Blog

  • Suvendu Slams Mamata: “বৃথা চেষ্টা, একটা বিগ জিরো…”, মমতার দিল্লি সফরকে কটাক্ষ শুভেন্দুর 

    Suvendu Slams Mamata: “বৃথা চেষ্টা, একটা বিগ জিরো…”, মমতার দিল্লি সফরকে কটাক্ষ শুভেন্দুর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presidential Election) ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরোধীদের একজোট করার প্রচেষ্টায় বৈঠককে অপ্রাসঙ্গিক বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিরোধী দলনেতা, মুখ্য সচেতকসহ সাত বিজেপি বিধায়ককে সাসপন্ড করেছেন। সেই কারণে বিধানসভার বাইরে ধর্না দেন বিজেপি বিধায়করা। সেখানেই শুভেন্দু বলেন, “ওই বৈঠকের কোনও গুরুত্ব নেই। জগনমোহন রেড্ডি, কে চন্দ্রশেখর রাও এবং নবীন পট্টনায়েকের মতো গুরুত্বপূর্ণ নেতারা বৈঠকে যাচ্ছেন না।”

    রাজ্য থেকে বিজেপির মনোনীত প্রার্থীই বেশি ভোট পাবেন বলে নিশ্চিত শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “গতবার বিজেপির ৩ বিধায়ক থাকলেও এই রাজ্য থেকে রামনাথ কোবিন্দ ১৩ জনের ভোট পেয়েছিলেন। এবার বিজেপির ৭০ জন বিধায়ক। গতবার ২ সাংসদ রাজ্য থেকে এনডিএ প্রার্থীকে ভোট দিয়েছিলেন, এবার অন্তত ১৮ জনের ভোট ঝুলিতে আসবে। সংখ্যাটা ১৮-র বেশিও হতে পারে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের গণনার দিন সবাইকে লাড্ডু খাওয়াব।”

    আরও পড়ুন: ‘ছাপ্পাশ্রী’ পুরস্কার দেওয়া হোক, আচার্য বিল নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    তৃণমূলনেত্রীর প্রচেষ্টাকে ‘বিগ জিরো’ বলেও এদিন কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা।  বলেন,”উনি ১০ বছর ধরে দেশের নেত্রী হওয়ার বৃথা চেষ্টা করছেন।”  

    কেন্দ্রের প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করা নিয়েও এদিন মমতাকে একহাত নেন শুভেন্দু। প্রশ্ন করেন “স্টিকার লাগানোর ব্যবসা কতদিন চালাবেন?”
    হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আগে ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’ লিখতে হবে, তারপরেই কেন্দ্রীয় সাহায্য পাওয়া যাবে। আগে লিখতে হবে ‘জলজীবন মিশন’, তারপর পুলক রায় টাকা পাবেন। রাজ্যের দেওয়া নাম ‘জলস্বপ্ন’-এ টাকা দেওয়া হবে না।” 

    আরও পড়ুন: বিরোধীহীন অধিবেশন চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    এছাড়া এদিন আর্থিক তছ্রুপের অভিযোগে রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তোলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন,”রাজ্য সরকার তিন বছর ধরে কেন্দ্রের পাঠানো টাকার হিসেব দেয়নি। পশ্চিমবঙ্গ বনদপ্তর একটা নারকেল গাছ কেনে ৪২ টাকা দিয়ে। আর কিষাণ কল্যাণী ফার্ম আড়াইশো টাকা করে ৩২ কোটি টাকার নারকেল গাছ সরবরাহ করেছে এমজিএনআরইজিএ প্রকল্পে। এ ব্যাপারে বিভাগীয় তদন্ত হচ্ছে। পরে আর্থিক  তছরুপের তদন্ত হবে।”     

     

  • Praggnanandhaa: নরওয়েতে অপ্রতিরোধ্য ভারতের কিশোর দাবাড়ু প্রজ্ঞানন্দ

    Praggnanandhaa: নরওয়েতে অপ্রতিরোধ্য ভারতের কিশোর দাবাড়ু প্রজ্ঞানন্দ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাবায় ভারতের বিষ্ময় বালক প্রজ্ঞানন্দ রমেশবাবু-র ঘরে এল বড় খেতাব। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন তথা দুনিয়ার এক নম্বর দাবাড়ু নরওয়ের ম্যাগনাস কার্লসেন-কে চলতি বছর পরপর দু বার হারিয়ে শোরগোল ফেলে দেওয়া ১৬ বছরের প্রজ্ঞানন্দ (Praggnanandhaa) নরওয়েতে খেতাব (Norway title) জিতল। এই টুর্নামেন্টে শীর্ষ বাছাই হিসেবেই খেলতে নেমেছিল প্রজ্ঞানন্দ।

    ভারতের অপর প্রতিশ্রুতবান দাবাড়ু ভি প্রনীথকে হারিয়েই খেতাব জয় নিশ্চিত করে প্রজ্ঞানন্দ। এই টুর্নামেন্টে রানার্স হলেন ইজরায়েল মার্সেল এফরোস্কি আর তৃতীয় স্থানে শেষ করলেন সুইডেন জুং মিন সিও।

    নরওয়ে চেজ গ্রুপ এ ওপেন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল আর প্রজ্ঞানন্দ। নয় রাউন্ডের প্রতিযোগিতায় ভারতের ১৬ বছরের গ্র্যান্ডমাস্টারের সংগ্রহ ৭.৫ পয়েন্ট। প্রতিযোগিতায় কোনও ম্যাচ হারেনি প্রজ্ঞানন্দ। যদিও চ্যাম্পিয়ন হতে পারা নিয়ে শেষ রাউন্ড পর্যন্ত কিছুটা সংশয় ছিল। শেষ রাউন্ডে ভারতের আন্তর্জাতিক মাস্টার ভি প্রনীথকে হারিয়ে খেতার নিশ্চিত করে প্রজ্ঞানন্দ। 

    আরও পড়ুন: ডাচ গ্র্যান্ডমাস্টারকে হারিয়ে অনলাইন দাবা প্রতিযোগিতার ফাইনালে ভারতের ‘বিস্ময় বালক’ প্রজ্ঞানন্দ

    চ্যাম্পিয়ন হয়ে খুশি প্রজ্ঞানন্দ। এই প্রতিশ্রুতবান দাবাড়ুর কথায়, ‘‘এই প্রতিযোগিতায় বেশ উঁচু মানের খেলা হয়েছে। প্রতিটা ম্যাচে পরিকল্পনা অনুযায়ী চাল দিতে পেরেছি। নিজের খেলায় আমি খুশি।’’

    একাদশ শ্রেণির ছাত্র প্রজ্ঞানন্দ কয়েক মাস ধরেই বেশ ভাল ছন্দে রয়েছে। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ম্যাগনাস কার্লসেনকেও হারিয়েছে সে। ফলে আত্মবিশ্বাসও রয়েছে যথেষ্ট। প্রজ্ঞানন্দের এই সাফল্যে তাই অবাক নয় ভারতের দাবা মহল। এর পর ভারতের ‘বি’ দলের হয়ে চেন্নাইয়ে দাবা অলিম্পিয়াড খেলবে প্রজ্ঞানন্দ। কয়েক দিন পরেই যোগ দেবে ভারতীয় দলের শিবিরে।

    বিশ্বনাথন আনন্দের প্রিয় ছাত্র প্রজ্ঞানন্দ জানায়, খেলার আগে বা খেলা চলাকালীন কোনও চাপ নেয় না সে।  লক্ষ্য থাকে একটাই— দাবার বোর্ডে সেরাটা দেওয়ার। ফলের কথা সেই মুহূর্তে মাথায় ঢুকতে দেয় না ১৬ বছরের এই বিস্ময় বালক। বড় প্রতিযোগিতায় বা বড় প্রতিপক্ষের সামনে মাথা ঠান্ডা রাখাটাই শ্রেয় বলে মনে করে সে। তাই এ ভাবেই খেলা চালিয়ে যেতে চায় প্রজ্ঞানন্দ।  

  • Draupadi Murmu: বিরোধী ঐক্যে ফাটল প্রকট, দ্রৌপদীর পক্ষে ক্রস ভোটিং রাজ্যে রাজ্যে

    Draupadi Murmu: বিরোধী ঐক্যে ফাটল প্রকট, দ্রৌপদীর পক্ষে ক্রস ভোটিং রাজ্যে রাজ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের (Presidential Elections 2022) ফলে প্রকাশ্যে চলে এল বিরোধী ঐক্যে ফাটল! এই নির্বাচনে হয়েছে ব্যাপক ক্রস ভোটিং (Cross Voting)। তার জেরেই এনডিএর  রাষ্ট্রপতি (NDA Presidential candidate) পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu) জয়ী হয়েছেন বিপুল ভোটে। ধরাশায়ী হয়েছেন বিজেপি (BJP) বিরোধী জোটের প্রার্থী তৃণমূলের (TMC) প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট যশবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha)। দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে জনজাতি সম্প্রদায়ের দ্রৌপদীকে চেয়ে দলীয় অবস্থানের বিপরীতে গিয়ে বিরোধী শিবিরের বহু সাংসদ, বিধায়কই ভোট দিয়েছেন বিজেপির প্রার্থীকে।

    ভারতীয় গণতন্ত্র প্রতিনিধিত্বমূলক। এখানে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সরাসরি অংশ নেন না ভোটাররা। তাঁদের হয়ে ভোট দেন সাংসদ এবং বিধায়করা। দেশের সব সাংসদ এবং বিধায়করা এই ভোটে অংশ নেন। গেরুয়া শিবির সূত্রের দাবি, বিভিন্ন বিধানসভার প্রায় ১২৫ জন বিধায়ক ভোট দিয়েছেন বিজেপির দ্রৌপদীকে। বিরোধী শিবিরের ১২ জন সাংসদের ক্রস ভোটিংয়েও লাভবান হয়েছেন দ্রৌপদী। অথচ এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদীকে হারাতে চেষ্টার কসুর করেনি বিরোধীরা। তার পরেও বিবেকের ডাকে সাড়া দিয়েছেন বিরোধী শিবিরের অনেক বিধায়ক, সাংসদ। যা থেকে স্পষ্ট সেভাবে দানা বাঁধতে পারেনি বিরোধী ঐক্য। 

    আরও পড়ুন : ইতিহাস রচনা করল ভারত! দ্রৌপদী হবেন ‘মহান রাষ্ট্রপতি’, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

    জানা গিয়েছে, অসম, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় বিরোধী শিবিরের একাধিক বিধায়ক স্বদলের অবস্থানের বাইরে গিয়ে সমর্থন করেছেন দ্রৌপদীকে। গেরুয়া শিবিরের অনুমান, মধ্যপ্রেদেশের ২০ জন বিধায়ক, অসমের প্রায় ২২ জন বিধায়ক, বিহার ও ছত্তিশগড়ের ছ’জন বিধায়ক, গোয়ার চারজন বিধায়ক এবং গুজরাটের ১০ জন বিধায়ক ক্রস ভোট দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ থেকেও বিরোধীদের এক বিধায়কও ক্রস ভোটিং করেছেন বলে দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। ভোট শেষ হওয়ার পরেই শুভেন্দু (Suvendu) দাবি করেছিলেন, ৭০টি ভোট তো পাবই, তার বেশিও পাব। তাঁর কথা মিলে গেল হুবহু। কারণ এ রাজ্যে দ্রৌপদী পেয়েছেন ৭১টি ভোট। এই বাড়তি ভোট যে তৃণমূল শিবিরের, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন : জয়ী দ্রৌপদী, মমতা ব্যর্থ, তৃণমূলনেত্রীকে কটাক্ষ বিজেপির

    ওড়িশা এবং হরিয়ানায়ও হয়েছে ক্রস ভোটিং। একই চিত্র ধরা পড়েছে বাম শাসিত কেরলেও। দ্রৌপদীর কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন বিজেপি বিরোধী ১৭টি দলের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা। অন্ধ্রপ্রদেশ, সিকিম এবং নাগাল্যান্ডে একটিও ভোট পাননি তিনি। নিজের রাজ্য ঝাড়খণ্ডেও খুব বেশি ভোট পাননি যশবন্ত। তাঁর পক্ষে ভোট দিয়েছেন মাত্র ৯ জন বিধায়ক।

    বিজেপির দ্রৌপদী যাঁদের ভোট পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কংগ্রেসেরও অনেক ভোটার ছিলেন। যাঁরা ক্রস ভোটিং করেছেন, তাঁদের প্রত্যেকেরই দাবি, অন্তরাত্মার ডাকে সাড়া দিয়েই দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে তাঁরা ভোট দিয়েছেন দ্রৌপদীকে। এই সব কারণেই আগামী পাঁচ বছরের জন্য রাইসিনা হিলসের (Raisina Hills) স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে গেলেন ওড়িশার দ্রৌপদী মুর্মু।  

     

  • Hiraben Modi: শতবর্ষে পদার্পণ হিরাবেনের, মায়ের সঙ্গে দেখা করবেন মোদি

    Hiraben Modi: শতবর্ষে পদার্পণ হিরাবেনের, মায়ের সঙ্গে দেখা করবেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১৮ জন ১০০-য় পা দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) মা হিরাবেন মোদি (Hiraben Modi)। মা-এর জীবনের এই বিশেষ দিনে মায়ের পাশেই থাকতে চান তাঁর প্রধানমন্ত্রী ছেলে। তাই সেদিন মেয়ের সাথে দেখা করতে গুজরাট যাবেন মোদি। এমনটাই জানিয়েছে মোদি পরিবার। 

    গান্ধীনগরে মায়ের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি ওইদিন প্রভাগড় মন্দির দর্শন এবং ভদোদরাতে একটি পদযাত্রায় অংশ নেবেন তিনি।

    আরও পড়ুন: “জ্ঞান, কর্ম এবং ভক্তির একটি নিখুঁত সংমিশ্রণ”, যোগ সাধনা প্রসঙ্গে মোদি  

    ১৯২৩ সালে ১৮ জুন জন্ম হিরাবেন মোদির। এই বছর ১০০ বছরে পা। গান্ধীনগরে ছোট ছেলে পঙ্কজ মোদির সঙ্গে থাকেন হিরাবেন, সেখানেই দেখা হতে পারে মা-ছেলের। ওই দিন আহমেদাবাদের জগন্নাথ মন্দিরে একটি ‘ভাণ্ডারো’ বা গণআহারের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে মোদির পরিবার। পাশাপাশি হটকেশ্বর মহাদেব মন্দিরে সেদিন হিরাবেনের দীর্ঘায়ু কামনায় সারাদিন ধরে চলবে পুজো ও যজ্ঞ। সেখানে ভজন সঙ্গীতের অনুষ্ঠান হবে, শিব আরাধনাও হবে। এমনটাই জানিয়েছেন মোদির ভাই পঙ্কজ মোদি। গত মার্চ মাসে শেষ বার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।   

    আরও পড়ুন: মাতৃপ্রেম! মা হীরাবেনের সঙ্গে মোদির আবেগঘন মুহূর্ত

    এর আগে, দু’দিনের গুজরাট সফরে গিয়ে গত ১১ মার্চ আমেদাবাদে হিরাবেনের সঙ্গে দেখা করেন মোদি। করোনা দুবছর পর মায়ের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।  

    গান্ধীনগর (Gandhinagar) প্রশাসনও মোদি জননীর জন্মদিনকে স্মরণীয় করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। হিরাবেনের নামে এ বার সেখানে একটি রাস্তার নামকরণের সিদ্ধান্ত নিল তারা। রায়সান পেট্রোল পাম্প থেকে ৬০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত রাস্তার নাম রাখা হচ্ছে ‘পূজ্য হীরাবা মার্গ’। সব ব্যবস্থা সেরে রেখেছে গান্ধীনগর পুরসংস্থা। শুরুতে এই দিনই রাস্তার নামকরণের কথা থাকলেও পরবর্তীতে পিছিয়ে দেয় গান্ধীনগর প্রশাসন। পুরসংস্থার তরফে বলা হয়েছে কিছু সরকারি কাজ বাকি থাকায় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে রাস্তার নামকরণের তারিখ।  

     

     

     

  • Misleading Ads: দায় নিয়ে হবে সেলেব্রিটিদেরও? বিভ্রান্তিমূলক বিজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞা জারি কেন্দ্রের

    Misleading Ads: দায় নিয়ে হবে সেলেব্রিটিদেরও? বিভ্রান্তিমূলক বিজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞা জারি কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়েব সিরিজের (Web Series) পর এবার বিজ্ঞাপনের (Advertisement) ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করল কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। বিভ্রান্তিমূলক বিজ্ঞাপনকে (Misleading Ads) নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যে সমস্ত বিজ্ঞাপনে গ্রাহকদের ‘ছাড়’ বা ‘বিনামূল্য’ পণ্য দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়, সেই সব বিজ্ঞাপনকে নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র।  

    ‘প্রিভেনশন অফ মিসলিডিং অ্যাডভ্যার্টাইসমেন্ট অ্যান্ড এন্ডোরসমেন্ট ফর মিসলিডিং অ্যাডভার্টাইসমেন্ট ২০২২’ নামের বিধি জারি করা হয়েছে। নিয়ম না মানলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বিজ্ঞাপন সংস্থার বিরুদ্ধে। এমনকি নিয়ম লঙ্ঘনকারী বিজ্ঞাপনে মুখ দেখানো তারকাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে। যেসব বিজ্ঞাপন শিশুদের জন্যে তৈরি করা, সেইসব বিজ্ঞাপনের ওপরেও নজর রাখবে কেন্দ্র। কনজিউমার প্রোটেকশন অ্যাক্ট (Consumer Protection Act) অনুযায়ী, নিয়ম ভাঙলে ১০ লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানাও হতে পারে। 

    আরও পড়ুন: কুঁজো, ট্যারা শুনতে শুনতেই আত্মহত্যার চেষ্টা, এখন তিনিই ভারতের সর্বকনিষ্ঠ সিইও

    ক্রেতা সুরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রকের (Ministry of Consumer Affairs) সচিব রোহিত কুমার (Rohit Kumar) বলেন, “বিভ্রান্তিকমূলক বিজ্ঞাপনগুলির ওপর ইতিমধ্যেই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। কিন্তু নতুন নির্দেশিকায় বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়েছে। বিজ্ঞাপন প্রস্তুতকারী সংস্থা এবং পণ্যের কোম্পানিগুলির নিয়মগুলি বুঝতে সুবিধা হবে।” রোহিত আরও বলেন, “ক্রীড়াবিদ, অভিনেতাদের মতো বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদেরও এই বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। যে কোনও পণ্যের প্রচারে নামার আগে ওই পণ্য সম্পর্কে বিজ্ঞাপনে কী দাবি করা হচ্ছে সেটা জেনে নিতে হবে তাঁদের। এই বিখ্যাত মানুষদের দেখে অনেকেই প্রভাবিত হন। ফলে তাঁরা যে সব কথা বিজ্ঞাপনে সাক্ষর করছেন, তা নিয়ে একটু হোমওয়ার্ক করে নেওয়া দরকার।”    

    আরও পড়ুন: ডিজিটাল চোখে সবকিছুই নজরবন্দি প্রধানমন্ত্রীর

    কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বিজ্ঞাপনে শিশুদের খাবারের পণ্যে তার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে মিথ্যে দাবি করা যাবে না। চিরাচরিত খাবারের থেকে এই খাবারের পুষ্টিগুণ বেশি বলে বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবে না। পণ্যের গুণ সম্পর্কে কোনও দাবি করা হলে সেই দাবির উৎস জানাতে হবে সংস্থাকে। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, কোনও পণ্যের ক্ষেত্রেই কোনও মিথ্যে দাবি করা যাবে না। অনেক ক্ষেত্রে যে সংস্থা বিজ্ঞাপন করছে, সেই সংস্থার মালিকানায় অংশীদারিত্বও থাকে। তা-ও স্পষ্ট ভাবে জানাতে হবে। 

    মদের সরাসরি বিজ্ঞাপন করার নিয়ম নেই বলে, মদ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি অনেক সময় সোডার বিজ্ঞাপন করে। এই ধরনের মিথ্যাচারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র।  বিভিন্ন সংস্থা লড়াইয়ের ময়দানে টিকে থাকতে বিভিন্ন ছাড় ঘোষণা করেও বিজ্ঞাপন বানায়। এ ক্ষেত্রেও বিজ্ঞাপনে যে সব দাবি করা হচ্ছে, তার সত্যতা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। পোর্টালগুলিতে অনেক সময় মিথ্যে রিভিউ দেখা যায়। সে বিষয়েও সতর্ক কেন্দ্র। এ বিষয়ে সকলের মতামত জানার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

     

  • Neeraj Chopra: আবারও স্বপ্ন দেখাচ্ছেন নীরজ! বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে রোহিত যাদবও

    Neeraj Chopra: আবারও স্বপ্ন দেখাচ্ছেন নীরজ! বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে রোহিত যাদবও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদক জিতে পোডিয়াম ফিনিশ করতে পারবেন কি না তা সময় বলবে, তবে প্রথমবার বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের (World Athletics Championships 2022) ফাইনালে জায়গা করে নিলেন নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra)। ইতিহাস গড়ে ফাইনালে দেশজ হিসেবে নীরজের সঙ্গী হলেন রোহিত যাদব (Rohit Yadav)। এই প্রথম দেশের জোড়া জ্যাভলিন থ্রোয়ার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের (Javelin Final at World Athletics Championships) ফাইনালে গেলেন।

    প্রথম থ্রোয়েই রেকর্ড তৈরি করেন নীরজ। ইউজিনে (Eugene, Oregon, United States) চলতি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে বৃহস্পতিবার গ্রুপ এ-র যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্বে নেমে প্রথম থ্রোতেই ৮৮.৩৯ মিটার বর্শা ছুড়ে ফাইনালে খেলা পাকা করলেন নীরজ। এই থ্রোয়ের সঙ্গে সঙ্গেই প্রায় ১৯ বছর বাদে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে পদকজয়ের স্বপ্ন দেখছে ভারত। ২০০৩ সালে এই প্রতিযোগিতায় একটি পদক জিতেছিল ভারত। লং জাম্পে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন অঞ্জু ববি জর্জ। এরপর আর বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে আর পদকের মুখ দেখেনি ভারত। এবার নীরজের হাত ধরে সেই খরা কাটতে পারে বলেই আশা।

    [tw]


    [/tw]

    নীরজের পাশাপাশি ভারতকে জ্যাভলিনে আশা দেখাচ্ছেন রোহিত যাদবও। গ্রুপ বি-তে অটোমেটিক কোয়ালিফিকেশন মার্ক থেকে বেশ কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও ৮০.৪২ মিটার ছুড়ে ফাইনালে প্রবেশ করলেন রোহিত যাদব। মেয়েদের মধ্যে জ্যাভলিন থ্রোয়ার অন্নু রানি (Annu Rani) আগেই পৌঁছে গিয়েছেন ফাইনালে। এই নিয়ে পরপর দু’বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠলেন অন্নু।

    আরও পড়ুন: শ্যুটিং বিশ্বকাপে সোনা জয় বঙ্গকন্যা মেহুলির

    রবিবার ভারতের হয়ে পদক জয়ের জন্য, অনুরাগীদের চোখ থাকবে নীরজের দিকে। যোগ্যতা-অর্জন পর্বে সামগ্রিকভাবে দ্বিতীয়স্থানে শেষ করেন নীরজ। ৮৯.৯১ মিটার জ্যাভলিন ছুড়ে শীর্ষে থেকে ফাইনালে পৌঁছেছেন ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অ্যান্ডারসন পিটার্স। স্বাভাবিকভাবেই ফাইনালে কঠিন লড়াই অপেক্ষা করছে নীরজের জন্য। তবে জয়ের জন্য আত্মবিশ্বাসী বছর চব্বিশের তারকা। টোকিও অলিম্পিক্সের (Tokyo Olympics) সোনাজয়ী বলেন, “শুরুটা ভাল হয়েছে। ফাইনালে আমি ১০০ শতাংশ উজাড় করে দেব। তবে, প্রত্যেকটা দিন একটা নতুন দিন। আমি কেবল সেরাটা দিতে চাই। আমরা জানি না নিজেদের দিনে কে কতদূরে ছুড়বে।”

  • Airlines Updates: ওয়েব চেক-ইনে অতিরিক্ত টাকা আর নয়, নয়া সিদ্ধান্ত অসামরিক বিমান মন্ত্রকের

    Airlines Updates: ওয়েব চেক-ইনে অতিরিক্ত টাকা আর নয়, নয়া সিদ্ধান্ত অসামরিক বিমান মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাত্রীদের স্বার্থে সক্রিয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। এবার থেকে বিমানবন্দরে ওয়েব চেক-ইন করার জন্য অতিরিক্ত টাকা গুনতে হবে না যাত্রীদের। বৃহস্পতিবার বিমান পরিবহণ মন্ত্রক (Ministry) থেকে এয়ারলাইন্সগুলিকে এই অনুরোধ করা হয়েছে। এর আগে এই পরিষেবার জন্য প্রত্যেক যাত্রীর কাছ থেকে ২০০ টাকা ফি নিত এয়ারলাইন্স (Airlines) কর্তৃপক্ষ।

    আরও পড়ুন: শপথ নিলেন শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী, জানেন কি দীনেশ গুণবর্ধনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক

    বিমানের জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণে একধাক্কায় বিমানের টিকিটের দাম বেড়ে গিয়েছিল। তবে সম্প্রতি দাম কমেছে জ্বালানির। ফলে বিমানে যাতায়াতে খরচ কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার অসামরিক বিমান মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, চেক-ইন কাউন্টারে বোর্ডিং পাস দেওয়ার সময় অতিরিক্ত কোনও চার্জ বসানো যাবে না। বর্তমানে ভারতের সর্ববৃহৎ এয়ারলাইন ইন্ডিগো চেক-ইন কাউন্টারে বোর্ডিং পাস ইস্যু করার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চার্জ নেয়। এদিন মন্ত্রকের তরফে ট্যুইটে জানানো হয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান মন্ত্রকের নজরে এসেছে যে, কিছু এয়ারলাইন যাত্রীদের বোর্ডিং পাস দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত টাকা চার্জ করছে।’

    আরও পড়ুন: ১৩টি বিয়ে করলেন অন্ধ্রপ্রদেশের যুবক! এরপর যা হল…

    ট্যুইটে আরও জানানো হয়,এয়ারক্রাফ্ট নিয়ম, ১৯৩৭ অনুযায়ী এই চার্জ নেওয়া যায় না। উল্লেখ্য, বিমানে কোনও জায়গায় যাত্রা করার আগে টিকিট করার পরে ওয়েব চেক-ইন করাতে হয় যাত্রীদের। কিন্তু সেই ওয়েব চেক-ইন করা না থাকলে কিছু এয়ারলাইন অতিরিক্ত ২০০ টাকা চার্জ করছে।কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান মন্ত্রকের তরফে এদিন জানানো হয়েছে, ওয়েব চেক ইন করা না থাকলে বিমান বন্দরের মধ্যে চেক-ইন কাউন্টারে বোর্ডিং পাস ইস্যু করার ক্ষেত্রে কোনও চার্জ নেওয়া যাবে না। তবে, এই সুবিধা কেবল অর্ন্তদেশীয় বিমান পরিষেবায় মিলবে বলে সরকারি তরফে জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের এই নির্দেশে খুশির হাওয়া বিমান যাত্রীদের মধ্যে। এই নির্দেশে বিমান সংস্থাগুলি সতর্ক হতে পারে, বলে আশা করছেন সাধারণ যাত্রীরা। 

  • Sharad Pawar: দলের সমস্ত শাখা ভেঙে দিলেন এনসিপি প্রধান! কী ভাবছেন শরদ পাওয়ার

    Sharad Pawar: দলের সমস্ত শাখা ভেঙে দিলেন এনসিপি প্রধান! কী ভাবছেন শরদ পাওয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্র রাজনীতিতে ফের নতুন মোড়। জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (NCP)-র জাতীয় স্তরে সমস্ত কমিটি ভেঙে দেওয়া হল। এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের (Sharad Pawar) নির্দেশেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন প্রবীণ নেতা প্রফুল্ল প্যাটেল (Praful Patel)। কিন্তু হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি, সে বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি।

    এনসিপির জাতীয় সম্পাদক প্রফুল্ল প্যাটেল বুধবার রাতে ট্যুইট করে লেখেন, “জাতীয় সভাপতি শরদ পওয়ারের অনুমতি অনুসারে জাতীয় স্তরের যাবতীয় বিভাগ ও শাখার অবিলম্বে অবলুপ্তি করা হচ্ছে। কেবল ন্যাশনালিস্ট উইমেনস উয়ং, ন্যাশনালিস্ট ইয়ুথ কংগ্রেস ও ন্যাশনালিস্ট স্টুডেন্টস কংগ্রেস থাকবে”। পরবর্তী আরেকটি ট্যুইটে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এই সিদ্ধান্ত মহারাষ্ট্র বা অন্য কোনও রাজ্য শাখার উপরে কার্যকরী হবে না। 

    [tw]


    [/tw]

    মহারাষ্ট্রে মহা বিকাশ আগাড়ি  (MVA) জোট সরকারের পতনের তিন সপ্তাহের মধ্যে এনসিপি তাদের পার্টির সমস্ত পদ ও সেল বিলুপ্ত করা নিয়ে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। দলের সংগঠন ঢেলে সাজাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে এনসিপি (NCP) সূত্রে খবর। তবে, বিশেষজ্ঞদের মতে, দলের ভাঙন রুখতেই শরদ পাওয়ারের এই সিদ্ধান্ত। কেননা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনসিপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে ক্রস ভোটিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল।
     
     
    প্রশ্ন উঠছে, শিবসেনার পর কি এবার অন্তর্দ্বন্দ্বের আগুন ছড়াল ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির অন্দরেও? এক্ষেত্রে ২০১৯-এর স্মৃতি এনসিপি সুপ্রিমোকে উস্কে দিয়েছে বলে দলের একাংশের মত। ওই বছর দলকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে দেবেন্দ্র ফড়ণবীশের সঙ্গে উপ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন অজিত পাওয়ার। এবারও কী সেরকম কিছু ঘটতে চলেছে? সেই আশঙ্কাতেই দল ভেঙে দিলেন এনসিপি প্রধান? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের।
  • NIA:  জেএমবি জঙ্গি-যোগের খোঁজে ৩ রাজ্যে হানা এনআইএ-র

    NIA:  জেএমবি জঙ্গি-যোগের খোঁজে ৩ রাজ্যে হানা এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের তিন রাজ্যের ছ’ জায়গায় হানা দিলে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ এবং বিহারে হানা দেন তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সম্প্রতি বাংলাদেশের (Bangladesh) জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিনের (JMB) ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করে এনআইএ। সেই সূত্রেই ওই ছয় জায়গায় হানা দেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের ভোপালে চার জায়গায়, বিহারের কাটিহারে এবং উত্তর প্রদেশের সাহারানপুরে একযোগে হানা দেন তদন্তকারীরা।

    জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার এক আধিকারিক জানান, জেএমবি-র ছয় সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। ভোপালের একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের। তিনি জানান, তারা জেএমবি-র আদর্শ প্রচার করছিল। ভারতে জিহাদি কাজকর্ম চালানোর জন্য তারা তরুণদের উৎসাহিতও করছিল। এদিনের তল্লাশিতে বেশ কিছু ডিজিটাল ডিভাইস, মোবাইল ফোন, সিমকার্ড এবং মেমরি কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে জিহাদি পুস্তিকাও। হদিশ মিলেছে ব্যাংক অ্যাকাউন্টেরও।  

    আরও পড়ুন : আইএস জঙ্গি মুসাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা এনআইএ আদালতের

    এদিকে, রাজ্যের সাম্প্রতিক অশন্তির ঘটনার নেপথ্যেও বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির যোগ রয়েছে বলে আশঙ্কা গোয়েন্দাদের। নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যকে ঘিরে দিন কয়েক আগে অশান্ত হয়ে ওঠে হাওড়া, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার বিভিন্ন জায়গা। হাওড়ার উলুবেড়িয়া, পাঁচলা এবং সলপে ব্যাপক অশান্তি হয়। গোয়েন্দাদের অনুমান, এই অশান্তির নেপথ্যে রয়েছে জেএমবি-র স্লিপার সেলের হাত।

    আরও পড়ুন : নেপথ্যে জঙ্গি-যোগ? পঞ্জাবে পুলিশের সদর দফতরে গ্রেনেড হামলার তদন্ত পেতে পারে এনআইএ

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এ রাজ্যে যখন সিএএ বিরোধী আন্দোলন হচ্ছিল, তখনও রাজ্যের যেসব জায়গায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছিল। সেবারও মূলত অশান্তি হয়েছিল হাওড়া, উলুবেড়িয়া সাবডিভিশন এবং মুর্শিদাবাদের একাংশে। তার পিছনেও জেএমবির স্লিপার সেলের হাত রয়েছে বলে অনুমান।

    সূত্রের খবর, মাসখানেক আগেও হাওড়া, উলুবেড়িয়া মহকুমার একাধিক জায়গায় জেএমবির প্রথম সারির কয়েকজন জঙ্গি নেতা রাত কাটিয়েছে। কেবল জেএমবি নয়, গোয়েন্দা সূত্রে খবর, হাওড়া, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার যে সব জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি হয়েছে তার পিছনেও ছিল পড়শি বাংলাদেশের একাধিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের স্লিপার সেলের দীর্ঘ হাত।

     

  • Air pollution: বায়ুদূষণের ফলে ভারতীয়দের আয়ু কমবে ৫ বছর! দাবি গবেষণায়

    Air pollution: বায়ুদূষণের ফলে ভারতীয়দের আয়ু কমবে ৫ বছর! দাবি গবেষণায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বায়ুদূষণের জেরে দেশবাসীর প্রত্যাশিত আয়ু কমতে পারে প্রায় পাঁচ বছর। এমনই দাবি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউটের (Energy Policy Institute at the University of Chicago)এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্সের (একিউএলআই) নবতম রিপোর্টে এই কথা বলা হয়েছে। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের সবচেয়ে দূষিত শহর দিল্লি। দূষণের জেরে সেখানে আয়ু কমতে পারে ১০.১ বছর। অন্য দিকে,বিশ্বে বায়ুদূষণের জেরে ৯৭.৩ শতাংশ নাগরিকের জীবনই ঝুঁকির মুখে।

    ২০২০ সালে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে ওই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ৬৩ শতাংশ ভারতীয় দেশের এমন অঞ্চলে বাস করেন, যেখানে বায়ুদূষণ জাতীয় মানের (প্রতি ঘনমিটারে ৪০ মাইক্রোগ্রাম)উপরে। তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের বায়ুদূষিত দেশগুলির তালিকায় বাংলাদেশের (৭৫.৮ মাইক্রোগ্রাম/ঘনমিটার, নাগরিকদের আয়ু কমতে পারে ৬.৯ বছর) পরেই রয়েছে ভারত। দেশে বায়ুদূষণের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে সপ্তম স্থানে। এ রাজ্যে দূষণের পরিমাণ ৬৫.৪ মাইক্রোগ্রাম/ঘনমিটার। তার ফলে রাজ্যবাসীর আয়ু কমতে পারে ৫.৯ বছর।

    আরও পড়ুন: ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস, জেনে নিন এই দিনের তাৎপর্য

    শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই রিপোর্ট বলছে, বিশ্বে বায়ুদূষণের জেরে মানুষের আয়ু কমতে পারে ২.২ বছর। অন্য দিকে ধূমপানে ১.৯ বছর, মদ্যপানে আট মাস, অসুরক্ষিত জলের মাধ্যমে সাত মাস, এইচআইভি ৪ মাস, ম্যালেরিয়া ৩ মাস এবং সন্ত্রাসের জেরে আয়ু কমতে পারে ৯ দিন। এই গবেষণা অনুযায়ী, ২০১৩ সাল থেকে পৃথিবীতে দূষণবৃদ্ধির হারের ৪৪ শতাংশের জন্য দায়ী ভারত। ২০১৩ সালে যেখানে প্রতি ঘনমিটারে ৫৩ মাইক্রোগ্রাম দূষণ ছিল, সেটাই বর্তমানে বেড়ে হয়েছে প্রতি ঘনমিটারে ৫৫.৭ মাইক্রোগ্রাম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র বেঁধে দেওয়া সীমার (প্রতি ঘনমিটারে ৫ মাইক্রোগ্রাম) চেয়ে যা ১১ গুণ বেশি! গত বছর দূষণ বিধির ক্ষেত্রে পরিবর্তন করেছিল হু। আগে বছরে প্রতি ঘনমিটারে ১০ মাইক্রোগ্রাম দূষণ সহনশীল হিসাবে বিবেচিত হত। তা কমিয়ে করা হয়েছে প্রতি ঘনমিটারে ৫ মাইক্রোগ্রাম। দূষণবৃদ্ধির কারণ হিসাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, কলকারখানা বৃদ্ধি, গাছ কেটে শহরাঞ্চলের প্রসারকে দায়ী করা হয়েছে। প্রতিবছরই শীতকালে প্রায় ধোঁয়াশায় ঢেকে যায় রাজধানী দিল্লি। এ বিষয়ে বারবার সতর্ক হওয়ার কথা বলেছেন পরিবেশবিদরা।

LinkedIn
Share