Blog

  • Raju Srivastava: নরেন্দ্র মোদি থেকে অমিতাভ বচ্চন, ‘কমেডি-কিং’ রাজুর অনুরাগী ছিলেন সকলেই

    Raju Srivastava: নরেন্দ্র মোদি থেকে অমিতাভ বচ্চন, ‘কমেডি-কিং’ রাজুর অনুরাগী ছিলেন সকলেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কমেডিয়ান-অভিনেতা রাজু শ্রীবাস্তবের (Raju Srivastava) প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। তাঁর প্রয়াণে বলিউড থেকে রাজনৈতিক মহল, সর্বত্রই শোকের ছায়া। প্রায় দেড় মাসের লড়াই শেষে সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন তিনি। তাঁর রয়েছে অসংখ্য ভক্ত। তাঁর শারীরিক অবস্থার খারাপ হওয়ার পর থেকেই তাঁর অসংখ্য অনুরাগীরা তাঁর জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। তবে জানেন কী, এই বিখ্যাত ‘কমেডি কিং’-এর অনুরাগীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও বলিউডের বিগ বি (Big B)।

    আগের এক সাক্ষাৎকারে রাজু জানিয়েছিলেন, তিনি অমিতাভ বচ্চনের সবচেয়ে বড় ভক্ত। তিনি সবার সামনে স্বীকার করেছিলেন যে কীভাবে তিনি তাঁর শৈশবের দিনগুলিতে বিগ বিকে অনুকরণ করতেন। তিনি সেই সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি অমিতাভ বচ্চনের ‘দিওয়ার’ (Deewar) দেখার পর থেকে মিমিক্রি এবং কমেডির ভক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। আমি তাঁর পোস্টার কিনে আমার বাড়িতে লাগাতাম। আমি তাঁর মত চুলের স্টাইল করে তাঁকে অনুকরণ করতে শুরু করেছিলাম। তখন লোকেরা আমাকে বিগ বি বলে সম্বোধন করত।”

    তবে শুধুমাত্র রাজু বিগ বি-এর ভক্ত ছিলেন না। অমিতাভ বচ্চনও রাজুর অনুরাগী ছিলেন। ফলে তাঁরা একে অপরের ভালো বন্ধুও হয়ে উঠেছিলেন।। জানা যায়, রাজু যখন অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ছিলেন, তখন রাজুর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে তাঁকে ভয়েস মেসেজ পাঠিয়েছিলেন বিগ বি। রাজুকে পাঠানো ভয়েস মেসেজে তিনি বলেছিলেন, “রাজু এবার তো ওঠো। এখনও অনেক কাজ করতে হবে।”

    আরও পড়ুন: থেমে গেল হাসি, প্রয়াত জনপ্রিয় কমেডিয়ান-অভিনেতা রাজু শ্রীবাস্তব, শোকবার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    শুধুমাত্র বলিউড অভিনেতাদের কাছে নয়, রাজনৈতিক নেতাদের কাছেও ব্যাপকভাবে প্রিয় ছিলেন রাজু। ২০১৭ সালের একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও তাঁর অনুকরণ উপভোগ করেন। রাজু জানিয়েছিলেন, মোদিজি নিজে চেয়েছিলেন তাঁর অনুকরণ যাতে তিনি করেন। কারণ মোদিজি মনে করেন, কাউকে অনুকরণ করাও একটি শিল্প।

    ১৯৬৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর কানপুরে জন্ম হয় রাজু শ্রীবাস্তবের। বাবা রমেশচন্দ্র শ্রীবাস্তব ছিলেন কানপুরের প্রখ্যাত কবি। ছেলের নাম তিনি রেখেছিলেন সত্যপ্রকাশ শ্রীবাস্তব। কিন্তু রাজু নামেই সকলে ডাকতেন। ছোটবেলা থেকেই চেনা মানুষজনের নকল করতে পারতেন। তবে রাজু শ্রীবাস্তবের এত অনুরাগী থাকলেও তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর এই কাজকে আত্মীয়রা ভালো চোখে দেখেনি। কিন্তু তিনি সব কটুক্তি, বাধাকে সম্মুখীন করে তাঁর নিজের লক্ষ্যের জন্য এগিয়ে গিয়েছিলেন। পরে তিনি আমদানি আটানি খরচা রুপাইয়া, ম্যায়নে পেয়ার কিয়া-সহ বেশ কিছু বলিউড ছবিতে কাজ করেন। এমনকি ‘বিগবস’ থেকে শুরু করে ‘কপিল শর্মা’র শো– এ সবেই নিজের অবদান রেখেছেন রাজু। সম্প্রতি ‘ইন্ডিয়া’জ লাফটার চ্যাম্পিয়ন’-এ বিশেষ অতিথি হিসেবে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।

  • Supreme Court : বৃহত্তর বেঞ্চের রায় সবসময় প্রাধান্য পাবে, অভিমত শীর্ষ আদালতের

    Supreme Court : বৃহত্তর বেঞ্চের রায় সবসময় প্রাধান্য পাবে, অভিমত শীর্ষ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারকের সংখ্যা যাই হোক উচ্চতর বেঞ্চ অর্থাৎ হায়ার বেঞ্চের রায় প্রাধান্য পাবে, সম্প্রতি এই অভিমত ব্যক্ত করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।  কোর্টের একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় দিয়েছে যে বিচারকের সংখ্যা নির্বিশেষে একটি বৃহত্তর বেঞ্চের দেওয়া রায়ই সবসময় গ্রহণ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের মত অনুযায়ী, কোনও মামলা চলাকালীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে একরকম রায় দিল। তখন সেই মামলায় হেরে  যাওয়া পক্ষ  বৃহত্তর বেঞ্চে অর্থাৎ সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে আবেদন করতে পারে। সাত বিচারপতির বেঞ্চে যদি ওই মামলার রায় ৪:৩ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাথে দেওয়া হয় তাহলে ৭ বিচারকের বেঞ্চের রায় সর্বসম্মতভাবে ৫ বিচারপতির বেঞ্চের উপর প্রাধান্য পাবে। 

    আরও পড়ুন: ন্যায্যমূল্যের দোকানে ওষুধ পাওয়া যায় না, জীবনদায়ী ওষুধ চুরি হয় হাসপাতাল থেকে, ওষুধ কিনতে হিমশিম সাধারণ মানুষ

    বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়, হেমন্ত গুপ্ত, সূর্য কান্ত, এম এম সুন্দ্রেশ এবং সুধাংশু ধুলিয়ার সমন্বয়ে গঠিত পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ একটি মামলা চলাকালীন এই মত ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য,  অনুচ্ছেদ ১৪৫(৫) অনুযায়ী, সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারকের সম্মতিই আদালতের রায় হিসাবে দেখা হয়। ২০১৭ সালে বিচারপতি আরএফ নরিমান এবং বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌলের সমন্বয়ে গঠিত দুই বিচারপতির বেঞ্চের রায় পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে কী খারিজ হয়ে যাবে?

    আরও পড়ুন: ভারতে চিতার বংশবৃদ্ধিতে ভূমিকা নেবে ‘আশা’, বাকিদের নাম কী রাখা হল জানেন?

    যদি সর্বসম্মতিক্রমে ৫ বিচারপতির বেঞ্চের সিদ্ধান্ত ৭ বিচারপতির বেঞ্চ দ্বারা বাতিল করা হয়, যেখানে চারজন বিজ্ঞ বিচারক সংখ্যাগরিষ্ঠতার পক্ষে কথা বলেন এবং তিনজন বিজ্ঞ বিচারক বিপক্ষে তাহলে দুজন বিচারপতির বেঞ্চের রায়ও পাঁচজন বিচারপতির রায়ের কাছে বাতিল হতে পারে। অর্থাৎ সবসময় যে কোনও মামলায় হায়ার বেঞ্চের রায়ই প্রাধান্যপাবে বলে মত প্রকাশ করল শীর্ষ আদালত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Weather Update: পুজোর মুখে বৃষ্টির সম্ভাবনা! কালই তৈরি হতে পারে নিম্নচাপ

    Weather Update: পুজোর মুখে বৃষ্টির সম্ভাবনা! কালই তৈরি হতে পারে নিম্নচাপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সপ্তাহ পরেই মহালয়া। পুজোর (Durga PUJa 2022) বাকি আর মাত্র ১০ দিন। চলছে শেষ পর্বের কেনাকাটা। করোনা (Covid-19) কমছে ধীরে ধীরে, এমন বার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। অতএব জমিয়ে ঠাকুর দেখা আর দেদার খাওয়া-দাওয়া। কিন্তু তার মধ্যেই কাঁটা নিম্নচাপ (Weather Updates)। এবার পুজো অন্য বছরের থেকে একটু এগিয়ে এসেছে। সেপ্টেম্বরের শেষে পুজো। তাই বৃষ্টির সম্ভাবনা থেকেই যায়। সঙ্গে নিম্নচাপের ভ্রূকুটি।

    আরও পড়ুন: ন্যায্যমূল্যের দোকানে ওষুধ পাওয়া যায় না, জীবনদায়ী ওষুধ চুরি হয় হাসপাতাল থেকে, ওষুধ কিনতে হিমশিম সাধারণ মানুষ

    আলিপুর (Alipur)আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস (Bengal Weather Forecast), ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা এখনই নেই। তবে মহালয়ার আগে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে ভিজবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ। দেবীপক্ষ শুরুর আগেই বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তের জেরে নিম্নচাপের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। চলতি সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার তৈরি হতে পারে নিম্নচাপ। এর প্রভাবে রাজ্যে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বুধবার থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে বৃষ্টি বেশি হবে৷ কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দু’এক জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। মাঝিদেরও বুধবার থেকে সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: নবান্নে CMO তে অভিযোগের পাহাড়! কাজই করছে না বহু দফতর?

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, কটা ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়ে রয়েছে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের কাছাকাছি অঞ্চলে । মঙ্গলবার নাগাদ ঘূর্ণাবর্তটি কিছুটা পশ্চিম দিকে এসে পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং মধ্য বঙ্গোপসাগরের কাছাকাছি আসবে । তারপর এটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, আশার কথা,এই নিম্নচাপের প্রভাব বেশি পড়বে ওড়িশায় । তবে বৃষ্টি চলবে দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। আকাশ মেঘলা থাকবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sit on lap controversy: ‘সিট অন ল্যাপ’ প্রতিবাদের জের, তিরুবনন্তপুরমে তৈরি হবে নতুন লিঙ্গ নিরপেক্ষ বাসস্ট্যান্ড 

    Sit on lap controversy: ‘সিট অন ল্যাপ’ প্রতিবাদের জের, তিরুবনন্তপুরমে তৈরি হবে নতুন লিঙ্গ নিরপেক্ষ বাসস্ট্যান্ড 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত জুলাই মাসের শেষের নীতি পুলিশির অভিযোগে উত্তাল হয় কেরলের (Kerala) তিরুবনন্তপুরম। ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল হয় সামাজিক মাধ্যমও। তিরুবনন্তপুরমের (Thiruvananthapuram) এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কাছেই অবস্থিত এক পুরনো বাসস্ট্যান্ড। সেখানেই ছাত্রদের কোলে বসে আছেন ছাত্রীরা। কোনও ছাত্রের কোলে বসে একজন ছাত্রী, কোনও কোনও ছাত্রের কোলে আবার দুইজনও রয়েছেন। একেবারে গায়ে গা এলিয়ে বসে রয়েছেন কলেজ পড়ুয়ারা। এরকমই এক অভিনব প্রতিবাদের ছবি সেই সময় ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রছাত্রীরা এই প্রতিবাদের নাম দিয়েছিলেন ‘সিট অন ল্যাপ প্রতিবাদ’ (Sit on lap protest)! এই প্রতিবাদ ছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের নীতি পুলিশগিরির বিরুদ্ধে। 

    আরও পড়ুন: অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করা হয়েছিল, সেই ছাত্রীদের ফের নীট পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিল এনটিএ

    ওই বাসস্ট্যান্ডে আগে যাত্রীদের বসার জন্য একটি সিমেন্ট দিয়ে তৈরি বেঞ্চ ছিল। সেখানে ছাত্রছাত্রীরা পাশাপাশি বসে গল্পগুজব করতেন। ছেলে-মেয়েরা যাতে একে অপরের পাশে বসতে না পারেন, সেই জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ওই সিমেন্টের তৈরি বেঞ্চ ভেঙে তাকে তিন ভাগে ভাগ করে দিয়েছিলেন। এমনভাবে ভাগ করা হয়েছিল, একটি বেঞ্চে একজনই বসতে পারেন। আর প্রতিটি আসনের মাঝে অনেকটা করে ফাঁক। এই ধরনের নীতি পুলিশদের বিরুদ্ধেই অভিনব ‘সিট অন ল্যাপ’ সকলকে চমকে দিয়েছিলেন ওই শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি না বসতে দেওয়ায়, একে অপরের কোলে বসেই গল্প করা শুরু করে দেন ওই কলেজের পড়ুয়ারা। যে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। 

     

    এবার ঘটনার দুমাস পরে ওই বেঞ্চ সরিয়ে নিল স্থানীয় প্রশাসন। মেয়র আর্জা এস রেজেন্দ্রম কথা দিয়েছেন সেই এলাকায় নতুন করে একটি বাসস্ট্যান্ড তৈরি হবে, যেখানে কোনও লিঙ্গসাম্য বজায় থাকবে। 

    তিরুবনন্তপুরমের ওই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বাইরের বাসস্ট্যান্ডটিতে ছাত্রছাত্রীরা প্রায়শই পাশাপাশি বসে কথা বলত। স্থানীয় ছেলে-মেয়েরা এই ভাবে একসঙ্গে সময় কাটাচ্ছে, এটা স্থানীয় কিছু মানুষের চক্ষুশূল হয়েছিল। এই পড়ুয়াদের ‘সায়েস্তা’ করতেই তারা বাসস্ট্যান্ডের বসার বেঞ্চটিকে তিনটি আলাদা ভেঙে ফেলেছিল। কিন্তু, ছাত্রছাত্রীদের সিট অন ল্যাপ প্রতিবাদে তাদের সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। মেয়র ওই বাসস্ট্যান্ড এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, “যেভাবে বেঞ্চটি ভেঙে তিন টুকরো করা হয়েছে এবং যে উদ্দেশ্য নিয়ে তা করা হয়েছে, সেটা আধুনিক সমাজের জন্য অশোভন। আমি তিরুবনন্তপুরম মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশনকে এখানে একটি নতুন বাস স্ট্যান্ড তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছি।” 

    আরও পড়ুন: বন্ধ করে দিন সমস্ত বেআইনি ধর্মীয় স্থান, ‘মসজিদ’ মামলায় রায় কেরল হাইকোর্টের

    নন্দনা পিএম নামে, এই অভিনব ‘সিট অন ল্যাপ’ প্রতিবাদে অংশ নেওয়া এক ছাত্রী বলেন, “আমাদের এই ছবিটা স্থানীয় মানুষদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ছবি নয়। আমরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে লিঙ্গ বৈষম্য ঘোচানোর প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরতে চেয়েছি। আমরা যে পরিস্থিতিতে বড় হয়েছি এবং এখন যে পরিস্থিতির মধ্যে আছি, তার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। আমরা মনে করি না যে, সমাজ রাতারাতি বদলে যাবে। তবে, শিক্ষার্থীদের আবেগে, অনুভূতিতে আঘাত করলে প্রতিবাদ হবেই। আমাদের এই ছবিটা ভাইরাল হওয়ার পর থেকে, আমরা বহু মানুষের কাছ থেকে ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছি। যদিও, ফেসবুকে কিছু নেতিবাচক মন্তব্যও এসেছে। কিন্তু ন্যায় যখন আমাদের পক্ষে আছে, তখন এই সব সমালোচনা আমরা গায়ে মাখছি না।” কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অশ্বিন এম বলেছেন, “৯ বছর আগে অবৈধভাবে স্থানীয় বাসিন্দারা এই বাসস্ট্যান্ডটি তৈরি করেছিল। এই বাসস্ট্যান্ডে বসা শিক্ষার্থীরা বহু বছর ধরেই সমস্যায় ভুগছেন। ছেলেমেয়েরা একসঙ্গে বসলে, স্থানীয় লোকজন তাদেরকে লক্ষ্য করে অশালীন মন্তব্যও করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • MMS Row: বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের ছাত্রীদের স্নানের দৃশ্য ভাইরাল, মধ্যরাতে উত্তাল চণ্ডীগড়

    MMS Row: বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের ছাত্রীদের স্নানের দৃশ্য ভাইরাল, মধ্যরাতে উত্তাল চণ্ডীগড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হস্টেলের ছাত্রীদের স্নানের দৃশ্য মোবাইল বন্দি করে ভাইরাল করে দেওয়া হল। ফোনে সে দৃশ্য দেখে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন আট ছাত্রী (Student)। দোষীদের কড়া শাস্তির দাবিতে শনিবার মধ্যরাতে উত্তাল পাঞ্জাবের (Punjab) মোহালির চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয় (Chandigarh University) চত্বর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই আট ছাত্রী ভর্তি রয়েছেন স্থানীয় একটি হাসপাতালে। অভিযুক্ত ছাত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে তাঁর বন্ধুকে।

    জানা গিয়েছে, চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হস্টেলে থাকেন মহিলা ছাত্রীরা। ওই হস্টেলেরই এক ছাত্রী প্রায় ৬০ জন আবাসিকের স্নানের দৃশ্য মোবাইল বন্দি করেন বলে অভিযোগ। পরে তিনি ওই ছবি পাঠিয়ে দেন তাঁর এক বন্ধুকে। বন্ধুটি সেই ছবি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছাত্রীদের স্নানের দৃশ্যের ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় নিমেষে। ঘটনাটি জানাজানি হতেই লজ্জায় ও অপমানে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন ওই হস্টেলের আট ছাত্রী। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। এই আট ছাত্রীর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।

    দোষী ছাত্রী সহ অভিযুক্তদের সাজার দাবিতে মধ্যরাতে হস্টেলের বাইরে বেরিয়ে বিক্ষোভ দেখান ছাত্রীরা। খবর পেয়ে পুলিশ গেলে উত্তেজনা আরও বাড়ে। পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, ওই হস্টেলের যে ছাত্রী আবাসিকদের স্নানের দৃশ্য মোবাইল বন্দি করেছিলেন এবং তিনি যাঁকে পাঠিয়েছিলেন দুজনেই হিমাচলের বাসিন্দা। ওই ছাত্রীকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি আটক করা হয়েছে তাঁর বন্ধুকে। শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশকে জরুরি পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে পাঞ্জাব সরকার। সে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী জানান, এমন ন্যক্কারজনক ঘটনায় যাঁরা যুক্ত, তাঁরা অবশ্যই উপযুক্ত শাস্তি পাবেন।

    আরও পড়ুন : গুজরাট উপকূলে আটক ২০০ কোটি টাকার মাদক, বরাত দেওয়া হয়েছিল পাঞ্জাব জেল থেকে

    ধৃত ছাত্রী ও তাঁর বন্ধুকে জেরা করে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইছে পুলিশ। এক, আবাসিকদের স্নানের দৃশ্য ভিডিও বন্দি করা হয়েছিল কী জন্য?  দুই, ওই ছাত্রী কীভাবে প্রায় ৬০ জন ছাত্রীর স্নান দৃশ্য মোবাইল বন্দি করলেন? সর্বোপরি, এর পেছনে কি কোনও চাঁই রয়েছে? ওই ছাত্রী ও তাঁর বন্ধুকে জেরা করে এসব প্রশ্নেরই উত্তর পেতে চাইছে পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • West Bengal: ন্যায্যমূল্যের দোকানে ওষুধ পাওয়া যায় না, জীবনদায়ী ওষুধ চুরি হয় হাসপাতাল থেকে, ওষুধ কিনতে হিমশিম সাধারণ মানুষ

    West Bengal: ন্যায্যমূল্যের দোকানে ওষুধ পাওয়া যায় না, জীবনদায়ী ওষুধ চুরি হয় হাসপাতাল থেকে, ওষুধ কিনতে হিমশিম সাধারণ মানুষ

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল: কৃষ্ণনগর থেকে ক্যানসারের (Cancer) চিকিৎসা করাতে কলকাতার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসেন স্বপন চৌধুরী। বছর পঞ্চাশের স্বপন বাবুর পেটে বাসা বেঁধেছে ক্যানসার। নিয়মিত রেডিওথেরাপি করানোর পাশাপাশি প্রয়োজন ওষুধের। কিন্তু হাসপাতালের ন্যায্যমূল্যের দোকানে অধিকাংশ সময়েই ক্যানসারের ওষুধ পাওয়া যায় না। তাই রেডিওথেরাপি হয়ে গেলে হাসপাতাল চত্বরের গাছ তলায় স্বপন বাবুকে বসিয়ে রেখে স্ত্রী যান ওষুধ কিনতে। স্বপন বাবু বলেন, “এক সঙ্গে সব ওষুধ কেনার মতো সামর্থ্য নেই। সবচেয়ে কম দামের ওষুধ কিনতেই অন্তত দু’হাজার টাকা খরচ হয়। নামেই ফ্রি। হাসপাতালে কোনও ওষুধ পাওয়া যায় না।” স্বপন বাবুর স্ত্রী বলেন, “তিন বার এলাম। এক বার ও একটাও ওষুধ পেলাম না। এত বড় দোকান হাসপাতালের ভিতরে কেন করেছে, জানি না। এত খরচ সামলাবো কীভাবে! ক্যানসারের ট্রিটমেন্ট তো একদিনের ব্যাপার না। “

    এসএসকেএম হাসপাতালে ডায়াবেটিসের চিকিৎসা করাতে সোদপুর থেকে যান বছর পয়ষট্টির অনিকেত রায়। চিকিৎসক ফ্রি-তে পরিষেবা দিলেও নগদ টাকায় ওষুধ কিনতে হয়। কারণ, অধিকাংশ সময়েই ন্যায্য মূল্যের দোকানে ওষুধ থাকে না। অনিকেত বাবু বলেন, “ওষুধ অধিকাংশ সময়েই বাইরের দোকান থেকে কিনে নিই। ন্যায্যমূল্যের দোকানে ওষুধ থাকে না। বাইরের ওষুধ দোকানে তো স্বাস্থ্য সাথী কার্ড চলবে না। তাই নগদ টাকাতেই ওষুধ কিনতে হয়।” ডায়বেটিসের মতো ক্রনিক রোগে ধারাবাহিকভাবে নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়। অনিকেত বাবু বলেন, “বয়স্ক মানুষদের এই সব ক্রনিক রোগের ওষুধ যদি কখনোই সরকারি দোকানে পাওয়া না যায়, তাহলে আর সবকিছু বিনামূল্যে বলে লাভ কি! “

    শুধুমাত্র ধারাবাহিক রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে নয়, জরুরি চিকিৎসার ওষুধ ও অধিকাংশ সময় পাওয়া যায় না। পথ দুর্ঘটনায় আহত হয়ে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে দিন কয়েক আগে এক মহিলা ভর্তি হয়েছিলেন। তার পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে যে পাঁচটি ওষুধ প্রয়োজন বলে প্রেসক্রিপশনে লেখা হয়েছিল, তার চারটিই ন্যায্যমূল্যের দোকানে পাওয়া যায়নি।

    এই ঘটনাগুলো ব্যতিক্রম নয়। রাজ্যের অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালের ন্যায্যমূল্যের ছবিটা এরকমই।

    ক্যানসারের জীবনদায়ী ওষুধ, ডায়বেটিসের মতো ক্রনিক রোগের ওষুধ কিংবা করোনার মতো মহামারি ঠেকানোর ইঞ্জেকশন, সরকারি হাসপাতালের ন্যায্য মূল্যের দোকানে হয়রানিই যেন নিত্য সঙ্গী।

    এসএসকেএম-র মতো রাজ্যের প্রথম সারির সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল হোক কিংবা যে কোনও জেলা হাসপাতাল, সরকারি হাসপাতাল চত্বরে থাকা, ন্যায্য মূল্যের ওষুধ দোকানে অধিকাংশ সময়েই ওষুধ পাওয়া যায় না। পরিজনকে হাসপাতালে রেখেই এক দোকান থেকে আরেক দোকানে ছোটেন আত্মীয়রা। নগদ টাকায় হাসপাতালের বাইরের দোকান থেকে ওষুধ কিনতে হয়। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলেও ওষুধের দোকানে তো সেই কার্ডের পরিষেবা পাওয়া যায় না।

    আরও পড়ুন: নবান্নে CMO তে অভিযোগের পাহাড়! কাজই করছে না বহু দফতর?

    সরকারি হাসপাতালে নিখরচায় সমস্ত পরিষেবাই পাওয়া যাবে। অন্তত এমনটাই বারবার বলে রাজ্য সরকার। শহর থেকে জেলা, সব রাস্তায় পশ্চিমবঙ্গে নিখরচায় চিকিৎসার বিজ্ঞাপনে মোড়া। কিন্তু বাস্তবের ছবি অনেকটাই আলাদা। চিকিৎসার প্রথম ও প্রধান শর্ত ওষুধ, পেতেই হিমশিম অবস্থা সাধারণ মানুষের।

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ক্ষমতায় আসার পরেই রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ন্যায্যমূল্যের ওষুধ দোকান তৈরি হয়েছিল। সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, এই দোকানগুলো থেকে বিনামূল্যে ওষুধ পাবেন সাধারণ মানুষ। নিখরচায় চিকিৎসার এই ছিল প্রথম শর্ত। কিন্তু বাস্তবে এই দোকানগুলো থেকে হয়রানি ছাড়া আর কিছুই জুটছে না।

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওষুধ নিয়ে দুর্নীতি দীর্ঘদিনের। সরকারি হাসপাতালে ওষুধ ঠিকমতো স্টোর থেকে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছয়না। অসাধু চক্রের বাসা জাকিয়ে বসেছে প্রত্যেক হাসপাতালে।

    স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার কথায়, “এই সব অসাধু চক্র শেষ না করলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমবে না। তবে, এই সব চক্র শেষ করা কঠিন। কারণ, এই সব অসাধু চক্রের মাথায় রাজনৈতিক নেতাদের প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে। সরকারের কাছকাছি থাকা নেতাদের অঙ্গুলি হেলনেই সব চলছে। “

    প্রসঙ্গত গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে করোনার জীবনদায়ী ওষুধ টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন চুরির অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিধায়ক চিকিৎসক নির্মল মাজির বিরুদ্ধে। ওই ইঞ্জেকশনের বাজারে মূল্য চল্লিশ হাজার টাকা। অভিযোগ উঠেছিল, অবৈধভাবে ওই ইঞ্জেকশন হাসপাতাল থেকে বাইরে বিক্রি হচ্ছে। যদিও পরে রাজ্য সরকারের তদন্ত কমিটি নির্মল বাবুকে ক্লিনচিট দিয়ে দেয়।

    স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশের মতে, প্রত্যেক হাসপাতালের ন্যায্যমূল্যের ওষুধ দোকানে নজরদারি জরুরি। তবে সবচেয়ে বেশি জরুরি সদিচ্ছার। সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার সদিচ্ছা থাকলে তবেই ওষুধ নিয়ে অসাধু চক্র ভাঙা যাবে। তারপরে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব। না হলে, এই ভোগান্তির শেষ কোথায়, সেই উত্তর পাওয়া কঠিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Gujarat: বিয়ের আট বছর পর স্ত্রী জানলেন স্বামী আদতে মহিলা ছিলেন 

    Gujarat: বিয়ের আট বছর পর স্ত্রী জানলেন স্বামী আদতে মহিলা ছিলেন 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিয়ে হয়েছে সেই আট বছর আগে। মাঝে কেটে গিয়েছে বহু সময়। কিন্তু এতদিন পরে জানতে পারেন তিনি ছলনার শিকার। স্বামীর পূর্ব পরিচয় জানতে পেরে মাথায় হাত গুজরাটের (Gujarat) ভদোদরার (Vadodara) এক মহিলার। যাকে আট বছর ধরে স্বামী হিসেবে জেনে এসেছেন, তিনি আদতে মহিলা হয়ে জন্মেছিলেন! এতদিন পরে বিষয়টি জানতে পেরেই ভদোদরার গোত্রী থানায়  অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, বিয়ের সময় নিজের লিঙ্গ পরিচয় লুকিয়ে গিয়েছিলেন স্বামী। গত আট বছরে বহুবার বিকৃত যৌনতার শিকার হয়েছেন বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন ওই মহিলা। দিল্লির বাসিন্দা ওই অভিযুক্তকে আটক করেছে গুজরাটের গোত্রী থানার পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ৭০ দশক পর চিতা ফিরল দেশে, ছাড়া হল কুনো জাতীয় উদ্যানে  

    ওই মহিলা জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে বিয়ে হয় তাঁদের। একটি ম্যাট্রিমনি সাইটে পরিচয় হয় তাঁর । সেই সময় স্বামীর অতীত নিয়ে কিছুই জানতেন না বলে পুলিশকে জানিয়েছেন ওই মহিলা। পরিবারের উপস্থিতিতে আট বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর মধুচন্দ্রিমায় কাশ্মীরেও যান দুজনে। তবে কিছুদিন পরেই ছন্দ কাটে! মহিলার দাবি স্বামী বিয়ের পর থেকেই শারীরিক সম্পর্কে তেমন উৎসাহ দেখাতেন না। নানা অছিলায় এড়িয়ে যেতেন অন্তরঙ্গতা। মহিলার দাবি, শেষে জোরাজুরি করায় বিরাজ তাঁকে জানান রাশিয়াতে (Russia) একটি দুর্ঘটনার কারণে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে তিনি অক্ষম। বছর চল্লিশের ওই মহিলার এটা দ্বিতীয় বিয়ে। ২০১১ সালে তাঁর প্রথম স্বামীর মৃত্যু হয়। তাঁর একটি মেয়েও রয়েছে।                               

    কিন্তু এত কিছুর পরেও স্বামীর আসল পরিচয় জানতে পারেননি তিনি। বরং স্বামী তাঁকে আশ্বাস দেন ছোট একটি অস্ত্রোপচারের পর সব ঠিক হয়ে যাবে। এতদিন সেই আশাতেই দিন কাটিয়েছেন ওই মহিলা। পুলিশকে মহিলা জানিয়েছেন, ২০২০ সালে ওজন কমানোর সার্জারির নামে কলকাতায় যান তাঁর স্বামী। পরে মহিল জানতে পারেন ওজন কমানো নয়, লিঙ্গ বদলের অস্ত্রোপচার করিয়েছেন তিনি!

    আরও পড়ুন: মোদির জন্মদিনে পুজো বা কেক কাটা নয় আজ থেকে সেবাপক্ষ শুরু বিজেপির 
     
    ভদোদরার গোত্রী থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে বিকৃত যৌনতা এবং জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের করেছেন মহিলা। তাঁর দাবি, বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলে ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে বলেও হুমকি দেওয়া হত ওই মহিলাকে। পুলিশ জানিয়েছেন অভিযুক্ত বিরাজ বর্ধনের আসল নাম বিজয়েতা। স্ত্রীর নামে ৯০ লাখ টাকা ধার নিয়ে এক ফ্ল্যাট কেনারও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Adani Group: এবার সিমেন্ট দুনিয়াতেও আদানি-রাজ! ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম সিমেন্ট সংস্থার মালিক গৌতম আদানি

    Adani Group: এবার সিমেন্ট দুনিয়াতেও আদানি-রাজ! ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম সিমেন্ট সংস্থার মালিক গৌতম আদানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম সিমেন্ট সংস্থা এসে গেল গৌতম আদানির (Gautam Adani)কাছে। অম্বুজা এবং এসিসি সিমেন্ট কিনে কিনে নিয়ে সিমেন্টের জগতে নিজের প্রভাব বিস্তার করলেন গৌতম আদানি। একের পর এক রেকর্ডের অধিকারী হচ্ছেন ভারতের এই ধনকুবের। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই আদানি বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তির শিরোপা পেয়েছেন। এশিয়ার প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এই বিরল কৃতিত্বের অধিকারী তিনি। এবার ১৫৪ বছরের পুরোনো টাটা গ্রুপকে (Tata Group) হারিয়ে গৌতম আদানির নেতৃত্বাধীন আদানি গ্রুপ (Adani Group) দেশের সবচেয়ে মূল্যবান ব্যবসায়িক গোষ্ঠীতে (Most Valuable Business Group) পরিণত হল। শুধু তাই নয়,এই গ্রুপের মার্কেট ক্যাপ ২০.৭৪ লক্ষ কোটি টাকা। মুকেশ আম্বানির নেতৃত্বাধীন রিলায়েন্স গ্রুপের মার্কেট ক্যাপ হয়েছে ১৭.১ লক্ষ কোটি টাকা। 

    আরও পড়ুন: বিশ্বের ধনীতম তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন আদানি, সত্যি?

    প্রসঙ্গত, সিমেন্ট ব্যবসার ক্ষেত্রে গত মে মাসেই হলসিম সিমেন্ট গ্রুপের সঙ্গে একটি চুক্তির কথা ঘোষণা করেছিল আদানি লিমিটেড। শুক্রবার এসিসি এবং অম্বুজা হলসিম গ্রুপের সম্পূর্ণ অংশীদারিত্ব অধিগ্রহণ করে তারা। সুইজারল্যান্ড এর এই গোষ্ঠীর কাছে অম্বুজা সিমেন্ট লিমিটেডের ৬৩.১% এবং এসিসি সিমেন্ট লিমিটেডের ৫৪.৫% শেয়ার ধরা ছিল। সেটি অধিগ্রহণের জন্য নগদ ৬.৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে আদানি গোষ্ঠী। ভারতীয় মুদ্রায় এই টাকার পরিমাণ ৫১ হাজার কোটিরও বেশি। 

    আরও পড়ুন: বিক্রি হয়ে গেল ইজরায়েলের প্রধান বন্দর হাইফা, বর্তমান মালিক আদানি

    সেবির নিয়ম মেনে ওপেন অফারের মাধ্যমে এই অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এটি এখনও পর্যন্ত আদানি গোষ্ঠীর সবথেকে বড় অধিগ্রহণ। পরিকাঠামগত কাঁচামাল উৎপাদনের ক্ষেত্রে এটি ভারতের সব থেকে বড় ব্যবসায়িক লেনদেন বলে অনুমান ব্যবসায়িক মহলের। দেশে সিমেন্ট ব্যবসার সম্ভাবনা এবং বিস্তার নিয়ে আশাবাদী আদানি বলেন, “ভবিষ্যতে এই সিমেন্ট ব্যবসাকে আরও বড় করতে চান তিনি।”

    উল্লেখ্য, এখন সিমেন্ট উৎপাদনের নিরিখে দেশে এক নম্বরের রয়েছে আদিত্য বিরলা লিমিটেড গ্রুপের আলট্রাটেক সিমেন্ট। অন্যদিকে অম্বুজা এবং এসিসি বছরের সাত কোটি টন সিমেন্ট উৎপাদন করে। যৌথভাবে এই দুটি কোম্পানির ৩১ টি সিমেন্ট কারখানা রয়েছে। ১০ হাজারের বেশি কর্মী এই কারখানায় কাজ করেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Narendra Modi: মোদির জন্মদিনে পুজো বা কেক কাটা নয়  আজ  থেকে সেবাপক্ষ শুরু বিজেপির

    Narendra Modi: মোদির জন্মদিনে পুজো বা কেক কাটা নয় আজ থেকে সেবাপক্ষ শুরু বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ১৭ সেপ্টেম্বর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi)জন্মদিন। একাত্তর পূর্ণ করে বাহাত্তর বছরে পা দিচ্ছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে পুরীর সৈকতে সুদর্শন পট্টনায়েকের (Sudarsan Pattnaik) শিল্পকলায় বালিতেই মূর্ত হয়ে উঠেছে নরেন্দ্র মোদির অবয়ব। পাশেই রয়েছে জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা।

    শনিবার, জন্মদিনের আগে শুক্রবার সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশনের পার্শ্ববৈঠকে মোদির মুখোমুখি হয়েছিলেন রাশিয়ার প্রসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভারতের বন্ধু দেশ রাশিয়া। বহুবার প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সেই সম্পর্কের পরীক্ষা হয়েছে। কোনওবারই ভারতকে হতাশ হতে হয়নি। পালটা,ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মার্কিন চাপ সত্ত্বেও বন্ধুরাষ্ট্রের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। কিন্তু,তারপরও উজবেকিস্তানে হওয়া দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জন্মদিনের আগাম শুভেচ্ছা জানাননি রুশ প্রেসিডেন্ট। কিন্তু কেন তিনি এমন করলেন? আসলে রাশিয়ার প্রথা মতে কাউকে জন্মদিনের আগাম শুভেচ্ছা জানানো হয় না। তাই বিষয়টি মনে থাকলেও মোদিকে শুভেচ্ছা জানাননি পুতিন। তিনি বলেন, “আমি জানি, কাল আমার বন্ধুর কাছে একটি বিশেষ দিন। জন্মদিনে নানান কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তিনি।” 

    আরও পড়ুন: ‘‘এটা যুদ্ধের সময় নয়, বন্ধু…’’, পুতিনকে যখন এই কথা বললেন মোদি

    মোদির জন্মদিনটি এবার একটু অন্যভাবে পালন করতে চলেছেন বিজেপি (BJP) কর্মীরা। শোনা গিয়েছে, জন্মদিনে কেক কাটবেন না মোদি। হবে না কোনও যজ্ঞ। তার বদলে দান-ধ্যানের আয়োজন থাকছে বিভিন্ন জায়গায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন উপলক্ষে শনিবার থেকে ১৫ দিনের সেবাপক্ষ শুরু করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে দিল্লির কনট প্লেসের এক রেস্তরাঁ তৈরি করেছে ৫৬ ইঞ্চির বিশেষ থালি। মোদিকে সম্মান জানিয়ে ৫৬ রকম পদের আয়োজন করা হয়েছে ওই বিশেষ থালিতে। শনিবার চেন্নাইয়ের একটি সরকারি হাসপাতালে জন্ম নেওয়া সব নবজাতককে সোনার আংটি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে তামিলনাড়ু বিজেপি। প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে নমো অ্যাপে থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu meets Meena Devi Purohit: পুলিশের আঘাতে আহত কাউন্সিলরের সঙ্গে দেখা করলেন শুভেন্দু 

    Suvendu meets Meena Devi Purohit: পুলিশের আঘাতে আহত কাউন্সিলরের সঙ্গে দেখা করলেন শুভেন্দু 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযানকে (Nabanna Abhijan) কেন্দ্র করে  উত্তাল হয় কলকাতা এবং হাওড়া। বিজেপি কর্মীদের আটকাতে জল কামান, কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে পুলিশ। লাঠি চার্জ করা হয়। বচসায় জড়ায় বিজেপি এবং পুলিশ। এই অশান্তির মাঝেই এমজি রোডে পুলিশের লাঠির আঘাতে মাথা ফাটে কলকাতা পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতের (Meena Devi Purohit)। তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছাড়াও পেয়ে যান হাসপাতাল থেকে। বৃহস্পতিবার মীনাদেবীকে দেখতে তাঁর আত্মীয়ের বাড়ি গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ভয়ে অন্ধ হয়ে গিয়েছেন, পুলিশ পিসি-ভাইপোর দাস নয়’’, ফের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা শুভেন্দুর 
     
    এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ওনাকে পুরুষ পুলিশ মেরেছে, আর আমার কাছে মহিলা পুলিশ পাঠিয়ে দিয়েছে। টি শার্ট জিন্স পরে একদম জগিং করতে করতে চলে এসেছে।” মঙ্গলবার অভিযান চলাকালীন বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেন, “আপনার লেডি অফিসার আমার গায়ে হাত দিয়েছে। ও কেন আমার গায়ে কেন হাত ধর বে! ছবিগুলো থাকল।” মহিলা পুলিশকে গ্রেফতার করার দাবি করেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা, বিধায়কের রাস্তা আটকে পুলিশ মস্করা করছে বলেও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। ভিডিওতে শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, “আমার শরীর স্পর্শ করবেন না। আপনি মহিলা, আমি পুরুষ। আপনার সিনিয়রকে ডাকুন।” ওই মহিলা পুলিশ আধিকারিক উত্তরে বলেন, “আমি স্পর্শ করছি না। আপনি চলুন।”

    আরও পড়ুন: ‘‘রাজ্যটাকে উত্তর কোরিয়া বানিয়ে দিয়েছেন ‘লেডি কিম’…’’, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর  

    কলকাতা পুরসভার ৪ নম্বর বরোর অন্তর্গত ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত। নিয়োগ দুর্নীতি-সহ একাধিক দাবিতে ১৩ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, তিনদিক থেকে নবান্নে রওনা হয় বিজেপির মিছিল। বড়বাজার থেকে শুরু হওয়া মিছিলের সামনেই ছিলেন বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত। পুলিশ মিছিলে বাধা দিতেই তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। মাথা ফাটে কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতের। হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান মীনাদেবী পুরোহিত। নিজের বাড়িতে না গিয়ে সল্টলেকে ভাইয়ের বাড়িতে গিয়েছেন। বিজেপি নেত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এদিন সেখানে যান শুভেন্দু অধিকারী। মীনাদেবী পুরোহিতের সঙ্গে কথা বলেন বিরোধী নেতা। শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজ নেন। সেখান থেকেই নবান্ন অভিযানে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share