Blog

  • MS Dhoni: আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধে মাদ্রাস হাইকোর্টের দ্বারস্থ এম এস ধোনি

    MS Dhoni: আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধে মাদ্রাস হাইকোর্টের দ্বারস্থ এম এস ধোনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইপিএস অফিসার জি সম্পথ কুমারের (G Sampath Kumar) বিরুদ্ধে মাদ্রাস হাইকোর্টে মামলা করলেন ক্যাপ্টেন কুল এম এস ধোনি (MS Dhoni)। ম্যাচ ফিক্সিং (IPL Match Fixing) সংক্রান্ত ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট অবমাননার অভিযোগ এনে আদালতে আমলার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছেন তিনি। শুক্রবার বিচারক পিএন প্রকাশের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।

    ২০১৩ সালে ধোনির বিরুদ্ধে আইপিএল স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ করেছিলেন আইপিএস অফিসার সম্পথ কুমার। ভারতীয় দলের এই প্রাক্তন অধিনায়কের দাবি, আদালতের নিষেধ স্বত্তেও জি সম্পথ কুমার নামে ওই আইপিএস অফিসার তাঁর বিরুদ্ধে গড়াপেটার অভিযোগ সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন। 

    আরও পড়ুন: মর্গে যৌন নির্যাতনের কথা স্বীকার করে নিলেন জোড়া খুনের আসামী ডেভিড ফুলার

    ২০১৪ সালে তৎকালীন ইন্সপেক্টর জেনারেল সম্পথ কুমারের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন এম এস ধোনি এবং একটি টিভি চ্যানেল। সেই মামলায় আদালতে ধোনি আবেদন জানিয়েছিলেন, এমন নির্দেশ দেওয়া হোক যাতে তাঁর  বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিং বা স্পট ফিক্সিং সংক্রান্ত কোনও মন্তব্য না করেন সম্পথ। ধোনি সেই মানহানির মামলায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণেরও দাবি করেছিলেন। ধোনির সেই মামলার ভিত্তিতে ২০১৪ সালের ১৮ মার্চ একটি অন্তবর্তীকালীন নির্দেশ দেয় আদালত, যেখানে স্পষ্ট ভাবে সম্পথ কুমারকে ধোনির সম্পর্কে কোনও ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর ২০২১ সালের ডিসেম্বরে সম্পথ মানহানির মামলা বাতিল করার জন্য মাদ্রাস হাইকোর্টে একটা লিখিত আবেদন করেন। আবেদনে তিনি জানিয়েছিলেন, এই ধরণের মামলার মাধ্যমে তাঁর কন্ঠরোধ করা হচ্ছে। 

    তবে এই ঘটনায় ফের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ধোনি। প্রাক্তন অধিনায়কের অভিযোগ, সম্পথ কুমার আদালতের নির্দেশ পালন করেননি। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও ২০১৪ সালের রায়ের অবমাননা করেছেন। সুপ্রিম কোর্টে এক হলফনামা দাখিল করে বিচারবিভাগ এবং তাঁর বিরুদ্ধে মামলাগুলিতে রাজ্যের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা বর্ষীয়ান আইনজীবীদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেন তিনি। সূত্রের খবর, আদালতে আবেদন করার আগে তামিলনাড়ুর এজির থেকে অনুমতি নেন ধোনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     

  • Aparupa Poddar:  এবার ডেঙ্গি আক্রান্ত তৃণমূল সাংসদের স্বামী ও কন্যা! রাজ্যে প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা

    Aparupa Poddar: এবার ডেঙ্গি আক্রান্ত তৃণমূল সাংসদের স্বামী ও কন্যা! রাজ্যে প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমশ ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। কলকাতা থেকে কালিম্পং প্রতিদিন বাড়ছে সংক্রমণ। এবার খোদ তৃণমূল সাংসদের (TMC MP) ঘরে ডেঙ্গির হানা। আক্রান্ত আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের স্বামী ও মেয়ে। দু’জনেই শ্রীরামপুরের নার্সিংহোমে ভর্তি। তবে তৃণমূল সাংসদের ডেঙ্গি পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। প্রসঙ্গত,আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের স্বামী সাকির আলি রিষড়া পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর। তৃণমূল সাংসদ জানিয়েছেন, সম্প্রতি হায়দরাবাদ থেকে ঘুরে আসার পর, তাঁর স্বামী ও ২ বছরের মেয়ের ডেঙ্গি ধরা পড়ে। 

    আরও পড়ুন: রেকর্ড পারদ-পতন কলকাতায়! অক্টোবরেই তাপমাত্রা নামল ২০ ডিগ্রির নীচে

    স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যে এ মরসুমে এখনও অবধি ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ছুঁইছুঁই। সূত্রের দাবি, রাজ্যে এখনও অবধি ৭২ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত প্রাণ হারিয়েছেন। যদিও বিরোধীদের দাবি, সংখ্যাটা এর চেয়ে অনেক বেশি!চিকিৎসকদের ওপর চাপ দিয়ে, ডেঙ্গিতে মৃত্যু না লিখতে বাধ্য করা হচ্ছে। আর এমনটা করে আরও বেশি করে সাধারণ মানুষকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। 

    আরও পড়ুন: ফের পারদ নামল কুড়ির ঘরে, শীতের প্রাক্কালে নিম্নচাপ! বাংলায় কি প্রভাব পড়বে?

    প্রসঙ্গত, রীতিমতো প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে ডেঙ্গি।  সম্প্রতি ডেঙ্গির নতুন একটি ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে। সুস্থ হয়ে ওঠার পরও, ফের হঠাৎ কমতে থাকছে প্লেটলেটের সংখ্যা। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, একাধিক ডেঙ্গি রোগীর মধ্যে এই উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। ডেঙ্গির নতুন এই ভ্যারিয়েন্টকে আপাতত ডি-২ বলেই উল্লেখ করা হচ্ছে। মূলত উত্তর প্রদেশ ও দিল্লিতে কিছু সংখ্যক রোগীর মধ্যে বর্তমানে এই উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। ডেঙ্গির এই নতুন ভ্যারিয়েন্টে রোগীদের প্রথম দুই দিন জ্বর থাকছে। তৃতীয় দিন থেকে কমতে শুরু করছে জ্বর। রোগী যখন সম্পূর্ণ সুস্থবোধ করছেন, সেই সময়ই হঠাৎ প্লেটলেটের সংখ্যা কমতে শুরু করছে। দ্রুত শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায়, অনেকে বিনা চিকিৎসাতেই মারা যাচ্ছেন। একাধিক রোগীর খিঁচুনিও হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সদ্য করোনামুক্তদের ডেঙ্গি হলে, তার প্রভাব পড়ছে লিভারে। হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হওয়ারও সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sukanya Mondal: ‘‘সব বলে এসেছি…’’, ইডি-র সামনে কোন কোন সত্যের খোলসা করলেন কেষ্ট-কন্যা?

    Sukanya Mondal: ‘‘সব বলে এসেছি…’’, ইডি-র সামনে কোন কোন সত্যের খোলসা করলেন কেষ্ট-কন্যা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা তিনদিন দফায় দফায় দিল্লিতে অনুব্রত (Anubrata Mondal) কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে (Sukanya Mondal) জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি (Enforcement Directorate)। ইডির তলবেই বুধবার দিল্লিতে উড়ে গিয়েছেন সুকন্যা। শুক্রবার প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। বুধ, বৃহস্পতির পর শুক্রবারও দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দেন সুকন্যা। সেখানে দীর্ঘ জেরার পর বেরিয়ে সুকন্যা সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘যা সত্যি, সবটাই বলে এসেছি।’’ যদিও ঠিক কী বলেছেন, তা নিয়ে মুখ খোলেননি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

    দিল্লিতে ইডির হেড কোয়ার্টারে বুধবার প্রায় আট ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কেষ্ট-কন্যাকে। এর পর বৃহস্পতিবার সকালে ইডির দফতরে ঢুকে সন্ধ্যেয় বের হন তিনি। বৃহস্পতিবার বেরোনোর সময় সুকন্যাকে জানানো হয়, শুক্রবার আবার আসতে হবে। সেই মতো শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ তিনি ঢোকেন ইডির দফতরে। সূত্রমতে, পেশায় স্কুল শিক্ষক সুকন্যার অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা কী ভাবে এল, সেই প্রশ্নই সুকন্যাকে করেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, এ প্রশ্নের জবাব বার বারই এড়িয়ে গিয়েছেন সুকন্যা। সুকন্যার জবাবে এখনও সন্তুষ্ট নন গোয়েন্দারা। সুকন্যার পাশাপাশি বুধ এবং বৃহস্পতিবার ইডির দফতরে তলব করা হয়েছিল  অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে। শুক্রবারও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। 

    আরও পড়ুন: আদৌ কি লটারি জিতেছিলেন অনুব্রত? লটারি বিক্রেতার বয়ানে ঘনীভূত রহস্য

    এদিকে মেয়ের চিন্তায় টিভির পর্দা থেকে চোখই সরছে না বাবা অনুব্রতর। টানা তিন দিন একটানা টিভির পর্দায় নজর রাখলেন বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি। এমনিই গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন অনুব্রত। মেয়েকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হওয়ার পর থেকে, কার্যত দু’চোখের পাতা এক করেননি তিনি। রাতেও সেলের আলো জ্বালিয়ে রাখেন। কারারক্ষীরা জানিয়েছেন, পাহারা দেওয়ার সময়ে উঁকি দিয়ে তাঁরা দেখেছেন অনুব্রত জেগেই রয়েছেন। জানা গিয়েছে, দিনভর কারও সঙ্গে কথা বলেননি এই তিন দিন। শুধু খাবার খাওয়ার সময় কারারক্ষীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছিলেন অনুব্রত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

     

     

     

  • DA : রাজ্যের ভাঁড়ার কার্যত শূন্য! জানেন ডিএ-মামলায় কী বলল রাজ্য সরকার?

    DA : রাজ্যের ভাঁড়ার কার্যত শূন্য! জানেন ডিএ-মামলায় কী বলল রাজ্য সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের আর্থিক দুরবস্থা প্রকট,আদালতে তা স্বীকার করে নিল রাজ্য। ডিএ মামলা (DA Case) গড়াল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) পর্যন্ত। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দেওয়ার বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টে গেল পশ্চিমবঙ্গ সরকার (West Bengal Government)। শীর্ষ আদালতে দেওয়া হলফনামায় নিজেদের দাবি রাখতে গিয়ে রাজ্যের আর্থিক হাল যে কার্যত বেহাল,তা একপ্রকার মেনেই নিল রাজ্য সরকার।

    আরও পড়ুন: ডিএ মামলায় ফের ধাক্কা রাজ্যের! রিভিউ পিটিশন খারিজ করল হাইকোর্ট

    রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) দেওয়ার ব্যাপারে গত ২০ মে রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে উচ্চ আদালত জানিয়ে দিয়েছিল, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে। হাইকোর্টের রায়কে (Calcutta High Court) চ্যালেঞ্জ করে অবশেষে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করল রাজ্য।  পিটিশনে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি তাতে হাইকোর্টের রায়ের বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। তারা যে হারে ডিএ দেয় তার থেকে বেশি ডিএ দিতে গেলে অপ্রত্যাশিত সমস্যা তৈরি হবে। আসতে পারে আর্থিক বিপর্যয়।  

    আরও পড়ুন: কার্ড দেখালেই বেসরকারি হাসপাতালে ‘বেড ফাঁকা নেই’, স্বাস্থ্য সাথী কি কেবল ‘বিজ্ঞাপন’?

    প্রসঙ্গত, ২০ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায় রাজ্য না মানায়, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত। এ ব্যাপারে আদালত অবমাননা করা হয়েছে কি না তা জানতে চেয়ে ৪ নভেম্বরের মধ্যে হলফনামার মাধ্যমে মুখ্যসচিব ও রাজ্যের অর্থসচিবের থেকে জবাব চেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে হলফনামা দিয়ে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণযোগ্য নয় কারণ, কলকাতা হাইকোর্টের ২০ মে-র রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করেছে রাজ্য সরকার। হাইকোর্ট আদর্শগত অবস্থানের কথা বললেও তা প্রয়োগ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে রাজ্য সরকারকে। ভেঙে পড়তে পারে রাজ্যের আর্থিক শৃঙ্খলা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: আদৌ কি লটারি জিতেছিলেন অনুব্রত? লটারি বিক্রেতার বয়ানে ঘনীভূত রহস্য

    Anubrata Mondal: আদৌ কি লটারি জিতেছিলেন অনুব্রত? লটারি বিক্রেতার বয়ানে ঘনীভূত রহস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রেফতার হওয়ার কিছুদিন আগেই বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) লটারিতে এক কোটি টাকা জেতার খবর সামনে এসেছিল। অন্তত লটারি সংস্থার বিজ্ঞাপনে এমনটাই দাবি করা হয়েছিল। এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে লটারি বিক্রেতার (Lottery Seller) সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা। বোলপুরে সিবিআই- এর অস্থায়ী ক্যাম্পে (CBI Camp) তলব করা হয় লটারি বিক্রেতা মুন্না শেখকে। সেখানে এক ঘণ্টা কাটিয়ে বেরিয়ে এক বিস্ফোরক দাবি করলেন মুন্না। মুন্না সাংবাদিকদের জানান, কেষ্ট মণ্ডলকে টিকিটই বিক্রি করেননি তিনি।

    ‘রাহুল লটারি এজেন্সি’ থেকে লটারির টিকিট কিনেছিলেন এক টিকিট বিক্রেতা। সেই বিক্রেতার থেকে লটারি কেনেন মুন্না। তাঁর বিক্রি করা একটি টিকিটেই এক কোটি টাকা পুরস্কার পেয়েছেন ক্রেতা। বিজ্ঞাপনে নাম ছিল অনুব্রতর। বিক্রেতার এই বয়ানে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি কালো টাকা সাদা করার কারাবার চলত সেখানে?

    আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় বীরভূম থেকে ৫ তৃণমূল কর্মী গ্রেফতার 

    অনুব্রতর লটারি জেতা নিয়ে কয়েক দিন আগেই তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। তদন্তে নেমে শুক্রবার ওই লটারি বিক্রেতার দোকানে হানা দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এর পর লটারি বিক্রির নথি নিয়ে শুক্রবার বোলপুরে সিবিআই-এর অস্থায়ী শিবিরে যান লটারির টিকিট বিক্রেতা এবং তাঁর দোকানের কর্মীরা। সেখানেই লটারি বিক্রেতা অনুব্রতকে টিকিট বিক্রি করেননি বলে জানান। 

    লটারির টিকিট কেটে ভাগ্য বদল হয়েছে বহু মানুষের। কিন্তু তাদের বেশির ভাগই সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। তবে সাম্প্রতিক কালে লটারি বিজয়ীদের তালিকায় নাম উঠে আসছে অনেক হেভি ওয়েটদের। কোটি কোটি টাকা জেতার খবর সামনে আসছে। এটা কি শুধুই কাকতালীয় ঘটনা? নাকি কালো টাকা সাদা করতে এই পন্থা অবলম্বন? টাকার বিনিময়ে আসল লটারি জয়ীর কাছ থেকে টিকিট নিয়ে আয়োজকদের কাছ থেকে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকানো হচ্ছে! সেটাই খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

     

  • T20 World Cup: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে চোট রোহিতের! সেমিফাইনালে থাকবেন তো ভারত অধিনায়ক?

    T20 World Cup: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে চোট রোহিতের! সেমিফাইনালে থাকবেন তো ভারত অধিনায়ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হাইভোল্টেজ সেমিফাইনালের আগে অনুশীলনের সময় চোট পেলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ২০০৭ সালের পর দেশে টি-২০ বিশ্বকাপ (T20 World Cup 2022) ফিরিয়ে আনতে আর মাত্র দুটো ধাপ পেরোতে হবে ভারতকে। তার আগে অধিনায়কের চোট খানিকটা হলেও বিব্রত করছে ভারতীয় শিবিরকে। মঙ্গলবার ছিল ভারতীয় দলের ঐচ্ছিক অনুশীলন। সেখানে গিয়েই কাল হল রোহিতের। থ্রো ডাউন বিশেষজ্ঞ এস রঘুর ছোঁড়া বলে আর পাঁচটা দিনের মতোই অনুশীলন সারছিলেন রোহিত। তখনই লেন্থ এরিয়া থেকে একটি শর্ট বল ছিটকে রোহিতের ডানহাতে গিয়ে আঘাত করে। পুল শট খেলার চেষ্টা করছিলেন ক্যাপ্টেন। বল মিস করে হাতে আঘাত পান। মাঠেই যন্ত্রণায় কুঁকড়ে যান অধিনায়ক। 

    চোট লাগার পর বেশ কিছুক্ষণ হাতে আইস প্যাক বেঁধে বসেছিলেন রোহিত। সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। রোহিতের ডান হাতে বরফ বেঁধে দেওয়া হয়। তাঁর মুখ দেখে মনে হচ্ছিল বেশ যন্ত্রণা করছে। অনুশীলনের জায়গায় রাখা একটি আইস বক্সের উপর বসেছিলেন তিনি। রোহিতের সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষণ কথা বলেন দলের মানসিক শক্তি বৃদ্ধির কোচ প্যাডি আপটন। বেশ কিছু ক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর রোহিত আবার ব্যাটিং করতে আসেন। কিন্তু তখন তাঁকে শুধু রক্ষণাত্মক শট খেলতেই দেখা যায়। থ্রো ডাউন দিলেও খুব বেশি জোরে বল ছোড়া হচ্ছিল না রোহিতকে। রোহিতের চোট কতটা গুরুতর তা দেখবেন ভারতীয় দলের চিকিৎসকরা। এখনও দলের পক্ষ থেকে অধিনায়কের চোট নিয়ে কিছু বলা হয়নি।

    আরও পড়ুন: দলীয় সংহতির প্রমাণ! শামিদের জন্য বিমানের বিজনেস ক্লাসের টিকিট ছেড়ে দিলেন কোহলি-রোহিতরা

    চলতি বিশ্বকাপে খুব ভাল ইনিংস আসেনি অধিনায়ক রোহিতের ব্যাট থেকে। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ৫৩ রানের ইনিংস সহ বিশ্বকাপে তাঁর মোট রান মাত্র ৮৯। আগামী বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমি ফাইনাল খেলতে নামছে টিম ইন্ডিয়া। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রোহিতের রেকর্ড খুবই ভাল। ১৪ ম্যাচে ৩৮৩ রান করেছেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর অপরাজিত শতরান। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর শতরান একটি এবং অর্ধশতরান দুটি। স্ট্রাইক রেট ১৪৩.৪৫, অ্যাভারেজ ৩৪.৮২।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TET Exam 2022: বায়োমেট্রিক অ্যাটেনড্যান্স, ফেস স্ক্যান, ভিডিওগ্রাফি, নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থায় টেট পরীক্ষা

    TET Exam 2022: বায়োমেট্রিক অ্যাটেনড্যান্স, ফেস স্ক্যান, ভিডিওগ্রাফি, নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থায় টেট পরীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। চলছে দফায় দফায় চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন। একদিকে যখন নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে চরম টানাপোড়েন চলছে ঠিক তখনই ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিক টেট পরীক্ষা নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। প্রায় কয়েক লক্ষ চাকরি প্রার্থী আবেদন করেছেন। বিতর্কের মাঝে সুষ্ঠভাবে পরীক্ষা নেওয়াটাই একটা চ্যালেঞ্জ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে। টান টান করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ভিডিওগ্রাফি, ফেস রেকগনিশন থেকে শুরু করে বায়োমেট্রিক অ্যাটেনড্যান্স, একাধিক নিরাপত্তা বলয় থাকছে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে।    

    রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষা কেন্দ্র তৈরি করা হবে। এই বিষয় নিয়ে বৈঠকও করে ফেলেছে মধ্য শিক্ষা পর্ষদ। কিছুদিন আগেই নতুন করে টেট পরীক্ষা নেওয়ার প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চলছে আন্দোলন। ধর্মতলা চত্ত্বরে চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন ৬০০ দিন পার করেছে। তাঁরা তাঁদের নিয়োগ পত্রের দাবিতে অনড়। কিন্তু পর্ষদ সেই দাবি অগ্রাহ্য করেই ডিসেম্বরে টেট পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    আরও পড়ুন: এবার তাপস মণ্ডলের দুই হিসাব রক্ষককে তলব ইডির

    জানা গিয়েছে, বায়োমেট্রিক অ্যাটেনড্যান্স-এর মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের ফেস এবং সই স্ক্যান করা হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে যাতে কোনও ভাবেই ভুয়ো পরীক্ষার্থী ঢুকতে না পারে, তাই এই ব্যবস্থা। প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রেই থাকবে এই সুরক্ষা ব্যবস্থা। তবে শুধু পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে নয়, পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতরেও থাকবে ভিডিও রেকর্ডিং এর ব্যবস্থা।    

    পরীক্ষার সময় কোনও রকম বিশৃঙ্খলা এড়াতেও বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। এইসব বিশেষ ব্যবস্থার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করা হবে। নিরাপত্তা বিষয়ে কোনও কার্পণ্য করতে রাজি নয় পর্ষদ। পাশাপাশি সিলেবাসের ক্ষেত্রেও আনা হয়েছে একাধিক বদল। মোট ১৫০ টি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে।   

    সময় থাকবে ১৫০ মিনিট। থাকবে না কোন নেগেটিভ মার্কিং। ১৫০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। সাম্প্রতিক সময়-এর নিরিখে এ বছর প্রাথমিকের টেটকে কেন্দ্র করে বিশেষভাবে সতর্ক হতে চাইছে পর্ষদ। তার জন্যই নিরাপত্তা সংক্রান্ত এই পদক্ষেপ বলেই দাবি পর্ষদের আধিকারিকদের। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

          

     

     
     
     
  • S Jaishankar: রাশিয়ায় পৌঁছলেন জয়শঙ্কর, কী নিয়ে আলোচনা করতে জানেন?

    S Jaishankar: রাশিয়ায় পৌঁছলেন জয়শঙ্কর, কী নিয়ে আলোচনা করতে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু দিনের সফরে রাশিয়া (Russia) পৌঁছলেন ভারতের (India) বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। মঙ্গলবার তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে। এই বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পরিবহণ, লজিস্টিক, এনার্জি সেক্টর, বিশেষত আর্কটিক সেল্ফ এবং রাশিয়ান ফার ইস্ট (Russian Far East) নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।

    জয়শঙ্করের (S Jaishankar) সফর নিয়ে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা হয়েছে একটি বিবৃতি। তাতে বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সহযোগিতার মূল বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হবে। অর্থনীতির উন্নতি, অর্থনৈতিক, এনার্জি, মিলিটারি-টেকনিক্যাল, হিউম্যানিটেরিয়ান, সায়েন্টিফিক এবং টেকনিক্যাল কোঅপারেশন নিয়ে আলোচনা হবে। মূল বিষয়গুলিতে কীভাবে দুই দেশ যৌথভাবে কাজ করতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা হবে। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানা গিয়েছে, জাতীয় মুদ্রা বিনিময় নিয়েও আলোচনা হতে পারে দুই দেশের মধ্যে। দুই দেশের দুই বিদেশমন্ত্রী রাষ্ট্রসংঘ, এসসিও, জি-২০ এবং আরআইসি নিয়েও মত বিনিময় করবে।

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) এবং লাভরভের মধ্যে আলোচনায় উঠে আসতে পারে এসসিও, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মতো আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয়ও। ইরানিয়ান নিউক্লিয়ার প্রবলেম সহ অন্যান্য কয়েকটি বিষয় নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা দুই দেশের দুই বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে। রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, দুই দেশই বহন করে প্রিভিলেজড ও স্ট্র্যাটেজিক অংশীদারিত্ব। দুই দেশের সম্পর্কও বেশ কয়েক দশকের পুরানো।

    আরও পড়ুন: টাকার জোগান হচ্ছে, তাই বাড়ছে সন্ত্রাসবাদ, রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে এস জয়শঙ্কর

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে এখনও। এমতাবস্থায় রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক মসৃণ হলেও, ইউক্রেনের সঙ্গে নয়াদিল্লর সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। কারণ যুদ্ধ চলাকালীনও ভারত জ্বালানি কিনেছে রাশিয়ার কাছ থেকে। রাষ্ট্রসংঘেও ভারতকে থাকতে দেখা গিয়েছে রাশিয়ার পাশেই। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ থামাতে ভারত মধ্যস্থতা করবে বলে যে খবর ছড়িয়েছে, সে প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রক বলেছে, আমরা তখনই সফল হব, যখন দু পক্ষই আমাদের কূটনৈতিক সততা সম্পর্ক নিঃসন্দেহ হবে। এ ক্ষেত্রে আস্থার অভাব রয়েছে। আর পুতিনকে বাদ দিয়ে কোনও মধ্যস্থতা কার্যকর হবে না। প্রসঙ্গত, এর আগে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) রাশিয়া গিয়েছিলেন ২০২১ সালের জুলাই মাসে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে নয়াদিল্লিতে এসেছিলেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: সিবিআই তদন্তের মাঝেই এবারে ইডির জেরার মুখোমুখি পরেশ অধিকারী

    SSC Scam: সিবিআই তদন্তের মাঝেই এবারে ইডির জেরার মুখোমুখি পরেশ অধিকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) এবারে ইডির জেরার মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। গতকাল, সোমবার বেলা ১২ টা নাগাদ তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে যেতে দেখা যায়। দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর তিনি ইডি দফতরের বাইরে বেরলে তাঁকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। তখন তিনি জানান, কিছু নথিপত্র ফেরত দেওয়ার জন্য তাঁকে ডেকেছিল ইডি। তবে সেগুলি কী ধরনের নথি, তা জানাননি তিনি। কিন্তু সূত্রের খবর অনুযায়ী, এসএসসি-তে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল।

    গতকাল তিনি ইডির জিজ্ঞাসাবাদের পর দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ বেরিয়ে আসেন। ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে পরেশ বলেন, ‘‘কিছু নথি নিতে আজ এসেছিলাম। যে নথিপত্র আমার বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, সেগুলি ফেরত নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাকে চিঠি দেওয়া হয়। তাই এসেছি।’’ এদিকে জানা গিয়েছে, শীঘ্রই ফের চিঠি দিয়ে পরেশ অধিকারীকে তলব করা হতে পারে ইডির অফিসে। কিন্তু তাঁকে ফের কবে আসতে হবে তা এখনও জানানো হয়নি। পরবর্তী হাজিরার তারিখ চিঠি দিয়েই জানানো হবে।

    আরও পড়ুন: একবার নয়, তিনবার লটারি জিতেছেন কেষ্ট-সুকন্যা! সিবিআই-এর হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    প্রসঙ্গত, পরেশের মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর (Ankita Adhikari) নিয়োগে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে। জুলাই মাসে বাড়িতে তল্লাশির পর বেশ কিছু নথিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। সেই নথি খতিয়ে দেখেই এদিন তাঁকে তলব করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। ২০১৬ সালে শিক্ষক নিয়োগের সময় এসএসসি মেধাতালিকায় বেআইনিভাবে মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতার নাম ঢোকানো হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ববিতা সরকার নামে এক চাকরিপ্রার্থীর মামলা করার পরই এসব তথ্য প্রকাশ্যে আসে।

    এরপর অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে ববিতাকে সেই চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হয় ও যতদিন অঙ্কিতা শিক্ষিকা ছিলেন, ততদিনের বেতন দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। হাইকোর্টের নির্দেশে এসএসসি দুর্নীতি-কা‌ণ্ডের তদন্ত করেছে সিবিআই। সেই সূত্রে এর আগে পরেশকে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। এই প্রথম আরও এক কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি-র জেরার মুখে পড়তে হল পরেশকে। ইডি সূত্রের খবর, মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে বেআইনি ভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য কোনও টাকার লেনদেন হয়েছে কি না, ও কীভাবে সেই টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হয়েছে তা জানতেই পরবর্তীতে ফের তলব করা হবে পরেশ অধিকারীকে।

  • Anubrata Mondal: একবার নয়, তিনবার লটারি জিতেছেন কেষ্ট-সুকন্যা! সিবিআই-এর হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    Anubrata Mondal: একবার নয়, তিনবার লটারি জিতেছেন কেষ্ট-সুকন্যা! সিবিআই-এর হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) লটারির মাধ্যমে এক কোটি টাকা পাওয়ার বিষয়টিতে তদন্ত করতে নেমে আরও এক চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা একবার নয়, তিনবার লটারি জিতেছেন। সেই লটারির টাকা দুবার সুকন্যার অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে, যার পরিমাণ প্রায় ৫১ লক্ষ টাকা। আর একবার কেষ্টর অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। ২০১৯ সালে অনুব্রতর অ্য়াকাউন্টে এই লটারির ১০ লক্ষ টাকা ঢুকেছিল বলে দাবি করলেন তদন্তকারীরা। এ যেন কেঁচো খুঁড়তে কেউটে!

    যেখানে একবারই লটারি জিততে পারে না মানুষ, সেখানে অনুব্রত মণ্ডল কীভাবে বার বার লক্ষ লক্ষ টাকা লটারি জিতে যাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনুব্রত মণ্ডলের এক কোটি টাকা লটারিতে পাওয়ার রহস্যভেদ করতে বার বার জেরার মুখে পড়তে হয়েছে কেষ্ট-কন্যাকেও। আর এরই মধ্যে এত পরিমাণে লটারি জেতার খবর সামনে আসতেই সিবিআই আধিকারিকরা সন্দেহ করছেন যে, লটারি জয়ের নামে অনুব্রত আসলে গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করেছেন না তো? বারবার একই পরিবার লটারি পাচ্ছে, তাই প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে, তাহলে কি এভাবেই গরুপাচারের কালো টাকা লটারির মাধ্যমে সাদা করা হয়েছে? আর কোনও লটারি অনুব্রতর আত্মীয় বা ঘনিষ্ঠদের নামে কেনা হয়েছিল? এসবই খতিয়ে দেখছে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে ব্যাপক অনিয়ম, সিবিআই তদন্তের দাবিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছিল, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে ১ কোটি টাকা জিতেছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। আর এবারে সুকন্যার অ্যাকাউন্টে লটারির টাকা আসার তথ্য সিবিআই-এর হাতে এসেছে। এক বার ঢোকে ২৫ লক্ষ টাকা, আর এক বার ২৬ লক্ষ টাকা, অর্থাৎ ৫১ লক্ষ টাকা। লটারির ১ কোটি টাকার তদন্ত করতে আসানসোল জেলে গিয়েও জেরা করা হয়েছে কেষ্টকে। আবার বারবার তলব করা হয়েছে তাঁর মেয়ে সুকন্যাকেও।

    আবার গত সপ্তাহে বোলপুরে লটারির দোকানে হানাও দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এরপর গতকাল বোলপুরের লটারি বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। লটারির টিকিট বিক্রেতা মুন্না শেখ সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে হাজিরা দেন। সেখানে প্রায় একঘণ্টা ছিলেন তিনি। সিবিআই ক্যাম্প থেকে মুন্না বেরিয়ে এলে তাঁকে অনুব্রতর লটারি জয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, অনুব্রতকে কখনও লটারি বিক্রি করেননি তিনি। লটারি জয়ের নামে অনুব্রত বা সুকন্যার অ্যাকাউন্টে আরও কোনও টাকা ঢুকেছে কি না, সেটাই এখন খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা৷ পরবর্তীতে লটারির রহস্যভেদে আর কী কী তথ্য উঠে আসে সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্যবাসী।

LinkedIn
Share