Blog

  • Narendra Modi: ২০২৪-এ প্রধানমন্ত্রী মোদি-ই! জানুন কী বললেন অমিত শাহ

    Narendra Modi: ২০২৪-এ প্রধানমন্ত্রী মোদি-ই! জানুন কী বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জার্মানির বার্লিন থেকেই ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের স্লোগান পেয়ে গিয়েছিল বিজেপি (BJP)। আওয়াজ উঠেছিল, টোয়েন্টি টোয়েন্টি ফোর, মোদি ওয়ান্স মোর (Twenty Twenty Four, Modi once more) । অর্থাৎ ২০২৪-এ মোদি আরও একবার ক্ষমতায় আসছেন। বিজেপি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বার্লিন সফর থেকেই বিজেপির পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনের স্লোগান মিলেছিল। এবার সেই দাবিতেই শিলমোহর দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    আগামী ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি জেডিইউ এক সঙ্গেই লড়বে। আর এনডিএ-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী থাকছেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রবিবার পাটনায় অনুষ্ঠিত বিজেপি দু’দিনের যৌথ জাতীয় কার্যনির্বাহী সভার সমাপ্তি অধিবেশনে এ কথাই বললেন অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি জানান আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হচ্ছেন নরেন্দ্র মোদিই। তাঁর প্রশাসনিক ক্ষমতা এবং যুক্তিবাদী, আধুনিক চিন্তাভাবনার সুফল পেয়েছে ভারত এমনই অভিমত ব্যক্ত করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর কাজ আজ শুধু ভারতে নয় সারা বিশ্বে আদৃত।

    আরও পড়ুন: হর ঘর তিরঙ্গা আন্দোলনে অংশ নিন, মন কি বাতে অনুরোধ মোদির

    এই প্রসঙ্গে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং বলেন, “২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ও জেডিইউ একসঙ্গে লড়বে। ২০২৫-এর বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপি জেডিইউ জোট সক্রিয় থাকবে। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বেই লড়বে। ফের তিনিই হবেন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। এনিয়ে কোনও ধোঁয়াশা নেই।”

    এই বৈঠকে উপস্থিত সকল সদস্যকে এক কাশ্মীরি মহিলার হাতে তৈরি তেরঙ্গা পতাকা দেওয়া হয়। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এই কাজের মাধ্যমেই বোঝানো হয়, ৩৭০ ধারা রদের পর কাশ্মীরের মনোভাব অনেকটাই ইতিবাচক। এদিন অমিত শাহ আরও বলেন, “স্বাধীনতা দিবসে দেশের প্রতিটি কোণে উড়বে জাতীয় পতাকা। স্বাধীনতার পর মোদি সরকারের আমলেই গ্রাম থেকে দলিত ও উপজাতিরা সবথেকে বেশি মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন। দেশভক্তি দেখানোর সময় এসেছে এবার ১৩ অগাস্ট থেকে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত দেশের প্রতিটি কোণে জাতীয় পতাকার উত্তোলন হবে। বিষয়টি সুনিশ্চিত করবেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা।”

  • Indian Hockey Team: ঘানাকে ১১-০ গোলে হারিয়ে কমনওয়েলথ গেমসে অভিযান শুরু ভারতীয় হকি দলের

    Indian Hockey Team: ঘানাকে ১১-০ গোলে হারিয়ে কমনওয়েলথ গেমসে অভিযান শুরু ভারতীয় হকি দলের

    মাধ্যম নিউজ জেস্ক: কমনওয়েলথ গেমসে (Commonwealth Games) পুরুষদের হকিতে দারুণভাবে তাঁদের যাত্রা শুরু করল ভারত (India)। ১১টি গোল করে উড়িয়ে দিল ঘানার (Ghana) হকি দলকে। রবিবার কমনওয়েলথ গেমসে পুল বি-এর ম্যাচে ভারত পরাজিত করল ঘানাকে। এদিন ভারতের সামনে ঘানা হকি দল এক মুহূর্তও টিকতে পারেনি। একটি গোলও করতে পারেননি তাঁরা। গতকালের ম্যাচে ভারতীয় হকি দল ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখিয়ে দেখছে। চলেছে একের পর এক গোল। এর উত্তরে একটিও গোল করতে পারেনি ঘানা।

    আরও পড়ুন: কমনওয়েলথ গেমসে রেকর্ড গড়ে সোনা জিতলেন বাংলার অচিন্ত্য, মণিপুরের জেরেমি

    তবে কমনওয়েলথ গেমসে এখনও সোনা পাওয়া হয়নি। তাই তাঁদের এরপরের লক্ষ্যই সোনা জয় করা। তাই এদিন প্রথম থেকেই দুর্দান্ত পারফর্ম করতে শুরু করে মনপ্রীত সিংরা। ম্যাচের প্রথম গোলটি করেন অভিষেক। এরপরেই পেনাল্টি কর্নার পান হরমনপ্রীত সিং (Harmanpreet Singh) এবং একে কাজে লাগিয়ে প্রথম কোয়ার্টারের দ্বিতীয় গোলটি করেন। তৃতীয় গোলটি করেন শামসের (Shamsher)। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে অক্ষদ্বীপ সিং (Akashdeep Singh) ও যুগরাজ সিং  (Jugraj Singh) একটি করে গোল করেন। তৃতীয় কোয়ার্টারে আরও চারটি গোল করে ভারত। গোল করেন হরমনপ্রীত সিং, নীলকান্ত শর্মা, বরুণ কুমার ও যুগরাজ সিং। এই তৃতীয় কোয়ার্টারেই হরমনপ্রীত তাঁর দ্বিতীয় গোলটি করেন। বরুণ পেনাল্টি কর্নারকে কাজে লাগিয়ে গোল করতে পারেন। এরপেই চতুর্থ কোয়ার্টারের শুরুতেই ম্যাচের ১০ নম্বর গোলটি করেন মনদ্বীপ সিং (Mandeep Singh)। তারপর ম্যাচের ফাইনাল গোলটি করেন হরমনপ্রীত সিং। প্রথম ম্যাচেই হ্য়াটট্রিক করে ফেললেন তিনি।

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন: অর্থের জন্য খেলা ছেড়েছিলেন দাদা! জানুন কী বললেন কমনওয়েলথে বাংলার সোনার ছেলে অচিন্ত্য

    এরপরেই আজ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নামবেন ভারতীয় হকি দল। তবে ঘানার বিরুদ্ধে এই জয় ভারতীয় দলের অনেকটা আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে বলে মনে করছে সবাই। এদিন ঘানার বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে জয়লাভে পুরো দেশবাসী উচ্ছ্বসিত। আজকের ম্যাচে ভারতীয় দল কেমন খেলবেন তারই অপেক্ষায় বসে রয়েছে দেশবাসী। ভারতীয় সময় অনুসারে রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ আজকের ম্যাচ শুরু হবে।

     

  • Asteroid Nearing Earth: ধেয়ে আসছে গগণচুম্বী গ্রহাণু!  আজই সবচেয়ে কাছে, কী হবে পৃথিবীর

    Asteroid Nearing Earth: ধেয়ে আসছে গগণচুম্বী গ্রহাণু! আজই সবচেয়ে কাছে, কী হবে পৃথিবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রহাণুদের আসার বিরাম নেই। গত বছর ধরে দফায় দফায় গ্রহাণুরা পৃথিবীর আশপাশে ঘুরে গেছে। কেউ একেবারে কোল ঘেঁষে আবার কেউ একটু তফাৎ রেখে দূর দিয়ে। গত সপ্তাহে দুটি ভিন্ন আকারের গ্রহাণুর সঙ্গে মুখোমুখি দেখা হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। একটি ছিল ৪০০ ফুট চওড়া, অন্যটি ৬০০ ফুট চওড়া। তবে এবার তার থেকে অনেক বড় অনুমান, কুতুব মিনারের চেয়ে ৬ গুণ বড় একটি গ্রহাণু আজই পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে চলে আসবে। এবার কি তবে সত্যিই পৃথিবীর ধ্বংস আসন্ন? একথা উঠছে, কারণ, এই মহাজাগতিক ঘটনা নিয়ে সতর্ক করেছে নাসা (NASA)।

    আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে নিজের কক্ষপথ প্রদক্ষিণ পৃথিবীর, ভাঙল সবচেয়ে ছোট দিনের রেকর্ড

    যে কোনও আকারের গ্রহাণুই পৃথিবীর পক্ষে ভয়ের। কেননা, যে ভরবেগ নিয়ে তারা ছুটে আসে, তাতে পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা লাগলে কোনও না কোনও বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু সাধারণ আকারের চেয়ে যদি ছুটে আসতে থাকা গ্রহাণুর আকার ও আকৃতি অনেকটাই বড় হয়, তাহলে বিপদ বেড়েই যায়। নাসা আগেই এই গ্রহাণু নিয়ে সতর্ক করেছিল। এই বিশাল গ্রহাণু (Asteroids) তেড়েফুঁড়ে এগিয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। আজ ৩ অগাস্ট পৃথিবীর একেবারে কাছাকাছি চলে আসবে। এখন টক্কর লাগবে নাকি পৃথিবীর কোল ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে তা নিশ্চিত করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। তবে তাঁরা সর্বদা এর গতিপথের দিকে নজর রাখছে।

    আরও পড়ুন: সরাসরি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে সৌর ঝড়! ফল কী হতে পারে? জানুন

    প্রায় ১২০০ ফুট বিস্তৃত ৩৬৫ মিটার চওড়া দীর্ঘ আকারের এই অ্যাস্টেরয়েড ভয়ংকর গতিতে ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। এখন পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে এটা। প্রদক্ষিণ করতে করতেই ক্রমশ সামনে চলে আসছে। বিজ্ঞানীরা বিষয়টিকে এই ভাবে বোঝাচ্ছেন, যে গ্রহাণু ধেয়ে আসছে, সেটি আকারে স্ট্যাচু অব লিবার্টির ৩ গুণ। এত বৃহৎ একটি পাথর যে কোনও ভাবেই আসুক না কেন তা যে কোনও সময়েই বিপদের বার্তা বহন করে আনে।  

  • Commonwealth Games: আশা করি এবার একটা সিনেমা দেখার সময় পাবে! অচিন্ত্যর প্রশংসায় মোদি

    Commonwealth Games: আশা করি এবার একটা সিনেমা দেখার সময় পাবে! অচিন্ত্যর প্রশংসায় মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিহাস গড়েছেন হাওড়ার অ্যাথলিট। কমনওয়েলথ গেমসে (CWG 2022) ভারোত্তোলনে সোনা জিতেছেন অচিন্ত্য শিউলি (Achintya Sheuli)। বাংলার ভারোত্তোলককে প্রশংসায় ভরালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রবিবার রাতে বাংলার ভারোত্তোলক ৭৩ কেজি বিভাগে সোনা জেতার পর উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইট, ‘কমনওয়েলথ গেমস খেলতে রওনা হওয়ার আগে অচিন্ত্য শিউলির সঙ্গে কথা হয়েছিল। ওঁর মা ও দাদার কাছে কীরকম সমর্থন পেয়েছেন, জানিয়েছিলেন। এবার আশা করি পদক জেতার পর একটা সিনেমা দেখার সুযোগ পাবেন’। অচিন্ত্যর শান্ত, নম্র স্বভাবেরও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, ঠাণ্ডা মাথায়, একাগ্র চিত্তে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছন অচিন্ত্য। এর জন্য কঠিন পথ পার হতে হয় তাঁকে। 

    ‘স্ন্যাচ’-এ এক নয়, দুই দুইবার কমনওয়েলথ গেমসের রেকর্ড ভাঙলেন ২০ বছরের ভারোত্তোলক অচিন্ত্য। প্রথম প্রয়াশে তিনি ‘স্ন্যাচ’-এ ১৪৩ কেজি ভারোত্তোলন করেন। এরপর ১৪৩ কেজি তুলে সেই রেকর্ডও ভেঙে দেন। এরপর তিনি ‘ক্লিন এন্ড জার্ক’-এ ১৬৬ কেজি তোলার পর সফলভাবে ১৭০ কেজি ওজন তুলে মোট ভারোত্তোলনের ক্ষেত্রেও গেমসের রেকর্ড ভেঙে দেন। সব মিলিয়ে মোট ৩১৩ কেজি ভারোত্তোলন করে গেমসের রেকর্ড ভেঙে ভারতকে তৃতীয় স্বর্ণপদক এবং সব মিলিয়ে ষষ্ঠ পদক এনে দিলেন অচিন্ত্য।

    আরও পড়ুন: অর্থের জন্য খেলা ছেড়েছিলেন দাদা! জানুন কী বললেন কমনওয়েলথে বাংলার সোনার ছেলে অচিন্ত্য

    এ বারের কমনওয়েলথ গেমসের দ্বিতীয় দিন ৪টি পদক এসেছে ভারতের ঝুলিতে। আর সেই চারটি পদকই ভারোত্তোলন থেকে। বার্মিংহ্যাম থেকে মীরাবাঈ চানু দেশকে দিয়েছেন প্রথম সোনা। রুপো দিয়েছেন সংকেত মহাদেব সারগর ও বিন্দিয়ারানি দেবী। এবং ব্রোঞ্জ দিয়েছেন গুরুরাজা পূজারি। তৃতীয় দিনেও ভারোত্তোলন থেকেই ভারতের পদক লাভ। দুটিই সোনা। ৬৭ কেজি বিভাগে সোনা জিতলেন জেরেমি লালরিননুনগা। আর ৭৩ কেজি বিভাগে সোনা বাংলার ছেলে অচিন্ত্যর। 

    ভারতীয় ভারোত্তোলকদের এই পারফরমেন্সকে ‘যুবশক্তির জয়’ আখ্যা দেন মোদি। কমনওয়েলথ গেমসে ৬৭ কেজি বিভাগে জেরেমি লালরিননুনগার সোনা জয়ের পরই  ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “ইতিহাস সৃষ্টি করছে আমাদের যুবশক্তি! অনেক শুভকামনা জেরেমি। প্রথম কমনওয়েলথ- গেমসেই সোনা জিতে নিয়েছেন এবং সেই সঙ্গে একটি অসাধারণ গেমসে রেকর্ডও গড়েছেন। অল্প বয়সে এমন জয়। প্রচুর গর্ব হচ্ছে এবং অনেক গৌরব নিয়ে এসেছেন আপনি। ভবিষ্যৎ প্রচেষ্টার জন্য শুভকামনা রইল”

  • Achinta, Jeremy Win Gold: কমনওয়েলথ গেমসে রেকর্ড গড়ে সোনা জিতলেন বাংলার অচিন্ত্য, মণিপুরের জেরেমি

    Achinta, Jeremy Win Gold: কমনওয়েলথ গেমসে রেকর্ড গড়ে সোনা জিতলেন বাংলার অচিন্ত্য, মণিপুরের জেরেমি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসের ভারোত্তলন থেকে এল ভারতের তৃতীয় সোনা। ছেলেদের ৭৩ কেজি বিভাগে গেমস রেকর্ড গড়ে স্বর্ণপদক জিতলেন বাংলার অচিন্ত্য শিউলি। ৭৩ কেজি বিভাগে স্ন্যাচে প্রথম প্রয়াসে অচিন্ত্য তোলেন ১৩৭ কেজি, দ্বিতীয় প্রয়াসে ১৪০ কেজি ও তৃতীয় প্রয়াসে ১৪৩ কেজি তুলে নিজের গেমস রেকর্ড আরও বাড়িয়ে নেন অচিন্ত্য। 

    ক্লিন অ্যান্ড জার্কে প্রথম প্রয়াসে অচিন্ত্য ১৬৬ কেজি তোলেন। দ্বিতীয় প্রয়াসে অচিন্ত্য ১৭০ কেজি তুলতে গিয়ে পারেননি। কিন্তু তখনও তিনি লিড ধরে রাখেন। এরপর তৃতীয় প্রয়াসে তিনি ১৭০ কেজি তুলে গেমস রেকর্ডকে আরও উন্নত করেন। তাঁর সম্মিলিত স্কোর দাঁড়ায় রেকর্ড ৩১৩ কেজি। এই ইভেন্টে অচিন্ত্যর থেকে ১০ কেজি পিছিয়ে থেকে রুপো জেতেন হিদায়াত মহম্মদ (৩০৩ কোজি)। সার্বিকভাবে ২৯৮ কেজি ভার তুলে ব্রোঞ্জ জেতেন ডারসিগনি।

    অচিন্ত্যর সাফল্যে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লেখেন, গেমসে যাওয়ার আগে আমার সঙ্গে  অচিন্ত্যর কথা হয়েছিল। আমি জেনেছি, কীভাবে পরিবার ওকে সমর্থন করে এসেছে।

     

    অভিনন্দন জানিয়েছেন উপ-রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। 

     

    এর আগে, ভারতকে দ্বিতীয় সোনা এনে দেন মণিপুরের ১৯ বছর বয়সী ভারোত্তোলক জেরেমি লালরিনুঙ্গা। তিনিও এদিন গেমস রেকর্ড সোনা জিতলেন। স্ন্যাচে ১৪০ কেজি ওজন তুলেছেন মিজোরামের এই ভারোত্তোলক। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর থেকে এগিয়ে ছিলেন ১০ কেজি ব্যবধানে। ক্লিন অ্যান্ড জার্কে তিনি তোলেন ১৬০ কেজি। সব মিলিয়ে ৩০০ কেজি তুলে কমনওয়েলথ গেমসে রেকর্ড গড়ে সোনা জিতেছেন। তবে ক্লিন অ্যান্ড জার্কে বেশি ওজন তুলতে গিয়ে পেশিতে টান ধরে।

    চার বছর আগে যুব অলিম্পিক্সে সোনা জিতেছিলেন জেরেমি। সোনা জিতেছিলেন কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপেও। এ বার সোনা এল কমনওয়েলথ গেমসেও। স্ন্যাচিংয়ে তাঁর বিভাগে রেকর্ড গড়লেন জেরেমি। ১৪০ কিলো তোলেন তিনি। কমনওয়েলথ গেমসে ৬৭ কিলো বিভাগে যা রেকর্ড। জেরেমিকে উৎসাহ দিতে গ্যালারিতে হাজির হয়েছিলেন মীরাবাই চানু, যিনি শনিবারই ভারতকে প্রথম সোনা এনে দিয়েছেন।

     

  • Maharasthra Political Crisis: এবার ভাঙন শিবসেনা পরিবারে, শিন্ডে শিবিরে উদ্ধবের ভাইপোও!

    Maharasthra Political Crisis: এবার ভাঙন শিবসেনা পরিবারে, শিন্ডে শিবিরে উদ্ধবের ভাইপোও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলে ভাঙন ধরেছিল আগেই। এবার ভাঙন ধরল শিবসেনার (Shiv Sena) পরিবারেও! মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার খোয়ানোর পর এতদিন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) পাশ থেকে সরে যাচ্ছিলেন একের পর এক বিধায়ক। এবার সদ্য মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসা একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde) শিবিরে নাম লেখালেন উদ্ধবের ভাইপো নীহার ঠাকরে (Nihar Thackeray)। শিবসেনার এই ‘ডামাডোলে’র আগে রাজনৈতিকভাবে তেমন সক্রিয় ছিলেন না নীহার। ইদানিং হয়েছেন। এবং হয়েই দেখা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডের সঙ্গে। শিন্ডের সঙ্গে দেখা করে তাঁর প্রতি নিজের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন নীহার।

    নীহার পেশায় আইনজীবী। রাজনৈতিক ও পারিবারিকভাবে শিবসেনা প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের আত্মীয়দের মধ্যে কোনও ঘনিষ্ঠতা না থাকলেও, নীহারের এই সিদ্ধান্ত উদ্ধবের জন্য বড় ধাক্কা বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। শিবসেনা, কংগ্রেস এবং এনসিপিকে নিয়ে গঠিত মহাবিকাশ আঘাড়ি জোট ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়ার পক্ষপাতী ছিলেন শিবসেনা বিধায়ক একনাথ শিন্ডে। তা নিয়ে উদ্ধরের সঙ্গে বিবাদ বাঁধে শিন্ডের। অনুগত বিধায়কদের নিয়ে প্রথমে গুজরাট ও আসামে উড়ে যান একনাথ। পরে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েন একনাথ।

    আরও পড়ুন : শিবসেনা কার? উদ্ধব, শিন্ডেকে তথ্যপ্রমাণ জমা দেওয়ার নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

    এর পরেই আসল শিবসেনা কে, তা নিয়ে বিবাদ শুরু হয় উদ্ধব-শিন্ডে শিবিরের। শিবসেনার প্রতীক তির-ধনুক পেতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় শিন্ডে শিবির। এর পরেই উদ্ধব শিবিরের পক্ষ থেকে পিটিশন দাখিল করা হয়েছে আদালতে। জানা গিয়েছে, শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বাল ঠাকরের তিন ছেলে। তাঁর মধ্যে বড় ছেলে বিন্দুমাধব। প্রয়াত বিন্দুমাধবের ছেলে নীহার। পেশায় বিন্দুমাধব হিন্দি সিনেমার প্রযোজক ছিলেন। তিনি কখনও সরাসরি রাজনীতিতে ছিলেন না। তাঁর ছেলের একনাথ শিবিরে যোগ দেওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বইকি!সূত্রের খবর, কেবল নীহার নন, বাল ঠাকরের ছোট ছেলের প্রাক্তন স্ত্রী স্মিতা ঠাকরেও দেখা করেছেন শিন্ডের সঙ্গে।

    উদ্ধব বলেন, আমার সরকার গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর পদ গিয়েছে। এতে আমার কোনও দুঃখ নেই। কিন্তু আমার নিজের লোকেরা বিশ্বাসঘাতকদের শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন! আমার যখন অস্ত্রোপচার হচ্ছিল, তখনও তাঁরা আমার সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তিনি বলেন, আদালত এবং রাস্তা সর্বত্রই জয়ী হবে শিবসেনা।

    আরও পড়ুন : নির্বাচন কমিশনকে রুখতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে শিবির

  • World Tiger Day: বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব বাঘ দিবস, দিনটির তাৎপর্য জানেন কি?

    World Tiger Day: বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব বাঘ দিবস, দিনটির তাৎপর্য জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ‘বিশ্ব বাঘ দিবস’ (International Tiger Day)। বিশ্বজুড়ে পালন করা হয় এই দিনটিকে। কিন্তু দুঃখের বিষয় যে বাঘ দেশের জাতীয় পশু হওয়া সত্ত্বেও এই প্রাণীটি বর্তমানে বিলুপ্তির পথে। বাঘ সংরক্ষণের জন্য সচেতন করতেই পালন করা হয় বাঘ দিবস। এই দিনটির সূচনা হয়েছিল ২০১০ সালে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে বিশ্ব বাঘ সম্মেলনে। এরপর থেকে বাঘ সংরক্ষণের তাৎপর্য সম্বন্ধে সচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যেই বিশ্বের নানা প্রান্তে ২৯ জুলাই দিনটিকে ‘বিশ্ব বাঘ দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। এই দিবস পালনের প্রধান উদ্দেশ্যই হল বাঘের প্রাকৃতিক বাসস্থান রক্ষা করা এবং বাঘের সংরক্ষণের জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলা। প্রতি বছর বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটি পালন করা হয়।

    আরও পড়ুন: চলতি বছরে ২৭টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে মধ্যপ্রদেশে, দেশে সর্বাধিক

    তথ্য অনুযায়ী, বিগত ১০ বছরে বাঘের সংখ্যা ৬০ শতাংশ কমে গিয়েছে। তাই বাঘ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। ফলে এখন থেকেই বিশেষ পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে বাঘও ডাইনোসরের মতই বিলুপ্ত হতে থাকবে। জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের (National Tiger Conservation Authority) তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালের ফ্রেবুয়ারীতে বাঘের সংখ্যা ছিল মাত্র ১৪১১। এরপরেই ভারত, নেপাল, ভুটান সহ ১৩টি দেশ বাঘ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেয় ও ২০২২ -এর বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা করে। তবে ভারত ছাড়া কোনও দেশই বাঘ সংরক্ষণের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি। তথ্য থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ভারতে বাঘের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৯৬৭।

    আরও পড়ুন: স্বাধীনতার ৭৫ বছরে ভারতে আসছে ৮টি আফ্রিকান চিতা

    বিশ্বের প্রায় ৭০ শতাংশ বাঘই আছে ভারতবর্ষে। তাই বাঘ সংরক্ষণের জন্যে ভারতবাসীকে আরও সচেতন হতে হবে। নয়তো এই প্রজাতিও কয়েক বছরের মধ্যেই বিলুপ্তির পথে যেতে থাকবে। আর বিলুপ্তির কারণে বাস্ততন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। তাই ভারসাম্য রক্ষা করতে ভারত সরকার থেকে বিশেষ সতর্ক বার্তার প্রচার চলছে।   

  • IB Recruitment 2022: ৭৬৬টি শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি আইবির, জানুন বিস্তারিত

    IB Recruitment 2022: ৭৬৬টি শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি আইবির, জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একাধিক শূন্য পদে নিয়োগের জন্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (Intelligence Bureau Recruitment 2022)। ডেপুটেশনের ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে অ্যাসিসট্যান্ট সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স অফিসার, জুনিয়র ইন্টেলিজেন্স অফিসার, সিকিওরিটি অ্যাসিসট্যান্ট, রাঁধুনি এবং কেয়ারটেকার। বিজ্ঞপ্তি জারির দিন থেকে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে পদগুলিতে আবেদন করতে হবে। ৭৬৬টি শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ করবে আইবি।

    আরও পড়ুন: ৪৮১ শূন্যপদে নিয়োগ কোল ইন্ডিয়ায়, জানুন বিস্তারিত

    আবেদনের শেষ তারিখ 

    বিজ্ঞপ্তি জারির দিন থেকে ৬০ দিনের মধ্যে আবেদন করতে হবে। 

    আরও পড়ুন: জুনিয়র রিসার্চ ফেলো নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি ডিআরডিওর, জানুন বিস্তারিত 

    শূন্য পদের সংখ্যা

    ৭৬৬

    বেতন

    অ্যাসিসট্যান্ট সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স অফিসার-১/ এগজিকিউটিভ (গ্রুপ- বি): ৪৬,৬০০-১৫১,১০০ টাকা। 

    অ্যাসিসট্যান্ট সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স অফিসার- ২/ এগজিকিউটিভ: ৪৪,৯০০-১,৪২,৪০০ টাকা। 

    জুনিয়র ইন্টেলিজেন্স অফিসার-১/  এগজিকিউটিভ: ২৯,২০০-৯২,৩০০ টাকা। 

    জুনিয়র ইন্টেলিজেন্স অফিসার-২/  এগজিকিউটিভ: ২৫,৫০০- ৮১,১০০ টাকা।  

    সিকিওরিটি অ্যাসিসট্যান্ট/  এগজিকিউটিভ: ২১,৭০০-৬৯,১০০ টাকা। 

    জুনিয়র ইন্টেলিজেন্স অফিসার-১ (মোটর ট্রান্সপোর্ট): ২৫,৫০০-৮১,১০০ টাকা। 

    জুনিয়র ইন্টেলিজেন্স অফিসার-২ (মোটর ট্রান্সপোর্ট): ২১,৭০০-৬৯,১০০ টাকা। 

    রাঁধুনি: ২১,৭০০-৬৯,১০০ টাকা। 

    কেয়ার টেকার: ২৯,২০০-৯২,৩০০ টাকা। 

    জুনিয়র ইন্টেলিজেন্স অফিসার- ২/ টেক: ২৫,৫০০-৮১,১০০ টাকা। 

    যোগ্যতা 

    অ্যাসিসট্যান্ট সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স অফিসার-১ – এর ক্ষেত্রে প্রার্থীকে সরকারের অনুমোদনপ্রাপ্ত কোনও প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক হতে হবে। সিকিওরিটি বা ইন্টেলিজেন্সে কাজ করার দু বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। 

    অ্যাসিসট্যান্ট সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স অফিসার-২ – এর ক্ষেত্রে প্রার্থীকে সরকারের অনুমোদনপ্রাপ্ত কোনও প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক হতে হবে। সিকিওরিটি বা ইন্টেলিজেন্সে কাজ করার দু বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। 

    বিজ্ঞপ্তিতে কোন পদে কী যোগ্যতা প্রয়োজন তা বিস্তারিত দেওয়া আছে। সেখানে গিয়ে দেখে নিতে পারেন। 

    কী করে আবেদন করবেন?

    প্রয়োজনীয় তথ্যের সঙ্গে আবেদনপত্রটি ‘the Assistant Director/G-3, Intelligence Bureau, Ministry of Home Affairs, 35 S P Marg, Bapu Dham, New Delhi-110021’ – এই ঠিকানায় পাঠাতে হবে। 

      

     

     

  • Partha-Arpita: শুধু এসএসসি নয়, পার্থ-অর্পিতা জড়িত প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতেও! আদালতে দাবি ইডি-র

    Partha-Arpita: শুধু এসএসসি নয়, পার্থ-অর্পিতা জড়িত প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতেও! আদালতে দাবি ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি কাণ্ডের (SSC scam) তদন্তে নেমে আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। তদন্তকারী সংস্থা আদালতে জানিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়  (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) মধ্যে ‘যোগাযোগ’ ২০১২ সাল থেকে চলে আসছে। তখন থেকেই দুজন মিলে আর্থিক বোঝাপড়া তখন থেকেই চলছে বলেও দাবি তদন্তকারীদের। তদন্তকারীদের দাবি, শুধু এসএসসি নয়, পার্থ-অর্পিতা জড়িত প্রাথমিক টেট (Primary TET) দুর্নীতিতেও। 

    এসএসসি কাণ্ডে পার্থ-অর্পিতার হেফাজত চেয়ে আদালতে আবেদন করে ইডি (ED)। ভুবনেশ্বর এইমসে স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলায় ভার্চুয়ালি পেশ করা হয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্পমন্ত্রীকে। অন্যদিকে, ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বিশেষ ইডি আদালতে সশরীরে হাজির ছিলেন অর্পিতা। সেখানে, পার্থ-অর্পিতার হেফাজতের আবেদন চেয়ে তদন্তকারী সংস্থার তরফে একের পর এক চাঞ্চল্যকর দাবি পেশ করা হয়।

    ইডি-র তরফে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল সূর্যপ্রকাশ ভি রাজু দাবি করেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ অর্পিতা। দু-জনের মধ্যে সম্পর্ক ছিল।  মন্ত্রীর বাড়ি থেকে অর্পিতার বেশকিছু নথি উদ্ধার হয়েছে। এমনকি পার্থ ও অর্পিতার এই ‘যুগলবন্দি’ যে ২০১২ সাল থেকে চলছিল, তাও আদালতে জানায় ইডি। তদন্তকারীদের পক্ষের আইনজীবী বলেন, তল্লাশি অভিযানে ২০১২ সালের একটি দলিল মিলেছে, যা থেকে জানা গেছে তাঁরা দু’জনে মিলে একটি জমি কিনেছিলেন।

    আরও পড়ুন: সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হল মন্ত্রীকে, আজই মুখোমুখি জেরা পার্থ-অর্পিতাকে?

    শুধু তাই নয়, ইডি-র তরফে আরও বলা হয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে গ্রুপ-ডি কর্মীর প্রচুর পরিচয়পত্র এবং প্রাথমিক শিক্ষকদের নথি উদ্ধার করা হয়েছে। তা থেকেই স্পষ্ট হয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় শুধুমাত্র গ্রুপ-ডি ও এসএসসি-র নিয়োগ দুর্নীতিতে নন, প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিতেও সক্রিয়ভাবে যুক্ত। এর সঙ্গেই, ইডি-র তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় এই মর্মে যে, অবৈধভাবে চাকরি বিক্রির টাকা দিয়ে চলত বিভিন্ন ধরনের আর্থিক তছরুপ কর্মকাণ্ড। 

    ইডি জানিয়েছে, প্রথম থেকেই তদন্তে একেবারেই সহযোগিতা করছেন না মন্ত্রী। উল্টে, একবার ইডি-র তরফে এও দাবি করা হয়, এসএসকেএমে পৌঁছনোর পর একেবারে ‘ডন’-এর মতো আচরণ শুরু করেছিলেন পার্থ। ইডি আধিকারিকদের হুমকি দিচ্ছিলেন। ইডি-র দাবি, তৃণমূল মহাসচিব বলেছিলেন— ‘এটা আমার হাসপাতাল। এখানে আমি যা খুশি করব। যেমন খুশি রিপোর্ট বার করব।’

    আরও পড়ুন: ৩ অগাস্ট পর্যন্ত ইডি হেফাজতে পার্থ-অর্পিতা, ভুবনেশ্বর থেকে কলকাতায় ফিরলেন মন্ত্রী

  • Nirmala Mishra: প্রয়াত নির্মলা মিশ্র, থেমে গেল আরও এক সুরেলা কণ্ঠ

    Nirmala Mishra: প্রয়াত নির্মলা মিশ্র, থেমে গেল আরও এক সুরেলা কণ্ঠ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী নির্মলা মিশ্র । বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। শনিবার রাত বারোটা পাঁচ মিনিটে চেতলার নিজের বাড়িতে মৃত্যু হয় তাঁর। বার্ধক্যজনিত কারণে দীর্ঘদিন ভুগছিলেন শিল্পী। গত এক মাস প্রায় কথাই বলতে পারছিলেন না। খাওয়ানো হচ্ছিল টিউবের সাহায্যে। হাসপাতালে ভর্তিও হতে চাননি। তাই চিকিৎসা চলছিল বাড়িতেই। শনিবার রাতে অবস্থার অবনতি হলে বাড়িতে চলে আসেন ব্যক্তিগত চিকিৎসক। প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। চিকিৎসক জানিয়েছেন, হৃদযন্ত্র বিকল হয়েই মৃত্যু হয়েছে বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পীর।  

    ২০১৫ সালে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন নির্মলা মিশ্র। একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি হন। সব মিলিয়ে মোট তিন বার স্ট্রোক হয়েছিল শিল্পীর। হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল দু বার। গত ডিসেম্বর মাসেও নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর সুস্থ হয়েই বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। এভাবেই চলছিল লড়াই। কিন্তু সব লড়াই থেমে গেল শনিবার মধ্যরাতে। রবিবার শিল্পীর দেহ শায়িত থাকবে রবীন্দ্রসদনে। সেখানেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন তাঁর গুণমুগ্ধ শ্রোতারা। এরপর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে ক্যাওড়াতলা মহাশ্মশানে। 

    বাংলা আধুনিক গানের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে নির্মলা মিশ্রের নাম। এমন একটি ঝিনুক খুঁজে পেলাম না, ও তোতা পাখি রে, বলো তো আরশি তুমি মুখটি দেখে, আমি তো তোমার হাসি কান্নার চিরদিনের সাথী, কাগজের ফুল বলে –  থেকে একের পর এক হিট গান উপহার দিয়েছেন তিনি। যা মুগ্ধ করেছে প্রজন্মের পর প্রজন্মকে। বাংলা সিনেমাতেও গান গেয়েছেন তিনি। নির্মলা মিশ্রের স্বামী প্রদীপ দাশগুপ্তও ছিলেন একজন শিল্পী এবং গীতিকার।

    নির্মলা মিশ্রর জন্ম ১৯৩৮ সালে।  তাঁর বাবা পণ্ডিত মোহিনীমোহন মিশ্র এবং মা ভবানীদেবী। চাকরিসূত্রেই দক্ষিণ ২৪ পরগণা থেকে কলকাতায় চলে আসেন মোহিনীবাবু। গ্রামের মেয়ের মধুঝরা কন্ঠ  শুরু করে অনুশীলন।  ষাটের দশকের একেবারে শুরুতে সঙ্গীত জগতে প্রবেশ করেন নির্মলা। বাকিটা ইতিহাস। দশকের পর দশক তাঁর স্বর্ণঝরা কন্ঠ বাঙালি শ্রোতাকে বুঁদ করে রাখে। কয়েক মাস আগেই বাঙালি হারিয়েছিল আর এক প্রাণের শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে। এবার চলে গেলেন নির্মলা মিশ্র। সঙ্গীত জগতে তাই শোকের ছায়া। 

    শিল্পীর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শোকবার্তায় তিনি লেখেন, ‘বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী নির্মলা মিশ্রের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি গভীর রাতে কলকাতায়  শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে কণ্ঠের জাদুতে তিনি শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রেখেছিলেন। তাঁর গাওয়া  এই বাংলার মাটিতে, এমন একটি ঝিনুক খুঁজে পেলাম না, ও তোতা পাখি রে-র মতো অজস্র কালজয়ী  গান আজও  শ্রোতাদের স্মৃতিতে উজ্জ্বল হয়ে আছে।  আধুনিক, নজরুলগীতি, শ্যামাসঙ্গীত, দেশাত্মবোধক, লোকগীতি ছাড়াও বহু ছায়াছবিতে তিনি গান গেয়েছেন’। আজ তাঁর শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন ফিরহাদ হাকিম।

    তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন গায়িকা ইমন চক্রবর্তী ।

    [tw]


    [/tw]

    গায়ক শিলাজিৎ মজুমদার ফেসবুকে তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে লিখেছেন…

    [fb]https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=pfbid0DMxGv2igtH7gAhHmVC9QtDEQPMfVgmkqvytfpfw7uRfesVfyhJgqS7ARVMzijB34l&id=100044223424496[/fb]

     

     

     

     

LinkedIn
Share