Blog

  • Artemis Mission 1: আশায় বুক বাঁধছে নাসা! ‘আর্টেমিস ১’ মিশন উৎক্ষেপণের নতুন দিন ৩ সেপ্টেম্বর

    Artemis Mission 1: আশায় বুক বাঁধছে নাসা! ‘আর্টেমিস ১’ মিশন উৎক্ষেপণের নতুন দিন ৩ সেপ্টেম্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন মহাকাশ সংস্থা ‘নাসা’ (NASA) শনিবার অর্থাৎ ৩ সেপ্টেম্বর ফের চাঁদের মাটিতে ‘আর্টেমিস-১ মিশনের’ (Artemis 1 Mission) রকেট উৎক্ষেপণের আরেকটি প্রচেষ্টা চালাবে। গত সোমবারই পৃথিবীর মাটি ছেড়ে চাঁদের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল ‘স্পেস লঞ্চ সিস্টেম’ রকেটের। কিন্তু লঞ্চ করার একেবারে শেষ মুহূর্তে তা স্থগিত করা হয়। নাসা থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে যে ‘আর্টেমিস-১ এর ইঞ্জিনে কিছু সমস্যার কারণে আজ লঞ্চ হচ্ছে না।‘

    নাসার পরিকল্পনা অনুযায়ী ঠিক ছিল, ২৯ অগাস্ট ভারতীয় সময়ের সন্ধ্যে ৬টা নাগাদ ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে এসএলএস (SLS) রকেটটিকে চাঁদের উদ্দেশে উৎক্ষেপণ করা হবে। কিন্তু রকেট উৎক্ষেপণের ঠিক ৪০ মিনিট আগে হঠাৎ রকেটের প্রধান আরএস-২৫ চারটি ইঞ্জিনের মধ্যে একটিতে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দিলে নাসার ইঞ্জিনিয়াররা তৎক্ষণাৎ মিশন থামিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ইঞ্জিনে তাপমাত্রা জনিত সমস্যার কারণে সেদিন যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা যায়। শুধু তাই নয়, জ্বালানির ট্যাঙ্কে হাইড্রোজেন ভরাট করার সময়  ট্যাঙ্কে ফুটোও ধরা পডড়েছিল। ফলে তড়িঘড়ি বিজ্ঞানীরা সেদিন মিশন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

    আরও পড়ুন: চাঁদের বুকে কোথায় নামবেন মহাকাশচারীরা? ১৩টি জায়গা বেছে নিল নাসা

    এরপরেই নাসা থেকে জানানো হয়েছিল যে, তারা এক প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে পরবর্তী লঞ্চ করার তারিখ জানাবেন। এরপর মিশন ম্যানেজার মাইকেল স্যারাফিন একটি বিবৃতিতে জানান, ৩ সেপ্টেম্বর ফ্লোরিডার সময় অনুযায়ী, বেলা ২টা ১৭ মিনিটে উৎক্ষেপণ করা হবে। সোমবার, নাসা ফ্লোরিডার উপকূলের কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে মহাকাশযান ছাড়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে রকেটের ইঞ্জিনে সমস্যা, হাইড্রোজেন লিক এবং খারাপ আবহাওয়া সহ বেশ কয়েকটি কারণে এটির উৎক্ষেপণ স্থগিত হয়ে যায়। তবে শনিবারই যে উৎক্ষেপণে সফল হবেন তেমন কোনও গ্যারান্টি দেননি। কিন্তু তাঁরা চেষ্টা করবেন বলে জানানো হয়েছে। আরও জানানো হয়েছে, সেদিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস থেকে অনুমান করা হয়েছে, শনিবার রকেট উৎক্ষেপণ করার জন্য ৬০ শতাংশ সুযোগ রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Haryana Police Murder: খনি মাফিয়ার দাপট, হরিয়ানায় পিষে মারা হল কর্তব্যরত ডিএসপি-কে

    Haryana Police Murder: খনি মাফিয়ার দাপট, হরিয়ানায় পিষে মারা হল কর্তব্যরত ডিএসপি-কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নৃশংস ঘটনার সাক্ষী হরিয়ানা (Haryana)। কর্তব্যরত ডিএসপিকে (DSP) ট্রাকের (Truck) চাকার নীচে পিষে (Run over) মারল খনি মাফিয়ারা (Mining Mafia)। ঘটনাটি ঘটেছে নুহ জেলায়, মঙ্গলবার দুপুর ১২টায়। সেখানেই কর্মরত ছিলেন ডিএসপি পদমর্যাদার ওই পুলিশ অফিসার। নাম সুরেন্দ্রনাথ সিং তাউরু।

    ওই অঞ্চলে মাফিয়াদের দাপাদাপি বন্ধ করতে মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে তিনি ওই স্থানে যান। একটি ট্রাককে হাতেনাতে ধরেও ফেলেন। ট্রাকটিকে দূর থেকে আসতে দেখে হাতের ইশারা করে দাঁড়াতে বলেন। ট্রাকের কাগজপত্র এবং মাল খতিয়ে দেখার পরিকল্পনা ছিল ওই পুলিশ অফিসারের। কিন্তু পুলিশকে দেখেই আতঙ্কে গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেয় ট্রাকের চালক। আর তাতেই ঘটে এই দুর্ঘটনা। পুলিশ অফিসারের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেয় চালক। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই পুলিশ অফিসারের। আরো দুজন পুলিশ সেই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। বিপদ বুঝে তাঁরা রাস্তার পাশে ঝাঁপ দেন এবং প্রাণে বেঁচে যান। আর তারপরেই চম্পট দেয় ওই ট্রাকের চালক। 

    আরও পড়ুন: ৮৭ বছরে হাজতবাস! তিহাড় জেলের সবচেয়ে বর্ষীয়ান বন্দি ওম প্রকাশ চৌটালা

    পুলিশ ট্রাক চালক এবং বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। হরিয়ানা (Haryana) পুলিশ অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেলের মাধ্যমে সুরেন্দ্র সিং তাউরু মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে এনে শোকজ্ঞাপন করা হয়। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, অপরাধীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।  

    [tw]


    [/tw]

    হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর দোষীদের খুঁজে বের করে কড়া শাস্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ বলেছেন, “খনি মাফিয়ারা কেউই পার পাবে না। আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব। সবার শাস্তি হবে।” 

    এর আগেও বারবার হরিয়ানায় খনি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। ভূমি ও ভূমিরাজস্ব দফতরের আধিকারিকদের ওপর খনি মাফিয়ারা বারবার হামলা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। একাধিকবার ভূমিরাজস্ব দফতরের আধিকারিকদের পিষে হত্যার চেষ্টা হয়েছে বলেও অভিযোগ। তারপরও হরিয়ানার খনি মাফিয়াদের কোনওভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন সেখানকার বাসিন্দারা।

    ২০২১-২২ সালের ৮ মার্চের হরিয়ানা ইকোনমিক সার্ভের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে ২১ হাজার ৪৫০টি বেআইনি খননকার্যের খবর পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে আইনি কাগজপত্র ছাড়া খনিজ পরিবহন।   

     

  • TMC 21 July: নামেই শহিদ দিবস! দিকে দিকে মোচ্ছব আর ক্ষমতার আস্ফালনের ছবি

    TMC 21 July: নামেই শহিদ দিবস! দিকে দিকে মোচ্ছব আর ক্ষমতার আস্ফালনের ছবি

    সুশান্ত দাস: নাম শহিদ দিবস (Shahid Diwas)। কিন্তু শহিদদের স্মরণ করা নয়, তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) পরিচালিত এই সমাবেশ হয়ে উঠল মোচ্ছবের কর্মসূচি। বর্ণাঢ্য ট্যাবলো থেকে শুরু করে দেদার খানাপিনা— বাদ গেল না কিছুই। একটা দুঃখজনক, বেদনাদায়ক অধ্যায়কে স্মরণ করার মঞ্চ বদলে গেল শক্তি প্রদর্শনের স্থলে।

    কোভিড অতিমারির (Covid Pandemic) জেরে জারি হওয়া বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার জেরে গত ২ বছর ভার্চুয়ালি শহিদ দিবস পালন করতে হয়েছিল তৃণমূলকে। তাই করোনার ভয় কাটতেই এবছর যেন তেড়েফুঁড়ে উঠেছিল রাজ্যের শাসক দল। মাসখানেক আগে থেকেই রাজ্যের সব প্রান্তে চড়ে বেরিয়েছিল শাসক দলের নেতাকর্মীরা। লক্ষ্য, শহিদ দিবসে লোক ভরানো। পুলিশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দফতরে কর্মরত উচ্চপদস্থ কর্মী-আধিকারিকরা— সকলেই কার্যত উঠেপড়ে লেগেছিলেন অনুষ্ঠানকে সফল করার জন্য।

    বুধবার থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন আসতে শুরু করে দিয়েছিল। তাদের থাকার জন্য বিশাল আয়োজন করা হয়েছিল শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে। আর সেখানে সব ধরনের ব্যবস্থাই ছিল। যেমন সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউ জুড়ে ছিল পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। সেখানে দেখা গেল একেবারে পিকনিকের আমেজ। ত্রিপল পেতে চলছে রান্না। মেনুতে রয়েছে ডিম-ভাত থেকে শুরু করে ভাত-আলু পোস্ত, মুরগির মাংস। যাতে একেবারে পেটপুরে মাংস খেয়ে শাসক দলের শহিদ-স্মরণে অংশ নিতে পারেন কর্মী, সমর্থকরা। প্রায় একই চিত্র ধরা পড়েছে মেয়ো রোডে। সেখানকার মেনুতে ছিল মাংস-ভাত, ডাল আর ছ্যাঁচড়ার তরকারি।

    আরও পড়ুন: উন্নয়নে ৮০% বরাদ্দ ছাঁটাই, রোজের খরচে কোপ ৫০%, নবান্নের হেঁসেল আর চলছে না

    এতো গেল খাওয়া-দাওয়ার পালা। এবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক আমেজে। শহিদ স্মরণ বলতেই মানুষের মনে স্বাভাবিকভাবেই একটা দুঃখ ভরে আসে। কিন্তু, তৃণমূলের শহিদ দিবস ছিল ভিন্নরূপী। সেখানে যেমন ছিল ট্যাবলো তেমনই ছিল ধামসা-মাদল। সল্টলেকে বর্ণাঢ্য মিছিল বের করে শাসক দলের কর্মী-সমর্থকরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোশ পরে, শাঁখ বাজিয়ে, ঢাকের তালে মিছিল হয়। 

    একুশের সমাবেশে যোগ দিতে হাজরায় সুসজ্জিত ট্যাবলো নিয়ে বের হন কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। কেউ ঢোল করতাল বাজিয়ে তো কেউ আবার ধামসা, মাদল বাজাতে বাজাতে সমাবেশে হাজির হয়েছে। দেখে বোঝার উপায় নেই, এটা শহিদ স্মরণ না পুজোর শোভাযাত্রা! মনে হবে যেন কোনও বিজয়োৎসব পালন হচ্ছে।  

    একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের জন্য ক্ষমতার আস্ফালনে সরকারি পরিকাঠামোর অপব্যবহার কীভাবে করতে হয়, তা মমতার সরকার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। সরাসরি সম্প্রচারের জন্য শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় লাগানো হয়েছে জায়ান্ট স্ক্রিন। একদিন আগে থেকেই রাস্তা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে বাস। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। পুলিশ থেকে শুরু করে পুরসভা, পূর্ত থেকে বিদ্যুৎ— এদিনের রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের জন্য কাজে লাগানো হয় সরকারের প্রায় সব বিভাগকেই। 

    এরপরও কি বলা যাবে না যে, এটা শক্তি প্রদর্শন ছাড়া অন্য কিছুই নয়!

    আরও পড়ুন: দাম কম হলেও চোলাইয়ের ‘টেম্পারে’ ফেল ২৮ টাকার ‘বাংলা’, বিষমদে মৃত্যু সেই কারণে?

  • China Bank Crisis: ব্যাংক বাঁচাতে ট্যাংক মোতায়েন চিনে, উসকে দিল তিয়েনআনমেন স্কোয়ারের স্মৃতি

    China Bank Crisis: ব্যাংক বাঁচাতে ট্যাংক মোতায়েন চিনে, উসকে দিল তিয়েনআনমেন স্কোয়ারের স্মৃতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাংক (Bank) বাঁচাতে ট্যাংক মোতায়েন করল চিনের (China) কমিউনিস্ট (Communist) শাসক। যা দেখে বিশ্ববাসীর মনে ভেসে উঠছে চিনেরই তিয়েনআনমেন স্কোয়ারের স্মৃতি। ছাত্র বিক্ষোভ দমন করতে তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে নির্বিচারে ট্যাংক (Tank) দেগেছিল সে দেশের কমিউনিস্ট সরকার। প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় দশ হাজার ছাত্র। ব্যাংক বাঁচাতে ট্যাংক মোয়ায়েন করায় ফের উসকে উঠল তিয়েনআনমেন স্কোয়ারের সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতি।

    চিনে ভেঙে পড়ার মুখে ব্যাংকিং ব্যবস্থা। গ্রামীণ ব্যাংকগুলিতে আমানতকারীদের জমা রাখা অর্থ ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। এর বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটেছে মধ্য চিনের হেনান প্রদেশে। ঘটনার প্রতিবাদে সম্প্রতি হাজারেরও বেশি প্রতিবাদী হেনানের রাজধানী ঝেংঝাউতে ব্যাংকে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান।

    আরও পড়ুন : শিলিগুড়ি করিডরের কাছে চিন! ডোকলাম সীমান্তে গ্রাম বানাচ্ছে বেজিং

    সূত্রের খবর, জনরোষ অন্যত্রও ছড়িয়ে পড়তে পারে আঁচ করে শানডং প্রদেশের রিঝাও অঞ্চলের একটি ব্যাংকের সামনে ট্যাংক মোতায়েন করেছে শি জিনপিংয়ের সরকার। চিনা সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর সম্প্রতি একটি বড়সড় আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে নাম জড়িয়েছে চিনের এই ব্যাংকটির। কষ্টার্জিত আমানত খুইয়ে ক্ষোভ উগরে দেন ব্যাংকটির গ্রাহকরা। বিক্ষোভ দেখাতে রিঝাও অঞ্চলে ব্যাংকটির স্থানীয় শাখার সামনে জড়োও হন আমানতকারীরা। যদিও তাঁদের ব্যাংকের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ব্যাংকের সামনে মোতায়েন করা ছিল বেশ কয়েকটি ট্যাংক ও সেনা জওয়ান। ট্যাংক এবং সেনার সমাবেশ থেকে আর প্রতিবাদ করার সাহস পাননি সর্বস্ব খোয়ানো আমানতকারীরা।  

    আরও পড়ুন : বন্দরের ফাঁদে ফেলেই শ্রীলঙ্কাকে ডোবাল চিন?

    সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, দেশের একাধিক ব্যাংক দুর্নীতির সঙ্গে নাম জড়িয়েছে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রভাবশালীদের। তবে এ খবর চাপা ছিল দীর্ঘদিন। খবরটি প্রথম প্রকাশ্যে আসে এপ্রিল মাসে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হেনান ও আনহুই প্রদেশের কয়েকটি ব্যাংকে আমানতকারীদের লেনদেন করতে দেওয়া হচ্ছে না। পরে বেশ কয়েকটি ব্যাংকেও এই ধরনের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। সেই সব অভিযোগ যাতে ‘বিপ্লবে’র আকার ধারণ করতে না পারে, তাই কি ট্যাংক এবং সেনা মোতায়েন কমিউনিস্ট শাসকের? উঠছে প্রশ্ন।

     

  • Pakistan: ধর্মীয় সম্প্রীতি নিয়ে ভারতকে জ্ঞান! মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, হিন্দু মন্দিরে হামলা

    Pakistan: ধর্মীয় সম্প্রীতি নিয়ে ভারতকে জ্ঞান! মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, হিন্দু মন্দিরে হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan) ফের হামলা হল হিন্দু মন্দিরে (Hindu temple attacked)। ফের আতঙ্কিত পাকিস্তানি সংখ্যালঘুরা।  বুধবার করাচির (Karachi) কোরাঙ্গি (Korangi) এলাকার শ্রী মারি মাতা মন্দিরে (Shri Mari Maata Temple) ভাঙচুর চালানো হয়েছে। ভাঙা হয়েছে দেবতার মূর্তি (idols deities vandalised)। ভাঙচুরের খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় পৌঁছে মন্দির ঘিরে ফেলে। পাশাপাশি এলাকায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

    প্রাথমিক তদন্তের পরে করাচি পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীরা সংখ্যায় ৭-৮ জন ছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাদের খোঁজে তদন্ত চলছে। ওই এলাকার এক বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে জানান, ছয় থেকে আটজন লোক মোটরসাইকেলে চেপে এসে মন্দিরে হামলা চালায়। কোরাঙ্গির এসএইচও ফারুক সানজরানি জানিয়েছেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।   

    আরও পড়ুন: হজরত মহম্মদ মন্তব্য বিতর্কে পাকিস্তানকে পাল্টা তোপ ভারতের

    গত বছরই পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের করক জেলায় শ্রী পরমহংসজি মহারাজের (Paramhansaji Maharaj) সমাধি এবং কৃষ্ণদ্বার মন্দিরে (Krishnadwar Temple) ভাঙচুরের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছিল পাক শীর্ষ আদালত। আদালত পাক সরকারকে মন্দির সংস্কারের নির্দেশ দেয়।

    এক হিন্দু কিশোরের বিরুদ্ধে ইসলাম অবমাননার অভিযোগ তুলে গতবছরই রহিম ইয়ার খান জেলার গনেশ মন্দিরে হামলা চালায় দুষ্কৃতিরা। ভাঙচুরের পাশাপাশি মন্দিরের একাংশে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। কিছুদিন আগেই পাক সন্ত্রাসদমন আদালত ওই ঘটনায় ২২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের জেলের সাজা দিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে পাঠানো হচ্ছে ফাঁকা ড্রোন, ভারতে ফিরছে আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক বয়ে!

    কিছুদিন আগেই ধর্মীয় সম্প্রীতি নিয়ে ভারতের দিকে আক্রমণ শানিয়েছিল পাকিস্তান। সেই পাকিস্তানেই আক্রান্ত সংখ্যালঘু ধর্মীয় বিশ্বাস। নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) মন্তব্য নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে সরব হয়েছে পাকিস্তান। যদিও ভারত পাকিস্তানকে কড়া জবাব দিয়ে বলে, তাদের দেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘুদের যত্ন নিতে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই মুখ পুড়ল পাক সরকারের। 

    পাকিস্তানে প্রায়ই হিন্দু মন্দিরগুলি আক্রান্ত হয়। এর আগে গত বছরের অক্টোবরে সিন্ধু নদীর (Indus River) তীরে কোটরিতে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মন্দিরও ভাঙচুর করা হয়েছিল। 
     

     

  • QS Ranking: আইআইটিদের ছাপিয়ে বিশ্ব তালিকায় নজর কাড়ল আইআইএসসি ব্যাঙ্গালুরু 

    QS Ranking: আইআইটিদের ছাপিয়ে বিশ্ব তালিকায় নজর কাড়ল আইআইএসসি ব্যাঙ্গালুরু 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের তাবড় তাবড় আইআইটিকে পিছনে ফেলে বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে এল আইআইএসসি ব্যাঙ্গালুরু (IISc Bengaluru)। কিউএস ওয়ার্ল্ড র‌্যাঙ্কিং (QS World Ranking 2022)- এ প্রথম ২০০-র মধ্যে জায়গা করে নিল দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্রুততম বর্ধনশীল বিশ্ববিদ্যালয়। গত বছরের তুলনায় তালিকায় ৩১ ধাপ এগিয়েছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।  

    বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ে নিজের জায়গা ধরে রাখল জেএনইউ (JNU), দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় (DU), জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া (Jamia Milia Islamia) বিশ্ববিদ্যালয়। কিউএস ওয়ার্ল্ড র‌্যাঙ্কিং ২০২২-এর জন্য তৈরি তালিকায় ভারতের বেশ কয়েকটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশ্বব্যাপী তালিকার প্রথম এক হাজারের মধ্যে জায়গা পেয়েছে। 

    বিশ্ব তালিকায় ৫২১-৫৩০ র‍্যাঙ্কের মধ্যে রয়েছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৬০১-৬৫০ র‍্যাঙ্কের মধ্যে। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ব বিদ্যালয় রয়েছে ৮০১-১০০০ র‍্যাঙ্কের ক্যাটাগরিতে।  

    আরও পড়ুন: বদলে যাচ্ছে পঠন-পাঠনের ধারণা? মডেল স্কুল তৈরির ভাবনা কেন্দ্রের 

    গতবছরের তুলনায় এবছরে তালিকায় খানিকটা নীচে নেমে এসেছে এই তিন বিশ্ববিদ্যালয়। আগের বছর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ৫০১- ৫১০ র‍্যাঙ্কে ছিল। জেএনইউ ৫৬১-৫৭০ র‍্যাঙ্কে ছিল। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া গত বছর ৭৫১-৮০০ র‍্যাঙ্কের ক্যাটাগরিতে ছিল। তার থেকে সামান্য পতন এই বছর।

    এছাড়াও হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় (৬৫১-৭০০ থেকে ৭৫১-৮০০), যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (JU) (৬৫১-৭০০ থেকে ৭০১-৭৫০), আইআইটি ভুবনেশ্বরেরও (৭০১-৭৫০ থেকে ৮০১-১০০০) তালিকায় কিছুটা পতন হয়েছে। চারটে আইআইটি তালিকায় এগিয়ে এসেছে। 

    তালিকায় ১৭২ নম্বরে রয়েছে আইআইটি বম্বে (IIT Bombay)। ১১ ধাপ এগিয়ে আইআইটি দিল্লি (IIT Delhi) উঠে এসেছে ১৭৪ নম্বরে। ১৩ ধাপ এগিয়ে আইআইটি কানপুর (IIT Kanpur) রয়েছে ২৬৪ নম্বরে। গত বছরের থেকে ৩১ ধাপ এগিয়ে আইআইটি রূড়কী (IIT Roorkee) ৩৬৯ নম্বরে। আইআইটি গুয়াহাটিরও তালিকায় ১১ ধাপ উত্থান হয়েছে। 

    সাইটেশন পার ফ্যাকাল্টির বিচারে তালিকায় এগিয়ে এসেছে দেশের ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়। স্টুডেন্ট রেশিও-র ভিত্তিতে বিশ্বের ২৫০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা করে নিয়েছে দেশের দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

     

     

  • Pinarai Vijayan: সোনা পাচারকাণ্ডে জড়িত পিনারাই বিজয়ন! অভিযোগের পাল্টা কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর 

    Pinarai Vijayan: সোনা পাচারকাণ্ডে জড়িত পিনারাই বিজয়ন! অভিযোগের পাল্টা কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরল সোনা পাচারকাণ্ডের (Kerala Gold Smuggling Case) মূল অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশের (Swapna Suresh) সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন (Pinarayi Vijayan)। স্বপ্নার সব অভিযোগকে ভিত্তিহীন এবং ‘নিম্নমানের রাজনৈতিক চাল’ বলে উল্লেখ করলেন তিনি।  

    মঙ্গলবারই সোনা পাচারকাণ্ডের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন জড়িত আছেন বলে দাবি করে স্বপ্না। তার দাবি, “আরব আমিরশাহী থেকে কেরলে সোনা পাচার সম্পর্কে জানতেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন এবং তাঁর তিন মন্ত্রী। গোটা বিষয়টি নিয়ে অবগত ছিলেন কেরল বিধানসভার তৎকালীন স্পিকারও।”

    গোটা বিষয়কেই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন পিনারাই বিজয়ন। ২০২১ সালের অক্টোবরে সোনা পাচার মামলায় এনআইএ (NIA) তাকে গ্রেফতার করার পরেও একই দাবি করেছিল স্বপ্না। একটি ব্যাগ থেকে ১৫ কোটি টাকার সোনা বাজেয়াপ্ত হওয়ায় শুরু হয় মামলা।

    আরও পড়ুন: ‘তালিবানি’ হয়ে যাচ্ছে বাম-শাসিত কেরালা! বললেন বিজেপি নেতা  

    গতকাল ফের জেরা করা হয় স্বপ্নাকে। জেরায় স্বপ্না জানায়, “এই মামালায় মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন সহ তাঁর স্ত্রী কন্যারও সরাসরি যোগ রয়েছে। আমি এখনও পর্যন্ত আদালতে ১৬৪টি বক্তব্য পেশ করেছি। আমি আদালতকে এটাও জানিয়েছি কারা কারা এই মামলায় জড়িত। আদালতে আমি আমার জীবনের সুরক্ষাও চেয়েছিলাম। আদালত আমাকে তার অনুমতি দিয়েছে। আমি আদালতকে জানিয়েছি এই মামলায় মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী কমলা, মুখ্যমন্ত্রীর কন্যা বীণা, তৎকালীন সিএমও-র মুখ্যসচিব এম শিবশঙ্কর, মুখ্যমন্ত্রীর সেক্রেটারি রবীন্দ্রণ, মুখ্যসচিব নলিনী নেত্তো এবং মন্ত্রী কেটি জটিল জড়িত।”    

    স্বপ্না সুরেশ আরও জানায়, “২০১৬ সালে দুবাইতে বিজয়নের কাছে একটা টাকা ভর্তি ব্যাগ পাঠানো হয়। ২০১৬ সালে আমি কনস্যুলেটের সেক্রেটারি ছিলাম। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী দুবাইতে ছিলেন। এম শিবশঙ্কর আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী একটা ব্যাগ নিয়ে যেতে ভুলে গেছেন। আমি যেন সেটা তাঁর কাছে পাঠিয়ে দিই। ব্যাগটি যখন কনস্যুলেটে আসে তখন আমাদের সন্দেহ হয়। আমরা ব্যাগটি পরীক্ষা করে বুঝতে পারি তার মধ্যে ভর্তি আছে টাকা। এই সব টাকাই সোনা পাচারের।” 

    স্বপ্না সুরেশের বক্তব্যের পরেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা দেশজুড়ে। ফের এক নয়া মোড় নিয়েছে এই সোনা পাচার মামলা।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে বেশি সুন্দর ভাবলে ভুল হবে, অভিমত কেরালা হাইকোর্টের

    মূল অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশের বাড়ি থেকে অপর এক অভিযুক্ত সারথি পিএসকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় লোক এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগে জানিয়েছে স্বপ্না। স্বপ্না জানায়, “আমাকে খুন করা হতে পারে বলে আমি আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনায় জড়িত বলেও আগেই জানিয়েছিলাম। আমি সামান্য মুখ খুলেছি, আর ওরা প্রতিশোধ নেওয়া শুরু করে দিল।” 
     
    এবিষয়ে পিনারাই বিজয়ন বলেন, “রাজ্য সরকারই প্রথম কেন্দ্রকে এই মামলায় তদন্ত চালাতে বলে। ওরা যদি মনে করে এইসব অপপ্রচার করে সরকার বা দলের ক্ষতি করা যাবে, তাহলে ওরা ভুল ভাবছে। এটা একটা বড় ষড়যন্ত্র। রাজ্যবাসীই এর উত্তর দেবে।” 

     

  • Cancer Drug Trial: বিশ্বে প্রথমবার এক ওষুধেই উধাও ক্যান্সার! চমকে দেওয়া দাবি গবেষকদের

    Cancer Drug Trial: বিশ্বে প্রথমবার এক ওষুধেই উধাও ক্যান্সার! চমকে দেওয়া দাবি গবেষকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশ্চর্যজনক ঘটনা! কর্কটরোগ (Cancer) থেকে মুক্তি পেতে এমনই একটি সঞ্জীবনী ওষুধের সন্ধান পেয়েছেন বলে দাবি করলেন বিজ্ঞানীরা। এক ওষুধেই কেল্লাফতে! যাকে বলা হচ্ছে মিরাক্যল! সব অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে কি মিলল ক্যান্সারের ওষুধ (Cancer Drug)? অন্তত একটি ট্রায়ালে, তাই প্রমাণিত হয়েছে।

    যুগ যুগ ধরে মারণ কর্কটরোগের নিরাময় খোঁজার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মানুষ। বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশ দশকের পর দশক ধরে ক্যান্সারের ওষুধ তৈরি করার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু, নির্দিষ্ট সাফল্য অধরাই থেকে গিয়েছিল। 

    কিন্তু, অদূর ভবিষ্যতে, সেই সম্ভাবনা বাস্তব রূপ পেতে চলেছে। অন্তত তেমনই আশা জাগিয়েছে নতুন গবেষণা। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ক্যান্সার নিরাময়ে এমনই একটি ম্যাজিক ড্রাগের সন্ধান পেয়েছেন গবেষকরা।

    দাবি করা হচ্ছে, ‘ডসটারলিম্যাব’ (Dostarlimab) নামের একটি ওষুধের ফলেই ক্যান্সার মুক্ত হতে পেরেছে কিছুজন। ১৮ জন রোগীর শরীরে এটি প্রয়োগ করা হয়েছিল। প্রায় ৬ মাস ধরে এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। তারপর ম্যাজিকের মতোই শরীর থেকে উধাও হয়ে যায় টিউমার। এই আবিষ্কারের জন্য ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে চিকিৎসক মহলে।

    আরও পড়ুন: রোগীর শরীরে ভুল রক্ত, সরকারি হাসপাতালের বেহাল দশা

    নিউইয়র্কের (New York) একটি ক্যান্সার সেন্টারের এক চিকিৎসক বলেন, “ক্যান্সারের  ইতিহাসে ঘটনাটি এই প্রথমবার ঘটেছে।” বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘ডসটারলিম্যাব’ ওষুধটি ল্যাবরেটরিতে তৈরি করা হয়েছে যা মানব শরীরে অ্যান্টিবডির বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।

    আরও পড়ুন: থাইরয়েডের সমস্যা? তাহলে খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন এই খাবারগুলি

    আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়, যে ১৮ জন রোগীর ওপর এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছিল, তাঁদের আগে কেমোথেরাপি করা হয়েছিল। রেডিয়েশনও দেওয়া হয়েছিল। কারও কারও অস্ত্রোপচারও করা হয়। কোনও আশানুরূপ ফল লা আসায় এই ওষুধটি প্রয়োগ করা হয়। এবং তারপরেই আর তাঁদের কোনও চিকিৎসার প্রয়োজন হয়নি।

    একজন কলোরেক্টাল ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ (Colorectal Cancer specialist) জানান, প্রতিটি ক্যান্সার  রোগী এখন সম্পূর্ণ সুস্থ, এবং এটি একটি আশ্চর্যজনক ঘটনা। তিনি এই গবেষণাকে বিশ্ব-প্রথম বলে অভিহিত করেছেন। অন্য একজন অনকোলজিস্ট  (Oncologist) জানান, তাঁরা ক্যান্সার মুক্ত হয়েছেন জেনে রোগীরা খুশিতে কেঁদে ফেলেছিলেন।

    চিকিৎসকরা জানান, ট্রায়াল চলাকালীন রোগীদের ছয় মাস ধরে প্রতি তিন সপ্তাহে এই ওষুধ দেওয়া হয়। তাঁরা সবাই ক্যান্সারের একই লেভেলে ছিল ও ক্যান্সার তাঁদের মলদ্বারে (Rectum) হলেও পরে এটি দেহের অন্যান্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়েনি এবং রোগীদের ওপর ওই ওষুধ প্রয়োগ করার ফলে কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও দেখা যায়নি।

    ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এই ওষুধের গুরুত্ব অনেকটাই বেশি, তবে এই নিয়ে আরও পরীক্ষা বা ট্রায়ালের দরকার আছে, এমনটাই জানিয়েছেন ক্যান্সার গবেষকরা।

  • Teachers’ Day 2022: শিক্ষক দিবসে ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের বিষয়ে কিছু অজানা তথ্য জেনে নিন

    Teachers’ Day 2022: শিক্ষক দিবসে ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের বিষয়ে কিছু অজানা তথ্য জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ সেপ্টেম্বর গোটা দেশ জুড়ে পালিত হয় শিক্ষক দিবস (Teachers’ Day)। আজকের দিনে ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের ( Sarvepalli Radhakrishnan) জন্মদিনও, আর এই দিনটিকেই শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। কারণ শিক্ষার জগতে তাঁর অবদান অপরিসীম। তিনি একজন অত্যন্ত দক্ষ শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, দার্শনিক ছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি, দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ছিলেন। 

    আজকের এই দিনে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীরা তাদের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। কারণ শিক্ষকরা শুধু শিক্ষা দানই করেন না, জীবনের প্রথম শিক্ষার আলো যেন তাঁদের হাত ধরেই পড়ুয়াদের জীবনে আসে। এছাড়াও তাঁরা ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনে পথ চলতে শেখান, প্রতিটি পদক্ষেপে সাহস দেন। একজন ভালো মানুষ হয়ে উঠতে শিক্ষকদের অবদান কখনও ভোলার নয়। তাই এই দিনটিকে আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য উৎসর্গ করা হয়।

    তবে তাঁর জন্মদিনকে কেন শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়, এর কারণ জানেন কী?

    শিক্ষা এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি তাঁর অগাধ ভালবাসাই বারবার টেনে নিয়ে গেছে বিশ্বের নানা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। তিনি একজন নিষ্টাবান শিক্ষক ছিলেন তো বটেই এবং তিনি যখন রাষ্ট্রপতি হন তখন তাঁর ছাত্র ছাত্রীরা তাঁর জন্মদিন পালন করার অনুমতি চাইলে তিনি তাঁর জন্মদিনকে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করার কথা বলেন। এরপর ১৯৬২ সাল থেকেই ৫ সেপ্টেম্বর তাঁর জন্মদিনকে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

    ডঃ রাধাকৃষ্ণনের সম্পর্কে কিছু বিষয় জেনে নিন

    • ডঃ রাধাকৃষ্ণণ ৫ সেপ্টেম্বর, ১৮৮৮ সালে তামিলনাড়ুর তিরুত্তানি শহরের একটি তেলেগু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তাঁর পড়াশোনা শুরু করেন তিরুপতির একটি স্কুলে এরপর ভেলোরে চলে যান।
    • এরপর তিনি মাদ্রাজের খ্রিস্টান কলেজে দর্শন নিয়ে পড়াশোনা করেন। তাঁকে আজ পর্যন্ত ভারতের ইতিহাসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ দার্শনিক বলে মনে করা হয়।
    • ডক্টর রাধাকৃষ্ণণ তাঁর ডিগ্রী সম্পন্ন করার পর, তিনি মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি কলেজে দর্শনের অধ্যাপক হন এবং তারপর মহীশূর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনের অধ্যাপক হন।
    • ডঃ রাধাকৃষ্ণণ ১৯৫২ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রথম উপ-রাষ্ট্রপতি এবং ১৯৬২ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি ১৯৪৯ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নে ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। এছাড়াও তিনি ১৯৩৯ সাল থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন। ১৯৮৪ সালে, তিনি মরণোত্তর ভারতরত্ন পেয়েছিলেন।
    • তাঁর উল্লেখযোগ্য কিছু কাজের মধ্যে রয়েছে Reign of Religion in Contemporary Philosophy, Philosophy of Rabindranath Tagore, The Hindu View of Life, Kalki or the Future of Civilisation, An Idealist View of Life, The Religion We Need, India and China, and Gautama the Buddha.

     

  • West Bengal: উন্নয়নে ৮০% বরাদ্দ ছাঁটাই, রোজের খরচে কোপ ৫০%, নবান্নের হেঁসেল আর চলছে না

    West Bengal: উন্নয়নে ৮০% বরাদ্দ ছাঁটাই, রোজের খরচে কোপ ৫০%, নবান্নের হেঁসেল আর চলছে না

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাগেরোয় নবান্ন (Nabanna)। সংসার চালানোর টাকা নেই। কারণ মেলা, খেলা, খয়রাতি এবং উৎসবের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। অথচ রোজগারের বালাই নেই। বাধ্য হয়ে অর্থ দফতর বেতন ছাড়া বাকি সব খরচ হ্যাচকা টান মেরে বন্ধ করে দিয়েছে। বাজেটে বড় মুখ করে যে সব গালভরা কথা বলা হয়েছিল, অর্থ দফতর গত ১০ জুলাই নির্দেশিকা জারি করে বলে দিয়েছে, কেবলমাত্র বেতনের টাকাটুকুই পুরো খরচ করা যাবে, বাকি সব কিছুর উপরই সারা বছর কোপ পড়ছে। 

    নবান্ন সূত্রের খবর, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের চার মাস কেটে গিয়েছে। বছরের শুরুতে খরচের বহর বাড়াতে নিষেধ করে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। অনেকের আশা ছিল, প্রথম ত্রৈমাসিকের পর অন্তত খরচের রাশ আলগা হবে। তবে গত ১০ জুলাইয়ের নয়া নির্দেশেও বলে দেওয়া হয়েছে, সারা বছরই খরচে লাগাম থাকবে। কেবল বাজেটে বেতন-পেনশন খাতে যে টাকা ধরা আছে তা খরচ করা যাবে। প্রশাসনিক খরচ থেকে রাজ্যের উন্নয়ন প্রকল্পের খরচও করা যাবে না। কারণ ভাঁড়ারে টাকা নেই।

    অর্থ কর্তারা জানাচ্ছেন, এবারের বাজেটে অর্থমন্ত্রী ১ লক্ষ ২৬ হাজার কোটি টাকার স্টেট ডেভেলপমেন্ট স্কিম বা উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন। কিন্তু যা অবস্থা তাতে উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ২০ শতাংশের বেশি টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়। ফলে প্রতিটি দফতরকে বলে দেওয়া হয়েছে, বাজেটে যে পরিমাণ টাকা উন্নয়ন খাতে ধরা হয়েছে তার ২০ ভাগই কেবল খরচ করতে হবে। বেশি খরচ হলে তার দায় অর্থ দফতর নেবে না। শুধুমাত্র বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ক্ষেত্রে ছাড় থাকছে। 

    আরও পড়ুন: একুশের সমাবেশ রাজনৈতিক না সরকারি অনুষ্ঠান? প্রশাসনিক ব্যস্ততা দেখে উঠছে প্রশ্ন

    একইভাবে কোপ পড়ছে সরকার চালানোর প্রশাসনিক খরচেও। বেতন এবং উন্নয়নের বাইরে সবচেয়ে বেশি খরচ হয় এই প্রশাসনিক খরচে। সরকারি গাড়ি ঘোড়া, ইলেকট্রিক বিল, সরকারি অনুষ্ঠানসহ নানা খাতে ৫৮টি দফতরের প্রশাসনিক খরচ বাবদ বাজেটে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকা ধরা আছে। অর্থ দফতরের নির্দেশ, বাজেট বরাদ্দের ৫০% টাকাতেই সারা বছরের সরকারের সংসার চালিয়ে নিতে হবে। এক দফতরের সচিবের আক্ষেপ, সংসার চালানোর খরচ যদি ৫০ ভাগ কমিয়ে দেওয়া হয় তা হলে কি সংসার চলে? এর চেয়ে খারাপ অবস্থা আর কী-ই বা হতে পারে।

    দফতরের নির্দেশ, কোনও একটি প্রকল্পের খরচ দেড় কোটি টাকার বেশি হলেই নবান্নে ফাইল পাঠিয়ে অনুমোদন নিতে হবে। এক সরকারি কর্তার কথায়, মন্ত্রীমশাইয়ের বাথরুম সারাই করতেই তো অনেক সময় দেড় কোটি টাকার বেশি খরচ হয়, সেই ফাইল যদি নবান্ন পাঠিয়ে অনুমোদন নিয়ে আসতে হয় তা হলে সরকার কেমন চলছে বোঝাই যাচ্ছে।

    গত চার মাসে ২২টি দফতরের আরআইডিএফ প্রকল্পে ৫৩৪ কোটি টাকা দিতে পেরেছে নবান্ন। এর বাইরে হাপিত্যেশ করে বসে রয়েছে তৃণমূল সরকার। নরেন্দ্র মোদি (Modi) টাকা পাঠালে তবেই উন্নয়নের ঢাক বাজাতে পারবে তারা। রাজ্যের কঠিন আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (Reserve Bank of India) ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে বাংলাকে। সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদিও পাইয়ে দেওয়ার প্রকল্পের সর্বনাশা পরিস্থিতির কথা রাজ্যগুলিকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। এরাজ্যে মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রী-সিরিজের প্রকল্পগুলির মাধ্যমে খয়রাতির ধাক্কায় এবার রাজ্য সরকারই না দেউলিয়া হয়ে যায়। অনেকের মতে, যে সরকার উন্নয়ন খাতে বাজেটের ৮০ ভাগ বরাদ্দ ছাঁটাই করে দেয় সেই সরকার কি আদৌ সুস্থির?

    আরও পড়ুন: হাসপাতালগুলিতে মজুত রাখতে হবে রক্ত! ২১ জুলাইয়ের আগে সরকারি নির্দেশ ঘিরে বিতর্ক

LinkedIn
Share