Blog

  • Rajya Sabha Protest: ধর্নায় বসে সাসপেন্ডেড সাংসদরা খাচ্ছেন ইডলি-সাম্বার, চিকেন-তন্দুরি!

    Rajya Sabha Protest: ধর্নায় বসে সাসপেন্ডেড সাংসদরা খাচ্ছেন ইডলি-সাম্বার, চিকেন-তন্দুরি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসেছেন অবস্থান বিক্ষোভে। অথচ খাওয়া হচ্ছে দই-ভাত (Curd rice), ইডলি (Idli)-সাম্বার (Sambhar), চিকেন-তন্দুরি  (Chicken Tandoori), গাজরের হালুয়া এবং ফল। এই হচ্ছে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসা সাসপেন্ডেড সাংসদদের খাবার। বুধবার থেকে শুক্রবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ধর্না চলবে বলে জানিয়েছেন সাসপেন্ডেড সাংসদরা। সেখানেই চলছে ভূরিভোজের ব্যবস্থা।  

    অসংসদীয় আচরণের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল সাংসদদের। তার পরেই টানা পঞ্চাশ ঘণ্টার ধর্নায় বসেছেন বিজেপি (BJP) বিরোধী বিভিন্ন দলের সাংসদরা। রাজ্যসভা (Rajya Sabha) থেকে সাসপেন্ড হওয়া ২০ জন বিরোধী দলের সাংসদও রয়েছেন ধর্নায়। যাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের (TMC) সাত জন, ডিএমকের ৬ জন, টিআরএসের তিন জন, সিপিএমের দুজন এবং সিপিআই ও আপের একজন করে সাংসদ। রাজ্যসভার পাশাপাশি লোকসভা থেকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে কংগ্রেসের চার সাংসদকে। এই ঘটনার প্রতিবাদেই ধর্নায় বসেছেন বিরোধীরা।

    আরও পড়ুন : ৫০ ঘণ্টার ধর্নায় সাসপেন্ডেড সাংসদরা, বিরোধী বৈঠকে গরহাজির আপ, তৃণমূল

    রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন তৃণমূলের কংগ্রেসের দোলা সেন। তিনি বলেন, গান্ধী মূর্তির পাদদেশে প্রতিবাদে বসেছেন সাসপেন্ডেড সাংসদরা। রাতেও তাঁরা চালিয়ে যাবেন অবস্থান বিক্ষোভ। টানা পঞ্চাশ ঘণ্টার অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে প্রয়োজন খাবারের। তাই তৈরি করা হয়েছে ডিউটি রোস্টারও। সেখানেই তৈরি হচ্ছে হরেক কিসিমের খাবারও। রোস্টার যাতে ঠিকঠাকভাবে পালিত হয়, সেজন্য তৈরি হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। এদিকে, সংসদে অসংসদীয় আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেই সাসপেনশান তুলে নেওয়া হবে বলে জানায় সরকার পক্ষ। যদিও তা করতে রাজি নন ধর্নায় বসা সাংসদরা। বিজেপি বিরোধী যে দলগুলি অবস্থান বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে, তারা হল তৃণমূল, ডিএমকে, আপ, টিআরএস, সমাজবাদী পার্টি, শিবসেনা, সিপিএম, সিপিআই, জেএমএম এবং কেরালা কংগ্রেস। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, প্রতিবাদী রাজনৈতিক দলগুলি ঠিক করেছে অবস্থান বিক্ষোভে বসা সাংসদদের দেওয়া হবে প্রাদেশিক খাবার।

    আরও পড়ুন : রাজ্যসভা নির্বাচনে ১৬-র মধ্যে ৮ আসনে জয়ী বিজেপি

    বুধবার প্রাতরাশে ছিল ইডলি-সাম্বার। লাঞ্চে ছিল দই-ভাত। আয়োজন করেছিল ডিএমকে। আর রাতে খাবার হিসেবে ছিল রুটি, ডাল, পনির এবং চিকেন তন্দুরি। আয়োজন করেছে তৃণমূল। ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝি গাজরের হালুয়া নিয়ে এসেছিলেন। তৃণমূলের তরফে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ফল এবং স্যান্ডউইচ। রোস্টার অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার প্রাতরাশের দায়িত্বে ছিল ডিএমকে। লাঞ্চের দায়িত্বে টিআরএস। আর রাতের খাবারের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব বর্তেছে আম আদমি পার্টির ওপর। সাসপেন্ডেড সাংসদদের সমর্থনে বিভিন্ন দলের নেতারাও কিছুক্ষণের জন্য অবস্থান বিক্ষোভ মঞ্চে আসছেন। সংসদ চত্বরের ওই এলাকায় কাঠামো তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় খোলা আকাশের নীচেই রাত কাটাতে হয়েছে তাঁদের। তবে দেওয়া হয়েছে পার্লামেন্ট লাইব্রেরির টয়লেট ব্যবহারের অনুমতি।

     

  • Hamid Ansari: প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি পাক চরকে ভারতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন! বিস্ফোরক দাবি 

    Hamid Ansari: প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি পাক চরকে ভারতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন! বিস্ফোরক দাবি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ভারত সফর সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন এক পাক সাংবাদিক। নুসরাত মির্জা (Nusrat Mirza) নামের ওই সাংবাদিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক তথা ইউটিউবার শাকিল চৌধুরীর (Shakil Chaudhary) সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে জানিয়েছেন তিনি বহুবার ভারত সফরের এসেছেন এবং সফরের পরেই দেশে ফিরে গিয়ে ভারত সম্পর্কে পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।    

    আরও পড়ুন: জনীতি থেকে দূরে থাকুন, সেনা আধিকারিকদের নির্দেশ পাক সেনা প্রধানের

    ২০১০ সালে হামিদ আনসারির (Hamid Ansari) আমন্ত্রণেও একবার ওই পাকিস্তানি সাংবাদিক ভারতে এসেছিলেন বলে জানিয়েছেন। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে এক সেমিনারে অংশ নিতে তিনি ভারতে আসেন বলে জানান। সেই সময় ভারতের উপরাষ্ট্রপতি ছিলেন হামিদ আনসারি। ২০০৭ থেকে ২০১৭ সাল অবধি ভারতের উপরাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এরপর ২০১১ সালে শেষবার ভারতে আসেন নুসরাত। তাঁর দাবি, তিনি ভারত থেকে যে সমস্ত তথ্য একজোট করেছিলেন তা দিয়েছিলেন পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থাকে।     

    [tw]


    [/tw]   

    ঘটনাটি ইউপিএ (UPA) শাসনকালের। আর সেই সময়ই ভারতে এসে তথ্য সংগ্রহ করে, সেই তথ্য পাক গুপ্তচর সংস্থা (Pakistani Spy Agency) আইএসআইকে (ISI) দিয়েছিলেন। 

    আরও পড়ুন: ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের হুঁশিয়ারি! বিদ্যুৎ সংকট পাকিস্তানে
        
    ভারতের নিয়ম অনুযায়ী, যখন কোনও পাকিস্তানি ভারতে আসেন, তখন তাঁকে ৩ টি শহর ঘোরার অনুমতি দেয় ভারত সরকার। যদিও ভিসার আবেদনে ৫ টি শহরের উল্লেখ থাকে। কিন্তু সেইসময় তাঁকে সাতটি শহর ঘুরে দেখার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল বলে জানান নুসরাত। সাংবাদিক আরও জানান, তাঁর সঙ্গে তৎকালীন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী খুরশিদ কসুরি (Khurshid Kasuri) ছিলেন। নুসরাত মির্জার দাবি, খুরশিদ ওই সাংবাদিককে বলতেন যা তথ্য তিনি ভারত থেকে পেয়েছেন তা যেন পাকিস্তানের তৎকালীন সেনা প্রধান জেনারেল কায়ানিকে দেওয়া হয়।  

    তাঁর বক্তব্য পাঁচবার ভারত সফর করে তিনি দিল্লি, ব্যাঙ্গালোর, চেন্নাই, পাটনা এবং কলকাতায় ঘুরেছেন। ২০১১ সালে, তিনি মিল্লি গেজেটের প্রকাশক জাফরুল ইসলাম খানের সঙ্গেও দেখা করেন। সাংবাদিকের এই দাবির পরেই ইউপিএ সরকারের অসতর্কতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অস্বস্তিতে আনসারিও। 

     

  • Pakistan Crisis: এবার ঋণ খেলাপির তালিকায় পাকিস্তানও?   

    Pakistan Crisis: এবার ঋণ খেলাপির তালিকায় পাকিস্তানও?   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেনায় জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। একই অবস্থা জাম্বিয়ারও। বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডারের হাঁড়ির হাল আরও কয়েকটি দেশের। এই তালিকায় যোগ হতে চলেছে পাকিস্তানের নামও। অন্ততঃ ইন্টারন্যাশনাল রেটিং এজেন্সির বক্তব্য এমনই।

    চিনা (China) ঋণের ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছে ভারতের (India) প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা। দেশের জিনিসপত্রের দাম অগ্নিমূল্য। বিদেশি মুদ্রার অভাবে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা হচ্ছে লোডশেডিং। একই কারণে বিদেশ থেকে আনানো যাচ্ছে না সংবাদপত্র ছাপার কাগজ। যার জেরে দীর্ঘ দিন এদেশে বন্ধ হয়ে গিয়েছে সংবাদপত্র ছাপার কাজ। জ্বালানির দাম অগ্নিমূল্য হওয়ায় রাস্তায় গাড়িঘোড়াও চলছে কম। জনরোষের হাত থেকে বাঁচতে গা ঢাকা দিয়েছেন দেশের প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্ট হাউসের দখল নিয়েছেন দ্বীপরাষ্ট্রের আমজনতা।

    আরও পড়ুন : রাজনৈতিক পটবদল, আগামী সপ্তাহেই নতুন রাষ্ট্রপতি পাবে শ্রীলঙ্কা

    কেবল শ্রীলঙ্কা নয়, অর্থনীতির করুণ দশা পৃথিবীর আরও কয়কটি দেশেরও। টার্কি, ইজিপ্ট, টিউনিশিয়া, ইথিওপিয়া, পাকিস্তান (Pakistan), ঘানা এবং এল সালভাডর রয়েছে এই তালিকায়। এই দেশগুলিও বৈদেশিক ঋণ শোধ করতে পারছে না। এই দেশগুলিতেও জ্বালানি, খাদ্যদ্রব্যে মূল্য আকাশ ছোঁওয়া। সেই সঙ্গে বাড়ছে গ্লোবাল ইন্টারেস্ট রেটও। 

    ফিচ রেটিংসের বিচারে কেবল এই দেশগুলোই নয়, তারা চিহ্নিত করেছে ১৭টি দেশকে। যারা এখনই বৈদেশিক ঋণ শোধে অপারগ। এদের মধ্যে রয়েছে শেহবাজ শরিফের দেশ পাকিস্তানও। এই ১৭টি দেশের তালিকায় রয়েছে বৃহৎ শক্তিধর দেশ রাশিয়াও। আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা জারি করায় অর্থনৈতিক লেনদেন করতে পারছে না পুতিনের দেশ। প্রত্যাশিতভাবেই তারাও পারছে না বৈদেশিক ঋণ শোধ করতে।

    আরও পড়ুন : অর্থসংকট কাটাতে আইএমএফের শর্ত মেনেই বাজেট পেশে রাজি পাকিস্তান?

    শ্রীলঙ্কা, জাম্বিয়ার পর এবার ঋণ খেলাপির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে পাকিস্তান, লেবানন, টিউনিশিয়া, ঘানা, ইথিওপিয়া, ইউক্রেন, তাজিকিস্তান, এল সালভাদর, সুরিনাম, ইকুয়েডর, বেলিজ, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া, বেলারুশ এবং ভেনেজুয়েলা। এই দেশগুলির বৈদেশিক মুদ্রার হাঁড়ির হাল। তাই যে কোনও সময় এদের গায়েও সেঁটে যেতে পারে ঋণখেলাপির তকমা।

     

  • Primary TET Scam: বুধবারের মধ্যে ৪৩ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ-নথি তলব প্রাথমিক পর্ষদের

    Primary TET Scam: বুধবারের মধ্যে ৪৩ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ-নথি তলব প্রাথমিক পর্ষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) নির্দেশে রাজ্যের প্রাথমিক টেট দুর্নীতি (Primary TET scam) মামলার তদন্ত করছে সিবিআই (CBI)। সেই মোতাবেক, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Primary Education Board) কাছে ৪২ হাজার ৯৪৯ প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ-নথি চেয়ে পাঠিয়েছে। সেই মর্মে, এবার, প্রতিটি জেলায় প্রাথমিক স্কুলগুলির থেকে নিযুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগ নিয়ে তথ্য চাইল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আগামী বুধবারের মধ্যে এই নথি সংসদের দফতরে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

    সোমবার এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন প্রাথমিক পর্ষদের সচিব আর সি বাগচি। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ৪২,৯৪৯ শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে সিবিআই। তাই জরুরি ভিত্তিতে নিয়োগ সংক্রান্ত নথি সংসদকে পাঠাতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষকদের একটি ই-মেল অ্যাড্রেস দেওয়া হয়েছে। বুধবারের মধ্যে সমস্ত তথ্য হাতে পাবার পর সেই তথ্য সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণদের তথ্য চাইল সিবিআই, স্কুলে স্কুলে গেল নির্দেশ

    তদন্তের স্বার্থে, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় ৪২, ৯৪৯ শূন্য পদে যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকেরই তথ্য খতিয়ে দেখবে সিবিআই। টেটের রোল নম্বর, টেট পাশ সার্টিফিকেট সহ যাবতীয় নথি জমা দিতে হবে। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এই সমস্ত শিক্ষক নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন। সেই নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এবার সিবিআই আধিকারিকদের হেফাজতে আসতে চলেছে।

    এরই মধ্যে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ক্রমশ অস্বস্তি বাড়ল রাজ্যের। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন বিজেপি নেতা তাপস ঘোষ। কী কারণে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়নি? টাকা নিয়ে কিছু করা হয়েছে কিনা? এই বিষয়গুলো জানতে ইডি, সিবিআইকে দিয়ে তদন্তের আরজি জানিয়েছিলেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলায় সিবিআইকে ‘সিট’ গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের

    কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলে। রাজ্যের যুক্তি ছিল, ২০১৪ সালে হয়েছিল নিয়োগ প্রক্রিয়া, ইতিমধ্যেই ৮ বছর অতিক্রান্ত। এতদিন পর জনস্বার্থ মামলা করায়, সেই মামলা খারিজের আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু রাজ্যের দাবি খারিজ করে দিল আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা জমা দেবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৬ অগাস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

  • Mamata on Droupadi Murmu: দ্রৌপদীকে ভোট দিতে পারব না, মোদির দূতকে বললেন মমতা

    Mamata on Droupadi Murmu: দ্রৌপদীকে ভোট দিতে পারব না, মোদির দূতকে বললেন মমতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) দূতের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়। আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (Presidential Elections) দেশের প্রথম জনজাতি মহিলা প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে (Droupadi Murmu) ভোট দিতে অক্ষম তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল দার্জিলিং (Darjeeling) রাজভবনে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মাকে (Hemant Biswasarma) জানিয়ে দিয়েছেন তিনি বিজেপির (BJP) প্রার্থীকে ভোট দেবেন না। বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকেই (Yashwant Sinha) ভোট দেবে তৃণমূল কংগ্রেস।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চান সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জিতুন সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের এই মহিলা মুখ। এনডিএ নেতারা সেই কারণেই সব দলকেই ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সেই প্রেক্ষিতেই মোদির দূত হিসেবে রাজ্যে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বুধবার দার্জিলিঙের রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের (Governor Jagdeep Dhankhar) উপস্থিতিতে মমতার সঙ্গে বৈঠক করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই, হেমন্ত মমতাকে জানান, প্রধানমন্ত্রী চান দেশের সামনে যখন একজন আদিবাসী মহিলাকে রাষ্ট্রপতি করার সুযোগ এসেছে তখন সমস্ত রাজনৈতিক ভেদাভেদ সরিয়ে রেখে তৃণমূলেরও উচিত তাঁকে সমর্থন করা। কারণ দ্রৌপদী মুর্মু তৃণমূল ভোট না দিলেও রাষ্ট্রপতি হবেন। সে কথা বুঝেই রাজনৈতিক বিরোধিতা থাকলেও ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেন, ওড়িশার নবীন পট্টনায়েক, মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরেও দ্রৌপদীদেবীকে ভোট দিতে চলেছেন। মমতা বৈঠকে জানান, দ্রৌপদীদেবীর নাম জানিয়ে আগে প্রস্তাব দিলে ভাবা যেত। এখন আর সম্ভব নয়।

    আরও পড়ুন: দার্জিলিংয়ে হঠাৎ বৈঠকে মমতা-হিমন্ত! বিষয় কি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন?

    আসলে মমতার কাছে দূত পাঠিয়ে দ্রৌপদীদেবীর জন্য ভোট চাওয়ার পিছনেও রাজনীতিও রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। আদিবাসী মহিলা প্রার্থীকে ভোট দিলে বিজেপি জাতীয় স্তরে প্রমাণ করতে পারত বিরোধী নেত্রী হিসাবে মমতা আদৌ বিশ্বাসযোগ্য নয়। এখন ভোট না দিলে বিজেপি বলতে পারে, রাজনৈতিক আকচাআকচির মধ্যেও এক জন আদিবাসী মহিলাকে দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে বসাতে সমস্ত ইগো বিসর্জন দিয়ে বিজেপি মমতার কাছে ভোট চাইতে পাঠিয়েছিল। কিন্তু মমতা সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং আদিবাসী প্রার্থীকে ভোট দেননি।

    এর আগে, মমতাকে ফোন করে সমর্থন চান দ্রৌপদীদেবী স্বয়ং। রাজ্য বিজেপির সভাপতি (BJP State President) সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারী যুগ্মভাবে চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ভোট প্রার্থনা করেছেন। তারপরেই মমতা জানান, আগে এনডিএ প্রার্থীর কথা জানলে তিনি বিরোধী প্রার্থীকে সমর্থন দিতেন না। ঘটনাচক্রে যশবন্ত সিংহ তৃণমূলেরই সহ-সভাপতি ছিলেন। অনেকের মতে, দ্রৌপদী মুর্মুর প্রার্থী হওয়ায় সারা দেশে জনজাতি সমাজে বিজেপির পক্ষে হাওয়া উঠেছে। মমতা তা বিলক্ষণ বোঝেন। তাই দ্রৌপদীদেবীর প্রতি প্রচ্ছন্ন সমর্থনের কথা বলে আসলে সেই আদিবাসী সমাজকেই বার্তা দিতে চেয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: “দ্রৌপদীদেবীর জয় নিশ্চিত, তা সত্ত্বেও…”, মমতাকে চিঠি বঙ্গ বিজেপির

    এদিকে, দার্জিলিং রাজভবনে মমতা-হেমন্ত এবং রাজ্যপালের একটি ছবি ইতিমধ্যেই তৃণমূলের বিভিন্ন হ্যান্ডেল থেকে প্রচার করা হচ্ছে। বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের সেটিং হচ্ছে এমন ধারণা তৃণমূলই সর্বত্র ছড়াতে চাইছে। অনেকেই মনে করছেন, নানা দুর্নীতির মামলায় যেভাবে সিবিআই, ইডি একের পর এক টিএমসি নেতাদের তলব করছে তাতে নিচুতলার কর্মীরা আর সক্রিয়ভাবে দল করতে চাইছেন না। তাঁদেরই টিএমসি বার্তা দিয়ে জানাতে চাইছে, বিজেপির কেন্দ্রীয় স্তরে ভাল সম্পর্ক রয়েছে মমতার। ফলে ইডি-সিবিআইকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

    এপ্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, আদিবাসী মহিলার জন্য আমরা মুসলিম লিগের কাছেও ভোট চেয়েছি। এনডিএ প্রার্থী যাতে সর্বোচ্চ ভোট পান, তার জন্য সব কৌশলই নেওয়া হবে। কিন্তু তৃণমূল প্রমাণ করে দিচ্ছে তারা আদিবাসী সমাজের উত্থান চায় না। আর কেন্দ্রীয় এজেন্সি যারা চুরি-জোচ্চুরি করেছে তাদের ডাকবে এবং জেলে ঢোকাবে। এ নিয়ে কারও ধোঁয়াশা রাখা উচিত নয়।

  • Sri Lanka Crisis: শ্রীলঙ্কা ছেড়ে মালদ্বীপ পালালেন রাষ্ট্রপতি, দায়িত্বে রনিল বিক্রমসিংহে, জরুরি অবস্থা জারি

    Sri Lanka Crisis: শ্রীলঙ্কা ছেড়ে মালদ্বীপ পালালেন রাষ্ট্রপতি, দায়িত্বে রনিল বিক্রমসিংহে, জরুরি অবস্থা জারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে দ্বীপরাষ্ট্র। ভেঙে পড়েছে অর্থনীতি। সোমবার পদত্যাগ পত্রে সই করেছেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষ   (Sri Lankan President Gotabaya Rajapaksa)। আর তার পরেই তল্পিতল্পা গুটিয়ে দেশ ছেড়ে পালালেন গোতাবায়া। রাষ্ট্রপতির দেশ ছাড়ার জল্পনা আগেই ছিল। দেশের সামরিক বাহিনীর বিমানে চেপেই পরিবার নিয়ে মালদ্বীপে (Maldives) পালিয়েছেন তিনি। শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অনুমোদনের পরেই ১৩ জুলাই ভোরে রাষ্ট্রপতি, তাঁর স্ত্রী এবং দু’জন দেহরক্ষীকে নিয়ে সেনা বিমান মালদ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এর জন্য প্রয়োজনীয় ইমিগ্রেশন, শুল্ক এবং অন্যান্য সমস্ত বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Ministry of Defense) অনুমোদন দিয়েছিল। শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফ থেকেও রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষের দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। কাতুনায়াকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়েছে বিমানটি। মালদ্বীপের ভেলানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে সেই বিমান। মালদ্বীপে পৌঁছে তাঁরা কোথায় গিয়েছেন সে বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছে শ্রীলঙ্কার প্রশাসনের পক্ষ থেকে। 

    আরও পড়ুন: রাজনৈতিক পটবদল, আগামী সপ্তাহেই নতুন রাষ্ট্রপতি পাবে শ্রীলঙ্কা 

    সূত্রের খবর, অ্যান্টোনভ-২২ সামরিক বিমানে চেপে দেশ ছাড়েন গোতাবায়া। শ্রীলঙ্কার বায়ু সেনার মিডিয়া ডিরেক্টর (Sri Lankan Air Force Media Director) এক বিবৃতিতে বলেছেন, “শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি, তাঁর স্ত্রী ও ২ জন দেহরক্ষীকে দেশ ছাড়ার জন্যে ইমিগ্রেশন, শুল্ক এবং অন্যান্য বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ১৩ জুলাই ভোরে এয়ার ফোর্সের বিমানে তাঁদের মালদ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: দেনার দায়ে জর্জরিত শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়াল ভারত, স্বাগত জানালেন সনৎ জয়সূর্য

    সোমবারই রাজাপক্ষ পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করেছেন। যা আজ সংসদের স্পিকারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। বুধবার তিনি ইস্তফা দেবেন, এমনটাই জানিয়েছিলেন স্পিকার। কিন্তু তার আগেই দেশ ছেড়েছেন রাজাপক্ষ। তবে তিনি আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, নিজের পরিবারকে নিরাপদ স্থানে না নিয়ে যেতে পারলে ইস্তফা দেবেন না।  

    রাষ্ট্রপতির দেশ ছাড়ার পরেই, ফ্লাওয়ার গার্ডেনে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহের বাড়ির সামনে বিশাল জমায়েত করে জনতা। বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায় প্রাসাদের সামনে। দেখা নেই কোনও রক্ষীর। ফলে প্রাসাদ চত্বরে অবাধ বিচরণ জনতার। এই পরিস্থিতিতেই জারি হয়ে গেল জরুরি অবস্থা। জরুরি অবস্থা জারি হওয়ার পরেই দেশের কার্যনির্বাহী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন রনিল বিক্রমসিংহে। 

    [tw]


    [/tw]

    [tw]


    [/tw] 

    শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর দফতরেরও দখল নিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। প্রতিবাদ রুখতে কাঁদানে গ্যাস প্রয়োগ করে পুলিশ। রনিল বিক্রমসিংহে বলেন, ফ্যাসিস্ট শক্তি সরকার দখল করতে চাইছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাকে নির্দেশ দিলেন নয়া রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমসিংহে। 

    [tw]


    [/tw]

    নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত সাময়িক সময়ের জন্য রাষ্ট্রপতির পদে বহাল থাকবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে।  

    গত সপ্তাহের শেষেই রাষ্ট্রপতির বাস ভবনের দখল নেন দেশের সাধারণ মানুষ। বিষয়টি এমন দিকে গড়াতে পারে, সেকথা আগেই আঁচ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া। তাই আগেভাগেই রাষ্ট্রপতি ভবন ছাড়েন তিনি। তারপর থেকে তাঁর কোনও সন্ধান ছিল না। পরবর্তীতে শোনা যায়, তিনি শ্রীলঙ্কার নৌসেনা শিবিরে লুকিয়ে ছিলেন। অবশেষে বুধবার ভোরে সেনা বিমানে চেপে দেশ ছাড়েন তিনি।   

     

  • Droupadi Murmu: “বাংলার সব বিধায়ক, সাংসদের ভোট আমি পাব”, আশাবাদী দ্রৌপদী মুর্মু

    Droupadi Murmu: “বাংলার সব বিধায়ক, সাংসদের ভোট আমি পাব”, আশাবাদী দ্রৌপদী মুর্মু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমি আশা করি বাংলার ২৯৪ জন বিধায়ক ও ৪২ জন সাংসদের ভোট পাব। কারণ আমি পাশের রাজ্যের মানুষ। সাধারণ ঘর থেকে উঠে এসেছি। পিছিয়ে পড়া সমাজের প্রতিনিধিত্ব করি। তাই বাংলার ওপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। মঙ্গলবার বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বললেন এনডিএ রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী বিজেপির দ্রৌপদী মুর্মু।  এদিন এসেছিলেন ভোট চাইতে। তার ফাঁকেই সময় বের করে কলকাতায় সিমলা স্ট্রিটে স্বামী বিবেকানন্দের (Swami Vivekananda) ভিটে ঘুরে দেখলেন এনডিএ-র (NDA) রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী বিজেপির (BJP) দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)। দু দিনের বাংলা সফরে এসেছিলেন দ্রৌপদী। মঙ্গলবার ছিল তাঁর সফরের দ্বিতীয় দিন। এদিন বিবেকানন্দের ভিটে ঘুরে অন্যান্য কর্মসূচিতে যোগ দিলেন তিনি।

    এদিন সকাল ৯টা ১৭ মিনিট নাগাদ সিমলা স্ট্রিটে স্বামীজির ভিটের সামনে এসে দাঁড়ায় দ্রৌপদীর গাড়ি। আগে থেকে সেখানে ব্যবস্থা করা হয়েছিল কড়া প্রহরার। নিরাপত্তার বেষ্টনীতে মোড়া ফেলা হয়েছিল গোটা এলাকা। এদিন দ্রৌপদীর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী এবং আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। রাজ্য বিজেপির অন্যান্য নেতা ও বিধায়করাও ছিলেন দ্রৌপদীর সঙ্গে। এনডিএ রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর সফর সঙ্গী ছিলেন বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। তাঁদের সঙ্গেই স্বামীজির বাড়িতে ঢোকেন দ্রৌপদী। বিবেকানন্দের ছবিতে ফুল-মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা জানান রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, সারদা মা এবং তাঁদের পাশে থাকা মা  কালীর বিগ্রহকেও।

    আরও পড়ুন : অরুণাচল প্রদেশে ১০২ আসনে জয়ী বিজেপি, কী বললেন আইনমন্ত্রী?

    এদিন স্বামীজির বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সন্ন্যাসীরা। তাঁদের সঙ্গে বিশেষ প্রার্থনায় যোগ দেন দ্রৌপদী। সন্ন্যাসীদের তরফে তাঁদের একটি শাল, স্বামীজির ছবি, তাঁর বই এবং একটি লালপাড় সাদা শাড়ি উপহার দেওয়া হয়। দ্রৌপদীকে ফের সিমলা স্ট্রিটে স্বামীজির ভিটেয় আসতে বলেন সন্ন্যাসীরা। দ্রৌপদী জানান, মায়ের বাড়িতে তাঁকে তো আবার আসতেই হবে। তিনি নিশ্চয়ই আসবেন। এরপর নিজের অভিজ্ঞতার কথা ভিজিটরস বুকে লিপিবদ্ধ করে স্বামীজির বাইরে বের হন দ্রৌপদী। সেখান থেকে চলে আসেন বাইপাসের ধারের একটি হোটেলে। সেখানে পদ্ম শিবিরের বিধায়ক ও নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন দ্রৌপদী। এই বৈঠকে গরহাজির ছিলেন বালুরঘাটের বিধায়ক বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অশোক লাহিড়ী এবং ভাটপাড়ার বিধায়ক বিজেপির পবন সিং। অসুস্থতার কারণে বৈঠকে হাজির হননি অশোক। আর দলত্যাগী সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ছেলে পবনকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি বলে গেরুয়া শিবিরের একটি সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন :খ্যাতির বিড়ম্বনা! দ্রৌপদী মুর্মুর নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্টে ছেয়ে গেছে ট্যুইটার

    ওই বৈঠকেই তিনি বলেন, আমি আশা করি বাংলার সব বিধায়ক ও সব সাংসদের ভোট পাব। কারণ আমি পাশের রাজ্যের মানুষ। সাধারণ ঘর থেকে উঠে এসেছি। পিছিয়ে পড়া সমাজের প্রতিনিধিত্ব করি। তাই বাংলার ওপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে।

     

  • SSC Scam Partha-Arpita: ষড়যন্ত্রের শিকার! দাবি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের, কেন এমনটা বললেন তিনি?

    SSC Scam Partha-Arpita: ষড়যন্ত্রের শিকার! দাবি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের, কেন এমনটা বললেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার তিনি হারিয়েছেন মন্ত্রিত্ব। সাসপেন্ড হয়েছেন দল থেকেও। শুক্রবার, এসএসসি কাণ্ডে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করলেন তিনি নাকি ষড়যন্ত্রের শিকার। এদিকে একইসঙ্গে ধৃত তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় আবার প্রকাশ্যে রাস্তায় বসে কান্নাকাটি শুরু করে দেন।

    আদালতের নির্দেশে প্রতি ৪৮-ঘণ্টা অন্তর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হওয়ার কথা পার্থ-অর্পিতার। সেই মতো, এদিন সকালে দুজনকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে নিয়ে যাওয়া হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। হাসপাতালে পৌঁছে গাড়ি থেকে নামতে নামতে অপেক্ষামান সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পার্থ জানান, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। হুইল চেয়ারে করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ঢোকানো হল হাসপাতালে।

    আরও পড়ুন: পার্থকে সরালেও এখনও কেন বহাল পরেশ? মমতাকে আক্রমণ বিজেপির

    এদিকে, একইসঙ্গে অন্য গাড়িতে আনা হয় অর্পিতাকে। তবে, পার্থ-ঘনিষ্ঠকে নিয়ে একপ্রস্থ নাটকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালের সামনে। অর্পিতা মুখোপাধ্যায় গাড়ি থেকে নামার সময় কেঁদে ফেলেন। কান্নায় ভেঙে রাস্তায় বসে পড়েন তিনি। পরে, তাঁকে টেনে নামিয়ে হুইলচেয়ারে করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।

    নিয়োগ-দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পাঁচদিন পর, গতকাল দল ও সরকারের সব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁকে তিনটি দফতর থেকে সরানোর কথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পার্থকে দলের সমস্ত পদ থেকে অপসারণ করা হচ্ছে। তদন্ত শেষ না হওয়া অবধি তাঁকে সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল। 

    আরও পড়ুন: এবার ইডির নজরে অর্পিতার চিনার পার্ক ও নয়াবাদের ফ্ল্যাট! বাজেয়াপ্ত বেশ কিছু নথি

    এখন প্রশ্ন হল, কেন পার্থ কেন ষড়যন্ত্রের দাবি করলেন? কেন তিনি বলছেন তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার? কীসের ষড়যন্ত্র? কারা কারা জড়িত? এটা কি স্রেফ নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা? নাকি, সত্যিই এর নেপথ্যে আরও বড় নাম জড়িয়ে রয়েছে? সব দিক খতিয়ে দেখছে ইডি। তবে, বিরোধীদের মতে, একা পার্থর পক্ষে এত বিপুল অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়। এর পেছনে তৃণমূলের আরও অনেক তাবড় তাবড় নেতা-মন্ত্রীরা জড়িয়ে রয়েছেন। তাদের আরও দাবি, টাকা উদ্ধার হওয়ায় এখন পার্থকে ‘বলির পাঁঠা’ করা হচ্ছে। 

  • Prophet Row: জেলেই জুবের! ১৪ দিনের জেল হেফাজত অল্ট-নিউজের সহ-কর্ণধারের

    Prophet Row: জেলেই জুবের! ১৪ দিনের জেল হেফাজত অল্ট-নিউজের সহ-কর্ণধারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপদ কাটল না অল্ট-নিউজের সহ-কর্ণধার মহম্মদ জুবেরের (Mohammed Zubair)। লখিমপুর খেরির স্থানীয় আদালত (Lakhimpur Kheri court) সোমবার জুবেরকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের (14-day judicial custody) নির্দেশ দেয়। গত বছর দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল লখিমপুরে। বর্তমানে জুবেরের ঠিকানা সীতাপুর জেল। এদিন, জেল থেকেই ভিডিও কনফারেন্সে শুনানিতে যোগ দেন জুবের।

    আরও পড়ুন: উদয়পুর-কাণ্ডে মুসলিমরাও স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদে সামিল হোন! আর্জি আরএসএসের

    সোমবার আদালতে পুলিশের তরফে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জুবেরকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে চাওয়া হয়। কিন্তু বিচারক রুচিরা শ্রীবাস্তব ভিডিও কনফারেন্সে শুনানিতে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। আগামী ১৩ জুলাই পুলিশ হেফাজতের আবেদন শুনবে আদালত। ততদিন জেলেই থাকতে হবে জুবেরকে। পুলিশ সুপার সঞ্জীব সুমন জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টে শুনানির জন্য জুবেরকে মঙ্গলবার দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে জুবেরকে। একটি মামলায় উত্তরপ্রদেশ হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জুবের। শীর্ষ আদালতে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি এ এস বোপান্নার বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি হবে।

    আরও পড়ুন: নতুন সংসদ ভবনের মাথায় ২০ ফুটের অশোক স্তম্ভ, উন্মোচন করলেন মোদি 

    প্রসঙ্গত, নুপূর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের ভিডিয়ো ফাঁস করার নেপথ্যে মহম্মদ জুবেইরের নাম উঠে আসে। পুলিশ জানিয়েছে, আশিস কুমার কাটিয়ার নামে স্থানীয় এক সাংবাদিক গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর মহম্মাদি থানায় জুবেরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। কাটিয়ারের দাবি ছিল, সাম্প্রদায়িক অশান্তি সৃষ্টি করতে জুবেরের অল্ট নিউজ ভুয়ো খবর পরিবেশন করে। প্রথমে পুলিশ কাটিয়ারের অভিযোগকে গুরুত্ব না দেওয়ায় পরে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। এর পর আদালতের নির্দেশে জুবেরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ ধারায় এফআইআর দায়ের হয়। উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট শর্তসাপেক্ষে জুবেরকে ৫ দিনের অন্তর্বর্তী জামিন দেয়। কিন্তু তা-ও জেলমুক্তি হয়নি তাঁর। তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলে আনছে পুলিশ।

  • Indian Army: ভারতীয় সেনার নয়া রণকৌশল, চিনকে কুপোকাত করতে মান্দারিন ভাষা শিক্ষা

    Indian Army: ভারতীয় সেনার নয়া রণকৌশল, চিনকে কুপোকাত করতে মান্দারিন ভাষা শিক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অধিকাংশ চিনা (China) নাগরিকের ভাষা মান্দারিন (Mandarin)। তাই সেই ভাষায় দক্ষ হয়ে উঠতে চাইছে ভারতীয় সেনা। সূত্রের দাবি, চিন সীমান্তের অবস্থা মাথায় রেখে ভারতীয় সেনা (Indian Army) অফিসারদের মান্দারিনে দক্ষ করে তোলা হচ্ছে। মোটের উপরে বাহিনীতে মান্দারিন জানা জওয়ান-অফিসারের সংখ্যা বাড়ানোই সেনার লক্ষ্য।     

    ইতিমধ্যেই ভারতীয় সেনার বিভিন্ন স্তরের কমিশনড অফিসাররা ইতিমধ্যেই মান্দারিন ভাষা ভাল রপ্ত করে ফেলেছেন। সেনার নর্দার্ন, ইস্টার্ন এবং সেন্ট্রাল কমান্ডের ভাষা-শিক্ষার স্কুলগুলিতে মান্দারিনের নানা রকম কোর্সের শিক্ষা চলছে। মান্দারিন লেখা পড়তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাও ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি টেরিটোরিয়াল আর্মিতেও মান্দারিন জানা জওয়ান ও অফিসারদের নিয়োগের ক্ষেত্রে সম্প্রতি প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র জোগাড় করে ফেলেছে সেনা।

    আরও পড়ুন: ডিআরডিওর মুকুটে নয়া পালক! অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলের সফল পরীক্ষা    

    সূত্রের মতে, ভবিষ্যতে দুদেশে মধ্যের সম্পর্কের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। সেনা বাহিনীর দাবি, দুই দেশের বাহিনীর কোর কমান্ডার পর্যায়ে আলোচনা, ফ্ল্যাগ মিটিং, বর্ডার পার্সোনেল মিটিং বা যৌথ সামরিক মহড়ার ক্ষেত্রে ভাষাটি জানা থাকলে সুবিধা হবে। মতের আদান-প্রদান সহজ হবে। চিনের সেনা বাহিনী যখন তাদের কোনও সিদ্ধান্ত জানাবে, তখন ভারতীয় অফিসারদের পক্ষে তার অর্থ আরও ভাল করে বোঝা সম্ভব হবে। আবার ভারতের অফিসাররাও চিনকে তাঁদের বক্তব্য বুঝিয়ে বলতে পারবেন। সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যত রণকৌশল তৈরি আরও সহজ হবে।  

    আরও পড়ুন: ভয়াবহ ধসে মণিপুরে মৃত ৯ সেনা-সহ ১০ জন, চলছে উদ্ধারকাজ

    সেনা বাহিনীকে মান্দারিনে দক্ষ করে তুলতে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রীয় রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়, গুজরাট কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিব নাদার বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতাপত্র সাক্ষর করেছে ভারতীয় সেনা। সূত্রের খবর, মধ্যপ্রদেশের পচমঢ়ীতে সেনার ট্রেনিং স্কুল এবং দিল্লির স্কুল অব ফরেন ল্যাঙ্গোয়েজেস-এ চাকরি বাড়িয়ে তাদেরও এই প্রয়াসে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেনা। সেনারা মান্দারিন ভাষা রপ্ত করতে পারছেন কি না, দিল্লির লাঙ্গমা স্কুল অব ল্যাঙ্গোয়েজেসের মতো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তা পরীক্ষা করেও দেখা হচ্ছে।    

     

LinkedIn
Share