Blog

  • Floating Drones:  এবারে নদী থেকে প্লাস্টিক সংগ্রহ করা হবে সহজ! তৈরী করা হল ভাসমান ড্রোন

    Floating Drones: এবারে নদী থেকে প্লাস্টিক সংগ্রহ করা হবে সহজ! তৈরী করা হল ভাসমান ড্রোন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  প্লাস্টিকের ব্যবহারের (Plastic Use) ফলে দূষণ বেড়েই চলেছে। কারণ প্লাস্টিক প্রাকৃতিক উপায়ে মাটিতে মেশে না (Bio-nondegradable)। ফলে বাড়তে থাকে পরিবেশ দূষণের (Environmental Pollution) হার। ক্রমবর্ধমান দূষণের কারণে বিশ্ব উষ্ণায়ন (Global Warming) ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে, তাই এই পরিস্থিতিতে  কিছু আবিষ্কারক এমন যন্ত্র তৈরী করেছে যা নদী, পুকুর, হ্রদের জলে ভেসে থাকা প্লাস্টিক যাতে সমুদ্রে না যেতে পারে তার জন্য ভাসমান ড্রোন তৈরি করা করেছে। প্লাস্টিক দূষণ রোধ করার জন্যই এই ড্রোনগুলো তৈরী করা হয়েছে। এগুলোর আকার, গঠন বিভিন্ন রকমের হতে পারে।

    আরও পড়ুন: ১ জুলাই থেকে দেশে নিষিদ্ধ ‘সিঙ্গল ইউজ’ প্লাস্টিক! নতুন নিয়ম জানেন তো?

    ওয়েস্টসার্ক (WasteShark) নামক এক ড্রোন তৈরী করা হয়েছে যা প্রায় ৪ ফিট দীর্ঘ ও এটি প্রায় ১৬০ লিটার আবর্জনা সংগ্রহ করতে পারবে। এটি একটি ডাচ কোম্পানী তৈরী করেছে। হোয়েল  তিমি হাঙরের অনুকরণে এই ড্রোনটি তৈরী করা হয়েছে। এই ড্রোনটি নদী বা কোনো জলাশয়ের নোংরা আবর্জনা খুব সহজেই সংগ্রহ করতে পারে। একবার এই ড্রোনটি ভরে গেলে তারপর এটি অটোমেটিক্যাালি জলাশয়ের ধারে আসায় তারপর এটি থেকে খুব সহজেই আবর্জনা বের করে নেওয়া হয়। জলাশয়ের প্লাস্টিকগুলো সমুদ্রে পৌঁছনোর আগেই আবর্জনা গুলো পরিস্কার করে নেওয়া যায়। ওয়েস্টসার্ক কোনো হ্রদ বা জলাশয়ের জন্য উপযুক্ত।

    আরও পড়ুন: ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস, জেনে নিন এই দিনের তাৎপর্য

    এই ওয়েস্টসার্ক ছাড়াও ‘ফ্লোটিং ট্র্যাস ব্যারিয়ার’ (Floating Trash Barrier) নামক ড্রোনটি ২২০০ টন প্লাস্টিক সংগ্রহ করতে পারে। এটিকে পরে আরও উন্নত করা হয় যাতে এই ড্রোনটি জলাশয় থেকে ক্ষতিকারক তেলও সংগ্রহ করে জলকে পরিশ্রুত করে তুলতে পারে। ‘মিস্টার ট্র্যাস হুইল’ (Mr Trash Wheel) নামেও একটি ভাসমান ড্রোন তৈরী করা হয়, যেটি নদী থেকে প্লাস্টিক, বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করতে পারে। জল থেকে বর্জ্য পদার্থ বা প্লাস্টিক সংগ্রহ করতে এইসব নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে।

  • Maharashtra political crisis: সঙ্কট আরও ঘনীভূত,  বুধেই পদত্যাগ করছেন উদ্ধব ঠাকরে?

    Maharashtra political crisis: সঙ্কট আরও ঘনীভূত,  বুধেই পদত্যাগ করছেন উদ্ধব ঠাকরে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) ডামাডোল। করোনা (Covid) সংক্রমিত হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। ওই একই কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন রাজ্যপালও। এদিকে, নিভৃতবাসে থেকে অনুগামী বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সকাল থেকে খবর ছড়িয়ে পড়ে, পদত্যাগ করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে ভার্চুয়াল বৈঠকে ঠিক হয়, আপাতত পদত্যাগ করছেন না উদ্ধব। অন্যদিকে, এদিন বিকেল পাঁচটার মধ্যে গুয়াহাটি থেকে ‘বিদ্রোহী’ বিধায়কদের মুম্বাই ফিরতে বলেছেন শিবসেনা নেতৃত্ব। এদিকে, এদিন একটি চার্টার্ড বিমানে করে চার বিধায়ককে নিয়ে গুয়াহাটি উড়ে যান মহারাষ্ট্রের বিজেপি সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাটিল।

    আরও পড়ুন : উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে একনাথ শিন্ডের ‘বিদ্রোহের’ নেপথ্য কারণ কী?

    ‘নরম হিন্দুত্ব’ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিদ্রোহী মন্ত্রী একনাথ শিন্ডের সম্পর্কে চিড় ধরে। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে হনুমান চালিশা পাঠ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার পর গ্রেফতার করা হয় বিজেপি সাংসদ নবনীত রাণা ও তাঁর বিধায়ক স্বামী রবি রাণাকে। এর পরেই উদ্ধব এবং একনাথের সম্পর্কের ফাটল চওড়া হয়। তার পরেই সঙ্গী ৪০ জন বিধায়ককে নিয়ে একনাথ প্রথমে চলে যান বিজেপি শাসিত গুজরাটে। সেখান থেকে মধ্য রাতে উড়ান ধরেন গুয়াহাটির। একনাথের দাবি, তাঁর সঙ্গে রয়েছেন ৪৬ জন বিধায়ক। তার মধ্যে ৩৪ জনই নেতা হিসেবে মেনে নিয়েছেন তাঁকে। 

    পরিস্থিতি সামাল দিতে এদিন বেলা একটায় বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগেই করোনা ধরা পড়ে তাঁর। তার আগে করোনা সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন রাজ্যপাল। পরে দলীয় বিধায়কদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন উদ্ধব। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, এখনই পদত্যাগ করছেন না মুখ্যমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন : কাউন্সিলর থেকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী, কে এই দ্রৌপদী মুর্মু?

    এদিকে, বিদ্রোহী বিধায়কদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি চিঠি দিয়েছে শিবসেনা। এদিনই বিকেল পাঁচটার মধ্যে গুয়াহাটি থেকে মুম্বাই ফিরতে বলা হয়েছে তাঁকে। তা না হলে তাঁদের বহিষ্কার করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বলেন, যতক্ষণ না সব বিধায়ক গুয়াহাটি থেকে ফিরে আসবেন, ততক্ষণ দলের তরফে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।  

     

    এদিকে, বিদ্রোহী বিধায়কের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই দাবি একনাথের। তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে ৬ নির্দল সহ ৪৬ জন বিধায়ক রয়েছেন। এই সংখ্যা ক্রমশ বাড়বে। এখনও পর্যন্ত আমরা বিজেপির তরফে কোনও প্রস্তাব পাইনি। তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনাও চলছে না। তবে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে তাঁদের আর আলোচনার কোনও সম্ভাবনাই নেই বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন একনাথ।

    ডামাডোলের এই পরিস্থিতিতে এদিনই বিকেলে বৈঠকে বসতে চলেছেন এনসিপি নেতৃত্বও। তবে এই মুহূর্তে সরকারের কোনও সঙ্কট নেই বলেই দাবি কংগ্রেসের।

     

  • Militants Killed: অমরনাথ যাত্রার আগেই কাশ্মীরে জোড়া এনকাউন্টারে খতম ৪ জঙ্গি

    Militants Killed: অমরনাথ যাত্রার আগেই কাশ্মীরে জোড়া এনকাউন্টারে খতম ৪ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কাশ্মীরে (Kashmir) জঙ্গি (Terrorist) দমনে বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে (Anti-Militancy Operation) চলাকালীন মঙ্গলবার কাশ্মীরে ৪ জন জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। গত তিনদিনে মোট ১১ জন জঙ্গিকে নিকেশ করে কাশ্মীর পুলিশ (Kashmir Police)।

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কাশ্মীরের পুলওয়ামার (Pulwama) তুজ্জান গ্রামে সোমবার রাত থেকে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই চলেছে পুলিশের। তখনই জইশ-ই-মহম্মদের (Jaish-e-Muhammad) দুই জঙ্গিকে মঙ্গলবার সকালে নিকেশ করা হয়। এর মধ্যে একজন ছিলেন মজিদ নাজির ওয়ানি (Majid Nazir Wani, যে ফারুখ আহমেদ (Farooq Ahmed) নামে পুলিশকর্মীর খুনের সঙ্গে জড়িত ছিল। আরেকজন জঙ্গির নাম আবিদ আহমেদ শেখ (Abid Ahmad Sheikh)।

    আরও পড়ুন: কাশ্মীরে গুলির লড়াইয়ে খতম ৭ জঙ্গি

    অন্য়দিকে, উত্তর কাশ্মীরের সোপোর (Sopore) এলাকায় পুলিশ, সেনা ও সিআরপিএফ-এর যৌথ অভিযানে আরও দুজন জঙ্গিকে খতম করা হয়। এই দুজন জঙ্গি লস্কর-ই-তৈবা (Laskar-e-Taiba) সংগঠনের ও এরা সোপোরের টালিবাল এলাকায় গুলি চালাতে শুরু করলে এনকাউন্টারে এদের মৃত্যু হয়, পুলিশ সূত্রে খবর।

    আগামী ৩০ জুন থেকে শুরু হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা (Amarnath Yatra)। সেই সময় পুণ্যার্থীদের উপরে হামলা চালানো হবে, এমন হুমকি দিয়ে রেখেছে বেশ কিছু জঙ্গি সংগঠন। সেই কারণেই বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। চলতি মাসেই ২৮ জন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়, এর মধ্যে ১১ জনকে গত তিনদিনেই খতম করা হয়। এই বছরে এখনও পর্যন্ত মোট ১১৮ জন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে বলে কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকায় নিহত পাঁচ জঙ্গি

    যদিও কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার (Vijay Kumar) জানিয়েছেন, এই অভিযানের সঙ্গে অমরনাথ যাত্রার কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁদের প্রধান উদ্দেশ্য হল জঙ্গিদের সংখ্যা কমিয়ে সাধারণ মানুষের মন থেকে সন্ত্রাসের আতঙ্ককে সরিয়ে ফেলা। কাশ্মীরে শান্তি ফিরিয়ে আনাই তাঁদের প্রধান লক্ষ্য। এখনও কাশ্মীর উপত্যকার তিনটি জায়গায় বিদেশের জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে।

  • Maharashtra Political Crisis: মহারাষ্ট্রে সংকটে উদ্ধব-সরকার! নিখোঁজ মন্ত্রী সহ ২৭ বিধায়ক

    Maharashtra Political Crisis: মহারাষ্ট্রে সংকটে উদ্ধব-সরকার! নিখোঁজ মন্ত্রী সহ ২৭ বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) জোর সংকটে উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) সরকার। প্রায় ২৬ জন বিধায়ক (MLA) নিয়ে আচমকাই ‘নিখোঁজ’ হয়ে গিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী তথা শিবসেনার (Shiv Sena) বর্ষীয়ান নেতা একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। তিনি বিজেপিতে (BJP) যোগ দিতে পারেন বলে সূত্রের খবর। গুজরাটের সুরাটের (Surat) একটি পাঁচতারা হোটেলে তাঁরা রয়েছেন বলে খবর। ওই হোটেল এবং একনাথের বাড়ির সামনে কড়া পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    শুধু তাই নয়, আরও ৯ বিধায়ক একনাথের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে খবর। সূত্রের খবর, একনাথ সহ মহারাষ্ট্রের অন্তত ৩৬ জন বিধায়ক ‘বিদ্রোহের পথে’। ফলে, এই পরিস্থিতিতে চরম বিপাকে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। মহারাষ্ট্রের সরকারের পতনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এদিকে, মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (J P Nadda) সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    আরও পড়ুন : সন্ধ্যায় বৈঠকে বিজেপি, মঙ্গলেই চূড়ান্ত রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর নাম?

    মহারাষ্ট্রের থানে এলাকার প্রভাবশালী নেতা একনাথ। গতকাল পর্যন্ত তিনি শিবসেনা, কংগ্রেস ও ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)-কে গঠিত মহা বিকাশ অঘাড়ি (MVA) জোট সরকারে নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের দায়িত্বে রয়েছেন। এই সরকারের মুখ্যমন্ত্রী শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে। 

    সোমবার বিধান পরিষদের ভোট হয় মহারাষ্ট্রে। এই নির্বাচনে শিবসেনা ৬৪টি ভোট পাবে বলে আশা করা হয়েছিল। যদিও উল্টো দিকে পড়ে ১২টি ভোট। তার পর থেকেই শুরু হয় জল্পনা। এই ঘটনার পর থেকেই আর খোঁজ মিলছে না একনাথেরও। ইতিমধ্যেই, দলের মুখ্য সচেতকের পদ থেকে একনাথকে বরখাস্ত করেছে শিবসেনা।

    একনাথ ‘নিখোঁজ’ হতেই তড়িঘড়ি বিধায়ক ও মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন উদ্ধব ঠাকরে। বিদ্রোহী বিধায়করা যদি বিপক্ষ শিবিরে যোগ দেন, তাহলে, দ্রুত বদলে যাবে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। কারণ, মহারাষ্ট্রের বিধানসভার সংখ্যা ২৮৮। একজন মারা যাওয়ায় বর্তমানে শক্তি ২৮৭। অর্থাৎ, আস্থা ভোট জিততে কোনও দলের প্রয়োজন ১৪৪। 

    বর্তমানে এমভিএ জোট সরকারের রয়েছে ১৫২ বিধায়ক। এর মধ্যে শিবসেনার রয়েছে ৫৫ জন, এনসিপি-র ৫৩ এবং কংগ্রেসের ৪৪ জন বিধায়ক রয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপির সংখ্যা ১০৬। এছাড়া নির্দল ও অন্যান্যরা মিলিয়ে ২৯ জন। 

    এখন একনাথের সঙ্গে যদি ২৭ জন বিজেপিতে যোগ দেয়, তাহলে বিজেপির সংখ্যা হবে ১৩৩। অন্যদিকে, জোট সরকারের সংখ্যা কমে দাঁড়াবে ১২২। যে ৯ বিধায়কেক কথা বলা হচ্ছে, যাঁরা একনাথের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, তাঁদের সংখ্যা ধরা হলে, বিজেপির সংখ্যা বেড়ে হবে ১৪২। ফলে, সেক্ষেত্রে, সরকার পতনের সম্ভাবনা প্রবল। 

    পরিস্থিতি সামাল দিতে ‘বিদ্রোহী’দের বার্তা পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। তবে তাতে আদৌ চিঁড়ে ভিজবে কিনা, তা বলবে সময়। গোটা ঘটনায় বিজেপিকে নিশানা করেছেন সাংসদ শিবসেনার সঞ্জয় রাউত। তিনি বলেন, এটা উদ্ধব ঠাকরে সরকারকে ফেলার একটা চক্রান্ত। তিনি বলেন, এই একই ষড়যন্ত্র হয়েছিল মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানেও। 

    আরও পড়ুন : কেউ রানি ভিক্টোরিয়া বা যুবরাজ নয়! সোমবার রাহুলের জেরা প্রসঙ্গে বিজেপি

    এদিকে, মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ইতিমধ্যেই একপ্রস্ত বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ও বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি (BJP National President) জেপি নাড্ডা। সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রের এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে বিজেপির কী করণীয়, তা আলোচনা হয়েছে পদ্ম শিবিরের এই দুই হেভিওয়েট নেতার। বিজেপির একটি সূত্রের খবর, উদ্ধব ঠাকরে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছে পদ্ম শিবির। 

    এখন দেখার, আরব সাগরের লোনা জল কোন দিকে গড়ায়!

     

  • Maharashtra Political Crisis: মহারাষ্ট্রে এবার ‘অটো-মার্সিডিজ’ লড়াই! উদ্ধব-শিন্ডে বাকযুদ্ধে সরগরম শিবাজির দেশ

    Maharashtra Political Crisis: মহারাষ্ট্রে এবার ‘অটো-মার্সিডিজ’ লড়াই! উদ্ধব-শিন্ডে বাকযুদ্ধে সরগরম শিবাজির দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আস্থা ভোটে পরাজয়ের পর প্রথমবার মুখ খুললেন উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকে (Eknath Shinde) চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন শিবসেনা (Shiv Sena) সুপ্রিমো। পাল্টা দিলেন শিণ্ডেও। উদ্ধব-শিন্ডের বাকযুদ্ধ ঘিরে ফের সরগরম মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) রাজ্য রাজনীতি।

    এই প্রথম শিন্ডেকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করলেন বালাসাহেব-পুত্র। উদ্ধব বলেন, “অটোচালক খুব জোরে গাড়ি চালাচ্ছিল, কিন্তু ব্রেক ফেল করে গেছে।” পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন শিন্ডেও। বলেছেন, “এই অটোরিকশা গতিতে মার্সিডিজকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে। তাই সমস্যা।” মঙ্গলবার শিবসেনা ভবনে মহিলা শাখার সঙ্গে একটি বৈঠক করেন উদ্ধব। সেই বৈঠকে নাম না করে শিন্ডে-সহ বিদ্রোহী বিধায়কদের বিশ্বাসঘাতক বলে কটাক্ষ করেন শিবসেনা-প্রধান। এর পর শিন্ডেকে আক্রমণ করে উদ্ধব বলেন, “যে অটোরিকশা চালাত সে এখন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার বিধানসভায় পরিষ্কার হয়ে গেছে যে কবে থেকে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী ওঁকে থামতে বলছেন, কিন্তু ওঁর গাড়ির ব্রেক ফেল হয়ে গেছে। থামবে কী করে! আগে বিজেপি মহাবিকাশ আঘাড়ি সরকারকে তিন চাকার সরকার বলত। এখন তো অটোচালক সরকার চালাচ্ছে।”

    [tw]


    [/tw]

    উদ্ধবের এই আক্রমণের প্রত্যুত্তর দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের নয়া মুখ্যমন্ত্রী। শিন্ডে ট্যুইট করে লিখেছেন, “অটোর গতি এত বেশি ছিল যে মার্সিডিজকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে। এটা আম আদমির সরকার।” উল্লেখ্য, উদ্ধব মার্সিডিজ গাড়ি করে যাতাযাত করেন। এদিন বিদ্রোহীদের উদ্দেশে উদ্ধব বলেন, “পিঠে ছুরি মেরেছে গদ্দাররা। যাঁদের দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তাঁরাই পিঠে ছুরি মেরেছে। এটা সবথেকে লজ্জার বিষয়।” পাশাপাশি এনসিপি ও কংগ্রেসের প্রশংসা করে উদ্ধব বলেন, “যাঁরা আমাদের বিরুদ্ধে ছিল ৩০ বছর ধরে, তাঁরাই এখন আমার পাশে দাঁড়িয়েছে।”

    আরও পড়ুন: বিধায়কদের পর এবার সেনা সাংসদের হুঁশিয়ারি উদ্ধবকে ! দ্রৌপদীকে সমর্থনের আর্জি

    বিজেপিকে লক্ষ্য করে উদ্ধব বলেন, “ওঁদের প্ল্যান হল শিবসেনাকে ভাঙা নয়, পুরোপুরি শেষ করে দেওয়া। ওই দাড়িওয়ালাকে (শিন্ডে) সামনে রেখে এই নোংরা লড়াইটা খেলছে। কিন্তু সেও জানে না সে নিজেই ওঁদের কন্ট্রোলে। গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে মাইক কেড়ে নিয়েছেন ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী। ভবিষ্যতে আর কী কী ওঁর থেকে কেড়ে নেওয়া হবে সেটা উনি জানেন না।” অন্যদিকে, শিন্ডের অভিযোগ, ” আমাদের বিধায়করা চাইলেও নিজের এলাকায় উন্নয়নের কাজ করতে পারেননি। জোট শরিকদের যেসব প্রার্থী সেখানে ছিলেন তাঁরাই উন্নয়নের গতিকে রুদ্ধ করেছেন। এনিয়ে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বার্তালাপ করেও কোনও ফল হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই ৪০-৫০ জন বিধায়ক বিরুদ্ধ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”

  • ED:  শাওমির পর এবার ভিভো, ইডি-র নজরে চিনা মোবাইল সংস্থা, দেশজুড়ে তল্লাশি

    ED: শাওমির পর এবার ভিভো, ইডি-র নজরে চিনা মোবাইল সংস্থা, দেশজুড়ে তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে চিনা (China) ফোন প্রস্তুতকারক সংস্থা VIVO-র বিরুদ্ধে অভিযান চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, সংক্ষেপে ইডি (ED)। আর্থিক লেনদেনে কারচুপির অভিযোগে বিখ্যাত ওই চিনা মোবাইল সংস্থার (Chinese mobile company) অন্তত ৪০ ঠিকানায় তল্লাশি চালাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চিনা সংস্থাগুলির আর্থিক লেনদেনের ওপর বেশ কিছুদিন ধরেই বাড়তি নজর দিচ্ছে সরকার। সেই কারণেই এদিনের তল্লাশি বলে ইডি সূত্রের খবর।

    কেন্দ্রীয় ওই তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, দিল্লি, হরিয়ানা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ওই চিনা মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থার বেশ কয়েকটি কারখানা ও শোরুম রয়েছে। সেগুলিতেও চালানো হয়েছে তল্লাশি অভিযান। সংস্থার লেনদেন ও মালিকানা সংক্রান্ত বিষয়গুলিতে কোনওরকম অনিয়ম রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতেই মূলত এই তল্লাশি অভিযান বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার।  

    আরও পড়ুন : “শান্তি ভিক্ষা চাইবে না ভারত”, চিন-পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ডোভালের

    কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, এই চিনা স্মার্টফোন কোম্পানির বিরুদ্ধে একাধিক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি আরও এক চিনা সংস্থার বিরুদ্ধেও ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছে ইডি। সংস্থাটি এদেশে একটি ব্র্যান্ডেড মোবাইল ফোন বিক্রি করে। তাদেরই একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ৫ হাজার ৫৫১ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। বেআইনিভাবে টাকা সরানোর অভিযোগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই এই সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিলেন ইডির গোয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার আতসকাচের তলায় রয়েছে আরও এক চিনা মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থা।

    আরও পড়ুন : ২ বছর পর ভারতীয়দের জন্য কোভিড ভিসা নিষেধাজ্ঞা তুলল চিন 

    ২০২০ সালে ভারত-চিন সীমান্তে হয় সেনা সংঘর্ষ। তার পর থেকেই দেশে চিনা সংস্থাগুলির কার্যকলাপের ওপর নজর রাখছে দিল্লি। ২০০ চিনা অ্যাপকে ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। চিনা ঋণদানের অ্যাপগুলির ওপরও নজর রয়েছে কেন্দ্রের।

    আরও পড়ুন : পারমাণবিক অস্ত্রসম্ভার বাড়াচ্ছে চিন, ভারত, পাকিস্তানের হাতে কত? 

  • Twitter Notice: কেন্দ্র-ট্যুইটার তরজা! কী হতে চলেছে ভবিষ্যৎ

    Twitter Notice: কেন্দ্র-ট্যুইটার তরজা! কী হতে চলেছে ভবিষ্যৎ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের (IT ministry) যাবতীয় নিয়ম অনুসরণ করতে হবে ট্যুইটারকে (Twiter)। সোমবারের মধ্যে এ প্রসঙ্গে নিজেদের সিদ্ধান্ত সরকারকে জানাতে হত মাইক্রো ব্লগিং সাইটটিকে। আগেই ট্যুইটারকে এ বিষয়ে নোটিশ দিয়ে সতর্ক করেছিল মোদি সরকার। ট্যুইটারকে  (Twiter India) ৪ জুলাইয়ের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ম মেনে চলার শেষ সুযোগ দিয়েছিল ভারত সরকার। সরকারের দেওয়া সময়সীমা পেরিয়ে গেলে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এই বিষয়টি তাদের বিচারবিভাগীয় দল পর্যালোচনা করছে। শীঘ্রই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: করাচিতে জরুরি অবতরণ, কী হল দুবাইগামী স্পাইসজেটের বিমানে?

    প্রতিষ্ঠানটিকে পাঠানো নোটিশে বলা হয়েছিল, নয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুসারে ভারত সরকারের সব শর্ত মানতে হবে ট্যুইটারকে। অন্যথায় ভারতে তারা অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা হারাবে। ফলে যাবতীয় পোস্টের জন্য দায় নিতে হবে ট্যুইটারকেই। ভারত সরকারের অভিযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের একটি ধারায় কিছু বিষয়বস্তু প্ল্যাটফর্মটি থেকে সরিয়ে নেওয়ার নোটিশগুলো কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে ট্যুইটার। এমন অবস্থায় প্রতিষ্ঠানটি যদি তথ্য ও প্রযুক্তি আইন লঙ্ঘন করতে থাকে, তাহলে আইনের অধীনেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: ‘স্মোকিং কালী’ পোস্টার বিতর্ক, চলচ্চিত্র নির্মাতার বিরুদ্ধে এফআইআর দিল্লি, ইউপি পুলিশের

    ভারতে নিজস্ব আধিকারিক নিয়োগের বিষয়েও ট্যুইটারকে শেষ সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সোশ্যাল মিডিয়া ও নেট মাধ্যমের বিষয়ে যে ডিজিটাল আইন এনেছে ভারত সরকার, সেই নিয়ম না মানলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে ট্যুইটারকে। “ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৭৯ ধারায় যে সমস্ত আইন, তা অবিলম্বে মানতে হবে ট্যুইটারকে। নিয়ম না মানলে ভবিষ্যতে এই আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায় কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে সংস্থাকে” জানাল কেন্দ্র। সম্প্রতি নয়া তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ম মেনে চলার ব্যাপারে ট্যুইটার ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে ধারাবাহিক সংঘাত দেখা গিয়েছে। এই নির্দেশিকা মেনে চলার ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ততা ও বিলম্বের জন্য কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক সম্প্রতি এই মাইক্রো ব্লগিং সাইটের বিরুদ্ধে নোটিশও পাঠিয়েছে। 

  • Maharashtra Political Crisis: মহারাষ্ট্রে পট পরিবর্তনের সত্যিকারের শিল্পী কে, কী জানালেন শিন্ডে?

    Maharashtra Political Crisis: মহারাষ্ট্রে পট পরিবর্তনের সত্যিকারের শিল্পী কে, কী জানালেন শিন্ডে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)পালাবদলের পিছনে রয়েছে দেবেন্দ্র ফড়ণবিশের (Fadnavis) মস্তিষ্ক। তাঁর অভিজ্ঞতা আর প্রচেষ্টাতেই তৈরি হয়েছে বিজেপিশিন্ডে সরকার। আস্থা ভোটে জয় পেয়েই এমনটা জানিয়েছেন খোদ একনাথ শিণ্ডে (Eknath Shinde)। জয়ের পর শিণ্ডে জানান, মুম্বই ছাড়ার পর প্রতিনিয়ত ফড়ণবিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন তিনি। গুয়াহাটির হোটেলে যখন সব বিধায়করা ঘুমোতেন তখন চলত শিন্ডে-ফড়ণবিশের আলোচনা, এমনটাই জানালেন মহারাষ্ট্রের নয়া মুখ্যমন্ত্রী।

    শিন্ডে বলেন, বিধান পরিষদ ভোটে তাঁর সঙ্গে যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল, তার পরেই তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছিলেন। মহারাষ্ট্র থেকে গুয়াহাটি যাওয়ার সময় কীভাবে পুলিশের নজরদারি এড়িয়েছিলেন সেটাও জানান তিনি। শিণ্ডে বলেন, ‘আমি জানি কীভাবে মোবাইল টাওয়ারের সূত্র ধরে কাউকে ট্র্যাক করা যায়। আমি এটাও জানি কীভাবে এই নজরদারি এড়ানো যায়।’ দীর্ঘদিন ধরে চলছে এই প্রক্রিয়া। সোমবারই আস্থা ভোটে জয় পেয়েছেন তিনি। তার পরে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ভাষণ দেওয়ার সময়, বিভিন্ন পক্ষের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মহারাষ্ট্রে যে ঘটনা একের পর এক ঘটল, তাঁর ‘তার সত্যিকারের শিল্পী’ হলেন দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ। পাশাপাশি তিনি উল্লেখ করেন উদ্ধবের মন্ত্রিসভায় থাকাকালীন তাঁর দফতরে বার বার নাক গলাতেন অজিত পাওয়ার, আদিত্য ঠাকরেরা, যা তিনি একেবারেই পছন্দ করতেন না। শিন্ডে জানান, এর আগে দুবার মুখ্যমন্ত্রীর দাবিদার ছিলেন তিনি কিন্তু উদ্ধব গোষ্ঠী তাঁকে আটকে দেয়। কোনও সাধারণ মানুষও যে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারে তা মানতে চাইত না উদ্ধব-গোষ্ঠী, দাবি শিন্ডের।

    আরও পড়ুন: রাজনীতি করি না! মানুষের জন্য কাজ করি, বঙ্গ রাজনীতিতে ফের সক্রিয় মহাগুরু

    অন্যদিকে, সোমবার মহারাষ্ট্র বিধানসভায় আস্থাভোটে (floor test)অংশ না নেওয়ার জন্য ট্র্যাফিক জ্যামকে দায়ী করলেন, কংগ্রেস নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চহ্বাণ (Ashok Chavan)। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের ৪৪ জন বিধায়কের মধ্যে ১২ জন সোমবারের আস্থা ভোটে অংশ নেননি। সময় মতো বিধানসভায় পৌঁছতে না পারার কারণেই এই বিধায়করা আস্থা ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারেননি বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে অশোক চহ্বান বলেন, ‘সাধারণত, প্রথমে আলোচনা হয়, তারপর ভোট হয়। কিন্তু এদিন তা হয়নি। যাইহোক, যেহেতু সরকার ১৬৪ ভোট পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করেছে, তাই বিরোধীদের সংখ্যায় কিছু যায় আসে না।’ এক শীর্ষ স্থানীয় কংগ্রেস নেতা এ প্রসঙ্গে বলেছেন যে বিধায়কদের অনুপস্থিতি ইচ্ছাকৃত বলে মনে হচ্ছে না। ‘যদি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিধায়করা অনুপস্থিত থেকে থাকেন, তবে দলকে ব্যবস্থা নিতে হবে।’ 

  • Coronavirus Updates: করোনা সংক্রমণ কমলেও জারি সতর্কতা, কতটা মারাত্মক নয়া ভ্যারিয়েন্ট?

    Coronavirus Updates: করোনা সংক্রমণ কমলেও জারি সতর্কতা, কতটা মারাত্মক নয়া ভ্যারিয়েন্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কমল করোনা সংক্রমণ। সংক্রমিতের সংখ্যা ১৬ হাজার থেকে ১৩ হাজারে নেমে এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১৩ হাজার ৮৬ জন। সোমবার সংখ্যাটি ছিল ১৬ হাজার ১৩৫। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের জেরে মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। এদিকে, ভারতে ফের করোনা ভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে বলে দাবি ইজরায়েলি গবেষকদের।

    গত এক সপ্তাহ ধরে দেশে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় ছড়িয়েছিল আতঙ্ক। আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে করোনা বিধি জারি করেছিল কয়েকটি রাজ্য। মহারাষ্ট্র, কেরল, তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ছিল উর্ধ্বমুখী। তবে গত কয়েক দিনে মহারাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৫১৫ জন। দিন কয়েক আগে পর্যন্তও সংখ্যাটি ছিল তিন হাজারের ঘরে। গত ২৪ ঘণ্টায় কেরলে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৩২২জন। সংখ্যাটা পৌঁছে গিয়েছিল চার হাজারের ঘরে। সংক্রমণ কমেছে তামিলনাড়ুতেও। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে সংক্রমিত হয়েছেন ২৬৫৪ জন। ওই সময়সীমার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে সংক্রমিত হয়েছেন ১১৩২ জন। যা আগের তুলনায় অনেকটাই কম।

    আরও পড়ুন : সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এক লক্ষ পার, ফের ভয় ধরাচ্ছে করোনা!

    এদিকে, সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে একদল ইজরায়েলি গবেষক। তাঁদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতে করোনা ভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে। ভারতের ১০টা রাজ্যে এই ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে। এই রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। ওই গবেষকদের দাবি, ২ জুলাই পর্যন্ত ভারতের যে রাজ্যগুলিতে করোনার এই ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে, সেগুলি হল মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, জম্মু-কাশ্মীর, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানা।

    আরও পড়ুন : ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা-গ্রাফ, বাড়ছে উদ্বেগও, কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?

    তবে কেবল ভারত নয়, বিশ্বের আরও সাতটি দেশেও করোনার এই নয়া ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে বলেও শোনা যাচ্ছে। তবে আইসিএমআরের গবেষকদের দাবি, করোনার নয়া এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এখনই এত উদ্বেগের কিছু নেই। কারণ যে ভ্যারিয়েন্টের কথা ইজরায়েলি গবেষকরা জানাচ্ছেন, সেই ভ্যারিয়েন্টের তেমন তেজ নেই। সংক্রমিত রোগীদের মধ্যে সামান্য উপসর্গই দেখা গিয়েছে। ওই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে কারও মৃত্যু হয়নি। তাই এখনই দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই বলেই দাবি আইসিএমআরের গবেষকদের।

     

  • Maharashtra Update: শিবসেনার সব পদ থেকে শিন্ডেকে সরালেন উদ্ধব, কেন জানেন?

    Maharashtra Update: শিবসেনার সব পদ থেকে শিন্ডেকে সরালেন উদ্ধব, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদ্রোহী নেতা তথা মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) নয়া মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকে (Eknath Shinde) সরিয়ে দেওয়া হল শিবসেনার (Shiv Sena) সমস্ত পদ থেকে। শিবসেনার তরফে জারি করা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) বলেছেন শিন্ডে দল বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত। তিনি স্বেচ্ছায় দলের সদস্যপদ ছেড়েছেন বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে শিবসেনার তরফে। উদ্ধব ঠাকরের চিঠিতে বলা হয়েছে, একনাথ শিন্ডেকে শিবসেনার সংগঠনের সব পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। শিবসেনার তরফে এ ব্যাপারে তাঁর ওপরে যাবতীয় ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন মহারাষ্ট্রের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব।

    আরও পড়ুন : বালাসাহেব কার? গৃহযুদ্ধ শিবসেনায়

    কংগ্রেস এবং এনসিপির সঙ্গে জোট থেকে বেরিয়ে আসতে উদ্ধবকে বলেছিলেন তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্য শিন্ডে। উদ্ধব তাতে রাজি হননি। তার জেরে অনুগত ৩৯ জন বিধায়ককে নিয়ে শিন্ডে উড়ে যান গুয়াহাটি। তার পরেই রাজ্যপালকে চিঠি দিয়ে আস্থা ভোট দাবি করেন। রাজ্যপাল আস্থা ভোটের নির্দেশ দিলে তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন উদ্ধব। যদিও আস্থাভোটের ওপরে স্থগিতাদেশ দিতে চায়নি সুপ্রিম কোর্ট।

    সুপ্রিম কোর্ট আস্থা ভোটে স্থগিতাদেশ দিতে না চাওয়ায় ২৯ জুন রাতে ফেসবুক লাইভ করে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন উদ্ধব। ৩০ জুন সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডে। এদিকে, লোকসভায়ও শিবসেনার অনেক সদস্য শিন্ডের পক্ষ নিয়ে নেন। উদ্ধব শিবিরে থাকা ১৬ জন বিধায়কের মধ্যেও ১৪ জন শিন্ডে শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন বলে সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন : “সেদিন থেকেই পতন শুরু…”, উদ্ধবকে ট্যুইট-বাণ রাজ ঠাকরের

    এদিকে, শিন্ডেকে সবক শেখাতে মরিয়া হয়ে ওঠেন উদ্ধব। তার জেরে শিবসেনার সংগঠনের সব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। শিন্ডেকে পাঠানো চিঠিতে উদ্ধব লিখেছেন, সম্প্রতি দেখা গিয়েছে আপনাকে দল বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হতে। আপনি শিবসেনার সদস্য পদও ছেড়ে দিয়েছেন। তাই আপনার বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। উদ্ধব লিখেছেন, শিবসেনার দলীয় প্রধান হওয়ার কারণে আমি একনাথ শিন্ডেকে সমস্ত দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য এই অধিকার ব্যবহার করছি।

     

LinkedIn
Share