Blog

  • Partha Chatterjee: মন্ত্রিত্ব থেকে দলীয় পদ, সবকিছু থেকেই পার্থকে ছেঁটে ফেললেন মমতা

    Partha Chatterjee: মন্ত্রিত্ব থেকে দলীয় পদ, সবকিছু থেকেই পার্থকে ছেঁটে ফেললেন মমতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমে মন্ত্রিত্ব, তারপর পদ। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সবকিছু হারালেন একদা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বলা ভালো, এসএসসি কেলেঙ্কারির দায় মাথায় চাপিয়ে পার্থকে দল থেকেই ছেঁটে ফেলল তৃণমূল। বিকেল পাঁচটার বৈঠকের পর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, যতদিন না তদন্ত শেষ হচ্ছে, দল থেকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। অর্থাৎ, পার্থ আর তৃণমূলের মহাসচিব থাকছেন না। থাকছেন না তৃণমূল মুখপত্র জাগো বাংলার সম্পাদকের পদেও। পাঁচটি পদ থেকেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। 

    ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মা মাটি মানুষের সরকারে কার্যত দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দলেও ছিলেন মহাসচিব পদে। কিন্তু টালিগঞ্জের পর বেলঘরিয়াতেও মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের পর আর ঝুঁকি নিতে পারল না দল। আজ বিকেলেই তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক বসে। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, তদন্ত যতদিন না শেষ হবে, ততদিন দল থেকে সাসপেন্ড থাকবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিজেকে যেদিন নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবেন , সেদিনই দল তাঁর ওপর শাস্তি অপসারণ নিয়ে ফের চিন্তাভাবনা করবে। 

    বিকেলের এই সিদ্ধান্তের আগে আজ দুপুরেই মন্ত্রিত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁর হাতে থাকা তিনটি দফতরই আপাতত থাকছে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। তবে শিল্প দফতর নিজের হাতে রেখে বাকি দুটি দফতর বন্টন করে দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে, তথ্য প্রযুক্তি পেতে পারেন ব্রাত্য বসু। পরিষদীয় মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি তাপস রায়ের। নবান্ন সূত্রে অবশ্য নির্মল ঘোষের নামও পরিষদীয় মন্ত্রী হিসেবে ভেসে উঠছে। পার্থকে মন্ত্রিত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সরকারি নোটিফিকেশন আজই জারি হয়।  ২৮জুলাই থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। তবে সরকারি নোটিফিকেশনে বরখাস্ত শব্দটি ব্যবহার না করে অব্যাহতি শব্দটি লেখায় সরকারের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। 

    শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কেলেঙ্কারির ঘটনায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যেভাবে কামিনীকাঞ্চন যোগ সামনে এসেছে, তাতে তৃণমূল কংগ্রেস যে দায় এড়াতে পারে না, বিরোধীরা বারবার সেই প্রসঙ্গ সামনে এনেছে। রাজ্যের সাধারণ মানুষের মনেও প্রশ্ন উঠেছে, একা পার্থ চট্টোপাধ্যায় কি এই কোটি কোটি টাকা তুলতে পারেন? নাকি সঙ্গে আছে দলের আরও অনেকে? খোদ অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ও ইডির জেরার মুখে জানিয়েছেন, এই টাকা তোলার সঙ্গে অনেকেই যুক্ত আছে। এই অভিযোগ আর মানুষের মনে ওঠা প্রশ্ন , ভাবাতে শুরু করেছে তৃণমূলকে। তাই যে মুখ্যমন্ত্রী দুদিন আগে বলেছিলেন, এটা ষড়যন্ত্র কিনা দেখতে হবে, এখন তিনিও বুঝতে পারছেন, শিয়রে সমন। তাই আপাতত পার্থকে বলি দিতে পিছু হঠলেন না তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, যে সমস্ত ছবি সামনে আসছে, তার প্রেক্ষিতেই দল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

    দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান দলের সমস্ত পদ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে  সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব ছাড়াও দলীয় মুখপত্র জাগো বাংলার সম্পাদক, জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য এবং শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। ইডি তল্লাশির ৪৮ ঘণ্টা পর প্রথমবার মুখ খুলেছিল তৃণমূল। তখনও এই দ্বন্দ্ব ছিল। ৭২ ঘণ্টা পর মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও তখন মন্ত্রী পার্থ নয়, নিজেকে বাঁচাতেই ব্যস্ত ছিলেন দলনেত্রী। বলেন আমার হাতেও আলকাতরা আছে, আমাকে বদনাম করলে আমিও আলকাতরা লাগাতে পারি। কোন ওয়াশিং মেশিন তা ধুতে পারবে না।

    সময়ই বলবে, এসএসসি কেলেঙ্কারিতে ৫০ কোটিরও বেশি টাকা উদ্ধারে কারা কারা জড়িত। তবে শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস যে মানুষের বিশ্বাস একেবারেই হারিয়েছে, তা দোকানে-বাজারে কান পাতলেই বোঝা যাচ্ছে। 

     

  • ED Raid Cash Recovery: অর্পিতার ২ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার নগদ ৫০ কোটি! এটাই কি ইডি-র সর্বকালীন রেকর্ড?

    ED Raid Cash Recovery: অর্পিতার ২ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার নগদ ৫০ কোটি! এটাই কি ইডি-র সর্বকালীন রেকর্ড?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC scam) তল্লাশি চালিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) হরিদেবপুর ও বেলঘরিয়ার আবাসন থেকে যথাক্রমে ২২ কোটি ও ২৮ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করেছে তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। অর্থাৎ, এই দুজায়গায় হানা দিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি (ED)। 

    আর এই উদ্ধার হওয়া নগদের অঙ্ক নিয়ে এখন বিশ্লেষণ করছেন পরিসংখ্যানবিদরা। তাঁদের মতে, অতীতে ইডি একটি মামলায় এত বিপুল নগদ কখনও উদ্ধার করেনি। ফলে, অর্পিতার জোড়া ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া প্রায় ৫০ কোটি হতে পারে ইডি-র ক্ষেত্রে একটা সর্বকালীন রেকর্ড।

    আরও পড়ুন: সোনার ‘সংসার’! গয়না থেকে সোনার বাট কী নেই অর্পিতার আলমারিতে

    অতীতে, একাধিক মামলায় হানা দিয়েছে ইডি। একাধিক জায়গায় স্থাবর-অস্থাবর সমেত বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। সাম্প্রতিককালে তেমন একটি ঘটনা হল চিনা ফোন প্রস্তুতকারী সংস্থা ভিভো মোবাইলের বিরুদ্ধে অভিযান। তাতে ১১৯টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থাকা প্রায় ৪৬৫ কোটি বাজেয়াপ্ত করা হয়। কিন্তু এগুলি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা অর্থ, বাড়িতে  রাখা নগদ নয়।

    বহু জায়গা থেকেই নগদ উদ্ধার করেছে ইডি। এর মধ্যে সাম্প্রতিককালে ইডি-র তল্লাশিতে বিপুল টাকা উদ্ধারের যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ঝাড়খণ্ডের ঘটনা। সেখানে অবৈধ খনি মামলায় আইএএস অফিসার পুজা সিঙ্ঘলের বাড়ি ও দফতরে হানা দিয়ে প্রায় নগদ ২৫ কোটি টাকা উদ্ধার করে ইডি। সেটিই ছিল এযাবৎকালে সর্ববৃহৎ। এছাড়া, সত্যন্দ্র জৈনের বাড়ি থেকে নগদ ২.৮৫ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ডায়মন্ড সিটির পার্কিং লট থেকে ‘উধাও’ অর্পিতার ৪টে দামী গাড়ি! তাতেও ছিল টাকা?

    কিন্তু, দুর্নীতিতে ঝাড়খণ্ডকে পিছনে ফেলে ‘এগিয়ে বাংলা’। অর্পিতার ২ ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েই উদ্ধার হল ৫০ কোটি। ইডি সূত্রের খবর, অর্পিতার নামে কলকাতা ও শহরতলিতে নামে ও বেনামে প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে। একাধিক ফ্ল্যাট ও জমি-বাড়ি রয়েছে। সেগুলোতে এখনও তল্লাশি চালায়নি ইডি। সেখান থেকেও আরও বিপুল নগদ উদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। 

    তবে, রেকর্ডের চেয়ে আরেকটি বিষয় আরও বেশি করে ভাবিয়ে তুলছে ইডি-কে। তা হল, মুম্বই বা দিল্লির মতো বড় শহর থেকে এই নগদ উদ্ধার হয়েছে এমন নয়। এই টাকা উদ্ধার হয়েছে কলকাতা থেকে। যা দেশের বাণিজ্য বা প্রশাসনিক রাজধানী নয়। ফলে, এসএসসি কাণ্ডে এই অর্থ উদ্ধার হওয়াটা একদিকে যেমন ইডি-র যেমন বড় সাফল্য, ঠিক তেমনই কলকাতা থেকে কেলেঙ্কারির এই বিপুল অর্থ উদ্ধার হলো— তা একটা অশনি সংকেতও বটে।

  • Rafale: ৩৬টি রাফালই ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, জানালেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত

    Rafale: ৩৬টি রাফালই ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, জানালেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চুক্তি অনুযায়ী ৩৬টি রাফাল (Rafale) যুদ্ধবিমান ভারতের (India) হাতে তুলে দিয়েছে ফ্রান্স (France)। এমনটাই জানালেন ভারতে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত এমানুয়েল লেন্যাঁ (Emmanuel Lenain)। 

    যদিও বায়ুসেনা (Indian Air Force) সূত্রের মতে, এর মধ্যে ভারতে এসেছে ৩৫টি। বাকি একটি রাফাল বর্তমানে ফ্রান্সেই রয়েছে। তার ওপর ভারতের দাবি মতো ১৩টি বাড়তি প্রযুক্তিগত উন্নতি সংযোগ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে। এই যে বিমানটি এখনও ফ্রান্সে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে, আদতে সেটিই ছিল ফ্রান্সের তরফে হস্তান্তর করা প্রথম রাফাল বিমান— যার কোডনেম দেওয়া হয়েছে ‘আরবি০০৮’ (RB-008)। 

    ভারতের প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আর কে এস ভাদৌরিয়ার (Air Chief Marshal RKS Bhadauria) সম্মানে এটির এমন নামাঙ্কন করা হয়েছে। ২০১৫-১৬ সালে রাফাল কেনা নিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে দরাদরি ও চুক্তির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তৎকালীন বায়ুসেনা উপ-প্রধান ভাদৌরিয়া। তার জন্যই তাঁকে এভাবে সম্মানিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

    গত ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ ব্যাচে তিনটি রাফাল যুদ্ধবিমান ভারতে আসে। বায়ুসেনা সূত্রের মতে, ফ্রান্সে থাকা শেষ রাফালে ‘ইন্ডিয়া স্পেসিফিক এনহ্যান্সমেন্ট’-গুলোর পরীক্ষা সফলভাবে শেষ হয়েছে। এখন ভারতে থাকা বাকি ৩৫টি যুদ্ধবিমানে সেগুলি অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। অন্য এক সূত্রের দাবি, ভারতের রাফালে যে ১৩টি নতুন প্রযুক্তিগত আধুনীকিকরণ যুক্ত করা হয়েছে, তা ফ্রান্সের ব্যবহৃত রাফালেও নেই। এই প্রযুক্তিগুলো শুধুমাত্র ভারতীয় বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত রাফালগুলোর জন্যই নির্ধারিত। 

    ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে ফ্রান্স থেকে ৩৬টি দাসো রাফাল মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান (Dassault Rafale Multirole Fighter Aircraft) সরাসরি একেবারে তৈরি অবস্থায় কেনার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) জানিয়েছিলেন, বায়ুসেনার আপৎকালীন প্রয়োজনীয়তাকে মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। এর পর ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ইন্টার-গভার্নমেন্টাল এগ্রিমেন্টের (Inter-Govermental Agreement) মাধ্যমে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে এই চুক্তি স্বাক্ষর করে দুই দেশ।

  • Kamika Ekadashi 2022: এবছর কবে কামিকা একাদশী? এদিনের মাহাত্ম্য জানেন কি?

    Kamika Ekadashi 2022: এবছর কবে কামিকা একাদশী? এদিনের মাহাত্ম্য জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণ একাদশী কামিকা একাদশী নামে পরিচিত। শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী তিথিতে এই একাদশী ব্রত পালিত হয়। চলতি বছর ২৪ জুলাই, বুধবার এই একাদশী ব্রত পালিত হবে। বিষ্ণুকে সমর্পিত এই একাদশী ব্রত। এদিন বিধি মেনে বিষ্ণুর পুজো করা হয়। মনে করা হয় বিষ্ণুর আশীর্বাদে ব্যক্তি সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হয় এবং সমস্ত মনোস্কামনা পূর্ণ হয়।

    কামিকা একাদশীর শুভক্ষণ

    একাদশী তিথি শুরু- ২৩ জুলাই, শনিবার, দুপুর ১টা ৩৯ মিনিটে।

    একাদশী তিথি সমাপ্ত- ২৪ জুলাই, রবিবার, দুপুর ২টে ৫৭ মিনিটে।

    একাদশী তিথি পরনার সময়- ২৪ জুলাই সকাল ৫টা ৩৮ মিনিট থেকে সকাল ৮টা ২১ মিনিটের মধ্যে।

    আরও পড়ুন: পুজোয় মঙ্গল ঘট কেন স্থাপন করা হয়, জানেন?

    কামিকা একাদশীর মাহাত্ম্য

    হিন্দুশাস্ত্র মতে বলা হয়ে থাকে, মহাভারতে শ্রীকৃষ্ণ ধর্মরাজ যুধিষ্ঠিরকে এই কামিকা একাদশী তিথির মাহাত্ম্য ব্যাখ্যা করে শুনিয়েছিলেন। শ্রীকৃষ্ণ বলেছিলেন, এইদিনে ভক্তরা যদি শুদ্ধ মনে ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করেন তবে ভক্তের জীবনের সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পাবে এবং দুঃখভোগ থেকে ভক্তের নিস্কৃতি লাভ হবে।

    এই একাদশী করলে সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ হয়। ব্যক্তির পাপমুক্তি ঘটে। কৃষ্ণ ধর্মরাজ যুধিষ্ঠিরকে এই একাদশীর মাহাত্ম্য ব্যাখ্যা করেছিলেন। কামিকা একাদশীর দিনে পুজো শেষ হলে বিষ্ণুর আরতি করতে ভুলবেন না। মনে করা হয়, পুজোর পর আরতি করলে পুজোয় যে ভুল হয়ে থাকে, তার ক্ষমা লাভ করা যায় এবং পুজোর পূর্ণ ফল পাওয়া যায়।

    বিশ্বাস করা হয়, এই ব্রত পালনের মাধ্যমে ব্যক্তির সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়। যারা নিজেদের পাপ সম্পর্কে ভয় পায়, তাদের অবশ্যই এই ব্রত করা উচিত। পাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য একাদশী ব্রতের চেয়ে ভাল আর কোনও দ্বিতীয় উপায় নেই। একাদশীর দিন ভগবান বিষ্ণুর পূজা করা অত্যন্ত লাভদায়ক।

    আরও পড়ুন: প্রদীপের মুখ কোনদিকে থাকা উচিত? নিয়মগুলি না জানলে হতে পারে অমঙ্গল!

    কামিকা একাদশীর তিথির পুজাবিধি

    কামিকা একাদশীর দিন যারা ব্রত করবেন, তাদের খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে পরিষ্কার বস্ত্র পরিধান করা উচিত। প্রথমে ব্রতের সংকল্প গ্রহণ করুন এবং চারিদিকে গঙ্গাজল ছিটিয়ে ও গঙ্গাজল দিয়ে পূজার স্থান শুদ্ধ করে নিন। এই দিনে ভগবান বিষ্ণুর পুজো করা হয়। দুধ, পঞ্চামৃত, ফল, হলুদ ফুল, তিল, ইত্যাদি শ্রীহরিকে অর্পণ করুন। এই দিন বেশির ভাগ সময় ভগবান বিষ্ণুর নাম স্মরণ করে ব্যয় করুন। এই দিনে ব্রাহ্মণ ভোজন করান এবং দক্ষিণা দিন। যদি এটি সম্ভব না হয়, তাহলে আপনার সাধ্যমতো অভাবীদের সাহায্য করুন। একাদশীর পূজায় বিষ্ণু সহস্রনাম পাঠ অবশ্যই করুন।

    এরপর ব্রতকারীরা ফলমূল, নিরামিষ ভোজন বা অরন্ধ্রনজাত খাবার খেয়ে ব্রত ভাঙ্গতে পারেন।

  • Adil Chishty: হিন্দু দেবদেবীর অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন! দুঃখিত আজমের শরিফের ধর্মগুরু আদিল চিস্তি

    Adil Chishty: হিন্দু দেবদেবীর অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন! দুঃখিত আজমের শরিফের ধর্মগুরু আদিল চিস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার বিতর্ক! ৩৩ কোটি হিন্দু দেব-দেবীর অস্তিত্ব এবং তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন আজমের শরিফের  (Ajmer dargah) ধর্মগুরু আদিল চিস্তি (Adil Chishty)। সম্প্রতি আদিলের একটি ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়। যেখানে আদিল বলেন, ‘কংগ্রেস নেতা শশী তারুরের (Shashi Tharoor) একটি বই পড়ে তিনি হিন্দু দেব-দেবী সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।’ ওই ভিডিওয় তিনি সাসপেন্ডেড বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মাকে (Nupur Sharma) হিন্দুদের ৩৩ কোটি দেব-দেবী নিয়ে প্রশ্ন করেন। গত ২৩ জুন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ওই ভিডিওয় আদিল প্রশ্ন তোলেন হিন্দু দেবতা সিদ্ধিদাতা গণেশের বাহ্যিক রূপ নিয়েও।

    প্রসঙ্গত, পয়গম্বর নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন প্রাক্তন বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মা। এরপরই তাঁকে সাসপেন্ড করে দল। এবার হিন্দু ধর্ম নিয়ে আদিলের এই ব্যাঙ্গাত্মক মন্তব্য সামনে আসতেই সৈয়দ সরোয়ার চিস্তির ছেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ওঠে। যদিও এরপরেই একটি ভিডিও প্রকাশ করেন আদিল। তিনি সেখানে সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে বলেন, তাঁর বক্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে। তাঁর বক্তব্যের একটি অংশ প্রকাশ করা হয়েছে। পুরোটা দেখলে সকলের ভুল ভেঙে যেত। তিনি বলেন, “আমার মন্তব্যে যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন, তাহলে আমি দুঃখিত। আমি কোনও হিন্দু ভাই-বোনের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করতে চাইনি।”

    আরও পড়ুন: কোটি কোটি টাকার লেনদেন! ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতে ৭ ইসিএল আধিকারিক

    এপ্রসঙ্গে পুলিশের তরফে এখনও প্রকাশ্যে কোনও কথা বলা হয়নি। এএসপি (additional superintendent of police) বিকাশ সাগোয়ান জানান, ভাইরাল ভিডিওটি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত সম্পূর্ণ হলে সব জানা যাবে। উল্লেখ্য, উদয়পুরের দর্জি কানহাইয়ালালকে নৃশংসভাবে খুন করার ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। এদিকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে উদয়পুরের ঘটনার পরে সামনে আসে রাজস্থানের দরগা আজমের শরিফের কথা। শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্বের প্রতীক বলে পরিচিত আজমের শরিফ। ওই দরগারই এক খাদিম নূপুর শর্মার মাথা কাটার স্লোগান তুলেছিলেন বলে অভিযোগ। ওই দরগার খাদিম গওহর চিস্তি বিতর্কিত কিছু মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। কানাইয়ালালকে হত্যার আগে তিনি রিয়াজের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন বলে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে।

     

  • Partha Chatterjee: কোথায় রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কুকুরের ফ্ল্যাট? অবশেষে মিলল খোঁজ

    Partha Chatterjee: কোথায় রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কুকুরের ফ্ল্যাট? অবশেষে মিলল খোঁজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশ কিছুদিন ধরেই সকলের মুখে ঘোরাফেরা করছিল প্রশ্নটা। তা হল— কোথায় রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কুকুরের (Partha Chatterjee Pet Dogs) ফ্ল্যাট? এতদিনে তার খোঁজ মিলল।

    গত মে মাসে এই এসএসসি-কাণ্ডের (SSC Scam) শুনানি চলাকালীন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) একটি মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সম্পত্তি নিয়ে। মন্ত্রীর হয়ে সওয়াল করা আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে বিচারপতির মন্তব্য ছিল, নাকতলায় পোষা কুকুরের জন্য ওনার একটা ফ্ল্যাট আছে জানেন তো? এত সম্পত্তির মালিক হলেন কী করে? ওনার সম্পত্তির হিসেব আদালতে পেশ করা হোক। এই সম্পত্তির পরিমাণ কত, তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলেই পর্যবেক্ষণ করেন বিচারপতি।

    এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (Teachers Recruitment Scam) পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সম্পত্তির তদন্ত করতে গিয়েই প্রথম সিবিআইয়ের হাতে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছিল। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছিলেন, কুকুরের নামে ওই ফ্ল্যাটের কথা। যদিও, কোথায় সেই ফ্ল্যাট রয়েছে, তা তখন প্রকাশ্যে আসেনি। এখন এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডের আর্থিক দিক খতিয়ে দেখছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। গতকাল, সেই সূত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি। সেখান থেকে ২০ কোটির বেশি নগদ ও বিপুল গয়না উদ্ধার হয়। ইডি সূত্রে দাবি, তল্লাশিতে উঠে এসেছে একাধিক চমকপ্রদ তথ্য। কী সেই তথ্য?

    ইডি (ED) সূত্রে দাবি, শুক্রবার টালিগঞ্জের অভিজাত ডায়মন্ড সিটি সাউথ (Diamond City South) আবাসনের টাওয়ার ২ ফ্ল্যাট ১এ-তে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। এই ফ্ল্যাটেই থাকেন অর্পিতা। কিন্তু, তদন্তে উঠে এসেছে, ওই একই টাওয়ারে আরও তিনটি ফ্ল্যাট রয়েছে পার্থ-অর্পিতার। সেগুলি হল— ১৮ডি, ১৯ডি ও ২০ডি। সূত্রের দাবি, এর মধ্যে ১৮ডি ফ্ল্যাটটি পার্থ চট্টোপাধ্যয়ায়ের কুকুরের জন্য বরাদ্দ। জানা গিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় মাঝেমধ্যেই এই আবাসনে আসতেন। অর্পিতার সঙ্গে দেখা করতেন। 

  • Nirmala Sitharaman: চাল, ডাল, আটা, গম খোলা কিনলে বাড়তি জিএসটি লাগু হবে না! ট্যুইট করে ব্যাখ্যা অর্থমন্ত্রীর

    Nirmala Sitharaman: চাল, ডাল, আটা, গম খোলা কিনলে বাড়তি জিএসটি লাগু হবে না! ট্যুইট করে ব্যাখ্যা অর্থমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার থেকে দামি হয়েছে আটা, পনির, দইয়ের মতো বেশ কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস। লেবেল লাগানো প্যাকেটজাত খাবারের উপর বসেছে পাঁচ শতাংশ পণ্য পরিষেবা কর (GST)। কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য চাল, ডাল, গম, আটা, ওটস যদি খোলা বিক্রি করা হয় তাহলে তাতে জিএসটি লাগবে না বলে ট্যুইটবার্তায় স্পষ্ট জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Finance Minister) নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)।  

    জিএসটি থেকে যে পণ্যগুলো ছাড় পাচ্ছে, তার তালিকা প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, এই তালিকার বেশিরভাগ খাদ্যবস্তুই বিনা প্যাকেটে বা খোলা বিক্রি করা হয়। অর্থাৎ, এই জাতীয় পণ্য বিক্রির আগে বা পড়ে প্যাকেটজাত করা হয় না। এই নির্দিষ্ট পণ্যগুলো খোলা বিক্রি হলে, তাতে জিএসটি লাগু হবে না, বলেই সীতারামন জানিয়েছেন।

    [tw]


    [/tw]

    তালিকায় আছে, ডাল, গম, ওটস, ভুট্টা, চাল, আটা, ময়দা, সুজি, রাই, বেসন, দই এবং লস্যির মত কিছু খাদ্যদ্রব্য। জুন মাসে বেশ কিছু পণ্য এবং পরিষেবার উপর কর চাপানোর সিদ্ধান্ত নেয় জিএসটি কাউন্সিল। বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা। চলতি সপ্তাহ থেকে সেই বর্ধিত জিএসটি লাগু হয়েছে। এরপরই জিএসটির হার এবং মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিরোধীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয় লোকসভার বাদল অধিবেশন। তারই প্রেক্ষিতে ধারাবাহিক ১৪টি ট্যুইট করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। ট্যুইটে সীতারামন খাদ্যদ্রব্যের ওপর ৫ শতাংশ জিএসটি বৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করেছেন। জানিয়েছেন, এই দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত তাঁর একার নয়। জিএসটি কাউন্সিলই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতমাসে, ২৮ জুন মন্ত্রিগোষ্ঠী যখন দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দেয়, জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে সব রাজ্যের প্রতিনিধিরাই উপস্থিত ছিলেন সেখানে বলে জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: আইএনএস বিক্রমাদিত্যে আগুন! তদন্তের জন্য বোর্ড গঠনের নির্দেশ

    বিরোধীদের ক্ষোভের কারণ উড়িয়ে দিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এই প্রথমবার এই জাতীয় খাদ্য সামগ্রীর ওপর কর দেওয়া হচ্ছে না। প্রি-জিএসটি আমলে রাজ্যগুলো খাদ্যশস্য থেকে উল্লেখযোগ্য রাজস্ব সংগ্রহ করছিল।’ সীতারামন জানান, যখন জিএসটি চালু হয়েছিল, তখন ব্র্যান্ডেড ডাল, ময়দার ওপর ৫ শতাংশ জিএসটি বসেছিল। পরবর্তীতে এই ধরনের পণ্যের জিএসটির হার কেবল সংশোধিত হয়েছে।’ সীতারামনের দাবি, খাদ্যপণ্যে জিএসটি ছাড়ের সুযোগ নিয়েছে বড় ব্যবসায়ীরা। তাই সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

  • Ponniyin Selvan: ইতিহাস বিকৃতি, মণি রত্নম এবং বিক্রমকে আইনি নোটিস

    Ponniyin Selvan: ইতিহাস বিকৃতি, মণি রত্নম এবং বিক্রমকে আইনি নোটিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আইনি বিপাকে দক্ষিণী পরিচালক মণি রত্নম (Mani Ratnam) এবং দক্ষিণী অভিনেতা বিক্রম (Vikram)। চোল ইতিহাসকে বিকৃত করার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। মনিরত্নমের আপকামিং ছবি ‘পন্নিইন সেলভান’ (Ponniyin Selvan) মূলত চোল রাজাদের গল্প। আর ছবিতে এই চোল রাজাদের অপমান করারই অভিযোগ উঠেছে এই দুই তারকার বিরুদ্ধে। দুই দক্ষিণী সুপারস্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন সেলভাম নামের চেন্নাইয়ের এক আইনজীবী। আইনজীবীর দাবি, ছবির টিজারে দেখানো হয়েছে, চোল রাজা আদিত্য কারিকালান কপালে তিলক কেটেছেন। কিন্তু কোনওদিনই নিজের কপালে তিলক কাটেননি ওই চোল রাজা। ওই চোল রাজার চরিত্রে অভিনয় করছেন বিক্রম।  

    আরও পড়ুন: দীর্ঘ ২০ বছর সম্পর্কের পরিণতি! বিয়ে করলেন জেনিফার লোপেজ ও বেন অ্যাফ্লেক

    ছবির টিজারে বিক্রমের কপালে কেন তিলক রয়েছে? সেই প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন আইনজীবী। তাঁর দাবি, এইসব মনগড়া ইতিহাস দেখে চোল রাজাদের বিরুদ্ধে ভুল ধারণা তৈরি হবে দেশের আম জনতার মধ্যে। এর জেরে ইতিহাস বিকৃত হবে বলেও দাবি করেছেন তিনি। সেই সম্ভবনাকে রুখতেই এই মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন সেই আইনজীবী। সিনেমাটি রিলিজের আগে একটি বিশেষ স্ক্রিনিং-এর দাবি জানিয়েছেন। তিনি স্বচক্ষে তিনি দেখে নিতে চান যে, ছবিতে চোল রাজাদের ইতিহাসকে আর কোনওভাবে বিকৃত করা হচ্ছে কিনা। ইতিমধ্যেই মণি রত্নম এবং বিক্রমকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তবে পরিচালক বা অভিনেতা কেউই বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি ।

    আরও পড়ুন: ফের মা হতে চলেছেন করিনা? জল্পনা তুঙ্গে 

    গত সপ্তাহেই পন্নিইন সেলভান ছবিটির টিজার মুক্তি পেয়েছে। সিনেমাটি দুটি ভাগে মুক্তি পাবে বলে আগেই জানিয়েছিল প্রযোজনা সংস্থা। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম ভাগ রিলিজ করার কথা। তামিল, তেলুগু, মালায়ালাম ও হিন্দি ভাষায় মুক্তি পাবে এই ছবি। কাল্কি কৃষ্ণমূর্তির (Amarar Kalki)উপন্যাসর থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই এই ছবি তৈরি করেছেন পরিচালক। সিনেমাটিতে অভিনয় করছেন ঐশর্য্য রাই, কার্থি, তৃষা, জয়ম রবি, প্রভু, শরথ কুমার, প্রকাশ রাজ, লাল, কিশোর এবং সবিতা ধুলিপালা। 

    ইতিমধ্যেই মুক্তি পেয়েছে ছবিতে ঐশর্য্যের (Aishwarya Rai Bachchan)’লুক’। আর তারপর থেকেই চর্চা চলছে এই ছবি নিয়ে। প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরীকে চার বছর পর রূপালি পর্দায় দেখতে উদগ্রীব ভক্তরা। লাল শাড়ির সঙ্গে ভারী গয়না পরে রাজনন্দিনীর বেশে তিনি। কপালে ছোট্ট টিপ, সঙ্গে কোঁকড়ানো চুল। অপরূপ সুন্দরী দেখাচ্ছে বচ্চন বধূকে। যদিও ছবিতে তারঁ চরিত্র নেগেটিভ। তাই ছবির ক্যাপশনে নির্মাতারা লিখেছেন, “হিংস্ররাও এত সুন্দর হয়!” 

    বহুদিন ধরেই এই উপন্যাস নিয়ে ছবি বানাতে চাইছেন বহু পরিচালক। মণি রত্নমও এই ছবিটি বানানোর জন্যে বহুদিন ধরে অপেক্ষা করেছেন। অবশেষে সেই ছবি তৈরি হলেও, এখন তা আইনি জটিলতার সামনে।  

     

  • Allahabad HC: বাক-স্বাধীনতা মানে প্রধানমন্ত্রীকে কু-মন্তব্য করা নয়, স্পষ্ট এলাহাবাদ হাইকোর্ট

    Allahabad HC: বাক-স্বাধীনতা মানে প্রধানমন্ত্রীকে কু-মন্তব্য করা নয়, স্পষ্ট এলাহাবাদ হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাক-স্বাধীনতা মানে দেশের প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) বা অন্যন্য মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে কু-বাক্যের প্রয়োগ নয়। সোমবার অবস্থান স্পষ্ট করল এলাহাবাদ উচ্চ আদালত (Allahabad HC)। এমনকি প্রশানমন্ত্রীকে কুমন্তব্য (Abuse) করার অভিযোগে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলাও বাতিলের আবেদন নাকচ করল আদালত। 

    আরও পড়ুন: প্রয়াত প্রখ্যাত গজল শিল্পী ভূপিন্দর সিং, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    মুমতাজ মনসুরি নামে জৌনপুরের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। বাক স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে আদালতে মামলা বাতিলের আর্জি জানান ওই ব্যক্তি। মনসুরির সেই আবেদন নাকচ করে বিচারপতি অশ্বিনী কুমার মিশ্র ও বিচারপতি রাজেন্দ্র কুমারের বেঞ্চ। বেঞ্চ জানায়, “ভারতের সংবিধান বাক-স্বাধীনতার অধিকার প্রতি নাগরিককে দিয়েছে। কিন্তু সেই অধিকার মানে কোনও নাগরিক, প্রধানমন্ত্রী বা অন্যান্য মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর শব্দ প্রয়োগ নয়।” 

    আরও পড়ুন: মোদিকে পাশে বসিয়ে মনোনয়নপত্র জমা জগদীপ ধনখড়ের 

    সূত্রমতে, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Home MInister) এবং অন্যান্য মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত খারাপ মন্তব্য করায়  ২০২০ সালে মুমতাজ মনসুরির নামে মামলা দায়ের করা হয়। আইপিসি সেকশন ৫০৪ এবং আইটি অ্যাক্ট সেকশন ৬৭ -এর আওতায় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিরাটগঞ্জ থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। এই মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন মনসুরি। মামলাটিকে বাতিল করার আর্জি জানান।

    আরও পড়ুন: ৩৬টি রাফালই ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, জানালেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত 

    ১৫ জুলাই মনসুরির সেই আবেদন নাকচ করে দেয় আদালত। এবং কড়া শব্দে ভারতের সংবিধানের পাঠ পড়ায় ওই ব্যক্তিকে। আদালত বলে, “এফআইআরে অভিযুক্তের অপরাধের যথেষ্ট প্রমাণের উল্লেখ রয়েছে। আমরা এই ধরনের মামলায় হস্তক্ষেপ করে তা বাতিল করার কোনও কারণ খুঁজে পাই নি। পুলিশের এই মামলা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এবং যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত শেষ করার সম্পূর্ণ অধিকার থাকবে।”   

     

  • Har Ghar Tiranga: তিন দিন ধরে ২০ কোটি বাড়িতে উড়বে জাতীয় পতাকা ! কেন্দ্রের নয়া প্রচার ‘হর ঘর তেরঙ্গা’

    Har Ghar Tiranga: তিন দিন ধরে ২০ কোটি বাড়িতে উড়বে জাতীয় পতাকা ! কেন্দ্রের নয়া প্রচার ‘হর ঘর তেরঙ্গা’

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: শুরু হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের (central government) ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ (Har Ghar Tiranga) অভিযান। আগামী মাসে তিনদিনের জন্য সারা দেশে ২০ কোটিরও বেশি বাড়িতে তেরঙ্গা উত্তোলন করা হবে। আজাদি কি অমৃত মহোৎসবের (Azadi Ka Amrit Mahotsav) অঙ্গ হিসাবে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Union Home Minister Amit Shah ) এই প্রচার কর্মসূচির ব্যাপারে পর্যালোচনা করেছেন। বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পদাধিকারীদের সঙ্গে তিনি এ নিয়ে আলোচনা করেন। এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে ১৩ অগস্ট থেকে ১৫ অগস্ট পর্যন্ত তিরঙ্গা পতাকা ওড়ানো হবে। বিভিন্ন সংগঠনও এই কর্মসূচিতে অংশ নেবে। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিও এর অন্তর্ভুক্ত। এমনটাই বলা হয়েছে বিবৃতিতে।

    বিবৃতি অনুযায়ী, এদিন ১০০ কোটিরও বেশি মানুষ ভারত মাতার সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করার প্রচারে অংশ নেবেন। এটি মানুষের মধ্যে দেশপ্রেমের একটি নতুন বোধ জাগিয়ে তুলবে। বিবৃতি অনুসারে অমিত শাহ বলেন, ২২ শে জুলাই থেকে সমস্ত রাজ্য সরকারের ওয়েবসাইটের হোমপেজে জাতীয় পতাকা থাকবে। এছাড়া নাগরিকদের প্রতি তাঁর আর্জি সবাই যেন তাঁদের ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ট্যুইটার এবং অন্যান্য সামাজিক মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলিতে তেরঙ্গা প্রদর্শন করেন। এমনকি তেরঙ্গার সঙ্গে একটি সেলফি তুলে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে আপলোড করার কথাও বলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: আপনার আধার কার্ড দিয়ে অন্য কেউ সিম তোলেনি তো? আজই জেনে নিন

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অন্যভাবে আজাদি কি অমৃত মহোৎসবকে পালন করতে চাইছেন। ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ প্রতিটি নাগরিকের জন্য গর্বের বিষয়। ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ প্রচার দেশপ্রেমের চেতনাকে সর্বোচ্চ স্তরে নিয়ে যাবে, বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দাবি। মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল ‘প্রভাত ফেরি’। তাই রাজনৈতিক দল, সরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও এবং সমবায়গুলিকে নিজেদের অঞ্চলে প্রভাত ফেরির আয়োজন করতে বলা হয়েছে। বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে যখন শিশু, বৃদ্ধ, যুবক এবং কিশোররা একসঙ্গে ভারত মাতার গান গাইবে এবং তেরঙ্গা হাতে নিয়ে ‘প্রভাত ফেরি’ তে অংশ নেবে, তখন ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচি নিজে থেকেই সফল হয়ে যাবে।

     

LinkedIn
Share