Blog

  • Mahalaya 2022: মহালয়া শুভ না অশুভ? জানুন এই বিশেষ অমাবস্যা তিথির তাৎপর্য

    Mahalaya 2022: মহালয়া শুভ না অশুভ? জানুন এই বিশেষ অমাবস্যা তিথির তাৎপর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহালয়া (Mahalaya 2022) মানেই বাঙালির কাছে নস্ট্যালজিয়া। রেডিওতে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের মহিষাসুরমর্দিনী দিয়ে শুরু হয় সকাল। মহালয়ার (Mahalaya) দিন পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে, দেবীপক্ষের সূচনা হয়। এদিনই আক্ষরিক অর্থে দুর্গা পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে। কথিত আছে মহালয়ার দিন অসুর ও দেবতাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। এই মহালয়া গুরুত্ব হিন্দু ধর্মে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে মহালয়া শুভ না অশুভ, এনিয়ে বিস্তর মতভেদ রয়েছে। একাংশের মতে, মহান কিংবা মহত্বের আলয় থেকেই এই শব্দের উৎপত্তি। সনাতন ধর্মে বলা হয়, এই দিনে পরলোক থেকে মর্ত্যে আত্মাদের যে সমাবেশ হয় তাকেই মহালয়া বলা হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক এর আসল ব্যাখ্যা।

    আরও পড়ুন: মেয়েরাও কি করতে পারে তর্পণ? কী বলছে শাস্ত্র?    

    পুরাণ মতে, ব্রহ্মার বরে মহিষাসুর অমর হয়ে উঠেছিলেন। শুধুমাত্র কোনও নারীশক্তির কাছে তার পরাজয় নিশ্চিত। অসুরদের অত্যাচারে যখন দেবতারা অতিষ্ঠ, তখন ত্রিশক্তি ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর নারীশক্তির সৃষ্টি করেন। তিনিই মহামায়ারূপী দেবী দুর্গা। দেবতাদের দেওয়া অস্ত্র দিয়ে মহিষাসুরকে বধ করেন দুর্গা। এজন্যেই বিশ্বাস করা হয় যে, এই উৎসব খারাপ শক্তির বিনাশ করে শুভশক্তির বিজয়।  

    মহালয়ার দিন পিতৃ পুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করার রীতি রয়েছে। এদিনই দেবীর দুর্গার চক্ষুদান হয়। মহালয়া শব্দটির অর্থ, মহান আলয় বা আশ্রম। এক্ষেত্রে দেবী দুর্গাই হলেন, সেই মহান আলয়। মহালয়ার শুভ, অশুভ দুই হওয়ার পেছেনেই ব্যাখ্যা রয়েছে।

    মহালয়া শুভ কেন?

    অনেকেই মনে করেন, এদিন থেকেই দেবীপক্ষের সূচনা, অশুভ শক্তির বিনাশ হয়, তাই মহালয়া শুভ। দুর্গাপুজোর সূচনা হয় এই দিন। এছাড়াও হিন্দু ধর্মের যে কোনও শুভ কাজেই পিতৃপুরুষদের স্মরণ করা হয়। এছাড়াও তর্পণের বৃহত্তর অর্থ মিলন। তাই এই দিন কোনওভাবেই অশুভ হতে পারে না।   

    মহালয়া অশুভ কেন? 

    আবার অনেকে মনে করেন, মহালয়ার দিন  পিতৃ পুরুষদের উদ্দেশ্যে জলদান করার রীতি রয়েছে। পিতৃপুরুষদের স্মরণ করার দিনকে অনেকেই শোক পালনের দিন হিসেবে পালন করে থাকেন। তাই মহালয়াকে তারা শুভ মানতে নারাজ। মহালয়া শুভ না অশুভ এই দ্বন্দ্ব চলতেই থাকবে। তব এই দিনটি দিয়েই শুরু হয় দুর্গা পুজো, বাঙালির মিলন উৎসব।

    দেখে নিন মহালয়ার সময়সূচী

    • মহালয়া ২০২২ অমাবস্যা তিথি 

              ২৪ সেপ্টেম্বর (৭ আশ্বিন), শনিবার, রাত ২/৫৫/৩৯ মিনিট অমাবস্যা তিথি শুরু হচ্ছে এবং ২৫ সেপ্টেম্বর (৮ আশ্বিন), রবিবার রাত ৩/২৪/১৭ মিনিট পর্যন্ত থাকছে।  

    • মহালয়া ২০২২ অমৃতযোগ 

              দিবা ঘ ৬। ২৩ গতে ৮।৪১ মধ্যে ও ১১।৪৫ গতে ২।৫০ মধ্যে এবং রাত্রি ঘ ৭।৩৮ গতে ৯।১৮ মধ্যে ও ১১।৫৭ গতে ১।২৭ মধ্যে ও ২।১৭ গতে ৫।৩০ মধ্যে। 

    • মহালয়া ২০২২ মাহেন্দ্রযোগ 

              দিবা ঘ ৩।৩৬ গতে ৪।২২মধ্যে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • WB Govt Soft on PFI: নিষিদ্ধ পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে কোনও অ্যাকশন নেবে না মমতা প্রশাসন

    WB Govt Soft on PFI: নিষিদ্ধ পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে কোনও অ্যাকশন নেবে না মমতা প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উগ্রপন্থা এবং নাশকতার কাজে সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগে দেশজুড়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে পিএফআই (PFI Banned) ও তাদের বেশ কয়েকটি শাখা সংগঠন। কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞপ্তি জারির পর বিভিন্ন রাজ্য পদক্ষেপও করেছে। এমনকি কেরল (Kerala) সরকারও কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে সে রাজ্যে ব্যাপক ধরপাকড় এবং পিএফআইয়ের (Popular Front of India) কার্যকলাপ বন্ধে নেমেছে। ব্যতিক্রম শুধু পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata) পিএফআই নিয়ে কোনও সক্রিয়তা চান না। ফলে রাজ্য ও কলকাতা পুলিশ, এসটিএফ কিংবা সিআইডি পশ্চিমবঙ্গে সক্রিয় পিএফআই শাখাগুলোর কাজকর্ম বন্ধ করতে কোনও কিছুই করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    গোয়েন্দা সূত্রের খবর, কলকাতা (Kolkata) শহরে বেনিয়াপুকুর এবং কড়েয়া থানা এলাকায় পিএফআই সবচেয়ে বেশি সক্রিয়। দলীয় অফিস রয়েছে তিলজলাতে। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন কেন্দ্র বিরোধী আন্দোলনে নেপথ্যে আসল শক্তি ছিল পিএফআই। সংগঠনের মূল কর্মকাণ্ড অবশ্য মুর্শিদাবাদ জেলাকে কেন্দ্র করেই চলছে। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক থেকে পদাধিকারীদের অধিকাংশই মুর্শিদাবাদ, মালদহ, নদিয়া, দুই ২৪ পরগনা এবং হাওড়া জেলার। এই সব জেলাগুলিতেই ১৭টি শাখা খুলে গত পাঁচ-ছয় বছরে বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে সংগঠনটি। বেশ কয়েকটি জঙ্গি কার্যকলাপে অভিযুক্তের আইনি সহায়তা দিচ্ছে পিএফআই। বাংলাদেশ এবং নেপাল সীমান্তে পিএফআই নেতাদের গতিবিধিও চিন্তাজনক। এনআইএ এবং ইডি পিএফআইকে রাষ্ট্রবিরোধী সংস্থা হিসাবে চিহ্নিত করেছে।

    আরও পড়ুন: নিশানা ছিল আরএসএস হেডকোয়ার্টার! আত্মঘাতী জঙ্গি নিয়োগ করেছিল পিএফআই?

    যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসন মুসলিমদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এই রাষ্ট্রবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে মনে করছে। এক শীর্ষ কর্তার কথায়, কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও এজেন্সি ব্যবস্থা নিলে আমরা সাহায্য করব। কিন্তু পিএফআই নেতাদের রাজ্য পুলিশ আগ বাড়িয়ে গ্রেফতার করবে না, তাদের দফতরে তল্লাশি চালাতে যাবে না।

    কেন? পুলিশ কর্তারা জানাচ্ছেন, এনআইএ (NIA) এবং ইডির (ED) কাছে পিএফআইয়ের বিষয়ে যাবতীয় নথি রয়েছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এ সবে জড়াবে না। যদিও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, প্রতিটি রাজ্যের সঙ্গে গোয়েন্দাদের সমন্বয় বৈঠকে পিএফআই (PFI) সংক্রান্ত সমস্ত নথি বিনিময় করা হয়েছে। দেশব্যাপী নিষেধাজ্ঞার আগেও রাজ্যের মতামত নেওয়া হয়েছে। এখন পশ্চিমবঙ্গ সরকার পিএফআই নিয়ে নরম মনোভাব নিলে তা জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে না।

    আরও পড়ুন: হিন্দু নেতাদের হত্যা থেকে হাওয়ালা কারবার! কী কী করত পিএফআই, জানেন?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসন বিজেপি (BJP) কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করবেন। তাঁর ভাইপো বিজেপি কর্মীদের কপাল লক্ষ্য করে গুলি চালানোর নির্দেশ দিতে পারেন। জাতীয়তাবাদী শক্তি দমনে পুলিশ এরাজ্যে সক্রিয়। কিন্তু নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) বয়ানের জেরে বিক্ষোভের সময় ১৪ ঘণ্টা জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হলেও মমতার পুলিশ চুপ থাকে। পিএফআইয়ের মতো নাশকতা চালানো শক্তি জানে মমতা প্রশাসন তাদের বন্ধু। সেই কারণেই পশ্চিমবঙ্গে এমন শক্তির বাড়বাড়ন্ত হয়েছে।

  • NavIC: ফোন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে দেশী নেভিগেশন ব্যবহারের নির্দেশ কেন্দ্রের

    NavIC: ফোন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে দেশী নেভিগেশন ব্যবহারের নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশি প্রযুক্তির উপর আর নির্ভরশীলতা নয়। দেশী প্রযুক্তিতে নির্ভরশীলতা বাড়াতে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে এবার বিদেশি প্রযুক্তি ছেড়ে এবার দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি নেভিগেশন সিস্টেম (Home grown navigation system) ব্যবহার করার নির্দেশ দিল সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘আত্মনির্ভর ভারত’ অভিযানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিগত কয়েক বছর ধরে ইসরোর তৈরি স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেম ইন্ডিয়ান কনস্টিলেশন ‘NavlC’ – কে সম্প্রসার করছে কেন্দ্র।  

    আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ হচ্ছে পিএফআই? দেশ জুড়ে এনআইএর দ্বিতীয় দফার অভিযানের পর বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক       

    এবার এই প্রযুক্তি ভারতে বিক্রি হওয়া সমস্ত স্মার্টফোনে ব্যবহার করার  নির্দেশ দিল সরকার। Apple, Samsung, Xiaomi-সহ একাধিক সংস্থাকে এই সিদ্ধান্ত মেনে চলতে বলা হয়েছে। এই মুহূর্তে নেভিগেশন সিস্টেমের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ব্যবহৃত প্রযুক্তি জিপিএস (GPS) বা গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এই নেভিগেশন প্রযুক্তিই বেশিরভাগ স্মার্টফোন এবং গ্যাজেটে ব্যবহৃত হয়। চিন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং জাপান তাদের নিজস্ব নেভিগেশন সিস্টেম বানিয়ে ফেলেছে ইতিমধ্যেই। সেই দেশগুলিতে তাদের নিজস্ব নেভিগেশনই ব্যবহৃত হয়। এখন সেই পথে ভারত।  

    ২০১৮ সালে দেশের নিজস্ব নেভিগেশন সিস্টেম ‘NavlC’ তৈরি করে ইসরো। কিন্তু এখন অবধি এই প্রযুক্তির সম্প্রসারণ খুব একটা হয়নি। আর সেই উদ্দেশ্যেই সরকার এবং ভারতের মহাকাশ বিশেষজ্ঞরা চান এটির ব্যবহার বাড়ুক দেশে।

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হচ্ছেন বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত?

    সরকারের তরফে স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে বিক্রি হওয়া সমস্ত স্মার্টফোনে জিপিএসের পাশাপাশি NavlC ব্যবহার করার অপশন দিতে হবে। হার্ডওয়্যারে সেইমতো বদলও আনতে হবে। 

    বিষয়টি একটু চিন্তায় ফেলেছে প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে। কারণ স্মার্টফোনে এই প্রযুক্তির পর্যাপ্ত পরীক্ষার প্রয়োজন। এতে বাড়বে উৎপাদন খরচও। যে সময়সীমা দেওয়া হয়েছে তাতে সংস্থাগুলির নতুন বছরে পরিকল্পনায় প্রভাব পরবে। Samsung এর ইন্ডিয়া এক্সিকিউটিভ বিনু জর্জ বলেন, “উদ্বেগের বিষয় হল ফোনে NavIC সমর্থনের জন্য শুধু নতুন চিপসেট নয়, অন্যান্য অনেক উপাদানেরও প্রয়োজন। এর ফলে খরচ বাড়বে এবং  একাধিক হার্ডওয়্যার পরিবর্তন করতে হবে।” সূত্রের খবর, এই সময়সীমা বাড়িয়ে ২০২৫ সাল করার আবেদন জানিয়েছে সংস্থাগুলি। আশা করা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে একটি বড় ঘোষণা করবে কেন্দ্র।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • S Jaishankar: একপেশে সংবাদ পরিবেশন! মার্কিন মিডিয়াকে একহাত নিলেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: একপেশে সংবাদ পরিবেশন! মার্কিন মিডিয়াকে একহাত নিলেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একপেশে সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগে মার্কিন সংবাদ মাধ্যমকে (American Media) একহাত নিলেন ভারতের (India) বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এর মধ্যে রয়েছে বিখ্যাত সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্টও। মার্কিন মিডিয়ার বিরুদ্ধে বিদেশমন্ত্রীর অভিযোগ, ভারতের খবর করতে গিয়ে তারা অযথা এক পেশে সংবাদ পরিবেশেন করছে। রবিবার ইন্ডিয়া-আমেরিকান জমায়েতে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, আমি সংবাদমাধ্যমের দিকে দেখি। আপনারা জানেন, কিছু সংবাদ পত্র রয়েছে তারা ঠিক কী লিখছে, তাদের নিজেদের সম্পর্কেই বা কী লিখছে…।

    এদিন বিখ্যাত মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্টকেও নিশানা করেন জয়শঙ্কর। আমেরিকার ওয়াশিংটন ডিসি থেকে প্রতিদিন প্রকাশিত হয় সংবাদপত্রটি। একপেশে খবর প্রকাশ করার জন্যও তাকে আক্রমণ করেন জয়শঙ্কর। দেশে ভারত বিরোধী শক্তি ক্রমেই মাথাচাড়া দিচ্ছে। এ সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, একপেশে  খবর পরিবেশন হচ্ছে। ভারত যত তাঁর নিজের পথে ও নিজের গতিতে এগিয়ে চলেছে, বহির্বিশ্বের কিছু শক্তি, যারা এতদিন নিজেদের ভারতের অভিভাবক বলে মনে করত, তাদের পায়ের তলার জমি সরে যাচ্ছে। যে কারণে, তারা প্রকাশ্যে এসে এধরনের (বিরূপ) মন্তব্য করতে শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন : মোদির সফল নেতৃত্বের দৌলতেই আজ বিশ্বে ভারতের গুরুত্ব বৃদ্ধি, বললেন জয়শঙ্কর

    তিনি বলেন, এই জাতীয় গোষ্ঠী ভারতে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না। তারা বরং চেষ্টা করেই চলবে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, এই সব বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। প্রতিযোগিতা করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সিংহভাগ আমেরিকান জানেন না যে কিছু শক্তিশালী গোষ্ঠী কীভাবে বিশৃঙ্খলা এবং জটিলতার সৃষ্টি করছে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা পিছনের সারিতে থাকব না। অন্যকে আমাকে বিচার করতে দেব না। কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আমেরিকায় অপব্যাখ্যা হচ্ছে কিনা, সে প্রশ্নও ওঠে এদিন। জয়শঙ্কর বলেন, যদি সেখানে(কাশ্মীরে) জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে, তাহলে প্রশ্ন ওটা উচিত নয়, জঙ্গি হামলায় যিনি নিহত হলেন, তিনি কোন ধর্মাবলম্বী। জয়শঙ্কর বলেন, এটা প্রতিযোগিতার বিশ্ব। এই সময় বিশ্বে পৌঁছে দিতে হবে আমাদের বার্তা। আপনাদের প্রতি আমারও বার্তা এটাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Cholesterol: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে চান? এই ৫ পানীয়তে লুকিয়ে সমাধান

    Cholesterol: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে চান? এই ৫ পানীয়তে লুকিয়ে সমাধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোলেস্টেরলের (Cholesterol) মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে স্বাস্থ্যকর খাদ্য প্রধান ভূমিকা পালন করে। হৃদরোগ (Heart Problem), ডায়াবেটিস (Diabetes) এবং পারকিন্সনের (Parkinson’s) মতো রোগ থেকে দূরে থাকতে দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাদ্য রাখা প্রয়োজন। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখতে সুষম খাদ্য (Healthy Diet) গ্রহণ করা থেকে শুরু করে যোগব্যায়াম (Physical Exercise) করার পাশাপাশি কিছু স্বাস্থ্যকর পানীয় (Health Drinks) গ্রহণ করা উচিত।

    আরও পড়ুন: বয়স ৫০ পেরিয়েছে? সুস্থ থাকতে খান এই উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবারগুলো

    টম্যাটো জুস (Tomato Juice)— টম্যাটো জুসে থাকা লাইকোপেন হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। টম্যাটোতে থাকা নিয়াসিন ও ফাইবার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। টম্যাটোর রস (Tomato Juice) সপ্তাহে দু থেকে তিনবার খাওয়া যেতে পারে।

    গ্রিন টি (Green Tea)— শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে গ্রিন টি। যাঁদের শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি, তাঁদের দৈনিক গ্রিন টি খাওয়া প্রয়োজন। শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না গ্রিন টি। ফলে শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করে। এতে হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) সম্ভাবনাও অনেকটাই কমে যায়।

    আরও পড়ুন: সামনে পুজো ! ওজন কমাত চান? খাবার থালায় রাখুন এই সাত সবজি

     

    কোকো পানীয় (Cocoa Drinks)— কোকোতে ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা কোলেস্টেরল কমাতে পারে। এই পানীয় মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

    সয়া দুধ (Soya Milk)— গরুর দুধের পরিবর্তে সয়া দুধ খাওয়া উচিত। উচ্চ প্রোটিন এবং আইসোফ্লাভোনে সমৃদ্ধ সয়া দুধে স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম থাকে। হার্টের রোগীদের জন্য এই দুধ ভালো বিকল্প হতে পারে।

    যবের দুধ (Barley Milk)—  প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ এই দুধে গরুর দুধের তুলনায় দ্বিগুণ মাত্রায় প্রোটিন রয়েছে যবের দুধে। এই মিল্কে উপস্থিত উচ্চমাত্রার বিটা গ্লুকন ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এই দুধে ফ্যাট না থাকায় হৃদরোগীরা অনায়াসেই তা খেতে পারেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Navratri 2022: নবরাত্রি কেন পালন করা হয়? এর তাৎপর্য জানেন?

    Navratri 2022: নবরাত্রি কেন পালন করা হয়? এর তাৎপর্য জানেন?

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: আশ্বিন এবং চৈত্র মাসের শুক্লা প্রতিপদ তিথি থেকে পরের ন’দিন অবধি মা দুর্গার নয়টি অবতারের পুজো নবরাত্রি (Navratri) নামে পরিচিত। আরও সরল ভাষায় বলতে গেলে শরৎকালের নবরাত্রি  মহালয়ার (Mahalaya) পরদিন থেকে শুরু হয়। ন’দিন ধরে মা দুর্গার (Goddess Durga) ন’টি অবতারের পুজো দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ধুমধাম করে হয়। প্রসঙ্গত, শুধুমাত্র হিন্দু ধর্মাবলম্বী নয়, শিখ এবং জৈন সম্প্রদায়ের মধ্যেও নবরাত্রি পালনের রীতি দেখা যায়।

    আসুন এবার একনজরে দেখে নেওয়া যাক মা দুর্গার  (Maa Durga) এই ন’টি অবতার কী কী—

     ‘শ্রী বরাহপুরাণে’ হরিহর ব্রহ্মা ঋষির দ্বারা রচিত , দেবী কবচে লেখা রয়েছে – 
    প্রথমং শৈলপুত্রী চ
     দ্বিতীয়ম্ ব্রহ্মচারিণী ।
    তৃতীয়ং চন্দ্রঘণ্টেতি কুষ্মাণ্ডেতি চতুর্থকম্ ।।
    পঞ্চমং স্কন্দমাতেতি,
     ষষ্ঠম্ কাত্যায়নীতি চ।
    সপ্তমং কালরাত্রীতি মহাগৌরীতি চাষ্টমং।।
    নবমং সিদ্ধিদাত্রী চ
     নবদুর্গা প্রকীর্তিতাঃ ।।

    মাতা শৈলপুত্রী: নবরাত্রির প্রথম দিনে মাতা শৈলপুত্রীর পুজো করা হয়। দেবীর নামের অর্থ “পাহাড়ের কন্যা”। তাঁর ভক্তদের বিশ্বাস-মাতা শৈলপুত্রীর আশীর্বাদ স্বরূপ সুস্থ, রোগমুক্ত জীবন পাওয়া যায়। মাতার নৈবেদ্যতে খাঁটি ঘি অর্পণ করা হয়। এই দেবীর আরাধনায় মূলাধার চক্র শুদ্ধ হয়।

    মাতা ব্রহ্মচারিণী: নবরাত্রির দ্বিতীয় দিনে এই দেবীর পুজো হয়। ব্রহ্মচারিণী মাতাকে খুশি করতে ভক্তরা চিনি নিবেদন করে থাকেন। বিশ্বাস মতে, মাতা তাঁর ভক্তদের দীর্ঘায়ু প্রদান করেন। এই দেবীর উপাসনার দ্বারা সাধিস্তান চক্র শুদ্ধ হয় হয় বলে ভক্তরা মনে করে।

    আরও পড়ুন: মহালয়া শুভ না অশুভ? জানুন এই বিশেষ অমাবস্যা তিথির তাৎপর্য

    মাতা চন্দ্রঘন্টা: তৃতীয় দিনে মাতা চন্দ্রঘন্টার প্রতি ভক্তি নিবেদন করা হয়। এই দেবীর বাহন বাঘ। উগ্র মূর্তি এই দেবীকে ক্ষীর ভোগ অর্পণ করেন ভক্তরা। ভক্তদের বিশ্বাস, দেবী সমস্ত অশুভ শক্তির বিনাশ করেন এবং যাবতীয় বাধা বিঘ্ন দূর করেন।

    মাতা কুষ্মান্ডা: চতুর্থ দিনে মাতা কুষ্মান্ডার প্রতি ভক্তি নিবেদিত হয়‌। শাস্ত্র মতে, এই দেবী মহাবিশ্বের স্রষ্টা। তিনি তাঁর ভক্তদের জ্ঞানদানের দ্বারা বৌদ্ধিক বিকাশ ঘটান এবং কর্মক্ষেত্রে জটিলতা দূর করেন। দেবীকে মালপোয়া ভোগ অর্পণ করা হয়।

    মাতা স্কন্দমাতা: নবরাত্রির পঞ্চম দিনে মাতা স্কন্দমাতার আরাধনা করেন ভক্তরা। ভগবান কার্তিককে কোলে নিয়ে উপবিষ্ট এই দেবীর আশীর্বাদ পেতে ভক্তরা কলা নিবেদন করেন। দেবীর আশীর্বাদে ভক্তের জীবনে পরম সুখ ও শান্তি আসে বলে বিশ্বাস।

    মাতা কাত্যায়নী: ঋষি কাত্যায়নের কন্যা, শক্তির প্রতীক তথা যোদ্ধা দেবী কাত্যায়নী মাতার পুজো নবরাত্রির ষষ্ঠ দিনে সম্পন্ন হয়। ভক্তদের তিনি শক্তি, ধর্ম ও জাগতিক সুখ প্রদান করেন বলে বিশ্বাস। তাঁকে ভক্তদের মধু নিবেদনের রীতি চালু রয়েছে।

    মাতা কালরাত্রি: সপ্তমী পুজো হয় এই দেবীর। দেবী ত্রিশূলধারী। মাতা কালরাত্রির আশীর্বাদে জীবনের সমস্ত কুপ্রভাব বিনষ্ট হয় বলে ভক্তদের ধারণা। মাতাকে গুড় নিবেদন করা হয়।

    আরও পড়ুন: মেয়েরাও কি করতে পারে তর্পণ? কী বলছে শাস্ত্র?

    মাতা মহাগৌরী: উজ্জ্বল সৌন্দর্যের প্রতীক এই দেবী অষ্টমীতে ভক্তদের দ্বারা আরাধিত হন। মাতা মহাগৌরীর একহাতে ত্রিশূল ও অপর হাতে ডমরু থাকে। তাঁর নৈবেদ্যতে নারকেল রাখার রীতি রয়েছে। বিশ্বাস রয়েছে, মাতার আশীর্বাদ স্বরূপ ভক্তদের ভালো বিবাহ হয়।

    মাতা সিদ্ধিদাত্রী: নবরাত্রির শেষদিনে পুজো হয় এই দেবীর। তিনি ভক্তদের জীবনে সমস্ত অশুভ প্রভাব বিনষ্ট করেন এবং সাফল্য আনেন বলে ভক্তদের ধারণা। মাতা সিদ্ধিদাত্রীকে ভক্তরা তিল নিবেদন করে থাকেন।

    সংস্কৃত সাহিত্যের ব্যাকরণ আচার্য উপাধি প্রাপক তথা হিন্দু শাস্ত্র বিশেষজ্ঞ কাটোয়ার সৌমিক চট্টোপাধ্যায় প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে নিজ গৃহে চণ্ডীপাঠ করেন। নবরাত্রি পালনের বিষয়ে তাঁর অভিমত – “দেবী মাহাত্ম্য পাঠের আগে দেবী কবচে পাঠ করা হয়। কবচ শব্দের অর্থ যা রক্ষা করে, এখানে দেবীর নয় অবতার, আট শক্তি সহ সর্ব রূপের বর্ণনা এবং অশুভ শক্তির প্রভাব থেকে ভক্তকে রক্ষা করার বিষয় রয়েছে।”

    সৌমিকবাবুর আরও সংযোজন-  পুরাণ মতে, মা দুর্গা নয়দিন যাবৎ অসুরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন এবং নবমীর রাতে মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। মা দুর্গার প্রতি ভক্তি নিবেদনের জন্য ভক্তরা নবরাত্রিতে মায়ের ন’টি রূপের পুজো করেন। অপর একটি মত হলো – নারদের প্রস্তাবে, রাবণ বধের উদ্দেশ্যে রামচন্দ্র ন’দিন উপবাস রেখে ব্রত পালন করেন এবং ব্রত শেষে রাবণকে বধ করেন। তাই সাফল্যের জন্য নবরাত্রির উপবাস রীতি প্রচলিত আছে।

    নবরাত্রি (Navratri 2022) দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন নামে পরিচিত রয়েছে। যেমন – নভরাত্রি, নঔরাত্রি, নবরাহত্রি, নবরাতম, নঔরাতম ইত্যাদি। আচার, অনুষ্ঠান, রীতি, প্রথা মেনে পালিত হওয়া নবরাত্রিতে ভক্তরা ন’দিন যাবৎ উপবাস রাখেন তার সঙ্গে ইন্দ্রিয় সংযমের বিধিও পালন করা হয়। এসময় তামসিক খাবার যথা মাছ, মাংস, ডিম ভক্তরা খান না। ক্ষৌরকর্ম করেন না, প্রত্যহ ভোরবেলায় উঠে স্নান করে দেবীকে ভক্তরা নৈবেদ্য নিবেদন করেন। সনাতন সংস্কৃতির ধারক, বাহক ও পালক হলো এই নবরাত্রি ব্রত।

  • Ghulam Nabi Azad: উপত্যকায় নতুন রাজনৈতিক দল! নিজের দলের নাম ঘোষণা করলেন গুলাম নবি আজাদ

    Ghulam Nabi Azad: উপত্যকায় নতুন রাজনৈতিক দল! নিজের দলের নাম ঘোষণা করলেন গুলাম নবি আজাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস (Congress) ছেড়েছিলেন আগেই। তখনই শুরু হয়েছিল জল্পনা। তাহলে কি এবার উপত্যকায় নতুন আর একটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটবে গুলাম নবি আজাদের (Ghulam Nabi Azad) হাত ধরে। অবশেষে সেটাই সত্যি হল। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন দলের নাম ঘোষণা করলেন গুলাম নবি আজাদ। আগামী দিনে তিনি ও বাকি সঙ্গীরা নির্বাচনে লড়বেন ‘ডেমোক্রেটিক আজাদ পার্টি’ (Democratic Azad Party) এই নামে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গুলাম নবি আজাদ জানিয়েছেন, ‘নতুন দলের জন্য দেড় হাজারের বেশি নাম জমা পড়েছিল। তার মধ্যে ছিল উর্দু, সংস্কৃত নামও। তেমনি হিন্দি ও উর্দুর মিশ্রণে হিন্দুস্তানি ভাষায়ও নাম ছিল। সব কিছু বিবেচনার পর ডেমোক্রেটিক আজাদ পার্টি নামকরণ হয়েছে নতুন দলের।’

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ! জানেন কী বললেন তাঁর অনুগামী

    গত ২৬ অগাস্ট কংগ্রেস ছেড়েছিলেন ৭৩ বছরের আজাদ। ইস্তফাপত্রে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, এই মুহূর্তে কংগ্রেস দলে সিনিয়রদের কোনও মর্যাদা নেই। আদতে তিনি ঘুরিয়ে তোপ দেগেছিলেন রাহুল গান্ধীকেই। কংগ্রেসের জি-২৩ নেতারা তাই দলে সংস্কার চেয়েছিলেন। তার জন্য কংগ্রেস সমর্থকদের হামলার মুখে পড়তে হয়েছিল কপিল সিব্বলকেও।

    আরও পড়ুন: আজাদকে প্রাণনাশের হুমকি জঙ্গিগোষ্ঠীর, ‘রাজনৈতিক গিরগিটি’ বলে কটাক্ষ

    অনেকেই ভেবেছিলেন, এই বয়সে গুলাম নবি আজাদ হয়তো নতুন রাজনৈতিক দল গড়ার ঝুঁকি নেবেন না। কিন্তু কংগ্রেস পরিত্যাগের পর উপত্যকায় প্রথম সমাবেশে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার এখনই কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁর। বরং তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের স্বার্থে নতুন ব্যানারে রাজনৈতিক লড়াই চালিয়ে যাবেন। তখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল আজাদের নতুন দল গঠনের কাজ। রাজ্যের একে একে কংগ্রস নেতা দল ছাড়তে শুরু করেন গুলাম নবি আজাদের ডাকে সাড়া দিয়ে। সেই তালিকা বেশ দীর্ঘ। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তারা চাঁদও রয়েছেন সেই দলে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • PFI: মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাংলাদেশ, মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলিতে রমরমা পিএফআইয়ের

    PFI: মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাংলাদেশ, মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলিতে রমরমা পিএফআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স মাত্র ১৬ বছর। ইতিমধ্যেই কেবল ভারত (India) নয়, মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলিতে জাল বিস্তার করেছে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, সংক্ষেপে পিএফআই (PFI)। বৃহস্পতিবারই দেশজুড়ে পিএফআই নেতা-কর্মীদের বাড়ি ও অফিসে চালানো হয়েছে তল্লাশি অভিযান। বাজেয়াপ্ত হয়েছে প্রচুর নথিপত্র এবং নগদ টাকা। তার পরেই উঠে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। গোয়েন্দাদের দাবি, ভারত ছাড়াও একাধিক মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্রে জাল বিস্তার করেছে পিএফআই।

    ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরে তিনটি মুসলিম সংগঠন একত্রিত হয়ে তৈরি করা হয় পিএফআই। ২০০৬ সালে কেরলে গঠিত এই সংগঠনের নাম ছিল ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফ্রন্ট। পরবর্তী কালে মানিথা নীতি পাসারাই, কর্নাটক ফোরাম ফর ডিগনিটি সহ তিনটি সংগঠন মিলিত হয়ে তৈরি হয় পিএফআই। দেশবিরোধী ও সমাজবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গেই যুক্ত ছিল এই সংগঠন। বিভিন্ন রাজ্যে এই সংগঠনের শাখাও রয়েছে।

    বৃহস্পতিবার গোটা দেশের ১৩টি রাজ্যে পিএফআইয়ের অফিসগুলিতে তল্লাশি চালায় এনআইএ (NIA) এবং ইডি (ED)। এই দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে সাহায্য করেছে বিভিন্ন রাজ্য পুলিশও। পিএফআইয়ের ৪৫ জন নেতা সহ গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় দুশোজনকে। সূত্রের খবর, উপসাগরীয় দেশগুলিতে পিএফআই তিনটি নামে সংগঠন চালায়। এগুলি হল ইন্ডিয়া ফ্র্যাটারনিটি ফোরাম (IFF), ইন্ডিয়ান সোশ্যাল ফোরাম (ISF) এবং রিহ্যাব ইন্ডিয়ান ফাউন্ডেশন (RIF)। বিদেশে ভারত বিরোধী নানা কাজে লিপ্ত এই সংগঠনগুলি।

    আরও পড়ুন : টার্গেট আরএসএস? সংঘের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালাত পিএফআই! চক্রান্ত ফাঁস

    জানা গিয়েছে, ইন্ডিয়া ফ্র্যাটারনিটি ফোরাম এবং ইন্ডিয়ান সোশ্যাল ফোরাম মধ্য প্রাচ্যে পোক্ত সংগঠন গড়ে তুলেছে। দেশবিরোধী কার্যকলাপ চালানোর জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে তারা। জামাত-ই-ইসলামির ধর্মীয় কয়েকজন নেতা এবং পিআইএফ নেতারা প্রায়ই সংযুক্ত আরব আমিরশাহি পরিদর্শন করেন। কেবল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি নয়, ওমান, কাতার, কুয়েত, তুরস্ক, পাকিস্তান মায় বাংলাদেশেও জাল বিছিয়েছে পিএফআই। বাহরিন, শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপেও পা রেখেছে এই সংগঠন। পিএফআইয়ের এক ক্যাডারকে গ্রেফতার করা হয় লখনউ থেকে। তখনই জানা যায় বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ ভারতে বিস্ফোরণ ঘটানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Child Porn: অপারেশন মেঘচক্র, শিশু পর্নোগ্রাফি রুখতে দেশজুড়ে অভিযান সিবিআই- এর

    Child Porn: অপারেশন মেঘচক্র, শিশু পর্নোগ্রাফি রুখতে দেশজুড়ে অভিযান সিবিআই- এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিশু পর্নোগ্রাফি (Child Porn) রুখতে দেশজুড়ে অপারেশন চালাচ্ছে সিবিআই (CBI)। সিবিআই- এর এই বিশেষ অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন মেঘচক্র’ (Operation Meghchakra)। ইন্টারনেটে শিশু পর্নোগ্রাফির দৌরাত্ম্য রুখতেই এই অভিযান। শনিবার দেশের মোট ২০টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৫৬টি জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

    আরও পড়ুন: এবার থেকে হোয়াটসঅ্যাপ কলেও গুণতে হবে টাকা? খসড়া টেলিকম বিলে প্রস্তাব  

    জানা গিয়েছে, অনলাইনে শিশু পর্নগ্রাফি ছড়ানোর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতেই এই হানা। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সাইবার নজরদারি চালিয়ে একাধিক মোবাইল নম্বরে শিশু পর্নোগ্রাফি ডাউনলোড করা এবং ছড়ানোর তথ্য সংগ্রহ করেন সিবিআই গোয়েন্দারা। বিভিন্ন কম্পিউটারে শিশু পর্নোগ্রাফি লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যও পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তারই ভিত্তিতে এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে।  

    আরও পড়ুন: ভারতের উন্নয়নে বাধা দিচ্ছেন শহুরে নকশালরা, বললেন মোদি

    ইন্টারনেটে বাড়তে থাকা শিশু পর্নোগ্রাফির রমরমা রুখতে ২০১৯ সালে বিশেষ সেল গঠন করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। ‘শিশু যৌন নিগ্রহ এবং যৌন শোষণ বিরোধী’ এই সেলের কাজ হল ইন্টারনেটে নজরদারি করে শিশু পর্নগ্রাফি ছড়ানোর ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করা এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো ও তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া। কিন্তু ধারাবাহিক নজরদারি সত্ত্বেও শিশু পর্নোগ্রাফি-চক্রকে আটকানো যাচ্ছে না। সম্প্রতি‘জাতীয় শিশু অধিকার সংরক্ষণ কমিশন’ (NCPCR) ইন্টারনেটে শিশু পর্নোগ্রাফির রমরমা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল।    

    কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, স্যোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে শিশুদের পর্নোগ্রাফিদের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের যুক্ত করা হচ্ছে পর্নোগ্রাফিতে। প্রথমে তাদের দিয়ে ফুটেজ তুলিয়ে নেওয়া হয়। তারপর তাকে ব্যবহার করে একদিকে চলে যৌন উত্তেজন ভিডিও তৈরি করা হয়। সেইসঙ্গে ওই ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেলও করা হয় ওই কিশোর-কিশোরীদের। সাম্প্রতিক সময়ে পর্নোগ্রাফি রুখতে এটাকেই সবচেয়ে বড় অভিযান বলছে সিবিাই। ইন্টারপোলের সিঙ্গাপুরের আধিকারিকদের কাছে তথ্য পেয়ে এই অভিযানে নামে সিবিাই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

      

  • Raju Srivastava Funeral: চোখের জলে বিদায় ‘কমেডি কিং’-কে, যমুনার তীরে নিগমবোধ ঘাটে সম্পন্ন হল শেষকৃত্য

    Raju Srivastava Funeral: চোখের জলে বিদায় ‘কমেডি কিং’-কে, যমুনার তীরে নিগমবোধ ঘাটে সম্পন্ন হল শেষকৃত্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র ৫৮ বছর বয়সেই শেষ হল লড়াই। গতকাল প্রয়াত হয়েছেন ভারতের জনপ্রিয় কমেডিয়ান তথা অভিনেতা রাজু শ্রীবাস্তব (Raju Srivastava)। আজ তাঁর শেষকৃত্য করা হল। গত ১০ অগাস্ট ট্রেড মিল থেকে পড়ে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন কমেডি কিং। ভর্তি করা হয়েছিল দিল্লির এইমস-এ। এরপর থেকে ধীরে ধীরে রাজুর শারীরিক অবস্থা আরও জটিল হয় ও তাঁকে অনেকদিন ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। এরপর প্রায় দেড় মাস লড়াই করে গতকাল শেষ হল তাঁর জীবনযাত্রা।

    আজ, বৃহস্পতিবার দিল্লির যমুনা নদীর তীরে নিগমবোধ ঘাটে সম্পন্ন করা হয় প্রয়াত রাজু শ্রীবাস্তবের শেষকৃত্য। তাঁর ছেলে আয়ুষ্মান হিন্দু রীতি অনুসারে বিভিন্ন নিয়ম পালন করেন। নিগমবোধ ঘাটের শ্মশানে নিয়ে আসার আগে সকাল আটটা নাগাদ দিল্লির দশরথপুরী থেকে তাঁর শেষ যাত্রা শুরু হয়। সাদা ফুলে সাজানো অ্যাম্বুলেন্স করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর এই অন্তিম যাত্রায় অংশ নিতে উপস্থিত হন বিপুল জনতা। সেলিব্রিটি থেকে ভক্ত, সকলেই তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তাঁর কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু, যেমন সুনীল পাল এবং আহসান কুরেশি, প্রবীণ কবি সুরেন্দ্র শর্মা, অশোক চক্রধর এবং পরিচালক মধুর ভান্ডারকর এদিন উপস্থিত ছিলেন। স্ত্রীকেও পৌঁছতে দেখা গিয়েছিল সকালে। তাঁর চোখে জল। চোখে জল দর্শকমহলেও। 

    আরও পড়ুন: নরেন্দ্র মোদি থেকে অমিতাভ বচ্চন, ‘কমেডি-কিং’ রাজুর অনুরাগী ছিলেন সকলেই

    তাঁর প্রয়াণে দেশের রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে বলিউডের তারকারা বহু ব্যক্তি শোকবার্তা জানিয়েছেন। আবার বিখ্যাত স্যান্ড আর্টিস্ট সুদর্শন পাট্টনায়েক রাজুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ওড়িশার পুরী সৈকতে বালির ওপরে একটি ছবি তৈরি করেছেন ও সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সুদর্শন লিখেছেন, “হাসতে হাসতে কাঁদিয়ে দিলেন…. লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয়ে আপনি বেঁচে থাকবেন।“

    [insta]https://www.instagram.com/p/CixcH7_visn/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta]

LinkedIn
Share