Blog

  • INS Vikramaditya: আইএনএস বিক্রমাদিত্যে আগুন! তদন্তের জন্য বোর্ড গঠনের নির্দেশ

    INS Vikramaditya: আইএনএস বিক্রমাদিত্যে আগুন! তদন্তের জন্য বোর্ড গঠনের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের একমাত্র বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রমাদিত্যে (INS Vikramaditya) অগ্নিকাণ্ড। বুধবার কর্নাটক (Karnataka) উপকুলবর্তী এলাকায় থাকাকালীন আগুন লাগে ভারতের বিশাল এই রণতরীতে। ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই, বলে জানিয়েছে নৌসেনা (Indian Navy)৷ এই ঘটনায় কোনও ক্ষয়ক্ষতিও হয়নি। জাহাজের ক্রু মেম্বারদের তৎপরতায় আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে৷ 

    এর আগেও একবার এই যুদ্ধজাহাজে আগুন লেগে এক নৌ-কমান্ডারের মৃত্যু হয়েছিল। কী কারণে এই আগুন লাগল সেই ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছেন নৌসেনার অফিসাররা। তদন্তকারী দলও গঠন করা হয়েছে। নৌসেনার তরফে জানানো হয়, জাহাজে থাকা অফিসার এবং কর্মীদের তৎপরতায় এ যাত্রায় জাহাজের পুরো অংশে আগুন ছড়িয়ে পড়েনি। সময় থাকতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। তাই জাহাজে থাকা জিনিসপত্রের বিশেষ ক্ষতি হয়নি বলেই জানিয়েছে নৌসেনা।

    আরও পড়ুন: অদূর ভবিষ্যতে ড্রোন উৎপাদনের হাব হবে ভারত, আশা ডিআরডিও প্রধানের

    ২০১৪ সালে রাশিয়া (Russia) থেকে এই এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ারটি কেনে নৌসেনা। খরচ পড়েছিল ১৬,১২৩ কোটি টাকা। জাহাজটিতে ৩০ টি মিগ-২৯কে (MiG 29K) যুদ্ধবিমান ও ছ’টি হেলিকপ্টার রাখা যেতে পারে। ২৮৪ মিটার লম্বা ও ৬০ মিটার উচ্চতার এই যুদ্ধজাহাজ ২০ তলা বাড়ির সমান উঁচু, ওজন ৪০০০০ টন। পৃথিবীতে খুব কম দেশের কাছেই  বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ বা এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার রয়েছে। নৌসেনা সূত্রে জানা গেছে, এটি ৪৪ হাজার ৫০০ টন ওজন ধারণে সক্ষম। এছাড়া প্রায় ১ হাজার ৬০০ মানুষ বহনে সক্ষম রণতরীটিতে ২২টি ডেক রয়েছে। এটি ৮ হাজার টন জ্বালানি ধারণ করতে এবং একবারে ৭ হাজার নটিক্যাল মাইল বা ১৩ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারে।

    আরও পড়ুন: নারীর ক্ষমতায়নের উজ্জ্বল উদাহরণ দ্রৌপদী, বলছে ওড়িশার রায়রংপুর

    আইএনএস বিক্রমাদিত্যকে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলার কাজ চলছে এখন। বিমানবাহী এই যুদ্ধজাহাজটিতে বসানো হচ্ছে ‘মেরিন হাইড্রলিক সিস্টেম’। এর ফলে আরও সহজে এই রণতরী থেকে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার ওঠানামা করতে পারবে।
     

  • PM Modi Hosts Dinner: জয়ের শংসাপত্র দ্রৌপদীকে, কোবিন্দের ফেয়ারওয়েল পার্টিতে চাঁদের হাট

    PM Modi Hosts Dinner: জয়ের শংসাপত্র দ্রৌপদীকে, কোবিন্দের ফেয়ারওয়েল পার্টিতে চাঁদের হাট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি (President) পদে জয়ের শংসাপত্র পেলেন এনডিএ (NDA) প্রার্থী বিজেপির (BJP) দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। এদিন নির্বাচন কমিশনের তরফে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় জয়ের শংসাপত্র। এদিকে, বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে হাজির ছিলেন শাসক ও বিরোধী দলের সব সাংসদরা।

    ২০ জনের নামের তালিকা থেকে এনডিএর তরফে বেছে নেওয়া হয়েছিল দ্রৌপদী মুর্মুর নাম। তিনি জনজাতি সম্প্রদায়ের মহিলা। দেশের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন তিনি। বিজেপি বিরোধী ১৭টি দলের সম্মিলিত প্রার্থী ছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট যশবন্ত সিনহা। বিপুল ভোট তাঁকে পরাস্ত করে জয়মাল্য গলায় পরেন দ্রৌপদী। বৃহস্পতিবারই দ্রৌপদীকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজেপি সহ এনডিএর সমস্ত দলের সমর্থন তো তিনি পেয়েইছেন, পেয়েছেন বিরোধীদের অনেকের সমর্থনও। তার জেরেই বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন এনডিএ প্রার্থী। তবে বৃহস্পতিবার দ্রৌপদীকে জয়ী ঘোষণা করা হলেও, তাঁর হাতে জয়ের শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয় শনিবার। সোমবার  দেশের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেবেন তিনি।

    আরও পড়ুন : ইতিহাস রচনা করল ভারত! দ্রৌপদী হবেন ‘মহান রাষ্ট্রপতি’, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

    এদিকে, রবিবার ২৪ জুলাই কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের। তাঁকে সংবর্ধনা দিতে প্রথা মাফিক নৈশভোজের আয়োজন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিল্লির হোটেল অশোকায় শুক্রবার হয় ওই অনুষ্ঠান।  এদিন বিকেল থেকে একে একে আসতে শুরু করেন সাংসদরা। উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং সাংসদরা। বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও হাজির ছিলেন এই ফেয়ারওয়েল পার্টিতে। উপস্থিত ছিলেন দেশের ভাবী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু স্বয়ংও। পদ্ম পুরস্কার পাওয়া অনেকের পাশাপাশি জনজাতির অনেক নেতাও যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এই নৈশভোজে। উপরাষ্ট্রপতি এম বেঙ্কাইয়া নাইডু, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা এবং মন্ত্রিসভার সব সদস্যকেই দেখা গিয়েছে এই পার্টিতে। কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীও যোগ দিয়েছিলেন ফেয়ারওয়েল পার্টিতে।

    আরও পড়ুন : মমতা আদিবাসী বিরোধী? পোস্টার সাঁটিয়ে প্রমাণ বঙ্গ বিজেপি-র

    ২০১৭ সালে দেশের চতুর্দশ রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন রামনাথ কোবিন্দ। তিনি ছিলেন দেশের দ্বিতীয় দলিত রাষ্ট্রপতি। রাইসিনা হিলসে এবার আসতে চলেছেন জনজতি সম্প্রদায়ের এক মহিলা। তিনি দ্রৌপদী মুর্মু।

     

  • Draupadi Murmu: রাইসিনা হিলসের দৌড়ে এগিয়ে দ্রৌপদী, যোজন পিছিয়ে যশবন্ত

    Draupadi Murmu: রাইসিনা হিলসের দৌড়ে এগিয়ে দ্রৌপদী, যোজন পিছিয়ে যশবন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি ভবনের দৌড়ে এগিয়ে এনডিএ (NDA) প্রার্থী বিজেপির (BJP) দ্রৌপদী(Draupadi Murmu)। সোমবার হয়েছে ভোট। মূল লড়াই হয়েছে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদীর সঙ্গে বিজেপি বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহার (Yashwant Sinha)। ভোটের পরেই স্পষ্ট রাইসিনা হিলসের দৌড়ে এগিয়ে দ্রৌপদীই, যশবন্ত নয়।

    ইতিমধ্যেই ব্যালট বাক্স চলে গিয়েছে দিল্লিতে। ভোট গণনা হবে ২১ জুলাই। যিনি জয়ী হবেন, তিনি শপথ নেবেন ২৫ তারিখে। বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ অবসর নেবেন ২৪ তারিখে। এদিকে, নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, সংসদের ৭৭১ জন সদস্য ভোট দিতে পারেন। আর বিধানসভার ৪০২৫ জন ভোট দিতে পারেন। এঁদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ভোট দিয়েছেন ৯৯ শতাংশ ভোটার।

    আরও পড়ুন : দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করতে বাধ্য হয়েছেন উদ্ধব, তোপ যশবন্তের

    রাষ্ট্রপতি পদে কাকে সমর্থন করা হবে, তা নিয়ে বিরোধী শিবিরে ফাটল ধরেছিল আগেই। সেই ফাটল চওড়া হল নির্বাচনের দিন। ক্রশ ভোটিং ঠেকাতে পারলেন না বিরোধী শিবির। এনসিপি ও কংগ্রেসের দুজন করে বিধায়ক বিজেপি বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে ভোট না দিয়ে দিয়েছেন দ্রৌপদীকে। জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড ও গুজরাটের দুই এনসিপি বিধায়ক ও হরিয়ানা এবং ওড়িশার দুই কংগ্রেস বিধায়ক ভোট দিয়েছেন দ্রৌপদীকে। গুজরাটের একমাত্র এনসিপি বিধায়ক কান্ধাল জাদেজাও ভোট দিয়েছেন দ্রৌপদীকে। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে সেকথা ঘোষণাও করলেন তিনি। যদিও তাঁর এই স্বীকারোক্তির পরে পরেই দলের তরফে শোকজ করা হয় জাদেজাকে। দ্রৌপদীকে ভোট দেওয়ার বিষয়ে সাফাই দিতে গিয়ে জাজেদা বলেন, আমাকে গুজরাটে থাকতে হয়। আমার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নের কথা মাথায় রাখতে হয়। তাই ভোটিংয়ের সময় স্বার্থপর হতে পারিনি।

    আরও পড়ুন : পাঁচ বছরের মেয়াদে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ আটকে দিয়েছেন রাজ্যের ৩ বিল, স্বাক্ষর করেছেন ১৫৯টিতে

    রাঁচিতে ঝাড়খণ্ডের একমাত্র এনসিপি বিধায়ক কমলেশ সিং বিধানসভা থেকে বেরিয়ে তিনিও ঘোষণা করেন যশবন্ত নন, তিনি ভোট দিয়েছেন দ্রৌপদীকে। বলেন, দ্রৌপদী মুর্মু ঝাড়খণ্ডের মানুষের জন্য কাজ করেছেন। আমার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কও ভাল। তাছাড়া আমার নির্বাচনী এলাকায় ন’ হাজারের মতো আদিবাসী ভোটার রয়েছেন। ওড়িশার কংগ্রেস বিধায়ক মহম্মদ মোকিমও ভোট দিয়েছেন দ্রৌপদীকে। তাঁর দাবি, দ্রৌপদী ওড়িশার ভূমিপুত্র। আমি একজন ওড়িয়া। তাই বিবেকের কথা শুনে দ্রৌপদীকে ভোট দিয়েছি। অন্তরাত্মার কথা শুনতে বিধায়কদের বাধা দেওয়া যাবে না। বিবেকের কথা শুনে ক্রশ ভোটিং করেছেন হরিয়ানার কংগ্রেস বিধায়ক কুলদীপ বিষ্ণোই। বিরোধী প্রার্থী যশোবন্তকে ভোট না দিয়ে, তিনি ভোট দিয়েছেন এনডিএর দ্রৌপদীকে। তিনি বলেন, অন্তরাত্মার কথা শুনে ভোট দিয়েছি আমিও।

    একাধিক বিধায়কের এই ‘অন্তরাত্মা’র ডাকেই রাইসিনা হিলসের দৌড়ে এগিয়ে গিয়েছেন দ্রৌপদী।

     

     

  • Missing Workers from AP: অরুণাচল প্রদেশে  ঘন অরণ্যে ৭ শ্রমিকের খোঁজ মিলল,  এখনও নিখোঁজ ১২

    Missing Workers from AP: অরুণাচল প্রদেশে ঘন অরণ্যে ৭ শ্রমিকের খোঁজ মিলল, এখনও নিখোঁজ ১২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচলের (Arunachal Pradesh) ভারত-চিন সীমান্তবর্তী (Indo-China border) গ্রামে রাস্তা তৈরির কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ হন ১৯ জন পরিযায়ী শ্রমিক। গত ১৩ জুলাই তাঁদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে, অভিযোগ দায়ের করা হয়। নিখোঁজ হওয়ার প্রায় দুই সপ্তাহ পর খোঁজ মিলল ৭ জন শ্রমিকের। এখনও নিখোঁজ ১২ জন। শুক্রবার কুরুং কুমে ( Kurung Kumey ) জেলার ঘন অরণ্যে তাঁদের খুঁজে পাওয়া যায়। 

    এক সরকারি আধিকারিক জানান, ৭ জন শ্রমিককে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের (BRO) চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে। তাঁদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। এদিকে অপর ১২ জনের খোঁজে শনিবার সকালে সার্ভে শুরু করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF)।  কুরুং কুমের জেলা বিপর্যয় মোকাবিলার আধিকারিক করণ খোলি বলেছেন, ‘বর্তমানে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২৬ জন তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। অসমের তেজপুর থেকে বায়ুসেনার একটি চপার শনিবার বাকি ১২ শ্রমিকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।’

    আরও পড়ুন: ওয়েব চেক-ইনে অতিরিক্ত টাকা আর নয়, নয়া সিদ্ধান্ত অসামরিক বিমান মন্ত্রকের

    ওই শ্রমিকরা কুরুং কুমে জেলার হুরিতে কাজ করতেন। সেখান থেকে প্রায় ২০-২৫ কিলোমিটার দূরে একটি গভীর অরণ্যে প্রথমে নিখোঁজ তিন শ্রমিকের খোঁজ পান দামিনের স্থানীয় গ্রামবাসীরা। পরে আরও তিনজনের খোঁজ মেলে। কুরুং কুমের জেলা বিপর্যয় মোকাবিলার আধিকারিক করণ খোলি জানিয়েছেন, দামিনে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব দুর্বল হওয়ায় খোঁজ পাওয়া শ্রমিকদের নাম এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তিনি জানিয়েছেন, নির্মাণ সাইট থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর তাঁরা হেঁটেই অসমের উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু মাঝ পথেই রাস্তা হারিয়ে ফেলেন তাঁরা। 

    প্রসঙ্গত, গত ৫ জুলাই দামিন সার্কেলে নির্মাণ সংস্থার সাইট থেকে পালিয়ে যান ১৯ জন শ্রমিক। জানা গিয়েছিল অসম থেকে আসা এই শ্রমিকরা ইদ উপলক্ষে বাড়ি যাওয়ার ছুটি চেয়েছিলেন। কিন্তু ছুটি দিতে মালিক পক্ষ রাজি না থাকায় সেখান থেকে পালান তাঁরা। তারপর থেকেই তাঁদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। দীর্ঘ প্রায় তিন সপ্তাহ পর ভারত-চিন সীমান্তের কাছে গভীর অরণ্য থেকে তাঁদের মধ্যে ৭ জনের খোঁজ মিলল।

  • Nitish Kumar: জেডি(ইউ) ছেড়ে বিজেপিতে পাঁচ বিধায়ক, নীতীশ কুমারকে কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের   

    Nitish Kumar: জেডি(ইউ) ছেড়ে বিজেপিতে পাঁচ বিধায়ক, নীতীশ কুমারকে কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) যখন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে বুঁদ, ঠিক তখনই জেডি(ইউ) (Jdu) ছাড়লেন মনিপুরের পাঁচ বিধায়ক। শুক্রবার নীতীশের দল ছেড়ে তাঁরা যোগ দেন বিজেপিতে (BJP)। ঘটনাটিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি গেরুয়া নেতৃত্ব। বিহারের (Bihar) মহাজোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশকে তাঁরা খোঁড়া হাঁস (Lame Duck) মুখ্যমন্ত্রী আখ্যা দিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য (Amit Malviya)। নীতীশকে নিশানা করে তিনি বলেন, নীতীশ কুমার দেখতে পাচ্ছেন বিহার এবং তার বাইরেও ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে তাঁর দল, অথচ তিনি স্বপ্ন দেখে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) হওয়ার।

    বিজেপির সঙ্গে জোট বন্ধন ছিন্ন করে সম্প্রতি নীতীশ কুমার কংগ্রেস (Congress) এবং লালু প্রসাদ যাদবের দল আরজেডির (RJD) সঙ্গে হাত মিলিয়ে গড়েছেন মহাজোট। মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেছেন নীতীশ স্বয়ং। উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয়েছে লালু প্রসাদের ছেলে তেজস্বী যাদবকে। বিজেপি সঙ্গ ছেড়ে মহাজোট গড়তেই জল্পনা ছড়ায় ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী বিজেপির নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বিজেপি-বিরোধী শিবিরের প্রার্থী হচ্ছেন নীতীশ। জল্পনা আরও জোরালো হয়েছে, কারণ সম্প্রতি বদলে গিয়েছে নীতীশের দলের পোস্টারের ভাষা। ২০২০ সালে, নীতীশ যখন বিজেপির সঙ্গে ছিলেন, তখন পোস্টারে লেখা ছিল নীতীশই সব, বিচার এবং বিকাশ, আইন এবং শৃঙ্খলা। বিজেপির সঙ্গ ছাড়ার পর দিন কয়েক আগে প্রকাশ্যে এসেছে যে পোস্টার, তাতে লেখা, রাজ্যে যা দেখা গিয়েছে, সেই দৃশ্য দেখা যাবে গোটা দেশে। নীতীশের দল জনতা দল ইউনাইটেডের এই পোস্টারের পরেই জল্পনা আরও জোরালো হয়েছে, তাহলে কি নীতীশই হচ্ছেন বিরোধী শিবিরের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী?

    আরও পড়ুন : বিহারে নীতীশ মন্ত্রিসভার ৭২ শতাংশ মন্ত্রীই দুর্নীতিগ্রস্ত!

    এদিন যাঁরা নীতীশের দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁরা হলেন কেএইচ জয়কিষান, এন সানাতে, মহঃ আছাবউদ্দিন, প্রাক্তন ডিজিপি এলএম খাউতে এবং থাংজাম অরুণকুমার। এঁদের মধ্যে খাউতে এবং অরুণকুমার বিজেপিতে টিকিট না পেয়ে গিয়েছিলেন জেডিইউতে। মনিপুরে এই দলবদলের জেরে নীতীশকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য। বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে আখ্যা দিয়েছেন খোঁড়া হাঁস।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Covid-19 in Bengal: প্রতিষেধকের বেড়া ভাঙছে ওমিক্রন, কিন্তু হুঁশ আছে কি রাজ্যের শাসক দলের?

    Covid-19 in Bengal: প্রতিষেধকের বেড়া ভাঙছে ওমিক্রন, কিন্তু হুঁশ আছে কি রাজ্যের শাসক দলের?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল: করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের চোখরাঙানি রোজ বাড়ছে। ওমিক্রনের নতুন সাব-ভেরিয়েন্ট করোনা টিকার সুরক্ষা রেখাকে দূর্বল করছে। ২০ জুলাই রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, নতুনভাবে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২,৪৫৫ জন। অর্থাৎ, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বাদ নেই শিশুরাও। করোনা পজিটিভিটি রেট ১৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যের শাসক দলের ভূমিকা নিয়ে।
     
    বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, নিত্যদিন করোনার নতুন উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। তাই অনেক সময় চিকিৎসা দেরিতে শুরু হচ্ছে। ফলে, জটিলতা বাড়ছে। এমনকি, ওমিক্রনের নতুন সাব-ভেরিয়েন্টের যেভাবে শক্তি বৃদ্ধি হচ্ছে, তা দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতায় তৃণমূলের শহিদ দিবসে যেভাবে মাস্ক পরা ও শারীরিক দূরত্ববিধির নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখানো হল, তা গোটা রাজ্যে করোনা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    আরও পড়ুন: নামেই শহিদ দিবস! দিকে দিকে মোচ্ছব আর ক্ষমতার আস্ফালনের ছবি

    গত দু’বছর রাজ্যের শাসক দল ২১ জুলাই, তাদের শহিদ দিবস ভার্চুয়ালভাবে সমাবেশ করেছিল। কিন্তু এই বছর ধর্মতলায় সভা হয়। বৃহস্পতিবারের এই সভা উপলক্ষ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে সোমবার থেকেই মানুষ কলকাতায় আসতে শুরু করেন। তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের একাংশ সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্ক, কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে থাকেন। দেখা যায়, অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় রাখারও তোয়াক্কা তাঁরা করেননি। পাশপাশি বসে তিনদিন ধরে খাওয়া, ঘুম সব চলছে। এমনকি পুরসভার যেসব কর্মীরা গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম স্যানিটাইজ করতে গিয়েছিলেন, তাঁদের একাংশ জানাচ্ছেন, যেভাবে নূন্যতম স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না, সেখানে শুধু স্যানিটাইজার ছড়িয়ে বিশেষ কাজ হবে না।
     
    বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় তৃণমূলের লম্বা মিছিল ধর্মতলামুখী ছিল। সেখানেও স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি। অধিকাংশ নেতা, কর্মী, সমর্থক মাস্ক পরেননি। গত কয়েক মাস করোনা রুখতে রাজ্য সরকার স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনকি অতিমারির জেরে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়েও নানান জটিলতা তৈরি হয়েছে। আজকে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে রাজ্যের শাসক দলের সমাবেশ দেখে অভিভাবক ও শিক্ষকদের একাংশের প্রশ্ন, এই সমাবেশের জেরে আবার করোনা বাড়লে কি স্কুল কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হবে? অসচেতন রাজনৈতিক কর্মসূচির খেসারত দেবে পড়ুয়ারা?

    আরও পড়ুন: করোনা ভ্যাকসিনের পর এবার বিনামূল্যে বুস্টার ডোজ, চলবে আগামী ৭৫ দিন

    যদিও শাসক দল এই সব অভিযোগে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তৃণমূলের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সভা করেছে। স্যানিটাইজ গেট তৈরি করা হয়েছিল। তাছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমের মতো প্রথম সারির নেতারা সব সময় মাস্ক পরেই যাবতীয় কাজ করেছেন। তাঁদের মাস্ক পরতে দেখে কর্মীরা সচেতন হবেন। তৃণমূলের এক নেতার কথায়, “কয়েক লাখ মানুষ আজ এসেছিলেন। প্রত্যেকের মুখে তো মাস্ক পরিয়ে দিতে পারব না। তবে, করোনার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করা হয়নি।”

  • Draupadi Murmu: নারীর ক্ষমতায়নের উজ্জ্বল উদাহরণ দ্রৌপদী, বলছে ওড়িশার রায়রংপুর

    Draupadi Murmu: নারীর ক্ষমতায়নের উজ্জ্বল উদাহরণ দ্রৌপদী, বলছে ওড়িশার রায়রংপুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে (India) নারীর ক্ষমতায়নের (Women Empowerment) উজ্জ্বল উদাহরণ রাষ্ট্রপতি (President) পদে দ্রৌপদী মুর্মুর (Draupadi Murmu) লড়াই। অন্তত বিষয়টিকে এভাবেই দেখছেন দ্রৌপদীর শহর রায়রংপুরের বাসিন্দারা। দ্রৌপদী রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হতেই গর্ব আর আত্মবিশ্বাসে ফেটে পড়ছেন ওড়িশার এই শহরের বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, দ্রৌপদী প্রমাণ করেছেন মেয়েরা চাইলে কীই না করতে পারেন!

    পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ-র (NDA Presidential candidate) বাজি দ্রৌপদী মুর্মু। ওড়িশার এক প্রান্তিক গাঁয়ের মেয়ে দ্রৌপদী বসতে চলেছেন রাষ্ট্রপতি পদে। বৃহস্পতিবার হবে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের ফল ঘোষণা। তাই বুধবার থেকেই প্রতীক্ষার প্রহর গুণছেন রায়রংপুরবাসী। রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীর জয় ঘোষণা হয়ে গেলেই শুরু হয়ে যাবে উৎসব।

    আরও পড়ুন : ঘরের মেয়ে হতে চলেছেন রাষ্ট্রপতি, উৎসবের মেজাজ দ্রৌপদীর গাঁয়ে

    রায়রংপুরেই থাকেন দ্রৌপদীর কাকিমা সরস্বতী। তিনি বলেন, আমাদের সময় লোকজন বলতেন পড়াশোনা করে তোমরা কী করবে?  লোকজন তাঁকে (দ্রৌপদী) বলতেন ওই-ই কী করবে? তবে দ্রৌপদী দেখিয়ে দিয়েছে সে কী করতে পারে! সরস্বতী বলেন, সারা জীবন ধরে লড়াই করেছে দ্রৌপদী। তার এই নিরবিচ্ছিন্ন লড়াইয়ের ফল পেতে চলেছে সে। সে মাটির মেয়ে। সরল প্রকৃতির। আমরা একই সঙ্গে আনন্দিত, আবার দুঃখিতও। দেশের ভাবী রাষ্ট্রপতির কাকিমা বলেন, আমার মনে হয় কী জানেন দ্রৌপদী জীবনে যা কিছু পেয়েছে, তা সবই তার কঠোর পরিশ্রম ও কঠিন  লড়াইয়ের ফল।

    আরও পড়ুন : রাইসিনা হিলসের দৌড়ে এগিয়ে দ্রৌপদী, যোজন পিছিয়ে যশবন্ত

    গ্রামে যাওয়ার সময় ফি বার পরিবারের বাচ্চাদের জন্য চকোলেট নিয়ে যান দ্রৌপদী। সরস্বতী বলেন, আমাদের দ্রৌপদী প্রমাণ করে দিয়েছেন মেয়েরা চাইলে সব পারে। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনা নিয়েই থাকত। আমি তার কাকিমা ঠিকই, তবে বয়সে তার চেয়ে ছোট। তার কাছ থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। তিনি বলেন, দ্রৌপদীর জীবন থেকে সকলের এই শিক্ষা নেওয়া উচিত, যে মেয়েরা কোনও অংশেই পুরুষদের চেয়ে কম নয়, চাইলে সবই পারে।

    দ্রৌপদীর আর এক আত্মীয় বলেন, দ্রৌপদী রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ায় আমরা খুব খুশি। সে মেয়েদের কাছে অনুপ্রেরণাস্বরূপ। সে সব সময় আমাদের খোঁজখবর রাখে। গ্রামের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনায় উৎসাহ দেয়। রাজ্যপাল থাকাকালীনও সে প্রায়ই গ্রামে আসত।

    দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র শালীনি মুর্মু বলেন, দ্রৌপদী মুর্মু আমাদের গাঁয়ের মেয়ে। তিনি আমাদের গ্রামের সব ছাত্রছাত্রীর অনুপ্রেরণা স্বরূপ।

         

  • Partha Chatterjee: এসএসকেএম নৈব নৈব চ, পার্থর স্বাস্থ্যপরীক্ষা জোকা ইএসআই-তে, প্রয়োজনে তৈরি সেনা হাসপাতালও

    Partha Chatterjee: এসএসকেএম নৈব নৈব চ, পার্থর স্বাস্থ্যপরীক্ষা জোকা ইএসআই-তে, প্রয়োজনে তৈরি সেনা হাসপাতালও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতিতের ঘটনা থেকে সতর্ক এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directodate)। এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC scam) গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) নিয়মমাফিক স্বাস্থ্যপরীক্ষা কোথায় করানো হবে, সেই নিয়ে সতর্ক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল।

    অতীতে, সারদা হোক বা নারদ, এসএসসি হোক বা কয়লাপাচার— যে কোনও মামলায় রাজ্যের শাসক দলের কোনও নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেফতারের মতো পরিস্থিতি তৈরি হলেই, তাঁরা সটান গিয়ে ভরতি হয়ে যাচ্ছেন এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে। যার জেরে, সবকিছু আয়ত্তের মধ্যে থেকেও শেষ মুহূর্তে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে সিবিআই-ইডির (CBI-ED) মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলকে। 

    পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে রাজ্য রাজনীতির অলিন্দে কান পাতলেই শোনা যায়, এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ড শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের নিরাপদ আশ্রয় হয়ে উঠেছে। তাই এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, তার জন্য এবার আগাম সতর্কতা অবলম্বন করতে চাইছে ইডি। 

    সূত্রের খবর, ইডি একেবারেই চাইছে না, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা এসএসকেএমে করাতে। তাদের পছন্দ সামরিক হাসপাতাল। যে কারণে, ইডি (ED) চাইছে, আদালতে পেশ করার আগে কমান্ড হাসপাতালে (Command Hopsital) মন্ত্রীমশাইয়ের নিয়মমাফিক স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে।

    তবে, এর জন্য দিল্লি থেকে অনুমতি মেলা প্রয়োজন। ইডি সূত্রে খবর, অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেলের অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল কলকাতা টিম। তা একবার হাতে চলে এলেই, কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হতো পার্থকে। যদিও, সেই নির্দেশ আসতে দেরি হওয়ায় শেষমেশ জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় রাজ্যের বর্তমান শিল্পমন্ত্রী তথা তৃণমূল মহাসচিবকে। সেখানেই হয় বিধিমাফিক স্বাস্থ্যপরীক্ষা।

    এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষে অবশেষে শনিবার সকালে গ্রেফতার করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সিজিও কমপ্লেক্সে। আজই তাঁকে সম্ভবত তোলা হবে আদালতে। সেখানে পার্থকে নিজেদের হেফাজতে চাইতে পারে ইডি। একইসঙ্গে আটক করা হয়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। গতকাল অর্পিতার ফ্ল্যাটে থেকে নগদ ২১ কোটির বেশি টাকা ও প্রায় ৫০ লক্ষাধিক টাকার গয়না উদ্ধার করেছন তদন্তকারীরা। 

  • IT Return: কোন পথে বাঁচাবেন আয়কর? জানুন

    IT Return: কোন পথে বাঁচাবেন আয়কর? জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের কষ্টের অর্জিত টাকার সিংহ ভাগই আয়কর দফতরের (Income Tax Department) কোষাগারে চলে যাবে, এমনটা কেই বা চায়! আবার সঠিক আইন মেনে কর দেওয়াটাও জরুরি। তাই বলে নিজের টাকা বাঁচাতে চাইবেন না এমন মানুষ বোধহয় আতস কাচ দিয়ে খুঁজলেও পাওয়া যাবে না। তাই ট্যাক্স বাঁচানোর ফাঁক-ফোকর খোঁজেন প্রায় সকলেই। অনেকেই আবার জানেন না কী করে ট্যাক্স বাঁচাবেন। 

    আরও পড়ুন: প্রতারণা করেছেন মেধা পাটকর! এফআইআর দায়ের

    বেশ কয়েকটি উপায়ে আপনি বাঁচাতে পারেন আপনার মাথার ঘাম পায়ে ফেলে রোজগার করা টাকা। জেনে নিন সেই উপায়গুলি কী কী? 

    করের পরিস্থিতি বিচার: 

    আগে সময় নিয়ে বসে দেখুন আপনার করের পরিস্থিতি কী? যদি দেখেন কোনও আয়কর সংক্রান্ত কোনও দায়বদ্ধতা নেই, অর্থাৎ, আপনার জিরো-রিটার্ন রয়েছে, বা বলা ভালো, আপনার আয় করমুক্ত শ্রেণিতে রয়েছে, তাহলে আপনার বেশি কর দেওয়া নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। শুধুমাত্র আয়কর রিটার্ন ফাইল করলেই আপনার দায়িত্ব শেষ। কিন্তু যদি আপনার আয়কর কাটার সম্ভাবনা থেকে থাকে তাহলে আপনাকে বিষয়টি তলিয়ে ভাবতে হবে। কর বাঁচানোর বেশ কিছু পন্থা রয়েছে। চাইলে আপনারা সেই উপায়ে বেশি করের হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন।

    আরও পড়ুন: আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার আগে এই ভুলগুলো ভুলেও করবেন না

    আগে ঠিক করুন আয়করের কোন নিয়মের আওতায় থাকবেন?

    পুরনো নিয়মের আওতায় থাকলে করমুক্ত আয়ের পরিমাণ কম হলেও, তাতে অনেক ছাড় দেওয়া আছে। আয়করের নতুন নিয়মে করমুক্ত আয়ের স্ল্যাব ওপরে উঠিয়ে দিলেও, তাতে কোনও ছাড় নেই। করে ছাড় পেতে আপনাকে পুরোনো নিয়মের আওতায় আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে। 

    দেখে নিন কী কী উপায়ে ছাড় পেতে পারেন: 

    কর পরিকল্পনা মানেই সব সময় স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি কেনা নয়। নিজের দৈনন্দিন খরচ দেখিয়েও করে ছাড় পেতে পারেন। সেই দৈনন্দিন খরচগুলো হল: 

    • বাচ্চাদের টিউশন ফি
    • জীবন এবং চিকিৎসা বিমা
    • প্রভিডেন্ট ফান্ডে রাখা টাকা
    • ঋণ বা ইএমআই

    যদি নতুন সম্পত্তি কেনার সামর্থ্য আপনার না থাকে, তাহলে এই উপায়গুলিতে আপনারা কর বাঁচাতে পারেন। এইসব খরচ আপনি তখনও দেখাতে পারবেন, যদি খরচগুলি বছরের ৩১ মার্চের আগে করা হয়। এই বিনিয়োগগুলির সঠিক প্রমাণ রাখা অত্যন্ত জরুরি। ভবিষ্যতে যেকোনও প্রয়োজনে আয়কর দফতর সেই প্রমাণ আপনার কাছ থেকে চাইতে পারে। 

    রয়েছে আরও কিছু উপায়

    যদি আপনি কোনও ভাড়া বাড়িতে থাকেন এবং নিয়মিত ভাড়া দেন তাহলে আয়করে ছাড় পেতে পারেন। এর জন্যে আপনাকে আপনার ভাড়ার রসিদ প্রমাণপত্র এবং বাড়ির মালিকের প্যান কার্ডের তথ্য দিতে হবে। 

     

     

     

     

  • UK PM Election: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ের শেষ পর্যায়ে পৌঁছলেন ঋষি সুনক-লিজ ট্রাস  

    UK PM Election: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ের শেষ পর্যায়ে পৌঁছলেন ঋষি সুনক-লিজ ট্রাস  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে শেষ পর্বে পৌঁছলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদ ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। সঙ্গে তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রিটেনের বিদেশ সচিব লিজ ট্রাস (Liz Truss)। মসনদ দখলের লড়াইয়ে সকলকে হারিয়ে শেষ দুইয়ে টিকে রয়েছেন তাঁরা। সামনে আর মাত্র একটা ধাপ। তারপরেই জানা যাবে কে হচ্ছেন ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রী (UK PM Election)।   

    প্রথম থেকেই সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে আসছেন ঋষি সুনক। এই অবধি তাঁর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি। এর পরের ভোটাভুটি রাউন্ডেই ঠিক হয়ে যাবে কে হাসবেন শেষ হাসি। অনেকেই নিশ্চিত বরিস জনসনের ছেড়ে যাওয়া পদে বসবেন ঋষিই। যদি এমনটা হয়, তাহলে এই প্রথম কোনও অশ্বেতাঙ্গ, হিন্দু ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসবেন।

    আরও পড়ুন: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে আরও একধাপ এগোলেন ঋষি  

    ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে শেষ তিনের লড়াই চলছিল। সেই জায়গা থেকে বুধবারের ভোটে ছিটকে যান পেনি মরডান্ট। তিনি ভোট পেয়েছিলেন ১০৫টি। ব্রিটেনের ট্রয়ের প্রতিনিধিদের তরফে শেষ ৫ ব্যালটে এগিয়ে ছিলেন ঋষি। আপাতত তাঁর একমাত্র প্রতিপক্ষ ট্রাসের পক্ষে ভোট রয়েছে ১১৩টি। ঋষির দখলে রয়েছে ১৩৭ টি ভোট।

      আরও পড়ুন: বিদায় বরিস! ব্রিটেনের হাল ভারতীয়ের হাতে?

    ঋষি সুনক কনজারভেটিভ পার্টির সাংসদদের মধ্যে ভোটের সব রাউন্ডে জিতেছেন। কিন্তু, ট্রাসকেই এখন পর্যন্ত সরকারি দলের ২ লক্ষ সদস্যের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় বলে মনে করছে আর এক মহল। 

    শেষ নির্বাচনে সদস্যরাই তাঁদের দলের নেতা বা নেত্রীকে বেছে নেবেন। একসপ্তাহ ধরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলবে ঋষি ও ট্রাসের মধ্যে। ৫ সেপ্টেম্বর হবে ফল ঘোষণা। 

    ঋষি সুনকের বয়স ৪২। ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারিতে বরিস জনসনই (Boris Johnson) তাঁকে নির্বাচন করে অর্থমন্ত্রী করেন। অতিমারি চলাকালীন ব্যবসা এবং কর্মচারীদের সাহায্য করার জন্য কয়েক বিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের একটি বিশাল প্যাকেজ তৈরির পরে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ঋষি। তিনি তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণমূর্তির জামাই। 

    স্ত্রীর নন-ডোমেস্টিক ট্যাক্স, নিজের ইউএস গ্রিন কার্ড এবং বিপুল সম্পত্তির কারণে মাঝে মাঝেই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ঋষিকে। কোভিড লকডাউন অমান্য করার জন্য এবং ডাউনিং স্ট্রিট সমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্যও জরিমানা করা হয় তাঁকে। ঋষি সুনকের দাদু ঠাকুমা পঞ্জাবের বাসিন্দা ছিলেন। 

    দুর্নীতির দায় নিয়ে গত ৭ জুলাই পদত্যাগ করেন ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson)। বরিস প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতেই ব্রিটেনের রাজনীতিতে ডামাডোল শুরু হয়।  

    এখন ঋষি বা ট্রাস বিজয়ী যেই হোন না কেন, তাঁকে গত কয়েক দশকের মধ্যে ব্রিটেনের সবথেকে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত ব্রিটেন। মুদ্রাস্ফীতি বার্ষিক ১১% ছুঁতে চলেছে। থমকে গিয়েছে বৃদ্ধি। শিল্প খানিকটা বেড়েছে। তবু ডলারের তুলনায় পাউন্ডের দর এখন সবচেয়ে কম। তাই প্রধানমন্ত্রীর পদে যেই আসুন না কেন, তাঁর জন্যে অপেক্ষা করছে এক কাঁটা বেছানো সিংহাসন। 

LinkedIn
Share