Blog

  • Israel attacks Gaza: গাজায় বোমা হামলা চালাল ইসরায়েল

    Israel attacks Gaza: গাজায় বোমা হামলা চালাল ইসরায়েল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় রবিবার বোমা নিক্ষেপ করল ইসরায়েল সেনা (Israel attacks Gaza)। শনিবার গাজা থেকে ইসরায়েলে একটি রকেট নিক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় এই হামলা চালায় ইসরায়েল। 

    সংবাদ সংস্থার তরফে জানা গিয়েছে, ইসরায়েল (Israel attacks Gaza) সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, রবিবার ভোরে হামাসের একটি অস্ত্র তৈরির কারখানা এবং ভূগর্ভস্থ একটি সুড়ঙ্গ লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সিবিআইয়ের জালে বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখ, কোথায় ধরা পড়ল জানেন? 

    শনিবার ইসরায়েলের (Israel attacks Gaza) মাটিতে এক মাসের মধ্যে প্রথম রকেট আক্রমণ হয়েছে। যদিও এখন অবধি কেউ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গাজা থেকে ছোড়া রকেটটি শনিবার সন্ধ্যায় ইসরায়েলের সীমানার কাছে একটি খোলা জায়গায় অবতরণ করেছে। তবে এতে কোনও হতাহত বা কোনও সম্পত্তি নষ্ট হয়নি।

    ইসরায়েল সেনার হাতে ফিলিস্তিনি নাগরিকের মৃত্যু 

    এর আগে শুক্রবার ২৩ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি যুবক, আম্মার মুফলেহকে পয়েন্ট-ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গুলি করে হত্যা করেন একজন ইসরায়েলি (Israel attacks Gaza) সেনা। এ নিয়ে, গত সপ্তাহ থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে অন্তত ১০ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে।   

    ফিলিস্তিনি বিদেশমন্ত্রক মুফলেহের গুলিকে ‘মৃত্যুদণ্ডের’ সমান বলে নিন্দা করেছে। ফিলিস্তিনিরা সোশ্যাল মিডিয়ায় আরবি ভাষায় হ্যাশট্যাগ “হুওয়ারা এক্সিকিউশন” ব্যবহার করে ইসরায়েলি সেনার (Israel attacks Gaza) অন্যায়ের জবাব দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।  

    এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদেশ নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছেন, “অধিকৃত পশ্চিম তীরে সহিংসতার ক্রমবর্ধমান মাত্রা নিয়ে আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।” 

    বোরেল আরও বলেন, “গত সপতাহে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গতকালের ইসরায়েলি (Israel attacks Gaza) নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হাতে ফিলিস্তিনি ব্যক্তি আম্মার মিফলেহের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ছিল তার সর্বশেষ উদাহরণ। এই বিষয়গুলির অবশ্যই তদন্ত হওয়া উচিৎ এবং ইসরায়েলকে জবাবদিহি করতে হবে।” 

    প্রসঙ্গত, গাজা উপত্যকা, পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমের অধিকৃত অঞ্চলে ইসরায়েলি (Israel attacks Gaza) নিরাপত্তা বাহিনী হাতে চলতি বছর এ পর্যন্ত অন্তত ২০৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। হামাস ২০২১ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে ১১ দিনের যুদ্ধ চালিয়েছিল। এতে ২৫০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিকের মৃত্যু হয়। ফলে উপত্যকার পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে যায়। মিশরের মধ্যস্থতায় উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতি নেয় সেই সময়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     
      

  • Lucknow: মর্মান্তিক! মালাবদলের সময়েই মারা গেলেন এক কনে, কী এমন হল?

    Lucknow: মর্মান্তিক! মালাবদলের সময়েই মারা গেলেন এক কনে, কী এমন হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গিয়েছে। চারিদিকে আনন্দের পরিবেশ। মালাবদলের অনুষ্ঠান সবে শুরু হবে। কিন্তু এই ধুমধাম করে বিয়ের আনন্দ এক নিমেষের মধ্যে মিলিয়ে গেল চোখের জলে। জয়মালা বা বরমাল্য পরিণত হল মৃতদেহের মালায়। মালাবদলের সময় আচমকাই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন সদ্য কুড়িতে পা রাখা এক কনে। যা দেখে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ে গোটা গ্রাম। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে, লখনউয়ের (Lucknow) মালিহাবাদের (Malihabad) ভাদোয়ানা (Bhadwana) গ্রামে। আনন্দের মুহূর্তেই নেমে আসে শোকের ছায়া। এক মর্মান্তিক পরিণতির সাক্ষী থাকলেন বিয়েবাড়িতে হাজির অতিথিরা।

    কী ঘটেছিল?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, সানাই, বাজনা, পটকা, আলোর রোশনাই-এর মাঝে বিয়ের অনুষ্ঠানের সব রীতি হচ্ছিল। এরপর সময় আসে মালাবদলের। উপস্থিত প্রত্যেকের মুখে হাসি। কিন্তু পরমুহূর্তেই তা পরিণত হয়ে যায় কান্নায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কনের নাম শিবাঙ্গী শর্মা। মালাবদলের সময়ই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় কনের।  

    মালিহাবাদ থানা জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যম সূত্র জানতে পেরে ওই এলাকায় পুলিশ পাঠিয়েছিল (Lucknow)। স্থানীয় সূত্রে পুলিশ জানতে পারে, গ্রামের বাসিন্দা রাজপালের মেয়ে শিবাঙ্গীর সঙ্গে বিবেক নামে এক যুবকের বিয়ে হচ্ছিল। কনেকে মণ্ডপে নিয়ে এলে তিনি বরকে মালা পরানোর সময়েই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সেখানে উপস্থিত বহু লোকই সেই দৃশ্য মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করছিলেন।

    কনেকে সেই অবস্থায় দেখে হইচই পড়ে যায়। এরপর তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে ট্রমা সেন্টারে রেফার করা হলেও রাস্তায় যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। ফলে বিয়ের মণ্ডপে এমন ঘটনা সত্যিই মর্মান্তিক। যে মেয়েকে বধূ রূপে বরণ করে ঘরে তোলার কথা ছিল, তাঁকেই মণ্ডপ থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হল শশ্মানে (Lucknow)।  

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, জানা গিয়েছে, মেয়েটি গত ১৫-২০ দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন এবং তাঁর জ্বর ছিল। ডাক্তার বলেছিলেন তাঁর রক্তচাপ কম, কিন্তু এক সপ্তাহ আগে সে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু বিয়ের দিন সে আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে মালিহাবাদ সিএইচসিতে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তাঁর রক্তচাপ কম পাওয়া যায়। তাঁকে ওষুধ দেওয়া হয়েছিল এবং তার রক্তচাপ স্বাভাবিক হলে তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বিয়ের সময় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং মারা যান (Lucknow)।

  • Emmanuel Macron: ‘‘আমার বন্ধু নরেন্দ্র মোদিকে বিশ্বাস কর…’’ কেন বললেন মাক্রঁর, জানেন?

    Emmanuel Macron: ‘‘আমার বন্ধু নরেন্দ্র মোদিকে বিশ্বাস কর…’’ কেন বললেন মাক্রঁর, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছর জি ২০ সম্মেলনের আয়োজক দেশ ভারত (India)। আগামী বছর ভারতে হবে ওই সম্মেলন। ভারতের এই প্রাপ্তিকে সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এবার সেই মোদিকেই আমার বন্ধু বলে উল্লেখ করলেন ফান্সের (France) প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ (Emmanuel Macron)। রবিবার তিনি বলেন, আমি আমার বন্ধু নরেন্দ্র মোদিকে বিশ্বাস করি আমাদের এক জায়গায় নিয়ে আসার জন্য।

    মাক্রঁ বলেন…

    ট্যুইট বার্তায় মাক্রঁ বলেন, এক পৃথিবী। এক পরিবার। এক ভবিষ্যৎ। ভারত জি ২০ সম্মলনে আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে। এর পরেই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট লেখেন, আমি আমার বন্ধু নরেন্দ্র মোদিকে বিশ্বাস করি শান্তি এবং স্থায়ী পৃথিবী রক্ষায় তিনি আমাদের এক জায়গায় নিয়ে এসেছেন বলে।

    চলতি বছরের নভেম্বরের ১৫ তারিখে জি ২০ সম্মেলনের আসর বসেছিল ইন্দোনেশিয়ার বালিতে। ওই সম্মেলনে যোগ দেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব। এই সম্মেলনেই আগামী বছর জি ২০ সম্মেলনের আয়োজনের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় ভারতের হাতে। সেই মতো ডিসেম্বরের এক তারিখেই ভারত অফিসিয়ালি ওই দায়িত্ব নিয়েছে। আগামী বছরের সেপ্টেম্বর মাসে নয়াদিল্লিতে বসবে জি ২০ সম্মেলনের আসর। দু দিনের ওই সম্মেলন শুরু হবে ৯ তারিখে।

    আরও পড়ুন: জি-২০ সম্মেলন নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকল কেন্দ্র, যোগ দেবেন মমতা?

    জি ২০ সম্মেলনের আয়োজক দেশের দায়িত্ব পাওয়ায় বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, আমাদের দেশ একের মন্ত্র শোনাবে। আমাদের থিম, এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ। তিনি সন্ত্রাস, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অতিমারিকেই আগামী  বিশ্বের বড় চ্যালেঞ্জ বলে অভিহিত করেছিলেন। তিনি এও বলেছিলেন, এই তিনের বিরুদ্ধেই আমাদের লড়তে হবে। প্রধানমন্ত্রী এও বলেন, বিশ্বে যাতে সাসটেনেবল লাইফস্টাইল, খাদ্য সরবরাহ, সার এবং মেডিক্যাল প্রোডাক্ট নিয়ে রাজনীতি না হয়, সে ব্যাপারে উদ্যোগী হবে ভারত।

    প্রসঙ্গত, জি ২০-র (G 20 Summit) সদস্য দেশগুলি হল, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইটালি, জাপান, রিপাবলিক অফ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Navy Day: নৌ দিবসের অনুষ্ঠান বিশাখাপত্তনমে, অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর

    Navy Day: নৌ দিবসের অনুষ্ঠান বিশাখাপত্তনমে, অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই প্রথম নৌ দিবসের (Navy Day) অনুষ্ঠান হবে দিল্লির বাইরে, বিশাখাপত্তনমে। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। প্রতি বছরই দিনটি পালিত হয় মর্যাদার সঙ্গে। এবারও হবে। ১৯৭১ সালে ভারত-পাক যুদ্ধ (India Pak War) অপারেশন ট্রাইডেন্টের সাফল্য স্মরণ করে ফি বছর দিনটি পালিত হয়।

    নৌ দিবস…

    নৌ দিবস উপলক্ষে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। ট্যুইটবার্তায় প্রধানমন্ত্রী লেখেন, নৌ দিবস উপলক্ষে নৌ ব্যক্তিত্ব এবং তাঁদের পরিবারকে শুভেচ্ছা জানাই। আমাদের সমৃদ্ধ নৌবাহিনীর ইতিহাসের কারণে আমরা, ভারতবাসী হিসেবে গর্বিত। তিনি আরও লিখেছেন, ভারতীয় নৌবাহিনী প্রাণপণে আমাদের দেশকে রক্ষা করছে। চ্যালেঞ্জের সময় একে আলাদা করে চেনা যায়। ট্যুইটারে যে মেসেজ শেয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী, তার অডিও মেসেজও দিয়েছেন তিনি।

    নৌ দিবস (Navy Day) উপলক্ষে ট্যুইট করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-ও। অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও-ও শেয়ার করেছেন তিনি। ট্যুইটবার্তায় রাজনাথ লেখেন, সব নৌ ব্যক্তিত্বকে নৌ দিবসের শুভেচ্ছা। দেশ রক্ষার ব্যাপারে ভারতীয় নৌবাহিনী সর্বদা সামনের সারিতে। নৌবাহিনীর সাহস, দায়বদ্ধতা ও পেশাদারিত্বে দেশ গর্বিত।

    আরও পড়ুন: সিবিআইয়ের জালে বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখ, কোথায় ধরা পড়ল জানেন?

    বিশাখাপত্তনমে সম্মানীয় অতিথি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও অন্যান্য অভ্যাগতদের স্বাগত জানাবেন নৌবাহিনীর প্রধান। সরকারের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারতীয় যুদ্ধ জাহাজ, সাবমেরিনস, এয়ারক্রাফ্ট এবং পূর্বাঞ্চল, পশ্চিমাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চলের নৌ প্রধানরা ভারতীয় নৌবাহিনীর দক্ষতা ও বৈচিত্র্য তুলে ধরবেন। এই ইভেন্ট প্রদর্শিত হবে সানসেট সেরিমনি হিসেবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাধারণ মানুষ যাতে নৌবাহিনী সম্পর্কে আরও বেশি করে আগ্রহী হন, তাঁরা যাতে নৌবাহিনীর ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন হন, তাই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। দেশ রক্ষায় নৌবাহিনীর অবদান স্মরণ করিয়ে দেওয়াও এই অনুষ্ঠানের আরও একটি উদ্দেশ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bogtui Murder: সিবিআইয়ের জালে বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখ, কোথায় ধরা পড়ল জানেন?

    Bogtui Murder: সিবিআইয়ের জালে বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখ, কোথায় ধরা পড়ল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের বগটুই গণহত্যা (Bogtui Murder) ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত লালন শেখকে (Lalan Sheikh) গ্রেফতার করল সিবিআই (CBI)। শনিবার রাতে ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। ধৃত লালন নিহত তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের ছায়াসঙ্গী ছিল। শনিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে লালনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ২১ মার্চ ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিল লালন। বস্তুত বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সে-ই। ২১ মার্চ রাতে লালন ওই গ্রামের বেশ কয়েকজন বাসিন্দাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনার নেতৃত্ব দিয়েছিল বলে অভিযোগ।

    নেপথ্য কাহিনি…

    ২১ মার্চ রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বোমা মেরে খুন করা হয় বগটুই (Bogtui Murder) গ্রামের বাসিন্দা তথা বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের ভাদু শেখকে। খুনের বদলা নিতে ওই রাতেই গ্রামের একাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরদিন সকালে সাতজনের দেহ উদ্ধার করা হয়। দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁরাও মারা যান। ২১ জুন সিবিআই দুটি ঘটনার চার্জশিট জমা দেয়। ঘটনার পর থেকেই ফেরার ছিল চার্জশিটে নাম থাকা অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখ। এদিন হল গ্রেফতার। বগটুইকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছিল এমন একজনের আত্মীয় মিহিলাল শেখ। তিনি বলেন, সেদিন যে দলবল এসেছিল, তার নেতৃত্বে ছিল লালন। ওর ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। মিহিলাল বলেন, এটা মানুষও চাইছে।

    আরও পড়ুন: ‘প্রভাবশালীদের হাত ধরে নিয়োগ?’ সিবিআই-এর একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি চাকরি হারানো কর্মীরা

    লালনকে নিয়ে এই ঘটনায় এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হল ২৭ জনকে। নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ডের (Bogtui Murder) অন্যতম চক্রী আনারুল শেখকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিছুদিন আগে লালন শেখের ভাগনে বুলু শেখ ওরফে ডলারকেও গ্রেফতার করেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তার পরেও দীর্ঘ ন মাস ধরে ফেরার ছিল লালন। শেষমেশ ধরা পড়ল সিবিআইয়ের জালে।

    তদন্তের শুরু থেকেই যে জবানবন্দি পাওয়া গিয়েছিল, তার সবেতেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে আসে লালন শেখের নাম। সিবিআইয়ের তরফেও বগটুই হত্যা মামলায় যে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে, সেখানেও মূল অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো হয় লালনকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Shraddha Murder Case: খোশমেজাজে জেলবন্দি আফতাব! দিন কাটছে দাবা খেলে, বই পড়ে

    Shraddha Murder Case: খোশমেজাজে জেলবন্দি আফতাব! দিন কাটছে দাবা খেলে, বই পড়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে (Shraddha Murder Case) নৃশংসভাবে খুন করে, দেহ ৩৫ টুকরো করেছিল আফতাব আমিন পুলাওয়ালা। ফলে তিহার জেলে দিন কাটছে আফতাবের। তবে কোনওরকমের অনুশোচনা নেই তার। খোশমেজাজেই দিন কাটছে তার। জেলে দিন কাটছে দাবা খেলে ও বই পড়ে। জেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলে শান্তই রয়েছে আফতাব। বেশিরভাগ সময়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখে সে। তার দাবি অনুযায়ী, তাকে একটি বইও দেওয়া হয়েছে। ফলে এইসবেই মজে ‘কিলার’ আফতাব।

    কী বই পড়ছে আফতাব?

    তিহার জেল সূত্রে খবর, আফতাব (Shraddha Murder Case) ইংরেজি বই পড়তে চেয়েছে। জেল কর্তৃপক্ষের তরফে সেই দাবি মেনে ইংরেজি বই ‘দ্য গ্রেট রেলওয়ে বাজার: বাই ট্রেন থ্রু এশিয়া’ নামক একটি বই দেওয়া হয়েছে আফতাবকে। এটি একটি ভ্রমণের অভিজ্ঞতার বই। এই বই সম্পর্কে জেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, আফতাবকে যে বইটি দেওয়া হয়েছে তা বিদেশি লেখক পল থেরক্সের লেখা। এই বইয়ে কোনও অপরাধের উল্লেখ নেই এবং বইয়ের বিষয়বস্তুও এমন কিছু নয়, যা পড়ে আফতাব তার সঙ্গে থাকা বন্দিদের ক্ষতি করতে পারে।

    দাবা খেলায় মজে আফতাব

    পুলিশ জানিয়েছে, জেলে বেশির ভাগ সময় আফতাব দাবা খেলে। পুনাওয়ালা দাবা খেলার পরিকল্পনা করে সময় কাটায় ও একা থাকতেই পছন্দ করে। তাকে মাঝে মাঝে দুই জেলবন্দীর সঙ্গে ঝগড়া করতেও দেখা গিয়েছে। উল্লেখ্য, আফতাবের সেলে আরও দুই বন্দি রয়েছে, যারা চুরির অপরাধে অভিযুক্ত। দুইজনকেই জেল কর্তৃপক্ষের তরফে আফতাবের উপরে বিশেষ নজর রাখতে বলা হয়েছে (Shraddha Murder Case)।  

    পুলিশ কী জানিয়েছে?

    অন্যদিকে পুলিশ জানিয়েছে, আফতাবকে দাবা খেলায় বেশ পারদর্শী মনে হয়েছে। সে নিজেই নিজের প্রতিপক্ষ হিসাবেও দাবা খেলে। তাঁকে হারানো খুবই কঠিন। ফলে তার দাবা খেলার চাল দেখে মনে হচ্ছে, সে কতটা ধূর্ত ও তীক্ষ্ণ মস্তিষ্কের। জেলসূত্রে জানা গিয়েছে, তার দাবা খেলার এক-একটি চাল দেখে মনে হচ্ছে শ্রদ্ধা ওয়ালকরের হত্যাও তার দাবা কৌশলের মতো গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল। আবার এই হত্যাকাণ্ডের এক তদন্তকারী জানিয়েছে, পুলিশ তাকে যা করতে বলেছিল তা পুরোপুরি অনুসরণ করেছে। সে তার অপরাধও স্বীকার করেছে, পুলিশকে সহযোগিতা করেছে এবং পলিগ্রাফ ও নারকো টেস্টেও রাজি হয়েছে। কিন্তু এখন তার ‘ভালো’ আচরণেও সন্দেহ হচ্ছে পুলিশের।

    উল্লেখ্য, এরই মধ্যে আফতাবের নারকো ও পলিগ্রাফ টেস্ট দুই-ই করা হয়েছ। দুটিতেই সে শ্রদ্ধাকে খুন করার কথা স্বীকার করেছে। এরপর অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালার ব্রেন ম্যাপিংও (Brain Mapping) করতে পারে দিল্লি পুলিশ। ব্রেন ম্যাপিং- এর ফলে ব্রেনের পরিস্কার ছবি পাবেন বিশেষজ্ঞরা। এটি পরবর্তীতে তদন্তে সাহায্য করবে।

  • Mobile Phone ban: আমেরিকার স্কুলে নিষিদ্ধ মোবাইল, কেন জানেন?

    Mobile Phone ban: আমেরিকার স্কুলে নিষিদ্ধ মোবাইল, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (US) স্কুলে নিষিদ্ধ মোবাইল ফোনের ব্যবহার (Mobile Phone ban)। সে দেশে ম্যাসাচুসেটসের বাক্সটন হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ এই নির্দেশিকা জারি করেছে। স্কুলটি ১১৪ একর এলাকা জুড়ে। এই অতিকায় ক্যাম্পাসে ছাত্র, শিক্ষক কিংবা স্কুলের স্টাফেরাও মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। এই নিষেধাজ্ঞা জারির ফলও মিলেছে হাতেনাতে। জানা গিয়েছে, আগের চেয়ে এখন ঢের বেশি উন্নতি হয়েছে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের (Teacher Student Relation)। পড়ুয়াদের নিজেদের মধ্যেও সম্পর্ক হয়েছে মধুর।

    মারণ ভাইরাস…

    কী কারণে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ (Mobile Phone ban) হল ওই স্কুলে? এর উত্তর পেতে গেলে ফিরে যেতে হবে বছর দুয়েক আগে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো করোনার মারণ ভাইরাস থাবা বসিয়েছিল আমেরিকায়ও। করোনা দমনে সরকার জারি করে লকডাউন। এই লকডাউন পর্বে বন্ধ ছিল অফিস-কাছারি-স্কুল কলেজ। তবে পড়ুয়াদের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় তাই অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করেছিল স্কুলগুলি। তার পরেই দেখা দিয়েছে বিপদ। হয়েছে হিতে বিপরীত। অনলাইন ক্লাস করতে গিয়ে পড়ুয়াদের হাতে এসেছে মোবাইল। তার পরে ক্রমেই মোবাইল-আসক্ত হয়েছে পড়ুয়ারা। মোবাইলের সঙ্গে পড়ুয়াদের সম্পর্ক যত নিবিড় হয়েছে, ততই দূরত্ব বেড়েছে পরিবারের সঙ্গে। বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গেও তৈরি হয়েছে দূরত্ব।

    আরও পড়ুন: “যখন খেলা হবে, তা ভয়ঙ্কর হবে’, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    করোনা পর্ব অতীত হলে ওঠে লকডাউন। খোলে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। তবে তার পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ দেখেন, ছেলেমেয়েরা এতই মোবাইল-আসক্ত হয়ে পড়েছে যে ক্লাসে তারা ইন্টারঅ্যাক্ট করছে না। সে শিক্ষক হোন কিংবা সহপাঠী। অন্যান্য ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গেও দূরত্ব বেড়েছে। ছাত্রছাত্রীদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে এর পরেই স্কুল ক্যাম্পাসে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন ম্যাসাচুসেটসের বাক্সটন হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ।

    স্কুলের প্রধান শিক্ষক পিটার বেক বলেন, করোনার পরে যখন ক্লাস শুরু হয়েছিল, তখন আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে শিক্ষার্থীরা সারাদিন মোবাইলে ডুবে ছিল। তারা সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলাও বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, সেপ্টেম্বর মাসে মোবাইল ফোনের ওপর নিষেধাজ্ঞা (Mobile Phone ban) জারি করা হয়। তার ইতিবাচক প্রভাবও দেখা দিতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, পড়ুয়ারা বদলাচ্ছে। শিক্ষক কিংবা সহপাঠীদের সঙ্গে আগের মতোই ইন্টারঅ্যাক্ট করছে। তিনি বলেন, এখন তারা অনেক বেশি সময় অ্যাকাডেমিক ওয়ার্ক এবং অন্যান্য কাজ করে সময় কাটাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TET 2022: “স্বচ্ছ ভাবে পরীক্ষা নিতে হবে”, টেট নিয়ে বাড়তি সতর্কতা পর্ষদের, জারি একগুচ্ছ নির্দেশিকা

    TET 2022: “স্বচ্ছ ভাবে পরীক্ষা নিতে হবে”, টেট নিয়ে বাড়তি সতর্কতা পর্ষদের, জারি একগুচ্ছ নির্দেশিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির একের পর এক অভিযোগে ইতিমধ্যেই বিপাকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এর মধ্যেই আগামী ১১ই ডিসেম্বর নেওয়া হবে টেট পরীক্ষা (TET 2022)। এই অবস্থায় স্বচ্ছতা নিয়ে যাতে কোনওভাবেই প্রশ্ন না ওঠে, তাই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে চায় পর্ষদ। আর সেই কারণেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের বায়োমেট্রিক পরীক্ষা এবং প্রতিটি কেন্দ্রে সিসিটিভি বাধ্যতামূলকভাবে থাকতে হবে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

    আরও পড়ুন: ‘ডিসেম্বরে লাড্ডু নিয়ে আসব’, ডায়মন্ড হারবারের সভায় কীসের ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    কী বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে? 

    সদ্য প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে (TET 2022) উল্লেখ করা হয়েছে, পরীক্ষার স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সমগ্র পরীক্ষার পদ্ধতি নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে পর্ষদ। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রবেশ এবং বাহির পথে সিসিটিভির ব্যবস্থা করতে হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র পাঠানো হবে এক ঘণ্টা আগে। তার আগে কোনওভাবে প্রশ্নপত্র পাঠানো যাবে না। পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করা প্রতিটি শিক্ষক এবং কর্মচারীদের গলায় বৈধ পরিচয় পত্র ঝুলিয়ে রাখতে হবে। পরীক্ষার্থীদের জন্যেও রয়েছে একাধিক নিয়ম। মোবাইল বা ধাতব কোনও জিনিস নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতরে প্রবেশ করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে পর্ষদ।

    বিতর্ক এড়াতেই যে এই কড়াকড়ি তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। তিনি বলেন, “টেট (TET 2022) যাতে স্বচ্ছ ভাবে হতে পারে তার জন্যই সমস্ত রকম ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। আমরা নতুন করে আর কোনও বিতর্ক চাই না। সেই চেষ্টায় চালাচ্ছি।”

    সম্প্রতি ২০১৪ সালের টেট (TET 2022) উত্তীর্ণদের নম্বরের তালিকা প্রকাশ করে বিতর্কে জড়িয়েছে পর্ষদ। সেখানে দেখা যায় উচ্চমাধ্যমিকে কেউ কেউ পূর্ণমানের থেকে বেশি নম্বর পেয়েছেন। টেটের অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া নিয়েও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: পুড়ল বাইক, বাস ভাঙচুর, পথ অবরোধ তৃণমূলের, শুভেন্দুর সভা ভন্ডুলের অভিযোগ

    Suvendu Adhikari: পুড়ল বাইক, বাস ভাঙচুর, পথ অবরোধ তৃণমূলের, শুভেন্দুর সভা ভন্ডুলের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভা বানচালের চেষ্টা তৃণমূলের (TMC)! শনিবার শুভেন্দুর সভার আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক জায়গায় পথ অবরোধ করে তৃণমূল। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে অবরোধ করা হয় রাস্তা। যদিও বিজেপির অভিযোগ, গেরুয়া কর্মী-সমর্থকরা যাতে শুভেন্দুর সভায় যোগ দিতে না পারেন, তাই সভা ভন্ডুলের চেষ্টা রাজ্যের শাসক দলের।   

    তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন…

    তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংসদ এলাকা ডায়মন্ড হারবারে সভা করতে না দেওয়ার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। আদালতের নির্দেশের পরেও তাঁর সভা বানচালের চেষ্টার অভিযোগে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন শুভেন্দু। তিনি ঘোষণা করেছিলেন, সভা করবেনই। ট্যুইটারে অভিষেককে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু। লিখেছেন, পারলে ঠেকাও।

    এদিন সকালে মথুরাপুরের লালপুরে প্রথমে রাস্তা অবরোধ করে তৃণমূল। এর পর শুরু হয় কুলপির শ্যামবসুর চক এবং হটুগঞ্জে। টায়ার পুড়িয়ে জায়গায় জায়গায় চলে বিক্ষোভ প্রদর্শন। লালপুরে অবরোধ চলে ঘণ্টাখানেক। অবরোধের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক। হয় তীব্র যানজট।

    কেবল পথ অবরোধেই থেমে থাকেননি অবরোধকারীরা। একটি বাসে করে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভাস্থলের দিকে আসছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। আচমকাই সেই বাস লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট। ভাঙচুর চালানো হয় যাত্রিবাহী ওই বাসে। ইটের ঘায়ে ভেঙে যায় বাসের কাচ। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই একাজ করেছে।

    আরও পড়ুন: “শীতবস্ত্র বিলির কথাই ছিল না সেদিন”, ‘প্রমাণ’ দিয়ে মমতাকে মিথ্যেবাদী বললেন শুভেন্দু

    এদিন সব চেয়ে বড় ঘটনাটি ঘটে হটুগঞ্জ এলাকায়। এখানে সকালে পথ অবরোধ করে তৃণমূল। প্রতিবাদ করে বিজেপি। এনিয়ে দু পক্ষে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। আচমকাই বদলে যায় পরিস্থিতি। শুরু হয় দোকানপাট ভাঙচুর। ভাঙচুর চালানো হয় দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটি গাড়িতেও। আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় বাইক। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূল পার্টি অফিসেও। এলাকায় বোমাবাজি হয় বলেও অভিযোগ।

    এদিন শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভাস্থলে যাচ্ছিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। বাধা দেওয়া হয় তাঁকেও। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনিও। বিজেপির অভিযোগ, দলীয় কর্মী-সমর্থকরা যাতে শুভেন্দুর সভায় যেতে না পারেন, তাই একাজ করেছে তৃণমূল।

    ঘটনায় রাজ্যের শাসক দলকে একহাত নিয়েছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, যেখানে তৃণমূল একটু দুর্বল, সেখানে পুলিশ দিয়ে আমাদের কর্মীদের আটকানো হচ্ছে। অন্যত্র ওই কাজ করছে দুষ্কৃতীরা। শুভেন্দু বলেন, ভয় না পেলে এসব করবে কেন। আধ ঘণ্টার তো সভা করব। তিনি বলেন, চিরদিন কাহারো সমান নাহি যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘বোমা বাঁধছিলেন তৃণমূল নেতা’, ভূপতিনগরের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘বোমা বাঁধছিলেন তৃণমূল নেতা’, ভূপতিনগরের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারের দুই হাইভোল্টেজ সভার আগেই কেঁপে উঠল ভূপতিনগর। বিস্ফোরণে উড়ে গেল এক তৃণমূল নেতার বাড়ি। আজ একদিকে ডায়মন্ডহারবারে সভা করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), অন্যদিকে কাঁথিতে সভা করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 

    আর তার আগেই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে বহুদূর পর্যন্ত তা শোনা যায়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মৃত তিনজনই তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: “যখন খেলা হবে, তা ভয়ঙ্কর হবে’, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগেই এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় অবিলম্বে এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মৃতদের নাম রাজকুমার মান্না, তাঁর ভাই দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। এদিকে এই বিষয়টি নিয়ে ট্যুইট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

    কী বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী?

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) ট্যুইটে লেখেন, “ভূপতিনগরে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২ জন আহত। ভগবানপুর ২ নম্বর ব্লকের ঘটনা। তৃণমূল নেতা রাজকুমার মান্না বোমা তৈরি করছিল সেই সময় বিস্ফোরণ ঘটে। আমি NIA তদন্তের দাবি করছি।”

     

    শুক্রবার রাতেই বিস্ফোরণে ঝলসে যান ভূপতিনগরের তিন ব্যক্তি। ঝলসে যাওয়া দেহগুলো উদ্ধার হয় ওই তৃণমূল নেতার বাড়ির অদূরেই। রাজকুমারের স্ত্রী জানিয়েছেন, রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা মৃতদেহগুলি বের করে নিয়ে গিয়েছে। রাজকুমারের দুই ভাই বিশ্বজিৎ গায়েন ও লালুর মৃত্যু হয়েছে। এই বোমাগুলি কেন বাঁধা হচ্ছিল, আর কারা এর সঙ্গে যুক্ত ছিল, তা জানতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। পুরো এলাকা কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

               

LinkedIn
Share