Blog

  • TMC Inner Clash: দলীয় কোন্দলের জের, আরামবাগে যুবর মারে জখম তৃণমূল নেতা  

    TMC Inner Clash: দলীয় কোন্দলের জের, আরামবাগে যুবর মারে জখম তৃণমূল নেতা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুব তৃণমূল নেতার মারে জখম তৃণমূল নেতা (TMC)। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে হুগলির আরামবাগের (Arambagh) বুলন্ডি এলাকায়। শেখ উজির আলি নামে ওই তৃণমূল কর্মীকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন তাঁর স্ত্রী এবং মেয়েও। ওই ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

    ২০২৩ সালে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections)। তার আগে থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে আরামবাগের বুলন্ডি এলাকা। রাজ্যের অন্যান্য এলাকার মতো বুলন্ডিতেও মূল লড়াই তৃণমূলের সঙ্গে যুব তৃণমূলের। স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের নেতৃত্ব দেন প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা। আর যুব তৃণমূলের নেতৃত্ব দেন পলাশ রায়। এলাকা দখল নিয়ে এই দুই নেতার বিবাদের জেরে মাঝে মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বুলন্ডি। এই যেমন হয়েছিল রবিবার। এদিন বিকেলে পলাশের গোষ্ঠীর এক অনুগামীকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কাঠগড়ায় কৃষ্ণচন্দ্রের ভাই তথা মায়াপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অলক সাঁতরার কয়েকজন অনুগামী। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অলক। তিনি বলেন, আমাদের দলের কয়েকজন কর্মীকে বিজেপির লোকজন মারধর করেছিল বলে খবর পেয়ে এলাকায় যাই। ওরা আমাকেও মারধর করে। অলক বলেন, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ওরা বিজেপির এজেন্ট ছিল। তৃণমূল কর্মীদের মারধর করেছিল। ভোটারদের ভয় দেখিয়ে এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করেছিল। তাঁর দাবি, এখন তৃণমূলে ঢুকে দলেরই কর্মীদের মারধর করছে ওরা। ঘটনার খবর পেয়ে বুলন্ডি এলাকায় যায় আরামবাগ থানার বিশাল বাহিনী। উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় অলককে। ঘটনায় দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে আরামবাগ থানায়। 

    আরও পড়ুন : নকল দলিল বানিয়ে জমি চুরি তৃণমূল কংগ্রেস নেতার

    রবিবারের ওই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতে ফের অশান্ত হয়ে ওঠে বুলন্ডির মহেশপুর এলাকা। এদিন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন বিধায়কের অনুগামী শেখ উজির আলি। অভিযোগ, তাঁকে একা পেয়ে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে পলাশের অনুগামীরা। উজিরকে বাঁচাতে গিয়ে প্রহৃত হন তাঁর স্ত্রী এবং মেয়েও। খবর পেয়ে ফের এলাকায় যায় পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত। উজিরকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।  

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, পঞ্চায়েত ভোট যতই ঘনিয়ে আসবে, ততই বাড়বে সংঘর্ষের ঘটনা। উপদলীয় কোন্দল নির্মূলে একাধিকবার দলীয় নেতৃত্বকে বার্তা দিয়েছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো। দলনেত্রীর সে নির্দেশ যে অনেক নেতার কানেই ঢোকেনি, বুলন্ডির এই দুই ঘটনাই তার প্রমাণ।

    আরও পড়ুন : দুর্নীতি, ভাইপো, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় TMC-র অন্তর্দন্দ্বে সরগরম রামপুরহাট

     

  • Kerala MBBS Scam: কেরলে ডাক্তারিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বেআইনি আর্থিক লেনদেন! ইডির তলব চার্চ বিশপকে

    Kerala MBBS Scam: কেরলে ডাক্তারিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বেআইনি আর্থিক লেনদেন! ইডির তলব চার্চ বিশপকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকার বিনিময়ে বহু ছাত্রকে কেরলে (Kerala) ডাক্তারিতে ভর্তি করা হয়েছিল। তিরুঅনন্তপুরমের কারাকোনামের ডাঃ সোমারভেল মেমোরিয়াল সিএসআই মেডিকেল কলেজে (Karakonam Medical College scam) ভর্তির প্রস্তাব দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন চার্চ অফ সাউথ ইন্ডিয়া (CSI)-র বিশপ এ ধর্মরাজ রাসালাম (Bishop A Dharmmaraj Rasalam)। পার্শ্ববর্তী রাজ্য তামিলনাড়ুর ছাত্রদের থেকে এই টাকা নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। কেরল হাইকোর্টে দায়ের করা এক মামলায় অভিযোগ করা হয় চার্চ বিশপ ও তাঁর সহযোগীরা এমডি এবং এমবিবিএস-এ আসন বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৬০ লাখ টাকার উপরে ক্যাপিটেশন ফি আদায় করেছিলেন। কিন্তু পরে ওই ছাত্রদের ভর্তি করা হয়নি।

    আরও পড়ুন: কর্ণাটকে কুপিয়ে খুন বিজেপি যুব মোর্চার নেতা

    কেরলে এমবিবিএস, বিডিএস এবং এমডি কোর্সে (MD and MBBS) ভর্তির জন্য সেই রাজ্যেরই বাসিন্দা হতে হয়। কিন্তু নন-কেরলাইটদের জন্য টাকা  নিয়ে আসন বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দেন এ ধর্মরাজ রাসালাম। এমবিএস বা এমডি আসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অতিরিক্ত ফি দাবি করা হয়। কারাকোনামের এই কলেজটি সংখ্যালঘু মর্যাদার প্রতিষ্ঠান। তাই এখানে ৫০ শতাংশ আসন মেধাতালিকার ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয় আর বাকি অর্ধেক আসন থাকে সংরক্ষিত। এই সংরক্ষিত আসনগুলিতে টাকা নিয়ে ভর্তি করার কথা বারবার শোনা গিয়েছে। এজন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জাল শংসাপত্রও তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই জাল শংসাপত্র তৈরি করে টাকা নিয়ে ছাত্রদের ভর্তি করা হয়, বলে দাবি।

    আরও পড়ুন: অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কোথায় কী কী সম্পত্তি? উত্তর খুঁজতে দিকে দিকে হানা ইডি-র

    এই দুর্নীতিতে যুক্ত বিশপ রাসালামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কোচিতে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি (ED)। টাকা দিয়ে ভর্তির জন্য ইতিমধ্যেই ১১জন এমবিবিএস ছাত্রের ভর্তি বাতিল করেছে কেরল হাইকোর্ট। সোমবার তিরুবনন্তপুরমে মেডিকেল কলেজ এবং চার্চ অফ সাউথ ইন্ডিয়ার (সিএসআই) অফিসে ১৩ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি বিশপ এ ধর্মরাজ রাসালামের অফিস, চার্চ সেক্রেটারি টিটি প্রবীনের বাসভবন, মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন ডিরেক্টর ডাঃ বেনেট আব্রাহাম এবং মেডিক্যাল কলেজের অফিসেও এদিন অভিযান চালায়।

  • Bipodtarini Puja: আজ বিপত্তারিণী ব্রতপালন, এই পুজোয় তেরো সংখ্যার মাহাত্ম্য জানেন কি?

    Bipodtarini Puja: আজ বিপত্তারিণী ব্রতপালন, এই পুজোয় তেরো সংখ্যার মাহাত্ম্য জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু শাস্ত্র মতে, দেবী দুর্গার ১০৮ রূপের মধ্যে অন্যতম দেবী সঙ্কটনাশিনীর এক রূপ, দেবী বিপত্তারিণী। যে কোনও মাতৃ-মন্দিরে দেবীর আরাধনা হয়। বাঙালি গৃহস্থ বাড়ির সধবা মহিলারা এই ব্রত করেন। 

    হিন্দুরা মূলত বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য এই দেবীর পুজো করেন। আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া থেকে দশমী পর্যন্ত এই দেবীর পুজো করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে যে কোনও শনি বা মঙ্গলবারে এই ব্রত পালন করা হয়।

    গ্রামাঞ্চলে বিপত্তারিণী পুজো চারদিন ধরে চলে। প্রথম দিনে দেবীর আরাধনা করা হয়। মহিলারা গঙ্গা বা কোনও নদীতে স্নান করে দণ্ডী কাটেন। তারপর দুই রাত্রি ধরে রাতে বাংলা লোকগান, ভজন ও কীর্তন চলে। চতুর্থ দিনে বিসর্জন হয়। বিপত্তারিণী পুজো উপলক্ষে মেয়েরা উপবাস করেন।

    আরও পড়ুন: বিপদ এড়াতে বিপত্তারিণী পুজোয় ভুলেও করবেন না এই কাজগুলি

    মার্কণ্ডেয় পুরাণ অনুসারে, এই পুজোর একটা বিশেষ নিয়ম হল সবকিছু ১৩টা করে উৎসর্গ করতে হয় দেবীকে। ব্রতর আচার হিসেবে সব কিছু দিতে হয় তেরোটি করে। যেমন— তেরোটি নৈবেদ্য সাজাতে হয়। ব্রত পালনে লাগে তেরো রকম ফুল, তেরো রকম ফল, তেরোটি পান, তেরোটি সুপুরি, তেরোটি এলাচ।

    এছাড়া, বিপত্তারিণী ব্রতপালনের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসেবে হাতে বাঁধতে হয় লাল ডুরি বা ডোর বা তাগা। এই ডোর তৈরির ক্ষেত্রেও তেরো সংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ।

    তেরো গাছা লাল সুতোর সঙ্গে তেরোটি দূর্বা রেখে তেরোটি গিঁট বেঁধে তৈরি হয় এই পবিত্র তাগা বা ডোর। বিশ্বাস করা হয় যে, এই তাগা হাতে পরলে তাঁকে কোনও বিপদ স্পর্শ করতে পরে না৷ 

    বিপত্তারিণী পুজোর শেষে সকলেই হাতে ওই তাগা বেঁধে দেওয়া হয়৷ মেয়েরা বাম হাতে ও ছেলেরা ডান হাতে এটি পরেন৷ এটি শুধু ব্রত পালন যিনি করছেন তিনিই যে বাঁধেন তা নয়, পরিবারের অন্য সদস্যরাও বাঁধেন বিপন্মুক্তির জন্য৷

    আরও পড়ুন: বিপদ এড়াতে বিপত্তারিণী পুজো! জানুন এই ব্রতর মাহাত্ম্য

    ব্রতপালনের পর খাবার যা খেতে হয়, সেখানেও ১৩ সংখ্যা রাখা আবশ্যক৷ মায়েরা প্রসাদ হিসেবে খান, তেরোটি লুচি বা পরটা সঙ্গে তেরো রকমের ফল। চাল-চিঁড়ে-মুড়ি এসব খাওয়া যায় না৷

    ফল বা ময়দার রান্না যাই খাওয়া হোক না কেন সেটা ১৩ সংখ্যায় গ্রহণ করার কথাই ব্রতে বলা হয়৷ তবে যদি সেটা না হয় তাহলে পুজো মিটে যাওয়ার পর বিজোড় সংখ্যাতেও খাদ্যগ্রহণ করা যায়৷

  • Mutual Fund Investment: মিউচ্যুয়াল ফান্ডে লগ্নি করতে চাইছেন? দেখতে পারেন এই পাঁচ স্কিম 

    Mutual Fund Investment: মিউচ্যুয়াল ফান্ডে লগ্নি করতে চাইছেন? দেখতে পারেন এই পাঁচ স্কিম 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে মুদ্রাস্ফীতি। মন্দার মুখ দেখছে শেয়ার বাজারও। মিউচ্যুয়াল ফান্ডে (Mutual Fund) বিনিয়োগ (Investment) করতে ভয় পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে ইক্যুইটি-ভিত্তিক স্কিমগুলোতে এমনটা হচ্ছে। যদিও দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগকারীদের উদ্বিগ্ন বা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।  

    মিউচ্যুয়াল ফান্ডকে রোজগার হিসেবে না দেখে, দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক নিশ্চয়তা হিসেবে দেখা উচিত। ঠিকঠাক জায়গায় বিনিয়োগ করলে লাভের পরিমাণ বহুগুণ বেড়ে যেতে পারে। বিনিয়োগের সময় শেয়ার বাজারের অবস্থা বিবেচনা করে স্বল্প থেকে মধ্য মেয়াদ বা দীর্ঘ মেয়াদী মিউচ্যুয়াল ফান্ডে টাকা রাখতে পারেন।

    আরও পড়ুন: দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগ যারা করতে চাইছেন, এটাই তাঁদের বিনিয়োগ করার সঠিক সময়। বাজারের অবস্থা যখন খারাপ থাকে, তখন বিনিয়গ করলে রিটার্নের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। 

    এমন কিছু মিউচ্যুয়াল ফান্ডের স্কিম রয়েছে, যেখানে ঝুঁকি কম, কিন্তু লাভ বেশি।

    আরও পড়ুন: ৪০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট বাড়ানোর ঘোষণা আরবিআই-এর, শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধস

    কানাড়া রোবেকো ব্লুচিপ ইক্যুইটি ফান্ড: এই স্কিমটি পুঁজির বাজারে ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে। যারা কম ঝুঁকিতে, বেশি লাভের মুখ দেখতে যান তাঁদের জন্যে আদর্শ। এটি লার্জ-ক্যাপ স্টকগুলিতে বিনিয়োগ করার একটি ভাল বিকল্প। এই স্কিমটি ৩ বছর এবং ৫ বছরের মেয়াদে নিফটি ৫০ -কে ছাড়িয়ে গিয়েছে। 

    মিরাই অ্যাসেট ইমার্জিং ব্লুচিপ: এই স্কিমে এখনও কোনও দীর্ঘ মেয়াদী ফল দেখা যায়নি। কিন্তু ফান্ড ম্যানেজার নীলেশ সুরানার অভিজ্ঞতা এবং ব্র্যান্ডের সুনামের ওপর ভরসা করে টাকা রাখতেই পারেন। ফান্ডটি লার্জ ক্যাপ স্টকগুলিতে ৪৬.৮%, মিড ক্যাপ স্টকগুলিতে ২৫.৭৬% এবং স্মল ক্যাপ স্টকগুলিতে ৮.২৫% বিনিয়োগ করেছে৷ ৩ বছর এবং ৫ বছর মেয়াদে, এই স্কিমটি নিফটি ৫০- কে ব্যাপক ব্যবধানে ছাড়িয়ে গিয়েছে।

    কুয়ান্ট অ্যাক্টিভ ফান্ড: যারা ঝুঁকি নিতে পছন্দ করেন, এই মাল্টি-ক্যাপ ফান্ড তাঁদের জন্যে । ৩ বছর এবং ৫ বছরের মেয়াদে যেখানে নিফটি ৫০- ৩১.২০% এবং ৬২.৪০% রিটার্ন দিয়েছে, সেখানে এই ফান্ডে বিনিয়োগকারীরা যথাক্রমে ৯৫.৩৯% এবং ১৩৫.৬৫% রিটার্ন পেয়েছেন।   

    আইসিআইসিআই প্রুডেনসিয়াল ইক্যুইটি এন্ড ডেট ফান্ড: যারা মাঝারি ঝুঁকি নিতে পছন্দ করেন তাঁদের জন্যে এই স্কিম আদর্শ। অতীতের ভালো রেকর্ড এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ফান্ড ম্যানেজার থাকায় আইসিআইসিআই প্রুডেনসিয়াল বিনিয়োগের জন্যে ভালো বিকল্প। ১ বছর, ৩ বছর এবং ৫ বছরের মেয়াদে, এই স্কিমটি নিফটি ৫০- কে অনেক ব্যবধানে ছাড়িয়ে গিয়েছে।  

    কোটাক ডেট হাইব্রিড ফান্ড: যারা ঝুঁকি নিতে একদম পছন্দ করেন না কোটাকের এই স্কিমটি তাঁদের জন্যে বিনিয়োগের ভালো বিকল্প। বহুদিন ধরেই কোটাকের শেয়ার বাজারে পারফর্ম্যান্স ভালো। তাই এখানে বিনিয়োগে ঝুঁকিও কম। ঝুঁকি কম হওয়া সত্ত্বেও ভালো রিটার্ন দেওয়ার রেকর্ড আছে এই স্কিমের। 

     

     

     

  • Jasprit Bumrah: বুমরাহর মুকুটে নতুন পালক! দেখে নিন আর কোন বোলাররা ভারতকে নেতৃত্ব দেন

    Jasprit Bumrah: বুমরাহর মুকুটে নতুন পালক! দেখে নিন আর কোন বোলাররা ভারতকে নেতৃত্ব দেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে ভারত (India)। এজবাস্টন টেস্টে ইংল্যান্ডক হারিয়ে চতুর্থবার বিলেতের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জেতার সুযোগ কোহলিদের সামনে। তবে রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) করোনায় (Covid-19) আক্রান্ত। এই ম্যাচে তিনি খেলতে পারবেন না। তাই ভারতকে নেতৃত্ব দেবেন পেসার যশপ্রীত বুমরাহ (Jasprit Bumrah)। মাত্র চার বছর আগে টেস্টে অভিষেক হয়েছিল ভারতীয় বোলারটির। তার মধ্যেই পায়ের তলার জমি শক্ত করেছেন তিনি। কালের নিয়মেই বুমরাহর মুকুটে যোগ হলো আরও একটি পালক। নেতা হিসেবে দলকে বুমরাহ সাফল্য এনে দিতে পারবেন কি না তা সময় বলবে। তবে পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৮৭ সালে কপিল দেব (Kapil Dev) শেষবার কোনও পেস বোলার হিসেবে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। অনেক সময়ই বলা হয়, ক্রিকেট ব্যাটসম্যানদের খেলা। সেই ধারা বজায় থেকেছে ভারতীয় দলের অধিনায়ক চয়নের ক্ষেত্রেও। তবে কখনও কখনও বোলরারও দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।

    ফিরে দেখা:

    কপিল দেব: বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ছিলেন কপিল দেব। শুধু তাই নয়, দেশের প্রথম পেস বোলার হিসেবে টেস্টে অধিনাকত্ব করে নজির গড়েছিলেন তিনি। যদিও তাঁর ক্যাপ্টেন্সিতে ৩৪ ম্যাচের মধ্যে ভারত জিতেছিল মাত্র চারটিতে। ড্র হয়েছিল ২২টি ম্যাচ। পরাজয়ের সংখ্যা ৭। তবে কপিলের নেতৃত্বেই ১৯৮৩ তে প্রথম বিশ্বকাপ জেতে ভারত।

    আরও পড়ুন: নেতা হিসেবে ধোনিই জীবনের আদর্শ! চাপমুক্ত হয়ে খেলতে চান বুমরাহ

    অনিল কুম্বলে: টেস্ট (Test) এবং একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট (ODI) মিলিয়ে ভারতের সর্বাধিক উইকেট সংগ্রহকারী অনিল কুম্বলে। ২০০৭-০৮ মরশুমে তিনি ভারতের অধিনায়ক হয়েছিলেন। তাঁর ক্যাপ্টেন্সিতে ১৪টি টেস্টে ভারত জিতেছিল তিনটিতে।

    বিষেণ সিং বেদি: চার বছর ভারতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব সামলেছিলেন বেদি। নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ২২টি টেস্টে। তার মধ্যে ভারত জয়ী হয়েছিল ছ’টি ম্যাচে। 

    এস বেঙ্কটরাঘবন: ১৯৭৪-৭৯, এই সময় ভারতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক ছিলেন প্রাক্তন স্পিনার এস বেঙ্কটরাঘবন। তাঁর নেতৃত্বে ভারতীয় দল দু’টি টেস্ট হারলেও, ড্র করেছিল তিনটিতে।

  • UK government:  কী হল বরিস সরকারের? চার মন্ত্রীর পদত্যাগে চিন্তায় জনসন

    UK government:  কী হল বরিস সরকারের? চার মন্ত্রীর পদত্যাগে চিন্তায় জনসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের (Boris Johnson) জন্য বড় ধাক্কা। বুধবারও বরিসের অস্বস্তি বাড়িয়ে আরও দুই মন্ত্রী ইস্তফা দিলেন। তাঁদের মধ্যে আছেন পরিবার ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের মন্ত্রী উইল কুইন্স ও পরিবহন মন্ত্রী লরা ট্রট। মঙ্গলবার তাঁর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন ২ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী (Cabinet ministers) ঋষি সুনক (Rishi Sunak) এবং সাজিদ জাভিদ (Sajid Javid)। আজ আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এই পদত্যাগের ফলে যুক্তরাজ্যে বরিস জনসন সরকারের পতনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। 

    শিশু ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী উইল কুইনস বলেন, ‘আমার সামনে পদত্যাগ করা ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই।’ এদিকে লরা ট্রট দাবি করেন, এই সরকারের উপর তিনি আর ভরসা রাখতে পারছেন না, তাই তিনি পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর জেরে আরও চাপে পড়লেন বরিস জনসন। 

    এর আগে গতকাল কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ইস্তফা দেন ব্রিটেনের দুই ক্যাবিনেট মন্ত্রী। প্রথমে পদত্যাগ করেন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক। তারপর ইস্তফা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। ঋষি, সাজিদদের দাবি, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের উপর আস্থা হারিয়েছেন তাঁরা। ব্রিটিশ রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, ঋষি এবং সাজিদ হাত মিলিয়ে নেওয়ায় জনসনের পক্ষে সরকার টিকিয়ে রাখা যথেষ্ট কঠিন হবে। এই আবহে নিজের অনুগত নাদিম জাহাউইকে (Nadhim Zahawi) গুরুত্বপূর্ণ অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব সামলাতে দেন বরিস। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হলেন স্টিভ বার্কলে।

    আরও পড়ুন: ডায়ানার পোট্রেট নিলামে, ছবির রহস্য জানেন?

    গতকাল পদত্যাগ প্রসঙ্গে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি বলেছেন, ‘মানুষ আশা করেন, সঠিকভাবে, দক্ষতার সঙ্গে এবং গুরুত্ব সহকারে সরকার চালানো হবে।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, মন্ত্রী হিসেবে এটাই আমার শেষ দফা হতো। তবে আমার বিশ্বাস যে এই বিষয়টি লড়াই করার মতো এবং সেজন্যই আমি ইস্তফা দিচ্ছি।’ ট্যুইটের সঙ্গে তিনি জুড়ে দেন প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া তাঁর চিঠিও। অন্যদিকে, সাজিদের দাবি, ‘নিজের হৃদয়ের বিচারে (বরিসের সরকারে) কাজ চালিয়ে যেতে পারব না।’ তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন , বলে ট্যুইটে জানান তিনি।

    ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, যৌন কেলেঙ্কারি সহ একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ক্রিস পিনচার নামে এক রাজনীতিককে বড় পদে এনেছিলেন বরিস। তাঁর দাবি ছিল, পিনচারের বিরুদ্ধে ওই সমস্ত অভিযোগের কথা তাঁর জানা ছিল না। কিন্তু সম্প্রতি ফাঁস হয়, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী মিথ্যে বলেছেন। তার প্রতিবাদেই বরিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পদত্যাগ করলেন চার মন্ত্রী।

  • Maharashtra Political Crisis:  বিধায়কদের পর এবার সেনা সাংসদের হুঁশিয়ারি উদ্ধবকে ! দ্রৌপদীকে সমর্থনের আর্জি

    Maharashtra Political Crisis: বিধায়কদের পর এবার সেনা সাংসদের হুঁশিয়ারি উদ্ধবকে ! দ্রৌপদীকে সমর্থনের আর্জি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধায়করা তো বিদ্রোহ করেইছেন এবার সাংসদ হারানোর আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে শিবসেনার (Shiv Sena) অন্দরে। শিন্ডে শিবির ইতিমধ্যেই দাবি করেছে যে দলের অধিকাংশ সাংসদ তাদের সঙ্গে রয়েছেন। তবে এখনও খাতায় কলমে শিবসেনা প্রধান উদ্বব ঠাকরে। তাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপির (BJP) মনোনীত প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে (Draupadi Murmu) সমর্থনের আর্জি জানিয়ে উদ্ধবকে চিঠি লিখলেন শিবসেনা সাংসদ রাহুল শেওয়াল (Rahul Shewale)।

    প্রসঙ্গত, উদ্ধবের শিবসেনা শিবির এখনও কংগ্রেস, এনসিপির সঙ্গে সখ্যতা বজায় রেখেছে। সেই অর্থে তারা বিরোধীদের সঙ্গে আছে। এই আবহে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকেই সমর্থন জানাতে পারে উদ্ধব গোষ্ঠী। তবে রাহুল বলেন, ‘দ্রৌপদী মুর্মু আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে এসেছেন এবং সামাজিক জীবনে তাঁর একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তাই সেনাপ্রধানকে তাঁকে সমর্থন করার কথা বলেছি।’ অবশ্য, রাজনৈতিক মহলের মতে এই আবেদন নিছক রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে নয়। এটা আদতে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে একটিকে বেছে নেওয়ার পরীক্ষা। 

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে এবার অটো-মার্সিডিজ লড়াই! উদ্ধব-শিন্ডে বাকযুদ্ধে সরগরম শিবাজির দেশ

    প্রতিদিনই শিবির বদলাচ্ছে সেনাকর্মী, বিধায়ক, সাংসদরা। রাজ্যে পালাবদলের পুরো পর্বে উদ্ধব ঠাকরের সমর্থনে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে মহারাষ্ট্রের কালামনুড়ির বিধায়ক সন্তোষ বাঙ্গারকে। অথচ সোমবার  আস্থা ভোটে একনাথ শিন্ডের পক্ষে চলে যান তিনি। সূত্রের খবর,আস্থা ভোটে উদ্ধব শিবিরের হার বুঝেই শিন্ডের হাত ধরেন সন্তোষ। এতদিন বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের সমালোচনা শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে নিয়মিতভাবে ঠাকরে পরিবারের হয়ে প্রচার করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। গত সপ্তাহে নিজের এলাকায় একটি প্রচারসভায় তাঁকে হাত জোড় করে চোখের জল ফেলতেও দেখা যায়। সেখানে বালাসাহেব ঠাকরে ও উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) নামে স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি ঠাকরে পরিবারের পাশে থাকার বার্তাও দেন সন্তোষ। ওই সভা থেকে শিন্ডে (Eknath Shinde) শিবিরের বিধায়কদের বিশ্বাসঘাতক বলে দাবি করেন সন্তোষ বাঙ্গার (Santosh Bangar)। তবে গত রবিবার সকালে স্পিকার ভোটের পরই বদলে যায় ছবিটা। সূত্রের খবর, রাতেই একনাথ শিন্ডের হোটেলে যান সন্তোষ বাঙ্গার। মহারাষ্ট্রের নতুন মুখ্যমন্ত্রীর (Maharashtra Chief Minister) সঙ্গে কথা বলেই শিবির বদল করেন এই বিধায়ক।

  • Tajpur Port: তাজপুর বন্দরের ‘তাজ’ কেন পাচ্ছে না আদানিরা, নীরব কেন নবান্ন?

    Tajpur Port: তাজপুর বন্দরের ‘তাজ’ কেন পাচ্ছে না আদানিরা, নীরব কেন নবান্ন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুরে (Tajpur) নতুন বন্দর (New Port) নির্মাণে সর্বোচ্চ দর হেঁকেছে আদানি গোষ্ঠী (Adani Group) । তার পরেও গত পাঁচ মাসে এ নিয়ে আর উচ্চবাচ্য করছে না নবান্ন। শিল্প দফতর সূত্রের খবর, শিল্পোন্নয়ন নিগম থেকে তাজপুরের ফাইল মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য পৌঁছে গিয়েছিল এপ্রিলের শুরুতেই। আশা ছিল, গত ২০-২১ এপ্রিল শিল্প সম্মেলনের আসরেই তাজপুর বন্দরের ‘তাজ’ আদানি গোষ্ঠীদের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা  করা হবে। কিন্তু তা হয়নি। নবান্নও আর আপাতত আদানিদের হাতে তাজপুর তুলে দিতে তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছে না। যা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে। তাহলে কি আদানিরাই আর রাজ্যে বিনিয়োগে রাজি হচ্ছে না? নাকি নবান্ন চাইছে না রাজ্যের একমাত্র বেসরকারি বন্দরের রাশ চলে যাক আদানিদের হাতে?  

    আরও পড়ুন : পিছিয়ে পড়লেন আদানি! আবারও এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি আম্বানি

    জাহাজি মহল অবশ্য দুটি প্রশ্নের পিছনেই যুক্তি রয়েছে বলে মতামত দিয়েছে। জানা যাচ্ছে, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, দেশের আরও কয়েকটি বন্দরে আদানিদের লগ্নি প্রস্তাব আটকে রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার হঠাৎ আদানি পোর্টের নানা কাজকর্ম নিয়ে বীতশ্রদ্ধ, এমনই মত জাহাজ মন্ত্রকের খবর রাখা বিশেষজ্ঞদের।কয়েক মাস আগে বিশাখাপত্তনম বন্দরের কয়লা নামানোর কাজ থেকে আদানিদের সরিয়ে দিয়েছে সেখানকার বন্দর কর্তৃপক্ষ। আদালতে গিয়েও সাহারা পাননি বন্দর ব্যারন। কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রকের যাবতীয় টেন্ডারে শর্তও আরোপ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে কোনও সংস্থাকে বন্দর কর্তৃপক্ষ কোনও কারণে সরিয়ে দিলে পরবর্তী তিন বছর তারা আর কোনও কাজ করতে পারবে না। তার প্রেক্ষিতে আদানিরা ভারতের কোনও বন্দরে নতুন করে বিনিয়োগ করতে পারছে না। সম্প্রতি মুম্বইয়ে জেএনপিটি বন্দরের লগ্নি করতে গিয়ে ফের হোঁচট খায় আদানিরা। মুম্বই হাইকোর্টে মামলা গড়ালে আদালত আদানিদের পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা করে। এর পর সুপ্রিম কোর্টে জরুরি ভিত্তিতে মামলা শুনানির আবেদন জানায় ওই সংস্থা। তাতেও সাড়া দেয়নি আদালত।

    এসব জেনে রাজ্য সরকার আদানিদের ছোঁয়াচ এড়িয়ে চলতে চাইছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। দেশের বড় বন্দরগুলির সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে চলে যাওয়া আদানিদের তাজপুরে ডেকে আনলে ফের আইনি সংঘাত বাড়বে বলে মনে করছেন নবান্নের একাংশ। তাই যতদিন না আদানিরা বন্দরে লগ্নির ব্যাপারে ভারত সরকার ও আদালতের সবুজ সংকেত পাচ্ছে, ততদিন আদানিদের সঙ্গে লোক দেখানো সংস্রব চাইছে না তৃণমূলও।

    আরও পড়ুন : এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ সময়ের আগেই, বাঁচল হাজার কোটি টাকারও বেশি

    তাজপুর বন্দরে ৭০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে নতুন বন্দরের বরাত পেয়েছে তারা। প্রতি মেট্রিক টন রাজস্ব সংগ্রহের ০.২৫% রাজ্য সরকারকে দেওয়ার কথাও দরপত্রে দাবি করেছিল তারা। দিল্লির অসূয়ার পাত্র হয়েই কি তা হলে ঘটা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানি—এমন প্রশ্নও জাহাজি ও রাজনৈতিক মহলে ঘুরপাক খাচ্ছে। শিল্পোন্নয়ন নিগমের এক কর্তার কথায়, তাজপুর বন্দর রাজ্যের জন্য খুবই স্পর্শকাতর বিষয়। যদি আদানিদের বরাত দেওয়ার পর মামলা-মোকদ্দমা হয়ে যায় তাহলে রাজ্যের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ ক্ষেত্রে সাবধানী পদক্ষেপই শিরোধার্য।

     

  • Single Use Plastic Ban: প্লাস্টিক নিষিদ্ধ! একনজরে দেখে নিন কী কী বিকল্প রয়েছে প্লাস্টিকের

    Single Use Plastic Ban: প্লাস্টিক নিষিদ্ধ! একনজরে দেখে নিন কী কী বিকল্প রয়েছে প্লাস্টিকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  সিঙ্গল-ইউজ প্লাস্টিক (Single Use Plastic) ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে জারি করা হয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা। বিগত কয়েক বছর ধরে পরিকল্পনা করার পরে অবশেষে জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে এই নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশে এবার থেকে বন্ধ হতে চলেছে প্লাস্টিকের উৎপাদন, সরবরাহ, জমানো এবং বিক্রি। তবে এবার শুধুমাত্র প্লাস্টিক বন্ধ করেনি, যদি কোনও ব্যক্তি বা কোনও সংস্থাকে প্লাস্টিক সরবরাহ করতে দেখা যায় তবে তাদের জন্য তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। প্লাস্টিক ব্যবহার করলেই এবার থেকে দিতে হবে মোটা টাকার জরিমানা।

    আরও পড়ুন: ১ জুলাই থেকে দেশে নিষিদ্ধ ‘সিঙ্গল ইউজ’ প্লাস্টিক! নতুন নিয়ম জানেন তো? এক

    [tw]


    [/tw]

    তাই প্লাস্টিক ব্যবহারকারীদের জন্য এটি বলতে গেলে দুঃখের খবর। কিন্তু প্লাস্টিক ছাড়াও এমন অনেক জিনিস রয়েছে যা প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে প্রথমেই যেই জিনিসটির কথা মাথায় আসে সেটি হল পাট (Jute)। তবে পাটজাতীয় যে সকল পণ্য বাজারে রয়েছে, সেই সমস্ত পণ্যের দাম প্লাস্টিকের চেয়ে অনেকটা বেশি। এছাড়া প্লাস্টিকের মত সহজে ব্যবহার করাও যায় না। কিন্তু পৃথিবীকে দূষণমুক্ত করতে এখন থেকে পাটের তৈরি ব্যাগের ওপরই নির্ভর করতে হবে।

    আরও পড়ুন: মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ নরওয়ে, ডেনমার্ক, কেন জানুন

    শুধুমাত্র প্লাস্টিক ব্যাগ নয়, সিঙ্গল-ইউজড প্লাস্টিকের তৈরি মিষ্টির বাক্স, কাপ, চামচ, ছুরি, বাটি, সিগারেটের প্যাকেট, আইসক্রিমের কাঠি— সবই নিষিদ্ধ তালিকায় রাখা হয়েছে। ফলে পাটের তৈরি ব্যাগ ছাড়াও প্লাস্টিকের তৈরি বিভিন্ন পণ্যের বিকল্পগুলো হল-

    • পাটের তৈরি ব্যাগ।
    • খাদি ব্যাগ।
    • বাঁশের তৈরি স্ট্র ও বাসনপত্র।
    • প্লাস্টিক বোতলের বদলে স্টিলের ও কপারের বোতল।
    • কাপড়ের ব্যাগ।
    • প্লাস্টিকের তৈরি বাক্সের বদলে স্টিলের বাক্স।

     

     

     

     

     

     

     

  • Eknath Shinde: অটোচালক থেকে মহারাষ্ট্রের তখত, একঝলকে শিন্ডের জার্নি

    Eknath Shinde: অটোচালক থেকে মহারাষ্ট্রের তখত, একঝলকে শিন্ডের জার্নি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব জল্পনার অবসান। দেবেন্দ্র ফড়নবিশ (Devendra Fadnavis) নন, মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মসনদে বসেছেন একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। কে হবে মহারাষ্ট্রের রাজা, এই নিয়ে মসনদে দীর্ঘদিনের টানাপোড়েনের পর বৃহস্পতিবারই শিন্ডে মুম্বাই ফিরেছেন। আর এদিনই নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ। রাজ্যের বিধানপরিষদের নির্বাচনে ভোট কাটাকাটির পরই একনাথ মহারাষ্ট্র ছাড়েন। প্রথমে আশ্রয় নিয়েছিলেন বিজেপি শাসিত গুজরাটে। পরে সেখান থেকে তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে চলে যান আরেক বিজেপি শাসিত রাজ্য আসামে। শিন্ডের দাবি তিনি ও তাঁর অনুগামীরাই আসল শিবসেনা ও বালাসাহেব ঠাকরের আসল উত্তরসুরী। সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবেন এই আশঙ্কায় আগেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বালাসাহেব ঠাকরের ছেলে উদ্ধব ঠাকরের। তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তারপেই সেই পদে বসেছেন একনাথ।  

    আরও পড়ুন: বালাসাহেবের হিন্দুত্বের পথেই চলবে শিবসেনা, জানিয়ে দিলেন শিন্ডে

    মাত্র এক মাসে প্রচারের চড়া আলোয় চলে আসা কে এই একনাথ শিন্ডে?  
     
    দুদশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। প্রচারের আলোয় সেভাবে কখনই আসেননি। চারবারের বিধায়ক শিন্ডে সামলেছেন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। পরিবারের মুখে অন্ন তুলে দিতে একসময় অটোও চালিয়েছিলেন। ৫৮ বছরের সেই একনাথ শিণ্ডেই এবার মহারাষ্ট্রের কুর্সিতে। থানেতে মহারাষ্ট্রের ভিত শক্ত করার পিছনে বড় ভূমিকা ছিল শিন্ডের। ২০০৪ সালে শিবসেনার থানে জেলা প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি।   

    ১৯৬৪ সালে সাতারাতে জন্ম একনাথের। একাদশ শ্রেণির পর পড়াশোনা ছেড়ে দেন তিনি। ১৯৮০ সালে বালাসাহেব ঠাকরের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শিবসেনা যোগ দেন। সেই সময় একাধিক আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন একনাথ। একদা থানে শহরের অটো ড্রাইভার শিণ্ডে ধীরে ধীরে দলে পরিচিতি লাভ করতে থাকেন। শীর্ষ নেতৃত্বের নজরেও আসেন। ১৯৯৭ সালে থানে পুরনিগমের কর্পোরেটর পদে বড় ব্যবধানে জয় লাভ করেন। 

    আরও পড়ুন: বিজেপির মাস্টারস্ট্রোক! মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় শিবসেনাই, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে

    ২০০১ সালে থানে পুরনিগমের দলনেতা হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০৪ অবধি ওই পদে ছিলেন শিন্ডে। ২০০৪ সালে বিধানসভার টিকিট পান। বড় ব্যবধানে জেতেন সেবার। তার পর ২০০৯, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালেও জেতেন ওই একই কেন্দ্র থেকে। ২০১৯ সালে মহাবিকাশ আঘাড়ি সরকারের নগরোন্নয়ন ও পূর্ত দফতরের মন্ত্রী হন একনাথ। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বিধান পরিষদের সদস্য হওয়ায় বিধানসভার দলনেতার দায়িত্ব পান শিন্ডে। 

    মহারাষ্ট্র-কর্ণাটক সীমান্ত সমস্যার প্রতিবাদের কারণে ৪০ দিন জেলেও কাটিয়েছেন মহারাষ্ট্রের এই মুখ্যমন্ত্রী। মহারাষ্ট্র দাঙ্গার সময় তিনি এক মা-ছেলেকে নিজে গাড়ি চালিয়ে হাসপাতালেও পৌঁছে দেন। 

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে ৭টা নাগাদ একনাথ শিন্ডে শপথ নেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। বৃহস্পতিবারই তিনি দেখা করেছেন রাজ্যপালের সঙ্গে। 

     

     

LinkedIn
Share