Blog

  • Bihar Police: বিহারে লকআপে আটক পাঁচ পুলিশ অফিসার! কাজে গাফিলতিতে ‘শাস্তি’?

    Bihar Police: বিহারে লকআপে আটক পাঁচ পুলিশ অফিসার! কাজে গাফিলতিতে ‘শাস্তি’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেল তৈরি করা হয় অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য। কিন্তু কারাগারে যদি পুলিশকেই আটকে রাখা হয়, তবে কেমন হয় ব্যাপারটা, কখনও ভেবে দেখেছেন? তবে এমনটাই ঘটল বিহারের নওয়াদা শহরের একটি থানায়। জানা গিয়েছে, বিহার পুলিশের ৫ আধিকারিককে ২ ঘণ্টা জেলবন্দি করলেন জেলার এসপি। আর এই ঘটনার ভিডিও মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে চর্চা।

    সূত্রের খবর, তাঁদের কাজে অখুশি হয়েই নাকি এসপি তাঁদের এমন শাস্তি দিয়েছেন। যদিও এসপি গৌরব মাঙ্গলা এই ঘটনাকে পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। কিন্তু এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও, ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ। সেখানেই দেখা গিয়েছে, লকআপের ভিতরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন পুলিশকর্মীরা।

    ঘটনাটি বৃহস্পতিবার রাতের। নাওয়াদা জেলার নাভাদা নগর থানায় ডিউটিতে থাকা ৫ পুলিশ কর্মীর কাজে অসন্তুষ্ট হয়ে তাঁদেরকেই ২ ঘন্টার জন্য লকআপে রেখে দেন পুলিশ এসপি গৌরব মাঙ্গলা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন,  তিন অ্যাসিস্টেন্ট সাব-ইন্সপেক্টর এবং দুই সাব-ইন্সপেক্টর। তাঁরা হলেন সাব-ইন্সপেক্টর শত্রুঘ্ন পাসওয়ান এবং রামরেখা সিং; এএসআই সন্তোষ পাসওয়ান, সঞ্জয় সিং এবং রামেশ্বর উরাওন। তারপর দেখা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যরাতে ছেড়ে দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: মোবাইল অ্যাপ সংক্রান্ত প্রতারণার মামলায় হানা ইডি-র, কীভাবে অপারেশন চালাত অভিযুক্ত আমির?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, পুলিশ এসপি গৌরব মাঙ্গলা নাভাদা নগর পুলিশ স্টেশন পরিদর্শনের জন্য রাত ৯টা নাগাদ গিয়েছিলেন। সেখানেই কাজে গাফিলতি দেখে ও অসন্তুষ্ট হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ও পাঁচ পুলিশ কর্মীকে লকআপে আটকে রাখার নির্দেশ দেন তিনি। যদিও তাঁরা কাজে কী গাফিলতি করেছিল, সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।

    এই পুরো ঘটনাটি অস্বীকার করেন গৌরব মাঙ্গলা। থানার ইনচার্জ বিজয় কুমার সিং-ও তাঁর কথাতেই সম্মতি জানান। যদিও পরের দিনই হোয়াটসঅ্যাপে সিসিটিভি ফুটেজটি ভাইরাল হয়ে যায়, যেখানে তাঁদের লকআপের ভিতরে বন্দি থাকতে দেখা যায়। দু ঘণ্টা বাদে প্রায় মাঝরাতে তাঁদের লকআপ থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

    এরপরেই বিহার পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মৃত্যুঞ্জয় কুমার সিং জানান, তিনি ওই ঘটনার পরই এসপি-এর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। ফলে গতকাল তিনি এই ঘটনার তদন্ত দাবি করে নির্দেশিকা জারি করেছেন। তিনি আশঙ্কা করেছিলেন যে, এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এই সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট করে দিতে পারে গৌরব মাঙ্গলা। তাই অবিলম্বে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করা ও এসপির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার দাবি জানান মৃত্যুঞ্জয় কুমার সিং।

  • Chinook: চিনকে টক্কর দিতে চিনুকের জন্য অরুণাচলে তৈরি হচ্ছে নয়া হেলিপ্যাড

    Chinook: চিনকে টক্কর দিতে চিনুকের জন্য অরুণাচলে তৈরি হচ্ছে নয়া হেলিপ্যাড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখ ও অরুণাচল সীমান্তে চিনের সঙ্গে ভারতের বৈরিতা লেগেই আছে। যদিও গোগরা-হটস্প্রিং এলাকা থেকে সেনা সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দেশ। কিন্তু পাকিস্তান বা চিনকে পুরোপুরি ভরসা করা যায় না, এমনই অভিমত কুটনৈতিক মহলের। অতীতেও বহুবার শান্তি ফেরাতে উদ্যোগী হয়েও পিছিয়ে এসেছে প্রতিবেশী এই দুই দেশ। তাই দেশের নিরাপত্তার খাতিরে কোনওরকম সমঝোতায় নারাজ ভারত। কারুর জমি অধিগ্রহণ নয় কিন্তু নিজের মাটিতে অনুপ্রবেশও বরদাস্ত করবে না ভারতীয় সেনা। তাই অরুণাচল প্রদেশে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সবসময় টহল দিচ্ছে ভারতীয় সেনা। এম ৭৭৭ হাউইৎজারও মোতায়েন করা হয়েছে এই এলাকায়। 

    আরও পড়ুন: সীমান্তে শান্তি কাম্য! আজ লাদাখে সেনাপ্রধান, গোগরা-হটস্প্রিং থেকে সরছে ভারত ও চিনের সেনা

    মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পকে সামনে রেখে নানা আধুনিক সমরাস্ত্রে সেজেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। লাইট মেশিন গান, অ্যাসল্ট রাইফেল, রকেট লঞ্চার সহ নানা উন্নত অস্ত্র রয়েছে সেনার কাছে। সূত্রের খবর, চিনুক হেলিকপ্টারকেও মোতায়েন করা হচ্ছে পূর্ব ভারতের সীমান্তে। সেনারা যাতে অরুণাচলের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় অতি দ্রুত পৌঁছে যেতে পারে তাই চিনুক হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে নয়া হেলিপ্যাড।

    আরও পড়ুন: ফের জাল নোটের কারবার! আসামে জাল নোট ও জাল নোট তৈরি করার মেশিন সহ গ্রেফতার ৪ জন

    একই সঙ্গে সীমান্ত বরাবর নতুন স্যাটেলাইট টার্মিনালেরও ব্যবস্থা করছে সেনা। পারস্পরিক যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যেই এই বিশেষ ব্যবস্থা। এ প্রসঙ্গে ব্রিগেডিয়ার ঠাকুর মায়াঙ্ক সিনহা জানিয়েছেন, আরও দক্ষ সেনা কাম্য। তাই সেনার প্রশিক্ষণ ও নয়া সমরাস্ত্রের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, নতুন যে অস্ত্রগুলি সেনা পাচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম হল ইজারেয়েলে তৈরি নাগেভ লাইট মেশিন গান, মার্কিন অ্যাসাল্ট রাইফেল, সুইডিশ রকেট লঞ্চার। আমেরিকায় তৈরি বিভিন্ন গাড়িও যুক্ত করা হচ্ছে। এই গাড়িগুলি দুর্গম অঞ্চল পর্যন্ত চলে যেতে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • PM Modi: যখন প্রধানমন্ত্রী মোদি বললেন, ‘দাসত্বের প্রতীক চিরতরে মুছল…’

    PM Modi: যখন প্রধানমন্ত্রী মোদি বললেন, ‘দাসত্বের প্রতীক চিরতরে মুছল…’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্তব্যপথের (Kartavya Path) উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ওই পথের উদ্বোধন করেন তিনি। বলেন, এক সময় যেটি পরিচিত ছিল কিংসওয়ে (King’s Way) নামে, পরে হল রাজপথ, যেটা এতদিন দসত্বের (Slavery) প্রতীক হিসেবে ছিল, এবার তার ঠাঁই হল ইতিহাসে। এদিন ইন্ডিয়া গেটের (India Gate) সামনে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর একটি ২৮ ফুট উঁচু মূর্তির আবরণও উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।

    এদিন রাষ্ট্রপতিভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত বিস্তৃত এই কর্তব্যপথের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। খরচ হয়েছে ৪৭৭ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কর্তব্যপথের মধ্যে দিয়ে জন্ম নিল এক নয়া ইতিহাস। আর এই যে দেখছেন নেতাজির মূর্তি, তিনি আমাদের পথ দেখাবেন, প্রেরণা জোগাবেন দেশকে।

    মোদি বলেন, একদা রাজপথ থেকে কর্তব্যপথে উত্তরণ একটি প্রতীকী বিষয়। জনগণের সম্পত্তি ও ক্ষমতায়নের এটি একটি উদাহরণ। এই সময় চলছে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব। তাই জাতি এদিন থেকে একটি নতুন প্রেরণা পাবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা নতুন রঙে ভবিষ্যতের ছবি রাঙিয়ে তুলছি। অতীতকে পিছনে ফেলে এগিয়ে চলেছি। আজ সর্বত্রই এক নয়া আলোকছটা দেখা যাচ্ছে। এই আলোকছটা নিউ ইন্ডিয়ার আত্মবিশ্বাসের। তিনি বলেন, কিংসওয়ে অথবা রাজপথ দাসত্বের প্রতীক। আজ থেকে চিরতরে মুছে গেল। এদিন কর্তব্যপথ থেকে সূচনা হল এক নয়া ইতিহাসের। স্বাধীনতার এই অমৃত কালে আরও একটি দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পাওয়ায় দেশবাসীকে অভিনন্দন জানাই। জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধ দেশের মহিমার প্রতিনিধিত্ব করছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। কর্তব্যপথ তৈরি করেছেন যেসব শ্রমিক এদিন তাঁদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, তাঁরা কেবল এটা তৈরি করেননি, তাঁরা কর্তব্যের নয়া পথ বাতলেছেন। আগামী প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে তাঁরা যে তাঁর অতিথি হতে চলেছেন, এদিন সে খবরও জানান প্রধানমন্ত্রী। দেশবাসীকে কর্তব্যপথ দেখার আহ্বানও জানান মোদি। বলেন, এই রাস্তার উন্নয়নে আপনি ভবিষ্যতের ভারতকে দেখতে পাবেন। এখানে এলে যে শক্তি পাবেন, তা আপনার জীবনে জন্ম দেবে এক নতুন বিশ্বাসের।

    আরও পড়ুন : ‘নেতাজির আদর্শ অনুসরণ করলে আজ ভারত কোথায় পৌঁছে যেত…’, বললেন মোদি

    প্রসঙ্গত, এই কর্তব্যপথ মোদি সরকারে সেন্ট্রাল ভিস্তা রিডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্টের অংশ। এই প্রোজেক্টে হবে ত্রিকোণাকার পার্লামেন্ট বিল্ডিং, সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট, প্রধানমন্ত্রীর নয়া বাসভবন ও অফিস এবং উপরাষ্ট্রপতির নয়া এনক্লেভ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Centre-States Science Conclave: আন্তর্জাতিক উদ্ভাবন সূচকে ৮১ থেকে ৪৬তম স্থানে ভারত, বিজ্ঞান সম্মেলনে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Centre-States Science Conclave: আন্তর্জাতিক উদ্ভাবন সূচকে ৮১ থেকে ৪৬তম স্থানে ভারত, বিজ্ঞান সম্মেলনে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমৃত কালের এই সময়ে গবেষণা ও আবিষ্কারের আন্তর্জাতিক কেন্দ্রে পরিণত করতে হবে ভারতকে। কেন্দ্র-রাজ্য বিজ্ঞান সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশের রাজ্যগুলিকে অন্যান্য রাজ্য থেকে সেরা অনুশীলনগুলি গ্রহণ করতে হবে। দেশে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির উন্নয়নে তা কার্যকরী পদক্ষেপ।” 

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আহমেদাবাদের সায়েন্স সিটিতে আয়োজিত দুদিনের কেন্দ্র-রাজ্য বিজ্ঞান সম্মেলনের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একবিংশ শতাব্দীর নতুন ভারতের বিকাশের জন্য, বিজ্ঞান সমস্ত ক্ষেত্রের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিজ্ঞান সব কিছুর সমাধান। বিবর্তনের ভীত। এই অনুপ্রেরণা নিয়েই আজকের নতুন ভারত, জয় জওয়ান, জয় কিষাণ, জয় বিজ্ঞানের পাশাপাশি জয় অনুসন্ধানের ডাকে এগিয়ে চলেছে।” 

    আরও পড়ুন: তথ্য ডিজিটালাইজ করার প্রক্রিয়া শুরু, কীভাবে পাবেন ডিজিটাল হেলথ কার্ড, জানুন

    এদিন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “আমরা যখন আমাদের বিজ্ঞানীদের কৃতিত্ব উদযাপন করি, তখন বিজ্ঞান আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতির অংশ হয়ে ওঠে। আমি সকলকে আমাদের বিজ্ঞানীদের জয় উদযাপন করার আহ্বান জানাই।” প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, “২০১৪ সালের পর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৫ সালে ভারতের অবস্থান ছিল ৮১ তম স্থানে। সরকারের প্রচেষ্টার কারণে বর্তমানে ভারত আন্তর্জাতিক উদ্ভাবন সূচকে ৪৬ তম স্থানে রয়েছে।”

    শনিবার ভার্চুয়ালি কেন্দ্র-রাজ্য সায়েন্স কনক্লেভের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আহমেদাবাদের সায়েন্স সিটিতে এই কনক্লেভের আয়োজন করা হয়েছে। দেশের প্রায় সব রাজ্যের সরকারই এই কনক্লেভে অংশগ্রহণ করেছে। তবে এই অনুষ্ঠান থেকে নিজেদের দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুটি রাজ্য। বিহার ও ঝাড়খণ্ড এই অনুষ্ঠানে তাঁদের অনুপস্থিতির কোনও কারণও সরকারিভাবে জানায়নি।

    দেশজুড়ে একটি শক্তিশালী বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের (STI) ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয় এবং সহযোগিতার প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করার জন্যই এই কনক্লেভের আয়োজন করা। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার ছাড়াও এই কনক্লেভে যোগ দিয়েছেন বড় বড় শিল্পপতি, তরণ বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবকরা। ডিজিটাল স্বাস্থ্য পরিষেবা, কৃষকদের আয়ের উন্নতির জন্য প্রযুক্তিগত পদক্ষেপ, স্বচ্ছতা এবং পানীয় জল উৎপাদন ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে এই সম্মেলনে। 

    আরও পড়ুন: চিতা বাঁচাতে কুনো ন্যাশনাল পার্ক এলাকায় হাজার কুকুরকে অ্যান্টি র‌্যাবিস প্রতিষেধক

    অনেকেই মনে করছেন রাজনৈতিক কারণেই বিহার এবং ঝাড়খণ্ড এই সম্মেলন থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছে। সম্প্রতি বিহারে এনডিএ-জেডিইউ সরকারের পতন হয়েছে। জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার বিজেপির হাত ছেড়ে আরজেডি ও কংগ্রেসের সঙ্গে সরকার গঠন করেছে। বর্তমানে নীতীশ ও বিজেপির সম্পর্কেরও অবনতি হয়েছে। এদিকে ঝাড়খণ্ডে এখনও রাজনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতি চলছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে সেই কারণেই এই অনুপস্থিতি। 

  • Apple: আইফোন ১৪ ছাড়া কী কী লঞ্চ হল অ্যাপেল ইভেন্টে, জানেন?

    Apple: আইফোন ১৪ ছাড়া কী কী লঞ্চ হল অ্যাপেল ইভেন্টে, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ জেস্ক: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে লঞ্চ হল আইফোন ১৪ সিরিজ (iPhone 14 Series)। বহুদিন ধরে অ্যাপেল ইভেন্টের জন্য আশায় বসেছিলেন ‘আইফোন লাভার’। গতকাল, ৭ সেপ্টেম্বর অ্যাপেল ইভেন্টের আয়োজন করেছিল। অনেকদিন ধরেই আইফোন ১৪ সিরিজ নিয়ে আলোচনা চলছিল। তবে এদিন শুধুমাত্র স্মার্টফোন নয়, আইফোনের পাশাপাশি আরও অনেক গ্যাজেট লঞ্চ করেছে। তবে গতকালের এই ইভেন্টে মূল আকর্ষণ ছিল আইফোন ১৪ সিরিজ। ফলে আইফোন প্রেমীদের উৎসাহের কোনও শেষ ছিল না।

    এই ইভেন্টে অ্যাপেল ৪টি মডেলের আইফোন লঞ্চ করেছে। এগুলো হল- আইফোন ১৪ (iPhone 14) এবং আইফোন ১৪ প্লাস (iPhone 14 Plus), আইফোন ১৪ প্রো (iPhone 14 Pro), আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্স (iPhone 14 Pro Max)। এর পাশাপাশি লঞ্চ হয়েছে অ্যাপেল ওয়াচ ৮ (Apple watch 8) , অ্যাপেল ওয়াচ এসই (Apple watch SE), অ্যাপেল ওয়াচ আলট্রা (Apple watch Ultra), এয়ারপড প্রো ২ (Airpods Pro 2)।

    অ্যাপেল এই গ্যাজেটগুলোতে কী কী নতুন ফিচার এনেছে, তা বিস্তারিত দেখে নিন-

    আইফোন ১৪

    এই ফোনটিতে আইফোন ১৩ থেকে খুব একটা তফাত নেই। তবে এর মূল্য ৭৯৯ ডলার। প্রায় ৬৩,৭০০ টাকা। এতে A 15 সিস্টেমের চিপ ব্যবহার করা হয়েছে এবং এতে ১২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা রয়েছে। আইফোন ১৪ মডেলে ৬.১ ইঞ্চির ডিসপ্লে থাকতে পারে।

    আইফোন ১৪ প্লাস

    আইফোন ১৪ -এর বড় ভার্সনই হল আইউোন ১৪ প্লাস, এতে ৬.৭ ইঞ্চার ডিসপ্লে রয়েছে। তাছাড়া বাকি সব ফিচার আইফোন ১৪ -এর মতই। iPhone 14 Plus-এর দাম ৮৯৯ ডলার (প্রায় ৭১,৬০০ টাকা) থেকে শুরু হয়েছে।

    আইফোন ১৪ প্রো ও আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্স

    আইফোন ১৪ প্রো ও আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্স – একটি নতুন ডায়নামিক আইল্যান্ড নচ ডিজাইন নিয়ে এসেছে। আইফোন ১৪ প্রো তে ৬.১-ইঞ্চি ডিসপ্লে ও আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্সে ৬.৭-ইঞ্চি ডিসপ্লের থাকবে। উভয়ই অ্যাপল ফোনেই A16 বায়োনিক চিপসেট রয়েছে। এছাড়াও ৪৮ মেগাপিক্সেলের মেন ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে ফোনে। আইফোন ১৪ প্রো -এর দাম শুরু হচ্ছে ৯৯৯ ডলার (প্রায় ৭৯,৬০০ টাকা), যেখানে আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্স এর দাম শুরু হচ্ছে ১০৯৯ ডলার (প্রায় ৮৭,৬০০ টাকা)।

    আরও পড়ুন: নিলাম হল ২০০৭ সালের প্রথম প্রজন্মের আইফোন! দাম শুনলে অবাক হবেন…

    অ্যাপেল ওয়াচ ৮

    এই ওয়াচে থাকবে অল ডে ব্যাটারি লাইফ।  এর দাম শুরু হবে  ৩৯৯ ডলার (প্রায় ৩১,৮০০ টাকা) থেকে। কেবল GPS  ফিচার এই দামে পাওয়া যাবে। এছাড়াও স্লিপ ট্র্যাকিং, ইসিজি, ব্লাড অক্সিজেন ট্র্যাকিং ছাড়াও টেমপারেচার ট্র্যাকিং থাকছে এই ওয়াচ সিরিজে। মহিলাদের পিরিয়ড সাইকেলের বিষয়েও সতর্ক করবে এই স্মার্টওয়াচ।

    অ্যাপেল ওয়াচ এসই

    সিরিজ ৮-এর মতো একই মোশন সেন্সর, ক্র্যাশ ডিটেকটর বৈশিষ্ট্যগুলিও রয়েছে৷ GPS -এর জন্য এটির দাম ২৪৯ ডলার অর্থাৎ প্রায় ১৯,৯০০ টাকা।

    অ্যাপেল ওয়াচ আলট্রা

    অ্যাপলের দাবি, সবথেকে টেকসই স্মার্টওয়াচ হতে চলেছে আল্ট্রা। এর দাম শুরু হচ্ছে ৭৯৯ ডলার (প্রায় ৬৩,৭০০ টাকা) থেকে।

    এয়ারপডস প্রো ২

    অ্যাপেল সংস্থা তাদের লঞ্চ ইভেন্টে নতুন এয়ারপডস প্রো ২ লঞ্চ করেছে। এতে স্প্যাশিয়াল অডিও এবং আরও ভাল নয়েজ ক্যানসেলেশনের প্রযুক্তি ছাড়াও আরও অনেক বৈশিষ্ট্য দেওয়া হয়েছে। AirPods Pro 2-এর দাম রাখা হয়েছে ২৪৯ ডলার (প্রায় ১৯,৯০০ টাকা)। এটির ৬ ঘণ্টার ব্যাটারি লাইফ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • F-16 Support To Pak: পাকিস্তানকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ দেওয়ার মার্কিন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ভারত  

    F-16 Support To Pak: পাকিস্তানকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ দেওয়ার মার্কিন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ভারত  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানকে (Pakistan) সাড়ে চারশো কোটি মার্কিন ডলার অর্থমূল্যের এফ-১৬ যুদ্ধ বিমানের (F-16 Fighter) যন্ত্রাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকার (US) জো বাইডেন প্রশাসন। বিষয়টিকে ভালভাবে নিচ্ছে না ভারত (India)। যদিও আমেরিকা কোয়াড সদস্যভুক্ত দেশ এবং ভারতের ঘনিষ্ঠ, তা সত্ত্বেও বাইডেন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে ভালভাবে নিচ্ছে না নয়াদিল্লি। সাউথ ব্লকের এহেন মনোভাব কূটনৈতিক মহলের মাধ্যমে ওয়াশিংটনকে জানিয়েও দিয়েছে মোদি প্রশাসন।

    সন্ত্রাসবাদ নির্মূলকরণের লক্ষ্যে পাকিস্তানকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ দিতে রাজি হয়েছে আমেরিকা। তবে আসল কারণ অন্য। তা হল, পাকিস্তানকে যুদ্ধ বিমানের যন্ত্রাংশ সরবরাহ করে আমেরিকা ভারতকে এই বার্তা পৌঁছে দিতে চায়, যে এই অস্ত্র সাহায্যের কোনও প্রভাব ভারতের ওপর পড়বে না। তাছাড়া ভারতীয় উপমহাদেশে বজায় থাকবে মিলিটারি ব্যালেন্সও।

    ঘটনার জেরে যারপরনাই ক্ষুব্ধ মোদি সরকার। বাইডেন প্রসাসনকে তারা জানিয়ে দিয়েছে, ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারত পাকিস্তানের বালাকোটে জইশ-ই মহম্মদরে ডেরায় হানা দেয়। তার ঠিক আগের দিন ওই যুদ্ধ বিমান ব্যবহার করেছিল পাকিস্তান। সেরকম ঘটনা ফের ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করে ভারত।

    আরও পড়ুন : তিন দশকে প্রথম কোনও লস্কর জঙ্গির দেহ গ্রহণ করল পাকিস্তান! কীভাবে হল হস্তান্তর?

    পাকিস্তান এবং মার্কিন পর্যবেক্ষকদের বিশ্বাস, বেশ কয়েকটি কারণে রাওয়ালপিন্ডিকে এফ-১৬ যুদ্ধ বিমান দিতে রাজি হয়েছে আমেরিকা। এগুলি হল, রাশিয়ার বিরুদ্ধে গিয়ে ইউক্রেনকে অস্ত্র সাহায্য করেছে পাক সেনা প্রধান জেনারেল বাজওয়া। দ্বিতীয়ত, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যখন প্রধানমন্ত্রিত্বের পদ থেকে সরে যান, তখন নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়েছিল বাজওয়ার নেতৃত্বাধীন পাক সেনা। এটা তার পুরস্কার। তৃতীয়ত, লাইন অফ কন্ট্রোলে উত্তেজনা কমাতে বাজওয়ার চেষ্টা করে চলেছেন। এটা তার স্বীকৃতিও হতে পারে।

    তবে যুদ্ধ বিমান দিয়ে আমেরিকা পাকিস্তানকে সাহায্য করছে না, তারা দিচ্ছে এফ-১৬ মেরামতের সরঞ্জাম। পাক সেনার মিলিটারি আপগ্রেডেশন কিংবা নতুন কোনও অস্ত্রশস্ত্রও দিচ্ছে না বাইডেনের দেশ। আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের তরফে ভারতকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে একথা। পাক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা, পাকিস্তানকে এফএটিএফের ধূসর তালিকা থেকে বের করার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে আমেরিকা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: আগুনে পুড়ছে খাকি প্যান্ট, কংগ্রেসের এহেন ছবির প্রেক্ষিতে কী বললেন হিমন্ত?  

    Himanta Biswa Sarma: আগুনে পুড়ছে খাকি প্যান্ট, কংগ্রেসের এহেন ছবির প্রেক্ষিতে কী বললেন হিমন্ত?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসকে (Congress) মোক্ষম জবাব দিলেন আসামের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির (BJP) হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। একটি খাকি (Khaki) প্যান্ট পোড়ানো হচ্ছে এমন একটি ছবি পোস্ট করা হয় কংগ্রেসের তরফে। এই ছবিকেই হাতিয়ার করেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী। ট্যুইটারে তিনি জওহরলাল নেহেরুর একটি খাকি প্যান্ট পরিহিত ছবি পোস্ট করেন। তার পরেই প্রশ্ন তোলেন, আপনারা এটাকেও আগুনে পোড়াবেন…।

    সম্প্রতি খাকি পরিহিত নেহেরুর একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছবি দেখিয়ে দাবি করা হয়েছে, খাকি পরে আরএসএসের বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন নেহেরু। যদিও তথ্য যাচাইকারী সংস্থার দাবি, খাকি পরে নেহরু আরএসএসের অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। ওটি কংগ্রেস সেবাদলের ইউনিফর্ম। ওই পোশাক পরে কংগ্রেসের সেবাদলের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুন : রাজ্যে বিজেপি সরকার গড়লে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডিএ দিয়ে দেব! দাবি শুভেন্দুর

    কংগ্রেসের অফিসিয়াল ট্যুইটারে একটি খাকি প্যান্ট পুড়ছে ছবি দেওয়া হয়েছে। এই খাকি প্যান্ট পরেন আরএসএসের স্বেচ্ছাসেবকরা। রাহুল গান্ধী যে ভারত জোড়ো যাত্রা কর্মসূচি নিয়েছেন, তারই অঙ্গ হিসেবে এই ছবি দেওয়া হয়েছে। পরে বলা হয়েছে, দেশকে বিজেপি-আরএসএসের ঘৃণা এবং ক্ষতিকর শৃঙ্খলের হাত থেকে মুক্ত করতে। ধাপে ধাপে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছে যাব। ভারত জোড়ো যাত্রা।

    প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেছে কংগ্রেস। যাত্রা শুরু হয়েছে কেরলের কন্যাকুমারিকা জেলা থেকে। যাবে কাশ্মীর পর্যন্ত। যাত্রা শেষ হবে ১৫০ দিনে। আপাতত যাত্রায় অংশ গ্রহণকারী কংগ্রেস কর্মীরা রয়েছেন কেরলেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • J&K Police: ৩০ লক্ষে এসআই পদ! জম্মু-কাশ্মীরে পুলিশ নিয়োগে দুর্নীতির পর্দাফাঁস সিবিআইয়ের

    J&K Police: ৩০ লক্ষে এসআই পদ! জম্মু-কাশ্মীরে পুলিশ নিয়োগে দুর্নীতির পর্দাফাঁস সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নিয়োগ-দুর্নীতি জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir)। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের সাব ইনস্পেক্টর নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে মঙ্গলবার সকাল থেকে দেশের  বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি অভিযান চালাল সিবিআই (CBI)। এদিন জম্মু, শ্রীনগর, হরিয়ানা, গান্ধীনগর, গাজিয়াবাদ, বেঙ্গালুরু,  দিল্লি-সহ মোট ৩৩টি জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকেরা।

    আরও পড়ুন: সবাইকে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ ! সেজের কর্মীদের জন্য নতুন ভাবনা কেন্দ্র সরকারের

    কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর,জম্মু কাশ্মীর নিয়োগ বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান খালিদ জাহাঙ্গিরের বাড়িতে এদিন  তল্লাশি চালান গোয়েন্দার। জেকেএসএসবির (জম্মু ও কাশ্মীর সার্ভিসেস সিলেকশন বোর্ড) কন্ট্রোলার অফ এক্সামিনেশন অশোক কুমারের বাড়িতেও অভিযান চলে। এছাড়াও জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা, একজন ডিএসপি (ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশ) এবং সিআরপিএফ (সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স)-সহ বেশ কয়েকজনের বাড়িতেই তল্লাশি চালায় সিবিআই।

    আরও পড়ুন: ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার সুখ্যাতি, মার্কিন অ্যাঙ্করকে মোক্ষম জবাব শশী থারুরের

    গত মার্চ মাসে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের  সাব-ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। জুনে পরীক্ষার ফল বের হয়। এরপরেই দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করে। অগাস্ট মাসে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে তদন্তভার তুলে দেয় জম্মু কাশ্মীর প্রশাসন। মোট ৩৩ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। উল্লেখ্য, বেঙ্গালুরুর একটি সংস্থাকে এই নিয়োগ পরীক্ষার দায়িত্ব দিয়েছিল জম্মু কাশ্মীর সার্ভিস সিলেকশন বোর্ড। তাই বেঙ্গালুরুতেও তল্লাশি চালায় গোয়েন্দারা।  জম্মু কাশ্মীর সিলেকসন বোর্ড এবং বেঙ্গালুরুর সংস্থার বিরুদ্ধে কয়েকজন পরীক্ষার্থীকে বেআইনি সুযোগ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, ৩০ লক্ষ টাকা নিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে দেওয়া হয়। পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলে দেখা যায় জম্মু,রাজৌরি এবং সাম্বা থেকে প্রচুর পরীক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। যা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। বিতর্ক দানা বাঁধে। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব হয় অনেকেই। এরপরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে দায়িত্ব তুলে দেয় রাজ্য প্রশাসন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Prabhas: দশেরায় রামলীলায় রাবণের কুশপুতুল দাহ করবেন ‘রাম’ প্রভাস

    Prabhas: দশেরায় রামলীলায় রাবণের কুশপুতুল দাহ করবেন ‘রাম’ প্রভাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছরের মত এবারেও লাভ-কুশ রামলীলা কমিটি (Lav Kush Ramleela Committee) দশেরা (Dussehra) উৎসবে রামলীলার আয়োজন করেছে। কিন্তু এবারের রামলীলা অনুষ্ঠানে কিছু ধামাকাদার হবে বলেই আশা করা হয়েছিল। আর তেমনটাই হল। জানা গিয়েছে, এবারে দশেরায় রাবণের কুশপুতুল দাহ করবেন দক্ষিণের বিখ্যাত সুপারস্টার প্রভাস (Prabhash)। প্রতি বছরের মতো এবারও লাভ কুশ রামলীলা সমিতির তরফে রাবণ দহন অনুষ্ঠান নিয়ে জোরদার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার জনপ্রিয় সুপারস্টার প্রভাসের আগমনে বেশ উচ্ছ্বসিত কমিটির লোকজনসহ প্রভাস অনুরাগীরাও।

    জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই বড়পর্দায় ‘আদিপুরুষ’ (Adipurush) সিনেমায় রামের চরিত্রে আসতে চলেছে বাহুবলী। ‘আদিপুরুষ’ ভারতীয় পৌরাণিক কাহিনির উপর ভিত্তি করে তৈরি ছবি। বক্স অফিসে বেশ ভালো ফলাফল করতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এই আসন্ন ছবি ঘিরে সিনেপ্রেমীদের মধ্যে উন্মাদনের শেষ নেই। ফলে সিনেমা মুক্তি পাওয়ার আগেই প্রভাসকে রামের অবতারে দেখা যাবে, এই কথা জেনেই প্রভাস অনুরাগীদের উত্তেজনার শেষ নেই। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই ছবি বক্স অফিসে ঝড় তুলতে পারে, ভেঙে যেতে পারে আগের সব রেকর্ডও।

    আরও পড়ুন: রণবীরকে সকলের সামনে চড় মারলেন তাঁরই দেহরক্ষী! তারপর যা ঘটল…

    লাভ কুশ রামলীলা সমিতির প্রধান অর্জুন কুমার এই বছরের পরিকল্পনা সম্পর্কে তার উত্তেজনা প্রকাশ করেছেন এবং জানিয়েছেন যে দক্ষিণের শিল্পী প্রভাস তাঁর পরবর্তী ছবি আদিপুরুষে ভগবান শ্রী রামের ভূমিকায় অভিনয় করছেন। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে খারাপের ওপর ভালোর জয়ের বার্তা দেবেন তিনি। সেই কারণেই এবার রাবণ দহনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত প্রভাস। অর্জুন কুমার জানান, প্রতিবারের মতো এবারও রাবণ, কুম্ভকরন ও মেঘনাদের তিনটি কুশপুতুল থাকবে। বাতাসে তীর ছুঁড়ে প্রতিটি কুশপুতুলকে দাহ করবেন অভিনেতা প্রভাস। এর আগে অজয় দেবগন, জন আব্রাহামের মত তারকারা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। এবছর দশেরা উৎসব ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে ও ৫ অক্টোবর বিজয়াদশমী।

    তবে এবারের প্যান্ডেলেও এক নতুন চমক নিয়ে আসতে চলেছে লাভ কুশ কমিটি। কারণ এ বছর প্যান্ডেলের থিম রাখা হয়েছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের আদলে। প্রায় ১০০ ফুটের প্যান্ডেল তৈরি করা হবে। লাভ-কুশ রামলীলা সমিতি লাল কেল্লার মাঠে রামলীলার আয়োজন করবে। বিজয়াদশমীতে দক্ষিণী চলচ্চিত্রের সুপারস্টার প্রভাস উৎসবে যোগ দেবেন এবং রাবণের কুশপুতুল দাহ করবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Durga Puja 2022: বারোয়ারি দুর্গাপুজোর প্রচলন কবে থেকে? প্রবর্তক কারা?

    Durga Puja 2022: বারোয়ারি দুর্গাপুজোর প্রচলন কবে থেকে? প্রবর্তক কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরাণ ও শাস্ত্র সহ বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে আমরা জানতে পারি ভাগবান শ্রীকৃষ্ণই প্রথম দুর্গাপুজো করেছিলেন। তার পরে দেবীর আরাধনা করেছিলেন স্বয়ং প্রজাপতি ব্রহ্মা। তারও পরে দুর্গাপুজো (Durgapujo) করেছিলেন মহাদেব (Mahadev)। পরে আরও অনেক দেবতাই বিপদ থেকে ত্রাণ পাওয়ার জন্য শরণ নিয়েছিলেন মহামায়ার (Mahamaya)। এ তো গেল দেবতাদের দেবী আরাধনার উপাখ্যান। ব্রহ্মার মানস পুত্র মনু মর্তে দুর্গাপুজোর প্রচলন করেছিলেন বলে কোনও কোনও শাস্ত্র রচয়িতার দাবি। সে যাই হোক না কেন এবার আমরা আলোচনা করব বারোয়ারি দুর্গাপুজোর (Baroyari Durgapujo) ইতিহাস নিয়ে।

    ‘বারোয়ারি’ শব্দটির উৎপত্তি ‘বারো’ এবং ‘ইয়ার’ এই দুই শব্দ থেকে। ‘ইয়ার’ শব্দের অর্থ বন্ধু। তাহলে বারোয়ারি বলতে বোঝায় বারো জন বন্ধু। হ্যাঁ, ঠিক তাই। বারোজন বন্ধুই প্রথম একজোট হয়ে দুর্গাপুজো করেছিলেন। তাই এক সঙ্গে যখন অনেকে পুজো করেন, তখন তাকে বলে বারোয়ারি পুজো। এখন অবশ্য ‘বারোয়ারি’ কথাটির বদলে ‘সর্বজনীন’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। তার কারণ, এখন আর বারোজন মিলে কোনও পুজো করেন না, করেন অনেকে মিলে। কোথাও একটা গোটা পাড়া, কোথাও আবার পাড়ার বাইরেও বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঁদা তোলা হয়। তাই বারোয়ারি পুজো এখন বদলে হয়েছে সর্বজনীন।

    এবার আসা যাক আসল কথায়। জানা যায়, ১৭৯০ সালে হুগলির গুপ্তিপাড়ায় বারোজন ব্রাহ্মণ বন্ধু প্রথম চাঁদা তুলে পুজো শুরু করেন। এই পুজোই বারোয়ারি পুজো নামে খ্যাত। মর্ত্যে যখন দুর্গাপুজো শুরু হয়, তখন তা মূলত হত ধনীদের বাড়িতেই। কারণ দুর্গাপুজোর খরচ বিস্তর। পুজোও চার পাঁচ দিনের। তাই ধনীরা পুজো করতেন। কিছু কিছু ব্রাহ্মণ বাড়িতেও পুজো হত। তবে তা নিতান্তই সাদামাটাভাবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুজো হত পট কিংবা যন্ত্রে। সেখানে ধনী গৃহস্থ বাড়িতে পুজো হত প্রতিমা বানিয়ে।

    এক সময় কলকাতায় হাতে গোণা কয়েকটি সর্বজনীন দুর্গাপুজো হত। কালক্রমে পুজোর সংখ্যা বেড়েছে। বেড়েছে আলোর রোশনাই-জৌলুসও। তবে কেবল দুর্গাপুজোই যে সর্বজনীনভাবে হয় তা নয়, বারাসত-ব্যারাকপুরের কালীপুজো, কৃষ্ণনগর, চন্দননগর, বাউড়িয়ার জগদ্ধাত্রীপুজো, উলুবেড়িয়া, কাটোয়া, চুঁচুড়া-বাঁশবেড়িয়া অঞ্চলে কার্তিক পুজো এবং নবদ্বীপের শাক্ত রাসও হয় সর্বজনীনভাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

LinkedIn
Share