের শান্তি এবং নিরাপত্তা নিয়ে গা ছাড়া ভাব দেখাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান’।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Nuclear Bomb: ভারতের পারমাণবিক শক্তি ১৯৬৮তে ভয় ধরিয়েছিল আমেরিকাকেও?

    Nuclear Bomb: ভারতের পারমাণবিক শক্তি ১৯৬৮তে ভয় ধরিয়েছিল আমেরিকাকেও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৬৮ সালের জুন মাস। কানাডিয়ান নিউক্লিয়র ইনসপেক্টরদের একটি দল এসেছিলেন মুম্বইয়ের ট্রম্বেতে, কানাডা (Canada)-ইন্ডিয়া রিয়েক্টর পরিদর্শনে। তখনই তাঁরা জানিয়েছিলেন, ভারত নিউক্লিয়র ডিভাইস (Nuclear Device) উন্নত করতে দ্রুত এগোচ্ছে। আমেরিকার প্রতিদ্বন্দ্বীও হয়ে উঠছে। অস্ত্র (Nuclear Bomb) দৌড়ে শামিল হওয়ার ভয়ও দেখাচ্ছে এই দেশ। সম্প্রতি এমনই এক নথি প্রকাশ্যে এসেছে। প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন। পরে কানাডার ওই প্রতিনিধি দল মার্কিন কূটনীতিকদের বলেছিলেন, প্লুটোনিয়াম গ্রেড অস্ত্র বানানোর জন্য তারা (ভারত) কম বিকিরণ করে এমন জ্বালানি ব্যবহার করছে। ওই প্রতিনিধি দল এও জানিয়েছিল, ভারত যদি প্লুটোনিয়াম উৎপাদন করে, তাহলে যে রিয়েক্টরে কাজ হবে, সেটি বছরে ১২ কেজি পর্যন্ত উৎপাদন করতে পারবে।

    ভারতের নিউক্লিয়ার প্রোগ্রাম…

    এ সংক্রান্ত নথিটি সংরক্ষিত রয়েছে ইউএস ন্যাশনাল সিকিউরিটি আর্কাইভে। এটা দেখেই ভারতের নিউক্লিয়ার প্রোগ্রাম সম্পর্কে একটা ধারণা করতে পেরেছিল আমেরিকা। ভারত প্রথম নিউক্লিয়ার পরীক্ষা করে ১৯৭৪ সালের মে মাসে। তার ঢের আগেই তার শক্তি সম্পর্কে একটা ধারণা করে ফেলেছিল ওয়াশিংটন। এই গোপন নথি থেকে জানা যায়, ভারতের সর্বোচ্চ নিউক্লিয়ার অফিসাররা তখনই আমেরিকাকে একটি চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছিল। ১৯৭০ সালের নভেম্বরে মার্কিন ডিমার্চে ভারত সরকারের কাছে বলেছিল, উৎপাদিত প্লুটোনিয়াম ব্যবহার করতে হবে মার্কিন-ভারতীয় চুক্তি অনুসারে। পিসফুল নিউক্লিয়ার এক্সপ্লোশান ডিভাইসগুলি এই ধরনের চুক্তির সঙ্গে বেমানান হবে। তিনি এও বলেছিলেন, আমরা এই ধরনের ব্যবহারে সব চেয়ে বেশি আপত্তি জানাব।

    আরও পড়ুন: কাশ্মীরে কুখ্যাত জঙ্গির দোতলা বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

    তক্ষণাৎ জবাব দিয়েছিল ভারতও। নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, তারা নিউক্লিয়ার অস্ত্র ডেভেলপ করতে চায় না। তারা দেখছে নিউক্লিয়ার টেকনোলজি ব্যবহার করে কী কী সুফল ঘরে তোলা যায়। তারা এও জানিয়েছিল, এ সবই হচ্ছে শান্তি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে। এবং এজন্য যা ডেভেলপমেন্ট করা প্রয়োজন, ভারত তা করবে। এবং ভারত যে নিউক্লিয়ার প্রযুক্তি শান্তির জন্যই ব্যবহার করছে, তার উল্লেখ রয়েছে ওই নথিতেও। সেখানে বলা হয়েছে, একজন (ভারত) নিউক্লিয়ার ডেভেলপমেন্ট করে চলেছে শান্তির উদ্দেশ্যে, মিলিটারি উদ্দেশ্যে নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Virat-Anushka Anniversary: পঞ্চম বিবাহবার্ষিকীতে ‘রোম্যান্টিক’ মুডে বিরাট, কিন্তু অনুষ্কা এ কী ছবি পোস্ট করলেন?

    Virat-Anushka Anniversary: পঞ্চম বিবাহবার্ষিকীতে ‘রোম্যান্টিক’ মুডে বিরাট, কিন্তু অনুষ্কা এ কী ছবি পোস্ট করলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১১ ডিসেম্বর বিবাহের পাঁচ বছর পূর্ণ করল ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং বলি অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মা (Virat-Anushka 5th Anniversary)। ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন বিনোদন এবং ক্রীড়া জগতের দুই খ্যাতনামা তারকা। ইতালির তাস্কানিতে (Tuscany Italy) গিয়ে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং সেরেছিলেন ‘বিরুষ্কা’ (Virushka)। পরিজন এবং কাছের বন্ধুদের উপস্থিতিতেই বিরাট-অনুষ্কার (Virat-Anushka) চার হাত এক হয়েছিল। বিবাহের পাঁচ বছরের পূর্ণতার দিনে বিরাট-অনুষ্কা একে অপরের প্রতি ভালোবাসায় ভরা পোস্ট ইন্সটাগ্রামে শেয়ার করেছেন। আজ এই বিশেষ দিনে অনুরাগী থেকে শুরু করে বলিউড তারকারা, বিরুষ্কাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সবাই।

    বিরাট-অনুষ্কার বিবাহের পাঁচ বছর…

    এদিন অনুষ্কা ইন্সটাগ্রামে কিছু ছবি শেয়ার করেছেন ও সঙ্গে লিখেছেন ক্যাপশনও। ইন্সটাগ্রামের প্রথম ছবিতে খুনসুটি ও ‘দুষ্টুমি’ করার মুডে করে শেয়ার করেছেন, ‘পরী’ (Pari)  সিনেমার পোস্টারে গ্রাফিক্স করা অনুষ্কার সঙ্গে বিরাটের ছবি। শেয়ার করেছেন দিল্লিতে কাটানো প্রেমের মুহূর্ত। শুধু খুশির মুহূর্ত নয়, ছোট্ট ভামিকার জন্মের পরে পাশের বিছানাতেই শুয়ে ক্লান্ত বিরাট বিশ্রাম নিচ্ছেন, অসুস্থ শরীরে সেই ছবিও ফ্রেমবন্দি করেছিলেন অনুষ্কা। এরপর কফি কাপে বিরাট অনুষ্কার ছবি, পাহাড়ের কোলে, নদীর ধারে কাটানো মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলেন অনুষ্কা (Virat-Anushka 5th Anniversary)।

    [insta]https://www.instagram.com/p/CmBPRHfJaYp/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta]

    বিরাটের পোস্ট…

    অন্যদিকে বিয়ের পাঁচ বছরপূর্তিতে (Virat-Anushka 5th Wedding Anniversary) স্ত্রী অনুষ্কা শর্মার সঙ্গে ‘রোম্যান্টিক’ ছবি শেয়ার করেন বিরাট কোহলিও। সঙ্গে স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা উজাড় করে দিয়ে বিরাট লেখেন, “এক অসমাপ্ত যাত্রার ৫ বছর। তোমাকে পেয়ে আমি ধন্য। আমার সমস্ত হৃদয় দিয়ে আমি তোমায় ভালোবাসি”।

    [insta]https://www.instagram.com/p/CmBQxE0vgcq/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta]

    তাঁদের রূপকথার পেছনের কাহিনী

    বিনোদন জগৎ তথা ক্রিকেটের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি হলেন অনুষ্কা শর্মা এবং বিরাট কোহলি। তাঁদের প্রেমের সফরটকে রূপকথা না বললেই নয়। তাঁদের প্রথম দেখা হওয়া থেকে বিয়ে সবটাই ভীষণই জনপ্রিয় সাধারণ মানুষের মধ্যে। ‘বিরুষ্কা’র রসায়ন বরাবরই মুগ্ধ করে এসেছে তাঁদের অনুগামীদের। বলিউডের ‘পারফেক্ট কাপল’ এর এক জ্বলন্ত নিদর্শন হয়ে উঠেছেন। কিন্তু তাঁদের একসঙ্গে হওয়ার পিছনের গল্প কি জানেন? সম্প্রতি তারই বিষয়ে এক সংবাদমাধ্যমে বলেছেন অনুষ্কা।

    ২০১৩ সালের ঘটনা। একটি শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপনের শ্যুটিংয়ের সময় প্রথমবার আলাপ হয় তাঁদের। তিনদিনের শ্যুটিং ছিল তাঁদের। আর তখন বিরাটকে দেখে খুব অহংকারী মনে হয়েছিল অনুষ্কার। তাই তিনি ভেবেছিলেন, অনুষ্কাও আরও বেশি অহংকারী হওয়ার ভাব দেখাবেন। এমন পরিকল্পনা করে বিজ্ঞাপনের সেটে উপস্থিত হয়েছিলেন অনুষ্কা শর্মা। তবে সামনে থেকে বিরাটকে দেখে অবাক হয়ে যান তিনি। কারণ বিরাটের সঙ্গে কথা বলে তাঁর মনে হয়েছিল তিনি একজন বুদ্ধিদীপ্ত মজার মানুষ। এরপর তিন দিনের মধ্যেই গাঢ় হয়ে যায় তাঁদের বন্ধুত্ব। আর বর্তমানে তাঁদের পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবন বেশ রঙিন। ২০২১ সালে তাঁদের পরিবারে আসে নতুন সদস্য ভামিকা। ফলে তাঁদের সম্পর্ক যে কতটা ভালোবাসা-খুনসুটিতে ভরা, তা বারবার বিভিন্ন ছবির মাধ্যমে ধরা পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Virat-Anushka 5th Anniversary)।

  • India vs Bangladesh: ঈশানের দ্বি-শতরান, কোহলির সেঞ্চুরি! ২২৭ রানে বাংলাদেশকে হারাল ভারত

    India vs Bangladesh: ঈশানের দ্বি-শতরান, কোহলির সেঞ্চুরি! ২২৭ রানে বাংলাদেশকে হারাল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিয়মরক্ষার ম্যাচে রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়লেন ঈশান কিষান, বিরাট কোহলি। প্রথম জন হাঁকালেন ডাবল সেঞ্চুরি। আর বিরাট কোহলি থামলেন শতরান করে। দুই ব্যাটসম্যানের সৌজন্যে ভারত নিয়মরক্ষার ম্যাচে বাংলাদেশকে হারাল ২২৭ রানে। এই জয় হয়তো হোয়াইট ওয়াশের হাত থেকে ভারতকে বাঁচালো ঠিকই, কিন্তু সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতল বাংলাদেশ।

    ম্যাচের নায়ক ঈশান

    চট্টগ্রামে শনিবারের মাচের নায়ক ঈশান কিষান। ১৩১ বলে তাঁর সংগ্রহ ২১০ রান। দ্বিশতরান করতে তার লেগেছে ১২৬টি বল। যা একদিনের ক্রিকেটে দ্রুততম। ঈশান ভেঙে দিলেন ক্রিস গেইলের রেকর্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজ তারকা ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ১৩৮ বলে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন। শুধু তাই নয়, সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করলেন ঈশান। তিনি পিছনে ফেললেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে। এদিনের ম্যাচে ঈশানকে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছেন বিরাট কোহলি ৯১ বলে করেছেন ১১৩ রান। একদিনের ফরম্যাটে এটি তার ৪৪তম সেঞ্চুরি। একই সঙ্গে মোট আন্তর্জাতিক শতরানের তালিকায় রিকি পন্টিংকে টপকে গেলন তিনি। পন্টিং ৭১টি সেঞ্চুরি করেছেন। কোহলির ঝুলিতে ৭২টি শতরান। শীর্ষে শচীন তেন্ডুলকর (১০০টি)।

    আরও পড়ুন: আগামী তিন মাসে টানা ম্যাচ টিম ইন্ডিয়ার! শ্রীলঙ্কার সঙ্গে খেলা ইডেনেও

    ম্যচের ইতিউতি

    টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ভারত তোলে ৪০৯ রান। যা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এই ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি রান। চোটের কারণে খেলেননি রোহিত শর্মা। তাঁর জায়গায় শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে ওপেন করেন ঈশান কিষান। শুরুতেই ফিরে যান শিখর। তবে সেই ধাক্কা সামলে ঈশানের সঙ্গে জুটি বেঁধে বিরাট কোহলি দ্বিতীয় উইকেটে ২৯০ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপ গড়েন। ঈশান আউট হওয়ার পর ভারতের বাকি ব্যাটসম্যানরা দ্রুত মাঠ ছাড়েন। না হলে স্কোর আরও বেশি হতে পারত। শ্রেয়স আইয়ার ৩, লোকেশ রাহুল ৮ রান করে আউট হন। অক্ষর প্যাটেল ২০ ও ওয়াশিংটন সুন্দর ৩৭ রান যোগ করেন।
    বাংলাদেশ জবাবে ৩৪ ওভারে ১৮২ রানে অলআউট হয়ে যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Kolkata Weather: বাংলাতেও মন্দৌসের প্রভাব? বাড়তে পারে মহানগরীর তাপমাত্রা

    Kolkata Weather: বাংলাতেও মন্দৌসের প্রভাব? বাড়তে পারে মহানগরীর তাপমাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে নভেম্বরের শুরুতেই শীত পড়তে শুরু করেছিল। মাসের শেষে শীত উধাও হলেও ডিসেম্বরে আবার শীতের আমেজ পাচ্ছে রাজ্যবাসী। কিন্তু ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসে ফের পারদ ফের ঊর্ধ্বমুখী (Kolkata Weather)। রাতে বাড়তে পারে শহর কলকাতার তাপমাত্রা। 

    শনিবার সামান্য বেড়েছে শহরের তাপমাত্রা। শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার তা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

    গত কাল কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Kolkata Weather) ছিল ১৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা কিনা স্বাভাবিক। গত কাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। গত কাল সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা পরিমাণ ছিল ৭২ শতাংশ। গত কাল সকাল সাড়ে আটটা থেকে আজ সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় কোনও বৃষ্টি হয়নি।

    আরও পড়ুন: জল্পনার অবসান! হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন সুখবিন্দর সিং সুখু 

    এদিকে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড় মন্দৌসের প্রত্যক্ষ না হলেও পরোক্ষ প্রভাব পড়বে রাজ্যে (Kolkata Weather)। এর প্রভাব সরাসরি পড়বে তামিলনাড়ু, পুদুচেরি ও দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে। ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা জারি হয়েছে। রাজ্যে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব না পড়লেও, বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢোকায় আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রার পারদ হবে ঊর্ধ্বমুখী। শনিবার থেকেই পড়বে সেই প্রভাব। কলকাতায় সকালের দিকে হালকা ধোঁয়াশা। দিনভর আংশিক মেঘলা আকাশ। হাওয়া অফিস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আগামিকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকার কথা, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। আকাশ আংশিক মেঘাচ্ছন্ন থাকার কথা।  
     
    তবে আগামী সপ্তাহে ফের নামতে পারে পারদ। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গে কোথাও আপাতত বৃষ্টির (Kolkata Weather) সম্ভাবনা নেই। প্রসঙ্গত, অক্টোবরের শেষে এই শহরের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির নীচে নেমেছিল। শেষবার ২০১২-র অক্টোবরে ২০ ডিগ্রির নীচে নেমেছিল পারদ। ওই বছর ২৮ অক্টোবর কলকাতার তাপমাত্রা ছিল সর্বনিম্ন ১৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অক্টোবর মাসে কলকাতায় পারদ পতনের সর্বকালীন রেকর্ড ১৯৫৪ সালের ৩১ অক্টোবর। সেই বছর তাপমাত্রা নেমেছিল ১৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।  

    অন্ধ্রপ্রদেশের পুদুচেরি এবং শ্রীহরিকোটার মধ্যে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় মন্দৌস। যার জেরে এদিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে তামিলনাড়ু ও রায়ালসীমায়ে। কর্নাটকেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার রয়েছে। দক্ষিণ কর্নাটকে বৃষ্টি চলবে রবিবারেও। অন্যদিকে নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ এবং হিমাচল প্রদেশে এদিন বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি কিংবা তুষারপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

    রাজ্যে সারাদিকে কোথায় কেমন তাপমাত্রা ছিল?

    আসানসোল (১০.২)
    বহরমপুর (১৪.২)
    বাঁকুড়া (১২.৭)
    বর্ধমান ( ১৩.৬)
    কোচবিহার ( ১২.১)
    দার্জিলিং (৭.৬)
    কালিম্পং ( ১১.৫)
    দিঘা ( ১৩.১)
    কলকাতা (১৫.৬)
    দমদম (১৬.২)
    কৃষ্ণনগর (১৩.৪)
    মালদহ (১৫.৫)
    মেদিনীপুর (১৩.৭)
    শিলিগুড়ি (১৪.৭)
    শ্রীনিকেতন ( ১২.১)
    সুন্দরবন (১৬.৫)

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Assam: ফেব্রুয়ারিতে দু দিনের বিশেষ ছুটি ঘোষণা অসম সরকারের, কেন জানেন?

    Assam: ফেব্রুয়ারিতে দু দিনের বিশেষ ছুটি ঘোষণা অসম সরকারের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাজের চাপে সময় দেওয়া যাচ্ছে না বাবা-মাকে। কর্মসূত্রে অনেকেই থাকেন দূর-দুরান্তে। বাবা-মা আগলে বসে থাকেন ভিটে। তাই দূরত্ব বাড়ছে মা বাবার সঙ্গে। এই সমস্যার সমাধানের জন্য চলতি বছর থেকে সরকারি কর্মীদের জন্য দু দিনের বিশেষ ক্যাজুয়েল লিভের ব্যবস্থা করেছে অসমের (Assam) বিজেপি (BJP) সরকার। আগামী বছরও মিলবে ছুটি। সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা জানিয়ে দিয়েছে অসম সরকার। এ বছর ছুটি ছিল জানুয়ারিতে (January)। আগামী বছর ছুটি মিলবে ফেব্রুয়ারিতে। ফেব্রুয়ারির ৯ এবং ১০ তারিখ এই দু দিন ছুটি। কর্মীরা চাইলে ওই দু দিন ছুটি না নিয়ে অন্য সময় নিতে পারেন।

    অসমই প্রথম?

    বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ছুটি দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। তবে এ দেশে এর চল নেই বলেই মনে হয়। অসমই প্রথম রাজ্য যারা এটা চালু করেছে। চলতি বছর মা-বাবার সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য অসমে ছুটি দেওয়া হয়েছিল ৬ ও ৭ জানুয়ারি। অনেক কর্মী ওই দিনই ছুটি নিয়েছেন। অনেকে আবার অন্য ছুটির সঙ্গে এই দু দিন জুড়ে দিয়ে দীর্ঘায়িত করে নিয়েছেন ছুটির তালিকা। সরকারের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই যে দু দিনের বিশেষ ছুটি, সেই ছুটি দিনের দিন না নিয়ে শনি-রবিবারের সঙ্গে জুড়ে দিয়েও নেওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে মা-বাবার সঙ্গে কাটানোর জন্য মিলবে টানা চারদিন। এই বিশেষ ছুটি পেতে গেলে কীভাবে আবেদন করতে হবে, তা একটি স্পেশাল ওয়েব পোর্টাল মারফত জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

    আরও পড়ুন: হিন্দু মহিলাদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্যের জের, অসম মহিলা কমিশনের নোটিশ মুসলিম সাংসদকে

    ২০২১ সালে অসমের (Assam) ক্ষমতায় আসে হিমন্ত বিশ্বশর্মার নেতৃত্বে বিজেপি সরকার। ওই বছরই ১৫ই অগাস্টের অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বলেছিলেন, সরকারি কর্মীরা যাতে মা-বাবা এবং শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন, তাই দু দিনের বিশেষ ছুটি দেওয়া হবে। পরে মন্ত্রিসভা সায় দেয় এই প্রস্তাবে। তার পরেই চলতি বছর ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় জানুয়ারির ৬ এবং ৭-এ। হিমন্ত জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্য সচিব এবং পুলিশের ডিজি ছাড়া এই ছুটি সবাই পাবেন। এমনকী মন্ত্রীরাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • G20: জি ২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসছেন পুতিন! কী বললেন তাঁর মুখপাত্র?

    G20: জি ২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসছেন পুতিন! কী বললেন তাঁর মুখপাত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছর ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) বালিতে হয়েছিল জি ২০ (G20) সম্মেলন। এই সম্মেলনে সবাই হাজির থাকলেও, ছিলেন না রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। খবর ছড়ায়, অসুস্থ থাকায় ওই সম্মলনে গরহাজির ছিলেন তিনি। তবে ইন্দোনেশিয়ায় অনুপস্থিত থাকলেও, ভারতে (India) যে জি ২০ সম্মেলন হবে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে, তাতে উপস্থিত থাকতে পারেন পুতিন। তবে সব কিছু নির্ভর করছে পুতিনের নিজের ওপর। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র নিজেই এ খবর জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ভারতে জি ২০ সম্মলন শুরু হবে সেপ্টেম্বরের ৯ তারিখে। শেষ হবে তার পরের দিন।

    শ্বেতলানা লুকাস বলেন…

    পুতিনের মুখপাত্র শ্বেতলানা লুকাস বলেন, আমি আশা করি, অবশ্যই (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট) যাবেন। তবে এটা একান্তভাবেই স্থির করবেন তিনি স্বয়ং। আগামী সম্মেলন এখনও এক বছর দেরি। তাই আমি এখনই এই প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে পারছি না। তবে আমার মনে হয়, তাঁর যাওয়ার সমস্ত রকম সম্ভাবনা রয়েছে। লুকাস বলেন, জি ২০ সম্মেলন নিয়ে কোনও ইভেন্ট এড়াবে না রাশিয়া। প্রসঙ্গত, ইন্দোনেশিয়ায় জি ২০ সম্মেলনে পুতিন উপস্থিত না থাকলেও, সে দেশের তরফে হাজির ছিলেন বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ।

    আরও পড়ুন: ‘ভারতকে নিয়ে কৌতুহলী বিশ্ব’, জি-২০ সম্মেলন নিয়ে সর্বদল বৈঠকে বললেন মোদি

    জি ২০ সম্মেলন উপলক্ষে আগামী বছর দেশজুড়ে দুশোটির মতো ইভেন্টের আয়োজন করতে চাইছে নয়াদিল্লি। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, প্রতিটি ইভেন্টেই রাশিয়া যোগ দেবে বলেও জানান পুতিনের মুখপাত্র। লুকাস বলেন, আমরা একটিও ইভেন্ট মিস করব না। সেটা ওয়ার্কি গ্রুপের বৈঠক হোক কিংবা সেমিনার অথবা কনফারেন্স। তিনি বলেন, এটার রাশিয়ার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নিয়ে তার পজিশন বুঝিয়ে দেওয়া, মতামত ব্যক্ত করা এবং অন্যান্য দেশ কী তুলে ধরছে, তা খুঁটিয়ে দেখা।

    এদিকে, ২০০০ সাল থেকে প্রতি বছর ভারত-রাশিয়ার যে বাৎসরিক সম্মেলন হয়, এবার তা হচ্ছে না। ফি বার এই সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। এবার দু তরফেই শিডিউলের সমস্যার জেরে হচ্ছে না ওই সম্মেলন। সূত্রের খবর, নিউক্লিয়ার হুমকির জেরে হচ্ছে না মোদি-পুতিন বৈঠক। এই ধারণা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। দুই দেশের দুই প্রধান মুখোমুখি হতে পারছেন না স্রেফ শিডিউলের সমস্যার জন্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • FIFA World Cup: শেষ আটে মুখোমুখি ইংল্যান্ড-ফ্রান্স, ম্যাচের টিকিটের দাম আকাশছোঁয়া

    FIFA World Cup: শেষ আটে মুখোমুখি ইংল্যান্ড-ফ্রান্স, ম্যাচের টিকিটের দাম আকাশছোঁয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফিফা বিশ্বকাপের (FIFA World Cup) কোয়ার্টার ফাইনালে আজ মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স। ম্যাচ নিয়ে বাড়ছে উত্তেজনার পারদ। মনে করা হচ্ছে, ম্যাচ নয়, ফরাসিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামছেন ইংরেজরা। এই ম্যাচ নিয়ে দু’দলের সমর্থকদের মধ্যে অনেক আশা রয়েছে, তবে রহিম স্টার্লিং এবং কিলিয়ান এমবাপেকে নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। কিন্তু জানা গিয়েছে, শেষপর্যন্ত শেষ আটে ফুল ফিট স্কোয়াড পাচ্ছে দু-দলই। ফুটবল বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এ বারের বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা ম্যাচ হতে চলেছে ইংল্যান্ড বনাম ফ্রান্স। ফলে ম্যাচ দেখার জন্য টিকিটের চাহিদাও তুঙ্গে।

    স্টার্লিং ও এমবাপেকে নিয়ে জল্পনা

    সূত্রের খবর, রহিম স্টার্লিং ব্যক্তিগত সমস্যায় বিশ্বকাপের মাঝেই দেশে ফিরেছিলেন। অন্যদিকে এমবাপেকেও অনুশীলনে দেখা যায়নি। ফলে এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। তবে পরে রহিম কাতারে ফিরে দলের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন। তেমনই মাঝে এমবাপে অনুশীলন না করায় ফরাসি শিবিরে তাঁকে নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। কিন্তু এখন অবশ্য পরিস্থিতি পরিস্কার (FIFA World Cup)।

    টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে

    আজকের অন্যতম সেরা ম্যাচের (FIFA World Cup) প্রত্যক্ষদর্শী সবাই হতে চায়। ফলে টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে টিকিটের চাহিদাও। আর এখন টিকিটের দাম হয়ে গিয়েছে আকাশছোঁয়া। দু’দলের সমর্থকরাই টিকিট পেতে চান। এদিকে টিকিটের সংখ্যা নির্দিষ্ট। অথচ চাহিদা বেড়েই চলেছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দামও। বাড়তে বাড়তে কালোবাজারে এক জোড়া টিকিটের দাম হয়েছে আসল দামের ২৮ গুণ বেশি। ইংল্যান্ড-ফ্রান্স কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের সব থেকে কম মূল্যের এক জোড়া টিকিটের দাম ১৭৫ পাউন্ড বা ১৭ হাজার ৬০০ টাকা। সেই টিকিটই কাতারে বিকোচ্ছে ৫ হাজার পাউন্ড বা ৫ লাখ টাকারও বেশি দিয়ে। এককথায় প্রায় নিলাম চলছে বিশ্বকাপের এই ম্যাচের টিকিট নিয়ে। কিন্তু চড়া দামে বিক্রি হলেও ইংরেজরা ম্যাচ দেখার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।

    জানা গিয়েছে, টিকিটের চাহিদা বেশি ইংল্যান্ডের সমর্থকদের মধ্যে। শনিবার আল বায়েত স্টেডিয়ামে হ্যারি কেনদের সমর্থন করতে সাড়ে ন’হাজার ইংরেজ উপস্থিত থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

    বাগযুদ্ধ দু’দলের সমর্থকদের মধ্যে

    ম্যাচ নিয়ে ইংরেজ সমর্থকরা বর্তমানে যুদ্ধের মেজাজে রয়েছেন ও ফরাসিদের ‘শত্রু’ মনে করছেন (FIFA World Cup)। তাঁদের এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছেন। শুধু তাই নয়, ফরাসিদের প্রিয় খাবারও মুখে তুলছেন না ইংরেজরা। আপাতত ফরাসিদের ফ্রেঞ্চ ব্রেড ও ক্রসেন্ট খাচ্ছেন না তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় দু’দেশের সমর্থকদের শুরু হয়ে গিয়েছে বাগযুদ্ধ। ইংল্যান্ডের এক জন ফুটবলপ্রেমী লিখেছেন, ‘‘আপাতত আমরা ক্রসেন্ট বয়কট করছি।’’ পাল্টা ফ্রান্সের এক ফুটবলপ্রেমী লিখেছেন, ‘‘আগামী শনিবারের মধ্যে কোনও ইংরেজ আমাদের দেশের ব্রেড খেতে গিয়ে ধরা পড়লে তাকে জেলে পাঠানো হবে।”

  • G20: বাংলায় জি ২০-র প্রস্তুতি বৈঠক, জানুন কবে, কোথায়

    G20: বাংলায় জি ২০-র প্রস্তুতি বৈঠক, জানুন কবে, কোথায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জি ২০-র (G20) সভাপতিত্ব করার দায়িত্ব বর্তেছে ভারতের (India) ওপর। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) হাতে এই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়। এই জি ২০-র সম্মেলন হবে আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে। সেই উপলক্ষে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হবে নানান অনুষ্ঠান। তামাম বিশ্বের ১৫০টি দেশের প্রতিনিধি যোগ দেবেন ওই সম্মেলনে। পাঁচটি সেক্টরে বৈঠক রাখা হয়েছে। জি ২০ বৈঠকে এই সেক্টরগুলি নিয়ে আলোচনা করবেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা।  

    কবে, কোথায়…

    গোটা দেশের সঙ্গে এই বাংলায়ও হবে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান। এখানে বিভিন্ন স্তরের চারটি বৈঠক হবে। জানুয়ারির ৯-১১ বৈঠক হবে ওয়ার্কিং গ্রুপের। কলকাতার জে ডব্লু ম্যারিয়টে ওই বৈঠক হবে। এর পরের বৈঠক হবে ফেব্রুয়ারিতে। ওই মাসের ৮-৯ তালিখে বৈঠকে বসবে এনগেজমেন্ট গ্রুপ। এই বৈঠকটিও হবে কলকাতার জে ডব্লু ম্যারিয়টে। এর পরের মাসে বাংলায় কোনও বৈঠক নেই। বৈঠক রয়েছে তার পরের মাসে। এপ্রিলের ৩-৫ তারিখে বৈঠক হবে শিলিগুড়িতে। এই বৈঠকটিও হবে ওয়ার্কিং গ্রুপের। এ রাজ্যে এর পরের বৈঠকটি হবে জুলাইয়ে। ওই মাসের ১৭-১৮ তারিখে ফের হবে ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক। এই বৈঠকটিও হবে কলকাতায়। জুলাই মাসের ১৯ তারিখে আরও একটি বৈঠক হবে কলকাতায়। এটি মিনিস্ট্রিয়াল মিটিং। উল্লেখ্য, জি ২০ (G20) সম্মেলন উপলক্ষে আগামী বছর দেশজুড়ে দুশোটির মতো ইভেন্টের আয়োজন করতে চাইছে নয়াদিল্লি। তার মধ্যেই রয়েছে এগুলি।

    আরও পড়ুন: জি ২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসছেন পুতিন! কী বললেন তাঁর মুখপাত্র?

    জি২০ সফল করতে দিন কয়েক আগে সর্বদলীয় বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সর্বদলীয় এই বৈঠকটি হয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবনে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আয়োজিত ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজু জনতা দল সুপ্রিমো নবীন পট্টনায়েক, সিপিআইএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সহ বিভিন্ন দলের প্রধানরা। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও।

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের নভেম্বরের ১৫ তারিখে জি-২০ সম্মেলনের আসর বসেছিল ইন্দোনেশিয়ার বালিতে। ওই সম্মেলনেই আগামী বছর জি-২০ সম্মেলনের আয়োজনের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় ভারতের হাতে। জি ২০-র (G20) সদস্য দেশগুলি হল, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইটালি, জাপান, রিপাবলিক অফ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Weather Change: তাপমাত্রার পারদ হঠাৎ কমল, ভাইরাস ঘটিত জ্বর-কাশি এড়াতে কী করবেন?

    Weather Change: তাপমাত্রার পারদ হঠাৎ কমল, ভাইরাস ঘটিত জ্বর-কাশি এড়াতে কী করবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের শুরুতে তাপমাত্রার পারদ নামলেও, হঠাৎ যেন ছন্দপতন। আবহাওয়া বদলে (Weather Change) গেল। শীতের দাপট অনেকটাই কম। শনিবার রাত থেকেই আবার গুমোট ভাব। বাড়ছে তাপমাত্রা (Tempareture)। আর আবহাওয়ার এই হঠাৎ বদলেই বাড়বে বিপদ। এমনটাই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা (Doctors)।

    শীতের শুরুতে সর্দি-কাশি, ভাইরাস ঘটিত জ্বরে ভোগান্তি হয় শিশুদের। বয়স্করাও নানান সমস্যায় ভোগেন। তার উপরে যাঁদের শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির সমস্যা রয়েছে, তাঁদের পরিস্থিতি অনেক সময়ই উদ্বেগজনক হয়। আর আবহাওয়ার এই আচমকা বদলে তাঁদের শারীরিক অবস্থা আরও জটিল হতে পারে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, শিশু ও বয়স্কদের জন্য বাড়তি নজর দিতে হবে। সামান্য সতর্কতা অবলম্বন করলে বড় বিপদ এড়ানো যেতে পারে।

    টিকাকরণ জরুরি…

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, শিশুদের সুস্থ রাখতে প্রয়োজনীয় টিকাকরণ জরুরি। যদি কোনও টিকা বিশেষত হাম, রুবেলা ভাইরাসের টিকা নেওয়া বাকি থাকে, তাহলে অবশ্যই নিতে হবে। দেরি করা যাবে না। পাশপাশি ইনফ্লুয়েঞ্জা বা নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন নিতে হবে। তাপমাত্রার তারতম্যে শিশুরা খুব দ্রুত বিভিন্ন ভাইরাস ঘটিত জ্বরে আক্রান্ত হয়। সেখান থেকে নিউমোনিয়ার মতো রোগেও কাবু হয়। তাই নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে শিশুদের নিউমোনিয়ার ভয়াবহতা থেকে বাঁচানো যাবে। বড় বিপদ এড়ানো যাবে। শিশুদের মতো বয়স্করাও ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন সময় মতো নিলে সর্দি-কাশির ভোগান্তি কমবে।

    টিকাকরণ ছাড়াও সাধারণ কিছু সতর্কতার দিকেও জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের পরামর্শ, হঠাৎ গরম লাগলেও বাইরে থেকে ঘরে ফিরে ফ্যান চালানো চলবে না। কিন্তু একেবারেই গরমের পোশাক বর্জন করে বাইরে যাওয়াও চলবে না। এতে ভাইরাস ঘটিত জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে। তাছাড়া, যাঁদের ধুলো থেকে অ্যালার্জি হয়, তাঁদের মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, এই রকম আবহাওয়ায় শুষ্কভাব বাড়ে। ফলে বাতাসে ধুলোর পরিমাণও বেড়ে যায়। ফলে, নিয়মিত স্কুল কিংবা বাইরে গেলে ধুলো থেকে অ্যালার্জি হতে পারে।

    আরও পড়ুন: হামকে আসন্ন বিপদ ঘোষণা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    খাবারের ক্ষেত্রে একটু বাড়তি নজরদারি দিতে বলছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের পরামর্শ, এই সময়ে নানান মেলা হয়, অনেকেই বেড়াতে যায়। কিন্তু শিশুদের কোনও ভাবেই আইসক্রিম কিংবা ঠাণ্ডা পানীয় দেওয়া চলবে না। তাছাড়া অতিরিক্ত তেল মশলা জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। এতে নানান সমস্যা বাড়বে। পেটের অসুখ এড়িয়ে চলতে জরুরি কম মশলার খাবার খাওয়া। শীতে অনেকেই নানান বাইরের খাবার খান। কিন্তু অতিরিক্ত চটজলদি খাবারে রাশ টানার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। বিশেষত শিশুদের অনেক সময়েই শীতে বাইরের খাবার থেকে অ্যালার্জি হয়। হাতে-পায়ে লাল র‌্যাশ বের হয়, জ্বর হয়। তাই শরীরে কোনও রকম অ্যালার্জি দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

    খাবারের পাশপাশি জল পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে হবে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। এই আবহাওয়া শুষ্ক। তাই শরীরে জলের চাহিদা বাড়বে। জল পর্যাপ্ত না খেলে ডিহাইড্রেশনের মতো বিপদও ঘটতে পারে। তাছাড়া ভাইরাস ঘটিত জ্বরের থেকে মুক্তি পেতেও পর্যাপ্ত জল খাওয়া জরুরি। তবে, চিকিৎসকেরা বলছেন, জ্বর টানা তিন দিন থাকলে অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। শীতের পারদ কমতেই কিন্তু ডেঙ্গির আশঙ্কা বাড়তে পারে। মশাবাহিত রোগের দাপট এড়িয়ে গেলে চলবে না। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্ত পরীক্ষা করে কী ধরণের জ্বর হয়েছে, তা নিশ্চিত করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
LinkedIn
Share