Blog

  • Adar Poonawalla: কোটি টাকার প্রতারণার শিকার আদর পুনাওয়ালার সিরাম সংস্থা, গ্রেফতার ৭

    Adar Poonawalla: কোটি টাকার প্রতারণার শিকার আদর পুনাওয়ালার সিরাম সংস্থা, গ্রেফতার ৭

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সেপ্টেম্বর মাসে ‘সিরাম ইনস্টিটিউশন সিইও- এর (Serum Institution) (Adar Poonawalla) নাম করে প্রতারকদের টাকা চাওয়ার অভিযোগে উত্তাল হয়েছিল নেটপাড়া। দেশের ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউশনের (Seram Institute) সিইও আদর পুনাওয়ালার (Adar Poonawalla) নাম করে ১.০১ কোটি টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এরপর এই ঘটনার তদন্তে নামে মহারাষ্ট্র পুলিশ (Maharashtra Police)। সোমবার ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই নিয়ে মোট ৭ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হল। যদিও প্রতারণার মূল চক্রীকে এখনও ধরা যায়নি।

    ঘটনাটি কী?

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারকরা আদর পুনাওয়ালা (Adar Poonawalla) সেজে ভুয়ো মেসেজ পাঠায় এসআইআই-এর অর্থ বিভাগের পরিচালক সতীশ দেশপান্ডের হোয়াটসঅ্যাপে এবং ৮টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দ্রুত ট্রান্সফারের জন্য বলে। দেশপাণ্ডে ওই মেসেজ সত্যিই আদর পুনাওয়ালা (Adar Poonawalla) পাঠিয়েছেন এই ভেবে তিনি ১,০১,০১,৫৫৪ কোটির বেশি টাকা প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেন। পরে তাঁরা বুঝতে পারেন যে এসআইআই (Adar Poonawalla) প্রতারিত হয়েছে।

    আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার শিকার! মুহূর্তে গায়েব কোটি কোটি টাকা? কী করবেন, জানুন…

    প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার ৭

    এরপরেই দ্রুত পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর ওই আটটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয় পুলিশ। অ্যাকাউন্টগুলির সূত্র ধরে তদন্তে নামেন পুলিশ। এর পর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গ্রেফতার করা শুরু হয়। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার স্মর্তনা পাটিল (Deputy Commissioner of Police Smartana Patil) বলেন, ‘‘ওই অ্যাকাউন্টের মালিক ছিলেন ৮ জন। তাঁদের মধ্যে ৭ জন এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার। প্রধান অভিযুক্তের খোঁজ চলছে। ওই সাতটি অ্যাকাউন্টের টাকা আবার ৪০টি অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। সেই ৪০টি অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে।’’ তিনি আরও জানান, এই সাতটি অ্যাকাউন্ট ছাড়াও ৪০টি অ্যাকাউন্টও বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।

    পুলিশ জানায়, অ্যাকাউন্টগুলিতে (Adar Poonawalla) থাকা ১৩ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শুক্রবার পুনে শহরের সাইবার ক্রাইম বিভাগ ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। আর আগেই অন্য ৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। যদিও মূলচক্রীকে এখনও পর্যন্ত ধরা যায়নি। যার খোঁজ পেতে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।  

    আরও পড়ুন: করোনার পর সারভাইক্যাল ক্যান্সারের টিকা দেশের মাটিতে 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Paramilitary Personnel: গুজরাটে ভোটের দায়িত্বে থাকা জওয়ানের গুলিতে নিহত ২ সহকর্মী, আহত ২

    Paramilitary Personnel: গুজরাটে ভোটের দায়িত্বে থাকা জওয়ানের গুলিতে নিহত ২ সহকর্মী, আহত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনের মাসেই গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগেই ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। সহকর্মীর গুলিতে মৃত্যু হল প্যারামিলিটারি দুই জওয়ানের (Paramilitary Personnel)। আহত হয়েছেন আরও দুজন। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের পোরবন্দরের কাছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গুজরাটে ভোটের দায়িত্বে নিযুক্ত ছিলেন ওই জওয়ানরা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, নিজেদের মধ্যে বচসার জেরেই একে অপরকে লক্ষ্য করে একে ৪৭ থেকে গুলি চালিয়ে দেয়। আর তাতেই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় দুজনের, আহত দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    নিহত দুই প্যারামিলিটারি জওয়ান

    গুজরাট পোরবন্দরের কালেক্টর এবং জেলা নির্বাচনী অফিসার এ এম শর্মা জানান, ঘটনার সময় ওই জওয়ানরা (Paramilitary Personnel) কর্তব্যরত ছিলেন না। নিজেদের মধ্যে বচসা চলাকালীন আচমকাই এক জওয়ানের হাতে থাকা রাইফেল থেকে গুলি চালানো হয়। নিহত ও আহত জওয়ানরা প্রত্যেকে মণিপুরের ইন্ডিয়া রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নের (IRB) সদস্য। গুজরাটে নির্বাচনের আগে সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সের (CAPF) পাশাপাশি আইআরবি-তেও মোতায়েন করা হয়েছে। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এ এম শর্মা।

    আরও পড়ুন: ”২০০২ সালে দাঙ্গাবাজরা শিক্ষা পেয়েছিল, রাজ্যে শান্তি এনেছে বিজেপি”, গুজরাটে শাহ

    আহত জওয়ানদের পরিস্থিতি

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে একজনের পায়ে ও অপরজনের পেটে গুলি লেগেছে। তাঁদের প্রথমে পোরবন্দর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জামনগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। যাঁর পেটে গুলি লেগেছে, তাঁর অবস্থা গুরুতর, আর একজন অপেক্ষাকৃত ভালো রয়েছেন। আর যে দুই জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের নাম খোইবা সিং ও জিতেন্দ্র সিং। এছাড়া আহত হয়েছেন চোরাজিৎ ও রোহিকানা। তাঁরা প্রত্যেকেই মণিপুরের বাসিন্দা (Paramilitary Personnel)।

    প্রসঙ্গত, গুজরাটে আগামী ডিসেম্বর মাসের প্রথমের দিকে রয়েছে ভোট। ১ ও ৫ তারিখ গুজরাটে ভোট রয়েছে। যে পোরবন্দর এলাকায় এই গুলি চালনার ঘটনা ঘটেছে সেখানে ১ ডিসেম্বর ছিল ভোট। পোরবন্দর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে ওই জওয়ানরা টুকড়া গোসা গ্রামে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

    এই ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে প্রশাসন। কিছুদিন বাকি নির্বাচনের। তার আগেই এমন ভয়াবহ ঘটনা, যার ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনাটি বচসার জেরে হলেও ঠিক কী কারণে তাঁদের (Paramilitary Personnel) মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়েছিল, তা এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। তাই এই বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

  • Satyendra Jain: জেল সুপারের সঙ্গে খোশ গল্প করছেন আপের বন্দি মন্ত্রী সত্যেন্দ্র?

    Satyendra Jain: জেল সুপারের সঙ্গে খোশ গল্প করছেন আপের বন্দি মন্ত্রী সত্যেন্দ্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলের কুঠুরির মধ্যে বসে ম্যাসেজ নিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। দেখা গিয়েছে বাইরে থেকে আনা খাবার খেতেও। এবার তাঁকে দেখা গেল জেল আধিকারিকদের সঙ্গে বসে খোশগল্প করতে। তিনি সত্যন্দ্র জৈন (Satyendra Jain)। দিল্লির আম আদমি পার্টি (AAP) সরকারের মন্ত্রী। তিহার জেলের এই ভিডিও প্রক্যাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রসঙ্গত, আর্থিক তছরুপের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে আম আদমি পার্টি সরকারের মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে।

    ভাইরাল ভিডিও…

    সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিও ফুটেজটি ভাইরাল হয়েছে, সেটি ১২ সেপ্টেম্বরের। ঘটনাটি রাত আটটা নাগাদ ঘটেছে। মিনিট দশেকের ওই ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, তিহার জেলের সাত নম্বর কুঠুরিতে বন্দি আপ মন্ত্রী সত্যেন্দ্র (Satyendra Jain) তিন ব্যক্তির সঙ্গে খোশ মেজাজে গল্প করছেন। এর কিছুক্ষণ পরে সত্যন্দ্রর কাছে আসতে দেখা যায় তিহার জেলের সুপার অজিত কুমারকে। সুপার সত্যন্দ্রর কুঠুরিতে ঢুকতেই বেরিয়ে যেতে দেখা যায় বাকিদের। এর আগে সত্যেন্দ্রর আরও একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছিল। সেটি ১৯ নভেম্বরের। ওই ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছিল, সত্যেন্দ্রর পা মালিশ করছেন এক ব্যক্তি। ধোপদুরস্ত বিছানায় আয়েশ করে বসে রয়েছেন আপ সরকারের মন্ত্রী। আর তাঁর বিছানায় বসে তাঁর পা মালিশ করে দিচ্ছেন ওই ব্যক্তি।

    আরও পড়ুন: দিল্লি পুরভোটের টিকিট মেলেনি, বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে আত্মহত্যার হুমকি আপ নেতার

    এই দুই ভিডিওর মাঝে আসে আরও একটি ভিডিও ফুটেজ। সেটি ২৩ নভেম্বরের। তাতে দেখা যায়, তিহার জেলের ছোট্ট কুঠুরিতে বসেই ফল, স্যালাড খাচ্ছেন আপ সরকারের বন্দি মন্ত্রী সত্যেন্দ্র (Satyendra Jain)। প্লাস্টিকের একটি বাক্স থেকে খাবারও খেতে দেখা যায় তাঁকে। সত্যেন্দ্রর ফোনে মেসেজ আসতেও দেখা গিয়েছিল আগেই। কোনও এক সঙ্গীর সঙ্গে চ্যাট করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। এ সবের কোনওটাই জেলের ভিতরে করা যায় না।

    সত্যেন্দ্রর (Satyendra Jain) পা মালিশের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে আসতেই সাফাই গাইতে শুরু করে আপ। তারা জানায়, সত্যেন্দ্রর ফিজিওথেরাপি হচ্ছিল। যদিও পরে জানা যায়, যিনি সত্যেন্দ্রর পা মালিশ করছিলেন, তিনি আদতে কোনও ফিজিওথেরাপিস্টই নন। তিনি ধর্ষণে অভিযুক্ত। নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বন্দি রয়েছেন তিহার জেলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • PMAY-G: আবাস যোজনার বরাদ্দ পেতে রাজ্যকে মানতে হচ্ছে কোন কোন শর্ত?

    PMAY-G: আবাস যোজনার বরাদ্দ পেতে রাজ্যকে মানতে হচ্ছে কোন কোন শর্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা প্রকল্পের (PMAY-G) আওতায় রাজ্যের আটকে থাকা ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ মঞ্জুর করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় প্রকল্পকে রাজ্যের নামে চালানো, প্রকল্পের লোগো পরিবর্তন করে দেওয়া সহ একাধিক বেনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল মমতা সরকারের বিরুদ্ধে। যে কারণে, রাজ্যের বকেয়া অর্থ প্রায় আট মাস আটকে রেখে দিয়েছিল কেন্দ্র। 

    এরপর, PMAY-G প্রকল্পে আটকে থাকা টাকা মুক্ত করতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক হয়। দিল্লি গিয়ে বকেয়া অর্থের জন্য তদ্বির করে তৃণমূল প্রতিনিধিদল। গত জুন মাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল সাংসদরা। সম্প্রতি, গিরিরাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীও। রাজ্য সরকারের তরফে মন্ত্রী বিস্তারিত তথ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন। 

    রাজ্য কী জানিয়েছে?

    রাজ্যের তরফে লিখিত আকারে জানানো হয় এই মর্মে যে, কেন্দ্রের সব নির্দেশিকা সঠিক ও যথাযথভাবে মেনে চলা হবে। কেন্দ্রকে জানিয়ে দেওয়া হয় সব শর্ত মেনেই কাজ করছে রাজ্য সরকার। মুখ্যসচিবের মুচলেকা পেয়েই আবাস যোজনার বরাদ্দে অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। দিল্লির স্পষ্ট বক্তব্য, কেন্দ্রীয় টাকায় তৈরি বাড়ি বাংলার আবাস যোজনা নাম দিয়ে চালানো যাবে না। কারণ মূল প্রকল্প, যেখানে কেন্দ্র ও রাজ্যে যৌথভাবে টাকা দেয় তার নাম প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (PMAY-G)। ওই যোজনায় কেন্দ্র ৬০ শতাংশ ও রাজ্য সরকার ৪০ শতাংশ টাকা দেয়। শর্ত মেনে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নাম দিয়েই প্রকল্প হবে। লিখিত আকারে জানানো হয় সেই কথা। এরপর মুচলেকা পেয়েই তবে রাজ্যের বকেয়া মেটাতে রাজি হয় কেন্দ্র। মঞ্জুর করা হয় ৮,২০০ কোটি টাকা। 

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের থেকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ৮২০০ কোটি টাকা পেল রাজ্য

    কেন্দ্র কী জানিয়েছে?

    জানা গিয়েছে, এই (PMAY-G) প্রকল্পের আওতায় মোট ১১ লক্ষেরও বেশি বাড়ির জন্য এই টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। তবে, অর্থ অনুমোদনের সঙ্গে একগুচ্ছ শর্ত আরোপ করা হয়েছে। যেমন কেন্দ্রের শর্ত, সময় মেনে বাড়ির কাজ করতে হবে, নইলে হবে জরিমানা। কেন্দ্রের সুস্পষ্ট বার্তা, নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না-পারলে বাড়ি-পিছু জরিমানা করা হবে। জরিমানার টাকা কেটে নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় বরাদ্দের প্রশাসনিক তহবিল থেকে। এছাড়া, আগামী তিন মাসের মধ্যেই ১১ লক্ষ ৩৭ হাজার বাড়ি তৈরির কাজ যে শেষ করে ফেলতে হবে। কেন্দ্রের স্পষ্ট কথা, অন্যথা হলে জরিমানা ধার্য করার পাশাপাশি ফের আটকে দেওয়া হবে টাকা। সব শর্তে রাজি হয়েছে রাজ্য। 

    কী কী শর্ত রাখা হয়েছে?

    শর্ত ১: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-গ্রামীণ (PMAY-G) রূপায়নের যে কাঠামো রয়েছে, তা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে রাজ্যকে।

    শর্ত ২: সময়মতো বাড়ি অনুমোদন ও কিস্তির টাকা বণ্টন নিশ্চিত করতে হবে রাজ্যকে। সংশ্লিষ্ট সুবিধাভোগীর হাতে রাজ্য যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যোজনা প্রকল্পের বাড়ির অনুমোদন ও সহায়তা মূল্যের প্রথম কিস্তির অর্থ বণ্টন না করতে পারে, তাহলে সেক্ষেত্রে মন্ত্রক পুনরায় লক্ষ্যমাত্রা প্রত্যাহার করার বিবেচনা করতে পারে। 

    শর্ত ৩: সময় মেনে কোষাগার থেকে প্রকল্পের অ্যাকাউন্টে রাজ্যকে তার নির্দিষ্ট ভাগের টাকা জমা করতে হবে। 

    শর্ত ৪: প্রকল্পের আওতায় তৈরি হওয়া বাড়িগুলোতে যোজনার নাম ও লোগো সঠিকভাবে নির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনে লাগাতে হবে। এর কোনও প্রকার অন্যথা চলবে না। এটা ভিন্ন অন্য কোনও প্রকার লোগো বা ব্র্যান্ডিং লাগানোর অনুমতি নেই। 

    শর্ত ৫: যোজনায় তৈরি হওয়া বাড়িগুলোতে নিয়মিত সোশ্যাল অডিট প্রক্রিয়া চালাতে হবে। 

    শর্ত ৬: কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের গাইডলাইন অনুযায়ী বিভিন্ন আধিকারিকরা এরিয়া অফিসার্স মোবাইল অ্যাপলিকেশনের মাধ্যমে নজর রাখবেন।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mumbai Terror Attack: আজ মুম্বই হামলার ১৪ বছর! নিহতদের স্মরণ করলেন রাষ্ট্রপতি, বিদেশমন্ত্রী

    Mumbai Terror Attack: আজ মুম্বই হামলার ১৪ বছর! নিহতদের স্মরণ করলেন রাষ্ট্রপতি, বিদেশমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বই হামলার (Mumbai Attack) আজ ১৪তম বছর। ২৬/১১-য় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Droupadi Murmu), বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুকতার আব্বাস নকভি-সহ বহু নেতারা। 

    নিহতদের স্মরণে ট্যুইট

    ২০০৮ সালে আজকের দিনেই দেশের বাণিজ্য নগরে হামলা চালায় জঙ্গিরা। পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তৈবার ১০ জঙ্গি শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বোমা-গুলি ও বন্দুক নিয়ে নাশকতা চালায়। প্রাণ হারান ১৬৬ জন নিরীহ মানুষ। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিদেশিও ছিলেন। জখম হন ৩০০-র বেশি মানুষ। বিশ্বের বহু দেশ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে।

    মুম্বই হামলার এই ঘটনার পর কেটে গিয়েছে ১৪টা বছর। কিন্তু, তার ভয়বহতা এখনও পিছু ছাড়েনি। সেই দিন যাঁরা ডিউটিতে থাকাকালীন প্রাণ দিয়েছিলেন, তাঁদের শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি। তাঁর তরফে ট্যুইটারে লেখা হয়েছে, ‘সেদিন আমরা যাঁদের হারিয়েছি, তাঁদের কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে গোটা দেশ। তাঁদের পরিবারের অশেষ যন্ত্রণা আমরা অনুভব করতে পারি। বীরত্বের সঙ্গে যে সব নিরাপত্তারক্ষী লড়াই করেছিলেন এবং কর্তব্যের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তাঁদের সম্মান জানায় গোটা দেশ।’

    ট্যুইটারে বিদেশমন্ত্রী লিখলেন, ‘মানবতার পক্ষে বিপজ্জনক সন্ত্রাসবাদ। আজ ২৬/১১-য় নিহতদের স্মরণে ভারতের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে গোটা বিশ্ব। যারা এই হামলার পরিকল্পনা ও তদারকি করেছিল, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। গোটা বিশ্বে যারা জঙ্গি হামলার শিকার হয়েছেন, এটা তাঁদের কাছে আমাদের ঋণ।’

    ট্যুইট করে শ্রদ্ধা জানান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। হিন্দিতে তিনি লেখেন, “মুম্বইয়ে ২৬/১১-র জঙ্গি হামলায় নিরীহ নাগরিকদের হারায় দেশ। আমাদের সাহসী জওয়ানরা প্রত্যেককে নিরাপত্তা দিতে গিয়ে তাঁদের প্রাণ হারান। তাঁদের প্রত্যেককে শ্রদ্ধা জানাই। যাঁরা কাছের মানুষকে হারানোর মতো অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই।”

     

     

     

  • FIFA World Cup: আটকে গেল ইংল্যান্ড, কাতারের বিদায় নিশ্চিত, ওয়েলসের বিরুদ্ধে নাটকীয় জয় ইরানের

    FIFA World Cup: আটকে গেল ইংল্যান্ড, কাতারের বিদায় নিশ্চিত, ওয়েলসের বিরুদ্ধে নাটকীয় জয় ইরানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাতার বিশ্বকাপের (FIFA World Cup 2022) ষষ্ঠ দিনে প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ওয়েলস-ইরান (Wales v Iran)। এদিন আল রায়ান স্টেডিয়াম দেখল ‘ফ্রাইডে ব্লকব্লাস্টার’। চূড়ান্ত নাটকীয় এবং রুদ্ধশ্বাস বললেও কম বলা হবে। ৯০ মিনিট পর্যন্ত খেলার ফল ছিল গোলশূন্য। ৯০ মিনিটের খেলা শেষের পরেই রেফারি জানিয়ে দেন যে, খেলা চলবে আরও নয় মিনিট। আর সেখানেই পরপর দুই গোল করে বাজিমাত করল কার্লোস কুইরোজের শিষ্যরা।  ধারে ভারে ও নামডাকে এগিয়ে থাকা ইউরোপের ফুটবল দেশ ওয়েলসের চোখের জল বার করে দিল পশ্চিম এশিয়ার দল। প্রথম ম্যাচে ড্রয়ের ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে ব্য়র্থ হল গ্যারেথ বেলের ওয়েলস। ইরানের কাছে ০-২ ব্যবধানে হার মানতে হল ওয়েলসকে।

    আটকে গেল ইংল্যান্ড

    ফেভারিটের মতোই বিশ্বকাপ (FIFA World Cup 2022) অভিযান শুরু করেছে ইংল্য়ান্ড। প্রথম ম্যাচে ইরানের বিরুদ্ধে ৬-২ গোলে জিতেছে তারা। জোড়া গোল করেন বুকায়ো সাকা। এক ঝাঁক তরুণ ফুটবলার রয়েছেন ইংল্যান্ড শিবিরে। রয়েছেন অভিজ্ঞ অধিনায়ক হ্যারি কেনও। ইরান ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন হ্য়ারি। ফিট হয়ে নামলেও পার্থক্য় গড়ে দিতে পারলেন না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আন্ডারডগ ধরা হলেও, তাদের হালকা নিলে ভুগতে হবে, এই প্রমাণ প্রথম ম্যাচেই পেয়েছিল গ্যারেথ বেলের ওয়েলস। এ বার টের পেল ইংল্যান্ডও। গোলমুখ খুলতেই পারল না ব্রিটিশরা। গোলশূন্য ম্যাচে পয়েন্ট ভাগ হয়ে গেল দুই শিবিরের মধ্যে।  

    আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে অঘটন, সৌদি আরবের কাছে ২-১ গোলে হারল মেসির আর্জেন্টিনা

    বিদায় কাতার

    ঘুরে দাঁড়াতে পারল না কাতার। সেনেগালের কাছে ১-৩ ব্য়বধানে হারে কাতার। বিশ্বকাপে (FIFA World Cup 2022) গ্রুপ এ-র অন্য ম্যাচে নেদারল্যান্ডস বনাম ইকুয়েডর ১-১ ড্র হতেই আয়োজক কাতারের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল। এরপর শুধুই মর্যাদা রক্ষার ম্যাচ বাকি রইল তাদের। 

    গতকালের ম্যাচের ফলাফল:

    ওয়েলস্‌ ০ : ইরান ২  

    কাতার ১ : সেনেগাল ৩

    নেদারল্যান্ডস ১ : ইকুয়েডর ১

    ইংল্যান্ড ০: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ০

    আজকের ম্যাচ:

    টিউনিশিয়া বনাম অস্ট্রেলিয়া (গ্রুপ ডি) (দুপুর সাড়ে ৩টে)

    পোল্যান্ড বনাম সৌদি আরব (গ্রুপ সি) (সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা)

    ফ্রান্স বনাম ডেনমার্ক (গ্রুপ ডি) (রাত সাড়ে ৯টা)

    আর্জেন্টিনা বনাম মেক্সিকো (গ্রুপ সি) (রাত সাড়ে ১২টা)

  • Amit Shah: ”২০০২ সালে দাঙ্গাবাজরা শিক্ষা পেয়েছিল, রাজ্যে শান্তি এনেছে বিজেপি”, গুজরাটে শাহ

    Amit Shah: ”২০০২ সালে দাঙ্গাবাজরা শিক্ষা পেয়েছিল, রাজ্যে শান্তি এনেছে বিজেপি”, গুজরাটে শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যারা গুজরাটে (Gujarat) সাম্প্রদায়িক হিংসা বাঁধিয়েছিল, তারা উপযুক্ত শিক্ষা পেয়েছে। নিজের রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে একথা বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি (BJP) নেতা অমিত শাহ (Amit Shah)। বৃহস্পতিবার খেদা জেলার মহুদা শহরে দলের তরফে আয়োজিত এক নির্বাচনী সমাবেশে যোগ দেন শাহ। সেখানেই তিনি বলেন, ‘দাঙ্গাবাজ’দের এমন শিক্ষা দেওয়া হয়েছিল যে আজ বাইশ বছর রাজ্যে বিরাজ করছে শান্তি।

    কংগ্রেসের আমলে…

    এদিনের সমাবেশে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, কংগ্রেসের আমলে (১৯৯৫ সালের আগে) গুজরাটে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটত আকছার। কংগ্রেস প্রায়ই বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং বর্ণের লোকজনকে উত্তেজিত করত। তার জেরে তারা প্রায়ই নিজেদের মধ্যে হিংসায় জড়িয়ে পড়ত। তিনি বলেন, এভাবে সাম্প্রদায়িক হিংসা লাগিয়ে কংগ্রেস নিজের ভোটব্যাঙ্ক শক্ত করেছে। অবিচার করেছে সমাজের একটা বড় অংশের প্রতি।

    অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, ভারুচে অনেক সাম্প্রদায়িক হিংসা হয়েছে। কারফিউ, হিংসাও হয়েছে। বিশৃঙ্খলার কারণে গুজরাটে উন্নয়নের কোনও জায়গা ছিল না। ২০০২ সালে তারা সাম্প্রদায়িক হিংসায় লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করেছিল…। আমরা তাদের শিক্ষা দিয়েছি। আমরা তাদের জেলে ঢুকিয়েছি। এর পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাইশ বছর হয়ে গিয়েছে, আমরা একবারও কারফিউ জারি করিনি। বিজেপি এমন একটি রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনার কাজ করেছে, যেখানে ঘন ঘন সাম্প্রদায়িক হিংসা হয়েছে। ২০০২ সালে গুজরাটে টানা তিনদিন ধরে চলে হিংসার ঘটনা। ওই ঘটনায় হাজার জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। ওই সময় গোধরায় তীর্থযাত্রীদের নিয়ে যাচ্ছিল একটি ট্রেন। সেই ট্রেনের একটি কামরায় লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় ৫৯ জনের।

    আরও পড়ুন: রবীন্দ্র জাদেজা আমার জীবনে বুস্টার ডোজের মতো, কেন বললেন রিভাবা?

    গুজরাট হিংসায় নাম জড়িয়ে যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সেই সময় তিনি ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। তবে হিংসার দায় থেকে মুক্ত হয়েছেন তিনি। চলতি বছরের শুরুর দিকেও ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত একটি মামলায় তাঁর অব্যাহতির বিরুদ্ধে আপিল খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। প্রসঙ্গত, গুজরাট বিধানসভার নির্বাচন হবে দু দফায়। প্রথম দফার ভোট হবে ১ ডিসেম্বর। আর দ্বিতীয় দফার ভোট হবে ওই মাসেরই ৫ তারিখে। এই বিধানসভার আসন সংখ্যা ১৮২। টানা আড়াই দশক ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Shraddha Walkar: ন্যূনতম সময়ের মধ্যে উপযুক্ত শাস্তি পাবে শ্রদ্ধা হত্যাকারী! কী বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    Shraddha Walkar: ন্যূনতম সময়ের মধ্যে উপযুক্ত শাস্তি পাবে শ্রদ্ধা হত্যাকারী! কী বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকার খুনের মামলায় এবার মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “শ্রদ্ধা ওয়ালকার খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। দিল্লি পুলিশ ও বিচার ব্যবস্থা সুবিচার নিশ্চিত করবে।” তিনি আরও জানান, “গোটা ঘটনার উপরে আমার নজর রয়েছে। আমি দেশবাসীকে বলতে চাই, যে ব্যক্তিই এই ঘৃণ্য কাজ করুক, আইনের সাহায্যে ন্যূনতম সময়ের মধ্যে তাঁকে শাস্তি দেওয়া হবে। সঠিক বিচার যাতে হয়, তা নিশ্চিত করবে আদালত, দিল্লি পুলিশ ও বিচারব্যবস্থা।”

    দিল্লি ও মুম্বই পুলিশের যৌথ তদন্ত 

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, দিল্লি ও মুম্বই পুলিশ মিলিতভাবে শ্রদ্ধা ওয়ালকার খুনের মামলার তদন্ত করছে। দিল্লি ও মুম্বই পুলিশের মধ্যে সমন্বয়ের কোনও অভাব নেই। তিনি বলেন, “শ্রদ্ধা ওয়ালকার খুনের মামলায় সম্প্রতিই যে চিঠিটি এসেছে, তাতে দিল্লি পুলিশের কোনও ভূমিকা নেই। শ্রদ্ধা ওয়ালকার মহারাষ্ট্রের একটি থানায় ওই চিঠিটি জমা দিয়েছিলেন, যেখানে তিনি লিখেছিলেন আফতাব হয়তো তাঁকে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলবে। সেই সময় কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। ওই বিষয় নিয়েও তদন্ত করা হবে। ওই সময় আমরা সরকারে ছিলাম না…এই ঘটনায় যেই-ই দায়ী হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।” 

    আরও পড়ুন: শ্রদ্ধা খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রের সন্ধান মিলল! আফতাবের পলিগ্রাফ টেস্টের পরই তদন্তে নয়া দিক

    দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যা নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক সাড়া পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করেছে তাঁর লিভ ইন পার্টনার আফতাবকে। সূত্রের খবর, গতকাল আফতাব আদালতে স্বীকার করে নিয়েছে শ্রদ্ধা ওয়ালকারকে হত্যার কথা। পাশাপাশি সামনে এসেছে মুম্বাইয়ের ভাসাই থানায় আফতাবের বিরুদ্ধে আগেই অভিযোগ করেছিলেন শ্রদ্ধা। কিন্তু তখন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। আর এই প্রসঙ্গ তুলে মহারাষ্ট্র সরকারকে তোপ দেগেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিন অমিত শাহ রীতিমতো কড়া ভাষায় বলেন, ”শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন, তাঁকে টুকরো করে ফেলবেন তাঁর প্রেমিক। তবুও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এর দায় যাঁর, তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।” 

    শ্রদ্ধার চিঠি

    ২০২০ সালে শ্রদ্ধা তাঁর লিভ-ইন পার্টনার আফতাব পুনাওয়ালার নামে মহারাষ্ট্র পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেখানে তিনি লিখেছিলেন যে, আফতাব তাঁকে মাঝেমধ্যেই মারধর করে। এমনকী কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলার হুমকিও দেয়। সেইসময় দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতি। তখন দু’জনে মহারাষ্ট্রের ভেসাইয়ে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন। সেই বছরই ২৩ নভেম্বর পুলিশকে এই চিঠিটি লিখেছিলেন শ্রদ্ধা। যার ছত্রে ছত্রে ফুটে উঠেছিল অত্যাচার, মারধরের কথা। উল্লেখ্য, মুম্বই বিজেপির প্রধান আশীষ শেলারও ২০২০ সালে শ্রদ্ধা ওয়ালকার তাঁর লিভ-ইন সঙ্গী আফতাব আমিন পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্র পুলিশের কাছে চিঠি লিখে যে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তা নিয়ে কেন পদক্ষেপ করা হয়নি, সেই বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন।

  • Anubrata Mondal: হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে পিছিয়ে গেল কেষ্টর দিল্লি যাত্রা, পরবর্তী শুনানি ১ ডিসেম্বর

    Anubrata Mondal: হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে পিছিয়ে গেল কেষ্টর দিল্লি যাত্রা, পরবর্তী শুনানি ১ ডিসেম্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) ইডি দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু এতে এল বাধা। রাজধানীতে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইডি দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করলে, তাদের বিরুদ্ধেই দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেতার আইনজীবীরা। তাদের বিরুদ্ধে মামলাও ঠুকেছেন অনুব্রত। আজ এই মামলার শুনানির কথা হলেও কোনও নির্দেশ দিলেন না বিচারপতি। পরবর্তী শুনানি হতে পারে ১ ডিসেম্বর। ফলে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া সাতদিন পিছিয়ে গেল।

    কেষ্টর (Anubrata Mondal) প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন থেকে এনামুক হক, প্রত্যেকেই বর্তমানে রয়েছে তিহাড় জেলে। আর সেখানে এবারে অনুব্রতকে পাঠাতে মরিয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। কিন্তু ইডির এই উদ্যোগকে ভেস্তে দিল কেষ্ট।

    দিল্লি যাওয়া পিছিয়ে গেল কেষ্টর…

    গত ১৭ নভেম্বর, টানা ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) হেফাজতে নেয় ইডি। এরপর অনুব্রত অ্যারেস্ট মেমোতে সই না করায় তাঁকে সরাসরি দিল্লি নিয়ে যেতে পারেনি ইডি। এর ফলে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট আনার জন্য সরাসরি দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। তাঁকে দিল্লি নিয়ে জেরা করতে নির্দেশ জারি করতে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন জানায় ইডি। কিন্তু সেই আবেদনের শুনানির আগেই সেই আবেদনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেন অনুব্রত। আর সেই মামলার আজ শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও আইনি জটিলতায় তা পিছিয়ে যায়। তাই আপাতত দিল্লি যেতে হচ্ছে না অনুব্রতকে।

    আরও পড়ুন: জামিনের আবেদনই করলেন না, আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতেই কেষ্ট

    অনুব্রতের আইনজীবীর সওয়াল

    এদিন আদালতে অনুব্রতের (Anubrata Mondal) আইনজীবী কপিল সিব্বল তাঁর হয়ে সওয়াল করেন। সিব্বলের যুক্তি ছিল, অনুব্রতের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অপরাধের অভিযোগ, তার সবটাই পশ্চিমবঙ্গে হয়েছে। যে সব সম্পত্তি আটক করা হয়েছে, তা-ও পশ্চিমবঙ্গে। তাই তিনি প্রশ্ন করেন, এটি রাজ্যের মামলা, আদালত কীভাবে হস্তক্ষেপ করবে? ইডি প্রয়োজনে এখানেই অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করুক। অন্যদিকে পাল্টা যুক্তি দিয়ে ইডির আইনজীবীও বলেন, একই মামলায় অনুব্রতের প্রাক্তন দেহরক্ষী গরু পাচার মামলায় ধৃত সায়গল হোসেনকেও দিল্লি এনে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছিল আদালত। তবে কেষ্টর ক্ষেত্রে কেন নয়?

    ফলে এসবের মাঝেই আজ কোনও নির্দেশ না দিয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করলেন বিচারপতি। তবে এখন এটাই দেখার যে, ইডি শেষপর্যন্ত অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারেন কিনা।

     
  • Doklam: ডোকলামের কাছে এয়ারস্ট্রিপ গড়ছে চিন, কেন জানেন?

    Doklam: ডোকলামের কাছে এয়ারস্ট্রিপ গড়ছে চিন, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খবরের শিরোনামে ডোকলাম (Doklam)! নেপথ্যে সেই ভারতের প্রতিবেশী দেশ চিন। ডোকলামের কাছে ভারত-তিব্বত-ভুটানের ট্রাই জংশন এলাকায় প্রচুর পরিমাণ পরিকাঠামো গড়ে তুলেছে ড্রাগনের দেশ। জানা গিয়েছে, শি জিনপিংয়ের দেশ ওই এলাকায় একটি এয়ারস্ট্রিপও তৈরি করছে। ঘটনার জেরে ফের একবার উত্তেজনা দেখা দিয়েছে ভারত (India)-চিন (China) সীমান্তে।

    ডোকলাম…

    যদিও ডোকলাম প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার অংশ নয়, তবুও ভুটানের (Bhutan) সঙ্গে এই এলাকার সরাসরি সীমান্ত রয়েছে। প্রত্যাশিতভাবেই এই এলাকায় ড্রাগনের দেশ পরিকাঠামো গড়ে তোলায় ক্ষুব্ধ ভারত। এক সিনিয়র নিরাপত্তা আধিকারিক বলেন, চিন প্রথমে ওই এলাকায় গ্রাম গড়ল। ওই জায়গায় বসতি গড়ে তুলতে লোকজন আনল। অথচ এক সময় এই এলাকায় কোনও বসতি ছিল না। এখন ভারত-তিব্বত-ভুটানের ট্রাই জংশন এলাকায় প্রচুর মানুষের বসতি গড়ে উঠেছে। তিনি বলেন, আমরা এটাও দেখেছি, ওই এলাকায় একটি এয়ারস্ট্রিপ গড়ে তোলার কাজও চলছে। ডোকলাম (Doklam) থেকে ওই এলাকার দূরত্ব সামান্যই। যদিও তিনি বলেননি ঠিক কতদূরে ওই এয়ারস্ট্রিপ গড়ে তুলছে চিন। ওই নিরাপত্তা আধিকারিক বলেন, এটা আমরা গোয়েন্দা সূত্রে জেনেছি। তিনি বলেন, এক কিলোমিটার হতে পারে কিংবা তারও কিছু কম।

    আরও পড়ুন: “সন্ত্রাসবাদে মদত দিলে মূল্য চোকাতেই হবে”, নাম না করে চিন-পাকিস্তানকে নিশানা মোদির

    ডোকলামে (Doklam) যে চিন পরিকাঠামো গড়ে তুলেছে, তা স্বীকারও করেছেন এক চিনা আধিকারিক। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছেই যে ওই পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে, তাও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, একটা অংশ গড়ে তোলা হচ্ছে দেশের ‘ভূখণ্ডে’। তিনি এও জানান, শি জিনপিংয়ে বিকাশ নীতি রূপায়ণ করতেই এসব করা হচ্ছে। চাইনিজ স্টেট কাউন্সিলের ডেপুটি ডিরেক্টর লি জিয়াওজুনও সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, একই সময়ে আমি মেনে নিচ্ছি, এই সমস্ত পরিকাঠামো ব্যবহার করা হতে পারে মিলিটারি পারপাসে।

    ডোকলামে (Doklam) চিনের এই উদ্যোগের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। তবে তাতে বিশেষ কাজ হয়নি, তার প্রমাণ চিনের ক্রমাগত পরিকাঠামো তৈরির কাজ চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা। লি বলেন, গত দশ বছর ধরে ওই এলাকায় পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। তিনি বলেন, এটা আমাদের দারিদ্র দূরীকরণ কর্মসূচির অংশ। তবে আমি এও স্বীকার করি, এর উদ্দেশ্য দুটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share