Blog

  • BJP Wins Co-operative Election: রাজ্যের মন্ত্রীর খাসতালুকে সমবায় সমিতি নির্বাচনে বিপুল জয় বিজেপির

    BJP Wins Co-operative Election: রাজ্যের মন্ত্রীর খাসতালুকে সমবায় সমিতি নির্বাচনে বিপুল জয় বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) রামনগরে সমবায় সমিতি (Co-operative Samity) দখল করল বিজেপি (BJP)। রামনগর ২ ব্লকের কালিন্দি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঘোল দক্ষিণ শীতলা মিলনী সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির পরিচালন কমিটির নির্বাচনে এই জয় পেয়েছে গেরুয়া শিবির। 

    ফলাফল ঘোষণা হতে দেখা যায়, ৯টি আসনের মধ্যে ৭টিতে জিতেছেন বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা। বাকি ২ আসনে খাতা খুলেছে তৃণমূল। যার ফলে তৃণমূলকে সরিয়ে সমবায়ের ক্ষমতায় এল গেরুয়া শিবির। রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরির (Minister Akhil Giri) খাসতালুকে বিজেপির এই জয় তাৎপর্যপূর্ণ। আগামী বছর পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে, এই জয় দলের মনোবল বাড়াতে সাহায্য করবে বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির।

    আরও পড়ুন: গার্হস্থ্য হিংসার নিরিখে দেশে শীর্ষে বাংলা, বলছে এনসিআরবি রিপোর্ট

    সমবায় সমিতির বোর্ড গঠন ঘিরে বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছিল উত্তেজনা। শাসক দলের অন্তর্কলহে নির্বাচনের আগে প্রকট হয়ে ওঠে। তৃণমূল বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির বিরুদ্ধে সোচ্চার দলেরই একাধিক কাউন্সিলর। আর তা ঘিরে তৃণমূলের একাংশের তুমুল বিক্ষোভের জেরে শনিবার উত্তেজনা ছড়ায় কাঁথি সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বচসা, ধস্তাধস্তি বাঁধে পুলিশের।

    এরপর রবিবার, অর্থাৎ, নির্বাচনের দিনও সকাল থেকে ছিল উত্তেজনা। বিকেলে ভোট গণনার শেষে দেখা যায় ৯টি আসনের ৭টি আসনে বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা। বিজেপি-র তরফে দাবি করা হয়েছে, তৃণমূলের লাগামহীন সন্ত্রাসের জবাব দিয়েছেন মানুষ। ভোটে জিতে উচ্ছ্বসিত গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকেরা। বিজেপির মতে, এই জয়ের ফলে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নেতা-কর্মীদের মনোবল বাড়বে। 

    জয়ের পর দলীয় কর্মী, সমর্থকদের গৈরিক অভিনন্দন জানান কাঁথি (Contai) সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল। জয় নিয়ে তিনি বলেছেন, “এলাকার মানুষ এই নির্বাচনের মাধ্যমে তৃণমূলী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বার্তা দিয়েছেন। সমবায়ের উন্নয়নে গতি আনার চেষ্টা করব আমরা।” 

    অন্যদিকে, এই পরাজয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব।

  • PMO Job Announcement: আগামী দেড় বছরেই ১০ লক্ষ নতুন কেন্দ্রীয় চাকরি! টার্গেট বেঁধে দিলেন মোদি

    PMO Job Announcement: আগামী দেড় বছরেই ১০ লক্ষ নতুন কেন্দ্রীয় চাকরি! টার্গেট বেঁধে দিলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনি কী সরকারি চাকরি করতে ইচ্ছুক? কিন্তু চাকরির অভাবে ব্যাগভর্তি ডিগ্রী থাকা সত্ত্বেও বাড়িতে বেকার হয়ে বসে আছেন? ভাবছেন কবে শিকে ছিড়বে? তাহলে আপনার জন্যে সুবর্ণ সুযোগ। কেন্দ্র সরকারের ১০ লক্ষ লোভনীয় চাকরি (Job Vacancy) অপেক্ষা করছে আপনার জন্যে। এখনই শুরু করে দিন প্রস্তুতি। 

    ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে বড় ঘোষণা মোদি (Modi) সরকারের। আগামী দেড় বছরে ১০ লক্ষ সরকারি পদে নিয়োগের ঘোষণা করল প্রধানমন্ত্রীর দফতর (Prime Minister Office)। জানা গিয়েছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সব বিভাগ এবং মন্ত্রকের কর্মসংস্থান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দেড় বছরের মধ্যে ১০ লক্ষ পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া সেরে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছেন বিভিন্ন দফতরকে। একটি ট্যুইট করে পুরো বিষয়টি জানিয়েছে পিএমও। 

    আরও পড়ুন: ১৩০ শূন্যপদে চাকরির বিজ্ঞপ্তি জারি কেন্দ্রের, কীভাবে আবেদন করবেন?

    পিএমও-র ট্যুইটে জানানো হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে কেন্দ্রীয় সরকারের সব দফতর এবং মন্ত্রকের মানব সম্পদের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর আগামী দেড় বছরের মধ্যে দ্রুততার সঙ্গে দশ লক্ষ নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন৷”

    [tw]


    [/tw]

    সম্প্রতি একাধিকবার নরেন্দ্র মোদি সরকারের আমলে দেশের বেকারত্বের হার বৃদ্ধি নিয়ে সবর হয়েছে বিরোধীরা। পিএমও-র এই ট্যুইট বিরোধীদের প্রশ্নের যোগ্য জবাব বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 

    আরও পড়ুন: রাজ্যে আইন মেনে হচ্ছে না ১০০ দিনের কাজ

    কর্মসংস্থান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে রেলমন্ত্রক। অনেকেই মনে করছেন আগামী দিনে প্রচুর পরিমাণে নিয়োগ হতে পারে রেলে। রেল ছাড়াও ডাক বিভাগ, পিএসইউ এবং কেন্দ্র সরকারের অন্যান্য বিভাগেও কর্মসংস্থান প্রচুর পরিমাণে বাড়বে, পিএমও-র ঘোষণা থেকে তা স্পষ্ট। 

     

  • Cancer Drug: ‘মিরাকেল’, ক্যান্সারড্রাগ ট্রায়াল শেষে বললেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা  

    Cancer Drug: ‘মিরাকেল’, ক্যান্সারড্রাগ ট্রায়াল শেষে বললেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিকিৎসাশাস্ত্রের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী আবিষ্কার। এক ওষুধেই নির্মূল হবে ক্যান্সারের (Cancer) মতো মারণ-ব্যাধি। ক্যান্সারের চিকিৎসায় (Cancer Treatment) স্বর্গপ্রাপ্তির মতো এক ঘটনা। এবার এই “মিরাকেল ড্রাগ”-এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ওষুধের ট্রায়ালে অংশ নেওয়া ভারতীয় বংশোদ্ভূত রোগী।

    মলদ্বারে ক্যান্সার (Rectal Cancer) এমন ১৮ জন রোগীর ওপর পরীক্ষা করার পরই এই দাবি করেছেন নিউ ইয়র্কের স্লোয়ান কেটেরিং ক্যান্সার সেন্টারের (Memorial Sloan Kettering Cancer Center) চিকিৎসকরা। ওই ঐতিহাসিক পরীক্ষামূলক ক্যানসার চিকিৎসার অংশ ছিলেন এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলাও।

    বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ক্যান্সার নিরাময়কারী এই ওষুধের নাম ডস্টারলিম্যাব (Dostarlimab)। ১৮ জন মলদ্বারে ক্যান্সারেররোগীকে ৩ সপ্তাহ অন্তর ৬ মাস ধরে এই ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা ক্যান্সার-মুক্ত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন চিকিৎসকরা। বৃহত্তর ট্রায়ালে সেই পরীক্ষা সফল হয় কিনা, সেদিকে এখন তাকিয়ে আছেন চিকিৎসকরা।    

    আরও পড়ুন: বিশ্বে প্রথমবার এক ওষুধেই উধাও ক্যান্সার! চমকে দেওয়া দাবি গবেষকদের

    নিউ ইয়র্কের মেমোরিয়াল স্লোয়ান কেটারিং ক্যান্সার সেন্টারে ট্রায়ালে অংশ নেওয়া ১৮ জন রোগীর একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা নিশা ভারুগিস (Nisha Varughese)। সংবাদ সংস্থাকে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন নিশা। 

    ক্যান্সার থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পুরো ঘটনাকে ‘মিরাকেল’ বলে অভিহিত করেছেন নিশা। যেদিন প্রথম ক্যান্সার মুক্ত হয়েছিলেন, প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি তিনি। সেদিনের স্মৃতিচারণায় নিশা বারুগেজ বলেন, “ওই দিন হঠাৎ দেখলাম টিউমারটা নেই। আমি ভাবছিলাম, কোথায় গেল টিউমারটা? তারপর মনে হয়েছিল, ওটা ভিতরে কোথাও লুকিয়ে রয়েছে, দেখা যাচ্ছে না। পরে ডাক্তাররা আমায় জানান, টিউমারটি আর নেই। এটা সত্যিই মিরাকল।” 

    নিশা ভারুগেজ এবং ট্রায়াল নেওয়া সকলেই মলদ্বারের ক্যান্সারের রোগী ছিলেন। শুধুমাত্র মলদ্বারেই স্থানীয়ভাবে ছড়িয়েছিল ক্যান্সার, আর অন্য কোনও অঙ্গে ছড়ায়নি। কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন, শল্য চিকিৎসা-সহ বিভিন্নরকম পদ্ধতিতে প্রথমে ক্যান্সার নির্মূল করার চেষ্ঠা করেছিলেন এই রোগীরা। কোনও লাভ হয়নি। উল্টে অন্ত্র-প্রস্রাবের সমস্যা এমনকি যৌন ক্ষমতা হারাতে বসেছিলেন। এমন সময়ই ওই রোগীদের ওপর করা হয় ওই পরীক্ষা। পরীক্ষায় ১০০ শতাংশ পাশ করেছেন গবেষকরা। 

    আরও পড়ুন: ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে চান? রোজ পাতে রাখুন এই খাবারগুলো

    গবেষকরা জানিয়েছেন, ডস্টারলিম্যাব ওষুধে গবেষণাগারে তৈরি কিছু অণু থাকে, যেগুলি মানবদেহে অ্যান্টিবডির বিকল্প হিসাবে কাজ করে। ইমিউনোথেরাপি (Immunotherapy) শরীরের নিজস্ব ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উপযোগী করে তোলে।

    মানবদেহের ইমিউন কোষে একটি ‘চেকপয়েন্ট’ নামক সুরক্ষা ব্যবস্থা থাকে। ওই চেকপয়েন্টই ইমিউন কোষগুলিকে, মানবদেহের স্বাভাবিক কোষগুলি আক্রমণ করা থেকে প্রতিহত করে। ক্যান্সারের কোষগুলি এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে দিয়ে ইমিউন কোষগুলির কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দিতে পারে। ফলে, টিউমারগুলি গোপনে বেড়ে উঠতে পারে।

    ইমিউনোথেরাপি, ক্যান্সার কোষগুলিকে শনাক্ত করে, ইমিউন কোষগুলি দিয়ে সেই কোষগুলিকে আক্রমণ করায়। এই গবেষণা দলের অন্যতম সদস্য তথা ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ আন্দ্রেয়া সেরসেক জানিয়েছেন, “ইমিউনোথেরাপিতে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক দ্রুত টিউমারগুলি সংকুচিত হয়েছে।”

  • Strawberry Moon 2022: আজ আকাশে দেখা যাবে স্ট্রবেরি মুন! কী এর বিশেষত্ব, জানুন

    Strawberry Moon 2022: আজ আকাশে দেখা যাবে স্ট্রবেরি মুন! কী এর বিশেষত্ব, জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ রাতের চাঁদ দেখার অপেক্ষায় গোটা বিশ্ব। আজ চাঁদের এক অন্য রূপ দেখার সাক্ষী থাকবে গোটা বিশ্বব্যাপী মানুষ। আজ সন্ধ্যা আকাশে দেখা দেবে ‘স্ট্রবেরি মুন’।

    সাধারণত, জুন মাসের পূর্ণিমা চাঁদকে ‘স্ট্রবেরি মুন’ (Strawberry Moon) বলা হয়। ভারতীয় সময় অনুযায়ী আজ সন্ধ্যে ৫টা ২২ মিনিটে শুরু হবে পূর্ণিমা। এই সময় চাঁদ পৃথিবীর চারপাশে তার কক্ষপথের সবচেয়ে কাছের বিন্দুতে থাকবে, যাকে পেরিজি (perigee) বলা হয়, এবং এটিকে দেখতে একটি “সুপারমুন” (Supermoon)-এর মতো।

    পূর্ণিমায় চাঁদ সাধারণত আরও উজ্জ্বল এবং বড় দেখায় এবং আকাশ পরিষ্কার থাকলে রাতের সময়ে দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু আজ চাঁদ সাধারণ পূর্ণিমার তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি উজ্জ্বল এবং বড় দেখাবে। কারণ চাঁদ এদিন পৃথিবীর ২২২,২৩৮ মাইলের মধ্যে আসবে অর্থাৎ সাধারণ দূরত্বের চেয়ে প্রায় ১৬ হাজার মাইল কাছে থাকবে।

    আরও পড়ুন: চাঁদের উল্টোপিঠ কেন আলাদা? এতদিনে রহস্যের উদঘাটন বিজ্ঞানীদের

    তবে সারা বিশ্বে ‘স্ট্রবেরি মুন’ দেখার জন্য উৎসাহী হয়ে থাকলেও ভারতে হিন্দুদের (Hinduism) কাছে এর আলাদা মাহাত্ম্য রয়েছে। কারণ আজকের পূর্ণিমা ভারতে বট পূর্ণিমা নামে খ্যাত। আজকের দিনে হিন্দু মহিলারা বট গাছে পবিত্র সুতো বাঁধেন ও স্বামীর মঙ্গল কামনায় বিবাহিত স্ত্রীরা উপবাস করেন।

    কিন্তু কেন এই নামকরণ?

    আপনারা নিশ্চয় মনে করছেন যে, এদিন চাঁদ দেখতে খানিকটা স্ট্রবেরির মত অথবা লাল বা গোলাপী বর্ণের হবে। কিন্তু এমনটা কিছুই নয়। আসলে এই নামটি নেটিভ আমেরিকানরা (Native Americans) দিয়েছে। ‘অ্যালম্যানাক’ (Almanac )তথ্য অনুযায়ী, এর কারণ হল অ্যালগনকুইন (Algonquin), ওজিবওয়ে (Ojibwe), ডাকোটা (Dakota) এবং লাকোটা (Lakota) নামের কিছু আদিবাসীরা জুন মাসে পাকা স্ট্রবেরি কাটত। ফলে জুন মাসের এই পাকা স্ট্রবেরীকে তারা স্ট্রবেরি মুন নাম দিয়েছিল, আর সেই থেকেই এই নামকরণ এসেছে। ‘সামার সুপারমুন’ হিসাবে যে চাঁদ দেখা যায়, তার তালিকায় এটিই প্রথম।

    কীভাবে দেখবেন এই স্ট্রবেরি মুন?

    ইটালির সিক্যানো-তে (Ceccano) ভার্চুয়াল টেলিস্কোপের মাধ্যমে এই পূর্ণিমার লাইভ দৃশ্য দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভারতীয় সময় অনুসারে এটি রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে দেখানো হবে।

    আরও পড়ুন: চাঁদে জলের উৎস পৃথিবী, গবেষণায় প্রকাশ পেল নয়া তথ্য

    এই বছরে আর কবে পূর্ণিমা হবে? আর সেই চাঁদের কী কী নাম দেওয়া হয়েছে—

    ১৩ জুলাই- ‘বাক মুন’ (Buck Moon)

    ১১ অগাস্ট- ‘স্টারজিয়ন মুন’  (Sturgeon Moon)

    ১০ সেপ্টেম্বর- ‘হার্ভেস্ট মুন’ (Harvest Moon)

    ৯ অক্টোবর- ‘হান্টার্স মুন’ (Hunter’s Moon)

    ৮ নভেম্বর- ‘বিভার মুন’ (Beaver Moon)

    ৭ ডিসেম্বর- ‘কোল্ড মুন’ (Cold Moon)

     

  • Hindu Rituals: সন্ধ্যায় বাড়িতে প্রদীপ জ্বালান! এই সনাতন রীতির গুরুত্ব জানেন কি?

    Hindu Rituals: সন্ধ্যায় বাড়িতে প্রদীপ জ্বালান! এই সনাতন রীতির গুরুত্ব জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু সংস্কৃতিতে সন্ধ্যা হলে গৃহস্থবাড়িতে তুলসী তলায় দেওয়া হয় প্রদীপ। অনেকে আবার মনে করেন যথাসময়ে প্রদীপ না জ্বালালে তা গৃহস্থের অমঙ্গলের কারণ হতে পারে। কিন্তু হাজার হাজার বছর ধরে হিন্দু সংস্কৃতিতে প্রদীপ এত গুরুত্বপূর্ণ কেন?

    আত্মা ও জ্ঞান

    অগ্নি হলো জ্ঞানের প্রতীক। স্বয়ং ঈশ্বর আমাদের মনের অন্ধকার দূর করার জন্য আলোর পথ দেখান। তেমনই প্রদীপের আলো সমস্ত অন্ধকারকে দূর করে। আবার পরম আত্মা হলেন প্রদীপের জ্যোতির মত। পরমাত্মাকে উপলব্ধি করতে গেলে প্রয়োজন দিব্যদৃষ্টির। তাই হিন্দু সংস্কৃতিতে প্রদীপকে তুলনা করা হয় পরমাত্মা এবং জ্ঞানের আধার রূপে।

    বৈদিক যুগ

    হিন্দু সংস্কৃতির অন্যতম একটি অঙ্গ প্রদীপ জ্বালানো হলেও, বৈদিক যুগে প্রদীপ জ্বালানোর প্রথা সেভাবে ছিল না। তখন প্রাধান্য দেওয়া হতো হোম ও যজ্ঞকে। তারপর ধীরে ধীরে পুজোর অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে থাকে নৈবেদ্য, বস্ত্র, ধুপ এবং প্রদীপ। এছাড়াও পুজোর সময় অন্ধকার দূর করার জন্য চারিদিকে প্রদীপ জ্বালানো হত।

    সন্ধ্যাপ্রদীপ

    অতীতে অনেকে সন্ধ্যা নামলে সদর দরজার সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখতেন। উদ্দেশ্য একটাই, কোনও পথিকের প্রয়োজন হলে যেন তিনি আশ্রয় গ্রহণ করতে পারেন। বর্তমানেও গ্রামাঞ্চলের দিকে কিছু কিছু স্থানে সদর দরজায় প্রদীপ জ্বালানোর নিয়ম রয়েছে।

    তুলসী গাছের নীচে প্রদীপ কেন?

    গৃহদেবতার পাশাপাশি সন্ধ্যাবেলায় তুলসী গাছের নীচে প্রদীপ রাখা হয়। কারণ তুলসী ছিলেন শ্রীকৃষ্ণের দূতী বৃন্দা। পুরাণে বৃন্দা দেবী ছিলেন অত্যন্ত পবিত্র এবং সমস্ত বিশ্বের মধ্যে কারোর সঙ্গেই তিনি তুলনীয় ছিলেন না। তাই তিনি পবিত্র তুলসী নামে সমধিক পরিচিতি লাভ করেন।

    সন্ধ্যায় প্রদীপের গুরুত্ব

    সন্ধ্যা বলতে বোঝায় দুটি সময়ের সন্ধিক্ষণ। দিনের শেষ মুহূর্ত এবং রাত্রির শুরু। যদিও সন্ধ্যা মূলত তিন প্রকার। প্রাতসন্ধ্যা, মধ্যাহ্নসন্ধ্যা এবং স্বায়ংসন্ধ্যা। এই তিন সন্ধ্যাতেই ব্রাহ্মণগণ গায়ত্রীকে আহ্বান করে আহ্নিক করতেন এবং সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী মানুষ করতেন জপ ও ধ্যান। স্বায়ংসন্ধ্যার সময় প্রত্যেক গৃহস্থবাড়িতে মঙ্গল কামনায় জ্বালানো হয় প্রদীপ।

  • Indian Defence: প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভর! ৭৬ হাজার কোটি টাকার সমরাস্ত্র কেনায় সায় কেন্দ্রের

    Indian Defence: প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভর! ৭৬ হাজার কোটি টাকার সমরাস্ত্র কেনায় সায় কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভরতা বাড়াতে নয়া পদক্ষেপ প্রতিরক্ষামন্ত্রকের। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি সমরাস্ত্র কেনায় মিলল ছাড়পত্র। সায় দিল প্রতিরক্ষামন্ত্রক (Ministry of defence)। এজন্য অনুমোদন করা হয়েছে ৭৬ হাজার কোটি টাকা। ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিলের (defence acquisition council) বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath singh) এর সভাপতিত্বে ওই বৈঠক হয়।

    জানা গিয়েছে, এই অর্থে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য রাফ টেরেন ফর্ক লিফ্ট ট্রাক (RTFLT), ব্রিজ লেইং ট্যাঙ্ক (BLT), হুইলড্ আর্মার্ড ফাইটিং ভেহিকল (WhAFV), অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল (ATGM) কেনা হবে। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি উয়েপন লোকেটিং রাডারও (WLR) কেনা হবে। ৩৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নৌবাহিনীর জন্য পরবর্তী প্রজন্মের করভেট (NGC) যুদ্ধজাহাজ কেনায়ও মিলেছে সায়। মোট ৮টি করভেট (Corvette) নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি, নজরদারি এবং এসকর্ট অপারেশনকে আরও অত্যাধুনিক করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে ওই বৈঠকে।

    আরও পড়ুন : সফল উৎক্ষেপণ অগ্নি-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের, আওতায় ভারতের প্রতিবেশীরা

    উপকূলরক্ষী বাহিনী (Coast Guard) অত্যাধুনিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এজন্য একটি প্রকল্পও হাতে নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় বাহিনীর নানা সারফেস ও অ্যাভিয়েশন অপারেশন, লজিস্টিকস, ফিন্যান্স এবং এইচআর প্রক্রিয়াগুলি জিডিটাইজ করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে ওই বৈঠকে।

    প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভরতার ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। আত্মনির্ভরতার পথে চলতি বছর বিপুল পরিমাণ অস্ত্র রফতানি করে ভারত। লোকসভায় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি বেড়েছে প্রায় ৬ গুণ। চলতি অর্থবর্ষের ২১ মার্চ পর্যন্ত ১১ হাজার ৬০৭ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করেছে ভারত।

    আরও পড়ুন : হজরত মহম্মদ মন্তব্য বিতর্কে পাকিস্তানকে পাল্টা তোপ ভারতের

    আত্মনির্ভর ভারত গড়তে প্রধানমন্ত্রী যে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, তার প্রমাণ মিলেছে নানা সময়। ২০২১ সালে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি আকাশ (Akash) মিসাইল রফতানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজনাথ জানান, ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে মহাকাশ গবেষণা ও প্রতিরক্ষা সংস্থার সঙ্গে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার সরঞ্জাম রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

     

     

  • Sachin-Shoaib: করাচি টেস্টে সচিনকে ইচ্ছাকৃত আঘাত করতে চেয়েছিলেন! স্বীকারোক্তি শোয়েবের

    Sachin-Shoaib: করাচি টেস্টে সচিনকে ইচ্ছাকৃত আঘাত করতে চেয়েছিলেন! স্বীকারোক্তি শোয়েবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাইশ গজে সচিন-শোয়েব ‘শত্রুতা’ বিশ্বক্রিকেটে একসময় অন্যতম ‘হটকেক’ ছিল। খেলার মাঠে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর দ্বৈরথের সূত্রপাত হয় ইডেন গার্ডেন্স থেকে। তারপর তা দীর্ঘায়িত হয় প্রায় একযুগ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লড়াইয়ে শেষ হাসিটি হেসেছেন ‘মাস্টার ব্লাস্টার’, (Sachin Tendulkar)।

    কিন্তু তাঁকে কুপোকাৎ করার কোনও সুযোগ ছাড়েননি ‘রাউলপিণ্ডি এক্সপ্রেস’ ওরফে শোয়েব আখতার (Shoaib Akhtar)। এমনকি একবার নাকি জেনেবুঝে শারীরিক আঘাতও করতে চেয়েছিলেন সচিনকে। সম্প্রতি এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছে প্রাক্তন পাক-পেসার।    

    আরও পড়ুন: নিজের স্বপ্নের একাদশ খোলসা করলেন শচীন, কারা রয়েছেন সেই দলে?
     
    ২০০৬ সালের ভারতের পাকিস্তান সফরের ঘটনা। শোয়েব এক সাক্ষাৎকারে জানান, “আমি বিষয়টা পরিষ্কার করে জানাতে চাই। ২০০৬ সালে করাচি টেস্টে আমি সচিনকে ইচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত করতে চেয়েছিলাম। যেভাবেই হোক সেই টেস্টে আমি সচিনকে আহত করতে বদ্ধপরিকর ছিলাম। ইনজামাম বারবার উইকেট বরাবর বল করতে বলছিল। কিন্তু আমার লক্ষ্য ছিল সচিনকে হিট করা। একবার আমার বল ওর হেলমেটে লাগে। ভেবেছিলাম বোধহয় মারা যাবে। কিন্তু পরে যখন ভিডিও দেখলাম, তখন দেখি সচিন নিজের মাথা বাঁচিয়ে নিয়েছে। এরপরও আমি ওকে আঘাত করার চেষ্টা করি। অন্যদিকে আসিফের বলে ব্যাট করতেও হিমশিম খাচ্ছিল ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। আসিফ দারুণ বল করেছিল।’ 

    সিরিজটি হাতছাড়া হয় ভারতীয় ক্রিকেট দলের। তৃতীয় ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ২৩ রানে আউট হন সচিন। এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬ রান করেন তিনি। এই টেস্টেই হ্যাটট্রিক করেন ইরফান পাঠান। প্রথম ইনিংসে চারটি ও দ্বিতীয় ইনিংসে তিনটি উইকেট নিয়ে আসিফ বেশ চাপে ফেলেছিলেন ভারতীয় দলকে। ৩৪১ রানের ব্যবধানে জয়ী হয় পাকিস্তান। সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পাকিস্তানের কাছে হেরে যায় ভারত।  

    আরও পড়ুন: বলিউডে পা রাখছেন সচিন-কন্যা সারা, জল্পনা বি-টাউনে

    এর আগে আসিফ একটি সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছিলেন যে, “করাচি টেস্টে (Karachi Test) শোয়েবের বলের মুখোমুখি হতে অনেক সময়ই নিজের চোখ বন্ধ করে নিচ্ছিলেন সচিন। এক্সপ্রেসের গতিতে বল করছিলেন শোয়েব।” 

    কেন এমন হিংসাত্মক হয়ে উঠেছিলেন শোয়েব? উত্তরে পাক-পেসার জানিয়েছেন,  আগ্রাসী মেজাজ এই ভাবনার মূল কারণ। যেন-তেন-প্রকারে সচিনের ব্যাট সেই মুহূর্তে থামাতে চেয়েছিলেন তিনি। দলের জয়ের পথে সচিনকেই সবচেয়ে বড় কাঁটা বলে মনে করেছিলেন ওই ফাস্ট বোলার। যদিও অনেক চেষ্টার পরেও সচিনকে ওই টেস্টে আউট করতে পারেননি শোয়েব। 

     

  • Howrah Violence: হাওড়ায় হিংসার জের, বদল শহর ও গ্রামীণের পুলিশপ্রধান

    Howrah Violence: হাওড়ায় হিংসার জের, বদল শহর ও গ্রামীণের পুলিশপ্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনদিন হলেও হাওড়ার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি এখনও সামাল দিতে ব্যর্থ মমতা প্রশাসন। এই পরিস্থিতি প্রচণ্ড চাপের মুখে অবশেষে জেলা পুলিশের শীর্ষস্তরে রদবদলের সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন। হাওড়ার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আজই নবান্নে জরুরি বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী৷ বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকা এবং এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম৷ সেখানেই দুই পুলিশকর্তাকে বদলির সিদ্ধান্ত নেওযা হয়।

    হাওড়া শহরের নতুন পুলিশ কমিশনার হচ্ছেন প্রবীণ ত্রিপাঠী। সেইসঙ্গে গ্রামীণ জেলার নতুন পুলিশ সুপারের দায়িত্ব নিতে চলেছেন স্বাতি ভাঙ্গালিয়া। এই মুহূর্তে কলকাতা পুলিশের অ্যাডিশানাল কমিশনার পদে কর্মরত আছেন প্রবীণ ত্রিপাঠী। স্বাতি ভাঙ্গালিয়া আছেন ডিসি সাউথ ওয়েস্ট পদে। হাওড়া জেলার বর্তমান পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর হচ্ছেন কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি এবং গ্রামীণ জেলার পুলিশ সুপার সৌম্য রায় হচ্ছেন কলকাতা পুলিশের ডিসি সাউথ ওয়েস্ট।

    আরও পড়ুন: হাওড়া যাওয়ার পথে গ্রেফতার সুকান্ত, রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ বিজেপির

    হজরত মহম্মদকে (Prophet) নিয়ে করা দিল্লিতে সদ্য দল থেকে সাসপেন্ড হওয়া বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার একটি মন্তব্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের জেরে কার্যত উত্তপ্ত হাওড়ার বিভিন্ন এলাকা। বৃহস্পতিবার ডোমজুড়ের অঙ্করহাটির কাছে ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধের পর শুক্রবার গোটা দিন ধরেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ ছিল বহু এলাকায়। জেলার উলুবেড়িয়া, ডোমজুর সহ একাধিক এলাকায় গত কয়েকদিনে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। 

    জাতীয় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে টানা চলে অবরোধ। চেঙ্গাইল সহ একাধিক স্টেশনে হয় রেল অবরোধ। স্তব্ধ হয়ে যায় সড়ক ও রেল যোগাযোগ। পাঁচলায় অগ্নিসংযোগ এবং এটিএম ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটে। শনিবারও পরিস্থিতির তেমন কোনও উন্নতি হয়নি। এদিন পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। 

    আরও পড়ুন: “আপনার পাপের ফলে ভুগতে হচ্ছে জনগণকে”, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    সতর্কতা হিসেবে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আগামী ১৩ জুন সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত হাওড়ার বেশ কিছু জায়গায় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিকে, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে হাওড়ার পর এবার মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বেলডাঙাতেও অশান্তির আঁচ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।  ১৪ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

  • SSC Scam ED raids: পার্থ, পরেশের বাড়ি সহ ১৪ জায়গায় হানা ইডি-র, কী মিলল তল্লাশিতে?

    SSC Scam ED raids: পার্থ, পরেশের বাড়ি সহ ১৪ জায়গায় হানা ইডি-র, কী মিলল তল্লাশিতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতিতে (SSC Scam) রাঘববোয়ালদের ধরতে এবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chaterjee) নাকতলার বাড়িতে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। ৮-ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ-পর্ব চলেছে।  পাশাপাশি, পিংলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আত্মীয়ের বাড়িতেও ইডি অফিসাররা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাইয়ের মামার বাড়িতে যান ইডির ৭ অফিসার। কৃষ্ণ প্রসাদ অধিকারীর খিরিন্দার বাড়িতে পৌঁছয় ইডি। 

    একইসঙ্গে ইডি (ED) হানা দিয়েছে তৃণমূলেরই (TMC) মন্ত্রিসভার আর এক সদস্য শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারির (Paresh Adhikary) বাড়িতেও। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। পরেশ অধিকারীর স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি অফিসাররা।

    এছাড়াও এসএসসির প্রাক্তন কর্তা শান্তি প্রসাদ সিনহার (Shantiprasad Sinha) বাড়িতেও হানা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এই তিন জায়গা ছাড়াও রাজ্যের আরও দশ জায়গায় এদিন হানা দেয় ইডি। এর মধ্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, টেট দুর্নীতি মামলায় অপসারিত পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর যাদবপুরের বাড়ি এবং পর্ষদ সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীর বাড়িতেও যান ইডি অফিসাররা। 

    আরও পড়ুন : এসএসসি-র বাজেয়াপ্ত কম্পিউটার থেকে গোছা গোছা ‘নকল’ নিয়োগপত্র, মাথা কে?

    রাজ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনে (School Service Commission) ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন চাকরি প্রার্থীদের কেউ কেউ। তার পরেই এই দুর্নীতি মামলায় তদন্তে নামে সিবিআই (CBI)। কীভাবে দুর্নীতি হয়েছিল তা খুঁজে বের করাই প্রধান লক্ষ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। তদন্তের গোড়ায় পৌঁছতে সিবিআই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করেছে। জেরা করা হয়েছে বাম দল থেকে তৃণমূলের আসা রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারিকেও।

    এই মামলায় তদন্ত করছে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিও। তারা মূলত আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এজন্য দুটি এফআইআর রুজুও করেছে ইডি। এ ব্যাপারে একাধিক আবেদনকারী ও সাক্ষীর বয়ানও রেকর্ড করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। এ থেকেই ইডির ধারণা, এই মামলায় লেনদেন হয়েছে কোটি কোটি টাকা। এই বিপুল অঙ্কের টাকা কোথা থেকে এল, গেলই বা কোথায়, লাভের অঙ্ক কার ঘরেই বা উঠল, ঘটনার নেপথ্যে কোনও প্রভাবশালী যোগ রয়েছে কিনা এসবই খতিয়ে দেখছেন ইডির আধিকারিকরা। গত কয়েক দিনে এনিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও সংগ্রহ করেছেন তাঁরা। তার পরেই এদিন রাজ্যের ১৩টি জায়গায় হানা দেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন : এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের ডাকে ফের নিজাম প্যালেসে পার্থ চট্টোপাধ্যায়

    জানা গিয়েছে, এদিন এসএসসি দুর্নীতি মামলার তদন্তে পার্থের নাকতলার বাড়িতে হাজির হন ইডির আধিকারিকরা। ইডিরই আর একটি দল গিয়ে হাজির হন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেখলিগঞ্জের বাড়িতেও। ইডি সূত্রে খবর, প্রায় ৯০ জন আধিকারিক দুর্নীতির শেকড়ে পৌঁছতে হানা দিয়েছেন রাজ্যের ১৩টি জায়গায়। শান্তিপ্রসাদ সিনহা সহ এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের বাড়িতেও এদিন হানা দেন তদন্তকারীরা। এদিন শান্তিপ্রসাদের বাড়িতে যান এক মহিলা সহ ইডির সাতজন আধিকারিক। শান্তি প্রসাদের কোথায় কত সম্পত্তি রয়েছে, সেটাই জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

     

  • JP Nadda: “দেশ বদলেছে, রাজ্যেও বদল আসবে”, বার্তা নাড্ডার

    JP Nadda: “দেশ বদলেছে, রাজ্যেও বদল আসবে”, বার্তা নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে বদল হয়েছে, এরাজ্যেও পরিবর্তন আসবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলামন্দিরে বিদ্বজ্জনদের সভায় এমনটাই জানালেন জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। 

    বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি রাজ্যের বর্তামান পরিস্থিতির সঙ্গে দেশে ২০১৪ সালের পূর্ববর্তী পরিস্থিতির তুলনা করেন। তিনি বলেন, “২০১৪’র আগে দেশের যেরকম পরিস্থিতি ছিল, আজ বাংলার পরিস্থিতিও একই রকম। লুঠপাট, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি সহ বিশ্বের দুর্নীতিগ্রস্থ দেশের তালিকায় দেশের নাম নেওয়া হতো। কিন্তু আজ দেশ বদলাচ্ছে না, বদলে গিয়েছে। সেজন্য বাংলা নিয়েও আমি হতাশ হই না। হয়তো একটু সময় লাগবে কিন্তু এখানেও পরিবর্তন আসবে।”

    পরিবারতন্ত্র নিয়ে তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে ফের একবার সুর চড়ান নাড্ডা। বলেন, “কাশ্মীর থেকে নীচ পর্যন্ত পরিবারতন্ত্র। এখানেও তো পিসি-ভাইপো। বাকিরা তো ল্যাম্পপোষ্ট। এখানে হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) নির্দেশে সিবিআই (CBI) তদন্ত চলে।” তিনি মনে করিয়ে দেন, যারা বাংলার গর্বকে ক্ষতি করতে চাইবে, তাদের মুখোশ খুলে দিতে হবে।”

    কলামন্দিরে অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) কাজের খতিয়ানও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, “মোদিজির শাসনের ৮ বছর পর আমরা বলতে পারি মোদি থাকলে সব সম্ভব। আজ আমাদের নীতি সংস্কার, সুশাসন, গতি, দক্ষতা। এখন পর্যন্ত, বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের ২২ লক্ষ কোটি টাকা ডিজিটালভাবে সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছে।” 

    নাড্ডা আরও বলেন, “আজ একটি বোতাম টিপেই ২৩ হাজার কোটি টাকা সরাসরি ১০ কোটি কৃষকের অ্যাকাউন্টে পৌঁছেছে। আজ মোদি সরকারের অধীনে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PMAY) আওতায় ২.৫ কোটি বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। আজ ১২ কোটি মানুষ প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনার (PMJJBY) সুবিধা পাচ্ছেন, যার মধ্যে ৭৬ লক্ষ সুবিধাভোগী বাংলার মানুষ। ২৮ কোটি মানুষ প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনার (PMSBY) সুবিধা পাচ্ছেন, যা নিজেই একটি রেকর্ড।”

    এর আগে নিউটাউনের হোটেলে বিজেপির বিধায়ক-সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেন সর্বভারতীয় সভাপতি। সেখানে তিনি জানান, করোনা না এলে এবারই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি (BJP Bengal) ক্ষমতায় চলে আসত। বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি মনে করিয়ে দেন, চতুর্থ দফার ভোটের পর ঠিকমত প্রচারই করতে পারা যায়নি। করোনার জন্য প্রায় প্রচার ছাড়াই বিজেপিকে ভোটে লড়তে হয়েছে। না হলে যে গতিতে বিজেপি এগোচ্ছিল, তাতে এবারই নিশ্চিত ছিল।

    আরও পড়ুন: “শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গেও গণতান্ত্রিক উপায়ে সরকার গঠন”, রাজ্যে এসে বার্তা নাড্ডার

LinkedIn
Share