Blog

  • TET Agitation: পুলিশের কামড় খাওয়া অরুণিমা-সহ ৩০ জনের জামিন দিল আদালত

    TET Agitation: পুলিশের কামড় খাওয়া অরুণিমা-সহ ৩০ জনের জামিন দিল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি চেয়ে পুলিশের কামড় খাওয়া চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পাল সহ সব আন্দোলনকারী টেট চাকরিপ্রার্থী গতকাল অবশেষে জামিন পেল (TET Agitation)। পুলিশের এমন আচরণে সারা রাজ্যবাসী স্তম্ভিত। এমন নৃশংসতার খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাজ্য পুলিশকে ধিক্কার না করেও কেউ ছাড়েনি। কোনও অপরাধ না করেই এক রাত জেলে কাটিয়ে অবশেষে আন্দোলনকারীরা জামিন পেলে বাকি আন্দোলনকারী চাকরীপ্রার্থীরা উচ্ছাসে ফেটে পড়েন। চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ বলে ওঠেন, ‘মজবুত হলাম। মানসিকভাবে আমরা তৈরি হয়েছি। আরও আমরা গর্জে উঠে সাহস এবং সুযোগ পেলাম।’

    কী ঘটেছিল?

    গত বুধবার এক্সাইড মোড়ে চাকরির জন্য আন্দোলনে নামেন ২০১৪-এর টেটে উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা (TET Agitation)। আর তখই তাঁদের সেখান থেকে সরাতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। আন্দোলনকারীদের টেনে-হিঁচড়ে, চ্যাংদোলা করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হচ্ছিল। অনেকে আবার প্রিজন ভ্যানের নীচে শুয়েও বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল। আবার পুলিশের বিরুদ্ধে কয়েকজন আন্দোলনকারীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল। এরই মধ্যে অভিযোগ ওঠে, যে এক মহিলা পুলিশকর্মী অরুণিমার হতে কামড়ে দেয়।

    চাকরিপ্রার্থীকে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে (TET Agitation)। কিন্তু উল্টে সেই চাকরিপ্রার্থীকেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তবে শুধুমাত্র গ্রেফতারি নয়, টেট বিক্ষোভে আক্রান্ত অরুণিমা পাল-সহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলাও রুজু করা হয়েছিল। এরপর গতকাল ধৃতদের পেশ করা হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। তারপর দুপক্ষের সওয়াল-জবাবের পর ওই ৩০ জন আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের জামিন দেয় আদালত।

    আরও পড়ুন: টেট বিক্ষোভকারীর হাতে কামড় পুলিশের! জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার আক্রান্তই

    আন্দোলনকারীদের প্রতিক্রিয়া

    বৃহস্পতিবার রাতে জামিনের পরেই উঠল স্লোগান (TET Agitation)। ‘লড়াই চলছে, চলবে।’ এক আন্দোলনকারী বললেন, ‘সরকার তো মুখ থুবড়েছে। ওদের কোনও লজ্জা নেই। আমরা অপরাধী নই। আমাদের পাঁচটা জামিন অযোগ্য ধারা দিয়ে ধরতে চেয়েছিল।’ আরও এক এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, ১৪ সাল থেকে বঞ্চিত হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাঁরা। আর তাঁদেরকেই আসামী বানানো হচ্ছে। তাঁরা কী অন্যায় করেছিল? তাঁদের যে ধারা দেওয়া হয়েছিল, জামিন অযোগ্য ধারা, কেন কী অন্যায় করেছিল? জামিন অযোগ্য ধারা দিতে হয়েছিল?’

    অরুণিমা কী বললেন?

    অরুণিমা বলেন, জামিনে মুক্তি পেয়ে অত্যন্ত খুশি তাঁরা (TET Agitation)। তবে থানায় থাকার সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা এখনও ভুলতে পারছেন না তাঁরা। মুক্তি পেয়ে অরুণিমা বলেন, ‘এটা সার্বিক জয়। আমরা ক্রিমিনাল নই। সেটা প্রমাণ হল। এতদিনে কোর্টের বিচারে তো প্রমাণ হয়েই গিয়েছে আমাদের চাকরি চুরি গিয়েছে।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, হাতে যেখানে কামড় দিয়েছে সেখানে ব্যথা রয়েছে। চিকিৎসা করাতে হবে। অঝোর ধারায় রক্ত ঝড়ছিল।

    পুলিশের আচরণে উঠছে প্রশ্ন

    আবার এরই মধ্যে এক ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে পুলিশকে বলতে শোনা যাচ্ছে, মৃত্যু হলে তার দায় নেবে পুলিশ। একেতেই এরূপ আচরণে হতবাক বঙ্গবাসী। তারপর আবার এই কথা, সবমিলিয়ে রাজ্যে পুলিশের কাজ নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। এরপর আন্দোলনকারীকে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগের ফলে ফের প্রশ্ন উঠছে যে, পুলিশের এমন আচরণের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে, নাকি সেই পুলিশকে আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে (TET Agitation)?

  • Sania Mirza: শোয়েব-সানিয়া বিচ্ছেদ! কী বলছেন তারকা দম্পতি?

    Sania Mirza: শোয়েব-সানিয়া বিচ্ছেদ! কী বলছেন তারকা দম্পতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শোয়েব মালিক ও সানিয়া মির্জার বিবাহ বিচ্ছেদ। ক্রীড়া ও বিনোদন জগতে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে এই খবর। শোয়েব মালিকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে তাদের ১২ বছরের সম্পর্কের অবসান ঘটে বলে খবর। তাঁদের সন্তান ইজহান মির্জা মালিক কার কাছে থাকবে তা নিয়েও আলোচনা চলছে। তবে এ ব্যাপারে এখনও প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার বা ভারতের টেনিস কুইন। 

    বিচ্ছেদের খবর

    শোয়েব-সানিয়ার আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদের খবর নিশ্চিত করেছেন দু’জনের ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু। যিনি আবার শোয়েব মালিকের ম্যানেজমেন্ট দলের সদস্যও। সেই বন্ধুটি বলেছেন, “সানিয়া মির্জা ও শোয়েব মালিকের আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয়ে গেছে, যা এই দম্পতির জন্য দুঃখজনক।” তিনি আরও বলেছেন, বিচ্ছেদের পর হতাশায় ভুগছেন সানিয়া। তাঁরা এখন আলাদা থাকাও শুরু করে দিয়েছেন।  একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী শোয়েব সানিয়ার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। যা মেনে নিতে পারেননি ভারতের টেনিস সুন্দরী। তাঁদের একমাত্র সন্তান ইজহানকে যদিও তাঁরা একসঙ্গেই দেখাশোনা করছেন বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: কাতার বিশ্বকাপে নেই ফিলিপে কুটিনহো! ব্রাজিলের ২৬ জনের দল ঘোষিত

    সানিয়ার পোস্ট

    শোয়েব-সানিয়াকে নিয়ে চলা গুঞ্জনের মধ্যেও একে অপরকে সোশাল মিডিয়ায় এখনও ফলো করছেন দুজনে। সোশাল মিডিয়ায় একে অপরকে নিয়ে সক্রিয় তাঁরা। মাঝেমাঝেই পারিবারিক ছবি পোস্ট করে থাকেন তাঁরা। যদিও সম্প্রতি সানিয়ার পোস্টে তাঁদের বিচ্ছেদের জল্পনাকেই নাড়া দেয়। সূত্রের খবর, সানিয়া সম্প্রতি দুবাইতে তাঁর নতুন বাড়িতে গেছেন। এরআগে তিনি শোয়েব মালিকের সঙ্গে দুবাইতে পাম জুমেইরাতে থাকতেন। সেখান থেকে তিনি সরে গেছেন তাঁর নতুন বাড়িতে। সানিয়া তাঁর ছেলের সঙ্গে রয়েছেন সেখানে। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরিতে সানিয়া লিখেছিলেন, “ভাঙা হৃদয় কোথায় যায়? ঈশ্বর খুঁজতে।” ভারতের অন্যতম সেরা টেনিস তারকা ছেলের সঙ্গে একটি ছবিও পোস্ট করেন। তাতে দেখা যাচ্ছে ইজহান তাঁকে চুমু খাচ্ছে। সেই সঙ্গে সানিয়া লিখেছিলেন, “যে মুহূর্তগুলো কঠিন সময় পার করে দেয়।”

     

     

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by Sania Mirza (@mirzasaniar)

  • Dengue Symptoms: ডেঙ্গি জ্বরের উপসর্গ কী কী? এর থেকে সতর্ক থাকার উপায়ই বা কী?

    Dengue Symptoms: ডেঙ্গি জ্বরের উপসর্গ কী কী? এর থেকে সতর্ক থাকার উপায়ই বা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছর বর্ষাকালে ভারতের বিপুল সংখ্যক মানুষ ডেঙ্গি রোগে আক্রান্ত হন। শহর বা গ্রামীণ এলাকায় জমা জলে, যেখানে মূলত গৃহস্থালির আবর্জনা স্তূপ জমা করা হয় সেই সকল স্থানে এই মশা জন্মায়।

    এডিস ইজিপ্টাই মশাবাহিত রোগ হল ডেঙ্গি

    মূলত এডিস ইজিপ্টাই মশাই হল ডেঙ্গিরোগের বাহক। আবর্জনা স্তূপের জমে থাকা নোংরা জলে এই মশা তাদের বংশবৃদ্ধি করে থাকে। এই এডিস মশা বেশিরভাগ দিনের বেলায় কামড়ায়। অপরদিকে ম্যালেরিয়ার বাহক অ্যানোফেলেস মশা রাতের বেলায় কামড়ায়। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত রোগীর পেশি ও গাঁটে ব্যথা হওয়ায় ডেঙ্গিকে  ‘Break Bone Fever’-ও বলা হয়ে থাকে।

    ডেঙ্গি জ্বরের প্রাদুর্ভাব

    ডেঙ্গি জ্বর সাধারণত ক্রান্তীয় এবং উপক্রান্তীয় অঞ্চলে বেশি লক্ষ্য করা যায়। তাই প্রায় প্রতিবছর ভারত সহ দক্ষিণ চিন, মেক্সিকো, তাইওয়ান, মধ্য আমেরিকা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মতো দেশগুলোতে ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। সারা পৃথিবীতে প্রতি বছরই প্রায় ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন এবং ডেঙ্গি জ্বরে মৃত্যুর হার ২.৫ শতাংশ। 

    ডেঙ্গি জ্বরের উপসর্গ

    এডিস মশা কামড়ালে, রক্তে ডেঙ্গি জীবাণুটি ​​সংক্রমণ হতে ২-৭ দিন সময় লাগে এবং এই সময় শরীরে জ্বর হয়। সাধারণত কামড়ানোর ৪-৫ দিন পর থেকে ডেঙ্গি জ্বরের লক্ষণ দেখা যায়। ডেঙ্গি জ্বরে আক্রান্তকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। ভাগগুলি হল যথাক্রমে ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’।

    প্রথম ক্যাটেগরির রোগীদের ক্ষেত্রে ডেঙ্গির লক্ষণ খুব একটি প্রকট হয় না। ‘এ’ ক্যাটেগরি রোগীদের শরীরে শুধু জ্বর থাকে। অধিকাংশ ডেঙ্গি রোগী ‘এ’ ক্যাটেগরির। সাধারণত এই রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন নেই।

    ‘বি’ ক্যাটেগরির রোগীদের শরীরে কিছু ডেঙ্গি উপসর্গ দেখা যায়। এই রোগীদের জ্বরের সঙ্গে চোখে ব্যথা (সাধারণত চোখের পিছনে হয়) থাকে। রোগীর পেশিতে ও হাড়ে ব্যথা থাকার পাশাপাশি বমি বমি ভাব, মাথা যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা যায়।

    ‘বি’ ক্যাটেগরির রোগীদের ডেঙ্গি উপসর্গ সাধারণত দুই থেকে সাতদিন থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগী সপ্তাহখানেকের মধ্যে সেরে ওঠেন। তবে কারও যদি গুরুতর ডেঙ্গি হয়, তাহলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উপসর্গ মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

    ‘সি’ ক্যাটেগরির ডেঙ্গি সবচেয়ে বিপজ্জনক। এই রোগীদের অবিলম্বে হাসপাতালে ভর্তি করা প্রয়োজন। ‘সি’ ক্যাটেগরির ডেঙ্গি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। প্রতি ২০ জন ব্যক্তির মধ্যে একজন ব্যক্তি ‘সি’ ক্যাটেগরিতে পড়তে পারেন। এই রোগীদের শরীর থেকে রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা থাকে। এমনকি প্রানহানির ঘটনাও ঘটতে পারে এই রোগীর।

    এই রোগীদের সাধারণত নিম্নোক্ত উপসর্গগুলি দেখা যায়

    1. পেটে ব্যথা এবং অস্বস্তি।
    2. বমি (২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে তিনবার)।
    3. নাক বা মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ।
    4. বমির সঙ্গে রক্ত বের হওয়া বা মলের সঙ্গে রক্ত।
    5. দুর্বলভাব, ক্লান্তিবোধ, অস্বস্তি।

    কোনও  ব্যক্তি  ডেঙ্গি  জ্বর  থেকে  সুস্থ  হয়ে উঠলে তাঁর পুনরায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।

    ডেঙ্গির লক্ষণ দেখা দিলে কী কী করনীয়

    ডেঙ্গি জ্বরের এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা নেই। ডেঙ্গি হলে শরীর অত্যন্ত দুর্বল হয়ে যেতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে ডেঙ্গিতে রক্তের প্লেটলেট বা অণুচক্রিকা কমে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা যায়। এই ধরনের জটিলতা এড়াতে সঠিক সময়ে ডেঙ্গির চিকিৎসা ও রোগীর সঠিক পরিচর্যা করা দরকার, নতুবা রোগীর হেমোরেজিক শকে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

    সেক্ষেত্রে ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে কী করা উচিত তা নীচে দেওয়া হল:

    ১. যদি আপনার শরীরে ডেঙ্গির উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযাগ করুন। আপনি কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন, তা জানান।

    ২. যতটা সম্ভব, বিশ্রাম নিন।

    ৩. জ্বর এবং ব্যথা কমাতে প্যারাসিটামোল খেতে পারেন। তবে অ্যাসিপিরিন এবং ইবুপ্রফেন খাবেন না।

    ৪. ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হয়। তাই শরীরে প্রচুর পরিমাণে তরল দরকার। জল পান করুন বা জলে ইলেকট্রোলাইট বা ওআরএস মিশিয়ে জল পান করতে হবে।

    ৫. যদি খুব জ্বর থাকে, তাহলে ঠান্ডা জল দিয়ে রোগীর গা মুছিয়ে দিন।

    ঘরোয়া পদ্ধতিতে ডেঙ্গির চিকিৎসা

    ঘরোয়া কিছু উপায়ে ডেঙ্গির উপসর্গ অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সঠিকভাবে চিকিৎসা করলে রোগী অনেকাংশেই আরাম বোধ করেন।

    • গুলঞ্চের রস – ডেঙ্গি জ্বর কমাতে গুলঞ্চের বিশেষ ভূমিকা আছে। বিপাকক্রিয়ার হার বাড়াতে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুলঞ্চ অত্যন্ত কার্যকরী। শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা ডেঙ্গির জ্বরের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। রক্তের প্লেটলেট কাউন্ট বাড়িয়ে রোগীকে শারীরিক আরাম প্রদান করে গুলঞ্চ। দু’টি ছোট গুলঞ্চের ডাল ভেঙে একগ্লাস জলে ফুটিয়ে নিয়ে ঈষদুষ্ণ অবস্থায় পান করুন। এছাড়া এক কাপ ঈষদুষ্ণ জলে দুই ফোঁটা গুলঞ্চের রস ফেলেও পান করতে পারেন। তবে বেশিমাত্রায় গুলঞ্চের রস পান করবেন না। তাতে হিতে বিপরীত হবে।
    • পেঁপে পাতার রস – ডেঙ্গি রোগীর রক্তে প্লেটলেটের মাত্রা কমার লক্ষণ দেখা যায়। পেঁপে পাতা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ডেঙ্গির সময়ে যাতে প্লেটলেট হ্রাস না পায়, তার জন্য কয়েকটি পেঁপে পাতা নিয়ে পেষণ করে তার রস বের করুন। দিনে দু’বার পান করুন পেঁপে পাতার রস।
    • তাজা পেয়ারার রস – প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান থাকে পেয়ারার রসে। এতে বিশেষ করে ভিটামিন সি থাকে প্রচুর পরিমাণে, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ডায়েটে পেয়ারার রস যোগ করলে তা স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। এক কাপ পরিমাণে পেয়ারার রস নিয়ে দিনে দু’বার পান করুন। এছাড়া গোটা পেয়ারাও খাওয়া যায়।
    • মেথি বীজ- ডেঙ্গির জ্বরের প্রকোপ কমাতে জুড়ি নেই মেথি বীজের। এককাপ পরিমাণ গরম জলে কিছুটা মেথি বীজ ভিজতে দিন। জল ঠান্ডা হলে দিনে দু’বার করে পান করুন। মেথি বীজের জল স্বাস্থ্যের পক্ষেও অত্যন্ত উপযোগী, কারণ মেথি বীজে থাকে ভিটামিন সি, কে। মেথি বীজ জ্বর কমানোর সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে।

    এছাড়াও রোগীর পথ্যের দিকেও বিশেষ জোর দেওয়া প্রয়োজন। বিশেষত যে ধরনের খাদ্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় সেই ধরনের খাদ্য গ্রহণের দিকে বিশেষ জোর দেওয়া জরুরি। বিশেষ করে রোগীর সাইট্রাস জাতীয় ফল যেমন লেবু ও লেবুর রস খাওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও রোগীকে প্রতিদিন কাঠবাদাম খাওয়ানো যেতে পারে। রোগীর রান্নায় রসুন, হলুদ সহ আরও কিছু মশলার ব্যবহারও করা উচিত।

    ডেঙ্গিকে প্রতিরোধ করতে কী কী ব্যবস্থাগ্রহণ করা উচিত

    • মশা তাড়ানোর ক্রিম ব্যবহার করা – ডেঙ্গির মশা তাড়ানোর জন্য ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে, যাতে শরীরে কোনও মশা কামড়াতে না পারে। যদিও অনেকের স্কিন এলার্জি থাকায় এই ক্রিম ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
    • পোশাক নির্বাচনের দিকটি মাথায় রাখা – মশার হাত থেকে বাঁচতে যতটা সম্ভব গা ঢাকা লম্বা হাতা জামা পড়তে হবে, কারণ মশা শরীরের উন্মুক্ত অংশ বা ত্বকের সন্ধান করে। এছাড়াও, হালকা রঙের পোশাক মশার হাত থেকে বাঁচতে সাহায্য করে ।
    • মশা প্রতিরোধক – বাজারে মশা মারার ইলেকট্রিক ব্যাট ও নানা কোম্পানির ইলেকট্রিক প্রতিরোধক ওষুধ পাওয়া যায়। ইলেকট্রিক এই প্রতিরোধকগুলি মশা তাড়ানোর জন্য বাড়িতে সারা দিন চালু রাখা যেতে পারে। এছাড়াও বাড়ির মেঝে পরিষ্কার রাখতে জলে সিট্রোনেলা এবং লেবুর রস যোগ করেও মশাকে তাড়ানো যায়।
    • মশার প্রজনন স্থলকে চিহ্নিত করা – আপনার বাড়ির ভিতরে এবং আশেপাশের স্থানগুলি পরীক্ষা করুন। সাধারণত গৃহস্থালির জমা নোংরা জলে মশা বংশবৃদ্ধি করে থাকে। এই  সমস্ত স্থানগুলি পরিষ্কার করুন। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ মশাকে আকর্ষণ করে না। এছাড়াও বাড়িতে মশারির ব্যবহার করলেও মশার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।

    উপরের নির্দেশগুলি ছাড়াও, একটি ঘর আলোকিত রাখুন। আলো মশাকে আকর্ষণ করে না, তাই নিশ্চিত করুন যে আপনার ঘরে সর্বোত্তম আলো রয়েছে। আরেকটি খুব দরকারী পরামর্শ হলো, আপনার বাড়ির ভিতরে বা বাইরে একটি নিম গাছ লাগান, যদি জায়গা থাকে। নিম গাছকে মশা নিরোধক বলে দাবি করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TET Scam: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রাথমিকে ২০০৯ প্যানেলের ১৬৩২ জনকে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের

    TET Scam: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রাথমিকে ২০০৯ প্যানেলের ১৬৩২ জনকে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০৯ সালের প্যানেলের ১৬৩২ শূন্যপদে নিয়োগে সবুজ সংকেত দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। নিয়োগ (TET Scam) হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas)। দু’সপ্তাহের মধ্যে পদক্ষেপের নির্দেশ বিচারপতির। ২০০৯ সালে নেওয়া হয় লিখিত পরীক্ষা। কিন্তু তার পরও ২০১১ সালে বাতিল ঘোষণা হয় সেই প্যানেল।   

    বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দেয়, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে ২০০৯ সালে প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। উত্তর ২৪ পরগনা, মালদা এবং হাওড়ার মতো দক্ষিণ ২৪  পরগনা জেলার ২০০৯ সালের চাকরিপ্রার্থীদের ক্ষেত্রেও একই ধরনের পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ।

    ২০০৯ সালের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে তৈরি নিয়োগ তালিকা প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালত জানিয়েছে, যাঁদের প্যানেলভুক্ত করা হয়েছে, তাঁদের নাম প্রকাশ করতে হবে। তা না হলে মামলাকারীরা জানতে পারবেন না তাঁদের অবস্থান।

    কী অভিযোগ?

    এর আগে এই প্যানেলে গুরুতর বেনিয়ম হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়ে আদালত আগেই পদক্ষেপ নিয়েছিল। সেই অনুযায়ী, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া ও মালদা জেলা আগেই নির্দেশ মতো নিয়োগ করেছে। কিন্তু দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নিয়োগ বাতিল করা হয়। সেই প্যানেলের ভিত্তিতেই দু’সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ শুরু করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলা যোগ, অনুব্রতর জামাইবাবুকে শুক্রবার দিল্লিতে তলব ইডির

    মামলাকারীদের আইনজীবী কমলেশ ভট্টাচার্য বলেন, “২০০৯ সালে রাজ্যজুড়ে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়৷ ২০১২ সালে চারটি জেলার প্যানেল বাতিল করে দেওয়া হয়৷ বেআইনি ভাবে প্যানেল তৈরি হয়েছে, এই অভিযোগে তা বাতিল করা হয়েছিল৷ আবার পরীক্ষার মাধ্যমে নতুন প্যানেল তৈরি হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু সেই পরীক্ষার ফল আজও প্রকাশিত হয়নি৷ এই অভিযোগেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা।” 

    এক চাকরিপ্রার্থী অরিন্দম মণ্ডল বলেন, “আদালতের রায়ে তাঁরা খুশি৷ আদালতের নির্দেশ মেনে তাঁদের নিয়োগ করার জন্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা৷”  

    অন্যদিকে, ২০১৪-র টেট চাকরিপ্রার্থীদের ৪০ দিনের ধরনার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, গান্ধিমূর্তির সামনে ধরনায় বসতে পারবেন চাকরিপ্রার্থীরা। বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, বুধবার রাতে ৩০জন প্রার্থীর নামে ৩৫৩, ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯ -সহ আরও বেশ কিছু ধারায় মামলা করা হয়েছে। আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Information and Broadcasting Ministry: রোজ ৩০ মিনিট জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখাতেই হবে, টিভি চ্যানেলগুলোকে নির্দেশ কেন্দ্রের

    Information and Broadcasting Ministry: রোজ ৩০ মিনিট জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখাতেই হবে, টিভি চ্যানেলগুলোকে নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের টিভি চ্যানেলগুলির জন্য এক নয়া নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। এবারে জাতীয় গুরুত্বের বিষয় সংক্রান্ত অনুষ্ঠানের সম্প্রচার (‘National Interest’ Content) করতে হবে বলে নির্দেশ দিল কেন্দ্র। জনসেবামূলক কনটেন্ট দেখানোর জন্য প্রতিটি চ্যানেলকে (Channel) দিতে হবে ৩০ মিনিট, এমনটাই নির্দেশ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের (Information and Broadcasting Ministry)। গতকাল, ‘গাইডলাইন্স ফর আপলিঙ্কিং অ্যান্ড ডাউনলিঙ্কিং অফ টেলিভিশন চ্যানেল ইন ইন্ডিয়া ২০২২’ সংশোধিত আইনে এই নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

    নয়া নির্দেশিকায় কী বলা হল?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ৯ নভেম্বর থেকেই দেশের সর্বত্র এই নির্দেশিকা কার্যকর করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের (Information and Broadcasting Ministry) সচিব অপূর্ব চন্দ্র জানান, বেসরকারি টিভি চ্যানেল এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার পরে, কী ধরণের অনুষ্ঠান করা যেতে পারে সে সম্পর্কে একটি পৃথক পরামর্শ জারি করা হবে। বিষয়বস্তু চ্যানেলের হবে, সরকারের নয়, এবং তাঁরা কেবল সেগুলি সম্প্রচার করা হচ্ছে কিনা তা দেখবেন। এই অনুষ্ঠানগুলি জাতীয় গুরুত্বের উপর ভিত্তি করেই হতে হবে। আরও জানানো হয়েছে, কীভাবে নির্দেশিকা মানা হবে এবং সেই অনুযায়ী কার্য সম্পাদন করা হবে, তার জন্য টেলিভিশন চ্যানেলগুলিকে কিছুদিন সময় দেওয়া হবে। নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৩০ মিনিট জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে হবে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে।

    আরও পড়ুন: ভুয়ো খবর ঠেকাতে ফেসবুকের গ্রুপ অ্যাডমিনদের জন্য নতুন ফিচার

    কী কী বিষয়ে দেখানো হবে?

    এই নির্দেশিকার ফলে টেলিভিশন চ্যানেলগুলিকে আট ধরনের বিষয়বস্তু বেছে নেওয়ার সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্র (Information and Broadcasting Ministry)। প্রতিদিন ৩০ মিনিটের জন্য যে জনস্বার্থমূলক কনটেন্ট সম্প্রচারিত করা হবে, তার মধ্যে কোন কোন বিষয় দেখানো যেতে পারে, তার একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষা ও সাক্ষরতা, কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, নারীকল্যাণ, অনগ্রসর শ্রেণির কল্যাণ, পরিবেশ ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের নিরাপত্তা এবং জাতীয় অখণ্ডতার মত বিষয়কে রাখতে হবে ওই কনটেন্টে।

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের (Information and Broadcasting Ministry) মতে, টিভি চ্যানেলগুলি জনগণের সম্পত্তি। তাই এগুলিকে সঠিক উপায়ে ব্যবহার করা উচিত। তাই এমন নিয়ম জারি করা হয়েছে। এছাড়াও জানানো হয়েছে, কোথাও কোনও রকমের নিয়ম লঙ্ঘন চোখে পড়লে সেই চ্যানেলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

  • Cattle Smuggling Case: গরু পাচার মামলায় নতুন মোড়! বখরা পেতেন ২ বিধায়ক! ইডি-কে জানাল সায়গল

    Cattle Smuggling Case: গরু পাচার মামলায় নতুন মোড়! বখরা পেতেন ২ বিধায়ক! ইডি-কে জানাল সায়গল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) ধৃত সায়গল হোসেনের নতুন ঠিকানা হয়েছে তিহার জেল। ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষে শুক্রবারই তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। আর তারপরই ফের প্রকাশ্যে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সায়গল জানিয়েছেন গরু পাচার কাণ্ডে বখরা দেওয়া হত ২ বিধায়ককে। এই ২ বিধায়কের মধ্যে একজন আবার মন্ত্রীও ছিলেন। এমনটাই জানিয়েছে কেষ্টর প্রাক্তন দেহরক্ষী।

    সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, মুর্শিদাবাদ সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারের টাকার বখরা নিতেন ওই ২ বিধায়ক। কিন্তু কারা এই বিধায়ক তা এখনও জানা যায়নি। সায়গল দাবি করেছেন, সীমান্তে পাচারকারীদের নিরাপত্তা দেওয়ার বিনিময়ে এই টাকা নিতেন ওই ২ বিধায়ক। আর সায়গলের থেকে এমন বক্তব্য শোনার পর ইডি ওই ২ বিধায়ককে জেরা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ফলে গরু পাচার কাণ্ডে এবারে ২ বিধায়কের নাম উঠে আসায়, মনে করা হচ্ছে এই মামলার নতুন মোড় আসতে চলেছে। তবে বিধায়কদের দিল্লি না কলকাতায় তলব করা হবে সে নিয়ে এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি।

    ইডির জিজ্ঞাসাবাদের পরেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার টুলু মণ্ডল

    আবার অন্যদিকে সায়গলকে বর্তমানে তিহার জেলে রাখার ফলে সায়গলের আইনজীবী দাবি করেছেন, তাঁকে ইডি আর জিজ্ঞাসাবাদ করছে না। তাই পরবর্তী শুনানিতে জামিনের আবেদনের সময় সায়গল হোসেনকে সশরীরে আসানসোল সিবিআই আদালতে হাজিরার কথা বলেন সায়গলের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা। কিন্তু সিবিআই-এর আইনজীবী এর বিরোধীতা করে জানান, কারোর জামিনের আবেদনের জন্য তাঁকে সশরীরে উপস্থিত থাকার কোনও প্রয়োজন নেই। এরপরেই সশরীরে আদালতে পেশ করার আবেদন খারিজ করলেন আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারক। আগামী ১১ নভেম্বর তাঁর ভার্চুয়াল শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, সায়গলকে জেরা করার জন্য ইডি আগেই দিল্লি নিয়ে যায় ও পরে তিহার জেলে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। আবার শনিবারেই সিবিআই কোর্টে তাঁর এই মামলার শুনানি ছিল। তাঁর আইনজীবীও দিল্লিতেই। ফলে শনিবার ভিডিও কলের মাধ্যমে শুনানি হয় তাঁর। সে সময় আইনজীবী অনির্বাণ পরবর্তী শুনানির জন্য সরাসরি আদালতে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রার্থনা করলে বিচারক তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয় ও আগামী ১১ নভেম্বর গরু পাচার মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানান। এদিন অনুব্রত মণ্ডলেরও শুনানি রয়েছে। এই প্রথমবারের জন্য কেষ্ট ও সায়গলের শুনানি একদিনে হবে।

  • SSC CHSL 2022: কম্বাইন্ড হায়ার সেকেন্ডারি লেভেল পরীক্ষার জন্য দরখাস্ত নেওয়া শুরু, জানুন বিস্তারিত

    SSC CHSL 2022: কম্বাইন্ড হায়ার সেকেন্ডারি লেভেল পরীক্ষার জন্য দরখাস্ত নেওয়া শুরু, জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে ডিএ-র বিস্তর ফারাক। ডিএ বাড়ানোর দাবিতে রাজ্যের কর্মচারীরা হাইকোর্টে হাজির। সে খবর সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে আমাদের অজানা নয়। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরির পরীক্ষাগুলির প্রতি চাকুরি প্রার্থীদের আগ্রহ একটু বেশীই থাকে। এর মূল কারণ, আকর্ষণীয় বেতন তো বটেই, তাছাড়া রাজ্য সরকারের তুলনায় কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরির পরীক্ষাগুলি ধারাবাহিক ভাবে নিয়ম মেনে সম্পন্ন হয় প্রতিবছর। এমনই একটি পরীক্ষা হলো কম্বাইন্ড হায়ার সেকেন্ডারি লেভেল (CHSL), ইতিমধ্যে এই পরীক্ষার অনলাইন আবেদন শুরু হয়েছে। চলবে ৪ঠা ডিসেম্বর অবধি। স্টাফ সিলেকশন কমিশন আয়োজিত এই পরীক্ষার (SSC CHSL 2022) খুঁটিনাটি বিষয়গুলো এবার জেনে নেওয়া যাক।

    কারা বসতে পারে এই পরীক্ষায়?

    কম্বাইন্ড হায়ার সেকেন্ডারি লেভেলের পরীক্ষায় বসতে হলে প্রার্থীকে অবশ্যই একটি স্বীকৃত বোর্ড থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে থাকতে হবে। একমাত্র CAG(Comptroller and Auditor General of India) ডিপার্টমেন্টের  ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদের বেলায় অঙ্ক সমেত, বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে থাকতে হবে। 

    কোন কোন পদে চাকরি হবে ?

    এই পরীক্ষার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রক এবং দপ্তরে নিম্নলিখিত পদে চাকরি হবে। যেমন, লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক (LDC), জুনিয়র সেক্রেটারিয়েট অ্যাসিস্ট্যান্ট (JSA), পোস্টাল অ্যাসিস্ট্যান্ট (PA), সর্টিং অ্যাসিস্ট্যান্ট (SA) এবং ডাটা এন্ট্রি অপারেটর (DEO) ইত্যাদি পদে।

    কত বয়স অবধি এই পরীক্ষা দেওয়া যাবে?

    ১৮ থেকে ২৭ বছর বয়স অবধি এই পরীক্ষা দেওয়া যাবে।

     এই বছরে কত শূন্য পদ আছে?

    স্টাফ সিলেকশন কমিশন এই বছরের মোট শূন্য পদ এখনও অবধি ঘোষণা করেনি। তবে প্রতিবছর কয়েক হাজার শূন্য পদ থাকে। যেমন, গত ২০২১ সালে এই পরীক্ষায় শূন্য পদের সংখ্যা ছিল ৪৮৯৩টি।

    আবেদনপত্র পূরণ করতে কী কী নথি লাগবে?

    আবেদনপত্র পূরণ করার সময় নিম্নলিখিত নথিগুলি প্রয়োজন।
    ১) নিজের পরিচয়পত্র। যেমন প্যান কার্ড ,আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ইত্যাদি।
    ২) আবেদন ফি জমা দেওয়ার জন্য ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদি।
    ৩) মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক এর মার্কশীট।
    ৪) সাম্প্রতিক কালে তোলা পাসপোর্ট ছবি।
    ৫) প্রার্থীর সই।

     এই পরীক্ষার আবেদন ফি কত?

    একেবারে যৎসামান্য। মাত্র ১০০ টাকা। মহিলা তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের কোনও ফি লাগে না।

     এই পরীক্ষার ধরণ কেমন?

    মোট তিনটি ধাপে হবে এই পরীক্ষা। যে স্তরগুলির পোশাকি নাম হলো, টায়ার-১ ,টায়ার-২ এবং টায়ার-৩ 

    টায়ার-১

    এটি পরীক্ষার প্রথম ধাপ। অবজেক্টিভ এমসিকিউ প্রশ্ন আসবে এই ধাপে। পরীক্ষা হবে অনলাইন মোডে অর্থাৎ কম্পিউটারের সামনে বসে পরীক্ষা দিতে হবে। মোট ২০০ নম্বরের হবে টায়ার -১ এর পরীক্ষা। ১০০টি প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য ২ নম্বর। সময় থাকবে ৬০ মিনিট। নেগেটিভ মার্কিং আছে। প্রতি ভুলের জন্য ০.৫০ নম্বর কাটা যাবে। এই ধাপের পরীক্ষার বিষয় গুলি হল – রিজনিং এবিলিটি, কোয়ান্টিটিভ অ্যাপটিটিউড, জেনারেল এওয়ারনেস, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ।

    টায়ার-২

    প্রথম ধাপের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে এই ধাপ বিবেচ্য হবে। এই ধাপের পরীক্ষা হবে ১০০ নম্বরের। মাধ্যমিক মানের প্রশ্ন আসবে। ইংরেজি বা হিন্দী বিষয়ে বিভিন্ন প্রবন্ধ বা চিঠি লিখতে হবে। প্রবন্ধের শব্দ সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হবে ২০০ থেকে ২৫০ এর মধ্যে। অন্যদিকে চিঠি লিখতে হবে ১০০ থেকে ১৫০ শব্দের মধ্যে। এই ধাপের পরীক্ষাতেও সময় থাকবে ৬০ মিনিট। ৩৩% নম্বর পেলে এই ধাপে উত্তীর্ণ হওয়া যাবে।

    টায়ার-৩ 

    এটি হলো পরীক্ষার চূড়ান্ত ধাপ। ইংরেজি মাধ্যমে যারা পরীক্ষা দেবে তাদের জন্য ১৫ মিনিটে ৩৫ টি শব্দ টাইপ করতে হবে। অন্যদিকে হিন্দি মাধ্যমের ক্ষেত্রে ১৫ মিনিটে ৩০ টি শব্দ টাইপ করতে হবে।

    এরপরে শেষোক্ত দুই ধাপ মিলিয়ে বের হবে চূড়ান্ত মেধা তালিকা। তারপর প্রার্থীদের নিয়োগ করা হবে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি দপ্তরের কাজে।

  • BJP: কেজরির ‘গুজরাট ডিলে’র অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা, সাফ জানাল বিজেপি

    BJP: কেজরির ‘গুজরাট ডিলে’র অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা, সাফ জানাল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে (Gujarat) ভোট প্রচারে গিয়ে আম আদমি পার্টির (AAP) নেতা তথা দিল্লির (Delhi) মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) দাবি করেছিলেন, বিজেপির (BJP) তরফে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে (Gujarat Assembly polls) থেকে তাঁকে সরে দাঁড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তিনি এও দাবি করেছিলেন, এর বদলে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দর জৈনকে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। আপ নেতার এহেন অভিযোগ অস্বীকার করল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, কেজরিওয়ালের অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা। বিজেপির মুখপাত্র সঈদ জাফর ইসলাম বলেন, ভোটের আগে গুজরাটবাসীকে বিপথগামী করতে এবং আম জনতার কাছে বিজেপির ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করতেই এসব বলা হচ্ছে।

    ডিসেম্বরে ১ ও ৫ তারিখে দু দফায় ভোট হবে গুজরাটে। এই বিধানসভার আসন সংখ্যা ১৮২। গত আড়াই দশক ধরে রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি (BJP)। এ রাজ্যে ক্রমেই বিজেপির প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে উঠছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। দলের হয়ে গুজরাট চষে বেড়াচ্ছেন কেজরি স্বয়ং। শনিবার এক জনসভায় তিনি বলেন, ওরা (বিজেপি) আমার কাছে এসেছিল, বলেছিল যদি আমি গুজরাট নির্বাচনে অংশ না নিই, তাহলে সত্যেন্দর জৈনকে ছেড়ে দেওয়া হবে। গ্রেফতার করা হবে না মণীশ সিসোদিয়াকেও। তবে বিজেপির তরফে তাঁকে কে এই প্রস্তাব দিয়েছিল এদিন তা খোলসা করেননি কেজরি। তিনি শুধু বলেন, নিজের লোকের নাম কীভাবে বলব? আমার লোকের মাধ্যমেই ওঁরা প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বিজেপি (BJP) কখনও সরাসরি প্রস্তাব দেয় না। ওরা একজনের থেকে অন্যজনের কাছে যায়। তারপর আরও একজনের কাছে যায়। তারপর কোনও বন্ধুর কাছে যায়। তারপর সেই বার্তা আপনার কাছে আসে।

    আরও পড়ুন: টাকায় লক্ষ্মী-গণেশের ছবি ছাপানোর আবেদন কেজরির, কী বলল বিজেপি?

    কেজরির দাবি নস্যাৎ করে জাফর ইসলাম বলেন, এটি সর্বৈব মিথ্যা কথা। উনি দিল্লি ও দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন। আন্না হাজারেকে ব্যবহার করে উনি ক্ষমতায় এসেছেন। পরে তাঁকে ছেড়ে দিয়েছেন। ক্ষমতা দখলের জন্য উনি যে কাউকে বিভ্রান্ত করতে পারেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Aaron Carter: বাড়ির বাথটাবে মিলল মার্কিন পপ গায়কের মৃতদেহ

    Aaron Carter: বাড়ির বাথটাবে মিলল মার্কিন পপ গায়কের মৃতদেহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের বাড়ির বাথটাবে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেল মার্কিন পপ গায়ক আরন কারটারকে। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৩৪ বছর। ব্যাক স্ট্রিট বয়েসের নিক কারটারের ভাই আরন ক্যালিফর্নিয়ার বাসিন্দা। ‘আরন পার্টি’ অ্যালবামের মধ্যে দিয়ে রাতারাতি জনপ্রিয়তা পান আরন।  

    এক পুলিশ অফিসার শনিবার সকাল ১০:৫৮- এ গিয়ে আরনের দেহ উদ্ধার করেন। আরনের ম্যানেজারকে ফোন করা হলে অনেক পরে তিনি ফোনের উত্তর দেন। ৭ ডিসেম্বর ১৯৮৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন আরন। প্রথম অ্যালবাম বেরোয় ১৯৯৭ সালে। আর কিশোরীদের হার্টথ্রব বনে যান তিনি। প্রিটিন নিকলেডন এবং ডিজনি শো- এর জনপ্রিয় মুখ ছিলেন তিনি। লিজি ম্যাকগিয়ারেও বিশেষ অতিথি হিসেবে এসেছিলেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের দুর্নীতির সেই ট্র্যাডিশন, অপসারিত রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ভাইস চেয়্যারম্যান 

    ব্যাক স্ট্রিট বয়েস এবং ব্রিটনি স্পিয়ারের সঙ্গেও কাজ করেছেন। আরনের ব্যক্তিগত জীবন বার বার খবরের শিরোনামে এসেছে। এর অন্যতম কারণ ছিল পাঁচ কারটার ভাইবোনের মধ্যের ঝামেলা। 

    ২০১৩ সালে ঋণের ভারে ডুবে যান এই গায়ক। কর দেওয়া থেকে মুক্তি পেতে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করার আবেদনও করেন তিনি। বেপোরোয়া গাড়ি চালানোর একাধিক অভিযোগ ছিল এই গায়কের বিরুদ্ধে। 

    ২০১৭ সালে মাদক মামলাতেও নাম জড়ায় এই পপ তারকার। ২০১৮ সালে নিজেকে নেশামুক্ত করতে রিহ্যাব সেন্টারের শরণাপন্নও হন তিনি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Danushka Gunathilaka: ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার দানুশকা গুনাথিলাকা

    Danushka Gunathilaka: ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার দানুশকা গুনাথিলাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার দানুশকা গুনাথিলাকাকে (Danushka Gunathilaka) ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল। সুপার ১২ থেকে আগেই বিদায় নিয়েছে এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। এবার আরও এক কলঙ্কের দাগ লাগল শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট টিমে। রবিবার সকালে ধর্ষণের অভিযোগে সিডনিতে গ্রেফতার করা হল শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার দানুশকা গুনাথিলাকাকে। অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ গুনাথিলাকার বিরুদ্ধে ২ নভেম্বর এক মহিলার সম্মতি ছাড়া যৌন মিলনের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর তাকে ছাড়াই রবিবার সকালে দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে শ্রীলঙ্কা দল।

    শ্রীলঙ্কা টিমের তরফে জানানো হয়েছে, এই অভিযোগ আসার পর ও গুনাথিলাকাকে গ্রেফতার করার পর শ্রীলঙ্কা দল তাকে ছাড়াই অস্ট্রেলিয়া ছেড়ে নিজের দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। উল্লেখ্য, রবিবার ইংল্যান্ডের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে শ্রীলঙ্কা দল। চলমান টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে নামিবিয়ার বিপক্ষে খেলে শূন্য রানে আউট হন এই ব্যাটার। পরে, দল সুপার ১২ পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেও তিনি আহত হওয়ার ফলে টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়েন। 

    আরও পড়ুন: আইসিসি সবার সঙ্গেই সমান আচরণ করে! সমালোচকদের কড়া বার্তা বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের

    নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ, তার ওয়েবসাইটে, একজন শ্রীলঙ্কার নাগরিককে গ্রেফতারের উল্লেখ করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন ২৯ বছর বয়সী এক নারী। ওই নারী বলেছেন, দানুশকা তাঁকে যৌন নির্যাতন করেছেন। এই ঘটনাটি এই সপ্তাহের শুরুতে ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে, ‘একটি অনলাইন ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে বেশ কয়েকদিন কথোপকথনের পর দুজনের দেখা হয়। অভিযোগ করা হয়েছে যে ২০২২ সালের ২ নভেম্বর সন্ধ্যায় দানুশকা ওই মহিলাকে যৌন হেনস্থা করেছিলেন। এর পরে, পুলিশ মহিলার বাসভবন ‘রোজ বে’-এ তদন্ত করার পর সিডনির সাসেক্স স্ট্রিটের একটি হোটেল থেকে ৩১ বছর বয়সী দানুশকাকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি) এখনও এ বিষয়ে কোনো বিবৃতি দেয়নি।

LinkedIn
Share