Blog

  • Pakistan: অর্থসংকট কাটাতে আইএমএফের শর্ত মেনেই বাজেট পেশে রাজি পাকিস্তান?

    Pakistan: অর্থসংকট কাটাতে আইএমএফের শর্ত মেনেই বাজেট পেশে রাজি পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চূড়ান্ত অর্থসংকটে ভারতের (India) প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান (Pakistan)। প্রয়োজন আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের (IMF) সাহায্যের। সেই সাহায্য পেতে গেলে পাকিস্তানকে বাজেট পেশ করতে হবে আইএমএফ-এর শর্ত মেনেই। তা না হলে মিলবে না অর্থ সাহায্য।

    পাহাড় প্রমাণ অর্থসংকট। পাকিস্তান জুড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের হাহাকার। মূল্যবৃদ্ধি পৌঁছেছে চূড়ান্ত পর্যায়ে। দেশবাসীর একটা বিরাট অংশ দুবেলা খেতে পান না পেট ভরে। দেশের এই সংকট মোকাবিলায় একের পর এক কঠোর পদক্ষেপ করছে সে দেশের সরকার। তার পরেও মেটেনি সমস্যা।

    আরও পড়ুন :ঋণ মেটাতে অধিকৃত কাশ্মীরের একাংশ চিনকে সমর্পণ করতে পারে পাকিস্তান?

    শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি দেখে শঙ্কিত অর্থসংকটে বিপর্যস্ত পাকিস্তান। দ্বীপরাষ্ট্রের মতো পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয়, সেজন্য চেষ্টার কসুর করছে না শেহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) সরকার। উন্নয়নের ধারা বজায় রেখে দেশের তলানিতে ঠেকে যাওয়া অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে দেশটির প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ ঋণের। পাকিস্তানকে এই মোটা অঙ্কের ঋণ দিতে পারে কেবল আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার।

    এই ঋণ নিশ্চিত করতে ন্যূনতম গ্যারান্টির অর্থ জমা রাখতে হবে পাকিস্তানকে। উন্নতি ঘটাতে হবে সে দেশের আর্থিক অবস্থার। এটা করতে গিয়েই একের পর জনবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান সরকার। এর মধ্যে রয়েছে অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানে জ্বালানিতে ভর্তুকি ছাঁটাই। আরও কিছু কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে বলে দিন কয়েক আগেই পাক সংসদে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং।

    আরও পড়ুন : ‘মৃত’ জঙ্গিকে ‘গ্রেফতার’, ধূসর তালিকা থেকে বেরোতে মরিয়া পাকিস্তান?

    সম্ভাব্য ঋণখেলাপি (loan default) এড়াতে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের কাছ থেকে পাকিস্তানের প্রয়োজন ৯০ কোটি মার্কিন ডলার। এই ঋণ পেতেই গ্রহণ করতে হবে কড়া পদক্ষেপ। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতা ইসমাইল জানান, আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের কাছ থেকে পাকিস্তান একটি “মেমরান্ডাম অফ ইকনমিক অ্যান্ড ফিসক্যাল পলিসি” পেয়েছে। সম্প্রতি সংসদে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, মাসে পঞ্চাশ হাজার টাকার ওপরে বেতন পান যাঁরা, তাঁদের প্রদত্ত ট্যাক্স ছাড়াও আয়ের ওপর আরও অতিরিক্ত ১০ শতাংশ “সুপার ট্যাক্স” বা সারচার্জ দিতে হবে। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

    বছর কয়েক আগে প্রায় একই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল গ্রিস। তীব্র অর্থসংকট কাটাতে সেবারও গুচ্ছ জনবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সে দেশের সরকার। এবারও প্রায় একই পথে হাঁটতে চলেছে পাকিস্তান সরকার। এখন দেখার, দেশকে দেউলিয়া হওয়ার পথ থেকে বাঁচাতে কী কী পদক্ষেপ করে শেহবাজ শরিফের সরকার।

  • Bangladesh Hindu Teachers: বাংলাদেশে পিটিয়ে খুন হিন্দু শিক্ষককে, জুতোর মালা অন্যকে

    Bangladesh Hindu Teachers: বাংলাদেশে পিটিয়ে খুন হিন্দু শিক্ষককে, জুতোর মালা অন্যকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হিন্দু শিক্ষক (Hindu Teacher) নিগ্রহের ঘটনা বাংলাদেশে (Bangladesh)। বাংলাদেশের নড়াইল জেলায় কলেজ শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাসের (Swapan Kumar Biswas) গলায় জুতোর মালা পরানোর ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে প্রশাসন। ওই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নাশকতা ও শিক্ষককে হেনস্থা করার অভিযোগে দায়ের হয়েছে মামলা। এদিকে, এই ঘটনারই দিন কয়েক আগে সাভার এলাকায় উৎপল কুমার সরকার নামে এক হিন্দু শিক্ষককে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে এক ছাত্র।

    আরও পড়ুন : পয়গম্বর বিতর্ক নিয়ে এবার মুখ খুলল বাংলাদেশ, কী বলল প্রতিবেশী রাষ্ট্র?

    হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মা।পরে তাঁকে সাসপেন্ড করে বিজেপি। এই নূপুরের সমর্থনে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া বাংলাদেশের হিন্দু ছাত্র রাহুল দেব রায়কে বাঁচানোর মিথ্যা অপবাদ দিয়ে জুতোর মালা পরানো হয় মির্জাপুর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন বিশ্বাসকে। ওই ঘটনার ছবি ভাইরালও করা হয় ফেসবুকে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় সৈয়দ রিমন আলি, শাওন খান এবং মনিরুল ইসলাম নামে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    শিক্ষককে হেনস্থার প্রতিবাদে নিন্দার ঝড় বাংলাদেশজুড়ে। পুলিশের সামনে কীভাবে একজন শিক্ষককে এভাবে অপমান করা হল, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। নাট্যকর্মী থেকে নেট নাগরিক, সবারই বক্তব্য কেবল হিন্দু হওয়ার অপরাধেই এমন হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে মির্জাপুর কলেজের ওই শিক্ষককে।

    আরও পড়ুন : পদ্মা সেতু বাংলাদেশ-চিনের যৌথ প্রকল্প? বেজিংয়ের দাবি ওড়াল ঢাকা

    এদিকে, এই ঘটনারই দিন কয়েক আগে সাভার এলাকায় উৎপল কুমার সরকার নামে এক হিন্দু শিক্ষককে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে এক ছাত্র। হাজি ইউনুস আলি স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণীর ছাত্রের এই কাজেও ঘৃণা উগরে দিয়েছেন বাংলাদেশের শিক্ষিত সমাজ। এই ঘটনার উদ্দেশ্য নিয়ে পুলিশ ধন্দে রইলেও, অনুমান ওই ছাত্র স্কুলের ছাত্রীদের উত্যক্ত করত। ঘটনার প্রতিবাদ করায় উইকেট দিয়ে পিটিয়ে ফেলা হয়। ওই শিক্ষক হিন্দু হওয়ায়ই এমনটা ঘটেছে বলে অভিযোগ বাংলাদেশের শিক্ষিত সমাজের একাংশের।

    টিপ পরায় বাংলাদেশের রাজধানীয় ঢাকায় পুলিশ কর্মীর হাতে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছিল তেজগাঁও কলেজের শিক্ষিকা লতা সমাদ্দারকে। তার কয়েক দিনের মধ্যেই মিথ্যা ধর্ম অবমাননার দায়ে বিনা অপরাধে জেল খাটতে হয়েছিল মুন্সিগঞ্জের একটি স্কুলের বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলকে। ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জ স্কুলের শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তাকেও  জনসমক্ষে কান ধরে ওঠবস করানো হয়েছিল। সেই ঘটনায়ও নিন্দার ঝড় উঠেছিল বাংলাদেশ জুড়ে।

    বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়নের সেই ধারা আজও অব্যাহত!

     

  • Udaipur Tailor Killing: উদয়পুর-হত্যাকাণ্ডে জঙ্গি যোগ! তদন্ত শুরু করল এনআইএ

    Udaipur Tailor Killing: উদয়পুর-হত্যাকাণ্ডে জঙ্গি যোগ! তদন্ত শুরু করল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানের উদয়পুরে (Udaipur) কানহাইয়া লাল তেলির (Kanhaiya Lal Teli) নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার গেল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (National Investigation Agency)কাছে। বুধবার এনআইএ -কে  তদন্তের নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (HMO India)। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকর তরফে জানানো হয়, এই ঘটনায় কোনও সংগঠন বা আন্তর্জাতিক জঙ্গি-গোষ্ঠীর যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।

    [tw]


    [/tw]

    প্রসঙ্গত, সাসপেন্ডেড বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) বক্তব্য সমর্থন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন পেশায় দরজি রাজস্থানের (Rajasthan) যুবক কানহাইয়া লাল তেলি। মঙ্গলবার দুপুরে উদয়পুরের ওই দর্জির দোকানে ঢুকে তাঁকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। এই ঘটনায় বুধবারও উদয়পুর–সহ রাজস্থানে উত্তেজনা রয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। সন্দেহ এই হত্যাকাণ্ডে যুক্ত থাকতে পারে জঙ্গি সংগঠন। ইতিমধ্যেই খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দুই যুবককে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যাকাণ্ডের পিছনে জঙ্গি যোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে এনআইএ। পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত করছে সিটও। উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে বুধবার আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই নিয়ে এই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হল । 

    আরও পড়ুন: “রাজস্থান সরকারের তোষণের রাজনীতিই সাম্প্রদায়িক উসকানির মূলে”, শিরোশ্ছেদ প্রসঙ্গে বসুন্ধরা রাজে

    উদয়পুরে উত্তেজনা ছড়ানোর পিছনে রয়েছে হত্যাকাণ্ডের ভিডিও এবং দুই অভিযুক্ত মহম্মদ রিয়াজ আখতার ও মহম্মদ গোশের ভিডিও বার্তা। সেখানে তারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) ও বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মাকেও হত্যার হুমকি দেয়। রাজস্থান পুলিশের তরফে ওই ভিডিওটি সাধারণ মানুষকে দেখতে বারণ করা হয়েছে। পুলিশের তরফে বলা হয়, “এই ভিডিওটি খুনিরা আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য করেছে। এতে উত্তেজনা ছড়াতে পারে। এটি দেখতে খুব ভয়ঙ্কর, ভিডিওটি দেখবেন না।” রাজস্থানের এডিজি  আইন – শৃঙ্খলা হাওয়া সিং ঝুমারিয়াও গণমাধ্যমে ভিডিওটি প্রচার না করার জন্য অনুরোধ করেন। 

    আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে শিরোশ্ছেদ হিন্দু দর্জির, উত্তাল রাজস্থান, বন্ধ ইন্টারনেট

     মঙ্গলবারই রাজস্থান পুলিশের তরফে বলা হয়েছিল, কানহাইয়াকে যেভাবে খুন করা হয়েছে, তাতে অনুমান করা হচ্ছে, এই ঘটনা ব্যক্তি বিশেষের নয়, বরং এর সঙ্গে কোনও সংগঠন জড়িত রয়েছে। জঙ্গি যোগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এই ঘটনায় আইসিস যোগ থাকতে পারে বলে অনুমান এনআইএ-র। আইসিসের মতোই খুনের ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয় খুনিরা। এই ঘটনায় জড়িতদের সঙ্গে পাকিস্তানের (Pakistan) চরমপন্থী সংগঠন দাওয়াত-ই-ইসলামির যোগ রয়েছে বলেও খবর। অশান্তি এড়াতে গোটা রাজ্যে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। উদয়পুর শহরের একটা বড় অংশে কারফিউ জারি রয়েছে। একমাসের জন্য রাজস্থানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

  • Sri Lanka: বন্দরের ফাঁদে ফেলেই শ্রীলঙ্কাকে ডোবাল চিন?

    Sri Lanka: বন্দরের ফাঁদে ফেলেই শ্রীলঙ্কাকে ডোবাল চিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) গভীর সমুদ্রবন্দর হামবানটোটার (Hambantota Port) নিয়ন্ত্রণ রয়েছে চিনের (China) হাতে। এ সংক্রান্ত চুক্তিটি স্বাক্ষর হয় বছর পাঁচেক আগে। কেবল বাণিজ্যিক কাজেই চিন বন্দরটি ব্যবহার করবে এই আশ্বাস দেওয়ার পরেই সম্পাদন হয় চুক্তি।

    এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে জাহাজ চলাচলের প্রধান কেন্দ্র ভারত মহাসাগরে শ্রীলঙ্কার হামবানটোটা বন্দর। বাণিজ্যিক কারণে তাই দুই মহাদেশের কাছেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ শ্রীলঙ্কার এই বন্দরটি। এই বন্দরেরই নিয়ন্ত্রণ চলে এল চিনের হাতে।

    আরও পড়ুন : অশান্তির আগুনে পুড়ল শ্রীলঙ্কা প্রেসিডেন্টের পৈতৃক বাড়ি, বিক্ষোভ হঠাতে গুলি

    হামবানটোটা বন্দরের কাজ শুরু হয় ২০০৮ সালে। শ্রীলঙ্কাকে এজন্য ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেয় ড্রাগনের দেশ। বন্দর গড়তে যৌথভাবে কাজ শুরু করে চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি ও সাইনো হাইড্রো কর্পোরেশন। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়ে যায় ২০১০ সালে। ঠিক তার পরের বছর নভেম্বরে শুরু হয় বাণিজ্যিক কাজকর্ম। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শেষ হয় ২০১৫ সালে। সব মিলিয়ে খরচ হয় ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার। ঋণের আসল ও সুদ বাবদ চিনকে ১৭০ কোটি মার্কিন ডলার দিতে হয়েছিল শ্রীলঙ্কাকে। ঋণের এই বিপুল বোঝার ভার কমাতে বন্দরটি চিনকে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দিয়ে দেয় শ্রীলঙ্কা সরকার। চুক্তি স্বাক্ষর হয় ২০১৭ সালে।

    আরও পড়ুন : আর্থিক সঙ্কটে পড়ে নিজেদের ঋণখেলাপি ঘোষণা করল শ্রীলঙ্কা

    বন্দরের উন্নতিকল্পে চায়না মার্চেন্ট পোর্টস হোল্ডিং কোম্পানি বন্দরের ৮৫ শতাংশ স্টেক অধিগ্রহণের বিনিময়ে ১১২ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে রাজি হয়। বন্দরের বাকি স্টেক থাকে শ্রীলঙ্কা বন্দর কর্তৃপক্ষের হাতে। তার পরেও ফি বছর শ্রীলঙ্কা সরকারকে মোটা অঙ্কের টাকা চিনকে দিতে হয় বন্দর গড়তে নেওয়া ঋণের সুদ বাবদ। যার জেরে ক্রমেই ঋণের ফাঁদে ডুবতে থাকতে দ্বীপরাষ্ট্র।

    যদিও পোর্টের ওয়েবসাইটে বন্দরে নানা সুযোগ সুবিধার কথা বলা হয়েছে, তা সত্ত্বেও সেখানে অনেক কিছুই মেলে না বলে অভিযোগ। সেই কারণেই প্রধান জাহাজ কোম্পানিগুলি ওই বন্দর এড়িয়ে চলছে বলেও সূত্রের খবর।

     

  • Assam Flood: জল সামান্য কমলেও, এখনও বন্যার কবলে ২১ লক্ষ আসামবাসী, মৃত ১৩৪

    Assam Flood: জল সামান্য কমলেও, এখনও বন্যার কবলে ২১ লক্ষ আসামবাসী, মৃত ১৩৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একমাসের টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত আসাম (Assam Flood)। বন্যার জল সামান্য নামলেও, এখনও ২২ জেলার ২২৫৪ গ্রামে ২১ লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ। এবারের বন্যায় এ পর্যন্ত ১৩৪ জন মানুষ জলে ডুবে বা ভূমি ধ্বসের কারণে প্রাণ হারিয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ গিয়েছে দুই শিশুসহ মোট আট জনের। যে জেলাগুলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, সেগুলি হল, বাজালি, বকসা, বরপেটা, কাছার, চিরাং, দারাং, ধেমাজি, ডিমা হাসাও, গোয়াল পাড়া, গোলাঘাট, হাইলা কান্ডি, কামরূপ, কামরূপ মেট্রোপলিটন, করিমগঞ্জ, লখিমপুর, মাজুলি, মরিগাও, নওগাঁ, নলবাড়ি, শোণিতপুর, তামুলপুর এবং উদালগুড়ি। 

    রাজ্যজুড়ে এখনও ১,৯১,১৯৪ লক্ষ মানুষ ৫৩৮টি আশ্রয় শিবিরে রয়েছেন। ১৮ জেলায় ৭৪,৬৫৫ হেক্টর ফসলের জমি এখনও জলের তলায়। শতাধিক বাড়ি, রাস্তা, ব্রিজ, খাল, বাঁধ বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্থ। 

    বরপেটা জেলার পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। ৬,১৪,৯৫০ জন ক্ষতিগ্রস্থ। এরপরেই রয়েছে নওগাঁ, ৫,১৩,০৬১ জন ক্ষতিগ্রস্থ। কাছার জেলায় ৪,৭৭,১৬৫ জন ক্ষতিগ্রস্থ।  

    আরও পড়ুন: আসামে বন্যায় মৃত ৮২, ক্ষতিগ্রস্ত ৪৭ লক্ষ! মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন অমিত শাহের

    পানীয় জলের কষ্ট দেখা দিয়েছে শিলচর জেলায়। শিলচরে ভারতীয় বিমান বাহিনী আকাশ পথে ত্রাণ বিতরণ করছে। উদ্ধারকাজে সেনাবাহিনী ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী হাত লাগিয়েছে।

    আনম্যানড এরিয়াল ভেইকেল (UAV) শিলচরে বন্যা কবলিত এলাকার ম্যাপ তৈরির কাজ শুরু করেছে। 

    আরও পড়ুন: অসমের চিরাংয়ে দুর্গতদের উদ্ধারে দমকল, যে কোনও মুহূর্তে ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা

    [tw]


    [/tw]

    আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma) শনিবার আকাশপথে শিলচরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে। এই নিয়ে তিনি দুই বার শিলচরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যান। তিনি বন্যাকবলিত মানুষকে সব ধরনের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে আসাম প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রবল বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজ ব্যহত হয়েছে। গত দুদিন বৃষ্টি কমায় জোড় কদমে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, গত কয়েকদিন বৃষ্টি কমায় রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সোমবার আসামের চার জেলায় আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে।    
     

     

  • Sonia Gandhi Aide Booked: ধর্ষণের অভিযোগ সোনিয়া গান্ধীর ব্যক্তিগত সচিবের বিরুদ্ধে! দাবি ওড়াল কংগ্রেস

    Sonia Gandhi Aide Booked: ধর্ষণের অভিযোগ সোনিয়া গান্ধীর ব্যক্তিগত সচিবের বিরুদ্ধে! দাবি ওড়াল কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস (Congress) সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) ব্যক্তিগত সচিবের (personal secretary) বিরুদ্ধে উঠল ধর্ষণের অভিযোগ। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, অভিযোগ এসেছে দলের ভিতর থেকেই! এক দলিত মহিলা কংগ্রেস কর্মীই এই অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নাম করে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর ৭১ বছর বয়সী ব্যক্তিগত সচিব পিপি মাধবন (PP Madhavan) তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। যদিও সব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন মাধবন। অভিযুক্তের পাল্টা দাবি কংগ্রেসের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করতেই এই অভিযোগ করা হয়েছে।

    জানা গিয়েছে, গত ২৫ জুন দিল্লির উত্তমনগর (Delhi Uttam Nagar) থানায় পিপি মাধবনের নামে একটি এফআইআর (FIR) দায়ের করা হয়েছে। আইপিসি সেকশন ৩৭৬ এবং ৫০৬  ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিতার দাবি, তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ওই দলিত মহিলার স্বামী দিল্লির কংগ্রেস অফিসে কাজ করতেন। ২০২০ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। সেই সূত্রেই ওই মহিলা কংগ্রেস অফিসে যাতায়াত শুরু করেন। সেখানেই পরিচয় হয় মাধবনের সঙ্গে।

    আরও পড়ুন: ২০ শতাংশ প্রশ্নের উত্তরে রাহুল গান্ধী কী বলেছেন, ফাঁস করল ইডি

    নির্যাতিতার অভিযোগ, আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তিনি কংগ্রেস অফিসে যান। ২১ জানুয়ারি তাঁকে ইন্টারভিউ-র জন্যে ডাকা হয়। ইন্টারভিউ নেন মাধবন। তখনই তিনি তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন। তার পরে একদিন মাধবন তাঁকে নিজেই গাড়িতে নিতে আসেন। একটা জায়গায় ড্রাইভারকেও বলেন, গাড়ি থামিয়ে বেরিয়ে যেতে। নির্যাতিতার অভিযোগ, সেখানেই মাধবন ধর্ষণ করেন তাঁকে। এরপর মাঝ রাস্তায় তাঁকে নামিয়ে বেরিয়ে যান তিনি।

    সোনিয়া গান্ধীর ব্যক্তিগত সচিবের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ ওঠায় বিড়ম্বনায় পড়ছে কংগ্রেস। যদিও, সমস্ত অভিযোগ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে উড়িয়েছে শতাব্দীপ্রাচীন দলটি। হাত শিবিরের দাবি, যেহেতু অগ্নিবীর প্রকল্পের বিরুদ্ধে সরব কংগ্রেস, তাই উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে। কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, বিজেপি তাঁদের ভয় দেখাতে চাইছে।    

    আরও পড়ুন: মঙ্গলে ফের ইডির জেরা রাহুলকে, লক্ষ্মীবারে সোনিয়াকে

    একের পর এক গুরুতর অভিযোগে বেশ অস্বস্তিতে হাত শিবির। সম্প্রতি, ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার (National Herald Magazine) তহবিল তছরুপের মামলায় সোনিয়া গান্ধী (Sonia  Gandhi) ও রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি (ED)। প্রথমবার গত ২ জুন রাহুলকে এবং ৮ জুন সোনিয়া গান্ধীকে ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় ইডির থেকে সময় চেয়ে নেন সোনিয়া গান্ধী। তবে রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) পাঁচদিন জিজ্ঞাসাবাদ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)।  এখন দলের শীর্ষ পদাধিকারীর বিরুদ্ধে উঠল ধর্ষণের অভিযোগ।

     

     

  • Rath Yatra 2022: কীভাবে শুরু হয়েছিল পুরীর জগন্নাথ রথযাত্রা? জেনে নিন

    Rath Yatra 2022: কীভাবে শুরু হয়েছিল পুরীর জগন্নাথ রথযাত্রা? জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মের অন্যান্য উৎসবের মতোই রথযাত্রাও এক জাঁকজমকপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, রথযাত্রা বা রথদ্বিতীয়া প্রতিবছর আষাঢ় মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে পালিত হয়ে থাকে। ভারতবর্ষের বহু জায়গায়, বিশেষ করে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে এই উৎসব বিশেষভাবে পালিত হয়। ওড়িশার পুরীর রথ সারা পৃথিবী বিখ্যাত। তবে শুধু ভারতবর্ষে নয়, ডাবলিন মস্কো এবং নিউ ইয়র্ককেও রথযাত্রার পালিত হয়। এইবছর রথযাত্রা পালিত হবে ১ জুলাই।

    ‘রথ’ শব্দের আবিধানিক অর্থ যুদ্ধযান বা চাকাযুক্ত ঘোড়ায় টানা হালকা যাত্রীবাহী গাড়ি হলেও, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে রথ শব্দের অর্থ কিন্তু ভিন্ন। ভক্তদের মতে, রথ একটি কাঠের তৈরি যান, যার উপরে ভগবান জগন্নাথ, সুভদ্রা এবং বলরাম বসে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ভ্রমণ করেন। ভগবানের এই রথ আরোহণই ‘রথযাত্রা’ নামে পরিচিত। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে এবং কবে থেকে রথযাত্রার আবির্ভাব হল।

    রথযাত্রার পৌরাণিক ইতিহাস

    রথ যাত্রার এই কাহিনীর সঙ্গে জড়িত আছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নাম। আর জগন্নাথ হলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণেরই এক রূপ। ওড়িশার প্রাচীন পুঁথি ‘ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ’ অনুযায়ী, এই রথযাত্রার প্রচলন হয়েছিল সত্যযুগে। তখন ওড়িশা মালবদেশ নামে পরিচিত ছিল। সেখানকার রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন ছিলেন পরম বিষ্ণুভক্ত। তিনি স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে ভগবান বিষ্ণুর জগন্নাথরূপী মূর্তি নির্মাণ করেন এবং রথযাত্রারও স্বপ্নাদেশ পান।

    আরও পড়ুন: পুরীর মন্দির ঘিরে রয়েছে এই অলৌকিক গল্পগুলি, জানতেন কি?

    লোকমুখে শোনা যায়, রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন স্বপ্নাদেশ পান যে পুরীর সমুদ্রতটে ভেসে আসা একটি কাঠের খণ্ড দিয়ে জগন্নাথের মূর্তি নির্মাণ করতে হবে। আদেশ অনুযায়ী মূর্তি নির্মাণের জন্য যখন রাজা উপযুক্ত শিল্পীর সন্ধান করছিলেন, ঠিক তখনই এক বৃদ্ধ তাঁর সম্মুখে উপস্থিত হন। তিনি জানান তিনিই এই মূর্তিটি তৈরী করবেন এবং রাজার কাছে মূর্তি নির্মাণের জন্য কয়েকদিন সময় চেয়ে নেন, পাশাপাশি ওই বৃদ্ধ বলেন এই মূর্তি নির্মাণকালে কেউ যেন তাঁর কাজে বাধা না দেয়।

    দরজার আড়ালে শুরু হয় কাঠের মূর্তি নির্মাণ। রাজা-রানীসহ সকলেই এই মূর্তি নির্মাণকাজের ব্যাপারে কৌতূহলী হয়ে ওঠেন। রানি প্রতিদিন বন্ধ দরজার বাইরে থেকে কান পেতে আওয়াজ শুনতো। কিন্তু হঠাৎই একদিন সেই আওয়াজ একদিন বন্ধ হয়ে যায়। রানী কৌতূহল চেপে রাখতে না পেরে রাজাকে জানাতেই ইন্দ্রদ্যুম্ন দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন, দেখেন মূর্তি অর্ধসমাপ্ত এবং শিল্পী উধাও। এই রহস্যময় শিল্পী ছিলেন বিশ্বকর্মা।

    তিনটি অর্ধসমাপ্ত মূর্তি দেখে অর্থাৎ হাত ও পা নির্মিত হয়নি বলে রাজা মুষড়ে পড়লেন। কাজে বাধাদানের জন্য রাজা অনুতাপ করতে থাকলেন। তখন তাঁকে স্বপ্ন দিয়ে জগন্নাথ বললেন যে, এরকম আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল। তিনি এই রূপেই পূজিত হতে চান। এভাবেই আবির্ভাব ঘটে জগন্নাথ দেবের এবং সেই থেকেই শুরু তাঁর পুজো। পরবর্তীকালে রাজা পুরীর এই জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ ও রথযাত্রার প্রচলন করেন।

    আরও পড়ুন: প্রতিবছর রথযাত্রার আগে জ্বর আসে জগন্নাথদেবের, কেমন করা হয় চিকিৎসা?

    রথের বিশেষত্ব

    পুরীর রথযাত্রায় ব্যবহৃত তিনটি রথের ভিন্ন ভিন্ন নাম থাকে। জগন্নাথ দেবের রথের নাম ‘নান্দীঘোষ’, বলরামের রথের নাম ‘তালধ্বজ’ এবং সুভদ্রার রথের নাম ‘দর্পদলন’। এই তিনটি রথের উচ্চতা এবং রঙও আলাদা হয়। জগন্নাথ দেবের রথে ১৮টি চাকা থাকে, বলরামের রথে থাকে ১৬টি চাকা। জগন্নাথ এবং বলরামের বোন সুভদ্রার রথে থাকে ১২টি চাকা।

    বর্তমানে এই রথযাত্রা বিশ্ববিখ্যাত এবং সারা ভারতবর্ষের মানুষের কাছে এক আনন্দের অনুষ্ঠান। ভক্তদের সমাগমে ছেয়ে যায় পুরুষোত্তম ক্ষেত্র বা শ্রীক্ষেত্র। ভারতবর্ষের সকল মানুষ অপেক্ষায় থাকেন এই উৎসবের জন্য।

  • Presidential Elections: রাষ্ট্রপতিপদে মনোনয়ন দিলেন দ্রৌপদী মুর্মু, সঙ্গে কারা ছিল জানেন?

    Presidential Elections: রাষ্ট্রপতিপদে মনোনয়ন দিলেন দ্রৌপদী মুর্মু, সঙ্গে কারা ছিল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি (President) পদে এনডিএ (NDA) প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল আগেই। এবার মনোনয়নপত্র দাখিল করার পালা। আজ, শুক্রবার মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন এনডিএ রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi murmu)। এদিন মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় উপস্থিত ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার শীর্ষ নেতা, সাংসদ এবং বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতারাও। এনডিএর শরিক না হলেও, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় উপস্থিত ছিলেন ওড়িশা সরকারের দুই মন্ত্রীও।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি পদে এগিয়ে দ্রৌপদী মুর্মু! ‘ঘরের মেয়ে’ কে সমর্থন নবীনের

    রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হলে অন্তত ৫০ জন সাংসদ কিংবা সমান সংখ্যক বিধায়ককে প্রস্তাবক হতে হয়। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, দ্রৌপদীর প্রস্তাবকের তালিকায় প্রথম নামটি রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তার পরে পরেই রয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার নাম। বাংলা থেকে দ্রৌপদীর প্রস্তাবকের তালিকায় রয়েছেন ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুনার হেমব্রম, হবিবপুরের বিধায়ক জয়েল মুর্মু এবং তপনের বিধায়ক বুধরাই টুডু।

    ২৬ জুন জার্মানিতে জি-৭ বৈঠকে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগেই মনোনয়নপত্র দাখিলের বিষয়টি সেরে ফেলতে চাইছিলেন তিনি। সেই কারণেই এদিন মনোনয়নপত্র জমা দেন দ্রৌপদী।

    এদিকে, বৃহস্পতিবারই দিল্লি উড়ে আসেন দ্রৌপদী। সৌজন্য সাক্ষাৎ হয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। তার পরেই মোদির ট্যুইট, দ্রৌপদী মুর্মুর রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়াকে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ স্বাগত জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকার পর্ব সেরে দ্রৌপদী দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। শাহ বলেন, রাষ্ট্রপতি পদে মুর্মুর নাম ঘোষণা হওয়ায় আদিবাসী সমাজ উচ্ছ্বসিত।

    আরও পড়ুন : কাউন্সিলর থেকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী, কে এই দ্রৌপদী মুর্মু?

    এর আগে নাড্ডা জানিয়েছিলেন, ২০ জনের নামের তালিকা থেকে সর্বসম্মতভাবে বেছে নেওয়া হয়েছে দ্রৌপদীর নাম। সেই ঐক্য প্রদর্শন করতে এনডিএ-র শীর্ষ নেতাদেরও উপস্থিত থাকার অনুরোধ করেছেন নাড্ডা। এনডিএ-তে নেই ওড়িশার শাসক দল বিজেডি। তবে দ্রৌপদী যেহেতু ‘ঘরের মেয়ে’, তাই তাঁকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। ট্যুইট করে তিনি জানান, আমার মন্ত্রিসভার দুই সতীর্থ জগন্নাথ সরাকা ও টুকানি সাহু মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত থাকবেন।

    রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীর প্রতিপক্ষ বিজেপি বিরোধী ১৭টি জোটের যশবন্ত সিনহা। তিনি মনোনয়ন জমা দেবেন ২৭ জুন। ১৮ জুলাই হবে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন।

     

  • Maharashtra political crisis: গুজরাট ছেড়ে একনাথ শিন্ডেরা রয়েছেন আসামে, কেন জানেন?

    Maharashtra political crisis: গুজরাট ছেড়ে একনাথ শিন্ডেরা রয়েছেন আসামে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরব সাগরের তীর ছেড়ে তাপী নদীর ধার। সেখান থেকে সটান ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে আশ্রয় নিয়েছেন মহারাষ্ট্রের শিবসেনার (Shiv Sena) বিদ্রোহী বিধায়করা! পশ্চিমের বিজেপি (BJP) শাসিত গুজরাট (Gujrat) ছেড়ে কেনই বা তাঁরা উড়ে গেলেন উত্তর-পূর্বের আসামে (Assam)?  বিশেষত রাজ্যটি যখন বন্যা কবলিত। আসুন, জেনে নেওয়া যাক, মহারাষ্ট্রের বিদ্রোহী শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে কেন দলবল নিয়ে হাজির হলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মার রাজ্যে।

    আরও পড়ুন : দল বিরোধী আইন এড়াতে প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড় করে ফেলেছেন শিন্ডে?

    ‘নরম হিন্দুত্ব’ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরেছিল তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্য একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde)। তাঁর দাবি, কংগ্রেস ও এনসিপি নয়, বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে গড়া হোক সরকার। মুখ্যমন্ত্রী তাতে রাজি না হওয়ায় অনুগামী ৩৬ জন বিধায়ককে নিয়ে বিজেপি শাসিত গুজরাটের সুরাটে চলে যান একনাথ। সেখান থেকে চলে যান আসামের গুয়াহাটিতে। সেখানকার এক রাজকীয় হোটেলে রয়েছেন শিন্ডে সহ শিবসেনার অন্য বিধায়করা।

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায়ও বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করতে দেখা গিয়েছিল আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে। বুধবার সকালে শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়করা পৌঁছানোর আগেই তাঁর গাড়ি পৌঁছে যায় পূর্ব নির্ধারিত হোটেলে। প্রশ্ন হল, কেন গুজরাট ছেড়ে আসামে আশ্রয় নিলেন শিন্ডে ও তাঁর অনুগামী বিধায়করা? বিশেষ করে, দুটি রাজ্য যখন দেশের দুপ্রান্তে অবস্থিত?

    আরও পড়ুন : সরকারি বাসভবন ছেড়ে ফিরলেন ‘মাতোশ্রী’তে, মুখ্যমন্ত্রিত্ব কি ছাড়বেন উদ্ধব?

    রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, এর অনেকগুলি কারণ রয়েছে। প্রথমত, মহারাষ্ট্রের সঙ্গে গুজরাটের দূরত্ব আসামের চেয়ে ঢের কম। তাই বিদ্রোহী বিধায়করা যখন গুজরাটে ছিলেন, তখন শিবসেনার তরফে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়েছিল তাঁদের সঙ্গে। এই বিদ্রোহীদের টোপ দিয়ে দলের মূল স্রোতে ফেরাতে পারলেই শিন্ডের বিদ্রোহে জল ঢালা হয়ে যেত। তা এড়াতেই মধ্যরাতের বিমানে গুজরাট ছাড়েন শিন্ডে ও তাঁর অনুগামীরা। 

    দ্বিতীয়ত, হিমন্ত বিশ্বশর্মা দক্ষ রাজনীতিবিদ। কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তিনি। উত্তর-পূর্বে কংগ্রেসের কোমর ভেঙে দিয়েছেন এই রাজনীতিবিদ। তাই তাঁর ওপরই ভরসা করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। হিমন্তের চালে শিবসেনা-বিরোধীদের মাত দেওয়া সহজ হবে বলেই মনে করছেন পদ্ম নেতারা। সেই কারণেই হিমন্তের রাজ্যের হোটেলে ‘বন্দি’ করে রাখা হয়েছে বিদ্রোহী বিধায়কদের। কড়া নিরাপত্তার বলয় ভেঙে যে হোটেলে ঢুকতে পারবে না কাকপক্ষীও। 

    সর্বোপরি, রয়েছে হিমন্তের ওপর বিজেপির অশেষ আস্থা। কংগ্রেস ভেঙে আসা হিমন্ত আসামের একের পর এক নির্বাচনে বিপুল জয় এনে দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরকে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কার্বি আংলং নির্বাচনেও বিরোধীদের দুরমুশ করে দিয়েছেন তিনি। যার জেরে বিজেপি নেতৃত্বের বিশেষ ভরসাস্থল হয়ে উঠছেন উত্তর-পূর্বের এই নেতা। তাই মধ্যরাতের বিমানে হিমন্তের ডেরায় পাঠানো হয়েছে শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়কদের।

  • Presidential Election: রাষ্ট্রপতি পদে এগিয়ে দ্রৌপদী মুর্মু! ‘ঘরের মেয়ে’ কে সমর্থন নবীনের

    Presidential Election: রাষ্ট্রপতি পদে এগিয়ে দ্রৌপদী মুর্মু! ‘ঘরের মেয়ে’ কে সমর্থন নবীনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  আগামী ১৮ জুলাই দেশের ১৬ তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presidential Election)। রাষ্ট্রপতি পদে বিজেপি (BJP) প্রার্থী ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)। অন্যদিকে বিরোধীদের পছন্দ অটলবিহারী বাজপেয়ী জমানার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহাকে (Yashwant Sinha)। ২১ জুলাই ভোটগণনা। শেষ পর্যন্ত কে হবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি, তার জন্য অপেক্ষা করত হবে গণনা শেষ হওয়া পর্যন্ত।  তবে, সংখ্যাতত্বের হিসেবে বা রাজনৈতিক মহলের মতে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে দ্রৌপদী মুর্মু। 

    [tw]


    [/tw]

    রাষ্ট্রপতি ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে বিজেপির প্রয়োজন ছিল ১২ হাজারের কাছাকাছি ভোট। রাষ্ট্রপতি পদে ওড়িশার ভূমিকন্যা তথা জনজাতি সমাজের প্রতিনিধি দ্রৌপদী মুর্মুকে দাঁড় করিয়ে সে রাজ্যের শাসক দল বিজেডির (BJD) ৩২ হাজার ভোট নিশ্চিত করে ফেলে বিজেপি। বুধবার দুপুরে ওড়িশার (Odisha) মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক (Naveen Patnaik) ট্যুইট করে দলীয় সাংসদ, বিধায়কদের নির্দেশ দেন, পার্টি লাইনের উর্ধ্বে উঠে ওড়িশার কন্যা দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি পদে সমর্থন করতে। নবীন পট্টনায়েকের মন্ত্রিসভায় একটা সময় সদস্য ছিলেন তৎকালীন বিজেপি নেত্রী দ্রৌপদী। নবীন বলেন, ওড়িশা থেকে এই প্রথম কেউ রাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন। তাই রাজ্যে বিজেপি প্রধান বিরোধী দল হলেও, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ঘরের মেয়ের দিকেই সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দেবে বিজু জনতা দল।

    অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডিও জানিয়েছেন তাঁর দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস দ্রৌপদীকেই সমর্থন করবে। এরপর এবার বিজু জনতা দল। এনডিএ-র বাইরে থাকা দুই রাজ্যের দুই শাসক দলের সমর্থন পেয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে নিশ্চিত জয়ের পথে এগিয়ে গেলেন দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ৪৯ শতাংশ ভোট আছে এনডিএ-র কাছে।  ফলে দ্রৌপদীর জয় নিশ্চিত করতে আরও অন্তত দু  শতাংস এনডিএ-র বাইরের দলের সমর্থন প্রয়োজন ছিল দ্রৌপদী-র। এবার এনডিএ-র বাইরের দুই দলের সমর্থন পেয়ে আরও ৫ শতাংশ ভোট নিশ্চিত করলেন দ্রৌপদী মুর্মু।  

    আরও পড়ুন: স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষে দেশের প্রথম নাগরিক সাঁওতালি কন্যা?

    কংগ্রেসের শরিক ঝাড়খণ্ডের শাসক দল জেএমএম-ও রাজ্যের জনজাতি সমাজের কথা মাথায় রেখে দ্রৌপদীকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দ্রৌপদীর সমর্থনে সরব হয়েছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পিএস তামাং-ও।  বাজপেয়ী মন্ত্রিসভায় নীতীশ কুমারের প্রাক্তন সতীর্থ ছিলেন বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহা। কিন্তু তাঁর দল জেডিইউ এনডিএ পদপ্রার্থীকেই সমর্থন করবে বলে জানিয়েছেন নীতীশ।  টিআরএস, আম আদমি পার্টি, অকালি দল, বিএসপি এখনও জানায়নি তারা আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কাকে সমর্থন করছে। তবে এই দলগুলির অবস্থান যা-ই হোক সংখ্যাতত্বের হিসেবে এখনই রাইসিনা হিলসের দৌড়ে অ্যাডভান্টেজ দ্রৌপদী মুর্মু।

LinkedIn
Share